April 2023

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, আগামিদিনেও হবেন। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'বিচারকদের কাজই ন্যয়বিচার দেওয়া।'

Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ-মামলার বেঞ্চ বদলে কী প্রভাব পড়বে? কী বলছেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি?
কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা সরানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। অনেকেই বলছেন, নিয়োগ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হতে পারে অনিশ্চয়তা। হতাশ হয়ে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজে বলেছেন, তিনি যে কাজ ৬ মাসে করতেন, সেই কাজ করতে ৬০ বছরও লেগে যেতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, বেঞ্চ বদলে কি সত্যিই ধাক্কা খেতে পারে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত? তেমনটা মনে করছেন না কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। তাঁর মতে, সব বিচারপতিই সমান। ফলে মামলায় প্রভাব পড়ার কোনও প্রশ্ন থাকছে না।



কেন এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের?
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের কর্মপদ্ধতির দুটো ভাগ রয়েছে। বিচারবিভাগ ও প্রশাসনিক দিক। বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে যদি কোনও আবেদন সুপ্রিম কোর্টে যায়, তাতে হাইকোর্টের নির্দেশকেও পাল্টে দিতে পারে শীর্ষ আদালত।’ এ ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের বিষয়টিতেই সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে বিচারাধীন মামলা নিয়ে যদি বিচারপতি বাইরে কোনও পর্যবেক্ষণ দেন, তাতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট হয়ত এমন কোনও প্রসঙ্গই পেয়েছেন, যার জন্য মামলা সরানো হয়েছে।’ এতে রাজনীতির প্রভাব নেই বলেই মনে করছেন তিনি।


কী প্রভাব পড়বে?
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, ‘আইনের মূল কথাই হল ধর্ম বা বিচার। প্রত্যেক বিচারপতি সেটা মাথায় রেখেই বিচার করেন। কোন বিচারপতি মামলা শুনলেন, এটা নিয়ে কোনও ভাবনা চিন্তার জায়গা নেই। সব বিচারপতিই সমান। বিচারের পদ্ধতি আলাদা। তাই চাকরিপ্রার্থীরা আশ্বস্ত হতে পারেন।’

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, আগামিদিনেও হবেন। এই প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারকদের কাজই ন্যয়বিচার দেওয়া। এটা দুর্নীতির বিপরীত শব্দ। প্রত্যেক বিচারপতিই সেটা মাথায় রেখে ন্যয়বিচার করে থাকেন।’

উল্লেখ্য, টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের অনুবাদ এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঠানো নোট খতিয়ে দেখেই শুক্রবারই মামলা সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসীমার বেঞ্চ।

মৌসুমী কুন্ডু কে চেনেন? নামে নাও চিনতে পারেন, কিন্তু তাঁর মেকআপ টিউটোরিয়াল আপনার নিউজ ফিডে একবার না একবার এসে থাকবেই। স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে সাজিয়ে, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান জুড়ে রিলস-ভিডিয়োতে তিনি মাতিয়ে রাখেন ডিজিটাল-পাড়া।

Mousumi Kundu: মাত্র ৩ বছর বয়সে দাদুর কাছে ইনোসেন্স হারাই: মৌসুমী কুন্ডু

মৌসুমী কুন্ডু কে চেনেন? নামে নাও চিনতে পারেন, কিন্তু তাঁর মেকআপ টিউটোরিয়াল আপনার নিউজ ফিডে একবার না একবার এসে থাকবেই। স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে সাজিয়ে, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান জুড়ে রিলস-ভিডিয়োতে তিনি মাতিয়ে রাখেন ডিজিটাল-পাড়া। তাতে ভিউজ, লাইকের ছড়াছড়ি। তবে জানেন কি, সোশ্যাক মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তরুণীর ছোটবেলা যেন ছিল দুঃস্বপ্ন। নিজের দাদুর কাছেই এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে, যা হয়তো আপনার ভাবনাতীত। সম্প্রতি ‘জোশ টকস’ নামক প্ল্যাটফর্মে হাজির হয়ে সেই ঘটানাই তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে আমার বাবা মারা যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের বাবা মানে আমার দাদু আমাদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে।”

একদিন দুপুর বেলা তিনি ও তাঁর দাদু বসে টিভি দেখছিলেন। মৌসুমীর বিস্ফোরক মন্তব্য, “সেই সময়েই আমার দাদু আমাকে তাঁর যৌনাঙ্গ ছুঁতে বলে। ওই সাড়ে তিন বছর বয়সেই আমি বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এরপরেই আমার দিদি ঘরে ঢোকে। দিদি আমার থেকে তিন বছরের বড়। ওকে সবটা বলি।” এরপর থেকে দাদুর আমৃত্যু চলেছে শারীরিক নিগ্রহ, অভিযোগ মৌসুমীর। তিনি যোগ করেন, “আমার মা-দিদা জানতেন। কিন্তু মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনটা ছিল যে প্রতিবাদ করতে পারেননি। যখন আত্মীয়দের জানাই তখন দ্বিতীয় প্রশ্নটাই তাঁদের ছিল, ‘কোথায় আমাদের সঙ্গে তো হয় না! তোদের সঙ্গেই কেন হয়?’, না এর উত্তর আমার জানা নেই।” একসময় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তাঁর। শুধু কি তাই? গায়ের রঙ নিয়েও নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকেও উড়ে এসেছে কটাক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই নাকি বলতেন, “মেয়েরা কালো তো, পড়াশোনা শিখিয়ে লাভ নেই।”


শরীরের গঠন নিয়েও চলেছে লাগাতার খোঁটা। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। ভাল লাগত মেকআপ। আর সেই মেকআপকেই হাতিয়ার করে নেমে পড়েছিলেন জীবন যুদ্ধে। ভিউজ হয়নি। তাও থামেননি মৌসুমী… চালিয়ে গিয়েছেন লড়াই। আর সেই লড়াইয়েরই ফসল মিলছে তাঁর এখন। ইউটিউবে ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করে তিনি থাকেন শিরোনামে। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পাশে রয়েছেন দিদি, আর দিদির ছোট্ট মেয়ে। ওই একরত্তিকেই জীবনের ‘চেঞ্জার’ মনে করেন তিনি। তাঁর এই লড়াইয়ের গল্প প্রকাশ্যে আসতেই কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেন। ওই একগাল হাসি, কপালে টিপ আর ঝুমকার নেপথ্যে যে লুকিয়ে রয়েছে এক জেদি মেয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, তা এতদিন সকলের কাছেই যে ছিল অজানা।
এগিয়ে গিয়েছে 'গাঁটছড়া'। ধারাবাহিকের ট্র্যাকে আগমন হয়েছে নতুন সব চরিত্রের। শুধু কি তাই? সিরিয়ালের প্লট বলছে, মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় চরিত্র খড়ি ওরফে শোলাঙ্কি রায়ের।

Bengali Serial: 'গাঁটছড়া' বয়কটের ডাক, সত্যি মানতেই পারছেন না ভক্তরা, প্রভাব পড়বে টিআরপিতে?কেন বয়কটের ডাক?

এগিয়ে গিয়েছে ‘গাঁটছড়া’। ধারাবাহিকের ট্র্যাকে আগমন হয়েছে নতুন সব চরিত্রের। শুধু কি তাই? সিরিয়ালের প্লট বলছে, মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় চরিত্র খড়ি ওরফে শোলাঙ্কি রায়ের। আর তাতেই মুখভার দর্শকদের একটা বড় অংশের। সিনেমায় যে নতুন চরিত্রের আগমন ঘটেছে তাঁদের অনেককেই পছন্দ হচ্ছে না তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জারি। খড়ির সঙ্গেও তুলনা চলছে ‘গাঁটছড়া’র নব্য প্রজন্মের। একজন লিখেছেন, “খড়িকে ছাড়া গাঁটছড়া দেখবই না”। আবার কেউ কেউ ডাক দিয়েছে ধারাবাহিকটি বয়কটের। প্রশ্ন হল, এর ফলে প্রভাব কি পড়বে টিআরপিতে? বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই একদা টপার ওই ধারাবাহিকের টিআরপি বেশ কম। গত সপ্তাহে ওই ধারাবাহিক পেয়েছিল মাত্র ৫.৩। যদিও তার আগের সপ্তাহের থেকে নম্বর বেড়েছিল খানিকটা। কেন খড়ির ট্র্যাক পড়িমরি করে শেষ করতে হল পরিচালককে? কারণ সোলাঙ্কি নিজেই। তিনি নিজেই ধারাবাহিকটি ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন? সে ব্যাখ্যাও নিজেই দিয়েছিলেন। টিভিনাইন বাংলাকে শোলাঙ্কি বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে ভুগছিলাম, কমছিল শরীরের ওজনও। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশ্রামের। তবে মেগা করে কতদিনই বা আর ছুটি নেওয়া যায়? অভিনেত্রী হিসেবেই বিবেক লাগে। চ্যানেলকে জানিয়েছিলাম। বিন্দুমাত্র আপত্তি জানাননি কেউ। সকলেই করেছিলেন সহযোগিতা। তবে একটা ট্র্যাক তো মেনে চলতে হয় সবাইকে। তাই জন্য কয়েকদিন সময় লেগে গেল। এখন আমি কয়েকদিনের জন্য বিশ্রামে থাকতে চাই। শরীরের যত্ন নিতে চাই। তবে সেটা দু-তিন মাসের বেশি নয়। অভিনয় ছাড়া আমার পক্ষে থাকা এক কথায় অসম্ভব। তাই শীঘ্রই ফিরছি। আপাতত শরীরের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন।”


তিনি যে গাঁটছড়া ছাড়ছেন ইদের দিনেই তা ঘোষণা করেছিলেন শোলাঙ্কি। লিখেছিলেন ‘জীবনে কিছুই চিরস্থায়ী নয়, একমাত্র পরিবর্তন ছাড়া। এক বছরেরও বেশি সময়ের সফর শেষ হল! স্বপ্নের মতো লাগছে, একইসঙ্গে খারাপও লাগছে আবার আমি আনন্দিতও। এই সফরে কিছু দারুণ মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে– কেউ পরিবার হয়ে ওঠেছে, কেউ বন্ধু। কেউ ছেড়ে গেছে আবার কেউ রয়ে গেছে। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত একটা সফর। এবার এগিয়ে যাওয়ার সময়।’ এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়া আক্ষরিক অর্থেই তোলপাড় হয়। যে ঝড় উঠেছিল, তা এখন চলছে। সবার একটাই দাবি, ‘খড়ি যেন ফিরে আসে’।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পথে নামেন শাসকদলের কর্মী, সমর্থকরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ভাঙড়ের সব শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি যেমন এদিন চোখে পড়ে, ছিলেন তাঁদের অনুগামীরাও।

Bhangar TMC: হাতে হাত রেখে শান্তি মিছিলে আরাবুল-শওকত-কাইজাররা, পঞ্চায়েতে দেখিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জভাঙড়ের মিছিলে আরাবুল, শওকত, কাইজাররা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে ভাঙড়ে (Bhangar) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মূল মাথা ব্যথা ছিল, সে ছবিতে ইদানিং বেশ বদল এসেছে। অন্তত বাইরে থেকে দেখে তেমনটাই বলতে হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলকে। ভবানীপুরে বৈঠক করে শওকত মোল্লাকে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এর পর থেকেই আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদদের সঙ্গে নিয়ে লাগাতার মিটিং, মিছিল করছেন শওকত। আরাবুলকেও বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমাদের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি ভাঙড়ে।” রবিবার সকলে মিলে ভাঙড়ে এক বিরাট মিছিল করেন। সেখানে হাতে হাত রেখে পথ এগোতে দেখা যায় আরাবুল-শওকত-কাইজারদের।


পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা এখনও না বাজলেও অভিযোগ, আইএসএফ ও শাসকদলের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া, অশান্তি, মারামারি বাড়ছে ভাঙড়ে। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙড়ের পরিবেশ। তাই শান্তির বার্তা দিতে এদিন তৃণমূল মিছিল করে ভাঙড়ে। চারমাস পর এদিন হাতিশালাতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে বড় সভা ও মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ হাতিশালা থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত পদযাত্রায় সামিল হন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পথে নামেন শাসকদলের কর্মী, সমর্থকরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ভাঙড়ের সব শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি যেমন এদিন চোখে পড়ে, ছিলেন তাঁদের অনুগামীরাও। এদিন জাগুলগাছিতে আইএসএফের সভা থাকলেও সেই সভা হয়নি শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তৃণমূলের মিছিলে সামিল হন কয়েক হাজার মানুষ। আইএসএফের সভা না হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন শওকত মোল্লা। শওকত বলেন, “ওদের সঙ্গে কোনও লোক নেই। তাই সভা করব বলেও করতে পারে না। ভাঙড়ের মানুষ কাদের সঙ্গে আছে তা আজকের পদযাত্রা থেকেই পরিষ্কার। এত সংখ্যক মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে শান্তির জন্য হাঁটবেন এটা ভাবিনি।”




 হাওড়া স্টেশন চত্বরে ওৎ পেতে ছিল এসটিএফ, জঙ্গি-যোগ সন্দেহে ধৃত দিনহাটার বাসিন্দা




সন্দেহজনক কার্যকলাপের অভিযোগ থাকাতেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল এসটিএফ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ওপর ভিত্তি করেই শনিবার ওই ব্যক্তিকে ধরতে হাওড়া স্টেশন চত্বরে যায় এসটিএফ।

STF arrest: হাওড়া স্টেশন চত্বরে ওৎ পেতে ছিল এসটিএফ, জঙ্গি-যোগ সন্দেহে ধৃত দিনহাটার বাসিন্দাধৃত যুবক
হাওড়া: জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যোগ থাকতে পারে, এই সন্দেহেই শনিবার সাত সকালে হাওড়া স্টেশন এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। ধৃত ব্যক্তির নাম নান্নু মিঁয়া। তিনি কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের অগস্ট মাসে শাসন থানায় একটি এফআইআর হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই মামলার তদন্ত চলাকালীন বেঙ্গল এসটিএফের হাতে উঠে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


সন্দেহজনক কার্যকলাপের অভিযোগ থাকাতেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল এসটিএফ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ওপর ভিত্তি করেই শনিবার ওই ব্যক্তিকে ধরতে হাওড়া স্টেশন চত্বরে যায় এসটিএফ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইউএপিঅ্যক্ট-এর বিভিন্ন ধারা ছাড়াও ভারতীয় ফৌজদারি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

এপ্রিল মাসেই আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলি থেকে। হুগলির দাদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় নাসিমউদ্দিন শেখ নামে এক যুবককে, যিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হুগলিতে তাঁর মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।


উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই হুগলি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গি সন্দেহে ওই যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবক আল কায়দার সক্রিয় সদস্য। জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যও পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এবার হাওড়া থেকেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হল।

টানা দশ দিন এই ট্রেনগুলি বাতিল থাকার ফলে সংশ্লিষ্ট রুটগুলির বাকি ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে আর একইসঙ্গে যাত্রীদেরও নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা। সম্ভব্য অসুবিধাগুলি এড়িয়ে চলার জন্য একনজরে দেখে নিন, কোন লাইনে কোন কোন ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Local Train Cancelled: মাসের শুরুতেই টানা ১০ দিন বাতিল একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন, আবার যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কাপ্রতীকী ছবি
হাওড়া: মাসের শুরুতেই ফের যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা। মে মাসের শুরুতেই হাওড়া ডিভিশনে (Howrah Division) বাতিল থাকবে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন (Local Trains Cancelled)। ১ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত টানা দশ দিন বাতিল থাকবে ওই ট্রেনগুলি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে ওই সময়ে লিলুয়া – বর্ধমান (Liluah – Bardhaman) শাখায় ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লকের কাজ চলবে। সেই কারণে ওই ট্রেনগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টানা দশ দিন এই ট্রেনগুলি বাতিল থাকার ফলে সংশ্লিষ্ট রুটগুলির বাকি ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে আর একইসঙ্গে যাত্রীদেরও নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা। সেই কারণে এই সম্ভব্য অসুবিধাগুলি এড়িয়ে চলার জন্য একনজরে দেখে নিন, কোন লাইনে কোন কোন ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মাসের শুরুতেই ১০ দিন বাতিল থাকবে যে ট্রেনগুলি
হাওড়া থেকে যে ট্রেনগুলি বাতিল থাকছে – ৩৭৬১১, ৩৭৮১৫, ৩৭৩৪৩, ৩৬০৭১, ৩৭০১১, ৩৬৮২৫
পাণ্ডুয়া থেকে বাতিল ট্রেন – ৩৭৬১৪
বর্ধমান থেকে যে ট্রেনগুলি বাতিল থাকছে – ৩৭৮৩৪, ৩৭৮৪০
তারকেশ্বর থেকে বাতিল ট্রেন – ৩৭৩৫৪
গুড়াপ থেকে বাতিল ট্রেন – ৩৬০৭২
শ্রীরামপুর থেকে বাতিল ট্রেন – ৩৭০১২
উল্লেখ্য, হাওড়া স্টেশন হল একটি অতি ব্যস্ত রেল স্টেশন। প্রতিদিন আশপাশের জেলাগুলি থেকে প্রচুর মানুষ লোকাল ট্রেনে করে হাওড়ায় আসেন অফিসে যাওয়ার জন্য কিংবা কোনও ব্যবসায়িক কাজে। মাসের শুরুতে টানা ১০ দিন একাধিক ট্রেন বাতিল থাকার ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে নিত্যযাত্রীদের। তাই এই সময়ের মধ্যে যদি আপনার কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে এই ট্রেনের টাইমিংগুলির দিকে অবশ্যই নজর রাখুন। অকারণে যাত্রায় দেরি এড়াতে সংশ্লিষ্ট রুটে আগের কোনও ট্রেন ধরে নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও রেলের তরফে ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লকের কাজের জন্য বেশ কিছু রুটে ট্রেন আংশিকভাবে বাতিল করতে হয়েছে। এবার মাসের শুরুতে হাওড়া ডিভিশনে আবারও বাতিল থাকছে একাধিক ট্রেন।

অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে দেরি হওয়ায় বিমান ধরতে পারেননি তিনি। তাঁর ছেলে উমাকান্ত রায় জানান, তাঁর বাবা বিমান ধরতে পৌঁছতে পারেননি।

Mangalakanta Roy: অভিষেকের 'নবজোয়ারে' এসে ফ্লাইট মিস, 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে যেতে মঙ্গলাকান্তকে টিকিট কেটে দিল তৃণমূলমঙ্গলকান্ত রায়
জলপাইগুড়ি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত শিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়ের। রবিবার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো শনিবারই বিমানে ওঠার কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল সেই পরিকল্পনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা হল না বিমান। এবার উপায়? শেষ পর্যন্ত কলকাতা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিল তৃণমূলই। বিমানের টিকিট কেটে দেওয়া হবে বলে জানাল তৃণমূলই।


রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কথা প্রবীণ সারিঞ্জা বাদক মঙ্গলাকান্ত রায়ের। এদিনই ময়নাগুড়ির জটিলেশ্বর মন্দির থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক। সেই মন্দিরেই তৃণমূল নিয়ে যায় মঙ্গলাকান্তকে। অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে দেরি হওয়ায় বিমান ধরতে পারেননি তিনি। তাঁর ছেলে উমাকান্ত রায় জানান, তাঁর বাবা বিমান ধরতে পৌঁছতে পারেননি। পরিবারের তরফেই ট্রেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ত্রাতা হিসেবে এগিয়ে আসে তৃণমূল।

খগেশ্বর রায় জানান, তিনি জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন টিকিট কাটার ব্যবস্থা করতে। তৃণমূল নেতা জানান, মঙ্গলাকান্ত কলকাতা যাওয়া বাতিল হওয়ার কথা জানাতেই তিনি টিকিট কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যত টাকা লাগুক বিমানের টিকিট কাটা হবে বলেই জানিয়েছেন এদিন।

গত বছরেই পদ্মশ্রী সম্মান পান প্রবীণ সারিঞ্জা বাদক মঙ্গলাকান্ত রায়। তবে তাঁর ঘর বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। এ নিয়ে আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর্থিক অবস্থাও ভল নয়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে সে সব অভিযোগের কথা জানান তিনি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, আগামিদিনেও হবেন। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'বিচারকদের কাজই ন্যয়বিচার দেওয়া।'

Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ-মামলার বেঞ্চ বদলে কী প্রভাব পড়বে? কী বলছেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি?
কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা সরানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। অনেকেই বলছেন, নিয়োগ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হতে পারে অনিশ্চয়তা। হতাশ হয়ে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজে বলেছেন, তিনি যে কাজ ৬ মাসে করতেন, সেই কাজ করতে ৬০ বছরও লেগে যেতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, বেঞ্চ বদলে কি সত্যিই ধাক্কা খেতে পারে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত? তেমনটা মনে করছেন না কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। তাঁর মতে, সব বিচারপতিই সমান। ফলে মামলায় প্রভাব পড়ার কোনও প্রশ্ন থাকছে না।


কেন এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের?
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের কর্মপদ্ধতির দুটো ভাগ রয়েছে। বিচারবিভাগ ও প্রশাসনিক দিক। বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে যদি কোনও আবেদন সুপ্রিম কোর্টে যায়, তাতে হাইকোর্টের নির্দেশকেও পাল্টে দিতে পারে শীর্ষ আদালত।’ এ ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের বিষয়টিতেই সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে বিচারাধীন মামলা নিয়ে যদি বিচারপতি বাইরে কোনও পর্যবেক্ষণ দেন, তাতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট হয়ত এমন কোনও প্রসঙ্গই পেয়েছেন, যার জন্য মামলা সরানো হয়েছে।’ এতে রাজনীতির প্রভাব নেই বলেই মনে করছেন তিনি।


কী প্রভাব পড়বে?
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, ‘আইনের মূল কথাই হল ধর্ম বা বিচার। প্রত্যেক বিচারপতি সেটা মাথায় রেখেই বিচার করেন। কোন বিচারপতি মামলা শুনলেন, এটা নিয়ে কোনও ভাবনা চিন্তার জায়গা নেই। সব বিচারপতিই সমান। বিচারের পদ্ধতি আলাদা। তাই চাকরিপ্রার্থীরা আশ্বস্ত হতে পারেন।’

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, আগামিদিনেও হবেন। এই প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারকদের কাজই ন্যয়বিচার দেওয়া। এটা দুর্নীতির বিপরীত শব্দ। প্রত্যেক বিচারপতিই সেটা মাথায় রেখে ন্যয়বিচার করে থাকেন।’

উল্লেখ্য, টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের অনুবাদ এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঠানো নোট খতিয়ে দেখেই শুক্রবারই মামলা সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসীমার বেঞ্চ।

দিল্লিতে বিশেষ কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এতদিন পর রাজধানী থেকে ফিরলেন তিনি। সেই বিশেষ কাজ কি মিটল রায়সাহেবের? বিজেপির কারও সঙ্গে কি দেখা হল তাঁর? সেই সব নিয়ে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।

