January 2022
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: মেট্রোয় (Kolkata Metro) ফের চালু হচ্ছে টোকেন পরিষেবা (Token Service)। কাল থেকে ফের টোকেন চালু হচ্ছে মেট্রোয়(Kolkata Metro)। করোনা সংক্রমণ (Covid Case) বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ ছিল টোকেন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাউন্টার থেকেই মিলবে টোকেন।করোনাকালে বিধিনিষেধে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে নয়া নিয়ম। বিধিনিষেধ শিথিল হতেই টোকেন চালু করার কথা ঘোষণা করল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এর আগে ৩ জানুয়ারি থেকে টোকেন পরিষেবা বন্ধ ছিল কলকাতা মেট্রোয়। যাতায়াত করতে হয়েছে স্মার্টকার্ডেই। করোনার প্রকোপ কমতেই যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ফের মেট্রোয় টোকেন পরিষেবা চালু করছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি স্মার্টকার্ডেও করা যাবে যাতায়াত।

এদিন নবান্ন থেকে রাজ্যে নয়া কোভিডবিধি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ফের খুলছে স্কুল। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত চলবে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'।সুইমিং পুলেও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, খুলছে পর্যটন কেন্দ্রও। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। রাস্তার মিটিং মিছিলে সর্বাধিক ২০০ জনের বিধিনিষেধ জারি থাকবে। অডিটোরিয়াম, রেস্তোরাঁ, পানশালায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। সিনেমা হলেও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দর্শকে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

৭৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কাজ চালানো যাবে বলেও জানানো হয়েছে। এবার থেকে সপ্তাহে ৭ দিনই মুম্বই, দিল্লি উড়ান চলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেঙ্গালুরু-কলকাতা উড়ানে বহাল আগের কড়াকড়ি থাকছে। লন্ডন-কলকাতার উড়ানেও উঠল কড়াকড়ি, তবে বাধ্যতামূলক আরটিপিসিআর টেস্ট। বজায় থাকছে রাত ১১ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ।

জেলাজুড়ে যত্রতত্র চালু হয়ে গিয়েছে টোটোর চলাচল। সেই সব টোটো শুধু গ্রাম বা শহরের পাড়ার মধ্যে দিয়েই চলাচল করছে তাই নয়, রীতিমত লম্বা দৌড় দিচ্ছে বাসের রুট ধরেও। আর তার জেরেই যাত্রী হারাচ্ছে বেসরকারি বাস। ফলে বাসের মালিক থেকে কর্মী সবার আয়েই পড়েছে টান।বার বনার এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি। অগত্যা তাই সোমবার থেকে লাগাতার বাস ধর্মঘট চালু করে দিলেন হুগলি জেলার বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যরা। সেই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন বাসকর্মীরাও। আর এই হুট করে বাস বন্ধের জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় সমস্যার মুখে পড়ে যান নিত্যযাত্রীরা।

জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই হুগলি জেলা জুড়ে এই বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেন বাসমালিকেরা। সেই সঙ্গে তাঁরা জেলার সদর শহর চুঁচুড়ায় একটি সভাও করেন। সেই সভা থেকেই তাঁরা জানিয়ে দেন, প্রশাসন দ্রুত তাঁদের সমস্যার সমাধান না করলে তাঁরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই ধর্মঘট চালিয়ে নিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে বাস মালিকেরা জানিয়েছেন, বাসের রুট ধরে টোটো চলায় শুধু তাঁরা যাত্রী হারাচ্ছেন বা আয়ের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না এটাই নয়, বড় রাস্তা ধরে টোটো চলাচল করায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাস মালিকদের দাবি, কোভিডের জেরে জেলায় এখন মাত্র ৪০ শতাংশ বেসরকারি বাস চলে। বেশ কিছু রুটে তো বাস চলাচল বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কেননা যাত্রীর অভাব ও জ্বালানীর অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি। বাস মালিকদের দাবি, বাসের রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত অটো, ট্রেকার চলছে। তার জেরে যাত্রী তো কমেইছিল, টোটো এসে বাকি যাত্রীও কেড়ে নিচ্ছে। এতে জ্বলানীর দামটুকুও আর উঠছে না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা এই ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিদিনই রাত ৯টার রানাঘাট থেকে বনগাঁগামী ট্রেনের মহিলা কামড়ায় জিআরপির থাকার কথা থাকলেও গত শুক্রবার রাতে একেবারে অন্যছবি ধরা পড়েছিল সেই লোকাল ট্রেনে। যারফলে রীতিমতো বিতর্কের পরিস্থিতি দেখা দেয় সর্বত্র। যারফলে এবার ট্রেনের মহিলা যাত্রীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার স্বার্থে নয়া উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।সেইমতো এবার থেকে আর জিআরপি নয় বরং রাতের দিকের ট্রেনের মহিলা কামড়া গুলিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়োগ করা হবে আরপিএফ। এই নিয়ে গতকাল বিশেষ বৈঠকের পর পূর্ব রেলের আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, গত শুক্রবারের ঘটনা যথেষ্ট চিন্তাদায়ক। তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের তরফথেকে ঠিক করা হয়েছে যে এবার থেকে আরপিএফ কে রাখা হবে লোকাল ট্রেনের সর্বত্র। কারণ শুধুমাত্র জিআরপির ওপরে পুরোপুরি ভরসা রাখা সম্ভব নয়।

এবার থেকে ট্রেনে থাকবে RPF, ঘোষণা রেলের

এবার থেকে ট্রেনে থাকবে RPF, নয়া সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের
এই প্রসঙ্গে রেলের তরফ থেকে বলা হয়, ভারতীয় রেলের সম্পত্তি বজায় রাখার পাশাপাশি সকল যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রেও জিআরপির মতো সমান গুরুত্ব রাখে আরপিএফ। তবে গত শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে স্তম্ভিত সকলেই। তাই এবার থেকে বাড়তি সচেতনতার দরুন আরপিএফের মাধ্যমে ট্রেনের মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার এই পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।
করোনা (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে, একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে তবেই রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফের পড়ুয়াদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠতে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সোমবার একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের 'রাজনৈতিক জয়' বলে মনে করছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি তুললেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya)। সেইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে যাঁরা তাঁদের সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন, তাঁদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে বিঁধেছে এসএফআই।গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা ও জেলাগুলিতে স্কুল, কলেজ খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এসএফআইয়ের সদস্যরা। এর মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়াদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। পুলিশি ধরপাকড়, লাঠিচার্জের মতো অভিযোগে সরব হয় এসএফআই। আজও ফের একই ছবি দেখা যায় বিভিন্ন প্রান্তে। কলেজ স্ট্রিট থেকে বোলপুরে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস - দিকে দিকে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি দমনে পুলিশও বেশ সক্রিয় হয়।

এই অশান্তির মাঝেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, ৩ তারিখ থেকে রাজ্যে স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে হবে ক্লাস। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক-সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিয়ম একই। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনা চলবে 'পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ে'। প্রত্যেককে কঠোরভাবে মানতে হবে করোনা বিধি।

এরপরই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের আন্দোলনের রাজনৈতিক জয় বলে দাবি করল এসএফআই। কলেজ স্ট্রিট চত্বরেই তাঁরা লাল আবির নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, 'আমাদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের রাজনৈতিক জয়। স্কুল, কলেজে বন্ধ রেখে অনলাইন ক্লাসে জোর দিয়ে আসলে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আমরা অনলাইন নয়, ক্লাসের পড়াশোনায় বেশি জোর দিই।'

এসএফআই-এর লাগাতার আন্দোলনেই স্কুল, কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত সরকারের।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠকে দাবি এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের।
মঙ্গলবার চতুর্থবারের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত তথা বিশ্ব অর্থনীতি ডামাডোলের মধ্য দিয়ে চলেছে। ফের একবার নতুন করে করোনা আশঙ্কা কাটিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে ভারতের অর্থনীতি। এই অবস্থায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, আয়কর, শিল্প, পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ভারত সরকার বাজেটের মাধ্যমে কোন আশার আলো দেখাতে পারে এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।মহামারীর সময়, বিশেষ করে দেশের আমজনতার জন্য সাধারণ বাজেট কী অসাধারণ অপেক্ষা করে রয়েছে তা অবশ্যই দেখার বিষয়। এই সমস্ত আপডেট জানতে নজর থাকুক এই পেজে।

দীর্ঘ ২৪ বছরের 'বন্দিদশা' থেকে মুক্তিলাভ। জঙ্গলে ফিরছে শঙ্কর। ২০০৫ সালে সঙ্গিনীর মৃত্যু হওয়ায় বড় একাকীত্বের মধ্যে দিয়ে কাটছিল তার জীবন। শেষমেষ সমস্ত দুঃখকষ্টের অবসান ঘটিয়ে বনের 'সম্পদ' ফিরছে বনে।

শঙ্কর একটি হাতি, যাকে আজ থেকে প্রায় ২৪ বছর আগে তত্‍কালীন রাষ্ট্রপতির উপহার স্বরূপ ভারতে পাঠিয়েছিল জিম্বাবুয়ে সরকার।সেই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন কে আর নারায়ণয়ন। তত্‍কালীন ভারত-জিম্বাবুয়ে সম্পর্ক মজবুত করতেই শঙ্করের ভারতে আগমন। এদেশে আসার পর থেকেই তার জায়গা হয়েছিল দিল্লির চিড়িয়াখানায়। সেই থেকেই ওই চিড়িয়াখানায় বন্দী জীবন কাটাচ্ছে শঙ্কর। মাঝের কিছুটা সময় অবশ্য ভালোই কেটেছে। কারণ সেই সময় শঙ্কর পেয়েছিল তার সঙ্গিনীকে। কিন্তু ২০০৫ সালে সেই সঙ্গিনীরও মৃত্যু হয়েছে। সেই থেকেই একা দিন কাটে শঙ্করের।


দীর্ঘ ২৪ বছর পরে শঙ্করের জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার পিছনে র‍য়েছে যার হাত তার বয়স ১৬। দিল্লির বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী নিকিতা ধাওয়ানই সম্প্রতি একটি পিটিশন জারি করে ওই হাতিটিতে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। নিকিতার একটি সংস্থা রয়েছে। ওই সংস্থার কাজ হল নিঃসঙ্গ, নিরীহ অবলা জীবদের হয়ে আওয়াজ তোলা। সম্প্রতি এই নিকিতাই দেখতে পায় যে বছরের পর বছর ধরে দিল্লির চিড়িয়াখানায় একা একা জীবন কাটছে শঙ্করের। আর তাই তাকে যাতে জঙ্গলে তার সঙ্গী সাথীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেই জন্য লড়াই শুরু করে নিকিতা। তারই ফলশ্রুতি হিসাবে দীর্ঘ ২৪ বছর পরে জঙ্গলে ফিরছে শঙ্কর।

হরি ঘোষ,দুর্গাপুরঃ ফের সাইবার প্রতারণা দুর্গাপুরে। মোবাইলে সিম চালু করে দেওয়ার নামে রবিবার সন্ধ্যায় একটি লিঙ্ক পাঠানো হয় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের অলোক চট্টরাজ নামের অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মীর মোবাইলে। সেই লিংকের মাধ্যমে 10 টাকা রিচার্জ করার কথাও জানায় প্রতারকরা।সেই লিংকটি হাত দিতেই ওই ব্যাক্তির দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৪ হাজার টাকা দফায় দফায় গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ। সোমবার দুর্গাপুরের সাইবার সেল, দুর্গাপুর থানা এবং দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং সাইবার সেল।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে মেয়েদের জন্য রয়েছে নানান প্রকল্প। সেই প্রকল্পগুলির পাশাপাশি রয়েছে একটি দুর্দান্ত প্রকল্প। এই প্রকল্পের একটাই উদ্দেশ্য, মেয়েদেরকে দেওয়া হবে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত্‍। কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও এবং বেটি পড়াও যোজনা, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ইত্যাদির মতই কন্যাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বালিকা বা কন্যা সমৃদ্ধি যোজনা তৈরি করা হয়েছে।সাধারণত অনেক বাবা- মা তাদের মেয়েদের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তারমধ্যে আর্থিক দিকটিও একটা বড় ফ্যাক্টর। সব বাবা-মাই চান তাদের মেয়ে ভবিষ্যতে ভালো জীবন কাটাক। সোজা কথা বলতে গেলে, তাদের ভবিষ্যত্‍ যেন হাসি খুশি হয়। একটা মেয়েকে লেখাপড়া শেখানো থেকে শুরু করে বিয়ে দেওয়া পর্যন্ত বেশ অনেকটা টাকার প্রয়োজন হয়।

বিয়ের পরে ওর বাবা-মা একেবারে নিশ্চিন্ত থাকেন না। এই দিক গুলি কথা মাথায় রেখেই সরকার রেখেছে বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা। বেটি বাঁচাও এবং বেটি পড়াও যোজনা, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ইত্যাদির মতো কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার মতো, সরকার কন্যাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কন্যা বা বালিকা সমৃদ্ধি প্রকল্পও তৈরি করেছে। এই প্রকল্পটির সুবিধা বিশেষভাবে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষ এই পাবেন। এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার কর্তৃক দরিদ্র মেয়ে এবং তাদের অভিভাবকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। কন্যা সন্তানের জন্মের সময় দরিদ্র মেয়েদের পিতামাতাকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বৃত্তিও দেওয়া হয়। এই প্রকল্প সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জেনে রাখুন।

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায় আবেদনের কোন নথির প্রয়োজন ?

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে আপনার মেয়ে সন্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, আপনার অনেক ধরনের নথির প্রয়োজন।

•সন্তানের জন্ম শংসাপত্র
•পিতামাতার আবাসস্থলের শংসাপত্র
• পিতামাতা বা পরিবারের কোনো সদস্যের আইডি প্রমাণ। আইডি প্রমাণের জন্য, আপনি রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

কীভাবে করবেন আবেদন ?

