WEATHER

Top News


আইপিএলের পরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর আগেও ভারত খেলেছে। ঘটনা হল, প্রস্তুতি ঠিকঠাক না হওয়া নিয়ে সে বারও আলোচনা হয়েছিল। এ বারও হবে। কিন্তু পূজারার মতো যাঁরা আইপিএল খেলেননি, তাঁরাও যে বাদ যাবেন না! হয়তো লোকে বলবেন, ওভালে ডোবালে পূজারা!

অফস্টাম্প কোথায়? পূজারার বোল্ড দেখে হতবাক ক্রিকেট দুনিয়াঅফস্টাম্প কোথায়? পূজারার বোল্ড দেখে হতবাক ক্রিকেট দুনিয়া

লন্ডন : আধুনিক ক্রিকেটে যে ক’জন টেস্ট অন্তঃপ্রাণ তাঁদের মধ্যে প্রথম ৩ এ থাকবেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। আইপিএলে টিম পান না। সাদা বলের ক্রিকেটে গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই লাল বল আঁকড়ে পড়ে থাকেন পূজারা। রাহুল দ্রাবিড় পরবর্তী জমানায় যদি কাউকে ‘দ্য ওয়াল’ বলতে হয় পূজারাকেই বলতে হবে। যখন সারা ভারত আইপিএলে মজে, যখন ক্রিকেট দুনিয়া বিউগলের ছন্দে নাচছে, তখন পূজারা ব্যস্ত থাকেন কাউন্টি খেলায়। নিজেকে শানানোর কাজ চালানোর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রাখাই একমাত্র ফোকাস হয় সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটারের। তাই ভারতের টেস্ট টিম যখন ঘোষণা হয়, তখন ১ নম্বরে থাকে পূজারার নাম। গত এক দশক ধরে এই পূজারাই ভারতকে (India) ভরসা দিয়েছেন। সেই তিনিই কিনা ওভালে আশ্চর্য বোল্ড হলেন। যা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া। বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওভালে ভারতের ফিরে আসার ট্রাম্প কার্ড ছিলেন পূজারা। বিলেতের স্যাঁতস্যাঁতে পিচ, আবহাওয়া, সুইং — এই তিন খুব ভালো বোঝেন। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পাহাড়প্রমাণ রান টপকানোর সোজাসাপ্টা অঙ্ক ছিল, একদিকে পূজারা মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। অন্যদিকে কাউন্টার অ্যাটাকের কাজ করবেন রোহিত-শুভমন-বিরাটরা। ওভালের দ্বিতীয় দিন দুপুর গড়াতে না গড়াতে ভারতের প্রত্যাশায় একরাশ জল ঢেলে দিয়েছেন দুই ওপেনার। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ফিরেছেন ১৫ করে। ‘আইপিএল প্রিন্স’ শুভমন গিল ১৩র গেরোয় ফেঁসেছেন। ক্রিজে তখন বিরাট আর পূজারা। প্রত্যাশা ছিল পূজারা রুখবেন, বিরাট মারবেন। কিন্তু এ কী করলেন পূজারা!

ক্রিকেটে বলা হয়, তিনটে স্টাম্প যিনি চেনেন, তিনি তত ভালো ব্যাটার। আরও টেকনিক্যালি বললে, যে ব্যাটার নিজের অফস্টাম্প চেনেন বা আগলে রাখতে জানেন, দিনের শেষে তিনিই সাফল্য পান। অন্তত টেস্ট ক্রিকেটে এটাই বেসিক। পূজারার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার বুঝতেই পারলেন না, তাঁর অফস্টাম্প কোথায়? ক্যামেরন গ্রিনের বল পড়ে ভেতরে এসেছিল। পূজারা খেলবেন কি খেলবেন না, রাখবেন কি ছাড়বেন, ভাবতে ভাবতে গ্রিন নিয়ে গেলেন তাঁর অফস্টাম্প। টেস্ট ক্রিকেটে অফস্টাম্প ব্যাটারের অহঙ্কারের জায়গা। সোজা কথায় বললে পূজারার অহংয়ে আঘাত করলেন গ্রিন। এমন বল টেস্টে হয়তো ১ হাজার বার খেলেছেন পূজারা। ভুল এক আধ দিন সবাই করেন। মুশকিল হল, খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মহা ভুল করে বসলেন পূজারা।


এই ওভালে যদি ভারত হারে রোহিতের টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া, স্মিথ-হেড জুটিকে মাথায় চড়তে দেওয়া এবং পূজারার অফস্টাম্প উপহার দেওয়া নিয়ে প্রবল সমালোচনা চলবে। ঘটনা হল, আইপিএলের পরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর আগেও ভারত খেলেছে। ঘটনা হল, প্রস্তুতি ঠিকঠাক না হওয়া নিয়ে সে বারও আলোচনা হয়েছিল। এ বারও হবে। 

ওভালে WTC ফাইনালের প্রথম দিন যে জুটি (ট্রাভিস হেড ও স্টিভ স্মিথের জুটি) ভারতের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন সেই জুটিকে আজ আরও বেশি আক্রমণাত্মক হতে দেননি সিরাজরা। শার্দূল-সিরাজরা দ্রুত তুলে নেন হেড-স্মিথের উইকেট।

IND vs AUS, WTC Final 2023 : প্রথম সেশনে ৪ উইকেট, সিরাজ-শার্দূলরা কি অজিদের ৪৫০-র মধ্যে আটকে রাখতে পারবেন?প্রথম সেশনে ৪ উইকেট, সিরাজ-শার্দূলরা কি অজিদের ৪৫০-র মধ্যে আটকে রাখতে পারবেন?
Image Credit Source: AFP
লন্ডন : বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final) প্রথম দিন অ্যাডভান্টেজে থেকে শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভারত (India) আপ্রাণ চেষ্টা করল ম্যাচে ফেরার। যার ফলে ওভালে WTC ফাইনালের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাকি থাকা ৭ উইকেটের ৪টি উইকেট সাবাড় করেছেন ভারতের বোলাররা। আর প্রথম সেশনে অজিরা স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছে ৯৫ রান। প্রথম দিন মাত্র ৩টি উইকেট তুলতে পেরেছিলেন সিরাজ-সামি-শার্দূলরা। ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রান তুলে প্রথম দিন অজিরা শেষ করেছিল। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই দ্রুত উইকেট তোলায় নজর ছিল মহম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুরদের। ওভালে WTC ফাইনালের প্রথম দিন যে জুটি (ট্রাভিস হেড ও স্টিভ স্মিথের জুটি) ভারতের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন সেই জুটিকে আজ আরও বেশি আক্রমণাত্মক হতে দেননি সিরাজরা। দিনের শুরুতে শার্দূল-সিরাজরা দ্রুত তুলে নেন হেড-স্মিথের উইকেট। বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


প্রথম দিনের শেষে ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টিভ স্মিথ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ৫ রান তুলে নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেন স্মিথ। দেখতে দেখতে ট্রাভিস হেডও ১৫০-র গণ্ডি পেরিয়ে যান। অবশেষে প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও ভারতকে উইকেট এনে দেন সিরাজ। ১৭৪ বলে ১৬৩ রান করে মাঠ ছাড়েন হেড। স্মিথের সঙ্গে জুটিতে হেড ২৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।

পঞ্চম উইকেটে স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন জুটিতে ওঠে ১৫ রান। দ্বিতীয় দিন অজিদের দ্বিতীয় ধাক্কা দেন মহম্মদ সামি। গ্রিন ফেরেন ৬ রান করে। এরপর ফের একটি বড় উইকেট আসে শার্দূলের ঝুলিতে। ওভালে WTC ফাইনালের প্রথম দিন শার্দূল ঠাকুর সেট ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারকে লাঞ্চ ব্রেকের আগে ফিরিয়েছিলেন। আজও একই ছবি দেখা গেল। লাঞ্চ ব্রেকের আগে ক্রিজে জমে যাওয়া স্টিভ স্মিথের উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে স্বস্তি দেন শার্দূল। ২৬৮ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। লাঞ্চ বিরতির আগে দিনের চতুর্থ উইকেট পায় ভারত। অস্ট্রেলিয়া সপ্তম উইকেট হারায়। রান আউট হন মিচেল স্টার্ক। পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন অক্ষর প্যাটেল। তাঁর ডিরেক্ট থ্রোয়ে অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম উইকেট হিসেবে ফেরেন মিচেল স্টার্ক। লাঞ্চ অবধি তাদের স্কোর ৪২২-৭। ক্রিজে অ্যালেক্স ক্যারি (২৭*) ও প্যাট কামিন্স (৫*)।


দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে স্টিভ স্মিথ ব্রডকাস্টার চ্যানেলকে জানিয়েছিলেন, অজি শিবিরের লক্ষ্য টি-ব্রেক অবধি খেলা চালিয়ে যাওয়া। তার পর সময় মতো ইনিংস ডিক্লেয়ার করা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত ট্রাভিস হেড ও স্মিথের উইকেট হারিয়ে ফেললেও প্রথম সেশনে বাকি থাকা ৭ উইকেট হারায়নি অজিরা। ফলে কামিন্সের দল তাঁদের পরিকল্পনার দিকেই এগোচ্ছে।

প্রথম দিনের শেষে ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনের সূচনা হল স্মিথের সেঞ্চুরি দিয়ে।

Steve Smith: 'আর্ট অফ লিভিং', আরও একটা টেস্ট সেঞ্চুরি স্টিভ স্মিথের
Image Credit Source: Twitter
লন্ডন: টেস্ট ইনিংস কেমন হয়! ট্রাভিস হেডের ব্যাটিংয়ে বিনোদন, উল্টোদিকে স্টিভ স্মিথের ক্লাস ইনিংস। দুটোই টেস্ট ক্রিকেট। ধৈর্যের পরীক্ষা। শট খেলা যেমন প্রয়োজন, তেমনই বল ছাড়াও। আর এই বল ছাড়া বা অন্য ভাবে বললে, ‘আর্ট অফ লিভিং’ স্মিথের চেয়ে আর কে ভালো দেখাতে পারেন! প্রয়োজনে স্টেপ আউট যেমন করেন, ভালো বলকে সম্মান দিয়ে ছেড়েও দেন। ইনিংসের শুরু থেকে সেটাই করেছেন স্টিভ স্মিথ। তাঁর ইনিংস দেখে মনে হতে পারে খুবই মন্থর। ভাবনার বিষয় যে সেই ইনিংস দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডভান্টেজ থাকা দেখে বলা যায়, মন্থর মনে হলেও স্টিভ স্মিথ উপযোগী একটা ইনিংস খেললেন। প্রথম দিনের শেষে ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনের সূচনা হল স্মিথের সেঞ্চুরি দিয়ে। হেডের পর স্মিথের শতরান। অর্ধশতরানে পৌঁছন ১৪৪ বলে। রয়ে সয়ে ব্যাটিং করে ২২৯ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছলেন। বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।