Mukul Roy: দিল্লিতে কী করলেন, কার সঙ্গে কথা হল, ১২ দিন পর শহরে ফিরে সব জানালেন মুকুলমুকুল রায়
কলকাতা: হঠাৎ করে দিল্লিযাত্রার পর আজ কলকাতায় ফিরেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। বাড়ির কাউকে না জানিয়ে দিল্লি চলে যাওয়ার পর, মুকুল দাবি করেছিলেন তিনি কোনওদিন তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দেননি। তিনি বিজেপিতেই (BJP) রয়েছেন। দিল্লিতে বিশেষ কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এতদিন পর রাজধানী থেকে ফিরলেন তিনি। সেই বিশেষ কাজ কি মিটল রায়সাহেবের? বিজেপির কারও সঙ্গে কি দেখা হল তাঁর? সেই সব নিয়ে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। আর এরই মধ্যে দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুকুল। দিল্লিতে গিয়ে কার সঙ্গে দেখা হল তাঁর? প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘সবার সঙ্গেই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।’ কার সঙ্গে দেখা হয়েছে? বিজেপি নেতৃত্বের কারও সঙ্গে? উত্তর এল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তো বিজেপির সঙ্গেই আছি।’


রায়সাহেবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না। সেই প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় অবশ্য বলেন, ‘কারও সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। তবে সবার সঙ্গেই কথাবার্তা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, অতীতে যখন মুকুলবাবু সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তখন প্রায়শই দিল্লিতে ছুটতে হত তাঁকে। কিন্তু এখন সক্রিয় রাজনীতির পরিসর থেকে কিছুটা দূরে তিনি। আর এরই মধ্যে হঠাৎ দিল্লিযাত্রা। তাহলে কি আগামীতে তিনি আবার দিল্লি যাবেন? প্রশ্ন করা হলে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘দরকার হলেই যাব। যে কোনও দিন যাব।’ দিল্লিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁকে মাঝে সেভাবে রাজনীতির প্রাঙ্গণে দেখা যেত না। তবে আগামীতে দল (বিজেপি) তাঁকে যদি কোনও দায়িত্ব দেয়, সেই দায়িত্ব তিনি পালন করবেন, এমন কথাও বলেছিলেন তিনি। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে আসার পর মুকুলবাবুর দাবি, তিনি এখন শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ।

অভিষেকের মতো একজন জননেতা তাঁদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সারবেন এই ভেবেই আপ্লুত রাউত বাড়ির সদস্যা রুমা রাউত। গত কয়েক দিন ধরে গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তাই দুপুরে হাল্কা মেনু যা নিজের মতো করে সাজিয়েছেন তিনি।

Abhishek Banerjee: বোরোলি মাছের পাতলা ঝোল দিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মাটিতে বসেই মধ্যাহ্নভোজ সারলেন অভিষেকগৃহস্থের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ অভিষেকের (নিজস্ব চিত্র)
জলপাইগুড়ি: সকাল থেকেই চলছিল ব্যস্ততা। শনিবার তাঁদের বাড়িতেই দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই ব্যস্ততার শেষ ছিল না ময়নাগুড়ির দোমোহনির রাউত বাড়িতে। এ দিন, ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি হসপিটাল মাঠের জনসভা সেরে দুপুরে দোমোহনি চলে আসেন অভিষেক। দোমোহনি হাটের পাশে পুরান বাজারের রাউত বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন তিনি।


অভিষেকের মতো একজন জননেতা তাঁদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সারবেন এই ভেবেই আপ্লুত রাউত বাড়ির সদস্যা রুমা রাউত। গত কয়েক দিন ধরে গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তাই দুপুরে হাল্কা মেনু যা নিজের মতো করে সাজিয়েছেন তিনি।

রুমা দেবীর বাড়ির পাশ থেকে বয়ে গিয়েছে তিস্তা নদী। সেই নদী থেকে আনানো হয়েছিল তাজা বোরলি মাছ। মাটির থালার উপর কলাপাতা পেতে খেতে দেওয়া হয়েছিল অভিষেককে। মেনুতে ছিল ভাত,ডাল,বেগুন ভাজা,আলু ভাজা,আলু দিয়ে পাতলা করে আড় মাছের ঝোল,সঙ্গে ছিল কালোজিরে ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে বোরলি মাছের পাতলা ঝোল। এর সঙ্গে ছিল চাটনি,দই,মিষ্টি। এ দিন দুপুরে রাউত পরিবারের সঙ্গে পাত পেড়ে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


রুমা রাউত বলেন, “এখন গরম পড়েছে তাই হাল্কা রান্নাই করা হয়েছএ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। ওনাকে মাটির থালা, বাটি, গ্লাসে খেতে দেওয়া হবে।”

বস্তুত, গত ১২ জুলাই দোমোহনির এই রাস্তা দিয়ে ধূপগুড়ি র জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। ঠিক সেই সময় হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন তিনি। কথা বলেছিলেন এলাকার হাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তাঁদের মুখ থেকে দীর্ঘক্ষণ সমস্যার কথা শোনেন। এরপর জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে দুমাসের মধ্যে হাট সংস্কারের নির্দেশ 

ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তির নাম জোনাথন। ৪১ বছরের জোনাথন ৫০০-র বেশি জন বাচ্চার বাবা হয়েছেন স্পার্ম ডোনেট করে। কিন্তু নেদালল্যান্ডসের আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি এক সঙ্গে এত জনের বাবা হতে পারেন না। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এই কাজ করে গিয়েছেন জোনাথন।

Sperm Donate: বাস্তবের 'ভিকি ডোনার', ৫৫০ সন্তানের পিতার স্পার্ম ডোনেট বন্ধ করতে আসরে আদালতপ্রতীকী ছবি
নয়াদিল্লি: নিজেদের চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে না পারলে অনেক দম্পতিই স্পার্ম ডোনারের সাহায্য নিয়ে থাকেন। বর্তমানে স্পার্ম ডোনেশনের কাজ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু এই স্পার্ম ডোনেট করার কিছু নিয়ম রয়েছে সব দেশেই। স্পার্ম ডোনারকেও মেনে চলতে হয় বেশ কিছু শর্ত। কিন্তু সম্প্রতি এক স্পার্ম ডোনারকে স্পার্ম ডোনেশন থেকে রুখতে আসরে নামতে হল আদালত। বড় অঙ্কের জরিমানার ভয় দেখিয়ে এক ব্যক্তি স্পার্ম ডোনেশন থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে স্পার্ম ডোনেট করেছেন। সেই অর্থে তিনি ৫০০-র বেশি সন্তানের বাবা ইতিমধ্যেই হয়েছেন। ওই ব্যক্তি নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা। আর এই ঘটনা সামনে আসতে অনেকেই মিল খুঁজে পাচ্ছেন জনপ্রিয় বলিউড ছবি ‘ভিকি ডোনার’-এর সঙ্গে।


ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তির নাম জোনাথন। ৪১ বছরের জোনাথন ৫০০-র বেশি জন বাচ্চার বাবা হয়েছেন স্পার্ম ডোনেট করে। কিন্তু নেদালল্যান্ডসের আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি এক সঙ্গে এত জনের বাবা হতে পারেন না। কোনও ব্যক্তি স্পার্ম ডোনেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫ জন বাচ্চার বাবা হতে পারেন। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এই কাজ করে গিয়েছেন জোনাথন। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালেই ১০০-র বেশি বাচ্চার বাবা হয়েছিলেন জোনাথন। তখনই আদালত তাঁকে স্পার্ম ডোনেট থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। কিন্তু তিনি থামেননি। বিদেশে এবং অনলাইনের মাধ্যমে স্পার্ম ডোনেশন চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০০৭ সাল থেকে স্পার্ম ডোনেশন শুরু করেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৫০-৬০০ বাচ্চা জন্মেছে তাঁর দেওয়া স্পার্মে।


সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের আদালত। স্পার্ম ডোনেট বন্ধ না করলে জোনাথনকে বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। পাশাপাশি আদালত ক্লিনিক গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, জোনাথনের স্পার্ম সঞ্চিত থাকলে তা যেন অবিলম্বে নষ্ট করে ফেলা হয়। ভবিষ্যতে জোনাথনের স্পার্ম ব্যবহার না করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

এরপরই তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিতে দেখা যায়। চরম ট্রোল্ড হতে শুরু করেন তিনি। কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে।

Twitter Controversy: 'ফোন নিয়ে স্বর্গে গিয়েছেন সুশান্ত?' ব্লু-টিক বিতর্কে সাফাই টুইটর ইন্ডিয়ার প্রাক্তনের
টাকা না দিলে ভেরিফায়েড হবে না অ্যাকাউন্ট। টুইটারে অ্যাকাউন্টের পাশে নীল টিক দেখা যাবে না আর। গত বছর টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পরই ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, এবার থেকে টুইটারে আক্যাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য় মাসিক একটি ফি বা চার্জ দিতে হবে। যদি কোনও টুইটার ব্যবহারকারী সেই সাবস্ক্রিপশন ফি না দেন, তবে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ভেরিফিকেশন ব্লু টিক তুলে নেওয়া হবে। শেষ সপ্তাহ থেকে সেই প্রক্রিয়াই শুরু করল টুইটার। মাইক্রো ব্লগিং সংস্থার তরফে ভেরিফায়েড সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হল ব্লু-টিক। বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী , সকলের টুইটার প্রোফাইলেই আর ব্লু টিক দেখা যাচ্ছিল না।


এরপর সাবস্ক্রিপশন বা ভেরিফাই করার পর একে একে ব্লুটিক ফিরে পান অনেকেই। তালিকায় ছিলেন দুই প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সং রাজপুত ও সিদ্ধার্থ শুক্লা। টুইটারে ব্লু-টিক ফিরেছে তাঁদের। এরপরই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন টুইটর ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান মণিশ মাহেশ্বরী। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “এলন মাস্ক কীভাবে সুশান্তের টুইটার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করলেন? হয় উনি মিথ্যা বলছেন, না হয় মৃত্যুর পর মানুষ ফোনটাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়?”



Sandipta Sen: প্রেমিকের চোখ দেখেই সব ধরে ফেলেন, কেমন চলছে সন্দীপ্তার প্রেম?
এরপরই তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিতে দেখা যায়। চরম ট্রোল্ড হতে শুরু করেন তিনি। কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে। রীতিমত তাঁর ওপর মেজাজ হারিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতার ভক্তরা। এবার তিনি নিজেই সরব হলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে তিনি লেখেন, “সুশান্তকে খুবই শ্রদ্ধা করি। ওঁর অভিনয় ভাল লাগে। ধোনি-তে সুশান্তের অভিনয় আমায় মুগ্ধ করেছিল।” যদিও তাতে খুব একটা চিরে ভিজল না। রীতিমত তুলোধনা চলতেই থাকল নেটদুনিয়ায়।

রবীন্দ্রন কান্নুরের একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। এর পর একটি শিপিং সংস্থায় চাকরি পান। ২০০৩ সালে ছুটির সময় তিনি এক বন্ধুকে ক্যাট পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছিলেন। এর পর নিজেই বসেন ক্যাট পরীক্ষায়। এবং ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর করেন।

BYJU'S CEO: চাকরি ছেড়ে ছাত্র পড়ানোয় মন, বাইজু দিয়ে দেশ চিনল রবীন্দ্রনকেবাইজু রবীন্দ্রন
বেঙ্গালুরু: বৈদেশিক লেনদেনে গরমিলের অভিযোগে বাইজুর অফিসে শনিবার তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাইজুর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বাইজু রবীন্দ্রন তৈরি করেছেন এই সংস্থা। শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ভারতের অন্যতম সফল স্টার্ট আপ সংস্থা। প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করতেন রবীন্দ্রন। শিক্ষক থেকে সফল ব্যবসায়ী কী ভাবে হয়ে উঠলেন তিনি।