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায়, আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মোডে আবেদন করতে পারেন। অফলাইনে আবেদন করতে চাইলে, আপনি যে কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফর্ম নিয়ে আসবেন। অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে, ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে ফর্মটি পূরণ করুন। তারপর সেখানেই সাবমিট করবেন। এই প্রকল্পের আওতায় শুধুমাত্র গ্রামাঞ্চল নয় শহরাঞ্চলের মানুষরাও সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং ফর্ম সর্বত্র পাওয়া যাবে।




কলকাতা: ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ (West Bengal School Reopen)। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ফের খুলছে স্কুল। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত 'পাড়ায় শিক্ষালয়'। ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee)।

গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার শুনিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর।সেই আশঙ্কা থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। ঘোষণা করা হয় ৩ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক মাস পর পড়ুয়াদের কোলাহলে মুখরিত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্যের স্কুলগুলির পাশাপাশি ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বঙ্গে খুলছে বেসরকারি স্কুলও। 'সরকারি বিধি মেনেই খুলবে স্কুল।'জানালেন আইসিএসই কাউন্সিলের সিইও। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলছে সিবিএসই স্কুলও।


উল্লেখ্য গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি ১০ মাস পর খোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল কলেজ। গত বছর অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী জানান নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোভিড বিধি মেনে শুরু হবে ক্লাস। এরপর ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট শেষ হয়েছে।


১ ফেব্রুয়ারি-১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনার বিধিনিষেধ জারি করা হল রাজ্যে। অফিসে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী নিয়ে কাজে ছাড়। সুইমিং পুলেও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। অডিটোরিয়াম, রেস্তোরাঁ, পানশালায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। সিনেমা হলেও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দর্শকে ছাড়। সুইমিং পুলেও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র। কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ।

জোয়ানা বুচান থাকতেন যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনশায়ারে।তিনি পড়াশুনা করতেন সেখানকার পিটারহেড সেন্ট্রাল স্কুলে। নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন জোয়ানা ১৯৯৬ সালে একটি চিঠি বোতলে ভরে। আট বছর ছিল তখন তাঁর বয়স। ২৫ বছর পর সেই চিঠিসমেত বোতলের সন্ধান পাওয়া গেলো।

জানা যায়, এ বোতলের সন্ধান পাওয়া যায় স্কটল্যান্ড থেকে ১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার দূরে নরওয়ের উত্তরাঞ্চলের গ্যাসভায়ের এলাকায়।এখানেই কিন্তু শেষ হয়ে যায় না। তিনি আবার জোয়ানাকে খুঁজে বের করেছেন এলেনা অ্যান্ডারসেন হাগা নামের যে নারী ওই বোতল খুঁজে পেয়েছেন।


তাঁর স্কুল সম্পর্কে লিখেছিলেন জোয়ানা ওই চিঠিতে। তাঁর পোষা কুকুরের কথা তিনি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন নিজের পছন্দের আরও কিছু জিনিসপত্রের কথা। চিঠিতে লিখেছিলেন তিনি যে ওই সময় ছেলেদের অপছন্দ করতেন এটাও।


এ চিঠি দিয়ে তাঁকে যাতে খুঁজে পাওয়া যায়, সে জন্য ঠিকানাও লিখে দিয়েছিলেন জোয়ানা। তবে ঠিকানা অনুসারে নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে জোয়ানাকে খুঁজে পেয়েছেন এলেনা। ২০২০ সালে গ্রীষ্মে ওই বোতল তিনি খুঁজে পান। তিনি দেখেন, বোতলের ভেতরে একটা চিঠি আছে।


এলেনা বিবিসিকে বলেন, 'আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, এর ভেতরে চিঠি রয়েছে। এই চিঠিতে জলও লেগেছিল। তাই আমি খুব সাবধানে বোতলটি খুলেছিলাম।' তিনি আরও বলেন, 'চিঠিতে জল লাগলেও আমরা সেটা পড়ে বুঝতে পেরেছিলাম যে চিঠিটি স্কটল্যান্ড থেকে এসেছে। সত্যি এটি একটি অসাধারণ ব্যাপার।'


যা হোক, এ বোতল পাওয়ার পরই, অর্থাত্‍ ২০২০ সালেই ফেসবুকে জোয়ানাকে খুঁজে বের করেন এলেনা। এরপর তাঁকে বার্তাও পাঠান এলেনা। কিন্তু এত দিন তিনি সেই বার্তা দেখেননি। পরে গত সোমবার পুরোনো বার্তা ঘাটতে গিয়ে এলেনার বার্তাটি খুঁজে পান জোয়ানা।


জোয়ানা এখন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে থাকেন। চিঠির সন্ধান পেয়ে আনন্দিত তিনি। এ চিঠিকে দামি রত্ন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। 'যখন চিঠিটি পড়ি, তখন আমি হেসে মরেই যাচ্ছিলাম!' যোগ করেন ৩৪ বছর বয়সী এই চিকিত্‍সক।

বৌদির প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হঠাত্‍ই নদীতে ঝাঁপ দিলেন এক যুবক! সৌভাগ্যক্রমে লঞ্চের মাঝিরা সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে উদ্ধার করেন। আজ, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের কালনা ঘাটের কাছে। জানা গেছে, রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ শান্তিপুর থেকে লঞ্চে করে কালনার দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক।নাম প্রতীক ধর। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের সুলতানপুরে। তিনি শান্তিপুরের একটি ফাস্টফুড সেন্টারে কাজ করতেন। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দু'বছর ধরে নিজেরই এক বৌদির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি সেই মহিলা তাঁকে খারিজ করে দেন। সেই অবসাদেই ওই যুবক আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। প্রতীক ধরকে উদ্ধার করে শান্তিপুরের কালনা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তার প্রাথমিক শুশ্রূষা করেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। ওই যুবকের বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়েছে।




  বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান একটি শতাব্দী প্রাচীন সামরিক ঐতিহ্য। সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের সমাপ্তি চিহ্নিত করে এ বছরের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে জুড়ল নতুন ছন্দ।

বিজয় চকে শুরু হওয়া বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রমুখ।

শনিবারের এই অনুষ্ঠানে দেশে তৈরি ১০০০টি ড্রোন দর্শকদের মুগ্ধ করে। এক সঙ্গে এই বিশালসংখ্যক ড্রোন প্রদর্শনীর দিক থেকে চিন, রাশিয়া এবং ব্রিটেনের পরে চতুর্থ দেশ হয়ে উঠল ভারত।

বিটিং দ্য রিট্রিট শেষে ১,০০০টি ড্রোনের এই প্রদর্শনীর আয়োজক কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্ত টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনীরা। ভারতীয় স্টার্টআপ বটল্যাবের একটি লেজার শোয়ের এই অনুষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই প্রথমবার।

দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর (আজাদি কা অমৃত মহোত্‍সব হিসাবে পালিত হচ্ছে) স্মরণে অনুষ্ঠানে অনেকগুলি নতুন ছন্দ যুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে 'কেরালা', 'হিন্দ কি সেনা' এবং 'এ মেরে বতন কে লোগ'।

অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য দেশান্তবোধক গান অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ছিল মহাত্মা গান্ধীর পছন্দের গান 'সারে জাহাঁ সে আচ্ছা'ও। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি উপলক্ষে লেজার শো চলাকালীন 'বন্দে মাতরম'-এর সুর বাজানো হয়, যা দর্শকদের দেশপ্রেমের চেতনায় মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।


কর্ণাটকের মাইসুরুর কোটে শহরে এক ছাত্রীকে চুম্বন করা প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আর.এম. অনিলকুমার তার চেম্বারে এক ছাত্রীকে চুমু খেতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। বেসরকারি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা ডেকে প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ প্রতিরোধ (পকসো) আইনের অধীনে যৌন নিপীড়নের একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক শিক্ষা আধিকারিক চন্দ্রকান্ত ও পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের ডেপুটি ডিরেক্টর রামাচন্দ্র উরস।

প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে ধরে তার চেম্বারে চুম্বন করার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি রাজ্যকেও হতবাক করেছে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। শিক্ষার্থীরা জানালা দিয়ে ভিডিওটি ধারণ করেছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক শিক্ষা আধিকারিক (বিইও) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের করেন এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। শিক্ষকের আচরণ শিক্ষা দফতরকে বিব্রত করেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

পুলিশ ব্যাখ্যা করেছে যে তারা তদন্ত শুরু করেছে এবং সূত্র জানিয়েছে যে তারা অভিযোগটি যাচাই করছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হবে।

