October 2023

কিন্তু....এ বাংলার ইডেন গার্ডেন্সে যে কোনওদিন বাংলাদেশ কোনও ম্যাচ জেতেনি। তা সে টেস্ট হোক বা একদিনের ম্যাচ কিংবা টি২০। কোথাও কখনও ইডেনে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। এবারও সেই ইতিহাসের পরিবর্তন হল না। ইডেন থেকে এবারও খালি হাতে ফিরতে হল টাইগারদের। আর তার অনেক আগেই স্টেডিয়াম ছাড়ল টাইগারদের সমর্থকরা। বিশ্বকাপে ইডেন সফর এভাবেই শেষ হল সাকিবদের।

 নেদারল্যান্ডসের পর পাকিস্তান, আবার মাঝ ম্যাচেই ঘরমুখো বাংলাদেশ!
ইডেন ছাড়ছেন হতাশ বাংলাদেশ সমর্থকরা। ছবি: রাহুল সাধুখাঁ


 নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ৭০ রানে ৬ উইকেট পড়তেই স্টেডিয়াম ছাড়তে শুরু করেছিল বাংলাদেশ সমর্থকরা। তখন বেজেছিল রাত ৮টা। লক্ষ্মীপুজোতে রাত গড়াতেই খালি হতে শুরু করেছিল ইডেন গার্ডেন্স। আর পাকিস্তান ম্যাচে আরও আধঘন্টা আগে থেকেই হোটেলমুখো বাংলাদেশ সমর্থকরা। ম্যাচের ভবিষ্যত তখনই টের পেয়ে গিয়েছেন সমর্থকরা। অগত্যা ইডেন ছেড়ে দর্শকরা রেড রোডে জমালেন ভিড়। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।

পাকিস্তান ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দাবি ছিল, এখন তাঁদের মোটিভেশন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বাকি ৩টি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নিজেদের জায়গা পাকা করা তাঁদের টার্গেট। হোক না বিশ্বকাপে তাঁদের বিজয়া দশমী হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী টার্গেট তাঁরা কলকাতায় বসেই তৈরি করে নিয়েছেন। কিন্তু বাকি ম্যাচেও যে দলের কোনও মোটিভেশনই নেই, তা যেন মঙ্গলবার সন্ধেয় হাড়ে হাড়ে টের পেল বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজে ব্যাট হাতে লড়লেন। লড়লেন মাহমুদ্দুলাহ। কিছুটা মিরাজ। ২০৪ রান করে যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জল গরমও হবে না, তা বোধহয় সূর্য ডুবু ডুবু ইডেনে বুঝে গিয়েছিলেন সাকিবরা। পাকিস্তান ইনিংসের শুরুতে তা হল স্পষ্ট। মুস্তাফিজুর, শরিফুলরা যা বল করলেন, তাতে ফখর-শফিকরা খেললেন অনায়াসে। ইডেনের এপ্রান্তে ওপ্রান্তে তখন বাউন্ডারির ফুলঝুরি।


সন্ধে তখন সাড়ে ৭টা। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে শফিক। পাকিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ১২৮। বাবর তখন ২২গজের পথে। আর ম্যাচের ভবিতব্য বুঝে যাওয়া বাংলাদেশের বহু সমর্থক তখন ইডেনে ছেড়ে রেড রোডের পথে। বিশ্বকাপ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতাটাও গেল? কলকাতায় এমনভাবে খালি হাতে ফিরতে হবে কল্পনাতীত ছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের। কেন ছিল, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।

বাংলাদেশ বা এ বাংলার মানুষের ভাষা এক। দুই বাংলার একে অপরের প্রতি সাংস্কৃতিক সম্মানও অগাধ। দুই বাংলায় সাংস্কৃতিক আদান প্রদানও ঘটে নিয়মিত। কিন্তু….এ বাংলার ইডেন গার্ডেন্সে যে কোনওদিন বাংলাদেশ কোনও ম্যাচ জেতেনি। তা সে টেস্ট হোক বা একদিনের ম্যাচ কিংবা টি২০। কোথাও কখনও ইডেনে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। এবারও সেই ইতিহাসের পরিবর্তন হল না। ইডেন থেকে এবারও খালি হাতে ফিরতে হল টাইগারদের। আর তার অনেক আগেই স্টেডিয়াম ছাড়ল টাইগারদের সমর্থকরা। বিশ্বকাপে ইডেন সফর এভাবেই শেষ হল সাকিবদের।

এদিন পাকিস্তানের বোলারদের ঝোড়ো বোলিংয়ের কাছে কার্যত টিকতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.১ ওভারে সাকিব আল হাসানের দল তোলে ২০৪ রান।

ইডেনে প্যালেস্তাইনের পতাকা, পাক-বাংলাদেশ ম্যাচে উত্তেজনা
ঘটনায় শোরগোল ইডেনে

কলকাতা: হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে এখনও তপ্ত গাজা। ঝরছে রক্ত, যাচ্ছে প্রাণ। কবে থামবে যুদ্ধ? এই উত্তর খুঁজছে গোটা বিশ্ব। এদিকে যুদ্ধের আবহে কোনও কোনও দেশ নিয়ে ফেলেছে প্যালেস্তাইনের পক্ষ। কোনও কোনও দেশ আবার ইজরায়েলের পক্ষে। সোজা কথায় সঙ্কটকালে আড়াআড়ি বিভক্ত বিশ্ব। যুদ্ধের কালো আঁচ এবার ভারতেও? একেবারে কলকাতায়? বিশ্বকাপ চলাকালীন ইডেনে উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকা। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে নাগরিক মহলে।  


জানা গিয়েছে, এদিন বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন প্যালেস্তাইনের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন কয়েকজন দর্শক। গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন দর্শকের হাতে দেখা যায় প্যালেস্তাইনের পতাকা। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের হাতে ছিল আবার বাংলাদেশের পতাকাও। দুই পতাকাই দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা হাতে ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ দৃশ্য দেখে গ্যালারিতে থাকা বেশ কয়েকজন দর্শক আবার ছবি, ভিডিয়োও তোলেন। যে ভিডিয়ো বাইরে এসেছে তাতে এ দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে। 



সোহমের বাড়ি নেতাজিনগরের রামগড়ে। বর্তমানে তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে CSE-এর দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই ছাত্র জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টো পনেরো নাগাদ কলেজের গেটের কাছে মাসুম রাজা, আবির সেন ও তাঁদের কিছু সঙ্গী তাঁকে ঘিরে ধরে। মারধর করা হয়।

যাদবপুরের ছায়া এবার হেরিটেজে, ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ কলকাতার কলেজে
প্রতীকী ছবি।

কলকাতা: মাস আড়াই আগে যাদবপুরের র‌্যাগিংকাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। মৃত্যু হয়েছিল প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এরইমধ্যে এবার ফের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ শহর কলকাতায়। অভিযোগ, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে র‌্যাগিংয়ের শিকার দ্বিতীয়বর্ষের এক পড়ুয়ার। ইতিমধ্যেই সোহম সরকার নামে ওই পড়ুয়া আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। 


সূত্রের খবর, সোহমের বাড়ি নেতাজিনগরের রামগড়ে। বর্তমানে তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে CSE-এর দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই ছাত্র জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টো পনেরো নাগাদ কলেজেরে গেটের কাছে মাসুম রাজা, আবির সেন ও তাঁদের কিছু সঙ্গী তাঁকে ঘিরে ধরে। ব্যাপক মারধরও করা হয়। রাস্তায় ফেলে বুকে-পেটে লাথি মারা হয়। মারের চোটে তাঁর ডান পায়ে মারাত্মক চোট লাগে, একটি দাঁত ভেঙে যায়। 

আগামী ২ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব। প্রশাসনিক সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজকর্ম সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকের জন্যই এই দিল্লিযাত্রা বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
Panchayat Deparment: নভেম্বরেই শুরুতেই দিল্লি ছুটছেন পঞ্চায়েত সচিব, হঠাৎ কী হল?
নবান্ন

কলকাতা: আবাস প্লাস (AWAS Plus) ও একশো দিনের কাজের (MGNREGA) বকেয়া টাকার অভিযোগ ঘিরে নাগাড়ে কেন্দ্রের সুর চড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির। সেই টাকা এখনও মেলেনি বলে অভিযোগ রাজ্যের। আর এসবের মধ্যেই আগামী ২ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব। প্রশাসনিক সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পর্যালোচনা বৈঠকের জন্যই এই দিল্লিযাত্রা। এই পর্যালোচনা বৈঠকে সব রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকেই হাজির থাকতে হয়।

উল্লেখ্য, আবাস যোজনার টাকা ও একশো দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় দু’দিন ধরনা-অবস্থানে বসেছিলেন এই ইস্যুতে। পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল অক্টোবরের শুরুতে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের সুর আরও জোরদার করেছে। কলকাতায় ফিরে রাজভবনের বাইরেও ধরনা-অবস্থান করতে দেখা গিয়েছে অভিষেকদের।

একশো দিনের কাজের টাকা ও আবাসের টাকার ইস্যুতে লাগাতার কেন্দ্রকে বিঁধে যাচ্ছে রাজ্য। তবে এসবের মধ্যেই দিল্লিতে পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন পঞ্চায়েত সচিব। যদিও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এটি একটি রুটিন পর্যালোচনা বৈঠক। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে এবং সেখানে রাজ্যের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। সাধারণত, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে কতটা কাজ হয়েছে, কী গতিতে কাজ এগোচ্ছে, কী কাজ বাকি আছে… সেই সব বিষয়েই আলোচনা হয়ে থাকে এই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠকে।

