WEATHER

Top News


ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরাও এদিন বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেই সময়েও একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্যপাল যাওয়ার পরেও একই পরিস্থিতি।


‘ভিতরের খবরকে চেপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে’, রাজ্যপাল যেতেই বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের ক্যাম্পে ধুন্ধুমার কাণ্ড
ব্যাপক উত্তেজনা বৈষ্ণবনগরে


মুর্শিদাবাদ একটু শান্ত হতে না হতেই নতুন করে তপ্ত মালদহ। স্থানীয়দের তুমুল বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মালদহের বৈষ্ণবনগর। এদিন বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের ক্যাম্পে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু, ওই সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অনেক স্থানীয় মানুষও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সকলকেই আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘরছাড়ারারাও। 


পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামের এক যুবক বলেন, “পুলিশ বলছে কোনও মিডিয়া যাবে না। কিন্তু মিডিয়া না গেলে ভিতরে কী হচ্ছে জানা যাবে না। মিডিয়াকে ভিতরে যেতে দিতে হবে।” গর্জে উঠলেন আরও একজন। বললেন, “ভিতরের খবরকে চেপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। সকাল থেকেই এটা চলছে। যাঁরা ভিতরে আছে তাঁদেরও ভয় দেখাচ্ছে।” উত্তেজনার মধ্যেই বেশ কিছু স্থানীয় যুবক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকারও চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। মাঠে নামে র‌্যাফ। কাঁদানে গ্যাস নিয়েও তৈরি পুলিশ। 


অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরাও এদিন বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেই সময়েও একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।” 

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ের পর দলের বোলিং ইউনিটের প্রশংসা করেছেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। বিশেষ করে উইল জ্যাকসের প্রশংসা করে তাঁর তিনটি পজিটিভ দিক তুলে ধরলেন মুম্বই ক্যাপ্টেন।

IPL 2025, Hardik Pandya: দলের বোলিংয়ে মুগ্ধ হার্দিক, জ্যাকসকে একাদশে রাখার কারণ ব্যাখ্যা ক্যাপ্টেনের
Image Credit source: BCCI
Follow Us
social
Twitter
facebook
linkedin
instagram
youtube
কলকাতা: মরসুমের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হার। শুধুমাত্র কলকাতার বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল মুম্বই। শেষ ২টি ম্যাচেই জয় নিয়ে প্রত্যাবর্তন হয়েছে তাদের। শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ের পর দলের বোলিং ইউনিটের প্রশংসা করেছেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। বিশেষ করে উইল জ্যাকসের প্রশংসা করে তাঁর তিনটি পজিটিভ দিক তুলে ধরলেন মুম্বই ক্যাপ্টেন।


প্রথম চারটি ম্যাচে চোটের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন বুমরা। প্রতি ম্যাচেই বোলিং ইউনিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিল তারা। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এ মরসুমে প্রথম ম্যাচ খেলেন বুমরা। বোলিং ইউনিট তাঁদের নেতা ফিরে পায়। কিন্তু সেই ম্য়াচেও হারের মুখ দেখে মুম্বই। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানো। পরপর দুই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মুম্বই। ঝুলিতে দুটি জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের। এ বার প্লে-অফের দৌড়ে ঢুকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দল।

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর হার্দিক পান্ডিয়া দলের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বোলাররা খুবই বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছে। আমাদের পরিকল্পনা খুব সহজ আর স্পষ্ট ছিল। কিছু বল মারা সহজ ছিল না। বোলারদের কৃতিত্ব যে তারা ওই বলই করে যাচ্ছিল। প্রথমের দিকে যখন রাহুল চাহারের বল থমকে আসছিল, তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে গতির হেরফের করলে কার্যকর হবে। তারপর সময় যত গড়িয়েছে পেসাররা বৈচিত্র এনেছে।’


মন্থর পিচে পার্টটাইম স্পিনার উইল জ্যাকস দুটি উইকেট নেন। উইল জ্যাকসের প্রশংসায় ক্যাপ্টেন হার্দিক বলেছেন, ‘ওর তিনটে দিক আছে। ও খুব গুরুত্বপূর্ণ ওভারগুলোতে বলও করতে পারে, সঙ্গে মারকাটারি ব্যাটিংও করার ক্ষমতা আছে ওর। উইল একজন দুর্দান্ত ফিল্ডারও। তাই ওকে দলে রাখা রয়েছে।’

