WEATHER

Top News


আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক জানালেন, "আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সেই নিয়ে জিবি মিটিং চলছিল। আমরা ফিরে এসে দেখি পাখা-লাইটগুলি খোলা হয়েছে। ওরা কেন খুলে নিল আমরা সত্যিই জানি না। আমরা যেভাবেই হোক থাকব।"

 আন্দোলনকারীদের পাখা-আলো খুলে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই মোক্ষম চাল দিল জুনিয়র ডাক্তাররা
মোক্ষম চাল দিলেন আন্দোলনকারীরা




উত্তর ২৪ পরগনা: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। এরই মধ্যে খুলে নেওয়া হল ধরনা মঞ্চের পাখা। বৈদ্যুতিক তার সহ অন্যান্য় সরঞ্জামও খুলে নেওয়া হল সেখান থেকে। তবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা পরিষ্কার জানিয়েছেন ,পাখা খুলে নিলেও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পাখা আলো খুলে নিলেও একটি বুদ্ধি বের করলেন আন্দোলনকারীরা।

এক জুনিয়র চিকিৎসক জানালেন, “আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সেই নিয়ে জিবি মিটিং চলছিল। আমরা ফিরে এসে দেখি পাখা-লাইটগুলি খোলা হয়েছে। ওরা কেন খুলে নিল আমরা সত্যিই জানি না। আমরা যেভাবেই হোক থাকব।” আন্দোলনকারী আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “উনিও কোনও স্পষ্ট উত্তর আমাদের দিচ্ছেন না।” এমনকী বক্সও খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, সাগর দত্ত হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরেই কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। অভিযোগ, সেখানে রোগীর পরিবার মারধর করে স্বাস্থ্য কর্মীদের। এরপরই কর্মবিরতিতে চলে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা।নিরাপত্তার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এরপর আজ দেখা গেল ডেকোরেটার্সরা সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের আন্দোলনের ক্যাম্প থেকে নিজেদের পাখা এবং বক্স খুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনকী আলো খোলার প্রস্তুতি ও শুরু করে দেন। সেই সময় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা ক্যাম্পের সামনে রাস্তার উপর বসে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। ডেকোরেটরসের কর্মীরা সবকটি পাখা নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়েছিল। এরপর স্লোগান শুরু হয়। তাতে বাধ্য হয়ে ডেকোরেটসের কর্মীরা সেগুলি গাড়িতে রেখেই ওই অংশ থেকে সরে যান। এমতাবস্থায়, আন্দোলনকারীরা দেয় মোক্ষম চাল। নিজেদের টাকায় চারটি সিলিং ফ্যান এবং চারটি টিউবলাইট কিনে নেন তাঁরা।

 গত শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। সেই ইস্যুতে নতুন করে উত্তপ্ত রাজ্য।

সুপ্রিম কোর্টে উঠল 'সাগর দত্ত' প্রসঙ্গ, 'ব্যবস্থা নেওয়া উচিত' বললেন প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্ট।

আরজি কর কাণ্ডের রেশ না কাটতেই সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত রাজ্য। হামলাকারীরা কীভাবে রোগীদের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই ঘটনার কথা উঠল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানিতে সাগর দত্তের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি জানান, আবারও চিকিৎসকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।


প্রসঙ্গ উঠতেই রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী অভিযোগ করেন, কোনও বেড না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। তিনি দাবি করেন, রোগী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, তাঁকে দেখার জন্য কোনও ডাক্তার ছিলেন না। সেই কারণেই একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ করা যাবে না।”

এই অভিযোগ শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “অবশ্যই এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা উচিত। প্রত্যেকটা হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে যা অভিযোগ উঠছে, তা রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখবে।”


এদিকে, রাজ্য হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কেন এত সময় নিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলে সুপ্রিম কোর্ট। সিসিটিভি লাগানো থেকে শুরু করে বাথরুম, কোনও কাজই সম্পূর্ণ হয়নি এখনও। রাজ্যের তরফে সেই তথ্য পেশ করার পরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, এত সময় কেন লাগছে? রাজ্য সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য, “৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ই অক্টোবর এর মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলার

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যে সমস্ত মন্ত্রীদের এলাকায় বন্যা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা পুজোর চেয়ে বেশি বন্যায় নজর দিন। এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। আর যে সমস্ত এলাকায় বন্যা হয়নি, সেখানে মন্ত্রীরা বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সংগ্রহ করে পাঠান। পুজোর পাশাপাশি বন্যা গুরুত্বপূর্ণ।"

পুজোর থেকে বন্যায় বেশি নজর দিন, মন্ত্রীদের কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী

মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে সমস্ত মন্ত্রীদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগের, সেই সব এলাকার মন্ত্রীদের পুজোর থেকেও বেশি বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে সমস্ত মন্ত্রীদের এলাকায় বন্যা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা পুজোর চেয়ে বেশি বন্যায় নজর দিন। এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। আর যে সমস্ত এলাকায় বন্যা হয়নি, সেখানে মন্ত্রীরা বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সংগ্রহ করে পাঠান। পুজোর পাশাপাশি বন্যা গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসি-কে দুষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, ‘ম্যান মেড’ বন্যা বলেও আখ্য়ায়িত করেন তিনি। এমনকী, বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি জেলায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ডিভিসি (DVC)র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন বলেও জানান তিনি। বন্যা দুর্গত এলাকায় যান। সেখানে ত্রাণ ঠিক মতো সকলে পাচ্ছেন কি না, কী কী সমস্যা হচ্ছে সবটাই খতিয়ে দেখেন। এরপর আজ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীদেরও কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিধাননগর এমপি এমএলএ ফৌজদারি মামলাটি ২০১৮ সালে দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নির্মল মাজির ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারত।

প্রমাণ হলে ১০ বছরের জেল হত, কিন্তু প্রমাণই দিতে পারলেন না তদন্তকারীরা, নিঃশর্ত মুক্তি নির্মল মাজির
নিঃশর্ত মুক্তি নির্মল মাজির (ফাইল ছবি)

 চিকিৎসক নির্মল মাজিকে ক্লিনচিট দিল এমপি-এমএলএ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিল এমপিএমএলএ আদালতের বিচারক জয়শঙ্কর রায়।


চিকিৎসক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ৪৩৪ ধারায় মানি লন্ডারিং এবং জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১৮ সালের একটি মামলা। মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে চিকিৎসক বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং তার মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের পাবলিক ফার্ম ব্যবহার করতেন।

বিধাননগর এমপি এমএলএ ফৌজদারি মামলাটি ২০১৮ সালে দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নির্মল মাজির ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারত। সোমবার সশরীরে হাজিরা দেন নির্মল মাজি। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে নির্মল মাজিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।



পুলিশ সূত্রের খবর, দগ্ধ হয়ে মায়ের মৃত্যুর পর অভিযুক্ত দুই ভাই বাড়িতে ফিরে যান, সেখানে একটু বিশ্রাম নেন। ততক্ষণে খবর পৌঁছে গিয়েছে পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মায়ের গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে, জ্বালিয়ে দিল দুই ছেলে, চোখের সামনে মৃত্যু দেখে বাড়ি ফিরে দিল ঘুম
প্রতীকী ছবি

নিজের মায়ের প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা! দুই ছেলের চোখের সামনে জ্বলে-পুড়ে মারা গেলেন মা। মায়ের কাতর চিৎকারেও এতটুকু টললেন না দুই ভাই। ঘটনাটি জানলে শিউরে উঠবেন। ত্রিপুরার আগরতলায় ৬২ বছরের বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।


অভিযোগ, প্রথমে বৃদ্ধা মা’কে নির্মমভাবে মারধর করেন দুই ছেলে। তারপর দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে দেন। সেখানে আবারও মারধর করা হয়। তারপর গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হল পেট্রল। তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মা তখন চিৎকার করতে শুরু করেন। অথচ দুই ছেলেই নীরব দর্শক হয়ে রইলেন! তাঁদের চোখের সামনেই মৃত্যু হয় মায়ের।

