WEATHER

Top News


১৭ মে থেকে আইপিএল আবার শুরু হবে। সূচিতে এসেছে একাধিক বদল। তবে এই ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পরিস্থিতিতে অনেক বিদেশি প্লেয়ার ভয়ে দেশ ছেড়েছেন। এই কারণেই একাধিক আইপিএলের দলগুলির কপালে চিন্তার ভাঁজ।

RCB শিবিরে আশার আলো, ফিরছেন অজি তারকা; একাধিক বিদেশিদের নিয়ে ঘোর অনিশ্চিয়তা!

RCB শিবিরে আশার আলো, ফিরছেন অজি তারকা; একাধিক বিদেশিদের নিয়ে ঘোর অনিশ্চিয়তা!

দিনকয়েকের জন্য স্থগিত হয়েছিল আইপিএল। ফের জোরকদমে আইপিএল শুরু হওয়ার প্রস্তুতিতে মগ্ন ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে হওয়া জঙ্গি হামলায় একাধিক নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। তার জবাবে ভারতীয় সেনারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ মিশন চালায়। যাতে একাধিক জঙ্গি ঘাটি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনারা। এই সব উত্তেজনার কারণেই ভারতে চলতে থাকা বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রিকেট লিগ আইপিএল স্থগিত করে দেওয়া হয় এক সপ্তাহের জন্য। আপাতত ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি চলছে। তাই বিসিসিআই ফের এই লিগ শুরু করতে চলেছে। তবে এখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে একাধিক বিদেশি ক্রিকেটারকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে।


১৭ মে থেকে আইপিএল আবার শুরু হবে। সূচিতে এসেছে একাধিক বদল। তবে এই ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পরিস্থিতিতে অনেক বিদেশি প্লেয়ার ভয়ে দেশ ছেড়েছেন। এই কারণেই একাধিক আইপিএলের দলগুলির কপালে চিন্তার ভাঁজ। অনেকে এই বছর ফের আইপিএল খেলতে আসতে নারাজ। আবার অনেকেই দলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে ফিরে আসছেন।

এ বারের আইপিএল জয়ের অন্যতম দাবিদার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে আইপিএলের এই বিরতি আরসিবি দলের ছন্দে কিছুটা পতন ঘটাতে পারে। এবং সবথেকে যেটি বড় সমস্যা তা হল বিদেশিদের নিয়ে অনিশ্চয়তা। তবে এই সব কিছুর মধ্যেও আরসিবি দলে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আরসিবির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জস হ্যাজলউড বাকি থাকা ম্যাচগুলি খেলতে ভারতে ফিরতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও তাঁর কাঁধের চোটের কারণে ম্যাচ খেলা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাকি থাকা ম্যাচগুলি খেলতে ভারতে ফিরছেন অজি তারকা হ্যাজলউড। তবে তিনি কবে ভারতে আসবেন তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে এই অজি পেসার চলতি মরসুমে আইপিএলে ১০ম্যাচ খেলে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন।

এ বার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোন তারকারা আইপিএলের প্লে অফের জন্য অনিশ্চিত —

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- জ্যাকব বেথেল, রোমারিও শেফার্ড।
গুজরাট টাইটান্স- জস বাটলার, শেরফান রাদারফোর্ড, কাগিসো রাবাডা।
পঞ্জাব কিংস- মার্কো জ্যানসেন, জশ ইংলিশ, মার্কাস স্টইনিস।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স- রায়ান রিকলটন, উইল জ্যাকস, করবিন বশ।
দিল্লি ক্যাপিটলস- জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক, মিচেল স্টার্ক, ত্রিস্তান স্টাবস।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত অধ্যাপককে ডেকে কথাও বলেন অধ্যক্ষ।

দাড়ি দেখেই চিকিৎসক পড়ুয়াকে 'জঙ্গি' বললেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক, তদন্ত শুরু হতেই চাইলেন ক্ষমা
মেডিক্যাল কলেজে অভিযুক্ত অধ্যাপক

পোশাক ও দাড়ি দেখে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ‘জঙ্গি’ বলে সম্বোধন করেছেন অধ্যাপক। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। সহপাঠীকে জঙ্গি বলায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বাকি ছাত্ররা। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এই ঘটনায় তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের দাবি, যদি রসিকতা করেও এ কথা বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেটাও কাম্য নয়। একজন ছাত্রের সম্পর্কে এভাবে কথা বলা যায় না।

