WEATHER

Top News


প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত এই করিন্যা গ্রাম ছিল ৫৯ নম্বর বুথের অন্তর্গত। তবে সম্প্রতি কমিশন রাজ্যে ১৪ হাজার বুথ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে এই ৫৯ নম্বর বুথ ভেঙে তৈরি হয় নতুন দু'টি বুথ। এবার SIR আবহে নাম নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন ৫৯ নম্বর বুথ ভেঙে তৈরি হওয়া ৬৯ ও ৭০ নম্বর বুথের অধিকাংশ বাসিন্দারা। পুরনো বা শেষ সংশোধিত তালিকায় নাম নেই তাঁদের। নাম নেই তাঁদের বুথেরও।

আমাদের নাম নেই...', চোখে জল, মাথায় চিন্তা! ঘুম নেই দেড় হাজার ভোটারের
নাম নিয়ে আতঙ্কে গ্রামবাসী


দু’টো বুথে প্রায় দেড় হাজার ভোটার। কিন্তু শেষ সংশোধিত তালিকায় নিজেদের নাম খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। খুঁজে না পাচ্ছেন নিজেদের বুথের নামও। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়। চলতি বছরের এসআইআর-এ নাম থাকবে তো? চিন্তায় ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। ঘটনা হুগলির বলাগড়ের বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামের।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত এই করিন্যা গ্রাম ছিল ৫৯ নম্বর বুথের অন্তর্গত। তবে সম্প্রতি কমিশন রাজ্যে ১৪ হাজার বুথ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে এই ৫৯ নম্বর বুথ ভেঙে তৈরি হয় নতুন দু’টি বুথ। এবার SIR আবহে নাম নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন ৫৯ নম্বর বুথ ভেঙে তৈরি হওয়া ৬৯ ও ৭০ নম্বর বুথের অধিকাংশ বাসিন্দারা। পুরনো বা শেষ সংশোধিত তালিকায় নাম নেই তাঁদের। নাম নেই তাঁদের বুথেরও। এদিন এক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ‘আমাদের এই দুই বুথের ভোটার তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলত, আমরা অনলাইন ফর্ম ফিল-আপও করতে পারছি না। দেখাচ্ছে আমাদের নাকি তালিকাতে নামই নেই।’





এদিন করিন্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ মান্ডি বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে এলাকার ম্যাপিং করা নেই বলেই হয়তো সমস্যা তৈরি হয়েছে। বুথের বিএলও তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বিডিওকে খবর দেওয়া হবে।’ এই তালিকা বিভ্রাট নিয়ে ফোন করা হয়েছিল জেলাশাসককে। তিনি জানিয়েছেন, গোটা ব্যাপারটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



মূলত, চিংড়িঘাটা এলাকায় ৩৬৬ মিটার না জুড়লে অরেঞ্জ লাইনের কাজ শেষ হচ্ছে না। সেই জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে সবপক্ষ বৈঠকে বসে ৯ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় উৎসবের মরশুম মিটে গেলে নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহের শুক্র থেকে রবিবার রাতে ট্রাফিক ব্লক নিয়ে কাজ শেষ করবে RVNL।


আবার আটকে চিংড়িহাটা মেট্রোর কাজ, এবার কীসের আপত্তি?
অসম্পূর্ণ চিংড়িঘাটা


 ফের সঙ্কটের মুখে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর বাকি থাকা অংশে কাজ শুরুর বিষয়টি। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে এই কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই কাজ আদৌ হবে কি না,তা নিয়ে তৈরি হল একাধিক সংশয়।

কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইডেনের ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের নিরাপত্তা অনেকটা বাড়াতে হয়েছে। রবিবার শহর জুড়ে রয়েছে একটি ম্যারাথন। আর এই সপ্তাহান্ত বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। ফলে চিংড়িঘাটার মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক ব্লক দেওয়া কঠিন। পাশাপাশি কাজের এলাকাতেই RVNL-এর তরফে একটি নতুন রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার কথা। তারও শেষ মুহূর্তের কাজ বাকি। ট্রাফিক ব্লক করার আগে ওই কাজ শেষ করে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে। সব মিলিয়ে ব্রিজ জোড়ার কাজ আরেকটু পিছিয়ে দিতে চাইছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

 ‘ভাবছিলাম গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে যাব, দরকার নেই চাকরি’, ট্রেনিংয়ে গিয়ে কেঁদে ফেললেন বিএলও
মূলত, চিংড়িঘাটা এলাকায় ৩৬৬ মিটার না জুড়লে অরেঞ্জ লাইনের কাজ শেষ হচ্ছে না। সেই জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে সবপক্ষ বৈঠকে বসে ৯ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় উৎসবের মরশুম মিটে গেলে নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহের শুক্র থেকে রবিবার রাতে ট্রাফিক ব্লক নিয়ে কাজ শেষ করবে RVNL। সিদ্ধান্তে সায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরও চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে কাজ শুরুর সম্ভবনা কম। মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্য প্রশাসনের দেওয়া নতুন দিন তারা মেনে নেন নাকি এই ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, আপাতত সেদিকেই নজর।



বিধায়ক পদ খারিজ তৃৃণমূল নেতার। দীর্ঘ সময়ের পর অবশেষে শুভেন্দু অধিকারী ও অম্বিকা রায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এই নির্দেশ হাইকোর্টের। দলত্যাগ বিরোধী আইনের সাপেক্ষেই মুকুল রায়কে সরাল আদালত। পাশাপাশি, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট
মুকুল রায়


 মুকুল-মামলায় চূড়ান্ত রায়। বিধায়ক পদ খারিজ তৃৃণমূল নেতার। দীর্ঘ সময়ের পর অবশেষে শুভেন্দু অধিকারী ও অম্বিকা রায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এই নির্দেশ হাইকোর্টের। দলত্যাগ বিরোধী আইনের সাপেক্ষেই মুকুল রায়কে সরাল আদালত। পাশাপাশি, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রসিদির বেঞ্চে চলছি মুকুল-মামলার শুনানি। এই বিবাদের সূত্রপাত ২০২২ সাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন মুকুল। আর বছর ঘুরতেই তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন বিজেপি বিধায়ক। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তাঁর বিধায়ক পদ ঘিরে। একটা দলে ৩ বছর ৯ মাস কাটিয়ে, তাঁদের টিকিটে জিতে কীভাবে এই কাজ করতে পারেন মুকুল, প্রশ্ন তুলেছিল গেরুয়া শিবির। তবে প্রশ্ন তোলেননি শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনটা আমার ভালই জানা রয়েছে।’


 পার্থর নাম শুনেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলে উঠলেন...
যেমন কথা, তেমন কাজ। প্রথমে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পাশাপাশি, মুকুল বিজেপি-তেই আছেন বলে সেই সময় বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই মামলা প্রত্যাহার করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরিবর্তে পরামর্শ দেয় হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার। এরপরই অধ্য়ক্ষের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এদিন সেই মামলার রায় দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।

বলে রাখা প্রয়োজন, শুধু শুভেন্দু নন। এই সময়কালে মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও। কীভাবে পিএসি চেয়ারম্য়ানে পদে শাসকদলের নেতাকে বসানো হয়েছে, সেই অভিযোগ তুলেই আইনি পথে হেঁটেছিলেন তিনি। এদিন সেই দুই অভিযোগেই সায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ হয় মুকুলের বিধায়ক পদ। অন্য দিকে পিএসি পদ, তা থেকে আগেই সরে গিয়েছিলেন মুকুল। ২০২২ সালে ওই পদে বিজেপি রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিযুক্ত করেছিলেন অধ্যক্ষ।


 দিল্লির ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, এ রাজ্য়তে সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপদ জায়গা বলে মনে করে, তাই এখানে হামলা হয় না। এদিন শুভেন্দু বলেন, "মুর্শিদাবাদ তো ওদের ঘাঁটি।"


পাকিস্তান থেকে 'থ্রেট কল' পেলেন শুভেন্দু, বাংলাদেশ থেকে মেসেজ আসে রোজ


 লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এসেছে হুমকি ফোন। গত সোমবার দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ঘটনার পর থেকে দেশ জুড়ে চলছে তল্লাশি। পশ্চিমবঙ্গেও পৌঁছে গিয়েছে এনআইএ-র একটি টিম। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এক ব্যক্তিকে বুধবারই জিজ্ঞাসাবাদ করে গিয়েছে এনআইএ। এই আবহেই হুমকি ফোন পাওয়ার কথা জানালেন শুভেন্দু।

বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, গত মঙ্গলবার পাকিস্তান থেকে ফোন এসেছে তাঁর কাছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিদিন হুমকি ফোন আসে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। তবে, তিনি কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।



বিডিওই সেদিন থাকতে বলেছিলেন...', স্বপন কামিল্যা খুনে চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতের
দিল্লির ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, এ রাজ্য়তে সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপদ জায়গা বলে মনে করে, তাই এখানে হামলা হয় না। এদিন শুভেন্দু বলেন, “মুর্শিদাবাদ তো ওদের ঘাঁটি। আনসারুল্লা বাংলা টিম ধরা পড়েছে ওখানে। মাদ্রাসা খুলে দেড় বছর চালিয়েছে। এই রাজ্য জঙ্গিদের নিরাপদ জায়গা। তাই এখানে হমলা হয় না। আর আমরা থ্রেট কল পাই।”

দিল্লির ঘটনার আগেই শাহিন নামে এক মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে আরও দুজনের খোঁজ চালাচ্ছে গোয়েন্দারা, যারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছে। এরপর কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনরে তারা ডাক্তারি করছেন। তবে এরা ডাক্তারি নয়, জঙ্গি গোষ্ঠীল জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ চালাচ্ছিল। কিন্তু এদের খোঁজ এখনও মেলেনি।


 সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে শহরের ১৫৩ বছরের পুরনো স্কুল ‘জলপাইগুড়ি সুনীতি বালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’-এর প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাসকে কান ধরে ওঠবোস করানো হচ্ছে। ঘটনায় নাম জুড়েছে সৈকতের।


কান ধরে ওঠবোস করানো সেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়ই হচ্ছেন চেয়ারম্যান, শুক্রবারেই শপথ
সৈকত চট্টোপাধ্যায়

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সেই ভিডিয়ো সামনে আসার পরই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়কেই চেয়ারম্যান পদের জন্য বেছে নিল ‘বোর্ড অব কাউন্সিলর’।

জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে শুক্রবারই শপথ নিতে চলেছেন সৈকত। এতদিন তিনি এই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। অপরদিকে ‘চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল’ পদে ছিলেন সন্দীপ মাহাতো। তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন হতে চলেছেন।




'আমাদের নাম নেই...', চোখে জল, মাথায় চিন্তা! ঘুম নেই দেড় হাজার ভোটারের
দলের ঘোষণার পর ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন পাপিয়া পাল। ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সৈকত। বৃহস্পতিবার সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। অপরদিকে জলপাইগুড়ি বোর্ড অব কাউন্সিলরের তরফে জলপাইগুড়ি পুরসভার সভাকক্ষে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ইস্তাফা গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক ডাকেন অস্থায়ী চেয়ারম্যান লোপামুদ্রা অধিকারী।

পুরসভার ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জন উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন পাপিয়া পাল এবং তপন বন্দোপাধ্যায়। অপরদিকে কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সিও এদিন অনুপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে শহরের ১৫৩ বছরের পুরনো স্কুল ‘জলপাইগুড়ি সুনীতি বালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’-এর প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাসকে কান ধরে ওঠবোস করানো হচ্ছে। ঘটনায় নাম জুড়েছে সৈকতের। শিক্ষিকা নিজেও পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন ভিডিয়োটি AI দ্বারা নির্মিত। এবং এই নিয়ে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

*আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার হল ল- কলেজের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ*


আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার ল- কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ থানার প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই ছাত্রীর নাম সোনিয়া হালদার(২১)। বাড়ি কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায় সোনিয়া ল নিয়ে পড়াশোনা করছিল সেই সুবাদেই কাকদ্বীপ কোর্টের আইনজীবী শেখ মানোয়ার আলমের কাছে প্র্যাকটিসের জন্য যেত প্রতিদিনের মতো গতকাল ও সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল সোনিয়া। হঠাৎ করেই পরিবারের কাছে খবর আসে আইনজীবীর চেম্বার এর মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সোনিয়ার দেহ এরপরই পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খবর দেয়া হয় কাকদ্বীপ থানার পুলিশকে।

 ঘটনা স্থলে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অন্যদিকে সোনিয়ার ব্যাগ থেকে একটি প্রেমপত্র উদ্ধার হয়েছে এই ঘটনায়। যেখানে ওই আইনজীবের সাথে সম্পর্ক ছিল এমনটাই পরিবারের দাবি এবং তার জেরেই আত্মহত্যা বলে মনে করছে পরিবারের লোকজন। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে ওই আইনজীবের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কি কারনে মৃত্যু এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে জানা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপ থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে।



চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের কয়েকজন জঙ্গিকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অসম সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এবিটি জঙ্গিদের ডেরার খোঁজ পায় গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র। আর এবার ফের জঙ্গি যোগ থাকার অনুমান গোয়েন্দাদের।

দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসছে বাংলার যোগ! বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে হাজির হল তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র একটি টিম। বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে পৌঁছয় সেই তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় যে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ফোন নম্বর পেয়েই বাংলায় এসেছে এনআইএ।

বুধবার সাত সকালে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার নিম গ্রামে চলে এই অভিযান। মইনুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যায় এনআইএ তদন্তকারী দল। ওই ব্যক্তিকে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, মইনুল হাসান পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও দিল্লি, কখনও মুম্বইতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেছেন তিনি। সেই সময়ে কিছু জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মইনুলের যোগাযোগ হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।



প্রয়োজনে অটো নিয়ে ঘুরব...', বাড়ি ফিরেই কেন বললেন পার্থ?
বর্তমানে দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর এই মইনুল হাসানের ফোন নম্বর পেয়েই তদন্তকারী আধিকারিকরা হাজির হয়েছে। মইনুলের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয় এদিন। এনআইএ ছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তদন্তকারী আধিকারিকরা ঘুরছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। মইনুল ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই নম্বরের সূত্র ধরে ধরেই অভিযান চালান হচ্ছে। দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের এই বাসিন্দারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকার প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত।

এর আগেও মুর্শিদাবাদে পাওয়া গিয়েছে জঙ্গি যোগ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের কয়েকজন জঙ্গিকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অসম সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এবিটি জঙ্গিদের ডেরার খোঁজ পায় গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র। আর এবার ফের জঙ্গি যোগ থাকার অনুমান গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যেই লালকেল্লার বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তার আগে চার চিকিৎসকের খোঁজ পায় পুলিশ, যাদের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যো থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।


গত ২৭ অক্টোবর শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার দেখা যায়। তারপরই উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর ও হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি ভাড়াবাড়ি থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক, পিস্তল, বোমার টাইমার, ব্যাটারি উদ্ধার হয়। আর সেই ভাড়া বাড়ি দুটি একজন ডাক্তারের।
 চিকিৎসকরাই যখন জঙ্গি! হোয়াইট কলার টেররিজমের বীজ কোথায় পোঁতা?
ডাক্তাররা জঙ্গি হলেন কী করে?



চিকিৎসকদের ‘ভগবান’ বলা হয়, কারণ তাদের হাতে নির্ভর করে জীবন-মৃত্যু। কারোর জীবনে যেখানে ‘ঈশ্বর’ হয়ে ওঠেন কোনও চিকিৎসক, সেখানেই ১২টি পরিবারের কাছে আজ চিকিৎসকই ‘শয়তান’! কারণ দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে সোমবার, ১০ নভেম্বর ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, তার পিছনে হাত ছিল চিকিৎসকদেরই। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। বিস্ফোরক উদ্ধার হয় আরেক চিকিৎসক, মুজাম্মিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে। নাম উঠে এসেছে ডঃ শাহিন নামক আরেক মহিলা চিকিৎসকের, যিনি ভারতে জইশের (Jaish-e-Muhammad) মহিলা শাখার প্রধান। দিল্লির এই বিস্ফোরণ চোখ খুলে দিয়েছে গোয়েন্দাদের যে সন্ত্রাস শুধুমাত্র সমাজের নিম্নস্তরের বা গরিব যুবদের মগজ ধোলাই করেই চালানো হয় না, বরং অতি উচ্চ-শিক্ষিতরাও সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছেন। পেটে বিদ্যা-বুদ্ধি থাকার পরও কেন তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছেন?

গত সপ্তাহের গোড়াতেই ফরিদাবাদের ধাউজ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। তারপরই সোমবার লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। উড়ে যায় পরপর গাড়ি, ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ। আহত বহু মানুষ। তদন্তে নেমেই জানা যায় যে এই বিস্ফোরণের পিছনে হাত রয়েছে চিকিৎসকদের। উঠে আসে “হোয়াইট কলার টেররিজম মডিউল” (White Collar Terrorism)। কী এই হোয়াইট কলার টেররিজম?



'আমরা তো কারও না কারও সার্ভেন্ট', কী ইঙ্গিত দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ধৃতরা?
সন্ত্রাসবাদের নিশানা বরাবরই ছিল স্কুলছুট, বেকার বা হতদরিদ্র যুবরা। আজমল কাসব থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের রেকর্ড দেখলেই এই তথ্য স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে সবসময় যে গরিবদেরই প্রভাবিত করা, ধর্মের ভয় দেখিয়ে মগজধোলাই করা হয়, তা নয়। তাবড় ফিজিসিস্ট থেকে শুরু করে রসায়নের অধ্যাপক, এখন চিকিৎসকরাও এই সন্ত্রাসের মাথা হতে পারেন। আগে মাওবাদী শীর্ষনেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও এমনই নজরকাড়া ছিল।

দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের আগের সপ্তাহে গ্রেফতার হয়েছিলেন ডঃ আদিল আহমেদ (২৭)। জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজের আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একে-৪৭। তদন্তে জানা যায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এই হাসপাতালে কাজ করতেন।

