WEATHER

Top News


আশা বিবাহিতা। কিন্তু থাকতেন নিজের বাপের বাড়িতে। বছর আষ্টেক আগে হরিপালে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জেরে নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকে গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে এটাই ছিল তাঁর স্থায়ী ভিটে। কিন্তু দিন গুজরান যখন হয়ে যাচ্ছিল, তা হলে আত্মহত্যা করার মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হল?

SIR 'আতঙ্কে' বিষপান, SSKM-এ মৃত্যু ধনেখালির বধূর! আসরে তৃণমূল
কী বলছে তৃণমূূল?


আতঙ্কই শেষ করল জীবন। এই দাবি একাধারে যেমন পরিবারের, তেমনই রাজ্যের শাসকশিবিরেরও। বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন ঘিরে তরজার শেষ নেই। বিজেপির চোখ রাঙানিতেই সাধারণ মানুষ ‘প্রাণ হারাচ্ছেন’ বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই আবহেই আরও একটা মৃত্যু। টানা লড়াইয়ের পর হার মানল ধনেখালির বধূ।


যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ
SIR পর্বে 'ত্রাতা' সিএএ? ১০ দিনেই উত্তর দেবে কেন্দ্র
SIR: SIR-এর কাজে অনিয়ম, অ্যাকশনে কমিশন
দিনকতক আগেই এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, দাবি পরিবারের। অবশ্য় একা নন, সঙ্গে নিজের বছর ছয়ের মেয়েকেও বিষ খাইয়ে দেন ওই মহিলা। নাম আশা সোরেন। তিনি হুগলি জেলার ধনেখালির থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানা নদী এলাকার বাসিন্দা।

আশা বিবাহিতা। কিন্তু থাকতেন নিজের বাপের বাড়িতে। বছর আষ্টেক আগে হরিপালে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জেরে নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকে গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে এটাই ছিল তাঁর স্থায়ী ভিটে। কিন্তু দিন গুজরান যখন হয়ে যাচ্ছিল, তা হলে আত্মহত্যা করার মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হল?

আশা সোরেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ শুরু হতেই তাঁর বাপের বাড়িতেও ফর্ম দিয়ে যান বিএলও। পরিবারের প্রত্যেকে ফর্ম পেলেও, নিহত মহিলা তা পাননি। এরপরেই আতঙ্ক গ্রাস করে তাঁকে। এদিকে শ্বশুড়বাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সুতরাং, সেখান থেকে সাহায্য পাওয়ার কোনও প্রসঙ্গই নেই। এরপরই আত্মহত্য়ার চেষ্টা।

এই ঘটনার পরেই আশার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও অবগত করেন তিনি। তড়িঘড়ি ওই মহিলা ও তাঁর শিশুকন্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দিন কয়েকের টানাপোড়েনের পর সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। অবশ্য তাঁর মেয়ের এখনও চিকিৎসাধীন, তুলনামূলক সুস্থ বলে দাবি, চিকিৎসকদের। তৃণমূল শিবিরের দাবি, আশাকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ জনের প্রাণ গিয়েছে।

এদিন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘ধনেখালির ৫০ শতাংশ মানুষজন তফসিলি জাতি ও উপজাতি-ভুক্ত। এঁদের বেশির ভাগের কাছেই অনেক কাগজ নেই। এরা আতঙ্কিত, চিন্তিত। কোথায় যাবে, কোথায় থাকবে।’ এই প্রসঙ্গে নোটবন্দির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। বিধায়কের কথায়, ‘নোটবন্দির সময় দেখেছি ব্যাঙ্কের লাইনেও দাঁড়িয়ে মানুষ মারা গেছেন। এর দায় কে নেবে? ২০০২ সালে এসআইআর হয়েছিল দু’বছর ধরে। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে অথচ সময় দেওয়া হচ্ছে মাত্র দু’মাস। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ এই ঘটনায় বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।


সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা সংলগ্ন সিগন্যালে এসে দাঁড়াল একটি ছোট গাড়ি। তারপরই বিস্ফোরণ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কোনও পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অভিঘাতের মূল কেন্দ্রের হদিশ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই সন্দেহভাজন গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।


তিন হাত ঘুরে পৌঁছেছে পুলওয়ামার তারিকের কাছে! দিল্লির বিস্ফোরণে নজরে জনৈক সলমনের গাড়ি
ডানদিকে সন্দেহভাজন তারিক