এখানেই শেষ নয়। পুলিশ সূত্রের খবর, দগ্ধ হয়ে মায়ের মৃত্যুর পর অভিযুক্ত দুই ভাই বাড়িতে ফিরে যান, সেখানে একটু বিশ্রাম নেন। ততক্ষণে খবর পৌঁছে গিয়েছে পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।





পশ্চিম ত্রিপুরার চম্পকনগর থানা এলাকার ঘটনা। সেখানে খামারবাড়িতে ওই বৃদ্ধা তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। গত বছর তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়।

জানা যাচ্ছে, গত শনিবার গভীর রাতে এক বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে তাঁর দুই ছেলের সঙ্গে কোনও বিষয়ে ঝগড়া হয়। এরপরই ছেলেরা মাকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। ছেলেরা কেউ বাঁচানোর চেষ্টা করেননি বলেই অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে কেউ টেরও পায়নি বিষয়টা। পরে বৃদ্ধার আর্তনাদ শুনে যখন প্রতিবেশীরা ছুটে যান, ততক্ষণে আর বৃদ্ধাকে বাঁচানোর কোনও উপায় ছিল না। তাঁরা আগুন নেভালেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

রোহিত শর্মা ২০০৮-২০১০ অবধি ডেকান চার্জার্স টিমের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন। তারপর ২০১১ সাল থেকে এ বছরও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে খেলেছেন। ফলে খুব সহজে যে মুম্বই তাঁকে ছাড়বে, তেমনটা হয়তো না।




 আইপিএলের নিলাম নিয়ে হইচই চলছে। না, না এখনই আইপিএলের নিলাম হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, এ বছরই হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা নিলাম। যেহেতু এ বার বড় নিলাম, তাই তা নিয়ে মাতামাতিও বেশি হচ্ছে। ১০ দল গড়েপিটে নেওয়ার পালা। একাধিক ক্রিকেটারের দল, জার্সির রং বদলে যাবে পঁচিশের নিলামে। কয়েকদিন আগে বোর্ডের পক্ষ থেকে রিটেনশন নিয়ম পরিষ্কার করা হয়েছে। এর মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের এক ভিডিয়ো। যেখানে তিনি আরসিবিকে (RCB) প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা যেন সুযোগ পেলে রোহিতকে (Rohit Sharma) অবশ্যই দলে নেয়। কেন একথা বলেছেন তিনি?


এক্স হ্যান্ডেলে ঘোরা ফেরা করছে কাইফের যে ভিডিয়ো, সেখানে তাঁকে রোহিত শর্মাকে নিয়ে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কাকে, কেমন ভাবে খেলাতে হবে সেটা ভালো মতো ও জানে। একইসঙ্গে ও জানে একাদশে কোন প্লেয়ারকে কোন জায়গায় নিতে হবে। তাই আমি তো বলব যদি সুযোগ পায় আরসিবি, তা হলে যেন রোহিত শর্মাকে দলে নিয়ে নেয়।’



আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইফা ২০২৪। টিভিনাইন বাংলা আগেই জানিয়েছিল এ বছর সেখানে পারফর্ম করবেন রেখা। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে নির্ধারিত সময়ে শুরু হল রেখার পারফরম্যান্স। নাকে নথ, গা ভর্তি গয়না, গোলাপি রঙের আনারকালিতে তিনি যে অপ্সরা। কে বলবে বয়স ৬৯?


২০ মিনিট ধরে টানা! ৬৯-তে এসে রেখার কেরামতিতে 'থ' সকলে
রেখা।


উইকিপিডিয়া জানান দিচ্ছে, বয়স তাঁর ৬৯ বছর। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে রীতিমতো ছক্কা হাঁকাচ্ছেন বহু দিন ধরেই। ফিটনেস হার মানাবে ষোড়শীকেও। তিনি আর কেউ নন, বলিউডের এভারগ্রীন বিউটি রেখা। সম্প্রতি তিনি যা কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা দেখে মুখ দিয়ে কথা সরছেন না তাঁর ভক্তদের। একবাক্য তাঁরা বলছেন, ‘এ যে অসম্ভব’~! ঠিক কী ঘটেছে?


আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইফা ২০২৪। টিভিনাইন বাংলা আগেই জানিয়েছিল এ বছর সেখানে পারফর্ম করবেন রেখা। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে নির্ধারিত সময়ে শুরু হল রেখার পারফরম্যান্স। নাকে নথ, গা ভর্তি গয়না, গোলাপি রঙের আনারকালিতে তিনি যে অপ্সরা। কে বলবে বয়স ৬৯? টানা ২০ মিনিট ধরে নাচ করতে দেখা গেল তাঁকে। সঙ্গের নৃত্যশিল্পীদেরও হার মানালেন অনায়াসে। সেই নাচেরই বেশ কিছু অংশ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে সবাই বলছেন একটাই কথা, ‘রেখা হওয়া মুখের কথা নয়’।

এবারের আইফাতে হাজির ছিলেন তাবড় তাবড় তারকা। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে রানি মুখোপাধ্যায়, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন– কে ছিলেন না সেখানে? এই বারের আইফাতে সেরা ছবি জিতে নেয় সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার পরিচালিত ‘অ্যানিম্যাল’। সেরা অভিনেতা নন শাহরুখ খান, তাঁর ‘জওয়ান’ ছবির জন্য। অন্যদিকে সেরা অভিনেত্রীর তকমা ছিনিয়ে নেন রানি মুখোপাধ্যায়।





রিমেক নয়, একটা মৌলিক গল্প নিয়ে ছবি তৈরির জন্য লড়াই করেছেন পরিচালক পথিকৃত্‍ বসু। কঠিন পথ পেরিয়েছেন। আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছেন! আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। মিঠুন চক্রবর্তীর দুর্গাপুজোর ছবি ‘শাস্ত্রী’-র পরিচালক মন খুললেন কাছে।




