September 2024

আরজি কর-কাণ্ডে জাস্টিস চেয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক দল। বাদ যায়নি বিজেপিও। শুক্রবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিল পদ্ম শিবির। অভিযোগ সেই অবরোধে আটকে গিয়েছিল প্রসূতি সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু চার মাসের গর্ভবতীর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ফুলিয়া-রানাঘাটের মাঝে, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম দুর্গা শীল (২৩)।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে ফুলিয়ার প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা হীরা শীলের সঙ্গে বিয়ে হয় দুর্গার। তবে গৃহবধূ মৃগী আক্রান্ত ছিলেন। অপরদিকে ফুলিয়াতেই হীরার একটি সেলুনের দোকান রয়েছে। শুক্রবার ভাত রান্নার জন্য তোড়জোড় করছিলেন অন্তঃসত্বা দুর্গা। সেই সময় আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। বাড়ি থেকে খবর যায় দুর্গার স্বামী হীরার কাছে। চিকিৎসার জন্য টোটো করে স্ত্রীকে নিয়ে যান ফুলিয়া হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা দেন হীরা ও পরিবারের লোকজন।

এ দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তখন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় চলছিল বিজেপির চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি। মৃত প্রসূতির পরিবারের দাবি, হবিবপুরের কাছে বিজেপির মিছিলে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। সামনে তখন গাড়ির লম্বা লাইন। মৃতার স্বামীর দাবি, তিনি কার্যত চালকদের হাতে পায়ে ধরতে বাকি রাখেন যাতে অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে নিয়ে যেতে দেন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রায় পনেরো মিনিট অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে ছিল।

বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে পিছনের কিছু গাড়ি সরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে বার করে দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে। কোনওক্রমে হাসপাতালে পৌঁছন দুর্গা। তবে ততক্ষণে সব শেষ। এমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। শোকাহত হীরা বলেন, ” ডাক্তারবাবু বললেন,কয়েক মিনিট আগে এলেও হয়তো স্ত্রীকে বাঁচানো যেত। কিন্তু অবরোধের জন্য পারলাম না। আমার চরম ক্ষতি হয়ে গেল।’ তবে গর্ভবতীর মৃত্যুর নিন্দা করেন হাসপাতালে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিজনরাও। তাঁদের প্রশ্ন, প্রতিবাদের নামে হাজার হাজার মানুষকে এভাবে বিপদে ফেলার মানে কী? যদিও গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। যদিও এই বিষয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা, এই মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান,”যে কোনও রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতেই পারে। তবে একটা অ্যাম্বুলেন্সকেও ছাড়লো না তারা? আসলে সংগঠিত ভাবে কোনো আন্দোলন না নাহলে এই ঘটানা ঘটবেই, তবে তৃণমূল দল মৃতার পরিবারের সাথে আছে।” অপরদিকে, পুলিশ প্রশাসনের উপর দোষারোপ চাপিয়ে রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক বিজেপির মুখপাত্র সোমনাথ কর জানান, “এই ঘটনা আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তার দায় পুলিশ প্রশাসনের। আন্দোলনে সকল কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স কে ছেড়ে দিয়েছে। তবে দূরে কোনও অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে সেটা দলীয় কর্মীদের দেখা সম্ভব নয়। তাই পুলিশ প্রশাসন এর জন্য দায়ী। কোনও ভাবেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নয়। তবে এই ঘটনা অনভিপ্রেত।”

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিচার চেয়ে নিজের প্রেসক্রিপশনে 'আরজি করের ঘটনার বিচার চাই' লেখা স্ট্যাম্প দেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক দেবব্রত দাস। গত কয়েকদিনে একাধিক প্রেসক্রিপশনে তিনি এই প্রতিবাদ করেছেন।


প্রেসক্রিপশনে প্রতিবাদ করায় ডাক্তারের নামে 'ফতোয়া' জারি রামপুরহাটে?
চিকিৎসক দেবব্রত দাস।

বীরভূম: গত কয়েকদিনে একাধিক চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে ওষুধের সঙ্গে লিখে দিয়েছেন আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদও। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একাধিক চিকিৎসক প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। প্রেসক্রিপশনে ‘আরজি করকাণ্ডের বিচার চাই’ স্ট্যাম্প দিয়ে প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। এবার এরকমই একজন চিকিৎসককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল বীরভূমের রামপুরহাটে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এলাকার এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই এই হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।




আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিচার চেয়ে নিজের প্রেসক্রিপশনে ‘আরজি করের ঘটনার বিচার চাই’ লেখা স্ট্যাম্প দেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক দেবব্রত দাস। গত কয়েকদিনে একাধিক প্রেসক্রিপশনে তিনি এই প্রতিবাদ করেছেন।




দেবব্রত দাসের অভিযোগ, এইভাবে প্রতিবাদ করায় এলাকার এক চিকিৎসক আবু নাসিম তাঁকে হেনস্থা করেন। এমনকী ওই চিকিৎসক তাঁকে মারতে উদ্যত হন বলেও অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, রামপুরহাট এলাকার একাধিক নার্সিংহোমের মালিক মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতিবাদী চিকিৎসক দেবব্রত দাস ক্ষমা না চাইলে তাঁর কোনও রোগীকে রামপুরহাটের কোন নার্সিংহোমে ভর্তি নেওয়া যাবে না।

দেবব্রত দাস এই ঘটনা জানিয়ে বীরভূম জেলাশাসক ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানান। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বক্তব্য, “আরজি করের বিচার চাইতে আমিও রাস্তায় নামছি। এটা নিয়ে হেনস্থা করব কেন? মিথ্যা অভিযোগ।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স নিয়ে অতীতে কারামন্ত্রী এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বড় চিন্তা। তাঁর হেফাজতেই ধৃত আছে। উনিই এই কাণ্ডের সবথেকে বড় প্রমাণ। কারামন্ত্রী আমার জেলার লোক। উনি কথা না বলার লোক। ওনাকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে।"



আরজি করকাণ্ডে ধৃতের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বিজেপির
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

আরজি করের ধৃত যেন ধনঞ্জয় না হয়ে যান, সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সেই মন্তব্যকে সামনে রেখে এবার আরও এক নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জেল হেফাজতে বড় কিছু হতে পারে ধৃতের, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপির।




জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে ধৃতের বেঁচে থাকাটা খুব জরুরি। কিন্তু কারামন্ত্রীও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কারাতেই ধৃত আছেন। আর কারামন্ত্রী যদি ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স দেন, তাঁর মৃত্যুর কথা বলেন, তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেন, তাহলে আমাদের চিন্তার কারণ আছে। যদি ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স নিয়ে অতীতে কারামন্ত্রী এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বড় চিন্তা। তাঁর হেফাজতেই ধৃত আছে। উনিই এই কাণ্ডের সবথেকে বড় প্রমাণ। কারামন্ত্রী আমার জেলার লোক। উনি কথা না বলার লোক। ওনাকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে।”

আরজি করকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই এক এক নেতার মুখে এক একরকমের কথা শোনা গিয়েছে। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “ও যেন ধনঞ্জয় না হয়। ধনঞ্জয় আদৌও অতটা দোষী ছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর অনেক পয়েন্ট বেরিয়ে এসেছে। তাই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দোষী কি না নাকি তার পিছনে আর কেউ আছে তা আমরা দেখতে চাইছি।”

এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানান, সংবাদমাধ্যম ও ‘ওপেন সোর্স’ থেকে তাঁরা জেনেছেন, ধৃতের ডিএনএ সিকোয়েন্স মিলে গিয়েছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই ১০ জনের লেয়ার্ড ভয়েস অ্যানালিসিস বা এলভিএ (LVA) করেছে। লাই ডিটেক্টর ও পলিগ্রাফ টেস্টেরও উপরে এই এলভিএ। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।

‘এই সময় মুখ বন্ধ রাখা উচিত’, কাকে পরামর্শ দিলেন ফিরহাদ?

ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কের শুরু। গত ৪ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিনের উদ্বোধন করেন এলাকার সাংসদ দেব। এদিন সকালে এ সংক্রান্ত একটি ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতে আগেই ডায়ালিসিস ইউনিট ছিল।


এই সময় মুখ বন্ধ রাখা উচিত', কাকে পরামর্শ দিলেন ফিরহাদ?
ফিরহাদ হাকিম।

 সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে যে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, দিনভর তা নিয়ে চর্চা। তৃণমূলের তারকাসাংসদ দেবকে নিয়ে কুণালের করা মন্তব্যে জোরাল প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে। এরইমধ্যে দলীয় নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া সামনে এল। তাঁর পরামর্শ এমন কোনও কথা না বলাই ভাল, যা ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা দল থেকে বলবে। আমি কিছু বলব না। আমার মতে এখন এই সময় প্রত্যেকের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। এই ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে।”



ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কের শুরু। গত ৪ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিনের উদ্বোধন করেন এলাকার সাংসদ দেব। এদিন সকালে এ সংক্রান্ত একটি ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতে আগেই ডায়ালিসিস ইউনিট ছিল। গত ১২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদ্বোধন করেন। অর্থাৎ উদ্বোধন করা প্রকল্পই নতুন করে দেব উদ্বোধন করেছেন বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ।

পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে দেব লেখেন, তিনি ‘দিদি’কে অনুরোধ করেছিলেন ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস এবং সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য। তা sগত মার্চে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। দেব লেখেন, ‘এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই পরিষেবা সম্পর্কে জানতে পারেন।’

এখানেই থামেনি আকচাআকচি। কুণাল ফের আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘উদ্বোধন দু’বার হয় না।’ এ নিয়ে বিজেপিও খোঁচা দিতে ছাড়েনি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “দেব গুরুমারা বিদ্যা দেখিয়েছেন। দেবকে অভিনন্দন।” এই আবহে বিতর্ক বাড়ে এমন কোনও মন্তব্য কেউ করুক, চান না ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।



বিরুপাক্ষের বাড়িতে টিভি ৯ বাংলা, ক্যামেরা দেখেই…
বিরুপাক্ষকে নিয়ে জোর চর্চা


শিলিগুড়ি: স্বাস্থ্য দফতরের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু উত্তরবঙ্গ লবি। তাদের নির্দেশেই চলে যাবতীয় ‘কাজ’। আরজি করের আবহে শুরু থেকেই উঠছে এই অভিযোগ। সেই লবির শীর্ষে নাকি রয়েছেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়, আর দুই প্রান্তে অভিক দে ও বিরুপাক্ষ বিশ্বাস। সেই বিরুপাক্ষের বাড়িতে গেল টিভি ৯ বাংলা। শিবমন্দিরে মাস্টারপাড়ায় চারতলা বাড়ির নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে বিরুপাক্ষের নাম। বেল টিপতেই দূর থেকে তার মা এসে জানান বিরুপাক্ষ নেই। কোথায় আছেন? তা বললেন না তিনি। 

তবে এই লবির বিরুদ্ধে এবার ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, “এদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হোক। আমি ইডি, সিবিআইকে কিছু তথ্য দিয়ে আবেদন করব। এরা ঘটনার দিন আর জি করে কি করছিলেন। যারা দোষীদের আড়াল করলেন তারাও দোষী। এদের বিরুদ্ধে থ্রেট সিন্ডিকেট, প্রশ্নফাঁস, নাম্বার বাড়ানো-সহ নানা সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে।”  



তিলোত্তমা কাণ্ডে RG Kar এর আউটপোস্টের পুলিশ কর্তাদের তলব, কী উত্তর খুঁজছে CBI?
তিলোত্তমা কাণ্ডে RG Kar এর আউটপোস্টের পুলিশ কর্তাদের তলব, কী উত্তর খুঁজছে CBI?
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪ তারিখ এই অর্ডারের পরের দিনই ৫ তারিখ আবার বিরুপাক্ষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য ভবন। নোটিসও দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। সূত্রের খবর, এদিনই আবার অভীক দে এবং বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল। তা নিয়েও চলছে চর্চা।  

কেন মুখ্যমন্ত্রীর বদলে দেবের নাম? কুণালকে 'ভদ্র ভাষায়' বুঝিয়ে দিলেন 'সুপারস্টার' অভিনেতা


কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরিয়ে নাকি নিজের নাম বসিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দলের সাংসদকেই কার্যত খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সুপারস্টার বলেই এত বেনজির সাহসী দেব।’ সেই পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জবাব দিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব।


সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্যের জবাব সোশ্যাল মিডিয়াতেই দিয়েছেন সাংসদ। ঘাটাল হাসপাতালের একটি ডায়ালিসিস ইউনিট নিয়েই বিতর্ক। ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, ওই ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন আগেই করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সেটাই আবার দেব উদ্বোধন করেন। উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বদলে দেবের নাম দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ কুণালের।





‘নমস্কার, কুণাল দা…’ বলে শুরু করা ওই পোস্টে কুণালকে দেব লিখেছেন, “সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ এই পরিষেবার ফলে উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে কুণালকে কার্যত বার্তা দিয়েছেন দেব। লিখেছেন, এই পরিস্থিতিতে কোনও তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়া মন্তব্য না করাই ভাল।”


সেমিনার রুম চত্বরেই ওই বাথরুম। সেখানে ভোরবেলা স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সূত্রের খবর, সহ চিকিৎসকদেরও তিনি জানিয়েছিলেন, জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। রক্তদাগ রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে। 

যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডে এক জন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লাগে।



তিলোত্তমার খুনের রাতে রক্ত ধুতে বাথরুমে স্নান করেন এক জুনিয়র ডাক্তার: সিবিআই সূত্র
প্রতীকী চিত্র।


কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এবার আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকা। ৯ অগস্ট তিলোত্তমার মৃত্যুর দিন ভোরে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ভেঙে ফেলা বাথরুমে স্নান করেছিলেন ওই জুনিয়র চিকিৎসক। নার্সকে বলেছিলেন গায়ে রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে এই তথ্য উঠে আসছে। ওই জুনিয়র ডাক্তারের খোঁজে আরজি করের নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।




সেমিনার রুম চত্বরেই ওই বাথরুম। সেখানে ভোরবেলা স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সূত্রের খবর, সহ চিকিৎসকদেরও তিনি জানিয়েছিলেন, জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। রক্তদাগ রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে।

যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডে এক জন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লাগে। প্রশ্ন উঠছে, পিআরবিসি দেওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটলে সেখানে কর্তব্যরত কোনও নার্স কি এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন? সিবিআই এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সূত্রের দাবি, সেই জিজ্ঞাসাবাদেই চাঞ্চল্যকর দু’টি তথ্য উঠে আসে। এক, ওই নার্স জানান, তিনি কখনও ওই জুনিয়র চিকিৎসককে আগে দেখেননি। দুই, এই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম জানতে চাইলে নাম বলতে চাননি।

সিবিআইয়ের কাছে যে বয়ান ওই নার্স দিয়েছেন, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেখানে নার্স জানিয়েছেন, রাত ৯টা নাগাদ হন্তদন্ত হয়ে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ঢোকেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। ফ্রিজ খুলে কিছু একটা খুঁজছিলেন। নার্স জানতে চাইলে জুনিয়র ডাক্তার জানান, পিআরবিসি খুঁজছেন। এক রোগীকে দেবেন। শীতল পিআরবিসি চালানো যায় না। তাই ফ্রিজার থেকে বের করে এরপর সাড়ে ১০টা নাগাদ এসে পিআরবিসি চালান। রাত আড়াইটে পর্যন্ত পিআরবিসি চলে।

সূত্রের খবর, নার্স জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই সময়ের মধ্যে দু’বার রোগীর কাছে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। জুনিয়র ডাক্তারের গ্লাভস ঠিকমতো পরা কি না তা নিয়ে নার্স জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বলেন, পরেছেন। তবে তিনি স্নান করবেন, কারণ তাঁর গায়ে রক্তের দাগ লেগেছে। আড়াই হাত দূরে ছিলেন সেই নার্স। তদন্তকারীদের তিনি জানান, কোনও রক্তের দাগ তাঁর নজরে আসেনি। তবে ‘ট্রান্সফিউশন নোট’ দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার।

এরমধ্যে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার ওই ওয়ার্ডে এসেছিলেন বলে সূত্রের দাবি। সাড়ে ১০টার আগের ঘটনা। নার্স জানতে চেয়েছিলেন, কে পিআরবিসি চালাবেন? ওই জুনিয়র জানান, আগের জনই (যাকে নার্স আগে কোনওদিন দেখেননি) চালাবেন। আপাতত ওই জুনিয়র ডাক্তারকে খুঁজছে সিবিআই।


 শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। দু'জনেই নর্দান রেলওয়েতে চাকরি করেন। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) স্পোর্টস পদে রয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে রেলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা।

ভোটে কি লড়তে পারবেন বিনেশ-বজরং? কোথায় আটকাতে পারেন?
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়া (ফাইল ফোটো)


ভারতের কুস্তি জগতের দুই তারকা। যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। কিন্তু, ভোট ময়দানে কি দেখা যাবে বিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়াকে? কোথায় আটকে যেতে পারেন তাঁরা? শুক্রবার এই দুই তারকা কুস্তিগির আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠছে।

বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন বিনেশ ও বজরং। হরিয়ানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী হচ্ছেন বলে জল্পনা ছড়ায়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। দু’জনেই নর্দান রেলওয়েতে চাকরি করেন। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) স্পোর্টস পদে রয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে রেলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা।

ব্যক্তিগত কারণে রেলের পদে ইস্তফা দিচ্ছেন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি পোস্ট করে বিনেশ লেখেন, “ভারতীয় রেলওয়ের সেবা করা আমার জীবনের স্মরণীয় ও গর্বের সময়।” সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান বিনেশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, একই সময়ে বজরং পুনিয়াও তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

সিঁথির মোড়ে নার্সিং হোম রয়েছে সুদীপ্তবাবুর। সেখানেই রয়েছে বাড়ি। কিন্তু, কোথাও তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন তুলছেন না সুদীপ্তবাবু। খোঁজ চলেছিল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও।


 কোথায় আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়? ফুঁসছেন শুভেন্দুও
সুদীপ্ত রায়


কলকাতা: সুদীপ্ত রায় কোথায়? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কোথায়? সুদীপ্তবাবু শাসক দলের বিধায়কও বটে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব সরগরম ঠিক তখনই ‘নিরুদ্দেশ’ শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তা নিয়েই এখন চর্চা নানা মহলে। চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও। 

সিঁথির মোড়ে নার্সিং হোম রয়েছে সুদীপ্তবাবুর। সেখানেই রয়েছে বাড়ি। কিন্তু, কোথাও তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন তুলছেন না সুদীপ্তবাবু। খোঁজ চলেছিল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানা গেল কিছুক্ষণের জন্য অফিসে এসেই নাকি ফের চলে গিয়েছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, গত বছরই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। গত বছরের শুরুতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় সুদীপ্ত রায়কে। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পান শান্তনু সেন। যদিও অক্টোবরেই হয়েছিল ফের বদল। ফের পুরনো পদে বহাল করা হয় সুদীপ্তকে। এদিকে ওই সময়ই গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তবে তার কিছুদিনের মধ্যেই ফের তাঁকে ফেরানো হয় আরজি করের অধ্যক্ষের পদে। সেই সময় তা নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর চলেছিল। তথনই আবার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল শান্তনুকে। 



সপ্তাহখানেক আগে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে ইন্ডিগোর একটি বিমান। মাঝ আকাশে বিকল হয়ে গিয়েছিল বিমানের ইঞ্জিন। জরুরি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে। ১৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ বিমানটিতে।


মাঝ আকাশে ফুরিয়ে এল জ্বালানি, তড়িঘড়ি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে


কলকাতা: কলকাতার আকাশ পার করে মুম্বই যাওয়ার কথা, তার আগেই বিপত্তি বিমানে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাংকক থেকে মুম্বই যাচ্ছিল থাই লায়ন ইয়ার এস এল ২১৮ বিমানটি। কলকাতার আকাশে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল সেটি। হঠাৎ পাইলট ককপিটে অপর্যাপ্ত জ্বালানির সঙ্কেত পান। বুঝতে পারেন বাকি পথ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানি নেই। দ্রুততার সঙ্গে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

অপর্যাপ্ত জ্বালানির কথা জানিয়ে বিমান অবতরণের অনুমতি চান পাইলট। সেই সময় বিমানটিকে ঘুরিয়ে ১০৭ জন যাত্রী এবং ১১ জন ক্রু নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি। শুক্রবার রাত ৮টা ৫মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তী সময়ে বিমানে জ্বালানি ভরে সেই বিমান মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানে কেনই বা অপর্যাপ্ত জ্বালানি, তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে।

সপ্তাহখানেক আগে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে ইন্ডিগোর একটি বিমান। মাঝ আকাশে বিকল হয়ে গিয়েছিল বিমানের ইঞ্জিন। জরুরি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে। ১৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ বিমানটিতে। কলকাতা থেকে ওড়ার পরই ইঞ্জিনের সমস্যা ধরা পড়ে। তারপরই তড়িঘড়ি নামানো হয় বিমানটি।



স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে কোন্নগর বেঙ্গল ফাইন মোড়ের কাছে রাজীব গান্ধী রোডে একটি ডাম্পার চাপা দিয়ে চলে যায় বিক্রম ভট্টাচার্য নামে বছর বাইশের এক যুবককে। বিবেক নগর দ্বারিক জঙ্গল বাই লেনে একটি বাড়িতে মা, দিদিমাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। গাড়ি চালাতেন। এদিন ভোরে দুর্ঘটনায় তাঁর দুটি পা-ই গুরুতর জখম হয়।


চিকিৎসা না পেয়ে আরজি করে যুবকের মৃত্যু? লড়াইয়ের পাশাপাশি পরিষেবার আর্জি অভিষেকের
চিকিৎসকদের আর্জি জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা ও কোন্নগর: দুর্ঘটনায় জখম যুবককে আরজি করে রেফার করেছিল শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল। অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়ে আরজি করের বাইরে ৩ ঘণ্টা পড়েছিলেন ওই যুবক। তার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের দাবি নিয়ে লড়াই করার পাশাপাশি পরিষেবা দেওয়ার আর্জি জানালেন। এক্স হ্যান্ডলে অভিষেকের বার্তার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বাইরে পুরসভায় কিয়স্ক থেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুললেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে কোন্নগর বেঙ্গল ফাইন মোড়ের কাছে রাজীব গান্ধী রোডে একটি ডাম্পার চাপা দিয়ে চলে যায় বিক্রম ভট্টাচার্য নামে বছর বাইশের এক যুবককে। বিবেক নগর দ্বারিক জঙ্গল বাই লেনে একটি বাড়িতে মা, দিদিমাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। গাড়ি চালাতেন। এদিন ভোরে দুর্ঘটনায় তাঁর দুটি পা-ই গুরুতর জখম হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। অভিযোগ, প্রায় তিন ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।



 স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছেসেই দৃশ্য। দেখা যায় বচসা চলাকালীন এক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল কেড়ে নিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিৎকারে ছাত্রদের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান অভিভাবকরা

 ছাত্রদের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকার কিল-চড়! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক
স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে দুই শিক্ষকের বচসা

 স্কুল চলাকালীন সহ শিক্ষকদের সঙ্গে বচসা, রীতিমতো হাতাহাতির ছবি প্রকাশ্যে এল। শুধু স্টাফরুমে নয়, পড়ুয়াদের সামনে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার হাতাহাতির ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। কাটোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এক শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘাড়ে ও পায়ে চোট রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্কুলের ওই শিক্ষিকা ও শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পাল্টা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের আউরিয়া চারুচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। গত শুক্রবার স্কুল ছুটির আগে প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষের সঙ্গে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার ছুটির অনুমোদন নিয়ে বচসা শুরু হয়। পরে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছেসেই দৃশ্য। দেখা যায় বচসা চলাকালীন এক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল কেড়ে নিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিৎকারে ছাত্রদের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান অভিভাবকরা। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এর আগে মিড ডে মিল নিয়ে স্কুলের সহকারী কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে চোর বলে সম্মোধন করেছিল, এমন একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের একাধিক অভিযোগ আছে বলেই জানা গিয়েছে।



গণেশ চতুর্থীতে রয়েছে অসাধারণ অফার। একধাক্কায় প্রায় ৪৫০০ টাকা সস্তা হয়ে গেল সোনা। শুধু সোনা নয়, প্রচুর সস্তা হয়ে গিয়েছে রুপোও। একদিনে ২৫০০ টাকা কমেছে রুপোর দাম।

গণেশ চতুর্থীতে সোনা বর্ষণ! একদিনেই ৪৪০০ টাকা কমে গেল সোনার দাম, এমন সুযোগ আর পাবেন না
প্রতীকী চিত্র

আজ গণেশ চতুর্থী। দুর্গা পুজো প্রায় এসেই গেল। আর গণেশ চতুর্থীতে রয়েছে অসাধারণ অফার। একধাক্কায় প্রায় ৪৫০০ টাকা সস্তা হয়ে গেল সোনা। শুধু সোনা নয়, প্রচুর সস্তা হয়ে গিয়েছে রুপোও। একদিনে ২৫০০ টাকা কমেছে রুপোর দাম। পুজোর আগেই এত সস্তা হয়ে গেল সোনা-রুপো। এমন সুযোগ আর কিন্তু পাবেন না। তাই আজই যান সোনার দোকানে।

২২ ক্যারেট সোনার দাম-
আজ, শনিবার ২২ ক্যারেটের ১ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৬৬৮০ টাকা। ১০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৬৬ হাজার ৮০০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। একদিনেই ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ৪০০০ টাকা কমেছে।

২৪ ক্যারেট সোনার দাম-
২৪ ক্যারেটের সোনার দামও আজ কমেছে। ১ গ্রাম সোনা কিনতে আজ খরচ পড়বে ৭২৮৭ টাকা। ১০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৭২ হাজার ৮৭০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। একদিনেই ৪৪০০ টাকা সোনার দাম কমেছে।

১৮ ক্যারেট সোনার দাম-
১৮ ক্যারেটের ১ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫৪৬৬ টাকা। ১০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫৪ হাজার ৬৬০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০০ টাকা। একদিনে ৩২০০ টাকা দাম কমেছে সোনার।

রুপোর দাম-
সোনার পাশাপাশি আজ রুপোর দামও কমেছে। ১০০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৮৪৫০ টাকা। ১ কেজি রুপো কিনতে খরচ পড়বে ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। একদিনে ২৫০০ টাকা দাম কমেছে।


কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থা নিয়ে বিতর্ক, প্রতিবাদের জেরেই রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ব্রীজভূষণ। লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত কিছুরই ক্ষোভ যেন উগরে দিলেন ব্রীজভূষণ।


অলিম্পিকে পদক 'মিস' বীনেশের, 'ভগবান শাস্তি দিয়েছে' বললেন ব্রীজভূষণ!
বীনেশ ফোগট-ব্রীজভূষণ সরণ সিং।

কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কুস্তিগীর বীনেশ ফোগট ও বজরং পুনিয়া। রাতেই দলের তরফে ঘোষণা করা হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে জুলানা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন বীনেশ ফোগট। এদিকে, বীনেশ কংগ্রেসে যোগ দিতেই তাঁকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় রেসলিং ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধান ব্রীজভূষণ সরণ সিং। তাঁর কথায়, “ভগবান শাস্তি দিয়েছে, তাই বীনেশ অলিম্পিকে পদক জিততে পারেনি“। প্রসঙ্গত, এই ব্রীজ ভূষণের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন বীনেশ সহ একাধিক কুস্তিগীর।

কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থা নিয়ে বিতর্ক, প্রতিবাদের জেরেই রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ব্রীজভূষণ। লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত কিছুরই ক্ষোভ যেন উগরে দিলেন ব্রীজভূষণ। বীনেশ ফোগট কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্রীজভূষণ বলেন, “আমি বীনেশ ফোগটকে প্রশ্ন করতে চাই যে একজন খেলোয়াড় কি একই দিনে দুটি ওজনের ক্যাটেগরিতে ট্রায়াল দিতে পারেন? ওজন মাপার পর কি ৫ ঘণ্টা ট্রায়াল আটকে রাখা যায়? কুস্তিতে তুমি জেতোনি, প্রতারণা করে তুমি ওখানে (অলিম্পিকে) গিয়েছো। ভগবান এর শাস্তি দিয়েছে তোমাকে।”

ছাপোষা শাড়ি, চেহারাও অতি সাধারণ। দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এদের মনের ভিতরে চলছে ভয়ঙ্কর এক ফন্দি। অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাদের ঠান্ডা পানীয় দিত তিন মহিলা। আর সেই পানীয় পান করার পর কিছুক্ষণেই নিস্তেজ হয়ে পড়ত।



দেখে বোঝার জো নেই, এই ৩ মহিলাই 'সিরিয়াল কিলার', কীভাবে হত্যা করত, জানলে হাত-পা বরফ হয়ে যাবে
এই তিন মহিলাই খুন করত।

