May 2025

রাজ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই নিয়ে চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "বিগত দিনে হাইকোর্ট ওএমআর প্রকাশের রায় দিয়েছিল। করা হয়নি। 

যোগ্য-অযোগ্য তালিকা জমা দিতে বলেছিল। দেওয়া হয়নি। কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। ডিএ নিয়ে রায় মানা হয়নি।



চাকরিহারাদের জন্য ১০ নম্বর? প্রশ্ন শুনে 'গোপন' অঙ্কটা বোঝালেন চিন্ময়
কী বলছেন চিন্ময় মণ্ডল?


নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ বিধিতেও বদল করা হয়েছে। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করা হবে। নতুন নিয়োগ বিধিতে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি ও নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে কী বলছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা? পরীক্ষায় বসার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান কি তাঁরা নমনীয় করছেন?


যোগ্য শিক্ষিক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম মুখ চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তিনি বলেন, নোটিফিকেশন জারি হয়ে এটা ভাল খবর। যাঁরা চাকরির পরীক্ষার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন, তাঁদের জন্য এটা ভাল খবর। কিন্তু, আমরা যোগ্য শিক্ষকরা কেন সেই চাকরির পরীক্ষায় ফের যাব? এতদিন যাঁরা চাকরি করছেন, সেই যোগ্য শিক্ষকদের জন্য একই নিয়ম বলবৎ হতে পারে না। আমাদের তো কোনও দোষ নেই।”

রাজ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই নিয়ে চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “বিগত দিনে হাইকোর্ট ওএমআর প্রকাশের রায় দিয়েছিল। করা হয়নি। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা জমা দিতে বলেছিল। দেওয়া হয়নি। কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। ডিএ নিয়ে রায় মানা হয়নি। উচ্চ আদালতে আবেদন করা হচ্ছে। আর এখন বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় মানতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে। দেখছেন ভোটের আগে একটা পরীক্ষা নিলে ভাল হয়। সকলকে নিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়। দুর্নীতিকে চাপা দেওয়া যাবে। আদালতের রায় মানুন। কিন্তু, যোগ্যদের পুনর্বহাল করতে হবে।”



রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে, সাম্প্রতিককালে একের পর এক মামলায় আদালাতে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজ্যকে। মুখ পুড়েছে দলের। এমতাবস্থায় চন্দ্রিমাকে লিগাল সেলের মাথায় এনেই কি ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে দল?

 সরিয়ে দেওয়া হল মলয় ঘটককে, এবার তৃণমূলের লিগাল সেলের মাথায় চন্দ্রিমা
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য


তৃণমূলের রদবদলের মধ্য়েই আরও দায়িত্ব বাড়ল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। পেলেন তৃণমূল আইন সেলের নতুন দায়িত্ব। মলয় ঘটককে সরিয়ে লিগ্যাল সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। ইতিমধ্যেই দলের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে লিগাল সেলের লিগাল সেলের চেয়ারপার্সনের পদে বসানো হচ্ছে চন্দ্রিমা। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা প্রশাসনের অন্দরে। 


প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক স্তরে ইতিমধ্যেই দলের মহিলা সেলের সভানেত্রী পদে রয়েছেন চন্দ্রিমা। অন্যদিকে সরকারি স্তরে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। একইসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামালাচ্ছেন তিনি। এবার তাঁর মাথাতেই এবার নতুন পালক। পেশায় আইনজীবী চন্দ্রিমা আগে চার বছর রাজ্যের আইন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই লিগাল সেলের চেয়ারম্যান করল দল।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে, সাম্প্রতিককালে একের পর এক মামলায় আদালাতে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজ্যকে। মুখ পুড়েছে দলের। এমতাবস্থায় চন্দ্রিমাকে লিগাল সেলের মাথায় এনেই কি ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে দল? দলের আইনজীবী সেলকে ফের নতুন করে শক্তিশালী করতে আইনজীবী চন্দ্রিমার উপরেই ভরসা করতে চাইছে তৃণমূল? প্রসঙ্গত, এর আগে যতবারই তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা মাথা পেতে নিয়েছেন চন্দ্রিমা। সরকারের হয়ে দিল্লিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এমনকী রাজ্যের বুকেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশেও দেখা গিয়েছে চন্দ্রিমাকে। এখন সেই চন্দ্রিমা নতুন দায়িত্ব কেমন সামলান সেটাই দেখার। 

আগেই থেকেই অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিল চাকরিহারারা। সকাল ১১টা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে জমায়েতের কথা ছিল। যদিও চাকরিহারাদের খুব বেশি দেখা না পাওয়া গেলেও আগে থেকেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের দখল নিতে দেখা যায় পুলিশকে।


সরকারকেই আমাদের পোশাক ফিরিয়ে দিতে হবে’, অর্ধনগ্ন প্রতিবাদ থেকে গর্জন চাকরিহারাদের
ফের প্রতিবাদে চাকরিহারারা


সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে জময়াতেও উত্তেজনার ছবি দেখা গিয়েছিল। খুঁজে খুঁজে প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা। দুপুরেই বিকাশ ভবনের সামনে ফের উত্তেজনা। অর্ধনগ্ন প্রতিবাদ চাকরিহারাদের। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তির ছবি দেখা যায়। শেষে তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। 


প্রিজন ভ্যানে উঠতে উঠতেই খালি গায়ে এক চাকরিহারাকে গর্জে উঠতে দেখা যায়। ক্যামেরার সামনেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, মেরে ফেলুক, গুলি চালাক। আর এক চাকরিহারা বলেন, “সরকারের দুর্নীতির কারণে আজ আমরা চাকরিহারা হতে বাধ্য হয়েছি। এই সরকারকেই আমাদের পোশাক ফিরিয়ে দিতে হবে। কীভাবে দেবেন সেটা ওনাদের ব্যাপার। আমরা সমাজে বের হতে পারছি না। বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে। তার উত্তর দেওয়া আর এখানে উলঙ্গ হয়ে থাকা একই ব্যাপার।” 

প্রসঙ্গত, আগেই থেকেই অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিল চাকরিহারারা। সকাল ১১টা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে জমায়েতের কথা ছিল। যদিও চাকরিহারাদের খুব বেশি দেখা না পাওয়া গেলেও আগে থেকেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের দখল নিতে দেখা যায় পুলিশকে। মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক মহিলা পুলিশ। চাকরিহারাদের দেখা মাত্রই তুলে ফেলা হয় পুুলিশের গাড়িতে। এরইমধ্যে বিকাশ ভবন চত্বরে ফের প্রতিবাদে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা। সেখান থেকেই বলপ্রয়োগ করে তুলে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আঘাতও পেয়েছেন বলে খবর। এক চাকরিহারা ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে বলেন, “লাথি মারা হয়েছে। যেভাবে টাটা-হেঁচরা করেছে তাতে আমি আঘাত পেয়েছি।”  

তার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি কল রেকর্ডিংও (যার সত্য়তা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা) তুলে ধরে তিনি। সুকান্তর দাবি, 'বীরভূমের ছাল ছাড়ানো বাঘের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। তিনি একজন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ঠিক কি ভাষায় কথা বলছেন!'

 বোলপুরের IC-কে হুমকি কেষ্টর? ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলল থানা
ভাইরাল অডিয়ো


তিনি বোলপুরের আইসি। আর তাঁকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন কেষ্ট মণ্ডল। শুক্রবার বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


তার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি কল রেকর্ডিংও (যার সত্য়তা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা) তুলে ধরে তিনি। সুকান্তর দাবি, ‘বীরভূমের ছাল ছাড়ানো বাঘের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। তিনি একজন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ঠিক কি ভাষায় কথা বলছেন!’

কী শোনা গিয়েছে সেই কল রেকর্ডিংয়ে?


সেই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যায়, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল। পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এমনকি, আইসিকে কাজলের লোক বলতেও শোনা যায় সেই ক্লিপ। তবে সমাজমাধ্যমে সুকান্তর তুলে ধরা এই রেকর্ডিং নিয়ে মুখ খুলেছে বোলপুর থানা। এদিন আইসি লিটন হালদার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, ওই রেকর্ডিং একেবারেই ভুয়ো।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই আইসির বিরুদ্ধেই কিন্তু সরব হয়েছিলেন কেষ্টও। বোলপুর শহরে আইসি-র নেতৃত্বে তোলাবাজি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কেষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘যাকে-তাকে মেসেজ করে টাকা চাইছে। কেউ FIR করতে গেলেও টাকা চাইছে। বোলপুরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ এই ‘বিতর্কিত’ আইসি-র বিরুদ্ধে বোলপুর পুলিশ সুপার ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেই জানান কেষ্ট। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এবার ভাইরাল নতুন অডিও ক্লিপ।

তবে ক্ষমা চাইলেও সব শেষে তাঁর বিরুদ্দে বীরভূমে চলা চক্রান্তের কথাও তুলে ধরেন কেষ্ট। তিনি বলেন, 'তিনটে মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল হয়। তা দেখে কারা ভয় পেল?


ওষুধ খেতে হয়...', তৃণমূলের বেঁধে দেওয়া সময় শেষের আগেই 'ভুল স্বীকার' কেষ্টর, পাশাপাশি বললেন, 'চক্রান্ত চলছে...'
অনুব্রত মণ্ডল


তিনি অপমান করার কথা কখনওই ভাবতে পারেন না। তৃণমূলের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশের ঠিক দু’ঘণ্টা পরই ভুল স্বীকার অনুব্রতর। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ নির্দেশিকা জারি করে অনুব্রত মণ্ডলকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় তৃণমূল। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। নাহলে দল শোকজ করবে।


দল বলেছে করতে তো হবে। আনুগত্য মেনে ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত। দলের নির্দেশের দু’ঘণ্টার মধ্য়ে লিখিত ভাবে ক্ষমা চিঠি পাঠালেন কেষ্ট। তিনি যে ভুল করেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

এদিন ক্ষমা চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘সত্যিই আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে ১০০ বার ক্ষমা চাইতে রাজি আছি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খাই। দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়।’


তবে ক্ষমা চাইলেও সব শেষে তাঁর বিরুদ্দে বীরভূমে চলা চক্রান্তের কথাও তুলে ধরেন কেষ্ট। তিনি বলেন, ‘তিনটে মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল হয়। তা দেখে কারা ভয় পেল? বিজেপি কীভাবে আইসি-কে গালিগালাজ করার ফুটেজ পেল? কে দিল? কোনও চক্রান্ত নেই তো?’