 মলয় কুণ্ডু: বাজেটে জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনে রাজ্যবাসীকে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেইছাড়ের মেয়াদ আগে একবার বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মানুষের আর্থিক সুবিধার জন্য তার সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। নবান্ন সূত্রে খবর, ছাড় মিলবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তিন মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির পর ফের মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত এই সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

কোভিড অতিমারির কারণে দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছিল। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা কমে গিয়েছে। কোভিডের পরবর্তী সময়ে মানুষ বিনিয়োগ করে জমি, বাড়ি, কেনা, বিক্রি বা লিজ নিতে সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়ে আবাসন শিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মী এবং শ্রমিকরা। রিয়েল এস্টেটের এই বাস্তব সমস্যা উপলব্ধি করে অর্থনীতিকে ফের ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য রাজ্য সরকার বাজেটে সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপ নেয়।

বাজেট রাজ্য জানায়, যে হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয় সেই স্ট্যাম্প ডিউটির হার ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব হয়। আগে রাজ্যের শহর এলাকায় ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। রাজ্য সরকারের ছাড়ের ফলে তা হয় মাত্র ৪ শতাংশ। একইভাবে গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি ২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গ্রামীণ এলাকায় স্ট্যাম্প ডিউটি হয় মাত্র ৩ শতাংশ। এর ফলে শুধুমাত্র শহর নয়, জেলা, পুরসভা মিউনিসিপ্যালিটির বাসিন্দারাও আবাসন কিনলে তাদের এখন অনেকটাই আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ছাড় দেওয়ায় যেমন জমি—বাড়ি—ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশেনে আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের, তেমনই নির্মাণ ক্ষেত্রের ব্যবসায় বাড়তি গতি এসেছে রাজ্যে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য শিল্পগুলিও গতি পেয়েছে।

বস্তুত, রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নেওয়ায় রাজ্যে অর্থনৈতিক গতি অনেকটাই বেড়েছে। একইসঙ্গে ব্যাপক হারে রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় রাজ্যের ভাণ্ডারে বাড়তি অর্থও আসছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের পর তাই ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তা শেষ হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। ফের আরও দু'মাস এই ছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

  • কোভিডের পরবর্তী সময়ে মানুষ বিনিয়োগ করে জমি, বাড়ি, কেনা, বিক্রি বা লিজ নিতে সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছিল না।
  • চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়ে আবাসন শিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মী এবং শ্রমিকরা।
  •  





    কালনা: এখনও এমন ঘটনা ঘটে যা পড়লে, দেখলে রীতিমত আমাদের চমকে উঠতে হয়। টানা এক বছর ধরে নিজের স্ত্রীর উপর করছেন শারীরিক অত্যাচার। কখনও মেরেছেন, কখনও যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিয়েছেন কখনও…! আর স্বামীর এই অত্যাচার দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করে আসছিলেন স্ত্রী। কিন্তু কী অপরাধ করেছিলেন তিনি?

    যার ফলে এত জঘন্য ‘শাস্তি’ পেতে হচ্ছে তাঁকে? আসলে ওই মহিলা পরপর দু’বার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। স্বামী চেয়েছিলেন পুত্র সন্তান হোক। আর তা না পেতেই এমন অত্যাচার। আর এই ঘটনা অন্য কোনও রাজ্যের নয়। স্বয়ং এই রাজ্যের। এই বাংলার।

    কী ঘটেছে?
    নিন্দাজনক এই ঘটনা ঘটেছে কালনায়। অভিযোগ, সেখানকার এক গৃহবধূ কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালায় তার স্বামী। শনিবার গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিত্‍সা চলছে ওই মহিলার।

    পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। বিয়ের পরপরই দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। একজন শিশুর বয়স পাঁচ অপর শিশুর বয়স দুই বছর। বারবার কন্যাসন্তানের জন্ম হওয়ায় বেঁকে বসে মহিলার স্বামী। গৃহবধূর ওপর শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার, কখনো যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে, কখনো যৌনাঙ্গের পাশে সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে এবং গৃহবধূর বুকের ওপর মারধর করে বেশ কয়েক মাস ধরেই পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছিল তার স্বামী। এমনকি স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেবে এমনও জানিয়েছিল।

    কিন্তু অত্যাচারের পরিমাণ দিনদিন বেড়েই চলছিল। এরপর শনিবার ওই গৃহবধূর পরিবারের মানুষজন কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে। তারপর থেকেই হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন ওই গৃহবধূ। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলার বাবা ও ভাই। তবে এখনও অধরা অভিযুক্ত।

    ওই গৃহবধূর বাবা বলেন, “আমার দুই নাতনী হয়েছে। জামাই চেয়েছিল ওর ছেলে হবে। শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হয় মেয়ের যেন আর সন্তান না হয় সেই চিকিত্‍সা করিয়ে তবেই শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এরপর ওরা আমার মেয়ের উপর যে অত্যাচার করত তা বলে বোঝানো যাবে না। ওরা এত মেরেছে তারপরও চিকিত্‍সা করায়নি। এরপর আমি সকালে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে আসি। আর তারপর চিকিত্‍সা করাই।” অন্যদিকে, নির্যাতিতা বলেন, “পরপর দু’বার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আমার স্বামী আমার উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালায়। কখনও যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয়, কখনও রড দিয়ে মারধর করত।”



    এনকাউন্টারে ৫ জঙ্গিকে খতম করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় দুটি আলাদা আলাদা এনকাউন্টার অপারেশন করা হয় পুলওয়ামা এবং বুদগামে। সেখানেই ৫ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন ছিল জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার।

    লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরাও রয়েছে নিহতদের মধ্যে। সন্ত্রাসদমনের উদ্যোগেই গত রাতে পুলওয়ামা এবং বুদগামে হানা দেয় পুলিশ। ১২ ঘণ্টায় মোট ৫ জনকে খতম করে তারা। প্রত্যেকেই পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত, জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। একজন পাকিস্তানি জঙ্গিও নিহত হয়েছে। এই অপারেশনকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে। টুইট করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ এই অপারেশনের জানিয়েছে। সেখানেই দাবি করা হয়েছে একজন জইশ কমান্ডার এবং পাকিস্তানি জঙ্গিও খতম হয়েছে গতকাল। 'এটা আমাদের বড় সাফল্য', বলেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। নিহতদের কাছ থেকে একগুচ্ছ অস্ত্রশস্ত্রও পাওয়া গেছে। গত মাসেও উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে এক ডজনের বেশি অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। খতম হয়েছে বাইশের বেশি জঙ্গি।

     

    সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী (Padmashri Adward of Suman Chattopadhyay) ফেরানো থেকে তাঁর অসুস্থতা, সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে মুখ খুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের (BJP Government) বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন (Singer Kabir Suman)। এমনকী এই নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন, সম্প্রতি এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টারকে অশালীন ভাষায় গালিগালজ করে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেন তিনি।

    ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে তার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বঙ্গ বিজেপি। এদিকে একদা যার গানে সকাল শুরু হত আপামর বাঙালির সেই বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর জীবন শুরু থেকেই বিতর্কে মোড়া। এদিকে কবীর সুমনের পিতৃদত্ত নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। এই নামেই বড় হন তিনি। ১৯৬৯ সালে তিনি পারি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই পরিচয় সোফিয়া নাজমা চৌধুরীর সঙ্গে।
    ভয়েস অফ আমেরিকায় সুমনের সহকর্মী ছিলেন ঢাকার মেয়ে নাজমা। কর্মসূত্রের তাদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। সেখান থেকে প্রেম। এদিকে আমেরিকায় ১০ বছর কাটিয়ে দেশে ফিরে আসেন তারা। কিছুদিন ঢাকায় কাটিয়ে নাজমা আসেন কলকাতায়। সেই সময় তারা থাকতেন গড়িয়া স্টেশনে রোডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে। নাজমাকে বিয়ে করার জন্যই প্রথমবার ধর্মান্তরিত হন সুমন চট্টোপাধ্যায়। নাম বদলে হয়ে যান মহম্মদ ফারুক। তারপরই সুম ওরফে ফারুক ও নাজমা চাকরি করতে চলে যান জার্মানিতে। যোগদেন ভয়েস অফ জার্মানিতে। কিন্তু এরপরই তাদের জীবনে আসে নতুন মোড়। ভেঙে যায় সম্পর্ক। ডিভোর্স হয়ে যায় দুজনের। এরপরই সুমনের জীবনে মারিয়ার প্রবেশ। এরপর তাকে বিয়ে। মেয়ে ভার্জিনিয়াকে দত্তক নেন তিনি। বিয়েটা অবশ্য করেন সুমন চট্টোপাধ্যায় নামে। এরপর ১৯৯ সালে সুমনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন মারিয়া। পরে সুমন আত্মসমর্পন করে জামিন পান।




    পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে সুমনের যাতায়াত বাড়তে থাকে। সেখানে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্টতা। কিন্তু মারিয়ার সঙ্গে যেহেতু তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তাই সাবিনাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অবশেষে ফের ইসলাম ধর্মের আশ্রয় নেন সুমন। তখনই সুমন চট্টোপাধ্যায় হয়ে গেলেন কবীর সুমন। বিয়ে করলেন সাবিনা ইয়াসমিনকে। এদিকে বারবার সুমনের এই ধর্মবদলকে বিশেষ ভালো চোখে দেখছেন না টিপু সুলতাম মসজিদের শাহি ইমাম। এই প্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, "এই কাজকে কখনওই সমর্থন করে না ইসলাম। এমনকী মুসলিম পার্সোনাল আইনও এই কাজকে সমর্থন করে না। যদি কোনও হিন্দু মুসলিম হয়ে পুনরায় হিন্দু হয়ে আবার মুসলিম হতে চায় তা কখনওই মান্যতা দেওয়া যায় না। ইসলামী আইন সাফ বলছে কোনও ব্যক্তি এই কাজ করলে তিনি আদপে ইসলাম ধর্মের সঙ্গেই অবমাননা করছেন।"

    বুওরো রিপোর্ট  কাকদ্বীপ.কম :কপালের নাম গোপাল!‌ কারণ আবারও কোটিপতি হলেন এক মত্‍স্য ব্যবসায়ী। বলা ভালো, রাতারাতি কোটিপতি হলেন এক মত্‍স্য ব্যবসায়ী। আজ, শনিবার দীঘার এক মত্‍স্যজীবী রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন শুধুমাত্র তেলিয়া ভোলার সৌজন্যে। প্রায় ১২১টি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে মা বিশ্বেশ্বরী ট্রলারে। যা নিলামে প্রায় কোটি টাকা ছাড়ায়।

    মত্‍স্যজীবীদের সূত্রে খবর, এই তেলিয়া ভোলার পটকা খুবই উপযোগী। তাছাড়া এই মাছ থেকে ওষুধ তৈরি হয়। গভীর সমুদ্রে দলবদ্ধভাবে থাকে এই মাছ। পূর্ব ভারতের সব থেকে বৃহত্তম নোনা মাছের মত্‍স্য নিলাম কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা মোহনা। শনিবার সকালে দিঘা মোহনা আড়তে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসেন ওই মত্‍স্য ব্যবসায়ী। কলকাতার একটি ব্যবসায়ী নিলামে মাছগুলি কিনে নেন। বিক্রি হওয়ার মাছের বাজার মূল্য প্রায় দু'‌কোটি টাকা।
    ধরা পড়ল ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ আহমেদ।তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিলেন।কখনও উদ্বাস্তু হয়ে, কখনও বা রাঁধুনি হয়ে, আবার কখনও বা নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন চট্টগ্রামজুড়ে।
    ২০ বছর ধরে তাঁর কোন পাত্তাই পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার জানিয়েছেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে ব্যবসায়ী জানে আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে তজবিরুল আলম চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

    ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করেছিল। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ৮ জনকে দেওয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ফের আপিল করেছিলেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস করে দেওয়া হয়েছিল।র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবসার জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর পলাতক জীবন সম্পর্কে যাবতীয় বিবরণ জানিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার পর প্রথম চার থেকে পাঁচ বছর সৈয়দ আহমেদ তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে থাকতে শুরু করেন। এরপর চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজার এলাকায় রাঁধুনির কাজ শুরু করেন। এরপর নেন নিরাপত্তাকর্মীর কাজ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

    শিলিগুড়ি: থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রমরমিয়ে চলছে জুয়ার ঠেক। খবর পেতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শহরের দু' জায়গায় হানা দিয়ে মোট ১৪ জুয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় বেশ কিছু নগদ অর্থ, মোবাইল, একটি স্কুটি ও অন্যান্য সামগ্রী। ঘটনা শিলিগুড়ির।

    জানা যায়, বেশ কিছু দিন থেকেই এনজেপি থানার ঠিক উল্টো‌ দিকে শান্তিপাড়া রেলের আন্ডারপাসের আশেপাশে বসত জুয়ার আসর।দূর-দুরান্ত থেকে জুয়ারিরা জুয়া খেলতে আসে এখানে। শনিবার সকালে সেই জুয়ার আড্ডায় হানা দেয় এনজেপি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেকেই এদিক ওদিক পালাবার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি, পুলিশের জালে ধরা পরে ৭ জুয়ারি।


    অপরদিকে, এনজেপি নেতাজি মোড়ে জুয়ার আসরে হানা দিয়ে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানার পুলিশ। জুয়ারিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নগদ অর্থ, মোবাইল, একটি স্কুটি সহ একাধিক সামগ্রী।


    কিন্তু থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই দিনের পর দিন অসামাজিক কাজ কীভাবে হয়ে আসছে, কেন এত বড় বিষয়টি পুলিশের চোখ এড়িয়ে গেল, সে নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন।

    ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে চার শিশুর হাত-পা বেঁধে নির্মম মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতার জবা গ্রামে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। পুলিশ প্রহৃত শিশুদের গড়বেতা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিত্‍সাও করিয়েছে।

    ঘটনাটি নজরে এসেছে শিশু সুরক্ষা কমিশনেরও।

    পরিস্থিতি ঠিক কি ঘটেছে তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, চারটি শিশু মাঠে পড়ে রয়েছে। প্রত্যেকের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। পায়ে ঢোকানো বাঁশ। চলছে বেধড়ক মার। মারধরের সময় অভিযুক্ত রবিয়াল খান উত্‍সাহ জোগাতেও দেখা গিয়েছে অনেককেই।

    পুলিশ সূত্রে খবর, যে ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ উঠেছে সেটির মালিকও রবিয়াল খান নন। তা অন্য এক গ্রামবাসীর। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ামাত্রই রবিয়াল নিজের ছেলে-সহ চার শিশুর উপর নির্মম অত্যাচার করে। প্রত্যেকেরই বয়স দশ থেকে বারো বছরের মধ্যে। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্থানীয় গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের বিডিও ওয়াসিম রেজা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

    পুলিশও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রবিয়ালকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সন্দীপ দাস ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'বিষয়টি খুবই গুরুতর। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পুলিশ অবশ্য ঘটনার আধঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।' এদিকে, নির্যাতিত শিশুগুলিকে গড়বেতা এক নম্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই চার শিশু। আতঙ্কে অঝোরে কেঁদেই চলেছে তারা। ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে চার শিশুর হাত-পা বেঁধে নির্মম মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতার জবা গ্রামে।