টেস্ট ক্রিকেটে যে কোনও টিমেরই ব্যাটিং পজিশনে চার নম্বর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টপ অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। সচিন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিরাও টেস্ট ক্রিকেটে এই পজিশনে ব্যাট করেছেন। বর্তমানে বিরাট কোহলি, জো রুট, স্টিভ স্মিথরা সেই ধারা বজায় রেখেছেন। চার নম্বরকে যেমন নতুন বল সামলাতে হতে পারে, তেমনই পুরনো বলও। কখনও দ্বিতীয় নতুন বল। সব রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা থাকে। মডার্ন ডে গ্রেটের মধ্যে অন্যতম স্টিভ স্মিথ। আরও এক বার প্রমাণ করলেন নিজের যোগ্যতা।

মাত্র ৭৬ রানে তিন উইকেট হারানোয় কিছুটা হলেও চাপে ছিল অজিরা। ভারতীয় বোলারদের কাছে সুযোগ ছিল অজিদের চাপ বাড়ানোর। কিন্তু স্টিভ স্মিথ তা হতে দেননি। এক দিক আগলে রেখেছেন। চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ২৮৫ রানের জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে চালকের আসনে পৌঁছে দিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। শতরানের পরও ধৈর্যে ইতি হয়নি। বরং আরও একাগ্র ব্যাটিং করছেন

 ওভালে ডিআরএস নাটক! রোহিত কী চাইছিলেন?
ওভালে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। মুখোমুখি রোহিত শর্মার ভারত ও প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজে ছিল অজিরা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত।

Rohit Sharma, WTC Final 2023 : ওভালে ডিআরএস নাটক! রোহিত কী চাইছিলেন?ওভালে ডিআরএস নাটক! রোহিত কী চাইছিলেন?
Image Credit Source: Twitter
লন্ডন : ওভালে চলছে ‘দ্য আল্টিমেট টেস্ট।’ ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার (IND vs AUS) মহারণ জমে উঠেছে। কোন দল হবে বিশ্বের সেরা টেস্ট টিম? এর জন্যই চলছে লড়াই। এই মহারণের মঞ্চে ভারতকে বেশ চাপে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়ার স্মিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের জুটি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে স্মিথ ও হেডের উইকেট তুলে নিয়েছেন সিরাজ-শার্দূল ঠাকুররা। চতুর্থ উইকেটে ২৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন স্মিথ-হেড। এ বার হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের মাঝে মজার কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ভারতীয় অধিনায়ক ডিআরএস নিতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটালেন, যা দেখে হেসে কুটোপাটি হলেন তাঁর সতীর্থরা। আসলে রোহিত কী করতে চাইছিলেন? বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


আসলে WTC ফাইনাল ম্যাচে অজিদের প্রথম ইনিংসের ৯৭তম ওভারে বল করতে আসেন মহম্মদ সামি। ওভারের শেষ ২ বলে তিনি অজি উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারিকে বেশ চাপে ফেলেছিলেন। ৯৭তম ওভারের পঞ্চম বলটি কেরির প্যাডে লাগে। সামি জোরাল আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন আম্পায়ার। ঠিক পরের বলেই ফের একই ঘটনা ঘটে। সে বারও আবেদন জানালে আম্পায়ার না বলেন। ওই সময় সকলকে চমকে দিয়ে রিভিউ নেওয়ার মতো অঙ্গভঙ্গি করেন রোহিত। যা দেখে তাঁর সতীর্থ থেকে শুরু করে ফিল্ড আম্পায়ারও অবাক হয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় রোহিতের ডিআরএস নেওয়ার মতো অঙ্গভঙ্গি। আইসিসির পক্ষ থেকেও সেই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। নেটিজ়েনরা তাতে মজার মজার কমেন্টও করেছেন।



৯৭তম ওভারের পর ড্রিঙ্কস ব্রেকের আগে এই ঘটনা ঘটে। তবে শেষ পর্যন্ত হাসতে হাসতে এগিয়ে যান রোহিত। হঠাৎ করে রোহিতের এমন কাণ্ড দেখে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পর লাঞ্চ বিরতি হয়।


উল্লেখ্য, চলতি টেস্ট ফাইনালে এর আগে প্রথম দিন রোহিতের একটি ডিআরএস নেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৭তম ওভার চলছিল। ওইসময় বল করছিলেন শার্দূল ঠাকুর। আর ব্যাটার ছিলেন মার্নাল লাবুশেন। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা এলবিডব্লিউ আউটের আপিল করেছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। তারপর শার্দূল ক্যাপ্টেন রোহিতকে DRS নিতে বলেন। এরপর রোহিত বোলারের পাশে যান এবং কিছু কথা বলার পর তিনি নিজের পিঠের পিছনে হাত নিয়ে যান এবং আম্পায়ারের কাছে ডিআরএর আবেদন করেন। সেই ভিডিয়ো ইন্সটাগ্রামে তুলে ধরেছে আইসিসি।