দলের পাশাপাশি কেষ্টর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে বোলপুর পুলিশ। এদিন ‘বীরভূমের বাঘের’ বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বোলপুর পুলিশ। এই প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার অমনদীপ জানিয়েছেন, অফিসারকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, সরকারি কর্মীকে হুমকির মামলা রুজু করা হয়েছে। কেষ্ট বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলির বেশির জামিন-অযোগ্য। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে যতটা কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, ততটাই নেবে বলেও জানিয়েছেন সুপার।



মৌসুনিতে নদী বাঁধ পরিদর্শনে সাংসদ বাপি হালদার

নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার ভরা কটালে নদীতে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে নামখানার মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরিতে নদী বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আজ মৌসুনীর সল্ট ঘেরিতে বেহাল বাঁধ পরিদর্শনে গেলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। 

আরও উপস্থিত ছিলেন নামখানা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার সাহু, এসডিও, ইরিগেশন, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ প্রশাসন

ষ্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার 

ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে যুক্ত এই সিআরপিএফ জওয়ান। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত গোপন তথ্য তিনি পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের পাচার করতেন।


পাকিস্তান থেকে আসত টাকা, গুপ্তচরের অভিযোগে এবার গ্রেফতার খোদ CRPF জওয়ান
ফাইল ফোটো

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(NIA)-র জালে এক সিআরপিএফ জওয়ান। ধৃত জওয়ান পাকিস্তানে গোপন তথ্য পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। ধৃতের নাম মোতিরাম জাঠ। ২০২৩ সাল থেকে ওই জওয়ান পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন বলে NIA জানিয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পাকিস্তান থেকে তাঁর কাছে টাকাও আসত।


পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কিছুদিন আগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে হিসার থেকে গ্রেফতার করা হয়ে। তারপর আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে তাঁদের ধরা হয়।

সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাঠ। তবে মোতিরাম একজন সেনা জওয়ান হয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করায় সেনাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।



 সিআরপিএফ জওয়ান। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত গোপন তথ্য তিনি পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের পাচার করতেন। এর জন্য পাকিস্তান থেকে ফান্ডও পেতেন ওই জওয়ান।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দিল্লি থেকে ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ আদালতে তাঁকে তোলা হয়। আগামী ৬ জুন পর্যন্ত মোতিরাম জাঠকে NIA হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।”

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তার জবাব দিয়ে ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরই বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান সেনা। যোগ্য জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহ বাড়ে। গত ১০ মে পাকিস্তান সেনার ডিজিএমও ফোন করেন ভারতীয় সেনার ডিজিএমও-কে। দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। ভারতের কাছে পাকিস্তান মাথা নত করার পর কয়েকদিন পরই জ্যোতি মালহোত্রা-সহ একাধিক পাকচর পুলিশের জালে ধরা পড়ে। সেই তালিকায় এবার উঠে এল সিআরপিএফ জওয়ানের নাম।

সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের ৬ প্রতিনিধি। বেরিয়েই তাঁরা সাংবাদিকদের মুুখোমুখি হন। 


কিন্তু বাকি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা আলোচনার বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিকাল সাড়ে চারটেয় বসেন সাংবাদিক বৈঠকে। তখনই স্পষ্ট করে দেন, আন্দোলনের রূপরেখা।


সরকার আশ্বস্ত করতে পারেনি', এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক সেরে জানিয়ে দিলেন চাকরিহারারা
সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষকরা

চাকরিহারাদের আন্দোলন এবার হবে দিল্লিমুখী। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের তরফে প্রতিনিধি হাবিবুল্লা বলেন, “আমরা একাধিক দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুটা আশ্বস্ত হলেও, আমরা সব প্রশ্নের উত্তর পাইনি। তাই এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী।”


প্রসঙ্গত, সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের ৬ প্রতিনিধি। বেরিয়েই তাঁরা সাংবাদিকদের মুুখোমুখি হন। কিন্তু বাকি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা আলোচনার বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিকাল সাড়ে চারটেয় বসেন সাংবাদিক বৈঠকে। তখনই স্পষ্ট করে দেন, আন্দোলনের রূপরেখা।

চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি হাবিবুল্লার বক্তব্য, “এরপর থেকে আন্দোলনের অভিমুখ হবে দিল্লিমুখী। আর বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমাদের আধিকারিকদের দুর্নীতি দায়ী, কিন্তু আদালত আমাদের দিকটা দেখেনি, আমাদের সঙ্গে ন্যায় হয়নি। আমরা কীভাবে আন্দোলন দিল্লিমুখী করব, তা পরবর্তীকালে স্পষ্টভাবে জানানো হবে। পুনর্বিবেচনার যে আর্জি জানানো হয়েছে, সেটা যেন পুনর্বিবেচিত হয়।” তাঁদের কথায়, “যে রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ফলে পরবর্তীকালে কোনও প্যানেলে যদি ২-৩ শতাংশও দুর্নীতি হয়ে থাকে, পুরো প্যানেলটাই বাতিল হবে।”


কোথায় সন্তুষ্ট হতে পারলেন না চাকরিহারা? চাকরিহারা শিক্ষক রাকেশ আলম বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, শিক্ষামন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেটা হয়নি। আমরা প্রথমেই তো সন্তুষ্ট হলাম না। কারণ সচিব তো আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর আমরা পাইনি। যাঁরা দিতে পারবেন, তাঁদেরই সাক্ষাৎ চাইছি।”

সম্মিলিতভাবে চাকরিহারারা স্পষ্ট করেছেন, তাঁরা কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসবেন না। এটাই তাঁদের আলোচনার মূল বক্তব্য ছিল। সে বিষয়ে কী সরকার কোনও আশ্বাস দিল? প্রশ্নের উত্তরে চাকরিহারা রাকেশ আলম বলেন, “ওনারা আমাদের কথা দিয়েছেন, যে এবিষয়ে আইনি পরামর্শ নেবেন। কিন্তু আশ্বস্ত করতে পারেননি। আমাদের দাবি একটাই পরীক্ষা দেব না। হয় আমাদের নামে দুর্নীতি প্রমাণ করতে হবে, তারপর এই পরীক্ষায় বসব, অথবা আমরা যোগ্যতামানের পরীক্ষা নতুন করে দেব না।”

বঞ্চনার কথা জানিয়ে বাংলার সমস্ত বিধায়ক সাংসদ, বাকি রাজ্যের সাংসদদেরও চিঠি দেবেন চাকরিহারারা। পার্লামেন্টে যাতে তাঁদের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, সেটার আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।

গভীর সমুদ্রে ডুবে গেল পণ্যবাহী জাহাজ ক্রুদের উদ্ধারে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনী 

ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সামুদ্রিক উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্র মুম্বাইয়ের কোচি থেকে প্রায় ৩৮ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে লাইবেরিয়া-পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ MSC ELSA 3-এর একটি দুর্দশা সতর্কতা পায়। জাহাজটি ২৩ মে ভিঝিনজাম বন্দর ছেড়ে যায়, ২৪ মে ETA (Estimate Time of Arrival) নিয়ে কোচির উদ্দেশ্যে রওনা হয়, তার মধ্যেই ঘটে এই বিপত্তি। ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড উদ্ধার অভিযানে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছে, কাছাকাছি জাহাজ। পর্যবেক্ষণ ও সহায়তার জন্য আকাশ পথে মোতায়েন করা হয়েছে এয়ারক্রাফ্ট। জাহাজে থাকা ২৪ জন ক্রুর মধ্যে ২১ জনকে প্রথমে উদ্ধার করেছে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড, এরপর আরো তিনজনকে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজ সুজাতা। উদ্ধারে সহায়তা করার জন্য, ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড বিমান, তালিকাভুক্ত জাহাজের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে সমুদ্র জরুরী প্রস্তুতিতে ব্যবহার করার জন্য ভেলা মোতায়েন করেছে। ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড -এর সাথে সমন্বয় করে ডিজি শিপিং, জাহাজের পরিচালকদের জাহাজটিকে স্বাভাবিক করতে এবং ঝুঁকি এড়াতে উদ্ধার অভিযান শুরু করার জন্য জরুরি নির্দেশ জারি করেছে। ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড জাহাজ থেকে উদ্ধার করা ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শারীরিক কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে সর্বক্ষণ। 
জাহাজটিতে ৬৪০ টি কন্টেনার ছিল যার মধ্যে ১৩ টি ছিলো বিপদজনক পণ্যসম্ভার এবং ১২ টি ক্যালসিয়াম কার্বাইড যুক্ত। এছাড়াও জাহাজের ট্যাঙ্কে ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ৩৬৭.১ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল ছিল। ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড ব্যাপক দূষণ প্রতিক্রিয়া প্রস্তুতি চালু করেছে। উন্নত তেল ছড়িয়ে পড়ার ম্যাপিং প্রযুক্তিতে সজ্জিত ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড এয়ারক্রাফ্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আকাশ মূল্যায়ন করছে। এখনো পর্যন্ত তেল ছড়িয়ে যাওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

মুন্না সরদার এর রিপোর্ট কাকদ্বীপ ডট কম

 

১০ হাজার টাকা তৃণমূলকে দিয়েছি’, ভোটার কার্ড হাতে পেয়ে বলছেন ‘বাংলাদেশি’


তাঁর আরও দাবি, কাকদ্বীপের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি পাওয়ার মূলেই এই অসাধু চক্র। মন্টুরাম পাখিরার অভিযোগ, মূলত বাংলাদেশ থেকে চলে আসা মৎস্যজীবীদের উপর।


'১০ হাজার টাকা তৃণমূলকে দিয়েছি', ভোটার কার্ড হাতে পেয়ে বলছেন 'বাংলাদেশি'
সুজন সরকার


তৃণমূলকে নাকি দশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তারপরই নাম উঠে গিয়েছে ভোটার লিস্টে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল বাংলাদেশ থেকে কাকদ্বীপে এসে বসবাসকারী একটি পরিবার। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে যখন কড়া প্রহরা চলছে, সেই সময় এই বক্তব্য নিতান্তই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে শুধু ওই পরিবার নয়, খোদ কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাও অভিযোগ করলেন একাংশ প্রশাসনিক কর্তারা এই বেআইনি কাজ করার পিছনে জড়িত।


উল্লেখ্য,’ভুয়ো’ ভোটার ধরতে বারেবারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি একটি টিমও গড়ে দিয়েছেন। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা যাতে বিষয়টিতে বিশেষভাবে নজর দেন তাও নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতেই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন মন্টুরাম। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফের একবার সরব হয়েছেন কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক।

তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ,কাকদ্বীপ এসিডও (SDO), বিডিও (BDO) অফিসের কর্মীরা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই বেআইনী কাজ করে গিয়েছেন। এর পিছনে রয়েছে বড়সড় চক্র। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এরা এখানে আসে। আর কিছু দালাল চক্র আর কাকদ্বীপের এসডিও, বিডিও অফিসের লোকজন এই অনিয়ম করেছেন। তাদের প্রশাসন খুঁজে বের করুক। এখানে লক্ষ লক্ষ টাকার গল্প। অর্থের বিনিময়ে এই কার্ড বানিয়েছে।”


তাঁর আরও দাবি, কাকদ্বীপের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি পাওয়ার মূলেই এই অসাধু চক্র। মন্টুরাম পাখিরার অভিযোগ, মূলত বাংলাদেশ থেকে চলে আসা মৎস্যজীবীদের উপর। তাঁরা দীর্ঘদিন বসবাস করার পর চক্রের মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলছেন।

কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ৬ হাজার ভোটারের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধায়ক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সমীক্ষাও শুরু হয়েছে। আর তারপরই দেখা গেল কাকদ্বীপের রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ ও প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভোটাররা টাকা দিয়ে নাম তোলার কথা স্বীকার করলেন। এরা মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা। এদের আধারকার্ড, রেশনকার্ড থাকলেও ভোটার নন অনেকেই। তাঁরা বলছেন,টাকা দিতে পারিনি বলে তালিকায় নাম ওঠেনি। অনেকেই টাকা দিয়ে নাম তুলেছে। ভোটার সুজন সরকার বলেন, “আমরা পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ বছর এখানে আছি। জন্ম সার্টিফিকেট নেই। তবে আধার আছে।” এরপর তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী আগে ভোটার হয়েছেন। আমার কাগজপত্র অনেক দিন আগেই জমা দিয়েছি। কিন্তু হয়নি। পরে অল্প টাকা পয়সা দিয়ে ভোটার হয়ে গিয়েছে। দশ হাজার টাকা তৃণমূল পার্টিকে দিয়েছি। প্রায় চার-পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে…।” তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই বিষয়টি আগেই তিনি ধরেছেন। বলেন, “SDO কাকদ্বীপ মধুসূদন মণ্ডল, ডিএম সুমিত গুপ্তা জড়িত আছেন। এই কেস সিবিআইকে দেওয়া হোক।”

তৃণমূল মুখপাত্র অরূর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভুয়ো ভোটারের কল দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যদি এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।”



আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হয়নি আমার বাবা, প্রাণ দিতে হয়েছে’, ইউনূসকে ইতিহাস মনে করাচ্ছেন মুজিব-কন্যা

সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশে চাপানউতোর আজ থেকে নয়। হাসিনার দাবি ছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেত্রী খালেদা জিয়া এই দ্বীপকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। তা নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যায়।
 ‘আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হয়নি আমার বাবা, প্রাণ দিতে হয়েছে’, ইউনূসকে ইতিহাস মনে করাচ্ছেন মুজিব-কন্যা
ফের ইউনূসকে তোপ হাসিনার


 গদি টলমল ইউনূসের। তবে এখনই ছাড়ছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। দফায় চলছে বৈঠক। যেকোনও মুহূর্তে বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আন্দাজ করেই এবার মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়েছেন প্রায় এক বছর। শুরুতে কিছুটা চুপ থাকলেও বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক দোলাচল দেখে আর চুপ থাকতে পারছেন না মুজিব কন্যা। এবার একেবারে করে ফেললেন বাবার স্মৃতিচারণা। তাতেই তোপের পর তোপ ইউনূসের বিরুদ্ধে। আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হয়নি আমার বাবা। তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমারও একই হল। ইউনূস এসেই দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিল। এক অডিয়ো বার্তায় এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছেন শেখ হাসিনা। 


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে পদত্যাগের জল্পনা তুলে আওয়ামী লিগ বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করেছেন ইউনূস। এরইমধ্যে হাসিনার একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য বাংলাদেশজুড়ে তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ইউনূস। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সব দেখে বিশ্লেষকদের মত, জল যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে বৈষম্য বিরোধী জোট হালে বিশেষ পানি পাচ্ছে না। সমগ্র বাংলাদেশে সেন্ট মার্টিন ও মানবিক করিডর নিয়ে হাসিনার বার্তা বড় রকমের সারা ফেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের বাইরে থেকেই ইউনূসের মুখোশ খোলার চেষ্টা সব কসরত করছেন হাসিনা। 

কেন সেন্ট মার্টিন? 


এদিকে সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশে চাপানউতোর আজ থেকে নয়। হাসিনার দাবি ছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেত্রী খালেদা জিয়া এই দ্বীপকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। তা নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যায়। শোনা যায়, ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গোপন সামরিক ঘাঁটি বানাতে চেয়েছিল আমেরিকা। যার হাত ধরে দক্ষিণ এশিয়ার বড় অংশে আধিপত্য বিস্তার করা সহজ হত। উল্টে আমেরিকা বিএনপি-কে ভোটে জিততে সাহায্য করত। হাসিনার দাবি, এই সেন্ট মার্টিন আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চাইছেন ইউনূসও। একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, তিনি আমেরিকার হাতে সেন্ট মার্টিন তুলে দিতে চাননি বলেই যড়ষন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে।    

আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই নতুন করে বাংলাদেশজুড়ে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যেই ইউনূসের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে অনেকেই। যা কিছুদিন আগেও দেখা যায়নি পদ্মপারে। এরইমধ্যেই ‘মার্চ ফর ইউনূস’ এরও ডাক দেওয়া হয়েছিল ঢাকা। কিন্তু বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। র‍্যালি ছেড়ে শেষে শাহবাগে অবস্থান করেই আন্দোলন শেষ করেছেন উদ্যোক্তারা। 


গতকাল নীতি আয়োগের বৈঠকেও হাজির ছিলেন না নীতীশ কুমার। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে এনডিএ জোট কি ভাঙছে?


ভোটের আগেই জোটে ভাঙন? মোদীর মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন নীতীশ কুমার
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে নীতীশ কুমার।




বিহার নির্বাচনের আগেই এনডিএ জোটে ভাঙন? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠক মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।


বিহার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আজ এনডিএ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। হাজির এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীরাও।

এনডিএ-র ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরতেই এই বৈঠকের আয়োজন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের সঙ্গে যাতে এনডিএ শাসিত রাজ্যের কাজের সমন্বয় ও সাযুজ্য থাকে, তা নিশ্চিত করতেই বৈঠক ডাকা হয়। অপারেশন সিঁদুরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং জাতি ভিত্তিক জনসুমারি নিয়ে প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হবে এই বৈঠকে।


আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু মাঝপথেই তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে চলে যান। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। কেন হঠাৎ নীতীশ কুমার বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়।

তবে শোনা যাচ্ছে, নীতীশ কুমার অসুস্থবোধ করছিলেন। আবার বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় তিনি উপস্থিত থাকবেন। নীতীশ কুমার বেরিয়ে যাওয়ার সময় দিল্লির অশোকা হোটেলে তাকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসেন বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে।

প্রসঙ্গত, গতকাল নীতি আয়োগের বৈঠকেও হাজির ছিলেন না নীতীশ কুমার। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে এনডিএ জোট কি ভাঙছে?

সামনেই বিহার নির্বাচন। গদি ধরে রাখতে মরিয়া নীতীশ কুমার। সেই কারণেই তিনি লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস, আরজেডি জোট ভেঙে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন। এবার নির্বাচনে আরজেডি সহ বিরোধী দলগুলি জাতি ভিত্তিক জনসুমারিকে অন্যতম ইস্যু তৈরি করছে।

জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে বলেন তিনি, নিহতদের পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, "ন্যায় বিচার আপনারা পাবেনই।"

'সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করে ছাড়বে ভারত', মন কি বাতে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ফের একবার বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠান, ‘মন কি বাত’-এও তিনি জানালেন সন্ত্রাসবাদ শেষ করতে ভারত বদ্ধপরিকর। একইসঙ্গে দেশের সেনাবাহিনীকেও বাহবা দিলেন নিখুঁত নিশানায় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের জন্য। প্রমাণ হিসাবে ধ্বংস হওয়া লস্কর ঘাঁটির ছবিও দেখান প্রধানমন্ত্রী মোদী।


এ দিন মন কি বাতের অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল অপারেশন সিঁদুরের কথা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আজ গোটা দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। তাদের মধ্যে রাগ থাকলেও রয়েছে দৃঢ়চেতনা। আজ প্রত্যেক ভারতীয়ের শপথ হল সন্ত্রাসবাদ শেষ করা।”

‘অপারেশন সিঁদুরে’ দেশের তিন বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “যে নিখুঁত ও সঠিকভাবে আমাদের বাহিনী জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, তা প্রশংসনীয়। অপারেশন সিঁদুর শুধু সামরিক মিশন ছিল না, এটা পরিবর্তিত ভারতের দক্ষতার ছবি। এবং এই ছবি গোটা দেশের মধ্যে দেশাত্ববোধ জাগিয়ে তুলেছে। দেশকে তিরঙ্গায় রাঙিয়ে তুলেছে।”


দেশ জুড়ে তিরঙ্গা যাত্রা, নবজাতক শিশুকন্যাদের ‘সিঁদুর’ নামকরণের মতো উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে বলেন তিনি, নিহতদের পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “ন্যায় বিচার আপনারা পাবেনই।”

মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি বিগত কয়েক বছরে কাশ্মীরের ব্য়াপক উন্নতি নিয়েও কথা বলেন। কীভাবে বিগত বছরে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটন বেড়েছে, যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা এই উন্নয়ন রুখতে শত্রুদের চেষ্টা ছিল বলে দাবি করেন।

 চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। হাসপাতালে ভর্তি করেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

বাংলায় ভোটের বাদ্যি বেজে গেল, উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল কমিশন
দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচনে। চড়ছে ভোটের পারদ। এরইমধ্যে বাংলা-সহ চার রাজ্যে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে বাংলা থেকে রয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্র বাদে গুজরাতের দুই কেন্দ্র, কেরলের একটি ও পঞ্জাবের একটি কেন্দ্র রয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কালীগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই বিধায়ক শূন্য এই আসন। এবার এই আসনেই হতে চলেছে ভোট।  


প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। হাসপাতালে ভর্তি করেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তারপর থেকেই মাস তিনেক বিধায়কহীন কালীগঞ্জ। কবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয় তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিল। 

একই ছবি গুজরাতের কাদিতেও। বিসাবদরের পাশাপাশি কাদিতেও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। কাদিতে কিছুদিন আগেই বিধায়কের মৃত্যু হয় ক্যানসারের কারণে। ভোট হবে পঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম এবং কেরলের নিলম্বুর কেন্দ্রে। এই ৫ কেন্দ্রেই ভোট হবে ১৯ জুন। ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ২৩ জুন সোমবার। 
 উল্লেখ্য, ঘটনার দিন সন্ধেবেলা কৃষ্ণেন্দু দেহ নিয়ে অভিযুক্ত সিভিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

দাহ করো না-হলে নদীতে ভাসিয়ে দেব...', চিপস-কাণ্ডে মৃত শিশুকে নিয়ে কেন বলল পুলিশ?
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা


আলুথালু চুল। পরনে ছাপা শাড়ি। কথা বলতে-বলতে হাঁপিয়ে উঠছেন মহিলা। ছেলের মৃত্যুর শোক মা কী ভুলতে পারে এত তাড়াতাড়ি? মাটিতে বসে জানালায় হেলান দিয়ে ছোট্ট কৃষ্ণেন্দু দাসের মা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিযুক্ত সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তাঁর পরিষ্কার অভিযোগ, যদি না ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এভাবে ভরা বাজারে সামান্য চিপসের প্যাকেটের জন্য ছেলেটাকে বকত তাহলে হয়ত সন্তান এত বড় সিদ্ধান্ত নিত না। এমনকী পুলিশ নাকি বলেছিল, দ্রুত দেহ সৎকার করতে নয়ত নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে, দাবি করেছেন শিশুটির মা। এর পাল্টা বক্তব্য দিল পুলিশও।


মৃত কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রা দাস আজ রবিবার বললেন, তাঁরা ওই সিভিক পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাবেন। “আমরা সন্তান হারিয়ে দু’জনে ক্লান্ত। যেতে পারিনি এখনও….।” বারেবারে সন্তানহারা মা প্রশ্ন তুললেন, একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের এত ঔদ্ধত্য হয় কী করে? মহিলা বলেন, “একটা সিভিক পুলিশ হয়ে দাদাগিরি দেখিয়েছে। ও যদি না শাসন করত তাহলে আমার সন্তানও এমন করত না।”

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন সন্ধেবেলা কৃষ্ণেন্দু দেহ নিয়ে অভিযুক্ত সিভিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ছোট্ট কৃষ্ণেন্দুর মা বলেন, “আমরা কাউকে পাশে পাচ্ছি না। যে আসছে। তাঁকেই গ্রেফতার করছে। তাহলে কে পাশে আসবে। একটা সিভিকের এত ক্ষমতা ? আমার সন্তানকে দশ মিনিট দেখতে দিল না? পুলিশ সেদিন বলল, দেহ দাহ করো, না হলে নদীতে ভাসিয়ে দেব, অথবা মর্গে ফেরত নিয়ে চলে যাব। মার কাছে সন্তানকে রাখতে দেয়নি। ওরাই দাহ করে দিল। এত লাঠিচার্জ করল গ্রামবাসীও আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারল না।” তবে সুমিত্রা দেবীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তমলুক মহকুমার পুলিশ আধিকারিক আফজাল আবরার জানান, “মৃতের মা যে কথাটা বলছে ঠিক ওই মানে করে বলা হয়নি। যখন সিভিক কর্মী শুভঙ্কর দীক্ষিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ হচ্ছিল। সেই সময় পরিবারের লোক ছিল না। বাচ্চাটির দেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও বাড়ি ভাঙচুর করছিল কিছু লোকজন। ঠিক তখনই আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই কথা বলা হয়েছে। আমরা এটাই বলতে চেয়েছি যে আপনারা সৎকার করার ব্যবস্থা করুন। নচেৎ আমরা ব্যবস্থা করবো।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় প্রশাসনের তরফে। বাঁশের স্ট্রাকচার দিয়ে তাবু খাটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের জন্য বসার জায়গা। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বায়ো টয়লেট।

বিকাশভবন থেকে সরতে হবে চাকরিহারাদের, হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই সেন্ট্রাল পার্কে মঞ্চ বাঁধছে প্রশাসন
চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ


হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ সরিয়ে নিতে হবে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাদের নতুন ঠিকানা সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন সুইমিং পুলের কাছে ফুটপাতে। ২০০ লোকের জমায়েত করা যাবে সেখানে। অদলবদল করেই আন্দোলন মঞ্চে থাকতে পারবেন চাকরিহারারা। 


শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট বলেন, FIR-এ নাম থাকা কোনও চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তারপরই তিনি জানান বিকাশ ভবনের সামনে নয় সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুল লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য যে পরিকাঠামো তৈরা করা দরকার তা করবে প্রশাসন। তা সম্পূর্ণ হলেই পুলিশের পক্ষ থেকে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলা হবে। 

হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় প্রশাসনের তরফে। বাঁশের স্ট্রাকচার দিয়ে তাবু খাটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের জন্য বসার জায়গা। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বায়ো টয়লেট। দুপুরের মধ্যেই পুরো স্ট্রাকচার তৈরি হয়ে যাবে, এমনটাই জানাচ্ছেন নির্মাণকারীরা। যদিও চাকরিহারারা বলছেন তাঁরা আগে পুরো ব্যবস্থা দেখবেন, টয়োলেট থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখে তারপরই ওই জায়গায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রশাসনের তরফে ছাউনি তৈরি করা হলেও সেটা তাদের অবস্থানের জন্য কতটা সুবিধে জনক হবে সেটা দেখেই তারা যাবেন সেখানে। 

তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন নিয়েছেন ইউনূস। গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রফতানির লাইসেন্স নিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমোদন নিয়েছেন।


ঢাকা: ইউনূসের গদি নিয়ে টানাটানি। তিনি আদৌ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এর মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের। তিনি মারাত্মক সব অভিযোগ আনলেন মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে।

শেখ হাসিনার পুত্র লেখেন, অবৈধ সরকারের দুর্নীতির প্রধান মাথা ও প্রশ্রয়দাতা হলেন ডঃ মহম্মদ ইউনূস। মাত্র ৯ মাসে তিনি একাধিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। কী কী সেই সুবিধা, তার তালিকাও তুলে ধরেছেন সজীব। তাঁর দাবি,  মহম্মদ ইনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন ও অর্থপাচারের মামলাসহ নিজের নামে থাকা সকল মামলা অনৈতিকভাবে দ্রুত খারিজ করিয়ে দিয়েছেন।

এছাড়া তিনি ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণের প্রাপ্য গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সব মুনাফার উপর আগামী ৫ বছরের জন্য অনৈতিক কর মকুব করে সুবিধা নিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কে থাকা সরকারের মালিকানা শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে এনেছেন।

তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন নিয়েছেন ইউনূস। গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রফতানির লাইসেন্স নিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমোদন নিয়েছেন।

সজীব জানিয়েছেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা ফান্ডের ৭০০ কোটি টাকা সিঙ্গল সোর্স সিলেকশন (Single Source Selection) এর মাধ্যমে গ্রামীণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেছেন ইউনূস। নিজের এনজিও-র কর্মী, আত্মীয়স্বজন আর এলাকার মানুষদের নিয়োগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, গতকালও ইউনূসের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিলেন সজীব। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব আহমেদ পোস্ট করে লেখেন যে সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশিত তালিকায় উল্লেখ করা ছিল শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সময় সেনার হেফাজতে কারা ছিলেন। সেই তালিকায় নাম ছিল বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিরও। তাহলে মহম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য কে পাঠ করালেন? তবে কি তাঁর শপথ গ্রহণ অবৈধ ছিল? প্রধান বিচারপতির সই জাল করেছিলেন মহম্মদ ইউনূস?



আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের তথ্য তুলে ধরে নীতি আয়োগের সিইও জানান, অর্থনীতিতে জাপানকেও টপকে গিয়েছে ভারত।


৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি, জাপানকে পিছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হল ভারত
প্রতীকী চিত্র।


ঘোড়ার থেকেও বেশি স্পিডে ছুটছে ভারতের অর্থনীতি। জাপানকে টপকিয়ে ভারত বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। শনিবার এই সুখবর শোনালেন নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম।


নীতি আয়োগের দশম গভার্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পর সুব্রহ্মণ্যম জানান, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষায় ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ ইতিবাচক রয়েছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমরা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের (৪ লক্ষ কোটি ডলার) অর্থনীতি এখন আমাদের।”

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের তথ্য তুলে ধরে নীতি আয়োগের সিইও জানান, অর্থনীতিতে জাপানকেও টপকে গিয়েছে ভারত। “এখন শুধুমাত্র আমেরিকা, চিন ও জার্মানি ভারতের থেকে অর্থনীতিতে বড়। যদি আমরা পরিকল্পি পথেই চলি, তবে আড়াই-তিন বছরে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।”


আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকার, ৩০ লক্ষ কোটি ডলারের। এরপর রয়েছে চিন, তাদের অর্থনীতি ১৯.২৩ লক্ষ কোটি ডলারের। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল জার্মানি, ৪.৭৮ লক্ষ কোটি ডলারের। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত ও চিন, দুই দেশেরই অর্থনীতি ৪.১৯ লক্ষ কোটি ডলারের। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্রিটেন, ৩.৮৪ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি তাদের। ফ্রান্স রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে, ৩.২১ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি তাদের।

সম্প্রতিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপেলকে ভারতে আইফোন তৈরি না করে আমেরিকাতেই তৈরি করতে বলেছেন। তাঁর শর্ত না মানলে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই নিয়ে ভারতের কী মতামত, এই প্রশ্নের উত্তরে নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, “ট্যারিফ কী হবে, তা অনিশ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করলে আমাদের এখানে আইফোন তৈরি করা সস্তা হবে।”

 পরিবার সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চলাকালীন নিজের বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তবে তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক সুস্মিতা জানা ছিলেন বাড়িতে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, আজ রবিবার সকালে ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকার হিরে, সোনার গহনা ও মূল্যবান রত্ন উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।


বর্ধমানের এই ডাক্তার কি কিডনি পাচার করেন? কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা, সোনা-জহরত উদ্ধার করল CBI
গুরুতর অভিযোগ ডাক্তারের বিরুদ্ধে


