July 2021

 


 চিন-ভারত বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পূর্ব লাদাখের গোগরা, হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর কোনও মতিগতিই দেখা যাচ্ছে না চিনের। উল্টে পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকা ও গোগরার কাছে এখনও সক্রিয় চিনের লাল ফৌজ। অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছে। নতুন করে অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় চিনের ফৌজ যে হামলা চালাতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আজ ফের চিন ও ভারত কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক বসবে চুসুল-মলডো সীমান্তে। সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চিন দুই দেশই। বরং সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে তার মর্যাদা ভেঙেছে চিনই। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা দেখিয়েছে তারা। যার কারণে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তথা এলএসি-তে কীভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে দু'তরফেই। প্যাঙ্গং থেকে সেনা সরলেও পূর্ব লাদাখের সবকটি স্পর্শকাতর এলাকা থেকে চিন যে সেনা সরায়নি সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। সেই সঙ্গেই তিনি সাফ জানিয়েছেন, দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে তখনই আসবে যখন বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা হবে। লাদাখে সীমান্তে কোনও রকম বদল মেনে নেবে না ভারত। পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রথম নয়। আগেও বহুবার হয়েছে। কিন্তু সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকের পরে তার সমাধানও করা গেছে। কিন্তু ১৫ জুন গালওয়ানের মুখোমুখি সংঘাতের পরে সীমান্ত পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বৈঠকেও শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বরং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ প্যাঙ্গং লেক ও তার সংলগ্ন পাহাড়ি খাঁজ থেকে লাল সেনা সরেছে ঠিকই, তবে অন্যদিকে গোগরা, হট স্প্রিং, দেপসাং ভ্যালিতে নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। অস্ত্রসস্ত্রও মজুত হচ্ছে। প্রতিরক্ষা সূত্র বলছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তি মাফিক কোনও দেশের সেনাই বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হতে পারে না। আঞ্চলিক সীমান্তগুলির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চুক্তিবদ্ধ দুই দেশই। কিন্তু চিনের বাহিনী সে চুক্তি বারে বারেই লঙ্ঘণ করেছে। গালওয়ানের সংঘাত তার অন্যতম বড় প্রমাণ। সেনা ঢুকিয়ে জোরজবরদস্তি আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা সম্ভব নয় বুঝেই চিন ঘুরপথে একটু একটু করে সীমান্তে তাদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। শুধু রুটগ ঘাঁটি নয়, ভারতের সীমান্ত বারবর এমন অনেক জনপদ তৈরি করে রেখেছে চিন, যেখানে সেনাদের বসবাস করা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন রাখার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টকে (পিপি) বলে গোগরা পোস্ট। গত বছর মে মাসে এই গোগরা পোস্ট দিয়েই ভারতীয় সীমায় ঢুকে পড়েছিল চিনের বাহিনী। এখন আবার এই পোস্টের তিন কিলোমিটারের মধ্যে চিনের সেনার তত্‍পরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কয়েকটি তাঁবুও ফেলা হয়েছে নতুন করে। কিছুদিন আগেই নতুন করে সামরিক পদক্ষেপ করে সংঘর্ষে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। বেজিং বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে দাবিও করেছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি এখনও ফেরেনি।


 করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় অনেক দিন বন্ধ ছিল কালীঘাট মন্দির। আজ থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার খুলে দেয়া হচ্ছে সর্বসাধাণের জন্য। কালীঘাট মন্দির অন্যতম একটি পীঠস্থান। প্রতিদিন প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয় এখানে। জেনে নিন এই মন্দির স্থাপনের অসাধারণ ইতিহাস। যা জানলে আপনি অবাক হবেন।

লোকায়েত কাহিনী অনুযায়ী , রাজা দক্ষ এর যজ্ঞ স্থানে পতি নিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেবী সতী দেহত্যাগ করেন। ক্ষুব্ধ শিব দেবী সতীর মৃতদেহকে কাঁধে নিয়ে চালান তাণ্ডব নৃত্য। দেবী সতীর শরীরের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে । তার মধ্যে দেবীর ডান পায়ের চারটি মতান্তরে একটি আঙুল এসে পড়ে কালীঘাটে। দেবী সতীর একান্ন পীঠের মধ্যে কালীঘাট অন্যতম একটি পীঠ।

কালীঘাট মন্দিরে রয়েছে দশ কাঠা জায়গা জুড়ে কুন্দপুকুর । প্রচলিত আছে , এই পুকুরে এসেই দেবীর শরীরের অংশ পড়েছিল । তাই এই পুকুরের জলকে অতি পবিত্র মনে করা হয়। এই পুকুরের জল গঙ্গাজলতুল্য । মন্দিরটি দুশো বছরের পুরনো । এটি স্থাপন করেন হাটখোলার দত্ত পরিবারের কালীপ্রসাদ দত্ত এবং বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের সন্তোষ রায়চৌধুরী।

মন্দির স্থাপনকে কেন্দ্র করে আরেকটি প্রচলিত গল্প রয়েছে। প্রাচীন কলকাতার চৌরঙ্গী অঞ্চলে ছিল বিরাট ঘন জঙ্গল । সেখানে থাকতেন এক সন্ন্যাসী। যাঁর নাম ছিল চৌরঙ্গী । পরবর্তীকালে সন্ন্যাসীর নাম অনুযায়ী চৌরঙ্গী রোড এর নামকরণ করা হয়। সন্ন্যাসী গঙ্গাসাগর যাওয়ার সময় দেবীর মূর্তি সাবর্ণ রায়চৌধুরী কে দিয়ে যান। অন্যদিকে এও বলা হয় হাজার বছর আগে গঙ্গাতীরে জঙ্গলে থাকতো আত্মারাম ব্রহ্মচারী নামক এক তান্ত্রিক। যিনি দেবীর মূর্তি দত্ত পরিবারকে দিয়ে গেছিলেন।

কাহিনী যাই থাকুক, প্রতিদিনই ভক্ত সমাগমে উপচে পড়ে কালীঘাটের মন্দির। মায়ের মূর্তির তলায় রয়েছে একটি বাক্স । তার মধ্যে আছে উজ্জ্বল রঙের পাথর। পাথরটিকে দেবীর অংশ বলে মনে করা হয়। প্রতিবছর একমাত্র স্নানযাত্রার সময় পাথরটিকে বার করা হয়। কালীঘাটে দেবীর মূর্তি কষ্টি পাথরে তৈরি এবং সজ্জিত হয়েছে সোনা ও রুপার অসাধারণ কাজে। ইংরেজ শাসন কালে ইউরোপীয়রাও আসত দেবী দর্শনে।


 আসাম-মিজোরাম সীমানা বিরোধ এবার নতুন মাত্রা পেল। গত ২৬ জুলাই উত্তরপূর্বের এই দুই রাজ্যের মধ্যে সীমানা সংঘর্ষের ঘটনায় এবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল মিজোরামের পুলিশ এছাড়াও, এফআইআর-এ নাম রয়েছে আসামের আরও ছ'জন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের। এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, ও মিজোরাম মহামারি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামের কাছার জেলা সংলঙ্গ মিজোরামের কোলাসিবের থানাতে এইআফআরটি করা হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এফআইআর-এ নাম রয়েছে রাজ্যের আইজি অনুরাগ আগারওয়াল, কাছারের ডিআইজি দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, কাছারের ডিসি ক্ষেত্রী জাল্লি, কাছারের ডিআইজি শূন্যদেও চৌধুরী, কাছার জেলার পুলিশ সুপার চন্দ্রকান্ত নিমবাল্কর ও স্থানীয় থানার ওসি সাহাবউদ্দীনের। মিজোরামের তরফে এফআইআর-য়ের বিষয়টি আসামের মুখ্য সচিব ও ডিজি-কে জানানো হয়েছে। এফআইআর-এ নাম উল্লেখিত ব্যক্তিদের কোলাসিবের ভাইরেংটে থানায় হাজিরার কথা বলা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। এর আগে আসামের হিমন্ত বিশ্বশর্মী সরকারও নির্দেশিকা জারি করে আসামের বাসিন্দাদের মিজোরামে যেতে বারণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'মিজোরামের মানুষের হাতে একে-৪৭, স্নাইপারের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। মানুষ আতঙ্কিত। মিজো সরকারের তা বাজেয়াপ্ত করা দরকার। এর আগে কীভাবে আসমীয়ারা ওই রাজ্যে যাবেন? অবস্থা স্বাভাবিক ও খতিয়ে দেখা পর্যন্ত আসামবাসীকে মিজোরামে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। সেখানে শান্তি ফিরলে তবেই যাওয়া উচিত হবে।' মিজোরামের সরকারি আধিকারিক ও রাজ্যের একমাত্র সাংসদের বাড়িতে সমন পাঠিয়েছে। তারপরই পাল্টা রদক্ষেপ করল মিজোরামের পুলিশ।

গত ২৬ জুলাই আসাম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হয়েছে আসাম পুলিশের ছ'জন কর্মী ও এক নাগরিক। এই ঘটনায় আগেই মিজোরামের কোলাসিব জেলার ছ'জন সরকারি কর্মীকে সমন পাঠিয়েছে আসাম পুলিশ। ঢোলাই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ২রা অগাস্ট অভিযুক্তদের থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অস্ত্র আইন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও উস্কানির অভিযোগের বিষয়টি এফআইআর-এ উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশ পাঠানো হয় মিজোরামের একমাত্র সাংসদ কে ভালনাভিমার দিল্লির বাসভবনেও। জানা গিয়েছে সেই সময় সাসংদ বাড়িতে ছিলেন না। আসাম পুলিশ রেসিডেন্সিশিয়াল কমিশনারের মাধ্যমে সাংসদের কাছে সমন পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও অফইসার তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। ফলে সাংসদের বাসভনের বাইরেই সেটি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। আসাম পুলিশ জানিয়েছে, সাসংদকে সমন দেওয়া হয়েছে। এবার উনি থানায় হাজিরা না দিলে আইন অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। জারি হতে পারে গ্রেফতারি পরওয়ানা। ১লা অগাস্ট তাঁকে ঢোলাই থানায় আবশ্যিক হাজিরার কথা বলা হয়েছে।

পরস্পর অবিশ্বাসের আবহেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'মিজোরামের তরফে প্রথমে গুলি চলেনি। তবে আমরা আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। হিমন্তও শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী। প্রয়োজনে সব মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে রাজি আছি।' গত ২৩ জুলাই মিজোরাম সীমানা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, রাজ্যের উত্তরংশে ১৮৭৫ সালের নির্দেশিকা অনুসারেই সীমানা চিহ্নিত করা হবে। আসাম সরকার জানিয়েছে, ১৮৭৫ নয়, ১৯৯৩ সালের লুসাই হিল ও মণিপুর রাজ্যের মধ্যে সীমানা ভাগ নির্দেশিকা মানতে হবে। ফলে সীমানা ভাগ ঘিরেই আসাম-মিজোরাম অসন্তোষ চরমে।


 বক্সিংয়ে সেমিফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করলেন লাভলিনা বরগোহাঁই।

ভয় পাবে না। খোলা মনে থাকো। নিজের উপরে বিশ্বাস রাখলে সাফল্য আসবেই।

সাধারণত পরীক্ষার আগে বাবা-মা ছেলেমেয়েদের এই কথাগুলো বলেন। কিন্তু, বারোমুখিয়ায় উলট পুরাণ! অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে লড়তে নামার আগে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ফোন করে আশীর্বাদ নেওয়া মেয়েটাই উপরের কথাগুলো টিকেন ও মামনি বরগোহাঁইকে পই পই করে বোঝাচ্ছিলেন!

কিন্তু মা-বাবার মন, তাই ভয় তো হবেই। মেয়ে যখন টোকিয়োয় বক্সিং রিং-এ ঘাম ঝরাচ্ছেন, তখন অসমে গোলাঘাট জেলার গ্রামের বাড়িতে ঘামতে ঘামতে শুধুই ভগবানের কাছে প্রার্থনা চালিয়ে গিয়েছেন টিকেন ও মামনি। সকলে মিলে খেলা দেখা দূরের কথা, বক্সিংয়ের উত্তেজনা সহ্য হবে না বলে সকাল থেকে বরগোহাঁই বাড়িতে টিভিই চলেনি।

৪-১ ব্যবধানে চিনা তাইপের নিয়েন চিন চেনকে পরাস্ত করেছেন লাভলিনা, পড়শির ফোনে সেই খবর পেয়েই আনন্দে ফেটে পড়েন টিকেন-মামনি। অবশ্য উচ্ছাসের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সময় মিলতেই টোকিয়ো থেকে ফোনে লাভলিনা বাড়ির লোককে বলে দেন, 'এখনও উত্‍সবের সময় আসেনি। আগে সোনার পদক পাই। তারপর আনন্দ করার অনেক সময় পাবে।'

এই ঠান্ডা মাথা আর পা মাটিতে রাখার স্বভাবটাই রিংয়ের ভিতরে হোক বা বাইরে, এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে অজানা-অখ্যাত গ্রামের মেয়েটাকে। অসমের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক্স পদক নিশ্চিত করার পরে তাই গ্রামের মানুষ, রাজ্যের মানুষকে লাভলিনার বার্তা, 'আমার কাছে পদকের অর্থ একটাই, সোনা। বক্সিং শুরু করার পর থেকেই লক্ষ্য ছিল অলিম্পিক্স পদক। তাই সব আনন্দ-উপভোগ এড়িয়ে চলেছি। পদক আনার পরে চুটিয়ে আনন্দ করার সময় পাব।' কিন্তু আবেগকে কি শাসনে বাঁধা যায়! যে গ্রামে আসার একটা পাকা রাস্তা নেই, পানীয় জলের পাইপলাইন নেই— সেখানকার মেয়ে অলিম্পিক্সে পদক পাচ্ছে! তাই বরপথারজুড়ে আতসবাজির শব্দ! রাস্তাঘাটে শুরু হয় বিহু নাচ।

বাবা বলেন, 'মেয়ে অলিম্পিক্সে পদক পাবে, সেই স্বপ্ন দেখারও সাধ্য ছিল না। কিন্তু মেয়েটার বড় সাধ অলিম্পিক্সে সোনা পাবে। এখন আমরাও বিশ্বাস করি, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল জিতে দেশকে আরও গর্বিত করবে ও।'

২০১২ সালে প্রতিভা অন্বেষণ শিবিরে সাইয়ের বক্সিং কোচ পদুম বড়ো বরপথার গার্লস হাই স্কুলের মাঠে ট্রায়াল দিতে আসা লাভলিনার প্রতিভা চিনে নেন। তখন কিক বক্সিং অনুশীলন করতেন লাভলিনা। পদুম বলেন, 'দেখেই বুঝতে পারি ঘষেমেজে নিলে মেয়েটা বক্সিংয়ের অনেকদূর যাবে।' তার পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ৯ বছর পদুমের প্রশিক্ষণেই আছেন লাভলিনা। পছন্দের বক্সার মহম্মদ আলির ফুটওয়ার্ক ও পাঞ্চ লাভলিনাকে টানে। সেই সঙ্গে টানে লড়াই চালানোর অদম্য ইচ্ছাটা। কিক বক্সিংও লাভলিনাকে অনেকটাই সাহায্য করেছে। ২০১৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদ


 'কলকাতা যখন লন্ডন', টানা বৃষ্টিতে শহর যখন জলের নীচে, তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতার সরকারকে বিদ্রুপ করলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দুমাস অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লী যাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা কটাক্ষ করেছেন তিনি।

'কলকাতা যখন লন্ডন', টানা বৃষ্টিতে শহর যখন জলের নীচে, তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতার সরকারকে বিদ্রুপ করলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি,শনিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দুমাস অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লী যাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা কটাক্ষ করেছেন তিনি



'মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গেলেন এখানে সব ভেসে গেল'



টানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জল জমেছে। কোথাও কোথাও জল কোমর অবদি পৌঁছে গিয়েছে। চাষ-আবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভাঙড়ের সবজি চাষীরা। পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাতেও চরম ভুক্তভুগী রাজ্যের একাধিক এলাকা। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে রেলওয়ে ট্রাক। কোথায় জলের নিচে রাস্তা, পানীয় জলের কল, কোথাও আবার ঘরে মধ্যেই ঢুকেছে ভরা বর্ষার জল। এহেন পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'কলকাতা লন্ডনের বদলে ভেনিস হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গেলেন এখানে সব ভেসে গেল। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জেলে না থাকলেও কলকাতাকে বাঁচাতে পারলেন না। অন্যকে দোষ না দিয়ে কিছু করে দেখানো দরকার।'

"

'অন্যকে দোষ না দিয়ে কিছু করে দেখানো দরকার'

ফেসবুকে এনিয়ে জলমগ্ন শহরের ছবি দিয়ে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'কলকাতা যখন লন্ডন'। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ তে তৃণমূল সরকার আসার পর বারংবারই কলকাতাকে লন্ডনের সাজানো হবে বলে কিছু খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু বারবার জলে ডুবে লন্ডন তো দূরে কথা কলকাতার করুণ কঙ্কালসার অবস্থাটাই ফুটে বেরিয়া আসে। আর এমনি সময়েই নুনের ছিটে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এখানেই শেষ নয়, ফিরহাদের নাম করে তাঁর বলা উক্তি তাঁকেই মনে করিয়ে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ।


'কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে পারলাম না'

প্রসঙ্গত নারদমামলায় আচমকাই রাজ্যের ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই দিন গ্রেফতার হবার পর প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে ভেঙে পড়েন ফিরহাদ। চোখের জলে ভিজে বলেন, কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে পারলাম না। কারণ সেইসময় কোভিডে কাহিল অবস্থা কলকাতার। আর কোভিড নিয়ে পুরো দায়দায়িত্ব যে তার উপরেই ছিল, এবং তিনি চলে শহরবাসী যে অথৈ জলে পড়বে, সেটা মনে করান ফিরহাদ। যদিও এঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দের ঝড় ওঠে। আর এবার সেই পুরোনো মুহূর্তই আবার তুলে ধরলেন একটানা বৃষ্টির পর।

'লকডাউন কেন তুলছেন না', 'উপনির্বাচন হওয়া উচিত'

'উপনির্বাচন হওয়া উচিত' বলেই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। যথা সময়েই হবে বলে আশাবাদী তিনি। যদিও এই বিষয়ে শুভেন্দুর ভিন্নমত রয়েছে। শুক্রবার শুভেন্দু বলেন, পুরো ভ্যাক্সিন কমপ্লিট হলে নির্বাচন হোক। যদিও এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য উপনির্বাচন চাইছেন। সব স্বাভাবিক যদি থাকে তাহলে লকডাউন কেন তুলছেন না। পুরসভার নির্বাচন কেন করাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।


দিল্লী যাওয়া নিয়ে 'মান্থলি' করার পরামর্শ

পাশাপাশি, দুমাস অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লী যাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। 'মান্থলি' করার পরামর্শ দিয়েছেন। দিল্লি গিয়ে মন্ত্রীদের ধরতে হবে ফান্ডের জন্য আর নিজের পার্টিকে সর্বভারতীয় করতে হবে তাই বিভিন্ন রাজ্যের নেতার কাছে এমএলএ, এমপি সিট চাইছেন। রাহুল গান্ধী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ প্রেসমিট করেননি, কারণ বুঝে গিয়েছেন উনার সাথে গেলে সর্বনাশ হবে। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য ওনার সঙ্গে সমঝোতা করতে চাইছেন।'



 অবশেষে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। তৃণমূলের মুখপত্রে প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসের উত্তর সম্পাদকীয় স্তম্ভের চতুর্থ তথা শেষ কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। সেখানে মমতাকে 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী' ও 'জননেত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে মমতাকে 'অন্যতম সেরা বাঙালি নারী' বলে উল্লেখ করেছেন অজন্তা। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মমতার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন তিনি।