পুরো বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষ। বিজন অধিকারী নামে যে চিকিৎসক-অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁকে ডেকে কথা বলেন খোদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কোনওভাবেই কাম্য নয়। তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “ঐতিহ্যবাহী এই মেডিক্যাল কলেজে এমন ঘটনা কাম্য নয়।” তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

এদিকে, তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার পর ছাত্রদের মাঝে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যাপক বিজন অধিকারী। তিনি ওই ছাত্রকে দেখিয়ে বলেন, “আমার কথায় ওর খারাপ লেগে থাকলে আমি ক্ষমা চাইছি।”

ইতিমধ্যেই সেই বিমানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমান প্রবলভাবে কাঁপছে। আর তাতেই ভয় পেয়ে চীৎকার করছেন যাত্রীরা।


কাশ্মীর যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই ভেঙে ফুটো হয়ে গেল ইন্ডিগো বিমানে, ভিতরে যাত্রীদের তুমুল চিৎকার
এই সেই বিমান

মৃত্যুকে যেন একেবারে কাছ থেকে দেখলেন যাত্রীরা। ঝড়-বৃষ্টিতে বিমান টালমাটাল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সেই পরিস্থিতির জন্য আগাম সতর্কও করা হয় যাত্রীদের। তবে এবার মাঝ আকাশে ভেঙেই গেল বিমানের সামনের অংশ। রীতিমতো ফুটো হলে গেল ওই অংশে। মৃত্যুভয়ে বিমানের মধ্যে রীতিমতো চীৎকার করলেন যাত্রীরা।

বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল ওই ইন্ডিগো বিমানটি। আচমকা আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় মাঝ আকাশে এমার্জেন্সি ঘোষণা করতে থাকেন পাইলট। আর ঠিক শ্রীনগরে ঢোকার মুখেই শিলাবৃষ্টির মাঝে পড়ে যায় ওই বিমান। তাতেই ভেঙে যায় বিমানের নোজ কোন।

6E2142 বিমানটি মাঝ আকাশে বিপদে পড়লেও পরে নিরাপদে অবতরণ করেছে সেটি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানটির ক্ষত একেবারে স্পষ্ট। তবে কোনও যাত্রীর কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানান গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই বিমানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমান প্রবলভাবে কাঁপছে। আর তাতেই ভয় পেয়ে চীৎকার করছেন যাত্রীরা।

মোট ২২৭ জন যাত্রী ছিলেন বিমানে। সব যাত্রীকে নিরাপদে বের করা হয় বিমান থেকে। দ্রুত বিমানটি মেরামত করার চেষ্টা হচ্ছে। বিমানের ক্ষত এতটাই বেশি যে সংস্থার তরফে এয়ারক্রাফট অন গ্রাউন্ড ঘোষণা করে মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইন্ডিগোর তরফে এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।

 দ‍্য ৪২', 'চ‍্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনাল'-এর মতো বিল্ডিং থেকে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল উড়ন্ত ওই বস্তুগুলি। সেগুলি কোথা থেকে এসেছিল, কারা ওড়াল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেনাকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে।


 একটি নয়, সেই রাতে সাত-সাতটি 'অচেনা বস্তু' উড়েছে কলকাতার আকাশে, কখন-কোথায় সবটা জানাল লালবাজার

শহরের আকাশে রহস্যময় উড়ন্ত বস্তু ঘিরে তোলপাড়। কীসের আলো দেখা গেল খাস কলকাতার আকাশে! কেউ কি ওড়াল ড্রোন! এখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে কোনও এক রহস্যময় বস্তু যে উড়েছে, সে কথা কার্যত স্বীকার করল কলকাতা পুলিশ।


লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে উড়ন্ত বস্তু বা 
দেখা গিয়েছে কলকাতার আকাশে। সোমবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ‍্যে দেখা গিয়েছে সেই বস্তু। একটি-দুটি নয়, ৭ টির মতো ড্রোন ছিল বলে অনুমান কলকাতা পুলিশের।