রাতভর পূর্ব বর্ধমানের এক চিকিৎসকের বাড়িতে হানা সিবিআই-এর। শনিবার রাত এগারোটা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ওই চিকিৎসকের বাড়িতে চলল তল্লাশি। গতকাল প্রায় আট সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পৌঁছয় বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুরের হাতিশাল এলাকায় চিকিৎসক তপনকুমার জানার বাড়িতে। জানা গিয়েছে কিডনি পাচারের তদন্তেই আধিকারিকরা গিয়েছেন সেখানে।


পরিবার সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চলাকালীন নিজের বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তবে তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক সুস্মিতা জানা ছিলেন বাড়িতে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, আজ রবিবার সকালে ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকার হিরে, সোনার গহনা ও মূল্যবান রত্ন উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পাশাপাশি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায় সিবিআই তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে বর্ধমান থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই অভিযান চালায় সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কিডনি পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই চিকিৎসক। আর সেজন্যই কলকাতা থেকে সিবিআইয়র আটজনের প্রতিনিধি দল হানা দেয় চিকিৎসক দম্পত্তির বাড়িতে ।

বস্তুত,বর্তমানে চিকিৎসক তপন কুমার জানা মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শারীরিক বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদে কর্মরত। আর তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক সুস্মিতা জানা কলকাতার কোনও একটি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

পরিচারিকা শিখা মাঝি বলেন, “ওরা ঢুকল আমি দরজা খুলে দিলাম। ডাক্তারবাবু ঘরে ছিলেন না। ম্যাডাম ছিলেন। ঘরের ভিতরে কী কী হয়েছে জানি না। আর কিছু দেখতে পাইনি। আমাদের ঘর আলাদা।”




মদ, গুটখা কেড়ে নিল মুকুল দেবের প্রাণ? মুখ খুললেন কাছের মানুষ


হিন্দি ছবির পাশাপাশি বাংলা, পঞ্জাবি, কন্নড়, ইংরেজি ছবিতেও অভিনয় করেছেন মুকুল। তাঁর শেষ ছবি 'অন্ত'। যা মুক্তি পায় ২০২২ সালে। অভিনেতার দাদা রাহুল দেবও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা।
মদ, গুটখা কেড়ে নিল মুকুল দেবের প্রাণ? মুখ খুললেন কাছের মানুষ


আচমকাই বলিউডে শোকের ছায়া। অকালে ঝরে গেল আরেকটি প্রাণ। হ্য়াঁ, শুক্রবার মধ্যরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালেই দীর্ঘদিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসার পর শেষমেশ মৃত্যুর কাছে হার মারলেন মুকুল। তবে এখনও তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঠিক কী অসুস্থতায় ভুগছিলেন মুকুল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা রাহুল দেবও। তবে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করেননি তিনি।


অন্যদিকে, প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা বিন্দু দারা সিং। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ”সম্প্রতি মুকুলের ওজন খুব বেড়ে গিয়েছিল। তবে মুকুল চেষ্টা করছিল নিজেকে ফিরে আসার। ফিট থাকার। তবে একাকিত্ব ওকে ঘিরে ধরেছিল। প্রচুর মদের নেশা ছিল, গুটখাও খেত। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা ছিল একাকিত্ব। আর এই একাকিত্ব দূর করতেই নেশায় ডুবে থাকত।” বিন্দু দারা সিং জানান, ”মুকুলের একমাত্র মেয়েও ওর সঙ্গে থাকত না। ফের সিনেমায় ফেরার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সন অফ সর্দার মুক্তি পাওয়ার আগেই চলে গেল।”

দিল্লির এক পঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুকুল দেব। ছোটবেলা থেকেই গান, নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি মুকুল দেব ট্রেনিংপ্রাপ্ত পাইলট। ১৯৯৬ সালে মুমকিন ধারাবাহিক থেকে অভিনয়ে কেরিয়ার শুরু করেন মুকুল।বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি দস্তক। এই ছবিতে সুস্মিতা সেনের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দি ছবির পাশাপাশি বাংলা, পঞ্জাবি, কন্নড়, ইংরেজি ছবিতেও অভিনয় করেছেন মুকুল। তাঁর শেষ ছবি ‘অন্ত’। যা মুক্তি পায় ২০২২ সালে। অভিনেতার দাদা রাহুল দেবও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা।



টলি কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে অভিনীত ছবি 'অভিসন্ধি' বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। মুকুল দেবের প্রয়াণের খবর পেয়ে ঋতুপর্ণা যেন, সেই নস্ট্যালজিয়াতেই ডুব দিলেন।


মুকুলকে বাংলা শিখিয়েছিলাম, মনে পড়ছে সেই দিনগুলোর কথা: ঋতুপর্ণা


হিন্দি ছবির পাশাপাশি বহু বাংলা ছবিতেও দেখা গিয়েছে, প্রয়াত অভিনেতা মুকুল দেবকে। যাঁর মধ্য়ে টলি কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে অভিনীত ছবি ‘অভিসন্ধি’ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। মুকুল দেবের প্রয়াণের খবর পেয়ে ঋতুপর্ণা যেন, সেই নস্ট্যালজিয়াতেই ডুব দিলেন।


টিভি ৯ বাংলাকে ঋতুপর্ণা জানালেন, ”মুকুল দেবের এভাবে চলে যাওয়াটা খুব হতবাক করেছে আমায়। অনেকদিন ওর কোনও খবর পায়নি ঠিকই, কিন্তু জানতাম ও রয়েছে, ভাল কাজ করছে। বেশ কয়েক বছর আগে মুকুলের সঙ্গে অভিসন্ধি বলে একটা বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলাম। দারুণ একটা চরিত্রে অভিনয় করেছিল মুকুল। আমি ছিলাম আইনজীবীর চরিত্রে। খুব ইন্টারেস্টিং ছবি ছিল। মনে পড়ছে এই ছবির শুটিংয়ের সময় মুকুলকে আমি অনেক সময় বাংলা শিখিয়ে ছিলাম। বাংলা সংলাপ আমার সঙ্গে প্র্যাকটিস করত। পরেও এক-দুবার দেখা হয়েছিল মুকুলের সঙ্গে। দারুণ একটা পার্সোনালিটি ছিল ওর। খুব অবাক লাগছে এভাবে মুকুল চলে গেল। শুনেছিলাম সম্প্রতি খুব মন খারাপ ছিল মুকুলের। ওর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”

দিল্লির এক পঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুকুল দেব। ছোটবেলা থেকেই গান, নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি মুকুল দেব ট্রেনিংপ্রাপ্ত পাইলট। ১৯৯৬ সালে মুমকিন ধারাবাহিক থেকে অভিনয়ে কেরিয়ার শুরু করেন মুকুল।বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি দস্তক। এই ছবিতে সুস্মিতা সেনের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দি ছবির পাশাপাশি বাংলা, পঞ্জাবি, কন্নড়, ইংরেজি ছবিতেও অভিনয় করেছেন মুকুল। তাঁর শেষ ছবি ‘অন্ত’। যা মুক্তি পায় ২০২২ সালে। অভিনেতার দাদা রাহুল দেবও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা।

বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করতে চান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। আগামিকাল, রবিবার (২৫ মে) বিকেলে তিনি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।


সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন ইউনূস, রবিবারই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন?
মহম্মদ ইউনূস।


রবিবারেই কি চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে কি থাকবেন মহম্মদ ইউনূস? বাংলাদেশের দোলাচল পরিস্থিতি। তার মাঝে এবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিলেন মহম্মদ ইউনূস।


জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করতে চান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। আগামিকাল, রবিবার (২৫ মে) বিকেলে তিনি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনাতেই এই বৈঠক হবে। বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকার পরই মহম্মদ ইউনূস বলেছেন যে তিনি আর প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকতে চান না। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আলাদাভাবে আলোচনায় বসেন ইউনূস। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাকি উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই নিজের ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন। বলেন, যদি দেশের সংস্কারই না করতে পারেন, তবে প্রধান উপদেষ্টার পদে থেকে কী লাভ!


এরপর থেকেই বাংলাদেশে অদ্ভুত টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। একদিকে যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে, সেখানেই ঢাকার রাস্তায় পোস্টার পড়েছে ইউনূসকে সমর্থন জানিয়ে। রাজনৈতিক দল বিএনপিও জানিয়েছে, তারা ইউনূসের ইস্তফা চান না,তবে তারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। আজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ইউনূস। সন্ধ্যায় আবার বিএনপি ও জামাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা। ঘনঘন বৈঠক হলেও, ইউনূস পদে থাকবেন নাকি ইস্তফা দেবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।

দেশের নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কার-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। তারপর সেই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে সরকার পক্ষে তরফে।


সরকারের দায়িত্ব পালন অসম্ভব...', রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে বড় বার্তা ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদের
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস


 সন্ধেয় ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপি ও জামাতের প্রতিনিধিরা। আর সেই বৈঠকের আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে নিলেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। জানা গিয়েছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।


কিন্তু এই বৈঠক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হলেও, তার আবহ অনেকটাই রাজনৈতিক। বৈঠক শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত, তা নিয়ে পদ্মা পাড়ের অন্দরে তৈরি হয়েছিল জোর শোরগোল। বৈঠক শেষে কী বলবেন ইউনূস, সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলাদেশ।

সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শেষ হয় বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মোট ১৯ জন সদস্য। জানা যায়, গোটা বৈঠকে দেশের নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কার-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। তারপর সেই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে সরকার পক্ষে তরফে।


কী বলা হয়েছে সেই বিবৃতিতে?

বাংলাদেশের অন্দরে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ‘যদি পরাজিত শক্তির উস্কানিতে ও বিদেশি কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে সরকারের দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তোলা হয়, তখন সরকার দেশের সকল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে হাঁটবে।’

এরপরই ইঙ্গিতে ইউনূসের উপর তৈরি হওয়া চাপের প্রসঙ্গ তুলে বিবৃতি আরও জানানো হয়, ‘শত বাধার মাঝেও অন্তর্বর্তী সরকার তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে। সর্বোপরী বাংলাদেশে চিরকালের মতো স্বৈরতন্ত্রকে প্রতিহত করতে ঐক্যই একমাত্র পথ।’

বাংলার পেসারের দীর্ঘ চোটের রেকর্ড, সেই অর্থে ফর্মে না থাকা, বয়স বাড়া--- এমন কিছু গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ড সফরের দল থেকে বাদ পড়ার পর একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, সামিরও কি অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে?


ইংল্যান্ড সফরে ব্রাত্য! বিরাট-রোহিতের মতো অবসরের পথে হাঁটতে হবে বাংলার পেসার সামিকে?

ইংল্যান্ড সফরে ব্রাত্য! বিরাট-রোহিতের মতো অবসরের পথে হাঁটতে হবে বাংলার পেসার সামিকে?