তৃণমূলের মুখপত্রে তাঁর উত্তর সম্পাদকীয় স্তম্ভে অজন্তা লিখেছেন, কী ভাবে বার বার কঠিন লড়াই জিতে 'অগ্নিকন্যা', 'দিদি', 'ঘরের মেয়ে' হয়ে উঠেছেন মমতা। সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর উত্থান বাংলার রাজনৈতিক পরিসরে মহিলাদের সামগ্রিক অবস্থানে পরিবর্তন এনেছে বলেই মনে করেন তিনি। অজন্তার লেখায় উঠে এসেছে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গও। জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৈরি গণবিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন মমতা। সেই থেকেই ধাপে ধাপে ক্ষমতা কমতে কমতে '২১-এর বিধানসভায় একটিও আসন পায়নি বামেরা। সিঙ্গুর আন্দোলন ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন অজন্তা। 'কন্যাশ্রী', 'রূপশ্রী', 'সবলা'র মতো মহিলাদের জন্য তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বাংলার মেয়েদের আরও কাছের হয়ে উঠেছেন বলেও মত অনিল-কন্যার।

অজন্তার লেখার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কিস্তিতে উঠে এসেছিল প্রাক্‌ স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে মহিলা রাজনীতিকদের অবদানের প্রসঙ্গ। সেখানে বামপন্থী, অবামপন্থী একাধিক আন্দোলন ও তাতে মহিলাদের অবদানের কথা উল্লেখ থাকলেও মমতার প্রসঙ্গ আসেনি। শেষ পর্বে মমতা প্রসঙ্গে ঢুকলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা।

তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পরে আলোচনা শুরু হয়েছে সিপিএমের অন্দরে। তাঁদের পার্টি সদস্য মমতাকে নিয়ে কী লেখেন সে দিকে নজর ছিল বহু মানুষের। নজর ছিল সিপিএমেরও। বাম মহলের খবর, তৃণমূলের মুখপত্রে কেন লিখছেন সেই বিষয়ে দলের একাংশের তরফে অজন্তার কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে। যদিও তেমন হলে অজন্তা জবাব দিতে প্রস্তুত বলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বক্তব্য। অজন্তার পরিচিতদের একাংশের দাবি, অনিলের প্রয়াণের পরে সিপিএমের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। বরং সাম্প্রতিক কালে অজন্তার পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাজনীতির ঊর্ধ্বে মমতার সঙ্গে অজন্তার পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য। এখন দেখার শেষ পর্বে বাংলার রাজনীতিতে মমতার অবদান ও তাঁর প্রশংসার জন্য সিপিএমের তরফে অজন্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না।


 ফের খুলে যাচ্ছে কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ। শনিবার সকাল থেকেই ভক্তরা ফুল,মালা ও মিষ্টি ইত্যাদি নিয়ে মা কালীকে পুজো দিতে পারবেন। তবে করোনা বিধি মেনে একই সঙ্গে মোট ১০ জন ব্যক্তি গর্ভগৃহে পুজো দিতে যেতে পারবেন। কোভিড পরিস্থির জন্য এতদিন বন্ধ ছিল মন্দিরের গর্ভগৃহ। তবে এবার সকলেই গর্ভগৃহে ঢুকে মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে পারবেন। মা কালীর মন্দিরগুলির মধ্যে খুবই জাগ্রত এবং খ্যাতনামা এই কালীঘাট। তাই এখানে ভক্তদের ভিড় হয় দেখার মতো। সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেলে ৪টে থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। এই সময় পুজো দিতে পারবেন পূর্ণ্যার্থীরা। তবে মাস্ক পরিধান করতে হবে সকলকে। এতদিন মন্দির খোলা থাকলেও, ভক্তরা কেউই মন্দিরে ঢুকে পুজো দিতে পারতেন না। গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি না থাকার জন্য বাইরে থেকেই পুজো দিতে হত। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে উঠে যেতে চলেছে সেই নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকেই পুজো দিতে পারবেন সকলে। তবে কিছু জিনিস নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে থাকছে বিধি-নিষেধ।


 


আগামী সোমবারেই সম্ভবত ত্রিপুরায় পা রাখতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুত্রে খবর, অভিষেকের সঙ্গে থাকবেন ডেরেক ও ব্রায়েন ও আরও ২ রাজ্যের মন্ত্রী। এবার ত্রিপুরা নিয়ে রীতিমতো কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় গিয়ে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা তৃণমূলে যোগদান ঘটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাত্য, মলয় ও কাকলিদের হাত ধরে তৃণমূলে সামিল হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি ও কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক। ফলে পড়শি রাজ্য নিয়ে এখন যথেষ্ট আশাবাদী তৃণমূল। তারা এখন চাইছে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতাদের সেখানে পাঠিয়ে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে। তৃণমূলের আশা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখলে সেখানে তৃণমূলে যোগদানের মাত্রা বাড়বে। আর সেই লক্ষ্যে কিছুটা গুছিয়ে নিয়ে ত্রিপুরায় পা রাখতে চলেছেন অভিষেক।

এদিকে, ত্রিপুরায় কোভিডের নিয়মকানুন আরও কঠোর হয়েছে। ফলে এখন সেই নিয়ম কানুনের বেড়াজালের মধ্যে থেকে ত্রিপুরায় পা রেখে অভিষেক কী বার্তা দেন, সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে রয়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা ও মন্ত্রী। আইপ্যাক কর্মীদের হোটেলবন্দি করানো ইস্যুতে তাঁরা ত্রিপুরা গিয়েছিলেন। কিন্ত সেখানে গিয়ে আইপ্যাকের কর্মীদের ছাড়ানো গেলেও তাঁরা রয়ে গিয়েছেন সেখানে। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, মূলত তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরায় থেকে কর্মীদের মনোবলকে চাঙ্গা করে আরও কিছু যোগদান পর্ব সেরে আসতে চান। সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় না যাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ত্রিপুরাতেই থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, যেভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূল সাড়া পাচ্ছে তাতে আগামী দিনে তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতা নেত্রীদের মধ্যে কাউকে না কাউকে ত্রিপুরাতে রেখে দেওয়ার পন্থা নিতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব। ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের য়াগে সেখানে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল। একসময়ে এই রাজ্যে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ছিল তৃণমূলে। তারা প্রত্যেকেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই পরে বিজেপিতে সামিল হন। ফলে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এখন অভিষেক সফরে এসে কী বার্তা দেন সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

মনে করা হচ্ছে, ত্রিপুরায় গিয়ে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।পাশাপাশি সার্বিকভাবে বিজেপি বিরোধী অবস্থানে অনড় থেকে ত্রিপুরাবাসীর অভাব অভিযোগের বিষয় নিয়েই সরব হবেন তিনি। ত্রিপুরার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় হয়েছে তৃণমূল। খোলা হয়েছে আলাদা ট্যুইটার পেজ। সেখানে প্রতিনিয়ত তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আপডেট হচ্ছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে পড়শি রাজ্য নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।


সল্টলেক সেক্টর ফাইভে যাওয়া আরও সহজ হতে চলেছে। সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ট্রায়াল রান শনিবার অর্থাত্‍ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। বর্তমানে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীদের জন্য মেট্রো চলাচল করছে। এদিকে ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত একদিকে সুরঙ্গ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। রেললাইন থেকে থার্ড‌লাইন পাতার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। শুরু করা হয়েছে চার্জিং। অন্যদিকে, শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের কাজও প্রায় শেষ। সূত্রের খবর, শনিবার থেকে সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ছুটবে যাত্রীবিহীন এই ট্রেন। সব ঠিকঠাক থাকলে পুজোর পরেই যাত্রী সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে শিয়ালদহ স্টেশন। ইস্ট-‌ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে শিয়ালদহ হতে চলেছে সবচেয়ে বড় স্টেশন। শিয়ালদহ স্টেশনে থাকছে ৩০ টি টিকিট কাউন্টার, ১৮ টি এসক্যালেটর, ৫ টি লিফট, ৯ টি সিঁড়ি। শিয়ালদহ স্টেশনে থাকছে মোট ৩ টি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিদিনই বহু যাত্রী ওঠানামা করবে বলে রাখা হয়েছে আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম।


আপ ও ডাউন লাইনের জন্য দু'টি প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও মাঝে থাকছে বিশেষ 'আইল্যান্ড' প্ল্যাটফর্ম। শিয়ালদহ স্টেশনে মেট্রোর দরজা খুলবে দু'দিকেই। সুবিধা পাবে যাত্রীরা। এর ফলে শিয়ালদহ স্টেশন সংযোগের ফলে আরও অনেকটা বাড়বে। শিয়ালদহের যাত্রী-সহ সল্টলেকের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে এই মেট্রোর ভূমিকা অনস্বীকার্য হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সেক্টর ৫-এ যাওয়া অফিসযাত্রীদেরও অনেকটা সুবিধা হবে। খুব দ্রুত এই মেট্রো চালুর জন্য সবদিক খতিয়ে দেখছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

 


দেহের কোনও এমন অংশ নেই যেখানে ট্যাটু করাননি এই যুবক । এমনকী চোখেও করিয়েছেন ট্যাটু। আর শুধু ট্যাটুতেই থেমে থাকনেননি তিনি , কান এবং জ্বিভায় অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। নিজের সমস্ত দাঁত বদলে ধাতুর দাঁতও লাগিয়েছেন এই যুবক । কি অবাক হচ্ছেন বুঝি ? শুনে অবাস্তব মনে হলেও এটাই সত্যি। করণ সিধু নামে দিল্লির এক যুবক দেহের সমস্ত অংশে ট্যাটু করিয়েছেন। ট্যাটুই তার একমাত্র বিষয় নয় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বডিবিল্ডিং ও করেন মনোযোগ সহকারে। ধীরে ধীরে শরীর চর্চার মাধ্যমে নিজেকে মডিফায়েড বডি বিল্ডার তৈরি করেছেন তিনি। ট্যাটুর কারণে তিনি 'ট্যাটুগ্রাফর করণ' নামেও পরিচিত।

শখ একটা বড় জিনিস। মানুষ তার শখ পূরনের জন্য সবকিছু করতে পারে। এমনকি অর্থ ব্যয় নিয়েও চিন্তা করে না। এমনই যুবক হলেন দিল্লির করণ। ট্যাটুগ্রাফর করণ ১৬ বছর বয়সে প্রথম ট্যাটু করান বলে জানান তিনি । তারপর থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে সকলের কাছে হয়ে ওঠেন ট্যাটু আর্টিস্ট। পাশাপাশি নিজের শরীরেও করতে থাকেন ট্যাটু। দেহের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ট্যাটু করেননি তিনি। এমনকী চোখেও করিয়েছেন ট্যাটু। ট্যাটুর পাশাপাশি কান এবং জিভে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। নিজের সমস্ত দাঁত বদলে ধাতুর দাঁতও লাগিয়েছেন করণ। সারা শরীর জুড়ে খালি ট্যাটুর খেলা। সার শরীর সূঁচে এফোড়-ওফোড় হলেও তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই এই সাহসি যুবকের। করণ জানান বেশকয়েকবার ট্যাটু করার সময় প্রায় জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। এমনকী কয়েকটি অস্ত্রোপচারের সময় প্রাণের ঝুঁকিও দেখা দিয়েছিল তার। একদিকে ট্যাটু অন্যদিকে বডিবিল্ডিং, বলতে গেলে দুটোই একসাথে সমান ভাবে পারদর্শিতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এই কাজে অবশ্য করণের পাশে থেকেছেন তাঁর বাবা-মা শোঃ তার পরিবার । করণের বাবা তার ছেলের এই সাহসিকতার পর নিজের শরীরেও বেশকিছু ট্যাটু করিয়েছেন।পেশায় করনের বাবা একজন ফটোগ্রাফার। করণের বাবা জানান , যখন করণ তাঁর চোখে ট্যাটু করিয়েছিল সেই সময় দৃষ্টিশক্তি হারানোর একটা আশঙ্কা ছিল । তবে নিজের ছেলের দৃষ্টিশক্তি যদি হারিয়ে যেত তাহলেই নিজেই চক্ষুদান করতেন বলে জানান।

বাড়ির গাড়িচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল তরুণীর। কিন্তু সম্পর্কে ফাটল ধরে। বিয়েতে রাজি ছিলেন না কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। তারই জেরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল চালকের বিরুদ্ধে। ধরা পড়েছে অভিযুক্ত যুবক।

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের ঈশ্বরীগাছার কাজিপাড়ায়। পুলিশ জানায়, নিহত তরুণীর নাম পাপিয়া পরভিন (২০)। তাঁর বাবা আহাদুল ইসলামের ব্যবসাপত্র আছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজু সোনিকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাপিয়াদের বাড়ির গাড়ি চালাত প্রফুল্লকলোনির বাসিন্দা রাজু। পাপিয়াকে বেড়াচাঁপা কলেজে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসার সূত্রে দু'জনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়



এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি কারও পরিবার। শুরু হয় অশান্তি। মাস আটেক আগে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজুকে। সেই থেকে দু'জনের তেমন দেখা-সাক্ষাত্‍ও ছিল না। পুলিশের দাবি, জেরায় রাজু জানিয়েছে, ইদানীং বিয়েতে আপত্তির কথা জানাচ্ছিলেন পাপিয়া নিজেও। বাড়ছিল তিক্ততা। বুধবার রাতে রাজু এসেছিল বাড়িতে। দরজা খুলে দেন পাপিয়া। দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি বাধে। অভিযোগ, পাপিয়ার গলা টিপে ধরে রাজু। এক সময়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তরুণী। দেহ ঘর থেকে টেনে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রাজু। ধস্তাধস্তির শব্দে পরিবারের একজনের ঘুম ভেঙে যায়। দেহ ফেলে রেখে পালায় রাজু। পাপিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ইদানীং অন্য গাড়ি চালাচ্ছিল রাজু। সেই গাড়ি নিয়ে বুধবার রাতে গিয়েছিল বিয়েবাড়িতে ভাড়া খাটতে। বরকে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে আসে পাপিয়াদের বাড়িতে। পাপিয়াকে খুন করে সেই গাড়ি নিয়েই ফিরেছিল বিয়েবাড়িতে। সকালে বর-বৌকে নিয়ে পৌঁছেও দেয়। তারপরে ফেরে নিজের বাড়িতে। সেখানে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
শুধু প্রতারণা নয়, এক জনকে খুন করারও পরিকল্পনা করেছিল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্য। এর জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করার কথাও ভেবেছিল সে। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই ভাড়াটে খুনির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজর্ষিকে সাহায্য করেছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই কর্মী। ভুয়ো আইপিএস-কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই পরতে পরতে উঠে আসছে এমনই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, নিজের 'পথের কাঁটা' সরাতেই এমন পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্ত।

আইনি জটিলতায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারির হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে দু'লক্ষ টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে গত সোমবার পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি।


তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে রাজর্ষিকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে ধরা হয় পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ সিকন্দর ও হাওড়ার জগাছার অভিজিত্‍ দাস ওরফে সন্তুকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারেন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, নিজেকে আইপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে পার্ক স্ট্রিট থানার এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের সঙ্গে ভাব জমিয়েছিল রাজর্ষি। ওই দুই পুলিশকর্মী রাজর্ষিকে আসল আইপিএস অফিসার বলেই ধরে নিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগে নিজের কাজ হাসিল করতে এক ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে অভিযুক্ত। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এএসআই এবং কনস্টেবলের সাহায্যও চেয়েছিল সে।

তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, রাজর্ষির এক বিশেষ পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ওই ব্যক্তি। যা রাজর্ষির পছন্দ ছিল না। সূত্রের খবর, যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য ওই ব্যক্তিকে একাধিক বার হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু তার পরেও যোগাযোগ রেখে চলায় 'পথের কাঁটা' সরাতে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করে ওই ব্যক্তিকে খুনের পরিকল্পনা করে ভুয়ো আইপিএস। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ভাড়াটে খুনির খোঁজ পেতে একাধিক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাজর্ষি। তার সেই কাজে ওই দুই পুলিশকর্মীর ভূমিকা ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
আজ বেলা ২টোয় প্রকাশিত হবে সিবিএসই-র ফলাফল প্রকাশিত হবে। এই খবর পেতেই উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা। সিবিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ২টোর সময় সিবিএসই-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- cbse.nic.in এবং cbse.gov.in.-এ গিয়ে পরীক্ষার ফলাফল দেখতে পাবেন।


শুক্রবার সকালে একটি টুইট করেছে CBSE বোর্ড। সেখানে জানান হয়েছে এই খবর। মজার বিষয় হল 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' ছবির একটি দৃশ্য নিয়ে সেখানে লেখা হয়েছে-'আখির ও দিন আ হি গ্যায়া' (অবশেষে সেই দিনটি এসে গিয়েছে)। করোনা, লকডাউনের জেরে আটকে ছিল সিবিএসই রেজাল্টের ফল প্রকাশের দিন। অবশেষে সেই দিন ঘোষণা হতে স্বস্তিতে শিক্ষার্থীরা।


প্রসঙ্গত, করোনা আবহে এবার সিবিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়নি। কাজেই রোল নম্বরও পাননি পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা না হওয়ায় চলতি বছর মূল্যায়ণের ভিত্তিতেই ফল প্রকাশিত হতে চলেছে।

সিবিএসই-র সরকারি ওয়েবসাইট cbse.nic.in ও cbse.gov.in -এ ফল জানা যাবে। এ ছাড়া উমঙ্গ অ্যাপ বা ওয়েবসাইট umang.gov.in-এও ফল জানা যাবে। সরাসরি ফোন করে বা এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যেতে পারে। ইন্টার অ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স সিস্টেমের মাধ্যমে ফল জানতে গেলে দিল্লির ক্ষেত্রে ফোন করতে হবে ২৪৩০০৬৯৯ নম্বরে। দিল্লির বাইরে হলে ফোন করতে হবে ০১১-২৪৩০০৬৯৯ নম্বরে।

সিবিএসই-র পক্ষ থেকে মূল্যায়ণের যে মাপকাঠি দেওয়া হয়েছিল, তার ভিত্তিতে সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলগুলি পড়ুয়াদের নম্বর পাঠিয়ে দিয়েছে বোর্ডে। এরপরই ফল প্রকাশিত হবে।




কীভাবে রোল নম্বর ফাইন্ডার অ্যাকসেস করা যাবে



সিবিএসই বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।

স্ক্রোল করে পেজের নিচে নামুন। 'Roll Number Finder' লেখা অংশের ওপরে ক্লিক করুন।

এর পর একটা নতুন পেজ খুলবে। এরপর সেটায় 'Continue লেখায় ক্লিক করুন।

পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শ্রেণি বাছুন।

এর পর নিজের নাম, বাবার নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিন।

এর পর দশম বা দ্বাদশের রোল নম্বর জানতে সার্চ করুন।

টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস। ৬৯ কেজি ওয়াল্টার ওয়েট বিভাগে চাইনিজ তাইপে অর্থাত্‍ তাইওয়ানের চেন নিয়েন চিনকে হারিয়ে বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে উঠে গেলেন ভারতের লভলিনা বরগোঁহাই (Lovlina Borgohain )। সেই সঙ্গে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করে ফেললেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে লভলিনা জিতলেন ৪-১ পয়েন্টের ব্যবধানে।


গতকালই মেরি কমের (Mary Kom) হতাশাজনক ফলাফলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে হতাশাজনক হারের মুখ দেখতে হয়েছিল কিংবদন্তিকে। তবে, মেরি কমের সেই হতাশা দূর করলেন উত্তর পূর্ব ভারতেরই আরেক কন্যা।