 ‘আমি নিজে তদারকি করব’, কীভাবে কাজ করবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’, জানালেন মমতা

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "পার্টির তরফে 'দিদিকে বলো' বলে একটি কর্মসূচি করা হয়েছিল। কিন্তু এটা রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি নয়। অনেকটা একইধরনের পরিষেবা, তবে সরকারি পরিষেবা।"

Mamata Banerjee Updates: 'আমি নিজে তদারকি করব', কীভাবে কাজ করবে 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী', জানালেন মমতামুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: রাজ্যের আমজনতার অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে এবার আরও বেশি তৎপর নবান্ন। শুরু করা হচ্ছে, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শোনার জন্য দলীয় স্তরে আগেই ‘দিদিকে বলো’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এবার সরকারি স্তরেও চালু করা হল অভাব-অভিযোগের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরও সহজে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া। এদিন দুপুরে এই নিয়ে নবান্ন সভাঘর থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও।


মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “পার্টির তরফে ‘দিদিকে বলো’ বলে একটি কর্মসূচি করা হয়েছিল। কিন্তু এটা রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি নয়। অনেকটা একইধরনের পরিষেবা, তবে সরকারি পরিষেবা। বাংলার মানুষ সরাসরি ফোন করে, যাঁর যা অসুবিধা রয়েছে, তা আমাকে জানাতে পারবেন। নম্বরটি হল ৯১৩৭০৯১৩৭০। সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত এই লাইন খোলা থাকবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এতদিন অনেকে চিঠি লিখে, ইমেল করে আমার কাছে অভিযোগ জানাতেন। সেটা এবার আরও সহজ হল। মানুষের কথা শোনার জন্য আরও আধুনিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫০০ কল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের ১০০ জনের বেশি ফিল্ড কর্মী থাকবেন। প্রতিটি অভিযোগ সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘হয়ত সরকার সবটা করতে পারে না, সবটা হাতে থাকে না। কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কী আছে!’
রাজ্যবাসী যে অনেক পরিষেবা থেকে কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখার জন্য পাচ্ছেন না, সেই কথাও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন মমতা। বললেন, ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা আমরা পাচ্ছি না। এখন কেন্দ্র এটা বন্ধ করে দিয়েছে। যখন চালু হবে, তখন আবার এটা করে দেওয়া হবে। নাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যখন আবার দিল্লিতে নতুন সরকার আসবে, তখন আমরা এই কর্মসূচি নেব।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তার কাজের টাকাও (কেন্দ্রের থেকে) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা প্রায় ১ লাখ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছি বাংলায়। এবারও আমরা রাজ্য সরকারের তরফে টাকার অভাব থাকা সত্ত্বেও ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছি।’
মমতা জানালেন, ‘অভিযোগ এলে তা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি নিজেও পুরোটা তদারকি করব। যাঁরা সচিব রয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি… শুধু অভিযোগ এসেছে, সেটা জানালাম… এমন করে দিলে হবে না। সব দফতরের সচিবদের এটি দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোনও আবেদন আপনাদের কাছে গেলে, সেটি আপনার নীচুতলায় পাঠিয়ে দিলেই আপনার দায়িত্ব শেষ হবে না। নীচুতলায় অনেকেই চেষ্টা করেন, ফাইল ফেলে রাখার। সেটা আপনাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনাদের নজরদারি করতে হবে।’
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মমতা বললেন, ‘ইমার্জেন্সি রোগীদের হাসপাতালের ভর্তির ক্ষেত্রে কিংবা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে একটি মেকানিজম তৈরি করুন।’
 মমতা বললেন, ‘মানুষ যাতে তাদের দাবি-দাওয়া অভাব-অভিযোগ জানাতে পারেন, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গ্রিভান্স সেল ২০১৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত এখানে ২২ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯৮.২০ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ, ৭-১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়েছে।’
জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে মমতার পরামর্শ যাতে তাঁরা বিএসকে কেন্দ্রগুলিতে মাঝে মধ্যে পরিদর্শনে যান। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে, বিডিও ও স্থানীয় থানার আইসিরা যাতে আগে পদক্ষেপ করেন, সেই বিষয়টির দিকেও নজর দেওয়ার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বললেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘প্রথমে যখন ঘটনা ঘটে, তখন স্থানীয় থানার আইসিরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু আইসি যদি তিন ঘণ্টা পরে যান, তখন ঘটনাটি অন্য রূপ নিতে পারে। থানার আইসিরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন। কিন্তু দুইজন পুলিশ নিয়ে চলে যাবেন, এটা যেন না হয়। দশটা গুন্ডা তৈরি হয়ে, পুলিশকে মারছে… এটা তো ভাল নয়। আপনার যা লোকবল রয়েছে, সেই লোকবল নিয়েই যেতে হবে। পরে প্রয়োজন হলে আরও লোক চেয়ে নেবেন।’

বৃহস্পতিবার গোটা দেশে ৫০টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। এর মধ্যে দু'টি মেডিক্যাল কলেজ পশ্চিমবঙ্গের। একটি কলকাতা সংলগ্ন সল্টলেক সেক্টর ফাইভে। অন্যটি নদিয়ার চাকদায়।

