WEATHER

Top News


প্রীতির পঞ্জাব কিংসের এ বারের আইপিএল সফর শুরু হবে ২৫ মার্চ। তার আগে নেতা শ্রেয়সকে লাকি চার্ম বলছেন একজন। কে তিনি?


শ্রেয়স লাকি চার্ম... IPL শুরুর আগে PBKS ক্যাপ্টেনকে কে দিলেন দরাজ সার্টিফিকেট?
শ্রেয়স লাকি চার্ম... IPL শুরুর আগে PBKS ক্যাপ্টেনকে কে দিলেন দরাজ সার্টিফিকেট?



ক্রিকেট প্রেমীদের ভরপুর বিনোদন দিতে আইপিএল শুরু হচ্ছে ২২ মার্চ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি কেকেআর ও আরসিবি। গত বছর কেকেআরকে ক্যাপ্টেন বানিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। সেই তাঁকে এ বার দেখা যাবে পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) জার্সিতে। নতুন দলে গিয়ে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্বই পেয়েছেন শ্রেয়স। প্রীতির পঞ্জাবের এ বারের আইপিএল সফর শুরু হবে ২৫ মার্চ। তার আগে নেতা শ্রেয়সকে লাকি চার্ম বলছেন টিমেরই এক তারকা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে পঞ্জাব কিংসের ওপেনার প্রভসিমরন সিং বলেছেন, “শ্রেয়স আইয়ার একজন অসাধারণ নেতা। পঞ্জাব প্রথম বার আইপিএল জেতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। আমি নিশ্চিত শ্রেয়স দলে আসায় সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে। ও আমাদের জন্য লাকি চার্ম হতে চলেছে।”



সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় টিমকে ভালো পারফর্ম করতে দেখা যায়নি। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই পরিস্থিতির জন্য প্রশ্ন তুলেছেন রোহিত শর্মার উপর।


 রোহিতকেই দায়িত্ব নিতে হবে... হঠাৎ এ কথা কেন বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
রোহিতকেই দায়িত্ব নিতে হবে... হঠাৎ এ কথা কেন বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?


কয়েকদিন আগে টিম ইন্ডিয়াকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এ বার জাতীয় দলের ডিউটি থেকে কয়েকদিনের বিরতি। এই সময়টায় চলবে আইপিএল। এরই মাঝে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান টেস্ট ও ওডিআই টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার উপর। টেস্টে ভারতের বর্তমান অবস্থা দেখে খুশি নন মহারাজ। যে কারণে প্রশ্ন তুলেছেন।


আসলে গত ৫ মাসে টিম ইন্ডিয়া ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। তাতে ভারতের জয় মাত্র ৩টিতে। রোহিতের নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়ার টেস্টে এই অবনতি দেখে সৌরভ খানিক অবাকের সুরে বলেছেন, “গত ৪-৫ বছরে লাল বলের ক্রিকেটে ওর পারফরম্যান্স আমাকে অত্যন্ত অবাক করেছে। ও অসাধারণ প্লেয়ার। আরও অনেক ভালো পারফর্ম করতে পারে ও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবে, সেটা কঠিন হতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার মতোই কঠিন হবে টেস্ট খেলা। বল সিমে পড়ে নড়াচড়া করবে। সুইং করবে। লাল বলে রোহিতকে তাই ভালো পারফর্ম করতে হবে। সাদা বলের ক্রিকেটে ও অন্যতম সেরা।”

ভারতীয় টেস্ট টিম যেন ঘুরে দাঁড়ায়, সেদিকে নজর দিতে হবে রোহিতকে। একথাই উল্লেখ করেছেন মহারাজ। তিনি বলেন, “সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে রোহিত, তা দেখে আমি একটুও অবাক নই। আমি জানি না ও টেস্ট ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবে কিনা, তবে এটা বলতে চাই লাল বলের ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ওকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই সময় লাল বলের ক্রিকেটে ভারত ভালো জায়গায় নেই। আর আমার মনে হয় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।”




ক্রিকেট মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অজিঙ্ক রাহানের জমানায় কেকেআরে (KKR) এক বড় বদল হতে চলেছে। আর তা হল নাইটদের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিয়ে।


ভেঙ্কটেশের জায়গা নয় নিরাপদ, ক্যাপ্টেন রাহানের জমানায় KKR-এ বড় বদল!