রাস্তায় চাপ-চাপ রক্তের দাগ। কোথাও আবার ছড়িয়ে দেহাংশ। রাজধানীতে লালকেল্লার কাছে ঘটা বিস্ফোরণ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আত্মঘাতী হামলা নাকি নেপথ্য অন্য কোনও চক্রান্ত? নেই তো সন্ত্রাসবাদীদের হাত? সমস্ত প্রশ্নই ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশকেও।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা সংলগ্ন সিগন্যালে এসে দাঁড়াল একটি ছোট গাড়ি। তারপরই বিস্ফোরণ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কোনও পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অভিঘাতের মূল কেন্দ্রের হদিশ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই সন্দেহভাজন গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।



রাত পোহালেই এক ধাক্কায় কতটা নামবে পারদ? কী বলল আবহাওয়া দফতর?

আটঘাট বেঁধে জায়গা নির্বাচন? সোমের বিস্ফোরণে লালকেল্লাই ছিল 'প্রাইম টার্গেট'?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাড়িটি হুন্ডাইয়ের আই২০। যার নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। এই গাড়ির মালিকের নাম মহম্মদ সলমন। তাঁর নামেই রয়েছে রেজিস্ট্রেশন। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন অন্য কথা। জনৈক সলমনের দাবি, দেড় বছর আগে এই গাড়িটি দক্ষিণ দিল্লির ওখলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রকে বিক্রি করে দেন তিনি। গাড়ি বিক্রির সমস্ত কাগজপত্র পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন সলমন।

সূত্রের খবর, দেবেন্দ্রর পর এই গাড়িটি হাত বদলে পৌঁছে যায় হরিয়ানার অম্বলার এক বাসিন্দার কাছে। অবশ্য, এই পর্বে একটু ধন্দই রয়েছে তদন্তকারীদের। এরপর কাহিনীতে ‘এন্ট্রি’ হয় তারিকের। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। এবার তিনি এই গাড়িটি কাউকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে প্রাণ গিয়েছে আট জনের। আহত প্রায় ২০ জন। গোটা ব্যাপারটাই এখনও ধোঁয়াশা। ঠিক কীভাবে ঘটল, কেন ঘটল, কারা করল, কিছু স্পষ্ট নয়। এদিন এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের অনুমান সম্ভবত কেউ প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিল। সেটার ফলেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’
 এরপর ৬টা ৪৮ মিনিট নাগাদ গাড়িটি সেই পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে পড়ে। যে সময় তারা রওনা দেয় তখন রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। তবে শুধুই লালকেল্লা নয়, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ মাধ্যমে গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেট, লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় গাড়িটি।



 ওঁত পেতে বসেছিল পার্কিং লটে, চলছিল রেইকি! দিল্লির বিস্ফোরণে যোগ কাশ্মীরি চিকিৎসকের?
কাশ্মীরের চিকিৎসক উমর




দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণ হওয়া হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি ঘুরে বেড়াচ্ছে দিল্লির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯মিনিট নাগাদ লালকেল্লা সংলগ্ন একটি পার্কিং লটে ঢুকে পড়ে। এরপর সেই সময় গাড়িতে উপস্থিত সন্দেহভাজনরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। অনুমান, কোথায় বিস্ফোরণ ঘটালে নাশকতার মাত্রা তীব্র থাকবে, সেটাই বুঝতে গাড়িটিকে ওই পার্কিং লটেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

এরপর ৬টা ৪৮ মিনিট নাগাদ গাড়িটি সেই পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে পড়ে। যে সময় তারা রওনা দেয় তখন রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। তবে শুধুই লালকেল্লা নয়, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ মাধ্যমে গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেট, লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় গাড়িটি।


কিন্তু এই গাড়ির ভিতরে কারা ছিল? পরিচয় কী তাঁদের? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সন্দেহভাজন গাড়ির ভিতরে থাকা ব্যক্তিদের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্দারপুর সীমানা পেরনোর সময় সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির ভিতরে থাকা চালকের হাত দেখা যায়। আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গাড়ির ভিতরে থাকা সন্দেহভাজনের মুখও। কিন্তু তা একেবারে অস্পষ্ট।