একে একে সিনিয়রদের সরে যেতে হবে। তাঁদের জায়গা নেবেন নতুনরা। অঘোষিত এই রীতিই যেন মেনে নিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। টেস্ট টিম থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। রো-কোর আগে আবার ছুটি নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাকি শুধু রবীন্দ্র জাডেজা। স্পিনার-অলরাউন্ডারকে ইংল্যান্ড সফরে দলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর এক সিনিয়রকে বিবেচনা করা হল না। তিনি আর কেউ নন, মহম্মদ সামি। বাংলার পেসারের দীর্ঘ চোটের রেকর্ড, সেই অর্থে ফর্মে না থাকা, বয়স বাড়া— এমন কিছু গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ড সফরের দল থেকে বাদ পড়ার পর একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, সামিরও কি অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে?


২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চোট পেয়েছিলেন সামি। ইঞ্জেকশন নিয়েই খেলে গিয়েছেন টানা। ফাইনালের পর তাঁর চোট প্রকাশ্যে আসে। গোড়ালির চোট মাঠের বাইরে ছিটকে অনেকদিনের জন্য দিয়েছিল সামিকে। অস্ত্রোপচার, বারবার রিহ্যাব করার পর আবার ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। সামির চোট প্রবণতার কারণে বোর্ড তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিমে ফেরেন। আর এক পেসার বুমরা ছিলেন না। কিন্তু তাঁর অভাব ঢেকে দিয়েছিলেন সামি। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড সফরের দলে বিবেচনা করা হল না তাঁকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলছেন এই মরসুমে। কিন্তু সামির ফর্মে সন্তুষ্ট নয় বোর্ড। শুধু তাই নয়, দিনে ১০ ওভার বল করার মতো জায়গায় আছেন কিনা বাংলার পেসার, তাও জানা নেই।

দল নির্বাচনের আগে কিন্তু সামি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডে তাঁকে আর বুমরাকে লাগবে ভারতীয় টিমের। সামির কথায়, ‘ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারত কী কম্বিনেশন তৈরি করে, সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আমার আর বুমরার টিমে থাকাটা জরুরি। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। স্ট্রেনথ ট্রেনিং করছি। নিয়মিত প্র্যাক্টিস সেশনগুলোয় যাচ্ছি। নেটে যথেষ্ট বলও করছি। তবে লাল বলের জন্য ওয়ার্কলোড আরও বাড়াতে হবে।’

সামির আবেদন কিন্তু শুনলেন না নির্বাচকরা। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর দল নির্বাচনের পর সামিকে বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গত কয়েক মাসে প্রচুর চোটে ভুগেছে। আমাদের মনে হয়নি, ও পাঁচ ম্যাচ খেলার মতো জায়গায় রয়েছে। আশা করেছিলাম, কয়েক টেস্ট হলেও পাব। কিন্তু ওর মতো বোলারকে না পাওয়া খুবই কষ্টের।’


শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার কিছুদিন আগে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।

একেই বলে স্বেচ্ছাচার! দুম করে ভারতের সঙ্গে ১৮০ কোটির চুক্তি বাতিল করে দিল ইউনূস সরকার


 বাংলাদেশে নতুন করে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের জন্য চাপ বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের উপর। এরই মধ্যে ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ।


শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার কিছুদিন আগে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। কথা ছিল বাংলাদেশের জন্য ‘ওশান-গোয়িং টাগ’ তথা বিশেষ ধরনের জাহাজ নির্মাণ করবে এই সংস্থা। ১৮০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। আচমকা সেই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

জাহাজের অর্ডার হঠাৎ কেন বাতিল করা হল, তা নিয়ে বাংলাদেশের নৌবাহিনী বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে কোনও বক্তব্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে হাসিনার আমলের অন্যান্য অর্ডার যেমন বাতিল করা হয়েছে, তেমনই এটিও বাতিল করা হয়েছে।


ওশান-গোয়িং টাগ হল এক শক্তিশালী জাহাজ। এগুলিকে টাগবোটও বলা হয়। মাঝ সমুদ্র থেকে আকারে বড় জাহাজকে এটি টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশ ভারতীয় সংস্থাকে যে জাহাজ তৈরি করতে দিয়েছিল, তার দৈর্ঘ্য ৬১ মিটার ও প্রস্থ ১৫.৮ মিটার হওয়ার কথা ছিল। গভীরতা হওয়ার কথা ছিল প্রায় ৭ মিটার। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৩ নটিক্যাল মাইল গতিবেগ হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

হাওয়া অফিস বলছে, দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে 'বর্ষা এক্সপ্রেস'। সময়ের অনেক আগেই বর্ষা আসছে বাংলায়। দু থেকে তিনদিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়ছে উত্তরবঙ্গ-সিকিমে। অপরদিকে আজ থেকেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কেরালায়।


সময়ের আগেই দৌড়ে ঢুকে পড়ল বর্ষা, বাংলার আকাশে ঘনাচ্ছে কালো মেঘ, সতর্ক করল হাওয়া অফিস, আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট জানুন
কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

তপ্ত গরমে পুড়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বর্ষা কবে আসবে? বৃষ্টি কবে হবে এই নিয়ে প্রশ্নের শেষ ছিল না। একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা ছিল বাঙালির। তবে এই সব প্রশ্নের আড়ালেই বড় খবর দিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস।

হাওয়া অফিস বলছে, দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে ‘বর্ষা এক্সপ্রেস’। সময়ের অনেক আগেই বর্ষা আসছে বাংলায়। দু থেকে তিনদিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়ছে উত্তরবঙ্গ-সিকিমে। অপরদিকে আজ থেকেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কেরালায়। আবহাওয়া অফিস বলছে, যে সময় বর্ষা আসে তার ঠিক আট দিন আগেই মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। বর্ষা চলে এসেছে উত্তর-পূর্ব ভারতেও মিজোরাম,তামিলনাড়ু, কর্নাটকের কিছু অংশে হাজির বর্ষা।

তবে বর্ষার আসার আগেই বাংলার আকাশে কালো মেঘ। আগামী সপ্তাহের তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জেরে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বুধবার থেকে বাড়বে বৃষ্টি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। শুক্রবার দক্ষিণের সাত জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি। পশ্চিমের জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে শুক্রবার। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে।



কিছুদিন আগেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেম সৌগত রায়। অকপটে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে ভারত সফল হয়নি। আর এই সিঁদুর-টিঁদুর হল মাসি সেন্টিমেন্ট। চটচটে আবেগ।’ একইসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে আমেরিকার নাক গলানোও মেনে নিতে পারেননি তিনি।


‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’! সিঁদুর বিতর্কের পর এবার 'ঝড়ের' ইঙ্গিত সৌগতর
সৌগত রায়


সংসদে অনেক ঝড় উঠবে, পিকচার অভি বাকি হ্যায়”, মুখ খুলেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। সাফ কথা, অধিবেশন হওয়া দরকার। আর তা হলেই অনেক কিছু হবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেম সৌগত রায়। অকপটে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে ভারত সফল হয়নি। আর এই সিঁদুর-টিঁদুর হল মাসি সেন্টিমেন্ট। চটচটে আবেগ।’ একইসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে আমেরিকার নাক গলানোও মেনে নিতে পারেননি তিনি। স্পষ্টই বলেছিলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ যেভাবে শেষ হল, তা ভারতের জন্য লজ্জার। এরকমভাবে ট্রাম্পের কথায় রাজি হওয়া উচিত হয়নি।’ এমতাবস্থায় ফের সংসদে অধিবেশনের জন্য সরব হলেন সৌগত। তাহলে কি নিজের বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি সাজিয়ে ফেলেছেন সৌগত? 

এদিকে সৌগতর করা মন্তব্য নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই তৃণমূল যদিও তাঁকে সমর্থন করেনি। উল্টে দূরত্ব বাড়িয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছিল, ‘আমরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, সাংসদ সৌগত রায়ের করা মন্তব্য, কোনও ভাবে দলের মতামত নয়।’ এখন আচমকা সৌগতর ‘পিকচার আভি বাকি হ্যা’ মন্তব্যেই নতুন করে বাড়ছে চাপানউতোর। সৌগতর সাফ কথা, ‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এক কথায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা। এটা নিয়ে কথা হবে না?” শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা ইস্যুতে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন জমা হয়েছে বলেই মত সৌগতর। আর সব নিয়েই কথা বলার প্রয়োজন সংসদে। সৌগতর কথায়, প্রশ্ন আছে বলেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কিন্তু, ঠিক কোন কোন প্রশ্নে কেন্দ্রের অবস্থানের কাটাছেঁড়া করতে চাইছেন দমদমের সাংসদ?  


সৌগত বলছেন, “মমতা দেশের নেত্রী হিসেবে সঙ্গত দাবি তুলেছেন। অধিবেশন হওয়া দরকার। কোনও বিরোধীরাই যুদ্ধের সময় রাজনীতি করেনি। রাহুল গান্ধী কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলও দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন অনেক প্রশ্ন তুলছে। প্রশ্ন আছে তাই বিরোধীরা তুলছে।” এরপরই সৌগতর আরও সংযোজন, “দেশের প্রশ্নে পাশে আছি। কিন্তু স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে। সংসদে অনেক ঝড় উঠবে। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।” 




বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশ করা হয় এক তালিকা। সেই তালিকায় উল্লেখ করা রয়েছে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সময় সেনার হেফাজতে কারা ছিলেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিরও। 


এরপরই প্রশ্ন উঠেছে যে প্রধান বিচারপতি যদি সপরিবারে সেনার হেফাজতে থাকেন, তাহলে মহম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য কে পাঠ করালেন?


প্রায় ১ বছর ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশের গদিতে বসে আছেন ইউনূস? বিরাট তথ্য সামনে আনলেন হাসিনা-পুত্রই
মহম্মদ ইউনূসের শপথ গ্রহণ অবৈধ?


 ২০২৪ সালে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয়েছিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর বাংলাদেশে প্রধানের পদে বসেছিলেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। সেই সময় ইউনূসকে ফুল-মালা দিয়ে বরণ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার শপথ গ্রহণ কি আদৌ বৈধ ছিল? এই প্রশ্নই তুলে দিলেন হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদের।

সম্প্রতিই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশ করা হয় এক তালিকা। সেই তালিকায় উল্লেখ করা রয়েছে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সময় সেনার হেফাজতে কারা ছিলেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিরও। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে যে প্রধান বিচারপতি যদি সপরিবারে সেনার হেফাজতে থাকেন, তাহলে মহম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য কে পাঠ করালেন? তবে কি তাঁর শপথ গ্রহণ অবৈধ ছিল? প্রধান বিচারপতির সই জাল করেছিলেন মহম্মদ ইউনূস?