Medical College: একজোড়া নতুন মেডিক্যাল কলেজ পাচ্ছে বাংলা, সবুজ সংকেত স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরপ্রতীকী ছবি
কলকাতা ও নয়া দিল্লি: নতুন এক জোড়া মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) পাচ্ছে বাংলা। বৃহস্পতিবার গোটা দেশে ৫০টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। এর মধ্যে দু’টি মেডিক্যাল কলেজ পশ্চিমবঙ্গের। একটি কলকাতা সংলগ্ন সল্টলেক সেক্টর ফাইভে। অন্যটি নদিয়ার চাকদায়। দু’টি মেডিক্যাল কলেজ থেকেই এমএমবিএস কোর্স করা যাবে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রস্তাবিত আসন সংখ্যা ১৫০। তবে এই দুটি মেডিক্যাল কলেজ সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। সল্টলেকের মেডিক্যাল কলেজটি একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। নদিয়ার মেডিক্যাল কলেজটি ট্রাস্ট কিংবা পিপিপি মডেলে চালানো হবে।


এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে যে ৫০টি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়… এর পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, গুজরাট, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশও রয়েছে। এই ৫০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে ২৯টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। বাকিগুলির মধ্যে কোনওটি বেসরকারি, কোনওটি ট্রাস্ট আবার কোনওটি পিপিপি মডেলে চলবে। সবথেকে বেশি মেডিক্যাল কলেজ পাচ্ছে তেলাঙ্গানা। সে রাজ্যে মোট ১৩ টি মেডিক্যাল কলেজের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যার মধ্যে নয়টি সরকারি এবং চারটি ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রিত।


একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্যে ক’টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে –
অন্ধ্রপ্রদেশে ৫টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে
অসমে ৩টি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন
গুজরাটেও তিনটি মেডিক্যাল কলেজের জন্য সবুজ সংকেত
হরিয়ানায় নতুন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে দুটি
জম্মু ও কাশ্মীরেও দুটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে
কর্নাটকের তিনটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ প্রাপ্তি হচ্ছে
মধ্যপ্রদেশ পাচ্ছে একটি মেডিক্যাল কলেজ
মহারাষ্ট্রে চারটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের জন্য অনুমোদন
নাগাল্যান্ডে একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
ওড়িশা পাচ্ছে দুটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ
রাজস্থানে পাঁচটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে
তামিলনাড়ুতে ৩টি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন
তেলাঙ্গানায় ১৩টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে
উত্তর প্রদেশে একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
পশ্চিমবঙ্গে দুটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে

আঠারো নয়, এটা তেইশের বিজেপি, কেউ ভোট লুঠ করতে এলে তাকে আর হেঁটে ফিরে যেতে হবে না: সুকান্ত


এটা ১৮ নয়, ২৩-র বিজেপি (BJP), কেউ ভোট লুঠ করতে এলে তাকে হেঁটে ফিরে যেতে হবে না।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হুশিয়ারি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে গোটা রাজ্যের হাজারটি বুথে জনসভা করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বঙ্গ বিজেপি। তারই অংশ হিসেবে এদিন সকাল থেকেই হাওড়া সদর এবং গ্রামীণে একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিকালে সাঁকরাইল বিধানসভার অন্তর্গত মাশীলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসঙ্গু প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। 


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৮ জুলাই এক দফায় হতে চলেছে ভোট। ভোটের ফল ১১ জুলাই। হাতে মাত্র মাসখানেক সময়। এর মধ্যে শুক্রবার থেকে জমা দেওয়া যাবে মনোনয়ন। শেষ তারিখ ১৫ জুন।



বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ৮ জুলাই হবে ভোটগ্রহণ ও ১১ জুলাই হবে ফল প্রকাশ।

Panchayat Election 2023: মাত্র ৫ দিনে ৭৪ হাজার মনোনয়ন সম্ভব? ভোটের দিন ঘোষণার পরই প্রশ্ন বিরোধীদেরকমিশনের ঘোষণার পর প্রশ্ন তুলল বিজেপি
কলকাতা: দীর্ঘ জল্পনার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য ৯ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সেই ঘোষণার পরই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, এই সময়সীমার মধ্যেই পড়ছে শনিবার ও রবিবার। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ওই দিনগুলিতে কোনও কাজ হবে না বলেই দাবি তাঁদের। সে ক্ষেত্রে মাত্র ৫ দিন কেন ধার্য করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। অন্যদিকে, ভোটের দিন ঘোষণার আগে সর্বদলীয় বৈঠক কেন হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ৮ জুলাই হবে ভোটগ্রহণ ও ১১ জুলাই হবে ফল প্রকাশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।


ঘোষণার পরই টুইটে অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘বিরোধী দলগুলিকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করার জন্য এত কম সময় দেওয়া হয়েছে।’ এর মধ্যেই ‘কারচুপি’ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শাসক দলকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, ‘কেন ভোটের ভান করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট ঘোষণা করে দিলেই তো পারেন।’


অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমত, তাঁর অভিযোগ, ব্লক, জেলা বা রাজ্যস্তরে কোনও সর্বদলীয় বৈঠক না করে এই প্রথমবার কোনও ভোটের দিন ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি, ভোটের নিরাপত্তা ও মনোনয়নের মেয়াদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।

হিংসা বা সন্ত্রাসের কারণে যদি কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হন, তার দায় নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে নিতে হবে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

