WEATHER

Top News


আরজি কর-কাণ্ডে জাস্টিস চেয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক দল। বাদ যায়নি বিজেপিও। শুক্রবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিল পদ্ম শিবির। অভিযোগ সেই অবরোধে আটকে গিয়েছিল প্রসূতি সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু চার মাসের গর্ভবতীর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ফুলিয়া-রানাঘাটের মাঝে, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম দুর্গা শীল (২৩)।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে ফুলিয়ার প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা হীরা শীলের সঙ্গে বিয়ে হয় দুর্গার। তবে গৃহবধূ মৃগী আক্রান্ত ছিলেন। অপরদিকে ফুলিয়াতেই হীরার একটি সেলুনের দোকান রয়েছে। শুক্রবার ভাত রান্নার জন্য তোড়জোড় করছিলেন অন্তঃসত্বা দুর্গা। সেই সময় আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। বাড়ি থেকে খবর যায় দুর্গার স্বামী হীরার কাছে। চিকিৎসার জন্য টোটো করে স্ত্রীকে নিয়ে যান ফুলিয়া হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা দেন হীরা ও পরিবারের লোকজন।

এ দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তখন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় চলছিল বিজেপির চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি। মৃত প্রসূতির পরিবারের দাবি, হবিবপুরের কাছে বিজেপির মিছিলে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। সামনে তখন গাড়ির লম্বা লাইন। মৃতার স্বামীর দাবি, তিনি কার্যত চালকদের হাতে পায়ে ধরতে বাকি রাখেন যাতে অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে নিয়ে যেতে দেন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রায় পনেরো মিনিট অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে ছিল।

বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে পিছনের কিছু গাড়ি সরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে বার করে দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে। কোনওক্রমে হাসপাতালে পৌঁছন দুর্গা। তবে ততক্ষণে সব শেষ। এমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। শোকাহত হীরা বলেন, ” ডাক্তারবাবু বললেন,কয়েক মিনিট আগে এলেও হয়তো স্ত্রীকে বাঁচানো যেত। কিন্তু অবরোধের জন্য পারলাম না। আমার চরম ক্ষতি হয়ে গেল।’ তবে গর্ভবতীর মৃত্যুর নিন্দা করেন হাসপাতালে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিজনরাও। তাঁদের প্রশ্ন, প্রতিবাদের নামে হাজার হাজার মানুষকে এভাবে বিপদে ফেলার মানে কী? যদিও গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। যদিও এই বিষয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা, এই মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান,”যে কোনও রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতেই পারে। তবে একটা অ্যাম্বুলেন্সকেও ছাড়লো না তারা? আসলে সংগঠিত ভাবে কোনো আন্দোলন না নাহলে এই ঘটানা ঘটবেই, তবে তৃণমূল দল মৃতার পরিবারের সাথে আছে।” অপরদিকে, পুলিশ প্রশাসনের উপর দোষারোপ চাপিয়ে রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক বিজেপির মুখপাত্র সোমনাথ কর জানান, “এই ঘটনা আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তার দায় পুলিশ প্রশাসনের। আন্দোলনে সকল কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স কে ছেড়ে দিয়েছে। তবে দূরে কোনও অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে সেটা দলীয় কর্মীদের দেখা সম্ভব নয়। তাই পুলিশ প্রশাসন এর জন্য দায়ী। কোনও ভাবেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নয়। তবে এই ঘটনা অনভিপ্রেত।”

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিচার চেয়ে নিজের প্রেসক্রিপশনে 'আরজি করের ঘটনার বিচার চাই' লেখা স্ট্যাম্প দেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক দেবব্রত দাস। গত কয়েকদিনে একাধিক প্রেসক্রিপশনে তিনি এই প্রতিবাদ করেছেন।


প্রেসক্রিপশনে প্রতিবাদ করায় ডাক্তারের নামে 'ফতোয়া' জারি রামপুরহাটে?
চিকিৎসক দেবব্রত দাস।

