WEATHER

Top News


হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ একটি মামলার পর্যবেক্ষণে কিশোরীদের 'যৌন চাহিদার উপর নিয়ন্ত্রণ আনার' পরামর্শ দিয়েছিল। জানিয়েছিল, "দু'মিনিটের সন্তুষ্টি নয়, বরং নিজেদের শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মর্যাদা বাড়বে।" হাইকোর্টের এই মন্তব্য, ‘আপত্তিকর’ বলে জানাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট।

'দু'মিনিটের যৌন সুখ...', হাইকোর্টের মন্তব্যে আপত্তি সুপ্রিম কোর্টের, ব্যক্তিগত মত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ
কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট

নয়া দিল্লি: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এক পর্যবেক্ষণ ঘিরে তীব্র আপত্তি জানাল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতিরা ব্যক্তিগত মতামত দেবেন, সেটা কখনোই কাম্য নয়। মন্তব্য শীর্ষ আদালতের। সম্প্রতি, কিশোর-কিশোরীদের যৌন চাহিদা সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ একটি মামলার পর্যবেক্ষণে কিশোরীদের ‘যৌন চাহিদার উপর নিয়ন্ত্রণ আনার’ পরামর্শ দিয়েছিল। জানিয়েছিল, “দু’মিনিটের সন্তুষ্টি নয়, বরং নিজেদের শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মর্যাদা বাড়বে।” হাইকোর্টের এই মন্তব্য, ‘আপত্তিকর’ বলে জানাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত এও বলছে, এই ধরনের মন্তব্য সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত কিশোর-কিশোরীদের অধিকারের ‘পরিপন্থী’।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এস ওকা ও বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা গ্রহণ করেছে। শীর্ষ আদালত একইসঙ্গে একইসঙ্গে এও জানাচ্ছে, বিচারপতিদের এই ধরনের ব্যক্তিগত মন্তব্য ও ব্যক্তিগত উপদেশ দেওয়া কখনও কাম্য নয়। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে হাইকোর্ট থেকে এই মন্তব্য উঠে এসেছিল। এরপর গতকাল ৭ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে।


২০০৯ সালে আচমকাই জেপি মর্গানের মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন মহুয়া মৈত্র। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ফ্লাইট ধরে ফিরে আসেন দেশে। যোগ দেন কংগ্রেসে। জাতীয় কংগ্রেসের যুব শাখায় কাজ করেন। কংগ্রেসের 'আম আদমি কি সিপাহি' প্রকল্পের রাহুল গান্ধীর ভরসাযোগ্য় সঙ্গী ছিলেন মহুয়া।

ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার থেকে সাংসদ, অর্থনীতির স্নাতক মারপ্যাঁচ জানেন রাজনীতিরও
অসমের মেয়ে তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী হলেন কীভাবে?

নয়া দিল্লি: জন্ম অসমে, পড়াশোনা বিদেশে। সংসদে তাঁর চাঁচাছোলা প্রশ্নের সামনে ঢোঁক গিলতে হয়েছে অনেক সাংসদকেই। সেই মহুয়া মৈত্রই (Mahua Moitra) খোয়ালেন সাংসদ পদ। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার (Cash For Query) অভিযোগে এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) সুপারিশে লোকসভা থেকে আজ, ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে। সাংসদ পদ খোয়ানোর পরও দমে যাননি তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী। হুংকার দিয়েছেন, ‘বিজেপির শেষের শুরু হল এখান থেকেই’। একইসঙ্গে জোর গলায় বলেছেন, ফের সংসদে ফিরে আসবেন তিনি। কীভাবে অঙ্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক জাতীয় স্তরে তৃণমূলের অন্যতম ‘মুখ’ হয়ে উঠলেন?


 জন্ম ও বেড়ে ওঠা-
১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর অসমের কাচার জেলার লাবাকে বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম মহুয়া মৈত্রর। তবে তাঁর পড়াশোনা কলকাতাতেই। গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপরে ১৯৯৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ম্যাসাচুসেটের মাউন্ট হোলিইয়ক কলেজ সাউথ হেডলি থেকে অঙ্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক হন।

কর্মজীবন-
মহুয়া মৈত্রের কর্মজীবনের শুরু বিখ্যাত জেপি মর্গান চেস সংস্থা থেকে। লন্ডন ও নিউইয়র্কে জেপি মর্গানের অধীনে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসাবে কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে জেপি মর্গানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন।

