WEATHER

Top News


বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদের কটাক্ষের জবাবে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন হিরো আলম।

Bangladesh: 'আপনারা কেন রুচি নষ্ট করেন?' ফেসবুকে আত্মহত্যার হুমকি হিরো আলমেরবাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম (ছবি সৌজন্য - ফেসবুক)

ঢাকা: বাংলাদেশে এই সময়ের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুধু ১৮ কোটি বাংলাদেশি নয়, এপাড় বাংলার মানুষের আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। প্রথমে মিউজিক ভিডিয়ো, তারপর কখনও গান, কখনও সিনেমা, কখনও আবৃত্তি করে দনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এমনকি উপ-নির্বাচনে প্রপতিদ্বন্দ্বিতাও করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও, পরে জানানো হয়েছিল সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। এহেন হিরো আলম এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিলেন। সোমবারই হিরো আলমকে কটাক্ষ করেছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা তথা নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদ। একদিন পরই আত্মহত্যার হুমকি দিলেন এই বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়া তারকা।


সোমবার, এক অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ মন্তব্য করেছিলেন, “আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। যেই কারণে হিরো আলমের মতো মানুষের উত্থান হয়েছে।” মামুনুর রশিদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন এক ফেসবুক লাইভ করেন হিরো আলম। মামুনুর রশিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের মতো রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।” মামুনুর রশিদদের মতো বড় মাপের মানুষ তাঁকে নিয়ে কথা বলছেন, এটা তাঁর সৌভাগ্য বলে জানান হিরো আলম। নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন?”


মামুনুর রশিদের উদ্দেশ্যে হিরো আলম বলেন, “স্যার আপনি ইচ্ছে করলেই কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন নাই। বাংলাদেশ নাকি আমার কারণে নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করা হয়, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না। তখন তো চুপ করে থাকেন। সমাজের নানা অনিয়ম, অনাচার, অবিচার ও অণ্যায় দেখার পরও তো চুপ করে থাকেন। প্রতিবাদ করেন না। সেই সময় আপনাদের রুচিবোধ কোথায় থাকে? আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই, আমার কী অপরাধ? যদি আমি আপনার ছেলে হতাম, এভাবে বলতে পারতেন? অনেক শিক্ষিত-অশিক্ষিত এমপি দেখেছি। তারা কেউ সমাজের কথা দেশের কথা, মানুষের কথা বলে না। টাকা আর দখলদারি নিয়ে ব্যস্ত। তখন আপনারা চুপ করে থাকেন।”

এরপরই ফেসবুক লাইভে নিজেকে মেরে ফেলার হুমকি দেন হিরো আলম। তিনি বলেন, “মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে। কয়টা লোকের রুচি আছে? ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের? হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেললে কেউ থামাতে পারবেন না। আমি নিজ যোগ্যতায় আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। আপনারা আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন? কেন ভাই? একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনারা রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। মানুষ আত্মহত্যা করে কখন? সবকিছুতে টর্চারিং করছেন। টিকটক দেখেন তো? কেন তাদের বন্ধ করতে পারছেন না? অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের জন্য আমি যদি আত্মহত্যা করি। এর জন্য দায়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।

কোথাও বাজল ঢাক, কোথাও মিষ্টিমুখ; উত্তর দিতে এসে বললেন সরকারি কর্মীরা বললেন ‘হ্যাপি শোকজ ডে’।

DA Agitation : কোথাও বাজল ঢাক, কোথাও মিষ্টিমুখ; উৎসবের মেজাজে শোকজের উত্তর দিলেন সরকারি কর্মীরা
বালুরঘাট: কেন সামিল হয়েছেন ধর্মঘটে? ১০ মার্চ কেন যোগ দেননি কাজে? এই প্রশ্ন তুলেই সরকারি কর্মীদের শোকজ লেটার (Show cause letter) ধরিয়েছিল সরকার। তাঁর উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে ভাসলেন সরকারি কর্মীরা (Government Workers)। কোথাও বাজল ঢাকঢোল, কোথাও পালন হল হ্যাপি শোকজ ডে, আবার কোথাও চলল মিষ্টি মুখ।


প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বহু শিক্ষকরা ডিএর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে ধর্মঘটে সামিল হন। তাঁদের কাছে শোকজ লেটার পাঠিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। এবার সেই শোকজের উত্তর দিলেন শিক্ষকরা। এদিন বালুরঘাট, হিলি সহ বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মঘটে সামিল হওয়ারা নিজেদের মধ্যে ও ডিআই অফিসে মিষ্টি বিতরণ করে ওই শোকজের উত্তর জমা দিয়েছেন। যদিও এদিন প্রথমে শিক্ষকদের শোকজের উত্তর নিতে অস্বীকার করেন অফিসের কর্মীরা। আন্দোলনকারীরা এনিয়ে অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে পরে বাধ্য হয়ে তা জমা নেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে দুর্গাপুরে আবার হ্যাপি শোকজ ডে পালন করলেন সরকারি কর্মীরা। 