ভেঙ্কটেশের জায়গা নয় নিরাপদ, ক্যাপ্টেন রাহানের জমানায় KKR-এ বড় বদল!


দলের যেখানে প্রয়োজন, আমি সেই পজিশনে ব্যাটিং করব… কথাগুলো কেকেআরের নেতৃত্ব পেয়ে বলেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। এ বার যা পরিস্থিতি, তাতে ক্রিকেট মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অজিঙ্ক রাহানের (Ajinkya Rahane) জমানায় কেকেআরে (KKR) এক বড় বদল হতে চলেছে। আর তা হল নাইটদের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে (Venkatesh Iyer) নিয়ে। আর একটু সহজ করে বললে, এই মরসুমে কেকেআরের ভাইস ক্যাপ্টেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারের জায়গা টিমে নিরাপদ নয়। কারণ?


RevSportz এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনে আর হয়তো নামতে দেখা যাবে না ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে। ওই জায়গা দখল করতে চলেছেন কে? উঠে আসছে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের নাম। ফিল সল্ট নেই কেকেআরে। তাঁর জায়গায় ওপেনিংয়ে সুনীল নারিনের সঙ্গে দেখা যাবে কুইন্টন ডি’কককে। রাহানে অবশ্য ওপেনও করতে পারেন। কিন্তু আপাতত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে নারিন-ডি’কক জুটিকেও ওপেনিংয়ে হয়তো দেখা যাবে। তিনে রাহানে। তা হলে ভেঙ্কটেশ নামবেন কত নম্বরে?



সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের জওয়ানদের রীতিমতো লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে জানা যাচ্ছ। এদিকে ততক্ষণে অন্যান্য জায়গায় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের কাছে খবর চলে যায়। মুহূর্তই চার গাড়ি ভর্তি করে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে পৌঁছায়।


লুকিয়ে লুকিয়ে সীমান্তে চলছিল 'খেলা', দেখা মাত্রই বাধা BSF-র! শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হল বাংলাদেশি সেনা
ফের উত্তেজনা সীমান্তে


ধীরে ধীরে শান্ত হলেও অশান্তির আবহ কাটছে না কিছুতেই। এবার সীমান্ত ঘেঁষে বিজিবি-র সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের দেড়শো গজের মধ্যেই বিজিবি-র তরফে এই সেন্ট্রি নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ, বিএসএফের তরফে বারবার এ নিয়ে আপত্তি জানানো হলে তাতে কোনও কর্ণপাতই করেনি বিজিবি। বৈঠক ডাকা হলেও পাত্তা দেয়নি। প্রতিবাদে সোমবার সীমান্তের জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে যায় ভারতীয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু বিজিবি এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা বাধা দিতে আসে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি মেখলিগঞ্জ সীমান্তের নাকারের বাড়ি গ্রামে। 


সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের জওয়ানদের রীতিমতো লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে জানা যাচ্ছ। এদিকে ততক্ষণে অন্যান্য জায়গায় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের কাছে খবর চলে যায়। মুহূর্তই চার গাড়ি ভর্তি করে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে পৌঁছায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাংলাদেশিরা। শেষ পর্যন্ত বিএসএফের রণংদেহি মূর্তি দেখে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে বিজিবি। ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনাও হয়। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশের বিজিবি সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ ও অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখার সীদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।  


স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ রায়ের দাবি, নিয়ম অমান্য করে ভুট্টা খেতের আড়ালে বিজিবি সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করছিল। বিএসএফের নজরে এলে তাঁরা বাধা দেয়। কিন্তু তারপরেও চুপিসাড়ে ওরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাঁর কথায়, “এ কারণেই আমরা নিজেরাই খোলা সীমানায় অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া দিতে যাই। তাতে আমাদের উপর তেড়ে আসে বাংলাদেশিরা। বিএসএফ আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সীমান্ত থেকে হটিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশিরা আবার বিএসএফ জওয়ানদের উপর চড়াও হয়।”  

নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া 'ভারত ড্রোন মন্থন ২.০'-এ উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, নীতি নির্ধারক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই মেজর জেনারেল মান বলেন, 'ড্রোন এখন আর শুধুই সেনার হাতিয়ার নয়, বরং সেনারই একটা অংশ।'


দেশের প্রতিটি জওয়ানের মাথার উপরে উড়বে ড্রোন, যুদ্ধ জয়ে নয়া কৌশল ভারতের
এবার প্রত্যেক জওয়ানের মাথায় ড্রোন!