বাইজু রবীন্দ্রন

কেরলের ছোট্ট গ্রাম আঝিকোড়ে জন্ম রবীন্দ্রনের। তাঁর পরিবারের অধিকাংশ জনই ছিলেন শিক্ষক। রবীন্দ্রন কান্নুরের একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। এর পর একটি শিপিং সংস্থায় চাকরি পান। ২০০৩ সালে ছুটির সময় তিনি এক বন্ধুকে ক্যাট পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছিলেন। এর পর নিজেই বসেন ক্যাট পরীক্ষায়। এবং ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর করেন। এর পরবর্তী ২ বছর তিনি বিভিন্ন জনকে ক্যাট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছিলেন। তখনই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। এবং ২০০৭ সালে বাইজুস ক্লাসেস নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন। সেখানেই পড়াতেন তিনি। সেই ক্লাসেই রবীন্দ্রনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর স্ত্রী বিদ্যা গোকুলনাথের। এর পর ২০১১ সালে বাইজুস (BYJU’S) তৈরি করেন তাঁরা। রবীন্দ্রন গড়েন থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন সংস্থা। সেই সংস্থার অধীনেই ২০১৫ সালে বাইজুস অ্যাপ তৈরি হয়। এর পর থেকে চড়চড় করে বাড়তে থাকে বাইজুর ব্যবসা।


বাইজু অ্যাপ

তৈরির কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের অন্যতম সেরা এডুকেশন অ্যাপে পরিণত হয় বাইজু। বার্ষিক সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৬৫ লক্ষেরও বেশি। কমবয়সী পড়ুয়াদের আধুনিক ভঙ্গিতে পড়াশোনা করায় এই অ্যাপ। বর্তমানে এই এডুটেক সংস্থায় আড়াই হাজারেরও বেশি উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক রয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, সিলেবাস তৈরির মতো কাজ করে চলেছেন।

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ , কুন্তল ঘোষের চাপ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা সরানো হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে।

Justice Abhijit Ganguly: 'আজ তো আমার মৃত্যুদিন', বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবারই নির্দেশ দিয়েছে চাপ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর যে মামলা, তা এবার থেকে হাইকোর্টের অন্য বিচারপতি শুনবেন। শুনবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের এই নির্দেশ সামনে আসতেই নানা মহল থেকে নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। এই নির্দেশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে প্রতিক্রিয়া দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও। বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার আমাদের মেনে নিতে হবে।” একইসঙ্গে বলেন, সুপ্রিম-অর্ডারে মন খারাপ নয় তাঁর। সোমবার থেকে আবারও একই মেজাজে এজলাসে তাঁকে পাওয়া যাবে, সে কথাও জানান। জানিয়ে দেন, “পদত্যাগ আমি করছি না।” শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রতিটি প্রশ্নের একে একে উত্তর দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক সাংবাদিকের কথা শুনে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আজকে কী? আজকে তো আমার মৃত্যুদিন।” যদিও এরপর একটু হেসেও ফেলেন বিচারপতি।


শুক্রবার সন্ধ্যার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আপলোড করা হয় ওয়েবসাইটে। তারপরই স্পষ্ট হয় মূলত কোন মামলা থেকে সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। চাপ দিয়ে কুন্তল ঘোষকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম বলানোর চেষ্টা সংক্রান্ত একটি মামলা হয়।

সেই মামলাতেই এজলাস বদলের নির্দেশ দেন দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, নিয়োগ সংক্রান্ত বাকি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির উপর।



ম্যাচের পর দুই দলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফরা করমর্দন করে থাকেন। এমনটাই হয়ে আসছে। কিন্তু চিন্নাস্বামীর মাঠে আরসিবিকে হারানোর পর বিরাট কোহলির সঙ্গে হাত মেলালেন না রিঙ্কু সিং।

Rinku Singh Virat Kohli: সৌরভের অপমানের বদলা! বিরাটের সঙ্গে হাত মেলালেন না রিঙ্কু সিং
Image Credit Source: Twitter
কলকাতা: চলতি আইপিএলে (IPL 2023) হ্যান্ডশেক করা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট জগত। যার একদিকে বিরাট কোহলি, অন্যদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভকে সামনে দেখেও না দেখার ভান করেন বিরাট। সৌরভও সুকৌশলে কোহলিকে (Virat Kohli) এড়িয়ে যান। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর হইচইয়ের শেষ ছিল না। কোহলি ও সৌরভ উভয়ই একে অপরকে ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করে দেন। এ বার অন্য এক ক্রিকেটার ম্যাচের পর বিরাটের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে গেলেন। তিনি হলেন পাঁচ ছক্কার নায়ক রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। বুধবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ঘরের মাঠে ম্যাচ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। আরসিবিকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে কেকেআর। ম্যাচের পর বেঙ্গালুরুর স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে গেলেন রিঙ্কু। কিন্তু কেন? বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।


লাগাতার চার হারের পর জয়ে ফিরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত বুধবারের ম্যাচে ২৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জেসন রয়। নীতীশ রানা ২১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। ম্যাচটি কেকেআর জিতে নিয়েছে ২১ রানে। কেকেআরের হয়ে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই অবদান রাখছেন রিঙ্কু সিং। আরসিবির বিরুদ্ধে ১০ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কার হাঁকানো রিঙ্কুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বিরাট বলেছিলেন, “যেভাবে তরুণ ক্রিকেটাররা পারফর্ম করছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। বর্তমানে আইপিএলে তরুণরা যেভাবে খেলছে, আমি সেটা ভাবতেও পারব না। সেদিন রিঙ্কু সিং পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছে। এটা কোন লেভেলের খেলা? প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। তরুণ ব্যাটারদের এমন খেলা দেখতে বেশ ভালই লাগে।” আর রিঙ্কু বিরাট মুগ্ধতা প্রকাশ করতে কসুর করেন না।

বুধবারের ম্যাচের পর রিঙ্কু সিং ও বিরাট কোহলির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বিরাটের কাছাকাছি আসতেই রিঙ্কু সিং হাত না মিলিয়ে ঝুঁকে গেলেন পায়ের দিকে। বিরাটের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। বিরাট কিছুটা অবাক হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি।



প্রায় নয় ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর, সিবিআই-এর খপ্পর থেকে মুক্ত হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। 

দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় এদিন তাঁকে একজন সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট মদ বিক্রেতা লবিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এই নীতি তৈরি করা হয়েছিল এবং এই নীতির প্রণয়নে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ৯ ঘণ্টাতেই মুক্তি পেলেন কেজরীবাল। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গত মাসেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া। তিনিই ছিলেন আবগারি বিভাগের দায়িত্বে।


Delhi CM Arvind Kejriwal arrives at his residence from CBI office after nine hours of questioning in the liquor policy case. pic.twitter.com/Y8Plv570IQ


— ANI (@ANI) April 16, 2023

সিবিআই-এর সদর দফতর থেকে নিজ বাসভবনে পৌঁছে কেজরীবাল বলেন, “সিবিআই আমাকে মোট ৫৬টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে। সবকিছুই ভুয়ো। মামলাটিই ভুয়ো। আমি নিশ্চিত যে ওদের (সিবিআই) কাছে আমাদের বিরুদ্ধে কিছুই নেই, এক টুকরো প্রমাণও নেই।” “সিবিআই আমাকে, যে বছর থেকে আবগারি নীতি কার্যকর হয়েছিল,সেই ২০২০ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সবকিছু জিজ্ঞাসা করেছে। এই মদ নীতির মামলাটি মিথ্যা, বানানো। সততা আমাদের আদর্শ। আমরা মরতে রাজি আছি, কিন্তু কখনও সততার সঙ্গে আপস করব না। ওরা এসব করছে, আমাদের ভাল কাজ, উন্নয়নের কাজকে বদনাম করার জন্য। এখন, আমরা একটি জাতীয় দল। তাই ওরা আমাদের শেষ করার জন্য এটা করছে।” কেজরীবাল জানিয়েছেন, সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সোমবার দিল্লি বিধানসভায় আরও বিশদে জানাবেন।



বিজেপি বিধায়ক আরও মনে করিয়ে দেন, শুধু মাত্র বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় নন, অন্যান্য বিচারপতিরাও তথ্য ও নথির ওপর ভিত্তি করে একই রায় বহাল রেখেছেন।

Suvendu Adhikari on Justice Ganguly: 'বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় তো নিজে ইচ্ছে করে মামলা নেননি', সুপ্রিম নির্দেশের পর বললেন শুভেন্দুসুপ্রিম নির্দেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু
কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবেন না। যাঁর দেওয়া বেশ কিছু রায় সাম্প্রতিককালে সাড়া ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে, তাঁকে মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন বহু আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থী। এবার আশাহত হওয়ার কথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ, যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আশা দেখেছিলেন, তাঁরা আশাহত হয়েছেন। তবে শুভেন্দুর দাবি, বিচারপতিকে সরানো হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।


বাঁকুড়ায় এক সভায় যোগ দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তা জানি। তবে সাধারণ মানুষ যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আশা দেখেছিলেন, তাঁরা আশাহত হয়েছেন। সমস্ত রায় আপলোড হতে দিন। তারপর বিচার বিশ্লেষণ হবে। এতে তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক, এটা কেউই চাইবেন না।’

শুভেন্দু আরও উল্লেখ করেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় নিজে ইচ্ছে করে মামলা নেননি। তাঁকে এই মামলাগুলি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক আরও মনে করিয়ে দেন, শুধু মাত্র বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় নন, অন্যান্য বিচারপতিরাও তথ্য ও নথির ওপর ভিত্তি করে একই রায় বহাল রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিজিৎ বাবুর দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু একই রায় বহাল রেখেছে। মানিক ভট্টাচার্যের আবেদনের ক্ষেত্রেও তো তাই হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস আছে বিচার ব্যবস্থার ওপর। বিচার ব্যবস্থা আগামীতে ঠিকই রায় দেবে।’
বেসরকারি সবক'টি গণপরিবহণ সংগঠনের জয়েন্ট ফোরামের সঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী শুক্রবার বৈঠক করেন। মূলত বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে এই বৈঠক হয়।

Bus Fare: বেসরকারি বাস ভাড়া বাড়ছে না, ঘোষণা পরিবহণমন্ত্রীর, ভাবনায় রাজ্যের অ্যাপ-ক্যাব পরিষেবাবেসরকারি বাস।
কলকাতা: বাস ভাড়া বাড়ানো হবে না, জানিয়ে দিল রাজ্য। ২০১৮ সালের ভাড়া নিয়েই বাস চালাতে হবে মালিকদের। একইসঙ্গে বাসে ভাড়ার তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। যদিও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। রাজ্যকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছেন তাঁরা। সাধারণ বাসে ৫০.৭৪ শতাংশ এবং মিনিবাসে ৪৪ শতাংশ ভাড়া না বাড়ালে তিন সপ্তাহ পর রাস্তা থেকে বাস তুলে নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। একইসঙ্গে নিজস্ব অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য।


বেসরকারি সবক’টি গণপরিবহণ সংগঠনের জয়েন্ট ফোরামের সঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী শুক্রবার বৈঠক করেন। মূলত বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে এই বৈঠক হয়। যদিও রাজ্য পরিবহন দফতরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ২০১৮ সালের ভাড়া আপাতত চালিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশিকা আদালত দিয়েছে, সেই নির্দেশিকা মেনেই সাধারণ বাসে ন্যূনতম ৭ টাকা এবং মিনিবাসে ন্যূনতম 8 টাকা হারে ভাড়া নিয়ে বাস চালাতে হবে।


মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে দেখতে পান কোন রুটে বাসভাড়া কত, তার জন্য বাসে রেটচার্ট ঝোলাতে হবে। কোর্টের যা নির্দেশ সেই মতো ২০১৮ সালের রেট চার্ট মেনেই আমরা নোটিফিকেশন করেছি।” এদিন অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা নিয়েও বলেন মন্ত্রী। ৩০ হাজার থেকে কমে গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজারে। এসি চালানো নিয়ে চালক সওয়ারি বচসা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার এর মোকাবিলায় হলুদ ট্যাক্সিকে অ্যাপ ক্যাব করে তোলার সিদ্ধান্ত রাজ্যের। পুজোর আগেই হলুদ ট্যাক্সি, ওলা উবার-সহ বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব চালিয়ে লভ্যাংশ ও মুনাফা থেকে বঞ্চিত গাড়ি এবং রাজ্যের গতিধারা প্রকল্পে লোন নিয়ে গাড়ি কিনেও যে সব মালিক বা চালক বঞ্চনার শিকার, সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে রাজ্য পরিবহণ দফতর নিজস্ব অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু করতে চলেছে।

 কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। সেই দাবি নিয়েই এদিন রাজভবনে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা।

BJP Agitation: বিজেপির রাজভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, নেতাদের আটক করল পুলিশবিজেপির মিছিল
কলকাতা : বিজেপির রাজভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কলকাতার রাজপথে। কলকাতা পুলিশ বাধা দিতেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি চলে নেতা-কর্মীদের। শুক্রবার দুপুরে রাজভবন অভিযানের কর্মসূচি ছিল বঙ্গ বিজেপির। কালিয়াগঞ্জের ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতেই রাজভবনে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় বিজেপি। সেখানে যাওয়ার পথেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় রানি রাসমণি রোডে। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি নেতারা এগোনোর চেষ্টা করলে তাঁদের আটকাতে যায় পুলিশ। এরপর বিজেপি নেতারা রাস্তায় বসে পড়েন। সেখান থেকেই বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।


অন্যদিকে, এদিন বিজেপির পরিকল্পনা ছিল, দলের সদর দফতর থেকে বেরিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে রাজভবনের দিকে যাওয়া। পরে তাঁরা আচমকা রুট বদল করেন। কলেজ স্ট্রিট থেকে সোজা ওয়েলিংটন স্কোয়ারের দিকে এগিয়ে যায় মিছিল। অন্যদিকে, এদিন ওয়েলিংটন স্কোয়ারে কংগ্রেসের একটি মিছিল ছিল। দুই দলের মিছিল মুখোমুখি হয়ে যায়। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেকে নিজের দলের পতাকা উঁচিয়ে অস্তিত্ব জানান দেয়। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগানও তুলতে থাকে। উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।



Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘রাঘব বোয়ালের পেটে লাথি পড়েছে বলেই ষড়যন্ত্র করে সরানো হল’
Image
Weather Forecast: সঙ্গে রাখতেই হবে ছাতা! কাঠফাটা রোদ নাকি ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, আজ সারাদিন কেমন থাকবে আকাশের হাল?
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ জুড়ে চলছে ১২ ঘণ্টার বনধ। গত সপ্তাহে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। সেই ঘটনার রেশ ধরেই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখায় গত কয়েকদিন ধরে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানায়। তবে সেই উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে বুধবার রাতে। এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সেই কালিয়াগঞ্জেই। এরপরই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার দিনভর অবস্থানের পর বিকেলেই জানিয়ে দেওয়া হয় শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের ৮ টি জেলায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকার নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। মামলার শুনানি চলাকালীন কীভাবে বিচারপতি তা নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিলেন তা খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

Justice Abhijit Ganguly: 'বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওনাকে ফেরাতে হবে', পথে নামার হুঁশিয়ারি চাকরি প্রার্থীদেরপ্রতিবাদে চাকরি প্রার্থীরা।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) একের পর এক নির্দেশ তাঁকে ‘মসিহা’ করে তুলেছিল চাকরি প্রার্থীদের কাছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত যা মামলা তা আর শুনবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এখনও স্পষ্ট নয় সমস্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরল নাকি অভিষেক সংক্রান্ত মামলা। কারণ, এখনও আদালতের নির্দেশের কপি হাতে আসেনি। তবে এই সব মামলার অন্যতম আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, “যতটুকু বুঝেছি তাতে শুধুমাত্র অভিষেকের মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”


দেশের প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পর কী বলছেন চাকরি প্রার্থীর? দিনের পর দিন নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় বসে চাকরি প্রার্থীরা। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগের দাবিতে ধরনায় বসেছেন তাঁরা। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সামনে আসার পরই, চাকরি প্রার্থীরা সমস্বরে দাবি তোলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে এই মামলার শুনানির বেঞ্চে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই নির্দেশের পর বহু চাকরি প্রার্থীর চোখে জল, গলা ধরে এসেছে অনেকেরই।

এক চাকরি প্রার্থীর কথায়, “আমরা খুবই হতাশ। আমরা চাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আবার তাঁর বেঞ্চে ফিরিয়ে আনা হোক। তাঁর জন্যই নিয়োগ দুর্নীতির সবটা প্রমাণ হয়েছে। তার জন্য একমাত্র। দীর্ঘদিন ধরে আমরা সুবিচারের অপেক্ষা করছি। আমরা অনেকটা লক্ষ্যে পৌঁছেও গিয়েছি। আমরা চাই ওনাকে ফিরিয়ে দিক এই মামলায়।”



Farmer Suicide: বোবা কৃষকের চাষই ছিল ধ্যান জ্ঞান, আলু-ধানে ক্ষতির মুখে পড়ে মাঠেই নিজেকে শেষ করে দিলেন
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকার নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। মামলার শুনানি চলাকালীন কীভাবে বিচারপতি তা নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিলেন তা খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপরই এদিনের নির্দেশ।

এই নির্দেশের পর ধর্মতলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “আমরা যুব সমাজ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে আছি। কাল থেকে আমরা রাস্তায় নামব। আমাদের ভগবান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই ওনাকে ষড়যন্ত্র করে সরানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের বিচার ব্যবস্থায় স্বাধীন ভারতে প্রথম কালো বিচার ব্যবস্থা আজ প্রমাণিত হল। এই দিন বেকার যুব সমাজ মনে রাখবে। তাঁকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। আমরা কোনও কথা শুনব না। রাঘব বোয়ালের পেটে লাথি পড়েছে বলে ওনাকে ষড়যন্ত্র করে সরানো হচ্ছে।”
তরমুজের মধ্যে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড যা ত্বককে খুব ভাল এক্সফোলিয়েট করে

Summer Skin Care: দাগ ছোপ- মুখে জ্বালা ঠিক পাঁচ মিনিটেই হবে ভ্যানিশ, যদি এভাবে লাগিয়ে নেন তরমুজের রসত্বকের যত্ন নিন
এই রোদ-গরমে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকের উপর। কারণ ত্বক উন্মুক্ত। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব ছাড়াও গরম-ঘামে মুখ, হাত-পা চটচটে হয়ে থাকে। ফলে নানা রকম চুলকানি, ত্বকের সমস্যা গরমের দিনে অনেক বেড়ে যায়। গরমে ঘাম বেশি হয়। এবার এই ঘেমো জামা বেশিক্ষণ পরে থাকলে সেখান থেকে ত্বকে ছত্রাকের জন্ম হয়। যে কারণে গা চুলকোনো, মুখ চুলকোনো, মুখে হঠাৎ করে লাল ছোপ দাগ হয়ে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। গরমে একাধিক বার স্নান তো হয়ই। সেই সঙ্গে জল বেশি খাওয়া, ডাবের জল খাওয়া, তরমুজ খাওয়া, নুন-চিনির জল খাওয়া এসব মানুষ করেই থাকেন। এই গরমে মুখকে কুলিং এফেক্ট দিতে আরও একটি কাজ করতে পারেন।


গরমে তরমুজ খেলে যেমন ওজন কমে তেমনই ত্বকের সমস্যা দূর করতেও খুব কার্যকরী হল এই তরমুজ। তরমুজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই তরমুজের জুস করে তাই সরাসরি লাগাতে পারেন মুখে টোনার হিসেবে। তরমুজ প্রাকৃতিক ভাবে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। সানবার্নের উপর তরমুজের রস লাগালে উপকার হয়। এছাড়াও সবথেকে ভাল যদি শসার সঙ্গে তরমুজের রস মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে।

তরমুজ তো নিশ্চয় গরমের দিনে রোজ খাচ্ছেন। এর মধ্যে তিন থেকে চার টুকরো তরমুজ রেখে দিন। এবার এই তরমুজ পিষে জুস বের করে নিন। এর মধ্যে গ্রেট করে নেওয়া শসার রস মিশিয়ে নিন। এবার তা ফ্রিজে ঠান্ডা করে তুলোয় করে মুখ্ লাগাতে পারেন। এছাড়াও আরও একটি পদ্ধতিতে তা ব্যবহার করতে পারেন। তা হল তরমুজের এই মিশ্রণ ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে বরফ করে ফেলুন।



Silky Shiny Hair: মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে এই ঘরোয়া প্যাকেই চুলে পান পার্লার এফেক্ট
এবার তা মুখে ভাল করে ঘষতে থাকুন। রাতে বাড়ি ফিরে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর এই বরফ ঘষে নিন। একই ভাবে ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাবের জলও বরফ বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তরমুজের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, লাইসোপিন- যা ত্বককে ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রভাব থেকে রক্ষা করে। রুক্ষ্ম, শুষ্ক ত্বকের জন্যেও খুব ভাল কাজ করে তরমুজ। ফলে ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ বজায় থাকে। গরমে হারিয়ে যাওয়া জেল্লাও ফিরে আসে।

২০২২ সালে একটি মামলায় বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড পুলিশকে সুয়ো-মুটো মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই নির্দেশই আরও প্রসারিত করা হল।

Hate Speech: অভিযোগ না হলেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে হবে, ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্য নিয়ে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেরসুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: ঘৃণা ছড়ানো বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য (Hate Speech) বরদাস্ত নয়। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ঠেকাতে এবার রাজ্য (State) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে (UT) বিশেষ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে হবে। শুক্রবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি মামলা দায়ের করতে দেরি হলে আদালত অবমাননা করা হচ্ছে বলে বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।


এর আগেও ২০২২ সালে একটি মামলায় বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড পুলিশকে সুয়ো-মুটো মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই নির্দেশই আরও প্রসারিত করা হল। এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর উপরেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

প্রসঙ্গত, এর আগে ঘৃণাসূচক মন্তব্যের অপরাধ সংক্রান্ত একটি পিটিশনের শুনানি করছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় গত ২৯ মার্চ বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, “আমরা এটা স্পষ্ট করে দিচ্ছি যে, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য যে করবে, তার বিরুদ্ধে ধর্ম নির্বিশেষে পদক্ষেপ করা হবে, যাতে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সংরক্ষণ করা যায়।”



Badrinath Dham: আজ থেকে খুলল বদ্রীনাথ ধামের দরজা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামেই হল প্রথম পুজো
এদিন আদালতে ঘৃণাসূচক বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলাকারী এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে জেলা ভিত্তিতে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ অন্যদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদন জানিয়ে মামলা করা হয়েছে। এব্যাপারে এদিন বিচারপতি কেএম জোসেফ জানান, এফআইআর করা জরুরি এবং হাইকোর্টের এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। আগামী ১২ মে পুনরায় এই মামলার পরবর্তী শুননি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবার নির্দেশ দেয়, নিয়োগের মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর। কিন্তু কোন মামলা বা কতগুলি মামলার এজলাস বদল তা নিয়ে ধোঁয়াশা বহাল।

