March 2023

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্তরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন ভারতে। শুধু সংস্কৃতি সচেতনতাই নয়, দেশ জুড়ে সম্প্রীতি বা দাক্ষিণ্যের বার্তাও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।


 : রাম জন্মভূমিতে গড়ে উঠছে মন্দির। ২০২৪-এর ১৫ জানুয়ারির পর সেই মন্দির শুদ্ধিকরণের পরই অযোধ্যায় এক বড়সড় উৎসবের আয়োজন করা হবে। তার ঠিক ৩০০ দিন আগে থেকে শুরু হল এক বিশেষ উদ্যোগ। দেশ জুড়ে সংস্কৃতি সচেতনতা তৈরি করার জন্য ২১ মার্চ, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হল সেই উদ্যোগ। দিল্লির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির থেকেই শুরু হল সেই কর্মসূচি।


এই বিশেষ উদ্যোগে সামিল হয়েছেন স্বামী রামদেব বাবা, স্বামী গোবিন্দদেব গিরি, স্বামী ভদ্রেশদাস। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্তরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন ভারতে। শুধু সংস্কৃতি সচেতনতাই নয়, দেশ জুড়ে সম্প্রীতি বা দাক্ষিণ্যের বার্তাও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত থাকবেন, আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী আদেশানন্দ গিরি, আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী পূণ্যানন্দ গিরি, পূজ্য স্বামী পরমাত্মানন্দ স্বামী সরস্বতী মহারাজ, পূজ্য স্বামী জ্ঞানানন্দ মহারাজ, পূজ্য স্বামী বালকানন্দ গিরি মহারাজ, পূজ্য স্বামী প্রণবানন্দ সরস্বতী মহারাজ, মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশেষবরানন্দ গিরি মহারাজ, মহামণ্ডলেশ্বর জৈন আচার্য লোকেশ মুনি মহারাজ। এছাড়াও থাকবেন চম্পত রাই, নৃপেন্দ্র মিশ্র, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধি অলোক কুমার প্রমুখ।


হনুমানজীর আধ্যাত্মিকতা জাগ্রত করতে ভগবানের পায়ের কাছে এদিন পাঠ করা হয়েছে ‘ষাটকোটি হনুমান চালিশা’। সন্তরা মনে করছেন, এই উদ্যোগে সারা বিশ্বে ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে, তৈরি হবে দেশাত্মবোধ। রাম মন্দির তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই হনুমান চালিশা পাঠ করার প্রথা চলতে থাকবে। পাঠ ছাড়াও প্রবন্ধ লিখন, আধ্যাত্মিক আলোচনা, সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়েছে গোটা বছর জুড়ে।

সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসা অব্যাহত। এবার হুগলির প্রমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর দুর্নীতিতে যোগ উঠে এসেছে রহস্যময়ী নারীর যোগ। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে এখনও অবধি। তার মধ্যে এই বান্ধবীর নামেও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। তবে কে এই বান্ধবী? সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।


ইডি-র তরফে এই মহিলাকে অয়নের বান্ধবী হিসাবে দাবি করা হলেও জগন্নাথ নিকেতনের আবাসিকরা বলছেন কিন্তু অন্য কথা। তাঁদের বক্তব্য অয়ন শীল এবং শ্বেতা চক্রবর্তী আবাসনে মামা-ভাগ্নির পরিচয়ে থাকতেন। সূত্রের খবর, যদিও অয়নের স্ত্রী এবং পুত্র থাকেন হুগলিতে। আবাসনের এক আবাসিক জানান, “এক বছর আগে এখানে এসেছিল অয়ন শীল। আমরা জানি ওরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। আমাদের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা করতেন না। ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিত। শুনেছি ওদের এখানে একটি ফ্ল্যাট ছিল। তবে বছর খানেক অয়নকে দেখিনি। গত সপ্তাহে গাড়ি নিয়ে শ্বেতাকে আসতে দেখেছি।”


সূত্রের খবর, অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি জেলাপাড়াতে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছিলেন তাঁর বাবা। ওই বান্ধবী অয়নের প্রোমোটারির ব্যবসা সামলাতেন বলে সূত্রের খবর। এলাকার লোকজন জানতেন ওই তরুণী মডেলিং করেন। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে যাতায়াতও করতেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিন মহিলার নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এরইমধ্যে একটি আবার বান্ধবীর অ্যাকাউন্ট বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডির অনুমান, এই বান্ধবীর সঙ্গে অয়নের আর্থিক লেনদেন ছিল। সেই টাকা নিয়োগকাণ্ডের বলেও মনে করছে তারা

স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাউজ এভিনিউ আদালতে না নিয়ে গিয়ে, তাঁকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ইডি দফতরে। আপাতত সেখান শেষ মুহূর্তের জেরা পর্ব চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ইডি হেফাজতের (ED Custody) মেয়াদ আজই শেষ হচ্ছে। মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশ করার কথা ছিল তাঁকে। সেই মতো সকালে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আদালতে পেশ করার আগেই ফের তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে ইডির দফতরে। জানা যাচ্ছে, এদিন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কেষ্ট মণ্ডলকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাউজ এভিনিউ আদালতে না নিয়ে গিয়ে, তাঁকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ইডি দফতরে। আপাতত সেখান শেষ মুহূর্তের জেরা পর্ব চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

অনুব্রতর ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে এবং আপাতত কেষ্টকে ইডি হেফাজতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানা যাচ্ছে। আদালত অনুব্রতর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে, বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে পাঠানো হতে পারে তিহাড় জেলে। এমন অবস্থায় শেষ দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের এই তৎপরতা স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ইডির হাতে কোনও বড় তথ্য এসেছে? সেই কারণেই কি শেষ মুহূর্তে কেষ্ট মণ্ডলকে আরও একবার জেরা করা হচ্ছে আদালতে পেশের ঠিক আগে? যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।

উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে দফায় দফায় জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেষ্টর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। বার বার দিল্লিতে ইডি অফিসে ডেকে পাঠানো হচ্ছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। যদিও বার বার হাজিরা এড়াচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থায় শেষ মুহূর্তে অনুব্রতকে জেরা করে গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত আরও তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

কীভাবে একটা জ্যান্ত হরিণকে (Deer) কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গিলে ফেলল একটা কমোডো ড্রাগন (Komodo Dragon), তা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। ইনস্টাগ্রামের সেই ভিডিয়ো খুবই ভাইরাল হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় অন হলেই আমরা বন্যপ্রাণীদের অনেক রকম ভিডিয়ো দেখে থাকি। তার মধ্যে কিছু ভিডিয়ো আমাদের ডরায়, কিছু আবার ঠোঁটের কোণে হাল্কা হাসি ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু সরল, সাদাসিধে প্রাণীগুলোকে যখন শক্তিশালী কোনও প্রাণী আক্রমণ করে, বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে আমাদের। কিন্তু জঙ্গলের যে এটাই নিয়ম। মেনে তো নিতেই হবে আমাদের। আর সেই নিয়ম ভাঙা কার্যত অসম্ভব। তেমনই একটি ভিডিয়ো দেখার পরে, আপনার মনটাও যেন আহারে করে উঠবে! কীভাবে একটা জ্যান্ত হরিণকে (Deer) কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গিলে ফেলল একটা কমোডো ড্রাগন (Komodo Dragon), তা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। ইনস্টাগ্রামের সেই ভিডিয়ো খুবই ভাইরাল হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতেও।



animals_powers নামক একটি ইনস্টা পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, নিমেষের মধ্যে একটি হরিণকে কীভাবে একটি কমোডো ড্রাগন গিলে ফেলল। হরিণটিকে দেখা মাত্রই ওই কমোডো ড্রাগনটি এমন ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে যে, বেচারা প্রাণীটার আর কোথাও পালানোর উপায় ছিল না। প্রথমে তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তারপর হরিণটাকে মুখে করে নিয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে গিলে ফেলে ওই কমোডো ড্রাগনটি।



অন্যদিকে মন ভাল নেই শ্বশুর মনোরঞ্জন দাসেরও। চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার ওই বৃদ্ধ জানান, নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর মেয়ে।


শনিবার বিকালে প্রথম তাঁর সল্টলেকের অফিসে গিয়েছিল ইডি (ED)। চলেছিল রাতভর তল্লাশি। সেখানে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একের পর এক কেউটে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অয়ন শীলের (Ayan Sil) ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিন মহিলার নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। শুধু নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়, হাত পাকিয়েছিলেন সিনেমা-সিরিয়ালেও। আছে হোটেলের ব্যবসাও। ‘বড়’ হওয়ার নেশাই জামাইকে শেষ করে দিল বলে ইতিমধ্যেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তাঁর শ্বশুর মনোরঞ্জন দাস। শ্বশুরের মতোই একই কথা বলছেন অয়নের বাবা সদানন্দ শীল। নিয়োদ দুর্নীতিতে ছেলের গ্রেফতারির ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন তিনি। বয়স তাঁর ৮৪। কিন্তু, শক্ত হাতে মানুষ হওয়ার পাঠ দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছাত্রদের। কিন্তু, শিক্ষিত অশীতিপর বৃদ্ধের ছেলেই কী করে এমন হল? 


এ প্রশ্নে বৃদ্ধ বলেন, “সব কিছু তো আর ফর্মুলা মেনে হয় না। অনেক ঘটনাই তো এমন ঘটে।” এদিকে অয়নকে গত শনিবার রাতে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে অয়নের বাবা সদানন্দ ও মা অমিতা দেবীকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। এদিন বিকালে হঠাৎই জগুদাসপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুটি ব্যাগ নিয়ে ছেলের ফ্ল্যাটে যান সদানন্দ বাবু। তখনই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি আর কী বলব। আমার তো কিছুই বলার নেই। মনটা ভাল নেই। আর কিছু বলব না। ভাল লাগছে না।” 



নকআউট মিলিয়ে ৪৮ ম্য়াচের বিশ্বকাপ চলবে প্রায় ৪৬ দিন। কোন মাঠে কোন দলের ম্য়াচ হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ঠিক করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।


শেষ বার ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছিল। এ বার ফের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। যদিও ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত একক ভাবে আয়োজক ছিল না। এ বার ভারত একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে হবে ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞ। ১০ দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হতে পারে ৫ অক্টোবর থেকে। ফাইনাল ১৯ নভেম্বর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। সব মিলিয়ে ১২টি ভেনুতে হতে পারে বিশ্বকাপের ম্য়াচ। ঘরের ওডিআই বিশ্বকাপ নিয়ে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত।



জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, ৫ অক্টোবর-১৯ নভেম্বর হতে চলেছে ওডিআই বিশ্বকাপ। ফাইনাল আমেদাবাদে। এ ছাড়াও যে ভেনুর সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাতে রয়েছে-বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধরমশালা, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, ইন্দোর, রাজকোট এবং মুম্বই। নকআউট মিলিয়ে ৪৮ ম্য়াচের বিশ্বকাপ চলবে প্রায় ৪৬ দিন। কোন মাঠে কোন দলের ম্য়াচ হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ঠিক করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তেমনই ওয়ার্ম আপ ম্য়াচগুলি কোন শহরে হবে, তাও ঠিক হয়নি।



মেয়েদের ক্রিকেট একটু একটু করে পাল্টে দিচ্ছে ছবিটা। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানারা এখন প্রচারের আলোয়।


ভারতীয় হকি তো বটেই, আন্তর্জাতিক হকিতেও এমন কখনও হয়নি। ক্রিকেট, ফুটবলের মতো হকিতেও ছেলেদেরই দাপট। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, সুনীল ছেত্রী, হরমনপ্রীত সিংদের নিয়ে হইচই থাকে, মেয়েদের টিম নিয়ে তা দেখা যায় না। মেয়েদের ক্রিকেট একটু একটু করে পাল্টে দিচ্ছে ছবিটা। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানারা এখন প্রচারের আলোয়। আর্থিক ভাবেও প্রাচুর্যে পা রেখেছেন। কিন্তু মেয়েদের ভারতীয় হকি টিমের (Hockey India) ছবিটা কিন্তু তেমন ঝলমলে নয়। হকি মূলত উত্তর ভারতেই জনপ্রিয়। ওড়িশার মতো রাজ্যেও প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু সারা দেশ জুড়ে তেমন জনপ্রিয়তা নেই। হয়তো আগামী দিনে তা পাল্টাবে। কিন্তু তার আগেই ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন রানি রামপাল (Rani Rampal)। যা আর কখনও হয়নি, তাই দেখা গেল তাঁর ক্ষেত্রে। কী ঘটল রানির সঙ্গে, তুলে ধরল ।


