আরএফডিএল এবং আই লিগ টু-র ম্যাচও খেলতে হচ্ছিল ডায়মন্ডহারবারকে। সে কারণেই সেই ম্যাচে খেলতে অসুবিধা ছিল ডায়মন্ডহারবারের। আইএফএ-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েওছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি।
কলকাতা লিগে আইনি লড়াই, আদালতের নির্দেশে ট্রফি আটকে
কলকাতা লিগের সূচি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি। আইএফএ-র বিরুদ্ধে আইনী পথে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ডহারবার এফসির। সেটাই করল তারা। লিগ নির্ধারণী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ডহারবার খেলার কথা ছিল। যদিও ইস্টবেঙ্গলকে ওয়াকওভার দেয় ডায়মন্ডহারবার। আরএফডিএল এবং আই লিগ টু-র ম্যাচও খেলতে হচ্ছিল ডায়মন্ডহারবারকে। সে কারণেই সেই ম্যাচে খেলতে অসুবিধা ছিল ডায়মন্ডহারবারের। আইএফএ-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েওছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি। এবার আইনি পথে কিছুটা হলেও ন্যায় পেল অভিষেকের ক্লাব।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা লিগের নির্ধারণী ম্যাচ ছিল। ডায়মন্ডহারবারের ১৪ তারিখের আরএফডিএলের ম্যাচ পিছিয়ে দেয় আইএফএ। কিন্তু ডায়মন্ডহারবারের অভিযোগ ছিল আইএফএ সেই সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে জানানোয় তারা কলকাতা লিগের নির্ধারণী ম্যাচে দল নামাতে পারবে না। ইস্টবেঙ্গল-ডায়মন্ডহারবার ম্যাচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। ওয়াকওভার দেওয়ায় পয়েন্টের দিক থেকে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। আইএফএ-র লিগ কমিটি ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে পারত। কিন্তু ট্রফির জন্য় অপেক্ষা করতে হবে।
আইএফএ-র বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ডহারবার এফসি। কলকাতা লিগের নিষ্পত্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। ফলে পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও এখনই কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন নয় ইস্টবেঙ্গল। আইএফএ-ও ঘোষণা করতে পারবে না। ১৯ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। ডায়মন্ডহারবার এফসির সহ সভাপতি আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আইএফএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু তারা তো আমাদের কথা শোনেনি। সে কারণেই আইনি পথে যেতে হয়েছিল। ১৯ মার্চ অবধি স্থগিতাদেশ পেয়েছি। এরপর বাকিটা দেখতে হবে।’
লিগ নির্ধারণী ম্যাচ হিসেবে যেটা দেখা হচ্ছিল, সেটা কি পিছনো যেত? আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সেই ম্যাচের আগেও গ্যাপ ছিল। আইএফএ চাইলে ম্যাচটা আগেও করিয়ে নিতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। সহজেই সেটা করতে হত। শুধু ইস্টবেঙ্গলের বিষয় নয়, মহমেডান ম্যাচটাও আমাদের জিততে হবে। তা হলে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। আমাদের বক্তব্য, সকল টিমকে সমান ভাবে দেখুক আইএফএ। সন্তোষ ট্রফির আগে ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান ও আমাদের ডাকা হয়েছিল। সে সময় যেহেতু অনেক প্লেয়ার বাংলা দলে ছিল, আমরা সকলেই বলেছিলাম, সন্তোষ ট্রফির পর খেলব সমস্যা নেই। পরে ডাকার কথা ছিল। কিন্তু আইএফএ আর সেটা করেনি। বিরাট একটা গ্যাপও ছিল। আইএফএ নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। এত ঘনঘন ম্যাচ খেলা সম্ভব ছিল না।’