বীরভূম: গত কয়েকদিনে একাধিক চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে ওষুধের সঙ্গে লিখে দিয়েছেন আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদও। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একাধিক চিকিৎসক প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। প্রেসক্রিপশনে ‘আরজি করকাণ্ডের বিচার চাই’ স্ট্যাম্প দিয়ে প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। এবার এরকমই একজন চিকিৎসককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল বীরভূমের রামপুরহাটে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এলাকার এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই এই হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।




আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিচার চেয়ে নিজের প্রেসক্রিপশনে ‘আরজি করের ঘটনার বিচার চাই’ লেখা স্ট্যাম্প দেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক দেবব্রত দাস। গত কয়েকদিনে একাধিক প্রেসক্রিপশনে তিনি এই প্রতিবাদ করেছেন।




দেবব্রত দাসের অভিযোগ, এইভাবে প্রতিবাদ করায় এলাকার এক চিকিৎসক আবু নাসিম তাঁকে হেনস্থা করেন। এমনকী ওই চিকিৎসক তাঁকে মারতে উদ্যত হন বলেও অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, রামপুরহাট এলাকার একাধিক নার্সিংহোমের মালিক মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতিবাদী চিকিৎসক দেবব্রত দাস ক্ষমা না চাইলে তাঁর কোনও রোগীকে রামপুরহাটের কোন নার্সিংহোমে ভর্তি নেওয়া যাবে না।

দেবব্রত দাস এই ঘটনা জানিয়ে বীরভূম জেলাশাসক ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানান। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বক্তব্য, “আরজি করের বিচার চাইতে আমিও রাস্তায় নামছি। এটা নিয়ে হেনস্থা করব কেন? মিথ্যা অভিযোগ।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স নিয়ে অতীতে কারামন্ত্রী এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বড় চিন্তা। তাঁর হেফাজতেই ধৃত আছে। উনিই এই কাণ্ডের সবথেকে বড় প্রমাণ। কারামন্ত্রী আমার জেলার লোক। উনি কথা না বলার লোক। ওনাকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে।"



আরজি করকাণ্ডে ধৃতের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বিজেপির
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

আরজি করের ধৃত যেন ধনঞ্জয় না হয়ে যান, সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সেই মন্তব্যকে সামনে রেখে এবার আরও এক নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জেল হেফাজতে বড় কিছু হতে পারে ধৃতের, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপির।




জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে ধৃতের বেঁচে থাকাটা খুব জরুরি। কিন্তু কারামন্ত্রীও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কারাতেই ধৃত আছেন। আর কারামন্ত্রী যদি ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স দেন, তাঁর মৃত্যুর কথা বলেন, তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেন, তাহলে আমাদের চিন্তার কারণ আছে। যদি ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স নিয়ে অতীতে কারামন্ত্রী এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বড় চিন্তা। তাঁর হেফাজতেই ধৃত আছে। উনিই এই কাণ্ডের সবথেকে বড় প্রমাণ। কারামন্ত্রী আমার জেলার লোক। উনি কথা না বলার লোক। ওনাকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে।”

আরজি করকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই এক এক নেতার মুখে এক একরকমের কথা শোনা গিয়েছে। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “ও যেন ধনঞ্জয় না হয়। ধনঞ্জয় আদৌও অতটা দোষী ছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর অনেক পয়েন্ট বেরিয়ে এসেছে। তাই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দোষী কি না নাকি তার পিছনে আর কেউ আছে তা আমরা দেখতে চাইছি।”

এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানান, সংবাদমাধ্যম ও ‘ওপেন সোর্স’ থেকে তাঁরা জেনেছেন, ধৃতের ডিএনএ সিকোয়েন্স মিলে গিয়েছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই ১০ জনের লেয়ার্ড ভয়েস অ্যানালিসিস বা এলভিএ (LVA) করেছে। লাই ডিটেক্টর ও পলিগ্রাফ টেস্টেরও উপরে এই এলভিএ। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।

‘এই সময় মুখ বন্ধ রাখা উচিত’, কাকে পরামর্শ দিলেন ফিরহাদ?

ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কের শুরু। গত ৪ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিনের উদ্বোধন করেন এলাকার সাংসদ দেব। এদিন সকালে এ সংক্রান্ত একটি ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতে আগেই ডায়ালিসিস ইউনিট ছিল।


এই সময় মুখ বন্ধ রাখা উচিত', কাকে পরামর্শ দিলেন ফিরহাদ?
ফিরহাদ হাকিম।

 সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে যে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, দিনভর তা নিয়ে চর্চা। তৃণমূলের তারকাসাংসদ দেবকে নিয়ে কুণালের করা মন্তব্যে জোরাল প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে। এরইমধ্যে দলীয় নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া সামনে এল। তাঁর পরামর্শ এমন কোনও কথা না বলাই ভাল, যা ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা দল থেকে বলবে। আমি কিছু বলব না। আমার মতে এখন এই সময় প্রত্যেকের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। এই ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে।”



ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কের শুরু। গত ৪ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিনের উদ্বোধন করেন এলাকার সাংসদ দেব। এদিন সকালে এ সংক্রান্ত একটি ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতে আগেই ডায়ালিসিস ইউনিট ছিল। গত ১২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদ্বোধন করেন। অর্থাৎ উদ্বোধন করা প্রকল্পই নতুন করে দেব উদ্বোধন করেছেন বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ।

পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে দেব লেখেন, তিনি ‘দিদি’কে অনুরোধ করেছিলেন ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস এবং সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য। তা sগত মার্চে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। দেব লেখেন, ‘এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই পরিষেবা সম্পর্কে জানতে পারেন।’

এখানেই থামেনি আকচাআকচি। কুণাল ফের আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘উদ্বোধন দু’বার হয় না।’ এ নিয়ে বিজেপিও খোঁচা দিতে ছাড়েনি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “দেব গুরুমারা বিদ্যা দেখিয়েছেন। দেবকে অভিনন্দন।” এই আবহে বিতর্ক বাড়ে এমন কোনও মন্তব্য কেউ করুক, চান না ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।



বিরুপাক্ষের বাড়িতে টিভি ৯ বাংলা, ক্যামেরা দেখেই…
বিরুপাক্ষকে নিয়ে জোর চর্চা


শিলিগুড়ি: স্বাস্থ্য দফতরের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু উত্তরবঙ্গ লবি। তাদের নির্দেশেই চলে যাবতীয় ‘কাজ’। আরজি করের আবহে শুরু থেকেই উঠছে এই অভিযোগ। সেই লবির শীর্ষে নাকি রয়েছেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়, আর দুই প্রান্তে অভিক দে ও বিরুপাক্ষ বিশ্বাস। সেই বিরুপাক্ষের বাড়িতে গেল টিভি ৯ বাংলা। শিবমন্দিরে মাস্টারপাড়ায় চারতলা বাড়ির নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে বিরুপাক্ষের নাম। বেল টিপতেই দূর থেকে তার মা এসে জানান বিরুপাক্ষ নেই। কোথায় আছেন? তা বললেন না তিনি। 

তবে এই লবির বিরুদ্ধে এবার ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, “এদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হোক। আমি ইডি, সিবিআইকে কিছু তথ্য দিয়ে আবেদন করব। এরা ঘটনার দিন আর জি করে কি করছিলেন। যারা দোষীদের আড়াল করলেন তারাও দোষী। এদের বিরুদ্ধে থ্রেট সিন্ডিকেট, প্রশ্নফাঁস, নাম্বার বাড়ানো-সহ নানা সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে।”  