Topics
আইপিএল
ক্রিকেট
হার্দিক পান্ডিয়া


Next Article
Bangla News Sports Cricket news Uska jaane ka time aa gaya says Virender Sehwag on Rohit Sharma's off form in IPL 2025
Rohit Sharma: ওর সময় হয়ে এসেছে… ফর্মহীন রোহিতকে নিয়ে বড় কথা দেশের প্রাক্তনীর
সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী Apr 18, 2025 | 6:55 PM
MI, IPL 2025: ঘরের মাঠে মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রোহিতকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামিয়েছিলেন। সেখানে মাত্র ২৬ রান করেন রোহিত। এ বার হিটম্যানের ফর্ম দেখে সতর্ক করেছেন দেশের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার।
Rohit Sharma: ওর সময় হয়ে এসেছে... ফর্মহীন রোহিতকে নিয়ে বড় কথা দেশের প্রাক্তনীর
ওর সময় হয়ে এসেছে... ফর্মহীন রোহিতকে নিয়ে বড় কথা দেশের প্রাক্তনীর
Image Credit source: BCCI
Follow Us
social
Twitter
facebook
linkedin
instagram
youtube
০, ৮, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২৬ — এটা যদি বলা হয় রোহিত শর্মার শেষ ৬টি ইনিংসে করা রান, অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এটাই সত্যি। চলতি আইপিএলে (IPL) পরপর ৬ ইনিংসে মাত্র ৮২ রান করেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক। এমআইকে ৫টি আইপিএল ট্রফি জিতিয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এখন ফর্মে নেই হিটম্যান। চলছে না তাঁর ব্যাট। প্রবল সমালোচিত হচ্ছেন। ঘরের মাঠে মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রোহিতকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামিয়েছিলেন। সেখানে মাত্র ২৬ রান করেন রোহিত। এ বার হিটম্যানের ফর্ম দেখে সতর্ক করেছেন দেশের প্রাক্তন তারকা বীরেন্দ্র সেওয়াগ। এই সময় রোহিতের কী করা উচিত, সে কথাও জানিয়েছেন বীরু।


রোহিতের খেলার ধরন নিয়ে ভাবা উচিত। মনে করছেন সেওয়াগ। তিনি বলেন, ‘যদি গত ১০ বছরে রোহিতের আইপিএলে রান দেখা হয়, নজরে পড়বে মাত্র ১ বারই ৪০০-র বেশি রান করেছিল। ও এমন প্লেয়ারই নয়, যে মনে করে ওকে ৫০০ বা ৭০০ রান করতে হবে। যদি ও সেটা ভাবে করতেই পারে। যখন ও ভারতের অধিনায়ক হয়েছিল, সেই সময় বলেছিল, ও এমন প্লেয়ার হতে যায় যে, পাওয়ার প্লে-তে সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। ও একাই সব রকম ত্যাগ স্বীকার করতে চেয়েছিল। কিন্তু ও যখন পারফর্ম করতে পারছে না, তখন ওর উত্তরাধিকারে আঘাত লাগছে।’


হিটম্যানের অবসরের সময় এসেছে। তার আগে উচিত নিজের স্বাভাবিক খেলাটা তুলে ধরে ভক্তদের মন জয় করা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বীরু বলেন, ‘এ বার ওর অবসরের সময় এসেছে। আর অবসরের আগে নিশ্চয়ই ও চাইবে ভক্তরা যেন ওকে মনে রাখে তার জন্য কিছু করতে। এমন কিছু মুহূর্ত নিশ্চয়ই চাইবে না, যাতে ভক্তরা ভাবতে বাধ্য হয় যে, কেন ওকে দল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। আমি তো বলব ১০টা বল অতিরিক্ত খেলো। কিন্তু অন্তত খেলো। নিজেকে একটা সুযোগ দাও। পুল শট খেলতে গিয়ে একাধিকবার ও আউট হয়ে যাচ্ছে। একবার ওর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, পুল শট খেলবে না। এ বার ওকে এটা কে বোঝাবে? কাউকে ওকে বলতে হবে যে ও যেন স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলে। যখন আমি ক্রিকেট খেলতাম, সেই সময় সচিন, দ্রাবিড় বা সৌরভ আমাকে বলত স্বাভাবিকভাবে ক্রিকেট খেলার জন্য।’

কুণাল ঘোষ উল্লেখ করেছেন, একে একে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সভাপতি, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েছেন একে একে।

 ঠিক কোন ফাঁকে 'রিঙ্কু বৌদি' টুক করে ঢুকে পড়ল? সমীকরণটা বোঝালেন কুণাল ঘোষ


বোমাটা প্রথম ফাটিয়েছিলেন কুণাল ঘোষই। শুক্রবার এক্স মাধ্যমে তিনিই ফাঁস করে দেন দিলীপ ঘোষের বিয়ের কথা। শাসক ও বিরোধী দলের এই দুই নেতার বাকযুদ্ধের কথা সবাই জানেন। তবে বিভিন্ন সময়ে দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করতেও শোনা গিয়েছে কুণালকে। বিজেপির অন্দরে দিলীপকে কোণঠাসা করা হচ্ছে বলেও বারবার সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ। এবার তিনি বোঝালেন কেন রিঙ্কু মজুমদার ঢুকে পড়লেন রাজনীতিক দিলীপের জীবনে?