মহুয়া বলেন, "আমি লোকসভার সংসদীয় ইমেইল আইডি ভাগ করে নিয়েছি, শুধু তার ভিত্তিতে আমাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের নিয়মে ইমেইল আইডি নিয়ে কোনও নিয়ম নেই। 


যদি মোদী সরকার ভাবে আমার সংসদ পদ খারিজ করে আদানি ইস্যু নিয়ে চুপ করানো যাবে, তবে আমি বলছি শুনুন, এই ক্যাঙারু কোর্ট প্রমাণ করল, কীভাবে আইনের অপব্যবহার করা হল, আদানি আপনাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে একজন মহিলা সাংসদকে হেনস্থা করা হল।"
Mahua Moitra: '...তোদের চিতা আমি তুলবই', বহিষ্কৃত হয়েই সুকান্তর কবিতায় মহুয়ার হুঙ্কার
বহিষ্কৃত হওয়ার পর মহুয়া মৈত্র।

নয়া দিল্লি: প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) এবং কৃষ্ণনগর সাংসদবিহীন। শুক্রবার দুপুরের পর এটাই বাস্তব। এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) সুপারিশ মেনেই ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর সাংসদ পদ খোয়ানোর পর সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রণংদেহী মহুয়া। সুকান্ত ভট্টাচার্য থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা উদ্ধৃত করে ঝলসে উঠতে দেখা যায় কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদকে।

এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, “দর্শন হিরানন্দানিকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়নি। আমার প্রাক্তন সঙ্গী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে দোষী বানানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে টাকার বিনিময়ে সংসদে আমি প্রশ্ন করেছি। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর হলফনামায় বলা হয়েছে যে আমি নাকি ওনাকে চাপ দিয়েছিলাম নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই প্রশ্ন করতে। দুই অভিযোগের মধ্যে দূর-দূরান্তে কোনও মিল নেই। এথিক্স কমিটি গভীরে গিয়ে তদন্ত না করেই আমায় ফাঁসিতে চড়িয়েছে। অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর বয়ানই শুনতে চায়নি এথিক্স কমিটি। কোনও প্রমাণ নেই টাকা বা অন্য কোনও উপহার নেওয়ার।”

বিদেশে কর্পোরেট দুনিয়ার বড় পদ ছেড়ে ২০০৯ সালে রাজনীতিতে আসেন মহুয়া। প্রথমে যুব কংগ্রেসে। পরে ২০১০ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সাংসদ হওয়ার আগে বিধায়ক হিসেবেও গুরু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আজ তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মহুয়ার সম্পত্তি কত জানেন?

কোটিপতি মহুয়ার খাতা বিদেশি ব্যাঙ্কেও, কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে আসা নেত্রীর সম্পত্তি কত জানেন?
মহুয়া মৈত্র


কলকাতা: সংসদীয় এথিক্স কমিটির রিপোর্টেই সিলমোহর পড়ল। লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। শুক্রবার লোকসভায় ধ্বনি ভোটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাশ ফর কোয়ারি বিতর্কে শেষ পর্যন্ত কোপ পড়ল মহুয়ার সাংসদ পদে। বিদেশে কর্পোরেট দুনিয়ার বড় পদ ছেড়ে ২০০৯ সালে রাজনীতিতে আসেন তিনি। প্রথমে যুব কংগ্রেসে। পরে ২০১০ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সাংসদ হওয়ার আগে বিধায়ক হিসেবেও গুরু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে নদিয়ার করিমপুর থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা। দলনেত্রীকে নিরাশ করেননি মহুয়াও। পরে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হন। ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট দুনিয়া ছেড়ে মাঠে ময়দানের রাজনীতিতে আসা মহুয়ার সম্পত্তি কত জানেন?

২০১৯ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, সেই সময় থেকেই কোটিপতি মহুয়া মৈত্র। ওই সময়ে, তাঁর মোট সম্পত্তি ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে নির্বাচনী খরচের জন্য এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কৃষ্ণনগর শাখায় রাখা ছিল ৪৪ হাজার ৭৬৪ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট, টার্ম ডিপোজিটও ছিল তাঁর। যার মোট অঙ্ক ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ১১১। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, বিদেশি ব্যাঙ্কেও টাকা রেখেছিলেন তিনি। এক বিদেশি ব্যাঙ্কের ব্রিটেনের লন্ডন শাখায় সেই সময় তাঁর রাখা ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৮২ টাকা। আর হাতে নগদ অর্থ ছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা।

নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, মহুয়ার সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন মূল্য়বান গহনাও। এর মধ্যে রয়েছে ৩.২ ক্যারেটের হিরের আংটি, যার দাম ৭০ লাখ টাকা। ১৫০ গ্রাম সোনার গয়নাও রয়েছে, যার দাম নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী ছিল ৫ লাখ টাকা। এছাড়া রুপোর ডিনার সেট, রুপোর চায়ের পাত্রের সেট-সহ বিভিন্ন রুপোর জিনিসপত্র রয়েছে তাঁর। রুপোর সব জিনিসপত্র মিলিয়ে দাম ৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। অন্যান্য গয়নাও রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার।

সম্ভাবনা ভালো। ভারতীয় ফুটবল দল গত কয়েক বছরে প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। ২০১৯ সালের এশিয়ান কাপে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। ভারতীয় ফুটবলের জন্য এটি অভিনব সাফল্য। বর্তমান ভারতীয় দলে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। 


একজন ভাল কোচও রয়েছে। ইগর স্টিমাচ অভিজ্ঞ কোচ। তিনি ভারতীয় দলের খেলাকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছেন। তবে ভারতের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভারতীয় দলকে শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে আরও ভালো খেলতে হবে। ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।


কেরিয়ার শুরু হয়, শেষও। সাফল্য থেকে যায় আজীবন। ক্রীড়াবিদদের কেরিয়ার নামেই ইতি হয়। অনেকেই জড়িয়ে থাকেন তাঁর প্রিয় খেলার সঙ্গেই। অবসর ঘোষণা করেছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক সুব্রত পাল। ভারতীয় ফুটবলে তিনি অনেক বেশি পরিচিত, ‘স্পাইডারম্যান’ নামে। আর বাংলা ফুটবল যাঁকে চেনে ‘মিষ্টু’ বলে। অবসরের সিদ্ধান্ত যে কতটা কঠিন? বাকিরা জানেন, বোঝেন। একমাত্র তিনিই উপলব্ধি করতে পারেন। সুব্রত পালের ক্ষেত্রেও নতুন নয়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে নানা মুহূর্ত। জাতীয় দলের জার্সিতেই হোক কিংবা ক্লাব ফুটবলে। কিংবা বিদেশের ফুটবলে? রইল নতুনদের জন্য বার্তা, প্রত্যাশাও। গ্লাভস তুলে রাখার পর  সাক্ষাৎকারে সুব্রত যা বললেন।

শুরুতেই যেটা বলতে হয়, আপনার জীবনে ফুটবল কী ভাবে পরিবর্তন এনেছে?


ফুটবলই তো জীবনকে সঠিক পথ দেখিয়েছে। বাঁচার অর্থ বদলে দিয়েছে। মানুষ হিসেবে বদলে দিয়েছে। শৃঙ্খল করেছে। জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি ফুটবলের সৌজন্যেই। সবচেয়ে বড় কথা, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি এই ফুটবলেই। সহজ করে বলে দেওয়া যায়, ফুটবল না থাকলে, আমি আজ এই সুব্রত পাল হয়ে উঠতে পারতাম না।

বর্ণময় কেরিয়ারের যদি সেরা তিনটে মুহূর্ত বাছতে বলা হয়, কোনগুলোর কথা বলবেন?

খুবই কঠিন কাজ। সত্যি বলতে ২৪ বছরের কেরিয়ার থেকে মাত্র তিনটে মুহূর্ত বেছে নেওয়া কার্যত অসম্ভব। মাঠে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে অন্যতম সেরা। সেটা ভালো কোনও গোল সেভই হোক বা সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া। প্রতিটা মুহূর্তই প্লেয়ার এবং মানুষ হিসেবে আমাকে পরিণত করেছে।

শুধুমাত্র ভারতীয় ফুটবলই নয়, বিদেশেও ছাপ ফেলেছেন। কেরিয়ারে সেই দিনগুলো কী ভাবে দেখছেন?

