WEATHER

Top News


মালদা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত মহিলার নাম, সামিনা খাতুন। স্বামীর নাম হজরত আলি। স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গিয়েছে মহিলা কামাক্ষ্যা থেকে নিউ ফারাক্কা স্টেশন পর্যন্ত যাচ্ছিলেন।


পুরী যাওয়ার ট্রেনে সাংঘাতিক ঘটনা, শিশু কোলে বসে থাকা মহিলার সাইড ব্যাগটা খুলতেই চোখ কপালে

 শুক্রবারই বালুরঘাট-শিয়ালদহ শাখার ট্রেন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। আর এবার রেলের এক মহিলা যাত্রীর কাছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক পেয়ে তাজ্জব রেল পুলিশ। পুরী যাওয়ার ট্রেনের যাত্রী ছিলেন ওই মহিলা। সন্দেহের বশে তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে এল নিষিদ্ধ মাদক।

প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার সহ ওই মহিলা যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাউন কামাক্ষ্যা-পুরী এক্সপ্রেস থেকে অভিযুক্তকে গ্ফতার করেছে মালদহ জিআরপি তথা রেল পুলিশ। পুলিশের কাছে খবর আগে থেকেই ছিল। সেইমতো ট্রেনটি মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছতেই তল্লাশি চালায় মালদা জিআরপি।

জেনারেল কামরা থেকে ওই মহিলা যাত্রীকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ব্রাউন সুগার। অভিযুক্তের সঙ্গে পাঁচ বছরের এক শিশুও ছিল। মহিলার সাইড ব্যাগের মধ্যেই মজুদ ছিল ব্রাউন সুগারের প্যাকেট।

মালদা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত মহিলার নাম, সামিনা খাতুন। স্বামীর নাম হজরত আলি। স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গিয়েছে মহিলা কামাক্ষ্যা থেকে নিউ ফারাক্কা স্টেশন পর্যন্ত যাচ্ছিলেন। মহিলার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায়। কামাক্ষ্যা থেকে ব্রাউন সুগারের প্যাকেট ফরাক্কায় নিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত মহিলা, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫৯৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তাঁর সঙ্গে আরও কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, তা মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কল্যাণী ঘোষের দরজায় মোহাম্মদ ইশান নামে এক তৃণমূলের কর্মী কাস্ট সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য যান।


 'রাতে কাপড় ছাড়ছি তখনই...', মহিলা পুরপ্রধানকেও 'ছাড়লেন' না TMC কর্মী
কল্যাণী ঘোষ, চেয়ারম্যান


বাড়ির নিচেই রয়েছে অফিস। সেই অফিসে প্রয়োজনীয় কাজ সারেন খড়গপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষ। শুক্রবারও তেমনই কাজ করছিলেন। রাত হয়ে যাওয়ায় অফিস বন্ধ করে বাড়ি যান তিনি। তবে কাস্ট সার্টিফিকেটে সই করানোর জন্য অফিসে হাজির এক তৃণমূল কর্মী। পুরপ্রধান বলেছিলেন পরে আসতে। ব্যাস তাতেই চড়ল রাগ। মহিলা পুরপ্রধানকে ছাড়লেন না তৃণমূল কর্মী। চলল হেনস্থা। এমনকী তাঁকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষের সঙ্গে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কল্যাণী ঘোষের দরজায় মোহাম্মদ ইশান নামে এক তৃণমূলের কর্মী কাস্ট সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য যান। কল্যাণীকে ফোন বলেন, “কাস্ট সার্টিফিকেটে সই করুন।” পুরোপ্রধান বলেন, “পরের দিন সকালে নিয়ে যেও।” অভিযোগ, এরপর হঠাৎই ফোনের মধ্যে মোহাম্মদ ঈশান নামে ওই তৃণমূল কর্মী গালিগালাজ করে পুরো প্রধানকে।

এমনকী পৌঁছে যান এরপর কল্যাণীর বাড়ি। চেয়ারম্যান বাড়ির দরজা খুললে তাঁকে ধাক্কা দেয় ওই তৃণমূল কর্মী। এলাকার লোকজন অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গতকাল রাতে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরোপ্রধান। চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষ বলেন, “রাত তখন ১০টা ২৫ আমি অফিস বন্ধ করে ঘরে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করছি। নিচ থেকে ফোন করছে আপনি আসুন এক্ষুনি। সই করতে হবে। আমায় বলছে কাস্ট সার্টিফিকেটে সই করতে হবে। আমি বললাম এত তো দ্রুততা নেই। আমি মোবাইল রেখে কথা বলছি আর কাপড় পরছি। শুনতে পারছি ফোনে গালাগালি দিচ্ছে। এত জোরে জোরে গালিগালাজ করছে সেটা শুনে আশপাশের সকলে চলে এসেছে। আমি নিচে এসেছি আমায় ধাক্কা মারছে।”


আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে ডাউনটাইম চলছে। আগামী এক ঘণ্টার জন্য ওয়েবসাইটে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে। তাই আপাতত কোনও ই-টিকিটের সুবিধা পাওয়া যাবে না।


হঠাৎ বন্ধ IRCTC-র ওয়েবসাইট, চরম সমস্যায় যাত্রীরা, কী হল?
ফাইল চিত্র।


সপ্তাহের প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তি। বন্ধ আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট। সম্পূর্ণ অকেজো ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের ওয়েবসাইট। এর জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। করা যাচ্ছে না টিকিট বুকিং। কোনও অভিযোগও জানানো যাচ্ছে না।

জানা গিয়েছে, আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে ডাউনটাইম চলছে। আগামী এক ঘণ্টার জন্য ওয়েবসাইটে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে। তাই আপাতত কোনও ই-টিকিটের সুবিধা পাওয়া যাবে না। যাত্রীদের কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।

টিকিট বুকিং করতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে যারা তৎকালে টিকিট বুকিং করছিলেন, তারা চিন্তায় রয়েছেন যে আদৌ ওয়েবসাইট চালু হবে কি না। চালু হলেও, কতক্ষণে হবে এবং তখন আর তৎকালের টিকিট পাওয়া যাবে নাকি।

এক বাংলাদেশি সেখানকার ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, "এই ধরনের কথা তো বাংলাদেশে সমস্যা বাড়াচ্ছে। বর্তমান অবস্থা ভীষণ খারাপ। সব মুসলমানরা তো বলছে না। ওখানে একটা গোষ্ঠী এরকম করছে। 

শুনছি কলকাতা দখল করবে। এতে জটিলতা আরও বাড়ছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সমস্যা আরও বাড়ছে ওখানে। ২০ জনের মধ্যে একজন ভালো থাকলে তো হবে না।"

উদ্দেশ্যটা ভাল না, যা দেখে এলাম...', কলকাতাকে কীভাবে দখলের ছক কষছে ওরা? ফ্লাইটে নয়, বাংলাদেশ থেকে কোনওক্রমে ভারতে ঢুকেই দিলেন 'ক্লু'
ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন পাল


উত্তর ২৪ পরগনা: ‘চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব…’ এই ধরনের বিক্ষিপ্ত কথা বলে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল করছে। মনে করছেন বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষজন। তবে কি বাংলাদেশ কোনও জটিল পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে? পেট্রাপোল পেরিয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশীদের মুখে শোনা গেল আতঙ্কের কথা।

এক বাংলাদেশি সেখানকার ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, “এই ধরনের কথা তো বাংলাদেশে সমস্যা বাড়াচ্ছে। বর্তমান অবস্থা ভীষণ খারাপ। সব মুসলমানরা তো বলছে না। ওখানে একটা গোষ্ঠী এরকম করছে। শুনছি কলকাতা দখল করবে। এতে জটিলতা আরও বাড়ছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সমস্যা আরও বাড়ছে ওখানে। ২০ জনের মধ্যে একজন ভালো থাকলে তো হবে না।”

বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন চিকিৎসা করাতে। ওপার বাংলার একজন সাধারণ গৃহবধূ। সীমান্তের সামনে দাঁড়িয়েই বললেন, “বাংলাদেশে থাকা যায় না। কলকাতা দখলের কথা বললেই কী হল নাকি। ওরা তো ভারতের কাছে শিশু। আতঙ্ক, উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এটা কোনও রাষ্ট্রের পক্ষেই ভালো হচ্ছে না।”

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন পাল। তিনি বললেন, ‘ওঁদের উদ্দেশ্যটা ভালো না।’ পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “চোরা গুপ্ত ভাবে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি হচ্ছে, ডাকাতি করছে। বিশেষ করে হিন্দুদের ঘরে। মেয়েরা বেরোতে পারছে না। বাজারেও যেতে পারছে না। চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়ে আসলে ওরা জটিলতা বাড়াচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যটা ভালো না। যা দেখলাম। ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে মনে করছে এসব করছে।”

বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে ভারত বিরোধিতা। এই পরিস্থিতিতে একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন। কলকাতা দখল করে ভারতের মানচিত্র বদলে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে নিত্য ভারতে আসছেন অনেকে। কিন্তু অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। মানুষ আতঙ্কে কথা বলতে সাহস পারছেন না। কিন্তু যাঁরা বলছেন, তাঁরা সাহস করেই বলছেন, এই বিক্ষিপ্ত বাগযুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। বন্ধ না হলে আরও বেশি জটিলতা বাড়বে।

শান্তি ফেরানোর জন্য বাংলাদেশের সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। কথা বলতে বলতে গিয়েও তাঁদের মুখে অসহায়তা ফুটে উঠছে। ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষজনের চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভাল নেই।

ধূপগুড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিপালী সরকারের চার বছর আগে বিয়ে হয় গোসাইহাট এলাকার বাসিন্দা নির্মল সিংহের সঙ্গে। আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, প্রায়ই তাঁর স্বামী মত্ত অবস্থায় মারধর করতেন।


পাড়ার গলির মুখেই স্ত্রীকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন, আর তারপরই... নিজের স্ত্রীর সঙ্গেই রাস্তায় কেন এমনটা করলেন স্বামী! কানাঘুষো পড়শিদের
নির্যাতিতার মা


স্বামীর সঙ্গে নিত্য অশান্তিতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। পুজোর আগে তিনি বাপেরবাড়ি চলে আসেন। সেখানেই থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু সে নাপসন্দ ছিল স্বামীর। স্ত্রী যখন কাজে যাচ্ছিলেন, তখন রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। স্ত্রীকে দেখা মাত্রই পিছন থেকে হামলা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিনেমা হল পাড়া এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিপালীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিপালী সরকারের চার বছর আগে বিয়ে হয় গোসাইহাট এলাকার বাসিন্দা নির্মল সিংহের সঙ্গে। আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, প্রায়ই তাঁর স্বামী মত্ত অবস্থায় মারধর করতেন। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করতেন। এখন কি গাছে বেঁধেও নির্মম অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। সেই কারণে পুজোর আগে দিপালীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন বাপেরবাড়ির সদস্যরা।

বাড়ি ফিরে নিজের খরচ চালানোর জন্য সুপারের খোলানে কাজ করতেন দিপালী। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময়ই দিপালীর উপর তাঁর স্বামী পিছন দিক থেকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দিপালী। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধুপগুড়ি মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর মাথায় সাতটি সেলাই পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।

সাত সকালে,স্বামীর অত্যাচারের কারণে তিতি বিরক্ত হয়ে স্ত্রী দিপালী সরকার বাপের বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পুজোর আগে। এখানেই থাকছিলেন, আজ সকাল বেলা যখন দিপালী সুপারি খোরানে কাজ করতে যাচ্ছিলেন সেই সময় রাস্তার পাশে ঝোপে ধারালো অস্ত্র নিয়ে লুকিয়ে ছিলেন তার স্বামী। তার কাছাকাছি পৌঁছাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাথার পেছনে কোপ বসিয়ে দেয়। রাস্তার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিনেমা হল পাড়া এলাকায়।

জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে রবিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রীত দুষ্কৃতীদের দ্বারা এই হামলায় আহত হন শ্রীকান্ত মণ্ডল এবং শ্রীমন্ত দুই ভাই। তাঁরা দুজনেই তৃণমূলকর্মী।

নন্দীগ্রামে নির্বাচনে জয় তৃণমূলের, তারপরই বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে 'খুন'
নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী


 তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ব্যাঙ্কের নির্বাচন। যা পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহৎ কৃষি সমবায় ব্যাঙ্ক বলা চলে। জেলা জুড়ে এই নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক জয়। আর নন্দীগ্রামে বিজেপির জয় জয়কার। আর নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে জয়ের পরেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বাড়িতে ঢুকে খুনের অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীর পেটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল। তিনি নন্দীগ্রাম ১ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে রবিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রীত দুষ্কৃতীদের দ্বারা এই হামলায় আহত হন শ্রীকান্ত মণ্ডল এবং শ্রীমন্ত দুই ভাই। তাঁরা দুজনেই তৃণমূলকর্মী।

রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে মারধরও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । শ্রীমন্তের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য ভোরে মৃত্যু হয় শ্রীকান্তের। যদিও বিজেপি এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয় বলেই সাফ জানিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনায় বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। এটা তৃণমূলেরই অভ্যন্তরীণ সমীকরণের ফল।

প্রচার পুস্তিকায় হিজবুত তাহরীরের সংগঠনের তলায় মুসলিম ঐক্য তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে ভারতকে 'শত্'রু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে দুই পাতার প্রচার পুস্তিকায়।


ভারতকেই 'শত্রু' বলে অবাধ প্রচার, খাস ঢাকাতেও জোর সওয়াল, তারপরও চোখ বাঁধা ইউনূসের!
বাংলাদেশে লিফলেট বিলি হচ্ছে


সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বয়কট করার ডাক দিচ্ছেন অনেকেই। ভারতে দাবি উঠেছে, বাংলাদেশে রণ্য রফতানি করা বন্ধ করে দেওয়া হোক। আর সে সবের পরোয়া না করে বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার ডাক আরও জোরাল করা হচ্ছে। ভারতকে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষণার ডাক দিয়ে এবার লিফলেট বিলি হচ্ছে বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সে সব লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। আজ, সোমবার বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তার আগেই এই ছবি ধরা পড়ল বাংলাদেশের রাস্তায়।

ভারতকে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষণার ডাক দিয়ে ওই লিফলেট ছাপিয়েছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। রাজধানী ঢাকাতেও রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে কাগজগুলি। প্রচার পুস্তিকায় হিজবুত তাহরীরের সংগঠনের তলায় মুসলিম ঐক্য তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে ভারতকে ‘শত্’রু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে দুই পাতার প্রচার পুস্তিকায়।

দক্ষিণ এশিয়ায় ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে বলে দাবি করা হয়েছে। যে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিল, যে ভারতের উপর এখন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে, সেই ভারতকেই শত্রু বলে ঘোষণা করার ডাক উঠছে, আর সরকার চুপ! মৌলবাদী আগ্রাসন রুখতে ইউনূস সরকারের সদিচ্ছা আসলে কতটা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।



ডায়মন্ডহারবারে এলো মোহনবাগানের প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জোস ব্যারেটো

৮ই ডিসেম্বর রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবারের আলিঙ্গন ক্লাবের পরিচালনায় ৩২ তম আলিঙ্গন কাপ ২০২৪-এর ফাইনাল ম্যাচ ছিল,তাই ফাইনাল ম্যাচের আগে ডায়মন্ডহারবারের স্কুল মাঠের নেতাজি স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান মোহনবাগানের প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জোস ব্যারেটো,এদিন ডায়মন্ড হারবারের ওই স্কুল মাঠে জোস ব্যারেটোকে দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক ওই মাঠে উপস্থিত ছিল
এদিন ফাইনাল খেলার আগের মুহূর্তে মাঠে নেমে দর্শকদের স্লোগানে গলা মিলিয়ে জয় মোহনবাগান স্লোগান দিলেন এবং ফুটবল পায়ে নিয়ে ফুটবল স্কিল দেখালেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জোস ব্যারেটো,এর পাশাপাশি এদিন ডায়মন্ডহারবারের স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জোস ব্যারেটো আমাদের কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার সামনে কি বললেন শুনুন

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল



Forgotten about the seventy-two, the warning of ex-servicemen in troubled Bangladesh
Ex-servicemen of Bangladesh warn India



 অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত জুলাই মাস থেকে উত্তপ্ত হয়। তার পর গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিকবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। তাতে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের। এবার ভারতের বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা।

শনিবার ঢাকায় মিছিল করেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের একাংশ। সেই মিছিলেই ভারতের বিরুদ্ধে সরব হন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। প্রাক্তন এক সেনাকর্মী বলেন, “আমরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নিয়েছিলাম। সেই শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। দেশের এই পরিস্থিতিতে জাতিকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।”

বাহাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সেকথা ভুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথের সিংয়ের নাম উল্লেখ করে বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনাকর্তা বলেন, “আপনারা বাংলাদেশের ৭২ সালের যে সেনাবাহিনী দেখেছেন, বাংলাদেশের সেই সেনাবাহিনী এখন আর নেই। আমরা এখন যুদ্ধোপযোগী এবং যেকোনও শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত।”

রণবীর কাপুরের সঙ্গে সহবাসের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে বিন্দুমাত্র পিছু পা হননি তিনি। জানিয়েছিলেন রণবীর কাপুর বারে বারে শারীরিক সম্পর্কের টানে তাঁর কাছে আসতেন, আর তিনি তা বুঝতে না পারায় বারে বারে ঠকতে হয়েছিল তাঁকে।
সহবাসে আক্ষেপ! চোখে জল দীপিকার, রণবীরকে নিয়ে এ কোন যন্ত্রণা?


রণবীর কাপুরের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ইতি, এক সঙ্গে অনেক সময় কাটানো। অবসাদ কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছুটা সময় নিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। বারে বারে জানিয়েছিলেন, বিশ্বাস করে ঠকতে হয়েছিল তাঁকে। রণবীর কাপুরের সঙ্গে সহবাসের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে বিন্দুমাত্র পিছু পা হননি তিনি। জানিয়েছিলেন রণবীর কাপুর বারে বারে শারীরিক সম্পর্কের টানে তাঁর কাছে আসতেন, আর তিনি তা বুঝতে না পারায় বারে বারে ঠকতে হয়েছিল তাঁকে।

কারণ তাঁর কাছে শারীরিক সম্পর্কের সংজ্ঞাটার ছিল আলাদা। নিজেকে উজার করে কাউকে ভালবাসাটা অপরাধ নয়। আর দীপিকার কথায়, শারীরিক সম্পর্ক কেবল তাঁর কাছে ফান মোমেন্ট নয়। বরং আবেগও বটে। মানসিকভাবেও একজনের সঙ্গে একাত্ম হওয়া। এতে যদি ঠকতে হয়, তাঁর কথায় তিনি ভুল কিছু করেননি। যে সম্পর্কে ছিলেন, তার সঙ্গে তিনি ন্যায় করছিলেন মাত্র। এর বাইরে তখন কিছুই ভাবেননি দীপিকা। যদিও পরবর্তীতে তা নিয়ে আক্ষেপ করতে পিছু পা হননি। এক সাক্ষাৎকারে দীপিকার চোখ বেয়ে নেমে এসেছিল জল। কাঁদতে শুরু করে জানিয়েছিলেন, এর থেকে একা থাকা অনেক বেশি সুখের।

বর্তমানে তা অতীত, অবসাদ কাটিয়ে এখন তিনি দিব্য আছেন সিনেদুনিয়ার ওপর সুপারস্টার রণবীরের সঙ্গে। বর্তমানে রণবীর কাপুরের সঙ্গেও বেশ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এই সেলেব। কথা বলেন, যোগাযোগও হয়। অতীত এখন মলিন।

অভিষেকপন্থী বলে পরিচিত সৌগতর মুখেও নেই অভিষেকের নাম। বললেন "এ কথা বরাবরই জানা ছিল দলে শেষ কথা মমতাই।" তবে উত্তরসূরী প্রসঙ্গও এড়িয়ে গেলেন সৌগত। মমতা বিতর্কিত বা নতুন কিছুই বলেননি। সাফ মন্তব্য সৌগতর।

 উত্তরসূরি কে? সোজাসুজি জানিয়ে দিলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


উত্তরসূরি বাছাইয়ের প্রশ্নে দলগত সিদ্ধান্তকে আরও গুরুত্ব তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সরাসরি অভিষেকের নাম এড়ালেন তৃণমূল নেত্রী। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর, ৮ মাসে কিছুটা বদলে গেল মমতার জবাব। এপ্রিলে উত্তরসূরি প্রসঙ্গে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেন মমতা। “দল ঠিক করবে” বলেও অভিষেকের রাজনৈতিক বোধের তারিফ করেন মমতা। অভিষেক “দলের ডেডিকেটেড সোলজার”, এপ্রিলে মমতার মুখে শোনা গিয়েছিল এ কথাও। ১৬ এপ্রিল টিভি ৯ বাংলার সাক্ষাৎকারে মমতা বলেছিলেন, “ছোটবেলা থেকে ওকে তৈরি করেছি। ইয়ং জেনারেশনকেও তো দরকার। আমি তিনটে জেনারেশন তৈরি করে দিয়েছি। এটা আমার গর্ব। এই জেনারেশন যদি তৈরি করতে না পারি তাহলে আমার স্বপ্নের তৃণমূল কংগ্রেসকে কে রক্ষা করবে? আমি তো চাই আমার জোড়াফুলটা থাকবে। মা-মাটি-মানুষ স্লোগানটা থাকবে।”  

যদিও উত্তরসূরী প্রসঙ্গে এখন শুধুই “দলগত সিদ্ধান্তের” কথা মমতার। মমতার উত্তরসূরি ঠিক করবে দলই। অভিষেকে ‘নীরব’ মমতা পুরোটাই ছাড়লেন দলের উপর। তবে একবারও নাম নিলেন না অভিষেকের। সঙ্গে দেন ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তাও। এও বললেন, “যদি মনে করি আমি একাই সব, সেটা ঔদ্ধত্যের পরিচয়। আমি নয় আমরায় বিশ্বাস করি। দল যৌথ পরিবার।” 

অন্যদিকে অভিষেকপন্থী বলে পরিচিত সৌগতর মুখেও নেই অভিষেকের নাম। বললেন “এ কথা বরাবরই জানা ছিল দলে শেষ কথা মমতাই।” তবে উত্তরসূরী প্রসঙ্গও এড়িয়ে গেলেন সৌগত। মমতা বিতর্কিত বা নতুন কিছুই বলেননি। সাফ মন্তব্য সৌগতর। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক আঙিনায়। দলের প্রবীণ নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে, অভিষেকের হয়ে ব্যাট ধরে শোকজ নোটিস এসেছিল ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কাছে। এমতাবস্থায় ছাব্বিশের ভোটের মুখে মমতার এই মন্তব্য বিশেষভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। 

একসময় সিপিএমের রাজনীতি করে আসা ঋতব্রত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকৃত বামপন্থী বলে মনে করেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থী।" কিন্তু কেন? সেই উদাহরণও তুলে ধরলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা।


 'কোনও টাকা দিতে হবে না', মমতার বামপন্থার 'প্রমাণ' দিলেন ঋতব্রত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বামপন্থার 'প্রমাণ' তুলে ধরলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
 

একসময় সিপিএমের টিকিটে রাজ্য়সভার সাংসদ হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হন। তৃণমূলের টিকিটে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তিনি। আর রাজ্য়সভার টিকিট পেয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন। একইসঙ্গে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রকৃত বামপন্থী।

একসময় সিপিএমের রাজনীতি করে আসা ঋতব্রত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকৃত বামপন্থী বলে মনে করেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থী।” কিন্তু কেন? সেই উদাহরণও তুলে ধরলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা। বললেন, “২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটা প্রকল্প ছিল এসএসওয়াই। সেই প্রকল্পে একজন ঠেলাওয়ালা যদি মাসে ৩০ টাকা দেন, তবে সরকার দিত ২৫ টাকা। সবমিলিয়ে জমা পড়বে ৫৫ টাকা। আর যদি ঠেলাওয়ালা তা না দিতে পারেন, প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। বামেদের সময় মাত্র ৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এটা হতে পারে না। একজন ঠেলাওয়ালাকে মাসে ৩০ টাকা দেবে, তবে সরকার ২৫ টাকা দেবে। কোনও টাকা দিতে হবে না। পুরো টাকাটাই দেবে সরকার। টাকা জমাবে। প্রফিডেন্ট ফান্ড নেই তো কী হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। ৬০ বছর বয়স হলে ২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা পাবেন। এটাই বামপন্থা। বামপন্থা বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আলিমুদ্দিনের দস্তাবেজের মধ্যে বামপন্থা থাকে না।”

বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে একদিকে যেমন কাকদ্বীপের পথে নেমেছে সনাতনী হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা ঠিক তেমনি পথে নেমেছে সিপিআইএম নেতৃত্বরা। 

যেভাবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে একের পর এক আক্রমণ নেমে আসছে তারই প্রতিবাদে এদিনের এই মিছিল বলে জানা যায়।

 একদিকে যেমন সনাতনী হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে হাজার হাজার সনাতন হিন্দু প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঠিক তেমনি অবিলম্বে রাজ্য তথা দেশের সরকারকে এই সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে যেভাবে বাংলাদেশের আক্রমণ শানানো হচ্ছে তার ব্যবস্থা নিতে হবে এই দাবীকে সামনে রেখে সিপিআইএম নেতৃত্বরা প্রতিবাদ মিছিল করেন।

 


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার