June 2023

মাঠে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় কম দেখে কিছুটা কি বিরক্ত হলেন বাবুল? সভাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার পরও মঞ্চে উঠতেই চাইলেন না শুরুতে। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে সেই সময়।

Panchayat Election 2023: ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা বাবুলের, শোনার লোক কোথায়? ভিড় জমাতে ঠায় অপেক্ষা মন্ত্রীরবাবুল সুপ্রিয়
Image Credit Source: নিজস্ব চিত্র
ধূপগুড়ি: ভোটের প্রচারে (Panchayat Election 2023) জেলায় জেলায় ঘুরছেন নেতারা। শাসক-বিরোধী সব পক্ষই ভোট প্রচারের ময়দানে। ঘুরছেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। শুক্রবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে নির্বাচনী প্রচার সভা ছিল তাঁর। কিন্তু সেখানে লোক কই! মাঠে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় কম দেখে কিছুটা কি বিরক্ত হলেন বাবুল? সভাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার পরও মঞ্চে উঠতেই চাইলেন না শুরুতে। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে সেই সময়। ধমকও দিলেন। যদিও পরে সভামঞ্চে ওঠেন তিনি বক্তব্য রাখেন। কিন্তু শাসক দলের নির্বাচনী প্রচারে এত কম ভিড় কেন?


সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে তার সাফাইও দেন বাবুল। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় বাবুল বললেন, যখন তিনি এসেছিলেন, তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। সভা প্রায় ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার জোগাড়। সেই কারণেই তিনি তখন স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। বাবুল চাইছিলেন আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে। তবে বাবুলের দাবি, বৃষ্টি থামার পর কর্মসূচি ঠিকঠাকভাবেই হয়েছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি নেতাদের বলছিলেন চা-সিঙাড়া নিয়ে আসতে। ততক্ষণ তিনি অপেক্ষা করবেন, আর মাইকে ঘোষণা শুনে লোকজন এমনিতেই এসে ভিড় করবে। সভার মাঠে ভিড় না হওয়া নিয়ে বাবুল অবশ্য আবহাওয়াকে দায়ি করছেন। বলছেন, ‘বৃষ্টির সময় এটুকু হতেই পারে।’



সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ মহম্মদ হোসেনের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের ফলেই ওই আসনে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী দিতে পারেনি।
Panchayat Elections 2023: প্রার্থীই দেয়নি কোনও দল, পঞ্চায়েতে ভোট হচ্ছে না এই এলাকায়কেন হচ্ছে না ভোট?

রায়না: কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন শাসকদলের প্রার্থীরা, কোথাও আবার তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থীদের হারাতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা। কোথাও আবার একই আসনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ২৫ জন প্রার্থী। কিন্তু, তাই বলে প্রার্থীর অভাবে ভোটই হবে না? হ্যাঁ, এবার এই ছবিই দেখা যেতে চলেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়না ২ নম্বর ব্লকের যশাপুর গ্রামে ২৭০ নম্বর বুথে। সূত্রের খবর, এই বুথে প্রার্থী দিতে পারেনি কোনও রাজনৈতিক দলই। তার ফলে ভোটের কোনও বালাই নেই। 

প্রসঙ্গত, এই আসনটি আবার ওবিসি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এদিকে তৃণমূলের তরফে যাঁকে দাঁড় করানো হয়েছিল তিনি শংসাপত্রই দিতে পারেননি। ফলে শেষ পর্যন্ত আর জমা পড়েনি মনোনয়ন। অন্যদিকে তাঁর বদলে যাঁকে দাঁড় করানো হয়েছিল দলের তরফে তিনি আবার ব্যক্তিগত কারণে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাননি বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ মহম্মদ হোসেনের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের ফলেই ওই আসনে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি এখানে বিরোধীদের লাগাতার ভয়ও দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। 


২২ ক্যারেট সোনার দাম আজ দুই হাজার টাকা কমেছে। গতকাল যেখানে ২২ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫ হাজার ৪০৫ টাকা। সেখানেই আজ সোনার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৫ টাকায়।

Gold Price Today: গহনা কিনতে আর চিন্তা কীসের, এক সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার টাকা কমল সোনার দাম, আজ দর কত?ফাইল ছবি
কলকাতা: বিয়ের মরশুমে সুখবর। লাগাতার কমেই চলেছে সোনার দাম (Gold Price)। বুধবারে ৩ হাজার টাকা সোনার দাম কমার পর, আজ বৃহস্পতিবার আরও ২ হাজার টাকা কমল সোনার দাম (Gold Price Decrease)। গোটা জুন মাস ধরেই নিম্নমুখী ছিল সোনার দাম। কখনও দুই হাজার টাকা, কখনও তিন হাজার টাকা কমেছিল সোনার দাম। আজও দুই হাজার টাকা কমল সোনার দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপোর দাম। মাসের শেষে যদি আপনার পকেটে কিছু টাকা থাকে, তবে আজই গিয়ে গহনা কিনতে পারেন।


এক নজরে দেখে নিন সোনার দাম-
২২ ক্যারেট সোনার দাম-
২২ ক্যারেট সোনার দাম আজ দুই হাজার টাকা কমেছে। গতকাল যেখানে ২২ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫ হাজার ৪০৫ টাকা। সেখানেই আজ সোনার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৫ টাকায়। ৮ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার দাম আজ ৪৩ হাজার ৮০ টাকায় কমে দাঁড়িয়েছে। ২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম কমেছে ২০০ টাকা। আজ ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫৩ হাজার ৮৫০ টাকা। ১০০ গ্রাম সোনার দাম ২ হাজার টাকা কমেছে আজ। ২২ ক্যারেট ১০০ গ্রাম সোনার দাম রয়েছে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা।

২৪ ক্যারেট সোনার দাম-
২২ ক্য়ারেটের মতো ২৪ ক্যারেট সোনার দামও কমেছে। আজ ২৪ ক্য়ারেট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমেছে। ১ গ্রাম সোনার দাম আজ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৭৫ টাকায়। ৮ গ্রাম সোনার দাম আজ কমেছে ৪৭ হাজার টাকায়। ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকায় কমে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ক্য়ারেট ১০০ গ্রাম সোনার দাম আজ রয়েছে ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা।


সোনার দাম কমলেও, অপরিবর্তিত রয়েছে রুপোর দাম।

আলিয়া শত চেষ্টাতেও তাঁকে আটকাতে পারেন না। সম্প্রতিতে দুবাইতে তেমনই ছবি ধরা পড়ল। সেখানেই ছুটি কাটাতে দেখা গেল এই জুটিকে।

Ranbir-Alia: কোথায় ছুটি কাটাচ্ছেন রণবীর-আলিয়া? মেয়ে রাহার জন্য চুটিয়ে করছেন শপিং
একের পর এক ছবির কাজ শেষ করছেন এখন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত জুটি তাঁরা। তবে পেশা জগতে নজর দিতে গিয়েছে ব্যক্তিগত জীবন থেমে রয়েছেন এমনটা নয়। বিয়ে, সন্তান সবটাই সেরে ফেলেছেন জুটি। এখন অবসরে কিছুটা সময় একান্তে কাটানো আর মেয়ে রাহার জন্য পছন্দমতো জিনিস কেনাই নেশায় পরিণত হয়েছে এই জুটির কাছে। বিটাউন সূত্রের খবর, রণবীর কাপুর যেখানে যাই দেখেন, যদি তাঁর পছন্দ হয় রাহার জন্য, তৎক্ষণাৎ তা কিনে ফেলেন। এমনকি আলিয়া শত চেষ্টাতেও তাঁকে আটকাতে পারেন না। সম্প্রতিতে দুবাইতে তেমনই ছবি ধরা পড়ল। সেখানেই ছুটি কাটাতে দেখা গেল এই জুটিকে।


অবসরে সময় কাটাচ্ছেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। একদিকে রকি অউর রানী কি প্রেম কাহিনির কাজ শেষ করেছেন আলিয়া, অন্যদিকে অ্যানিম্যাল ছবির কাজ শেষ করেছেন রণবীর। এরপর কিছুটা একান্ত সময় কাটাতে যদি পাড়ি দিলেন দুবাই। সেখান থেকেই এক ছবি ভাইরাল। সেখানে দেখা গেল শপিংমলে সময় কাটাচ্ছেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। মেয়ে রাহার জন্য কিনেছেন এক ব্যাগ পোশাক। বোনপয়েন্ট সংস্থার পোশাক শিশুদের জন্য খুব জনপ্রিয়। তাই সেখানে গিয়ে আর নিজেকে সামলাতে পারলে না রণবীর। যা যা পছন্দ হল, মেয়ের জন্য কিনে নিলেন সবকিছুই। এরপর দেশে ফিরে আবারও তিনি ফিরবেন শুটিং।

প্রসঙ্গত, রণবীর কাপুর ও রশ্মিকা মান্দানা এখন বলিউডের নতুন জুটি। তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাবে অ্যানিম্যাল ছবিতে। যদিও এই ছবি নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণী ছবি থেকে অনুকরণ করে তৈরি অ্যানিম্যাল। কেউ আবার রণবীর কাপুরের লুকের সঙ্গে তুলনা টানলেন পুষ্পা ছবির আল্লু আর্জুনের লুকের। এখন দেখার বিতর্ক এড়িয়ে কতটা দর্শন মনে জায়গা করে নিতে পারে এই ছবি।
অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জায়গায় বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দল প্রার্থীকে দেওয়া হয় হুমকিও।

WB Panchayat Elections: ফের অশান্ত দিনহাটা, গুলি রেশ কাটতে না কাটতে শুরু হল ব্যাপক ভাঙচুর, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব
দিনহাটা: অশান্তি যেন থামছেই না কোচবিহারের দিনহাটায়। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে গণ্ডগোল। মঙ্গল,বুধের পর বৃহস্পতিবারও উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটার গিতলদাহ। সেখানে নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হল বেশ কয়েকটি বাড়িও।


অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জায়গায় বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দল প্রার্থীকে দেওয়া হয় হুমকিও। নির্দল প্রার্থীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের সদস্য নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতেই অশান্তি চরমে ওঠে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে তাঁকে গ্রাম ছাড়া করেছে শাসকদলের লোকজন। এখানেও শেষ নয়, বুধবার রাতের অন্ধকারে এসে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছে। যদিও, এই বিষয়ে মাফুজার রহমানের বক্তব্য মেলেনি।

কিন্তু কেন বারংবার উত্তপ্ত হচ্ছে কোচবিহার? এ প্রসঙ্গে একে অপরকে দুষেছে বিজেপি-তৃণমূল। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই শীতলকুচি আর দিনহাটা এটা উপদ্রুত এলাকা। সেখানে লড়াই করে লোকসভা আর বিধানসভা দুটোতেই আমারা কয়েকটি আসন পেয়েছি। বাংলাদেশের বর্ডার থেকে লোক এসে উপদ্রব করে। বিএসএফ তাই ওইখানে গুলি চালিয়েছিল। এমনকী নবজোয়ারও ওইখান থেকে শুরু হয়েছিল। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারও ওইখান থেকে শুরু হয়েছিল। সেখানে যা উন্নতি হয়েছে সব মোদী করেছে।” অপরদিকে, মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “যেহেতু বর্ডার এলাকা সেই কারণে বিরোধী বন্ধুরা উত্তেজনা তৈরি করছেন। মারপিট করে যদি পঞ্চায়েত জেতা যায়।”