অচেনা-অজানা মানুষদের সঙ্গে রাস্তাঘাটে গল্প করেন? তবে খুব সাবধান। এক মুহূর্তের ভুলেও শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন। রাস্তাতেই ফাঁদ পেতে বসে সিরিয়াল কিলার। তাও আবার একজন নয়, তিনজন। কীভাবে তারা হত্যালীলা চালাত জানেন? শুনলে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাবে।

ছাপোষা শাড়ি, চেহারাও অতি সাধারণ। দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এদের মনের ভিতরে চলছে ভয়ঙ্কর এক ফন্দি। অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাদের ঠান্ডা পানীয় দিত তিন মহিলা। আর সেই পানীয় পান করার পর কিছুক্ষণেই নিস্তেজ হয়ে পড়ত। অজ্ঞান নয়, মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়ত সবাই। আর তারপরই লুঠপাট চালাত তিন মহিলা। এরাই তেনালীর সিরিয়াল কিলার। তিন মহিলা মিলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন মহিলা সহ চারজনকে খুন করেছে এই সিরিয়াল কিলাররা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানীয়ে সায়ানাইড মিশিয়ে অচেনা মানুষদের দিত অভিযুক্তরা। তারা ওই পানীয় পান করার পরই কিছুক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। তাদের থেকে সোনাদানা, টাকাপয়সা লুঠ করত ওই তিন মহিলা। বৃহস্পতিবার অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশ মুনাগাপ্পা রজনী, মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরী ও গুলরা রামানাম্মাকে গ্রেফতার করে।




মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরী নামক বছর বত্রিশের মহিলা বিগত চার বছর ধরে তেনালীতে কাজ করতেন। এরপরে কম্বোডিয়ায় যান। সেখানে সাইবার ক্রাইমে জড়িত ছিল। পুলিশ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে সায়ানাইড উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কিছু জিনিস মিলেছে, যা অপরাধের প্রমাণ। যে ব্যক্তি সায়ানাইড সাপ্লাই করত, তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ফের একবার জলি জোসেফের স্মৃতি ফিরে এসেছে। কেরলে জলি জোসেফ নামক ওই মহিলা ১৪ বছর ধরে ৬ জনকে হত্যা করেছিল সায়ানাইড মেশানো খাবার খাইয়ে।




 আবারও দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠল রেলের সুরক্ষা নিয়ে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরনো রেকের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন রেলের আধিকারিকরা।

আবার লাইন থেকে ছিটকে গেল কোচ, আতঙ্কিত যাত্রীরা
লাইনচ্যুত ট্রেন


ফের বেলাইন ট্রেন। শনিবার ভোরে লাইনচ্যুত হয়ে গেল সোমনাথ এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। স্টেশন ছেড়ে এগোনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। ফলে ট্রেনের গতি কম থাকায় কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঘড়িতে তখন ৫টা ৫০ মিনিট। আচমকা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে গুজরাতের সোমনাথ পর্যন্ত যায় সোমনাথ এক্সপ্রেস। এদিন সকালে ট্রেনটি জব্বলপুর থেকে ছাড়ার পর দুর্ঘটনা ঘটে। জব্বলপুর থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হয়। ঠিক মাঝের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে খুব বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি রেল দুর্ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রেলকে। গত জুন মাসে লাইনচ্যুত হয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ছিটকে পড়ে উল্টে যায় দুটি কামরা। বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে।




আরজি কর মামলা: সাড়ে ৪টে বাজে, আইনজীবী তখনও রাস্তায়! ক্ষুব্ধ বিচারক বললেন ‘বেল দিয়ে দেব?’
আরজি কর মামলা: সাড়ে ৪টে বাজে, আইনজীবী তখনও রাস্তায়! ক্ষুব্ধ বিচারক বললেন ‘বেল দিয়ে দেব?’



পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ রায়পুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত এক মহিলা


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকে দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরলদাহ সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ খুটিতে জিও গাড়ির ধাক্কা, ঘটনাস্থলে মৃত এক অপরিচিত মহিলা, আহত আরও ৫ জন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় লক্ষীকান্তপুর থেকে হসপিটাল মোড় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে অবৈধভাবে জিও গাড়ি চলাচল করে, যাদের কোন লাইসেন্স এবং বৈধ কাগজপত্র নেই।

 তা সত্ত্বেও প্রশাসনেকে ধোকা দিয়ে দিনের পর দিন চলছে বেপরোয়াভাবে এই গাড়িগুলো। তাসত্ত্বেও প্রশাসন নির্বিকার। 
দিনের পর দিন বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে মৃত্যু হচ্ছে বহু নিরীহ মানুষের। সেই ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডট কমের মাধ্যমে 


ষ্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদারের 

সমাজ মাধ্যমে একটি আর জি কর বিচার মঞ্চের ভিডিও পোস্ট করে সেখানে কেন আজাদির স্লোগান উঠবে? কেন মনুবাদ থেকে আজাদি এই স্লোগান উঠবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

‘কেন আজাদির স্লোগান উঠবে? আন্দোলন অতি বামেদের হাতে চলে যাচ্ছে’, আক্ষেপ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ

কলকাতা: তিলোত্তমা হত্যার বিচার চেয়ে হওয়া আন্দোলনের অভিমুখ কি ক্রমেই বদলে যাচ্ছে? অন্তত তেমনটাই অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক দিলীপ ঘোষ সেই প্রশ্নই তুললেন। সমাজ মাধ্যমে একটি আর জি কর বিচার মঞ্চের ভিডিও পোস্ট করে সেখানে কেন আজাদির স্লোগান উঠবে? কেন মনুবাদ থেকে আজাদি এই স্লোগান উঠবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতার মতে, এই আন্দোলন অতি বামেদের হাতে চলে যাচ্ছে। 


এমনকি, আন্দোলনের জোয়ার, কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগের জেরে যখন অস্বস্তিতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় এই ধরনের স্লোগান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে অক্সিজেন যোগাবে বলেই মত তাঁর। যদিও এই আন্দোলনকারীদের মতে, মহিলাদের নারী সুরক্ষায়, নারী স্বাধীনতা বিজেপির ভূমিকা নৈব নৈব চ। নারী স্বাধীনতার দাবিতে এই আন্দোলন। ফলে সব রাজনৈতিক দলের ভূমিকাই সামনে এসে পড়ছে। সেখানে তৃণমূল এবং বিজেপি একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। তাই সব ক্ষেত্রেই বিচার চাইছেন তাঁরা। এর সঙ্গে আন্দোলনের অভিমুখের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁরা নারীদের স্বাধীনতা চায় না। 



 ৩ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজারে উপচে পড়া মিছিলের পরে রাস্তা দখল করে কর্মসূচি শুরু করে সিপিআইএম। তারপরে আদালতের অনুমোদন নিয়ে অবস্থান শুরু করেছে সিপিআইএমের ছাত্র যুব এবং মহিলা সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকরা।


ধরনা VS ধরনা, মমতার অস্ত্রেই ঘায়েল মমতা?
ধরনায় মমতা


ধরনা বনাম ধরনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের অস্ত্রেই তাঁকে ঘায়েল করতে চায় বিরোধীরা! তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই রাস্তা দখল করে রয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির পাশাপাশি ধরনা অবস্থানকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সিপিআইএম! বিজেপি প্রথম দফায় শ্যামবাজারে ধরনা অবস্থান করেছিল। পরে দ্বিতীয় দফায় ধর্মতলায় ধরনার সিদ্ধান্ত নেন গেরুয়া ব্রিগ্রেড। যা তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে আদালতের অনুমতি ক্রমে।