    করণদিঘি: অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনার এক সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুর জেলা। এইভাবেও মা খুন করতে পারে ‘নিজের’ একরত্তি শিশুকে ভাবলে হয়ত শিউরে উঠতে হয়। তিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল বছর সাতের ওই শিশুর। অনেক খোঁজা-খুঁজি না মেলায় বাড়িতে সদস্যরা পুলিশে খবর দেয়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি।

    শেষে ইটভাটার ঝোপের সামনে থেকে মেলে শিশুর ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পেরেছিল তাই এই পরিণাম। তবে কি পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ সত্যি? মায়ের পরকীয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোয় কি খুন সাত বছরের ছেলে? তবে কে করল খুন করল তাকে? মা নাকি তার প্রেমিক নাকি দু’জনেই? এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঘটনার বিবরণ

    মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির কামারতোর গ্রামে। মৃত শিশুটির নাম গোলাম সরোবর। তিনদিন আগে দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

    তদন্তের শুরুতেই মহম্মদ মেকাইল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সত্য। এরপর শুক্রবার রাতে মৃতদেহের হদিশ পায় পুলিশ। মৃতদেহের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। পুলিশ মনে করছে বাচ্চাটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হতে পারে। পাশাপাশি তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেও মেলার মাঠের পাশে কবরস্থানের ঝোপে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বা বন্য জন্তুও খুবলে খেয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।

    এদিকে, ঘটনায় পুর্বে গ্রেফতার মেকাইলের পাশাপাশি মৃতের মা সেলি খাতুনকেও শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও এক সন্দেহভাজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবার অভিযোগ করে বলছে, মৃতের মায়ের সঙ্গে মেকাইলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, আর ছেলে তা দেখে নেওয়াতেই পথের কাটা সরিয়ে ফেলতেই মা ও তার প্রেমিক খুন করেছে বলে মনে করছে তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে শনিবার সকালে তাদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

    মৃত শিশুটির কাকা বলেন, “তিনদিন আগে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে খুঁজে না পেলে পুলিশকে খবর দিই। এরপর আমরা মেকাইলকে পুলিশে ধরিয়ে দিই। তখন পুলিশ বাচ্চাটির মাকেও গ্রেফতার করে। পরে তদন্ত করতে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। ওই ব্যক্তির শিশুটির মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।”



    TV9 বাংলা

    বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ মানব উন্নয়নে বড় সমস্যা তৈরি করছে। একদিকে যেমন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড় বড় উদ্ভাবন মানব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে এর অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতিও সামনে এসেছে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের বিকাশ যত দ্রুত হয়েছে, তার প্রতি তরুণদের আসক্তি ততই বেড়েছে।মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে তরুণদের মধ্যে এর ক্রেজ আরও দ্রুত বেড়েছে।

    বর্তমানে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানীতে, অনলাইন গেম PUBG এর কারণে এক শিশু তার পুরো পরিবারকে খুন করেছে। বলা হচ্ছে, ১৪ বছরের ছেলেটি প্রায়ই মোবাইলে PUBG খেলায় ব্যস্ত থাকত। একইসঙ্গে এ কারণে তার মাকে সবসময় রেগে যেতে দেখা যায়। পুলিশ বলছে যে শিশুটির মা, প্রায়শই তাকে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য বকাঝকা করত। এতে হতাশ হয়ে সে তার মা ও ভাইবোনদের পিস্তল দিয়ে গুলি করে খুন করে।

    পুলিশ জানিয়েছে যে ৪৫ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী নাহিদ মুবারককে গত সপ্তাহে লাহোরের কেহনা এলাকায় তার ২২ বছর বয়সী ছেলে তৈমুর এবং ১৭ এবং ১১ বছর বয়সী দুই মেয়ের সাথে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে এ মামলায় পুলিশ সফলতা পেয়েছে। পুলিশের মতে, বাড়ির একমাত্র বেঁচে থাকা ১৪ বছর বয়সী শিশুটি এই খুনের জন্য দোষী।

    পুলিশ বলছে যে নাহিদ একজন তালাকপ্রাপ্তা ছিল এবং প্রায়ই তার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়ার জন্য এবং তার বেশিরভাগ সময় PUBG খেলায় ব্যয় করার জন্য তাকে তিরস্কার করত। এমনকি ঘটনার দিন নাহিদ তার সন্তানকে PUBG খেলার জন্য বকাঝকা করে। এতে অস্থির শিশুটি তার মায়ের আলমারি থেকে পিস্তল বের করে তার মা ও তিন ভাই-বোনকে গুলি করে।

    পুলিশ বলছে, PUBG খেলায় আসক্ত শিশুটি আপাতত তার অপরাধ স্বীকার করেছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নাহিদ তার পরিবারকে রক্ষা করতে পিস্তলটি নিয়েছিল। সেখানেই এটি তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


     তথ্য সংগ্রহ- Press card news 

    মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিধায়ক মদন মিত্র। শুক্রবার মোটরসাইকেল চালিয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিধায়ক(MLA)। সেই সময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা (Accident)। মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান তিনি।তড়িঘড়ি তাঁর অনুগামীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিত্‍সার ব্যবস্থা করেন। পায়ের হাঁটু তে ব্যথা পাওয়ায় ব্যান্ডেজ করতে হয় সেই স্থানে। আপাতত সুস্থ আছেন বঙ্গ রাজনীতির ' কালারফুল বয়'।


    জানা যায় শুক্রবার একটি অনুষ্ঠান থেকে ভিডিয়ো আপলোড করে কামারহাটির তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) তাঁর অবস্থানের কথা জানান নেট দুনিয়ার অনুরাগীদের। কিন্ত তারপরই তাঁর দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। এই প্রসঙ্গে মদন মিত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে তাঁর মাথাটা পিছনের চাকা আর সামনের চাকার মাঝে পড়ে গিয়েছিল। দুর্ঘটনায় চোখের ক্ষতি হতে পারত বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিধায়ক।যদিও আপাতত পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থাতেই আছেন তিনি।কিন্তু ঠিক কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা যদিও স্পষ্ট নয়।

    মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় গাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন মূক ও বধির তরুণী। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের রাতের এই ঘটনা শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও অভিযোগের পর কালবিলম্ব না করেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে দ্রুত এই গ্রেফতারি সম্ভব হতো কি যদি দোভাষী না থাকতেন। কারণ অভিযোগকারিণী মূক এবং বধির।


    ঘটনার পরে নির্যাতিতা থানায় এলেও প্রথমে তাঁর বক্তব্য বুঝতেই হোঁচট খেতে হয় পুলিশকে। অভিযোগ বোঝা না গেলে তদন্ত হবে কী করে! এরকম ক্ষেত্রে ডাক পড়ে রজনী বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো 'সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ' বিশেষজ্ঞদের।