Weather Update : নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
হাতে সরকারের দেওয়া শো-কজের চিঠি নিয়ে চলল অভিনব প্রতিবাদ। এদিন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শকের দফতরে এসে শো-কজের উত্তর জমা দিয়ে গেলেন আন্দোলনকারীরা। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরের সামনে থেকে পদযাত্রা করে শিক্ষক শিক্ষিকারা অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শকের দফতরে যান। ভয় নয়, ভীতি নয়, বরং শো-কজের চিঠি পেয়ে তারা আনন্দিত, উৎফুল্ল সরকারি কর্মীরা। হাসি মুখেই দিলেন শোকজের উত্তর। কার্যত একই ছবি দেখতে পাওয়া গেল বালুরঘাট ডিআই অফিসে। স্কুল শেষে মিষ্টি মুখ করতে করতে ডিআই অফিসে এলেন শিক্ষকরা। এদিকে এদিন শোকেজের উত্তর দেওয়ার সময়ই আবার নতুন করে ২২৩ জন শিক্ষককে শোকজ লেটার পাঠানো হয়। যদিও ডিএ-র দাবিতে অনড় আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। শোকজ লেটার পাওয়া শিক্ষক অসিত বরণ লাহিড়ী ও অনিমেষ লাহিড়ী বলেন, “মিষ্টিমুখ করেই শুভ কাজ শুরু করতে হয়৷ গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্য আমাদের শোকজ করা হয়েছিল। তারই উত্তর আমরা এদিন জমা দিয়েছি। তবে এমন ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না।” একইসঙ্গে আগামীদিনে মহার্ঘ ভাতা সহ অন্যান্য ন্যায্য দাবিতে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। 

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ), নয়া দিল্লিতে বিজেপির নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, বিজেপিই এখন একমাত্র দল, যাদের সর্বভারতীয় উপস্থিতি আছে।

BJP office extension: পরিবারবাদী দলগুলির মাঝে এখন বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল: মোদীনয়া দিল্লিতে বিজেপির নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার (২৮ মার্চ), নয়া দিল্লিতে বিজেপির নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, এই ভবনের সম্প্রসারণ আসলে দলের অগ্রগতির প্রতীক। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভারতে কয়েকটি মাত্র হাতে গোনা পরিবারবাদী দল পড়ে রয়েছে। তবে, বিজেপিই দেশের একমাত্র দল যাদের সর্বভারতীয় উপস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, “দেশে পরিবার-পরিচালিত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিজেপি এখন একমাত্র দল যাদের পূর্ব থেকে পশ্চিমে এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে সর্বভারতীয় উপস্থিতি আছে। আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল দুটি লোকসভা আসন দিয়ে। এখন আমাদের ৩০৩টি আসন রয়েছে।” এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়া বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ গেরুয়া শিবিরের অনেক বিশিষ্ট নেতা উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেন, বর্তমানে বিজেপি শুধুমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলই নয়, বিশ্বের সবথেকে ভবিষ্যতবাদী দলও বটে। আর, এর একমাত্র লক্ষ্য হল একটি আধুনিক এবং উন্নত ভারত গঠন করা। তিনি বলেন, “এই কার্যালয়ের সম্প্রসারণ শুধু একটি ভবনের সম্প্রসারণ নয়, এটি প্রতিটি বিজেপি কর্মীর স্বপ্নের সম্প্রসারণ। আমি দলের কোটি কোটি কর্মীকে প্রণাম করছি। আমি দলের সমস্ত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকেও প্রণাম করছি। বিজেপি একটি ছোট দল ছিল, যার স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য। এই ভবনটির সম্প্রসারণ দলের অগ্রগতির প্রতীক।”



১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার পরবর্তী সময়ে বিজেপিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “দেশ কখনই ১৯৮৪ সালের সেই অন্ধকারময় পর্বটি ভুলতে পারবে না। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস ঐতিহাসিক জনমত পেয়েছিল। পরিবেশ ছিল সম্পূর্ণ আবেগপূর্ণ। আমরা সেই তরঙ্গে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা হতাশ হইনি, অন্যকে দোষারোপও করিনি।”

বিরোধীদের ঐক্যকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা দুর্নীতিতে গভীরভাবে ডুবে আছে, তারা সবাই এক মঞ্চে একত্রিত হচ্ছে। আমরা দুর্নীতিগ্রস্তদের শিকড় নড়বড়ে করে দিয়েছি। কংগ্রেসের আমলে পিএমএলএ-র অধীনে মাত্র ৫,০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির অধীনে আমরা প্রায় ১০,০০,০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছি। ২০ হাজার পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধীরা আমাদের হাতে ধরা পড়েছে।”
শ্রেয়সের অনুপস্থিতি কেকেআরের জন্য় বিরাট ধাক্কা, সে কথা স্বীকার করে নিলেন নতুন অধিনায়ক। তবে এই পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন নীতীশ।