লন্ডনে এমবিএ পড়ার সময়েই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লার মেয়ে সারার সঙ্গে আলাপ হয় সচিনের। সচিন ছিলেন কংগ্রেস পরিবারের ছেলে।


কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার একেবারে প্রকাশ্যে এল কংগ্রেস নেতার বিচ্ছেদের খবর। রাজস্থানে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট সামনে আনলেন তাঁর বিচ্ছেদের খবর। বিধানসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তিনি উল্লেখ করেছেন, সারা আব্দুল্লার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁরা। রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে সারার সঙ্গে প্রায় ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন সচিন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। দাম্পত্যের আগেও বহুদিনের সম্পর্ক ছিল সচিন-সারার। এবার সেই সম্পর্কে ইতি। মনোনয়ন পত্রে স্ত্রীর নামের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘ডিভোর্সড’। আর তাতেই জল্পনার অবসান হয়েছে। তবে কংগ্রেস নেতা এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।


লন্ডনে এমবিএ পড়ার সময়েই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লার মেয়ে সারার সঙ্গে আলাপ হয় সচিনের। সচিন ছিলেন কংগ্রেস পরিবারের ছেলে। তাঁর বাবা প্রয়াত রাজেশ পাইলট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন একসময়। প্রথম দিকে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের আপত্তি থাকলেও দুই রাজনৈতিক পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় সচিন-সারার হাত ধরে। ২০০৪ সালে দিল্লিতে বিয়ে হয় তাঁদের। তবে রাজনীতির ময়দানে কখনই সক্রিয় হতে দেখা যায়নি সারাকে।


বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা সাক্ষাৎকারে বার কয়েক দেখা গিয়েছে সারা আব্দুল্লাকে। এছাড়া ২০২০ সালে যখন তাঁর দাদা ওমর আব্দুল্লার জেল হয়, তখনও কাশ্মীরে ছুটে গিয়েছিলেন সারা। তবে বিচ্ছেদের কথা কখনও প্রকাশ্যে আনতে দেখা যায়নি সচিনকে। মনোনয়নপত্রেই জানা গেল বিচ্ছেদের খবর।

কলম্বোয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল। তেমনই ম্যাচের বাইরে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম মেম্বার। তিনি ক্রিকেটার নন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল মিডিয়া ম্যানেজার উমর ফারুক কালসন ও জেনারেল ম্যানেজার আদনান আলিকে ক্যাসিনোয় দেখা যায়। জুয়ার আসরে পাকিস্তান বোর্ডের দুই কর্তার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় পাকিস্তানে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমও বোর্ড কর্তাদের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনায় তুলোধনা করেন।

 'কলম্বো কান্ড' নিয়ে সাফাই পাক টিম মেম্বারের

কলকাতা: বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার নতুন নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে এশিয়া কাপেও মুখোমুখি হয়েছিল দু-দল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি অবশ্য নিষ্পত্তি হয়নি। ভারতের ব্যাটিং হলেও বৃষ্টিতে আর খেলা শুরু করা যায়নি। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব হয়েছিল কলম্বোয়। ফের মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। নজর ছিল, শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিং কেমন পারফর্ম করে। শুভমন গিল, রোহিত শর্মার বিধ্বংসী শুরু। লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। এরপর ভারতীয় বোলারদের দাপট। ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। মাঠের বাইরেও ব্যাপক সমালোচনায় জড়ায় পাকিস্তান টিম। সৌজন্যে ক্যাসিনো কান্ড। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


কলম্বোয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল। তেমনই ম্যাচের বাইরে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম মেম্বার। তিনি ক্রিকেটার নন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল মিডিয়া ম্যানেজার উমর ফারুক কালসন ও জেনারেল ম্যানেজার আদনান আলিকে ক্যাসিনোয় দেখা যায়। জুয়ার আসরে পাকিস্তান বোর্ডের দুই কর্তার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় পাকিস্তানে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমও বোর্ড কর্তাদের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনায় তুলোধনা করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে শো-কজও করা হয়। তাঁদের দাবি ছিল, খাবার খেতে গিয়েছিলেন। বিতর্ক থামেনি সেই জবাবে। প্রশ্ন উঠেছিল, খাবার খেতে ক্যাসিনোয়!

এশিয়া কাপে বিতর্কে জড়ানো সেই উমর ফারুক কালসেন কলকাতায় এসেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে। কলম্বো ক্যাসিনো বিতর্ক প্রসঙ্গে উমর ফারুক কালসেন হেসে বলছেন, ‘আসলে টিম হারলে এমন অনেক কিছুই হয়। যে কোনও জায়গাতেই সমালোচনা হয়। অনেক ছোট ছোট বিষয়ও তখন বড় হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল।’ তারপরই অবশ্য যোগ করলেন, ‘আর এমনিতেও রাত গয়ি, বাত গয়ি।’


উমর ফারুক এই ঘটনাকে স্রেফ অভিযোগ বলেই উড়িয়ে দিলেন! যদিও তাঁর ‘রাত গয়ি, বাত গয়ি’ মন্তব্য থেকে এটাও বলা যায়, এ ধরনের ঘটনা নিয়ে চিন্তিত নন। পাকিস্তান বোর্ডও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ভাবনায় নেই, উমরকে কলকাতায় পাঠানো থেকেই পরিষ্কার।

ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী কোনও গাড়িকে বুধবার থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সেতুর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কড়াকড়ি থাকবে। যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিকল্প কিছু রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। সমস্যা এড়াতে দেখে নিন বিকল্প রাস্তাগুলি।


 টানা ৮ মাস যান নিয়ন্ত্রণ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে! জেনে নিন বিকল্প রাস্তা
জেনে নিন বিকল্প রাস্তা


দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে প্রায় আট মাস ধরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর


 রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হচ্ছে আগামিকাল থেকে। তাই বুধবার থেকেই ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে যান চলাচলের রুটে। ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী কোনও গাড়িকে বুধবার থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সেতুর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কড়াকড়ি থাকবে। যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিকল্প কিছু রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। সমস্যা এড়াতে দেখে নিন বিকল্প রাস্তাগুলি।


ডি এল খান রোডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে হসপিটাল রোড, কে পি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পাঠানো হবে। এক্সাইড ক্রসিং থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং, সি আর এভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে টালা ব্রিজ, ডানলপ ক্রসিং হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে। একইভাবে পোর্টের দিক থেকে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর বদলে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে।


উল্লেখ্য, পোর্ট ট্রাস্টের বেশ কিছু বড় গাড়িও এই দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়েই চলাচল করে। আপাতত সেগুলিকে রাত ১২টার পর পাস করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য সব ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িকে নিবেদিতা সেতু হয়েই যাতায়াত করতে হবে এই আট মাসের জন্য।

নভেম্বর নয়, ২ নভেম্বর লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেবেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগের তদন্ত করছে কমিটি। এই বিষয়ে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য ৩১ অক্টোবর তাঁকে ডেকেছিল এথিক্স কমিটি। আগে তিনি জানিয়েছিলেন ৫ তারিখ তিনি এথিক্স কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন।


নয়া দিল্লি: ২ নভেম্বরই লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেবেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে যে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে তাঁর বয়ান নথিবুক্ত করার জন্য ৩১ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। তবে, এর আগে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছিলেন, তাঁর পূর্ব নির্ধারিত ব্যস্ততা আছে। তাই তিনি ৩১ অক্টোবরের বদলে ৫ নভেম্বর এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেবেন। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর), সিদ্ধান্ত বদলে তিনি জানিয়েছেন ২ তারিখ এথিক্স কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন তিনি।


এদিন তিনি বলেছেন, “আমি এই অভিযোগের বিষয়ে আমার প্রতিবাদ নথিভুক্ত করতে চাই। এথিক্স কমিটির সমনকে সম্মান জানিয়ে আমি ২০২৩-এর ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় কমিটির সামনে হাজির হব।” তবে, এই মামলার প্রেক্ষিতে তিনি ফের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে জেরা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠেছে, তা যাচাই করার জন্য এথিক্স কমিটি কি আদৌ উপযুক্ত ফোরাম? তাঁর দাবি, সংসদীয় কমিটিগুলির কোনও ফৌজদারি এক্তিয়ার নেই। তাই, এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব, কোনও আইন রক্ষাকারী সংস্থাকে দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।


এর আগে আইনজীবী তথা মহুয়া মৈত্রর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে তাঁর স্বার্থে প্রশ্ন করার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে এই অভিযোগের তদন্ত চেয়েছিলেন তিনি। ওম বিড়লা বিষয়টি এথিক্স কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠান। এর আগে এথিক্স কমিটি জয় অনন্ত দেহদ্রাই এবং নিশিকান্ত দুবের বয়ান নথিভুক্ত করেছে এথিক্স কমিটি। শুধুমাত্র মহুয়া মৈত্রর বয়ান নথিভুক্ত করাই বাকি। তারপর দ্রুত এই বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করবে এথিক্স কমিটি।

সিঙ্গুর এখন রাজনীতির ময়দান। সিঙ্গুরকে ব্যবহার করেছে বিগত দিনের সরকার আর এখনও রাজনীতির ময়দান হিসাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এমনই দাবি করছেন সিঙ্গুরের ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক চাষিরা

বাংলাকে 'টাটা' বলায় খেসারত 766 কোটি! কী বলছেন সিঙ্গুরবাসী
কী বলছেন সিঙ্গুরের বাসিন্দারা?

