WEATHER

Top News


মৃত অমিত সাউয়ের স্ত্রী জানিয়েছেন, এ দিন তাঁর জন্মদিন। আর সামনের মাসের বাইশ তারিখ মিশকার পাঁচ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সবটা ছাড়খাড় হয়ে গেল। মৃতের আত্মীয় বলেন, "আমি বারাসতে থাকি। অমিতদার দুর্ঘটনার খবর শুনতে পেয়েই চলে এসেছি।


 চিৎপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে ধাক্কা মারল হলুদ ট্যাক্সি, ছিটকে পড়ে মৃত্যু বাবা ও চার বছরের মেয়ের
চিৎপুরে মৃত্যু বাবা ও মেয়ের

বেপরোয়া গাড়ি চলাচল। বিটি রোডের উপরে প্রাণ গেল বাবা ও চার বছরের মেয়ের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। ঘটনাটি চিৎপুর থানার অন্তর্গত চুনীবাবুর বাজার এলাকার ঘটনা।

জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে চার বছরের মিশকা সাউকে স্কুল ছাড়তে যাচ্ছিল অমিতকুমার সাউ। আচমকাই একটি হলুদ ট্যাক্সি চলে আসে সামনে। ধাক্কা মারে দু’জনকে। গাড়ির উপর ছিটকে পড়েন অমিত। দূরে ছিটকে পড়ে ছোট্ট মিশকা। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাদের। ঘাতক ট্যাক্সিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে গাড়ির চালক।

মৃত অমিত সাউয়ের স্ত্রী জানিয়েছেন, এ দিন তাঁর জন্মদিন। আর সামনের মাসের বাইশ তারিখ মিশকার পাঁচ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সবটা ছাড়খাড় হয়ে গেল। মৃতের আত্মীয় বলেন, “আমি বারাসতে থাকি। অমিতদার দুর্ঘটনার খবর শুনতে পেয়েই চলে এসেছি। গাড়ির চালকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। উনি বলছেন কুড়ি থেকে তিরিশ স্পিড ছিল। সেটা একদমই নয়। এমনভাবে মেরেছে যে হেডলাইট পুরো ঢুকে গিয়েছে। ছিটকে উপরে উঠে গিয়েছে। বলছে চোখ লেগে গিয়েছিল। ভুল করে মেরে দিয়েছি। এটার একটা বিহিত হওয়া দরকার। যার গেল তারই গেল।



অনিকেত মাহাতোর আইনজীবী কল্লোল বসু উল্লেখ করেন, ৫০০ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক এদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তোলেন, অথচ সেই অভিযোগকারী চিকিৎসকদের পার্টি না করে কীভাবে এই মামলা হতে পারে।

আরজি করের বহিষ্কৃত চিকিৎসকদের বড় স্বস্তি, নোটিসে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট


আরজি করের ৮ চিকিৎসককে সাসপেনশন ও বহিষ্কারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিলে তবেই নির্দেশ কার্যকর হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। গত ৫ অক্টোবর যে নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাতেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। যতক্ষণ না রাজ্য এই বিচারপতি কৌশক চন্দের বেঞ্চে ছিল শুনানি।

সাসপেন্ড হওয়া ৮ জন চিকিৎসক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কেন সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা তাঁদের জানানো হয়নি। সেই চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী অর্কপ্রভ সেন এদিন আদালতে বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্ডারে স্পষ্ট নয় যে কেন বহিষ্কার করা হল।’ অভিযোগ কী ছিল, সেটা জানানো হয়নি।

আর জি করের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন, ‘রিড্রেসাল সেলের প্রধান মুখ্যসচিব। কলেজ শুধু অভিযোগ ওই কমিটির কাছে পাঠাতে পারে। রাজ্যই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা কাউকে বহিষ্কার করিনি।’

অনিকেত মাহাতোর আইনজীবী কল্লোল বসু উল্লেখ করেন, ৫০০ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক এদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তোলেন, অথচ সেই অভিযোগকারী চিকিৎসকদের পার্টি না করে কীভাবে এই মামলা হতে পারে। বিচারপতি বলেন, ‘পার্টি হতে চাইলে আবেদন করতে পারে রেসিডেন্ট চিকিৎসক সংগঠন।’ আদালতের এই নির্দেশ কার্যকরী হবে ৫১ জনের জন্যই।

ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। কাচের বোতল ভেঙে নিজেই আহত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের অভিযোগও রয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল ওয়াকফ বৈঠকে?