দেশের প্রথম গোলকিপার হিসেবে ইউরোপের শীর্ষসারির ক্লাবে পেশাদার চুক্তিতে সই করা আমার কাছে বড় সাফল্য। দীর্ঘ সময় নানা বাধা পেরিয়ে এই সাফল্য এসেছিলাম। ডেনমার্কের ক্লাবে খেলাটাই আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। অন্য একটা দরজা খুলে গিয়েছিল আমার সামনে। ওদের খেলার ধরন, গতি, তাগিদ, পরিকল্পনা; সব দিক থেকেই আমার কাছে নতুন এবং বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। নিজেকে আরও উন্নত করতে পেরেছিলাম।

আপনার কেরিয়ারে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ বব হাউটনের প্রভাব কতটা?

এক কথায়, অনেকটাই। তাঁর কোচিংয়ে কেরিয়ারের রূপরেখা পাল্টে গিয়েছিল। একজন পেশাদার ফুটবলারে জীবনে যা প্রয়োজন, বুঝতে শিখেছিলাম। দেশের অন্যতম সেরা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল তাঁর কোচিং। জীবনে ডিসিপ্লিন, তাগিদ-এর আসল অর্থ বুঝিয়েছিলেন তিনিই।

আপনাকে স্পাইডারম্যান বলা হয়। এটা একেবারেই নতুন বিষয় নয়। তবে এই নামকরণের নেপথ্য কারণ কী?

অনেক দিন আগের কথা। হ্যাঁ, ২০১১ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের সময় এই নামটা দেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু অ্যাক্রোব্যাটিক সেভ করেছিলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন। আমি এই ডাকনামকে ভালো ভাবেই নিয়েছিলাম। গর্ব হয়েছিল। খেলার প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা তারই চিহ্ন বলা যায় এই ডাকনাম।

এ বছর ভারতীয় দল তিনটে আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছে। নতুন বছরে এশিয়ান কাপ। ভারতের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?

সম্ভাবনা ভালো। ভারতীয় ফুটবল দল গত কয়েক বছরে প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। ২০১৯ সালের এশিয়ান কাপে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। ভারতীয় ফুটবলের জন্য এটি অভিনব সাফল্য। বর্তমান ভারতীয় দলে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। একজন ভাল কোচও রয়েছে। ইগর স্টিমাচ অভিজ্ঞ কোচ। তিনি ভারতীয় দলের খেলাকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছেন। তবে ভারতের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভারতীয় দলকে শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে আরও ভালো খেলতে হবে। ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।

সাফল্যের অর্থ প্রত্য়েকের কাছে আলাদা। আপনার কাছে সাফল্যের মূল-মন্ত্র কী?

আমার কাছে সফল হওয়ার তিনটেই মন্ত্র। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই তিনটি জিনিস মেনে চললে সফল হতে পারবো। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, কঠোর পরিশ্রম। প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে, নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম সে দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

মহুয়া ইস্যুতে এককাট্টা সিপিএম-তৃণমূল। এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েও যদিও ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস। আক্রমণে নেমেছে বিজেপিও।

কারও মতে কর্মফল, কেউ দেখছেন বিজেপির 'চক্রান্ত', সাংসদহীন কৃষ্ণনগরে চড়ছে রাজনীতির পারদ
কী বলছেন কৃষ্ণনগরের নেতারা

নদিয়া: কেউ বলছেন কর্মফল। কেউ বলছেন বিজেপির চক্রান্ত। কেউ বলছেন আগামীতে মানুষ এর জবাব দেবে। কেউ বলছেন যা হয়েছে বেশ হয়েছে। মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজ হতেই কৃষ্ণনগরে দেখা গেল নানা মুনির নানা মত। রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোর চাপানউতোর। তবে এথিক্স কমিটির এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশিই দেখাচ্ছে কৃষ্ণনগরের পদ্ম শিবিরকে। বিজেপির কৃষ্ণনগর নদিয়া জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলছেন, “দেশের সুরক্ষা, সংসদের সুরক্ষা তিনি বিক্রি করেছেন এক ব্যবসায়ীর কাছে। অর্থাৎ এতে দেশের সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে। সেই বিষয়টা সামনে আসায় এথিক্স কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক বলেই আমাদের মনে হয়। কৃষ্ণনগরের সাংসদ হয়েও তিনি কোনওদিন কৃষ্ণনগরের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেননি। তাই তাঁর থাকা আর না থাকা সমান।” তবে মহুয়ার মৈত্রের হয়েই ব্যাট ধরতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসীম সাহাকে। বলেন, “এটা অনৈতিক একটা কাজ। তিনি কী দোষ করেছেন, কোথা থেকে ঘুষ নিয়েছেন তার কোনও প্রমাণ নেই।”