তিলোত্তমা কাণ্ডে RG Kar এর আউটপোস্টের পুলিশ কর্তাদের তলব, কী উত্তর খুঁজছে CBI?
তিলোত্তমা কাণ্ডে RG Kar এর আউটপোস্টের পুলিশ কর্তাদের তলব, কী উত্তর খুঁজছে CBI?
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪ তারিখ এই অর্ডারের পরের দিনই ৫ তারিখ আবার বিরুপাক্ষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য ভবন। নোটিসও দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। সূত্রের খবর, এদিনই আবার অভীক দে এবং বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল। তা নিয়েও চলছে চর্চা।  

কেন মুখ্যমন্ত্রীর বদলে দেবের নাম? কুণালকে 'ভদ্র ভাষায়' বুঝিয়ে দিলেন 'সুপারস্টার' অভিনেতা


কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরিয়ে নাকি নিজের নাম বসিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দলের সাংসদকেই কার্যত খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সুপারস্টার বলেই এত বেনজির সাহসী দেব।’ সেই পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জবাব দিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব।


সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্যের জবাব সোশ্যাল মিডিয়াতেই দিয়েছেন সাংসদ। ঘাটাল হাসপাতালের একটি ডায়ালিসিস ইউনিট নিয়েই বিতর্ক। ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, ওই ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন আগেই করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সেটাই আবার দেব উদ্বোধন করেন। উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বদলে দেবের নাম দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ কুণালের।





‘নমস্কার, কুণাল দা…’ বলে শুরু করা ওই পোস্টে কুণালকে দেব লিখেছেন, “সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ এই পরিষেবার ফলে উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে কুণালকে কার্যত বার্তা দিয়েছেন দেব। লিখেছেন, এই পরিস্থিতিতে কোনও তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়া মন্তব্য না করাই ভাল।”


সেমিনার রুম চত্বরেই ওই বাথরুম। সেখানে ভোরবেলা স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সূত্রের খবর, সহ চিকিৎসকদেরও তিনি জানিয়েছিলেন, জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। রক্তদাগ রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে। 

যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডে এক জন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লাগে।



তিলোত্তমার খুনের রাতে রক্ত ধুতে বাথরুমে স্নান করেন এক জুনিয়র ডাক্তার: সিবিআই সূত্র
প্রতীকী চিত্র।


কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এবার আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকা। ৯ অগস্ট তিলোত্তমার মৃত্যুর দিন ভোরে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ভেঙে ফেলা বাথরুমে স্নান করেছিলেন ওই জুনিয়র চিকিৎসক। নার্সকে বলেছিলেন গায়ে রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে এই তথ্য উঠে আসছে। ওই জুনিয়র ডাক্তারের খোঁজে আরজি করের নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।




সেমিনার রুম চত্বরেই ওই বাথরুম। সেখানে ভোরবেলা স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সূত্রের খবর, সহ চিকিৎসকদেরও তিনি জানিয়েছিলেন, জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। রক্তদাগ রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে।

যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডে এক জন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লাগে। প্রশ্ন উঠছে, পিআরবিসি দেওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটলে সেখানে কর্তব্যরত কোনও নার্স কি এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন? সিবিআই এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সূত্রের দাবি, সেই জিজ্ঞাসাবাদেই চাঞ্চল্যকর দু’টি তথ্য উঠে আসে। এক, ওই নার্স জানান, তিনি কখনও ওই জুনিয়র চিকিৎসককে আগে দেখেননি। দুই, এই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম জানতে চাইলে নাম বলতে চাননি।

সিবিআইয়ের কাছে যে বয়ান ওই নার্স দিয়েছেন, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেখানে নার্স জানিয়েছেন, রাত ৯টা নাগাদ হন্তদন্ত হয়ে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ঢোকেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। ফ্রিজ খুলে কিছু একটা খুঁজছিলেন। নার্স জানতে চাইলে জুনিয়র ডাক্তার জানান, পিআরবিসি খুঁজছেন। এক রোগীকে দেবেন। শীতল পিআরবিসি চালানো যায় না। তাই ফ্রিজার থেকে বের করে এরপর সাড়ে ১০টা নাগাদ এসে পিআরবিসি চালান। রাত আড়াইটে পর্যন্ত পিআরবিসি চলে।