এই প্রথম কোনও মহিলা হকি প্লেয়ারের নামে নামকরণ করা হল স্টেডিয়ামের। রায়বরেলির স্টেডিয়ামের নাম দেওয়া হয়েছে— রানি’জ় গার্লস হকি টার্ফ। নিশ্চিত ভাবেই রানির কাছে বিরাট সম্মান। সেই সঙ্গে মেয়েদের হকিও যে প্রাধান্য পেতে শুরু করেছে, তাও প্রমাণ করছে এই ঘটনা। রানি যা দেখে টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই। হকিতে আমার অবদানের কথা মাথায় রেখেই রায়বরেলির স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এটা যে কতটা তৃপ্তির, বলে বোঝাতে পারব না।’


রায়বরেলির ওই স্টেডিয়াম ফিতে কেটে উদ্বোধন করেছেন রানি নিজেই। রীতিমতো বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল ওই উপলক্ষ্যে। রানি বলেছেন, ‘গর্বের তো বটেই, আবেগের মুহূর্তও। প্রথম কোনও মেয়ের নামে একটা হকি স্টেডিয়ামের নামকরণ হল। আর সেটা আমারই নামে। এই স্টেডিয়াম আমি ভারতের মহিলা হকি দলকে উৎসর্গ করছি। আগামী প্রজন্মের মেয়েদের নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটা অনুপ্রেরণা দেবে।’
ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ে সেটি জুনিয়র হাইস্কুল। কেউ বলছেন পড়ুয়া সংখ্যা স্কুলে ৩৭ জনের মতো। কেউ বলছেন ৫০।
ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই নৃশংসভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের গাজোলে। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে পাশবিক অত্যাচারের পর তা মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো করে রাখে অভিযুক্ত তিন যুবক। তিন জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা। তবে তারা বহিরাগত। শনিবারের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমন ঘটনার কথা শুনে শিউরে উঠছেন সকলে। মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, যে স্কুলে ওই ছাত্রী পড়াশোনা করে, সেখানে কোনও পাঁচিল নেই। শনিবার স্কুলের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় বহিরাগত তিন যুবক স্কুলে ঢুকে পড়ে। ভুলিয়ে ভালিয়ে দোতলারই একটি ঘরে নিয়ে যায়। এরপরই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গী অপর ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে যায়। দৌড়ে খবর দেয় নাবালিকার বাড়িতে। পরিবারের লোকজন স্কুলে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।



এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ে সেটি জুনিয়র হাইস্কুল। কেউ বলছেন পড়ুয়া সংখ্যা স্কুলে ৩৭ জনের মতো। কেউ বলছেন ৫০। অথচ সেই স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। যদিও তাঁর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এই স্কুলের পাশে রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন স্কুলে আসেননি শিক্ষক। পাশের প্রাথমিক স্কুলে জানিয়েছিলেন, মিড ডে মিলের বিষয়টি দেখে নিতে।

ওই ছাত্রীর মায়ের কথায়, “স্কুলে গিয়ে দেখি মেয়ে কাঁদছে। তারপর জানতে চাইলাম কী হয়েছে, কিছু বলছিল না। পাশের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে বললাম। তখন উনি বললেন সোমবার দেখছি। আমি তিনজনের নামে অভিযোগ করেছি। বাইরের ছেলে ওরা। স্কুলে ঢুকে এরকম করেছে। যেদিন এই ঘটনা মাস্টার সেদিন স্কুলেই আসেননি। গিয়ে দেখি মেয়ে বারান্দায় বসে কাঁদছে।”



ইডি সূত্রে খবর, ইডি অয়নের বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। সেই চ্যাটের বিস্তারিত এসেছে ইডির হাতে।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। অয়ন শীল (Ayan Sheel) নামে হুগলির প্রোমোটার গ্রেফতার হতেই এবার উঠে আসছে দুর্নীতিতে আরও এক রহস্যময়ী নারীর যোগের কথা। শনিবার ইডির অভিযান চলে অয়নের সল্টলেকের ভাড়া বাড়িতে। সেখানে বিভিন্ন নথি, তথ্য যেমন উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, ইডি অয়নের বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। সেই চ্যাটের বিস্তারিত এসেছে ইডির হাতে। ইডি তল্লাশি চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অয়নের বান্ধবী। সতর্ক করেছিলেন অয়নকে। শুক্রবার রাতের চ্যাট হিস্ট্রিতে লেখা ছিল, ”ইডি রেইড করতে পারে। জিনিসপত্র সরিয়ে নাও।” এই চ্যাট দেখে কার্যত তাজ্জব ইডির গোয়েন্দারা। কীভাবে ওই তরুণী আগেভাগে ইডির অভিযান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, তা নিয়ে অবাক তদন্তকারীরা। এই বান্ধবীর নামেই রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।



ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিন মহিলার নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এরইমধ্যে একটি আবার বান্ধবীর অ্যাকাউন্ট বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডির অনুমান, এই বান্ধবীর সঙ্গে অয়নের আর্থিক লেনদেন ছিল। সেই টাকা নিয়োগকাণ্ডের বলেও মনে করছে তারা।

কারণ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে নিয়োগকাণ্ডে টাকার যে কমিশন, তার প্রায় ৪-৫ কোটি টাকা অয়নের আত্মীয় পরিজন, পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। এরমধ্যে ওই বান্ধবীরও অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এর পাশাপাশি ইডি জানতে পেরেছে, তিনজন মহিলার নামে রয়েছে ৫টি অ্যাকাউন্ট। যার মধ্যে আবার দু’টি অ্যাকাউন্ট অয়ন শীলের সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে। এছাড়া অয়ন শীলের নামে রয়েছে ৮টি অ্যাকাউন্ট। এরমধ্যে যৌথ অ্যাকাউন্ট ২টি। অয়ন শীল ছাড়াও দু’জন পুরুষের নামে ২টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এর বাইরে ৯টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কার নামে, তার খোঁজে ইডি। সার্ভিস স্টেশনের নামেও রয়েছে ৩টি অ্যাকাউন্ট।



বিপুল দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করে এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, এখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো অবস্থা।

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে কেউটে। সরকারের সর্বস্তরে দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে তদন্তকারী সংস্থা। শিরোনামে উঠে এসেছে নতুন নাম, অয়ন শীল। তাপস-কুন্তল-শান্তনুর সূত্র ধরেই অয়নের দরজায় পৌঁছেছে ইডি। আর অয়ন নাকি আরও কয়েকজন প্রভাবশালীর কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর। সে কথা শুনে ঈশ্বরকে স্মরণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CVAnanda Bose)। সোমবার সন্ধ্যায় দমদমে স্বামীজীর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। অয়ন শীল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর সবার ওপর আছেন, পৃথিবীতে সবকিছুই ঠিক হবে।’


অয়ন শীলের সঙ্গে অনেক প্রভাবশালীর যোগাযোগ আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, যে তথ্য তাঁরা পেয়েছেন, তা চমকে ওঠার মতো। সোমবারই আদালতে সেই তথ্য পেশ করতে গিয়ে কৃষ্ণকে স্মরণ করেছেন ইডির আইনজীবী। আর এদিনই ঈশ্বরের কথা বললেন রাজ্যপাল।

বিপুল দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করে এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, এখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো অবস্থা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন যখন তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যুদ্ধে করতে রাজি হচ্ছিলেন না, তখন কৃষ্ণ এসে অর্জুনকে বলেছিলেন, ‘’যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্’, যেখানে যেখানে অন্যায় অধর্ম হবে কৃষ্ণের আবির্ভাব হবে। এখানে একমাত্র কৃষ্ণই বাংলাকে বাঁচাতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।



একটি বাজির গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

সপ্তাহের প্রথম দিনের সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল মহেশতলার (Maheshtala) নুঙ্গি মণ্ডলপাড়া। একটি বাজির গোডাউনে (Fire Crackers) ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেই আগুনে (Fire) দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩ জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই মহেশতলার নুঙ্গি বাজি বাজারের ঝাউতলা পুটখালীর মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজির গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আগুনের কুণ্ডলী দেখা মাত্রই স্থানীয়রা জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানা ও দমকল বাহিনীতে। এলাকাটি ঘন-বসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন ও মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপর দমকলকর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে গোডাউনের ভিতরে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ইতিমধ্যে পোড়া দেহগুলি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কয়েকজন অল্প-বিস্তর আহতও হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

হুট করে মানুষটার ব্লাড-অক্সিজেন লেভেল নেমে গিয়েছিল। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন যে, হয়তো শরীর অসুস্থ বলেই অ্যালার্ট দিয়েছে। তাই তিনি বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন। পরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, ফুসফুসে ব্লাড ক্লট রয়েছে।

যে বিভিন্ন সময়ে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কীভাবে মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে, তা ইন্টারনেট খুললেই জানা যায়। সেই সুবিশাল তালিকায় নবতম সংযোজন আর এক ব্যক্তি। ক্লিভল্যান্ডের সেই ব্যক্তি দাবি করেছেন, অ্যাপল ঘড়ির জন্যই তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁর শরীরের ব্লাড অক্সিজ়েন লেভেল হঠাৎ করেই নেমে গিয়েছিল। Apple Watch যথা সময়ে সেই ড্রপটি ডিটেক্ট করার ফলেই তিনি আজ বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিটি। News 5-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্লিভল্যান্ডের বাসিন্দা কেন কুওনিহ্যান তাঁর অ্যাপল ঘড়িটি ব্যবহার করেন মূলত স্লিপ ট্র্যাকিং এবং ওয়ার্ক আউট সেশনের সময় অন্যান্য হেলথ ইন্ডিকেটরগুলি পরখ করতে।


সংবাদমাধ্যম News 5-এর কাছে তিনি দাবি করেছেন, “আমি খুবই অ্যাক্টিভ এবং ক্যালোরি ঝরাতে আমি যা-যা করি বা করছি, তার সবকিছু ট্র্যাক করি এই অ্যাপল ওয়াচের সাহায্যে। ওয়ার্ক আউট শেষ হলেই আমি এটা চার্জে বসিয়ে দিই, যাতে সারাদিন পরে থাকতে পারি। স্লিপ ট্র্যাক করতে আপনি বিছানাতেও এটা পরে থাকি।” কিন্তু গত অক্টোবরে তাঁর Apple Watch অন্যরকমের ইঙ্গিত দিতে থাকে। কুওনিহ্যান বললেন, “গত অক্টোবরে আমি একটা অ্যালার্ট পাই যে, আমার শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। প্রতি মিনিটে আপনার একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্বাস থাকে, কিন্তু আমি হঠাৎই 14 থেকে 17 বা 18-তে চলে গিয়েছিলাম।”

প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন যে, হয়তো শরীর অসুস্থ বলেই অ্যালার্ট দিয়েছে। তাই তিনি বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেন। তাঁর কথায়, “আমার স্ত্রী আমাকে একটা ফোন করতে বলে আমার ছেলের কাছে। আমাকে আউটপেশেন্ট কেয়ারে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর তাঁরা আমার একটি এক্স-রে করেন এবং ব্রঙ্কাইটিসের জন্য আমাকে কিছু ওষুধ দিয়েছিলেন।” কিন্তু সেই জাদুকর অ্যাপল ওয়াচ তাঁকে আবারও ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিছু একটা যে সমস্যা রয়েছে, তা বারবারই বোঝানোর চেষ্টা করেছিল হাতঘড়িটি।

রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব ছিল অয়ন শীলের সংস্থার হাতে।

রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দুর্নীতির জাল! বিস্তার ঠিক কতদূর? তা খুঁড়ে বের করতে গিয়ে এবার সামনে এল কলকাতা পুরনিগমের নাম। সোমবার আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে যে সিজার লিস্ট জমা দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যা যা উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে একটি চিঠি। কলকাতা পুরনিগমের মেয়রকে লেখা এক চাকরি প্রার্থীর চিঠি সেটি। আর সেই চিঠি থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গেও যোগ ছিল অয়ন শীলের? কতটা লম্বা ছিল এই ব্যবসায়ীর হাত?


