WEATHER

Top News


নাবালিকা মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুবক।।



দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোস্টাল থানার এলাকায় এক নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কুলপির থানার এলাকার এক যুবক মেলামেশা করত ও ওই নাবালিকা মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা করে দেয়,অবশেষে পরিবারের লোকজন জানতে পারায় গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিন হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে

 লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ও অভিযুক্তকে গতকাল গ্রেফতার করে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিন কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে প্রেরণ করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধ পকশো আইন ধারায় মামলা রুজু করে।।



স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় নথি খুঁজে না পাওয়াতেই ওই রেকর্ড রুম সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

হাসপাতালের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই ঘটনায় সরাসরি শাসক যোগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি
হাসপাতালের ভিতর কিছু একটা খুঁজে পেয়েছেন ওঁরা, 'চুপি-চুপি' তালা মেরে দিল স্বাস্থ্য দফতর
কেন তালা দিল?


 সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের হিসাবে বড়সড় গরমিল। তদন্তে নেমে হাসপাতালের রেকর্ড রুম সিল করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে অন্যান্য নথিপত্র। বিষয়টি নিয়ে বিশদ জানাতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দফতরও।

বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ বারেবারেই তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার তারই প্রমাণ পেল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে একটি গরমিলের ঘটনায় সম্প্রতি তদন্তে নামে স্বাস্থ্য দফতর। গতকাল স্বাস্থ্য দফতরের একটি তদন্তকারী দল হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখে। সূত্রের খবর সেই নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে হিসাবে গরমিল মেলে। আর তারপরই ওই তদন্তকারী দলের নির্দেশে হাসপাতালের একটি রেকর্ড রুম সিল করে বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কোন ক্ষেত্রে এবং কত টাকার এই গরমিল সে সম্পর্কে এখনই মুখ খুলতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় নথি খুঁজে না পাওয়াতেই ওই রেকর্ড রুম সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। হাসপাতালের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই ঘটনায় সরাসরি শাসক যোগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। ক্যমেরার সামনে মুখ না খুললেও শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ক তথা ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির দীর্ঘদিনের পদাধিকারী অলোক মুখোপাধ্যায় এই ঘটনাকে নিছকই স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।





শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসার পর সে দেশে গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। তার মাথায় বসেন মহম্মদ ইউনূস। বর্তমানে অশান্ত পরিস্থিতিতে বদলে যেতে পারে সেই রাজনৈতিক ছবিটা।

 ইউনূসকে সরিয়ে বসবেন খালেদা জিয়া! বাংলাদেশে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত


চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা পিছিয়ে গিয়েছে এক মাস। আপাতত জেল থেকে বেরতে পারছেন না তিনি। শান্ত হচ্ছে না বাংলাদেশের পরিস্থিতিও। ঢাকার জন্য বার্তা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই মধ্যে পাক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বৈঠক বাড়িয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ছবিটা।

রাষ্ট্রপতিকে কি অপসারণ করার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ? বাংলাদেশের চারদিকে চলছে এই চর্চা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার থেকে সরিয়ে সেখানে বসতে পারেন খালেদা জিয়া! এই বিষয়ে খুব সতর্ক ভাবে এগোতে চাইছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টারা।

সম্প্রতি পাকিস্তান ও চিনের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। সেই বৈঠকই এই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামি লীগের মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান একসময়ের হাসিনা ঘনিষ্ঠ ও তাঁর নিকট আত্মীয়। ফলে এই বিষয়ে জল্পনা ছিলই। তাছাড়া একাধিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মতের মিল হচ্ছে না উপদেষ্টাদের । বাংলাদেশের একটি সূত্র বলছে হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে যেহেতু ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে তাই অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বর্তমান অবস্থা যে কোনও দিকে ঘুরে যেতে পারে। আর এইসব বিষয় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানদের কপালে ।

 ৪ অক্টোবর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার। দিনভর এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সামনে আসে আসল ঘটনা।


কুলতলির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দু’মাসের মাথায় দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত, শুক্রবার সাজা ঘোষণা
দু'মাসের মাথায় দোষী সাব্যস্ত