অন্যদিকে ৩ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজারে উপচে পড়া মিছিলের পরে রাস্তা দখল করে কর্মসূচি শুরু করে সিপিআইএম। তারপরে আদালতের অনুমোদন নিয়ে অবস্থান শুরু করেছে সিপিআইএমের ছাত্র যুব এবং মহিলা সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকরা। এর আগে আর জি করের জরুরি বিভাগের থেকে কয়েক মিটারে দূরে প্রথম দফায় দিন কয়েকের জন্য অবস্থান করেছিলেন তাঁরা।

একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর পর্বে ধর্মতলায় ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পাশে লাগাতার ধরনা-অবস্থান করেছিলেন জমি ফেরতের দাবিতে। শুধু সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম পর্বে নয়, বিভিন্ন সময়েই অবস্থানের উপরে জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সে রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের ভূমিকা কিংবা নির্বাচন কমিশনের তাঁকে সেন্সর করা অথবা একশো দিনের কাজ, আবাসের টাকা চেয়ে – সব কিছুতেই ধরনা-অবস্থান করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার সেই ধরনা-অবস্থানকেই অস্ত্র করেছে বিরোধীরা।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, পরিচয় আড়াল করতেই এই ফ্ল্যাটে নিজের নাম লেখেননি সন্দীপ। নতুন করে হদিশ পাওয়া এই ফ্ল্যাটটি সন্দীপের বাড়ি বালাজি নিবাস থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে।



গ্যারাজে নতুন গাড়ি, সন্দীপের আরও দু'খানা ফ্ল্যাট আছে কলকাতাতেই
সন্দীপ ঘোষের ফ্ল্যাট


কলকাতা: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যেই ক্যানিং-এ সন্দীপের একটি বাংলার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আর এবার শহরেই আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলল। বেলেঘাটায় যে চারতলা বাড়িতে সন্দীপ ঘোষ থাকেন, তার অদূরেই রয়েছে সন্দীপের আরও দুটি ফ্ল্যাট। গ্যারাজে রয়েছে ঝাঁ চকচকে গাড়িও।

এই দুটি ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি আবাসনে দুটি ফ্ল্যাটই যে সন্দীপের তা জানিয়েছেন আবাসনের কেয়ারটেকার। গ্রাউন্ড ফ্লোরে অর্থাৎ নীচের তলায় একটি ফ্ল্যাট অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন সন্দীপ। এছাড়াও তিন তলায় আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই কেয়ারটেকার।


কুণালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নাম শুধুমাত্র অনুপ্রেরণায় জায়গা পেয়েছে। এতে এলাকার মানুষ অবাক হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। দেবকে কটাক্ষ করে কুণাল লিখেছেন, সুপারস্টার বলেই এত বেনজির সাহসী কাণ্ডটা করা যায়! শুধু রিলের নয়, রিয়েল হিরো!



সুপারস্টার বলেই এত বেনজির সাহস', দেব-কুণালের কাজিয়া প্রকাশ্যে
দেবকে কটাক্ষ কুণালের

আরজি কর কাণ্ডের আবহে শাসক দল তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে। এরই মধ্যে তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়া চলে এল প্রকাশ্যে। তৃণমূল সাংসদ দেবকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ যা বললেন, তাতে একেবারে স্পষ্ট কটাক্ষের সুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরিয়ে নিজের নাম বসিয়ে দিয়েছেন দেব, এমনই অভিযোগ তুলেছেন কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ করে এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। ছবির ওপর তিনি লিখেছেন, “ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪ সালের ১২ মার্চ উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেই সময় কর্তাব্যক্তিরাও ছিলেন সেখানে। কয়েকদিন আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর সাংসদ দেব ওটাই আবার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বদলে দেবের নাম দেওয়া হয়।”


গিয়েছিল ক্রাইম সিনে, ডেটা এন্ট্রি অপারেটরেরও এত প্রতিপত্তি! সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ প্রসূনকে আটক করল ED
কুণালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নাম শুধুমাত্র অনুপ্রেরণায় জায়গা পেয়েছে। এতে এলাকার মানুষ অবাক হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। দেবকে কটাক্ষ করে কুণাল লিখেছেন, সুপারস্টার বলেই এত বেনজির সাহসী কাণ্ডটা করা যায়! শুধু রিলের নয়, রিয়েল হিরো! তিনি আরও লিখেছেন, ‘সুপারস্টার একেই বলে।’ শেষে লিখেছেন, অভিনন্দন দেব।

দেবের বিরুদ্ধে কুণালের এই অভিযোগের কথা শুনে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “আমিও অবাক।” তাঁর দাবি, দেব নিজের নাম লাগাতেই পারেন আইন অনুসারে। কুণালকে কটাক্ষ করে সজল বলেন, “এরা এমন একটা ভাব করে, যেন বাবার টাকায় কাজ করে। ফান্ডের আসল মালিক তো আমরা। পাবলিক। এতে বড়াই করার কিছু নেই।” সজলের দাবি, কুণাল ঘোষ নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই এই কাজ করেছেন।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ইউনিটটা মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন ঠিকই, তবে পরিষেবা প্রদান শুরু করেছেন দেব। অর্থাৎ এতে কোনও ভুল নেই।

উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের আবহে সম্প্রতি ঘাটালের সাংসদ দেব বলেন, “এই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা বেটি বাঁচাওয়ের কোনও মানে নেই, যদি আমরা আমাদের দেশের মেয়েদের না বাঁচাতে পারি।” ইস্যুটা যে শুধু রাজ্যের নয়, গোটা দেশের, সেটাও উল্লেখ করেন দেব।


সকাল সকাল চন্দননগরে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ির গেটে গিয়ে হাজির হয় ইডি। যদিও গেটের তালা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ আসেনি। পাদ্রিপাড়ার বিবেকানন্দ সরণিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের শ্বশুরবাড়ি।


সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতেও ইডি, জামাইয়ের নাম শুনেই পাড়ার লোকেরা...
সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ির গেটে তালা।

বেলেঘাটায় বাড়ি, ফরাসডাঙায় শ্বশুরবাড়ি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সেই শ্বশুরবাড়িতেও শুক্রবার হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির একটি দল। চন্দননগর পাদ্রিপাড়ায় সন্দীপের শ্বশুরবাড়ি। এদিন ইডি আধিকারিকদের একটি দল সেখানে যায়।




এদিন সকাল থেকেই কলকাতার বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। কেউ সন্দীপ ঘনিষ্ঠ আবার কেউ বা সন্দীপের ঘনিষ্ঠের ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে খবর। মূলত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দুই ভেন্ডার সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহকে জেরা করে বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে বলে খবর। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই এদিন আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান বলে খবর।




স্থানীয় সূত্রে খবর, এ বাড়ি রামকৃষ্ণ দাসের। গত ৫-৬ বছর হয়ে গেল চন্দননগরের এই বাড়িতে কেউ থাকেন না। এর বেশি কিছু এলাকার লোকজন বলতে পারেননি। এরপরই চন্দননগর থেকে বৈদ্যবাটি নার্সারি রোডে কুণাল রায়ের বাড়িতে হাজির হয় ইডির দল।

শঙ্করপল্লিতে কুণাল রায়ের বাড়ি। কুণালের এক আত্মীয় সুবীর দাস জানান, মেডিক্যাল লাইনে কাজ করেন কুণাল। অন্যদিকে কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করেন। কেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও হতবাক সাত সকালে ইডি হানায়।