শুক্রবার দিলীপ ঘোষের বিয়ের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “দলে যেভাবে দিলীপ দাকে অপমান করা হয়েছে, কোণঠাসা করা হয়েছে, তাতে তাঁর জীবনে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। আর সেই ফাঁকেই টুক করে ঢুকে পড়েছেন রিঙ্কু বৌদি।”

কুণাল ঘোষ উল্লেখ করেছেন, একে একে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সভাপতি, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েছেন একে একে। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে জেতা কেন্দ্র থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। আজ যখন সে সব কথা বলছেন রিঙ্কু, তাতে সমর্থন জানাচ্ছেন কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ দার নিশ্চয় একটা যন্ত্রণা ছিল। সেই দুঃখের দিনে রিঙ্কু বৌদি পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিলীপ দা বুঝেছেন, দল নয়, রিঙ্কু দিই পাশে থাকবেন।” দিলীপ ঘোষের সিদ্ধান্তকে তাই সমর্থন করেছেন তিনি।


শুক্রবার অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের বিয়ের সকালে দেখা গেল তাঁর বাড়িতে, তাঁর পাশে বসে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম নেতা তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। অবিবাহিত নেতাদের মধ্যে তিনিও অন্যতম। তবে দিলীপ ঘোষকে দেখে কি তিনি অনুপ্রাণিত?


আমার তো শক্তি নেই', দিলীপের বিয়ের কথা শুনে কেন এমন বললেন শমীক
দিলীপ ঘোষের বাড়িতে শমীক


রাজ্য়ে অকৃতদার রাজনীতিকের সংখ্যা কম নয়। দিলীপ ঘোষের নামও এতদিন পর্যন্ত সেই তালিকায় ছিল। তবে আজ (শুক্রবার) থেকে বাদ পড়ল তাঁর নাম। ৬১ বছর পেরিয়ে বিয়ে করছেন তিনি। সেই লিস্টে আর যাঁরা থেকে গেলেন, তাঁরা কি এবার উৎসাহিত হবেন?


শুক্রবার অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের বিয়ের সকালে দেখা গেল তাঁর বাড়িতে, তাঁর পাশে বসে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম নেতা তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। অবিবাহিত নেতাদের মধ্যে তিনিও অন্যতম। তবে দিলীপ ঘোষকে দেখে কি তিনি অনুপ্রাণিত? প্রশ্ন করতেই শমীক বললেন, ‘এটায় পারেনি।’

দিলীপ ঘোষের থেকে বয়সে মাস কয়েকের বড় শমীক। এদিন তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের জীবনচর্জা, তাঁর মর্নিং ওয়াক, তাঁর লড়াকু মানসিকতা, বিপরীত পরিস্থিতিতে থেকে দলকে প্রতিষ্ঠা করা, সরলভাবে যে কোনও পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করা, আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তবে এক্ষেত্রে (বিয়ের ক্ষেত্রে) পারেননি।”


বিজেপি নেতা আরও বলেন, ও আমার থেকে বয়সে ছোট। আমার ওই সময়টা পেরিয়ে গিয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য কি বিয়ে করতে পারেন না? উত্তর এল, “আমার শক্তি নেই তো। সমস্ত জিনিস গ্রহণ করার জন্য তো একটা শক্তি লাগে।” শমীক এও মনে করিয়ে দেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বা বাম নেতা বিমান বসুও রয়েছেন অকৃতদারদের তালিকায়, তিনি একা নন।

শুক্রবার রাজ্য রাজনীতিতে একটাই খবর। দিলীপ ঘোষের বিয়ে। শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হচ্ছে।