কুলতলির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দু’মাসের মাথায় দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত। সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে এদিন মুস্তাকিন সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করল বারুইপুর মহকুমা আদালত। বারুইপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশান ফাস্ট ট্র্য়াক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এদিন এই রায় দেন। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় শুক্রবার হতে চলেছে সাজা ঘোষণা। 

প্রসঙ্গত, ৪ অক্টোবর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার। দিনভর এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সামনে আসে আসল ঘটনা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ততক্ষণে যদিও ঘড়ির কাটা ১২টার ঘর পেরিয়ে গিয়েছে। ক্যালেন্ডার বলছে দিনটা ছিল ৫ অক্টোবর। এদিকে আরজি কর কেসে তোলপাড় চলছিলই, এরইমধ্যে এ ঘটনায় নতুন করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যেই। জোরকদমে তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। 

৫ অক্টোবর বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তকে। ৭ অক্টোবর তৈরি হয় স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ৩০ শে অক্টোবর ২৫ দিনের মাথায় বারুইপুর আদালতে চার্জশিট জমা করে পুলিশ। ৫ নমেম্বর থেকে আদালতে শুরু হয়ে যায় সাক্ষ্যগ্রণের প্রক্রিয়া। মোট ৩৬ জন সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হন বলে জানা যাচ্ছে। অবশেষে ৫ ডিসেম্বর সমস্ত সওয়াল-জবাব শেষে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। 

হাউজ থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা বলেন, "একটা প্রস্তাব জমা দিয়েছি। অবশ্যই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে বলেছি। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আসলে আন্তর্জাতিক চরিত্র কতটা বজায় আছে সেটা দেখতে হবে। এখান থেকে যে বিমানগুলি আগে ইউরোপ এবং আমেরিকায় যেত সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।"


মমতা সরকারের পাশে শুভেন্দু, প্রয়োজনে দিল্লিতে মোদী সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন
মমতা সরকারের পাশে শুভেন্দু

বিধানসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ। অথবা কখনও বিক্ষোভ-বয়কটের ছবি দেখা যায়। তবে বৃহস্পতিবার দেখা গেল অন্য ছবি। বিধানসভায় শাসক-বিরোধী এক সুর। কলকাতা-ইউরোপ সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর প্রস্তাব রাজ্যের। রাজ্যের সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিমানবন্দর সম্প্রসারণে কেন্দ্র থেকে যদি বাধা আসে তাহলে পাশে থাকবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

এ দিন বিধানসভায় শুভেন্দু বলেন, “ইউরোপের একাধিক দেশ থেকে সরাসরি কলকাতা বিমানবন্দরে আসা নিয়ে কেন্দ্রের ছাড়পত্র রয়েছে। ফলে নতুন করে কেন্দ্রের অনুমোদন দরকার নেই। বাসা এবং ওপেন স্কাই এগ্রিমেন্ট আছে। আপনারা এদের সঙ্গে কথা বলুন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাড়ানোর জন্য আবেদন করুন। যদি কেন্দ্র কোনও বাধা দেয়। তাহলে আমরা, বিজেপির বিধায়করা যাব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। এই প্রস্তাবকে আমরা সর্বান্তকরণে সমর্থন করছি।” এরপর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আপনি আজ যেভাবে আমায় কয়েকবার মাননিয়া বললেন। সম্মানীয় বললেন। আমি ধন্যবাদ জানাই। ভাল লাগল। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য।”

হাউজ থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা বলেন, “একটা প্রস্তাব জমা দিয়েছি। অবশ্যই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে বলেছি। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আসলে আন্তর্জাতিক চরিত্র কতটা বজায় আছে সেটা দেখতে হবে। এখান থেকে যে বিমানগুলি আগে ইউরোপ এবং আমেরিকায় যেত সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এই প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোজাসুজি ইউরোপে-আমেরিকায় বিমান চালানো যায়।”

২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন এই শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যসভায় নিত্যানন্দ রাই বলেন, ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সিএপিএফ ও অসম রাইফেলসে ১ লক্ষ ২০৪টি শূন্যপদ রয়েছে।


সেনায় যোগ দিতে চান? রয়েছে ১ লক্ষের বেশি শূন্যপদ
ফাইল ফোটো


 আরও শক্তি বাড়ানো হচ্ছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস (সিএপিএফ) ও অসম রাইফেলসের(এআর)। সিএপিএফ ও অসম রাইফেলসে শূন্যপদ তাই বাড়ানো হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাব দিতে গিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে ৭১ হাজার ২৩১টি নতুন শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে।

২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন এই শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যসভায় নিত্যানন্দ রাই বলেন, ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সিএপিএফ ও অসম রাইফেলসে ১ লক্ষ ২০৪টি শূন্যপদ রয়েছে।

কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, সেই হিসাব তুলে ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অসম রাইফেলসে ৩ হাজার ৩৭৭টি শূন্যপদ রয়েছে। বিএসএফে শূন্যপদের সংখ্যা ১২ হাজার ৮০৮, সিআইএসএফে তা ৩১ হাজার ৭৮২। সিআরপিএফে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৭৩০। আইটিবিপি-তে শূন্যপদ রয়েছে ৯ হাজার ৮৬১। এবং এসএসবি-তে শূন্যপদের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৪৬।”

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে। কোথাও জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি, কোথাও মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, রাজনীতি পরে হবে, আগে তো সবাই হিন্দু।


বাঙালি হিন্দুরা এক হতে পারেনি, নন্দীগ্রামে আমি পেরেছি: শুভেন্দু অধিকারী

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কয়েকদিন আগেই পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতিবাদ সভায়। আর এবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশের সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু। কোন কোন পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে যায় সেই তথ্যও তুলে ধরেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা এক হতে পারেনি।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে। কোথাও জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি, কোথাও মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, রাজনীতি পরে হবে, আগে তো সবাই হিন্দু। হিন্দুদের বাঁচাতে হবে। বাঙালি হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি বলেই দাবি করেন তিনি।

শুভেন্দু বলেন, “বাঙালি হিন্দুরা এখনও ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। ভাবছেন এখানে হয়েছে, ওখানে তো কিছু হয়নি। অথচ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশে হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও হয়েছে। আমি আমার নির্বাচন কেন্দ্রে সবাইকে এক করে ফেলেছি। বলেছি, হিন্দু তুমি এক হও।” শুভেন্দুর দাবি, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৬৫ ভাগ হিন্দুকে এক করেছিলেন নন্দীগ্রামে। আর লোকসভা নির্বাচনে ৭২ ভাগ এক হয়েছে। কিন্তু গোটা বাংলায় তেমনটা হচ্ছে না। শুভেন্দুর অভিযোগ, এখানে একাধিক জায়গায় বিএসএফ-কে বেড়া করতে দেওয়া হয় না। পুজো করতে গেলে হাইকোর্টে যেতে হয়।

এই সোনার আনুমানিক ওজন এক কেজি ১৯৯ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৯১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা। ধৃত ব্যক্তির নাম সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। বয়স ৩৭। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামে। বাংলাদেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কীভাবে বাংলা দেশ থেকে সোনা পাচার হচ্ছে সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে বিএসএফ।



বাংলাদেশে এত অশান্তির মধ্যেও ওরা কিন্তু চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের কাজ, হাতেনাতে ধরল BSF
বিএসএফ আটক করল


অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে কট্টোরপন্থীদের বিরুদ্ধে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধ হয়নি পাচার। আবার সীমান্ত থেকে প্রায় ৯২ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফে-র ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে সোনাগুলি।

বিএসএফের কাছে গোপন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার আনুমানিক ছ’টা নাগাদ মাজদিয়া থেকে কৃষ্ণনগরগামী বাসে সোনা নিয়ে উঠছে। গোপন সূত্রে খবর আসার পর তারা বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে। তল্লাশি চালায় বাসে। এরপর সোনার পাঁচটি বাট সহ একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

এই সোনার আনুমানিক ওজন এক কেজি ১৯৯ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৯১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা। ধৃত ব্যক্তির নাম সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। বয়স ৩৭। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামে। বাংলাদেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কীভাবে বাংলা দেশ থেকে সোনা পাচার হচ্ছে সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। পাশাপাশি এই পাচারকারী সঙ্গে কে বা কারা জড়িত আছে সেটাও তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ আধিকারিকরা।