অবশ্য় দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে ফরিদাবাদের বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই ফরিদাবাদ মডেলের সঙ্গেই যুক্ত কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক চিকিৎসকের নাম জুড়ে গিয়েছে দিল্লির বিস্ফোরণ পর্বে। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই গাড়িতেই বসেছিলেন মহম্মদ উমর। পেশায় চিকিৎসক।

তদন্তকারীদের অনুমান, ফরিদাবাদের কাণ্ডের মূল চক্রী উমরের সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের গ্রেফতারির পর চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন উমর। তারপরই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ছক কষে সে। যার জেরে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমনকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তিনি জানিয়েছেন, দেড় বছর আগেই ওই গাড়ি বিক্রি করে দেন তিনি। তারপর আরও দুই হাত ঘুরে হুন্ডাই আই২০ পৌঁছয় পুলওয়ামার তারিকের কাছে। ইতিমধ্য়েই তাঁকেও আটক করেছে পুলিশ।


আদিলের সূত্র ধরে আরেক চিকিৎসকের খোঁজ পায় কাশ্মীর পুলিশ। নাম মুজাম্মিল আহমেদ। পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজাম্মিল থাকত হরিয়ানার ফরিদাবাদে। সেখানে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিল সে। অভিযোগ, তাঁর সাহায্যেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র কাশ্মীর থেকে এনেছিল আদিল। সোমবার ফরিদাবাদের যে বাড়ি থেকে এই বিরাট পরিমাণ বিস্ফোরক বা আরডিএক্সের মশলা পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই ভাড়া থাকত মুজাম্মিল।


দিল্লির বিস্ফোরণের নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদ? পুলিশের জালে মাসুদের মহিলা গোষ্ঠীর প্রধান
দিল্লিতে বিস্ফোরণ, রয়েছে পাক-যোগ?

গেড খুলে ভারতে মহিলা বাহিনীর প্রধানও নিয়োগ করে ফেলেছে তারা। দিল্লির বিস্ফোরণ-কাণ্ড দেশজুড়ে সাড়া ফেলতেই সেই মহিলা প্রধানের হদিশ পেয়ে গিয়েছে পুলিশ। এতদিন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হেফাজতেই ছিল সেই জঙ্গি প্রধান। কিন্তু পরিচয় প্রকাশ্যে এল অনেক পড়ে।

১৯ অক্টোবর, কাশ্মীরে নাশকতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে বলে খবর পায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এরপরই তদন্তে নামে তাঁরা। অভিযোগ, ওই দিনই শ্রীনগরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে দেওয়ালে-দেওয়ালে সাঁটানো হয় পোস্টার। আর এই অভিযোগে চিকিৎসক আদিল আহমেদ র‌্যাদারকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে শুরু হয় জেরা।



আদিলের সূত্র ধরে আরেক চিকিৎসকের খোঁজ পায় কাশ্মীর পুলিশ। নাম মুজাম্মিল আহমেদ। পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজাম্মিল থাকত হরিয়ানার ফরিদাবাদে। সেখানে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিল সে। অভিযোগ, তাঁর সাহায্যেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র কাশ্মীর থেকে এনেছিল আদিল। সোমবার ফরিদাবাদের যে বাড়ি থেকে এই বিরাট পরিমাণ বিস্ফোরক বা আরডিএক্সের মশলা পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই ভাড়া থাকত মুজাম্মিল। তবে সে একা নয়, মুজাম্মিলের পাশাপাশি আরও এক মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাম শাহিন শাহিদ।

এই শাহিন শাহিদ কিন্তু সাধারণ কোনও চিকিৎসক নয়। সূত্রের খবর, এই শাহিন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড ‘জামাত-উল-মোমিনাত’-এর ভারতীয় শাখার প্রধান। বলে রাখা প্রয়োজন, জইশদের মহিলা ব্রিগেডের একেবারে মাথায় বসে রয়েছে জইশ-প্রধান মাসুদ আজ়হারের বোন। সুতরাং শাহিনের যে ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ।

দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ফরিদাবাদ?
এই প্রশ্ন আপাতত ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশকে। ফরিদাবাদ থেকে যে চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছে তার সঙ্গে যোগ রয়েছে পুলওয়ামার চিকিৎসক উমর নবির। সূত্রের খবর, দিল্লির ওই ‘ঘাতক’ গাড়িতে উমরই ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে তার ছবি। তা হলে কি মুজাম্মিল গ্রেফতার হতেই আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল উমর ও তার সহযোগীরা?

অভিযানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, দু'জন ডাক্তার ছাড়াও এই মডিউলের বাকি সদস্যরা এনক্রিপটেড চ্যানেল ব্যবহার করে যোগাযোগ চালাচ্ছিলেন। চ্যারিটেবল কাজের আড়ালে ফান্ড তোলার কাজে যুক্ত আছেন ডাক্তার এবং বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক প্রফেশনালরা।

পোস্টার থেকে শুরু, দিল্লি বিস্ফোরণের একমাস আগে থেকে যা চলছিল...


সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে দিল্লি। কারণটা নিশ্চিত না হলেও নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। কোনও সম্ভাবনাই যে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, সে কথা বলেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে গত কয়েকদিনের ঘটনা গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে।

গত ১৯ অক্টোবর জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে কাশ্মীর শহর সংলগ্ন নওগ্রাম এলাকায় একাধিক পোস্টার দেখা যায়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি, তদন্ত। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডক্টর আদিল মজিদ রাদারের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক, অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করে তদন্তকারীরা।



চলন্ত গাড়িতেই বিস্ফোরণ, নাশকতার গন্ধ পেতেই এক সন্দেহভাজনকে ধরল দিল্লি পুলিশ
ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসে বিয়ে করেও আলাদাই থাকতেন হেমা, কেন জানেন?
এরপর সেই সূত্র ধরে পুলওয়ামার বাসিন্দা, হরিয়ানার ফরিদাবাদে বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডক্টর মুজাম্মিল আহমেদ গানাইয়ের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। হরিয়ানার ফরিদাবাদে আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন আল ফালহা স্কুল অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের এমার্জেন্সি বিভাগে কাজ করতেন তিনি। গত ৯ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ফরিদাবাদের ধৌজে তাঁর ভাড়া করা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ধৌজে গ্রামের এক মসজিদের মৌলানাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

চাকরি ছাড়ার পরও সরকারি হাসপাতালের ডক্টরস লকার কীভাবে রাদারের দখলে ছিল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। একই সময় কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, গান্ডেরওয়াল, সোপিয়ান এবং উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় অভিযান শুরু করে তদন্তকারীরা।

অভিযানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, দু’জন ডাক্তার ছাড়াও এই মডিউলের বাকি সদস্যরা এনক্রিপটেড চ্যানেল ব্যবহার করে যোগাযোগ চালাচ্ছিলেন। চ্যারিটেবল কাজের আড়ালে ফান্ড তোলার কাজে যুক্ত আছেন ডাক্তার এবং বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক প্রফেশনালরা। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে মোট সাতজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দিল্লির বিস্ফোরণের পর হাই এলাট জারি করা হলো। সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং।

 সুন্দরবন পুলিশ জেলার নামখানা থানা পক্ষ থেকে। গতকাল বিস্ফোরণের পর থেকে গতকাল রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে। মঙ্গলবার দিনেও নামখানা টোল ট্যাক্সের কাছে এবং বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করেন। এর পাশাপাশি জলপথেও নাকা চেকিং শুরু করেছেন । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দিল্লির বিস্ফোরণের কারণে। 


সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নির্দেশে নামখানা বিভিন্ন জায়গায় এবং জল পথে ও নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে। নামখানা থানার পুলিশ মূলত এই বিস্ফোরণের উপর সীমান্তবর্তী এলাকায় কোন কিছু দুর্ঘটনা না ঘটে কিংবা এই বিষপানের উপর কোন জেহাদি জলের পথ দিয়ে কিংবা স্থলপথে থেকে দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবেশ না করতে পারে। সেদিকে করা নজরদারি শুরু করেছে নামখানা থানা পুলিশ। 


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

বিজেপি মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের পাঁচটি শিক্ষা দফতর, জনশিক্ষা থেকে উচ্চ-শিক্ষা। তিনি সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলেন। বাঙালি হিসাবে আমাদের লজ্জা। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু নির্দেশ দিয়েছিল।"


পার্থর জেলমুক্তি! কী বললেন জগন্নাথ-বিকাশ-কুণালরা?
পার্থকে নিয়ে কে কী বললেন?