Nitish Rana : নেতৃত্বে কাকে অনুসরণ করেন নীতীশ? কেকেআর অধিনায়ক বললেন...
Image Credit Source: KKR, Twitter
কলকাতা : অনেক বড় দায়িত্ব। তাই নয় কি? কলকাতা নাইট রাইডার্সকে এ বারের আইপিএলে নেতৃত্ব দেবেন নীতীশ রানা। কেকেআর টিম ম্য়ানেজমেন্ট আশাবাদী শ্রেয়স আইয়ারকে পরের দিকে পাওয়া যাবে। সেই সম্ভাবনা যদিও ক্ষীণ। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে নীতীশকেই। কেকেআর কিংবা আইপিএলে প্রথম হলেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে নীতীশ রানার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা বলের ফরম্য়াটে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নেতৃত্বের দিক থেকে কাকে অনুসরণ করেন কেকেআরের নতুন অধিনায়ক? অনেকের নেতৃত্বেই খেলেছেন নীতীশ। নেতা হিসেবে দেখেছেন আরও অনেককেই। সোমবারই কেকেআর অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছে তাঁর। এ দিন প্রথম বার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন। কী বললেন নাইটদের নতুন অধিনায়ক? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।


নতুন মরসুম, নতুন কোচ এবং নতুন অধিনায়ক। পারফরম্য়ান্সে কতটা নতুনত্ব দেখা যাবে, সময়ই বলবে। প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে কেকেআর অধিনায়ক নেতৃত্বের আইডল কে প্রশ্নে বলেন, ‘আমি কাউকেই অনুসরণ করি না। নিজের মতো করে নেতৃত্ব দিতে চাই। কাউকে অনুসরণ করতে গেলে হয়তো নিজস্বতা হারিয়ে ফেলব। আমি আমার মতো করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ যাঁদের নেতৃত্বে খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে কাকে পছন্দ? নীতীশ বলছেন, ‘আমি অনেকের নেতৃত্বেই খেলেছি। গৌতম গম্ভীর, ইয়ন মরগ্য়ান, দীনেশ কার্তিক, শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে খেলেছি। দাদার (সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়) নেতৃত্বে খেলার সুযোগ না হলেও প্রত্যেকেই ওঁর নেতৃত্ব গুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ভারতীয় ক্রিকেটকে দাদা কোন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে, কারও অজানা নয়। দাদার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তবে আমার নিজস্ব একটা ধরণ রয়েছে। একটু অপেক্ষা করুন, মাঠেই পারফরম্য়ান্স দেখতে পারবেন।’


শ্রেয়সের অনুপস্থিতি কেকেআরের জন্য় বিরাট ধাক্কা, সে কথা স্বীকার করে নিলেন নতুন অধিনায়ক। তবে এই পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন নীতীশ। বলছেন, ‘বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। দায়িত্ব নিতে পছন্দও করি। শ্রেয়সের চোট আমাদের জন্য় খুবই দুর্ভাগ্যজনক। দলের মূল প্লেয়ার শ্রেয়স। অভিজ্ঞতার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টিকে সরিয়ে রাখলে, সার্বিক ভাবে আমাদের দল খুবই ভালো জায়গায় রয়েছে।’



ইতিমধ্যেই বামেদের নিশানা করতে করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করতে শুরু করেছেন উদয়ন গুহ।



Udayan Guha: 'ফাইল' খুলেছেন, এবার 'গোডাউন' খোলার হুঁশিয়ারি উদয়নেরনিজস্ব চিত্র
কোচবিহার : দুর্নীতির অভিযোগকে আরও পোক্ত করতে এবার একের পর এক নাম সামনে আনতে শুরু করেছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বাম আমলে থার্ড ডিভিশন বা তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে নিশানা করে পাঁচজনের নামও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রাক্তন এই বাম নেতার দাবি, ‘এই সব নাম শুধুমাত্র স্যম্পল ফাইল’, এরপর গোটা ‘গোডাউন’ খোলা বাকি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যা বলেছি সে সব একটা ছোট অংশ মাত্র। এবার গোডাউন খুললে আরও নাম বেরিয়ে আসবে।’ ইতিমধ্যেই বামেদের নিশানা করতে করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করতে শুরু করেছেন উদয়ন গুহ।

মঙ্গলবার একটি পোস্টে উদয়ন লিখেছেন, ‘আজ সেলিমের জন্য। এরা সবাই তৃতীয় বিভাগে পাশ করে প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি করেছেন। সনাতন সাহা, বিমল দাস, অঞ্জলি সেন, মলয় রায়, মলয় গুহ নিয়োগী। পরপর আরও আসবে।’ সোমবারও তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অঞ্জলি সেন, শুক্লা সরকার, বুদ্ধদেব রায়, বিশ্বনাথ রায়, মলয় রায় সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। যে নামগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।