তবে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ জগন্নাথ সরকার আবার খানিক খোঁচা দিয়ে বলছেন, “যেমন কাজ করেছেন তেমন ফল ভোগ করছেন। তিনি নিজে অজুহাত তৈরি করেছেন, তিনি সংসদকে অপমান করেছেন। সাংসদদের অপমান করেছেন। এখন তিনি ধান ভাঙতে শিবের গীত গাইছেন।”

অন্যদিকে, মহুয়া ইস্যুতে এককাট্টা সিপিএম-তৃণমূল। এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েও যদিও ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস। বলেন, “উনি নিজের যে কথা সংসদে বলতে চেয়েছিলেন সেটা বলার সুযোগ ওনাকে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, স্পিকার ওনার কথা না শুনেই সাংসদ পদ খারিজ করেছে। এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদকে প্রকাশ্যে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এখন বিজেপিতেও রয়েছেন। তখন তৎকালীন স্পিকার একবার এথিক্স কমিটি ডাকবার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেননি।”

ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সম্পাদক। সাফ বলছেন, মানুষ এর জবাব দেবে। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “স্পিকার নির্বাচিত হয়েছে বিজেপির দ্বারা। আজ একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ওনাকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলতে দেয়নি বিজেপি। আর এথিক্স কমিটির সাতজন সদস্যের মধ্যে চারজনই তো বিজেপির। এটা বিজেপির চক্রান্ত। আগামীদিনে কৃষ্ণনগরের মানুষ এর জবাব দেবে।”

এদিন মুর্শিদাবাদেই খাকবেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। শনিবার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এস এন সি ইউ বিভাগ ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই ওয়ার্ডের পরিকাঠামো।

শিশুমৃত্যুতে হাসপাতালের উত্তরে খুশি নন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা, রাতে থাকছেন মুর্শিদাবাদেই
হাসপাতালে স্বাস্থ্য় দফতরের প্রতিনিধিরা

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। ৪৮ ঘণ্টায় সংখ্যাটা ১৩ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরইমধ্যে এদিনই হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই প্রতিনিধি চিকিৎসক অরিজিৎ ভৌমিক ও বি কে পাত্র। দিনভর কথা চলে হাসপাতালের কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, শিশুমৃত্যুর যে ব্যাখ্যা হাসপাতালের তরফে দেওয়া হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট নন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। 

সূত্রের খবর, এদিন মেডিকেল কলেজে আসার পরেই স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা হাসাপাতালের চিকিৎসক এবং হাসপাতালের আধিকারিকদের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। কেন এই ঘটনা ঘটল সেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, উত্তরে এক কর্তা অপুষ্টিজনিত সমস্যা, কম ওজনের কথা বলেন। মৃত শিশুদের অনেকের ওজন পাঁচশো গ্রামের কম ছিল বলেও জানান। কিন্তু, এই উত্তরে খুশি নন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও শিশুগুলির মৃত্যুর সময়কালে যে যে চিকিৎসক ও নার্স ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের কাছে তাঁরা বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। জানতে চান আসল ঘটনা।

এদিন মুর্শিদাবাদেই খাকবেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। শনিবার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এস এন সি ইউ বিভাগ ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। এদিকে এই ওয়ার্ডেই আবার বাচ্চাদের জন্য যত শয্যা আছে তার থেকে বেশি শিশু ভর্তি রাখা হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামোও।

২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের আরও সুবিধা দিতে গঙ্গাসাগরে DM মেলা অফিসে চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক

২০২৪ এর জানুয়ারি মাসে পৌষ সংক্রান্তির দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন পূর্ণ লাভের আশায়,কুম্ভ মেলার পর ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা এই গঙ্গাসাগরে বসে,তাই হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন,আর ২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের তৎপরতার সঙ্গে জোর কদমে শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগরে বাবা কপিলমুনি মন্দিরের মেলা মাঠ সাজানোর কাজ। কথায় আছে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। ক্যালেন্ডার বলছে,আগামী ২০২৪ এর ১৪ই জানুয়ারি গঙ্গাসাগরে পবিত্র পুন্যস্নান, বহু বাধা অতিক্রম করে প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন পূর্ণের আশায় এই গঙ্গাসাগরে। সেই কথা মাথায় রেখে পুণ্যার্থীদের আরো বেশি সুবিধা দিতে জেলাশাসকের নির্দেশে ৮ই ডিসেম্বর শুক্রবার গঙ্গাসাগরের DM মেলা অফিসে হোলো চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক।
এদিনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা,কাকদ্বীপ মহকুমার শাসক মধুসূদন মন্ডল,সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রাও,সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রয়,জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি,GBDA চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি সীমন্ত মালি, সাগর থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারীক শুভেন্দু দাস, গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারীক বাপি রায় GNDA এর EO নীলাঞ্জন তরফদার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কি বললেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা আসুন আমরা প্রত্যেকেই শুনে নেই আমাদের কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার মাধ্যমে