সূত্রের খবর, প্রথম বিষয়টি নজরে আসে কলকাতার বন্দর এলাকায়। ওই অঞ্চলের আকাশে দেখা যায় আলো। তারপর সেগুলো আস্তে আস্তে চলে আসে যায় হেস্টিংস হয়ে ময়দান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘দ‍্য ৪২’, ‘চ‍্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো বিল্ডিং থেকে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল উড়ন্ত ওই বস্তুগুলি।

সেগুলি কোথা থেকে এসেছিল, কারা ওড়াল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেনাকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে।

সোমবার রাতের আকাশে রহস্যময় আলো দেখেই কলকাতা পুলিশের কর্তব্যরত আধিকারিক লালবাজার কন্ট্রোলে ফোন করেন। লালবাজার থেকে নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু থানাকে জানানো হয় বিষয়টি। তারপর থানার আধিকারিকরা বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেন। রাতে দৃশ্যমানতা কম থাকায়, বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। তবে সেগুলি ড্রোনের গতিতেই ঘুরপাক খাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।





আমি তো ভাবলাম মরেই যাব…’, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তৃণমূল সাংসদের, কী হল তাঁর সঙ্গে?


ভয়ঙ্কর ওই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে সাগরিকা ঘোষ লিখেছেন, "প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা ছিল। আমি তো ভেবেছিলাম জীবন শেষ হয়ে গেল। আশেপাশে সবাই চিৎকার করছিল, প্রার্থনা করছিল, আতঙ্কে ছিল।"


আমি তো ভাবলাম মরেই যাব...', ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তৃণমূল সাংসদের, কী হল তাঁর সঙ্গে?
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সাগরিকা ঘোষের।

 ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের। কার্যত মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন তাঁরা। এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা, এত কাছ থেকে মৃত্যুকে দেখে তাঁদের যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না যে সুরক্ষিতভাবে মাটিতে পা রাখতে পেরেছেন। কী হয়েছিল তাদের সঙ্গে?

জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পুঞ্চ, রাজৌরি সহ একাধিক জায়গা তাদের ঘুরে দেখার কথা। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ পরিস্থিতির পর এখন তারা কেমন আছেন, সে বিষয়ে কথা বলবেন। দেবেন পাশে থাকার বার্তা। সেই উদ্দেশেই বুধবার দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, মানস ভুঁইয়া ও মমতা বালা ঠাকুর।

ইন্ডিগোর 6E2142 বিমানটি মাঝ আকাশে ওড়ার পরই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়ে। থরথর করে কাঁপতে থাকে বিমান। ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন পাইলট। তাও যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই শ্রীনগরের দিকে এগোয় বিমানটি। কিন্তু শ্রীনগরে ঢুকতেই এমন শিলাবৃষ্টি শুরু হয় যে বিমানের নাক বা নোজ কোনই ভেঙে যায়। কোনওমতে বিমানটি ল্যান্ড করানো হয়।



ভয়ঙ্কর ওই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে সাগরিকা ঘোষ বলেন, “প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা ছিল। আমি তো ভেবেছিলাম জীবন শেষ হয়ে গেল। আশেপাশে সবাই চিৎকার করছিল, প্রার্থনা করছিল, আতঙ্কে ছিল।”

তবে এত প্রতিকূল আবহাওয়াতেও সুরক্ষিতভাবে বিমান অবতরণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে পাইলটকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাগরিকা ঘোষ বলেন, “পাইলটকে হাটস অফ যে ওই আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে নিয়ে এসেছেন। আমরা ল্যান্ড করার পর দেখি যে বিমানের সামনের অংশ ভেঙে গিয়েছে।”

শিবসেনা(ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল সাংসদরা ঠিক রয়েছেন, এ কথা তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখে জানান।



জানা গিয়েছে, ওই বিমানে ২০০-রও বেশি যাত্রী ছিলেন। সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। বিমানটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলাবৃষ্টিতে। তা সারাই ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে।



চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি ইউনূস সরকারকে দাগিয়ে বলেছিলেন যে এই নির্বাচন পিছনোর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এবার সেনা প্রধানও ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন।


খেলা ঘুরে যাচ্ছে বাংলাদেশে, ইউনূসের বিদায়ের সময় বেধে দিলেন সেনা প্রধান!
ইউনূসকে চরম বার্তা সেনা প্রধানের।