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ‘এক দেশ-এক ভোট’-এর। আর ভারতীয় সেনার টার্গেট ‘এক সেনা-এক ড্রোন’। সহজে বললে, পদাতিক বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে নিরাপদ ও বিপক্ষের চেয়ে একধাপ এগিয়ে রাখতে প্রতি জওয়ানের মাথার উপরে একটি করে ড্রোন ওড়াতে চায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ড্রোনগুলি হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘ঈগল ড্রোন’। এগুলি নামেও যেমন, কাজেও ঠিক তেমন হবে। ঈগলের মতো নজর রাখবে শত্রুর দিকে, আর প্রয়োজনে উড়ে গিয়ে হামলাও চালাতে পারবে। সেনার জন্য আকাশে উড়তে সক্ষম একজোড়া চোখের মতোই গতিবিধি হবে এই ড্রোনের। ‘ইনফ্যান্ট্রি লেভেল কমব্যাট’ বা শত্রুর সঙ্গে মাটিতে মুখোমুখি লড়াইয়ের সময় কিলার হান্টার-এর কাজ করবে এই ড্রোন।


সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ‘ভারত ড্রোন মন্থন ২.০’-এ আর্মি ডিজাউন ব্যুরো (ADB)-র এডিজি মেজর জেনারেল সি এস মান, প্রতি সেনা পিছু একটি করে ড্রোনের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, এখন যুদ্ধক্ষেত্র আগের চেয়ে একটাই আধুনিক হয়েছে। দুশমনকে টার্গেট করে অস্ত্র হাতে পদাতিক সেনার এগিয়ে যাওয়াটা এখন আর নিরাপদ নয়, তার জন্য প্রয়োজন আগাম নজরদারি। সেই জন্যই দরকার ঈগল ড্রোনের। এই ড্রোনগুলি টার্গেটকে তাক করে শুরুতেই উড়ে যাবে, টার্গেটের দিক থেকে কতটা আক্রমণ ধেয়ে আসতে পারে তার একটা আগাম আঁচ দেবে ও নির্দেশ পেলে টার্গেটকে ধ্বংসও করবে। ঈগল ড্রোন এতটাই হালকা ও বহনযোগ্য যে একজন সেনা তাঁর কাঁধের ব্যাকপ্যাকেই একে বহন করতে পারেন। এটি মূলত হ্যান্ড লঞ্চ UAV। অর্থাৎ এই ‘আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিক্যাল’-কে হাতে করেই ওড়ানো যায়। রাতের অন্ধকারেও দুশমনের আনাগোনা আঁচ করতে পারে ঈগল। চোখের নিমেষে ধ্বংস করতে পারে টার্গেটকে।

নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ভারত ড্রোন মন্থন ২.০’-এ উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, নীতি নির্ধারক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই মেজর জেনারেল মান বলেন, ‘ড্রোন এখন আর শুধুই সেনার হাতিয়ার নয়, বরং সেনারই একটা অংশ।’ সর্বাধুনিক ড্রোন নির্মাণে দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষবিহীন লড়াইয়ের জন্য ড্রোন তৈরিতে গঠন করা হয়েছে আর্মি ডিজাউন ব্যুরো। অনেক সময়ই দেখা যায়, LOC বা LAC-তে শত্রুপক্ষের উপর নজর রাখতে বা হামলা ঠেকাতে দেশের সেনাকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এগোতে হয়। তাঁরা জানতেও পারেন না, উল্টোদিকে তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে। ড্রোন সেই ‘সারপ্রাইজ অ্যাটাক’-কে প্রতিহত করতে সাহায্য করবে। দেশের শিল্পপতিদের আরও উন্নতি প্রযুক্তি ও ঘাতক ড্রোনের নির্মাণের জন্য গবেষণায় অর্থ সাহায্যের আহ্বান জানান মেজর জেনারেল মান।


আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রকে আমূল পাল্টে দিয়েছে ড্রোন। যেমন রুশ-ইউক্রেনের যুদ্ধ বা আর্মেনিয়া বনাম আজারবাইজান সংঘাতে প্রতিপক্ষের রক্তচাপ বাড়িয়েছে এই ড্রোন বা UAV। একবার শত্রুর অবস্থান নিশ্চিত করে, একটি সেন্ট্রাল ড্রোন কমান্ড সেন্টার থেকে একঝাঁক ড্রোন ছেড়ে দিলেই হল। নিজের দেশের সেনার একফোঁটা রক্ত না ঝরিয়েও বিপক্ষকে তছনছ করে দিতে পারে ড্রোন। সেই কারণেই ভারতীয় সেনার জন্যও ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক ড্রোনের প্রয়োজন বলে মনে করবে দিয়েছে আর্মি ডিজাইন ব্যুরো। প্রবল ঠাণ্ডায় হিমালয়ের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় শুধু জওয়ানদের স্বশরীরে পাহারা দেওয়ার চেয়ে ড্রোনের নজরদারিও জরুরি। ওই প্রবল ঠাণ্ডায় সেনার বন্দুক পর্যন্ত অনেকসময় ঠিকমতো কাজ করে না। মেশিনের ক্ষমতা কমে দাঁড়ায় ৬০ শতাংশে। আবার রাজস্থানের ধূধূ মরুভূমিতে, গুজরাটের কচ্ছের কর্দমাক্ত সীমান্তেও নজরদারিতে ড্রোন অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। তার জন্য দরকার আলাদা আলাদা রকমের ড্রোন।

সারসংক্ষেপ ঈগল ড্রোন এতটাই হালকা ও বহনযোগ্য যে একজন সেনা তাঁর কাঁধের ব্যাকপ্যাকেই একে বহন করতে পারেন। এটি মূলত হ্যান্ড লঞ্চ UAV। অর্থাৎ এই ‘আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিক্যাল’-কে হাতে করেই ওড়ানো যায়। রাতের অন্ধকারেও দুশমনের আনাগোনা আঁচ করতে পারে ঈগল। চোখের নিমেষে ধ্বংস করতে পারে টার্গেটকে।


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবন এলাকায় নদীপথ প্রশস্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। এই পুরো এলাকাতেই বোটের মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বৈঠক হয়।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এল সুন্দরবন নিয়ে বিশেষ বার্তা, বড়সড় পদক্ষেপ BSF-এর
সুন্দরবনে বড় পদক্ষেপ বিএসএফের

বাংলাদেশের অস্থিরতার সুযোগে সুন্দরবনের জলপথ দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা? উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সুন্দরবনের নদীপথ সীমান্ত। বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়েই তৎপর ডিজি। দিলেন বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ।


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবন এলাকায় নদীপথ প্রশস্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। এই পুরো এলাকাতেই বোটের মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বৈঠক হয়। যে বৈঠকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়, মালদহ, মুর্শিদাবাদের স্থলসীমান্ত নয়, সুন্দরবনের পথকেই ব্যবহার করা হবে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই। অনুপ্রবেশকারীই হোক, কিংবা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কেউ, এই জলপথ ব্যবহার করতে পারে।

সেই বার্তা পেয়েই ভারতীয় সীমান্তরশ্রী বাহিনীর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী পৌঁছে যান সুন্দরবনে। হিঙ্গলগঞ্জ-সহ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একাধিক দফতরে বৈঠক করেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনওভাবেই সুন্দরবনের জলসীমান্তকে অরক্ষিত, খালি রাখা যাবে না। মালদহ, মুর্শিদাবাদের দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশের কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করে জানান, প্রয়োজনে অন্য জায়গা থেকেও বাড়তি বাহিনী এনে সুন্দরবনে মোতায়েন করা হবে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বসানো অত্যাধুনিক বোটেরও ব্যবস্থা করতে হবে।