    প্রগতি ময়দান থানার এই মামলাতেও তরুণীর বক্তব্য বুঝতে ডাকা হয়েছিল রজনীকে। প্রায় ১৬ঘন্টা ধরে নির্যাতিতার সঙ্গে থেকে এবং কথা বলে ঘটনার খুঁটিনাটি বুঝে, নির্যাতিতার বক্তব্য পুলিশকে জানান রজনী। এখনও পর্যন্ত ১০৩টি মামলাতে দোভাষীর কাজ করেছেন স্পেশাল এডুকেটর এবং সাইন লেঙ্গুয়েজ ইন্টারপ্রেটর রজনী। এই ঘটনা বা তদন্তের বিষয়ে কোনও কথা বলতে না চাইলেও, এ বারের মতো এত দ্রুত তদন্ত আগে দেখেননি বলে জানান তিনি। রজনী বলেন, 'ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলতে সকালেই থানাই পৌঁছে গিয়েছিলাম। একদফা কথা বলে ওর অভিযোগের কথা পুলিশকে জানিয়ে আমার কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই বোধ হয় পুলিশ আমাকে আবার ডেকে আনে। লালবাজারের পুলিশ কর্তারা এসে তরুণীর অভিযোগের খুঁটিনাটি বুঝে নেন। এর আগে আমি বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনায় দোভাষীর কাজ করেছি। তবে এই মামলার মতো এত দ্রুত পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি।'

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ সায়েন্স সিটির কাছে অম্বেডকর সেতুর কাছে জোর করে ওই তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সামনের আসনেই গায়ের জোরে বসিয়ে রাখা হয় তরুণীকে। গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তরুণী। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ৪ নম্বর সেতুর কাছে নামিয়ে দেওয়া হয় তরুণীকে। সকালে ট্রেন ধরে মগরাহাটে বাড়ি ফেরেন নির্যাতিতা। মা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ির কাউকে প্রথমে এই ঘটনার কথা বলতেও দ্বিধা করেন। পরে থানায় অভিযোগ জানান এবং শুক্রবার অভিযুক্ত কামরে আলম ওরফে রাজা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    একদিকে ওই তরুণী শারীরিক ভাবে মূক ও বধির তার উপর ধর্ষণের ঘটনা— এমন ক্ষেত্রে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক বলে জানান রজনী। শুধু রজনী নয় ওই তরুণীর বক্তব্য বোঝার জন্য আরও এক দোভাষীর সাহায্য নেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত চলার পথে নির্যাতিতার সঙ্গে যাবতীয় কথাবার্তা চলে দোভাষীর সাহায্যে। রাত পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গ দেন দোভাষী রজনী। শুধু অভিযোগ দায়েরের জন্যই নয়, তদন্তের জন্য তরুণীর কাছ থেকে অভিযুক্তের বিবরণ, ঘটনার সময়ের যাবতীয় বিশদ তথ্য জানা জরুরি। দোভাষীর মাধ্যমে পুলিশ একই দিনে সেই সব তথ্য জানতে পারে পুলিশ। 'তদন্তকারীরা কোনও সময় নষ্ট করতে চাইছিলেন না বলে মনে হল। তদন্তের জন্য মাঝে মাঝেই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলাও দরকার ছিল ওঁদের। তাই যত রাতই হোক না কেন, আমি যতটুকু ওঁদের সাহায্য করতে পারি করতে চাইছিলাম।' বলেন রজনী।



    তথ্য সংগ্রহ-আনন্দবাজার পত্রিকা 


    ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল নিউটাউনের নতুন পুকুর এলাকার রামকৃষ্ণ সেবা মিশনে। শুক্রবার সকালে রাঁধুনির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেবা মিশনের (Ramkrishna Seva Mission) সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। মিশনের মহারাজকে মারধর করে উত্তেজিত বাসিন্দারা, সেই ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে।

    মৃত রাঁধুনির নাম রোহিত হালদার। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সকাল থেকে অনেক ডাকাডাকির পরও তাঁর সাড়া মেলেনি। এর পর দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় রোহিতের দেহ।

    খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। টেকনো সিটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় এখনও কাউকেই গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    মিশনের (Ramkrishna Seva Mission) মহারাজ বলেন, 'সম্প্রতি মিশনের একটি চুরির ঘটনায় রোহিত ও আর এক জনের উপর আমাদের সন্দেহ ছিল। আমরা তা ওঁদের জানিয়েও ছিলাম। চুরির ঘটনার সঙ্গে ওঁরা জড়িত কি না, তাও সরাসরিই জানতে চেয়েছিলাম। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল।'

    পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং সারা বিশ্বই এটা জানে। বিশ্ব জানে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে এবং তারপর ভারতসহ সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য রপ্তানি করে। কিন্তু একটা কথা আছে যে আগুন নিয়ে খেললে তার নিজের হাতই পুড়ে যায়। অনেক সময় এই সন্ত্রাসীরা খোদ পাকিস্তানেই হামলা করে এবং এখানকার সরকার ও সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি করে।বেলুচিস্তানে এমনই একটি হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
    পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টে জঙ্গিদের হামলায় ১০ সেনা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর মিডিয়া বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে যে, ২৫-২৬ জানুয়ারী মধ্যবর্তী রাতে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়।

    সেনাবাহিনীর মতে, এই হামলায় ১০ জন সৈন্য নিহত হয়েছিল, সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাবে, একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল এবং আরও অনেকে আহত হয়েছিল। সেনাবাহিনী তিন সন্ত্রাসীকে ধরেছে। এখনও কোনও সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

    পাকিস্তান তার নিজের দেশের নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা চালায় এবং সারা বিশ্বও তা জানে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর থেকেই বেলুচিস্তানের মানুষ নিজেদের জন্য আলাদা দেশ দাবী করে আসছে। পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী বেলুচিস্তানের জনগণকে তাদের অধিকার দেয় না এবং তারা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়। এ কারণে বেলুচিস্তানে অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।

    ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশটি দীর্ঘদিন ধরে সহিংস বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল। বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি অতীতে এই অঞ্চলে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পগুলিকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছ। 

    Press CARD News 

      






    পদ্মভূষণ সম্মান প্রত্যাখ্যান নিয়ে ফের বিবৃতি দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাতে চলতি বিতর্ক চাপা দেওয়ার পরিবর্তে আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি, মনে করছে দলেরই একাংশ। শুক্রবার সিপিএমের দলীয় মুখপাত্র বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পদ্ম সম্মান ফেরানো নিয়ে চলতি বিতর্কের জবাব দিতে চেয়েছে।

    তাঁরা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর নতুন বিবৃতি ছেপেছে। তাতে তিনি বলেছেন, আগে জানলেও পদ্ম-সম্মান প্রত্যাখ্যান করতাম। যা আসলে নতুন কোনও কথা নয়। তবু এই বিবৃতি ছাপার কারণ কী? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে যে তাঁকে না জানিয়েই কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধা
    ন্ত ঘোষণা করেছে কিনা। গত বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে পদ্ম সম্মান দেওয়ার ঘোষণা করার ঘন্টা দুয়েক পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর তরফে সিপিএমের রাজ্য কমিটি সংবাদমাধ্যমকে জানায় তাঁর প্রত্যাখ্যান বিবৃতি। তাতে তিনি বলেন, 'পদ্ম পুরস্কার নিয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আমি কিছু জানি না। আমাকে যদি পুরস্কার দিয়েও থাকে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।' কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করেননি বিবৃতিতে। সেই রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংবাদমাধ্যমকে জানায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পরিবারকে জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সূত্র থেকে বলা হয়, দুপুরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভেনিউর বাড়িতে ল্যান্ডলাইনে ফোন করা হয়েছিল। ফোন করেছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। বুদ্ধদেবের পরিবারের কেউ ফোন ধরে বলেন তিনি অসুস্থ, বিশ্রাম নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সচিব তখন পরিবারকে জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পদ্মভূষণ সম্মান দিয়ে সম্মানিত করতে চায়। সন্ধ্যায় এই ঘোষণা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, এই টেলিফোন কথোপকথনের পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের তরফে সম্মান নেওয়া বা প্রত্যাখ্যান কোন কিছুই জানানো হয়নি এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর যে নতুন বিবৃতি সিপিএমের মুখপাত্র গণশক্তি ছেপেছে তাতে আগাম জানানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়নি। গত দু'দিন ধরে সিপিএম থেকে দাবি করা হচ্ছিল আগাম না জানিয়েই বুদ্ধদেবের নাম ঘোষণা করেছে দিল্লি। এদিন বিবৃতিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছেন আগাম জানানো হয়েছিল কী হয়নি সেটা আসল বিষয় নয়। আমাকে আগাম জানানো হলেও আমি প্রত্যাখ্যানই করতাম। অর্থাত্‍ তিনি জানতেন না যে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হচ্ছে এই কথাটি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্পষ্ট করে ফের নতুন বিবৃতিতে দাবি করেছেন। কিন্তু তাঁর পরিবারকে বা অন্য কোনও ভাবে আগাম জানানো হয়নি একথা তিনি জোর দিয়ে নতুন বিবৃতিতেও বলেননি। ফলে তার পরিবারের কাছে যে ফোন গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি তিনি নতুন বিবৃতিতেও নস্যাত্‍ করেননি। তিনি শুধু দাবি করেছেন, ঘোষণার আগে তাঁর জানা ছিল না। জেনেছিলেন সন্ধ্যেবেলা সর