ধিকি ধিকি করে ক্ষোভের আগুনটা জ্বলছিল অনেকদিন ধরেই। এবার বিস্ফোরণ ঘটল। বাংলাদেশে ইউনূস সরকারকে চরম বার্তা দিয়ে দিলেন সে দেশের সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাফ জানালেন, দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি সামরিক বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ইউনূস সরকার। রাখাইন করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যাতে সেনাবাহিনীকে জানানো হয়, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেনা প্রধান।

গত বছর অগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। এই অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় ধরে দেশ চালাতে পারে না। তাদের প্রধান দায়িত্বই ছিল, দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ইউনূস সরকার ক্রমাগত নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি ইউনূস সরকারকে দাগিয়ে বলেছিলেন যে এই নির্বাচন পিছনোর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এবার সেনা প্রধানও ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন।


বুধবার ঢাকার সেনা প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে“। তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন হয়েছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করার জন্যে।

অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সেনার কাজে নাক না গলায়, তাও কড়া গলায় বার্তা দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। একইসঙ্গে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সঙ্গে মানবিক করিডর তৈরির প্রসঙ্গেও আক্রমণ করেছেন ইউনূসকে। সাফ বলেছেন, রাখাইনে মানবিক করিডর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একমাত্র নির্বাচিত সরকারই করতে পারে। এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে।

মহম্মদ ইউনূস চান না সেনা প্রধান পদে থাকুক জেনারেল ওয়াকার। তাই বহির্শক্তির ব্যবহার করে তাঁকে পদ থেকে সরাতে চাইছেন, ঘনিষ্ঠ মহলে এমনটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেনা প্রধান। সূত্রের খবর, সেই কারণেই সরাসরি সমর বা সংঘাতে না গিয়ে বায়ুসেনা ও নৌসেনাকে পাশে নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন। সেনাকে অন্ধকারে রেখে যেভাবে ইউনূস সরকার নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা আর বরদাস্ত করবে না সেনা।

পাসপোর্ট মামলার তদন্ত করেছে ইডি। সেই তদন্ত চলাকালীন একাধিক প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। এই আজাদ মল্লিকের স্ত্রী ছিলেন সুচন্দ্রা বিশ্বাস। যিনি বর্তমানে মৃত। বিরাটির যে ভাড়া বাড়ি থেকে আজাদকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই বাড়ি থেকেই ২০২২ সালে সুচন্দ্রার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।


পাক চরের বাঙালি বউয়ের রহস্যমৃত্যু! আজাদের পরিচয় জেনে ফেলতেই কি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল জলজ্যান্ত সুচন্দ্রাকে?
আজাদ নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য


পাসপোর্ট জালিয়াতি-কাণ্ডে ধৃত আজাদ মল্লিকের স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ২০২২ সালে ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ। ইডি সন্দেহ করছে আজাদের পাকিস্তানি পরিচয় হয়ত কোনও ভাবে জেনে ফেলেছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই কারণেই হয়ত স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে আজাদ হত্যা করেছে। চাঞ্চল্যকর এমনই সব তথ্য উঠে আসছে।

পাসপোর্ট মামলার তদন্ত করেছে ইডি। সেই তদন্ত চলাকালীন একাধিক প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। এই আজাদ মল্লিকের স্ত্রী ছিলেন সুচন্দ্রা বিশ্বাস। যিনি বর্তমানে মৃত। বিরাটির যে ভাড়া বাড়ি থেকে আজাদকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই বাড়ি থেকেই ২০২২ সালে সুচন্দ্রার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। মেয়ের মৃত্যুর পরও কেন চুপ করে গিয়েছিল সুচন্দার পরিবার। পাকিস্তানি আজাদ কি তাঁদের হুমকি দিয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন

জানা যাচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির পরিচয় ব্যবহার করে ভোটার কার্ড বানিয়েছিল আজাদ। নৈহাটি বিধানসভার ভোটার ছিল সে। ভুয়ো নথি দিয়েই এই আধার কার্ড বানিয়েছিল। ইডির অনুমান, সুচন্দ্রা পাকিস্তানি পরিচয় জেনে ফেলায় হয়ত তাঁকে হত্যা করেছে অভিযুক্ত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আজাদ গ্রেফতার হয়। কলকাতায় বসে জাল পাসপোর্ট চক্র চালাচ্ছিল অভিযুক্ত।পাকিস্তানি পরিচয় লুকোতেই এই আজাদই বাংলাদেশি পরিচয় দিয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে। আসলে আজাদ পাকিস্তানি। প্রায় ১২-১৩ বছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছিল অভিযুক্ত। ভোল বদল করে থাকতে শুরু করে এ বাংলায়। পরবর্তীতে বিরাটি থেকে গ্রেফতার হয় সে।

পুলিশ সূত্রের খবর,গতকাল রাতে একসঙ্গে একাধিক বিমানের অবতরণ করার কথা ছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য এয়ার ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যায়।



কলকাতার পর গঙ্গাসাগরের আকাশে ড্রোন! কী হচ্ছে সবটা 'ডিটেলে' জানাল পুলিশ


কলকাতায় ড্রোন ওড়ার ঘটনার পরপরই বুধবার আবার রাতের অন্ধকারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় উড়তে দেখা গিয়েছিল ড্রোন। এরপরই জোর চাঞ্চল্য ছড়ায়। এত ড্রোন কোথা থেকে আসছে এই নিয়ে উঠতে থাকে একাধিক প্রশ্ন। বিষয়টিতে দ্রুত তদন্তে নামে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ। এরপরই উঠে আসে আসল তথ্য।


পুলিশ সূত্রের খবর,গতকাল রাতে একসঙ্গে একাধিক বিমানের অবতরণ করার কথা ছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য এয়ার ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যায়। সেই কারণে একাধিক বিমানকে সুন্দরবনের উপকূলের আকাশে খুব কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। যা দূর থেকে একেবারেই ড্রোনের মত দেখতে মনে হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই কলকাতা শহরের আকাশে একাধিক জায়গা থেকে অজানা উড়ন্ত বস্তুকে দেখা গিয়েছিল। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরপর সাতখানা বস্তু উড়ছিল বলে জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সেগুলি ড্রোন ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। তার ঠিক পরপরই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ৫টি এমন উড়ন্ত বস্তু দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। তারপরই সেগুলিকে ড্রোন বলে অনুমান করা হয়। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে এই উড়ন্ত বস্তুকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে যদিও জানা যায় আসল কারণ।


ওই ব্যক্তিকে 'পারসনা নন গ্রান্টা' হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর এই দেশে থাকার আর অধিকার নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ুন! পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিককে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের, কী করছিল সে?
প্রতীকী চিত্র।


আরও এক গুপ্তচরের খোঁজ? নজরে আরও এক পাকিস্তানি হাই কমিশনের আধিকারিক। ভারত সরকার আরেক পাক আধিকারিককে ‘পারসনা নন গ্রান্টা’ বলে ঘোষণা করল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।


জানা গিয়েছে, ভারতে পাকিস্তান হাই কমিশনার ওই কর্মী তার অফিসিয়াল স্টেটাসের বাইরে গিয়ে সন্দেহজনক কার্যকলাপ করছিলেন। সেই কারণেই তাঁর উপরে এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে ‘পারসনা নন গ্রান্টা’ হিসাবে। অর্থাৎ তাঁর এই দেশে থাকার আর অধিকার নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়ে পাকিস্তান হাই কমিশনকেও নোটিস পাঠিয়েছে।

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে পাক হাই কমিশনকে স্পষ্ট বার্তায় জানিয়েছে যে ভারতে থাকা পাকিস্তানি কূটনীতিক বা অন্য কোনও আধিকারিক যেন তাদের সুবিধা বা পদের অপব্যবহার না করে। এই বিষয়টি পাক সরকারকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।


সূত্রের খবর, পাক হাই কমিশনের অন্দরে কাজ করা ওই ব্যক্তি ভিসা পরিষেবার আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন। ভারত সরকার তা জানতে পেরেই দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত ১৩ মে-ও এক পাকিস্তানি আধিকারিককে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিল।

এদিকে, ভারত পাক আধিকারিককে বিতাড়িত করতেই, পাল্টা জবাবে ইসলামাবাদও ভারতীয় হাই কমিশনের এক আধিকারিককে পারসনা নন-গ্রান্টা হিসাবে ঘোষণা করেছে এবং তাঁকে ভারতে ফিরে যেতে বলেছে।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাটে ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করেন কোয়েল চৌধুরী। অভিযোগ, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করার পরও বাপের বাড়ি জলপাইগুড়ির ভোটার কার্ড থেকে কোয়েল চৌধুরীর নাম কাটা পড়েনি।