প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সমীর মিত্র বলেন, “ইন্দো বাংলাদেশ বর্ডার, প্রথম বিএসএফ বিওপি রয়েছে সামসেরনগরে। বিএসএফ কর্তা উৎসাহী, যেভাবে তিনি চালাচ্ছেন, তাঁর মতামত মান্যতা দিই, তাহলে সত্যিই খুব ভাল কাজ হচ্ছে। ৯০ কিলোমিটার একটা স্ট্রেচ রয়েছে, যেটা নদীতে এসে মিসছে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেখানে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। এককালে সেখান থেকে ঢোকা খুব সহজ ছিল। এখন সেখানে ৭টা জাহাজ রয়েছে। ”



সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের জেরে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন। দলের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সশরীরে হাজিরা দিতে হয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য।


রমজান মেলালেন নওশাদ-হুমায়ুনকে, আর তাতেই পারদ চড়ল জল্পনার
বিধানসভায় নওশাদ-হুমায়ুন


যে বিধানসভায় নিত্য়দিন বিক্ষোভের ছবি দেখা যায়, বিরোধীরা যেখানে বারবার ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যায়, রমজানের মাঝে সেখানেই দেখা গেল এক ভিন্ন ছবি। শাসক ও বিরোধী দলের দুই নেতা একেবারে মুখোমুখি। হেসে একে অপরের সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে এমনই ছবি দেখা গেল বিধানসভার মধ্যে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের এই সাক্ষাৎ বাড়াচ্ছে জল্পনা। যদিও ‘সৌজন্য’ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন দুই নেতা।


নওশাদ সিদ্দিকি আইএসএফ-এর একমাত্র বিধায়ক। আর হুমায়ুন কবীর ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের জেরে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন। দলের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সশরীরে হাজিরা দিতে হয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য। দলের তরফে তাঁকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নওশাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ কি নিছকই সৌজন্য? প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য়, দল কড়া ব্যবস্থা নিলে তাঁকে অন্য পথ ভাবতে হবে, এমন মন্তব্যও করেছেন হুমায়ুন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, নওশাদের সঙ্গে কি এমন কোনও বিষয়ে কথা হল? তবে হুমায়ুন বলছেন, শুধুই সৌজন্য। তিনি বলেন, “বিধানসভার অন্দরে কোনও দলভেদ নেই। এখানেই আমরা সবাই বিধানসভার সদস্য।”

এদিকে আবার নওশাদকে নিয়েও জল্পনার শেষ নেই। সোমবার বিধানসভায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূল শওকত মোল্লার সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিধায়ক দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্য়ে ইফতার নিয়ে কথা হয়েছে। তবে পরপর এমন সাক্ষাতের পিছনে অন্য কোনও অঙ্ক আছে কি না, সেটাই দেখার।




২০২২ সালে রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছর ২০২৪ সালে হাইকোর্ট নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে যাবতীয় নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।

PSC-কে ক্লিনচিট, আর বাধা নেই, বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উঠে গেল স্থগিতাদেশ
কলকাতা হাইকোর্ট

সংরক্ষণ নীতিতে ভুল ছিল না, নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগ পরীক্ষা সঠিক ভাবে করেছে পিএসসি। পিএসসিকে ক্লিন চিট দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীর আর্জি খারিজ করায় আর নিয়োগে কোন বাধা রইল না। মঙ্গলবার নির্দেশ দেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।


২০২২ সালে রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছর ২০২৪ সালে হাইকোর্ট নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে যাবতীয় নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেন এক ওবিসি পরীক্ষার্থী।

২৯ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় রায়ে জানিয়ে দেন পিএসসি-এর পদ্ধতি সঠিক থাকায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। নিয়োগেও কোন বাধা থাকছে না মন্তব্য বিচারপতির।