ইডি সূত্রে খবর, কলকাতা পুরনিগমের ‘কনজারভেন্সি মজদুর’ পদে নিয়োগ তালিকার বাইরে থাকা অর্থাৎ এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির এক প্রার্থীর চিঠি মিলেছে অয়নের বাড়ি থেকে। ইডি সূত্রে খবর, ওই চিঠি আসলে নিয়োগ সংক্রান্তই। কী করে সেই চিঠি পৌঁছল অয়নের বাড়িতে? তা জানতে তাঁকে জেরা করা হবে।

রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব ছিল অয়ন শীলের সংস্থার হাতে। আর সেই সব নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন আদালতে দাবি করেছে ইডি। ইডি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হালিশহর, পানিহাটি, কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে অয়নের হাত ধরে। এরই মধ্যে সামনে আসছে কলকাতা পুরনিগমের নাম।তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। চাকরি দিয়ে অয়ন শীল ৫০ কোটির ওপর সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা।



তবে, অয়ন শীলের আইনজীবীর দাবি, তিনি নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাতেন আইনি পথেই। সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত বলে দাবি করা হয়েছে। আপাতত তাঁকে জেরা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত অয়ন শীলের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলও জায়গা দখল করছে এবং একের পর এক পাঁচতারা পার্টি অফিস হচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে তৃণমূলের আরও একটি পার্টি অফিস! ছবি পোস্ট করে টুইটারে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। CPI (M)-এর মতো তৃণমূলও জায়গা দখল করছে এবং একের পর এক পাঁচতারা পার্টি অফিস হচ্ছে বলে টুইটারে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যদিও তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।


টুইটারে কী লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী? গত ১৭ মার্চ ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে একটি বড় বাড়িতে তৃণমূলের দলীয় সম্মেলন হয়। সেই ঘটনা তুলে ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। CPI (M)-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে টুইটারে তিনি লেখেন, “একবছরও হয়নি ই এম বাইপাসের উপর ক্যানেল সাউথ রোডে একটি পাঁচতারা টিএমসি পার্টি অফিসের উদ্বোধন হয়েছে। আশ্চর্যজনক, তড়িঘড়ি ৩০-বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে আরও একটি পার্টি অফিস গড়ে উঠেছে, যেখানে গত ১৭ মার্চ চোরেদের কনফারেন্স হল।” এরপর দুটি বিরাট পার্টি অফিসের ছবি দিয়ে সিপিএম-এর সঙ্গে বর্তমান শাসকদলের তুলনা টেনে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “CPI (M) যেমন ক্ষমতা হারানোর আগে অনেক সম্পত্তি তৈরি করেছিল, টিএমসি-ও পদচ্যুত হওয়ার আগে পার্টি অফিস করার উপর জোর দিচ্ছে।”



প্যান ও আধার কার্ড লিঙ্কিংয়ের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। অনেকের কাছে অনলাইনের প্যান-আধার লিঙ্কিংয়ের পদ্ধতিটি কঠিন মনে হতে পারে। তাঁদের জন্য একটি সহজ সমাধান রইল।

এখনও লিঙ্ক করেননি? হাতে কিন্তু আর বেশি সময় নেই। এখনও যদি আপনি আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক না করেন, তাহলে বিপদে পড়বেন। আপনার PAN Card বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর প্যান কার্ড অকেজো হয়ে গেলে প্যান সংক্রান্ত আপনার একাধিক আর্থিক কাজকর্ম, লেনদেন ভেস্তে যেতে পারে। তার থেকেও বড় কথা, হল ডেডলাইনের পর যদি আপনি Aadhaar Pan Link করতে যান, সেক্ষেত্রে আপনাকে 1,000 টাকা জরিমানা পর্যন্ত দিতে হতে পারে। এখন অনেকেই প্যান-আধার লিঙ্কিংয়ের কাজটি করতে গিয়েও পিছ পা হন, অনলাইনে ঝক্কির কারণে। কিন্তু কাজটা যে বাধ্যতামূলক। আজ না হয় কাল তো আপনাকে করতেই হবে। তাহলে আর ফেলে রাখা কেন! জেনে রাখা ভাল যে, PAN ও Aadhaar কার্ড লিঙ্ক করার শেষ দিনটি হল 31 মার্চ। অর্থাৎ আপনার হাতে আর মাত্র 11টা দিন সময় আছে।



Aadhaar-এর সঙ্গে লিঙ্ক করা না থাকলে, আপনা Pan কার্ডটি নিষ্ক্রিয় করা হবে। 2022 সালের মার্চ মাসে এই বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)। এখন প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে আপনার ব্যাঙ্কিংয়ের অনেক কাজই থমকে যাবে। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি SEBI-ও তার কাস্টমারদের Aadhaar Card-এর সঙ্গে PAN Card লিঙ্ক করে রাখতে বলেছে, যাতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করা যায়। তবে প্যান ও আধার কার্ড লিঙ্কিংয়ের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। অনেকের কাছে অনলাইনের প্যান-আধার লিঙ্কিংয়ের পদ্ধতিটি কঠিন মনে হতে পারে। তাঁদের জন্য একটি সহজ সমাধান রইল।

অভিজিতের মা বলেন,"আমি বিচার চাই। খুনীদের শাস্তি হোক। মায়ের সামনে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। চোখের সামনে ছেলেকে খুন হতে দেখেছিলাম। যেন বিচার তাড়াতাড়ি পাই।"

কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ। তিন তদন্তকারি বদলির পর বদল হয়েছে সরকারি আইনজীবীও। আদালতের নির্দেশে বেলেঘাটার নিহত বিজেপির কর্মীর মা দাদাকে আগেই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষার ঘেরাটোপেই এদিন সকালে আদালতে দু’জনকে নিয়ে আসা হয়। এদিন আদালতে ঢোকার সময়ে অভিজিতের মা বলেন,”আমি বিচার চাই। খুনীদের শাস্তি হোক। মায়ের সামনে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। চোখের সামনে ছেলেকে খুন হতে দেখেছিলাম। যেন বিচার তাড়াতাড়ি পাই।” এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালী বিচারকের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ সরকারের মা। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, আদালত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও, কেবল সিভিক পুলিশ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর মা। তাই তিনি বারবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি অভিজিতের দাদার। বিচারকের কাছে তাঁরা আবার নিরাপত্তার আবেদন করবেন বলে জানান।


ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা হল অভিজিৎ সরকার খুনের মামলা। সেদিন কাঁকুরগাছিতে অভিজিতের বাড়ির অদূরেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে নেমে সিবিআই ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে এখনও বেশ কয়েকজন অধরা। তাদের নামে পুরস্কারও ঘোষণা করে আদালত। এই মামলাটি চলতে চলতেই আইনজীবী বদল করা হয়। বদল করা হয় তদন্তকারী অফিসারও।



রেলওয়ের তরফেও সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই সংস্থাকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মোটা জরিমানা করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।    

স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে সকলে। হঠাৎ চোখ চলে গেল প্ল্যাটফর্মের টিভির দিকে। আর চোখ পড়তেই লজ্জায় লাল সকলে। টিভিতে এইসব কী চলছে… ! স্টেশনেই লাগানো টিভিতে দেখানো শুরু হল পর্ন ফিল্ম (Adult Film)। টিভির দিকে নজর পড়তেই লজ্জায় পড়ে যান ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকা যাত্রীরা (Passengers)। কেউ কেউ আবার হাঁ করে টিভির দিকেই তাকিয়ে থাকেন। প্রায় তিন মিনিট ধরে স্টেশনের টিভিতে চলল অশালীন সিনেমা, গোটা ঘটনায় চরম বিড়াম্বনায় পড়েছে রেল মন্ত্রক (Railway Ministry)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) পটনা রেলওয়ে স্টেশনে (Patna Railway Station)।



পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পটনার রেলওয়ে স্টেশনে রেলের তরফে লাগানো টিভিগুলিতে বিজ্ঞাপনের জায়গায় হঠাৎ পর্ন ফিল্ম চলতে শুরু করে। যাত্রীরাও প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেননি। কিন্তু পরে টিভিতে চলা দৃশ্যগুলি দেখে তারা চরম লজ্জায় পড়েন। প্রায় তিন মিনিট ধরে পর্ন ফিল্ম চলে। পরে যাত্রীরাই রেল পুলিশ ও রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)-র এ অভিযোগ জানান।

অভিযোগ পেতেই জিআরপি সঙ্গে সঙ্গে এসে স্টেশনের টিভিগুলি বন্ধ করে। এরপরে আরপিএফের তরফে দত্ত কমিউনিকেশন নামক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থারই দায়িত্ব ছিল টিভিতে বিজ্ঞাপন চালানোর। ওই সংস্থাকে সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয় যেন টিভিতে তারা সম্প্রচার বন্ধ করেন।



রেলওয়ের তরফেও সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই সংস্থাকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মোটা জরিমানা করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, ওই সংস্থার সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছিল, তা বাতিল করে দিয়েছে রেলওয়ে। কীভাবে প্ল্যাটফর্মের টিভিতে পর্ন ফিল্ম চালানো হল, তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, স্টেশনের সব প্ল্যাটফর্মে নয়, শুধুমাত্র ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মের টিভিতেই পর্ন ফিল্ম চলে। এই ঘটনা নিয়েই আরও প্রশ্ন উঠছে।

গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অমৃতসরে "ওয়ারিস দে পঞ্জাব" যে নেশামুক্তি কেন্দ্র ও গুরুদ্বারগুলি পরিচালন করে, সেগুলিতেই বেআইনিভাবে অস্ত্র জমা রাখা হত। নেশামুক্তি কেন্দ্রে যে সমস্ত যুবকরা ভর্তি হত, তাদের মগজ ধোলাই করে বন্দুক সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা হত।


রাজ্য়জুড়ে চলছে চিরুণি তল্লাশি। খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করতে তৎপর পঞ্জাব পুলিশ। বিগত তিনদিন ধরে চলছে অভিযান। শনিবারই অমৃতপাল সিংকে প্রায় ধরে ফেলেছিল পুলিশ, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাইকে চেপে পালিয়ে যায় অমৃতপাল সিং। এরপর থেকেই চলছে তল্লাশি অভিযান। এরইমাঝে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং পঞ্জাবের নেশামুক্তি কেন্দ্র ও গুরুদ্বারগুলিকে অস্ত্র ভাণ্ডার হিসাবে ব্য়বহার করছিলেন। এই নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতেই যুবকদের মগজ ধোলাই করা হত আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য।


রবিবারই গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে মোটা নথি জমা দেওয়া হয় পঞ্জাবের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দুবাই ফেরত অমৃতপাল সিং গত বছর পাকিস্তানের আইএসআই সংস্থা ও খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখেছিলেন। অমৃতপাল সিংয়ের অন্যতম কাজ ছিল যুব প্রজন্মকে মগজধোলাই করা এবং তাদের মানববোমা হিসাবে ব্যবহার করা।

গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অমৃতসরে “ওয়ারিস দে পঞ্জাব” যে নেশামুক্তি কেন্দ্র ও গুরুদ্বারগুলি পরিচালন করে, সেগুলিতেই বেআইনিভাবে অস্ত্র জমা রাখা হত। নেশামুক্তি কেন্দ্রে যে সমস্ত যুবকরা ভর্তি হত, তাদের মগজ ধোলাই করে বন্দুক সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা হত। সন্ত্রাসবাদী দিলওয়ার সিং, যিনি মানববোমা হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং পঞ্জাবের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেন্ত সিংকে হত্যা করে, তাঁর উদাহরণ দিয়ে রিহ্য়াবে আসা যুবকদেরও মানববোমা হওয়ার জন্য মগজধোলাই করত। বিভিন্ন নিহত সন্ত্রাসবাদীদের স্মরণসভায় যোগদান থেকে অস্ত্র ব্য়বহার নিয়ে প্রচার করতেন অমৃতপাল, এমনটাই জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান শুরু করে পঞ্জাব পুলিশ। ৭ জেলা থেকে পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়। তবে পুলিশ কনভয় আটকে অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করতে গেলে, খলিস্তানি নেতা বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। শনিবারই তাঁকে পুলিশের তরফে পলাতক বলে ঘোষণা করা হয়। অমৃতপাল সিংকে পাওয়া না গেলেও, তার সংগঠনের ৭৮ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাগরদিঘির তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্য়ুতে উপনির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। সেই ভোটে জয়ী হন কংগ্রেসের বায়রন।

কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের (Byron Biswas) রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিনে কম জল্পনা হয়নি। বিধানসভার অধ্যক্ষের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জোর বিতর্ক দানা বাঁধে। যদিও সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বারবারই দাবি করেছেন, দল বদলের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন। রবিবার আরও একবার সুর চড়ালেন বায়রন। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা যে গাড়ি চড়েন, তার থেকে দামি গাড়িতে তিনি চড়েন। তাই দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে এসব গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই। রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাগরদিঘির নবনির্বাচিত বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানেই বায়রন বলেন, “এটা কোনওদিনই সম্ভব নয়। আমি যে প্রতীকে জিতেছি, সেই প্রতীকেই থাকব। আমার কোনও অভাব নেই যে আমায় তৃণমূলে যেতে হবে। আজকে টিএমসির নেতারা যেসব গাড়িতে চড়েন, তার থেকে দামি গাড়িতে আমি চড়ি। সুতরাং অন্য দলে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।”



সাগরদিঘির তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্য়ুতে উপনির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। সেই ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেসের বায়রন। বায়রনের এই জয় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে অক্সিজেন জোগায় তৃণমূল বিরোধী শক্তিগুলিকে। সিপিএম-কংগ্রেস তো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেই, প্রধান বিরোধী বিজেপিও জোরাল অস্ত্র পেয়েছে শাসকদলকে প্রতি পলে বিঁধতে।

যদিও রবিবারই মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনের ওপার থেকে জেলার নেতাদের বার্তা দেন দলনেত্রী। সকলকে পঞ্চায়েত ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে মন্তব্য করেন, “টিএমসির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সাগরদিঘিতে টাকার খেলা চলছে।



সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই আচমকা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ভিডিয়ো পোস্ট হচ্ছে। এবার শিউরে ওঠা দৃশ্য ধরা পড়ল আমেরিকার এক নিউজ চ্যানেলে।


আচমকা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা ইদানিং অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। কোনও নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই এই ধরনের খবর আসছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রায় প্রতিদিন এই ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট হচ্ছে। সম্প্রতি, এই রকম আরও এক মর্মান্তিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। লাইভ টিভিতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হল আমেরিকার সিবিএস সংবাদমাধ্যমের লস এঞ্জেলেস শাখার আবহাওয়ার প্রতিবেদক আলিসা কার্লসন শোয়ার্টজ। ১৮ মার্চ সকালে আবহাওয়ার খবর দিতে যাওয়ার সময়ই স্ট্রোক হয় এবং ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞা হারান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব স্ট্যু পিটার্স, টুইটারে ভিডিয়োটি আপলোড করেছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, “শনিবার সকালে আবহাওয়ার প্রতিবেদনের সময় লাইভ অন-এয়ার স্ট্রোক হয়েছে সিবিএস এলএ আবহাওয়াবিদ অ্যালিসা কার্লসন শোয়ার্টজের। এই ঘটনাগুলি এত বড় হয়ে উঠছে যে আর উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।” ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, চ্যানেলের দুই অ্যাঙ্কর নিচেল মেডিনা এবং ব়্যাচেল কিম তাদের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান উপস্থাপন করছেন। আবহাওয়ার প্রতিবেদনের জন্য অ্যালিসা কার্লসন শোয়ার্টজের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন তাঁরা। প্রথমে অ্যালিসা হাসার চেষ্টা করেন। কিন্তু, এরপর কোনও কথা বলার আগেই তাঁর মুখ রক্তশূন্য হয়ে যায়। অভিব্যক্তি হারিয়ে যায় তার মুখ থেকে। উল্টে যায় চোখ। প্রথমে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন, তারপর অজ্ঞান হয়ে চেয়ার থেকে পড়ে যান অ্যালিসা।



আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB) থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন সাকিব। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সার্টিফিকেট নিলেন তিনি।

ওডিআই কেরিয়ারে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। একইসঙ্গে ৭০০০ রানের ক্লাবের সদস্য তিনি। ওডিআই ফরম্যাটে একসঙ্গে সাত হাজার রান এবং তিনশো উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে বিশ্বের গুটিকয়েক ক্রিকেটারের। তাঁদেরই মধ্যে একজন বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket) টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (Shakib al Hasan)। কেরিয়ারে যেমন সাফল্য পেয়েছেন তেমনই সাম্প্রতিক অতীতে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। এসবের মাঝেই এক অন্যরকম সাফল্য সাকিবের জীবনে। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার গ্র্যাজুয়েশন (Graduation) কমপ্লিট করলেন। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB) থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন সাকিব। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্নাতক স্তরের সার্টিফিকেট নিলেন তিনি। সাকিবের কাছে এই অনুভূতি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।


বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওডিআই ম্যাচে ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাকিব। হাত ঘুরিয়ে ১টি উইকেটও নেন। আইরিশদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেকর্ড রানে জিতেছে। দেশকে জিতিয়েই পরদিন সাকিবকে দেখা গেল কালো-সবুজ গাউন গায়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখন অফিশিয়ালি গ্রাজুয়েট। ১৯ মার্চ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (AIUB)-এর শিক্ষার্থী সাকিব ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন।গ্র্যাজুয়েটদের তালিকায় অলরাউন্ডারের নাম দেখা যায়, ‘খন্দকার সাকিব আল হাসান’ হিসেবে।


এই ইউনিভার্সিটির ২০০৯-১০ সেশন থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন সাকিব। এতদিন পর গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট পেয়ে অনুভূতিটা কেমন? সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেটার বললেন, “ক্রিকেটে যখন আমার অভিষেক হয় তখন যেমন মনে হয়েছিল, এত বছর পর ফের সেই একই অনুভূতি। ২০০৯ সালে ক্রিকেট কেরিয়ারের তিন বছর হয়ে যাওয়ার পরও আম্মা ফোন করে পড়াশোনার খবর নিতেন। আজ আমি খুবই খুশি, আনন্দিত এবং গর্বিত। অবশেষে আমার স্বপ্ন পূরণ হল। গ্র্যাজুয়েট হওয়া আমার সবসময়ের স্বপ্ন ছিল।”

তিনি বলেন, এই বুথে যদি বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের একটিও লোক পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে এখানে 'গদ্দার' আছে।


বুথের প্রতিটি বাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর ফরমান দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। শনিবার দিনহাটা-ভিলেজ-১ অঞ্চল তৃণমূলের একটি বুথ সম্মেলন ছিল। সেখানেই উদয়ন গুহ এই ফরমান দেন। তিনি বলেন, “এই বুথের প্রতিটা বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চিহ্নিত করে দিতে হবে, এটা হচ্ছে তৃণমূলের বাড়ি। এ বাড়িতে আর অন্য কারও স্থান নেই। আমরা দেখতে চাই ১৫ দিনের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রত্যেকটা বাড়িকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় মালিক যেন এসে বলেন আমাদের বাড়িতে পতাকা লাগান।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই বুথে যদি বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের একটিও লোক পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে এখানে ‘গদ্দার’ আছে। তৃণমূলের এই বক্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু জেলায় জেলায়। শাসক, বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।


কোচবিহারে এরকমই এক দলীয় কর্মসূচি থেকে উদয়ন গুহকে শনিবার বলতে শোনা যায়, “এই পঞ্চায়েতে ১২টা আসন রয়েছে। ১২টা আসনেই আমাদের জয়ী হতে হবে। বুথে দল যাকে প্রার্থী করবে, তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে। সকলকে মিলেমিশে এটা করতে হবে। যেখানে জোড়া ফুল, সেখানে ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।”


এরপরই উদয়ন গুহ বলেন, “তবে শুধু ভোটে জয় নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য এত কিছু করার পরও যদি বুথে একজনও বিজেপি বেরোয়, একজনও সিপিএম পাওয়া যায়, একজনও কংগ্রেসের লোক পাওয়া যায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে গদ্দার আমাদের নিজেদের ভিতরে আছে। সারাদিন আমাদের সঙ্গে থেকে রাতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার চিন্তা করছে, এরকম লোক থাকলে তাদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে। এই লোকগুলোকেও দেখে নিতে হবে যাতে দু’ নৌকায় পা দিয়ে গ্রামের ক্ষতি না করতে পারে। এই বুথে যত কর্মীরা আছেন সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে তা নজর রাখবেন।”

গোয়েন্দা সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর ছিল, একটি লরির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করা হবে। সেই খবর মতো সতর্ক ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা।

ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতি দিন যাতায়াত করে প্রচুর লরি। দুদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ করে এই সব লরিগুলি। কিন্তু এই পণ্য পরিবহণের আড়ালে চোরা কারাবারিও চালানোর চেষ্টা করেন এক দল অসাধু ব্যক্তিরা। কিন্তু সীমান্ত সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর। বিএসএফের তৎপরতায় ব্যর্থ হল সোনার বিস্কুট পাচারের চেষ্টা। রবিবার সকালে পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছেন একটি লরি থেকে। ওই লরি বোঝাই ছিল মাছে। বাংলাদেশ থেকে মাছ আসছিল ওই লরিতে। মাছ আনার জন্য থার্মোকলের বাক্স ব্যবহার করা হয় তার মধ্যেই লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল ৪০টি সোনার বিস্কুট। যার ওজন ৪ কিলোগ্রাম ৬৬৭ গ্রাম। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই সোনার মূল্য ২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৬১ টাকা। পাচারের অভিযোগে ওই লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে লরির চালককেও।


বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর ছিল, একটি লরির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করা হবে। সেই খবর মতো সতর্ক ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। রবিবার সকালে সন্দেহভাজন একটি লরিকে পেট্রাপোল সীমান্তে থামানয় বিএসএফ। ওই লরিতে করে মাছ আনা হচ্ছিল ভারতে। জওয়ানরা সেই লরিতে চিরুণি তল্লাসি চালান। তখনই থার্মোকলের বাক্স থেকে উদ্ধার হয় সোনার বিস্কুট। এর পরই ওই লরি এবং লরিচালককে আটক করে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত লরি চালকের নাম সুশংকর দাস। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়।


জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই লরিচালক জানিয়েছেন, তিনি ১৫ বছর ধরে লরি চালাচ্ছেন। তিনি যে লরি চালান তার মালিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম। সাতক্ষীরার রয়েস ইন্টারন্যাশনাল লরিতে মাছ বোঝাই করে ভারতে আসছিলেন তিনি। এই মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন ওই লরি চালক। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির সময় তাকে সোনার বিস্কুট সহ আটক করে নেয়। আটক পাচারকারীকে সোনার বিস্কুট ও ট্রাকসহ কাস্টমস অফিস, পেট্রাপোল, তেঁতুলিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, "বাংলার জায়গা। সেখানে একজন শিক্ষিকাকে এটা বলে দেওয়া যায়?

বাংলা পড়ার ছাত্র নেই স্কুলে, তাই বাংলার শিক্ষিকাকে স্কুলে আসতে মানা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের একটি বেসরকারি স্কুলের এমন ফরমানে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এলাকার লোকজনও অত্যন্ত খারাপ চোখেই দেখছেন এই বিষয়টি। ঘটনার নিন্দায় এবার মুখ খুলল রাজনৈতিকমহল, শিক্ষাবিদরাও। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে একটা স্কুল কীভাবে এমন ভাষা শিক্ষিকাকে চিঠি ধরালেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কর্তৃপক্ষেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন। নিন্দা করেছেন শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও।


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “যে বেসরকারি স্কুলটি এই কাণ্ড করেছে, হয়ত তাদের কোনও কারণে কাউকে চিঠি দেওয়া দরকার ছিল বা কোনও পদক্ষেপ করা দরকার ছিল। তা বলে বাংলায় দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষা শেখার লোক নেই, বাংলা ভাষার চাহিদা নেই, এসব কী কথাবার্তা? এটা কোনও স্কুলের ম্যানেজমেন্টের চিঠি। কেন লিখবেন এইভাবে? আর বাংলা কেন পড়বে না? কোনওভাবে যদি বাংলার পড়ুয়া কমতেও থাকে, সেই স্টুডেন্ট বাড়ানোটাও তো সেই স্কুলেরই ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব। বাংলার শিক্ষককে আপনি চিঠি দিচ্ছেন! এটা সরকারি স্কুল নয়, কতটা কী বলা যায়, না বলা যায় সমস্যার ব্যাপার। তবে যে বেসরকারি স্কুল এই কীর্তি করেছে, তারা কোনও অবস্থায় ঠিক কাজ করেনি। যেখানে আমরা আরও বেশি করে বাংলাকে চাঙ্গা করতে চাইছি। নিশ্চিতভাবে ইংরাজি থাকবে, যারা হিন্দি পড়ে পড়বে, যে ভাষা পড়ে পড়বে। কিন্তু বাংলা শেখার আগ্রহ নেই বা ছাত্র নেই বলে বাংলার শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে আমি কর্মচ্যুত করব এটা সমর্থনযোগ্য নয়।”

অন্যদিকে শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, “বাংলার জায়গা। সেখানে একজন শিক্ষিকাকে এটা বলে দেওয়া যায়? তাহলে এক সময় নিয়েছিলেন কেন? নিশ্চয়ই বাংলা শেখার লোক আছে। কিছু কম পড়েছে সেটা হতে পারে। কিন্তু তাই বলে সুযোগটাই নষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। একটা স্কুলে সবরকম ব্যবস্থাই থাকা উচিত। আমি তো মনে করি হিন্দি প্রোমোট করার জন্য এটা করছেন। প্রাইভেট স্কুল কলেজে এটা হয়। যেটায় আমার পয়সা হচ্ছে না, অতএব সেটা ছেঁটে দাও। কিন্তু সব তো এত ব্যবসায়িক দিক থেকে দেখলে চলে না। অবধারিতভাবে বলে মনে করি এটায় অন্যায় হয়েছে।”