এ ব্যাপারে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন সুজিত কুমার বলেন, “বাংলাদেশের পুরা চালানকারী বন্ধ করাই উদ্দেশ্য। বিএসএফ সদা সর্বদা সতর্ক রয়েছে যে কোনও ঘটনার মোকাবিলা করবার জন্য।”

তদন্তেরকারীদের দাবি, প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মিউল অ‍্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত। ৭০৪টি মিউল অ‍্যাকাউন্ট ব‍্যবহার করা হত বলে জানা যাচ্ছে। ১ থেকে ২ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে একাউন্ট ভাড়া নেওয়া হতো। উঠে আসছে অভিষেক বনশল নামে এক চার্টার্ড অ‍্যাকাউন্ট‍্যান্টের নাম। তিনিই চক্রের মূল মাথা বলে খবর।


দুবাইয়ে বসে ফাঁকা করছিল দেশের কোটি কোটি টাকা, শেষে বিধাননগর পুুলিশের পাতা ফাঁদেই পড়ল ৩ ‘আন্তর্জাতিক ডাকাত’
বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩

 ফের শহরে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ। গ্রেফতার চক্রের তিন মাথা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুবাইতে বসেই চলতো যাবতীয় কারবার। গত জুন মাসে বিধাননগর সাইবার থানায় এক চিকিৎসক ১.১৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেন। গত দু’মাস ধরে তদন্ত চলছিল। বিধাননগর পুলিশ বিহার থেকে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করে। গ্যাংয়ের ১৭ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে তিনজনই মূল মাথা বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ। 

এরা ভারতীয় হলেও থাকতেন দুবাইতে। দুবাইতে বসেই অপারেট করা হত গোটা চক্র। পাশাপশি শ্রীলঙ্কাতেও এই চক্রের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মীরাও জড়িত আছেন বলে জানা যাচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতার এক ব্যাঙ্ক কর্মীকেও।

তদন্তেরকারীদের দাবি, প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মিউল অ‍্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত। ৭০৪টি মিউল অ‍্যাকাউন্ট ব‍্যবহার করা হত বলে জানা যাচ্ছে। ১ থেকে ২ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে একাউন্ট ভাড়া নেওয়া হতো। উঠে আসছে অভিষেক বনশল নামে এক চার্টার্ড অ‍্যাকাউন্ট‍্যান্টের নাম। তিনিই চক্রের মূল মাথা বলে খবর। বাড়ি শিলিগুড়িতে। থাকতেন দুবাইতে। তাঁর ডান হাত বা বাম হাত হিসাবে কাজ করতেন গুজরাটের বাসিন্দা মায়াঙ্ক চৌধুরী, ফরিদাবাদের বাসিন্দা অমিত জিন্দল। অভিষেকের সঙ্গে মায়াঙ্কের নেপালের এক ক্যাসিনোতে পরিচয় হয় বলে জানা যাচ্ছে। তারপরই একইসঙ্গে ‘অপারেশন’। ফিশিং কোম্পানি তৈরি করে বিনিয়োগের ফাঁদ পাতে। অ‍্যাপ তৈরি করে ফাঁদ পাতা হয়। অ‍্যাপ গুলো ফেক অ‍্যাপ। অ্যাপ এর মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনা চালানো হয়। 

কীভাবে চলত যাবতীয় প্রতারণা? 

বিহার-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে লোক এনে কলকাতায় রাখা হত। আধার, প্যান নিয়ে তৈরি করা হয় অ‍্যাকাউন্ট। ওই নথি ব্যবহার করে মোবাইলের সিম কার্ড তোলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাল্কে সিম কিনে দুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হত। এরপর ব‍্যাঙ্কে বাল্কে মিউল অ‍্যাকাউন্ট তৈরি করে চলতো যাবতীয় কাজ। পুরো কাজটাই চলতো দুবাই, শ্রীলঙ্কা থেকে। গেমিংয়ের মাধ‍্যমে টাকা তুলে গুজরাত দিল্লিতে পৌঁছে যেত। সেই টাকা বিট কয়েনে (ক্রিপটো কারেন্সি) বদলে যেত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ক্রিপটো কারেন্সিতে বদলে ফেলা হত কারণ তা আন্তর্জাতিক বাজারে খুব সহজে ব‍্যবহার করা সম্ভব। সব মিলিয়ে দেশজুড়ে প্রায় ২০০০ মিউল অ‍্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে বলেই এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।