এ দিন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব আহমেদ পোস্ট করে লেখেন, “এখন বোঝা যাচ্ছে সেনা বাহিনী কেন এত দিন পর তাদের হেফাজতে থাকা ব্যাক্তিবর্গের তালিকা প্রকাশ করল? খেলা বুঝতে হবে- সম্ভবত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সই নকল করে সুপ্রিমকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের মিথ্যা রেফারেন্স তৈরি করেছিল ইউনূস গ্যাং! এই মিথ্যা রেফারেন্সে শপথ নেন ইউনূস সরকার। সেখানে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কথা বলা হলেও অন্য কোন বিচারপতির সই ছিল না। এবং তারা বিচারপতির বাড়িতে গিয়েছে, এই খবরও প্রচার করা হয়েছিল। অথচ আইএসপিআর এর লিস্ট থেকে দেখা যায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও এনায়েতুর রহিম সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিল, যা কেউ জানতো না। ধন্যবাদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে- তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে এই গোপন সত্য সামনে আনার জন্য! ইউনূস সরকার এর শপথ গ্রহণ অবৈধ কোনও সন্দেহ নেই।”



তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কলকাতায় কোভিড পজিটিভ। আলিপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের পর এবার কাঁকুরগাছির একটি নার্সিংহোমে মিলল করোনা আক্রান্তের খোঁজ।

বঙ্গেও করোনার থাবা, কলকাতায় খোঁজ মিলল ২ আক্রান্তের
করোনা আক্রান্ত


ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এরই মধ্যে এবার কলকাতায় নতুন করে খোঁজ মিলল করোনা আক্রান্তের। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কলকাতায় কোভিড পজিটিভ। আলিপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের পর এবার কাঁকুরগাছির একটি নার্সিংহোমে মিলল করোনা আক্রান্তের খোঁজ।

দেশের একাধিক জায়গা থেকে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। ইতিমধ্যেই রাজধানী দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালগুলিকে পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছে দিল্লির সরকার। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে অক্সিজেন, ওষুধ, ভ্যাকসিনও। করোনার নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দিল্লিতে। সব হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয় লোকনায়ক হাসপাতালে। নির্দিষ্ট পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে সব তথ্য।

এই আবহের মধ্যেই জানা গেল, কলকাতায় আলিপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে এক মহিলা চিকিৎসাধীন ছিলেন। মে-মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি নার্সিংহোমে ভর্তি হন।এরপর শনিবার কাঁকুরগাছির একটি নার্সিংহোমে এক প্রসূতির দেহে মিলেছে ভাইরাসের অস্তিত্ব বলে জানতে ওই নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে।

আজ চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করেন বিকাশ। তবে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, চাকরিহারাদের চাকরি এ ভাবে ফিরে পাওয়ার আশা নেই। পরীক্ষা দিয়েই মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেতে হবে।


রিভিউ পিটশনে কি লাভ আছে? কাজ আদৌ ফিরে পাবেন? চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়েই স্পষ্ট সবটা বলে দিলেন বিকাশ
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দেখা করলেন চাকরিহারাদের সঙ্গে


শীর্ষ আদালত আগেই রায় দিয়েছে চাকরি বাতিলের। সেই মতো প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি চলে গিয়েছে। নতুন করে ফের তাঁদের বসতে হবে পরীক্ষায়। তবে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের দাবি, রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে অযোগ্যদের তালিকা দিতে হবে। এই আবহে মধ্যে আজ শনিবার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বাড়িতে হাজির ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। আর কোনও ভাবে কি বাঁচানো যায় চাকরি? এই প্রশ্নেরই সদুত্তর পেতে হাজির হন তাঁরা।


আজ চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করেন বিকাশ। তবে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, চাকরিহারাদের চাকরি এ ভাবে ফিরে পাওয়ার আশা নেই। পরীক্ষা দিয়েই মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেতে হবে। তিনি বলেন, “ওদের ভুল বোঝানো হয়েছিল কাজ ফিরে পেতে পারে। আইনত ওদের কাজ ফেরার সম্ভাবনা নেই। এইটাই আমি ওদের স্পষ্ট করে বললাম, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পুরনো কাজ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ওদের নতুন ভাবে পরীক্ষায় বসতে হবে। তারপরই যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে হবে। এটাই বললাম। সরকার যে বলছে রিভিউ করে পুরনো।”

অপরদিকে, বিকাশবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাকরিহারারা বলেন, “আমরা সকলের সঙ্গেই কথা বলছি। মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে বলেছি চাকরি বাঁচান। আমাদের চাকরি বাঁচানো যায় কী? জানতে চেয়েছিলাম। তবে রাজ্য সরকার এটা সকলের সামনে আনুক কারা-কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এবার এই দাবিতেই আন্দোলন করব। কারা আমরা এটা নিয়েই এবার থেকে আন্দোলন করব। আমরা আলোচনা করছি।” আরও এক চাকরিহারা তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, “আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? রিভিউ পিটিশন করে লাভ হবে কি না সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি। আর কী কী আইনী পদক্ষেপ করা যেতে পারে সেই বিষয়টিও ভাবছি।”

২২ দিন ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ। শুক্রবার রিষড়ায় তাঁর বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে আছেন তিনি


'আমার সঙ্গে কী হয়েছে সেটা বলতে পারব না, শুধু...', পাকিস্তানের আচরণ নিয়ে সুর চড়ালেন BSF পূর্ণম সাউ
বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ


ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে সীমান্ত পার করে ভুল করে পাকিস্তানের দিকে চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম সাউ। খবর না পেয়ে রিষড়া থেকে পাঠানকোটে ছুটে গিয়েছিল পূর্ণমের পরিবার। আদৌ ফেরানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছিল পরিবারে। অবশেষে শুক্রবার নদিয়ার রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছেছেন পূর্ণম। স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আপাতত কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে পাকিস্তান তাঁর সঙ্গে যা করেছে, সেটা বোধহয় কখনই ভুলতে পারবেন না তিনি।

২২ দিন পাকিস্তানে থাকার পরও সীমান্তে ফিরতে এতটুকু ভয় পাচ্ছেন না পূর্ণম। প্রশ্ন করতেই তিনি স্পষ্ট উত্তর দিলেন, “আমাদের আমাদের যা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তাতে ভয় পাওয়ার কোনও জায়গা নেই। যা কাজ দেওয়া হবে তাই করব। সীমান্তে তো প্রহরা দিতেই হবে।”

২২ দিন ধরে কী হল তাঁর সঙ্গে? কতটা অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে? সেই প্রশ্নে পূর্ণম জানালেন, প্রোটোকল অনুযায়ী তাঁর পক্ষে সে বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে পাকিস্তানকে সামনে পেলে জবাব দিতে ছাড়বেন না তিনি।


পূর্ণম বলেন, “যা হয়েছে, তা বলতে পারব না। সেটা শুধু আমিই জানি। পাকিস্তান যখন সামনে আসবে, তখন দেখব কী করা যায়। ওদের লোক এলে বুঝিয়ে দেব।” তবে তিনি জানান, যে ফেরার আশা তাঁর ছিল না। ভেবেছিলেন আর কখনও ভারতে ফেরা হবে না। অবশেষে মা, বাবা, স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখতে পেয়ে পূর্ণম বলেন, “সবার আশীর্বাদে আমি বাড়িতে ফিরেছি।”

শনিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


টিম ইন্ডিয়ার মতো', নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে জোর মোদীর
নীতি আয়োগের বৈঠকে স্ট্যালিন, মোদী, নায়ডু (বাঁদিক থেকে)


টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করতে হবে। রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে কেন্দ্র রাজ্য সমন্বয়ে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সব স্তরে কেন্দ্র-রাজ্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

শনিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে অবশ্য ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গরহাজির ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। গত বছর নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, বক্তব্যের মাঝে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় রেখে কাজ হয় না বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "আমরা ১৪ দিন তাদের সময় দিয়েছি। আশা করেছিলাম, পাকিস্তান ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে। তা হয়নি। ১৪ দিন অপেক্ষার পর ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত করে। শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছে। এটাই ভারত।"

নতজানু হব না', জাপানে দাঁড়িয়ে ভারতের সংজ্ঞা বোঝালেন অভিষেক
টোকিয়োতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

 বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে দেশে দেশে যাচ্ছে ভারতের প্রতিনিধি দল। তেমনই একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে জাপানে গিয়ে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টোকিয়োতে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত ভয়ের কাছে নতজানু হবে না। তুমি যে ভাষা বোঝো, সেই ভাষাতেই আমরা জবাব দেব।” একইসঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হলেও দেশের কথা উঠলে সবাই এক।


গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার দায় স্বীকার করে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে জঙ্গি সংগঠন। যারা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। জঙ্গি হামলার জবাব দিয়ে ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। গুঁড়িয়ে দেয় একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। তবে পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। কিংবা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে নিশানা করা হয়নি।

ভারতীয় সেনার সেই অপারেশন সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদকে পাকিস্তানের মদত দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পদক্ষেপ করেছে ভারত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। জনতা দল ইউনাইটেডের সাংসদ সঞ্জয় ঝার নেতৃত্বে তেমনই একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে জাপান গিয়েছেন অভিষেক।

শনিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


টিম ইন্ডিয়ার মতো', নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে জোর মোদীর
নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করতে হবে। রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে কেন্দ্র রাজ্য সমন্বয়ে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সব স্তরে কেন্দ্র-রাজ্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।


শনিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে অবশ্য ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গরহাজির ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। গত বছর নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, বক্তব্যের মাঝে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় রেখে কাজ হয় না বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

এদিনের নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের উপরই জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয়ের পক্ষে ব্যাট ধরে তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। টিম ইন্ডিয়ার মতো কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করলে, কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়। বিকশিত ভারত প্রত্যেক ভারতীয়র লক্ষ্য। যদি প্রত্যেক রাজ্য বিকশিত হয়, তাহলে ভারত বিকশিত হবে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র এটাই আকাঙ্ক্ষা।” উন্নয়ন এবং কাজের ধারায় আরও বেশি মহিলাদের নিযুক্ত করার পক্ষেও তিনি সওয়াল করেন। নীতি আয়োগের নৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যদি পরিবর্তন উপলব্ধি করতে পারে তবেই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ হবে।



প্রথমে ভয় পেলেও তরুণী তাঁর বাবা-মাকে সবকিছু বলেন। তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।


সহপাঠীদের বিশ্বাস করে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন, ডাক্তারি পড়ুয়াকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ
প্রতীকী ছবি


 ক্লাসের সহপাঠীদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই সহপাঠীদের বিরুদ্ধেই ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। নির্যাতিত তরুণীর অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে জানালে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেন অভিযুক্তরা। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার। পুলিশ তিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে ২ জন ওই তরুণীর সহপাঠী। এবং অন্যজন তরুণীর দুই সহপাঠীর বন্ধু।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ১৮ মে। কর্নাটকের বেলাগাভির বছর বাইশের ওই তরুণী সাংলির একটি মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। গত ১৮ মে অভিযুক্ত দুই সহপাঠীর সঙ্গে রাত ১০টায় সিনেমা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তখন অভিযুক্তরা তাঁকে বলেন, সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে একটি ফ্ল্যাটে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া যাক। এই বলে তাঁকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁরা তরুণীকেও সামান্য মদ্যপানের অনুরোধ করেন। তরুণী তা খাওয়ার পরই কিছুটা অবচেতন হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তখনই তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। এবং ঘটনার কথা কাউকে বললে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।


 কে হবেন বাংলাদেশে ইউনূসের উত্তরাধিকারী?


 সরাসরি পদত্যাগের কথা না উঠলেও ঘুরপথে ইউনূসকে সরাতে উদ্য়োগী হয়েছে প্রত্যেকেই। যেমন, সম্প্রতি সেদেশের সেনাপ্রধানের ওয়াকার-উজ-জামানের করা মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


কে হবেন বাংলাদেশে ইউনূসের উত্তরাধিকারী?
প্রতীকী ছবি


ইউনূসের পর কে? বাংলাদেশের অলিতেগলিতে আপাতত ঘুরে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্নটাই। এক কথায় বলা যেতে পারে, পড়শি দেশের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে একটা রগরগে ক্ষমতার নাটক। হাসিনার দেশছাড়ার প্রায় ১ বছরের আগেই নতুন সংকটে বাংলাদেশ। সংকট ক্ষমতার। সংকট নির্বাচনের। সংকট সরকার বনাম সেনার।


নাটকের শুরু

এই নাটকের সূচনা বৃহস্পতিবার সন্ধেয় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের হাত ধরে হলেও, এর কাহিনী লেখা হয়েছে কয়েক মাস ধরে। সেনা চাপ, রাজনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক চাপ। ইউনূসকে সরকারের মাথায় যারা বসিয়েছে, তারাই এখন নামানোর জন্য ব্যবস্থা করছে।

তিন পটে আঁকা ইউনূসের পদত্যাগ পটচিত্র

প্রথম দৃশ্য, বাংলাদেশে তপ্ত রাজনীতিতে তখন মাঝে মধ্য়ে লাগছে ফেব্রুয়ারির ঠান্ডা হাওয়া। কিন্তু তারপরেও শীতল থাকছে না বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর তৈরি করা অন্তর্বর্তী সরকারের এক দফতরের উপদেষ্টা পদে বসেছিলেন নাহিদ ইসলাম। বলা হয়, হাসিনার সরকারের পতনের মূল চক্রী এই নাহিদ। কিন্তু কয়েক মাস পরেই সেই উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অভ্যুত্থানকালের এক সতীর্থের সঙ্গে গড়ে তোলেন নতুন দল। নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি।

দ্বিতীয় দৃশ্য, বিএনপি, জামাত ও বাংলাদেশের বাকি সকল রাজনৈতিক দল নামল এক যোগে। আদর্শ আলাদা। কিন্তু উদ্দেশ্য এক। কী সেই উদ্দেশ্যে? চাই জাতীয় নির্বাচন। আর এই দাবিতে সবচেয়ে বেশি সরব হল BNP। কারণটাও খুব স্বাভাবিক NCP এখনও নিজেকে পাকাপোক্ত করতে পারেনি। ওই দিকে আওয়ামী লীগও নেই। ফলত, ক্ষমতা দখলের জন্য এর চেয়ে ভাল সময় আর নেই। বৈঠক, সমাবেশ। প্রথম নরম সুরে, তারপর কথা না শুনলে চড়া সুরে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে নামে তারা।

তৃতীয় দৃশ্য, সেনার সঙ্গে সম্পর্কের রসায়নে গরমিল। প্রথম থেকেই সেনার সঙ্গে খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, দুই পক্ষ সেই সম্পর্ক ভাল করার চেষ্টাও করেনি কখনও। বরং সেনাশাসন তৈরির একটা পূর্ণ চেষ্টা সেদেশে সর্বদা দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, সেনা-সরকারের সংঘর্ষ আরও স্পষ্ট হয়েছে রাখাইন সীমানা ঘিরে।

সেখানে এখন মায়ানমারের জুন্টা সরকার ও আরাকান আর্মির মধ্যে চরম সংঘাত। আর সেই রাখাইন সীমান্তে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে মানবিক করিডর তৈরির আর্জি জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল সেক্রেটারি আন্তেনিও গুতারেস। যা করতে উদ্যত্ত অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু আপত্তি তুলছে সেনা ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ, বাংলাদেশ রাখাইন সীমান্তে মানবিক করিডর বানালে চাপ বাড়বে তাদের উপরেই। যেমন এক দিকে আরও বাড়বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। অন্যদিকে, জুন্টা সরকার ও আরাকান আর্মির চলা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশের সেনা। যা এই অবস্থায় কাঙ্খিত নয়, বলে মত একাংশের।

পদত্যাগের দাবি

সরাসরি পদত্যাগের কথা না উঠলেও ঘুরপথে ইউনূসকে সরাতে উদ্য়োগী হয়েছে প্রত্যেকেই। যেমন, সম্প্রতি সেদেশের সেনাপ্রধানের ওয়াকার-উজ-জামানের করা মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর দাবি, ‘দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি সামরিক বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ইউনূস সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এই সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করা।’ সেনাপ্রধানের এই দাবির পর থেকেই চটেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেনা যে ঘুরপথে ইউনূসের সরকার ফেলতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলে মত অনেকের। অন্তর্বর্তী সরকারের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর দাবি, ‘আজকের দুনিয়ায় কোন সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে তারা নাকও গলায় না। নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্য তাঁর জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থা রাখতে হবে। হটকারিতা চলবে না। ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনা আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা, সেটা কেউ ভাঙবে, তা কাম্য না।’

প্রধান উপদেষ্টা যে পদত্য়াগ করতে পারেন, সেই কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ইউনূসের যমুনা বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে এমনটা জানিয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূসের ইস্তফা নিয়ে যখন চড়ছে জল্পনা। সেই আবহে আবার ইউনূসেরই এক আস্থাভাজন তথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের ইস্তফার দাবিতে সরব হয় বিএনপি। বলে রাখা ভাল, এই খলিলুর রহমান হলেন সেই ব্য়ক্তি যাকে ইউনূস এনেছেন রাখাইন সীমান্তের করিডরের ইস্যু দেখার জন্য, দাবি একাংশের।

নির্বাচন হলে বা সরকার পড়লে বসবে কে?

হাসিনাকে ঘিরে যখন বিতর্ক ও জল্পনার মেঘ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের আকাশে। সেই সময়ও উঠে এসেছিল একাধিক নাম। কিন্তু প্রতিটাই রাজনৈতিক। তবে পরে রাজনীতি ছেড়ে সামাজিক ভাবে যার ভাবমূর্তি উন্নত এমন এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মাথায় বসায় আন্দোলনকারীরা। এরপর প্রায় ১ বছর কেটে গেলেও, দেশের হাল যে ফেরেনি এই নিয়ে দ্বিমত নেই প্রায় কারওর। এই অবস্থায় যদি সরকার বদল হয় বা আবার অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও বিকল্প ভাবা হয় সেক্ষেত্রে কেই বা উত্তরাধিকার হতে পারে?

কারণ, নির্বাচন তো এখনও স্বপ্ন। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে দীর্ঘক্ষণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন মহম্মদ ইউনূস। দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে কথা হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্রের দাবি, ঢাকায় প্রতিদিন সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির ঐকমত না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং কাজ করতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। সূত্রের দাবি, বৈঠকে ইউনূস পদত্যাগ করার এবং আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার প্রস্তাব দেন। এমনকি, সেই বৈঠকে এই নিয়েও আলোচনা হয় যে বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়পূর্ণ। সূত্রের খবর বৈঠকে ইউনূস বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে, ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা পুলিশ কতটা আটকাতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন নয়, বরং অন্তর্বর্তী বা ট্রান্সিশনাল সরকারই ভবিষ্যৎ, মত একাংশের। কিন্তু মাথায় বসবে কে? বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার তথা অ্যাক্টিভিস্ট তিনি। মাস কয়েক আগে নিজের এক ইউটিউব ভিডিয়োয় তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে ইউনূসের যোগ্য উত্তরসূরী হতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তথা খালেদা জিয়ার সন্তান।

পিনাকীর কথায়, বাংলাদেশের যুব ও প্রবীণ উভয় প্রজন্মের মধ্য়ে তারেকের চলাফেরা। এমনকি, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে তাঁর। তবে সে কতটা দক্ষতার সঙ্গে সরকারের নেতৃত্ব সামাল দিতে পারবে, সেই নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন এই অ্যাক্টিভিস্ট। তাঁর কথায়, ‘বিএনপি ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে এবং তারা ভারত-সহ আন্তর্জাতিক সমস্যা সামলাতে সক্ষম হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’

এছাড়াও, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে পিনাকীর পরামর্শ, বাংলাদেশে ট্রান্সিশনাল সরকার গঠন করা যেতে পারে। যেখানে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ ও অন্যান্য দলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সরকার দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা তৈরির মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক সরকার গঠন করতে পারবে।

উল্লেখ্য, বিএনপি সেই পথে হাঁটছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে জামায়াত নয়, বরং তলে তলে নতুন তৈরি হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে তারেকে দল, এমনটাই দাবি বাংলাদেশের দেশ রূপান্তর সংবাদমাধ্যমে। একটি প্রতিবেদন তারা লিখেছে, বাইরে এনসিপিকে যেমনই দেখা যাক, তলে তলে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা। কার্যত, বাইরে দূরত্ব ও ভিতরে যোগাযোগ। এই শর্তেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক ময়দান তৈরি করছে দুই দল, মত ওয়াকিবহাল মহলের।