উল্লেখ্য, বামেদের দুর্নীতির নমুনা দিতে গিয়ে নিজের বাবা কমল গুহর নামও করেছেন উদয়ন গুহ। যে মন্তব্যের জন্য তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন, চাকরি দেওয়ার গোটা প্রক্রিয়া দলীয় কার্যালয় থেকেই হত। বামফ্রন্ট তথা ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকাকালীন তিনি নিজেও বিভিন্ন দফতরে নাম সুপারিশ করেছেন বলে দাবি উদয়নের। তিনি আরও বলেছেন, ‘বাম আমলে আমি চাকরির জন্যে সুপারিশ করেছি। চাকরি তো দিইনি। এতে যদি আমি দোষী হই তাহলে আমার শাস্তি হোক।’

মঙ্গলবার জাভেদ খান ওই পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি।

Javed Khan in Tiljala: তিলজলার বিক্ষোভের ঘটনায় বহিরাগত-যোগ! অভিযোগ জাভেদ খানেরবিক্ষোভ প্রসঙ্গে জাভেদ খান
কলকাতা : তিলজলায় শিশু খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় গত সোমবার। থানা থেকে রেল লাইন সর্বত্র চলে বিক্ষোভ। এক ৮ বছরের নাবালিকার ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় গত রবিবার। তার জেরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, বালিগঞ্জ, পিকনিক গার্ডেন এলাকা। সেই বিক্ষোভে বহিরাগতরা সামিল হয়েছিলেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান। মঙ্গলবার মৃত শিশুর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দিতে তিলজলায় গিয়েছিলেন জাভেদ খান। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেছেন তিনি।

রাজ্য সরকারের তরফে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মতো জাভেদ খান ওই পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। যেভাবে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে জাভেদ খান বলেন, ‘এই সময় দাঁড়িয়ে কেন ওঝা বা তান্ত্রিকের ওপর বিশ্বাস করা হবে?’ আসলে জেরায় ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করেছেন তান্ত্রিকের পরামর্শ মেনেই ওই নাবালিকাকে হত্যা করেছিলেন তিনি। তিনি নিজে যাতে সুস্থ সন্তানের বাবা হতে পারেন, সে কারণেই নাকি এই খুন করেছেন বলে দাবি অভিযুক্তের।

অন্যদিকে, সোমবারের ঘটনা সম্পর্কে জাভেদ খান বলেন, ‘গতকালের ঘটনার মধ্যে বহিরাগত ছিল। অনেকেই এলাকায় ঢুকেছিল বাইরে থেকে। যারা বলেছিল ২০০ পার করবে তারা থেকে থাকতে পারে।’


ইতিমধ্যেই তিলজলার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে জাভেদ খান বলেন, ‘দিল্লির টিম আসুক। স্বাগত জানাব। তবে তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় এলেও হাথরাস বা অন্যান্য জায়গায় কোনও ঘটনা ঘটলে কেন যায় না দিল্লির টিম?’

ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে তান্ত্রিকের কথা তিনি বলছেন, তাঁর সন্ধান পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই তান্ত্রিকের ঠিকানা ঠিক করে বলতে পারছেন না অভিযুক্ত। তাই খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। অভিযুক্তের বক্তব্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আসানসোল সিজেএম আদালত।

Jitendra Tewari: জামিন অধরা, ১৪ দিনের জেল হেফাজত জিতেন্দ্র তিওয়ারিরজিতেন্দ্র তিওয়ারি, (নিজস্ব চিত্র)
আসানসোল: মিলল না জামিন। জেলেই ঠাঁই হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। মঙ্গলবার জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আসানসোল সিজেএম আদালত (Asansol Court)। যদিও সরকারি আইনজীবী জিতেন্দ্রকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্রর আইনজীবী। তারপর প্রায় পৌনে দু-ঘণ্টার শুনানিতে তীব্র বাদানুবাদ, টানটান উত্তেজনা শেষে জিতেন্দ্রকে জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।


আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আসানসোল সিজেএম আদালতে জিতেন্দ্রর কম্বল বিতরণ নিয়ে মামলার শুনানির শুরুতেই সরকারি আইনজীবী জিতেন্দ্রকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানান। এই দাবির স্বপক্ষে তিনি বলেন, “কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে যে বিদ্যুতের বিল দেখানো হয়েছে তা ভুয়ো, ওই দিন যে ডেকরেটর কাজ করেছিলেন তাঁর লাইসেন্স নেই, ৩ হাজার কম্বল কিনে ৬ হাজার কুপন বিলি করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে এরকমই নানা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাই ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ জানতে পুলিশি হেফাজত নেওয়া যেতে পারে।” হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে তদন্ত বিনা বাধায় অগ্রসর হবে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তদন্তের স্বার্থেই জিতেন্দ্রকে আবার পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি জানান সরকারি কৌঁসুলী।