সিঙ্গুর: ১৫ বছরের আগের আন্দোলন এখন অতীত বিস্মৃত। সিঙ্গুরে এখন টাটার অস্তিত্বের বিন্দুবিসর্গও নেই। তবে এখনও আগাছায় ভরা পড়়ে রয়েছে জমি। ১৫ বছর পর আবার নতুন করে শিরোনামে সিঙ্গুর। সৌজন্যে আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী, টাটাকে কারখানা করতে না দেওয়ায় রাজ্য সরকারকে সুদ-সহ বিপুল পরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আসলের অঙ্কটা ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা। সিঙ্গুর নিয়ে আবারও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। আবারও নতুন করে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে জটলা তৈরি হল, সুর চড়ল ইচ্ছুক অনিচ্ছুক চাষিদের। ‘আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল’ কী? কী তাদের কাজ? তা হয়তো ওতো ভালোভাবে বুঝতে পারেন না গ্রামের দেহাতি মানুষগুলো। কিন্তু এক সময়ে ওঁদেরই কেউ সিঙ্গুর আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন, আবার কেউ হননি। তাঁদের মত আজও ভিন্ন, এই নির্দেশের ফলে নতুন করে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে তাঁদের নিয়ে। আজ কী বলছেন তাঁরা?


সেখানকার মানুষদের বক্তব্য, সিঙ্গুর এখন রাজনীতির ময়দান। সিঙ্গুরকে ব্যবহার করেছে বিগত দিনের সরকার আর এখনও রাজনীতির ময়দান হিসাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এমনই দাবি করছেন সিঙ্গুরের ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক চাষিরা। তবে একটা বিষয়ে তাঁরা আজও একমত। তাঁদের বক্তব্য, শিল্পের বিরোধিতা করে আন্দোলন হয়নি, আন্দোলন হয়েছিল কৃষি জমি বাঁচানোর দাবিতে। তাঁরা এখনও বলেন, সিঙ্গুরে শিল্প হোক।

তবে চাষিরা চাষাবাদ করেই দিনযাপন করেন। ওতো আইনি জটিলতা, আইনের মারপ্যাঁচ তাঁরা বোঝেন না আজও। তাই তাঁদের অনেকেই বলছেন, টাটাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারটা আইনি ব্যাপার, সেটায় বিশেষ কিছু বলার নেই। অনিচ্ছুক চাষি ভুবন গরাই বলেন, “আমরা জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিলাম। কিন্তু শিল্প চেয়েছিলাম। বামফ্রন্ট আসার আগে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ১ নম্বর ছিল। এখন তো ইনকিলাব জিন্দাবাদ করে সব বন্ধ করে দিয়েছে। জমি অধিগ্রহণ অবৈধ। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। তবে সিঙ্গুরের লোকেরা এখনও বঞ্চিত। সব সরকারই মিথ্যাবাদী।”

সরকার এবং শিল্পপতির আইনি লড়াইয়ে কার্যত সেখানকার মানুষরা বিধ্বস্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলন, চাষের জমি চলে যাওয়া, সে জমি ফেরত পাওয়া, তা আবার চাষযোগ্য করে তোলা, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি ইত্যাদি- সে এক লম্বা প্রক্রিয়া। সেখানকার মানুষ আজ ক্লান্ত। নতুন করে আর কোনও বিতর্ক আন্দোলন চান না তাঁরা। তাই তাঁদের একাংশ বলছেন, সরকার আর শিল্পপতিদের ব্যাপার। তাতে সিঙ্গুরের কৃষক থেকে সাধরণ মানুষের কিছু যায় আসে না। ইচ্ছুক চাষি শক্তিপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তো চেয়েছিলাম শিল্প হোক। এখন যা পরিস্থিতি হল, চাষও আর হল না। শিল্পও হল না। বর্তমান যুব সমাজ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। সিঙ্গুর যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেল। সব জমি নিজের নামে হয়নি। বর্তমান রাজ্য সরকার চাষিদের ধাপ্পা দিয়েছে।”

তবে আজ ওঁদের অনেকেই বলছেন, সিঙ্গুরে শিল্প হলে প্রভূত উন্নয়ন হত। তা এক প্রকার স্বীকার করছেন সব পক্ষই। কারণ সিঙ্গুরের মানুষের বক্তব্য, যে অন্ধকার ছিল, প্রদীপের নীচের সেই অন্ধকার আজও গাঢ়।

শিবপতির আরেক নাবালিকা মেয়েও গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ। সে পালিয়েছে নাকি তারও দিদির মতো পরিণতি হয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান গ্রামবাসী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মীরা এবং শিবপতির ছোট মেয়ের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে এসপি জানিয়েছেন।

গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম, শাস্তি দিতে এ কী করল মা!
প্রতীকী ছবি।


 ফের অনার কিলিং! এবার গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম করেছিল কিশোরী। সেই ‘অপরাধে’ নাবালিকা মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করতেও হাত কাঁপল না মায়ের। শুধু হত্যা করা নয়, প্রমাণ লোপাট করতে মেয়ের দেহ মাঠের পাশে কুয়োয় ফেলে দেয় মা। তারপর সন্দেহ এড়াতে থানায় মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত মা। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৌশম্বি জেলায়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার ২৭ দিন পর অভিযুক্ত মা-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


পুলিশ জানায়, ধৃত মহিলার নাম শিবপতি। কৌশম্বি জেলার তেজবাপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবপতি নিজের ১৫ বছরের মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দেহটি কুয়োয় ফেলে দেয়। তারপর মানঝানপুর থানায় গিয়ে মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনাটি ২ অক্টোবর রাতে ঘটলেও ৩০ অক্টোবর প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি ব্রিজেশ কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি জানান, পুলিশি জেরায় ধৃত অপারাধের কথা স্বীকার করেছে।

এসপি জানান, শিবপতি থানায় গিয়ে তার নাবালিকা মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে গত ১৪ অক্টোবর। অভিযোগপত্রে সে জানায়, গত ২ অক্টোবর মেয়ে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর গত ২৬ অক্টোবর গ্রামবাসী পুলিশকে জানায়, তেজবাপুর গ্রামের বাইরে মাঠের পাশে একটি কুয়োয় এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করলে শিবপতি সেটি শনাক্ত করে। কিশোরীকে যে হত্যা করে দেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা প্রাথমিক তদন্তেই বুঝতে পারে পুলিশ। এরপর খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে।



গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় হামাস বাহিনী। তারপর গাজা-সংলগ্ন এলাকায় ঢুকে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে প্রায় ২৩০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। হামাসের পরপর হামলায় প্রায় ১৪০০ জনের মৃত্যু হয়। তারপর ইজরায়েল সরকারও পাল্টা হামলা চালায়। দু-পক্ষের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

German tattoo artist: জার্মান তরুণীকে নগ্ন করে হাঁটিয়েছে হামাস, মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের পর দাবি ইজরায়েলের
জার্মান ট্যাটু শিল্পীকে মুণ্ডচ্ছে করে হত্যা করেছে হামাস বাহিনী।
 নৃশংস। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যে সাধারণ নাগরিক, তার অন্যতম নজির জার্মান তরুণীকে নৃশংসভাবে হত্যা। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর দিনই ট্যাটু শিল্পী, ওই জার্মান তরুণীকে (German tattoo artist) পণবন্দি করেছিল হামাস (Hamas)। ২৩ দিন পর অবশেষে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয়, হত্যার আগে ওই তরুণীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ইজরায়েলের সরকার।


জার্মান তরুণীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইতচ্যাক হারজোগ। তিনি বলেন, “আমি এটা বলতে গিয়ে সত্যিই দুঃখিত যে, শানি নিকোলে লুককে হত্যা করার খবরটি সত্যি। তাঁর মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছে। যার অর্থ, ঘটনাটি চরম বর্বরতার নজির, পশুর মতো তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে, খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”

ইজরায়েল প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে আমরা যা দেখেছি তা আরও অনেক দূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে। আমরা একটি কসাইখানা দেখছি। আমরা রাস্তায় রক্ত প্রবাহিত দেখছি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডিগুলো আমরা দেখছি, যা কল্পনা করা যায় না।” যেভাবে মানুষকে চরম লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে বা দেহ টুকরো টুকরো করা হচ্ছে, তার ফলে দেহ শনাক্ত করতে সময় লাগছে বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট।



বর্তমানে পাক ক্রিকেট টিম ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ (ICC World Cup) খেলতে ব্যস্ত। আজ মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে বাবর আজমের পাকিস্তানের ম্যাচ রয়েছে। প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অবস্থা ভীষণ শোচনীয়। কারণ, টানা ৪ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্টে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে গ্রিন আর্মি। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ পাকিস্তানের নির্বাচক প্রধান পদত্যাগ করেছেন।