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকার এই রিপোর্ট পেশ করেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের অভিযোগের ভিত্তিতেই রিপোর্ট পেশ করেছে এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 তীব্র হই-হট্টগোলের মাঝেই সংসদে পেশ হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট, সাংসদ পদ খোয়াবেন মহুয়া?
সংসদ চত্বরে হাসিমুখে মহুয়া মৈত্র।

নয়া দিল্লি: আজই কি সংসদে শেষ দিন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)? সংসদে পেশ হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট (Ethics Committee Report)। তীব্র হই-হট্টগোল, বিক্ষোভের মাঝেই লোকসভায় পেশ হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার (Vijay Sonkar) এই রিপোর্ট পেশ করেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের অভিযোগের ভিত্তিতেই রিপোর্ট পেশ করেছে এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে, এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের পরই সংসদে ফের হই-হট্টগোল শুরু হয়। দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে লোকসভার অধিবেশন।

সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু তা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যায়। গতকালই জানা গিয়েছিল, আজ, শুক্রবার সংসদে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হবে। এ দিন অধিবেশনের শুরু থেকেই লোকসভায় অশান্তি শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। দুপুর ১২টা নাগাদ বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন। দুপুর ২টোয় অধিবেশন শুরু হলে, এই রিপোর্ট দেখেই স্পিকার প্রস্তাবনা আনবেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ থাকবে কি না, তা আজই স্থির হয়ে যাবে।


অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে স্পিকারকে নতুন করে চিঠি দেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এথিক্স কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্টের হার্ড কপি চাওয়া হয়েছে। রিপোর্টের কপি হাতে পাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পড়ার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। তারপর আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।

এ দিন সংসদে ঢোকার আগেই মহুয়া মৈত্র বলেন, “মা দুর্গা এসে গিয়েছে, এবার দেখা যাবে কী হয়…যখন মানুষের উপরে বিনাশের কালো ছায়া তৈরি হয়, তখন প্রথমে বিবেকের মৃত্যু হয়। ওরা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে, এবার মহাভারতের যুদ্ধ শুরু হবে।”


এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন বিষয়টা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে, তখন সেটা আর পার্টির বিষয় থাকে না। এই নিয়ে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। যে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। নাহলে দেশের ১৪০ কোটির মানুষের প্রতিনিধিত্ব যারা করেন, তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক এবং কড়া পদক্ষেপ করা হোক, এটাই চাই।”

অন্যদিকে, শিবসেনা (ইউবিটি)-র রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, “যদি লোকসভা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করে দেয়, তবে তা খারাপ উদাহরণ তৈরি করবে।”


কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, “এই রিপোর্ট একদমই অপর্যাপ্ত তথ্যনির্ভর। মনে হচ্ছে, আড়াই মিনিটের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। যে অভিযোগ এনেছে, তাকে প্রশ্ন করা হয়নি। বিনা পর্যালোচনাতেই একজন সাংসদের সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত সদস্য়রা বিশ্বাস করেন যে এটা ন্যায়বিচারের পরিহাস। এটা ভবিষ্যতের জন্য খুব অবাঞ্ছিত উদাহরণ সৃষ্টি করবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে রাজনৈতিক পরিহাসে পরিণত হয়েছে সংসদ।”

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ১৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা লুকানো ছিল কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে। থরে থরে সাজানো টাকা গোনার জন্য আয়কর আধিকারিকরা যে টাকা গোনার মেশিন এনেছিলেন, তাও ৫০ কোটি টাকা গোনার পর বিকল হয়ে যায়। 

টাকা গুনতে গিয়ে বিকল মেশিনও! কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে উদ্ধার ১০০ কোটিরও বেশি নগদ
প্রতীকী চিত্র