সোমবার মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে সেলিব্রেশন। মোহনবাগানের এই সাফল্যের শরিক হতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ক্লাবের তরফে এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চ্য়াম্পিয়ন হয়েছে সবুজ মেরুন। এ দিন দল কলকাতায় ফিরতেই জনপ্লাবন। বিমানবন্দর থেকে বৃষ্টি মাথায় টিম বাসের সঙ্গী হলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। RPSG অফিসে এ দিন এক দফা সেলিব্রেশন হল। ফুটবলাররা ক্লান্ত। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ এবং ফাইনাল। দুটি ম্য়াচেরই নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। ভারতসেরা হওয়ার সেলিব্রেশন এক দিনেই শেষ হয়ে যাবে! এক্কেবারেই নয়। আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে সেলিব্রেশন। মোহনবাগানের এই সাফল্যের শরিক হতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ক্লাবের তরফে এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ দিন শহরে ফিরে কী বলছেন মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল? বিস্তারিত 


সকাল থেকেই বৃষ্টির আনাগোনা। এর মাঝেও চ্যাম্পিয়ন দলকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। অভিভূত মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরে ফেরার অনুভূতিই আলাদা। খুবই ভালো লাগছে। এত সমর্থক উপস্থিত ছিল। ঠিক যেন আট বছর আগের সঙ্গে মেলাতে পারছি। সে বার বেঙ্গালুরু থেকে আই লিগ চ্য়াম্পিয়ন হয়ে ফিরেছিলাম। এ ভাবেই সমর্থকদের আদরে ভেসে গিয়েছিলাম। এ বারও তেমনই হল। নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল যে, আমরা চ্য়াম্পিয়ন হতে পারি।’

প্রীতমের মুখে শুধুই টিমের কথা। আরও যোগ করলেন, ‘সামনে সুপার কাপ রয়েছে। এখন আমাদের নজরে সুপার কাপ।’ সমর্থকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর মোহনবাগান নামের আগে থেকে এটিকে সরছে। পরের মরসুম থেকে সবুজ মেরুন খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নামে। প্রীতম বলছেন, ‘এটা ম্য়ানেজমেন্টের ব্য়াপার। তবে সমর্থকদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা ভালো।’


বিশাল কাইথ ম্য়াচের পর মাঠেই গোল্ডেন গ্লাভস মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন। এ দিন শহরে ফিরে বললেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের দল একটা পরিবারের মতো। টাইব্রেকারের ক্ষেত্রে গোলকিপার কোচ খুবই সাহায্য করেছে। আর অনেকেই বলছেন, জাতীয় দল নিয়ে। সেটা তো আমার হাতে নেই। আমি শুধু পারফরম্য়ান্স করে যাব।’

আসানসোল থানায় ঢোকার আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূলের নাম না করে তাঁর অভিযোগ, স্লোগান বদলে গিয়েছে। এখন বদল নয়, বদলা চাই।


কম্বলকাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারি নিয়ে তপ্ত আসানসোল। শনিবার ভিন্‌রাজ্য থেকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের পর রাতেই তাঁকে থানায় নিয়ে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। রবিবার সকালে আসানসোলের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় জিতেন্দ্রকে। আসানসোল আদালতে তাঁর শুনানি হয়। নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেন পেশায় আইনজীবী জিতেন্দ্র। ২ পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আদালত থেকে জিতেন্দ্র বেরনোর সময়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, যদি অনুব্রতকে কালো কাচের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাহলে তাঁদের নেতাকে কেন ‘ভাঙা পিসিআর ভ্যানে’ নিয়ে যাওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।


KEY Highlights

আসানসোলের বিশেষ আদালতে এদিন নিজের হয়ে সওয়াল করেন পেশায় আইনজীবী জিতেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে জানিয়ে তাঁকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানান। তবে বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এক বিজেপি কর্মী বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন মহানাগরিক। তাঁর স্ত্রী বিরোধী দলনেতা আসানসোল নগনিগমের। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষের সেবার জন্য কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছিলেন। সেবামূলক কর্মসূচিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমব্যথী। কিন্তু একজন গরু চোরকে যখন কালো কাচের গাড়িতে পুলিশ নিয়ে যায়, শক্তিগড়ে রেস্টুরেন্টে কচুরি খাওয়াচ্ছে, আমাদের নেতাকে কেন ভাঙা ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হবে? দ্বিচারিতার প্রতিবাদ করেছি।”

আসানসোল থানায় ঢোকার আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূলের নাম না করে তাঁর অভিযোগ, স্লোগান বদলে গিয়েছে। এখন বদল নয়, বদলা চাই। বামেদের থেকে তৃণমূল বেশি অত্যাচারী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিব চর্চা অনুষ্ঠান হয়। ধর্মীয় সেই অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্রর স্ত্রী কাউন্সিলর চৈতালির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি প্রতীকী হিসাবে কয়েকজনের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে চলে যান। এরপরই শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি।
পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক ব্যক্তির। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত এক ব্যক্তির পরিজন। একাধিকবার পুলিশ গিয়ে চৈতালি ও জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়।
এরপর জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শনিবার আচমকাই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে।

শনিবারের পর রবিবারও তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ শয়ে-শয়ে তৃণমূল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন।

সাগরদিঘির উপনির্বাচনের জয় যেন বাড়তি অক্সিজেন এনে দিয়েছে হাত শিবিরে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক জায়গা থেকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের খবর উঠে এসেছে। আজই সাংবাদিক বৈঠক থেকে কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করে বলেন, “আগামী দিনে আরও সাগরদিঘি হবে।” কংগ্রেস দলনেতার বৈঠক শেষ হওয়ার পরই তৃণমূলে ভাঙনের খবর প্রকাশ্যে আসে।


শনিবারের পর রবিবারও তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ শয়ে-শয়ে তৃণমূল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি, জলঙ্গি,ডোমকল-রেজিনগর,মুর্শিদাবাদ বিধানসভা সহ একাধিক এলাকার তৃণমূল কর্মীরা রবিবার যোগদান করেন হাত শিবিরে। এমনকী মুর্শিদাবাদ পৌরসভার বেশ কিছু বিজেপি কর্মীরাও কংগ্রেসে যোগদান করেন।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জেলা কংগ্রেসে কার্যালয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যোগাদান সভার আয়োজন করা হয়। রবিবার দুপুরে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। গতকাল জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রায় হাজারের থেকে বেশি তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন। তারপর গতকাল বিকেলে খড়গ্ৰামে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রধান সহ হাজারের বেশি তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন।


প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেই যোগদান সভায় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লক থেকে হাজারের বেশি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক দল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করেন। পাশাপাশি ভগবানগোলা থেকে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীও কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরপর আজ ফের তৃণমূল ছাড়লেন প্রচুর কর্মী।

মাধ্যমিকে ব্যাক পেয়েছিলেন। পরের বছর আবারও মাধ্যমিক দেন। বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। কিন্তু ছেলের পড়াশোনার অবস্থা দেখে একটা দোকান কিনে দিয়েছিলেন ছেলেকে।

মাধ্যমিক ‘ব্যাক’ পাওয়া ছেলেটা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিল বলাগড়ের বেতাজ বাদশা। পড়াশোনায় কোনও কালেই মুখ উজ্জ্বল করেননি পরিবারে। কিন্তু দুর্নীতির সিঁড়ি বেয়ে উঠে দু’হাত টাকা কামিয়েছেন। বানিয়েছেন কুবেরের ধন। আর শাসকদলের তাবড় নেতা হয়ে ওঠার পর তো আর কথাই নেই। নেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সম্পর্কে যখন টিভিতে-সংবাদমাধ্যমে এত খবর দেখছেন, খুব একটা বেশি বিস্মিত হচ্ছেন না তাঁর ছেলেবেলার বন্ধুরাও। বলাগড়ে তো এমনিতেই লোকের মুখে মুখে ফিরছে, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ বলাগড়ে গিয়ে দেখা মিলল শান্তনুর একটা স্কুলজীবনের বন্ধুর সঙ্গে। একেবারেই ছাপোষা এক ব্যক্তি। তিনি জানালেন, শান্তনুর ছেলেবেলার কথা। শান্তনু বলাগড় হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। মাধ্যমিকে ব্যাক পেয়েছিলেন। পরের বছর আবারও মাধ্যমিক দেন। বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। কিন্তু ছেলের পড়াশোনার অবস্থা দেখে একটা দোকান কিনে দিয়েছিলেন ছেলেকে। ভেবেছিলেন ব্যবসাপাতি করেই রুজিরুটির ব্যবস্থা করবে ছেলে। ব্যবসা করলেন বটে ছেলে, তবে তা জোচ্চুরির ব্যবসাই বটে!


শান্তনুর বন্ধুই জানান, মোবাইলের দোকানে কাজ করতে করতেই একটি গাড়ি কেনেন তিনি। তারপরে বাবার মৃত্যুর হয়। বাবা কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়ায়, তাঁর চাকরিটা পেয়ে যান শান্তনু। ২০১১ সাল থেকে একটু একটু করে উত্থান।

যে এলাকায় শান্তনুর দোকান ছিল, তার কাছেই ছিল প্রিয়াঙ্কার বাড়ি। সেখান থেকেই দু’জনের পরিচয়। তারপর ভালবেসে বিয়ে। বলাগড়ের বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন, সহধর্মিনী ধীরে ধীরে সহকর্মীও হয়ে ওঠেন। হুগলির চন্দননগরে প্রোমোটারিতে যে বিনিয়োগ করেছিলেন শান্তনু, তা স্ত্রীর নামেই। শান্তনুর গ্রেফতারির পরেই প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নাম। ইডি-র তল্লাশিতে শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি, তিনি তাঁর স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না।



শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের গেস্টহাউসের তালা ভেঙে শনিবারই তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এরইমধ্যে উঠেছে আরও বড় অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ইডি তল্লাশি সেরে চলে যাওয়ার পরে ওই গেস্ট হাউসে রাতে পার্টি হয়। পার্টি শেষ হওয়ার পরে গেস্ট হাউসে লাগানো হয় নতুন তালা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শান্তনু আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করিয়ে নির্বাচন করাতেন। শান্তনুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগকারীকে গুলি করে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। বলাগড় পঞ্চায়েত এলাকায় শান্তনুর এত সম্পত্তি হল কী করে? পঞ্চায়েতের তরফে কী প্রতিক্রিয়া? বলাগড় পঞ্চায়েতের প্রধান সুস্মিতা মুখোপাধ্যায় বাড়িতে গেলেও মেলেনি না কোনও সাড়া শব্দ। তারপর একই প্রশ্ন নিয়ে উপপ্রধান পপি মুস্তাফির বাড়িতে যাওয়া হয়। অনেক ডাকাডাকিতেও উত্তর দেননি তিনি।

সূত্রের খবর, নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্তোরাঁ, হোম স্টে, বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে, যেগুলির সঙ্গে যোগ রয়েছে শান্তনু এবং প্রিয়াঙ্কার। মাধ্যমিকে ‘ব্যাক’ পেয়েও এই বিশাল সাম্রাজ্যের ‘মালিক’ শান্তনুর পিঠপিছে এখন বিদ্রুপের হাসি হাসছে বলাগড়।

মেষ রাশিতে বুধের আগমনের কারণে ৩১ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থ ও কর্মজীবন, ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন রাশির জাতকদের সমস্যায় জর্জরিত থাকবে, তা দেখে নিন...

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ৩১ মার্চ মেষ রাশিতে প্রবেশ করতে চলেছে বুধ গ্রহ। এর আগে ৩০ মার্চ বুধ মীন রাশি থেকে গমন করবে । এই পরিস্থিতিতে বুধ যখন মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে তখন তা ক্রমবর্ধমান অবস্থায় থাকবে। মেষ রাশিতে বুধ শুক্র ও রাহুর সঙ্গে মিলিত হবে। শুক্র ও বুধ মিলে লক্ষ্মী নারায়ণ যোগ তৈরি করলেও জ্যোতিষশাস্ত্রে বুধ ও মঙ্গলকে পরস্পরবিরোধী গ্রহ হিসেবে ধরা হয়। মেষ রাশির অধিপতি মঙ্গল ও এখানে বুধের আগমনের কারণে বুধ অনেক রাশিকে লক্ষ্মী-নারায়ণ যোগের সুফল প্রদান করবেন। কিছু রাশির জন্য আবার বিরূপ ফলও দেবে। মেষ রাশিতে বুধের আগমনের কারণে ৩১ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থ ও কর্মজীবন, ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন রাশির জাতকদের সমস্যায় জর্জরিত থাকবে, তা দেখে নিন…


মেষ রাশি

মেষ রাশিতে বুধের গমনের কারণে ৩১ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময়টি মেষ রাশির জাতকদের জন্য খুব ব্যয়বহুল হবে। এই রাশির লোকদের এই সময়ে সাবধানে ব্যয় করতে হবে, অন্যথায় উপার্জনের চেয়ে বেশি ব্যয়ের কারণে আপনার বাজেট শূণ্য হয়ে যেতে পারে। এই সময়ে আপনার বিজ্ঞ এক ব্যক্তির সঙ্গে বিনিয়োগ করা উচিত। যতদূর সম্ভব অর্থ সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। চাকরি ব্যবসায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে, উপার্জন ঠিক থাকবে। অপ্রয়োজনীয় ও অবাঞ্ছিত ভ্রমণও করতে হতে পারে। যারা টাকা ধার চাইছেন তাদের থেকে এই সময়ে আপনার সাবধান হওয়া উচিত, প্রদত্ত অর্থ আটকে যেতে পারে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারতীয় মুদ্রা। ১৮টি দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে স্পেশাল ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট এবং বাণিজ্যিক নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহারের অনুমতি দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারতীয় মুদ্রা। ইতিমধ্যেই ১৮টি দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে স্পেশাল ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট বা এসভিআরএ খুলতে এবং বাণিজ্যিক মূল্য নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সংসদে এই তথ্য দিয়েছে ভারত সরকার। এই ১৮টি দেশ হল – ফিজি, বতসোয়ানা, গায়ানা, জার্মানি, কেনিয়া, ইজরায়েল, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মায়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ওমান, রাশিয়া, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং ব্রিটেন।


কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভাগবত করদ বলেছেন, এই ১৮টি দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে ভারতের অনুমোদিত ডিলার ব্যাঙ্কগুলির কাছে যেতে হবে। তারা যথাযথ পদ্ধতি সম্পন্ন করার পর এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আরবিআই-এর অনুমতি নেবে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পণ্য সংকটের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের সময় যে সমস্ত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেগুলির সমাধান হিসেবে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভাগবত করদ যে ১৮টি দেশের নাম জানিয়েছেন, এর মধ্যে রাশিয়া সামগ্রিক বাণিজ্য প্রক্রিয়ার জন্য স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য মার্কিন ডলারকে বিশ্ব বাণিজ্যে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া। অন্যদিকে ভারতও স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের ধারণাকে সমর্থন করছে। তবে নয়া দিল্লির লক্ষ্য হল রফতানি বৃদ্ধি।


রাজ্যসভায় ভাগবত করদ জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১১ জুলাই আরবিআই-এর জারি করা সার্কুলারে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার সমস্তদ পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। এই বিষয়ে যে যে প্রশ্ন উঠে এসেছে, সেগুলির উত্তরও দেওয়া হয়েছে আরবিআই-এর ওয়েবসাইটে। ব্যাঙ্ক, আমদানিকারী এবং রপ্তানিকারীরা কীভাবে ভারতীয় মুদ্রায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কীভাবে করবে, সেই বিষয়গুলি স্পষ্ট করেছে আরবিআই। ‘ভারতীয় মুদ্রায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তি’ বিভাগে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

গত সপ্তাহেই ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে ধরা পড়েন এক যুবক।

ফের হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড় (Money Recover)। ৩২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে আরপিএফ। বেআইনিভাবে টাকা নিয়ে যাওয়া রুখতে আরপিএফের তরফে অভিযান ‘সতর্ক’ চালু হয়েছে। এরপরই একইদিনে দু’ দফায় হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। শনিবার হাওড়া স্টেশনে আরপিএফের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ এবং ক্রাইম প্রিভেনশন ও ডিটেকশন স্কোয়াডের আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। প্রথমে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক ব্যক্তিকে আটক করে তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা বিধান চন্দ্র কুমার (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যাগ থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়।


এরপর আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে তদন্তকারীরা। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। দু’জনই এই টাকার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আটক দুই ব্যক্তি ও টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতা কাস্টমস বিভাগের হাতে।

গত সপ্তাহেও টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে হাওড়া স্টেশনে। গত রবিবারই নগদ ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে। এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে রেল পুলিশ। এরপরই কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ব্যাকপ্যাক থেকে ওই বিপুল টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।



অস্কার পাওয়ার উন্মাদনা এখনও ফিকে হয়নি। সদ্য বিশ্বজয় করে দেশে ফিরেছেন রামচরণ, এনটিআর জুনিয়রেররা। তবে জানেন কি, অস্কারের মঞ্চে এই যে তাঁরা হাজির হলেন, সে কারণে খরচ করতে হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।


অস্কার পাওয়ার উন্মাদনা এখনও ফিকে হয়নি। সদ্য বিশ্বজয় করে দেশে ফিরেছেন রামচরণ, এনটিআর জুনিয়রেররা। তবে জানেন কি, অস্কারের মঞ্চে এই যে তাঁরা হাজির হলেন, সে কারণে খরচ করতে হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। লস এঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে অস্কার লাইভ দেখতে নাকি মোটেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁদের। নিজেরাই গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে পৌঁছে গিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ পাননি তাঁরা? আর অস্কারের মঞ্চে পৌঁছতে কত টাকাই বা দিতে হয় তাঁদের? সূত্র মারফৎ প্রকাশ্যে নতুন তথ্য। রাজামৌলী পরিচালিত ছবি ‘আরআরআর’-এর ‘নাটু নাটু’ গানটি অস্কারের শ্রেষ্ঠ অরিজিনাল সং বিভাগে মনোনীত হয়েছিল। ওই গানের কম্পোজার কীরাবাণী ও গীতিকার চন্দ্র বোসকেই তাই শুধু অস্কারের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁরা সঙ্গে একজনকে নিয়ে আসার অনুমতি পেয়েছিলেন। যেহেতু সেরা ছবি বা অন্য কোনও বিভাগে অস্কায় মনোনয়ন পায়নি ছবিটি তাই অভিনেতা বা পরিচালকও নিমন্ত্রণ পাননি। কিন্তু তাই বলে কি বিশেষ মুহূর্ত চাক্ষুষ করবেন না? সূত্র জানাচ্ছে অস্কারের পাস প্রায় ২৫ হাজার ডলার খরচ করেছেন তাঁরা। যার মানে ভারতীয় মুদ্রায় পাস প্রতি লেগেছে প্রায় ২১ লক্ষের কাছাকাছি। এ সবই নাকি খরচ করেছে ছবিটির মার্কেটিং টিম। তবে টাকা খরচা তাঁদের বিফলে যায়নি। সবাই মিলে একসঙ্গেই উদযাপন করেছে টিমের জিৎ।




নাসরিনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার উজ্জ্বলপুকুর এলাকায়। ১৯ বছরের নাসরিনের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন ছিল।


ফের চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিযোগ উঠল বর্ধমানে (Burdwan)। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে এক তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহতের নাম নাসরিন খাতুন (১৯)। ভুল চিকিৎসায় নাসরিনের মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয় বর্ধমান থানায়। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগের আঙুল চিকিৎসক এবং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, শুধু চিকিৎসায় গাফিলতিই নয়। ভুল চিকিৎসা, দুর্ব্যবহারও করেছে কর্তৃপক্ষ। রোগীর মৃত্যুর যথার্থ তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগও জানানো হবে বলে জানান মৃতের আত্মীয়রা।


নাসরিনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার উজ্জ্বলপুকুর এলাকায়। ১৯ বছরের নাসরিনের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন ছিল। খোশবাগানের একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তির পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। নিহতের আত্মীয় মহম্মদ মুরসালিন ফারহান বলেন, “১৬ মার্চ ওকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। তার আগে ১৫ তারিখ বড়নীলপুরে চিকিৎসকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেদিনই ডাক্তারবাবু বলেছিলেন অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যার কথা। অপারেশনও করতে বলেছিলেন। বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও করা হয়। রিপোর্টে কোনও খারাপ কিছু ছিল না। ১৭ তারিখ অপারেশন হয়।”

পরিবারের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে প্রায় আড়াই ঘণ্টা কেটে গিয়েছিল। বারবার বাড়ির লোকেরা অস্থির হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান। কোনও জবাবই দেওয়া হয়নি। এমনকী পরিবারকে না জানিয়েই রোগীকে আইসিইউয়ে স্থানান্তরিত করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এক আত্মীয়ের কথায়, পরে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের পর রোগীর শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা হয়। তাই আইসিইউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিয়ের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকেই টাকা তুলতে পারবেন সদস্যরা। তবে এর জন্য কিছু শর্তও রয়েছে।
অনেক নারী পুরুষই বিয়ের স্বপ্ন দেখে থাকেন। জীবনে চলার পথে একজন সঙ্গীকে পাশে চান। আর সেই স্বপ্নের মানুষের সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক হতে চান অনেকেই। আর সামাজিক বিবাহ অনুষ্ঠান মানেই অনেক টাকার খরচ। স্বনির্ভর ছেলে মেয়েরা কোনও সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করলে মাসিক বেতন থেকে অল্প অল্প করে এই বিশেষ দিনের জন্য সঞ্চয় শুরু করেন। কিন্তু সেই টাকাও যদি যথেষ্ট না হয়? টাকা কম পড়লে অন্য কারও কাছে হাত পাতার কোনও প্রয়োজন নেই। বিয়ের জন্য আপনার পিএফ অ্য়াকাউন্টে জমা করা টাকাই তুলতে পারবেন আপনি। সেক্ষেত্রে কিছু শর্তে এই অনুমতি দিয়েছে ইপিএফও (EPFO)। সঞ্চয়ের একটি উপায় হল প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund)। আবার এই ফান্ডের টাকাই মানুষে বিপদে সাহায্য করে।


বেতনভুগ কর্মীদের মূল বেতনের একটি অংশ প্রতি মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হয়। সেই অঙ্কের উপর নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয় সরকার। এ বছর সরকার ৮.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনও প্রয়োজনে সেই টাকা তুলতে পারেন কর্মীরা। অর্থাৎ, বিয়ের জন্য টাকার প্রয়োজন হলে এই প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকেই টাকা তুলতে পারেন ইপিএফও সদস্যরা।

সম্প্রতি বিয়ের জন্য পিএফ থেকে টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সদস্যদের। তবে ইপিএফও সদস্যের সঙ্গে পাত্র-পাত্রীর রক্তের সম্পর্ক থাকতে হবে। পাত্র-পাত্রীকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছেলে, মেয়ে, ভাই বা বোন বা অ্য়াকাউন্টধারী হতে হবে। তবে পিএফ অ্যাকাউন্টে লাগাতার ৭ বছর ধরে টাকা জমা হওয়ার পরই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

 চট্টগ্রামের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে চান্দগাঁও এলাকার ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং চকবাজার এলাকার ৩২ বছর বয়সী এক মহিলারর দেহ এসেছিল। এদের মতদেহের সঙ্গেই যৌন সংসর্গ করেছিলেন অভিযুক্ত।

মহিলাদের মৃতদেহ ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হাসপাতালের মর্গে দুজন মহিলার দেহ রাখা ছিল। সেই মৃতদেহগুলিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে এই ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনি ওই মর্গের পাহারাদার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি মৃতদেহগুলি থেকে ওই ব্যক্তি বীর্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় মৃতদেহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের। চট্টগ্রামের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ঘটেছিল এই ঘটনা।


চট্টগ্রামের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে চান্দগাঁও এলাকার ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং চকবাজার এলাকার ৩২ বছর বয়সী এক মহিলারর দেহ এসেছিল। অপঘাতে মৃত্যু হয় এই দুজনের। এদের মতদেহের সঙ্গেই যৌন সংসর্গ করেছিলেন অভিযুক্ত। ওই দেহগুলির ময়নাতদন্ত হওয়ার আগে এই কাজ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। দুই কিশোরীর নমুনা পরীক্ষায় অভিযুক্তের বীর্যের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ পুলিশ।


জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাহারাদারের কাজ করতেন। হাসপাতালে থেকে তিনি মাইনে পেতেন না। অবশ্য যে সমস্ত দেহ সেখানে আসত, সেগুলি নামানো এবং পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় মৃতদের পরিজনদের কাছ থেকে পয়সা নিতেন তিনি। এর মধ্যেই ওই দুই মহিলার মৃতদেহের সঙ্গে ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হন অভিযুক্ত। অতীতে তিনি এ রকম কাজ করেছিলেন কি না তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

এই ছবিটি তৈরি করেছে। রংবেরঙের হরেক কিসিমের হাওয়াই চটি রয়েছে এখানে। রয়েছে স্লিপারের বিভিন্ন প্যাটার্ন এবং ডিজ়াইন। এখান থেকেই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে, জোড়ায় নেই, একা রয়েছে এমন একটা হাওয়াই চটি।