 আজমের পাকিস্তানের ভরাডুবির মাঝে হঠাৎ পদত্যাগ নির্বাচক প্রধান ইনজামাম উল হকের (Inzamam ul Haq)। গ্রিন আর্মি ভারতে চলতি বিশ্বকাপে একটানা ৪ ম্যাচ হেরে রীতিমতো বিধ্বস্ত। এরই মাঝে পাক ক্রিকেটে ডামাডোল। পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের প্রধান নির্বাচক ইনজামামের পদত্যাগ করার কারণ হিসেবে উঠে আসছে স্বার্থের সংঘাতের কথা। পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইনজি ইয়াজো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ফলে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। বিস্তারিত জেনে নিন 

ইনজামাম উল হক ইয়াজো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। ওই কোম্পানির মালিক তালহা রেহমানি। তিনি বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি-সহ পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটারের এজেন্টও। যে কারণে ক্রিকেট মহলে মনে করা হচ্ছে ইনজামামকে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে কোনও পরামর্শ দিয়ে থাকতে পারেন।

এর পরই পিসিবির পক্ষ থেকে একটি পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটি পুরো ঘটনাটির তদন্ত করবে। পিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিডিয়ার তরফে স্বার্থের সংঘাত এবং তার জন্য দল বাছাই প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়েছে, এই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে পাঁচ সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি পুরো বিষয়টি তদন্ত করার পর পিসিবিকে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। এবং সেই কমিটি এই বিষয়ে কোনও পরামর্শ দিলে তা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে।’


এই প্রসঙ্গে ইনজামাম এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘আমি চাই পিসিবির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এই বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত করুক। সেই জন্য আমি মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। দিনকয়েক ধরে বেশ কয়েকটি প্রচারমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তুলেছে। তাই আমিও চাই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হোক। তবে শেষ পর্যন্ত আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলে, ফের এই পদে ফিরে আসব।’

জলপাইগুড়ির এক দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর জলপাইগুড়ি জেলা আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বিজেপির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ শোনার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন তৃণমূল নেতা।

ফুসফুসে সংক্রমণ কমলেও পেটে যন্ত্রণা, ধৃত তৃণমূল নেতা রইলেন হাসপাতালেই
সৈকত চট্টোপাধ্যায়

জলপাইগুড়ি: জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তার পর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। রবিবারই জেলা বিজেপির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় এ নিয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। আর সে কারণে আদালতে যাবে তারা। এরইমধ্যে সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চার সদস্যর মেডিক্যাল বোর্ড এই পরামর্শ দিয়েছে।


জলপাইগুড়ির এক সমাজসেবী দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর জলপাইগুড়ি জেলা আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বিজেপির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ শোনার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন তৃণমূল নেতা। রাতেই তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণের কথা বলা হয় হাসপাতাল থেকে। সৈকতের জন্য হাসপাতালে আলাদা কেবিন পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়।

এরইমধ্যে রবিবার সরব হয় জেলা বিজেপি। পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি বাপী গোস্বামী। পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরকে পার্টি করে আদালতে মামলা করতে চলেছেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এসবের মধ্যেই জলপাইগুড়ি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সৈকতকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করতে বলা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফুসফুসের সংক্রমণ কমেছে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। তবে তাঁর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। এন্ডোস্কপি ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূলের এই নেতার। তবে এই পরীক্ষাগুলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে করা হয় না। তাই এখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোমবার রাতেই এই পরামর্শ দেওয়া হয় বলে খবর।

কেরিয়ারের শেষ দিকে এসেও মেসির ফুটবল জাদুতে ভাঁটা পড়েনি। তিনি আগের মতোই দুরন্ত, সাবলীল, চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স করছেন। ব্যালন ডি'অর যে তিনি জিততে পারেন, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। হলও তাই। মেসি বলেছেন, 'আমার ফুটবল কেরিয়ার যে এইরকম জায়গায় যেতে পারে, আমি কখনও ভাবিনি। এমন কিছু বাকি নেই ফুটবল মাঠে, যা আমি পাইনি।

 'তুমি নিশ্চয়ই দেখছ, এই সাফল্যও তোমাকে দিলাম', মারাদোনাকে মেসি!
Lionel Messi-Diego Maradona: 'তুমি নিশ্চয়ই দেখছ, এই সাফল্যও তোমাকে দিলাম', মারাদোনাকে মেসি!

প্যারিস: দিয়েগো মারাদোনা (Diego Maradona) বরাবর ভক্ত ছিলেন তাঁর। আর্জেন্টিনা কোচই হয়েছিলেন লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকাপ জিতবেন বলে। সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। কিন্তু মেসিতে আচ্ছন্নই থেকেছেন বরাবর। এলএম টেনকেই বিশ্বের সেরা ফুটবলার বেছেছেন ফুটবলের রাজপুত্র। কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর তাই মারাদোনাকেই সাফল্য উৎসর্গ করেছিলেন মেসি। সোমবার বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তির জন্মদিন ছিল। সেই রাতেই প্যারিসে অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতলেন এলএম টেন। সেই মঞ্চ থেকেই মারাদোনার উদ্দেশে কী বললেন মেসি? 


নিজের বক্তব্য শেষ করতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘শেষ ক’টা কথা দিয়েগোর জন্য। আজ তোমার জন্মদিন। এই মঞ্চ থেকেই ওঁকে স্মরণ করতে চাই। দিয়েগোকে নিশ্চয়ই সেরা প্লেয়ার, কোচরা ঘিরে রয়েছে। তুমি যেখানেই থাকো না কেন, এই ট্রফিটা তোমাকেই দিলাম।’ মেসি আবেগপ্রবণ ফুটবলার। মূল্যবোধ আঁকড়ে বাঁচেন মেসি। মারাদোনা তাঁর কাছেও বরাবর স্পেশাল মানুষ ছিলেন। ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে তাঁর ক’টা কথা যেন তাই আরও একবার মনে পড়িয়ে দিল।

কেরিয়ারের শেষ দিকে এসেও মেসির ফুটবল জাদুতে ভাঁটা পড়েনি। তিনি আগের মতোই দুরন্ত, সাবলীল, চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স করছেন। ব্যালন ডি’অর যে তিনি জিততে পারেন, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। হলও তাই। মেসি বলেছেন, ‘আমার ফুটবল কেরিয়ার যে এইরকম জায়গায় যেতে পারে, আমি কখনও ভাবিনি। এমন কিছু বাকি নেই ফুটবল মাঠে, যা আমি পাইনি। বিশ্বের সেরা টিমে খেলার মতো সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ইতিহাসের সেরা টিমে থাকার সুযোগ পেয়েছি। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত সাফল্যও পেয়েছি।’

মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন মেসি। বার্সার যুব দল থেকে উঠে এসে বিশ্ব শাসন করেছেন। গত দুটো দশক ধরে তাঁর সমকক্ষ হয়ে উঠতে পেরেছেন একমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্ব ফুটবলে এমন মণি-মুক্তোর পথে বোধহয় আর কেউ হাঁটেননি। এমনকি মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোও নন। মেসি বলেছেন, ‘কোপা আমেরিকা জেতার পর বিশ্বকাপ জেতা। একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল। আর আটটা ব্যালন ডি’অরই আমার কাছে স্পেশাল। সব ক’টা ট্রফি জেতার পিছনে কিছু না কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে।’

পরপর সিনেমায় কাজ করে ফের ধারাবাহিকে অভিনয় করতে শুরু করেছেন বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম দাপুটে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। ২০২২-২০২৩ সালই সেই প্রমাণ। প্রথমে 'লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার'। তারপর 'জল থই থই ভালবাসা'। দুটি সিরিয়ালেই মা লক্ষ্মীর নামকরণে হয়েছে অপরাজিতার নাম। প্রথমটিতে লক্ষ্মী দাস। দ্বিতীয়টিতে কোজাগরী বসু। এই কোজাগরী বসু হতে গিয়েই জীবনের না শেখা অধ্যায়টিও পূরণ করে ফেললেন অভিনেত্রী।

Aparajita Adhyay: ভাইরাল জ্বর থেকে উঠেই টানা ৮ ঘণ্টা জলে শুটিং; একবারের জন্যেও কেন ডাঙায় উঠেননি অপরাজিতা?
অপরাজিতা আঢ্য।


স্নেহা সেনগুপ্ত

জলে ভীতি ছিল অপরাজিতার। মোটে নামতেই চাইতেন না। ‘জল থই থই ভালবাসা’ করতে গিয়ে সেই ভীতিও কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এই সিরিয়ালের কোজাগরী কেমন মানুষ? সিরিয়াল যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখেছেন, তাঁরা জানেন, সে নিতান্তই শিশু। বয়স হতে পারে ৫০ পেরিয়েছে। কিন্তু তাঁর জীবনীশক্তি ছোটদেরও হার মানাবে। পাড়ায় ছোটদের জন্য আয়োজিত ‘যেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কোজাগরী। সেই অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় থাকে না বড়রা। ঠিক তেমনই ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতাতেও পাড়ার ছোটদের সঙ্গেই নাম লেখায়। বাড়ির সদস্যদের অমত থাকা সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দেয় সাহসিনী।


সিরিয়ালের প্রোমোতেই স্পষ্ট হয়েছিল, ছোটদের সঙ্গে একই সারিতে দাঁড়িয়ে ‘কোজাগরী’ অপরাজিতা। পরনে তাঁর সুইমিং কস্টিউম। তা হলে কি চরিত্রের ইংলিশ চ্যানেল পার করার অদম্য কাহিনি লিখলেন প্রযোজক-লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়? তাঁর নতুন জার্নি সম্পর্কে প্রথম অকপট কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন অপরাজিতা…

প্রশ্ন: আপনি কি সাঁতার কাটতে জানতেন?