রাঁচি: থরে থরে সাজানো টাকা। কংগ্রেস সাংসদের (Congress MP) বাড়ি থেকে উদ্ধার ১০০ কোটি টাকারও বেশি নগদ। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর (Dhiraj Sahoo) বাড়ি থেকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। টানা দুইদিন ধরে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আলমারি ও বাক্সে থরে থরে সাজানো ছিল এই টাকা। এমনটাই আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।


এখনও অবধি মোট কত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে সরকারি বিবৃতি না মিললেও, আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ১৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা লুকানো ছিল কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে। মজার বিষয়, থরে থরে সাজানো টাকা গোনার জন্য আয়কর আধিকারিকরা যে টাকা গোনার মেশিন এনেছিলেন, তাও ৫০ কোটি টাকা গোনার পর বিকল হয়ে যায়। পরে আবার নতুন মেশিন আনা হয় টাকা গোনার জন্য।


আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর ওড়িশার বোলানগির ও সম্বলপুরের দুটি বাড়ি এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও লোহারদাগার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আলমারি ও বাক্সে থরে থরে টাকা সাজানো ছিল। এখনও সেই টাকা গোনা চলছে।

জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার বলেন, "আমরা তো গত ৪৮ ঘণ্টায় কোনও রেফার করিনি। আমি বুঝতে পারছি না এই ৯ জন মারা যাওয়ায় জঙ্গিপুর হাসপাতালের নামটা কী করে উঠে এলো। আর আমাদের এসএনসিইউ একদিনও এক ঘণ্টার জন্যও বন্ধ হয়নি।"

 'জঙ্গিপুরের SNCU একদিনও বন্ধ হয়নি', ৯ শিশুর মৃত্যুতে এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলি
এই পোস্টারই সাঁটানো ছিল গতকাল পর্যন্ত।

মুর্শিদাবাদ: মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর পর এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলির পালা। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে ৯ সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। ‘রেফার’ নিয়ে দায় ঝাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে অকেজো স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ (SNCU)। তার জেরে বেড়ে রেফার। এবার সেই দাবি ওড়ালেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার। তাঁর দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও শিশু রেফার করা হয়নি। এসএনসিইউও ঠিকই আছে।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বৃহস্পতিবার বলেন, “মোট ৯ জন বাচ্চা ২৪ ঘণ্টায় আমাদের এখানে মারা গিয়েছে। বেশির ভাগই অপুষ্টিতে ভোগা শিশু, ওজন কম। ৩০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ওজনের বাচ্চা ছিল। আরও একটা অসুবিধা হল আমাদের জঙ্গিপুরে যে হাসপাতাল সেখানে প্রায় দেড় মাস ধরে এসএনসিইউয়ের কাজ বন্ধ। ফলে সেখান থেকে সবই রেফার হচ্ছে এখানে। আমাদের ১২৯টা বেডে প্রায় ৩০০ রোগী।”

অন্যদিকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার বলেন, “আমরা তো গত ৪৮ ঘণ্টায় কোনও রেফার করিনি। আমি বুঝতে পারছি না এই ৯ জন মারা যাওয়ায় জঙ্গিপুর হাসপাতালের নামটা কী করে উঠে এলো। আর আমাদের এসএনসিইউ একদিনও এক ঘণ্টার জন্যও বন্ধ হয়নি। এসএনসিইউয়ে কাজ চলছে ঠিকই। তার জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থাও করেছি। ওখানে বাচ্চাদের ভর্তিও করা হচ্ছে। সেখানে ২৫টা বাচ্চাকে একসঙ্গে চিকিৎসা দিতে পারব।”

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, দুই হাসপাতালের দায় ঠেলাঠেলির কথা সাধারণ মানুষ কেন শুনবেন? পর পর ৯ জন সদ্যোজাতর মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব ছোটখাটো বিষয় নয়? সেখানে একে অপরকে দুষেই কি সময় কাটিয়ে দিলে চলবে? সূত্রের খবর, শিশুমৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার তদন্তে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের এক টিম। অন্যদিকে এদিন সকালে জঙ্গিপুর হাসপাতালের এসএনসিইউয়ে গিয়েও দেখা গেল, সেখানে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা চলছে বাচ্চাদের।


বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকার এই রিপোর্ট পেশ করেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের অভিযোগের ভিত্তিতেই রিপোর্ট পেশ করেছে এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তীব্র হই-হট্টগোলের মাঝেই সংসদে পেশ হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট, সাংসদ পদ খোয়াবেন মহুয়া?
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফাইল ছবি।