 বিয়ের দুপুরেই দিলীপকে খামে ভরে চিঠি পাঠালেন মমতা


নিউ টাউনের ‘আইডিয়াল ভিলা’র চেহারাটাই আজ অন্যরকম। সকাল থেকে অন্য আমেজ। ভিলার গেট খুলে পরপর ভিতরে ঢুকছে গাড়ি। রাজ্য বিজেপির নেতা-নেত্রীরা একে একে নামছেন গাড়ি থেকে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন পাত্রী রিঙ্কু মজুমদারও। পাত্রীর মেক-আপ আর্টিস্টও হাজির। এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা।


একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো, অন্যজন রাজ্যের বিরোধী দলের অন্যতম মুখ। বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে কখনও লাগাম রাখেন না দিলীপ ঘোষ। সেই দিলীপের বাড়িতেই পৌঁছল খামে ভরা চিঠি ও ফুল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দিলীপের নিউ টাউনের বাড়িতে বসছে বিয়ের ঘরোয়া আসর। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। সঙ্গে ফুলের তোড়া, আর খামে ভরা চিঠি। সেই চিঠিতে রয়েছে দিলীপ ঘোষের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা।


এই বার্তা পেয়ে খুশি দিলীপ ঘোষ। ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। উনি পশ্চিমবঙ্গের অভিভাবিকা। বয়সেও আমার থেকে বড়। ওঁর আশীর্বাদ চাই।” শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন, শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রীই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিলীপকে। লোকসভা নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করা নেতা তথা তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ নিজের বাসভবনে মিষ্টিও বিলি করেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা।

একুশ তারিখে যাতে ‘বৌদিকে’ নিয়ে দিলীপ কেকেআরের খেলা দেখতে ইডেনে আসেন সেই অনুরোধও করলেন মদন। একমুখ হাসিমুখ নিয়ে বললেন, “এই বিয়েটা বিজেপিতে একটা সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে।”



আপনি বেশি লাঠি ঘোরাবেন না, বৌদি ভয় পেয়ে যাবেন!’ ‘বিবাহিত’ দিলীপকে পরামর্শ মদনের
দিলীপ ঘোষ


আরতি মুখোপাধ্যায় থেকে মান্না দে, দিলীপ ঘোষকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কতরকমই গান ধরলেন মদন মিত্র। টেনে আনলেন রবি ঠাকুরকেও। কাটলেন ছড়া। মদনের সাফ কথা, “একটু লেট হল। তবে চিন্তা করবেন না! একটু বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ের মাধুর্য আলাদা হয়।” একুশ তারিখে যাতে ‘বৌদিকে’ নিয়ে দিলীপ কেকেআরের খেলা দেখতে ইডেনে আসেন সেই অনুরোধও করলেন। একমুখ হাসিমুখ নিয়ে বললেন, “এই বিয়েটা বিজেপিতে একটা সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে।”  

এদিন টিভি৯ বাংলার এক্সক্লুসিভি সাক্ষাৎকারে দিলীপ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গানে গানেই এক্কেবারে প্রেমের দোলা লাগালেন ‘কালারফুল’ মদন। হাসতে হাসতেই বললেন, “বহু জায়গায় বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্লোগান দিচ্ছে, গান গাইছে। চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেজে, কদমতলায় কে/ বাড়িতে আছে হুলো বেড়াল, কোমর বেঁধেছে/ সবাই মিলে আয়রে তোরা আজ আমাদের দিলীপ বাবুর বিয়ে!” তারপরই দিলীপের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, “একটু বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ের মাধুর্য আলাদা হয়। কারণ অল্প বয়সে বিয়ের গুরুত্ব অতটা বোঝা যায় না। বড় বয়সে বিয়ে করলে দায়িত্ববোধ অনেক বেশি আসে।” 

‘আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে- কি হয় কি হয়!’ 

বেশ রসিয়েই মদন বললেন, “ওনার স্ত্রী বলছিলেন একুশে পরিচয়, পঁচিশে পরিণয়। এটা শুনে একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল। বলেই ধরলেন আরতি মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গান… এক বৈশাখে দেখা হল দু’জনার- জষ্ঠীতে হল পরিচয়। আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে- কি হয় কি হয়! কিন্তু আষাঢ় তো এখনও আসেনি তাই দিলীপবাবুর মনের মধ্যে একটা কবিতাই বাজছে।” বলেই শোনালেন রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত কবিতা। মদনের মুখে তখন, ‘প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস– তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।’ সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “যদিও দিলীপবাবু বলছেন তিনি তাঁর স্ত্রীর চোখে সর্বনাশ সেই ভাবে দেখেননি। ওনার স্ত্রী ওনাকে এসে প্রপোজ করেছেন। ব্যাপরটা খানিক…” বলেই ফের ধরলেন মান্নাদের সেই বিখ্যাত গান, “কে প্রথম কাছে এসেছি? কে প্রথম চেয়ে দেখেছি? কিছুতেই পাই না ভেবে কে প্রথম ভালবেসেছি? তুমি,না আমি?”  