কাচের বোতল ভেঙে বরখাস্ত কল্যাণ, ঠিক কী ঘটেছিল ওয়াকফ বৈঠকে?
কল্যাণের হাতে চারটি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে

ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। কাচের বোতল ভেঙে নিজেই আহত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তিনি তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসাদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কমিটির চেয়ারপার্সন, বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের সম্পর্কে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের অভিযোগও রয়েছে। শেষ পর্যন্ত, এই ঘটনার জেরে কমিটি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু, ঠিক কী ঘটেছিল ওয়াকফ বৈঠকে? কীভাবে আহত হলেন কল্যাণ? কেন তাঁকে বরখাস্ত হতে হল?

সূত্রর খবর, এদিন জগদম্বিকা পালের সভাপতিত্বে, ওয়াকফ বিল সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের মতামত শুনছিল কমিটি। ওড়িশার কটকের ‘জাস্টিস ইন রিয়েলিটি’ এবং ‘ওড়িশা বাণী মণ্ডলী’র উপস্থাপনা চলাকালীন, চেয়ারপার্সনের অনুমতি না নিয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করতে যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারও আগে অনুমতি না নিয়ে তিনবার কথা বলেছিলেন কল্যাণ এবং উপস্থাপনা চলাকালীন তিনি আরও একবার বলার সুযোগ চেয়েছিলেন। বারবার তিনি এইভাবে উপস্থাপনায় বাা দেওয়ায়, আপত্তি তোলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কল্যাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এতেই উত্তেজিত হয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কটু ভাষা ব্যবহার করেন তৃণমূল সাংসদ। তবে এরপর উভয় পক্ষ থেকেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে সূত্রের খবর।


কল্যাণের ভাঙা কাচের বোতল

এর থেকে বিজেপি সাংসদ এবং বিরোধী দলের সাংসদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। প্রায় হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকস্থলে রাখা একটি কাচের জলের বোতল হাতে তুলে নিয়ে টেবিলে ছুড়ে মারেন। বোতলটি ভেঙে চুরচুর হয়ে যায়। বোতল ভাঙা কাচে তিনি নিজেই আহত হন। তাঁর ডানহাতের বুড়া আঙুল ও তর্জনিতে আঘাত লাগে। বিজেপি সদস্যদের অভিযোগ, এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙা বোতলটি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দিকে ছুড়ে দেন। এই ঘটনার জেরে বৈঠক কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করতে হয়। চিকিৎসা করিয়ে বৈঠকে ফের যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তাঁকে কমিটি থেক বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয়। ৯ জন সাংসদ কল্যাণকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দেন, ৮ জন বিপক্ষে।

সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা গুলিতে টহলদারি শুরু করলো ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী।

আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ঘণ্টায় ১৫০ কিমি ছাড়াতে পারে হাওয়ার গতি। মঙ্গলবার সকালের পূর্বাভাস অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ - ওড়িশা সীমানার কাছে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানার কেন্দ্রটি। ২৪ অক্টোবর রাতে বা ২৫ অক্টোবর সকালে ঝড়টি ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। সমুদ্রে দীর্ঘ সময় থাকায় ঝড়টি প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি প্রায় ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার ছুঁতে পারে। তেমন হলে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই শুরু হবে হাওয়ার দাপট। রাত যত বাড়বে তত বাড়বে ঝড়ের তাণ্ডব। শুধু তাই নয়, ঝড়ের শক্তিশালী দিকটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উপকূলবর্তী সমস্ত জেলা ও তার লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বা তার বেশি বেগে হাওয়া বইতে পারে।

সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে লাগাতার মাইকিং প্রচার উপকূল রক্ষীবাহিনীর। গতকালের মধ্যে সমস্ত মৎস্যজীবী ট্রলার, বন্দর গুলিতে ফিরেছে কিনা তাই নিয়ে ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দর টহলদারি দিতে দেখা গেলো ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীর আধিকারিকদের। আজকেও ফ্রেজারগঞ্জের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করবে উপকূল রক্ষীবাহিনী। 




স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

গ্রামবাসীরা জানান, ওই শিক্ষক তাঁর খেয়াল খুশি মতো স্কুলে যান, অফিস রুম খুলে বসেন, কিছুটা সময় কাটান। তারপর ফিরে যান। এইভাবেই চলছে ধারগ্রামের আপার প্রাইমারী স্কুল।

বাংলার এই স্কুলে নেই দরজা, নেই বেঞ্চ, নেই ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক অফিস খোলেন, বসে থেকে চলে যান
এই সেই স্কুল



পুরুলিয়া: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এবার সেই অবস্থার আরও এক উদাহরণ সামনে এল। সে যেন এক ভূতুড়ে ছবি! খাতায় কলমে চলছে স্কুল। শিক্ষকও আছেন। কিন্তু কোনও এক অদৃশ্য শক্তিবলে যেন উধাও হয়ে গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। ক্লাসরুম খাঁ খাঁ করছে। ঘণ্টা দেওয়ার বালাই নেই, চক, ব্ল্যাকবোর্ডের কোনও ব্যবহার নেই। এ কেমন স্কুল!


পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকের লটপদা অঞ্চলের ধারগ্রামে রয়েছে এই স্কুল। ২০১২সালে এই উচ্চ প্রাথমিক স্কুলটি তৈরি হয় ধারগ্রামে। ২০২২ সাল থেকে সেই স্কুল প্রায় বন্ধ বললেই চলে। কাগজে কলমে এই স্কুল এখনও চলছে। কিন্তু গত দু’বছর ধরে এই স্কুলে যায় না কোনও ছাত্র বা ছাত্রী। অথচ স্কুল চলছে।

রয়েছেন একজন মাত্র শিক্ষক। গ্রামবাসীরা জানান, ওই শিক্ষক তাঁর খেয়াল খুশি মতো স্কুলে যান, অফিস রুম খুলে বসেন, কিছুটা সময় কাটান। তারপর ফিরে যান। এইভাবেই চলছে ধারগ্রামের আপার প্রাইমারী স্কুল। এই গ্রামের অবস্থান বরাবাজার সদর থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের সীমানায়। এখানেই শেষ নয়। যে স্কুলঘরে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন চলার কথা, সেই ঘরে বর্ষার সময় আশ্রয় নেয় গরু, ছাগল।

এলাকার মানুষ চাইছেন স্কুলে পড়াশোনা চালু হোক আবার। বাধ্য হয়েই এলাকার পড়ুয়াদের তিন কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সরবেড়িয়া হাইস্কুলে যেতে হচ্ছে। সরকারের গাফিলতিতেই যে স্কুল বন্ধ হয়েছে সেটাই মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা।

অভিযোগ, ২০১২ সালে চালু হলেও এই স্কুলের ২টি ক্লাসরুমে ১০ বছরেও কোনও দরজা, জানালা লাগাতে পারেনি সরকার। নেই কোনও বেঞ্চ। অথচ শিক্ষকদের অফিসঘর রয়েছে, মিড ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। রান্নাঘরে দরজা আছে, পানীয় জলের জন্য ট্যাঙ্কও রয়েছে। রয়েছে শৌচাগার।

২০১৩ সালে তাপস কুমার সতপতি এই স্কুলে টিআইসি হিসেবে যোগদান করেন। তার আগে এই স্কুলে একজন অতিথি শিক্ষক ছিলেন শুধুমাত্র। সেই বছরের ডিসেম্বর মাসেই আরও একজন শিক্ষক যোগদান করেছিলেন। তারপরেই ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পে আবেদন করে সেই শিক্ষক মেদিনীপুরে বদলি হয়ে যান। বর্তমানে এই স্কুলে শিক্ষক তাপস সতপতি রয়েছেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ দু’বছর আগে শিক্ষকরাই অভিভাবকদের ডেকে বলেছিলেন দু’জন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানো সম্ভব নয়। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য স্কুলে নিয়ে যেতে বলা হয়।

তাপস সতপতি টেলিফোনে জানান, স্কুলের পরিকাঠামো না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা অন্য স্কুলে চলে যায়। যদিও তাঁর দাবী পোর্টালের মাধ্যমে রিপোর্ট পাঠাতে হয় জেলা শিক্ষা দফতরকে, ফলে সবটাই জানে জেলা শিক্ষা দফতর।

জেলা শিক্ষা দফতরের পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র মাল টেলিফোনে জানিয়েছেন, স্কুলছাত্রের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। যদিও স্কুলের দরজা জানালা কেন নেই, তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি এস আই-এর কাছে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’

জব্বার মোল্লা প্রতিদিনই দোকান খুলতেন। কিন্তু সোমবার দোকান খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ছেলে অন্য একটি চাবি দিয়ে দোকান খোলেন। তখনই বাবার গলা কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

ভাঙড়ে চায়ের দোকান থেকে গলাকাটা দেহ উদ্ধার
ভাঙড়ে গলাকাটা দেহ উদ্ধার

সাতসকালে চায়ের দোকানে গলা কাটা দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাঙড় শাকশহর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জব্বার মোল্লা (৫৫)। আপাতত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে ভাঙড় থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, জব্বার মোল্লাই ওই চায়ের দোকান চালাতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, জব্বার মোল্লা প্রতিদিনই দোকান খুলতেন। কিন্তু সোমবার দোকান খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ছেলে অন্য একটি চাবি দিয়ে দোকান খোলেন। তখনই বাবার গলা কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পাশে পড়েছিল চাপ চাপ রক্ত। সে রক্ত জমাট বেঁধে কালচে হয়েছে। ছেলের কথায়, তাঁর বাবার গলা কাটা ছিল তাই নয়, শরীরেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধারাস অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

সাতসকালে চায়ের দোকানে দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহুর্তের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। খবর যান ভাঙড় থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারকরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা, সেটাও জানার চেষ্টা চলছে।



পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক গৃহবধূকে নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত নির্যাতিতার প্রতিবেশী। ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। পাশাপাশি অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁরই ভাইয়ের বউয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।

দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার
কলকাতা হাইকোর্ট

পটাশপুরের মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে দ্বারস্থ হতে চলেছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় সিবিআই তদন্ত এবং দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে দ্বারস্থ পরিবার। পটাশপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।


মামলার প্রেক্ষাপট

পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক গৃহবধূকে নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত নির্যাতিতার প্রতিবেশী। ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। পাশাপাশি অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁরই ভাইয়ের বউয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন মৃতা। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, মহিলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। তাঁকে নিগ্রহের চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাধা পাওয়ায় মহিলাকে মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।



সোমবারই নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন আরজি করের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন নবান্নকে না জানিয়েই ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।

আরজিকরের সাসপেন্ডেড ছাত্রদের মামলা, এবার পার্টি করা হল অধ্যক্ষকেও
হাইকোর্টে আরজি কর মামলা

 আরজিকর হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ডেড এবং বহিষ্কৃত ডাক্তারদের দ্রুত শুনানির আবেদন। এই মামলায় প্রিন্সিপ্যালকেও মামলায় পার্টি করা হয়েছে। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলাটি দ্রুত শোনার আর্জি জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবারই নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন আরজি করের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন নবান্নকে না জানিয়েই ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আপনিও তো ৪৭ জন ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছেন। আমাকে তো জানান নি? আপনার প্রথমে রেকমেনডেশন পাঠানো উচিত ছিল স্বাস্থ্য দফতরকে। স্বাস্থ্য দফতর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করত। তা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?” কিছুটা মেজাজ হারিয়ে মমতা বলেন, “আমি আপনাকে প্রিন্সিপ্যাল করেছি কেন, যাতে সবাইকে টেক কেয়ার করতে পারেন। আপনার কারোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতেই পারে। কারোর বিরুদ্ধে রাগ, অভিযোগ পেতে পারেন। কিন্তু আপনি হঠাৎ করে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন? এটা থ্রেট কালচার নয়।”

তিলোত্তমা কাণ্ডের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি আলোচিত হয়েছে, তা হল ‘থ্রেট কালচার’। আরজি করে প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ ওঠে। তদন্তে কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটি আরজি করের ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করে।

সুইডিশ নাগরিকত্ব থাকলেও, ২০১১ সাল থেকে ভারতেই বসবাস করছেন তসলিমা নাসরিন। এর আগেও তিনি ভারতে তাঁর রেসিডেন্সি পারমিট নিয়ে কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের দরজা বন্ধ, ভারতেই থাকতে চান তসলিমা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানালেন বিশেষ আর্জি
তসলিমা নাসরিন।

ভারতেই থেকে যেতে চান তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ভারতই ঠিকানা লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। তাঁর ভারতে বসবাসের জন্য পারমিট রিনিউ করার আবেদন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আর্জি জানান যে ভারতেই যেন তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়।


বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা বই ওপার বাংলায় ভয়ঙ্কর শোরগোল ফেলেছিল এবং যার জেরে ১৯৯৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ফতেয়া জারি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ছাড়া হয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। দীর্ঘসময় কলকাতায় ছিলেন তিনি। এরপর রাজস্থানের জয়পুর হয়ে শেষ পর্যন্ত দিল্লিতেই বসবাস করছেন লং টার্ম রেসিডেন্সি পারমিটে।


তবে তসলিমার সেই পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে জুলাই মাসে। এরপর আর তাঁর পারমিট রিনিউ হয়নি। আর এতেই ভারত ছাড়া হওয়ায় ভয় তসলিমার মনে। এক্স হ্যান্ডেলে তসলিমা নাসরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে ট্যাগ করে লেখেন, “অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে বসবাস করি কারণ এই দেশকে আমি ভালবাসি। বিগত ২০ বছর ধরে এই দেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু ২২ জুলাই থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আমার রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়াচ্ছে না। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব যদি আমায় এই দেশে থাকতে দেন।”



প্রসঙ্গত, সুইডিশ নাগরিকত্ব থাকলেও, ২০১১ সাল থেকে ভারতেই বসবাস করছেন তসলিমা নাসরিন। এর আগেও তিনি ভারতে তাঁর রেসিডেন্সি পারমিট নিয়ে কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন।

সকলের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দেওয়া থেকে মজা করা, ভারতী যেন এক্ষেত্রে কাউকেউ ছেড়ে কথা বলতে রাজি নন। সেই ভারতীর চোখেই জল? তাও আবার নিজের সন্তানকে নিয়ে। সন্তান নিয়ে আক্ষেপের সুর এবার তাঁর কণ্ঠে। হঠাৎ কী এমন হল ভারতীর?
'আমরা কেন সন্তানের জন্ম দিই', ছেলেকে নিয়ে সমস্যায় ভারতী?


বলিপাড়ার কমেডি কুইন তিনি, তিনি ভারতী সিং। ২০২২ সালে মা হয়েছিলেন ভারতী। কোল আলো করে তাঁর ও হর্ষ লিম্বাচিয়ার সংসারে এসেছিল ছোট্ট ‘গোলা’। ছেলের বয়স এখনও তিনও অতিক্রম করেনি। তবে গোলা ভক্তদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। নানান চর্চায় তাঁকে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে বারবার। কখনও তিনি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁর বৌমাকে, কখনও আবার ছেলের নানা কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্লগ বানাচ্ছেন! ভারতী সিং, কমেডিয়ান তথা সঞ্চালক, যাঁকে নিয়ে ভক্তমনে সর্বদাই উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। একের পর এক শো তাঁর হাত ধরে হিট। সকলের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দেওয়া থেকে মজা করা, ভারতী যেন এক্ষেত্রে কাউকেউ ছেড়ে কথা বলতে রাজি নন। সেই ভারতীর চোখেই জল? তাও আবার নিজের সন্তানকে নিয়ে। সন্তান নিয়ে আক্ষেপের সুর এবার তাঁর কণ্ঠে। হঠাৎ কী এমন হল ভারতীর?


অনেকেই মনে করেন সন্তানের জন্ম হওয়া মানে মহিলাদের কেরিয়ারে বড় ধাক্কা। তবে বাস্তব ছবিটা মোটেও এমন নয়। কারণ ভারতী তাঁর ছেলের চিন্তায় কেঁদে ফেললেন। যে সন্তানকে প্রতিটা মুহূর্তে চোখে চোখে রেখে থাকেন, যার প্রতিটা প্রয়োজনে মা হিসেবে পাশে থাকেন, বোঝার চেষ্টা করেন, ছোট্ট গোলার সমস্যা, সুবিধে-অসুবিধে, সেই গোলাকে কাছ ছাড়া করতে রাজি নন ভারতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার নিজের ভ্লগে ভারতী জানিয়েছিলেন, বুঝতেই পারছেন না কীভাবে গোলাকে ছাড়া দিনের বেশ কিছুটা সময় মুহূর্তটা তিনি কাটবে। বিষয়টা কী? শুটিং! নাহ, গোলা স্কুলে যাচ্ছে। সেই স্কুলে যাওয়ার প্রথমদিনটায় আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন ভারতী। ছোট্ট ছেলে কীভাবে খাবে, সমস্যা হলে কাকে বলবে, কেউ মারলে তো বলতেও পারবে না। তাই চোখে জল নিয়ে ভারতীকে সেদিন বলতে শোনা গেল, ‘কেন আমরা সন্তানের জন্ম দিই? ওদের কাছ ছাড়া করতে আমাদের কষ্ট হয়।’

কয়েকদিন আগেই মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়, সলমনকে খুন করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। চার্জশিটে উঠে আসে সেই পাঁচ জনের নাম। তাঁরা বিষ্ণোই গ্যাংয়র সদস্য সে কথাও জানানো হয়েছে মুম্বই পুলিশের তরফে। যে দল চলে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বে।
সলমনকে নিয়ে মন খারাপের খবর, নিরাপত্তার কারণে বড় সিদ্ধান্ত


সলমনের খান যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পরবর্তী নিশানা এ কথা এত দিনে সকলেই জেনে ফেলেছেন। গত কয়েকদিনে তাই খবরের শিরোনামে বারবার ফিরে আসছে ভাইজানের নাম। কখনও বিষয় তাঁর নিরাপত্তা, কখনও আবার বিষ্ণোইদের গতিবিধি। কয়েকদিন আগেই মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়, সলমনকে খুন করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। চার্জশিটে উঠে আসে সেই পাঁচ জনের নাম। তাঁরা বিষ্ণোই গ্যাংয়র সদস্য সে কথাও জানানো হয়েছে মুম্বই পুলিশের তরফে। যে দল চলে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বে।


পাকিস্তান থেকে ভয়ঙ্কর সব অস্ত্র যেমন AK 47, AK 92, এবং M 16 কেনার পরিকল্পনা চলছিল বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এই বন্দুক দিয়েই খুন করা হয়েছিল পঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে। ১৮ বছরের কম একটি কিশোরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাকেই নাকি সুপারি দেওয়া হয় সলমনকে খুন করার জন্য। পুলিশ সূত্রে খবর, এরা সবাই লুকিয়ে রয়েছে পুনে, রায়গড়, নভি মুম্বই, থানে, গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায়। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন মিলে সলমনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছে। তাঁর বান্দ্রার বাড়ি থেকে পানভেলের খামারবাড়ি সর্বত্র নজরদারি রাখছে এই দল।



ফলে সলমনের গতিবিধিতে এখন বেশ কিছু কাটছাট করা হচ্ছে। তিনি চাইলেই আর পছন্দ মতো কাজ করতে পারছেন না। তাই বড় চমক আর পাওয়া হল না ভক্তদের। ‘সিংঘম এগেইন’ ছবিতে তাঁর কেমিও করার কথা ছিল। এই পুলিশ ইউনিভার্সে সলমন খানেরও থাকার কথা ছিল চুলবুল পাণ্ডে লুকে। তবে তিনি এই মুহূর্তে নিরাপত্তার কারণে এই শুট করতে পারছেন না। ১৮ অক্টোবর এই শুট হওয়ার কথা ছিল। তবে সেদিন সলমন খানের শুট বাতিল হয়। তবে আর কোনও তারিখ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হল প্রযোজনা সংস্থা থেকে। তবে পরবর্তীতে সলমন খানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজের বিষয় আশাবাদী তারা, সে কথাও জানাতে ভুলল না প্রযোজনা সংস্থা। ফলে এই ছবিতে দর্শকেরা আর পাচ্ছেন না চুলবুল পাণ্ডের উপস্থিতি। খবর সামনে আসতেই অনুরাগীদের বেজায় মন খারাপ।




২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'বারসাত' ছবির কথা মনে আছে? যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ববি দেওল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং বিপাশা বসু। ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি বক্স অফিসে বেশ হিটও করেছিল। কিন্তু জানেন কি এই ছবিতে ববি নয় প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল অভিনেতা অক্ষয় কুমারের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি এই ছবি থেকে সরে আসেন।


প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক! কী মাশুল গুনতে হয়েছিল অক্ষয় কুমারকে?


২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বারসাত’ ছবির কথা মনে আছে? যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ববি দেওল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং বিপাশা বসু। ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি বক্স অফিসে বেশ হিটও করেছিল। কিন্তু জানেন কি এই ছবিতে ববি নয় প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল অভিনেতা অক্ষয় কুমারের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি এই ছবি থেকে সরে আসেন। ছবি মুক্তির প্রায় ১৯ বছর পরে ছবির নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা গোপন কথা ফাঁস করলেন ছবির পরিচালক সুনীল দর্শন। তিনি জানিয়েছেন প্রথমে ববির অভিনয় করারই কথা ছিল না। প্রথমে অক্ষয়ই অভিনয় করছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে সবটা ফাঁস করলেন পরিচালক। যেখানে তিনি বলে ফেলেন, ‘অদ্ভুত সমস্যা হয়েছিল’।


সাক্ষাত্‍কারে সুনীল বলেন, “অক্ষয় এবং প্রিয়াঙ্কার অভিনয় করার কথা ছিল। পাঁচ দিন শুটিং করার পর অক্ষয় আমায় ফোন করেন একটা মিটিংয়ের জন্য। সেখানেই সমস্যার কথা জানতে পারি।” পরিচালক জানান, সেই ববিব ম্যানেজারও অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি অভিনেতাকে নিয়ে একটা ছবি তৈরি করেন। তখন তিনি ববিকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। দর্শন বলেন, “অক্ষয় কোনও গন্ডগোল করে ফেলেছিল তাই ছবি থেকে বেরিয়ে যায়।”


সেই সঙ্গে পরিচালক যোগ করেন, “সেই সময় অক্ষয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ককে ঘিরে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছিল। তার পরেই নাকি টুইঙ্কল খন্না বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অভিনেতা হিসাবে সাবধানী হওয়া উচিত ছিল। যখন অক্ষয় জানতো ওর স্ত্রী অভিনেত্রী ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের সবটাই তাঁর জানা। তবে অক্ষয় প্রিয়াঙ্কাকে কোনও ভাবেই দোষ দেননি। সবটাই নিজের ঘাড়ে নিয়েছিলেন। আমায় কথাও দিয়েছিল অক্ষয় যে আমার পরের ছবিতে অভিনয় করবেন।” পরিচালক জানান, তার পর তিনি ববির ম্যানেজারকে ফোন করেছিলেন। অভিনেতাকে তিনটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন।

অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। নিজেদের দাবি নিয়ে বারবার হচ্ছেন সরব। চাইছেন তিলোত্তমার বিচার। প্রায় আড়াই মাস অতিক্রান্ত হলেও কোনও কিছুরই সদুত্তর মেলেনি। তবে তাঁদের চেষ্টা জারি আজও। এমতাবস্থায় জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে এক ইচ্ছে প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।
কিঞ্জলসহ জুনিয়র চিকিৎসকদের ফোঁটা দিতে চান শ্রুতি, তবে রয়েছে তিনটি শর্ত!


অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। নিজেদের দাবি নিয়ে বারবার হচ্ছেন সরব। চাইছেন তিলোত্তমার বিচার। প্রায় আড়াই মাস অতিক্রান্ত হলেও কোনও কিছুরই সদুত্তর মেলেনি। তবে তাঁদের চেষ্টা জারি আজও। এমতাবস্থায় জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে এক ইচ্ছে প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। তিলোত্তমার বিচারে রাজপথে নেমেছিলেন শ্রুতি। তাঁর দৃপ্ত কণ্ঠের ভিডিয়ো বেশ ভাইরালও হয়েছিল। এবার সামাজিক মাধ্যমের পাতায় শ্রুতি লিখলেন, তিনি ভাইফোঁটা দিতে চান আন্দোলনরত ওই চিকিৎসকদের। শ্রুতি লেখেন, “বছর আমার ভাই,দাদারা কেউ ভাইফোঁটা তে আমার কাছে থাকতে পারছে না। কিঞ্জল নন্দ এবং তার সহযোদ্ধা কয়েক জন ডাক্তার দাদা-ভাই দের ফোঁটা দিতে চাই।আমার সাথে কারোর আলাপ নেই। বার্তা টা একটু পৌঁছে দেবেন,আমি সেদিন পৌঁছে যাবো।ইচ্ছা আছে,বাকিটা ভাগ্য।”


ডাক্তারদের আন্দোলনে অন্যতম প্রতিবাদী মুখ কিঞ্জল নন্দ। ডাক্তারির পাশাপাশি তিনি অভিনেতাও। বিচার চেয়ে আড়াই মাস ধরে লড়াই করছেন তিনি। তাঁকে ট্যাগ করেই নিজের এই ইচ্ছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি রেখেছেন শ্রুতি। তবে পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তিনটি শর্তের কথাও।


শ্রুতি জানিয়েছেন, ফোঁটা দিতে চান ঠিকই তবে থাকবে না তাতে কোনও বিলাসিতা। থাকবে না জমাটি খাওয়াদাওয়া, থাকবে না উপহার আদান প্রদানের ব্যবস্থাও। এমনকি মিডিয়ার প্রবেশও চাননি তিনি। একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে এই ইচ্ছের পূর্ণতা পেতে দেখতে চান তিনি। শ্রুতির এই আর্জি ভাল লেগেছে সকলেরই। ভাইফোঁটার দিন নতুন দাদা-ভাইদের সঙ্গে ‘মুলাকাত’ হোক তাঁর, সেই শুভেচ্ছাই জানিয়েছেন তাএ ভক্তরা। কিঞ্জল, আপনি শুনছেন কি?