অপরাজিতা: না না, আমি তো পাথর-বাটি। আমাকে জলে ফেললেই ডুবে যাব।

প্রশ্ন: তা হলে ‘জল থই থই ভালবাসা’ সিরিয়ালে সাঁতার কাটলেন কীভাবে?

অপরাজিতা: যেদিন সিরিয়ালের প্রোমো শুটিং হয়, সেদিন সবে মাত্র আমি ভাইরাল জ্বর থেকে উঠেছি। সেইদিন খুবই অসুবিধে হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার সেই অসুবিধে আর হয়নি।

প্রশ্ন: জলে কতক্ষণ শুটিং চলেছিল?

অপরাজিতা: সেদিন ৮ ঘণ্টা শুটিং হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমাকে জলে নামিয়ে দেবেন, তারপর আমি আর উঠব না। জল থেকে উঠলেই ভিজে শরীরে আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারত। যতক্ষণ ওরা ক্যামেরা সেটআপ করছিল, অ্যাঙ্গেল পাল্টাচ্ছিল আমি জলেই ছিলাম। সেই ফাঁকে ট্রেনার মহিলা যিনি ছিলেন, তাঁর কাছে সাঁতারটা শিখে নিই। আমি নিজেও খানিকটা কোজাগরীর মতোই। মনে করি শেখার কোনও বয়স নেই। বিকল্পও নেই। সেদিন ৮ ঘণ্টার শুটিংয়ের বিরতিতেই সাঁতার শিখে নিয়েছিলাম।

প্রশ্ন: তা হলে তো আপনি এখন সাঁতার কাটতে জানেন…

অপরাজিতা: মোটামুটি পারব। পাথর-বাটির মতো ডুবে যাব না আর। অন্তত ভেসে থাকার উপায় জানা হয়ে গিয়েছে।

প্রশ্ন: কোজাগরী কি সত্যিই ইংলিশ চ্যানেল পার করবে এই ধারাবাহিকে?

অপরাজিতা: সেটা তো লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানেন। আমি জানি না।

প্রশ্ন: সিরিয়াল তৈরির সময় আপনার নিজের অনেক ইনপুট থাকে। ‘জল থই থই ভালবাসা’র ক্ষেত্রে কতখানি নিজস্ব মতামত দিচ্ছেন?

অপরাজিতা: আমি মনে করি না লীনাদির গল্পে কোনও নিজস্ব ইনপুট দেওয়ার প্রয়োজন আছে। কারণ, তিনি এমন একজন লেখিকা, যখন থেকে আমি তাঁর ছোট গল্প পড়েছি, জানেন কী করতে হবে। তার উপর তিনি জানেন কোন শিল্পী কী করতে পারেন। এবং তিনি সেই অনুযায়ীই একটি গল্প তৈরি করেন। অনেক জায়গাতেই আমি নিজের ইনপুট দিয়ে থাকি। যেমন পরিচালক মৈনাক ভৌমিক আমার মতামত না নিয়ে ছবিই করেন না। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতেও তাই। একমাত্র লীনাদিকে আমি কোনও মতামত দিই না। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনও মতামত দিই না। এবং অবশ্যই নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও দিই না। কারণ আমি মনে করি, এরা প্রত্যেকেই আমার চেয়ে আমাকে বেশি ভাল চেনেন।

মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কোনও পারমানেন্ট অসুখে উনি অসুস্থ নন, সিরিয়াসও নন। সাময়িক একটা ঝটকা খেয়েছেন। চাপে শরীর খারাপ হতেই পারে। এতক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিপি, সুগার বাড়তে পারে।"


কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দ্রুত জেরা শুরু করা উচিৎ বলেই মনে করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করে অনেক ভিতরের তথ্য উঠে আসবে বলেও আশাবাদী দিলীপ। তিনি বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমন রোগে ভুগছেন না, যার জন্য তাঁকে জেরা থেকে বিরত থাকতে হবে ইডিকে। সাময়িক ধাক্কায় রক্তচাপ, সুগার ওঠানামা করতেই পারে।


মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কোনও পারমানেন্ট অসুখে উনি অসুস্থ নন, সিরিয়াসও নন। সাময়িক একটা ঝটকা খেয়েছেন। চাপে শরীর খারাপ হতেই পারে। এতক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিপি, সুগার বাড়তে পারে। এখন তো ঠিকই আছেন। তাই যে উদ্দেশে ইডি তাঁকে ধরেছে, সে প্রক্রিয়া চালু করা উচিত।”

দিলীপের সংযোজন, “তাড়াতাড়ি তাঁর কাছ থেকে তথ্য নেওয়া উচিত। বহু কিছু বেরোতে পারে ওখান থেকে। অনেক ভিতরের লোক উনি, অনেক পুরনো লোক। অনেক ব্যাপারে যুক্ত। সেই জন্য অনেক কিছু তথ্য আসবে।” আজ থেকেই বালুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারে ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় খাদ্য মন্ত্রীর ভূমিকা, তাঁর পরিবারের প্রভাব সবকিছুই এই মুহূর্তে ইডির স্ক্যানারে।


শুক্রবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও সেদিন কোর্টরুমে চেয়ার থেকে পড়ে, সংজ্ঞা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। চারদিন সেখানেই ছিলেন। সোমবার রাতে মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে কার্যত ফিট সার্টিফিকেট দিয়েই ছুটি দিয়েছে। তিনিও এদিন হাসপাতাল থেকে হনহন করে বেরিয়ে এসেছেন। রাত থেকেই ঠিকানা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স। আজ থেকে সেখানেই জেরা শুরু হওয়ার কথা। আগামী ১০ দিন ইডি হেফাজতেই থাকবেন মন্ত্রী।

কাতার বিশ্বকাপে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করে দেওয়া--- মেসির এ সব পিছনে ফেলে দিয়েছে হালান্ড, এমবাপেদের। ভোট প্রক্রিয়ায় হালান্ড দু'নম্বরে শেষ করেন। তিন ও চারে এমবাপে এবং কেভিড ডি ব্রুইন। ২০০৯ সালে প্রথমবার ব্যালন ডি'অর জিতেছিলেন মেসি। ১৪ বছর পরও বিশ্ব ফুটবলে একই রকম প্রাসঙ্গিক তিনি। ৩৬ বছর বয়সে জিতলেন অষ্টম খেতাব। সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে এও এক রেকর্ড।


প্যারিস: নতুন প্রজন্ম এখনও বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি তাঁর! কিলিয়ান এমবাপে, আর্লিং হালান্ডের মতো তারকারা উঠে এসেছেন। কিন্তু লিওনেল মেসিকে টপকে ‘গোল’ করার দক্ষতা এখনও অর্জন করতে পারেননি। এমবাপে, হালান্ডদের হারিয়ে ফের শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের আসনে আর্জেন্টাইন মহাতারকা। অষ্টম ব্যালন ডি’ওর জিতলেন মেসি (Lionel Messi)। ২ বছর আগে জিতেছিলেন শেষবার। গত বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন করিম বেঞ্জেমা। সাফল্যের মঞ্চ আরও একবার দখলে নিলেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। সর্বোচ্চ আটটি ব্যালন ডি’ওর জিতে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেন এলএম টেন।


কাতার বিশ্বকাপে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করে দেওয়া— মেসির এ সব পিছনে ফেলে দিয়েছে হালান্ড, এমবাপেদের। ভোট প্রক্রিয়ায় হালান্ড দু’নম্বরে শেষ করেন। তিন ও চারে এমবাপে এবং কেভিড ডি ব্রুইন। ২০০৯ সালে প্রথমবার ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি। ১৪ বছর পরও বিশ্ব ফুটবলে একই রকম প্রাসঙ্গিক তিনি। ৩৬ বছর বয়সে জিতলেন অষ্টম খেতাব। সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে এও এক রেকর্ড। বার্সেলোনা, প্যারিস সাঁজা ছেড়ে এখন ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন মেসি। ইউরোপের বাইরের কোনও প্লেয়ার হিসেবে খেতাব জয়ও এক রেকর্ড। তিনটে ক্লাবের হয়ে ব্যালন ডি’অর জেতার বিরল রেকর্ডও করে ফেললেন।


মেসি ব্যালন ডি’অর জেতার পর তাঁর ভক্তরা উৎসবে মেতেছেন। বার্সেলোনার সোনার সময় কাটিয়েছেন এলএম টেন। কিন্তু বার্সা ছেড়া পিএসজিতে যাওয়া সুখের ছিল না। পিএসজির দিনগুলোও তাঁকে যন্ত্রণায় রেখেছিল। সে কথা এক সাক্ষাৎকারে কিছুদিন আগেই তুলে ধরেছেন। ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। আমেরিকান ফুটবলে এক নতুন যুগের সূচনা হয়ে গিয়েছে মেসিকে ঘিরে। তাঁকে দেখার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছেন বিভিন্ন জগতের মহাতারকারা। ছত্রিশের মেসি যে আগামী বিশ্বকাপেও অটুট রাখবেন সাম্রাজ্য, তাঁর ভক্তরা নিশ্চিত।

 গত কয়েকদিনে সকাল সন্ধ্যা ইডি দফতরেই কাটছে বালু মল্লিকের দুই ঘনিষ্ঠের। একজন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস, অন্যজন অমিত দে। দফায় দফায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর এত দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ঘনিষ্ঠদের থেকে কী জানতে চাইছে ইডি?

Jyotipriya Mallick: 'আমি আপ্ত সহায়ক নই', বালুর সঙ্গে আসল সম্পর্ক ফাঁস করলেন অমিত
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অমিত দে।

কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক হিসাবেই জানেন সকলে। তবে সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে অমিত দে দাবি করলেন, তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক নন, অফিসের কর্মী। একই পাড়ায় থাকার সূত্রে পরিচয়। এরপর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতরে চাকরি। একইসঙ্গে এদিন আরও একবার অমিত দে দাবি করেন, তিনি বাকিবুর রহমানকে চিনতেন। নিয়মিতই ডিপার্টমেন্টে যাতায়াত ছিল বাকিবুরের। দফতরের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গেও বাকিবুরের যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করেন অমিত দে।


গত কয়েকদিনে সকাল সন্ধ্যা ইডি দফতরেই কাটছে বালু মল্লিকের দুই ঘনিষ্ঠের। একজন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস, অন্যজন অমিত দে। দফায় দফায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর এত দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ঘনিষ্ঠদের থেকে কী জানতে চাইছে ইডি?

অমিত দের দাবি, যেহেতু দু’দিন ধরে মন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আইও যিনি জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, তিনি লাগাতার ওখানেই পড়ে ছিলেন। তাই সময়ের অভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে উঠতে পারছেন না। সকাল থেকে এসে তাঁরা শুধু অপেক্ষাই করছেন। ব্যস্ততার ফাঁকে ইডি বিকালের পর যখন ফাঁকা হচ্ছে, তখন হয়ত আধঘণ্টা একঘণ্টা কথা বলছে। সে কারণে তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।


অমিত দে বলেন, “মঙ্গলবারও আমি কিছু নথি নিয়ে আসব। আমি মন্ত্রীর পিএ নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে একই এলাকায় থাকা ছেলে। পরিচিত সেই হিসাবে। ছোট থেকে ওনার একই পাড়াতে বড় হওয়া। সেই পরিচিতির সূত্র ধরে পরবর্তীকালে তৃণমূলের সরকার আসে যখন, উনি যখন ক্ষমতা পান আমি ওনার অফিস স্টাফ হিসাবে কাজে যোগ দিই। সিএ হিসাবে জয়েন করেন অভিজিৎ দাস। আমি আপ্তসহায়ক নই। সম্ভবত ২০১৬ সাল অবধি অভিজিৎ দাস সিএ ছিলেন। এরপর আর ওই পদে কেউ যোগ দেননি।”




 ১৫ বছর পর নতুন করে সিঙ্গুরে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ায় টাটাকে সুদসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড' বা WBIDC-কে

Singur Rabindranath Bhattacharya: 'টাটা চলে যাওয়ার জন্য দায়ী তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার', মমতার পক্ষেই সুর সিঙ্গুরের 'মাস্টারমশাইয়ে'র
মমতার সমর্থনে রবীন্দ্রনাথ
Image Credit source: Salil Bera & Getty Images

হুগলি: গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সে সময়ে সিঙ্গুর থেকে টাটা গোষ্ঠীর বিদায় নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের আন্দোলনকেই দায়ী করেছিলেন। আবার শিরোনামে সেই প্রসঙ্গ। তবে এবার প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন তিনি। এবার বললেন, “টাটা সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যাক, এটা কখনই চাইনি।” সঙ্গে এটাও বললেন, “টাটা চলে যাওয়ায় জন্য সিঙ্গুর-সহ রাজ্যের ক্ষতি হলেও তার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী নয়। যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে তাহলে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার।‌” টাটা চলে যাওয়ার জন্য আন্দোলন কিছুটা দায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি।


প্রসঙ্গত, ১৫ বছর পর নতুন করে সিঙ্গুরে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ায় টাটাকে সুদসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’ বা WBIDC-কে। টাটার পক্ষে সর্বসম্মত রায় দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী ট্রাইবুনাল। ফলে নতুন করে চর্চায় এসেছে সিঙ্গুর আন্দোলন।

এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য, “আমরা সিঙ্গুর আন্দোলনকারী হিসাবে তখন চেয়েছিলাম ৬০০ একর ছবিতে টাটাদের কারখানা হোক। বাকি জমি কৃষকদের ফেরত দেওয়া হোক।” তাঁর আরও বক্তব্য, তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে চুক্তি হলেও পরবর্তীকালে সেই চুক্তি অগ্রাহ্য করে তৎকালীন সরকার। ফলে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়।


তবে রবীন্দ্রনাথ আরও বলেন, “ট্রাইবুনালের যে রায় টাটাদের দিক থেকে তা যুক্তিসঙ্গত কারণ তাদের প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি রাজ্য সরকার মানবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ সরকারের ব্যাপার। কারণ বর্তমান সরকার বা বর্তমান শাসক দলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই । এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকার আদালতেও যেতে পারে বিষয়টা সম্পূর্ণ বর্তমান রাজ্য সরকারের ব্যাপার।”

অথচ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য একুশের নির্বাচনের আগে যে সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন সাংবাদিকদের সামনে এক সাক্ষাৎকারে সিঙ্গুর আন্দোলন প্রসঙ্গেই বলেছিলেন, ” টাটা চলে গিয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলনের ফলেই। টাটার কাছে এই প্রস্তাব না যাওয়ায় তারা কী করে বুঝবে সমঝোতা হয়েছে? ফলে তার প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ কোনও প্রশ্নই আসেনি।” যদিও তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, “আমি টাটাকে তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। ওরা জোর করে জমি নিতে গিয়েছিল। আমরা ফিরিয়েছি।” এতদিন পর আবারও রবীন্দ্রনাথের গলায় ফিরল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড শনিবার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজস্থানের পেঁয়াজের সরবরাহ না থাকায় নাসিকের পেঁয়াজই ভরসা

Onion Price In Bengal: এক ধাক্কায় পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেক রাজধানীতে! আজ বাজারে গিয়ে আপনি কত টাকায় কিনলেন?
পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য

কলকাতা: দিল্লিতে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকায় নামলেও বাংলার বাজারে দাম কমেনি। রাজ্যে পেঁয়াজের দাম ঘোরাঘুরি করছে কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকায়। শীঘ্র পেঁয়াজের দাম কমার লক্ষ্মণ দেখছেন না রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। কেন্দ্রের উপভোক্তা মন্ত্রকের দাবি, আবহাওয়ার কারণে খরিফ মরসুমে পেঁয়াজ চাষ দেরিতে হয়েছে। ফলনও প্রয়োজনের তুলনায় কম হয়েছে। ফলনও দেরিতে পৌঁছেছে বাজারে। গুদামে মজুত থাকা পেঁয়াজও প্রায় শেষ।তাই পাইকারি ও খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।


উত্‍সবের মরসুমে পেঁয়াজের দাম বাংলায় উর্দ্ধমুখী। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে এক ধাক্কায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কলকাতার বেশিরভাগ খুচরো বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে ন্যূনতম রফতানি মূল্য বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড শনিবার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজস্থানের পেঁয়াজের সরবরাহ না থাকায় নাসিকের পেঁয়াজই ভরসা। চাহিদা বেশি কিন্তু মজুত কম থাকায় এই মূল্যবৃদ্ধি। বস্তাপিছু ২০০০ থেকে ২১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।


ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা মতো পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বাজারে। যেটুকু পেঁয়াজ মিলছে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অগত্যা খুচরো বাজারেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম একশো টাকা পর্যন্তও ছুঁতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু চাষিদের এটাও ধারণা, সেই বর্ধিত মূল্য বেশিদিন থাকবে না। সেটি আবার তিন-চার দিনের মধ্যে কমে যাবে। রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে এখনও ৭০-৮০ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কোথাও আবার তা ৯০ টাকা কিলোও বিকিয়েছে। তবে সেই বাজার এখন দিল্লিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কেন্দ্রের পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকায় নেমেছে। বাংলাতেও তার প্রভাব কবে পড়বে, সেই উত্তরই পেতে চাইছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।

পনেরো বছর আগে এলাকারই কাপড়ের ব্যবসায়ী সমীর মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মালা বোসের। সমীর কাপড়ের ব্যবসা করতেন। কিন্তু সেভাবে ব্যবসায় কোনও আয় উন্নতি ছিল না। ধারদেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সংসারে অশান্তি শুরু হয়। তারপর মালা একটি কলসেন্টারে চাকরি নেন

Sonarpur Murder: জামাইয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, আচমকাই মা দেখল মেয়ের গলা কেটে পড়ে গেল...
সোনারপুরে খুন গৃহবধূ