প্রথম অসমিয়া বক্সার হিসাবে অলিম্পিক পদক নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়লেন লভলিনা বরগোঁহাই। কোয়ার্টার ফাইলানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী চাইনিজ তাইপের চেন নিয়েন চিন ধারেভারে তাঁর থেকে এগিয়েই শুরু করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পরই বদলে যায় ছবি। পদক জয়ের আশায় এদিন যেন অপরাজেয় মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন ভারতের সোনার মেয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে দেখা যায় লভলিনাকে। প্রথম রাউন্ডে তিনি জেতেন ৩-২ এর স্লিট পয়েন্টে। দ্বিতীয় রাউন্ডে রক্ষণ এবং আক্রমণের অনবদ্য মিশেল দেখান লভলিনা। এই রাউন্ডে তিনি জেতেন সর্বসম্মতিক্রমে। ফলে শেষ রাউন্ডে শুধু নক-আউট না হলেই পদকজয় নিশ্চিত ছিল লভলিনার। তাই শেষ রাউন্ডে খানিকটা রক্ষণাত্মক খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিচারকরা ৪-১ পয়েন্টের ব্যবধানে লভলিনাকেই জয়ী ঘোষণা করে দেন। সেই সঙ্গে ইতিহাসের খাতায় নাম তুলে দেন অসমের এই বক্সার। সেমিফাইনালে ওঠার ফলে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করে ফেলেছেন লভলিনা। সেমিফাইনালে তুরস্কের বক্সারকে হারাতে পারলে রুপোজয়ও নিশ্চিত করতে ফেলতে পারবেন তিনি।ইতিমধ্যেই লভলিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।


এদিকে, লভলিনার পাশপাশি এদিন ভারতের জন্য সুখবর এসেছে তিরন্দাজি থেকেও। কঠিন লড়াইয়ের পর রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে তিরন্দাজির ব্যক্তিগত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেন দীপিকা কুমারীও। তবে, দীপিকা আশা জাগালেও হতাশ করেছেন শুটার মনু ভাকের। ২৫ মিটার এয়ার পিস্তলে ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তিনি। এদিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টিংয়ে ফাইনালে উঠতে পারেননি ভারতের দ্যুতি চাঁদও
ভুয়েো টিকা কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব কসবার শিবিরে যে টিকা ব্যবহার করেছিলেন সেগুলো আদৌ কোভিশিল্ড নয়। বৃহস্পতিবার তা নিশ্চিত করল পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট।

কসবায় ওই শিবিরে ব্যবহৃত টিকা এবং শিশি সেরাম ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার রিপোর্ট জমা পড়েছে লালবাজারে। ওই রিপোর্টে সেরাম দাবি করেছে, কসবা থেকে উদ্ধার হওয়া টিকার শিশির উপর কোভিশিল্ড লেখা লেবেল লাগানো হয়েছিল। ওই লেবেলগুলো তাদের নয়।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শিশিগুলির উপর কোভিশিল্ড লেখা লেবেল লাগানো থাকলেও তা তুলে ফেলতেই তার নীচে আরও একটি লেবেল মেলে। বৃহস্পতিবার সেরামের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা হলে শিশির ভিতরে কী তরল ছিল।


যাঁরা এই ভুয়ো টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে কী তরল প্রয়োগ করা হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

কসবায় ভুয়ো টিকা শিবির খুলে গ্রেফতার হয়েছেন দেবাঞ্জন দেব। তাঁর বিরুদ্ধে অনুচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। শুধু ভুয়ো টিকা শিবিরই নয়, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো আইএএস অফিসার সেজে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কোভিড অতিমারি শুরু হতেই মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিটের অবৈধ ব্যবসা। ভুয়ো আইএএস আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে।
উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary Exam 2021) ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় একাধিক স্কুলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। খাস কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রী আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বসেছিলেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাকদহে। রেজাল্ট না আসায় স্কুলের ছাদে উঠে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দিলেন ৫ ছাত্র। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস নিলে নামে তাঁরা।

বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদহের মদনপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের পাঁচ পড়ুয়া এদিন আচমকা ছাদে উঠে পড়ে। তাঁদের অভিযোগ, 'আমরা হেড স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু স্যার আমাদের রেজাল্ট দিচ্ছেন না।


বলছেন, আমরা নাকি ফর্ম ফিলাপ করিনি। তাই আমাদের রেজাল্ট হাতে পাইনি। কিন্তু এটা আমরা মানব কী করে? পাশ তো সবাই করেছে, ফেল হলে তো আলাদা ব্যাপার। আমাদের রেজাল্ট শো করছে না। দেখাচ্ছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল। আমরা প্রজেক্ট জমা দিয়েছি। প্রজেক্টে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েছি। সই করেছি। তবুও স্যার বলছেন, ফর্ম ফিলাপ করিনি। আমাদের রেজাল্ট দেওয়া হোক, স্যার আমাদের স্পষ্ট করে জানান। না হলে আমরা ছাদ থেকে ঝাঁপ দেব। আমরা কেউ বড়লোকের ছেলে না। আমাদের অভিভাবকরা লকডাউনের  মধ্যে টিউশনি দিয়ে আমাদের পড়িয়েছেন। অভিভাবকরা স্কুলে প্রথম দিন এসেছিলেন, রেজাল্ট নেওয়ার জন্য। অথচ অভিভাবকদের সামনে বলা হয়েছে, আমরা ট্যাবের টাকা পাওয়ার পর স্কুলে যোগাযোগ রাখিনি। অথচ ট্যাবের টাকা পাওয়ার পর ফোন কিনেছি। স্কুলে এসেছি। প্রজেক্ট জমা দিয়েছি, ক্লাস অ্যাটেন্ড করেছি। যে স্যারেরা আমাদের ক্লাস নেন, তারাও আমাদের মুখ চেনেন।' স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য তাপস মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, 'প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে শুনেছি ওরা উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary Exam 2021) ফর্ম ফিলাপ করেনি।ট্যাবের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিল। '

অন্যদিকে, উচ্চ মাধ্যমিকের ফল নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই ৩৭ জন জেলা স্কুল পরিদর্শক (ডিআই) কে বদলি করল রাজ্য সরকার। উচ্চমাধ্যমিকের ফল বিভ্রাটের পর এই গণবদলির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলশিক্ষা দপ্তর যদিও রুটিন বদলি বলেই জানিয়েছে।
বাড়ির পিছনে চলছিল কুয়ো খোঁড়ার কাজ। কাজ হচ্ছিল পুরোদমে। আচমকাই বড়সড় কোনও কিছুতে ধাক্কা লাগল। আর ভাল করে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল বিশালাকার নীলা বা Sapphire Cluster। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকেই। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার রতনপুর এলাকায় অনেক জায়গাতে মাটি থেকে নানারকম রত্ন খুঁজে পাওয়া যায়। গ্যামেজ নামে ওই রত্ন ব্যবসায়ীর বাড়ির নিচেই মিলল বড় আকারের ওই নীলাটি। জানা গিয়েছে, গ্যামেজের বাড়ির পিছনে কুয়ো খোঁড়ার কাজ চলছিল।


যিনি কুয়োটি খুঁড়ছিলেন, আগেভাগেই এই ব্যাপারে আভাসও দিয়েছিলেন। আর খননকার্য চলকালীনই আচমকা বেরিয়ে আসে দামী ওই পাথরটি। দেখা যায়, সেটির ওজন প্রায় ৫১০ কিলোগ্রাম। 'Serendipity Sapphire' নামও রাখা হয়েছে পাথরটির


কিন্তু জানেন কী আন্তর্জাতিক বাজারে এই নীলাটির দাম কত? জানা গিয়েছে, এর দাম হতে পারে ১০ কোটি মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে গ্যামেজ মূল্যবান এই পাথরটির ব্যাপারে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে তিনি আরও জানান, এখনই সেটি বিক্রি করা যাবে না। আপাতত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাথরটিকে পরিস্কারের কাজ চলবে। এরপরই সেটি অ্যানালাইজ করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তারপরই তা বিক্রি করা হবে। শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল জেম এবং জুয়েলারি অথরিটির পক্ষ থেকে তিলক বিরাসিংঘে জানান, এটি আর পাঁচটি নীলার মতো নয়, তাঁদের থেকে পৃথক। তবে মনে হয় এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলা। পাশাপাশি এটির যা দাম হয়তো কেউ ব্যক্তিগত মালিকানায় রাখার জন্য কিংবা মিউজিয়ামে রাখার জন্য এটি কিনেও নিতে পারেন।
ইলিশের ভরা মরশুমে এমন যে দেখতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি মাছচাষিরাও! বুধবার, দিঘার মোহনায় ধরা পড়ল এক দৈত্যাকৃতির ‘কই ভোলা’ মাছ । প্রায় ১৫০ কেজি ওজনের সেই মাছটি রফা হল ৩৫ হাজার টাকায়!

মত্‍স্যজীবীরা জানিয়েছেন, বুধবার অন্যান্য দিনের মতোই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকা, মাঝসমুদ্রে জালে টান পড়ে। মাছচাষিরা বুঝতে পারেন জালে ভারি কিছু আটকে গিয়েছে। কিন্তু কী আটকেছে তা তখনও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা। জাল টেনে তুলতেই দেখা গেল এক বৃহদাকার ‘কই ভোলা’ মাছ ধরা পড়েছে। মাছটির ওজন কমপক্ষে ১৫০ গ্রাম। দিঘার মোহনায় অমন মাছ ধরা পড়তেই হইচই পড়ে যায়।


দৈত্যাকার মাছটিকে দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকে ছুটে আসেন অনেকে। মাছটিকে আনা হয় মোহনা বাজারে। সেখানে চড়া দাম ওঠে মাছটির । পরে, বসিরহাটের এক ব্যবসায়ী ৩৫ হাজার টাকায় বৃহদাকার ‘কই ভোলা’-টি কিনে নেন।

মাছচাষিরা আরও জানিয়েছেন, বিশালাকৃতির ওই মাছটি ওড়িশার পারাদ্বীপে এস এস সি নামের একটি ট্রলারে উঠেছিল। সেখান থেকেই সেটিকে দিঘার মোহনা বাজারে আনা যায়। সাধারণত, ‘কই ভোলা’ মাছ আকারে ছোট হয়। কই ও ভোলা মাছের সংকর এই মাছটি যেমন সুস্বাদু তেমনি বাহারি। বাজারে খুব সহজে পাওয়া না গেলেও মাছপ্রিয়দের পছন্দের তালিকায় থাকে এই মাছ। তবে, এত বেশি ওজনের ‘কই ভোলা’ কোনওদিন মত্‍স্যজীবীরাও সাম্প্রতিককালে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাটতে না কাটতে রাজ্যে আগমন ঘটেছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের। তাই বর্তমানে এই করণা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভের একমাত্র মোক্ষম অস্ত্র হলো ভ্যাকসিনেশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কভিড ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে। এরই মধ্যে অন্যতম হলো দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্প। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নিজেকে ক্লান্ত অনুভব করার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই দিচ্ছে এই দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্প ।আজ নামখানা সমষ্টি উন্নয়ন অফিসে দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় 100 জনকে কভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হল। এই বিষয়ে নামখানা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সান্তনু সিংহ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আজকে বিডিও অফিসে মূলত তারাই ভ্যাকসিন পেল যারা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করে চলেছেন। মূলত আজকে নামখানা ব্লকের বেশ কিছু মিডিয়া পারসন এবং সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেল। তবে শুধু আজ নয় এর আগেও নামখানা বিডিও অফিসের ব্যবস্থাপনায় নামখানা ব্লক এর বিভিন্ন স্তরের মানুষ কভিড ভ্যাকসিন পেয়েছেন। 
এ যেন অস্ত্রের ভাণ্ডার!

গ্রেফতার হওয়া ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দিয়ে মঙ্গলবার রাতে এই উপলব্ধিই হয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দাদের। পুলিশ সূত্রে বুধবার জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার পি সি ব্যানার্জি লেনে রাজর্ষির দোতলা বাড়ি থেকে মিলেছে মোট সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে রাইফেল, দো-নলা বন্দুক, এয়ারগান, রিভলভার এবং পিস্তল। এ ছাড়াও তল্লাশিতে মিলেছে প্রচুর কার্তুজ।

এত আগ্নেয়াস্ত্র এক জন ভুয়ো পুলিশের কাছে আসে কী করে? তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় রাজর্ষি জানিয়েছে, তার সব ক'টি আগ্নেয়াস্ত্রেরই লাইসেন্স রয়েছে। সে উত্তর কলকাতার রাইফেল শুটিং ক্লাবের সদস্য। তার বাড়ি থেকে যে রাইফেল উদ্ধার হয়েছে, তা শুটিং অনুশীলনের জন্যই ব্যবহার করা হত


আর উদ্ধার হওয়া রিভলভারটি তার দেহরক্ষীর। কিন্তু এয়ারগান বা দো-নলা বন্দুকটি কী কাজে ব্যবহার করা হত, সে সম্পর্কে রাজর্ষি কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। শুটিংয়ের অনুশীলন বা তার দেহরক্ষীর রিভলভার ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তাঁকে আইনি জটিলতায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারির হুমকি দিয়ে দু'লক্ষ টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে গত সোমবার পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ রাজর্ষিকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ সিকন্দর ও হাওড়ার জগাছার অভিজিত্‍ দাস ওরফে সন্তুকে। জানা যায়, আইপিএস সেজে রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল রাজর্ষি। নীল বাতির পাশাপাশি আইপিএস-দের মতোই স্টার লাগানো গাড়িতে চড়ে ঘুরত সে। সিকন্দর ছিল রাজর্ষির গাড়িচালক। রাজর্ষির সঙ্গে সর্বক্ষণ থাকত বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষীও। তাদেরই এক জন অভিজিত্‍। রাজর্ষি নিজেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) ডেপুটেশনে থাকা আধিকারিক বলে পরিচয় দিত। এমনকি, নিজেকে গুপ্তচর সংস্থা 'র'-এর কর্মী বলেও দাবি করত সে। তার এই সব পরিচয় পেয়ে তটস্থ হয়ে থাকতেন আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা।

ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাজর্ষির বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি স্টার লাগানো আইপিএসের ব্লেজ়ারও মিলেছে। এ ছাড়াও ছিল বেশ কয়েকটি খাকি উর্দি। সেগুলি সম্পর্কে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তিন লক্ষ টাকার উত্‍স সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাজর্ষি বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে যেত। সেখানেই ভাব জমাত 'টার্গেটদের' সঙ্গে। তার পরেই শুরু হত 'কাজের' কথাবার্তা। জানা গিয়েছে, সে ভাল ছবি আঁকতে পারে। ছবি কিনে প্রভাবশালীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করত। পুলিশের অনুমান, সে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছবি কিনে বড় শিল্পীদের আঁকা বলে লোকজনের কাছে চড়া দামে বিক্রি করত। 
আজ সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অক্ষয়নগর কালি নগর উত্তর শিবপুর রেল গেটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি জলমগ্ন মাঠে হঠাৎ একটি মৃত দেহ ভেসে উঠেছে । মৃত ব্যক্তির নাম পবিত্র সামন্ত, ঘটনা স্থল থেকে জানাযায় গত চার দিন অর্থাৎ সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ঐ মৃত ব্যক্তি। আজ সকাল নাগাদ মৃতদেহ টি ভেসে উঠে ঐ এলাকায় এবং এলাকার মানুষ ঐ মৃতদেহটি দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ কাকদ্বীপ হারুপয়েন্ট কোষ্টাল থানার পুলিশ প্রশাসন কে খবর দেন এলাকার মানুষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন জলমগ্ন মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়, মৃতদেহটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ছবি : সংগৃহীত 

 ট্রলারডুবি হলো বঙ্গোসাগরে। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ বর্ডার এর কাছে ভধু মা। নামে ট্রলারটি ডুবে যায়। প্রবল জলের ডেউ এ ট্রলারের তলা ফেটে যায়। বিপদ সংকেত বাজিয়ে দেওয়ার, সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশে মাছ ধরতে থাকা কাকদ্বীপের দুটি  ট্রলার দ্রুত গতিতে চলে আসে। অনেক চেষ্টা করে ওই ট্রলারের মধ্যে থাকা 16 জন মৎসজীবি কে  তারা উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে। কয়েকদিন আগে কুলতলি থানার সানকি জান এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস নামে ট্রলার মালিকের এই ভোদু মা ট্রলারটি মাছ ধরতে বেরিয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ এই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বলে জানা গেছে। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সন্ধানে রওনা দিয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রলার গত 14 তারিখে বঙ্গোপসাগরে হৈমবতী ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় 10 জন মৎসজীবি প্রাণ হারিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে ভোদু মা  ট্রলার টি ডুবে গেলেও প্রাণে বেঁচে যায় 16 জন মৎসজীবি।

 


 শহরে ফের ভুয়ো অফিসারের খোঁজ। নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করত সুমন ভৌমিক নামে ওই যুবক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। সে আবার একসময়ে কলকাতা পুলিশে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করত বলে জানা গিয়েছে।


পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সুমন একসময় কলকাতা পুলিসে সিভিক ভলান্টিয়ার পদে চাকরি করত। অথচ নিজেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিত বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধের নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, ভুয়ো টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪৮ লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করেছে। এই মর্মে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তত্‍পর হন লালবাজারে গোয়েন্দারা। এরপর তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রতারককে। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর থেকেই একের পর এক ভুয়ো আধিকারিক, বিচারক, সেনা, মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের ঘটনা থেকে রাজ্য জুড়ে নীল বাতি দেওয়া গাড়ি এবং বিভিন্ন স্টিকার দেওয়া গাড়ির ওপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। গোটা রাজ্য জুড়ে এখন জালিয়াতি নিয়ে তোলপাড়। দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরে এক মহিলা নিজেকে সিআইডি পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে।

আবার পুলিশ কমিশনারকে বাবা পরিচয় দিয়ে সুলগ্না ঘোষ নামে এক ভুয়ো ট্রাফিক সার্জেন্ট গ্রেফতার হয়েছে। জগাছা থেকে এক ভুয়ো সিআইডি অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগর থেকে আরও এক ভুয়ো আইএএস অফিসারের গ্রেফতারের পর কলকাতা পুরসভার ভুয়ো ফুড ইন্সপেক্টর পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। গতকালই রাজশ্রী ভট্টাচার্য নামে এক ভুয়ো আইপিএস অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন সুমন ভৌমিক।

  


রমরম করে চলছিল গাঁজার বেআইনি কারবার। নতুন বোলেরো গাড়িও কিনে ফেলেছিল পাচারকারীরা। এই চক্রের দুই যুবককে ধরার জন্য তক্কেতক্কেই ছিল দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ। মঙ্গলবার প্রায় ১৬ কেজি গাঁজা ও নগদ ৮০ হাজার টাকা সহ ওই দু'জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বীরেন কর ও প্রশান্ত রক্ষিত। বীরেন বাঁকুড়ার রাজগ্রামের বাসিন্দা। সেই এই চক্রের মূল পান্ডা বলে মনে করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন বীরভানপুর বিসর্জন ঘাটের কাছে ওত পেতেছিল পুলিশ। খবর ছিল, এখানেই গাঁজা নিয়ে হাজির হবে দুজন। টাকাপয়সার লেনদেনও হবে। পুলিশ জানায়, সাদা রঙের বোলেরো গাড়ি চেপে ঠিক সময়েই ঘটনাস্থলে এসেছিল বীরেন ও প্রশান্ত। গাড়িটি দেখেই সজাগ হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। ঘিরে ফেলা হয় গাড়ি। গাঁজা ও নগদ টাকা সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই যুবক। গাড়িটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে ওড়িশা থেকে গাঁজা এনে বাঁকুড়া, আসানসোলের বেশ এলাকায় পাচার করে তারা। আরও অন্যান্য জেলাতেও গাঁজা সরবরাহ করা হয়। ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই চক্রের জাল কতটা ছড়িয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল এলাকায় কোনও বড় অপরাধ চক্রের সঙ্গে এদের যোগসাজস আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

  


পাচার করার আগেই প্রায় হাজার খানেক টিয়াপাখি উদ্ধার করল রেল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদায়। গোপন সূত্রে খবর অনুযায়ী মালদা আরপিএফের একটি দল মালদা স্টেশনে এসে পৌঁছোন। মঙ্গলবার রাতে কলকাতাগামী ডাউন যোগবানি এক্সপ্রেসের একটি সংরক্ষিত কামরা থেকে ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে মালদা রেল পুলিশ।