নয়া দিল্লি: আজই কি সংসদে শেষ দিন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)? সংসদে পেশ হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট (Ethics Committee Report)। তীব্র হই-হট্টগোল, বিক্ষোভের মাঝেই লোকসভায় পেশ হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার (Vijay Sonkar) এই রিপোর্ট পেশ করেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের অভিযোগের ভিত্তিতেই রিপোর্ট পেশ করেছে এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে, এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের পরই সংসদে ফের হই-হট্টগোল শুরু হয়। দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে লোকসভার অধিবেশন।


সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু তা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যায়। গতকালই জানা গিয়েছিল, আজ, শুক্রবার সংসদে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হবে। এ দিন অধিবেশনের শুরু থেকেই লোকসভায় অশান্তি শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। দুপুর ১২টা নাগাদ বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন। এই রিপোর্ট দেখেই স্পিকার প্রস্তাবনা আনবেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ থাকবে কি না, তা আজই স্থির হয়ে যাবে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলের দুই সেরা প্রতিযোগিতা হবে ২০২৪ সালে। কয়েকদিন আগে ইউরো-২০২৪ এর গ্রুপ বিন্যাস ঘোষণা করেছে উয়েফা। এ বার কনমেবল কোপা আমেরিকা-২০২৪ (Copa America 2024) এর গ্রুপ বিন্যাস ঘোষণা করল। মার্কিন মুলুকে হবে আগামী বছর কোপা আমেরিকা। মোট ১৬টি দল এই মেগা ইভেন্টে অংশ নেবে। 



প্রতিটি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
Copa America 2024: কোপা আমেরিকায় মেসিদের গ্রুপে চিলি, ব্রাজিল পেল কলম্বিয়া-প্যারাগুয়ে
ঘোষিত হল কোপা আমেরিকা-২০২৪ এর গ্রুপ বিন্যাস। (ছবি-কোপা আমেরিকা ওয়েবসাইট)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ২০২৪ সালে থাকছে ডাবল ধামাকা। আন্তর্জাতিক ফুটবলের দুই সেরা প্রতিযোগিতা হবে ২০২৪ সালে। কয়েকদিন আগে ইউরো-২০২৪ এর গ্রুপ বিন্যাস ঘোষণা করেছে উয়েফা। এ বার কনমেবল কোপা আমেরিকা-২০২৪ (Copa America 2024) এর গ্রুপ বিন্যাস ঘোষণা করল। মার্কিন মুলুকে হবে আগামী বছর কোপা আমেরিকা। মোট ১৬টি দল এই মেগা ইভেন্টে অংশ নেবে। প্রতিটি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে চিলির কাছে হেরে কোপা আমেরিকা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আর্জেন্টিনার (Argentina)। সেই চিলির সঙ্গে একই গ্রুপে এ বারও পড়েছে আর্জেন্টিনা। আর এ বার কোপা আমেরিকা হবে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এক ঝলকে TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে দেখে নিন আসন্ন কোপা আমেরিকার গ্রুপ বিন্যাস।

কোপা আমেরিকা ২০২৪-এর গ্রুপ বিন্যাস:

গ্রুপ এ-তে রয়েছে – আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো/কানাডা।
গ্রুপ বি-তে রয়েছে – মেক্সিকো, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, জামাইকা।
গ্রুপ সি-তে রয়েছে – আমেরিকা, উরুগুয়ে, পানামা, বলিভিয়া।
গ্রুপ ডি-তে রয়েছে – ব্রাজিল, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা/হন্ডুরাস।
২০২৪ সালের ২০ জুন শুরু হবে কোপা আমেরিকা। আসন্ন কোপা আমেরিকাকে বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। লাতিন আমেরিকা, মধ্য এবং উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে আরও ৬টি দেশ এই টুর্নামেন্টে যোগ দেবে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দেখা যাবে গত বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা ফাইনাল হবে ফ্লোরিডার মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের কথা মাথার রেখে আগামী কোপা আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বিশ্বকাপে মেসি খেলবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাঁকে যদি ২০২৬ এর বিশ্বকাপে খেলতে না দেখা যায়, তেমন হলে ২০২৪ কোপা আমেরিকাই আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির শেষ আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হতে পারে।