WEATHER

Top News


দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির দুই মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন অগ্নিকাণ্ডে। তাঁদের জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাতসকালে গিরিশ পার্কে বাড়ির মধ্যেই বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন ২ মহিলা
এই ঘরেই আগুন লাগে।

 ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার সকালে গিরিশ পার্কের রামদুলাল সরকার স্ট্রিটের একটি বাড়িতে আচমকা আগুন লেগে যায়। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোতলা বাড়ির উপরের চিলেকোটা ঘর। অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়েছেন দুই মহিলা। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, রান্নার গ্যাস লিক করেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কলকাতা পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গিরিশ পার্কের রামদুলাল সরকার স্ট্রিটের একটি বাড়িতে আচমকাই আগুন লেগে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। এরপর দমকলে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, রান্না করার সময় গ্যাস লিক করেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘরের মধ্যে থাকা সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটায়, আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগায়। আশপাশের সবকটি বাড়ি থেকে সিলিন্ডার বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকী, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।


ভষ্মীভূত ঘর।



দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির দুই মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন অগ্নিকাণ্ডে। তাঁদের জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই ঘরটি সম্পূর্ণ মাটির ছিল। অগ্নিকাণ্ডের জেরে সেটি ভেঙে পড়েছে। ঘরের ভিতরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার কাউন্সিলর তারক চট্টোপাধ্যায় এবং শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা। তারা গিয়ে দমকলের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকলের কর্মী – আধিকারিকরা।



নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের হয়ে কথা বলবেন মমতা, তবে বেশিক্ষণ মিটিং-এ থাকবেন না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

'বাংলা ভাগ মানে দেশ ভাগ...সবদিক থেকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা', দিল্লি যাওয়ার আগে সরব মমতা
এয়ারপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়



তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বাজেট নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

আগেই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মমতার। পরে সেই পরিকল্পনা বদল হয়। বাজেট প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, “বিরোধী দলের শাসনে থাকা রাজ্যগুলিকে পুরোপুরি বঞ্চনা করা হয়েছে, বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে। এই পক্ষপাতিত্বটা মেনে নিতে পারছি না। বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে।”

একই সঙ্গে বিজেপি নেতাদের মুখে গত কয়েকদিন ধরে বাংলা সম্পর্কে যে সব মন্তব্য শোনা গিয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিকে অর্থনৈতিকভাবে বাধা, ভৌগলিকভাবে বাধা… বিভিন্ন দিক দিয়ে ঘিরে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা চলছে। বাংলাকে ভাগ করার জন্য নানা বার্তা দেওয়া হচ্ছে।”

কড়া নিন্দা করে মমতা বলেন, “বাংলাকে ভাগ করা মানে দেশকে ভাগ করা। আমরা এটা সমর্থন করছি না। এই পরিস্থিতিতে আমি কিছুক্ষণের জন্য মিটিং-এ থাকব। আমাকে ভয়েস রেকর্ড করতে দিলে করব, নাহলে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসব।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অংশ করে দেওয়া হোক। এছাড়া বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বিহারের তিনটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হোক। নাম না করে সেই ইস্যুতেই এদিন সরব হয়েছেন মমতা।
অভিযুক্ত অয়ন শীলের সংস্থার হাতেই ছিল নিয়োগের দায়িত্ব। সিবিআই-এর অভিযোগ, নিয়ম খাতায় কলমে মানা হলেও, বাস্তবে কেউ ধারও ধারেনি। ১৮৫০ জনের নিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন পদে। রয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের কর্মী নিয়োগও। বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


দক্ষিণ দমদমে ৩২৯, কাঁচড়াপাড়ায় ৩০৩, বরানগরও ৩০০ ছুঁইছুঁই, দুর্নীতির খোঁজ করে বড় তথ্য সামনে আনল CBI


কলকাতা: শিক্ষা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভাগুলির নিয়োগে দুর্নীতির গন্ধ পায় সিবিআই। অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর একে একে সব পর্দা সরতে শুরু করে। সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত কয়েকমাসে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার পুরপ্রধান বা কাউন্সিলরদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার প্রকাশ্যে এল সেই মামলার চার্জশিট। ৩২ পাতার চার্জশিটে উল্লেখ করল, কোন পুরসভায় কত বেআইনি নিয়োগের তথ্য এসেছে তাদের হাতে। শুধু তাই নয়, কীভাবে বেআইনি নিয়োগ হল, সেই তথ্যও সামনে এনেছে তারা।


অভিযুক্ত অয়ন শীলের সংস্থার হাতেই ছিল নিয়োগের দায়িত্ব। সিবিআই-এর অভিযোগ, নিয়ম খাতায় কলমে মানা হলেও, বাস্তবে কেউ ধারও ধারেনি। ১৮৫০ জনের নিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন পদে। রয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের কর্মী নিয়োগও। বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ টি পুরসভার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

সিবিআই-এর দেওয়া তথ্য বলছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় সবথেকে বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। আর সেই নিয়োগে নাম জড়িয়েছে ওই পুরসভা তৎকালীন পাঁচু গোপাল রায়ের। আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৪ সাল থেকে ওই পুরসভাগুলিতে মোট ৩৬৫০ জনের চাকরি হয়েছিল, যার মধ্যে ১৮১৪ জনের চাকরির আইন মেনে হয়নি।


কোন পুরসভায় কতগুলি নিয়োগ রয়েছে সিবিআই-এর নজরে

টাকি পুরসভা- ১৫ বাদুড়িয়া পুরসভা- ৩৯ কামারহাটি পুরসভা- ৪৯ দমদম পুরসভা- ৬১ দক্ষিণ দমদম- ৩২৯ হালিশহর পুরসভা- ৩৯ কাঁচড়াপাড়া পুরসভা- ৩০৩ নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা- ৭৪ টীটাগড় পুরসভা- ২২১ রানাঘাট পুরসভা- ১০১ নবদ্বীপ পুরসভা- ১ বীরনগর পুরসভা- ২৬ কৃষ্ণনগর পুরসভা- ২০০ ডায়মন্ড হারবার পুরসভা- ১৮ উত্তর দমদম পুরসভা- ৬৪ বরানগর পুরসভা- ২৭৬ উলুবেড়িয়া পুরসভা- ১৮

এইসব নিয়োগ সন্দেহজনক বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই। অভিযোগ, এই নিয়োগ উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে হয়নি।

দক্ষিণ দমদম পুরসভায় সবথেকে বেশি বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচুগোপাল রায়ের দাবি, সরকারের অনুমোদনেই সবটা হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকারি বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ হয়। আলাদা বোর্ড ছিল। তারা নিয়োগ করেছে। এটা বিচারাধীন বিষয়, তাই নিয়োগ বেআইনি কি না, তা বলতে পারবে আদালত।” অন্যদিকে, কামারহাটি পুরসভার নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি পুর প্রধান গোপাল সাহার। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ জবাবদিহি চায় তার জন্য প্রস্তত আছি।’

টলিপাড়ায় হচ্ছেটা কী? চতুর্দিকে বিচ্ছেদের গুঞ্জ। কখনও যিশু নীলাঞ্জনা আবার কখনও বা অর্জুন-সৃজা-- আলোচনার শেষ নেই। এ সবের মধ্যেই রটেছে ঋষি কৌশিক ও স্ত্রী দেবযানীর মধ্যেও নাকি অশান্তির কালো মেঘ। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ঋষি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনের মধ্যে বিস্ফোরক ঋষি! 'সারাজীবন খবরদারি করেছে'
বিয়ে ভাঙার গুঞ্জনের মধ্যেই বোমা ফাটালেন ঋষি


টলিপাড়ায় হচ্ছেটা কী? চতুর্দিকে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। কখনও যিশু নীলাঞ্জনা আবার কখনও বা অর্জুন-সৃজা– আলোচনার শেষ নেই। এ সবের মধ্যেই রটেছে ঋষি কৌশিক ও স্ত্রী দেবযানীর মধ্যেও নাকি অশান্তির কালো মেঘ। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ঋষি এড়িয়ে যাচ্ছেন। ওদিকে বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই এক বোমা ফাটিয়েছেন। ‘গল্প’ বলেছেন এক স্বামী-স্ত্রীর। না, কারও নাম তিনি নেননি। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন কিনা তাও খোলসা করেননি, তবে তিনি যা বলেছেন তা শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন আপনি।

কী রয়েছে ওই ভিডিয়োতে? ঋষি কৌশিককে বলতে শোনা যায়, “

“একটা ছোট্ট গল্প বলি। একটা ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। তবে ছেলেটি আগেই বুঝতে পারে মেয়েটির সঙ্গে আকাশপাতাল ফারাক। ছেলেটি একটা সাধারণ জীবন যাপন করে ওদিকে মেয়েটি উড়নচন্ডী, বেপরোয়া। ছেলেটি বিয়ে করতে চায়নি। মেয়েটিই বারবার বলতে থাকে, সে নিজেকে বদলে ফেলব। ছেলেটি বারবার বারণ করেছিল। কিন্তু মেয়েটি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাই হোক, তাঁদের বিয়ে হয়। দেখতে দেখতে ছয় মাস কেটেও যায়। তবে হনিমুন পিরিয়ড চলে যাওয়ার পরেই ছেলেটা বুঝতে পারে মেয়েটি নিজেকে বদলানো তো দূর সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এভাবে দিক কাটতে থাকে। দু’জনের কর্মক্ষেত্র আলাদা। ছেলেটি কিন্তু কাজের দিকে তাঁর পাশেই থাকে। কথায় কথায় ছেলেটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার কিন্তু থামে না। ছেলেটি তাও কিছু বলে না। দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করতে থাকে। কারণ যে কোনও মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েই সংসার ভাঙতে চায় না। তবে সংসার তো এভাবে হয় না। সহ্যেরও তো একটি সীমা থাকে!”



ছেলেটির খবর তো নেয়নি, শুধু খবরদারি করে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ছেলেটির স্পেসে কিন্তু মেয়েটি সব সময় ঢোকে। কিন্তু ছেলেটি ঢোকে না, তাতে অশান্তি বাড়ে। সেটি ছেলেটি চায়নি। এরকম করেই কিন্তু ১২টা বছর চলে গিয়েছে। সে যখন আর পারছে না সে মেয়েটিকে বোঝায় যে সে আর পারছে না। এরকম চললে জীবনটাকেই শেষ করে দিতে হবে। এ সব শোনার পরেও মেয়েটি ছেলেটিকে বলতে থাকে তুমি তোমার মতো থাকবে আমি আমার মতো থাকব। এটি কোনও কথা? নিজে যা খুশি করবে তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারবে না তা তো হয় না? কারও যদি টিউমার হয়, সেই টিউমারটা বাড়তে বাড়তে কখনও ক্যানসার হবে সেই অপেক্ষা কি করতে হবে ১২ বছর হয়ে গিয়েছে বলে? একটা হাইস্যালারি পোস্টে চাকরি করার পরেও দামি দামি ব্র্যান্ডের জামা, বেপরোয়া জীবনযাপন– এগুলোই কি হাইপ্রোফাইল লাইফস্টাইল? সবার সামনে এরকম ভাব রাখে যে তার মতো লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে হয় না। লোকের সামনে এও বলেছে ছেলেটির নাকি মানসিক ভারসাম্য নেই। ছেলেটিকে নাকি সেই কাজ এনে দেয়। এত যন্ত্রণার পরেও ছেলেটি কী করে সংসার করবে? কিছু বলতে গেলেই বিভিন্ন কমিশন এই সেই… পুলিশের ভয় দেখায়, কিন্তু ছেলেটি ভয় পায় না। কারণ সে জানে কোথায় কবে থেকে কী হয়েছে।”

প্রশ্ন হল, এ কী নিছকই গল্প? নাকি ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাই তুলে ধরেছেন অভিনেতা? অতীতে দেবযানীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির কথা সামনে আসেনি। তবে এবার? আশঙ্কা ভক্তমনে। মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়েরের উল্লেখ করেছেন ঋষি। মনে করিয়ে দেওয়া যাক দেবযানীও কিন্তু মহিলা কমিশনের উল্লেখযোগ্য স্তম্ভ। ঋষি খোলসা করে কিছুই বলছেন না। তবে সূত্র বলছে কিছু দিন যাবৎ নাকি এক বাড়িতে থাকছেন না টলিপাড়ার এই দম্পতি। তাহলে?


প্রয়োজনে কড়া ভাষায় শাসন করতে পিছপা হন না বাদশা। সে ক্যামেরার সামেন হোক কিংবা পিছনে। বাবা হিসেবে শাহরুখ খানের ভূমিকাতে কোনও খামতিই যেন নেই। তবে আরিয়ানের এই ভুলকে তিনি একে বারেই মেনে নিতে পারেননি।
সপাটে লাথি আরিয়ানের, শাহরুখ মেজাজ হারাতেই পাল্টা আক্রমণ ছেলের...


আরিয়ান খান ও শাহরুখ খানের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ বেশ ভাল। ছেলেকে মনের মতো করে তৈরি করছেন কিং খান। বুকে আগলে রাখেন আরিয়ানকে। বেশ কয়েকবার সন্তান গর্ভেই নষ্ট হওয়ার পর পরিবারে আসে আরিয়ান। তাই ছেলেকে এক কথায় চোখে হারান তিনি। বুকে আগলে বড় করেছেন। তার মানে এই নয় যে ছেলে যা বলবে তিনি তাই শুনবেন। প্রয়োজনে কড়া ভাষায় শাসন করতে পিছপা হন না বাদশা। সে ক্যামেরার সামেন হোক কিংবা পিছনে। বাবা হিসেবে শাহরুখ খানের ভূমিকাতে কোনও খামতিই যেন নেই। তবে আরিয়ানের এই ভুলকে তিনি একে বারেই মেনে নিতে পারেননি। একবার এক সাক্ষাৎকারে ছেলের কাণ্ডর কথা সামনে এনেছিলেন শাহরুখ।

কী করেছিলেন আরিয়ান? এক মেয়েকে সপাটে লাথি। রেগে গিয়ে এ কী করে বসেন আরিয়ান? মেনে নিতে পারেননি শাহরুখ খান। শাসন করতে গেলেই একপ্রকার তেড়ে আসেন আরিয়ান খান। সব দোষ চাপিয়ে দেন বাবার ওপর। কিন্তু কেন? শাহরুখ খান মোটা, সেটা মোটেও পছন্দ করেন না আরিয়ান খান। একবার এক মেয়ে শাহরুখকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আরিয়ান খানকে বলে বসে বেশ কিছু বাজে কথা। প্রথমে মেয়েটি শাহরুখ খানকে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে। তখনও চুপ ছিল আরিয়ান। তারপর মেয়েটি বলে শাহরুখকে খুব বিশ্রী দেখতে লাগে কৌন বনেগা ক্রৌড়পতিতে। তাতেও আরিয়ান খান চুপ থাকে। এরপর মেয়েটি বলে বসে তোমার বাবা মোটা। তখন সহ্য করতে না পেরে সপাটে লাথি মেরে দেয় আরিয়ান।

এরপর ছেলেকে শাহরুখ শাসন করতে গেলে আরিয়ান বাবাকে পাল্টা আক্রমণ করে বলে বসে, ‘ওর নয়, সব দোষ তোমার। কারণ তুমি মোটা।’ তাতেই বেজায় অবাক হয়েছিলেন শাহরুখ।



 বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত, অথচ বিতর্কে নেই নাম, এমন অভিনেতা পাওয়া এক কথায় দুষ্কর, কিন্তু জিৎ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলেই তিনি হালকা হাসির মাধ্যমে সবটাই বুঝিয়ে দেয়।
ব্যক্তিজীবন গোপনেই রাখেন, তবে এবার কোন নারীকে প্রকাশ্যে ভালবাসায় ভরালেন জিৎ?


জিৎ মদনানি। বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন অভিনেতা। কোনওদিন ব্যক্তিজীবনকে খুব একটা সামনে আনতে দেখা যায়নি তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কেবল মাত্র ছবির জগতের কারণে। এর বাইরে মাঝে মধ্যে কিছু পোস্ট করে থাকেন, যা না করলেই নয়। সেই জিৎ এবার প্রকাশ্যে এবার ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন কাকে? বিতর্ক থেকে দূর, পরকীয়ার জল্পনা নেই যাঁর জীবনে, সেই অভিনেতাই এবার মনের কথা প্রকাশ্যে আনলেন। বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত, অথচ বিতর্কে নেই নাম, এমন অভিনেতা পাওয়া এক কথায় দুষ্কর, কিন্তু জিৎ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলেই তিনি হালকা হাসির মাধ্যমে সবটাই বুঝিয়ে দেয়।

কেবল বিতর্কে নাম না থাকা নয়, বরং বিতর্কে জড়িয়ে পড়াতেও বিশ্বাসী নন তিনি। যাই ঘটে যাক না কেন, জিৎ ছবি ছাড়া কোনও বিষয়ই মুখ খুলতে খুব একটা রাজি থাকেন না। স্পষ্ট নিজের মতামত জানিয়ে দেন, তিনি ছবি ছাড়া কোনও বিষয় কথা বলবেন না। তাই তাঁর কাছে সাধারণত অন্যান্য প্রশ্ন খুব একটা ঠাঁইও পায় না।


সেই অভিনেতার জীবনেই ভালবাসার জায়গা দখল করে রয়েছেন এক নারী, তিনি মোহনা। জিৎতের স্ত্রী। তাঁরই জন্মদিনে এবার কলম ধরলেন জিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘তোমার সঙ্গে ভালবাসাকে আবিষ্কার করার আনন্দই আলাদা। এই সম্পর্কে দুজনেই আলকিত হয়েছি। তোমার জীবনের আনন্দ আমার জীবনে ছড়িয়ে আছে। শুভ জন্মদিন মোহনা মদনানি।’

এবার বউমাকে নিয়েই মুখ খুললেন সৌরভরে মা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে দর্শনা, মধুমিতা সরকার ও বিক্রম চক্রবর্তীর ছবি সূর্য। যার প্রিমিয়ারেই শাশুড়িমাকে নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় দর্শনাকে। আর সেখানেই প্রকাশ্যে বউমাকে নিয়ে এ কী বললেন সৌরভের মা?
বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দর্শনাকে নিয়ে সরব সৌরভের মা, এ কী বললেন...


সৌরভ দাস ও দর্শনা বণিক, একে অন্যকে ভালবেসে সাত পাতে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। শুরু করেছিলেন নতুন পথচলা। যে সম্পর্কের কথা খুব একটা আঁচ পাননি অনেকেই। কারণ একটাই, তাঁরা দুজনেই ব্যক্তি জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলেন না। যদিও সম্পর্কের কথা সামনে আসতেই বিয়ের খবর এনেছিলেন সামনে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসার পাতেন তাঁরা। পরিবারের সকলকে নিয়ে বেশ সুখেই রয়েছেন দর্শনা। এবার সেই বউমাকে নিয়েই মুখ খুললেন সৌরভরে মা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে দর্শনা, মধুমিতা সরকার ও বিক্রম চক্রবর্তীর ছবি সূর্য। যার প্রিমিয়ারেই শাশুড়িমাকে নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় দর্শনাকে। আর সেখানেই প্রকাশ্যে বউমাকে নিয়ে এ কী বললেন সৌরভের মা?

সাধারণত শ্বশুরবাড়ি মানেই মেয়েদের কাছে মানিয়ে নেওয়া। নিজের পেশা বাঁচিয়ে, পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা, যত্ন নেওয়ার কাজ করে থাকতে হয়। যা নিয়ে অধিকাংশ পরিবার থেকেই অভিযোগ উঠতে শোনা যায়। তবে দর্শনার ক্ষেত্রে মোটেও তেমনটা হল না। মায়ের যত্নেই রয়েছে সে। উল্টে পাচ্ছে সাপোর্ট। ছেলের বউকে চোখে হারান দর্শনার শাশুড়ি, তা যেন পলকে প্রমাণ হয়ে গেল।

সেদিন প্রিমিয়ারে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতেই দর্শনার নামে যা বললেন সৌরভের মা, তা শুনে হাসি ফোঁটে অনেকেরই মুখে। কী বলেছিলেন তিনি? দর্শনা রান্না করতে পারে? সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রশ্ন উঠে আসতেই সৌরভের মা বলে বসেন— ‘ও যেই প্রফেশনে আছে, সেটাতেই ও উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি করুক, কেন রান্না করবে?’ যা একপ্রকার সকলকেই চুপ করিয়ে দেয়।

ঘটনার পরই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিন ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিল না? প্রশ্নটা আদালতের নির্দেশের পর থেকেই ঘোরাফেরা করছে।


ময়নাগুড়ির মানিক খুনের ঘটনাকে গণপিটুনি বলতে 'নারাজ', রাজনীতির রঙও 'ঝাপসা', ধৃতদের হেফাজতেই নিল না পুলিশ
প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা


 ময়নাগুড়ির কংগ্রেস কর্মী মানিক রায়কে খুনের ঘটনাকে গনপিটুনি বলতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। রাজনীতির রঙও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। বরং মানিকের স্ত্রীর অভিযোগের বয়ানকে ঢাল করে পুলিশের দাবি, পুরানো শত্রুতার জেরেই পিটিয়ে খুন। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতেও নিল না ময়নাগুড়ি থানা। শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলেই কী অভিযুক্তদের দ্রুত জামিন পেতে ঘুরপথে সাহায্য? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের কর্তাদের অবশ্য দাবি, মানিকের স্ত্রী নির্দিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাদের সকলের পরিচয় মিলেছে। এই খুনের ঘটনায় ওই ১১ জন ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় কারও সম্পর্কে FIR-এ কিছুই লেখা নেই। ফলে ধৃত ৫ জনের জিঞ্জাসাবাদের প্রশ্ন নেই।

এদিকে নিহতের স্ত্রী কিন্তু ইতিমধ্যেই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। স্পষ্ট বলেছেন, “তৃণমূলের লোকেরা ওর নামে নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। পাঁচ বছর আমরা শিলিগুড়িতে ছিলাম। রবিবার ফিরে আসি। তারপরঅ বাপ্পা রায়, অমল দাস ওরা এল আমাদের বাড়িতে। ওরা এসে বলে তোকে আজ ডিজেল দিয়ে পোড়াব, গাছে বেঁধে মারে। অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপাল।”





পঞ্চায়েত সমিতিতে ‘ঠিকাদাররাজ’! BJP-র পর TMC-র বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূলের একাংশ
ঘটনার পরই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিন ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিল না? প্রশ্নটা আদালতের নির্দেশের পর থেকেই ঘোরাফেরা করছে। যদিও পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত সামগ্রীও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাই পুনরায় জিঞ্জাসাবাদের দরকার নেই বলেই পুলিশ ধৃতদের কাস্টডিতে নেয়নি।

এদিকে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দিলীপ রায়। পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তার বাবা ও মায়ের দাবি, দিলীপ তৃণমূল কর্মী। কিন্তু মারামারির ঘটনায় আদৌও যুক্ত নয়। সে তার ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছিল। বিকালে বাড়ি ফেরার পর টিউশন পড়াতে যায়। ঘটনায় তাদের ছেলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হতবাক পরিবার। অভিযোগ ছেলেকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 



পুলিশ সূত্রে খবর, যে সমস্ত তরুণীদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের অনেকের বাড়ি বাংলারই বিভিন্ন জেলায়। তবে বেশ কয়েকজন ভিন রাজ্যেরও বাসিন্দা। বুধবার মূলত স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতেই অ্যাকশন প্ল্যান করে বর্ধমান জেলা পুলিশ।

 এ সব যে হচ্ছে তা টের পায়নি এলাকার লোকজন, পুলিশ হানা দিতেই বর্ধমানের হোটেল থেকে উদ্ধার নাবালিকা
জোর শোরগোল এলাকায়


 বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ হোটেল! কিন্তু, ভিতরে যে একটা কিছু অন্যরকম হচ্ছে তা বেশ কিছুদিন ধরেই টের পাচ্ছিলেন এলাকার লোকজন। বাড়ছিল সন্দেহ। কানে কানে খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছেও। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই আচমকা বর্ধমানের ফাগুপুর এলাকার ওই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। তাতেই পর্দা ফাঁস। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিন রাজ্যে থেকে তরুণীদের এনে হোটেলে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছিলেন হোটেলের ম্যানেজার। যে সময় রেইড চলে সেই সময় এক নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। নাবালিকা ছাড়াও আরও ৭ তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, যে সমস্ত তরুণীদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের অনেকের বাড়ি বাংলারই বিভিন্ন জেলায়। তবে বেশ কয়েকজন ভিন রাজ্যেরও বাসিন্দা। বুধবার মূলত স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতেই অ্যাকশন প্ল্যান করে বর্ধমান জেলা পুলিশ। তাতেই কেল্লাফতে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেলের ম্যানেজার প্রশান্ত মালকে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। 


নানা আলোচনার মধ্যে সেই দিনগুলির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এমন কে আছে, যাঁকে একেবারে ফোন করতে পারেন? সিনিয়র এই লেগ স্পিনার বলেন, 'আমিও ভাবছি। আসলে আমি কাজের জন্য কাউকে ফোন করি না। বন্ধুত্বের জন্যই করি। আগে প্রচুর বন্ধু ছিল। এখন আমার হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু। এর মধ্যে ক্রিকেটারের সংখ্যা খুবই কম।'

তোর ট্যালেন্ট ছিল না, তাই...', গৌতম গম্ভীরকে 'খোঁচা' অমিত মিশ্রর!


ভারতের কোচ হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন গৌতম গম্ভীর। এই ভূমিকায় নতুন হলেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুটি দল যোগ হয়। লখনউ সুপার জায়ান্টস ও গুজরাট টাইটান্স। লখনউ সুপার জায়ান্টস মেন্টর নিয়োগ করে গৌতম গম্ভীরকে। দেশ-বিদেশের অনেক তারকা ক্রিকেটারকেই সামলাতে হয়েছে। প্রথম দু-মরসুমেই প্লে-অফে উঠেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মেন্টর হিসেবে ফেরেন গৌতম গম্ভীর। ক্যাপ্টেন হিসেবে দু-বার কেকেআরকে ট্রফি দিয়েছিলেন। মেন্টরের দায়িত্ব নিয়েও ট্রফি দিয়েছেন। এ বার জাতীয় দলের কোচ। লখনউ সুপার জায়ান্টসে খেলেছেন সিনিয়র লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র। এক সময় যে গৌতম গম্ভীর ছিলেন সতীর্থ, তিনিই মেন্টর। কী হয়েছিল তারপর?

সম্প্রতি শুভঙ্কর মিশ্রর সঙ্গে আনপ্লাগড ইউটিউব শো-তে নানা আলোচনার মধ্যে সেই দিনগুলির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অমিত মিশ্রকে জিজ্ঞেস করা হয়, এমন কে আছে, যাঁকে একেবারে ফোন করতে পারেন? সিনিয়র এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘আমিও ভাবছি। আসলে আমি কাজের জন্য কাউকে ফোন করি না। বন্ধুত্বের জন্যই করি। আগে প্রচুর বন্ধু ছিল। এখন আমার হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু। এর মধ্যে ক্রিকেটারের সংখ্যা খুবই কম।’

অমিত মিশ্রর মতো দিল্লি থেকেই গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, বিরাট কোহলিরা উঠে এসেছেন। ওদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই? অমিত বলেন, ‘গৌতমের সঙ্গে আমি কেরিয়ারের শুরু থেকেই খেলছি। ও আমার খুবই ভালো বন্ধু। তবে কাজের জন্য ওকে কোনওদিন ফোন করি না।’ এই শো যখন শুট হয়েছে, সরকারি ভাবে গৌতম গম্ভীরের নাম ভারতের কোচ হিসেবে ঘোষণা হয়নি। তিনিই যে কোচ হবেন, সেটা নিশ্চিত ছিলই।

শুভঙ্কর মিশ্র মজা করে লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রকে জিজ্ঞেস করেন, কোচ হবে বলেই গৌতম গম্ভীর আগে থেকে রিটায়ার করেনি তো! হাসিতে ফেটে পড়েন অমিত। বলেন, ‘ওর ভাবনা চিন্তায় অনেক বদল এসেছে। কোচ হিসেবে ভারতকে সাফল্য দেবে বলেই মনে করি। এর আগে আমরা লখনউ সুপার জায়ান্টসে একসঙ্গে ছিলাম।’ লখনউ সুপার জায়ান্টসে অমিত মিশ্র প্লেয়ার ছিলেন। গৌতম গম্ভীর মেন্টর। দীর্ঘদিনের বন্ধু। তাঁদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টাও চলে। অমিত মিশ্র এমনই একটা ঘটনা তুলে ধরেন, ‘ও যখন প্রথম মেন্টর হল, একদিন আমাকে বলছে, আমি মেন্টর হয়ে গেলাম, আর তুই (বন্ধু হিসেবে এই সম্বোধনই করেন পরস্পরকে) প্লেয়ারই থেকে গেলি! আমিও মজা করে বলি, এ তো ট্যালেন্টের ব্যাপার। তোর মধ্যে এত ট্যালেন্ট ছিল না তাই তুই অবসর নিয়েছিস। আমি খেলছি।’

গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। লখনউ সুপার জায়ান্টস টিমে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি অমিত মিশ্র। সেটা নিয়ে অনেকটাই আক্ষেপ। অথচ গম্ভীর মেন্টর থাকা অবধি, খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন। গত মরসুমে তাঁকে না খেলানোর কারণ খুঁজে পাননি অমিত মিশ্র। ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলকে নাকি জিজ্ঞেসও করেছিলেন, কেন তাঁকে খেলানো হচ্ছে না। ক্যাপ্টেন রাহুল জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমরাও চাইছি তোমাকে খেলাতে কিন্তু পারছি না।’ এরপর কী বলা উচিত, বুঝে পাননি অমিত মিশ্র।

 গত কয়েকদিন ধরে হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গায় সূর্যকুমার যাদবকে ভারতের টি-২০ ক্যাপ্টেন বানানো নিয়ে জোর আলোচনা হয়েছে। এ বার ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের নজর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে। টি-২০ সিরিজ শুরু হওয়ার আগে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে জানালেন ক্যাপ্টেন স্কাই।




কলকাতা: অপেক্ষার আর একটা দিন। আগামিকাল গুরু গম্ভীরের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট শুরু। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে কয়েকদিন আগেই গৌতম নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ বার ভারতীয় ক্রিকেটে গম্ভীর-স্কাই জুটির পথচলা শুরু হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের টি-২০ টিমকে নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গায় সূর্যকুমার যাদবকে ভারতের টি-২০ ক্যাপ্টেন বানানো নিয়ে কয়েকদিন ধরে জোর আলোচনা হয়েছে। এ বার ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের নজর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে। টি-২০ সিরিজ শুরু হওয়ার আগে গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে জানালেন ক্যাপ্টেন স্কাই।

গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে স্কাইয়ের সম্পর্ক কেমন? এই প্রশ্ন তাঁর সামনে রাখতেই ভারতের নতুন টি-২০ ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা খুব স্পেশাল। ২০১৪ সালে কেকেআরে ওর অধীনে আমি খেলেছি। তাই আমাদের সম্পর্কটা বিশেষ। সেখান থেকে আমি অনেক সুযোগ পেয়েছি। ওই যে বলে তুমি তিন কদম চলো, আমিও দু’কদম যাই আর তারই মাঝে কোথাও একটা আমাদের মিল হয়। আমাদের সম্পর্ক এখনও আগের মতোই শক্তপোক্ত।’

বিসিসিআই টিভির শেয়ার করা ওই ভিডিয়োতে স্কাই জানান, গৌতম তাঁর খেলার প্রতি মনোভাব সম্পর্কে জানেন। এবং তিনিও গম্ভীরের কোচিং ভাবনার ব্যপারে জানেন। সূর্যর কথায়, ‘ও (গৌতম গম্ভীর) ডানে আমি কেমন ভাবে কাজ করি। প্র্যাক্টিস সেশনে যখন আমি আসি, তখন কেমন মনোভাব থাকে আমার, সেটাও ওর জানা। আর আমি এটাও জানি ও কোচ হিসেবে কেমন ভাবে কাজ করতে চায়। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। আমরা একসঙ্গে সামনের কথা ভাবতে চাই।’

অভিযোগ, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সাইবার ক্রাইমে অভিযুক্ত চিকিৎসকেরাই! কীভাবে নকল আঙুলের ছাপ তৈরি হচ্ছে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে? এর পিছনে কোন কোন চক্র জড়িত? প্রশ্ন তুলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি চিকিৎসক সংগঠনগুলির।


চিকিৎসকদের সাদা কোটে লাগল কালির দাগ? ভুয়ো আঙুলের ছাপ তৈরি করে হাজিরায় চলছে জালিয়াতি?
প্রতীকী ছবি


কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকদের সাদা কোটে লাগল কালির দাগ! চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে আধার নির্ভর হাজিরায় জালিয়াতি? চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ এন‌এমসি’র। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষক-চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আধার নির্ভর বায়োমেট্রিক হাজিরার পরিকাঠামো গড়ার উপরে কড়াকড়ি করেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। সেই হাজিরা পদ্ধতিতে অসৎ উপায় অবলম্বনের অভিযোগ‌ উঠল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে! 


ভুয়ো আঙুলের ছাপ তৈরি করে মেডিক্যাল কলেজগুলির একাংশে হাজিরা সুনিশ্চিত করছেন শিক্ষক-চিকিৎসকেরা! এই মারাত্মক অভিযোগ‌ই করেছে মেডিক্যাল কলেজগুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা এন‌এমসি। সেই সকল চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের। সোজা কথায়, চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ এন‌এমসি’র। 




এই অভিযোগ মারাত্মক বলে মানছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। শুধু সতর্কবার্তা নয়। এন‌এমসি’র কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা। এ রাজ্যে বায়োমেট্রিক হাজিরার পরিকাঠামো সময় মতো তৈরি না হ‌ওয়ায় এন‌এমসি’র কোপে পড়েছে রাজ্যের সবক’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। লক্ষ লক্ষ‌ টাকা জরিমানার মুখে পড়েছেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা। এর‌ই মধ্যে হাজিরায় জালিয়াতির অভিযোগ পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বৃহস্পতিবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলাতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও।


দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিতে ঘাটতি! মাথায় হাত ধান চাষীদের, হাওয়া অফিস কিন্তু বলছে দু’দিনেই ঘুরতে পারে খেলা
কী বলছে আবহাওয়া দফতর?



কলকাতা: কী অবস্থার বাংলার আকাশের? বৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু বর্ষার বৃষ্টির সেই দাপট কোথায়? দক্ষিণবঙ্গে জেলায় জেলায় বড়সড় ঘাটতি বৃষ্টিতে। রাজ্যজুড়ে আমন ধান রোপনের তোড়জোড় চলছে পুরোদমে। এই অবস্থায় বৃষ্টি ভালমতো না হলে যে মাথায় পড়বে কৃষকদের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে হাওয়া অফিস বলছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এটি আগামী ৪৮ ঘন্টা পর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। 


আর যদি নিম্নচাপে পরিণত হয় তাহলে তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর হতে পারে বলে মনে করছেন আলিপুরের আবহাওয়াবিদেরা। বর্তমানে ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ দিকে হেলে রয়েছে। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৭ দিন দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে খানিকটা হলেও চিন্তা দূর হতে পারে ধান চাষীদের। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়।