‘লাঠি ঘোরানো দেখলে ম্যাডাম ভয় পেয়ে যাবেন’ 

তবে বিবাহিত দিলীপকে পরমার্শের বন্যার মধ্যে মদন ‘অ্যাডভাইজ’ দিলেন নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই। হাসতে হাসতেই বললেন, “আর আপনি লাঠি বেশি ঘোরাবেন না। এখন যেভাবে আপনি লাঠি ঘোরান সেটা দেখলে ম্যাডাম ভয় পেয়ে যাবেন। এখন লাঠি ঘোরানো বন্ধ করে বৌদিকে ঘোরান। কাশ্মীরে নয়, শিলিংয়েও নয়। আন্দামান কী রাঁচিতেও নয়। সব জায়গা ঘোরান। ইস্তানবুল থেকে জাপান, সব ঘোরান। ভাল ভাল রান্না খাওয়ান।” একদম শেষে আবার টানলেন শুভেন্দর প্রসঙ্গও। খানিক কৌতূহলের সঙ্গেই বললেন, “আমি জানি না দিলীপ বাবুর বিয়ে দেখে শুভেন্দুর মনে কী কোথাও বাজনা বাজছে! ওর মনে কী হচ্ছে জানি না। কারণ দেখলাম সবাই গিয়েছে, শুভেন্দু যায়নি।” 

বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর আগে থেকেই রিঙ্কু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই সঙ্গে একটা সময় সংসারও সামলেছেন।


শাশুড়ির সঙ্গে রিঙ্কুর অ্যাডজাস্টমেন্ট কতটা! 
একসময় সঙ্ঘ প্রচারক ছিলেন। পরে সক্রিয় রাজনীতিকে প্রবেশ। বছর কয়েকের মধ্যেই বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করে, তাঁর হাত ধরেই বঙ্গ বিজেপির নতুন করে উত্থান হয়েছে রাজ্যে। দলের রাজ্য সভাপতি থেকে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আর এবার আরও এক নতুন দায়িত্ব। ষাট বছর পেরিয়ে বৈবাহিক জীবন শুরু করছেন তিনি। তার আগে জানালেন, তাঁর অনুভূতির কথা।


দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মা পুষ্পলতার কথাতেই বিয়েতে রাজি হয়েছেন তিনি। শুক্রবার বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে 
 দিলীপ জানালেন, মায়ের কথায় তিনি এই নতুন দায়িত্ব নিচ্ছেন, সেই সঙ্গে রিঙ্কুর উৎসাহের কথাও বলতে ভুললেন না তিনি। জানালেন, রিঙ্কুর সঙ্গে তাঁর মায়ের পরিচিতিও বেশ কিছুদিনের।

বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর আগে থেকেই রিঙ্কু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই সঙ্গে একটা সময় সংসারও সামলেছেন। রিঙ্কু বিবাহ-বিচ্ছিন্না। তাই দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি সংসার সামলেছেন। অভিজ্ঞতা আছে। দুজনেরই রাজনৈতিক জীবন থাকবে। তার সঙ্গেই আমরা পারিবারিক জীবন কাটাব।”


এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আমার মা খুব খুশি। মায়ের কথাতেই বিয়েটা হচ্ছে। উনি গিয়ে রিঙ্কুর বাড়িতে থেকে এসেছেন। আমি না থাকতে আমার মাকে রান্নাবান্না করে খাইয়েছে রিঙ্কু। ফলে অ্যাডজাস্টমেন্ট অনেকটা হয়েই গিয়েছে। বাকিটা ভগবানের ইচ্ছা।”

কাজ করেন সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে। কিন্তু মায়ের বিয়েতে নেই ছেলে। রয়েছেন এক্কেবারে কলকাতার বাইরে। ব্যাপারটা কী? কেন গরহাজির প্রীতম?



মাকে বিয়ে করছেন দিলীপ ঘোষ! কেন নেই রিঙ্কুর ছেলে? এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সবটা বলে দিলেন প্রীতম
কী বলছেন প্রীতম?