 জেলমুক্ত হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ২০২২ সালে জেলে গিয়েছেন। তারপর প্রায় তিন বছর সেখানেই কেটেছে। অবশেষে সব মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ। আজ অর্থাৎ সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেও প্রথমে পার্থর জামিন সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। পরে পার্থর রিলিজ অর্ডার দেন। পার্থর সঙ্গে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যও। এতদিন পর পার্থর জেল মুক্তি! কী বলছেন রাজনীতিবিদরা?




'প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব', বঙ্কিমচন্দ্রের ২ বংশধরকে পাশে বসিয়ে বললেন শমীক
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পার্থ বেরনো নিয়ে তেমন কোনও বক্তব্য রাখেননি। তিনি বলেন, “আইনের বিষয়। যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোর্টে কোনও ব্যক্তি জামিনের আবেদন করে থাকেন, আর কোর্ট যদি মনে করে জামিন পেতে পারেন তাহলে তিনি আইন মতোই জামিন পাবেন।” উল্লেখ্য, এর আগে পার্থ গ্রেফতার হতেই কুণাল বলেছিলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রামাণ্য ও নথি তদন্তকারী সংস্থা কোর্টে জমা দেয় তাহলে দল সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে।”


তিনি যে জেল থেকে ছাড়া পেতে মরিয়া, তা আগের শুনানিতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ। গত ২৮ অক্টোবর মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে পার্থ বলেছিলেন, জেল থেকে ছাড়া পেতে প্রয়োজনে নিজেই সওয়াল করতে চান। তিনি বলেছিলেন, "আমার কেসে (গ্রুপ সি) ১৪ তারিখ (নভেম্বর) পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, যেভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।”


৩ বছর ৩ মাস পর জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন পার্থ
পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ফাইল ফোটো)

২০২২ সালের জুলাই থেকে জেলে রয়েছেন। সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিন্তু, একটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছিলেন না। অবশেষে সোমবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। আর সেই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষেই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেও প্রথমে পার্থর জামিন সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। পরে পার্থর রিলিজ অর্ডার দেন। পার্থর সঙ্গে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যও।



বদল হবে, বদলাও হবে: শুভেন্দু
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ইডি, সিবিআইয়ের সব মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির শেষ মামলাতে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের একটি শর্তের জন্য জেল থেকে এতদিন বেরতে পারেননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। গত ১৮ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জ গঠন করবে নিম্ন আদালত। তার পরে ২ মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দি নথিবদ্ধ করতে হবে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে পার্থকে জেল থেকে ছাড়া হবে।

গত শুক্রবার শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এদিন ফের ওই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনে মুক্ত হওয়ার আগে যতটুকু সাক্ষ্য গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল, সেই সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এদিন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রথমে পার্থর রিলিজ অর্ডার স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। পরে রিলিজ অর্ডার দেন। এই মুহূর্তে অসুস্থতার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। রিলিজ অর্ডার প্রেসিডেন্সি জেলে জমা পড়ার পরই ছাড়া পাবেন পার্থ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর।

তিনি যে জেল থেকে ছাড়া পেতে মরিয়া, তা আগের শুনানিতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ। গত ২৮ অক্টোবর মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে পার্থ বলেছিলেন, জেল থেকে ছাড়া পেতে প্রয়োজনে নিজেই সওয়াল করতে চান। তিনি বলেছিলেন, “আমার কেসে (গ্রুপ সি) ১৪ তারিখ (নভেম্বর) পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, যেভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।” সেই ১৪ নভেম্বরের আগেই অবশ্য শেষ হল সাক্ষ্য গ্রহণ। এবার জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পালা। তবে রাজনীতির ময়দানে তাঁকে আগের মতো দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। 


সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এসআইআর ইস্যুতে ফের সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, "আমি পরিষ্কার বলব, এই দু'মাসের মধ্যে এসআইআর সম্পূর্ণ সম্ভব নয়। এটা গায়ের জোরে বিজেপির কথা মতো করা হচ্ছে। আমি মনে করি বিজেপির বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।"


এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে তৃণমূল, মঙ্গলেই শুনানি
ফাইল ছবি