সূত্রের খবর, নার্স জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই সময়ের মধ্যে দু’বার রোগীর কাছে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। জুনিয়র ডাক্তারের গ্লাভস ঠিকমতো পরা কি না তা নিয়ে নার্স জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বলেন, পরেছেন। তবে তিনি স্নান করবেন, কারণ তাঁর গায়ে রক্তের দাগ লেগেছে। আড়াই হাত দূরে ছিলেন সেই নার্স। তদন্তকারীদের তিনি জানান, কোনও রক্তের দাগ তাঁর নজরে আসেনি। তবে ‘ট্রান্সফিউশন নোট’ দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার।

এরমধ্যে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার ওই ওয়ার্ডে এসেছিলেন বলে সূত্রের দাবি। সাড়ে ১০টার আগের ঘটনা। নার্স জানতে চেয়েছিলেন, কে পিআরবিসি চালাবেন? ওই জুনিয়র জানান, আগের জনই (যাকে নার্স আগে কোনওদিন দেখেননি) চালাবেন। আপাতত ওই জুনিয়র ডাক্তারকে খুঁজছে সিবিআই।


 শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। দু'জনেই নর্দান রেলওয়েতে চাকরি করেন। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) স্পোর্টস পদে রয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে রেলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা।

ভোটে কি লড়তে পারবেন বিনেশ-বজরং? কোথায় আটকাতে পারেন?
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়া (ফাইল ফোটো)


ভারতের কুস্তি জগতের দুই তারকা। যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। কিন্তু, ভোট ময়দানে কি দেখা যাবে বিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়াকে? কোথায় আটকে যেতে পারেন তাঁরা? শুক্রবার এই দুই তারকা কুস্তিগির আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠছে।

বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন বিনেশ ও বজরং। হরিয়ানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী হচ্ছেন বলে জল্পনা ছড়ায়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। দু’জনেই নর্দান রেলওয়েতে চাকরি করেন। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) স্পোর্টস পদে রয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে রেলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা।

ব্যক্তিগত কারণে রেলের পদে ইস্তফা দিচ্ছেন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি পোস্ট করে বিনেশ লেখেন, “ভারতীয় রেলওয়ের সেবা করা আমার জীবনের স্মরণীয় ও গর্বের সময়।” সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান বিনেশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, একই সময়ে বজরং পুনিয়াও তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

সিঁথির মোড়ে নার্সিং হোম রয়েছে সুদীপ্তবাবুর। সেখানেই রয়েছে বাড়ি। কিন্তু, কোথাও তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন তুলছেন না সুদীপ্তবাবু। খোঁজ চলেছিল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও।


 কোথায় আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়? ফুঁসছেন শুভেন্দুও
সুদীপ্ত রায়


কলকাতা: সুদীপ্ত রায় কোথায়? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কোথায়? সুদীপ্তবাবু শাসক দলের বিধায়কও বটে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব সরগরম ঠিক তখনই ‘নিরুদ্দেশ’ শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তা নিয়েই এখন চর্চা নানা মহলে। চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও। 

সিঁথির মোড়ে নার্সিং হোম রয়েছে সুদীপ্তবাবুর। সেখানেই রয়েছে বাড়ি। কিন্তু, কোথাও তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন তুলছেন না সুদীপ্তবাবু। খোঁজ চলেছিল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানা গেল কিছুক্ষণের জন্য অফিসে এসেই নাকি ফের চলে গিয়েছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, গত বছরই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। গত বছরের শুরুতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় সুদীপ্ত রায়কে। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পান শান্তনু সেন। যদিও অক্টোবরেই হয়েছিল ফের বদল। ফের পুরনো পদে বহাল করা হয় সুদীপ্তকে। এদিকে ওই সময়ই গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তবে তার কিছুদিনের মধ্যেই ফের তাঁকে ফেরানো হয় আরজি করের অধ্যক্ষের পদে। সেই সময় তা নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর চলেছিল। তথনই আবার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল শান্তনুকে। 