পিএসসি-র আইনজীবী জানান, ২০২২ থেকে যে নিয়োগ আটকে ছিল, সেটা এবার শুরু করা যাবে। ফলে তরুণরা আসতে পারবেন এই পেশায়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, সংরক্ষণের একটি নীতি সঠিক ভাবে ব্যবহার করেনি পিএসসি। কিন্তু এদিন বিচারপতি জানিয়ে দেন, মামলাকারীর বক্তব্য সারবত্তাহীন। এই মামলার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ ছিল। গত ২ বছর ধরে নিম্ন আদালতে কোনও নিয়োগ হচ্ছিল না। নতুন বিচারকরা আসতে পারছিলেন না বলে, কয়েক লক্ষ মামলা নিম্ন আদালতে ঝুলে ছিল। এবার সেই সবই জট খুলল।



গত বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ ২০১০ সাল থেকে ৭৭টি সম্প্রদায়কে দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয়। ওবিসির তালিকায় গলদ থাকার কথা জানিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল করা হয়।


 OBC সংরক্ষণে ফের সমীক্ষা, সুপ্রিম কোর্ট থেকে ৩ মাস সময় চেয়ে নিল রাজ্য
সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ফোটো)


ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য কারা, নতুন করে তা খতিয়ে দেখছে পশ্চিমবঙ্গ কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর শুধু তাদের সহযোগিতা করছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় একথা জানাল রাজ্য সরকার। বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি এজি মাসিহের বেঞ্চে রাজ্য আবেদন জানাল, এই সমীক্ষার জন্য ৩ মাস সময় লাগবে। তাই, জুলাই মাসে হোক মামলার পরবর্তী শুনানি। বিচারপতি গভাইয়ের বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করেছে।


গত বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ ২০১০ সাল থেকে ৭৭টি সম্প্রদায়কে দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয়। ওবিসির তালিকায় গলদ থাকার কথা জানিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল করা হয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার।

এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, রাজ্যে কারা ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত হবেন, তা নিশ্চিত করতে নতুন করে সার্ভে শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস নতুন করে ওবিসি শংসাপত্রর ভিত্তি খতিয়ে দেখছে। তাতে ৩ মাস সময় লাগবে। জুলাই মাসে পরবর্তী শুনানি হোক।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, গত ১৪ই মার্চ ওই মহিলাকে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে বলে ডেকে নেন তৃণমূল নেতা। সেই মতো মহিলাকে দিনহাটায় বাবার বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে অন্যত্র একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।


চাকরির নামে টাকা হাতানোর পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার TMC নেতা
বাঁ দিকে ধৃত তৃণমূল নেতা


 প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া ও চাকরি প্রার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। চাকরি প্রার্থী টাকা ফেরত চাইলে ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও ধৃতের বক্তব্য, এ সবই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটায় এক মহিলাকে চাকরির টোপ দেন। অভিযোগ ওই মহিলার বাবার কাছ থেকে মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নেন ওই তৃণমূল নেতা। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চান নির্যাতিতা। তখন থেকেই শুরু হয় টালবাহানা।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, গত ১৪ই মার্চ ওই মহিলাকে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে বলে ডেকে নেন তৃণমূল নেতা। সেই মতো মহিলাকে দিনহাটায় বাবার বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে অন্যত্র একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। সেখানে ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করেন, মহিলার নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রেখে ব্ল্যাকমেইল করেন বলে অভিযোগ।


মহিলার আরও দাবি, অভিযুক্ত তাঁর নগ্ন ভিডিয়ো স্বামীর ফোনে পাঠিয়ে দেবেন বলেও হুমকি দেন। সোমবার রাতে দিনহাটা মহিলা থানায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর বাবা। এরপর পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

যদিও ধৃত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “পারিবারিক একটা সমস্যা। মারামারি হয়েছে। এবার সেটাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপারে কিছু বলব না, পুরোটাই চক্রান্ত।”

কোচবিহার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি আব্দুল জলিল বলেন, “এটাই প্রমাণ করে দিল, বাংলায় আইনের শাসন রয়েছে। কেউ অপরাধ করলে, তা প্রমাণিত হলে, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে তা হয় না।”

অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, “এটা ওদেরই কালচার। সারা বাংলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। যে অভিযুক্ত তার কঠোরতম শাস্তি চাই। ”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনপ্রতিনিধি থাকাকালীন দিলীপ ঘোষ যে যে কাজগুলো করতেন, সেগুলিই বিধায়কদের করার পরামর্শ দিলেন তিনি। কিন্তু শুভেন্দুর ডাকে দিলীপের বিধানসভা যাওয়ার পিছনে অত্যন্ত রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


শুভেন্দুর ডাকে দীর্ঘদিন বাদে বিধানসভায় দিলীপ, নিলেন বিধায়কদের 'ক্লাস'
শুভেন্দুর ডাকে বিধানসভায় দিলীপ


 দীর্ঘদিন বাদে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে বিধানসভায় নেতা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁকে পুষ্পস্তবক হাতে তুলে দেন শুভেন্দু। বিধানসভায় গিয়েই নিজের দলের বিধায়কদের দাওয়াই দিলেন দিলীপ। বললেন, “নিজের নিজের এলাকায় ভাল করে কাজ করতে হবে, চা চক্র করুন, এলাকায় ঘুরুন। দলকে জেতাতেই হবে।” দলীয় বিধায়কদের বোঝালেন জনসংযোগই সবথেকে বড় হাতিয়ার।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনপ্রতিনিধি থাকাকালীন দিলীপ ঘোষ যে যে কাজগুলো করতেন, সেগুলিই বিধায়কদের করার পরামর্শ দিলেন তিনি। কিন্তু শুভেন্দুর ডাকে দিলীপের বিধানসভা যাওয়ার পিছনে অত্যন্ত রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে কি বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হতে চলেছেন দিলীপ ঘোষই?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিলীপকে সঙ্গে নিয়েই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দুর বৈঠক করা, কী কী ভাবে দলের এগনো উচিত, দিলীপের সে পরামর্শ দেওয়া- এদিনের বৈঠকের ঘটনাপ্রবাহ অন্তত কিছুটা হলেও আভাসপূর্ণ। সূত্রের খবর, তিনি নিজে যে যে কাজগুলো করে সফল হয়েছিলেন, যে কারণে বিধানসভায় আজ বিজেপির এতজন বিধায়ক, সেগুলিই কীভাবে নতুন মোড়কে, নতুন আঙ্গিকে করা যায়, সেটাই বাতলে দেন দিলীপ। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে দিলীপ ঘোষ একথাও বলেছেন, কখনও তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে একসঙ্গেই কর্মসূচি নেবেন, কখনও বা আলাদা। কিন্তু সবটাই সংগঠনের স্বার্থে। তখন বিধায়কদের মধ্যে কেউ কেউ শুভেন্দু-দিলীপের উদ্দেশে বলেন, যদি তাঁরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগঠন করেন, তাহলে এরাজ্যে রাজনীতিটাই অন্য খাতে বইবে।


দলের কর্মসূচিতে এক সঙ্গে রাস্তায় নামার কথা শোনা গেল দিলীপের মুখেও। দিলীপ ঘোষ বলেন, ” আমি তো জেলায় ঘুরতেই থাকি। রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সব অনুষ্ঠানেই যাই। পার্টির অনুষ্ঠানে জোন অনুযায়ী হবে। আমি আর শুভেন্দুদা অনেক জায়গায় একসঙ্গে থাকব, আলাদা আলাদাও থাকব। সবাই মিলে রাস্তায় নামব।”


 বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের সলতে পাকাতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলই। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও।


রাস্তায় নামব, পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত, ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান’, ফের হুঙ্কার শুভেন্দুর
মিছিলে শুভেন্দু


শুধু গোটা রাজ্যের পুলিশ নয়, সিভিক ভলান্টিয়রদের কাজে লাগিয়ে হিন্দু জনতার জয় শ্রী রাম ধ্বনি আটকানোর ক্ষমতা আপনাদের এ বছর হবে না।” রামনবমীর ঢাকে কাঠি পড়তেই ফের গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রামনবমীর অনুমতি নিয়ে পুলিশের প্রোফর্মা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। কেউ যাতে নতুন প্রোফর্মা পূরণ না করে সে কথাও এদিন বারবার বলতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আমরা রাস্তায় থাকব। পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত জনতা। পারলে আটকে নিন। ক্ষমতা থাকে তো আটকে নিন। হিন্দুস্তান মে হিন্দুই রাজ কারেগা। যো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওই হি আগলে দিন বাঙ্গাল মে রাজ করেগা।” 