কাকদ্বীপের চৌরাস্তার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করলো বিজেপি কর্মীরা, ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে দু ঘণ্টা ধরে বন্ধ যান চলাচল

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকে শুক্রবার দুপুরে কাকদ্বীপ চৌরাস্তার মোড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার দুপুর ১২:০০ টা থেকে তারা এই রাস্তা অবরোধ করেন। আরজিকর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে এই অবরোধ করা হয় তারা জানায়।

দুপুর ০২:০০ পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যান বিজেপির কর্মীরা। কাকদ্বীপে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় দু ঘণ্টা ধরে যান চলাচল সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে কলকাতা গামী বাস, নামখানা গামীবাস বকখালি বাসের কিছুক্ষণের জন্য টাইম ডিলে হয়ে যায়। 




শুক্রবার সকাল থেকে শুধুমাত্র সন্দীপ ঘোষের বাড়ি নয়, একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্য়ায়কে।


স্বপন-কুণাল-গৌতম, সন্দীপ-কাণ্ডে এই তিনমূর্তি কারা
সন্দীপ ঘনিষ্ঠ তিনজন ইডি-র নজরে

এক চিকিৎসকে মৃত্যু-রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য প্রমাণ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে একের পর এক সূত্র পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রভাব-প্রতিপত্তি তো ছিলই, সেই সঙ্গে বড় দুর্নীতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার সেই দুর্নীতে নাম জড়াল তিন ব্যবসায়ীর।

বিধাননগরের স্বপন সাহা, হুগলির কুণাল রায় এবং গৌতম সেনের নাম জড়িয়েছে দুর্নীতি মামলায়। ইডি সূত্রের খবর, এই তিনজনই একটির বেশি সংস্থার ডিরেক্টর বলে পরিচিত। ‘ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট’ নামে একটি সংস্থায় তিনজনই ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও এই তিনজনের আলাদা আলাদা সংস্থা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

এই সংস্থার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের দুর্নীএতির কী সম্পর্ক? সূত্রের খবর, এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে মেডিক্যাল ওয়েস্ট কেনাবেচা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য পদার্থ পাচার করা হত বলে অভিযোগ। সেই সূত্রেই এই তিনজনের হদিশ পেয়েছে ইডি।



যে জায়গা ভাঙা নিয়ে এত বিতর্ক সেই ভাঙার অর্ডার কপিতে সই রয়েছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম এবং শৌচাগার নির্মাণের জন্য এই ভাঙাভাঙির অর্ডার দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সেই নথিতেই সই রয়েছে সন্দীপের।


সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার শরিক জুনিয়ার ডাক্তাররাও? টিভি ৯ এর হাতে চাঞ্চল্যকর নথি
বাড়ছে চাপানউতোর

 দিন যত যাচ্ছে জট খোলার থেকে জট যেন আরও পাকাচ্ছে। এবার সামনে আসছে আরও মোড় ঘোরানো তথ্য। সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার সিদ্ধান্তে শরিক চেস্ট মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকেরা! বেশ কিছু পিজিটি সই করেছেন নথিতে। সেই নথির প্রতিলিপি এসেছে টিভি-৯ বাংলার হাতে। সূত্রের খবর, ঘটনার পর দিনই সেমিনার রুমের সন্নিহিত এলাকা ভাঙার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়। অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনকে অন্ধকারে রেখেই সেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল। এদিকে এই সেমিনার রুম থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার দেহ। সেই জায়গার নিরাপত্তা নিয়ে বারবার উঠেছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকাও। 

যে জায়গা ভাঙা নিয়ে এত বিতর্ক সেই ভাঙার অর্ডার কপিতে সই রয়েছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম এবং শৌচাগার নির্মাণের জন্য এই ভাঙাভাঙির অর্ডার দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সেই নথিতেই সই রয়েছে সন্দীপের। অন্যদিকে আরও একটি হাতে লেখা নথি সামনে আসছে। সেই নথিতে ১৮ জন পিজিটির সই রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেমিনার রুম চত্বর ভাঙতে দিতে রাজি হলেন? সেই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। কেন কেউ প্রতিবাদ করল না সেই প্রশ্ন উঠছে। কী বলছেন পিজিটিরা?

সংস্কারের সিদ্ধান্তে শরিক হলেও কবে ভাঙা হবে তা জানতেন না। কোথায় ভাঙা হবে জানতেন। কিন্তু তবে ভাঙা হবে সেই খবর ছিল না। দাবি করছেন নথিতে সই থাকা পিজিটি আলাপন সরকারের। তবে কী সই করা পিজিটিদের অন্ধকারে রেখেই সেমিনার রুম চত্বরে কাজ চলছে? এই প্রশ্নও জোরালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি সিবিআইকে জানানো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আলাপন। তিনি বলছেন, “১২ তারিখ ঘটনা ঘটলেও ১৩ তারিখে ঘটনার কথা জানতে পারি। আমরা তো একটানা আন্দোলনে ছিলাম। সেই সময় আলাদা করে আর প্রশ্ন করা হয়নি বিষয়টি নিয়ে। কবে সেখানে কাজ হবে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু, যখন কাজ হচ্ছিল সেখানে তো পুলিশ পোস্টিং ছিল।”  

চলতি সপ্তাহের বুধবার ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের পর ওই মহিলাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়ার আগে শাসিয়েও ছিল অভিযুক্ত। 

মদ খাইয়ে প্রকাশ্য রাস্তাতেই 'ধর্ষণ'! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হল ভিডিয়ো
প্রতীকী চিত্র

আরজি কর কাণ্ডের এক মাসও হয়নি। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়ত সুর চড়াচ্ছে, সেখানেই দেশের বিভিন্ন কোণে এখনও নির্যাতনের শিকার হয়ে চলেছেন মহিলারা। ফের ভয়ঙ্কর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। মদ্যপান করিয়ে রাস্তাতেই ধর্ষণ মহিলাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিয়ো।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের উজ্জয়নে। সেখানে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে জোর করে মদ্যপান করায়। এরপর প্রকাশ্য রাস্তাতেই ধর্ষণ করে মহিলাকে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে ধর্ষণের সেই ভিডিয়ো। বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয় পুলিশ। ভিডিয়ো দেখে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের বুধবার ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের পর ওই মহিলাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়ার আগে শাসিয়েও ছিল অভিযুক্ত।



কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, বিজেপির শাসনকালে, বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কোভিডের তহবিল নিয়ে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। গতকাল মন্ত্রিসভায় বিচারপতি জন মাইকেল ডি'কুনহার নেতৃত্বে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।   


কোভিডকালে তহবিল থেকে 'গায়েব' কয়েকশো কোটি! উধাও নথিও, মারাত্মক অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।

ইটের বদলে পাটকেল! দুর্নীতির পাল্টা জবাব দুর্নীতি! মুদা দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে রাজ্যপাল। এবার মুখ্যমন্ত্রীই দিলেন আরেক দুর্নীতির খোঁজ। পূর্বতন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আনলেন কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। কোভিডকালে রাজ্যে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল বলেই অভিযোগ তুলেছেন ইয়েদুরাপ্পা। একাধিক নথিও উধাও বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, বিজেপির শাসনকালে, বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কোভিডের তহবিল নিয়ে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। গতকাল মন্ত্রিসভায় বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহার নেতৃত্বে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই রিপোর্টে বিচারপতি ভয়ঙ্কর পর্যবেক্ষণ রেখেছেন। কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ হয়েছে। একাধিকবার রিপোর্ট চাওয়া সত্ত্বেও ফাইল জমা পড়েনি। সূত্রের খবর, করোনাকালে রাজ্যে ১৩০০০ কোটি টাকা তহবিল পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে থেকে ১০০ কোটি টাকা ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।



এদিকে, রাজ্য সরকারের এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই বিরোধীদের দাবি, মুদা দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ানোর বদলা নিতেই এই দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও পাল্টা জবাবে আইনমন্ত্রী এইচকে পাটিল বলেছেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে যখনই কোনও গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে, তখনই তাকে বদলা বলা হয়। দুই মাস আগে মুদার বিষয়টি সামনে এসেছে। কুনহা কমিটি এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। কী করে দুটি বিষয়কে এক করা হচ্ছে? এটা প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছিল।”

শ্যামপুকুর থানার অতিরিক্ত ওসি ছিলেন মলয়। এবার থেকে তিনিই টালা থানার ওসির দায়িত্ব সামলাবেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরজি কর বিতর্কের আবহে গভীর রাতে টালা থানার ওসি বদল
তালা থানার ওসি।

 আরজি কর বিতর্কের মাঝেই বড় খবর। বদলি করা হল টালা থানার ওসিকে। এতদিন অভিজিৎ মণ্ডল ছিলেন এই পদে। এবার নতুন ওসি হলেন মলয় দত্ত। শ্যামপুকুর থানার অতিরিক্ত ওসি ছিলেন মলয়। এবার থেকে তিনিই টালা থানার ওসির দায়িত্ব সামলাবেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, অভিজিৎ মণ্ডল নিজেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য ডিউটি থে্কে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে আরজি কর ঘটনার আবহে বারবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সর্বশেষ বিতর্ক হয় তাঁর অসুস্থতা নিয়ে। এই আবহে বদলির নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।





হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। যেহেতু আরজি কর টালা থানার আওতাধীন। ফলে এই ঘটনায় যাবতীয় প্রাথমিক অভিযোগ সেখানেই গিয়েছে। আর প্রথম থেকেই আরজি করকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে তলবও করেছিল সিবিআই। কেস ডায়েরি সহ তলব করেছিলেন তদন্তকারীরা।

আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় লাগাতার সিবিআই জেরার পরই গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষ। এবার সন্দীপের দুর্নীতির শিকড় কতদূর পৌঁছেছে, তার তথ্য তালাশ করতে ময়দানে নামল ইডিও।


গারদে সন্দীপ ঘোষ, তালা খুলিয়ে বাড়িতে ঢুকল ED!
সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ঢুকল ইডি।

সিবিআই-র পর এবার ইডি (ED)। সাতসকালেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজি কর হাসপাতালে যে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, তার তদন্তেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হাজির ইডি। তবে তালা বন্ধ থাকায় ইডি আধিকারিকরা ঢুকতে পারেননি। সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি, তাঁর শাগরেদ বিপ্লব সিং ও কৌশিক কোলের বাড়িতেও ইডি তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।


আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় লাগাতার সিবিআই জেরার পরই গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষ। এবার সন্দীপের দুর্নীতির শিকড় কতদূর পৌঁছেছে, তার তথ্য তালাশ করতে ময়দানে নামল ইডিও।



ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে এই 'সঙ্গীতা সন্দীপ ভিলা'। সেই বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে স্থানীয় যুবক জাকির লস্কর। জাকির জানান, এমনিতে তিনি চাষের কাজ করেন। 


একইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের বাংলোবাড়ির রক্ষীও। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে তার সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করে দেন সন্দীপ।

সবুজে ঘেরা 'সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা', প্রায়ই যেতেন সন্দীপ ঘোষ, সঙ্গে থাকতেন...
সন্দীপ ঘোষের বাংলোর খোঁজ এবার।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে। আরজি কর কেন্দ্রিক আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এবার সেই সন্দীপের বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির খোঁজ মিলল ক্যানিংয়ে। নাম ‘সঙ্গীতা সন্দীপ ভিলা’।




ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে এই ‘সঙ্গীতা সন্দীপ ভিলা’। সেই বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে স্থানীয় যুবক জাকির লস্কর। জাকির জানান, এমনিতে তিনি চাষের কাজ করেন। একইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের বাংলোবাড়ির রক্ষীও। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে তার সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করে দেন সন্দীপ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নোটিস দেওয়া ছিল অন্যত্র থাকার জন্য। কিন্তু ২ তারিখই ঠিকানায় ফেরানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, কেন তিন আগে আনা হল, কেনই বা আবারও ঘরছাড়া হতে হচ্ছে? তাঁদের প্রশ্ন, একেবারে কাজ শেষ করার পর কেন আনা হচ্ছে না?

কলকাতা: মেট্রোর কাজ ঘিরে আবারো বিপত্তি। বউবাজার দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর ক্রসপ্যাসেজ নির্মাণের সময় আবারও বাধা ‘ওয়াটার লিকেজ’। গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে এ মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার ফের বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, কিন্তু মেট্রোর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাঁদের আবার হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বারবার ঘরে ফেরা, আবারও ঘর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে দুর্গাপিতুরি লেনের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নোটিস দেওয়া ছিল অন্যত্র থাকার জন্য। কিন্তু ২ তারিখই ঠিকানায় ফেরানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, কেন তিন আগে আনা হল, কেনই বা আবারও ঘরছাড়া হতে হচ্ছে? তাঁদের প্রশ্ন, একেবারে কাজ শেষ করার পর কেন আনা হচ্ছে না?

কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫টি বিল্ডিংয়ের ৫২ জন বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে বাসিন্দাদের।


২০১৯ সাল থেকে ২০২৪। গত পাঁচ বছরে বারবার এই বউবাজার সংলগ্ন দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর কাজ নিয়ে নানা বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। ৯ নম্বর দুর্গাপিতুরি লেনে হাওড়া থেকে শিয়ালদহগামী মেট্রোর লাইনের কাজ চলছে। আর সেখানেই ক্রস প্যাসেজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। সরানো হয়েছে এখানকার বাসিন্দাদেরও।

স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “এ যে কী দুর্ভোগ যাদের হয় তারাই বোঝে। দু’দিন বাদে বাদে শিফ্ট করা সত্যিই কি খুব সহজ? মাঝরাতে শিফ্ট করতে হলে যা যা ভোগান্তি হয়, আমাদেরও হচ্ছে।” কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, দুর্গাপিতুরি লেনে দু’টি টানেলকে যেখানে যুক্ত করা হচ্ছে, তারই মাঝখান থেকে ওই পাইপের মধ্যে দিয়ে জল বেরোতে দেখা যায়। যদিও জলের স্রোতের গতিবেগ অত্যন্ত কম ছিল বলেই সূত্রের খবর। যা নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই বলেই দাবি করেছেন কেএমআরসিএলের কর্তারা।

স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, “২০১৯ থেকে ঘটে চলেছে এই ঘটনা। যখনই এই ঘটনা ঘটছে সকলে বলছে আর হবে না। পাঁচ বছর শেষ হয়ে ছ’ বছর হয়ে গেল, কেউ তো দায়িত্বই নিচ্ছে না। ওরা বলল কাজ হয়ে গিয়েছে ফিরে এসো। রোগীকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে দিল, বাড়ি ফিরেই পেশেন্ট মরে গেল। যা বোঝায়, এখানেও তাই চলছে।”