উল্লেখ্য, ট্রেনের ৮ নম্বর স্লিপার কোচ সন্ধান করে প্রায় হাজার খানেক টিয়া ও একটি বিরল প্রজাতির ময়না পাখি উদ্ধার করা হয়। তার সাথে ধরা পড়ে শেখ শহীদ নামে এক চোরাকারবারি। এদিন রাতেই আরপিএফ মালদা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের অফিসারের কাছে অভিযুক্ত সহ টিয়া পাখি গুলো তুলে দেওয়া হয়। তবে, পাখিগুলি কোথা থেকে সে নিয়ে এসেছিল, বা কোথায় পাচারের ছক ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। মালদা আরপিএফ এর ইন্সপেক্টর বি শর্মা আরও জানান, 'ধৃত যুবক কাটিহার থেকে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিল। আর সেই টিকিট বর্ধমান পর্যন্ত কাটা ছিল। বিশেষ সূত্রে খবর, আগে থেকেই ছিল যার ফলে ট্রেনটি যখন তিন নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকে তখনই আমাদের আরপিএফ কর্মীরা ৮ নম্বর স্লিপার কোচের উঠে তল্লাশি চালিয়ে টিয়া পাখি সমেত ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে ধৃত ওই যুবক পাখিগুলি কোথা থেকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল সেটা এখনও পরিষ্কার হয়নি। তবে ওই যুবক পাচারকারীর কাজে যুক্ত। আমরা উদ্ধার হওয়া পাখিগুলি সহ ধৃত ওই যুবককে মালদা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের হাতে তুলে দিয়েছি।'


আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipur Weather Update)।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে উপর সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা। আর সেই কারণে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে আগামী ২৪ ঘণ্টা। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর- এই সমস্ত জেলাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হবে বর্ধমান, পুরুলিয়া, নদিয়াতে।

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে। কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।


বৃহস্পতিবার থেকে হবে অতি ভারী বৃষ্টি। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সর্তকতা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমে। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। শুক্রবার দু-এক পশলা অতি ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পূর্ব বর্ধমানের ঝাড়গ্রাম জেলাগুলিতেও।

এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু নদীর জল স্তর বাড়তে পারে। কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভার এলাকাগুলিতে কিছু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে। অন্যান্য জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে
বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘোলা থানা এলাকার রূপায়ণনগরে। মৃতার নাম নিশা সাউ (২৪)। তাঁর দুই হাতের কব্জি ও গলায় গভীর ক্ষতের দাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনার পরে নিশার স্বামী বিনোদ সাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিনোদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।

পুলিশ জানিয়েছে, নিশার পরিবার থাকে টিটাগড়ে। বিনোদের বাড়ি কামারহাটিতে। গত বছর বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। রূপায়ণনগরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। পুলিশকে বিনোদ জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, দরজায় তালা ঝুলছে।

স্ত্রীর সাড়াশব্দ নেই। সেই খবর ফোনে নিশার পরিবারকে জানান বিনোদ। এর পরে রাত পৌনে ১টা নাগাদ পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভাঙে। রান্নাঘরের ভিতর থেকে মুখে বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় নিশার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় ও দু'হাতের কব্জিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ঘোলা থানার পুলিশ।

নিশার পরিজনেদের দাবি, তাঁকে খুন করার পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই বিনোদ বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার গল্প ফেঁদেছেন। বিনোদের দাদা মনোজ সাউয়ের অবশ্য দাবি, ''আমার ছোট ভাই বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকত। ওদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। ভাই যেখানে গাড়ি চালায়, কাজ সেরে সেখান থেকে অনেক রাতেই বেরিয়েছিল। ভাই কোনও ভাবেই খুনের সঙ্গে জড়িত নয়
লাগাতার বিক্ষোভের জের। অবশেষে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ১০০ শতাংশ পাস করানোর সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। পথ অবরোধ থেকে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল ছাত্রছাত্রীরা। তার পরেই কাউন্সিলের পক্ষ থেেক মাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই ১০০ শতাংশ পাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পূর্ব ঘোষিত দিনেই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। মাধ্যমিকে ১০০ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী পাস করলেও উচ্চ মাধ্যমিকে কিন্তু অনেকটাই কম পাস করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার ৯৭ শতাংশের কিছু বেশি ছিল। জেলায় জেলায় পাসের হার ৯০ শতাংশ বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ


উচ্চ মাধ্যমিকে একাধিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা পাস করতে পারেননি । এই নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে জেলা। বসিরহাট থেকে শুরু করে বনগাঁ, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। পথ অবরোধ থেকে শুরু করে স্কুলে ঢুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। পরীক্ষা না হওয়ার পরেও কেন তাঁদের পাস করানো হল না তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই রেজাল্ট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মাধ্যমিকের মত উচ্চমাধ্যমিকেও শুরু হল একশো শতাংশ পাশ করানোর প্রক্রিয়া। করোনা সতর্কতায় এবার দুটি পরীক্ষাই হয়নি। আগের পরীক্ষাগুলিতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে বিকল্প মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হয়। মাধ্যমিকের সবাই পাশ করলেও উচ্চমাধ্যমিকে দেখা যায় প্রায় কুড়ি হাজার ছাত্র-ছাত্রী ফেল করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে তলব করেন। বৈঠক শেষে সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। সংসদ সূত্রে খবর, সমস্ত ফেল করা ছাত্র ছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে।

সংসদ ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়েছে ২৯ জুলাই-এর মধ্যে অসন্তুষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন নিয়ে স্কুলগুলিকে আসতে হবে। ৩০ জুলাই থেকে নতুন মার্কশিট পাবেন পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যে একটি ছাপানো মুচলেকা ডিআইদের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে সই করিয়ে নিচ্ছে সংসদ। মুচলেকায় প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জদের জানাতে হচ্ছে, "আমাদের ত্রুটির কারণেই কিছু ছাত্র-ছাত্রীর ভুল নম্বর এসেছে। তার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। দয়াকরে নতুন মার্কশিট দেওয়া হোক
পরপর দু'দিন করোনার টিকা নিতে বনগাঁর একে বালা প্রাথমিক স্কুলে এসেছিলেন এক যুবক। কিন্তু টিকা মেলেনি। প্রথমদিন সকালে এসে লাইনের অনেক পিছনে পড়ে যাওয়ায় টিকা পাননি। পরের দিন আগে লাইন পেতে ভোর রাতে টিকাকরণ কেন্দ্রে যান তিনি। কিন্তু গিয়ে দেখেন, তাঁর আগে অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। শেষে ওই যুবক আগের দিন সন্ধ্যা থেকে লাইন দিয়ে পরের দিন সকালে টিকা পান।

উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, বসিরহাট, বারাসত মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতেই টিকা পেতে রাতভর লাইন দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেক ক্ষেত্রে রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়েও শেষপর্যন্ত টিকা মিলছে না বলে অভিযোগ। টিকার লাইনকে কেন্দ্র করে দালাল চক্র গজিয়ে ওঠার অভিযোগও উঠছে


জেলার প্রতিটি ব্লকে রোজ টিকাকরণ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। বাগদা ও গাইঘাটা ব্লকে সোমবার টিকাকরণ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে টিকা না এলে মঙ্গলবার থেকে আর সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে না। দিন কয়েক আগে আমডাঙা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে টিকা নেওয়ার লাইনে দাঁড়ানোর নিয়ে ঝামেলা হয়। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। অভিযোগ সরকারি অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করে টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েও অনেক সময় মিলছে না টিকা।

বনগাঁ পুর এলাকার চারটি জায়গা থেকে নিয়মিত করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগে আসার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে মানুষ আগের দিন রাত থেকে মাদুর, মশা মারা ধূপ নিয়ে টিকাকরণ কেন্দ্রে চলে আসছেন। সকালে যাঁরা আসছেন, তাঁদের সঙ্গে রাত জাগা মানুষদের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হচ্ছে। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে রাতে একজন এসে তাঁর পরিচিত বা আত্মীয়স্বজনদের জন্যও লাইন রেখে দিচ্ছেন ইট বা অন্য কোনও জিনিসপত্র দিয়ে। ফলে অনেকে সশরীরে এসেও লাইনে পিছিয়ে পড়ছেন। যা নিয়ে ঝামেলা বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিভিক ভলান্টিয়ার বা পুলিশ মোতায়েন রাখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, কেউ কারও জন্য লাইন রাখতে পারবেন না। সোমবার দুপুরে একে বালা প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভিতরে সিভিক ভলান্টিয়ারের উপস্থিতিতে টিকাকরণ চলছে। বাইরে জনা কুড়ি মানুষের জটলা। তাঁরা কেউ ভোরে, কেউ সাত সকালে এসেও এ দিন টিকা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজ এক একটি কেন্দ্র থেকে গড়ে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভিড় হচ্ছে অনেক বেশি। যদিও বাসিন্দাদের দাবি, এক একটি কেন্দ্র থেকে রোজ ৫০-৬০ জনের বেশি টিকা দেওয়া হচ্ছে না। পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, 'ভ্যাকসিন সরবরাহ যেমন হচ্ছে, তেমনই দেওয়া হচ্ছে।'

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জেলায় চাহিদার তুলনায় প্রতিষেধকের সরবরাহ কম থাকার কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত জেলায় টিকা মজুত আছে মাত্র ৪০-৪২ হাজার। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, 'রাজ্য থেকে যেমন ভ্যাকসিন মিলছে, সেভাবেই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
ফোন করে বলা হত, 'অ্যামাজনের গ্রাহক পরিষেবা থেকে বলছি।' আগ বাড়িয়েই জানিয়ে দেওয়া হত, বহুজাতিক ওই বিক্রেতা সংস্থা ব্রিটেনের মানুষের জীবনধারা সংক্রান্ত সমীক্ষা চালাচ্ছে, সেই সমীক্ষার সূত্রেই যোগাযোগ করা। আপাত নিরীহ এই অনুরোধের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতারণার চেষ্টার নাগাল পেতেন না ব্রিটেনের মানুষ। সেই সুযোগেই তাঁদের থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিত কলকাতার এক ভুয়ো কলসেন্টার। এক কামরার ঘরে পার্ক সার্কাস চত্বরে বসে চলত এই প্রতারণা চক্র। সোমবার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা।

কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টারের ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। গত কয়েক মাসে তপসিয়া, সল্টলেক এবং পূর্ব কলকাতার তিলজলা এলাকার চৌবাগা রোড এলাকায় হানা দিয়ে এমনই আরও অন্তত তিনটি ভুয়ো কলসেন্টারের খোঁজ পেয়েছে কলকাতা পুলিশ।


গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১ জনকে। সোমবারের ঘটনায় এই ধরনের প্রতারণা চক্রে গত কয়েকমাসে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা ৪২-এ পৌঁছল।

সোমবার যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশেরই বয়স ১৯ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। একজনের বয়স ৩৬। মঙ্গলবারই তাদের আদালতে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ
কেরলের চেঙ্গানুর জেলায় আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা। স্ত্রীর প্রেমিকের গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালালেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে তিরুবল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে চেঙ্গানুর পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানায়।


পুলিশ জানিয়েছে, জখম ৪৫ বছরের ব্যক্তি মুণ্ডনকাভুতে অভিযুক্তের স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন। অভিযুক্ত (৪৬)-র সঙ্গে তাঁর স্ত্রী (৪০) বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিও দাখিল করেছেন। কিন্তু গত শনিবার অভিযুক্ত মুণ্ডনকাভুতে আসেন এবং স্ত্রীর প্রেমিকের গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এয়ার পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে দেন।


গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে তিরুবল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


ঘটনায় পুলিশের কাছে দায়ের হয়নি লিখিত অভিযোগ


পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, আঘাত সামান্য ভেবে আহত ব্যক্তি বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই গোপনাঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। এরপর তিনি আবার হাসপাতালে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার ব্যাপারে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। কারণ, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি।


এদিকে, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে নাবালিকা কন্যাকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সোমবার জানিয়েছে, এই ঘটনা অনার কিলিং বলেই মনে করা হচ্ছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই পিস্তল দিয়েই ধৃত নিজের মেয়েকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।


বিলসি এলাকার গ্রামে গত শুক্রবার বিকেল চারটেয় ১৭ বছরের এই নাবালিকাকে তার বাবা গুলি চালিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) সঙ্কল্প শর্মা জানিয়েছেন যে, একই গ্রামের একটি তরুণের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তরুণীর বাবা-মা এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি।পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে।
সাত বছরের বালিকাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতন করা হয় ওই নাবালিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন উত্তেজিত জনতা। বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। ভাঙচুর, আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বৃদ্ধের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক। তার খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকড়া পুলিশ আউটপোস্ট।
সবার আগে তিরবেগে ছুটছে একটি কালো মোটরবাইক। পিছনে আর একটি বাইকে চেপে সেটিকে তাড়া করছেন এক ব্যক্তি। ওই দু'জনের পিছনে বাইক নিয়ে ধাবমান এক পুলিশকর্মী। এ ভাবেই ধাওয়া করে প্রথম বাইকটির চালক, এক চোরকে ধরে ফেললেন ওই পুলিশকর্মী। সোমবার দুপুরে রীতিমতো সিনেমার মতো তাড়া করার এই ঘটনাটি ঘটে বেলগাছিয়ার কাছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বেলগাছিয়া মোড়ের কাছে ডিউটিতে ছিলেন শ্যামবাজার ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুরজিত্‍ পোড়েল। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি দেখেন, বেলগাছিয়া সেতু ধরে তীব্র গতিতে ছুটছে একটি কালো বাইক। সেটির পিছনে তাড়া করা অন্য বাইকটির আরোহী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে সাহায্য চান সুরজিত্‍বাবুর কাছে।


কিছু একটা হয়েছে আন্দাজ করে দ্রুত নিজের বাইক নিয়ে কালো বাইকটিকে থামানোর জন্য তাড়া করেন তিনি। অবশেষে কলকাতা স্টেশনের সামনে গজনবি সেতুর কাছে এসে প্রথম বাইকের চালককে ধরে ফেলেন সুরজিত্‍বাবু। জানা যায়, বেলগাছিয়া থেকে কালো বাইকটি চুরি করে পালাচ্ছিল সফিকুল নস্কর নামে এক ব্যক্তি। বাইকের মধ্যে বসানো 'থেফ্ট ট্র্যাকিং ডিভাইস', অর্থাত্‍ চোর ধরার প্রযুক্তির মাধ্যমে বার্তা চলে যায় বাইকের মালিক রোহিত সাউয়ের কাছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চোর পালাচ্ছে দেখে তাকে তাড়া করেন রোহিতবাবুর ভাই। তিনিই সাহায্য চান সুরজিত্‍বাবুর কাছে। চোরকে ধরার পরে তাকে উল্টোডাঙা থানার হাতে তুলে দেন সুরজিত্‍বাবু।

উল্টোডাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সফিকুল নস্কর আপাতত তাদের হেফাজতে রয়েছে। মোটরবাইকটি দ্রুত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে
আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুত্-সহঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামবে। বেলা পৌনে বারোটার বুলেটিনে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদায় সতর্কতা জারি করা হল।

বুধবার নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। মেঘলা আকাশ আর হালকা মাঝারি বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হবে।

আজ বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উপকূলের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও নদিয়ায়।


বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায়।

বৃহস্পতিবার থেকে হবে অতি ভারী বৃষ্টি। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সর্তকতা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমে। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। শুক্রবার দু-এক পশলা অতি ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পূর্ব বর্ধমানের ঝাড়গ্রাম জেলাগুলিতেও।

এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু নদীর জল স্তর বাড়তে পারে। কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভার এলাকাগুলিতে কিছু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে। অন্যান্য জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.১ মিলিমিটার
ভুয়ো IAS'এর পর এবার শহরে গ্রেপ্তার ভুয়ো IPS (Fake IPS)। তার নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়িচালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে নীল বাতি লাগানো গাড়ি। লালবাজার (Lalbazar) সূত্রে খবর, রাজর্ষি ভট্টাচার্য নামে ধৃত ওই ব্যক্তি নিজেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের পরিচয় দিত। অনেকদিন ধরেই নীল বাতির গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াত সে। প্রাথমিকভাবে তার ভুয়ো পরিচয় কেউ ধরতেই পারেনি। কিন্তু তোলা আদায়ের চেষ্টা করতে সংশয় হয়। জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেতেই লালবাজারের পুলিশ কর্তারা তদন্ত শুরু করে। তারপর সোমবার রাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা রাজর্ষি ভট্টাচার্য।


তার দুই সঙ্গী অভিজিত্‍ দাস ও মহম্মদ সিকান্দারও গ্রেপ্তার হয়েছে।



দেবাঞ্জন দেব - ভুয়ো করোনা ভ্যাকসিন (Fake corona vaccine) টিকাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার নিয়ে কার্যত আইনি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। কে বা কারা এই বাতির গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন, কারা পারবেন না - তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কলকাতায়া অবৈধভাবে নীল বাতি লাগানো গাড়ির ব্যবহার কমেনি। এর আগেও ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তার নীল বাতির গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। আর সোমবার রাতে ভুয়ো পুলিশ কর্তা রাজর্ষির কাছেও মিলল সেই গাড়ি। তিনি একটি নামী সংস্থার চারচাকার গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরতেন বলে অভিযোগ। রাজর্ষির আজ আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। IPS'এর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে রাজর্ষি ঠিক কী কী কীর্তিকলাপ করেছে, তার বিশদে জানাই লক্ষ্য কলকাতা পুলিশের।

অন্যদিকে, হ্যাকারদের ফাঁদে পড়েছেন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা IPS বিবেক সহায়। তাঁর ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে মেসেজ বক্স থেকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজেই ফেসবুক পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিবেক সহায়। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। IPS বিবেক সহায়ের অনুমান, গাজিয়াবাদ থেকে কোনও একটি চক্র এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। আরেকদিকে, ভুয়ো কলসেন্টার খুলে বেআইনি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে।
শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা বর্তমানে দেশের শোবিজে অন্যতম একটি বড় খবর। মুম্বাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে পর্নোগ্রাফি বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে।দেশের শোবিজকে বিষয়টি বেশ কড়া সমালোচনায় ফেলে দিয়েছে।

মুম্বাই পুলিশ বলেছে, 'রাজের বেশ বড় একটি ভূমিকা তারা টের পেয়েছে দেশের পর্নোগ্রাফি বাণিজ্যে।মূল ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে তিনি একজন এই বাণিজ্য বিস্তার করাতে। বেশ শক্ত পোক্ত প্রমাণ আছে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে।

আরও জানা যায়, রাজের ব্যাপারে সকল অভিযোগে নিশ্চিত তারা এখন অব্দি। এখন অব্দি ২০ লাখ সাবস্ক্রাইবার পাওয়া গিয়েছে রাজের অ্যাপস হটসটে।


বছর শেষে পর্ন নিয়ে বেশ বড় একটি পরিকল্পনা ছিল তার জানা যায় অ্যাপটির বেশকিছু চ্যাট থেকে।

১১৯টি অ্যাডাল্ট ফিল্মের জন্য প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিও করেছিলেন তিনি।

এদিকে রাজের সঙ্গে সর্বশেষ কিছুদিন সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন শিল্পা শেঠি নিজেও। পুলিশের সন্দেহজনক তালিকায় থাকায় ইতিমধ্যে তাদের ছায়াতলে চলে গিয়েছেন তিনি। রাজের এই ব্যবসার সঙ্গে তিনিও জড়িত ছিলেন বলে বিশ্বাস করছেন অনেকেই।

এছাড়াও বেশ কিছুদিন আগে ভিয়ান কোম্পানির পরিচালক পরিষদ থেকেও অব্যাহতি নেন এই বলিউড তারকা।