    দেশে দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা।

    তবে অ্যাকটিভ কেসও নিম্নমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫১ হাজার ২০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬২৭ জনের।

    যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একদিনে মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৪৩ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২১ লক্ষের সামান্য বেশি। পজিটিভিটি রেট ১৫.৮৮ শতাংশ। এখনও কেরল, মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ চিত্র চিন্তায় রেখেছে। কেরলে আবার সংক্রমিতদের ৯৪ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। পাশাপাশি দেশে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেনও।
    এদিকে ধীরে ধীরে স্কুল, কলেজ খুলতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রও। ছোটদের পড়াশোনার স্বার্থে স্কুলগুলি খোলার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। এ বিষয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তিও জারি হতে পারে খুব শীঘ্রই। পাশাপাশি দেশে চলছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই দেশের ১৬৪ কোটিরও বেশি দেশবাসী পেয়েছেন টিকা।

    করোনায় আক্রান্ত হলেন বর্ষীয়াণ গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই হৃদপিন্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। আগে থেকেই শিল্পীর হৃদপিন্ডের সমস্যা ছিল। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। এর পাশাপাশি শরীরের আরও নানান সমস্যা রয়েছে গীতশ্রীর।


    শরীরের নানান সমস্যা রয়েছে বর্ষীয়াণ গায়িকার। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শরীরের অবস্থা খারাপ হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গতকাল তড়িঘড়ি করে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। এবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ (Sandhya Mukhopadhyay tested Covid Positive) পাশাপাশি ফুসফুসের সংক্রমণ এবং হৃদযন্ত্রেরও সমস্যা রয়েছে। করোনা রিপোর্টে পজিটিভ হতেই তড়িঘড়ি এসএসকেএম -থেকে অ্যাপোলোতে ভর্তি করা হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Sandhya Mukhopadhyay Health Update)। এখন কেমন রয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তা জানতেই মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। অ্যাপোলো হাসপাতাল (Apollo Hospital )সূত্রে জানা গেছে, করোনার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টেরও সমস্যা রয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। ইসিজি সহ অন্যান্য পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে শিল্পীর হার্টবিট কখনও কখনও বেড়ে যাচ্ছে। এবং হৃত্‍পিন্ডটাও কিছুটা বড়। আপাতত চিকিত্‍সকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে গীতশ্রীকে।

    দিনকয়েক ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay) । ২৭ জানুয়ারি দুপুরেই গীতশ্রী লেক গার্ডেন্সের বাড়ি থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। শরীর খারাপের পাশাপাশি ফুসফুসেরও সংক্রমণ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। বুধবার রাত থেকেই শরীরের অবনতি হতে থাকে। জ্বর ,শ্বাসকষ্টের উপসর্গও ছিল শরীরে। সেই কারণেই করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছিল। এবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হতেই ভক্তরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এদিন বিকেলে গীতশ্রী (Sandhya Mukhopadhyay) সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM) থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্ধ্যাদি খুবই অসুস্থ। মেয়ে এবং জামাই সকালে এসে ওনাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন। উডবার্নে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। তাদের পর্যবেক্ষণেই চিকিত্‍সা চলছিল। হৃদযন্ত্রেরও সমস্যা রয়েছে ওনার। ইতিমধ্যেই অ্যাপোলোর সঙ্গে কথা বলেছি। আজই এসএসকেএম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। প্রথমত কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ, দ্বিতীয়ত হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে ।নতুন বছর পড়তে না পড়তেই টলিউডে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা ভাইরাস। একের পর এক তারকা এবং তাদের গোটা পরিবারকে কাবু করছে করোনা ভাইরাস। কলকাতা ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। কলকাতায় করোনার বাড়বাড়ন্ত যেভাবে বাড়ছে তাতে অবস্থা খুবই শোচনীয়। গোটা টলিপাড়াকে যেন গ্রাস করেছে করোনা ভাইরাস। একের পর এক তারকারা আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা ভাইরাসে। তৃতীয় ঢেউ চলে এসেছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারণ মানুষ থেকে একাধিক তারকারা করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই টলিপাড়ায় করোনায় আক্রান্তর তালিকা ক্রমশ বাড়ছে।

     মহারাষ্ট্রের বিড জেলায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আতঙ্কের শিহরণ বয়ে যাচ্ছে।

    এক নাবালিকা অথচ বিবাহিতা মেয়েকে ৪০০ জন ধর্ষণ করেছে (Rape by 400 people) । এমনটাই জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার রাজা রামাস্বামী। গত ছয় মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণের (Rape) পালা চলেছে। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা এই অভিযোগ দায়ের করার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে সেও তাকে যৌন হেনস্তা (Molestation) করে।

    মেয়েটি এখন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) । এখনও অবধি এই নক্কারজনক ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে নিগৃহীতা নাবালিকা এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। Photo Courtesy- ANI/Twitter   মেয়েটি নিজের করুণ জীবনের কাহিনী তুলে ধরেছে।

    সে জানিয়েছে বছর দুয়েক আগে তার মা মারা যায়। মাস আটেক আগে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে বিয়ে দিয়ে দেয় বাবা। তাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক মারধর করত এবং অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। Photo - Representative   সেখান থেকে বাঁচতে সে তার বাবার কাছে পালিয়ে ফিরে আসে, কিন্তু বাবা আর তাকে ফিরিয়ে নেয়নি। বিড জেলার আম্বাজোগাই বাস স্ট্যান্ডে সে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে।

    সেখানেই শুরু হয় যৌন শোষণের পর্যায়। Photo - Representative   শিশু ওয়েলফেয়ার কমিটিতে দেওয়া বিবৃতিতে মেয়েটি জানিয়েছে, ''আমি বহু মানুষের দ্বারা শোষিত হয়েছি। আমি আম্বাজোগাই পুলিশ স্টেশনে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছি, কিন্তু অভিযুক্তদের ধরার বদলে পুলিশ আমাকেই হেনস্তা করে এক পুলিশ। Photo - Representative   এই মেয়েটির অভিযোগ ভারতীয় দণ্ডবিধির ( Indian Penal Code) The Prohibition of Child Marriage Act, The Protection of Children from Sexual Offences Act এছাড়া রেপ (Rape), এবং যৌন হেনস্তার আওতায় দায়ের করা হয়েছে। Photo - Representative   অবশেষে এই সপ্তাহে কেসটি দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে, এখনও অবধি এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বিড থানার পুলিশ।





    Photo - Representative