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে গীতলদাহ প্রথমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় নিহত হন বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মী। জখম হন পাঁচজন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের রাত্রিবেলা গুলিবিদ্ধ হন অপর তৃণমূল কর্মী শাহিনুর হক। জানা যায়, শাহিনুরের দিদি এবার পঞ্চায়েত পদপ্রার্থী। রাত্রি এগারোটা নাগাদ দলীয় প্রচার সেরে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। জখম অবস্থায় দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।

বুধবার বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের বিবড়দা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে একটি সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এই এলাকাতেই আবার বাড়ি সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্রর।

WB Panchayat Polls 2023: মঞ্চে শত্রুঘ্ন সিনহা, তৃণমূল ব্লক সভাপতি ডায়লগ দিলেন, ‘ঘুঘু চড়াব CPM নেতা বাড়িতে’প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনের আগে বারংবার শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে বিরোধীদের, এই অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। এবার তৃণমূলের রোষের মুখে পড়তে হল সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্রকে। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তাঁর বাড়িতে ঘুঘু চরানো ও তাঁকে বাড়ি ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃনমূলের ব্লক সভাপতি। যদিও, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম নেতা।


বুধবার বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের বিবড়দা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে একটি সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এই এলাকাতেই আবার বাড়ি সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্রর। গতকালের সেই সভায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের তালডাংরা ব্লক সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। অভিযোগ, সেখানে দাঁড়িয়ে খুল্লামখুল্লা সিপিএম নেতা অমিয় পাত্রকে হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, “আপনি তো আগে বলতেন লক্ষ্মীর ভান্ডার নাকি ভিক্ষা। এখন কেন বলছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার তো আমরা বন্ধ করব না। আর লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার আপনি কোন চাঁদু? আপনার বাসায় ঘুঘু চরিয়ে দেব। বাজারে বেরিয়ে চুপচাপ বাড়ি ঢুকে যান। তৃণমূলের শান্ত রূপ আপনি দেখেছেন। কিন্তু তৃণমূল যেদিন ক্ষেপে যাবে সেদিন আপনাকে ঘর ছাড়া করে দেব।”

যদিও অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপের নির্দেশ দেননি বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত এখনও ছাত্র। তাই তাঁর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বোর্ডকে তিনি কড়া পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, তার পরামর্শ দিয়েছেন।

Justice Koushik Chanda: এজলাসে বসেই QR স্ক্যান করে জয়েন্টের ছাত্রের জালিয়াতি ফাঁস বিচারপতি কৌশিক চন্দকলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: অভিযোগকারীই ‘জালিয়াতি’ করেছেন। তিনিই আবার দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। কিন্তু, শুনানির সময় পড়ে গেলেন ধরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে নজিরবিহীন ঘটনা। ‘QR Code’ স্ক্যান করে জালিয়াতির কথা শেষ পর্যন্ত অভিযোগকারী জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থী স্বীকার করেছেন। দোষ স্বীকার করায় ছাত্রর ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করতে বোর্ডকে বলেন বিচারপতি।


এজলাসে বসে নিজেই স্মার্টফোনে ‘QR Code’ স্ক্যান করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর জালিয়াতি হাতেনাতে ধরলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আর এটি করতে নিজের ও আইনজীবীর মোট দুটি ফোন ব্যবহার করে ‘QR Code’ স্ক্যান করেন, আদতে ঠিক কীভাবে জালিয়াতি করা হয়েছিল, তা সম্যকভাবে বোঝেন বিচারপতি। দেখা যায়, অভিযুক্ত জয়েন্টের ফল সংক্রান্ত নথি ডাউনলোড করে জাল করতে পেরেছেন ঠিকই, কিন্তু বোর্ডের কোড জাল করতে পারেননি। তাই সেই ‘QR Code’ যখন বিচারপতি নিজের ফোনে স্ক্যান করেন, তখনও বেরিয়ে যায় আসল তথ্য। এবং বিচারপতির টানা প্রশ্নের মুখে পড়ে নিজের দোষ স্বীকারও করে নেন অভিযুক্ত। যদিও অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপের নির্দেশ দেননি বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত এখনও ছাত্র। তাই তাঁর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বোর্ডকে তিনি কড়া পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, তার পরামর্শ দিয়েছেন।

 আগরকর ২৬টি টেস্ট, ১৯১ ওডিআই এবং দেশের হয়ে চারটি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন। এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচিং টিমে ছিলেন আগরকর।

Indian Cricket: শুক্রবার জাতীয় দলের হেড কোচ ঘোষণা, নির্বাচক প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে...

মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পুরুষদের দল নির্বাচন কমিটিতে একটি জায়গা খালি। চেতন শর্মাকে বহিষ্কারের পর থেকে অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শিবসুন্দর দাস। কিছুদিন আগেই বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। সিনিয়র দল নির্বাচন কমিটির জন্য অনেকেই আবেদন করেছিলেন। নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে প্রাক্তন অলরাউন্ডার অজিত আগরকর। তেমনই শুক্রবার ভারতের সিনিয়র মহিলা দলের হেড কোচও ঘোষণা হবে। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।

গত ডিসেম্বরে ভারতের মহিলা দলের হেড কোচের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় রমেশ পওয়ারকে। এরপর থেকে ব্যাটিং কোচ হৃষিকেষ কানিতকর দায়িত্ব সামলেছেন। এ বার হেড কোচ বেছে নেওয়া হবে। শুক্রবার ইন্টারভিউ নেবে ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অমোল মুজুমদার, তুষার আরোঠে। ভারতীয় মহিলা দলে আগেও কোচিং করিয়েছেন তুষার আরোঠে। ফের এক বার হরমনপ্রীত, স্মৃতিদের হেড কোচের দায়িত্বে দেখা যেতে পারে।

অমোল মুজুমদারের প্রোফাইলও চমকপ্রদ। বরোদাকে কোচিং করিয়েছেন, আইপিএল রাজস্থান রয়্যালসের কোচিং টিমেও ছিলেন। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের কোচিং টিমেও ছিলেন অমোল মুজুমদার। সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডের জন লুইসও আবেদন করেছেন মহিলা দলের হেড কোচের পদে। এর আগে ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব ডারহ্যামকে কোচিং করিয়েছেন। ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটিতে রয়েছেন অশোক মলহোত্রা, যতীন পরাঞ্জপে এবং সুলক্ষণা নায়েক। তারাই শুক্রবার ইন্টারভিউয়ের পর নতুন কোচ বেছে নেবেন।

হেড কোচ বেছে নেওয়ার পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি চেতন শর্মার পরিবর্ত নির্বাচক প্রধানও বেছে নেবে ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি। দৌড়ে এগিয়ে অজিত আগরকর। আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ জুন। ১ জুলাই ইন্টারভিউ হতে পারে। বোর্ডের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘হাইপ্রোফাইল কাউকেই নির্বাচক প্রধান হিসেবে বেছে নিতে পারে ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি।’ অতীতেও এই পদে আগরকরের নাম উঠেছিল। এ বার তা বাস্তব হতে পারে। অজিত আগরকর ২৬টি টেস্ট, ১৯১ ওডিআই এবং দেশের হয়ে চারটি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন। এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচিং টিমে ছিলেন আগরকর।

পরিসংখ্যান বলছে, অভিষেকের পর থেকে কোনও বিশ্বকাপ মিস করেননি সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের এই বাঁ হাতি ব্যাটার দীর্ঘ দিন জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সামনেই রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ।

Soumya Sarkar: এমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশের চমক সৌম্য, কেন জানেন?
Image Credit Source: ICC
কলকাতা: পরিসংখ্যান বলছে, অভিষেকের পর থেকে কোনও বিশ্বকাপ মিস করেননি সৌম্য সরকার। সেটা টি-টোয়েন্টি হোক বা ওডিআই বাংলাদেশের এই বাঁ হাতি ব্যাটার দীর্ঘ দিন জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সামনেই রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ। তাহলে কি পরিসংখ্যান বদলে যাবে? সৌম্যকে ছাড়াই কি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ! তার আগেই চমক। এমার্জিং এশিয়া কাপের দলে রাখা হল সৌম্য সরকারকে। বিস্তারিত রইল এর প্রতিবেদনে।


গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ বার দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন সৌম্য সরকার। তারপর থেকে আর সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু এমার্জিং এশিয়া কাপে তাঁকে স্কোয়াডে রাখা অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছেন। ৫ অক্টোবর শুরু হচ্ছে ওডিআই বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের আগে রয়েছে এশিয়া কাপও। তবে তারও আগে এমার্জিং এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সারির দলই পাঠানো হয়। সিনিয়র দলের সাপ্লাই লাইন তৈরি উদ্দেশ্য থাকে। সৌম্য সরকারকে এমার্জিং এশিয়া কাপের দলে রাখা নিঃসন্দেহে চমক। ২০২২-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এ বার এমার্জিং এশিয়া কাপে খেলবেন সৌম্য।


এমার্জিং এশিয়া কাপের স্কোয়াডে আটজন আন্তর্জাতিক প্লেয়ারকে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটেও পারফর্ম করতে পারছিলেন না সৌম্য। এমনকি ক্লাব ক্রিকেটেও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌম্য। এই টুর্নামেন্টে খেলে ফর্মে ফিরতে পারলে বাংলাদেশ দল যেমন লাভবান হবে তেমনই সৌম্যর জন্যও সুখবর। এমার্জিং এশিয়া কাপে ১৪ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ১৬ ও ১৮ জুলাই ওমান এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপের সেরা দুটি দল সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে। ২১ জুলাই সেমিফাইনাল এবং ২৩ জুলাই ফাইনাল। সেপ্টেম্বরে রয়েছে এশিয়া কাপ।

নির্বাচনী প্রচার সেরে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ দিয়ে বাইকে চেপে ফিরছিলেন ওই সিপিএম নেতা। সেই সময়েই একটি ছোট চারচাকার গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে তাঁর বাইকে। ছিটকে পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কানু রায় (৫৫) নামে ওই সিপিএম নেতার।

CPIM Leader Death: প্রচার সেরে ফিরছিলেন, পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা গাড়ির, ধূপগুড়িতে মৃত্যু সিপিএম নেতারধূপগুড়িতে সিপিএম নেতার মৃত্যু
Image Credit Source: নিজস্ব চিত্র
ধূপগুড়ি: জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু সিপিএম নেতার (CPIM Leader Death)। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে পার্টি অফিসে ফিরছিলেন কানু রায়। তিনি সারা ভারত কৃষক সভার বানারহাট ব্লক কমিটির সম্পাদক। এর পাশাপাশি সিপিএমের এরিয়া কমিটিরও সদস্য তিনি। আজ বিকেলে নির্বাচনী প্রচার সেরে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ দিয়ে বাইকে চেপে ফিরছিলেন ওই সিপিএম নেতা। সেই সময়েই একটি ছোট চারচাকার গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে তাঁর বাইকে। ছিটকে পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কানু রায়ের (৫৫)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক সিপিএম কর্মী।


আজ বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায়। বাইকে চেপে ফেরার সময় রাস্তার ধারে এক জায়গায় বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওই সিপিএম নেতা। সেই সময়েই উল্টোদিক থেকে দ্রুত গতিতে একটি চার চাকার গাড়ি আসে। ঘাতক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকের লেনে ঢুকে ধাক্কা মারে সিপিএম নেতার বাইকে। বাইকে অমিত রায় নামে আরও এক সিপিএম কর্মী ছিলেন। কানু রায় ও অমিত রায় উভয়েই ছিটকে পড়ে যান বাইক থেকে। ঘাতক গাড়িটিতে সেই সময় চালক-সহ দুইজন ছিলেন। তাদেরও অল্পবিস্তর চোট লাগে। ঘাতক গাড়িটিতে অসমের নম্বর প্লেট ছিল। আজ গাড়িটি ধূপগুড়ির দিক থেকে অসমের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি সকলকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয় ওই সিপিএম নেতার। অমিত রায় নামে অপর সিপিএম কর্মীরও চোট গুরুতর বলে জানা যাচ্ছে। ওই সিপিএম কর্মীকে পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে ওই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনার পর এলাকার সাধারণ মানুষজনের মধ্যেই অসন্তোষ দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে যায় এশিয়ান হাইওয়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।



সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে একডজন ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিল ভারত। ১২টির মধ্যে ১১টি ম্যাচই জিতেছিল। একটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

Indian Football: সাফের সেমিতে ভারতের সামনে 'অতি চেনা' প্রতিপক্ষআনোয়ারকে ভরসা দিচ্ছেন সিনিয়ররা।

পাকিস্তান ও নেপালকে হারিয়ে ভারত আগেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে ড্র করে ভারত। শেষ ম্যাচে কুয়েতকে হারাতে পারলে গ্রুপ সেরা হতে পারত ভারত। যদিও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে। সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ কে হবে, নিশ্চিত হল এ দিন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে অতি চেনা প্রতিপক্ষ লেবাননের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। মলদ্বীপকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে লেবানন। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগেই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছে ভারতীয় ফুটবল দল। গ্রুপে লেবাননের বিরুদ্ধে এক বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। তবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে লেবাননের মতো শক্তিশালী দলকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফিফা ক্রমতালিকায় এগিয়ে থাকা লেবাননের বিরুদ্ধে তৃতীয় বার নামতে চলেছে ভারত। ১ জুলাই সেমিফাইনাল।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে একডজন ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিল ভারত। ১২টির মধ্যে ১১টি ম্যাচই জিতেছিল। একটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর কুয়েতের বিরুদ্ধে অবশ্য ক্লিনশিট ধরে রাখতে ব্যর্থ। যদিও এতে কুয়েতের কৃতিত্ব নেই বললেই চলে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল ভারতের তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির।


ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বরাবরই টিম গেমের কথাই বলে থাকেন। আনোয়ারের আত্মঘাতী গোল প্রসঙ্গে বলেন, ‘গোলটি আনোয়ার করেনি, ভারত করেছে। এটা আত্মঘাতী গোল। এমনটা যে কারও ক্ষেত্রেই হতে পারে। আমরা যথেষ্ঠ পেশাদার ফুটবলার, পুরনো কথা নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। ও একটা বাচ্চা ছেলে। ও ঘুরে দাঁড়াবে। সকলেই ওর পাশে আছি।’
গত বছরের ক্রম থেকে পিছিয়ে গিয়েছে দেশের ১৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান অপরিবর্তিত আছে। আর ১৫টি প্রতিষ্ঠান ক্রম-তালিকায় উপরের দিকে উঠে এসেছে।

QSWUR 2024: বিশ্বসেরাদের তালিকায় কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের সেরা IIT-বম্বেবিশ্বসেরার তালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

কলকাতা: বিশ্বসেরার তালিকায় জায়গা করে নিল কলকাতার দুই বিশ্ববিদ্যালয় – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক পিছনে হলেও, তালিকায় নাম আছে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট – কলকাতা ক্যাম্পাসেরও। বুধবার (২৮ জুন), প্রকাশিত হল কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং (QSWUR)। সব মিলিয়ে ভারতের মোট ৪৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। গত বছর জায়গা করে নিয়েছিল ৪১টি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ, ভারত থেকে এই বছর নতুন চারটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে এই তালিকায়। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এই তালিকায় শীর্ষে আছে আইআইটি বম্বে (IIT-Bombay)। বিশ্ব তালিকায় এই প্রতিষ্ঠান আছে ১৪৭তম স্থানে। এরপর রয়েছে, আইআইটি দিল্লি (IIT-Delhi), সার্বিক ক্রম ১৯৭। এছাড়া, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স – ব্যাঙ্গালোর (IISC – Bangalore) আছে ২২৫তম স্থানে, আইআইটি খড়গপুর (IIT-Kharagpur) ২৭১তম, আইআইটি কানপুর (IIT-Kanpur) ২৭৮তম এবং আইআইটি মাদ্রাজ (IIT-Madras) আছে ২৮৫তম স্থানে।


৪১টির তুলনায় এবার ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় স্থান করে নিলেও, দেশের মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ২০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে। গত বছর প্রথম ২০০টির মধ্যে ছিল তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় গত বছরের ক্রম থেকে পিছিয়ে গিয়েছে দেশের ১৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান অপরিবর্তিত আছে। আর ১৫টি প্রতিষ্ঠান ক্রম-তালিকায় উপরের দিকে উঠে এসেছে। ভারতের মধ্যে রাজধানী দিল্লি থেকেই সবথেকে বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জায়গা পেয়েছে কিউএস-এর তালিকায়। আইআইটি-দিল্লি (১৯৭), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (৪০৭), জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (৬০১-৬১০), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (৯৫১-১০০০), জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় (১২০১-১৪০০), গুরু গোবিন্দ সিং বিশ্ববিদ্যালয় (১৪০১+), এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট- দিল্লি ক্যাম্পাস (১৪০১+) – দিল্লির এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের জায়গা হয়েছে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায়।

দিল্লির পর আছে চেন্নাই। তামিলনাড়ুর রাজধানীর ৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায়। এগুলি হল – আইআইটি মাদ্রাজ (২৮৫), আন্না বিশ্ববিদ্যালয় (৪২৭), মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় (৫২৬), সত্যভামা ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (১০০১-১২০০), এসআরএম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (১২০১-১৪০০)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। আগেই বলা হয়েছে কলকাতা থেকে রয়েছে – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৭৪১-৭৫০), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (৮০১-৮৫০), ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট – কলকাতা ক্যাম্পাস (১৪০১+)।



 আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পরদিনই জানা গেল, বিশ্বকাপের জন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামকে।

Cricket World Cup 2023 : বিশ্বকাপের জন্য সেজে উঠছে স্টেডিয়াম, খরচ কত জানেন?বিশ্বকাপের জন্য সেজে উঠছে স্টেডিয়াম, খরচ কত জানেন?
নয়াদিল্লি : দেশের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপের (Cricket World Cup 2023) জন্য সেজে উঠছে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। বহু প্রতীক্ষিত ওডিআই বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতেই জানা গেল, বিশ্ব দরবারে যাতে বিসিসিআইয়ের মুখ না পোড়ে তার জন্য অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সংস্কার হচ্ছে। এর আগে দর্শকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫টি স্টেডিয়ামকে বিশ্বকাপের আগে সংস্কার করার জন্য বেছে নিয়েছিল বোর্ড। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে (Arun Jaitley Stadium) শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন বলে অভিযোগের তির ছুঁড়ে দিয়েছিলেন দর্শকরা। এ বার ঢেলে সাজানো হচ্ছে ওই স্টেডিয়াম। সংস্কারের জন্য কত খরচ হচ্ছে জানেন? বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজের জন্য খরচ পড়বে ২০-২৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের এপ্রিলে জানা গিয়েছিল অক্টোবর-নভেম্বরের ওডিআই বিশ্বকাপের আগে, দিল্লির পাশাপাশি হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বই ও মোহালির স্টেডিয়াম সংস্কার করা হবে। এ বারের বিশ্বকাপের ১০ ভেনুর মধ্যে মোহালির নাম নেই।

অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হবে এ বারের ওডিআই বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ। তাই দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসনের যুগ্ম সেক্রেটারি রাজন মনচন্দা বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্টেডিয়াম সংস্কারের পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেব মনচন্দা। আইসিসির মেগা ইভেন্টের আগে ফ্যানেদের জন্য ওই স্টেডিয়াম যথাসম্ভব ভালো ভাবে সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের টিম অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসবে। ওই রেকির সময় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পিচ এবং আউটফিল্ডের পরীক্ষাও করা হবে।

অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কী কী বদলে যেতে চলেছে?
১. প্রায় ১০ হাজার দর্শক আসন বদল করা হবে।

২. শৌচাগার সংস্কার হবে।

৩. স্টেডিয়ামে নতুন রং করা হবে।

৪. টিকিটের সফ্টওয়্যারের সংস্কার করা হবে।

৫. ১৫ বছরের পুরনো ট্রান্সলাইট বদলানো হবে নতুন রং।

এ বারের ওডিআই বিশ্বকাপে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে যে ম্যাচগুলি হবে —
১) ৭ অক্টোবর – দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম কোয়ালিফায়ার ২।

২) ১১ অক্টোবর – ভারত বনাম আফগানিস্তান।

৩) ১৪ অক্টোবর – আফগানিস্তান বনাম ইংল্যান্ড।

৪) ২৫ অক্টোবর, অস্ট্রেলিয়া বনাম কোয়ালিফায়ার ১

৫) ৬ নভেম্বর, বাংলাদেশে বনাম কোয়ালিফায়ার ২।

শুনানিতে আদালত কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করেনি বটে, তবে বেশ কয়কটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দেয়। রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি, যাতে তারা কমিশনকে সাহায্য করে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য, এর আগে আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটা অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে।
West Bengal Panchayat Elections 2023: কবে আসবে অবশিষ্ট ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী? ভোটের ১০ দিন আগেও কাটল না ধন্দফাইল ছবি


কলকাতা: ভোটের বাকি আর ১০ দিন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ‘কাহিনি’-র প্লট যেন শেষ হচ্ছে না। ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে। আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশন চেয়েছে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অবশিষ্ট ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কী হবে? সেই ধন্দ যেন কিছুতেই কাটছে না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেনি কেন্দ্র। ফলে ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ধন্দ রয়েই গেল।


কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ইস্যুতে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবারের শুনানি শেষে আদালত কমিশনের কাজে কোথাও হস্তক্ষেপ করল না। বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত, তাতে সন্তুষ্ট হল না ডিভিশন বেঞ্চ। সেটিও এদিনের শুনানিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেবল মনোনয়ন পর্বেই কমিশনের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে। সেক্ষেত্রে কমিশনকে আদালতের পরামর্শ, মানুষের আস্থা এবং ভরসা পাওয়ার মতো কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে নির্দেশ, কমিশনকে আন্তরিকভাবে সাহায্য করতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে এদিনের শুনানিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিনের সওয়াল জবাবের সময়ে, গত ২৪ জুন কমিশনের চিঠি প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানে কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানতে চেয়েছিল, রাজ্যে আসা বাহিনী কীভাবে কাজ করবে? ‘স্ট্যাটিক’ থাকবে না বুথে থাকবে অর্থাৎ বাহিনীর ব্যবহার কী হবে? সেই চিঠির কোনও উত্তর কমিশনের তরফে মেলেনি। কেবল কোন জেলায় কত বাহিনী দরকার, সেই তথ্য জানানো হয়েছে। সেই বিষয়টি এদিন আদালতে উল্লেখ করা হয়।

সূত্রের খবর রাজ্যপাল তথা আচার্য এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, 'অবশ্যই গো ব্যাক, দুর্নীতি গো ব্যাক। অযথা হস্তক্ষেপ গো ব্যাক। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাধা দেয়, এমন সবকিছু গো ব্যাক।'