WB Panchayat Election: ৮ জুলাই একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন, ১১ জুলাই ফল প্রকাশরাজীব সিনহা
কলকাতা: সব জল্পনা শেষ। ঘোষণা হল পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। আগামী ৮ জুলাই হবে ভোটগ্রহণ। ঘোষণা করলেন নয়া নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই নির্বাচনী বিধি কার্যকর হচ্ছে। আগামিকাল, শুক্রবার থেকেই মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। আর মনোনয়ন তুলে নেওয়ার শেষ তারিখ হল ২০ জুন। একদফাতেই ভোটগ্রহণ হবে বলে জানানো হয়েছে। ১১ জুলাই প্রকাশ হবে ভোটের ফল।


কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে কমিশনার বলেছেন, ‘রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখা উচিত। সরকারি কর্মচারীরা আমাদের সহকর্মী। আমাদের উপর আস্থা রাখতে বলব।’

ভোট নিয়ে জল্পনা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছিলেন বিরোধীরা। এবার তাই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সে ব্যাপারে কোনও দিশা দেখায়নি।


মোট ২২টি জেলায় ভোটগ্রহণ হবে, তার মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এই দুই জেলায় দ্বিস্তরীয় নির্বাচন ও বাকি ২০টি জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

বিরোধীরা বারবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁদের দাবি, ভোট যখনই হোক না কেন, তাতে যেন কোনও সন্ত্রাসের ঘটনা না ঘটে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার চাইছিলাম ভোট ঠিক সময়ে হোক। তার জন্য বিজেপি প্রস্তুত আছে। ভোট না হলে কেন্দ্রের টাকা আসবে না, উন্নয়ন হবে না, মানুষ বঞ্চিত হবে।’

 একের পর এক ফ্রেম শেয়ার করলেন এদিন তিনি। লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। যশের সঙ্গে কখনও সে খুনসুটিতে ব্যস্ত, কখনও আবার সে নুসরতের সঙ্গে পোজ় দিচ্ছে।
Nusrat Jahan: 'মা-বাবা সারা জীবন তোমায় ভালবেসে যাবে...' সন্তানহারা নুসরতের আবেগঘন পোস্ট
নুসরত জাহান, তাঁর ছোট্ট পরিবার। যশ, ঈশান আর অভিনেত্রী তথা সাংসদ। পরিবারের গুরুজনদের নিয়ে ভালই চলছিল তাঁর সংসার। আর এই পরিবারের আরও এক সদস্য ছিল তাঁর ও যশের প্রিয় সারমেয়। অবসের যার সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতে তিনি। একাধিক পোজ় দিয়ে ছবিও তুলতেন তাঁর প্রিয় পোষ্যের সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎই থামল তার পথচলা। সেই খবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন তিনি। এই জুটির ছেলে ছিল এই সারমেয়। নিজের সন্তানের মতই তাকে আগলে রাখতেন নুসরত জাহান। ঘুরতেও নিয়ে যেতেন। একের পর এক ফ্রেম শেয়ার করলেন এদিন তিনি। লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। যশের সঙ্গে কখনও সে খুনসুটিতে ব্যস্ত, কখনও আবার সে নুসরতের সঙ্গে পোজ় দিচ্ছে।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিক কী লিখলেন নুসরত? ‘আমাদের ছেলে হ্যাপির স্মৃতিতে, আমাদের পরিবারে এখন একজনের অভাব। রাত দিন আমরা তা অনুভব করি। আমরা জানি এটা মেনে নিতে সময় লাগবে। তোমার সঙ্গে আমাদের একটা অংশ যেন চলে গিয়েছে। আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে তুমি কত সুখ কত আনন্দ এনে দিয়েছ। আমাদের সঙ্গে চলেছ প্রতিদিন। আজ হয়তো দেখা যাচ্ছে না, শোনা যাচ্ছে না, কিন্তু তুমি আমাদের সঙ্গেই রয়েছো। আজও ভালবাসি, আজও তোমার অভাব বোধ করি… সারা জীবন করব। আমাদের প্রিয় সন্তান। মা ও বাবা অপেক্ষায় থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা আরও একবার দেখা করছি। আমরা তোমায় খুব ভালবাসি। ‘

এই পোস্ট দেখা মাত্রই আবেগে ভাসল ভক্তরা। নুসরতের কাছে তাঁর এই প্রিয় পোষ্য কতটা কাছের ছিল, তা সকলেই জানেন। তাঁর ভক্তরা মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখতে পেত হ্যাপির। আজ সবটা অতীত। আজ আর সে পরিবারে নেই। সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এই খবর মেনে নিতে বহু ভক্তরই বেশ কষ্ট হল। নুসরত জাহান রবিবার বেলায় এমনই এক মন খারাপ করা খবর শেয়ার করে নিলেন সকলের সঙ্গে।
তাহলে লিও মেসি কেন নয়! এই প্রশ্নের মাঝে আরও কিছু জল্পনাও ঘুরছিল। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্ডেজ জানান, এই ক্লাবে মেসির ফেরার সুযোগ ৯৯ শতাংশ। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে মেসির যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার বেশ কিছু কারণও রয়েছে।