Justice Abhijit Gangopadhyay: আজ রাত ১২টা অবধি হাইকোর্টেই থাকবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলার বেঞ্চ বদল। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের নির্দেশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নয় কলকাতা হাইকোর্টের অন্য বিচারপতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন এবার থেকে। তবে এই নির্দেশ নিয়ে ধোঁয়াশাও রয়েছে। সুপ্রিম-নির্দেশ ওয়েবসাইটে আপলোড না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা। তবে এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে কপি চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলের কাছ থেকে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপশন (অনুবাদ) এবং রেজিস্ট্রার জেনারেলের রিপোর্টের কপি চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, এমনটাই খবর। শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে তা পেশের নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজনে শুক্রবার রাত ১২টা ১৫ অবধি তিনি চেম্বারে অপেক্ষা করবেন বলেও জানান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘কুণাল ঘোষকে প্রণাম জানাব। কারণ তিনি যা ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন আজ তা মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা সেটা আমার জানা ছিল না।’ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। রমেশ মালিক ও সৌমেন নন্দীর যে মামলা তা তিনি শুনবেন না বলে জানিয়েছেন।


এদিন সুপ্রিম কোর্টে রেজিস্ট্রার জেনারেল যে কপিটি দিয়েছেন, তার প্রতিলিপি চেয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতে কপির তর্জমা গিয়েছে। সমস্ত কিছু দেখেই মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এদিন মধ্যরাত অবধি নিজের চেম্বারে থাকবেন তিনি। সেখানেই সেই কপিও দেখবেন তিনি।

অন্যদিকে এখনও কতগুলি মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরেছে তা স্পষ্ট নয়। কারণ, সুপ্রিম রায়ের কপি এখনও কেউ হাতে পাননি। হাইকোর্টে দ্বিতীয়ার্ধে এজলাসে বসে তিনি বলেন, আপাতত সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিকের মামলা শুনবেন না। স্পষ্ট নির্দেশিকা দেখে নেবেন। তারপরই শুনানি হবে।



Kaliyaganj Chaos: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা করল পুলিশ?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবার নির্দেশ দেয়, নিয়োগের মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর। কিন্তু কোন মামলা বা কতগুলি মামলার এজলাস বদল তা নিয়ে ধোঁয়াশা বহাল। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, “কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের রিপোর্টটা পড়ে ওনারা বললেন আমরা ঠিক করছি এই মামলাটা অন্য বিচারপতির কাছে যাতে শুনানি হয়। আদতে যে চেষ্টাটা চলছিল, সমস্ত মামলা সরিয়ে দেওয়ার, সেটা হয়নি। শুধুমাত্র ওই মামলাটার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছে। সম্ভবত এটাই, যেহেতু ইন্টারভিউয়ের সময় ওর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) নামটা এসে গিয়েছিল। উনি বলেছিলেন অভিষেককে পেলে আমি কড়া আইনি ব্যবস্থা নেব।”

এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “জাস্টিস গাঙ্গুলিকে আমার তরফ থেকেও প্রণাম, শ্রদ্ধা। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিরোধ নেই। মামলার বিচার করতে গিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি কোনও ব্যবস্থা নেন, সেটা আমরা ডিফেন্ড করতে যাব না। তবে উনি তাঁর চেয়ারে বসে আমার দল, দলনেতা সম্পর্কে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেছেন যা বলা যায় না, আমি একজন দলের কর্মী হিসেবে সেটুকু বিরোধিতা করেছি।”

কুণাল ঘোষ বললেন, 'বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেও আমার তরফ থেকে প্রণাম, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিরোধ নেই।'

Justice Abhijit Ganguly: কুণালকে প্রণাম, তিনি যে এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা আমার জানা ছিল না: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ ( ছবি সৌজন্যে - কুণাল ঘোষের ফেসবুক পেজ)
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)) একক বেঞ্চে নিয়োগের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আসার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হাইকোর্টে তাঁর এজলাসে বসে বলেছেন, ‘কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) প্রণাম জানাব, কারণ তিনি যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আজ তা মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যতদ্রষ্টা সেটা আমার জানা ছিল না। যেভাবে হোক প্রণাম পৌঁছে দেবেন।’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের কিছুসময় পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিচারপতির সেই কথা শোনার পর কুণাল ঘোষও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রণাম জানিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই, সেই কথাও স্পষ্ট করেছেন তিনি।


বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের প্রণাম জানানো প্রসঙ্গে ঠিক কী বললেন তৃণমূল মুখপাত্র? কুণাল ঘোষ বললেন, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেও আমার তরফ থেকে প্রণাম, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিরোধ নেই। তিনি চেয়ারে বসে মামলার বিচারক হিসেবে যা যা করেছেন… তার মধ্যে যদি কোনও অন্য়ায় দেখে তদন্তের নির্দেশ দেন… যে অন্যায় করেছে, তার প্রতি কড়া ব্যবস্থা নেন… সেক্ষেত্রে আমি বা আমরা (তৃণমূল) তা ডিফেন্ড করতে যাব না।’

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানালেও, তাঁকে বাঁকা খোঁচা দিতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। ঠিক কোন জায়গায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপত্তি বা বিরোধ, সেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর চেয়ারে বসে, সেই চেয়ারকে অপব্যবহার করে আমার দল ও দলনেতা-দলনেত্রী সম্পর্কে কিছু অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেছেন, যার সঙ্গে আইনের কোনও সম্পর্ক নেই। বিচারপতির চেয়ারে বসলেও সেগুলি বলা যায় না। আমি দলের একজন সাধারণ সৈনিক ও মুখপাত্র হিসেবে তাঁর সেই সংলাপগুলি ও উইশলিস্ট চাপিয়ে দেওয়ার অংশের বিরোধিতা করেছি। এর বাইরে ওনার প্রতিও আমার শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রয়েছে।’


অর্থাৎ, নিজের বক্তব্যে কুণাল ঘোষ বার বার বুঝিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বা তাঁর দলের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু বিচারপতির কিছু মন্তব্য নিয়ে ঘোর আপত্তি রয়েছে তৃণমূল মুখপাত্রর।

নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানো হল নাকি কেবলমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত নির্দেশ-মামলা থেকে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

Bikashranjan Bhattacharya: সব নয়, শুধুমাত্র অভিষেকের মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরছে: বিকাশরঞ্জনবিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার বেঞ্চ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানো হল নাকি কেবলমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলা থেকে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন টিভি নাইন বাংলাকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের রিপোর্টটা পড়ে ওনারা বললেন আমরা ঠিক করছি এই মামলাটা অন্য বিচারপতির কাছে যাতে শুনানি হয়। আদতে যে চেষ্টাটা চলছিল, সমস্ত মামলা সরিয়ে দেওয়ার, সেটা হয়নি। শুধুমাত্র ওই মামলাটার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছে। সম্ভবত এটাই, যেহেতু ইন্টারভিউয়ের সময় ওর নামটা এসে গিয়েছিল। উনি বলেছিলেন অভিষেককে পেলে আমি কড়া আইনি ব্যবস্থা নেব।”


বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, তাঁরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিক্ষোভ সংক্রান্ত বিষয়ও তুলে ধরেন। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এই প্রসঙ্গগুলো আদালতে তুলেছি। আমিও বলেছি, সলিসিটর জেনারেলও বলেছেন। আদেশ পছন্দ না হলেই বিক্ষোভ হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে বিক্ষোভ হয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিক্ষোভ হয়েছে। এগুলো চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। চিফ জাস্টিস বললেন, তেমন কোনও ঘটনা যদি আমাদের কাছে আসে তখন আমরা বুঝে নেব। তবে এই মামলায় আমি আর অন্য কোনও আদেশ দিচ্ছি না।”



Kaliyaganj Chaos: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা করল পুলিশ?
একইসঙ্গে বিকাশবাবুর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা সরে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আদালত দিস প্রসেডিং বলেছে। সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতির কাছে তো মূল মামলার শুনানি হচ্ছে। কোথাও কেউ বলেননি শুনতে পারবেন না।”


Arjun Tendulkar : চলতি আইপিএলে (IPL 2023) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) ম্যাচ মানেই আলোচনার কেন্দ্রে থাকছেন সচিনপুত্র। মাঠের মধ্যে হোক বা ডাগআউটে টেলিভিশন ক্যামেরাও সুযোগ পেলেই তাক করছে অর্জুনের দিকে। আর তাতেই ধরা পড়ছে অদ্ভূত সব কাণ্ড।

Arjun Tendulkar, IPL 2023 : নাক খুঁটে... বোলিংয়ের সময় এ কী কাণ্ড ঘটালেন সচিনপুত্র!নাক খুঁটে... বোলিংয়ের সময় এ কী কাণ্ড ঘটালেন সচিনপুত্র!
Image Credit Source: IPL Website
মুম্বই : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আইপিএলে (IPL) খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) ছেলের। যে কারণে, এ বারের আইপিএলে বিশেষ চর্চা হচ্ছে অর্জুন তেন্ডুলকরকে (Arjun Tendulkar) নিয়ে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ মানেই আলোচনার কেন্দ্রে থাকছেন সচিনপুত্র। মাঠের মধ্যে হোক বা ডাগআউটে, টেলিভিশন ক্যামেরা সুযোগ পেলেই তাক করছে অর্জুনের দিকে। আর তাতেই ধরা পড়ছে অদ্ভূত সব কাণ্ড। দিনকয়েক আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে দেখা গিয়েছিল ক্যামেরাম্যানের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করছেন অর্জুন। নেটিজ়েনরা দাবি করেছিলেন অন ক্যামেরা গালাগালি দিয়েছেন সচিনপুত্র। এ বার ফের ভাইরাল হয়েছে অর্জুনের এক ভিডিয়ো। যা দেখে অনেকেই নাক সিটকোচ্ছেন। ঠিক কী করলেন অর্জুন? যার ফলে নেটিজ়েনরা বলছেন এই কাণ্ড দেখে তাঁদের গা ঘিনঘিন করছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।


২৫ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে নেমেছিল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্যাচে ৫৫ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতেছে গুজরাট। আর ওই ম্যাচ চলাকালীন অর্জুনের এক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে গুজরাটের ইনিংস চলাকালীন বোলিং করার সময় অর্জুন নিজের নাকের ভেতরে আঙুল দিচ্ছেন এবং তারপর সেই আঙুল মুখে ভরছেন। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। অর্জুনের এই কাণ্ড দেখে অনেকেই নাক সিটকোচ্ছেন। সেই ভিডিয়োতে নেটিজ়েনরা কমেন্ট করে জানিয়েছেন, অর্জুনের এই কাণ্ডকারখানা দেখে তাঁদের গা ঘিনঘিন করার অবস্থার কথা।



অবশ্য অনেকেই আবার অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আসলে, ভিডিয়োটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’রকম মতামত আসছে। একপক্ষ অর্জুনের নিন্দা করলেও, কেউ কেউ বলেছেন ভিডিয়োটি এডিট করার সময় রিভার্স করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে অর্জুন নাকি প্রথমে মুখের মধ্যে আঙুল দিয়েছিলেন, তারপর নাকে আঙুল দিয়েছিলেন।


প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল রবিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচ খেলবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

২০২২-২৩ মরসুমের জন্য বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। যেখানে গ্রেড এ-তে স্থান পেয়েছেন জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের তিনজন ক্রিকেটার।

BCCI: বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রিচা ঘোষের উন্নতি, বাদ একাধিক ক্রিকেটার
Image Credit Source: Twitter
মুম্বই: ২০২২-২৩ মরসুমের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে (মহিলা ক্রিকেট)। তালিকার শীর্ষ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তিন ক্রিকেটার। এছাড়া ‘বি’গ্রেডে রয়েছেন পাঁচজন এবং সি গ্রেডে রয়েছেন নয়জন ক্রিকেটার। কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতা থেকে বাদ পড়েছেন মেয়েদের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ শিখা পান্ডে এবং তানিয়া ভাটিয়া। সদ্য প্রকাশিত কেন্দ্রীয় চুক্তি (BCCI Central Contract) অনুযায়ী উন্নতি হয়েছে বাংলার কিপার ব্যাটার রিচা ঘোষ এবং জেমাইমা রডরিগজের। এই চুক্তির মেয়াদ গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ গ্রেডের ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফিজের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা এবং বি ও সি গ্রেডের ক্রিকেটাররা পাবেন যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা। বিস্তারিত রইল 


টপ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে মাত্র তিনজন ক্রিকেটারকে। তাঁরা হলেন, ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর, দলের তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা এবং অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অবনতি হয়েছে রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের। এক ধাপ নিচে নেমে গিয়েছেন তিনি। লেগ স্পিনার পুনম যাদব গতবার এ গ্রেডে ছিলেন। তিনি বাদ পড়েছেন চুক্তি থেকে। ২০২২ সালে শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন পুনম। দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-২০ বিশ্বকাপে কামব্যাক করা শিখা পান্ডেও বাদ পড়েছেন বোর্ডের চুক্তি থেকে। তরুণ পেসার রেণুকা ঠাকুর ঢুকে পড়েছেন বোর্ডের চুক্তির আওতায়। তিনি রয়েছেন বি গ্রেডে। রিচা ঘোষ এবং জেমাইমা রডরিগজ সি থেকে বি ক্যাটাগরিতে উঠে এসেছেন।

সি গ্রেডে রয়েছেন মেঘনা সিং, ব্যাটার দেবিকা ব্যাধ, রাধা যাদব, বাঁ হাতি পেসার অঞ্জলি সর্বাণী এবং ব্যাটার যস্তিকা ভাটিয়া। হরলিন দেওল এবং স্নেহ রানা সবথেকে নিচের গ্রেডে রয়েছেন। চোট পাওয়া অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকার বি থেকে সি গ্রেডে অবনতি হয়েছে। গতবছর পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য সমবেতনের ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই। মোট ১৭ জন মহিলা ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রাখা হয়েছে।


এ ক্যাটাগরি: হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, দীপ্তি শর্মা

বি ক্যাটাগরি: রেণুকা ঠাকুর, জেমাইমা রডরিগজ, শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষ, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়

সি ক্যাটাগরি: মেঘনা সিং, দেবিকা ব্যাধ, এস মেঘনা, অঞ্জলি সর্বাণী, পূজা বস্ত্রকার, স্নেহ রানা, রাধা যাদব, হরলিন দেওল এবং যস্তিকা ভাটিয়া



2023: মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কাছ থেকে এক ঝলক দেখতে চায় আট থেকে আশি। আজ, বৃহস্পতিবার জয়পুরে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলছে ধোনির সিএসকে (CSK)। দিনদুয়েক পর ঘরের মাঠে রয়েছে চেন্নাইয়ের ম্যাচ। মাহির সেই ম্যাচ দেখার জন্য চিপকে টিকিটের হাহাকার।

CSK, IPL 2023: চিপকে ধোনির ম্যাচের টিকিটের হাহাকার, পুলিশদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি দর্শকদেরচিপকে ধোনির ম্যাচের টিকিটের হাহাকার, পুলিশদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি দর্শকদের
Image Credit Source: IPL Website
চেন্নাই : শেষ বলে কিছু নেই… কিন্তু যেদিন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) জানিয়েছিলেন, চিপকে দলের সমর্থকদের সামনে খেলে তিনি অবসর নিতে চান, সেদিন থেকেই সিএসকে প্রেমীদের মন ভার হয়ে রয়েছে। এ বারের আইপিএলে (IPL 2023) তাই চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) ম্যাচ হলেই মাহি ভক্তরা এবং সিএসকের সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন স্টেডিয়ামে। ক্যাপ্টেন কুলের সকল ফ্যানেদের মনেই চলছে, এই বুঝি শেষ ম্যাচ খেলে নিলেন মাহি। তাই শেষ বার মাহি ম্যাজিক দেখতে সকলেই মরিয়া। মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য দূরদূরান্ত থেকে গ্যালারি কাঁপাতে জড়ো হচ্ছেন তাঁর হাজার হাজার অনুরাগীরা। চিপকে ম্য়াচ থাকলে তো কথা নেই। সেই ম্যাচে তিল ধরার জায়গাও থাকে না। ঘরের মাঠে এ বার ধোনির সিএসকের ম্যাচ ৩০ এপ্রিল। সেই ম্যাচের টিকিট দেওয়া চলছে এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। সেখানে ধোনির ম্যাচের টিকিটের হাহাকার। চিপকে টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে থাকা সকলের একটাই আর্জি টিকিট চাই। আর তাতেই বিপত্তি। সকলেই আগে টিকিট পেতে চান। যে কারণ টিকিট নিতে আসা দর্শকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় পুলিশদের। বিস্তারিত জেনে নিন 


এখন চেন্নাই সুপার কিংসের হোম ম্যাচ হোক আর অ্যাওয়ে ম্যাচ সব জায়গাতেই হলুদ জার্সির ঢল বইতে দেখা যাচ্ছে। দিনকয়েক আগে ইডেন গার্ডেন্সে যেমন কেকেআরের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল। সেখানে দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছিল মাহির ভক্তরা। হলুদ জার্সির ভিড়ে কার্যত হারিয়ে গিয়েছিল বেগুনি-সোনালি জার্সি পরা নাইট সমর্থকরা। আজ, গোলাপি শহরের দলের বিরুদ্ধে খেলছে ধোনির দল। জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে গোলাপি জার্সি পরা রাজস্থানের সমর্থকরা তো রয়েছেন। কিন্তু একাধিক হলুদ জার্সির সমাবেশও দেখা গিয়েছে। তার কারণ আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। অ্যাওয়ে ম্যাচে ধোনির ফ্যানেরা ভিড় জমাচ্ছেন আর হোম ম্যাচে তেমন দৃশ্য দেখা যাবে না, তাও আবার হয় নাকি?

রাজস্থানের বিরুদ্ধে আজকের এই ম্যাচের পর পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৩০ এপ্রিল রয়েছে সিএসকের পরবর্তী ম্যাচ। এই ম্য়াচের টিকিটের জন্য লম্বা লাইন পড়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, লাইনে থাকা সকলকে সামলাতে গিয়ে পুলিশরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। একটা সময় পুলিশদের সঙ্গে দর্শকদের ধস্তাধস্তিও হয়। এই ছবি থেকেই পরিষ্কার চেন্নাইয়ের পরবর্তী ম্যাচও হাউসফুল হতে চলেছে।

সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে সাধের Hyundai Creta কিনেছিলেন উদয়পুরের শঙ্করলাল। বারংবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নাজেহাল তিনি। শেষমেশ গাড়িটিকে গাধায় টেনে দিয়ে এলেন শোরুমে।

Hyundai Creta: ভিডিয়ো: শঙ্করলালের সাধের সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকার গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছে গাধা!
Image Credit Source: টুইটার
উদয়পুর: ৫ লক্ষ বা ৬ লক্ষ টাকা নয়। ১৭.৫ লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন শঙ্করলাল। অনেক শখ করে কেনা গাড়ি। কিন্তু কেনার পর থেকেই একটার পর একটা যান্ত্রিক ত্রুটি লেগেই রয়েছে। সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়েও কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। তাই যে শোরুম থেকে গাড়িটি নিয়ে এসেছিলেন সেখানেই ফিরিয়ে দিতে গেলেন রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা শঙ্করলাল। জোড়া গাধায় টেনে নিয়ে গেলে সেই ‘অকেজো’ গাড়িকে। সেই ভিডিয়োই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।


উদয়পুরের বাসিন্দা শঙ্করলাল মাদরি শিল্পাঞ্চলের একটি শোরুম থেকে একটি Hyundai Creta কিনেছিলেন। দাম পড়েছিল প্রায় ১৮ লক্ষের কাছাকাছি। তবে কেনার পর থেকেই এই গাড়ি নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। প্রায়সই বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যেত তাঁর গাড়িতে। বারবার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। শেষমেশ হাল ছেড়ে দেন শঙ্করলাল। গাড়িটিকে ফের শোরুমেই ফেরত দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। আর এই অথর্ব গাড়িকে টেনে শোরুম অবধি নিয়ে যাওয়ার জোড়া গাধা নিয়ে আসেন। শুধু তাই নয় ব্যান্ড বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে তিনি গাড়িটি শোরুমের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।



গাধার এই গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দুটি গাধা একটি গাড়িকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পিছন থেকে কয়েকজন গাড়িটিকে ধাক্কাও দিচ্ছে। সঙ্গে ভিডিয়োতে ব্য়ান্ড পার্টি বাজারও শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এই ভিডিয়োই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে দেওয়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শঙ্করলালের ভাগ্নে রাজ কুমার গায়েরি বলেন, দু’বার গাড়িটিকে শোরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে ডিলার কোনও সন্তোষজনক সমাধান বাতলে দিতে পারেননি। তিনি বলেন, একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাঝেই একবার খারাপ হয়ে গিয়েছিল গাড়িটি। বার কয়েকবার ধাক্কা দিয়ে তারপর চলা শুরু করে। তিনি আরও জানান, শোরুমের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন ব্যাটারির রানডাউনের কারণে এসব ত্রুটি হয়েছিল। তাঁরা গাড়িটি কিছু দূর অবধি চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাই গাড়িটি ফের শোরুমে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত শোরুমেই রয়েছে ওই অকেজো Hyundai Creta। এই গাড়ির বদলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শঙ্করলাল।



বৃহস্পতিবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল মর্গে। পাড়ার লোকজনও হতবাক। মেয়েটিকে ফোনে কথা বলতে দেখতেন অনেকেই।

Suicide: মেয়ের বাবার কথাও শুনতে চাননি প্রেমিকের পরিবার, এরপরই চরম সিদ্ধান্ত কিশোরীরকিশোরীর পরিবারের লোকজন।
মুর্শিদাবাদ: ছেলের প্রেমিকাকে মানতে রাজি নয় পরিবার। অভিযোগ, সেই অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয় এক কিশোরী। পরিবারের দাবি, রাতে প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল ওই কিশোরী। এরপরই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে সে। বৃহস্পতিবার রানিতলা (Ranitala) থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী গত পাঁচ মাস ধরে ইসলামপুর থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওই কিশোরী মাধ্যমিক দেবে এবার। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতভর তাঁর মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিল। সকালের দিকে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। সে সময় ওই যুবক তাঁকে ফোনে জানান, মেয়ে কীটনাশক খেয়েছে।


কিশোরীর বাবার কথায়, “মেয়েকে ভোরের দিকে ফোনে কথা বলতে শুনি। প্রায় প্রায়ই ওই ছেলেটির সঙ্গে কথা বলত ও। মাস পাঁচেকের প্রেম। এদিন সকালে ভাত রান্না করল। আমি বহরমপুর যাব। এরপরই শুনি মেয়ে বিষ খেয়েছে। আমি রাস্তায় ছিলাম। ছুটে আসি। এসে দেখি মেয়ের মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে। মেয়েকে গাড়ি করে লালবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে হাসপাতালে ঢোকার আগেই মেয়েটা মারা গেল। ভালবাসার জন্য এটা হল। আমি মেয়ের এই সম্পর্কে রাজি ছিলাম। তবে ছেলের মা, বাবাকেও বলেছিলাম। ওরা রাজি নয়। ছেলে রাজি ছিল।”

ছেলের কথায়, বাবা নিজের ১২ কাঠা এবং ৩ বিঘা ভাগে নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু আলুতে দাগ থাকায় এবং ফলন কম হওয়ায় আলুর দাম মেলেনি। পাশাপাশি, আলুতে ক্ষতির পর তিনি ধান চাষ করেন

Farmer Suicide: বোবা কৃষকের চাষই ছিল ধ্যান জ্ঞান, আলু-ধানে ক্ষতির মুখে পড়ে মাঠেই নিজেকে শেষ করে দিলেনআত্মঘাতী কৃষক।
পূর্ব বর্ধমান: কথা বলতে পারেন না,মূক। চাষের কাজে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। সেই হতাশা থেকে আত্মঘাতী হলেন এক চাষি। বর্ধমান-২ ব্লকের বড়শুলের এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া। নিহতের নাম স্বপন মণ্ডল। ৪৬ বছর বয়স। জমিতে আলু এবং ধান চাষ করেছিলেন তিনি। সেই চাষে লাভের মুখ দেখতে পারেননি বলে জানান এলাকার লোকজন। এদিকে বাজারে দেনা। মানসিক চাপ বাড়ছিল দিনকে দিন। এরপরই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন স্বপন মণ্ডল। বাড়ির লোকজনের কথায়, চাষে ক্ষতি, বাজারে দেনা, পাওনাদারের তাগাদা। চাপে চাপে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন স্বপন।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বপন মণ্ডল বড়শুলের অন্নদাপল্লির বাসিন্দা। বুধবার তিনি বিষ খান। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলে সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান। বর্ধমান পুলিশ মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃতের ছেলে অয়ন মণ্ডল বলেন, বাবা কথা বলতে পারতেন না। শুনতেও পেতেন না। চাষবাস করে চলত।

ছেলের কথায়, বাবা নিজের ১২ কাঠা এবং ৩ বিঘা ভাগে নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু আলুতে দাগ থাকায় এবং ফলন কম হওয়ায় আলুর দাম মেলেনি। পাশাপাশি, আলুতে ক্ষতির পর তিনি ধান চাষ করেন। সেখানেই ক্ষতি হওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মৃতের দাদা শিবুপদ মণ্ডলের কথায়, আলুতে দাগ থাকায় কার্যত জলের দরে প্রতি বস্তা আলু বিক্রি করতে হয়। ভাইয়ের সারের দোকানে প্রায় ১১ হাজার, ট্রাক্টরে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা দেনা ছিল। পরিবারের লোকেরা জানান, চাষ আর মাঠই ছিল স্বপনের সবকিছু। সেই মাঠেই বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেন।

গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জে উদ্ধার হয় এক ছাত্রীর দেহ। সেই ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

Kaliaganj Student murder: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ডিএম, এসপি-কে দিল্লিতে তলব তফসিলি কমিশনেরকমিশনের চেয়ারপার্সন
নয়া দিল্লি: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যর ঘটনায় নয়া মোড়। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, জেলাশাসক ও উত্তরবঙ্গের আইজিপি-কে তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। গত রবিবার তফসিলি কমিশনের তরফ থেকে চেয়ারপার্সন অরুণ হালদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তাঁর দাবি, থেকেই পুলিশ সুপার, জেলাশাসককে কমিশনের তরফ থেকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী ওই ঘটনার আইও বা তদন্তকারী অফিসারও উপস্থিত ছিলেন না বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। এবার তিন আধিকারিককে দিল্লিতে তলব করা হল কমিশনের তরফে। ২৮ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তলব করা হয়েছে তাঁদের।


গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জে উদ্ধার হয় রাজবংশী পরিবারের এক ছাত্রীর দেহ। সেই ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো ঘিরেও বাড়ে বিতর্ক। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই রাজ্যে এসেছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

পরে ক্ষোভ উগরে দেন তফসিলি কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ হালদার। রবিবার মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি সেই জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি, যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনিও। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে করে তিনি জানিয়েছেন, তিন আধিকারিককে তলব করা হয়েছে।


কালিয়াগঞ্জে ওই ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশকর্মীকে আগেই সাসপেন্ড করেছে জেলা পুলিশ। মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই চারজনকে সাসপেন্ড করে রায়গঞ্জ পুলিশ। চারজনই এএসআই পদমর্যাদার। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়েছেন, প্রাথমিক যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী চারজন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে দারিয়াপুর এলাকায় পৌঁছতেই ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে এদিন চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


Train derailed: প্রচণ্ড গরমে বেঁকে গিয়েছে রেললাইন, লাইনচ্যুত ট্রেনের ৭টি বগিবাংলাদেশে বেলাইন .মালগাড়ি।
ঢাকা: প্রচণ্ড গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়েছে। যার ফলে লাইনচ্যুত (derailed) হয়ে গেল ট্রেনের ৭টি বগি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছে। তবে ট্রেনটি মালবাহী হওয়ায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল মালবাহী ট্রেনটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে দারিয়াপুর এলাকায় পৌঁছতেই ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তারপর খবর পেয়ে রেলকর্মী ও আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইনচ্যুত বগিগুলিকে উদ্ধার করে। এই দুর্ঘটনার জেরে এদিন চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে রেল সূত্রে খবর। যদিও কী ভাবে রেললাইন বেঁকে গেল, তা স্পষ্ট নয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, মূলত প্রচণ্ড গরমের জন্যই রেললাইন বেঁকে যায় এবং তার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইনের স্লিপার ভেঙে গিয়েছে।



Amarnath Yatra: চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রা কবে শুরু, দিন ঘোষণা SASB-র
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে গোটা বাংলাদেশে। আর স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে রেললাইনে তাপমাত্রার পরিমাণ সব সময়ই বেশি থাকে। ফলে রেললাইন বেঁকে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১১ এপ্রিল ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার এবং মালবাহী ট্রেনগুলি ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। যত দিন তাপমাত্রা বেশি থাকবে, এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, যেখানে লাইন বাঁকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেই ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত জল কিংবা কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে।

ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখার নির্দিষ্ট একটা সময়সীমা রয়েছে। চাইলেই যে ব্যান্ডেড লাগিয়ে নেওয়া যায় এরকমটা একেবারেই নয়

Band Aid: ধুলো-বালি থেকে বাঁচাতে টানা দু'দিন ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখা অভ্যাস? ঠিক করছেন তো!কী ভাবে ব্যবহার করবেন ব্যান্ড এড
মাসে যেরকম আমাদের নিয়ম করে চাল,ডাল, আটা, নুন, চিনি কিনতে হয় তেমনই ব্যান্ডেডও কিনে রাখতে হয়। কারণ? কাটা ছেঁড়া লেগেই থাকে। ছুরি, বঁটিতে হাত কেটে যাওয়া, খেলতে গিয়ে পড়ে যাওয়া, সাইকেল থেকে বে কায়দায় পড়ে গিয়ে আছাড় খাওয়া, নতুন জুতোয় ফোস্কা পড়া- সবকিছু ওয়ান স্টপ সলিউশন একটাই। তা হল ব্যান্ডেড। যে কোনও ছোটখাটো কাটা ছেঁড়ার প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু হয় এই ব্যান্ডেড দিয়েই। ব্যান্ডেডের অনেক গুণও আছে। ব্যান্ডেডের মধ্যে একরকম ওষুধ থাকে। যা ক্ষতস্থানের যে কোনও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে ক্ষতস্থান ঢেকে রাখে। ক্ষতস্থানে ধুলো-ময়লা, নোংরা জল এসব কোনও কিছুই লাগতে দেয় না। বাজার থেকে ব্যান্ডেড কিনে আনা, ব্যবহার করা তা তো সকলেই জানেন। তবে যা জানেন না তা হল একটানা কতদিন পর্যন্ত লাগিয়ে রাখা যায়?

এই ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখার নির্দিষ্ট একটা সময়সীমা রয়েছে। চাইলেই যে ব্যান্ডেড লাগিয়ে নেওয়া যায় এরকমটা একেবারেই নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন সর্বোচ্চ একদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। তার বেশি একেবারেই করা যাবে না। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেই সঙ্গে ত্বকে ব্যান্ডেডের আঠা বসে কালো হয়ে যায়। সবথেকে ভাল যদি একদিনে দুবার এই ব্যান্ডেড পরিবর্তন করে নিতে পারেন। কারণ ব্যান্ডেডের মধ্যে যে ওষুধ থাকে তার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

তবে এই ব্যান্ডেড লাগিয়ে স্নান করা ঠিক নয়। এই ব্যান্ডেডের ফাঁক ফোকর দিয়ে জল ঢুকলেই মুশকিল। তখন অন্য সমস্যা। অনেকেই ভাবেন বাইরে বেরোলে ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখা উচিত। এতে ধুলোর হাত থেকে সাময়িক রেহাই মিললেও ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ক্ষত স্থানে হাওয়া লাগতে দিলে তা অনেক তাড়াতাড়ি শুকোয়। যে কোনও কাটা, ছেঁড়া, ঘায়ে ব্যান্ডেড লাগালেই যে তা সেরে যায় এসব একেবারেই নয়। বরং খোলা রাখলে তা বেশি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। আর তাই কেটে গেলে প্রাথমিক ভাবে যা কিছু মেনে চলবেন-

ভাল করে জায়গাটা ধুয়ে নিন

কোনও অ্যান্টিসেপটিক থাকলে তা লাগান

হালকা করে ব্যান্ডেজ করে রাখুন

একটা টিটেনাস নিয়ে রাখলে ভাল

প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

গত ১৯ এপ্রিল ভুলবশত বিমানের টিকিটে বড় পরিমাণ ছাড়ের বিজ্ঞাপন দেয়। আর তা দেখেই যাত্রীরা তড়িঘড়ি টিকিট কেটে ফেলেন। ১০ হাজার ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লক্ষ ১৮ হাজার) বিমান যাত্রার টিকিট মাত্র ৩০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকা) বিক্রি হয়েছে।

Flight Tickets: ৩৩ গুণ কম দামে বিজনেস ক্লাসের টিকিট, ভুল ধরা পড়তেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে উড়ান সংস্থাপ্রতীকী ছবি
টোকিও: ১০ হাজার ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লক্ষ ১৮ হাজার) বিমান যাত্রার টিকিট মাত্র ৩০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকা)? হ্য়াঁ। বেশ কয়েকজন যাত্রী এত সস্তাতেই টিকিট পেয়েছিলেন বিমানের। এত সস্তায় যাত্রীরা টিকিট কাটার ফলে বিপাকে পড়ে জাপানের বৃহত্তম বিমান সংস্থা অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এএনএ)। তবে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী তারা নিজেই। গত ১৯ এপ্রিল ভুলবশত বিমানের টিকিটে বড় পরিমাণ ছাড়ের বিজ্ঞাপন দেয়। আর তা দেখেই যাত্রীরা তড়িঘড়ি টিকিট কেটে ফেলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এইসব টিকিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিমান সংস্থার তরফে। যাত্রীদের তাদের টাকাও ফেরত দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।


জাপানের বৃহত্তম বিমান সংস্থার তরফে টিকিটে বিশাল ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনের সুযোগ কেউ নেবে না? তাই চটজলদি অনেকেই টিকিট কেটে ফেলেন। ফার্স্ট ক্লাস ও বিজনেস ক্লাসের রাউন্ড ট্রিপের খরচ যেখানে ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি। সেই টিকিটই মাত্র ৩০০ ডলার কাটেন যাত্রীরা। জাকার্তা থেকে শুরু করে জাপান এবং পরে নিউ ইয়র্ক ও সিঙ্গাপুর এবং বালি সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য বেশিরভাগ টিকিট কাটা হয়েছিল। সংস্থার তরফে ব্লুমবার্গকে জানানো হয়, প্রথমে ভুলবশত অফারের ঘোষণা করা হলেও বর্তমানে তারা বুকিং বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব ফ্লাইট ভুলভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে, তাদের জন্য এএনএ সমস্ত সফর বাতিল করবে এবং পুরোপুরি ফেরত দেবে, “মঙ্গলবার ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।


প্রসঙ্গত, এরকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৯ সালে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ লিমিটেড দুর্ঘটনাক্রমে ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ও বিজনেস ক্লাসের টিকিট মাত্র ৬৭৫ ডলারে বিক্রি করেছিল। যেখানে এর স্বাভাবিক মূল্য ১৬,০০০ ডলারের কাছাকাছি। তবে পরে সেই টিকিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ওই বিমান সংস্থার তরফে।