প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের সলতে পাকাতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলই। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই আবহে রামনবমী ঘিরে যে রাজনৈতিক মহলেও উত্তেজনার পারজ চড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দফায় দফায় রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বলেন, “রামনবমী নতুন করে পালনের ব্যাপার নেই। অনেকদিন থেকেই পালন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেকবারই রাম নবমীর উৎসবে পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। কোর্টে যেতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপশব্দ বা খারাপ শব্দ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।”


প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রামনবমীর দিনে এক কোটি হিন্দুকে রাস্তার নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর চলছে। এদিন ফের একবার হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি এবং আমাদের বিজেপি MLA-রা আপানাদের সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেব। আপনারা কেউ ফ্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। গত বছর যেভাবে হয়েছিল এবারও সেইভাবেই হবে।”    

এই সাদা কাগজে সই কর…আমার ডানদিকেই থাইয়ে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেয়’, বেহালার রাস্তায় ভয়ঙ্কর ঘটনা

অভিযোগকারিণীর দাবি, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর লিখিত ভাবে অ্যাসিড হামলার হুমকির অভিযোগ জানান মহিলা। এখানেই শেষ নয়, মহিলা যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন, সেখানে গিয়েও ওই যুবক ভয় দেখায়।



'এই সাদা কাগজে সই কর...আমার ডানদিকেই থাইয়ে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেয়', বেহালার রাস্তায় ভয়ঙ্কর ঘটনা
মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ


বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। মামলা তুলতে মহিলা ও তাঁর মা-কে লোক পাঠিয়ে রাস্তায় ঘিরে ধরে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। সাদা কাগজেও সই করতে জোর করা হয় তাঁকে। আতঙ্কে রয়েছেন মহিলা ও তাঁর পরিবার।


অভিযোগকারিণী মহিলার দাবি,বছর কয়েক আগে এক যুবকের বিরুদ্ধে ৩৭৬ এর মামলা করেছিলেন তিনি। সেই মামলায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। জেলও খাটতে হয় তাঁকে। অভিযোগ, জেল থেকে বেরোনোর পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে ভয় দেখাতে শুরু করেন মহিলাকে।

অভিযোগকারিণীর দাবি, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর লিখিত ভাবে অ্যাসিড হামলার হুমকির অভিযোগ জানান মহিলা। এখানেই শেষ নয়, মহিলা যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন, সেখানে গিয়েও ওই যুবক ভয় দেখায়। নানা ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। চাপে পড়ে স্কুলের চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয় বলেই মহিলার দাবি। ছাড় পাচ্ছেন না তাঁর বৃদ্ধা মা-বাবাও। তাঁরা বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। মহিলার অভিযোগ, এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন যুবক তাঁদের উপর চড়াও হয়। আর ভিডিয়ো কলের মাধ্য়মে ওই সকল যুবকদের এই সব করার নির্দেশ দিচ্ছেন অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলার তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আশপাশের সিসিক্যমেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

ওই মহিলা টিভি ৯ বাংলাকে বলেন, “আমি ও আমার মা সান্ধ্য ভ্রমণে বের হই। আমরা যখন হাঁটছি সেই সময় অচেনা এক ছেলে এগিয়ে এসে বলে এই খালি কাগজে সই করে দিতে। আমরা প্রতিবাদ করি। বলছে তাড়াতাড়ি সাইন কর। আমি বলি এমন জোর করলে আমরা লোকজন ডাকতে বাধ্য হব। তারপর দেখি আরও তিনজন ছেলে এগিয়ে আসে। ওরা আমার মায়ের হাত-মুখ চেপে ধরে। আমারও হাত-মুখ চেপে ধরে। তারপরও জোর করে আমার হাতে পেন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও যখন আমি সই করছিলাম না আমার ডানদিকের থাইয়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি আজ থেকে প্রায় ছ-সাত বছর আগে মামলা করেছি ওই ব্যক্তি ভিডিয়ো কলে নির্দেশ দিচ্ছিল এই সব করার।”