বাংলা ছবি তৈরি করবেন, এই ভাবনাটা এল কীভাবে? প্রথম ছবিটাই রিমেক কেন?
পথিকৃত্‍: যখন বড় হচ্ছি, তখন থেকে ছবি তৈরির স্বপ্ন দেখতাম। রবি কিনাগীর ছবিতে সহযোগী হিসাবে কাজ করতে শুরু করি। সেগুলো দক্ষিণী ছবির রিমেক ছিল। তাই ‘এসভিএফ’-এর তরফে আমার কাছেও রিমেক ছবি তৈরির প্রস্তাব আসে। তখন একটা ছবি পরিচালনা করতে হবে, সেই খিদেটা প্রধান ছিল। আমার প্রথম রিমেক ছবি ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’ সফল হয়েছে বলেই শুনেছি। তাই হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে চারটে ছবি করতে পেরেছিলাম পরপর।
তারপর কী হল? হঠাত্‍ অনুভব করলেন যে রিমেক ছবি তৈরি করতে চান না?
আমার জন্য পরিচালনা করার সুযোগ পাওয়ার শর্টকাট ছিল রিমেক ছবি তৈরি করা। সেই পথ নিয়েছি একটা সময়ে। কিন্তু নিজের যে গল্প বলতে ইচ্ছা করে, সেই ছবি তৈরির জন্য নতুন করে লড়াই শুরু করতে হবে, বুঝতে অসুবিধা হয়নি। যখন সেই সময়টা শুরু হল, জীবনটা খুব কঠিন লাগল। ১৮-১৯ বার বিভিন্ন প্রযোজকের দরজা থেকে ফিরেছি। দু’ বছর রোজ সকালে উঠে মনে হত, সামনে কিছু নেই। সমস্ত রাস্তা বন্ধ। সুইসাইড করতে হবে এমনও মনে হয়েছে। কিন্তু আবার নিজেকে মোটিভেট করেছি, নতুন করে শুরু করার জন্য। যখন যে ট্রেন্ড চলছে, তখন সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে সফল হওয়ার রাস্তা কিন্তু আমি খুঁজি না। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘরে ছবি তৈরি করেছি, কিন্তু ফ্যামিলি ড্রামা তৈরি না করে ‘দাবাড়ু’র মতো একটা চিত্রনাট্য বাছলাম। আর একটা কথা বলি, যখন আমি একটা অরিজিনাল ছবি করার জন্য দরজার-দরজায় ঘুরেছি, তখন দেবের প্রযোজনা সংস্থাই প্রথম সুযোগটা দেয়। ‘কাছের মানুষ’ ছবিটা আত্মহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলে।
নতুন প্রজন্মের পরিচালকদের মধ্যে অভিজিত্‍ সেন ছাড়া অন্য কেউ নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায় বা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকদের বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙতে পারছেন না কেন?
আপনাকে এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে হবে যে, এই পরিচালকদের কে-কে গত দু’ বছরে একটা ১০ কোটি টাকা অঙ্কের ছবি তৈরি করেছেন…এঁদের ছবিও দু’ কোটি-তিন কোটির অঙ্কে আটকে যাচ্ছে বেশিরভাগ সময়। ‘প্রজাপতি’ হঠাত্‍ একটা হয়। রবি কিনাগীর সঙ্গে যখন আমি কাজ করেছি, উনি ১৫ কোটির উপরে বাংলা ছবির কালেকশন দেখেছেন। এখন যদি তাবড় পরিচালকদের ছবির অঙ্কই ২ কোটি হয় বা ৩০ লাখেরও কম হয়, তা হলে বলতে হবে, দর্শক বাংলা ছবি নিয়েই আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাই নতুন প্রজন্মের পরিচালকরা ভালো গল্প বললেও, তাঁরা দর্শক টানতে পারছেন না।
নায়ক-নায়িকার অভাব অনুভব করেন কি টলিউডে?
একজন নায়ক বা নায়িকাকে লঞ্চ করার ক্ষমতা শ্রীকান্ত মোহতা রাখেন। বাকি প্রযোজনা সংস্থাগুলো সেই ব্যাপারে ততটা দক্ষ বলে মনে হয় না। নতুন নায়ক-নায়িকাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি না হলে, সত্যিই ছবি তৈরি করা মুশকিল।
মিঠুন চক্রবর্তী আপনার মধ্যে কী এমন দেখলেন যে পরপর দু’টো ছবি করলেন?
এই উত্তরটা মিঠুনদা দিতে পারবেন। উনি বলেন, ছবি তৈরির টেকনিকের নিরিখে আমি ভালো। মিঠুনদার সঙ্গে এখন অনেক দিনই কথা হয়। আমরা কাজের ব্যাপারে আলোচনা করি। মিঠুনদার শরীর ভালো নেই। তাই নিয়েও অনেক কথা হয়।
দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে শুটিং করলেন। উনি ভালো অভিনেত্রী সেটা সকলেই জানেন। আর কী মনে থাকবে এই কাজটা করে?
দেবশ্রীদি ভীষণ অ্যাক্টিভ থাকেন সেটে। সব সময় তৈরি শট দেওয়ার জন্য। মিঠুন চক্রবর্তীর উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে শুটিং করতে হবে, তাই চুমকিদি বিশেষ প্রস্তুতি নিতেন। এটা ব্যাপারটা আমি নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যেও দেখিনি।
‘উইন্ডোজ’-এর সঙ্গে পুজোর ছবির লড়াইটাকে কীভাবে দেখছেন?
ব্যক্তিগত পর্যায়ে ওঁদের সঙ্গে একেবারেই কোনও লড়াই নেই। কোনও বিপদে পড়লে শিবুদাকে (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) ফোন করি সবচেয়ে আগে।
এখন মনে হয় কি পরিচালক হিসাবে কাজ না করলে ভালো হত?
সব সময়ে মনে হয়! সামনের রাস্তাটা যে কঠিন, সেটা বুঝতে পারছি। তবে এমন একটা পথে হাঁটছি, হঠাত্‍ করে সেই পথ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবি না। মনে হয়, কখনও একটা ভালো সময় আসবে। কনটেন্ট পছন্দ হলে দর্শক ছবি দেখবেন।