যদিও সরকারি আইনজীবীর যুক্তির পাল্টা বিরোধিতা করে জিতেন্দ্র জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। তিনি বলেন, “আমার মক্কেল পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র, প্রাক্তন জেলা সভাপতি। তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছেন তিনি। জামিন দিলে তিনি আদালতের সব নির্দেশ মেনে চলবেন।” পুনরায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁর মক্কেলকে অপদস্থ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।



CM Mamata Banerjee: ‘দল যাকে দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই লোক পাঠাচ্ছে’, জাকিরের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মমতার
বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর তীব্র বাদানুবাদের পর শুনানির শেষলগ্নে জিতেন্দ্র নিজে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য বিচারককে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “একটু ভালো করে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হোক। একটা অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার জন্য তিনজন মারা যান। এদের মধ্যে দুজন ওই এলাকার এবং আরেকজন অন্য জায়গার। যে বাইরের তাঁর পরিবারের একজনকে দিয়ে ভুল বুঝিয়ে মামলা করানো হল। অনুষ্ঠান যে জায়গায় হয়েছে সেখানে যে দুজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কেউ মামলা করলেন না। কারণ তাঁরা জানতেন ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা। পরদিনই সরকার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একটি সরকারি চাকরির ঘোষণা করে। চাকরি পাওয়ার আশায় তিনি মামলা করেছেন।”

জিতেন্দ্র আরও বলেন, “আমার বা আমার পরিবারের কারও কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। একটা সামাজিক কাজ করতে গিয়ে আজ আমি হেফাজতে। আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে অপদস্থ করা হয়েছে।” এরপর বিচারকের উদ্দেশ্যে বিজেপি নেতা আবেদন করেন, ছটপুজোয় তাঁকে হেফাজতে থাকতে হল। রামনবমীর মিছিলে তিনি প্রতি বছরই অংশগ্রহণ করেন। অনুগ্রহ করে রায় দেওয়ার আগে এই কথাগুলোও বিবেচনা করা হোক। যদিও শেষ পর্যন্ত জিতেন্দ্র তিওয়ারির আবেদন গ্রাহ্য করেনি আদালত।

শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রুজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওলবাডোরও।

Fire: মেক্সিকোর শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত ৩৯মেক্সিকোর শরণার্থী শিবিরে আগুন। ছবি: রয়টার্স।
মেক্সিকো সিটি: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হল মেক্সিকো (Mexico)। অভিবাসীদের একটি শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী আগুন (Fire) লেগে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৩৯ জনের। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর উত্তর সীমান্তের শহর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি শরণার্থী শিবিরে। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রুজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওলবাডোরও।


ন্যাশনাল মাইগ্রেসন ইনস্টিটিউট (INM)-অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, রাস্তার ধারে বসবাসকারী শরণার্থীদের তুলে নিয়ে এসে সিউদাদ জুয়ারেজের একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই শরণার্থী শিবিরে আগুন লেগে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডে ২৯ জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে INM-এর তরফে জানানো হয়েছে।


Covid-19: ‘গৃহবন্দি’ জীবন ফিরে আসার আশঙ্কা, আগামী তিনমাসে শীর্ষে পৌঁছতে পারে করোনা সংক্রমণ
জানা গিয়েছে, সিউদাদ জুয়ারেজের অগ্নিদগ্ধ শরণার্থী শিবিরটিতে মোট ৬৮ জন থাকতেন। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ আচমকা শিবিরের ভিতর আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা শিবির। ঘটনায় ৩৯ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন এবং ২৯ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। যদিও ঠিক কী থেকে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রুজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওলবাডোরও। তবে মৃতদের নাম, পরিচয় এবং তাঁরা কোন দেশের নাগরিক, তা জানা যায়নি

মণিপুরে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ এবং টুর্নামেন্ট হল। প্রতি ম্য়াচেই গ্য়ালারি পূর্ণ থেকেছে। শেষ তথা 'ফাইনাল' ম্যাচেও তার অন্যথা হল না।


ইম্ফল : সুনীল ছেত্রীর হাতে আরও একটা ট্রফি। ইম্ফলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় ফুটবল দল। মায়ানমার, কিরগিস্তান এবং ভারত অংশ নিয়েছে এই প্রতিযোগিতায়। মায়ানমারের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ভারত। মায়ানমার বনাম কিরগিস্তান ম্য়াচ ড্র হয়। ফলে এ দিন শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চ্য়াম্পিয়ন হত ভারত। তবে ড্র নয়, ২-০’র অনবদ্য জয়েই খেতাব জিতল ভারত। দেশের হয়ে ৮৫তম গোল করলেন ক্য়াপ্টেন সুনীল ছেত্রী। ছাপিয়ে গেলেন কিংবদন্তি ফেরেন্স পুস্কাসকে (৮৪)। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভিশন ২০৪৭’র অংশ হিসেবে এই টুর্নামেন্ট ধরা যায়। ভারতীয় ফুটবলাররা যাতে অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়, সে দিকেই নজর ফেডারেশনের। এই ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের মাধ্য়মে এশিয়ান কাপেরও প্রস্তুতি কিছুটা সেরে রাখল ভারত। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।