যেন একেবারে কালবৈশাখী ঝড়। বিয়ে করছেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘ব্রেকিং নিউজটা’ সামনে আসার পর থেকেই তোলপাড় চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। নামটা যখন দিলীপ ঘোষ, তখন তাঁর বিয়ের খবরে চর্চা হবে না তা আবার হয় নাকি! শোনা গেল তিনি আবার যাকে বিয়ে করছেন তিনিও দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। রিঙ্কু মজুমদার। তাঁর আবার ২৫ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। নাম প্রীতম মজুমদার। কাজ করেন সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে। কিন্তু মায়ের বিয়েতে নেই ছেলে। রয়েছেন এক্কেবারে কলকাতার বাইরে। ব্যাপারটা কী? কেন গরহাজির প্রীতম? বাড়তে থাকে জল্পনা।




প্রীতম যদিও বলছেন, বিয়েতে তাঁর না থাকা নিয়ে এত জল্পনার কিছু নেই। কিন্তু, বিয়েতে কী তাঁর মত আছে? অকপটেই প্রতীম বললেন, অবশ্যই তাঁর মত আছে। বেশ পছন্দও করেন দিলীপ ঘোষকে। শেষ পর্যন্ত মা তাঁর সঙ্গে ঘর বাঁধায় তিনিও খুশি। এদিন ফোনেই বললেন, “জানি মায়ের বিয়ে হচ্ছে। আমার মতও আছে। এই দিনটার জন্য খুব খুশি। মায়ের জন্য খুব খুশি। মায়ের সিদ্ধান্তে আমি খুবই সাপোর্ট করে এসেছি। আগামীতেও করব।” কিন্তু, এই দিনই কলকাতার বাইরে কেন চলে গেলেন তিনি? 

প্রীতম বলছেন, “মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করি। আমি আসলে ছুটি তো খুব একটা পাই না। গুড ফ্রাইডের ছুটি পেয়েছি। তাই ছুটিতে ছুটি কাটাতে কলকাতার বাইরে এসেছি। আমি থাকলে ভাল হতো। কিন্তু, আগে থেকে প্ল্যান ছিল আমার।” তাঁর সাফ কথা, “আমার কলকাতায় না থাকা নিয়ে কোনও জল্পনার প্রয়োজন নেই। আমি কলকাতায় থাকলে ওখানে থাকতাম। মা খুব খুশি হতো, উনিও (দিলীপ ঘোষ) খুশি হতেন। কিন্তু, গোটা বিষয়ে আমাক পূর্ণ সম্মতি আছে।” ইডেনে যে তাঁরা একসঙ্গে খেলা দেখতেও গিয়েছিলেন এদিন সে কথাও বলেন। বলেন, “ইডেনে একসঙ্গে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে কথা হয়। তার আগেও হয়, পরেও হয়। দিলীপ ঘোষকে আমার খুব ভাল লাগে।”

ভারতের সুপারস্টার বলে আর কোনও ছাড় পাওয়ার জায়গা নেই। বরং নিয়ম সকলের জন্য এক, এই পন্থায় হাঁটার কথা ভেবেছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
ভারতের স্টার বলে নেই ছাড়! রোহিত-সূর্যদের জন্য নয়া ফতোয়া MCA-র
ভারতের স্টার বলে নেই ছাড়! রোহিত-সূর্যদের জন্য নয়া ফতোয়া জারি MCA-র


ভারতের সুপারস্টার বলে আর কোনও ছাড় পাওয়ার জায়গা নেই। বরং নিয়ম সকলের জন্য এক, এই পন্থায় হাঁটার কথা ভেবেছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। এমসিএর পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য নয়া ফতোয়া জারি করা হয়েছে। এ বার থেকে যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেন, তাঁদের টি-২০ মুম্বই লিগে খেলতেই হবে। এ নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে এমসিএ। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে ছাড় নেই রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আইয়ারদের।


টি-২০ মুম্বই লিগের মুখ হিসেবে ভারতের টেস্ট ও ওডিআই টিমের অধিনায়ক রোহিত শর্মার কথা ভেবেছে এমসিএ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, অজিঙ্ক রাহানে, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আইয়ার, শিবম দুবে, পৃথ্বী শ, শার্দূল ঠাকুরদের এমসিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা যদি ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে জায়গা না করে নিতে পারেন, তা হলে তাঁদের মুম্বই টি-২০ লিগে খেলতে হবে।

এমসিএ-র এক কর্তা বলেন, ‘মুম্বইয়ের সব ভারতীয় ক্রিকেটারদের জানানো হয়েছে যে, আইপিএলের পর শুরু হতে চলা টি-২০ মুম্বই লিগে খেলতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক। যাঁরা জাতীয় দলে ডাক পাবেন এবং যাঁদের চোট আঘাতের সমস্যা থাকবে, তাঁরা ছাড়া বাকিরা এই লিগে খেলবেন।’

কলকাতার দুই প্রধান ইস্ট-মোহনের কথা উঠলেই চিংড়ি ও ইলিশের প্রসঙ্গ আসতে বাধ্য। মহারাজের কোনটা পছন্দ জানেন?

ইলিশ নাকি চিংড়ি, ফুটবলপ্রেমী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পছন্দ কোনটি?
ইলিশ নাকি চিংড়ি, ফুটবলপ্রেমী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পছন্দ কোনটি?


ফুটবল আর বাঙালি যেন একে অপরের দোসর! বাঙালি যে পেশাতেই যুক্ত থাকুন না কেন, তাঁদের রক্তে থাকে ফুটবল। ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ফুটবল প্রেম তাঁর অনুরাগীদের অজানা নয়। কলেজে পড়ার সময় মহারাজের পছন্দ ছিল ফুটবল। তিনি নিয়মিত ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতেন। পরবর্তীতে সৌরভ ফুটবল প্রশাসনেও যুক্ত হয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ক্রিকেট প্রশাসনে আসার পর স্বার্থের সংঘাতের কারণে তিনি সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। কলকাতার দুই প্রধান ইস্ট-মোহনের কথা উঠলেই চিংড়ি ও ইলিশের প্রসঙ্গ আসতে বাধ্য। মহারাজের কোনটা পছন্দ জানেন?


ময়দানে ডার্বি মানেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের সেন্টিমেন্টের লড়াই। ইলিশ-চিংড়ির লড়াই। বাঙাল-ঘটির আবেগের লড়াই। লাল-হলুদের আবেগ ইলিশকে ঘিরে। আর সবুজ-মেরুনের আবেগ চিংড়িকে কেন্দ্র করে। ডার্বির দিন যে কারণে, দুই দলের সাপোর্টারদের মধ্যে ইলিশ-চিংড়ি যুদ্ধ লেগে যায়।

ইস্ট-মোহন দুই দলকেই মহারাজ যেমন পছন্দ করেন, তেমনই চিংড়ি ও ইলিশ দুটিই পছন্দ সৌরভের। সম্প্রতি খাবারের চ্যানেলে সৌরভের স্পেশাল রেসিপি নিয়ে এক শো হয়েছে। সেখানে সেলিব্রিটি শেফ সনজ্যোৎ কীরের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন মহারাজ। সেখানেই সৌরভকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর প্রিয় মাছ কী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ইলিশ। চিংড়ি, কাঁকড়াও আমার ভীষণ প্রিয়। কলকাতা তো নদীর কাছেই। তাই আমরা চিংড়ি, কাঁকড়া ছেলেবেলায় সহজেই পেতাম। চিংড়ি মাছের মালাইকারি ভীষণ ভালো লাগে।’

তিনি নিজেও একজন বিজেপি কর্মী। বিয়ের পর কি দিলীপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে? জবাব দিতে গিয়ে রিঙ্কু বললেন, "মাকেও (দিলীপ ঘোষের মা) দেখাশোনা করব। রাজনীতিতে পুরোপুরি সামনে না এলেও পিছনে থেকে ওঁকে সমর্থন করব।"


 দিলীপের 'রাফ অ্যান্ড টাফ' ইমেজটাই পছন্দ, মনের কথা খুলে বললেন রিঙ্কু
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কী কী বললেন রিঙ্কু মজুমদার?


আর অকৃতদার থাকছেন না। আজ(শুক্রবার) বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিয়ে করছেন দলেরই কর্মী রিঙ্কু মজুমদারকে। বৃহস্পতিবার তাঁদের বিয়ের খবর সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিয়ের পর কি ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ দিলীপ ঘোষ বদলে যাবেন? হবু স্বামীকে কোন রূপে আগামীতে দেখতে চান তিনি? বিয়ের দিন টিভি৯ বাংলাকে মনের কথা বললেন রিঙ্কু মজুমদার।


আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের বিয়ে। ব্যস্ত। তারই মধ্যে ফোনে টিভি৯ বাংলাকে রিঙ্কু বললেন, “আমি খুবই উদ্বেলিত।” কিন্তু, দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে নানা আলোচনা চলছে? প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই দিলীপের হবু স্ত্রী বললেন, “কিছু কিছু সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত। কাউকে খুশি করা যায় না। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। কী দরকার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত অন্যের উপর নির্ভর করে নেওয়ার।”