Lionel Messi : মেসি মালিকও! কেন মেজর লিগ সকারে ঝুঁকে...এই জার্সিতেই কি দেখা যাবে মেসিকে?
Image Credit Source: Twitter
কলকাতা : লিওনেল মেসির গন্তব্য কোথায়? পিএসজি-তে মরসুম শেষ হতেই এই প্রশ্ন জোরালো। ২০২১ সালে বার্সেলোনা থেকে প্যারিসের ক্লাবে সই করেছিলেন লিওনেল মেসি। দু-বছরের চুক্তি হলেও নবীকরণের রাস্তাও খোলা ছিল। কয়েক দিন আগেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিও মেসির। যদিও পিএসজি কিংবা মেসি, কেউই চুক্তি বাড়াতে আগ্রহ দেখাননি। পিএসজি-তে খেলার সময় সৌদি আরব ভ্রমণে গিয়েছিলেন লিও মেসি। তখন থেকেই নানা জল্পনা তাঁকে ঘিরে। পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো খেলছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে। কাতার বিশ্বকাপের পরই রেকর্ড অর্থে সৌদির ক্লাবে যোগ দেন রোনাল্ডো। তেমনই সৌদির ক্লাবে যোগ দিয়েছেন করিম বেঞ্জেমার মতো তারকা। তাহলে লিও মেসি কেন নয়! এই প্রশ্নের মাঝে আরও কিছু জল্পনাও ঘুরছিল। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্ডেজ জানান, এই ক্লাবে মেসির ফেরার সুযোগ ৯৯ শতাংশ। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে মেসির যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার বেশ কিছু কারণও রয়েছে। বিস্তারিত রইল -এর এই প্রতিবেদনে।


কাতার বিশ্বকাপের সময়ই এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল ডেভিড বেকহ্যাম এবং লিও মেসিকে। মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির অন্যতম কর্ণধার ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম। বিশ্বকাপের সময় মেসির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে আন্দাজ করা হয়েছিল। মেসির পাশাপাশি রোনাল্ডোকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির ব্র্যান্ড ভ্যালু আরও বেড়েছে। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল তাঁকে বিশাল অর্থের প্রস্তাব দিয়েছে। তেমনই এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামিও। সৌদির ক্লাব মেসির জন্য কয়েক বিলিয়ন খরচ করতেও রাজি বলে সূত্রের খবর।

বাংলাদেশে একদিকে চলছে তাপপ্রবাহের খেলা, সঙ্গী হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। আগেই প্রাথমিক স্কুলগুলির পঠনপাঠন বন্ধ করা হয়েছিল, বুধবার মাধ্যমিক স্তরের পঠনপাঠনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল বাংলাদেশ সরকার।

Bangladesh: গরমের জেরে বাংলাদেশে প্রাথমিকের পর বন্ধ মাধ্যমিক স্কুলওপ্রতীকী ছবি
ঢাকা: অসহনীয় গরমের সঙ্গী বিদ্যুৎ বিপর্যয়। বাংলাদেশকে এখন ‘লোডশেডিংদেশ’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। আশার কথা শোনাতে পারেনি সেই দেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। বরং জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে লোডশেডিং আরও বাড়বে। এই অবস্থায় বন্ধ রাখা হল বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বুধবার (৭ জুন), সেই দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে, মাধ্যমিক স্তরের সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেই প্রাথমিক স্কুলগুলির পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার একই পথে হাঁটল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা দফতরও।


প্রথম দফায় শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারই (৮ জুন) মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরের দুই দিন, অর্থাৎ, শুক্র ও শনিবার স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এরপরও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে, পরবর্তী সময়ে আরও লম্বা সময়ের জন্য পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য লোডশেডিং-এর বিপদের কোনও উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর থেকে দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা দফতরের মহাপরিচালক, অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণেই পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।

এর আগে সোমবার (৫ জুন), সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির প্রাথমিক শাখার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের পঠন-পাঠন বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছিল। তীব্র তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রক। প্রথমে শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিরই পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর পর কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের উদ্যোগেই ছুটি ঘোষণা করে। পরে, সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি স্কুলগুলির জন্যও একই নির্দেশ জারি করা হয়।


এদিকে, প্রচণ্ড গরমে এদিনই বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত ওই ছাত্রী, নাম উম্মে হাবিবা আক্তার। অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাবিবা। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, অসুস্থ হাবিবাকে তাঁর সহপাঠীরা অফিস রুমে নিয়ে এসেছিল। দুই শিক্ষক তাঁকে দ্রুত দাউদকান্দি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় অসুস্থ হাবিবার মুখ দিয়ে লালা ও ফেনা পড়ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর, হাবিবাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সেখানকার চিকিৎসকরা। কিন্তু, ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কিং কোহলি... রানমেশিন... এই সকল তর্জমা বিরাট কোহলির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে। ভারতের মাটিতে হোক বা বিদেশে ২২ গজে বিরাট মানেই দর্শকরা উচ্ছ্বাসে ভাসেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতের অন্যতম বড় ভরসা বিরাট কোহলি। ওভালে তাঁকে ঘিরে রয়েছেন অনুরাগীরা। সেই ছবি ভারতের ক্রিকেট প্রেমীদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।