প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে মায়ানমারকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। আরও বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি হলেও স্কোর লাইনে বদল হয়নি। সুনীল ছেত্রীর কাছেও বেশ কিছু গোলের সুযোগ এসেছিল। ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি এ দিন অবশ্য় খালি হাতে ফিরলেন না। কিরগিস্তানের বিরুদ্ধে ২-০ ব্য়বধানে জয় গোল করলেন সুনীলও। ভারতকে এগিয়ে দেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। ভারতীয় দলের রক্ষণের অন্য়তম স্তম্ভ সন্দেশ। হেডে প্রচুর গোল করেছেন। কিরগিস্তানের বিরুদ্ধে পায়ে অনবদ্য গোল করলেন। এর জন্য় কৃতিত্ব প্রাপ্য ব্র্য়ান্ডন ফার্নান্ডেজেরও। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে ব্র্য়ান্ডন ফ্রি-কিক নেন। অফ সাইড ফাঁদ কাটিয়ে গোলের সামনে সেই বলে টোকা মেরে জালে ঢোকান সন্দেশ। ১-০ এগিয়েই বিরতিতে যায় ভারত।


ম্যাচের ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ভারতের পক্ষে স্কোরলাইন ২-০ করেন সুনীল ছেত্রী। কলকাতায় এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্য়তা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে কিংবদন্তি ফেরেন্স পুস্কাসকে ছুঁয়েছিলেন সুনীল। কিরগিস্তানের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের জার্সিতে ৮৫ তম গোলে পুস্কাসকে ছাপিয়ে গেলেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি। কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। ইম্ফলে এ দিন গ্য়ালারিতে শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত তুলসীদাস বলরামকে।

Tiljala Child Murder: 'ব্ল্যাক ম্যাজিক' ইস্যুতে নাগরিক মনন উন্নয়নে গাইড লাইন চেয়ে আগেই হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজ্ঞান মঞ্চ। কিন্তু দীর্ঘদিন তা শুনানির জন্য ওঠেনি।

Tiljala Child Murder: তিলজলা শিশুকন্যা খুনে তন্ত্রযোগ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজ্ঞান মঞ্চকলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা: বীরভূমের আমোদপুরে ডাইনি অপবাদে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে পিটিয়ে ‘খুন’, তারপরই তিলজলায় শিশুকন্যা খুনে তন্ত্রসাধনার যোগ- গোটা বিষয়টি নিয়ে এবার নাগরিক সচেতনা বাড়াতে আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজ্ঞান মঞ্চ। ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’ ইস্যুতে নাগরিক মনন উন্নয়নে গাইড লাইন চেয়ে আগেই হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজ্ঞান মঞ্চ। কিন্তু দীর্ঘদিন তা শুনানির জন্য ওঠেনি। রাজ্যে এক সপ্তাহেই ঘটে যাওয়া পরপর দুটি নৃশংস ঘটনাকে সামনে রেখে আবারও সেই মামলার শুনানির আবেদন করলেন মামলাকারী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদন জমা দেওয়ার অনুমতি মিলেছে।


প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বীরভূমের আমোদপুরে মর্মান্তিক একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ডাইনি অপবাদে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় নাম ওঠে গ্রামেরই মোড়ল ও আরও বেশ কয়েকজনের। ন’পাড়া গ্রামের মোড়ল রুবাই বেসরা ও আশপাশের আদিবাসী গ্রামের বেশ কিছু মানুষের সন্দেহ হয়েছিল, পাণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ডাইনিবিদ্যা জানেন। আর সন্দেহের বশেই মোড়ল তাঁর দলবল নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হন। শুরু হয় অত্যাচার। অবস্থা খারাপ হলে, তাঁরা দম্পতিকে ওই অবস্থাতেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে ওই দম্পতির এক আত্মীয় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টি দেখতে পান। ততক্ষণে আরও আশঙ্কাজনক হয়ে যায় ওই দম্পতির শারীরিক অবস্থা। তাঁদের উদ্ধার করে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁদের। এরপরের অভিযোগ আরও বড়। দেহ ময়নাতদন্তের পর অভিযুক্তরাই দ্রুত তা ট্রাক্টরে শ্মশানে নিয়ে যান। সেখানে সৎকারেরও চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীরাই তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।

এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই শনিবার আরও ভয়ানক ঘটনা সামনে আসে তিলজলায়। খোদ কলকাতার বুকেই আট বছরের এক শিশুকন্যার মর্মান্তিক খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দেয় গোটা বাংলাকে। শিশুকন্যাটি যে আবাসনের বাসিন্দা, তারই এক তলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় শিশুকন্যার হাত পা বাঁধা দেহ। একটা বস্তার মধ্যে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ছিল শিশুটির দেহ। শিশুটির মুখেও কাপড় বাঁধা ছিল। পুলিশ আগেই অনুমান করেছিল, খুনের আগে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন হয়। যদিও পরিবারের তরফ থেকে কেবল খুনের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। ময়ানতদন্তের রিপোর্টেও উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিশুকন্যাটির যৌনাঙ্গেও ছিল ক্ষতচিহ্ন। সারা শরীর, মাথায় স্ক্রু ড্রাইভার জাতীয় কিছু দিয়ে ফুটো করার চিহ্ন মিলেছিল। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে তন্ত্রযোগ। অভিযুক্তের কোনও সন্তান ছিল না। কোনও এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তিনি নাকি শিশু বলি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তদন্তে যা উঠে এসেছে, তাতে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারাও।

পরপর ঘটে যাওয়া এই দুটি ঘটনায় রীতিমতো সমাজের বুকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কীভাবে একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও ‘ডাইনি’তত্ত্ব কিংবা শিশুবলি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। সেক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনা বাড়াতে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান মামলাকারী।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ম্যাজিক অর্থাৎ কালা জাদু, বলি প্রথার বিরুদ্ধে কড়া আইন আনা হয়। মহারাষ্ট্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৩ সালে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা নরেন্দ্র দাভলকরের করা এই বিষয়টি আদালতে সওয়াল করেছিলেন।

এক বাম নেতা জানিয়েছেন, পুলিশের অনুরোধেই এই পরিবর্তন করা হয়েছে।

CPM Rally: ২৯-এর মিছিলে রুট বদল বামেদের, বদলে গেল সময়ও
কলকাতা : বামেদের মিছিলের দু দিন আগেই বদলে গেল রুট। আগামী বুধবার যে মিছিল হওয়ার কথা, সেই মিছিলের রুট পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে বামফ্রন্টের তরফে। প্রথমে জানানো হয়েছিল, রামলীলা ময়দানে হবে জমায়েত। সেখান থেকে মিছিল যাবে লেনিন মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত। তবে সোমবার বামফ্রন্টের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু হলেও আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে মিছিল এগিয়ে যাবে পার্ক স্ট্রিট ধরে পার্ক সার্কাসের দিকে। লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হবে মিছিল এবং সেখানে সভা হবে।


শুধুমাত্র রাস্তা নয়, বদল হয়েছে সময়ও। প্রথমে ঠিক হয়েছিল দুপুর আড়াইটায়। পরে ঠিক হয়েছে, ৩ টের সময় শুরু হবে মিছিল। ২৯ তারিখেই তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সভা রয়েছে। সই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণেই এই রুট বদল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এক বাম নেতা জানিয়েছেন, পুলিশের অনুরোধেই এই পরিবর্তন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২৯ ও ৩০ মার্চ কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, রাজ্যবাসীর স্বার্থে আঘাত করে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ করেছে এবং তৃণমূল সরকার যেভাবে সর্বাত্মক দুর্নীতি চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট থেকে তিনদিনের কর্মসূচিতে নামছে।


২৮, ২৯ এবং ৩০ মার্চ রাজ্যব্যপী প্রচার কর্মসূচি চলবে বামেদের। ২৯ মার্চ বুধবার কলকাতায় কেন্দ্রীয়ভাবে মিছিল করা হবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যব্যাপী বামেদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে সংগঠনে নতুন করে অক্সিজেন যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।




রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে এই নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। বাম, বিজেপি সব শিবির কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে।

Mamata Banerjee: রাষ্ট্রপতির কাছে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার অনুরোধ মমতার, বিরোধীরা স্মরণ করাচ্ছে অম্বিকেশদের কথাদ্রৌপদী মুর্মু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: দুই দিনের সফরে বাংলায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য সোমবার নেতাজি ইনডোরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুরোধ, ‘ম্যাডাম, প্লিজ গরিব মানুষদের তথা সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করুন। দেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করুন।’ কিন্তু মমতার এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছে বিরোধীরা। বাম, বিজেপি সব শিবির কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে।


বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তাতে কোনও ভুল নেই। কারণ, সংবিধানকে রক্ষা ও নাগরিকদের অধিকার রক্ষাই সকলেই দায়িত্ব। একইসঙ্গে সুজনবাবুর প্রশ্ন, ‘রাষ্ট্রপতি যদি তাঁকে পাল্টা জিজ্ঞেস করতেন অম্বিকেশ মহাপাত্রদের নাম আপনার মনে আছে? যাঁরা চাকরির দাবিতে দফতরে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে পুলিশের পেটানি খাচ্ছে, তাদের যে নাগরিক অধিকার হনন হচ্ছে, এই ব্যাপারে আপনার জানা আছে কি? তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কী বলতেন জানা নেই, কিন্তু বাংলার মানুষ লজ্জা বোধ করত মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া শুনে।’

খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। দিলীপ বাবুর বক্তব্য, ‘ঠিকই বলেছেন। সংবিধান রক্ষার কাজ রাষ্ট্রপতির। তিনি সেই কাজই করছেন। ওঁকে জ্ঞান দিতে হবে না। উনি(দ্রৌপদী মুর্মু) মন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন। উনি জানেন কোনটা তাঁর কাজ। এরা(রাজ্য সরকার) তো রাজ্যপালকে পকেটে পুরে ফেলতে চেয়েছিল। রাজ্যপাল যখন নিজের মতো করে কথা বলছেন, তখনই ঝগড়া লাগছে। এঁরা(রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল) জানেন নিজেদের কাজ করতে, তাই তাঁদের পদে বসানো হয়েছে।’


রাষ্ট্রপতির কাছে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার অনুরোধ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্রর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে তো এই রাজ্যের সরকারকে সরিয়ে দিতে হয়। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে ৩৫৬ ধারা জারি করতে হয়। বললেন, ‘এখানে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। শাসকের আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, প্রতিবাদকে রক্তাক্ত করে বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। মানুষের শিক্ষার অধিকার নীল আকাশে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষের মেধাকে চড়া বাজারে বিক্রি করে তাঁকে প্রতারিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের বক্তব্য রাখার নৈতিক বা রাজনৈতিক অধিকার কি মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের কোনও নেতার আছে?’

সরাসরি উদয়ন গুহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিজেপি নেত্রী বলেন, 'আপনি একটা ফাইলও বের করতে পারবেন যাতে দুর্নীতির প্রমাণ আছে?'

Udayan Guha: 'আমার দাদুর দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারবেন?' উদয়নকে চ্যালেঞ্জ ভাগ্নি উজ্জয়িনীরউদয়নকে চ্যালেঞ্জ উজ্জয়িনীর
কোচবিহার: প্রয়াত বাবাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বাবা তথা বাম আমলের মন্ত্রী কমল গুহও নাকি একসময় দলের স্বার্থে দুর্নীতি করেছেন, অনেককে চাকরি দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে এবার আসরে নামলেন তাঁরই ভাগ্নি উজ্জয়িনী রায়। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উজ্জয়িনী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া ভাষায় মামা উদয়নের মন্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। দাদু কমল গুহ সম্পর্কে কেন এই ধরনের মন্তব্য করা হল? উদয়নকে প্রমাণ দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে দিয়েছেন উজ্জয়িনী।


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উজ্জয়িনী বলেন, ‘উদয়ন গুহ আমার দাদুকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন। উনি বলেছেন কমল গুহ দুর্নীতি করে চাকরি দিয়েছেন। আজ উনি এই কথাটা বললেন কেন? আসলে যখন পতনের সময় চলে আসে, তখন মানুষ এমন ভুল বকেন।‘ তাঁর দাবি, চিরকাল বাবা কমল গুহকে সামনে রেখে রাজনীতি করেছেন উদয়ন গুহ। তাই আজ যখন তাঁর দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তখনও উদয়ন বাবাকেই সামনে রাখছেন বলে দাবি তাঁর ভাগ্নির। উজ্জয়িনী উল্লেখ করেছেন, দিনহাটার মানুষ কমল গুহকে ভালবেসে ভোট দিতেন। আর তাঁর দাদুর তৈরি করে দেওয়া জমিতেই রাজনীতি করছেন তাঁর মামা।

সরাসরি উদয়ন গুহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘আপনি একটা ফাইলও বের করতে পারবেন যাতে দুর্নীতির প্রমাণ আছে? যদি ক্ষমতা থাকে ফাইল বের করে দেখান।‘ উজ্জয়িনীর দাবি, অনেকে কমল গুহর নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। আদতে কমল গুহর সরাসরি কোনও দুর্নীতি-যোগ ছিল না।


উল্লেখ্য, তৃণমূল যখন সিপিএমের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশে তৎপর, তখন সেই সুরে সুর মেলাতে গিয়ে নিজের বাবার নাম উল্লেখ করেছেন উদয়ন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবাও চাকরি দিয়েছেন। দলের স্বার্থেই দুর্নীতি করেছেন কমল গুহ। বাবাকে বাঁচাতে কোনও কথা বলব না।’ এই মন্তব্যের শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। খোদ ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা গিয়েছে, পাগলের মতো কথা বলছেন উদয়ন।