সপ্তাহখানেক আগে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে ইন্ডিগোর একটি বিমান। মাঝ আকাশে বিকল হয়ে গিয়েছিল বিমানের ইঞ্জিন। জরুরি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে। ১৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ বিমানটিতে।


মাঝ আকাশে ফুরিয়ে এল জ্বালানি, তড়িঘড়ি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে


কলকাতা: কলকাতার আকাশ পার করে মুম্বই যাওয়ার কথা, তার আগেই বিপত্তি বিমানে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাংকক থেকে মুম্বই যাচ্ছিল থাই লায়ন ইয়ার এস এল ২১৮ বিমানটি। কলকাতার আকাশে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল সেটি। হঠাৎ পাইলট ককপিটে অপর্যাপ্ত জ্বালানির সঙ্কেত পান। বুঝতে পারেন বাকি পথ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানি নেই। দ্রুততার সঙ্গে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

অপর্যাপ্ত জ্বালানির কথা জানিয়ে বিমান অবতরণের অনুমতি চান পাইলট। সেই সময় বিমানটিকে ঘুরিয়ে ১০৭ জন যাত্রী এবং ১১ জন ক্রু নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি। শুক্রবার রাত ৮টা ৫মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তী সময়ে বিমানে জ্বালানি ভরে সেই বিমান মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানে কেনই বা অপর্যাপ্ত জ্বালানি, তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে।

সপ্তাহখানেক আগে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে ইন্ডিগোর একটি বিমান। মাঝ আকাশে বিকল হয়ে গিয়েছিল বিমানের ইঞ্জিন। জরুরি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে। ১৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ বিমানটিতে। কলকাতা থেকে ওড়ার পরই ইঞ্জিনের সমস্যা ধরা পড়ে। তারপরই তড়িঘড়ি নামানো হয় বিমানটি।



স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে কোন্নগর বেঙ্গল ফাইন মোড়ের কাছে রাজীব গান্ধী রোডে একটি ডাম্পার চাপা দিয়ে চলে যায় বিক্রম ভট্টাচার্য নামে বছর বাইশের এক যুবককে। বিবেক নগর দ্বারিক জঙ্গল বাই লেনে একটি বাড়িতে মা, দিদিমাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। গাড়ি চালাতেন। এদিন ভোরে দুর্ঘটনায় তাঁর দুটি পা-ই গুরুতর জখম হয়।


চিকিৎসা না পেয়ে আরজি করে যুবকের মৃত্যু? লড়াইয়ের পাশাপাশি পরিষেবার আর্জি অভিষেকের
চিকিৎসকদের আর্জি জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা ও কোন্নগর: দুর্ঘটনায় জখম যুবককে আরজি করে রেফার করেছিল শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল। অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়ে আরজি করের বাইরে ৩ ঘণ্টা পড়েছিলেন ওই যুবক। তার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের দাবি নিয়ে লড়াই করার পাশাপাশি পরিষেবা দেওয়ার আর্জি জানালেন। এক্স হ্যান্ডলে অভিষেকের বার্তার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বাইরে পুরসভায় কিয়স্ক থেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুললেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে কোন্নগর বেঙ্গল ফাইন মোড়ের কাছে রাজীব গান্ধী রোডে একটি ডাম্পার চাপা দিয়ে চলে যায় বিক্রম ভট্টাচার্য নামে বছর বাইশের এক যুবককে। বিবেক নগর দ্বারিক জঙ্গল বাই লেনে একটি বাড়িতে মা, দিদিমাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। গাড়ি চালাতেন। এদিন ভোরে দুর্ঘটনায় তাঁর দুটি পা-ই গুরুতর জখম হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। অভিযোগ, প্রায় তিন ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।