C V Ananda Bose: কী কী গো ব্যাক হওয়া দরকার? পড়ুয়াদের স্লোগান নিয়ে বৈঠকে বললেন রাজ্যপালরাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
Image Credit Source: নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়ি: রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে (C V Ananda Bose) আজ কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগানও তুলেছে পড়ুয়াদের একাংশ। আজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যপাল। তখন ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় একদল পড়ুয়া এই কাণ্ড ঘটায়। আজ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকেও সেই গো ব্যাক স্লোগানের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর রাজ্যপাল তথা আচার্য এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, ‘অবশ্যই গো ব্যাক, দুর্নীতি গো ব্যাক। অযথা হস্তক্ষেপ গো ব্যাক। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাধা দেয়, এমন সবকিছু গো ব্যাক।’


উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাতের জট বহুদূর গড়িয়েছে। আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চও এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কার্যত রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের উপরেই সিলমোহর দিয়েছে। নিযুক্ত হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আর এদিকে আজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই বৈঠকের আগেই রাজ্যপালকে ঘিরে এমন স্লোগান তুলতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে। হাতে প্ল্যাকার্ড। সেগুলির কোনওটিতে তুলে ধরা হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের বিরোধিতা। আবার কোনওটিতে রয়েছে নয়া শিক্ষানীতির বিরোধিতা।


 ইডি-র বক্তব্য, এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবেই কাল টাকা সাদা করেছেন কাকু। ইডি-র কাছে তথ্য এসেছে, নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিজের পকেটে ১১ কোটি টাকা ঢুকিয়েছেন। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে, অন্য সংস্থার মাধ্যমে সাদা করেছেন।

Recruitment Scam: নিজের কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় ৫০ গুণ বাড়িয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন কাকু: ইডিসুজয়কৃষ্ণ ভদ্র
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কালো টাকা সাদা করতে ‘পার্থ-মডেল’কেই কাজে লাগিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। কোম্পানির শেয়ারদর বাড়িয়ে বাজার থেকে তোলা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। কোনও আর্থিক হিসাব না দিয়েই এই কোম্পানির শেয়ার দর ৪৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। পরে সেই দরেই শেয়ার কিনেছিলেন কাকু।


সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ওয়েলথ উইজার্ড নামে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাটি বেশিদিনের পুরনো নয়। ওই সংস্থাটির শেয়ারদর ছিল বাজারে ১০ টাকা। সেই সংস্থার বাজারদর দেখানো হয়েছে ৪৪০ টাকা। তাঁর নিজের সংস্থা ও অন্য ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে ওই দরে ১০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

ইডি-র বক্তব্য, এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবেই কাল টাকা সাদা করেছেন কাকু। ইডি-র কাছে তথ্য এসেছে, নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিজের পকেটে ১১ কোটি টাকা ঢুকিয়েছেন। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে, অন্য সংস্থার মাধ্যমে সাদা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, এরকম আরও অনেক সংস্থা থাকতে পারে, সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।


দুটি চমৎকার BSNL প্ল্যান হল 2399 টাকা ও 2999 টাকার প্রিপেড প্ল্যান। এই দুটি রিচার্জ প্ল্যানের সবথেকে বড় গুরুত্ব হল এরা বার্ষিক রিচার্জ প্ল্যান। 

বছরে একবার রিচার্জ করে রাখলে সারা বছর আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না।
BSNL Recharge: বছরে একবার রিচার্জ, 199 টাকায় 730GB ডেটা, BSNL প্ল্যানে কুপোকাত Jio ও AirtelBSNL-এর দুর্দান্ত রিচার্জ প্ল্যান।
BSNL Annual Plan: দেশের একমাত্র টেলিকম সংস্থা BSNL। একটা সময় মানুষের কথা বলার একমাত্র অপশন ছিল। কিন্তু আজ প্রতিযোগী বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির ভিড়ে অনেকটাই গুরুত্ব হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই টেলিকম সংস্থাটি। তবে এহেন BSNL-এর ঝুলিতেই রয়েছে একাধিক প্রিপেড প্ল্যান। তার মধ্যে এমন কিছু প্ল্যানও রয়েছে, যেগুলি জোরদার টক্কর দিতে পারে Jio, Airtel বা Vi-এর মতো সংস্থাগুলিকে। সেরকমই দুটি চমৎকার BSNL প্ল্যান হল 2399 টাকা ও 2999 টাকার প্রিপেড প্ল্যান। এই দুটি রিচার্জ প্ল্যানের সবথেকে বড় গুরুত্ব হল এরা বার্ষিক রিচার্জ প্ল্যান। বছরে একবার রিচার্জ করে রাখলে সারা বছর আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। সেই সঙ্গেই আবার দুটি প্ল্যানেই রয়েছে বিপুল সংখ্যক ডেটার অফার, আনলিমিটেড কলিং, ওটিটি-সহ একাধিক অফার। BSNL 2399 টাকা ও 2999 টাকার প্ল্যান দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।


BSNL 2399 টাকার প্ল্যান

এই প্ল্যান এক বছর বা 365 দিনের জন্য বৈধ। প্রতিদিন প্ল্যানটিতে 2GB ডেটা পেয়ে যাবেন কাস্টমাররা। অর্থাৎ সমগ্র ভ্যালিডিটি পিরিয়ডে মিলবে 730GB ইন্টারনেট। বছরভর এই প্ল্যানে ব্যবহারকারীরা আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের অফার পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি রয়েছে প্রতিদিন 100টি করে SMS সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাঠানোর সুযোগ।
 

মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি। সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৫ থেকে ৯৭ শতাংশ।

 আবার ফিরছে জ্বালা পোড়া গরম, বাড়বে অস্বস্তি... কবে থেকে, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিসফিরছে গরম।

কলকাতা: রাতভর বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অংশত মেঘলা আকাশ। গত কয়েকদিনের বিশ্রি গরম (Weather Update) কাটিয়ে আপাতত স্বস্তি কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে এই স্বস্তি খুব বেশিদিনের নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মাঝে আর একটা দিন। বৃহস্পতিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বাড়বে গরম, অস্বস্তি। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে।


ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচজেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা-সহ উত্তরের নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টি হলে বিপদ আরও বাড়বে। বুধবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে হালকা মাঝারি বর্ষার বৃষ্টি হওয়ার কথা। উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে দুই এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি। সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৫ থেকে ৯৭ শতাংশ। এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা রয়েছে পোরবন্দর আহমেদাবাদ উদয়পুর নারনাউল ও ফিরোজপুরের উপর। আগামী দু’দিনে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গুজরাট, রাজস্থানের আরও কিছু অংশ, হরিয়ানা, পঞ্জাবের বাকি অংশে ঢুকে পড়বে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে ছত্তীসগঢ়ে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ক্রমশ তা মধ্য প্রদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সত্যি যদি হিসেব কষে দেখেন, তাহলে বছরে একবার রিচার্জ করিয়ে রাখলে আপনার খরচও অনেক কম হবে। আবার Jio Annual Plan-এ আপনি অফারও অনেক বেশি পেয়ে যাবেন। Reliance Jio-র তিনটি এমন বার্ষিক রিচার্জ প্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
Reliance Jio-র বাম্পার প্ল্যান! 208 টাকা খরচে সারা বছর রিচার্জের চিন্তা নেই, সঙ্গে 730GB ডেটাএকবার রিচার্জ, সারা বছর নিশ্চিন্তে।
Reliance Jio তার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন রেঞ্জ, বিভিন্ন ভ্যালিডিটি পিরিয়ড ও অফারের লম্বা ফিরিস্তি সাজিয়ে নানাবিধ রিচার্জ প্যাক অফার করে। Jio ব্যবহারকারীদের কাছে কিছু এমন প্ল্যান রয়েছে, যা একবার রিচার্জ করলে সারা বছর নিশ্চিন্ত থাকা যায়। অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রতি মাসে একটা Jio Plan রিচার্জ করেন। কিন্তু সত্যি যদি হিসেব কষে দেখেন, তাহলে বছরে একবার রিচার্জ করিয়ে রাখলে আপনার খরচও অনেক কম হবে। সেই সঙ্গে আবার Jio Annual Plan-এ আপনি অফারও অনেক বেশি পেয়ে যাবেন। Reliance Jio-র ঝুলিতে রয়েছে তিনটি এমন বার্ষিক রিচার্জ প্ল্যান, যেগুলি রিচার্জ করলে গ্রাহকরা একাধিক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

Jio 2499 টাকার রিচার্জ প্ল্যান

এই প্ল্যানের ভ্যালিডিটি 365 দিন বা এক বছর। এই সমগ্র ভ্যালিডিটি পিরিয়ডে আপনি প্রতিদিন 2GB করে ডেটা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বছরের শেষে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন মোট 730GB হাই-স্পিড ডেটা। প্ল্যানটি রিচার্জ করলে আপনি সারা বছর দেশের যে কোনও প্রান্তে, যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং করতে পারবেন। পাশাপাশি প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ SMS পাঠানোর অফারও রয়েছে। এছাড়াও সমস্ত Jio কমপ্লিমেন্টারি অ্যাপের ফ্রি সার্ভিসও থাকছে আপনার জন্য।



মঙ্গলবার সকালেই খান ও শর্মা পরিবারে শোকের ছায়া। সন্তান স্নেহে যাকে এতদিন বড় করে তুলেছেন সেই প্রিয় পোষ্যই আর নেই। শোকে পাথর অর্পিতা খান, সম্পর্কে যিনি সলমনের খানের বোন।

Arpita Khan: 'একজন আদর্শ ছেলে, আদর্শ ভাই...', 'সন্তান' হারিয়ে শোকে পাথর সলমনের বোন

মঙ্গলবার সকালেই খান ও শর্মা পরিবারে শোকের ছায়া। সন্তান স্নেহে যাকে এতদিন বড় করে তুলেছেন সেই প্রিয় পোষ্যই আর নেই। শোকে পাথর অর্পিতা খান, সম্পর্কে যিনি সলমনের খানের বোন। হারিয়েছেন তাঁর চারপেয়ে সন্তানকে। ‘মা’ অর্পিতার মন ভাল নেই। তাঁর পোষ্যের নাম হ্যাগ্রিড, রয়েছে হ্যারি পটার কানেকশন। হ্যারি পটারের হ্যাগ্রিডের মতোই আকারে বড় পোষ্যের মৃত্যুতে অর্পিতা লেখেন, “আমার সোনা ছেলে হ্যাগ্রিড, তোমার মতো কাউকে আমি দেখিনি। এক আদর্শ সন্তান, এক আদর্শ ভাই আর একজন সত্যিকারের রক্ষাকর্তা আর একজন সত্যিকারের বন্ধু তুমি। তোমার এনার্জি ভীষণ মিস করব।” অর্পিতা আরও লেখেন, “আমাদের মধ্যে সারাজীবন থাকবে। যদি ভগবান আরও কিছু সময় তোমায় দিত। এত তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া মোটেও ঠিক হল না। মা তোমায় ভালবাসে সোনা, জানি কোথাও যাওনি তুমি।”

কমেন্ট বক্স অফ করে রেখেছেন অর্পিতা। হ্যাগ্রিডের মৃত্যু নিয়ে বাড়তি মন্তব্য তিনি চান না, বুঝিয়ে দিয়েছেন এভাবেই। এতদিনের সঙ্গী ছিল যে, তাঁর মৃত্যুতে অর্পিতা যে কতটা শোকাহত, সে প্রমাণই দিয়েছেন সলমনের বোন। প্রসঙ্গত, একদিকে সন্তান শোক, অন্যদিকে তাঁকেও ক্রমাগত পড়তে হয়েছে কটাক্ষের মুখে। তাঁর চেহারা নিয়ে বারে বারেই হয়েছে কটাক্ষ। এ নিয়ে কিছু দিন আগে মুখ খুলেছিলেন তাঁর স্বামী আয়ুশ শর্মা। তিনি বলেন, “দিন রাত্রি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ট্রোলিং চলছেই। সেলিব্রিটি মানে যেন মোটা হওয়া নিষেধ। সেলিব্রিটি হয়েছে বলেই যেন ওকে নির্দিষ্ট ড্রেস-কোড মেনে চলতে হবে। ও কালো… আর তাই যতবারই ওর ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়, ঠিক ততবারই ওকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে ও কালো। এখন আর কেউ মনের সৌন্দর্য দেখে না। কেউ জানতেও চায় না মানুষ হিসেবে সে কতটা সুন্দর…বাইরে থেকে কে কতটা সুন্দর সেটাই এখন আলোচনার বিষয় হয়ে গিয়েছে।” আপাতত অর্পিতা এই শোক কাটিয়ে উঠুন, এমনটাই চাইছেন তাঁর কাছের মানুষেরা।

 আগেও বার বার দলের প্রতি এবং দলনেত্রীর প্রতি নিজের আনুগত্য বোঝাতে চেয়েছেন পার্থ। এর আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছিল, তখনও পার্থ মুখ খুলেছিলেন। দল যে আবার জাতীয় দলের তকমা ফিরে পাবে, সেই নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন', মমতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত পার্থমমতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত পার্থ

কলকাতা: গ্রেফতার হয়েছেন। জেলে রয়েছেন। বার বার জামিনের কাতর আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। জেলেই রয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিকে দলও তাঁকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে। নিরাপদ দূরত্ব রাখছেন দলের নেতারা। কিন্তু জেলে থেকেও দলের হয়ে গলা ফাটিয়ে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বার বার। আজ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে চোট পাওয়ার কথাও তাঁর কানে গিয়েছে। আর সেই খবর পাওয়ার পর নেত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে চিন্তিত পার্থ। মুখ্যমন্ত্রী যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই কথাও বলেছেন তিনি। বললেন, ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’ ভগবানের কাছে এটাই প্রার্থনা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের।


মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে আবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আলিপুর আদালত তাঁকে আবার ১১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটটাও জেলেই কাটাতে হবে তাঁকে। অতীতে দলের অনেক গুরু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। দলের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি জেলে। কবে জামিন পাবেন, কোনও ঠিক নেই। আদালতে মাঝে মধ্যে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কখনও নিজে, কখনও আইনজীবী মারফত। কিন্তু এত সব ঝড়-ঝাপ্টার মধ্যেই দলনেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ চিন্তিত পার্থ।

শুধু এখন বলে নয়, আগেও বার বার দলের প্রতি এবং দলনেত্রীর প্রতি নিজের আনুগত্য বোঝাতে চেয়েছেন পার্থ। এর আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছিল, তখনও পার্থ মুখ খুলেছিলেন। দল যে আবার জাতীয় দলের তকমা ফিরে পাবে, সেই নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কখনও আবার ঘাসফুলের প্রাক্তন মহাসচিবকে বলতে শোনা গিয়েছে, তৃণমূলের ক্ষতি কেউ কখনও করতে পারবে না।

 এদিন ফের জোড়া হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে। সেমিফাইনালে তিনি থাকতে পারবেন না। ভারত ফাইনালে উঠলে হেড কোচ বেঞ্চে থাকতে পারবেন কীনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

স্টিমাচ সহ তিনটি রেড-কার্ড, ‘মারমুখী’ কুয়েতের বিরুদ্ধে ক্লিনশিট রাখতে পারল না ভারত

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু প্রথম ম্যাচে অস্বস্তিও ছিল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে রেড কার্ড দেখানো হয় ভারতের হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে। নেপালের বিরুদ্ধে টেকনিকাল এরিয়ায় থাকতে পারেননি তিনি। কুয়েতের বিরুদ্ধে বেঞ্চে ফিরেছিলেন হেড কোচ ইগর স্টিমাচ। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে চাপ বাড়ল ভারতীয় শিবিরে। এদিন ফের জোড়া হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে। সেমিফাইনালে তিনি থাকতে পারবেন না। ভারত ফাইনালে উঠলে হেড কোচ বেঞ্চে থাকতে পারবেন কীনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিস্তারিত জেনে নিন

 জলপাইগুড়ির সভায় আরও ঝাঁঝালো মমতা। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার যে আর বেশিদিন থাকবে না, তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন মমতা। বললেন, 'মোদী আজ আছেন, কাল নেই।' সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা যায় মমতাকে।

Mamata Banerjee: 'মোদী আজ আছেন, কাল চলে যাবেন', দিল্লিতে নতুন সরকার গঠনে প্রত্যয়ী মমতামমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী
Image Credit Source: Facebook
জলপাইগুড়ি: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো। অন্তত বাংলার রাজনীতির নিরিখে তো বটেই। আর তাই পঞ্চায়েতের প্রচারের মাঝেই বার বার উঠে আসছে সামনের লোকসভা নির্বাচনের কথা। গতকাল কোচবিহারে মমতার সভা থেকেই সেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। আর আজ জলপাইগুড়ির সভায় আরও ঝাঁঝালো মমতা। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার যে আর বেশিদিন থাকবে না, তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন মমতা। বললেন, ‘মোদী আজ আছেন, কাল চলে যাবেন।’ সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা যায় মমতাকে।


তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারি, কেন্দ্রে বিজেপির আয়ু আর মাত্র ছয় মাস। মমতার দাবি, আগামী লোকসভা ভোটেই বিজেপি ক্ষমতার তখত থেকে ‘ধুয়ে’ যাবে। সোমবার কোচবিহারের সভা থেকেও মমতা আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বেশ প্রত্যয়ী সুরে বলেছিলেন, শীঘ্রই কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠিত হবে। বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ তত্ত্বকেও কার্যত দুরমুশ করে দিয়েছেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, ডবল ইঞ্জিনের একটা ফুটো হবে পঞ্চায়েত ভোটে আর তারপর দ্বিতীয় ফুটো হবে লোকসভা ভোটে।

এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি নিরপেক্ষভাবে হয়, তাহলে বিজেপি ভাল ফল করবে। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আজ মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এক কর্মিসভা থেকে তৃণমূল শিবিরকে তুলোধনা করেছেন দুর্নীতির ইস্যুতে। বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষা থেকে শুরু করে রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের কথা এদিন উঠে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর কথায়।

দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইদানিং এই বিধি চালু করা নিয়ে চর্চা চলছে। এর মধ্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, 'দুই ধরনের আইন নিয়ে কীভাবে একটি দেশ চলতে পারে?'

Modi in Bhopal: 'দুই আইন নিয়ে দেশ চলবে কীভাবে?', অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আলোচনা চাইলেন প্রধানমন্ত্রীভোপালের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ভোপাল: সোমবার (২৭ জুন), মধ্য প্রদেশের ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটিগুলির এক সভায় ইউনিফর্ম সিভিল কোড (Uniform Civil Code) বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে জোরালো সমর্থন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইদানিং এই বিধি চালু করা নিয়ে চর্চা চলছে। এর মধ্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘দুই ধরনের আইন নিয়ে কীভাবে একটি দেশ চলতে পারে?’ তিনি আরও বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গুরুতর আলোচনা শুরু করার সময় এসেছে। এই আইনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং উসকানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করার সময়ে বিরোধী দলগুলির ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।

এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নামে মানুষকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এক সংসারে যদি একেক জনের জন্য একেক রকম নিয়ম হয়, তাহলে সেই সংসার চালানো যায় না। একইভাবে এক দেশে যদি দুই আইন থাকে, তাহলে দেশ চলবে কী করে? সংবিধানেও দেশের প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও বারবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে বলেছে। বিরোধীরা আসলে এই বিষয়টি নিয়েও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। আমার মতে আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা উচিত।”

এই প্রসঙ্গেই তিনি তিন তালাক আইনের বিরোধিতার প্রসঙ্গ তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিন তালাককে যারা সমর্থন করে, তারা তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। তারা আমাদের মুসলিম মেয়েদের প্রতি অবিচার করছে। তিন তালাক শুধুমাত্র মুসলিম কন্যাদের ক্ষতি করে না, পুরুষদের উপরও এর সমান প্রভাব পড়ে। বিয়ের দশ বছর পর, কোনও মেয়েকে তিন তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি ফিরিয়ে দিলে, তার বাবা-ভাইয়ের মনের অবস্থা কী হয়, একবার কল্পনা করুন। তিন তালাক যদি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকে, তাহলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, কাতার, জর্ডন, সিরিয়া, বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে এই প্রথা নেই কেন? মিশরও আমাদের ৯০ বছর আগে এই প্রথা সরিয়ে দিয়েছে। আসলে, কিছু মানুষ নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে, তিন তালাক ফাঁসের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের প্রতি বৈষম্য করতে চায়।”

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস নেতা তথা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য আরিফ মাসুদ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত, তিনি ড. বি আর আম্বেদকরের তৈরি সংবিধানে হাত রেখে শপথ নিয়েছেন। দেশের সমস্ত অংশের সংবিধানের উপর বিশ্বাস রয়েছে। আমরা এটা বদলাতে দেব না।” ডিএমকে নেতা টিকেএস এলাঙ্গোভান বলেছেন, “প্রথমে হিন্দু ধর্মে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে হবে। তফশিলি জাতি উপজাতি-সহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে দেশের যে কোনও মন্দিরে পূজা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। সংবিধান প্রতিটি ধর্মকেই সুরক্ষা দিয়েছে, তাই আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাই না।” জেডি(ইউ) নেতা কেসি ত্যাগী বলেছেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সকলেই জানে, দেশে একমাত্র বিজেপিই ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে।” কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল বলেছেন, “প্রথমে দেশের দারিদ্র্য, মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের বিষয়ে উত্তর দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর। পুরো মণিপুর জ্বলছে, কিন্তু তিনি কখনও এই ইস্যুতে কথা বলেন না। তিনি শুধু এই সমস্ত সমস্যা থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”

 সব মিলিয়ে বাংলার সাতটি রাজ্যসভার আসনে ২৪ জুলাই নির্বাচন হবে। রাজ্যসভায় পাঁচ তৃণমূল সাংসদের আসন খালি হচ্ছে - ডেরেক'ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দু শেখর রায়। পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের আসনটিও খালি হচ্ছে।

 জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন, বাংলার সাত আসনে ভোটাভুটি, কার কার মেয়াদ ফুরোচ্ছে?রাজ্যসভা

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট আর লোকসভা ভোটের দামামার মধ্যেই এবার রাজ্যসভার নির্বাচন (Rajya Sabha Elections)। আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যসভায় বাংলার মোট ১৬টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ছ’টি আসন খালি হচ্ছে। এছাড়া আরও একটি আসনে উপনির্বাচন। সব মিলিয়ে বাংলার সাতটি রাজ্যসভার আসনে ২৪ জুলাই নির্বাচন হবে। রাজ্যসভায় পাঁচ তৃণমূল সাংসদের আসন খালি হচ্ছে – ডেরেক’ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দু শেখর রায়। পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের আসনটিও খালি হচ্ছে।


এদিকে আবার লুইজিনহো ফেলেইরোর আসনটিও রয়েছে। সেটিতেও উপনির্বাচন হবে। সব মিলিয়ে বাংলার মোট সাত রাজ্যসভার আসনের জন্য ২৪ জুলাই ভোট হবে। বাংলার ওই ছয় রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৮ অগস্ট। এদিকে লুইজিনহো ফেলেইরোর রাজ্যসভার সাংসদ কার্যকালের মেয়াদ ফুরানোর আগেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়েছেন। ১১ এপ্রিল থেকে তাঁর আসনটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই আসনটিতেও উপনির্বাচন হবে।


জাতীয় নির্বাচন কমিশনের থেকে জারি করা নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও গুজরাটের তিনটি আসন ও গোয়ার একটি রাজ্যসভার আসনের জন্যও নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই সবগুলি আসনেই ২৪ জুলাই ভোট হবে। ৬ তারিখ বিজ্ঞপ্তি জারি হবে, ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে মনোনয়ন জমা করতে হবে। ১৪ তারিখ মননোয়নের স্ক্রুটিনির দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ জুলাই। ২৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটাভুটি হবে। ওইদিনই বিকেল ৫টা থেকে গণনা হবে এবং ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

  বিজেপির গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কারের জন্য পিডব্লুডি দফতরের পক্ষ থেকে প্রথমে ৭.৬২ কোটি টাকা ধার্য করেছিল। পরে কেজরীবালের নির্দেশে বাংলোর অন্দরসজ্জার জন্য খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.২০ কোটি টাকা!

CAG investigation against Kejriwal: বাংলো সংস্কারের খরচ নিয়ে 'ক্যাগে'র তদন্তের মুখে কেজরীবালদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (ফাইল ছবি)
Image Credit Source: PTI
নয়া দিল্লি: দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অব্যাহত। মঙ্গলবার (২৭ জুন), এই দ্বন্দ্বের নতুন পর্ব শুরু হল বলা যেতে পারে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল দেশের সবথেকে বড় অডিট সংস্থা ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’, বা ক্যাগ (CAG)-কে। কেজরীবালের বাংলো সংস্কারের খরচ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে চর্চা চলছে। তারই মধ্যে ২৪ মার্চ, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে একটি চিঠি দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। ওই চিঠির ভিত্তিতেই এদিন ক্যাগ-কে অডিটের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।


কেজরীবালের বাংলো সংস্কারের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগটি তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কারের জন্য পিডব্লুডি দফতরের পক্ষ থেকে প্রথমে ৭.৬২ কোটি টাকা ধার্য করেছিল। পরে কেজরীবালের নির্দেশে বাংলোর অন্দরসজ্জার জন্য খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.২০ কোটি টাকা! এর জন্য কোনও সরকারি অনুমোদনও দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছিল বিজেপি। এর পাশাপাশি, দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি অভিযোগ করেন, বাংলোর পর্দার পিছনেই সরকারি কোষাগারের ১.৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন কেজরীবাল।


এক সপ্তাহ আগেই এই বিষয়ে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ৭ ইঞ্জিনিয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল দিল্লির ভিজিল্যান্স দফতর। এই ইঞ্জিনিয়াররা মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো সংস্কারের পরিকল্পনা ও রূপায়নের দায়িত্বে ছিলেন। নোটিসে বলা হয়, তাঁরা সিপিডব্লুডি বিভাগের নিয়ম এবং কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পুনর্গঠনের ছলে তাঁরা একটি নয়া ভবন তৈরি করেছেন। আর এই কাজ করতে গিয়ে একাধিক ত্রুটি এবং অনিয়ম করেছেন। ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারা আরও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজন অনুসারে অভ্যন্তরীণ সজ্জা পরিবর্তনের ফলে কাজের পরিমাণ বেড়েছে এবং প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। আরও বলা হয়, কোনও সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি না করেই পুরনো বাংলোটির কাঠামো ভেঙে ফেলে পিডব্লিউডি। তারপর, পরিকল্পনার অনুমোদন ছাড়াই নতুন ভবন নির্মাণ করেছে। এবার ক্যাগের তদন্তে কী তথ্য উঠে আসে, সেটাই দেখার।



 ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণ কেন্দ্রে কী হয়েছিল, তা জানতে ওই কয়েকদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

Calcutta High Court: তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থী হয়ে গেলেন নির্দল! CCTV ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টেরবিচারপতি অমৃতা সিনহা

কলকাতা: তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। জমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতীকও। কিন্তু বিডিও অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারেন তৃণমূলের টিকিটে লড়া হচ্ছে না তাঁর। আরও এক প্রার্থী নাকি তাঁর আগেই তৃণমূলের প্রতীক জমা দিয়েছেন। এমন অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন হুগলির বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সৌমেন ফুষ্টি। এই মামলায় সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচনের পরে ইলেকশন পিটিশন ফাইল করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।


জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুন ওই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ২০ জুন জমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতীক। ওইদিনই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহার ও প্রতীক জমা দেওয়ার শেষ দিন। তিনিই যে তৃণমূলের প্রার্থী, সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিডিও অফিসের তরফে। পরে তিনি বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর ফোন যায় তাঁর কাছে। জানানো হয় সুরজিৎ ঘোষ নামে আর এক প্রার্থীও তৃণমূলের প্রতীক জমা দিয়েছেন সৌমেন বাবুর আগেই।

১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণ কেন্দ্রে কী হয়েছিল, তা জানতে ওই কয়েকদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলাকারীর দাবি, আইন অনুযায়ী দল চাইলে একসঙ্গে দুজনকে প্রতীক দিতে পারে। তবে, কে আগে দিচ্ছে সেটা দেখা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমনটা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামীম।


বলাগড় ব্লকের বিডিও-র বিরুদ্ধে যাতে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, শাসক দলের তরফেই তাঁক ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হোক।

টলিউডের অন্যতম অভিনেতা, যিনি বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন তাঁর অনবদ্য অভিনয়ে। ঘরের বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ডস শোয়ে এসে সকলের নজর কাড়লেন সৌরভ।

Ghorer Bioscope Award 2023: ঘরের বায়োস্কোপ-এ এসে কোন সুখবর দিলেন সৌরভ?
‘মন্টু পাইলট’ ওয়েব সিরিজ রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিল, নেপথ্যে সৌরভ দাস। টলিউডের অন্যতম অভিনেতা, যিনি বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন তাঁর অনবদ্য অভিনয়ে। ঘরের বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ডস শোয়ে এসে সকলের নজর কাড়লেন সৌরভ। মঞ্চে উঠে ‘মন্টু পাইলট’এর জন্য পান সেরা অভিনেতার সম্মান। পুরস্কার হাতে নিয়ে মঞ্চ থেকেই এদিন সৌরভ জানিয়েছিলেন, ‘মন্টুর ভাষায় নয়, সৌরভের কথায় বলছি, ধন্যবাদ টিভি ৯ বাংলা। ধন্যবাদ হইচই, শ্রীকান্ত দা, মণীদা, আমার বড়ভাই দেবালয় দা। এমন একটা দিন যখন আমার পুরো পরিবার রয়েছে এখানে, আমার বাবা, মা ও ভাই, তোমার সঙ্গে এই মুহূর্তটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠল। এই পুরস্কার তোমাদের জন্য। ধন্যবাদ সবাকে। ধন্যবাদ পরমদা, ধন্যবাদ অর্পিতাদি। শেষে দেব ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন সৌরভ দাস।’


এরপর পুরস্কার নিয়ে বিশেষভাবে বাংলাকে জানালেন অভিনেতা, ‘অ্যাওয়ার্ডের জন্য তো কাজ করিনি। যখন করছিলাম, তখন মনে হয়েছিল মন্টু পাইলট থাকবে মানুষের মনে। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে মন্টু পাইলটের। সেটাই তারপর প্রমাণিত হয়েছে। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে মন্টুপাইলটের। সেটা পুরোটাই হয়েছে মানুষ সারাজীবন প্রচন্ড ভালবাসা দিয়েছেন, মন্টু পাইলট কাল্টে পরিণত হয় একটা সময়ের পর। আমি অবাক হইনি, তবে সত্যি খুব খুশি। আরও একটা সিজ়ন হয়তো আসবে। তাই মন্টু ভক্তদের জন্য সুখবর। সেক্ষেত্রে দেখা যাক কী হয়।’ ফলে এদিন সৌরভ দাস সকলকে এক সুখবর দিয়ে গেলেন। আসছে মন্টু পাইলট-এর নতুন সিজ়ন।

ইংল্যান্ডে ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পর্বে ৯টির মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। যদিও সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। গত বিশ্বকাপ থেকে অবশ্য ওয়ান ডে-তে দারুণ ফর্মে 
 বাবরের হাতে ট্রফি দেখছেন পাকিস্তানের বিশ্বজয়ী প্রাক্তন পেসার

মুম্বই: সূচি প্রকাশ করে দিয়েছে আইসিসি। এ বার অপেক্ষা খেলা শুরুর। ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে ৫ অক্টোবর। পাকিস্তান অভিযান শুরু করবে ৬ অক্টোবর। বিশ্বকাপে বহু প্রতিক্ষীত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ১৫ অক্টোবর আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ফাইনালও হবে একই মাঠেই। এখনও অবধি একবারই ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছে পাকিস্তান। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আক্রম মনে করছেন, এ বার বিশ্বকাপ জয়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তানের। বিস্তারিত জেনে নিন
এর এই প্রতিবেদনে।


আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। আইসিসি ওডিআই ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষে বাবর। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। ওয়াসিম আক্রম মনে করছেন, বাবর আজম এবং দলের অন্যান্য অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা স্বপ্নপূরণ করতে পারে। বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন মহম্মদ রিজওয়ান, ইমাম উল হক, ফখর জামান, শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাদাব খানরা। পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ওয়াসিম আক্রম আইসিসিকে বলেন, ‘আমাদের দল খুবই শক্তিশালী। বিশেষ করে ওয়ান ডে ফরম্যাটে। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ওডিআই ব্যাটার বাবর আজম নেতৃত্ব দেবেন। দলের সকলেই যদি ফিট থাকে, ওদের দারুণ সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপ জেতার। তার অন্যতম কারণ, ভারত এবং উপমহাদেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের পরিচিত।’

ইংল্যান্ডে ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পর্বে ৯টির মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। যদিও সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। গত বিশ্বকাপ থেকে অবশ্য ওয়ান ডে-তে দারুণ ফর্মে পাকিস্তান। আইসিসি ক্রমতালিকায় ওডিআই-তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে। কেরিয়ারের ১৮টি ওডিআই সেঞ্চুরির মধ্যে ৮টি এসেছে গত বিশ্বকাপের পর থেকে।


অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ওয়াসিম আক্রম আরও বলছেন, ‘আমার মনে হয় সময়ের সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ও। পুরো দেশ ওকে অনুসরণ করে। ওকে দেখতেই গ্যালারিতে ভিড় হয়। সেটা যে ফর্ম্যাটেই খেলা হোক না কেন। সবচেয়ে সুন্দর কভার ড্রাইভ বাবরই খেলতে পারে।’

   আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি কালীঘাটের কাকুকে প্যারোলে ছাড়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে জামিনের আবেদন এখনও বিবেচ্য বিষয় বলে আদালত জানিয়েছে।

Sujay krishna Bhadra: স্ত্রী-র শেষকৃত্যের জন্য জামিন চেয়েও পেলেন না কালীঘাটের কাকুপ্রয়াত বাণী ভদ্র। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রীর।

কলকাতা: সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সুজয়কৃষ্ণর। ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর সময় সুজয় ছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। ফলে স্ত্রী-র শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য জামিন চান সুজয়। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করল না। পরিবর্তে জেল যদি চায়, প্যারোলে ছাড়তে পারে বলে জানান বিচারপতি। তবে জামিনের আবেদন এখনও বিবেচ্য বিষয় বলে আদালত জানিয়েছে। শুক্রবার হবে মামলার শুনানি। মঙ্গলবার বিচারপতি ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথোপকথন এক নজরে:


কিশোর দত্ত (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী): আমার মক্কেলের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। সেই কারণে তাঁর শেষকৃত্যের জন্য পনেরো দিনের জন্য জামিন চাইছি।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ: জামিনের বিষয় পরে বিবেচনা করে দেখা হবে। তবে জেল যদি প্যারোল দেয় সেক্ষেত্রে আমার কোনও আপত্তি নেই।


ফিরোজ এডুলজি (ইডি-র আইনজীবী): সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দিলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হতে পারে।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ: আদালত কোনও প্যারোল দিচ্ছে না। জেল যদি প্যারোল দেয় তাহলে এসকর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তবে শ্মশান যাত্রায় অংশ নিতে আজ জেল কোড অনুযায়ী ছাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, ছোট থেকেই একে অপরকে চিনতেন সুজয়কৃষ্ণ ও তাঁর সদ্য প্রয়াত স্ত্রী বাণী কৃষ্ণ ভদ্র। বাণীদেবীর বয়স ৫৬-৫৭ বছর। সম্প্রতি তাঁর হাঁটুর প্রতিস্থাপন হয়। সুজয়ের গ্রেফতারির পর তিনি বারবার বলেছিলেন, “কোনও দুর্নীতিতে উনি যুক্ত নন। এটা হতেই পারে না। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।” এরপর আজ প্রয়াণ ঘটে তাঁর।

 বান্ধবীর হাত ধরে প্যান্ডেল হপিং নাকি সোফায় আয়েশ করে বসে মুঠোফোনে বিশ্বকাপের ম্যাচ? শাঁখের করাতের মতো অবস্থা ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালির।

উৎসব প্রিয় বাঙালি বনাম বিশ্বকাপ, প্রবল দ্বিধায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

কলকাতা: আমরা কথাতেই বলি বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর ১৪তম পার্বণ হল ক্রীড়া উৎসব। ২০২৩ সালটি যেন ক্রিকেট উৎসবের জন্য উৎসর্গ। একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, এশিয়া কাপের পর অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাটিতে শুরু হচ্ছে সবচেয়ে বড় ক্রিকেটের মহারণ, ওডিআই বিশ্বকাপ। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু টুর্নামেন্ট। শেষ ১৯ নভেম্বর। অর্থাৎ গোটা উৎসবের মরসুম জুড়ে চলবে ১০ দলের মহাযুদ্ধ। তবে এই ডবল ধামাকায় ফাঁপরে পড়েছে আম বাঙালি। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সময় পুরোদমে চলবে বিশ্বকাপ। পুজোর চারটে দিনের মধ্যে রয়েছে ভারতের ম্যাচও। মহালয়া থেকে ষষ্ঠী, মহাষ্টমী, লক্ষীপুজো, কালীপুজো-দীপাবলি থেকে ভাইফোঁটা– সবকটি উৎসবের মুহূর্তে থাকবে ক্রিকেটের তড়কা। বান্ধবীর হাত ধরে প্যান্ডেল হপিং নাকি সোফায় আয়েশ করে বসে মুঠোফোনে বিশ্বকাপের ম্যাচ? শাঁখের করাতের মতো অবস্থা ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালির।


মহালয়া থেকেই পুজো গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। গত কয়েকবছর ধরে এই মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে প্যান্ডেল হপিং। ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। এ বার মহালয়া পড়েছে ১৪ অক্টোবর। সেদিনই আবার রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপের জোড়া ম্যাচ। ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ। দুটো ম্যাচের একটিও ভারতের নয়। এমনকী কলকাতাতেও ম্যাচ নেই। তাতে কি ক্রিকেট ভক্তদের কিছু আসে যায়? এরপর ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন ভারত বনাম বাংলাদেশ ধুন্ধুমার ম্যাচ। ইন্দো-পাক ম্যাচের মতো এখন ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা খুব উপভোগ করেন। পঞ্চমীর দিন পুনেতে রয়েছে এই ম্যাচ। ইডেন মুখো হতে না হলেও চোখ অবশ্যই থাকবে টিভি-মোবাইলে। ষষ্ঠীর দিন আরও একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষা। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান ম্যাচ। ২১ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর দিন বিশ্বকাপের জোড়া ম্যাচ। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। লখনউতে দুটি কোয়ালিফায়ার টিমের মধ্যে আরও একটি ম্যাচ রয়েছে।

পাটভাঙা শাড়ি, বা নতুন পঞ্জাবিটা গলিয়ে অষ্টমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে যে আড্ডার পরিকল্পনা করেছিলেন সেটিও মাঠে মারা যেতে পারে। ২২ অক্টোবর মহাষ্টমীর দিন ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। ২০১৯ সালের সেমিফাইনাল ম্যাচের যন্ত্রণা আজও কুরে কুরে যায় ভারতীয় সমর্থকদের। মার্টিন গাপটিলদের দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ যে চাই-ই চাই। ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দেখেই অষ্টমীর সন্ধ্যে কেটে যাওয়ার কথা। ২৩ অক্টোবর, নবমীর নিশিতে পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ। বিষাদের দশমীতেও ছাড় নেই। ২৪ অক্টোবর বিজয়ার দিন বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ।

 ওই মহিলার স্বামীর দাবি, এর আগে তাঁর উপরও অ্যাসিড ভর্তি বাল্ব ছোড়া হয়েছিল। গলায়, ঘাড়ে এখনও পোড়া চিহ্ন আছে। সেই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে বলে দাবি আক্রান্তের স্বামীর।

Acid Attack: মেদিনীপুর শহরে মহিলার উপর অ্যাসিড হামলা, প্রতিবেশীকে কাঠগড়ায় তুললেন স্বামীপ্রতীকী ছবি।

মেদিনীপুর: মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে এক মহিলার উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল। পরিবারের দাবি, বরাত জোরে মুখে কিছু হয়নি। তবে পিঠে, হাতে আঘাত লেগেছে তাঁর। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি তাঁর স্বামীর। এই ঘটনায় এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আক্রান্তের স্বামী। তাঁর দাবি, ভাড়া করে কাউকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন ওই ব্যক্তি। রবিবারের এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় শহরে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা। এমন ঘটনায় হতবাক তিনিও।


ওই মহিলার স্বামীর দাবি, এর আগে তাঁর উপরও অ্যাসিড ভর্তি বাল্ব ছোড়া হয়েছিল। গলায়, ঘাড়ে এখনও পোড়া চিহ্ন আছে। সেই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে বলে দাবি আক্রান্তের স্বামীর। তিনি বলেন, “আমার বাড়ির পাশের একজনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ঝামেলা। আমার বউয়ের সঙ্গে কথা বলত, সেটা আমি পছন্দ করতাম না। তারপর অনেক কিছু হয়েছে আমার সঙ্গে। সেসব ৮ বছর আগের ঘটনা। আমার বউ একটা দোকানে কাজ করত। সেই দোকানে ফোন করে হুমকি দেওয়া শুরু করে ওই প্রতিবেশী। দোকানের মালিককে বলে আমার স্ত্রীকে কাজে রাখলে দোকানে হামলা করাবে। এরপর আমি থানাতে যাই। আমাকেও অ্যাসিড মারে। এখনও আমার গায়ে দাগ আছে। আজ আমার স্ত্রী বাড়ি ফিরছিল, তখন অ্যাসিড হামলা করে। হাতে, পিঠে লাগে। উদ্দেশ্য ছিল মুখে মারার। আমারও মুখই টার্গেট ছিল।”

দেওয়াল লিখনে নামের পাশে 'চোর' লেখা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী সামসুল আলম। তিনি বলেন, "কিছু নিন্দুক এই কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমি সত্যিই চুরি করেছি। যেটা চুরি করেছি সেটা হল, মানুষের মন।"

Panchayat Election: তৃণমূল প্রার্থীর ছবিতে কালির দাগ, নামের পাশে লেখা 'চোর', শোরগোল ডোমজুড়েদেওয়াল লিখন নিয়ে উত্তেজনা ডোমজুড়ে।
হাওড়া: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন পেশ থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য। দেওয়াল লিখন থেকে পোস্টার সবকিছুতেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চলছে রেষারেষি। এবার দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। দেওয়াল লিখনে তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর নামের পাশে লেখা রয়েছে ‘চোর’। যা নিয়ে রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় ডোমজুড়ে (Domjur)। এই কাজ বিরোধীদের বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।


জানা গিয়েছে, ডোমজুড় তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী সামসুল আলম তরফদার বাঁকড়া এলাকায় নিজের নির্বাচনী প্রচারে শনিবার দেওয়াল লিখন করান। তারপর রবিবার সকাল হতেই দেখা যায়, দেওয়াল লিখনে তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে ‘চোর’। কেউ যে কালো কালি দিয়ে ‘চোর’ শব্দটি লিখে দিয়েছে, তা দেখলেই বোঝা যায়। আবার তৃণমূল প্রার্থীর ছবি কালি দিয়ে কাটা হয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে এ কাজ করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। কে বা কারা এ ধরনের কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে ‘চোর’ তকমা নিয়ে নাম না করে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন সামসুল আলম। তিনি বলেন, “কিছু নিন্দুক এই কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমি সত্যিই চুরি করেছি। যেটা চুরি করেছি সেটা হল, মানুষের মন।” বিরোধী দলের পাশাপাশি দলের বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরাও একাজ করে থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত সামসুল আলমের। তাঁর কথা, “আসলে মনে হচ্ছে, যাঁরা আমার জায়গায় প্রার্থী হতে পারেননি তাঁরা কেউ কেউ হিংসার বশে এই কাজ করলেও করে থাকতে পারেন।”

এদিনই আবার পটনা-বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বলেন, "যারা কংগ্রেসকে বি-টিম বলে, যারা কংগ্রেসকে পচা ডোবার সঙ্গে তুলনা করে, যাঁরা বলে কংগ্রেস করেছি বলে লজ্জা হয়, আজ তাদের যখন স্বীকার করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে সামনে রেখে চলা উচিত।

Firhad-Adhir: ফিরহাদের নিশানায় অধীর, পাল্টা খোঁচা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরওফিরহাদ হাকিম ও অধীর চৌধুরী।

মুর্শিদাবাদ: পটনায় এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। অথচ বাংলায় আকচাআকচি থামার বালাই নেই। উল্টে বাড়ছে কথার লড়াই। মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে নাম না করে একদিকে যেমন অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) নিশানা করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীর চৌধুরী। রবিবার মুর্শিদাবাদ থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আপনাদের শাসক মুর্শিদাবাদের নেতা এখন শুধু কংগ্রেস করেন না, এখন আর শুধু কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার কথাও বলছেন না। উনি সিপিএমের সঙ্গে মিলে তৃণমূলকে দুর্বল করতে চাইছেন।” আর এভাবে পরোক্ষে শক্তি বাড়াতে চাইছেন বিজেপির।


এদিনই আবার পটনা-বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বলেন, “যারা কংগ্রেসকে বি-টিম বলে, যারা কংগ্রেসকে পচা ডোবার সঙ্গে তুলনা করে, যারা বলে কংগ্রেস করেছি বলে লজ্জা হয়, আজ তাদের যখন স্বীকার করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে সামনে রেখে চলা উচিত। কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখার প্রয়োজনে যারা পটনা ছুটে যায়, তাদের জিজ্ঞাসা করা ভাল কে এ টিম কে বি টিম।”

সিবিআই সূত্রে খবর, কমিশন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে নির্দিষ্ট একটি ফাইল দফতরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক বছর ধরে তার খোঁজ মেলেনি।

Group C Scam: গ্রুপ সি মামলার ফাইল উধাও, CBI-কে জানাল বিকাশ ভবনবিকাশ ভবন (ফাইল ছবি)
কলকাতা: স্কুল নিয়োগের ফাইল উধাও। এসএসসি দফতর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথির খোঁজ মিলছে না। সিবিআই-কে এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। গ্রুপ-সি-র মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিকাশ ভবনের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। সূত্রের খবর, তারই উত্তরে নথি উধাওয়ের কথা জানিয়েছে কমিশন।


সিবিআই সূত্রে খবর, কমিশন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে নির্দিষ্ট একটি ফাইল দফতরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক বছর ধরে তার খোঁজ মেলেনি। এমনকী ফাইলটি খুঁজে পেতে বিধাননগর উত্তর থানায় জেনারেল ডাইরিও করা হয়। কিন্তু এরপরও Group C Scam: Bikash Bhaban Files Complaint to CBI over missing file on Group-C Caseওই ফাইলের খোঁজ নেই। সিবিআইকে এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।

জানা যাচ্ছে, যেহেতু বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেই কারণে সিবিআই এবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। খতিয়ে দেখা হবে ফাইলটি খোঁজার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল থানা থেকে। কারণ শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। যার ভিত্তিতেই কমিশনের কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠান তাঁরা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি কীভাবে উধাও হল, কে সেই তথ্যগুলি সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তা সব কিছুই এবার খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।


ফাইল উধাওয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্কুল সার্ভিস চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছেন যে, তাঁদের দফতর থেকে সম্প্রতি কোনও ফাইল উধাও হয়ে যায়নি। সিবিআই-কেও এমন কোনও তথ্য তারা জানাননি। পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছেন, ফাইল উধাও নিয়ে পুলিশের কাছেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের অদ্বৈতনগরের কংগ্রেসের গ্রামসভার প্রার্থী আব্দুল মামুদ বিধায়ক আমিরুল ইসলামের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূলের পতাকা ধরানো হয়েছে।

কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ, 'নিখোঁজ' প্রার্থীকংগ্রেস নেতা আব্দুল খালেক।
মুর্শিদাবাদ: কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীকে জোর করে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল সামশেরগঞ্জে। অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেসের প্রার্থীকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই প্রার্থীকে অপহরণেরও অভিযোগ উঠছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে পরিস্থিতি সামাল দিতে। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি আটকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।


রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের অদ্বৈতনগরের কংগ্রেসের গ্রামসভার প্রার্থী আব্দুল মামুদ বিধায়ক আমিরুল ইসলামের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূলের পতাকা ধরানো হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা।

কংগ্রেস নেতা আব্দুল খালেকের দাবি, “আমাদের আজ ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। জেলা পরিষদের প্রার্থীকে নিয়ে অদ্বৈতনগরে বাড়ি বাড়ি প্রচারের কথা ছিল আমাদের। এরপর বিকেলে একটা মিছিলও ছিল। আমাদের প্রার্থীকে প্রচার করতে দেয়নি। ১৬৩ নম্বর বুথের প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হেনস্থা করে। ভয় দেখিয়ে ওকে তৃণমূলের পতাকা ধরায়। পতাকা না ধরলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রার্থী মামুদের বাবা কান্নাকাটি করেন। তারপরও ছেলেটাকে উঠিয়ে যায়। বিধায়ক সব জানেন।”


আরেক কংগ্রেস কর্মী সাবির বলেন, “বাড়ি বাড়ি প্রচার করার কথা ছিল। তৃণমূলের লোকজন এসে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে আমাদের প্রার্থীকে। তোয়াব আলিকে জোর করে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়েছে। আব্দুল মামুদের সঙ্গেও তাই করেছে। আমাদের লোকেরা বলে, যদি তোমরা ভালই হও তাহলে কেন এভাবে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছ?” এ প্রসঙ্গে সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, “অপহরণ করা হলে বা জোর করে কিছু হলে তা তার পরিবারের লোকজন বলুক। কংগ্রেসের অভিযোগ শুনে কিছু বললে চলবে না।”

ঘটনাটি আমতা বিধানসভার কাশমুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৯ নম্বর বুথের। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাশমুলি অঞ্চলের ১৩৯ নম্বর বুথের প্রার্থী হিসাবে সুকুমার মিদ্দাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। গত ১৪ তারিখ তিনি কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমাও দেন।

West Bengal Panchayat Elections 2023: কানে বন্দুক ঠেকিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার, নিখোঁজ কংগ্রেস প্রার্থী, আমতাকাণ্ডে জল গড়াল হাইকোর্টেকলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা: কানে বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ। দুই কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে ‘চাপ’ আর তারপর থেকেই এক কংগ্রেস প্রার্থীর নিখোঁজ-রহস্য। এবার কংগ্রেস প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে কংগ্রেসের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।


ঘটনাটি আমতা বিধানসভার কাশমুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৯ নম্বর বুথের। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাশমুলি অঞ্চলের ১৩৯ নম্বর বুথের প্রার্থী হিসাবে সুকুমার মিদ্দাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। গত ১৪ তারিখ তিনি কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমাও দেন। পরিবারের অভিযোগ, গত ২০ তারিখ তৃণমূলের লোকজন জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করান। কংগ্রেসের অভিযোগ তারপর থেকেই সুকুমার মিদ্দাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও সদর্থক কোনও ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

কলকাতা থেকে লং ড্রাইভে হোক বা ট্রেনে চেপে বালেশ্ব‌র, উইকএন্ডে অনায়াসে ঘুরে নিতে পারবেন ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত। ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা থেকে পৌঁছে যেতে পারেন ডুবলাগরি। ডুবলাগরি ওড়িশার ভার্জিন সমুদ্র সৈকত। এখানে খুব বেশি পর্যটকদের আনাগোনা নেই।

Virgin Sea Beach: পুরী ছেড়ে পাড়ি দিন ওড়িশার ভার্জিন বিচে, বর্ষায় একটা উইকএন্ড কাটান এখানে
বৃষ্টির দিনে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যেতে কার না ভাল লাগে। উইকএন্ড এলেই অনেকেই পাড়ি দেন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে। আর যদি হাতে উইকএন্ডের চেয়ে একদিন বেশি সময় থাকে, তাহলে কেটে নেন পুরীর ট্রেনের টিকিট। কিন্তু পুরী যেতে গেলেও হাতে চার থেকে পাঁচ দিন প্রয়োজন। কিন্তু ওড়িশার পুরী ছাড়াও এমন অনেক সমুদ্র সৈকত রয়েছে, যা হতে পারে আপনার উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। আর সেই তালিকায় রয়েছে ডুবলাগরি।


বালেশ্ব‌রের কাছে অবস্থিত ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত। কলকাতা থেকে লং ড্রাইভে হোক বা ট্রেনে চেপে বালেশ্ব‌র, উইকএন্ডে অনায়াসে ঘুরে নিতে পারবেন ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত। ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা থেকে পৌঁছে যেতে পারেন ডুবলাগরি। এছাড়া বালেশ্ব‌র স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন ডুবলাগরি। বালেশ্ব‌র স্টেশনে থেকে ডুবলাগরির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। আর কলকাতা থেকে সড়কপথে ডুবলাগরির দূরত্ব প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ড্রাইভ করতে হবে ডুবলাগরি পৌঁছানোর জন্য।

ওড়িশার ইকো-ট্যুরিজমের অংশ ডুবলাগরি। নির্জন সমুদ্র সৈকত, ঝাউবনের জঙ্গল, লাল কাঁকড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত। ডুবলাগরির ঝাউবনের জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন ধরনের পাখির। নিরিবিলিতে কিছুটা সময় সমুদ্রতটে কাটানোর আদর্শ জায়গা এই ডুবলাগরি। ডুবলাগরির সমুদ্রের পাড়ে বসে দেখতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। এই দুটো জিনিস ডুবলাগরি এসে মিস করলে চলবে না।




বিসিসিআই প্রকাশিত টেস্ট স্কোয়াডে নেই ভারতের সিনিয়র জোরে বোলার উমেশ যাদব (Umesh Yadav)। অনেকেই বলছিলেন, তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বার জানা গেল অন্য কারণ।

Umesh Yadav: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কেন নেই উমেশ যাদব? প্রকাশ্যে এল কারণওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কেন নেই উমেশ যাদব? প্রকাশ্যে এল কারণ

মুম্বই : বিসিসিআইয়ের (BCCI) অন্দরে কী চলছে? আপামর ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের তা জানার ইচ্ছে রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের (India Tour of West Indies) জন্য বিসিসিআই টেস্ট ও ওডিআই সিরিজের যে দল ঘোষণা করেছে তারপর থেকে একাধিক আলোচনা চলছে। কখনও বলা হচ্ছে, মাত্র একটা টেস্ট ম্যাচ দিয়ে কেন চেতেশ্বর পূজারার বিচার করা হল? কখনও প্রশ্ন উঠছে, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় কী এমন করলেন যে তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন? সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার যুক্তি খুঁজতে কাঁটাছেড়া চলছে। বিসিসিআই প্রকাশিত টেস্ট স্কোয়াডে নেই ভারতের সিনিয়র জোরে বোলার উমেশ যাদবও (Umesh Yadav)। অনেকেই বলছিলেন, তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বার জানা গেল অন্য কারণ। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, দল থেকে বাদ পড়েননি উমেশ। তা হলে কেন নেই উমেশ? বিস্তারিত জেনে নিন  এর এই প্রতিবেদনে।


বিসিসিআইয়ের এক সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, আসলে উমেশ যাদব হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন। তিনি এখন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন। তার ফলেই ক্যারিবিয়ান সফরে তাঁকে ভারতীয় দলে রাখা হয়নি। বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের পর আলোচনা চলছিল যে, উমেশ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওভালে ভালো পারফর্ম করতে পারেননি বলে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হল। এ বার জানা গেল আসল কারণ।


পূজারা, উমেশদের মতো সিনিয়রদের জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়নি: সূত্র
বিসিসিআইয়ের ওই সূত্রের মতে, নির্বাচকরা উমেশ যাদব ও চেতেশ্বর পূজারাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য এখনও জাতীয় দলের দরজা বন্ধ করেনি। এই বিষয়ে তিনি অজিঙ্ক রাহানের উদাহরণ টেনে আনেন। তাঁর কথায়, WTC ফাইনালের আগে ১৫ মাস জাতীয় দল থেকে দূরে ছিলেন রাহানে। তারপরও তিনি কামব্যাক করেছেন। শুধু তাই নয়, এখন তো আসন্ন টেস্ট সিরিজের সহ-অধিনায়কও হয়েছেন রাহানে। ফলে এর থেকেই পরিষ্কার সিনিয়রদের জন্য ভারতীয় দলের দরজা এখনও বন্ধ হয়নি। নির্বাচকরা এমনটা কখনও চান না যে, সব সিনিয়র ক্রিকেটার একসঙ্গে দল ছেড়ে চলে যাবে। আর ড্রেসিংরুমে কোনও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকবে না।