রাজ্য রাজনীতিতে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ হিসেবে পরিচিত দিলীপ। অনেকেই বলেন, তাঁর মুখে লাগাম লাগানো যায় না। রিঙ্কু বললেন, “ওইজন্যই ওঁকে পছন্দ করি। আমার মধ্যেও রাষ্ট্রায়ত্ত বোধ রয়েছে। আমি আর পাঁচটা মেয়ের মতো স্বাভাবিক নই। ওঁকে আমার ভাল লেগেছে ওই জন্য। ওঁর আত্মত্যাগ। দল, দেশ, রাজ্যের জন্য ওঁর যে নিষ্ঠা, সেগুলোই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।”





একসময় রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন দিলীপ। এখন তিনি কোনও পদে নেই। রাজ্য বিজেপির সাংগঠিনক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্য সভাপতি কি বদল হবে? তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। দিলীপের হাতে কি ফের রাজ্য বিজেপির রাশ দেখতে চান তিনি? কোনও রাখঢাক না রেখেই রিঙ্কু বললেন, “উনি যোগ্য। এটা প্রমাণিত। এত কম সময়ে রাজ্যে আমাদের দলের সমর্থন কোথা থেকে

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে যে হিংসা, অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যোগ থাকতে পারে বলেই দাবি করা হয় সরকারি সূত্রে।


মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথা, 'নিজের চরকায় তেল' দিতে বলল ভারত
মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক।


 নিজের দেশ নিয়ে হুঁশ নেই, পড়শি দেশ নিয়ে বেশি চিন্তা বাংলাদেশের। মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে নিন্দা বাংলাদেশের। এর পাল্টা জবাব দিল বিদেশ মন্ত্রক। ঢাকার এই মন্তব্য অযৌক্তিক বলেই উল্লেখ করা হয়।


ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে যে হিংসা, অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যোগ থাকতে পারে বলেই দাবি করা হয় সরকারি সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ কথা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ এই প্রসঙ্গেই বক্তব্য রাখে। বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ ও ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করছি সংখ্যালঘু মুসলিমদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যেন প্রয়োজনীয় যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়।”

এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের এই মন্তব্য হল ভারতের সঙ্গে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন ও হত্যার, যেখানে অপরাধীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার তুলনা টানার প্রচ্ছন্ন ও ছলনামূলক প্রচেষ্টা।”


বাংলাদেশকে নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করার কথাই বলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে ২৪০০-রও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র ২০২৫ সালেই ৭২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।



সূত্রের খবর, ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই হবে বিয়ে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ছাড়া দুই পক্ষের কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত থাকবেন। 


সকাল থেকেই সাজো সাজো রব, দিলীপ ঘোষের ভিলায় কারা এলেন, কী হচ্ছে অন্দরমহলে, দেখুন
দিলীপ ঘোষের বিয়ে


সব কচকচানি ভুলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলার রাজনৈতিক মহলে একটাই চর্চা। দিলীপ ঘোষের বিয়ে। কাটখোট্টা রাজনীতির তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের যে সবসময় একটা রসবোধ আছে, সে কথা মানেন শাসকদলের নেতারাও। এমনকী বিয়ের খবরটা ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রথম শুভেচ্ছাটাও জানিয়েছেন শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষই। আজ শুক্রবার নিউ টাউনের আইডিয়াল ভিলায় বসছে সেই বিয়ের আসর। সকাল থেকেই সেখানে সাজো সাজো রব।


শুক্রবার গোধূলী লগ্নে বিয়ে হওয়ার কথা। সকালেই সেখানে একে একে উপস্থিত হলেন অতিথিরা। দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন দলের সিনিয়র নেতারা। প্রত্যেকেই দিলীপের হাতে তুলে দিলেন উপহার। পেলেন রিটার্ন গিফটও।




অন্দরমহলের যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অতিথিদের সঙ্গে কথা বলছেন দিলীপের মা পুষ্পলতা ঘোষ। শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমিক ভট্টাচার্য প্রমুখ।



সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সব সিনিয়র নেতারাই দিলীপকে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছেন। তিনি ধুতি, শাড়ি, ফুল, মিষ্টি দিয়ে এসেছেন। তবে কাজ থাকায় দিলীপের বিয়ের সময় থাকতে পারবেন না তিনি। সুকান্ত আরও জানিয়েছেন, আইনি মতে ও বৈদিক মতে বিয়ে হবে দিলীপের।



সূত্রের খবর, ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই হবে বিয়ে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ছাড়া দুই পক্ষের কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত থাকবেন।