পশ্চিমবঙ্গে পুরোদমে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ফর্ম গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়িতেও। একদিকে যখন বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফর্ম দিচ্ছেন, তখন তৃণমূল পুরোমাত্রায় বিরোধিতা করে চলেছে। এবার সেই ইস্যুতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দুই সাংসদ মালা রায় ও সাংসদ দোলা সেন মামলা করেছেন শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তৃণমূল এসআইআর-এর বিরোধিতা করছে না। এসআইআর-এর প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে।



চলে যান এখান থেকে', নওশাদকে বললেন সাধারণ লোকজন
'কাজের সূত্রে অন্য দেশ থেকে মানুষ আসেন, আবার চলেও যান', যুক্তি দিলেন পরিবহণমন্ত্রী
তৃণমূলের মূল অভিযোগ হল, পরিকাঠামো ছাড়াই এসআইআর শুরু করে দেওয়া হয়েছে বাংলায়। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এছাড়া তৃণমূলের অভিযোগ, এসআইআরে বহু বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে বাংলায়।

সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এসআইআর ইস্যুতে ফের সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, “আমি পরিষ্কার বলব, এই দু’মাসের মধ্যে এসআইআর সম্পূর্ণ সম্ভব নয়। এটা গায়ের জোরে বিজেপির কথা মতো করা হচ্ছে। আমি মনে করি বিজেপির বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই জন্য দু’বছর সময় নিয়ে করা হোক।”

এর আগে এসআইআর-এর প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সাফ কথা, এসআইআর-কে হাতিয়ার করে এনআরসি করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বৈধ ভোটার বাদ গেলে যে রাজ্যের মানুষ যে ছেড়ে কথা বলবে না তাও দিন জোর দিয়ে বলেন তিনি।



নামখানা তে অনুষ্ঠিত হলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সাহিত্য সচেতনতা শিবির । ৯ অক্টোবর রবিবার মানববন্ধন সেবা সমিতির উদ্যোগে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির ও  দুস্থ অসহায় মানুষদের কলকাতার বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়।



এই  শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ভারতরত্ন  হৃদ রোগ স্পেশালিস্ট ডক্টরল সরকার, মনিপালের হার্ড বিশেষজ্ঞ, ডক্টর আনন্দ কুমার পান্ডে, এছাড়াও আরো বিশিষ্ট ডাক্তারবাবু এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য  অখিলেশ বারুই, নামখানা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিভাস সরকার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই বিষয়ে মানববন্ধন সেবা সমিতির সম্পাদিকা সুপ্রীতি খুটিয়া বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের


 মানববন্ধন সেবা সমিতির পক্ষ থেকে অনাথ পথশিশু ও ভবঘুরেদের খাবার ও শীতের বস্ত্র বিতরণ করে থাকি। এর পাশাপাশি আমরাা স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও করে থাকি আজ বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাবুদের নিয়ে আমরা হার্ট পরীক্ষা ও সচেতনতা শিবির করলাম। আজ প্রায়  ১০০ এর বেশি মানুষ, আমাদের  শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। আমরা ভবিষ্যতে এরকম  সমাজ সেবামূলক কাজ করে যাবো।
এই বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি বলেন।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
বন্দেমাতরম স্তোত্রের ১৫০ বছর পূর্তি পালন করা হলো রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলে


বন্দে মাতরম্ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৮২ সালে রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত একটি গান। সংস্কৃত-বাংলা মিশ্রভাষায় লিখিত এই গানটি বন্দনাগীতি এবং বাংলা মা তথা বঙ্গদেশের একটি জাতীয় মূর্তিকল্প। 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গানটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। কবিতাটি মাতৃভূমির প্রতি একটি স্তবক, যা পরবর্তী ছত্রগুলোতে দেশমাতৃকাকে দেবী হিসেবে ব্যক্ত করেছে।


 এই সঙ্গীতটি দ্বারা প্রাথমিকভাবে মূলত অবিভক্ত বঙ্গকে বোঝানো হয়েছিল, তাই "মা" চরিত্রটি বঙ্গমাতা হিসেবে ধরা হয়, যদিও পাঠ্যে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ১৮৯৬ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাওয়া হয় বন্দে মাতরম গানটি। উক্ত অধিবেশনে গানটি পরিবেশন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৫০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে" ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করলে বন্দে মাতরম্ গানটিকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় স্তোত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়।

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বন্দেমাতরম স্তোত্রের দেড়শ বছর পূরণ হল। সেই উপলক্ষ্যে এই বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করলেন রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার পাত্র ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের এনসিসি বাহিনী ও সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা। এই বিশেষ দিনে ট্রি প্লান্টেশন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার পাত্র ও এন সি সি ছাত্র ছাত্রীরা। 

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার

আশপাশে রয়েছে একাধিক দোকান। একাধিক বাড়ি। আচমকা বিস্ফোরণে ভয়ঙ্কর অবস্থা গোটা এলাকার। ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে।

যেন একটা মিসাইল আকাশ থেকে এসে ফাটল’, লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী
ব্যাপক আতঙ্ক শহরে


 ভর সন্ধ্যায় আচমকা বিস্ফোরণ কেঁপে উঠল রাজধানী। লালকেল্লা মেট্রোর ১ নম্বর গেটের কাছ থেকে এল বিস্ফোরণের খবর। বিস্ফোরণে ভাঙল একাধিক বাড়ি-দোকানেক কাছ। পুড়ে ছাই একাধিক গাড়ি। শেষ পাওয়া আপডেটে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে যে সময় বিস্ফোরণ ঘটে রোজকার মতো এদিনও সেই জায়গায় ব্যাপক জনসমাগম ছিল। তীব্র আতঙ্ক গোটা এলাকায়। এলাকারই বাসিন্দা রাধর পান্ডের বাড়ি খুব কাছেই। একরাশ আতঙ্ক নিয়ে তিনি বলছেন, “আমি তখন ছাদে দাঁড়িয়েছিলাম। তখনই খুব জোরে আওয়াজটা শুনতে পাই। আকাশে একটা বড়সড় আগুনের গোলা উঠে যেতে দেখি। গোটা এলাকা একেবারে দুলে ওঠে। শোনা মাত্রই ছুটে নিচে নেমে এসেছিলাম।”

অন্য এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মনীশ নামে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, “আমার দোকান এখান থেকে ২০০ মিটার দূরে। যখন বিস্ফোরণটা হয় তখন আমার পুরো দোকানটা কেঁপে উঠেছিল। পুলিশ তো অনেককেই উদ্ধার করে গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছে দেখলাম।” 




আশপাশে রয়েছে একাধিক দোকান। একাধিক বাড়ি। আচমকা বিস্ফোরণে ভয়ঙ্কর অবস্থা গোটা এলাকার। ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “এত জোরে আওয়াজ হয়েছে শুনে মনে হচ্ছিল একটা মিসাইল যেন আকাশ থেকে এসে ফাটল। আমি সোফায় বসেছিলাম। পুরো সোফা দুলে যায়। মাটি কেঁপে ওঠে। এসে দেখি কম করে ৬ থেকে ৭টা গাড়িতে আগুন লেগে যায়।” কিন্তু এই বিস্ফোরণের পিছনে ঠিক কোন কারণ তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর পিছনে কোনও নাশকতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা দিল্লিজুড়ে জারি হাই অ্য়ালার্ট। 

লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে বিস্ফোরণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সন্ধ্যার পর সেখানে তিলধারণের জায়গা থাকে না। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।


ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেহাংশ! দিল্লির বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু, আহত বহু
ঘটনাস্থলের ছবি


ভরসন্ধ্যায় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে দিল্লি। জোড়া গাড়িতে বিস্ফোরণের জেরে একাধিক মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে বিস্ফোরণের সূত্রপাত, আর তার জেরে একের পর এক গাড়ি, অটো, রিক্সা, বাইকে আগুন লেগে যায়। নিমেষের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সব। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সংখ্যাটা ২০-র বেশি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের গাড়ি থেকে দোকান সবই কেঁপে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সন্ধ্যার পর সেখানে তিলধারণের জায়গা থাকে না। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেছেন, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দেহাংশ।




ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, এনআইএ ও এনএসজি। স্নিফার ডগ নিয়ে পৌঁছেছে পুলিশ।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই জঙ্গি হামলার ঘটন ঘটে পহেলগাঁওতে। ভয়াবহ হামলায় মৃত্যু হয় পর্যটকদের। সেই ঘটনার জবাব দিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। এবার ফের এই ঘটনা। বিস্ফোরণের পর দেশের সব বড় শহরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তবে নাশকতার যোগ আছে কি না, সেই প্রমাণ এখনও মেলেনি।