আজকাল অপটিক্যাল ইলিউশনের পাশাপাশি আরও কিছু ছবি ভাইরাল হচ্ছে, যেগুলি Brain Teaser বলা হয়। অপটিক্যাল ইলিউশন যেখানে একটু ঘুরপথে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতার পরীক্ষা করে, এই ব্রেইন টিজ়ারগুলি সরাসরি আপনার IQ Test করে। এই ধাঁধাগুলি সমাধান করার সময় আপনাকে অতি অবশ্যই তা খুঁটিয়ে দেখতে হবে এবং যুক্তি দিয়েই শেষমেশ তার উত্তরে পৌঁছে যেতে হবে। তেমনই একটা চমৎকার ব্রেইন টিজ়ার হাজির হয়েছে আপনাদের জন্য। এই ছবিতে আপনি নিশ্চয়ই অনেকগুলো স্লিপার (Slipper) বা হাওয়াই চটি দেখতে পাচ্ছেন? যে স্লিপারগুলি আপনি দেখছেন, সেগুলির সবই জোড়ায় রয়েছে। আপনার কাজ হল এই ছবি থেকেই একটি এমন হাওয়াই চটি খুঁজে বের করা, যা জোড়া নেই (No Pair)।


Bright Side এই ছবিটি তৈরি করেছে। এ এক দুর্ধর্ষ অলঙ্করণ, যা আপনার মনোযোগ অন্য কোথাও যেতে দেবে না। রংবেরঙের হরেক কিসিমের হাওয়াই চটি রয়েছে এখানে। রয়েছে স্লিপারের বিভিন্ন প্যাটার্ন এবং ডিজ়াইন। এখান থেকেই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে, জোড়ায় নেই, একা রয়েছে এমন একটা হাওয়াই চটি। তার জন্য আপনাকে প্রতিটা স্লিপারের দিকেই ভাল করে তাকিয়ে থাকতে হবে।

ব্রাইট সাইড এই ছবি তৈরি করার পর তার ক্যাপশনে লিখেছিল, “জোড়গুলি ম্যাচ করে বলুন তো কোনটি বাদ পড়েছে?” হ্যাঁ, এই ব্রেইন টিজ়ারের উত্তর খুঁজে পেতে আপনাকে প্রতিটা চপ্পল ভাল করে খুঁটিয়ে দেখতে হবে, যাতে আপনি বুঝতে পারেন কোনটি জোড়ায় রয়েছে আর কোনটি একলা?

কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বাংলা ভাষার পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। এই কারণ দেখিয়ে ওই বাংলার শিক্ষিকা স্কুলে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।

স্কুল ইংরেজি মিডিয়াম। স্কুলে পড়ুয়াদের প্রথম ভাষা ইংরেজি। দ্বিতীয় ভাষা হয় হিন্দি কিংবা বাংলা। এমন অবস্থায় ওই ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে স্কুলে চিঠি পাঠিয়ে স্কুলে আসতে বারণ করে দেওয়া হল। এমনই এক ঘটনা ঘটল বেলঘড়িয়ার আড়িয়াদহে এক বেসরকারি স্কুলে। আবার সেই চিঠিতেও রয়েছে ভুল। প্রথমে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল – বাংলা (ভাষা) প্রায় নেই বললেই চলে। পরে অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ভুল সংশোধন করে আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বাংলা ভাষার পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। এই কারণ দেখিয়ে ওই বাংলার শিক্ষিকা স্কুলে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।


বাংলার শিক্ষিকাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যে কয়েকজন বাংলার পড়ুয়া রয়েছে, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে বাড়িতে পড়ে নেওয়ার জন্য। স্কুলের তরফে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে, ‘গতবছর বাংলার পড়ুয়া ছিল ৫-৬ জন। এই বছর এখনও পর্যন্ত নেই, তবে ৩-৪ জন বাংলার পড়ুয়া হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।’ আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে সেই বাংলার পড়ুয়াদের কী হবে? তাঁদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা কোথায়?


স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। সেই কারণেও ওই শিক্ষিকাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্কুলের বক্তব্য, দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে বেছে নিয়ে কোনও পড়ুয়া স্কুলে ভর্তি হলে সেক্ষেত্রে আবার বাংলা ভাষার শিক্ষিকা লাগবে। সেই নিয়ে ওই শিক্ষিকাকে মঙ্গলবার ডেকে আলোচনা করার কথাও যে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল, সেই কথাও জানাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনার পর স্কুলের সেই বাংলার শিক্ষিকা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাইছেন না। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। এদিকে প্রথম নোটিসে ওই ভুল থাকার বিষয়টি মেনে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

খেলা এমনই হয়। ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া টিম মুহূর্তে ম্যাচে ফেরে। খেলা দখলে নেয়। মোহনবাগান ৪০ মিনিট পর্যন্ত খেলা নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল। কিন্তু শেষ ৫টা মিনিট বিএফসি ম্যাচে ফিরল।


গত কয়েক মরসুম ধরে ভালো পারফর্ম করেও শেষ পর্যন্ত এক বার ট্রফির কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। মারগাওয়ে প্রীতম কোটাল, হুগো বোমাসরা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। স্বপ্নপূরণ হবে কিনা, তা শেষ বাঁশির পর বোঝা যাবে। তবে আইএসএলের ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধটা নিজেদেরই দখলে রাখল এটিকে-মোহনবাগান। শুরুতেই গোল তুলে নিতে পারলে চাপে ফেলে দেওয়া যেতে পারে বিপক্ষ টিমকে, খুব ভালো করে জানতেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। সেটাই করে দেখাল তাঁর টিম। ১৪ মিনিটে পেত্রাতসের কর্নার বক্সের মধ্যে হাতে লাগান রয় কৃষ্ণা। পেত্রাতসের কিক থেকেই পেনাল্টি থেকে ১-০ করে মোহনবাগান। বিস্তারিত


যে কোনও টিমই ফাইনালের শুরুতেই গোল খেয়ে গেলে চাপরে পড়ে যায়। সেটাই দেখা গেল বিএফসির ক্ষেত্রে। সুনীল ছেত্রীকে শুরুতে নামাননি বেঙ্গালুরুর কোচ সাইমন গ্রেসন। কিন্তু শিবশক্তি চোট পেয়ে বেরিয়ে গেলে সুনীলকে নামাতে দেরি করেননি তিনি। বয়স বেড়েছে কিন্তু সুনীল জানেন সামনে থেকে কী ভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। গোল খেয়ে খানিকটা থমকে যাওয়া টিমকে এগিয়ে দেওয়ার কাজটা শুরু করে দেন সুনীল। মাঝমাঠ, ডিফেন্স সাময়িক চাপে পড়ে গেলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা রাখার চেষ্টা করল মোহনবাগানকে।

প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে প্রায়শ্চিত্ত করলেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর ভুলে গোল পেয়েছিল মোহনবাগান। তাঁর জন্যই ১-১ করল বিএফসি। লেফটব্যাক শুভাশিস বক্সের মধ্যে ফাউল করেন কৃষ্ণাকে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেন। সুনীল ছেত্রী ঠান্ডা মাথায় গোল করে গেলেন।


খেলা এমনই হয়। ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া টিম মুহূর্তে ম্যাচে ফেরে। খেলা দখলে নেয়। মোহনবাগান ৪০ মিনিট পর্যন্ত খেলা নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল। কিন্তু শেষ ৫টা মিনিট বিএফসি ম্যাচে ফিরল। আর তাতেই বদলে গেল স্কোরলাইন। পরের ৪৫ মিনিট ঠিক করে দেবে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে কারা? ট্রফি বেঙ্গালুরুতে যাবে, নাকি কলকাতায় আসবে?

চলতি মাসেই প্রথম তৃণমূলের ছাত্র (TMCP) ও যুবদের(TMYC) যৌথ সম্মেলন হচ্ছে ধর্মতলায়। ২৯ মার্চ রয়েছে সেই সম্মেলন। তারই প্রস্তুতি মিটিংয়ে এদিন যোগ দিয়েছিলেন সায়নী।

র হাতে গ্রেফতারির পরই দল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। দীর্ঘদিন থেকেই তাঁরা তৃণমূলের যুব নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam)। অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। এদিকে এদিনই আবার শনিবার সকাল থেকে হুগলির (Hooghly) তিন জায়গায় একযোগে হানা দেয় ইডি (ED)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শান্তনু ঘনিষ্ঠ সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ নামে এক যুবককে। যদিও যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষের (Sayoni Ghosh) দাবি, “আমার কমিটি থেকে শুরু করে ব্লকে, অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ যুব আছে। এক-দুইজন কোনও কারণে কালিমালিপ্ত হয় বা দুর্নীতিগ্রস্ত হয় তাহলে গোটা যুবকে সামগ্রিকভাবে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। আমাদের ছেলেপুলেরা মানুষের পাশে আছে। মাঠে নেমে কাজ করছে। সেটার প্রতিফলন ভোটের বাক্সে দেখা যাচ্ছে। আলাদা করে মানুষকে আর বোঝাতে হয় না।” 


অন্যদিকে এদিন আকাশ প্রসঙ্গ উঠতেই সায়নীর স্পষ্ট উত্তর, “তদন্ত তদন্তের মত চলবে আমাদের সেখানে কিছু বলার নেই। দলীয় জায়গা থেকে জিরো টলারেন্স পলিসি রয়েছে। যদি কেউ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর ব্যাপার। আইন আইনের মতো চলবে। দল দলের মতো চলবে।”

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই প্রথম তৃণমূলের ছাত্র (TMCP) ও যুবদের(TMYC) যৌথ সম্মেলন হচ্ছে ধর্মতলায়। ২৯ মার্চ রয়েছে সেই সম্মেলন। যেখানে প্রধান অতিথি তথা বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল তৃণমূল ভবনে। সেখানেই এসেছিলেন সায়নী। সায়নীর কথায় উনত্রিশের সম্মেলন থেকে কেন্দ্রের একাধিক ইস্যুর কড়া সমালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, “এটা শুধু শক্তি প্রদর্শনের জায়গা নয়। কারণ তৃণমূলের যা শক্তি আছে তা আলাদা করে প্রদর্শন করার প্রয়োজন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের যে আস্থা রয়েছে সেটা আমরা ব্যালট বক্সে দেখতে পাই।” এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের যে জনবিরোধী নীতি রয়েছে তাঁর প্রতিবাদ, কেন্দ্রের এজেন্সিগুলির অপব্যহার করে যেভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠবে এই সভা থেকে। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেও আমরা সরব হব।” 

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে 'নিখোঁজ', সাংবাদিক বৈঠক করে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের তোপের মুখে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে ‘নিখোঁজ’ বলেও এদিন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Anurag Thakur)। একইসঙ্গে কোচিতে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় কেরল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুরাগ ঠাকুর। রাজ্যে ‘জরুরি অবস্থা’ চালু হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


এদিন এর্নাকুলামে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া, যুব ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সেই বৈঠক থেকেই এদিন ফের সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। লন্ডনের মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “তিনি কোনও ব্যক্তিকে ঘৃণা করতে পারেন, কিন্তু দেশকে ঘৃণা করতে পারেন না।” একইসঙ্গে সংসদে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা মিথ্যা বলে দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ওটা মাইকের সমস্যা ছিল।”

ছবি মুক্তি পেতেই দেখা গেল অন্য চিত্র। 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' দেখতে হলে এলেন নামমাত্র দর্শক। এক মায়ের করুণ অধ্যায় অনেকের কাছেই যেন থেকে গেল অজানা।

ছবিটি নিয়ে দর্শকমহলে উন্মাদনা ছিল বেশ ভালই। সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি, এক মায়ের সন্তানকে ফিরে পাওয়ার কাতর আর্তি… সব মিলিয়ে ট্রেলার দেখে দর্শকের তরফেও মিলেছিল ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া। তবে ছবি মুক্তি পেতেই দেখা গেল অন্য চিত্র। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ দেখতে হলে এলেন নামমাত্র দর্শক। এক মায়ের করুণ অধ্যায় অনেকের কাছেই যেন থেকে গেল অজানা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার। কত আয় হয়েছে ওই ছবির প্রথম দিনে? রিপোর্ট জানাচ্ছে ওই ছবির আয় ১ কোটি ২৭ লক্ষ। আজকের বক্সঅফিসের বাজারে যা নিতান্তই সামান্য। এই ছবিতে মিসেস চ্যাটার্জির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রানি মুখোপাধ্যায়। আর মিস্টার চ্যাটার্জি হয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। প্রচারে রানিই ছিলেন মুখ। অনির্বাণকে দেখা যায়নি খুব একটা। কেন এই ছবি দেখতে হল ভরালেন না দর্শক? বলিউডের বাজার খারাপ এ তত্ত্ব অন্তত ‘পাঠান’-এর পর খাঁড়া করা যায় না। সমালোচকদের একাংশের মতে কাজের শেষ কষ্ট দেখতে এখন নাকি আর হলমুখো হন না দর্শক। তাই অ্যাকশন ছবিতেই মানুষের আগ্রহ বেশি। রয়েছে দ্বিতীয় এক কারণও। অনেকেই দাবি করেছেন, এই ছবি সত্য ঘটনা বলে দাবি করলেও সিনেমায় নাকি রয়েছে তথ্যগত অনেক ভুল। মায়ের মেলোড্রামাকে হাইলাইট করতে গিয়েই নাকি পরিচালক বহুক্ষেত্রে করেছেন অতিরঞ্জন। যদিও শনি-রবি ছুটির দিন। তাই এই দু’দিনে খানিক হলেও ব্যবসা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা।

কোন সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি?