Virat Kohli : রাজার দর্শনের অপেক্ষায়... ওভালে WTC ফাইনালে বিরাট ম্যানিয়ারাজার দর্শনের অপেক্ষায়... ওভালে WTC ফাইনালে বিরাট ম্যানিয়া
Image Credit Source: Twitter
লন্ডন : আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি যে দিন প্রথম প্যারিসে পা রেখেছিলেন, সেই দিন ওই দেশের সকলে ভিড় জমিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে। প্রেমের শহর প্যারিসে পৌঁছে এক হোটেলে উঠেছিলেন মেসি। লিওকে বিমানবন্দর থেকে হোটেল অবধি পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁর আপামর ভক্তরা। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দেওয়ার জন্য যে দিন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো প্রথম রিয়াধে পা রেখেছিলেন সে দিনও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা ২০০৮ সালে যখন প্রথম বার কলকাতায় এসেছিলেন, তাঁকে দেখার জন্য বিমানবন্দরে ভেঙে পড়েছিল পুরো শহর। এমন ঘটনা সব সময় হয় না। যে কোনও তারকার জন্য গোটা শহর, রাজ্য বা দেশ জড়ো হচ্ছে। ঠিক এই রকম ছবি এ বার দেখা যাচ্ছে ওভালে এবং তার চারপাশে। কয়েকজন ক্রীড়াবিদ থাকেন যাঁদের সামনে থেকে এক ঝলক দেখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন ফ্যানেরা। প্রিয় তারকাকে ছুঁয়ে দেখা হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু সামনে থেকে দর্শন তো পাওয়া সম্ভব। সেই দর্শনের আশায় বিরাট কোহলির (Virat Kohli) একাধিক ভক্ত ভিড় রোজ জমাচ্ছেন ওভালে। WTC ফাইনাল (WTC Final 2023) যেন উপলক্ষ্য। রাজ সন্দর্শনে হাজির হচ্ছেন ভক্তরা। মাথা নত করে কুর্নিশ জানাচ্ছেন তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের একাধিক ছবি ভাইরাল। যা দেখে অনেকেই বলছেন, ‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড যে দেশই হোক, বিরাট কোহলিকে নিয়ে সকলের উন্মাদনা থাকে সব সময় তুঙ্গে।’ বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।


কিং কোহলি… রানমেশিন… এই সকল তর্জমা বিরাট কোহলির সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। ভারতের মাটিতে হোক বা বিদেশের ২২ গজে, বিরাট মানেই বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতের অন্যতম বড় ভরসা বিরাট কোহলি। ওভালে তাঁকে ঘিরে রয়েছেন অনুরাগীরা। সেই ছবি ভারতের ক্রিকেট প্রেমীদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আইপিএল যদি শুধুই মহেন্দ্র সিং ধোনির হয়, তা হলে অনেকেই বলতে পারেন পুরো ক্রিকেটটাই বিরাট কোহলির। সচিন তেন্ডুলকর কিংবদন্তি। তিনি নিশ্চিত ভাবে ক্রিকেটের অন্যতম মুখ। তিনি দেখিয়েছিলেন ক্রিকেটে ব্র্যান্ডিং কীভাবে করতে হয়। দেশে তো বটেই বিদেশেও তিনি সমাদর পেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিকেটকে ব্র্যান্ডিংয়ের অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন বিরাট।

England, Australia, India and everywhere he goes, the love and respect Virat Kohli gets is unmatched pic.twitter.com/gWvsy8E5BU

— Pari (@BluntIndianGal) June 7, 2023

বিশ্ব ক্রিকেটে কোহলিকে নিয়ে উন্মাদনার অন্ত নেই। এ কথা যথার্থই সত্য। বর্তমানে জনপ্রিয়তার দিক থেকে কোহলির সঙ্গে মেসি-রোনাল্ডোর তুলনাও চলে। ইন্সটাগ্রামে বিরাট কোহলি এক সাম্রাজ্য তৈরি করে ফেলেছেন। ইন্সটাগ্রামে মেসি-রোনাল্ডোর জনপ্রিয়তা বিরাট। কিন্তু উপমহাদেশ বা ক্রিকেট বিশ্বের কথা বললে বিরাট কোহলি যেভাবে ইন্সটাগ্রামে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছেন, তা বেশ ঈর্ষণীয়।

Virat Kohli has receive love from everywhere, during IND vs AUS WTC Final at oval fans are going crazy for Virat, see pics
ওভালে বিরাট কোহলি। মুঠোফোনে দর্শকরা কিং কোহলির ছবি তুলে রাখায় ব্যস্ত। (ছবি-টুইটার)

ক্রিকেট মহলের দাবি, জনপ্রিয়তায় বিরাট কোহলিকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোনও ক্রিকেটার এখনও নেই। আর ২২ গজেও ফুল ফোটাতে ওস্তাদ তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে তাঁর নামে রয়েছে ৭৫টি শতরান। টেস্টে রয়েছে ২৮টি শতরান। এ বার দেখার WTC ফাইনালে কোহলি কেমন পারফর্ম করেন। যেহেতু ভারতের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া তাই এই ম্যাচে কোহলির দিকে বিশেষ নজর থাকবে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বরাবরই ভালো খেলেন কোহলি। ওভালে শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল। গত বারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু সে বার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেছিল ভারত। এ বার ফের টিম ইন্ডিয়ার সামনে সুযোগ টেস্টে বিশ্বসেরা হওয়ার।