গত ২৭ অক্টোবর শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার দেখা যায়। তারপরই উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর ও হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি ভাড়াবাড়ি থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক, পিস্তল, বোমার টাইমার, ব্যাটারি উদ্ধার হয়। আর সেই ভাড়া বাড়ি দুটি একজন ডাক্তারের। ওই চিকিৎসকের নাম মুজাম্মিল শাকিল। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। ফরিদাবাদে আল ফলাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে।

এরপরে গ্রেফতার করা হয় ডঃ শাহিন শহিদকে। লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা শাহিন। তিনিও আল ফালাহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসক। তাঁর গাড়ি থেকেও একে-৪৭ ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এই শাহিনের শিক্ষাকতা যোগ্যতা চমকে দেওয়ার মতো। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম, বিশ্ববিদ্যালয়েও দুর্দান্ত রেজাল্ট।

গত ৭ নভেম্বর গুজরাটের এটিএস হায়দরাবাদ থেকে আহমেদ মহিউদ্দিন সইদ নামক আরেকজনকে গ্রেফতার করে। ইনি আবার চিন থেকে এমবিবিএস করে এসেছেন। ক্যাস্টর বীজ থেকে রিচিন নামক এক বিষ তৈরি করছিলেন, যার এক ফোঁটাও প্রাণঘাতী। আহমেদ বেশ কয়েক মাস ধরে দিল্লির আজাদপুর মান্ডি, আহমেদাবাদের নারদা ফল বাজার, এমনকী লখনউয়ের আরএসএসের অফিস পর্যন্ত রেইকি করেছিলেন। তাঁর কাছ থেকেও বন্দুক, তাজা কার্তুজ, চার লিটার কাস্টর তেল উদ্ধার করা হয়।

এদের সকলের গ্রেফতারি একটাই প্রশ্ন তুলেছে যে অতি শিক্ষিতরাও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছেন। তবে এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয়, এর আগে ৯/১১ হামলায় যারা জড়িত ছিল, তারাও উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। তারা সৌদি আরব ও মিশরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। এরা সকলেই শিক্ষার জন্য বাড়ির বাইরে বা দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। প্রধান চক্রী, মহম্মদ আত্তা কাইরো ইউনিভার্সিটি থেকে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর হামবুর্গ থেকে আর্বান ডিজাইনে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছিলেন। বাকি সদস্যরাও জার্মানি থেকে পড়াশোনা করেছিলেন।

আইসিসের যদি জঙ্গি মডিউল দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে তারা ব্রিটেন ও সুদান থেকে বহু মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ও ফিজিসিয়ানদের নিয়োগ করেছিল। আইসিস প্রধান বাকর আল বাগদাদি ইসলামিক স্টাডিতে পিএইচডি করেছেন। আল কায়েদার সদস্য আয়মান আল জারদারি সার্জন, এমনকী ওসামা বিন লাদেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিলেন। তামিল এলটিটিই-রাও উচ্চ শিক্ষিত। তাই সন্ত্রাসবাদের বীজ যে শুধুমাত্র গরিব বা কম শিক্ষিতদের মধ্যে বপন করা যায়, তা নয়।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক সাইকোলজিস্ট ডঃ ফতালি মোগাদাম বলেছিলেন, মৌলবাদ বা উগ্রপন্থার উৎপত্তি কিন্তু শুধুমাত্র দারিদ্রতা বা অবহেলা থেকে হয় না। এটা তখনই কারোর মগজে ঢোকানো সম্ভব হয় যখন কেউ অপমানিত বোধ করেন, সামাজিকভাবে অবহেলিত বা শোষিত হন। বরং শিক্ষিতদের অনেক ক্ষেত্রে মগজধোলাই করা বেশি সহজ হয় কারণ তারা জীবনের অর্থ খোঁজেন। তখন হিংসা বা সন্ত্রাস তাদের মাথায় ধ্বংস নয়, বরং একটা উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে।


পুরুলিয়া, বীরভূম, তমলুক, কাঁথি ও কোচবিহারের ভুয়ো ভোটারদের নথি জমা দিয়েছেন তিনি। এ কথা শুনেই তৃণমূলের সাফ জবাব, ওই জায়গাগুলো তো শুভেন্দু দেখত! তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওর নিজের জায়গা ওগুলো। আগে শুভেন্দু অধিকারীই দেখত। অদ্ভুত লোক একটা। নিজে করে আবার অভিযোগ করতে আসে।"


পেন ড্রাইভ আর তাড়া তাড়া কাগজ নিয়ে কমিশনে হাজির শুভেন্দু, দিলেন ১৩ লক্ষের হিসেব
কমিশনে শুভেন্দু

বাংলায় এসআইআর-এর সমান্তরালে চলছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দৌড়চ্ছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীরা বারবার বলছেন, এসআইআর শুরু হতেই বাংলাদেশিরা রাজ্য় ছাড়ছে। মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটার নিয়েও এবার সরব হয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরে দেখা গেল, গুচ্ছ গুচ্ছ নথি নিয়ে কমিশনে প্রবেশ করছেন তিনি।


বিরোধী দলনেতার দাবি, অন্তত ১৩ লক্ষ ‘ডবল এন্ট্রি’ বা ‘ট্রিপল এন্ট্রি’ রয়েছে রাজ্যের ভোটার তালিকায়। অর্থাৎ তাঁর দাবি, এমন অন্তত ১৩ লক্ষ ভোটারের নাম রয়েছে, যাদের নাম দুবার বা তিনবার রয়েছে তালিকায়। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তথ্য সহ একটি পেন ড্রাইভ এদিন তিনি জমা দিয়েছেন কমিশনে। এছাড়া পাঁচটি লোকসভা এলাকার ভুয়ো ভোটারদের নথি জমা দিয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দুর।


SIR-এর কাজে বেনিয়মে নজরদারি? এবার বিজেপির কল সেন্টার
পুরুলিয়া, বীরভূম, তমলুক, কাঁথি ও কোচবিহারের ভুয়ো ভোটারদের নথি জমা দিয়েছেন তিনি। এ কথা শুনেই তৃণমূলের সাফ জবাব, ওই জায়গাগুলো তো শুভেন্দু দেখত! তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওর নিজের জায়গা ওগুলো। আগে শুভেন্দু অধিকারীই দেখত। অদ্ভুত লোক একটা। নিজে করে আবার অভিযোগ করতে আসে।”

শুভেন্দু এদিন কমিশনে ঢোকার সময় বলেন, “১৩ লক্ষ ২৫ হাজার এমন নাম রয়েছে। তৃণমূল এই ভোটগুলো মারে। কমিশন কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিয়েছে।” পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, কমিশন তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেছে। আলাদা করে তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ফলতা বিধানসভা নিয়েও আলাদা করে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই এলাকায় তৃণমূল সব নাম রাখার কথা বলেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। তারপরই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান প্রদান করার কথা জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে সাম্মানিক ডি-লিট পাওয়ার পর জাপানি ভাষায় ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

'দরিদ্র মহিলাদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মমতা', ডি-লিট প্রদান করে বলল ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্চে মমতা


এশিয়ার প্রথম কোনও মহিলাকে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদান করল ওয়াকামা ইউনিভার্সিটি। কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সেই সম্মান তুলে দিল ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, দরিদ্র মহিলা ও শিশুদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মমতা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন, জাপানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বাংলার।

বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে ওই সম্মান প্রদানের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওকায়ামা ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট নাসু ইয়াসুতোমো এদিন উপস্থিত হয়ে জানান, ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বিজিবিএস-এ তাঁর অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন রাজ‍্যের গরীব মহিলা এবং শিশুদের জন‍্য। সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প চালু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক স্তরে বিশেষ সম্মান লাভ করেছেন। তাঁর এই লিডারশিপের জন‍্য ও‍কায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম এশিয়ার কোনও মহিলাকে সাম্মানিক ডি-লিট দিচ্ছে।”



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ওই প্রতিনিধিরা বিজিবিএস-এ যোগ দিতে বাংলায় আসে। এরপরই জাপানে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মে মাসে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লেখা হয় বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, “এই বছর যেতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম। এরপর জানানো হয়, আসতে না পারলে আমরা যাব। এরপর কি আর আমি এড়াতে পারতাম! সৌজন্যকে সম্মান জানানো উচিত ছিল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন বাংলার সঙ্গে জাপানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মমতা উল্লেখ করেন, একসময় রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র জাপানে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথে সঙ্গে জাপানি সংস্কৃতির সম্পর্কের কথাও বলেছেন তিনি। জাপানের একাধিক সংস্থা মিৎসুবিসি, হিতাচি ভারতে কাজ করছে। ওয়েবেলও জাপানি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই সম্মানের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা।


১৩ লক্ষ লোকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যাদের আধার কার্ড ছিল না এবং তাঁরা মারা গিয়েছেন। আধার কর্তৃপক্ষকে এই কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় সব রাজ্যে। সেই অনুযায়ী বৈঠক করা হয় আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।


বাংলায় ৪৩ লক্ষ মৃত ভোটারের হদিশ পেল কমিশন, আধার থেকেই মিলল হিসেব
ফাইল ছবি


রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা কত, জানতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের সব সামাজিক প্রকল্প এখন থেকে খতিয়ে দেখতে হবে জেলাশাসকদের, এমনই নির্দেশ দেওয়া হল কমিশনের তরফে। ইতিমধ্যেই আধার কর্তৃপক্ষের থেকে মিলেছে মৃত ভোটারের হিসেব। সেই পরিসংখ্যান বলছে, সংখ্যাটা অন্তত ৪৩ লক্ষ।

রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শেষের পথে। এবার ফর্ম ভেরিফিকেশনের কাজের পর মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়াই অন্যতম কাজ কমিশনের। এদিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন স্যোশাল স্কিম যেমন বিধবা ভাতা, সমব্যাথী প্রকল্পে কারা নাম তুলেছেন, তা খতিয়ে দেখতে হবে।



কোর্টের ভিতর হোয়াটস অ্যাপ দেখালেন বিকাশ, একটু হেসে বিচারপতি সিনহা বললেন,'এভাবে কি আর চাপ দেওয়া যায়...', কী হল হঠাৎ হাইকোর্টে?
'আমরা তো কারও না কারও সার্ভেন্ট', কী ইঙ্গিত দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ধৃতরা?
একইসঙ্গে আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন জানতে পেরেছে, প্রায় ৪৩ লক্ষ মৃত ভোটার রয়েছে এ রাজ্যে। ব্যাঙ্কে কারা KYC আপডেট বন্ধ করে দিয়েছে বা আপডেট করেছে, সেই তথ্যের মাধ্যমে ওই সংখ্যা জানা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ১৩ লক্ষ লোকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যাদের আধার কার্ড ছিল না এবং তাঁরা মারা গিয়েছেন। আধার কর্তৃপক্ষকে এই কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় সব রাজ্যে। সেই অনুযায়ী বৈঠক করা হয় আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

শিলিগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, তপন, রাণাঘাট উত্তর পূর্ব, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, খড়দহ, পানিহাটি, রাজারহাট, নিউটাউন, বিধাননগর, রাজারহাট-গোপালপুর, জয়পুর, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিন ও উত্তর, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, মহেশতলা,মেটিয়াব্রুজ, কলকাতা বন্দর, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, কাশীপুর বেলগাছিয়া, বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া দক্ষিণ, খড়্গপুর সদর, দুবরাজপুর,সিউড়ি, আলিপুরদুয়ার, কুলটি, কসবা- এই সব জায়গায় ৭৫ শতাংশের কম ফর্ম বিলি হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। বুধবার ৬ কোটি ৮৭ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছে।


তথ্য তালাশ করে জানা যায় যে উমর নবি দুটি গাড়ি কিনেছিলেন। একটি গাড়িতে সোমবার বিস্ফোরণ হয়। তদন্তকারীরা উমরের দ্বিতীয় গাড়ি, এই লাল রঙের ফোর্ড ইকো স্পোর্টস গাড়িটিও খুঁজছিল, কারণ আশঙ্কা ছিল, এই গাড়িতেও বিস্ফোরক রাখতে পারে জঙ্গিরা।


শুধু i-20 নয়, উমরের কাছে ছিল লাল Ford-ও! এই গাড়িতে কী পেল গোয়েন্দারা?
উদ্ধার হওয়া উমর নবির গাড়ি।


চিকিৎসকরাই জঙ্গি। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে স্পষ্ট সন্ত্রাসযোগ। আর সেখানেই যিনি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, সেই ডঃ উমরকে নিয়েই বড় তথ্যসূত্র পেল গোয়েন্দারা। সোমবার, ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ হয়েছিল সাদা রঙের আই-২০ গাড়িতে। ওই গাড়ি ছিল ডঃ উমরের নামে। তদন্তে নেমে জানা যায়, তাঁর আরও একটি গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়ির অবশেষে হদিশ পেল পুলিশ।

বুধবার রাতে ফরিদাবাদের খান্ডেলওয়ালি গ্রামের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্টস গাড়ি। এই সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িটিরও মালিক ছিলেন ডঃ উমর উন নবি ওরফে উমর মহম্মদ। দিল্লিতে রেজিস্টার্ড ছিল এই গাড়ির নম্বরটি।



বিস্ফোরণের পর যখন উমর নবির নাম-ঠিকানা আসে পুলিশের হাতে, তখনই তথ্য তালাশ করে জানা যায় যে উমর নবি দুটি গাড়ি কিনেছিলেন। একটি গাড়িতে সোমবার বিস্ফোরণ হয়। তদন্তকারীরা উমরের দ্বিতীয় গাড়ি, এই লাল রঙের ফোর্ড ইকো স্পোর্টস গাড়িটিও খুঁজছিল, কারণ আশঙ্কা ছিল, এই গাড়িতেও বিস্ফোরক রাখতে পারে জঙ্গিরা। শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি। শেষে বুধবার ফরিদাবাদের খান্ডেলওয়ালি গ্রামের বাইরে থেকে এই লাল গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গিয়েছে, মিথ্যা ঠিকানা দিয়ে গাড়িটি কিনেছিলেন উমর নবি। যে জায়গা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার থেকে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। এই আল ফালাহ ইউনিভার্সিটিতেই চিকিৎসা করতেন ডঃ মুজাম্মিল ও ডঃ শাহিন। মুজাম্মিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক। অন্যদিকে ডঃ শাহিন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা উইংয়ের প্রধান। তিনিই এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মাথা ছিলেন।

সূত্রের খবর, যে বাড়ির কাছ লাল গাড়িটি পাওয়া গিয়েছে, তা উমরের এক বন্ধুর। তাঁর গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, সাদা আই-২০ গাড়িটিও সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ছিল। ওএলএক্সের মাধ্যমে রয়্যাল কার জোন থেকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই গাড়িটি কেনা হয়েছিল।

তদন্তকারীদের অনুমান, বড় একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। তাদের পালানোর পরিকল্পনাও ছিল। এই হামলা চালানো হত আগামী ২৬ জানুয়ারি। দিল্লির লালকেল্লা সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় সিরিয়াল ব্লাস্ট করানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। তবে আগেই বিস্ফোরক ধরা পড়তেই তড়িঘড়ি সোমবার বিস্ফোরণ ঘটায় উমর নবি।


ভিডিয়োতে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে ঘিরে চলা বিতর্কের প্রসঙ্গ। সে বলছে," তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার রাজবংশী ও কামতাপুরী জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। 

উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনগণ ক্রমাগতভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এ অবিচারের অবসান ঘটাতে হবে।" এরপরই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তোলে সে। এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজবংশী সাংসদ ও বিধায়কদের উদ্দেশে আহ্বান জানায়।


TMC রাজবংশী ও কামতাপুরীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে', আবার বার্তা KLO প্রধানের
জীবন সিংহ


নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (KLO) চিফ জীবন সিংহ নিজের গোপন ডেরা থেকে বরাবরই বার্তা দেয়। একাধিকবার দেখা গিয়েছে, সে বিবিধ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত হুমকি দিয়ে এসেছে। এবার ভোটের ঠিক আগে-আগে আবারও গোপন আস্তানা থেকে বার্তা এল জীবনের। অপহরণ ও খুনে অভিযুক্ত রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের হয়ে জোর সওয়াল করে সামাজিক মাধ্যমে সরব হল সে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভি ৯ বাংলা যাচাই করেনি।

ভিডিয়োতে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে ঘিরে চলা বিতর্কের প্রসঙ্গ। সে বলছে,” তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার রাজবংশী ও কামতাপুরী জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনগণ ক্রমাগতভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এ অবিচারের অবসান ঘটাতে হবে।” এরপরই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তোলে সে। এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজবংশী সাংসদ ও বিধায়কদের উদ্দেশে আহ্বান জানায়। বলে, “এই সরকারের হয়ে রাজবংশী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করা বন্ধ করুন। দল ত্যাগ করুন।” আর ভোটের আগে জীবনের এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত, উত্তরে তৃণমূল ধীরে-ধীরে ফুটলেও এখনও সেখানে জমি শক্ত রয়েছে বিজেপির। আর এখন জীবন সিংহ যে বার্তা দিল তাতে তৃণমূলের মাথা ব্যথা আরও বাড়ল বলেই মনেই করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তবে কি ভোটের আগে রাজবংশী ইমোশানকে হাতিয়ার করতে চাইছে কেএলও চিফ? বঞ্চনার ইস্যুকে হাতিয়ার করে উত্তরে তৃণমূলের শক্তি দুর্বল করতে চাইছে সে? নয়ত এভাবে রাজবংশী তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদের বার্তাই বা কেন দিতে গেল সে? KLO প্রধানের এই বার্তা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশাসনিক মহল ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।



প্রয়োজনে অটো নিয়ে ঘুরব...', বাড়ি ফিরেই কেন বললেন পার্থ?
এখানে উল্লেখ্য, এর আগেও জীবন সিং আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ-কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ-কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না।” এরপর ভোটের আগে ফের সেই একই দাবি নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত, গত ২৮ অক্টোবর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নিউটাউন থেকে স্বপন কামিল্যা নামে এক সোনার ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার দুদিন পর তাঁর শ্যালক গিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসাবে রাজগঞ্জের বিধায়কের নাম উঠে আসে। এ দিন সেই অভিযুক্তের পক্ষেই সওয়াল কেএলও প্রধানের।