২০১১, স্বামী ও দুই ছেলে মেয়ের সঙ্গে নরওয়েতে গিয়ে সংসার বেঁধেছিলেন বাংলার মেয়ে সাগরিকা ভট্টাচার্য। কিন্তু নরওইয়ের শিশুসুরক্ষা কমিশন যাকে বার্নেভার্নেও বলা হয়ে থাকে হঠাৎই একদিন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাঁদের কোলের দুই শিশুকে। তখন তাঁদের ছেলে অভিজ্ঞানের বয়স মাত্র ৩। আর মেয়ে ঐশ্বর্যা তখন এক বছরের, দুধ খাওয়াও ছাড়েনি সে। কী অভিযোগ ছিল কর্তৃপক্ষের? ছবির ট্রেলারে যা দেখানো হয়েছে ঠিক তাই। বাচ্চাকে হাত দিয়ে খাইয়ে দিতেন মা সাগরিকা… ওদিকে নরওয়ে কর্তৃপক্ষের মনে হয়েছিল, সন্তানকে হাত দিয়ে খাওয়ানো মানে তাকে জোর করে খাওয়ানো, একজন সুস্থ বাবা-মা নাকি এমনটা করতেই পারেন না। এখানেই শেষ নয়, তিন বছরের পুত্র সন্তান কেন তার বাবার সঙ্গে শোবে? কেন নেই তার আলাদা বিছানা– এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, বাচ্চাদের জন্য নাকি ঘরে খেলার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এমনকি মা-বাবা খেলার জন্য তাদের যে খেলনা কিনে দিয়েছে তাও নাকি ঠিক নয়। সাগরিকার থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে রাখা হয়েছিল সরকারি হেফাজতে। বিদেশ মুলুকে একা লড়াই করেছিলেন তিনি। অনেক টানাপড়েনের পর ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে ভারত সরকারও। তাও মন গলেনি নরওয়ে সরকারের। বাচ্চার বাবার ভাইয়ের অর্থাৎ কাকার কাছে দায়িত্ব ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। যদিও সেখানেও দেখা দেয় সমস্যা।

একে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা, অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীর নিত্য ঝগড়ায় ততদিনে অনুরূপ ও সাগরিকাও আলাদা হয়ে গিয়েছেন। নিজের সন্তানদের দায়িত্ব ফিরে পেতে মা’কে আইনি পদক্ষেপ করতে হয়। এরপর আদালত, আদালতের চৌহদ্দি, চোখের জল আর দীর্ঘ লড়াই শেষে অবশেষে জিৎ হয় সাগরিকার। ২০১৩ সালে প্রায় দুই বছর লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট মা’কে তাঁর দুই সন্তানের দায়িত্ব দেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সাগরিকা। রাষ্ট্রের কাছে জয়ী হয় মায়ের মমতা, জয়ী হয় ভালবাসা, ভরসা, বিশ্বাস।

নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আগেই দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। বহিষ্কার করা হয়েছে কুন্তল-শান্তনুদের। কিন্তু, অনুব্রতর পালা কবে? বারবার উঠেছে এই প্রশ্ন।


ইডি হেফাজতে কাটছে দিন। রয়েছেন দিল্লিতে (Delhi)। রাজধানীতে বসেই বিস্ফোরক কেষ্ট। স্পষ্ট দাবি, ‘আমার কিচ্ছু হবে না। আমার পিছনে দল আছে। আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না।’ সূত্রের খবর, ইডি-র (ED) তদন্তকারী আধিকারিককে এ কথা বলেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির ইস্যুতে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে কুন্তল-শান্তুনুকে বহিষ্কারের মাধ্যমে এই অবস্থান যেন স্পষ্ট করতে চেয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি এখনও আছেন স্বমহিমায়। চলেনি কাঁচি। উল্টে কয়েকমাস আগে রামপুরহাটে অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কেষ্টকে ‘বাঘ’ এর সঙ্গে তুলনা করেন ফিরহাদ হাকিম। 


গরু পাচার কাণ্ডে গত অগস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টা। সিবিআই কেষ্টকে গ্রেফতার করলেও মাঠে নামে ইডিও। এদিকে শুধু ফিরহাদ নয়, অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। অনুব্রতকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি হচ্ছে। ভোটের রাজনীতির জন্যই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার এত ব্যস্ততা দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলে? তাহলে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত বা লোকসভা ভোট, ওরা অনেককে গ্রেফতার করবে। যাতে ভোট যেভাবেই হোক দখলে নিতে পারে। এটাই ওরা করে। ওদের অভ্যাস।” যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলেও।

ফলত সারাদিন প্রবল শব্দে বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি। এমনই অভিযোগ তুলে এবার দেবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেন সত্তরোর্ধ্ব ওই দম্পতি।

বৃদ্ধা স্ত্রী ভুগছেন কঠিন অসুখে। অতিরিক্ত শব্দ সহ্য হয় না এই বয়সে। তাই শেষ জীবনে শান্তি চেয়ে অন্যত্র ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু এরপরও শব্দ যেন পিছু ছাড়ছে না। কারণ বাড়ির উপর তলাতেই অভিনেতা তথা সাংসদ দীপক অধিকারীর ফ্ল্যাট। সেখানে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স নামে অফিস বানিয়েছেন তিনি। ফলত সারাদিন প্রবল শব্দে বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি। এমনই অভিযোগ তুলে এবার দেবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেন সত্তরোর্ধ্ব ওই দম্পতি।


২০১৫ সালে দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ফ্ল্যাট কেনেন অবসরপ্রাপ্ত জকি নিকোলাস বার্ড। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ২৮ তলায় শান্তিতে থাকবেন এমনই ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ফ্ল্যাট কেনার পরেই। তাঁদের ঠিক উপরের তলায় দেবের ফ্ল্যাট। অভিযোগ, সেটাই পরে অফিস বানিয়ে সেখানে সাউন্ড রেকর্ডিং-সহ বাকি কাজ করছেন অভিনেতা।

২০১৮ সালে ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন নিকোলাস বার্ডের স্ত্রী। দেবের ফ্ল্যাটের তীব্র শব্দে স্ত্রীর অসুস্থতা ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি করেন নিকোলাস। দেবকে সরাসরি অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, আখেরে লাভ কিছুই হয়নি। শেষমেশ সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। গত বছর হাইকোর্ট এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার অবস্থান জানতে চেয়েছিল। শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।


অভিনেতা যদিও জানিয়েছেন, কারোর অসুবিধা তিনি করেননি। কোনও ব্যবসায়িক কাজও চলছে না সেখানে। যদিও অভিযোগকারীর মেয়ে কুকি বার্ড অভিযোগ করছেন, দেবের একাধিক সিনেমার প্রমোশনে ছবি রয়েছে ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটটিতে দেব থাকেন না, তবে অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। যদিও আবাসনের সহ-সচিব শব্দের কোলাহল কর্যত স্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁরা ওই প্রবীণ দম্পতির পাশেই রয়েছেন। রাত্রিবেলা ফ্ল্যাটের ভিতরে এমন কাজ হওয়া উচিত নয়।

ওই দম্পতির আইনজীবী পার্থ দেব বর্মন জানিয়েছেন, পুরসভার আইনে বসবাসযোগ্য ফ্ল্যাটে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাখা যায় না। পুরসভার রায়ের পর হাইকোর্টে আবার মামলা করবেন তাঁরা। পাঁচ বছর ব্রেন স্ট্রোকে জর্জরিত স্ত্রী। শেষ জীবনে তাঁকে শান্তি দিতে আপাতত মামলা নিয়ে দৌড় ঝাঁপ করছেন বৃদ্ধ।

 সম্প্রতিই প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিত্যানন্দের এই ভুয়ো, কাল্পনিক দেশ একাধিক শহরকে বোকা বানিয়েছে এবং তাদের ঠকিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে।

স্বঘোষিত ধর্মগুরু তিনি, এদিকে তাঁর নামে রয়েছে শিশুদের অপহরণ থেকে শুরু করে খুনের মতো অভিযোগ। জামিন বাতিল হতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন দেশ থেকে। বিশ্বের কোনও প্রান্তে দ্বীপ কিনে ঘোষণা করেছিলেন নিজের দেশ ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব কৈলাশে’র। কথা হচ্ছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্য়ানন্দের (Nithyananda)। সম্প্রতিই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে প্রতিনিধি পাঠিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন নিত্য়ানন্দ। এবার ফের একবার চর্চায় তিনি, তবে কারণটা অন্য। তাঁর বিরুদ্ধে সিস্টার সিটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল। সম্প্রতিই প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিত্যানন্দের কৈলাশ নাকি ৩০টিরও বেশি মার্কিন শহরের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নিত্য়ানন্দের ভক্তদের দাবি, ইউনাইটেড স্টেটস বা রিপাবলিক অব কৈলাশে এখন ৩০টি মার্কিন শহর রয়েছে। দিন কয়েক আগেই যেখানে নিউ জার্সির নেওয়ার্ক শহর নিত্যানন্দের কাল্পনিক দেশের সঙ্গে সিস্টার সিটির চুক্তি বাতিল করে, সেখানে ৩০টিরও বেশি মার্কিন শহরের নাম একই চুক্তিতে যুক্ত থাকার খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


২০১৯ সালেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু ইউনাইটেড স্টেটস অব কৈলাশ নামে নিজের দেশ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এই কাল্পনিক দেশ কোথায় রয়েছে, তা কেউ জানে না। তবে অনুমান করা হয়, ইকুয়েডরের আশেপাশে কোনও একটি দ্বীপ কিনে সেখানেই নিজের দেশ তৈরি করেছেন নিত্য়ানন্দ। ইউনাইটেড স্টেটস অব কৈলাশের ওয়েবসাইটে একাধিক দাবি করা হয়েছে সেখানের বাসিন্দা, সে দেশের নিয়ম-কানুন থেকে শুরু করে মানবাধিকার সহ একাধিক বিষয় নিয়ে। নিত্য়ানন্দের এই কাল্পনিক দেশের ওয়েবসাইটেই দাবি করা হয়েছে, ৩০টিরও বেশি মার্কিন শহর তাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই তালিকায় রিচমন্ড থেকে শুরু করে ভার্জিনিয়া, ডেটন, ওহাইয়ো, বুয়েনা পার্ক, ফ্লোরিডার মতো শহরের নাম রয়েছে।

সম্প্রতিই প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিত্যানন্দের এই ভুয়ো, কাল্পনিক দেশ একাধিক শহরকে বোকা বানিয়েছে এবং তাদের ঠকিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে। এই বিষয়ে নিত্যানন্দের চুক্তির তালিকায় থাকা একাধিক শহরের সঙ্গে ফক্স নিউজ যোগাযোগ করলে তারা জানান, সত্য়িই ইউনাইটেড স্টেটস অব কৈলাশ বা রিপাবলিক অব কৈলাশের সঙ্গে তারা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।


উত্তর ক্যারোলিনার জ্য়াকসনভিলের তরফে জানানো হয়েছে, কৈলাশের সঙ্গে এই চুক্তি কোনও প্রচার নয়। নিত্যানন্দের তরফে আবেদন এসেছিল, তারই সাড়া দেওয়া হয়েছে। ওই দেশ আদৌই রয়েছে কি না বা তার সম্পর্কে অন্য কোনও তথ্য যাচাই করে দেখা হয়নি। নিত্যানন্দের দেশের তরফে শুধু জানানো হয়েছিল, তারা একটি হিন্দু রাষ্ট্র এবং আর্জি অনুযায়ী তারা রাস্তার নাম নিজেদের নামে করতে দেবে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মেয়র বা কাউন্সিল নয়, প্রশাসনের সব স্তরের কর্মীরাই ভুয়ো ধর্মগুরুর পাতা জালে পা দিয়েছেন। কংগ্রেসের দুইজন সদস্য় কল্পনাপ্রসূত কৈলাশকে “বিশেষ কংগ্রেসের স্বীকৃতি” দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি নেওয়ার্ক ও নিত্যানন্দের কাল্পনিক দেশের মধ্য়ে সিস্টার সিটি চুক্তি হয়। নেওয়ার্কের সিটি হলে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। তবে এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার পরই সেই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।