 স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছেসেই দৃশ্য। দেখা যায় বচসা চলাকালীন এক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল কেড়ে নিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিৎকারে ছাত্রদের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান অভিভাবকরা

 ছাত্রদের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকার কিল-চড়! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক
স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে দুই শিক্ষকের বচসা

 স্কুল চলাকালীন সহ শিক্ষকদের সঙ্গে বচসা, রীতিমতো হাতাহাতির ছবি প্রকাশ্যে এল। শুধু স্টাফরুমে নয়, পড়ুয়াদের সামনে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার হাতাহাতির ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। কাটোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এক শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘাড়ে ও পায়ে চোট রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্কুলের ওই শিক্ষিকা ও শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পাল্টা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের আউরিয়া চারুচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। গত শুক্রবার স্কুল ছুটির আগে প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষের সঙ্গে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার ছুটির অনুমোদন নিয়ে বচসা শুরু হয়। পরে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছেসেই দৃশ্য। দেখা যায় বচসা চলাকালীন এক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল কেড়ে নিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিৎকারে ছাত্রদের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান অভিভাবকরা। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এর আগে মিড ডে মিল নিয়ে স্কুলের সহকারী কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে চোর বলে সম্মোধন করেছিল, এমন একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের একাধিক অভিযোগ আছে বলেই জানা গিয়েছে।



গণেশ চতুর্থীতে রয়েছে অসাধারণ অফার। একধাক্কায় প্রায় ৪৫০০ টাকা সস্তা হয়ে গেল সোনা। শুধু সোনা নয়, প্রচুর সস্তা হয়ে গিয়েছে রুপোও। একদিনে ২৫০০ টাকা কমেছে রুপোর দাম।

গণেশ চতুর্থীতে সোনা বর্ষণ! একদিনেই ৪৪০০ টাকা কমে গেল সোনার দাম, এমন সুযোগ আর পাবেন না
প্রতীকী চিত্র

আজ গণেশ চতুর্থী। দুর্গা পুজো প্রায় এসেই গেল। আর গণেশ চতুর্থীতে রয়েছে অসাধারণ অফার। একধাক্কায় প্রায় ৪৫০০ টাকা সস্তা হয়ে গেল সোনা। শুধু সোনা নয়, প্রচুর সস্তা হয়ে গিয়েছে রুপোও। একদিনে ২৫০০ টাকা কমেছে রুপোর দাম। পুজোর আগেই এত সস্তা হয়ে গেল সোনা-রুপো। এমন সুযোগ আর কিন্তু পাবেন না। তাই আজই যান সোনার দোকানে।

২২ ক্যারেট সোনার দাম-
আজ, শনিবার ২২ ক্যারেটের ১ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৬৬৮০ টাকা। ১০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৬৬ হাজার ৮০০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। একদিনেই ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ৪০০০ টাকা কমেছে।

২৪ ক্যারেট সোনার দাম-
২৪ ক্যারেটের সোনার দামও আজ কমেছে। ১ গ্রাম সোনা কিনতে আজ খরচ পড়বে ৭২৮৭ টাকা। ১০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৭২ হাজার ৮৭০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। একদিনেই ৪৪০০ টাকা সোনার দাম কমেছে।

১৮ ক্যারেট সোনার দাম-
১৮ ক্যারেটের ১ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫৪৬৬ টাকা। ১০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫৪ হাজার ৬৬০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০০ টাকা। একদিনে ৩২০০ টাকা দাম কমেছে সোনার।

রুপোর দাম-
সোনার পাশাপাশি আজ রুপোর দামও কমেছে। ১০০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৮৪৫০ টাকা। ১ কেজি রুপো কিনতে খরচ পড়বে ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। একদিনে ২৫০০ টাকা দাম কমেছে।