দুই জায়গার ভোটার কার্ডে নাম রয়েছে সুকান্তর স্ত্রীর? বিতর্ক হতেই বিজেপি নেতা বললেন...
কোয়েল মজুমদার, সুকান্ত মজুমদার


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল চৌধুরীর দুই জায়গায় ভোটার কার্ডে নাম থাকার অভিযোগ। একটি রয়েছে বাপের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। আর একটি রয়েছে শ্বশুরবাড়ি বালুরঘাটে। বাপের বাড়িতে কোয়েল চৌধুরী নাম থাকলেও বালুরঘাটে রয়েছে কোয়েল মজুমদার নামে ভোটার কার্ড। যা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।


২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাটে ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করেন কোয়েল চৌধুরী। অভিযোগ, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করার পরও বাপের বাড়ি জলপাইগুড়ির ভোটার কার্ড থেকে কোয়েল চৌধুরীর নাম কাটা পড়েনি। প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই বিষয়টি নজরে আসতেই নির্বাচন কমিশনে কোয়েল নিজে জলপাইগুড়িতে থাকা ভোটার কার্ডের নাম বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমার স্ত্রী এক সময় জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ছিলেন। তারপর ভোটার কার্ড চেঞ্জ করিয়েছেন। এখানে এসে ভোটার হয়েছেন। এটা একটা নন ইস্যু। ইস্যু করার চেষ্টা। তাই আমি আগেই বিডিও-কে জানিয়েছি যাতে জলপাইগুড়ির নামটা কাটানো হয়। আর ভোটার কার্ড তৈরির কাজ কে কে করেন? জেলা প্রশাসন করেন। কারও নাম দু’জায়গায় থাকলে তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ডিএম-রা কাজ করেন। আমার নির্দেশে তো করেন না।”



সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা সূর্য মজুমদারের স্ত্রী রিঙ্কি মজুমদার। তার দুই ছেলে আছে। একজনের বয়স আট। তার নাম তোজো। অপরজনের বয়স চার। তার নাম জোজো।


আপন মনে খেলছিল জোজো-তোজো, রান্নার ঘর থেকে নোড়া নিয়ে এসে দুই সন্তানের মাথা থেঁতলে দিলেন মা, কারণ জানলে শিউরে উঠবেন
তোজো-জোজোর সঙ্গে মা


ওরা তখন খেলা করছিল নিজের মতো। কিন্তু বাচ্চাগুলোর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে পরিবারের কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। মায়ের হাতে খুন চার বছর বয়সী শিশু। শুধু তাই নয় আট বছর বয়সী শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মশলা বাটার নোড়া দিয়ে দুই শিশুকে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে মায়ের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চার বছর বয়সী শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। নিকৃষ্ট ঘটনাটি নদিয়ার করিমপুর থানার আনন্দ পল্লী মধ্যপাড়ার। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।


সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা সূর্য মজুমদারের স্ত্রী রিঙ্কি মজুমদার। তার দুই ছেলে আছে। একজনের বয়স আট। তার নাম তোজো। অপরজনের বয়স চার। তার নাম জোজো। পরিবারের দাবি, ওই দুই শিশুকে হঠাৎ করেই পাথরের নোড়া দিয়ে আচমকা আঘাত করে রিঙ্কি।

খবর পেয়ে সূর্য বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন দুই শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই শিশুর অবস্থার অবনতি হলে তাদের পাঠানো হয় বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সূত্রের খবর, চার বছরের জোজোর মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে তোজো। স্থানীয়দের দাবি, রিঙ্কি মজুমদার মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও ঘটনার তদন্তে পুলিশ।



ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম আনসারুল মিয়া আনসারি। ওই ব্যক্তি মিলিটারির গোপন তথ্য পাচার করত পাকিস্তানে। দিল্লিতে বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তার আগেই গোয়েন্দারা তাদের ধরে ফেলে।


 রাওয়ালপিন্ডিতে ট্রেনিং, দিল্লিতে জঙ্গি হানার ছক! ধরা পড়ল ২ স্লিপার সেলের এজেন্ট
প্রতীকী চিত্র।


সীমান্তে নয়, দেশের রাজধানীতেই সন্ত্রাস হামলার পরিকল্পনা ছিল। গোয়েন্দাদের তৎপরতায় এড়ানো গেল সেই হামলা। ধরা পড়ল দুই সন্দেহভাজন পাক জঙ্গি। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পাঠিয়েছিল এদের। এমনটাই সূত্রের খবর।


জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম আনসারুল মিয়া আনসারি। ওই ব্যক্তি মিলিটারির গোপন তথ্য পাচার করত পাকিস্তানে। দিল্লিতে বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তার আগেই গোয়েন্দারা তাদের ধরে ফেলে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত এই পাকিস্তানি এজেন্টদের সম্পর্কে জানুয়ারি মাসেই খবর এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, আইএসআই গুপ্তচর নেপালের পথ ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করবে। ভারতীয় সেনার বিভিন্ন দফতর, ঘাঁটির তথ্য, ছবি ও জিওলোকেশন পাকিস্তানে পাচার করাই তাদের লক্ষ্য ছিল। দিল্লিতে স্লিপার সেল হিসাবে কাজ করছিল।

অন্যদিকে, আখলাক আজম নামক আরেক পাক চরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রাঁচী থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আনসারুলকে পাকিস্তানে সেনার গোপন তথ্য জানাতে সাহায্য করছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও হামলার আগেই দিল্লিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল পাকিস্তানের স্লিপার সেলের সদস্যরা। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতেই আনসারি দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। তাঁর কাছ থেকে সেনা সংক্রান্ত গোপন তথ্য উদ্ধার করা হয়। নেপালের পথ দিয়েই পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।

জানা গিয়েছে, আনসারুলের প্রশিক্ষণ রাওয়ালপিন্ডিতে হয়েছিল। আইএসআই তাঁকে ভারতের সেনার যাবতীয় গোপনীয় তথ্য সিডি-তে করে পাকিস্তানে পাঠাতে বলেছিল।

১৫ তারিখে বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ মন্ডল-সহ সুদীপ কোনারকে তলব করা হয় বিধান নগর উত্তর থানায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিধান নগর নর্থ থানায় প্রবেশ করেন ইন্দ্রজিৎ। বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকায় তাঁকেও একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।


 'এই ভাবে আন্দোলন দমানো যাবে না', থানায় হাজিরা দিয়েও বললেন চাকরিহারা শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ
থানায় চাকরিহারা শিক্ষক


বিকাশভবন চাকরিহারাদের বিক্ষোভ। তার জেরে পাঁচ চাকরিহারা শিক্ষককে তলব করেছিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। এবার হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দিতে এলেন ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সুদীপ কোনার।


১৫ তারিখে বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ মন্ডল-সহ সুদীপ কোনারকে তলব করা হয় বিধান নগর উত্তর থানায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিধান নগর নর্থ থানায় প্রবেশ করেন ইন্দ্রজিৎ। বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকায় তাঁকেও একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

তবে এদিনের তলব প্রসঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল বলেন, “আন্দোলন ভাঙার জন্য চেষ্টা চলছে। যতই মামলা দেওয়া হোক এই আন্দোলনকে দমানো যাবে না।” পাশাপশি তিনি আরও বলেন, “যতই মামলা দেওয়া হোক, চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে আগামী দিনেও থাকবেন।”


প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিকাশভবন অভিযান ছিল। সকালে তাঁরা পুলিশি বাধা টপকে ব্যারিকেড ভেঙে, কার্যত বিকাশভবনের সামনের গেটে ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিকাশভবনের ভিতরেই অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। ভিতরে ছিলেন বিকাশভবনের কর্মীরা। রাতে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে চাকরিহারাদের তুলে দেয়। একাধিক চাকরিহারা আক্রান্ত হন। লাঠি আঘাতে চাকরিহারাদের হাতও ভেঙে যায়। সেই ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়, পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করেছে। এবার চাকরিহারাদেরই তলব করেছে পুলিশ। এবার এই পরিস্থিতিতে বিকাশভবনের বাইরে করুণাময়ীতে রাস্তার ওপর অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা।