September 2021

 


শুরু হল ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন-সহ রাজ্যের বাকি দুই কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচন। নির্ধারিত সময় সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বুধবারই ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী তথা ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রের উত্‍সবে নির্ভয়ে ও আনন্দে ভোট দিন। প্ররোচনা ছড়াবেন না, প্ররোচনায় জড়াবেন না।'

এদিকে ভবানীপুরে মোট ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মৌট ২৮৭টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে মোট ৭২ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ১২৬ নম্বর বুথে বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলেছেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন তিনি। সব বুথে এজেন্ট দিতেও পারেননি বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর।

  


মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। উদ্ধার হল প্রায় ৯ কেজি ৫০০ গ্রামের মতো হেরোইন। যার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে ৪৫ কোটি টাকার কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন এসটিএফ আধিকারিকরা। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন পাচারকারীকে। মঙ্গলবার এই অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের পরিচয় এখনও গোপন রেখেছেন তাঁরা। ধৃতরা আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃদেশীয় পাচারকারী বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে।

এক আধিকারিক বলেন, দু'‌টি পৃথক অভিযানে এই সাফল্য এসেছে। সূত্র মারফত তাঁরা মুর্শিদাবাদের একটি দলের সন্ধান পান। যারা পাচারের উদ্দেশ্যে এক বিপুল পরিমাণ হেরোইন অন্য রাজ্য থেকে নিয়ে এসেছে। এরপরেই বহরমপুর থানা এলাকায় এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। যার কাছে এই মাদক রাখা আছে। সেইমতো অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে তার কাছে ২ কেজি ৭০০ গ্রাম এই নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়। জেরায় ধৃত জানায় হেরোইন নিয়ে আসা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ থেকে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরেকটি অভিযান সম্পর্কে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, দার্জিলিং জেলার নেপাল সীমান্তে খড়িবাড়ি থানা এলাকায় একটি দলের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা বড়সড় পরিমানের হেরোইন পাচার করতে চলেছে। সূত্র মারফত দুই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে ধরা হলে তাদের থেকে প্রায় ৭ কেজির কাছাকাছি এই মাদক উদ্ধার হয়। জেরায় তারা জানিয়েছে, মণিপুর থেকে এই মাদক আনা হয়েছিল এবং নেপালে পাচার করা হত। অভিযুক্তদের একজন মণিপুর এবং অপরজন আসামের বাসিন্দা। দু'জনের বিরুদ্ধেই খড়িবাড়ি থানায় মাদক পাচার সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে।


 পুজোর সাজ এবং আড্ডা নিয়েই 'মম চিত্তে' গানে নাচ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফ্ল্যাটের ছাদে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে নাচছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গানের তালে তালে হাততালি দিচ্ছেন শোভন। মুখে মিষ্টি হাসি। বুধবার এই ভাইরাল ভিডিও নিয়েই মেতে থাকলেন নেটিজেনরা। বলাবাহুল্য শোভনকে ঘিরে বৈশাখির এই নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। পুজো সংক্রান্ত একটি শুটিংয়ের ফাঁকে শোভনকে ঘিরে নাচলেন বৈশাখী।

  


   সংবাদ প্রতিদিন    

প্রাণ ভয়ে কাঁপছেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) মহিলা বিচারপতিরা। মসনদে বসার পর থেকেই তাঁদের খুঁজে বেড়াচ্ছে তালিবান জেহাদিরা। একসময় যাদের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিলেন এই বিচারপতিরাই। সরব হয়েছিলেন, মহিলাদের অধিকার নিয়ে। এবার তাদের থেকে বদলা নেওয়া পালা তালিবানের! এমনটাই বলছে ইউরোপের এক সংবাদমাধ্যম 'ইউরো উইকলি'-র রিপোর্ট।

কেউ খুন করেছিল তো কেউ ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন মহিলা বিচারপতিরা (Female Judges)। কাবুলের ক্ষমতা দখলের পরই রাতারাতি আফগানিস্তানের জেল থেকে সেই সমস্ত অপরাধীদের মুক্তি দেয় তালিবরা। অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় কাবুলিওয়ালার দেশ। আর ঠিক সেদিন থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে চলছে বিচারপতিরা। অনেকে তো প্রাণ বাঁচাতে ঘর পর্যন্ত ছেড়েছেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে ২২০ জন মহিলা বিচারপতি সপিরাবের ঘরছাড়া। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বিচারপতি নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন 'ইউরো উইকলি'র কাছে। জানিয়েছেন, 'মাঝরাতে সমস্ত অপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিল তালিবান (Taliban Terror)। খবর পাওয়া মাত্র সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি। গাড়ি নিয়ে শহর ছেড়েছি। বাড়ি থেকে বেরনোর আগেই বোরখা পরে নিয়েছিলাম। যাতে কেউ চিনতে না পারে। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়েছি, খোঁজ করতে করতে তালিবরা আমার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল।'

তিনি আরও জানিয়েছেন, 'স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলাম। তখনই আমাকে হুমকি দিয়েছিল সে। বলেছিল, আমার স্ত্রীর যা হাল করেছিলাম তোরও সেই অবস্থা করব। তখন বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামাইনি।' কিন্তু তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সেই ব্যক্তি একাধিকবার ওই বিচারপতিকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে বলে খবর। একা তিনি নন, একই গল্প আফগানিস্তানের শতাধিক মহিলা বিচারপতির। মৃত্যুর দিন গুনছেন তাঁরা।



 পরপর দু'দিন ২০ হাজারের নীচে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার সেই পরিসংখ্যান সাড়ে ২৩ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ হাজার ৫২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৩১১ জনের। বুধবার পর্যন্ত দেশে ৮৮ কোটির বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত কয়েক মাস ধরেই কেরল ও মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কেরলেই নতুন করে করোনায় কাবু ১২ হাজার ১৬১ জন। একদিনে দক্ষিণের এই রাজ্যে করেনার বলি আরও ১৫৫।

মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশে করেনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৮০। তবে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৯৮ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬২ জন।

এদিকে, দেশজুড়ে উত্‍সবের মরশুম শুরুর মুখে। উত্‍সবকে কেন্দ্র করে রাজ্যে-রাজ্যে করোনার সংক্রমণ একধাক্কায় আরও বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উত্‍সবকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এই আবহে চিন্তার একটা বড় কারণ, প্রবীণদের টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৬০ বছরের বেশি ২৪ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া যায়নি।

 
রবিবার সন্ধেয় ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের মাঝামাঝি কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab)। যার জেরে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সমুদ্রে গিয়ে নিখোঁজ শ্রীকাকুলামের ৬ মৎস্যজীবী। সরাসরি ‘গুলাবে’র প্রভাব না পড়লেও বাংলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
রবিবার বিকেল নাগাদ ওড়িশার (Odissa) দক্ষিণে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh)উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের উপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করার কথা ছিল ‘গুলাব’-এর। তার প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। সন্ধেয় গুলাব আছড়ে পড়ার পর আরও বেড়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে দাপট দেখাচ্ছে হাওয়া। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শ্রীকাকুলাম জেলা প্রশাসনের তরফে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে এদিন সন্ধেয় নৌকোডুবিতে নিখোঁজ ৬ মৎস্যজীবী। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তাঁদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে।
গুলাবের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও রবিবার সকাল থেকেই বাংলার জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবে’র জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সমুদ্র অত্যন্ত উত্তাল থাকবে। তাই মৎস্যজীবীদের মাছ ধরেত যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সোমবারও দক্ষিণবঙ্গে ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটু বেশি বৃষ্টি হবে দুটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি বাড়বে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ তারিখ। মঙ্গল এবং বুধবার দক্ষিণ পূর্ব ঝড়ো হাওয়া বইবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। ফলে বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। তার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায়।
দিঘা (Digha) উপকূলে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ২৮ এবং ২৯ তারিখ জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। এই অবস্থায় দিঘায় সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সোমবারের মধ্যেই দিঘা ছাড়তে হবে পর্যটকদের। ৩০ সেপ্টেম্বর দিঘার হোটেল থাকবে পর্যটকশূন্য। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, নিউ দিঘা, শংকরপুরেও একই নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মাইকে প্রচার করে সচেতন করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
শক্তি হারাল ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab)। রবিবার সন্ধেয় ‘গুলাব’ স্থলভাগে প্রবেশ করে। বর্তমানে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে এটি অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে তা সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার জেরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় চলবে বৃষ্টি।
রবিবার বিকেল নাগাদ ওড়িশার দক্ষিণে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের উপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করার কথা ছিল ‘গুলাব’-এর। তার প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। সন্ধেয় গুলাব আছড়ে পড়ার পর আরও বেড়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে দাপট দেখাচ্ছে হাওয়া। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শ্রীকাকুলাম জেলা প্রশাসনের তরফে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে এদিন সন্ধেয় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৬ মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২ জনের।
এদিকে, সোমবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরে নিম্নচাপ হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করবে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে।
৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
Source : Sanbad Pratidin Digital
লাগাতার বৃষ্টিতে গ্রামের মাটির রাস্তা এখন জলাশয়। বাড়ির চতুর্দিকে জল। সদ্য বাবা হওয়া নিজামুদ্দিন মোল্লা তাই কার্যত ঘরবন্দি। তারই মধ্যে রবিবারের সকালে 'আশাদিদিদের' ডাকাডাকি: 'পোলিয়ো খাওয়ানোর বাচ্চা থাকলে নিয়ে এসো গো...।'

জল যতই ঘিরে ধরুক, দেরি করতে চাননি ব্যাগ তৈরির কারিগর নিজামুদ্দিন।

নবজাতককে বড় মুখওয়ালা অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িতে শুইয়ে জলে ভাসিয়ে পোলিয়ো টিকা খাওয়াতে নিয়ে গেলেন তিনি। সঙ্গীর কাঁধে চাপিয়ে আনলেন আড়াই বছর বয়সের বড় ছেলে শামিমকেও। বললেন, 'বাচ্চা দু'টোকে পোলিয়ো তো খাওয়াতেই হবে। তাই এ ভাবেই পৌঁছে গেলাম।' ক্যানিং-২ নম্বর ব্লকের সারেঙ্গাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহেশ্বর সাবসেন্টার এলাকা জলের তলায়। আবার শুরু হওয়া বৃষ্টিতে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, ভাবলেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা। পোলিয়ো টিকা খাওয়াতে এ দিন সেখানেই নবজাতককে হাঁড়িতে ভাসিয়ে নিয়ে আসতে দেখে চমকে উঠেছিলেন আশাকর্মী থেকে এএনএম (২) বা অগ্জ়িলিয়ারি নার্স মিডওয়াইফ-ও।

কোথাও কোমরসমান, কোথাও হাঁটুসমান জলে নেমে বাচ্চাদের পোলিয়ো টিকা খাওয়াতে খাওয়াতেই নিজামুদ্দিনদের এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আশাকর্মী সোনালি প্রধান এবং এএনএম (২) নমিতা হালদার। তাঁরা ছিলেন একটু উঁচু মূল রাস্তায়। এর পরে যে-মাটির রাস্তা ধরে নিজামুদ্দিনের বাড়ির সামনে যেতে হবে, সেখানে প্রায় এক কোমর জল। আর ওই যুবকের বাড়ির সামনে জল বুকসমান। তাই ঝুঁকি নেননি সোনালি-নমিতারা। তাঁরা বললেন, 'আমরা প্রায় হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে হাঁক দিলাম। কারণ তার পরে জল এত বেশি যে, পোলিয়ো বাক্স নিয়ে যাওয়া মুশকিল।'

তা বলে বাচ্চাকে হাঁড়িতে শুইয়ে পোলিয়ো! কল্পনাও করতে পারেননি ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোনালি জানাচ্ছেন, আচমকাই তাঁর দেখেন, জলে ভাসানো একটি হাঁড়ি ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছেন নিজামুদ্দিন। পিছনে অন্য এক জনের কাঁধে তাঁর বড় ছেলে। সোনালি বলেন, 'প্রথমে চমকে উঠেছিলাম। পরে বুঝলাম, হাঁড়িতে করে একরত্তিটাকেই নিয়ে আসছে।' নমিতা জানান, শিশুকে ওই ভাবে আনতে দেখে তাঁরাও মূল রাস্তা থেকে নেমে কিছুটা এগিয়ে যান। নিজামুদ্দিনের কাছে জানতে চান, 'হাঁড়িতে করে কেন?' বছর সাতাশের নীজামুদ্দিন তাঁদের জানান, স্ত্রী সাফিয়া খাতুনের জল ঠেলে আসার ক্ষমতা নেই। আবার তিনি নিজেও ১৫ দিন বয়সের ছেলেকে কোলে নিয়ে জল ঠেলে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন। কোনও ভাবে খুদে যদি পড়ে যায়! তাই আশাকর্মীদের ডাক শুনেই বাড়িতে থাকা বড় মুখের হাঁড়িতে ছেলেকে কাঁথায় মুড়িয়ে শুইয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন নিজামুদ্দিন।

ক্যানিং-২ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম জলবন্দি। সেই জল ভেঙেই এ দিন ১৭৬ জন আশাকর্মী মোট ১২,৬১২টি বাচ্চাকে পোলিয়ো খাইয়েছেন। একই হাল ক্যানিং-১ নম্বর ব্লকেরও। সেখানকার নবপল্লি এলাকায় এ দিন বাঁশের তৈরি ভেলায় চেপে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পোলিয়ো খাওয়াতে দেখা গিয়েছে আর এক আশাকর্মী ফাল্গুনী মণ্ডলকে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এ দিন জানান, সাধারণত মায়েরাই বাচ্চাদের পোলিয়ো খাওয়াতে নিয়ে আসেন। সেখানে এক জন বাবা দুর্যোগের মধ্যে এ ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এটা খুবই প্রশংসার। স্বাস্থ্য অধিকর্তা একই সঙ্গে বলেন, ''দুর্যোগ ঠেলে, কোমরসমান জলে দাঁড়িয়ে আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে-ভাবে পোলিয়ো খাওয়ানোর কাজ করছেন, তাতে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। এঁদের জন্য গোটা স্বাস্থ্য দফতর গর্বিত।'

ল্যান্ডফল শুরু ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর (Cyclone Gulab)। অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের বাইরের অংশ পৌঁছে গিয়েছে বলেই টুইটারে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল এলাকা কলিঙ্গপত্তনম ও ওড়িশার উপকূলীয় ভাগ গোপালপুরে রবিবার রাত ১০টার মধ্যেই তোলপাড় শুরু করবে বলে ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD) জানিয়েছে।

টুইটারে আইএমডি জানিয়েছে, ‘ক্লাউড ব্যান্ডটি উপকূল এলাকায় ঢুকে পড়েছে। যার ফলে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গিয়েছে সাইক্লোনের। এটি চলবে। আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূল এলাকা ও সংলগ্ন ওড়িশার দক্ষিণ উপকূল এলাকায় তাণ্ডব চলবে।’

ইতিমধ্যেই বিপদের খবরও আসতে শুরু করেছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে ৬ জন মত্‍স্যজীবী নিখোঁজ। উত্তর অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামের মাঞ্চিনেল্লাপেতা গ্রামের ছ’জন মত্‍স্যজীবী সমুদ্রে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। এখনও অবধি যা খবর, আক্কুপাল্লির কাছে তাঁদের নৌকাডুবি হয়। বার বার মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।

আগামী এই দু’ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ প্রস্তুত। শ্রীকাকুলামের কালেক্টর সুমিত কুমার বলেন, “শুধু ঝড়ই নয়, একই সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। সেটা মোকাবিলাও একটা চ্যালেঞ্জ।”

ইয়াসের পর চার মাসও কাটেনি আবারও সাইক্লোনের ঝাপট ওড়িশার বুকেও পড়তে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানান, সাতটি হাইরিস্ক জেলা রয়েছে। গঞ্জম, গজপতি, কান্ধামাল, কোরাপুট, রায়গড়, নবরঙ্গপুর ও মালকানগিরি।

আনন্দবাজার পত্রিকা করুণাময় সিংহ, মালদা : কলেজ পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন জীবন ঘোষ নামে ওই যুবক। ইতিমধ্যেই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও রাতে খাওয়া দাওয়া করে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান বছর উনিশের যুবক জীবন ঘোষ। রবিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি। ঘরের ভিতর থেকে যুবকের কোনও সারা শব্দ না পাওয়ায় তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর গেলে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান যুবককে। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিত্‍সার জন্য স্থানীয় মিল্কি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মিল্কি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিত্‍সকরা। কিন্তু মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিত্‍সকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।




স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কলেজ পড়ুয়া জীবন ঘোষ স্তানীয় মধুপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরিবারে বাবা উজ্জ্বল ঘোষ ও মা প্রতিমা ঘোষ ছাড়াও রয়েছে তার আরও দুই ভাই ও দুই বোন। ভাই বোনদের মধ্যে জীবনই সবচেয়ে বড়। কলেজ পড়ুয়ার এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। চিকিত্‍সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করার পরই হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারসহ গোটা গ্রামে। ইতিমধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উপনির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধল বামেদের। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চত্রবর্তী। গোসমালে জখম হলেন দু'জন বাম সমর্থক। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জনকে যেতে দিতে পুলিশ রাজি হওয়ায় হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করলেন সুজনবাবুরা।


মজুমদারকে পুলিশ ঢুকতে বাধা দেওয়ায় বিতর্ক বেধেছিল।

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসকে প্রচার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে শনিবার ই-মেল করে জানিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন সিপিএম নেতারা। রিটার্নিং অফিসার তাঁদের জানান, বিধি মেনে প্রচার করা যেতে পারে। কিন্তু রবিবার প্রার্থীকে নিয়ে সুজনবাবু ওই রাস্তার মুখে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। তিনটি ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সুজনবাবুর বচসা শুরু হতে ব্যারিকেড ফেলে দিয়ে গলির ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। উত্তেজনা, গোলমাল চলে বেশ কিছু ক্ষণ। প্রার্থী শ্রীজীবকেও ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। গোলমালের পরে পাঁচ জনকে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশ সঙ্গে থেকে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বর পার করে দেয়। প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে বলরাম বসু ঘাট রোড এলাকায় প্রচার চালায় বামেরা। তণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায় অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ''সিপিএমের নয়, সুজনবাবু আত্মপ্রচার করতে গিয়েছিলেন! তাই হাই সিকিউরিটি জ়োনে ঢুকেছিলেন।''

সুজনবাবু বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রের এক জন ভোটার। সেই হিসেবে তাঁর কাছে ভোট চাওয়ার অধিকারও আমাদের আছে। কিন্তু তাঁর বাড়িতে যাওয়ার, উত্‍পাত করার কোনও উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। অহেতুক আমাদের বাধা দিয়ে গোলমাল পাকানো হল। পরে ওই রাস্তার অন্যান্য বাড়িতে প্রচার করেছি।'' পুলিশ সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, বামেরা অনেক বেশি লোকজন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখান থেকেই সমস্যার শুরু। পরে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব কমিশনে অভিযোগ করেছেন, ভবানীপুরে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা একেবারেই নিরপেক্ষ নয়। সন্ধ্যায় চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চেও প্রচার-সভায় ছিলেন সুজনবাবু।

চেতলার অম্বেডকর কলোনিতে এ দিনই বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছিলেন দলের প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই সময় তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূল নেতা তাপসবাবুর বক্তব্য, ''ওঁরা জানেন কী ফল হবে। সেই জন্যই কখনও পুলিশ, কখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন।''
দুই নারীকে বাঁচিয়ে ইরানের জাতীয় বীরের মর্যাদা পেল কিশোর আলী লানদি নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে।

মর্যাদা দিয়ে দাফন করা হয় শুক্রবার আলী লানদি (১৫) নামের ওই কিশোরকে। নিজের জীবন বাজি রেখে দুই নারীকে উদ্ধার করে আনে আলী লানদি নিজ শহর ইজেহতে এ মাসের প্রথম দিকে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়।

হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই কিশোর এ সময় মারাত্মতভাবে দগ্ধ হয়ে। পরোপকারী কিশোর আলী লানদি শুক্রবার চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তাকে বীর উপাধী দিয়েছেন এবং তার এই আত্মদানের ইতিহাস যাতে ভবিষ্যত্‍ প্রজন্ম জানতে পারে এ জন্য ঘটনাটি শিল্প ও সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলার আহ্বান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি।
প্রতিটি ইরানি নাগরিকের গর্ব করা উচিত্‍ আলীর মতো বীর সন্তানের জন্য এমনই জানিয়েছেন এক বিবৃতিতে তিনি।

শুক্রবার আলী লানদির জানাজায় উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসী ছাড়াও সরকারি পদস্থ কর্মকর্তরা।
শুক্রবার রাত পেরোলেই প্রবল বর্ষণে (Heavey Rain) ভাসতে চলেছে বাংলা (West Bengal)। নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে টানা ৭২ ঘন্টা ধরে ১০ জেলায় প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। (Depression on Bay of Bengal)নিম্নচাপটি যেহেতু সমুদ্রের উপরে রয়েছে তাই ২৫ তারিখ থেকে (Fisherman) মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর (Weather Office)।এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। সেটি আরো শক্তিশালী হয়ে একই জায়গায় অবস্থান করছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আগামী ১২ ঘন্টায় নিম্নচাপটি আরও শক্তি বাড়াবে। ধীরে ধীরে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে যাবে। পাশাপাশি আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে এবং এটার অভিমুখ উত্তর বঙ্গোপসাগরে দিকে থাকবে। এর ফলে ২৬ ও ২৭ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই হালকা বৃষ্টি হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে।

অপরদিকে তিনি এদিন সতর্কজারি করে বলেছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের ভারী বৃষ্টি হবে এবং বাকি জেলাতে হালকা বৃষ্টি হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হবে। ২৪ তারিখ দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,ঝারগ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে। নিম্নচাপটি যেহেতু সমুদ্রের উপরে রয়েছে তাই ২৫ তারিখ থেকে মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। ২৪ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলোর জলের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। নিচু জায়গাগুলোতে কিন্তু আবারও জল জমার একটা সম্ভাবনা থাকছে।
ছয় ছয়টি বিয়ে করেছেন তাঁদের গুণধর জামাই। কিন্তু তাঁদের মেয়ে যে জামাইয়ের কত নম্বর স্ত্রী তা ঘুণাক্ষরেও ঠাওর করতে পারছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার মহেশপুর এলাকার অনিল দোলইরা। তাঁরা খবর পেয়েছেন, জামাই প্রতিবেশীর এক কন্যাকেও বিয়ে করেছে!




তাই জামাইকে ডেকে গণধোলাই দিলেন সবাই। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। শেষমেশ জামাইকে তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে।

একটি নয়, দুটো নয় বেশ কয়েকটি বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে সেই যুবককে আটক করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার মহেশপুরে। জামাই সন্তোষকে আটক করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, দাসপুর থানার সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুরের বাসিন্দা সন্তোষ (সন্তু দোলই) পেশায় ফুলের ব্যবসা করে। কাজের সূত্রে থাকে হায়দরাবাদ রাজ্যে। অভিযোগ, ভিন রাজ্যে থেকে একের পর এক বিয়ে করেছে সে। সেটা কেউ বলছে চারটে, কেউ বলছে ছয়টি। আর ঘণধোলাইয়ে জামাই স্বীকার করেছে তিনটে বিয়ে করেছে সে।

কয়েক দিন আগে বাড়িতে ফিরেছে সন্তু। তার পর তৃতীয় স্ত্রীয়ের বাপের বাড়ি গিয়েছিল সে। কিন্তু জানত কী অপেক্ষা করছে সেখানে। শুক্রবার রাতে সেখানে যেতেই সন্তুকে ঘিরে ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। কিন্তু কেন? শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারে যে তাঁদের জামাইয়ের আরও ৫ টি বিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে একজন তো প্রতিবেশীরই কন্যা! এতেই চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাতে খবর দেয় দাসপুর থানায়। মারধরের পর শ্বশুর অনিল দোলইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে জামাইকে আটক করে দাসপুর থানার পুলিশ।

যদিও অভিযুক্ত সন্তোষের দাবি, ৬ টি নয় তিনটে বিয়ে করেছে সে। মারধরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে ক’টা বিয়ে করেছে। তাতে আমতা আমতা প্রথমে বলে বিয়ে একটাই। ফের ‘জামাই আদরের’ চোটে জানায় তিনটে বিয়ে করেছে সে।

এদিকে শাশুড়ি কল্পনা দোলইয়ের কথায়, “তাপস মালের মেয়েকেও বিয়ে করেছিল জামাই। আমার জামাইকে তাদের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আমরা যথন জিজ্ঞেস করি, ‘কী গো দিদি তোমার মেয়েকে কোথায় বিয়ে দিলে?’ তারা আমার জামাইয়ের নাম বলে। বলে ভাল ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি!”

তার পর তাঁরা জানতে পারেন গুণধর জামাইয়ের ছয় ছয়টি বিয়ে। শাশুড়ির কথায়, এখন আমার মেয়েকে কত নম্বরে বিয়ে করেছে, ওইটা বলতে পারব না। মনে হচ্ছে দ্বিতীয়, বলেন কল্পনা দেবী। এখন জামাইয়ের শাস্তি চান তাঁরা। এদিকে তাঁরা জানান, প্রথমে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পরে জামাইকে নিজেরাই ছাড়িয়ে এনেছেন। আগে সালিশি সভায় বিচার চান তাঁরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ।

ডাক্তার সেজে এক রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই রোগীর পরিজনেরা ধৃত কর্মীকে বোরহাটের ওই নার্সিংহোমেই মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, ধৃত সৌরভ সরকারের বাড়ি খণ্ডঘোষে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয় আউশগ্রামের এড়াল গ্রামের এক মহিলার।


বর্ধমান শহরের বোরহাটের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয়। পরিবারের দাবি, চিকিত্‍সকেরা জানান, আরও এক দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছাড়া হবে তাঁকে। তবে চিকিত্‍সক ছুটি না দেওয়া সত্ত্বেও রোগী বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন দেখে তাঁরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ, বাড়ি গিয়ে ওই মহিলা দাবি করেন, ওই নার্সিংহোমের এক জন চিকিত্‍সার নামে তাঁর সঙ্গে 'অভব্য' আচরণ করেছেন। শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

শুক্রবার রোগীর পরিজনেরা নার্সিংহোমে এসে কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা জানতে পারেন ধৃত যুবক নার্সিংহোমে তিন বছর ধরে ওয়ার্ড বয়ের কাজ করছেন। তিনি বাইরে বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। একের পর এক প্রশ্ন করা হয়। 'সদুত্তর' না পেয়ে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নার্সিংহোমেরই কয়েকজন অভিযুক্তকে কোনও রকমে ভিতরে ঢুকিয়ে নেন। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশের কাছে ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী বাড়ি গিয়ে জানিয়েছেন, ওই যুবক তাঁর কাছে ডাক্তার সেজে এসে কুপ্রস্তাব দেয়। অভব্য আচরণ, শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, ওই রোগীর প্রেসার মাপতে গিয়েছিলেন তিনি। কোনও অভব্য আচরণ করা হয়নি বলেও তাঁর দাবি। নার্সিংহোমের মালিকের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
মন্দিরের পূজারী (Pujari) বা পুরোহিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এ দেশে নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই দিল্লির ক্যান্টমেন্টে এক কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ (Rape) ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিল এক পুরোহিত। এমনই একটি মামলায় মন্দিরের পূজারীর পৌরহিত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)।

এক কিশোরীকে তার দুই বোনের সামনে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে এক পূজারীর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, ‘কোন দেবতা গ্রহণ করেন এমন পুরোহিতের পুজো!’ পকসো আইনে মামলা হয়েছে ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। এ দিন তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

কী ছিল অভিযোগ?

এক মহিলা ও তাঁর তিন সন্তানকে ছেড়ে চলে যান তাঁর স্বামী। অসহা্য অবস্থায় আশ্রয় খুঁজছিলেন ওই মহিলা। এই অবস্থায় তাঁদের আশ্রয় দেন ওই পূজারী। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপর ওই পুরোহিতের আসল রূপ সামনে আসে। মহিলা বড় মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে ওই পুরোহিত। অন্য দুই মেয়ের সামনেই চলে এই সৌন নির্যাতন। অন্তত বছর খানে ধরে এই অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাঁদের।

এ দিন বিচারপতি বলেন, একজন মহিলা ও সন্তানদের ছেড়ে যখন স্বামী চলে যায়, তখন তিনি খুবই অসহায় হয়ে পড়েন। আর এ ক্ষেত্রে সেই মহিলাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমি ভেবে অবাক হই যে কোনও দেবতা এমন পুরোহিতের পুজো গ্রহণ করেন, কোন পুজোয় মাধ্যম হয়ে ওঠেন এমন পুরোহিত?’

মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন মা

২০১২ সালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। রাস্তায় অসহায় অবস্থায় ঘিরে বেড়াচ্ছিলেন ওই মহিলা। নিজের সন্তানদের প্রতিই অমানবিক আচরণ করছিলেন। ঘটনাটি নজরে আসতেও খবর যায় চাইল্ড লাইনে। এরপরই মা ও তিন সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। হিংস্র হয়ে উঠেছেন তিনি। মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে।

এরপর তাঁর মেয়ের মুখ থেকেই শোনা যায় অত্যাচারের কাহিনী। কিশোরী জানায়, দুই বোনের সামনেই তাকে ধষর্ণ করা হত। সে বর্ণনা দেয়, কী ভাবে তার মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করত ওই পুরোহিত। ঘরের কোণে বসিয়ে রাখা হত কিশোরীর দুই ছোট বোনকে।

আদালত এ দিন বলে, মায়ের মানসিক অবস্থা আদতে আমাদের সমাজের লজ্জা। যে আবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাতে মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা সম্ভব নয়। তিন সন্তানের খাবার, আশ্রয়ের চিন্তা, সন্তানের ওপর যৌন নির্যাতন। কোনও মা’ই এই অবস্থায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।



কোভিড ১৯-এর (Covid 19) একাধিক ঢেউয়ে আক্রান্ত দেশ। দেড় বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু কোনও ভাবেই কোভিড থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়ার কোনও রাস্তাই দেখা যাচ্ছে না। স্কুল, কলেজ একপ্রকার বন্ধ। বাড়ি থেকেই চলছে পড়াশোনা এবং অফিস। এদিকে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাঁদের মতে ফের আসতে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি যতদিন না সম্পূর্ণ কাটছে ততদিন পর্যন্ত প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে খাওয়া-দাওয়ায়। কারণ কোভিড থেকে সেরে উঠতে প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাদ্য। কী কী খাদ্য এই সময় খাওয়া প্রয়োজন? আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।

কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছ। এবং তা প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ এই প্রতিবেদনে রয়েছে চন্দ্রকান্ত লহরিয়ার (Chandrakant Lahariya) মতামত। যিনি প্রখ্যাত চিকিৎসক এবং করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি একজন অতিমারী বিশেষজ্ঞ। করোনার প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।

প্রশ্ন- করোনার প্রভাবে কি সাধারণ মানুষের ঘুমের কোনও পরিবর্তন এসেছে?

উত্তর- কোভিড ১৯ ঘুমের ক্ষেত্রে বিপুল প্রভাব ফেলেছ। এবিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেছে অতীতের বেশ কয়েকটি রিপোর্টে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে আগের থেকে অতিরিক্ত বেশি ঘুমোচ্ছেন। তাঁদের ঘুমের প্যাটার্নের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। আবার একাংশের মধ্যে দেখা গিয়েছে তাঁরা আগে যে পরিমাণ ঘুমোতেন বর্তমানে সেই পরিমাণ ঘুমোচ্ছেন না। কোভিডের কারণেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ঘুমোনোর সময়েও বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তাঁরা অতীতে ঘুমোনোর সময় ঘামতেন না। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে তাঁরা ঘুমোনোর সময় ঘেমে যাচ্ছেন।

এর কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে, মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর সেকারণে তা প্রভাব ফেলেছে ঘুমের ক্ষেত্রে। শারীরিক প্রভাবের পাশাপাশি মানসিকভাবেও করোনা যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে তা থেকেই এই সমস্যার তৈরি হচ্ছে।

প্রশ্ন- কোভিড সময়ে কি বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পরিমাণ বেড়ে গেছে?

উত্তর- বিভিন্ন দেশের গবেষণায় উঠে এসেছে সেই সব দেশে কোভিড সময়ে ওষুধ সেবনের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত ভারতে এই ধরনের কোনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে সরকারের উচিত এই সময় ওষুধ সেবনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা এবং নজরদারি চালানো।

প্রশ্ন- কোভিড থেকে উঠতে অ্যালকোহল সেবন কতটা সমস্যা তৈরি করেছে?

উত্তর-অতিরিক্ত পরিমাণে মদ সেবন শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি জানি মদ্যপান শরীরে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে। হার্টের রোগ থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, একাধিক ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে মদ্যপান। করোনা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত মদ্যপান ফুসফুস উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। পাশাপাশি করোনা যে শুধু শারীরিক প্রভাব ফেলে এমনটা নয়, মানসিক প্রভাবও ফেলে। তাই মানসিক সমস্যা থেকে বের হতে অতিরিক্ত মদ্যপান বন্ধ করা দরকার।

প্রশ্ন- সেকেন্ডারি লাইফস্টাইল কি কোভিড সেরে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে?

উত্তর- কোভিড ছাড়াও শারীরিক সমস্যার অন্যতম কারণ সেকেন্ডারি লাইফস্টাইল। সুস্থ থাকতে হলে চারটি বিষয় আমাদের প্রত্যেককে মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত প্রতি দিন নিয়মিত শরীরচর্চা, দ্বিতীয়ত সুষম আহার, তৃতীয়ত ধূমপান বর্জন এবং সর্বশেষ সম্পূর্ণ ভাবে অ্যালকোহল বর্জন। যদি আমরা প্রত্যেকে এই চারটি বিষয় মাথায় রাখতে পারি তাহলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাব। যেমন হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমবে, কিডনির সমস্যা কমবে এবং অনান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে। প্রত্যেককে মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে হবে। প্রতিজ্ঞা নিতে হবে গতকালের থেকে আজ বেশি শরীরচর্চা করব এবং আজকের থেকে আগামীকাল বেশি শরীরচর্চা করব। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।

প্রশ্ন- কোভিড থেকে সুস্থ হতে গেলে কি ধূমপান ছাড়তেই হবে?

উত্তর- কোভিড হোক বা অন্য কোনও রোগ- ধূমপান সব ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক। ধূমপান যত দ্রুত ছাড়া সম্ভব ততই শরীরের পক্ষে মঙ্গল। বহু গবেষণায় প্রমাণিত যে ধূমপান শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। রক্ত জমাট বাঁধা, ফুসফুসের সমস্যা, ক্যানসার, ব্লিডিং সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে ধূমপানের ফলে। এমনকী দীর্ঘকালীন প্রদাহ দেখা যেতে পারে।

এবার আসা যাক করোনা প্রসঙ্গে। চিনে একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যাঁরা ধূমপায়ী নন তাঁদের থেকে ধূমপায়ীদের কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা ৩ গুণ বেশি। এমনকী তাঁদের ICU-তে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়েছে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল ফর মেডিসিনেও (New England Journal of Medicine) এই বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে ধূমপায়ীরা বেশি পরিমাণে কোভিডে আক্রান্ত এবং তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

প্রশ্ন- কফি খেলে কি কোভিড থেকে সেরে উঠতে বেশি সময় লাগে?

উত্তর- অতিরিক্ত পরিমাণে চা, কফি, সফট ডিঙ্কস শরীরে পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এগুলি অতিরিক্ত খেলে খুমের সমস্যা তৈরি হতে পারে। কফি খেলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও দীর্ঘকালীন মেয়াদে শরীরে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বৃদ্ধি, ঘুম না হওয়া, মাইগ্রেন, দুশ্চিন্তা সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। প্রতিটি মানুষের উচিত সন্ধে ৬টার পর চা, কফি ইত্যাদি পানীয় না গ্রহণ করা। এতে শরীর সুস্থ থাকে।

প্রশ্ন- শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে কতটা সমস্যা তৈরি করে?

উত্তর- সোডা, সফটড্রিঙ্কস, প্যকেটজাত খাবার, সিরাপ ইত্যাদি শরীরে জন্য অত্যন্ত খারাপ। কারণ এগুলি সুষম আহার নয়। বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতে তৈরি অনেক পানীয় শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ। এই ধরনের পানীয় গ্রহণ করার ফলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকী, এই ধরনের পানীয় গ্রহণে দেহে সুগার লেভেল অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব এই ধরনের খাদ্য বর্জন করা উচিত। পাশাপাশি প্যাকেটজাত চিপসও খাওয়া শরীরে অনেক সমস্যা তৈরি করে।

sorce from news 18



মামার বাড়িতে এসে খেলতে খেলতে পুকুরের জলে পড়ে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হল দুই শিশুর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার থানার বোলসিদ্ধি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বছর চারেকের আদিত্য হালদার ও বছর পাঁচেকের ফাল্গুনী কয়াল । সম্পর্কে মাসতুতো ভাই বোন। দুই শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে .দীর্ঘক্ষণ দুই শিশুর কোন খোঁজ না মেলায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজনেরা। পরে পুকুরে দুজনকে ভাসতে দেখেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খেলতে খেলতে পুকুর ঘাটে পা পিছলে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে মৃত শিশুদের পরিবারের লোকজনেরা। যদিও পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।অন্যদিকে, গতকাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দমদমে ২ কিশোরীর। খড়দা, টিটাগড়ের পর দমদম। উত্তর ২৪ পরগনারই মতিঝিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২ কিশোরীর। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হল। প্রতিবেশী দুই কিশোরীই, অভিন্ন হৃদয় বন্ধু।স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার, বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই কিশোরী। পুরো রাস্তা জলমগ্ন থাকায়, সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ল্যাম্পপোস্টে হাত দেয় এক কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় অন্য কিশোরীও। স্থানীয়রাই দু’জনকে উদ্ধার করে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে অটোয় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বিচারকের (Jharkhand Judge Death)। গত জুলাই মাসে ঘটা এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার শুনানিতে এবার আরও চাঞ্চল্য ছড়াল। জগিং করার সময় ওই বিচারককে (Uttam Anand) ইচ্ছা করেই অটোটি চাপা দিয়েছিল (Jharkhand Judge Death)। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে এমনই দাবি করেছে ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI on Jharkhand Judge Death)।

এই ঘটনায় দেশে শোরগোল পড়ে যাওয়ার পরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুনেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানেও শীর্ষ আদালত সিবিআই-কে নোটিস জারি করেছিল এই মামলায়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ বিচারকদের হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিআই বা কোনও তদন্তকারীই ঠিক মতো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে ধানবাদে বিচারকের (Uttam Anand) মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআই (CBI on Jharkhand Judge Death)। সেই সময়ই অভিযোগ ওঠে, অতিরিক্ত জেলা বিচারক উত্তম আনন্দকে ইচ্ছাকৃত গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে (Jharkhand Judge Death)। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন সিবিআইয়ের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিচারক উত্তম আনন্দকে (Uttam Anand) চাপা িদয়েছিল অটোটি (CBI on Jharkhand Judge Death)।

সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুনর্নির্মাণ, সিসিটিভি ফুটেজ, ফরেন্সিক পরীক্ষা-- সমস্ত কিছুর পর সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, ধানবাদের বিচারক উত্তম আনন্দকে (Uttam Anand) ইচ্ছে করেই অটো চাপা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষা করেছে, গান্ধিনগর, দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যেকেই একে ইচ্ছাকৃত খুন বলে দাবি করেছেন। যদিও তদন্ত এখন শেষের পর্যায়, দুই অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা, লাই ডিটেক্টর ও ব্রেন ম্যাপিংয়ের কাজ চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে কী গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

অটোর চালক লক্ষ্মণ ভার্মা ও হেল্পার রাহুল ভার্মাকে ঘটনার পরদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল। অটোটি এক মহিলার নামে রেজিস্টার করা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২৮ জুলাই ভোরে জগিং করতে বেরিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মারা যান বিচারক আনন্দ। রাঁচিতে তাঁর বাড়ির খুব কাছেই হয় দুর্ঘটনা। কিছুক্ষণ পর ৪৯ বছরের বিচারককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন পথচারী। হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরেই একটি ফুটেজ ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, কীভাবে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারছে অটো। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ।আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে সুরক্ষা দিতে পারছে না পুলিশ বা সিবিআই: সুপ্রিম কোর্ট


 

প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত এখনও অনেকেই করোনা (Long Covid) আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা এবার দেশে আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Corona third wave)। তাতে আক্রান্তদের মধ্যে থাকবে অধিকাংশই শিশু। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাতে করে সম্পূর্ণরূপে থামানো যায় করোনার আক্রমণ।

করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন তারা। কোভিডের ক্ষেত্রে দেখা গেছে আক্রান্ত কিছু মানুষ সেরে উঠেছেন খুব তাড়াতাড়ি। এবং অনেকের কোভিড থেকে সেরে উঠতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। এই ধরনের লং কোভিড সমস্যায় ভুগেছেন করোনা আক্রান্ত পাঁচ জনের মধ্যে একজন।

লং কোভিডের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আক্রান্তরা দীর্ঘদিন ধরে কোভিড পজিটিভ ছিলেন। এমনকী তাদের শরীরেও কোভিডের উপসর্গগুলি দীর্ঘদিন ধরে ছিল। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যারা মূলত কোভিদের ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের শরীরে লং কোভিডের (Long Covid) প্রভাব পড়েছে বেশি। পাশাপাশি গবেষণায় উঠে এসেছে কাদের সবথেকে বেশি কোভিডে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে যৌথ ভাবে একটি গবেষণা চালিয়েছে আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং হিউম্যান সার্ভিস। যেখানে মোট ৩৬৬ জন মানুষের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। ওই ৩৬৬ জন-ই ২০২০ সালের এপ্রিল এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের শরীরে কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হয় করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ প্রায় একই ধরনের উপসর্গের কথা বলেছেন।তারা জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল। এমনকী তাদের গন্ধ এবং স্বাদ পেতে সমস্যা হচ্ছিল। পাশাপাশি গা হাত পা ব্যথা, ক্লান্তি অনুভব হচ্ছিল তাদের।এই ধরনের সমস্যাগুলি করোনার মূল উপসর্গ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোন কোন শ্রেণির মানুষ লং কোভিডে (Long Covid) আক্রান্ত হতে পারেন?

মহিলা- আগে জানা গিয়েছিল, করোনায় মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কম। কিন্তু এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যেসব মহিলারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তারা লং কোভিডে ভুগতে পারেন। অর্থাৎ করোনা তাদের শরীরে দীর্ঘদিন ধরে বাসা বাঁধতে পারে। পাশাপাশি মহিলারা সেরে ওঠার পরেও বেশ কিছু সমস্যায় ভুগতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম ক্লান্তি ভাব এবং ঋতুচক্রের পরিবর্তন। এমনকী গোটা শরীরে ব্যথা অনুভব করতে পারেন তারা।

৪০ বছরের বেশি মানুষ মানুষরা- ৪০ বছরের পর থেকেই সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ কিছুটা কমে যায়। এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা লোপ পায়। যার ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।এর ফলে শরীরে কোন ভাইরাসের আক্রমণ হলে শরীর সেভাবে সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। এবং সেই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। আর এটাই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা, ৪০ বছরের পর কেউ করোনা আক্রান্ত হলে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে সেভাবে লড়াই করতে পারে না শরীর।

কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ লং কোভিডে বেশি আক্রান্ত- বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে লং কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সংখ্যা বেশি। এবং এর জন্য মনে করা হচ্ছে জিনগত পরিবর্তনের জন্যই তারা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। গবেষণায় আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে, কৃষ্ণাঙ্গ মানুষরা মধুমেহ এবং বিভিন্ন রোগে বেশি ভোগেন। আর সে কারণে তারা কোভিডে বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

যাদের রোগ প্রতিরোধ (Immunity) ক্ষমতা দুর্বল তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি- গবেষণায় উঠে এসেছে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয় তাদের মধ্যে অনেকেই লং কোভিডে ভুগেছেন। কারণ করোনাভাইরাস হামলা চালানোর পর তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত নয় শরীর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকার জন্যই শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে বাসা বেঁধে থাকছে করোনা।

করোনা থেকে বাঁচতে হলে ভ্যাকসিন নেওয়া যেমন জরুরি তেমনই সুষম আহার অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডাল, ডিম, চিকেন খাওয়া যেমন জরুরি তেমনি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে বিভিন্ন সবজি। এর সঙ্গে প্রতিদিন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি রাখার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে ধূমপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। কারণ ধূমপানের ফলে করোনা থেকে সেরে উঠতে দেরি হতে পারে। এমনকী মদ্যপানও করা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাইরের খাবার, ফাস্টফুড সম্পূর্ণরূপে বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন -করোনা কি শেষ পর্যন্ত সাধারণ জ্বর হিসেবে থেকে যাবে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা!

এই খাবার গুলি গ্রহণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়বেই না উল্টে শরীর অন্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এই সময় যতটা সম্ভব সুষম আহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নিলে কি সুরাহা মিলিবে?

বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের তরফ থেকে বারবার প্রচার চালানো হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব ১৮ বছরের উপরে প্রত্যেকেই যেন করোনা টিকা গ্রহণ করেন। কারণ করোনা টিকা নেওয়ার পর কারোর শরীরে করোনা আক্রমণ করলেও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে না। এমন বেশকিছু রিপোর্টে উঠে এসেছে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। এমনকী, তাদের হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। সেক্ষেত্রে কোনও ভুয়ো তথ্য না বিশ্বাস করে সঠিক সময়ে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের তরফে বারবার আর্জি জানানো হচ্ছে।

করোনা ভ্যাকসিন নিলে লং কোভিডের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, ক্লান্তি, গা হাত পা ব্যথা সহ একাধিক সমস্যা নির্মূল হয়ে গেছে। তবে সব কিছুর মধ্যেই কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার জন্য আর্জি জানানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ভ্যাকসিন এবং সঠিকভাবে কোভিড প্রটোকল মেনে চললে করোনাকে নির্মূল করা সম্ভব। পাশাপাশি শিশুদেরও সাবধানে রাখতে হবে।

দেরি হলেও ইলিশ (Ilish) তো এলো! মুখে হাসি তাই মাছের ব্যবসায়ীদের। রুপোলি ছটা ঠিকরে বেরোচ্ছে তাঁদের সেই হাসিতে।



ইলিশ মানে একমুঠো ভাত বেশি। ইলিশ  (Ilish) মানে বাঙালির আবেগ। বঙ্গে এল বাংলাদেশের ইলিশ (Hilsa Fish From Bangladesh)। বাংলার বাজারে জলের রুপোলি শস্য। পদ্মার ইলিশ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে বাংলার বাজারে বাজারে।
জলের এই রুপোলি শস্য 'রূপ কী রানী'র দেখা মিলবে কলকাতা হাওড়ার বাজারে। দাম ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। বলাই বাহুল্য, জলের রানির খোঁজে এবার ভিড় জমবে বাজারে।
বহু প্রতীক্ষার পর কলকাতা এল বাংলাদেশের ইলিশ  (Hilsa Fish From Bangladesh)। বুধবার রাতে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ইলিশ বোঝাই লরি এ রাজ্যে ঢোকে। আজ তারই দেখা মিললো লেক মার্কেটে।
দেরি হলেও মাছ তো এলো। মুখে হাসি তাই মাছের ব্যবসায়ীদের। রুপোলি ছটা ঠিকরে বেরোচ্ছে তাঁদের সেই হাসিতে। জানালেন ১ কিলো ৮০০ গ্রামের মাছের  (Hilsa Fish From Bangladesh) দাম পড়বে ১৬০০ টাকা। তার থেকে বড় মাছ ২০০০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠছে।


হাওড়ার বাজারে ঢুকে পড়েছে ৮০ মেট্রিক টন বাংলাদেশী ইলিশ  (Hilsa Fish From Bangladesh)। দাম কত? জানা যাচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে দাম উঠছে ওপরে। যত বড় ইলিশ তত বেশি দাম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের শুরু হয়েছে ওই ইলিশের বেচাকেনা। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে, সব মিলিয়ে আসছে ২ হাজার ৮২ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ।
গত ২০ সেপ্টেম্বর জানানো হয়েছিস পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ (Padma Hilsa In Bengal) আসতে চলেছে বাংলায়। প্রায় ২১০০ টন ইলিশ আসবে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে। এরপরেই ভোজন রসিকদের আশা, এবার শুধু চোখ নয়, মনের খিদেও মিটবে।
কাস্টমস ও বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেন। বুধবার বাংলাদেশের ইলিশ (Bangladesh Hilsa) রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার সাউদার্ন ফুড লি. ১৩ মেট্রিক টন ও ঢাকার ইউনিয়ন ভেন্টার লিমিটেড. ১০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছে। কলকাতার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেকে ইন্টারন্যাশনাল ও সিদ্ধেশ্বরী এন্টারপ্রাইজ গ্রহণ করেছে। এসব ইলিশের সাইজ এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের।


২০১২ সালে শেখ হাসিনার সরকার ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে, গত তিন বছর ধরে ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ওপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ী কাজি আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের থেকে অনুমতি পেয়েছি, পুজোর আগে কলকাতার ইলিশ পাঠাতে পেরে খুশি, অবশেষে থেকে পেট্রাপোল মাছ আসতে শুরু করেছে, এবার বাংলাদেশেও মাছ উৎপাদন কম। তবে পুজোর আগেই যে বাঙালি পাতে ইলশেগুঁড়ি আর ইলিশের যুগলবন্দি সেকথা বলাই যায়।
একটু আগেই মাকে দেখেছিল। তারপর কী হয়েছিল? প্রতিবেশীদের প্রশ্নে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল সে। বছর-দশেকের তনুজা কাঁদতে কাঁদতে বলল “মাকে দেখলাম ছুটে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল। তার পর মাকে আমি অনেক ডাকলাম।


কিন্তু মা দরজা খুলল না। বাড়ির পিছন দিকের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি, মা বাড়ির সিলিং ফ্যানে গলায় কিছু একটা বেঁধে ঝুলছে… অনেক চিত্‍কার চেঁচামেচি করলাম, প্রতিবেশীদের ডাকলাম। কিন্তু কেউ এল না। অনেক পরে যখন সবাই এল তখন সব শেষ। আমার মা আর নেই, মরে গিয়েছে।” ছোট্ট মেয়েটির কান্নায় চোখ ভিজে গেল সবার। বৃহস্পতিবার এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানায়।

দিনের আলোয় জনবহুল এলাকায় বাড়িতে মেয়ের সামনেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তে জন্য।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার কলোড়া গ্রাম বাসিন্দা মিঠু মণ্ডল গ্রামে বাইরে থেকে আসা রাজমিস্ত্রীদের জন্য রাঁধুনির কাজ করত। স্বামীও রাজকুমার মণ্ডলও পেশায় রাজমিস্ত্রী। স্বামী স্ত্রী এবং মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। ছেলে বাইরে সোনার কাজ করে। প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর, প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হত। এমনকি রাজকুমার তার মেয়েকেও প্রচুর মারধর করত বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এদিনের ঘটনায় কার্যত হতবাক সবাই।

এদিন সকালে রাজকুমার বাড়িতে ছিলেন না। আর রান্নার কাজে গিয়েছিলেন মিঠু। সেই সময় বাড়ির বারান্দায় খেলা করছিল মেয়ে তনুজা। সে বলে, “হঠাত্‍ দেখলাম মা ছুটে এসে ঘরের দরজা লাগিয়ে দিল। আমি চিত্‍কার করতে থাকি দরজা খোলার জন্য। কিন্তু মা খুলনা। প্রতিবেশীদের ডাকলাম কেউ আসেনি। তারপরে দেখছি মা গলার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।” জানা যায়, ছোট্ট মেয়েটি নিজেই কোনও রকম দরজা খুলে বাড়িতে ঢোকে। দড়ি কেটে মাকে উদ্ধারও করে। কিন্তু তখন সব শেষ। মারা গিয়েছেন মা।

মেয়েটি বলে চলে, “প্রতিবেশীরা সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল, কিন্তু কেউ আসল না।” এদিকে খবর পেয়ে মৃত মিঠুর বাপের বাড়ি লোকজন পৌঁছয়। তাঁরা আঙুল তুলেছেন স্বামীর দিকে। দালি করেছেন দ্রুত মিঠুর স্বামী রাজকুমারকে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁর অত্যাচারেই তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এর পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসলো প্রথমে কিছুটা হলেও বাধার মুখে পড়তে হয়। অবশেষ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়েছে পুলিশ । যদিও এই ঘটনায় পর থেকে রাজকুমার পলাতক বলে জানা গিয়েছে। 
স্ত্রী আত্মহত্যা (Suicide) করছেন, আর স্বামী তা ক্যামেরাবন্দি করছেন, সঙ্গে দিচ্ছেন আত্মহত্যা করার জন্য উত্‍সাহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার (Nellore district) আত্মাকুর শহরে।

মৃতের নাম কোন্দাম্মা (৩১)। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কোন্দাম্মার স্বামী এম পেঞ্চালাইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম-র নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে কোন্দাম্মা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে সেই কাপড় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। আর তাঁর স্বামী পেঞ্চালাইয়া তাঁকে সেই কাজ চালিয়ে যেতে বলছেন। স্ত্রীকে চরম পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখার পরিবর্তে ওই ব্যক্তি কেবল আত্মহত্যার ভিডিয়ো রেকর্ড করেননি, বরং তাঁকে জীবন শেষ করার প্ররোচনা দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীর আত্মহত্যার ভিডিয়ো পরে শ্বশুরবাড়িতেও পাঠান ওই ব্যক্তি


জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কোন্দাম্মা ও পেঞ্চালাইয়ার বিয়ে হয়। দম্পতি দু'টি সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি, স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করছিলেন পেঞ্চালাইয়ে, নির্যাতন চালাচ্ছিলেন স্ত্রীর উপর। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মহিলা আত্মহত্যার হুমকি দেন। তাঁর স্বামী সেটাই করতে বলেন। এরপরই কোন্দাম্মা আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য পেঞ্চালাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


 কোয়াড সামিট ও রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কোয়াড বৈঠকে ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিয়েও আলোচনা হবে। তার আগেই ভ্যাকসিনের শংসাপত্র নিয়ে সমঝোতা করতে সব দেশকে আহ্বান জানালেন মোদী। এক দেশের টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য দেশে ভ্রমণ করায় অনেক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত-ব্রিটেন পর্যটনে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ যাত্রা অনেক সহজ ও সুলভ করতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, করোনা অতিমহামারীর জন্য অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করে তোলাই এখন লক্ষ্য। এর মধ্যেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হলে তা পর্যটনে বড় প্রভাব ফেলবে। করোনা কালে বিদেশ ভ্রমণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট। এই বিষয়টা নিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান দরকার। সম্প্রতি ব্রিটেন সরকার পর্যটন নিয়ে তাদের নয়া নীতি নির্ধারণ করেছে। ব্রিটেনের কোভিড নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, হয়েছিল, ভারত থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে যারা কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অতএব কোভিশিল্ড ডোজ প্রাপকরা টিকাপ্রাপ্ত নন এটাই ধরে নেওয়া হবে। গতকাল ফের নয়া নির্দেশিকায় ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, কোভিশিল্ড টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে কিন্তু এই টিকার শংসাপত্র নিয়ে সন্দেহ আছে। কাজেই ভারতীয়রা ব্রিটেনে গেলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। ব্রিটেনের এই নয়া নীতি নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত নয়াদিল্লি। কারণ অধিকাংশ ভারতীয়ই এই টিকার ডোজ পেয়েছেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোভিশিল্ড টিকাই বেশি দেওয়া হচ্ছে। টিকার শংসাপত্র নিয়ে এই টানাপড়েন দুই দেশের পর্যটনে প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 


 মাঝ অকাশ থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ রাশিয়ার (Russia) সামরিক বিমান। বুধবার পূর্বের খাবারোভস্ক শহরের কাছে উড়ান ভরার সময় আচমকাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির।রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা মন্ত্রক জানিয়েছে, খাবারোভস্ক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে থাকা একটি রাডারে AN-26 বিমানটি শেষ বার ধরা পড়েছিল। স্থানীয় সময় মতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ওই সামরিক বিমানটির আর কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। রুশ সরকার সূত্রে খবর, ওই বিমানে মোট ছ'জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিমানটিকে খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই একটি Mi-8 হেলিকপ্টার ও গাড়িতে চল্লিশ জনের উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। কিন্তু গাঢ় অন্ধকার আর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঠিক ভাবে উদ্ধারকার্য চালানো যাচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।

উল্লেখ্য, এর আগেও এমন দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাশিয়ার বিমান সুরক্ষাবিধি। গত জুলাই মাসে সাইবেরিয়ার আকাশ থেকে আচমকা হারিয়ে গিয়েছিল একটি Antonov An-28 বিমান। তারপর রুশ ইমারজেন্সি মিনিস্ট্রি জানিয়েছিল, SiLA নামের বিমানসংস্থার ওই প্লেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য একটি ময়দানে অবতরণ করে। বিমানটির সকল যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার (Russia) একটি যাত্রীবাহী বিমান। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৮ জন যাত্রীর।

প্রসঙ্গত, এর আগে এমএইচ-১৭ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল গোটা বিশ্বে, শিরোনামে উঠে এসেছিল রাশিয়ার নাম। ওই ঘটনার তদন্তকারীদের অভিযোগ, মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ-১৭ ধ্বংসের নেপথ্যে রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তাঁদের দাবি, যে মিসাইলের আঘাতে বিমানটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায় সেটি সরবরাহ করেছিল রুশ সেনার একটি মিসাইল ইউনিট। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এমএইচ-১৭ যাত্রীবাহী বিমানটির উপর মিসাইল হামলা হয়। পূর্ব ইউক্রেনে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই ঘটনায় নিহত হন ২৯৮ জন যাত্রী ও চালকদের সবাই। ওই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিশ্বজুড়ে। অভিযোগ উঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়, ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই এই কাজ করেছে।


 জ্বর নিয়ে আতঙ্ক কমছে না। দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি আরও খারাপ। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে সেখানে শিশু মৃত্যু চলছেই। বুধবারও একই উপসর্গ নিয়ে মারা গেল দু'জন। একজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, অন্যজন মালদহ মেডিক্যালে। ‌এখানেই শেষ নয়। মালদহে পাঁচ শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। বুধবার দুপুরেই করোনা আক্রান্ত এক শিশুকে সেফ হোম থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সেখানে যে শিশুটি মারা যায়, তার নাম বিপাশা সিংহ। বয়স মাত্র তিন মাস। শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর ছিল শিশুটির। নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ছিল বলে চিকিত্‍সকেরা জানিয়েছেন। আবার মঙ্গলবার রাতে মালদহ মেডিক্যালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৯ বছরের দীপিকা মাহাতো মারা গেছে। পরিবার জানিয়েছে, দু'দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল মেয়েটি।
এটা ঘটনা, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, মালদহ মেডিক্যাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে। বুধবার উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলি মিলিয়ে মোট ৫০৭ জন শিশু ভর্তি। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও বছর দুয়েকের এক শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চিকিত্‍সার জন্য তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।

 


ফের বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যুর ঘটনা শহরে। জমা জলে নাভিশ্বাস উঠছে শহরবাসীর, দুর্যোগ থামার নাম নেই। তার ওপরে একের পর এক বিদ্যুত্‍স্পষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদমে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ কিশোরীর। ওই দিন খড়দহের পাতুলিয়াতে নিজেদের বাড়িতে জমা জলেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান এক দম্পতি ও তাঁদের কিশোর ছেলে। ফের খড়দহেই (Khardaha) বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে আগরপাড়ায়। মৃতের নাম দীপক চৌধুরী। বয়স ৬৫ বছর। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বাড়ির সামনে গত দু'দিন ধরেই জল জমে ছিল। গতকাল সন্ধেবেলা বাড়ি থেকে বেরতে গিয়ে দরজার কাছে হঠাত্‍ই পড়ে যান দীপকবাবু। তাঁকে পড়ে যেতে দেখে ছুটে আসেন সকলে। দেখা যায় তাঁর শরীর নিথর হয়ে গেছে। প্রথমে কারণটা বোঝা না গেলেও পড়ে বাড়ির সামনেই একটি বিদ্যুতের ছেঁড়া তার পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টা আঁচ করেন সকলে। জমা জলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। সেখানে পা রাখতেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর দেওয়া হয়েছে খড়দহ থানায়। পুলিশ পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। মঙ্গলবার খড়দহের পাতুলিয়া এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে। একটি সরকারি আবাসনের বাসিন্দা রাজা দাস, তাঁর স্ত্রী ও বছর এগারোর ছেলে তিনজনেই বাড়ির ভেতরে জমা জলে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন। এই ঘটনার পরেই নড়চড়ে বসে প্রশাসন। জল নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু দুদিনও কাটেনি। ফের খড়দহেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। 


 কড়েয়ায়  বহুতলে বিস্ফোরণ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেকবাগানের আহিরিপুকুর পাস লেনে তীব্র চাঞ্চল্য। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভাঙল বহুতলের পাঁচিল। জখম মোট ৪ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি।

পাঁচতলা ওই বাড়ির একতলায় থাকতেন আনন্দ দাস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী, মেয়ে এবং ভাইঝি। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ আচমকাই তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে বহুতলটি। ধোঁয়াও বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘুমন্ত অবস্থায় প্রচণ্ড শব্দে কার্যত হকচকিয়ে যান প্রতিবেশীরা। ঘুমঘোর কাটিয়ে কোনওক্রমে বহুতলের সামনে দৌড়ে যান তাঁরা।


স্থানীয়রা দেখেন বহুতলের একটি পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে। বহুতলের ভিতরে একতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আনন্দ দাস, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে এবং ভাইঝি। স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করেন। পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রত্যেককে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেনসিক টিমও।



গত জানুয়ারি মাসে কেষ্টপুরের এক নির্মীয়মান বহুতলে আচমকাই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। জখম হয়েছিলেন একজন। খবর পাওয়ামাত্রই বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনসিক দলও ঘটনা খতিয়ে দেখে। এই ঘটনায় আটমাস পর ফের বিস্ফোরণে কাঁপল বহুতল। কড়েয়া থানা এলাকার এই ঘটনায় আতঙ্কিত প্রায় সকলেই। কী কারণে ওই বহুতলের একতলায় বিস্ফোরণ হল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

 


রাজ্যে চলছে বিধিনিষেধ। পাশাপাশি করোনা ঠেকাতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৫.‌২ কোটি নাগরিক টিকা পেয়েছেন। এবার স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কলেজ পড়ুয়া ও যে সমস্ত শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ বাকি, তাঁদের দ্রুত টিকাকরণ সেরে ফেলতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ। পঠনপাঠন চলছে অনলাইনে। রাজ্য সরকার চাইছে পুজোর পরই শিক্ষাঙ্গনগুলি সক্রিয় করার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি বিচার করে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আর সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পড়ুয়া এবং শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ হওয়াটা জরুরি। অবশ্য রাজ্যের সমস্ত স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণের আওতায় আনা গিয়েছে বলে দাবি সরকারের। তবে, কলেজ পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখনও টিকাকরণের আওতার বাইরে। কলেজ খোলার আগে তাই কলেজ পড়ুয়াদেরও টিকা দিতে চায় স্বাস্থ্য দপ্তর।

আর সেজন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দপ্তর যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে। আর গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন জেলাশাসক। তিনি ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন কোথায় কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টার করা হলে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গেই অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদেরও যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। একটি ভ্যাকসিন সেন্টারে যাতে একদিন যথেষ্ট পরিমাণে টিকা নেওয়ার মতো উপভোক্তা থাকে তাও দেখতে হবে। সমস্ত দিক পর্যালোচনা করেই শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এই কাজ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

 



THE WALL

বুধবার ফলতায় (falta) ইকনমিক জোন (special economic zone) বা বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় উদ্ধার হল একটি পূর্ণবয়স্ক কুমির (crocodile)। লোকালয়ের মধ্যে কুমির উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্ক (tension) ছড়ায় এলাকায়। বন দফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন। তবু আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম এই জাতীয় কুমির দেখা গেল এলাকায়। শিল্পতালুকে এধরনের কুমির আসার কথা নয়। কী করে এল, তা নিয়েই বিস্ময় ছড়িয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, একটানা বৃষ্টিতে নদী জলে পরিপূর্ণ থাকায় হুগলি নদী থেকে ভাসতে ভাসতে হয়তো চলে এসেছে কুমিরটি। শিল্পতালুক সংলগ্ন ছোট নালায় ঢুকে পড়েছিল হুগলি নদী থেকে। এলাকার লোকজন দেখামাত্র প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁরা কুমিরটিকে ঘিরে রাখেন। বন দফতরে খবর পাঠানো হয়। সেখানকার লোকজন এসে লাঠি, জাল, বস্তা, দড়ি নিয়ে কুমিরটিকে বাগে আনার চেষ্টা করেন। বহুক্ষণ বাদে কুমিরটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জালবন্দি করেন তাঁরা। উদ্ধার হওয়া কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুট। আপাতত পাথরপ্রতিমার ভগবতপুর কুমির প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটিকে। দিনকয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমাতেও ভগবানপুর কুমির প্রকল্প এলাকা থেকে একটি কুমির বেরিয়ে পড়ে আতঙ্ক ছড়ায়।