সোনারপুর: স্ত্রী বাবার বাড়িতে এসেছিলেন। সেখান থেকেই অফিস করেজাছিলেন। সন্ধ্যায় অফিস থেকে এসে বসে সবে টিফিন খাচ্ছিলেন বছর তিরিশের মালা বোস। সে সময়েই স্বামী বাড়িতে আসেন। একটাই কথা বলার জন্য তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। পায়ে জুতো রয়েছে, এই অছিলায় তাঁকে গেটের বাইরে ডেকে নিয়ে যান। কথা বলার ফাঁকেই ধারাল ছুরি দিয়ে গলায় এক কোপ। গোটা মুণ্ডই শরীর থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। মাত্র এক আঙুল মতো অংশ ঘাড়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। নৃশংসভাবে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোনারপুরের শীতলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মালা বোস (৩০)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পনেরো বছর আগে এলাকারই কাপড়ের ব্যবসায়ী সমীর মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মালা বোসের। সমীর কাপড়ের ব্যবসা করতেন। কিন্তু সেভাবে ব্যবসায় কোনও আয় উন্নতি ছিল না। ধারদেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সংসারে অশান্তি শুরু হয়। তারপর মালা একটি কলসেন্টারে চাকরি নেন। পরিবারের দাবি, সমীর মালার কাছ থেকে টাকা চাইতেন। সমীরের সন্দেহ ছিল, মালা একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি আরও বাড়ে। অভিযোগ, শরীর মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে মালাকে জোর করে শারীরিক নিগ্রহ করতেন। তাঁকে মারধরও করতেন। তাঁদের ১৫ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।


সমীরকে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন মালা। ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমীর তা মানতে পারেননি। এর আগেই গত বছর স্ত্রীকে খুন করে অ্যাসিড নিয়ে বাড়িতে এসেছিল বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে অফিস থেকে সরে বাড়ি ফিরেছিলেন মালা। তখন সমীর বাড়িতে যান। কথা বলার অছিলায় বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালার। জানা গিয়েছে, রাতেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সমীর। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর শেষবার নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পেন সফরে যাওয়ার আগের দিন সরকারি আধিকারিকদের যাবতীয় কাজকর্ম বুঝিয়ে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। এরপর বার্সেলোনা-স্পেন সফর সারেন মমতা। সেখান থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী।

C M Mamata Banerjee: ৫০ দিন পর নবান্নে গেলেন মমতা, অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে নাড়লেন হাত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হামেশাই কার্যত ছুটে বেড়াতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও দলীয় কর্মসূচি, কখনও মিটিং-মিছিল, কখনও আবার বিদেশ বিভুঁইয়ের বিভিন্ন কাজে তিনি সফর করে থাকেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। অবশেষে পঞ্চাশ দিন পর মঙ্গলবার নবান্নে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন, মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে পুলিশি ব্যবস্থাও ছিল জোরদার। নবান্নে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে হাতও নাড়েন মুখ্যমন্ত্রী


গত ১১ সেপ্টেম্বর শেষবার নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পেন সফরে যাওয়ার আগের দিন সরকারি আধিকারিকদের যাবতীয় কাজকর্ম বুঝিয়ে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। এরপর বার্সেলোনা-স্পেন সফর সারেন মমতা। সেখান থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে কলকাতায় ফেরার পর পায়ে যন্ত্রণা অনুভব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে এসএসকেএম-এ যান চিকিৎসার জন্য। তখনই চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর থেকেই একপ্রকার ঘরে বন্দি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বাড়ি থেকে বেরোননি। তবে বাড়ি থেকেই যতটা সম্ভব প্রশাসনিক কাজ-কর্ম সামলেছেন তিনি। কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া দুর্গাপুজোর উদ্বোধনও করেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তবে ২৭ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। দুর্গাপুজোর কার্নিভালে রেড রোড গিয়েছিলেন। কিন্তু দফতরের আজই প্রথম বেরলেন।

যে দেশ টানা ৫ হারে বিপর্যস্ত, তাদের ক্যাপ্টেন প্রেস কনফারেন্সে এলেন একগাল হাসি নিয়ে। প্রেস কনফারেন্সের ফাঁকে টুক করে বলেও দিলেন, 'মাঝে মধ্যে হাসা ভালো।' এই কলকাতার অনেক অলিগলি সাকিবের চেনা। আইপিএলে কেকেআরের হয়ে খেলে গিয়েছেন অনেক মরসুম। সাকিবের ভক্ত এই শহরেও বেশ কিছু রয়েছে। সেই সাকিব দলের যখন টলমল পরিস্থিতি তখন প্রেস কনফারেন্সে এসে বাস্তবটা মেনে নিলেন।





কলকাতা: পাকিস্তানের (Pakistan) বাংলা সংস্করণ দেখতে চান? যদি ইচ্ছে হয় ইডেনে (Eden Gardens) পা রাখুন। ওয়াঘার ওপারে তুমুল বিতর্ক চলছে। যে বিতর্কের আগুনে ঘি দিয়েছে বাবর আজমের চ্যাট ফাঁস। তা নিয়ে পাক ক্রিকেটে রীতিমতো হইহই চলছে। এই বিতর্কেরই যদি আগুন খুঁজতে চান, তা হলে প্রতিবেশী দেশেও আরামসে তা মিলতে পারে। আসলে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম যে বিতর্ক, ঝামেলার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ টিমেও ছবিটা একইরকম। তামিম ইকবালের বিতর্ক এখনও পর্যন্ত রক্তাক্ত করছে বাংলাদেশ শিবিরকে। এর মধ্যে বিশ্বকাপে (ICC World Cup) খোদ বাংলাদেশের (Bangladesh) অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) ফর্মের ধারে কাছে নেই। টিমে সিনিয়র-জুনিয়র নির্বিশেষে কেউই সাফল্যের মুখ হয়ে উঠতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বিতর্কিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে ইডেনে নামছে ভাঙাচোরা বাংলাদেশই। এরই মাঝে বিশ্বকাপের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।

যে দেশ টানা ৫ হারে বিপর্যস্ত, তাদের ক্যাপ্টেন প্রেস কনফারেন্সে এলেন একগাল হাসি নিয়ে। প্রেস কনফারেন্সের ফাঁকে টুক করে বলেও দিলেন, ‘মাঝে মধ্যে হাসা ভালো।’ এই কলকাতার অনেক অলিগলি সাকিবের চেনা। আইপিএলে কেকেআরের হয়ে খেলে গিয়েছেন অনেক মরসুম। সাকিবের ভক্ত এই শহরেও বেশ কিছু রয়েছে। সেই সাকিব দলের যখন টলমল পরিস্থিতি তখন প্রেস কনফারেন্সে এসে বাস্তবটা মেনে নিলেন। হাতে রয়েছে আর তিনটে ম্যাচ। এই তিনটে ম্যাচে অঙ্ক সাজিয়ে রাখছেন নিজেদের জন্য। সাকিব বললেন, ‘হাতে রয়েছে বিশ্বকাপের আরও তিনটে ম্যাচ। তাতে আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।’ রবিবার জানা গিয়েছে ২০২৫ এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে আয়োজক পাকিস্তান এবং এই ওডিআই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষে প্রথম সাতে থাকা ৭টি দল। আপাতত ৬ ম্যাচে খেলে মাত্র ১টিতে জিতে বাংলাদেশ রয়েছে ৯ নম্বরে। সেখান থেকে প্রথম সাতে গ্রুপ পর্ব শেষ করতে হলে বাকি ৩টি ম্যাচ জিততে হবে।

সাকিব বার বার পরিষ্কার করে দিলেন, যে পরিস্থিতিতে দল দাঁড়িয়ে রয়েছে তাতে গ্রুপ পর্বের বাকি ৩ ম্যাচ জেতা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাঁর কথায়, ‘আমরা কালকের ম্যাচটা জিততে চাই। বাকি থাকা ৩টে ম্যাচ জিতলে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড়ে টিকে থাকব। কোনও দলকে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রেটিং করতে চাই না। আমরাই দলের পরিস্থিতি ঠিক করতে পারি। দলের ক্রিকেটাররা নিজেরাই নিজেদের ফর্মে ফেরাতে পারে। দলের সকলে সবাইকে মোটিভেট করছে। এটা দলগত খেলা ঠিকই, কিন্তু ব্যাক্তিগত ভাবে ক্রিকেটাররা ফর্মে ফিরলেই সাফল্য আসবে।’

আইপিএলে কেকেআরে খেলার দৌলতে ইডেন সাকিবের দ্বিতীয় ঘরের মাঠ বলাই যায়। সেই ইডেনে খেলার জন্য কি সুবিধা পাবেন তিনি? প্রথম ম্যাচে অবশ্য তাঁর খেলায় তেমন ছাপ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেও সাকিবের গলায় ইডেনে অতীতে খেলা নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসের কথা শোনা গেল না। বরং তিনি জানালেন, ইডেনে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খুব বেশি যে ম্যাচ খেলেছে, তা নয়। ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই দিক থেকে একই জায়গায় রয়েছে।

ডাচদের কাছে হারার পর বাংলাদেশ সমর্থকরা হতাশ হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। সাকিব-লিটনদের দলেও একটা খারাপ লাগা ছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে সাকিব ইডেনে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামার আগে বললেন, ‘সমর্থকদের মতো দলের সকলেই নেদারল্যান্ডস ম্যাচটার পর ভীষণ কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু ওই হার নিয়ে বেশি ভাবলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে। তার জন্য আমরা দলগত ও আলাদা আলাদা আলোচনাও করছি।’

টাইগার্সরা এ বার মঙ্গলবার বাবরদের হারাতে পারে কিনা, সেটাই দেখার। আর সঙ্গে নজর থাকবে ইডেনের গ্যালারিতেও। কারণ সোমবার সন্ধেয় সাকিবদের অনুশীলনের সময় বাঘ টুপি পরা কয়েকজন বাংলাদেশের সমর্থকদের দেখা গেল। সাকিব তাঁদের দিকে উদ্দেশ্য করে হাতও নাড়ান। তা দেখে আঁচ করা যায়, গত ম্যাচে হারের হতাশা কাটিয়ে আবার মঙ্গলবার টাইগার্স সমর্থকরা সাকিবদের ফের তাতাবেন।

বিপ্লব বাবুর অভিযোগ, শিলিগুড়ির গাছ কেটে প্রায় পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আগে সাফারি করেছেন, তাঁরা এখন গেলে কষ্ট পাবেন। বালু মন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়েও মামলা করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী।


কলকাতা: দীর্ঘদিন খাদ্য দফতর সামলানোর পর ২০২১ সালে আচমকাই খাদ্য দফতর থেকে সরিয়ে বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে, তা খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। তবে কি বন দফতরে যাওয়ার পর আর কোনও কেলেঙ্কারি ঘটেনি? সমাজকর্মী বিপ্লব চৌধুরীর দাবি, বন দফতর পাওয়ায় আদতে প্রোমোশনই হয়েছিল বালুর। আয়ও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। এই বিপ্লব চৌধুরী বিভিন্ন সময় বন দফতর ও অন্যান্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেছেন আদালতে।

 মুখোমুখি হয়ে বিপ্লব চৌধুরী বলেন, “খাদ্য দফতর থেকে বন দফতরে পাঠানোটা পদের অবনতি নয়। আমার কাছে যা তথ্য আছে, তাতে তাঁর প্রোমোশনই হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি, বন দফতরের ব্যপ্তি অনেক বড়। অনেক শাখা দফতর আছে। আসলে খাদ্য দফতর ভালভাবে সামলানোর জন্য বন দফতর উপহার দেওয়া হয়েছিল ওঁকে।”

কিছুদিন আগে একটি মামলায় তিনি দাবি করেছিলেন, বন দফতরের জায়দা দখল করে চলছে ব্যবসা। মামলাকারীর দাবি, জ্যোতিপ্রিয় বন দফতরে যাওয়ার পর শিলিগুড়ির রেঞ্জ অফিসের জায়গায় দখল করেন মন্ত্রীর পরিচিত সুব্রত রায় নামে এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, নেপাল হাইওয়ের পর মার্বেলের ব্যবসা চলছে তাঁর। হাইকোর্ট বিপ্লব বাবুর মামলা গ্রহণ করেছিল। তবে অভিযোগ, এখনও সেই জায়গা খালি হয়নি। রাজ্য বলেছে যে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়েছিল, তারপরই ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বন দফতরের জায়গায় ট্রেড লাইসেন্স হয় কী করে? বিপ্লব চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাম আমলেও ওই মার্বেলের দোকান ছিল, পরে বিস্তার ঘটে। দেড়-দু কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে সেই দোকান।’

বিপ্লববাবুর আরও অভিযোগ, শিলিগুড়ির গাছ কেটে প্রায় পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আগে সাফারি করেছেন, তাঁরা এখন গেলে কষ্ট পাবেন। বালু মন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়েও মামলা করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী। এরপর হাইকোর্ট গাছ কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওই মামলাকারীর। তাঁর দাবি, কোনও নজরদারি হচ্ছে না। দক্ষ অফিসারদেরও বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু এ বিষয়েই নয়, বাকিবুর রহমান-জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যোগ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের পিএসসির সদস্য হওয়া নিয়েও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। যদিও শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, "শুভেন্দু পাগলের মত বলবে আর আমাদের জবাব দিতে হবে?"


কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্য রাজনীতি এমনিই তেতে। তারই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে রবিবার রাতে এক বিশেষ বৈঠক হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কলকাতা পুলিশের সিপি, ডিআইজি মনোজ মালব্য ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির দুই ডিরেক্টর যাঁরা সমন পেয়েছিলেন তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কলকাতা পুলিশের আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে হাই পাওয়ার সিসিটিভি এবং দু’জন আর্মস সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছে। দুই ডিরেক্টর নিজেদের বাড়িতে না থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের বাড়িতে যে সিকিউরিটি পান, তাঁর ভাইপো এবার থেকে সেই সিকিউরিটি পাবেন। সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু এ বিষয়েই নয়, বাকিবুর রহমান-জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যোগ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের পিএসসির সদস্য হওয়া নিয়েও মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

যদিও শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “শুভেন্দু পাগলের মত বলবে আর আমাদের জবাব দিতে হবে? শুভেন্দু যদি এতই প্রতিবাদী হন, তৃণমূলে থাকতে প্রতিবাদ করেননি কেন? আমি তো বলেছি। সুদীপ্ত সেনকে শুভেন্দু ব্ল্যাক মেইল করেছে। সারদার টাকা কাঁথি পুরসভায় রয়েছে। সেসবেরও তদন্ত হোক।”

অতীতে কী হয়েছে, না হয়েছে, তার সঙ্গে নিজেকে কোনওভাবেই জড়াতে চাইছেন না জ্যোতিপ্রিয়র উত্তরসূরি, রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর আমলে রেশন বণ্টন থেকে শুরু করে চাষিদের থেকে শস্য কেনা... প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে আমূল সংস্কার আনা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রীমশাই।

Ration Scam: দফতরের স্বচ্ছ্বতা প্রমাণে ব্যস্ত রথীন, পূর্বসূরির আমল নিয়ে মুখে কুলুপ
রথীন ঘোষ

কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানও। জ্যোতিপ্রিয় অবশ্য বলছেন তিনি বাকিবুরকে চেনেন না, তবে ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বাকিবুরের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বেশ ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বেশ কিছু তথ্যও হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে অতীতে কী হয়েছে, না হয়েছে, তার সঙ্গে নিজেকে কোনওভাবেই জড়াতে চাইছেন না জ্যোতিপ্রিয়র উত্তরসূরি, রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর আমলে রেশন বণ্টন থেকে শুরু করে চাষিদের থেকে শস্য কেনা… প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে আমূল সংস্কার আনা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রীমশাই।

অতীতে কী হয়েছে, কী অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “আমি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতে পারি।” কিন্তু তাহলে হঠাৎ করে এই সংস্কারগুলি কেন আনল খাদ্য দফতর? মন্ত্রীর কথায়, “যখন খাদ্য দফতরের তরফে উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান হয়েছিল, তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের কিছু সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। সেই কারণেই এই সংস্কারগুলি করা হয়েছে।”

রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বক্তব্য, “আমি এখানে দায়িত্ব আসার পর পুরোদমে পর্যালোচনা করে সংস্কার আনা হয়েছে। ২০২১ সালের পর কোথাও কোনও সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে আমি বলতে পারব। কিন্তু আগের ব্যাপারটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল।”

উল্লেখ্য, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির থেকে অনেকেই ইতিমধ্যে বর্তমান খাদ্য দফতরের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। বর্তমান খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তুলছেন কেউ কেউ। সেই নিয়েও পাল্টা দিলেন রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “তাঁরা তো আমাকে মন্ত্রী করেননি। যদি মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিন আমাকে বলেন পদত্যাগ করতে, আমি করব।”

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সব সেম মডেল। পার্থ, অর্পিতা, কেষ্ট, সায়গল আর বাকিবুর, বালু। সবক'টার মডেল একই। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেনামে হোটেল। এরা গোটা পশ্চিমবঙ্গে একই জিনিস করেছে। শিক্ষা গিয়েছে জেলে, খাদ্য সবে গেল জেলে। বাকি থাকল স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য কবে জেলে যাবে তার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।"

Suvendu Adhikari: 'শুভেন্দু তখন দিঘায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী', বালুর হোটেল-রহস্য তরজায় তোপ পার্থর

কলকাতা: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, পাার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, বালু মল্লিক, বাকিবুর রহমান সকলেই একই মডেলে দুর্নীতি করেছেন। দিঘায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেনামে বিলাসবহুল চারটি হোটেল রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। হোটেলের নাম, ছবি ও লিজ হোল্ডারদের নাম প্রকাশ করে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও পাল্টা তোপ দেগেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, যে সময় এসব হয়েছে, শুভেন্দু জেলার একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাই তদন্তের আওতায় তাঁকেও আনা দরকার।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সব সেম মডেল। পার্থ, অর্পিতা, কেষ্ট, সায়গল আর বাকিবুর, বালু। সবক’টার মডেল একই। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেনামে হোটেল। এরা গোটা পশ্চিমবঙ্গে একই জিনিস করেছে। শিক্ষা গিয়েছে জেলে, খাদ্য সবে গেল জেলে। বাকি থাকল স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য কবে জেলে যাবে তার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।”

যদিও পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, “দিঘায় যত হোটেল এরকম দিয়েছে, সবই শুভেন্দু দিয়েছে। এখন ও বেআইনি হোটেল দিয়েছে কি না সেটা ও সবথেকে ভাল বলতে পারবে। কারণ, দিঘার একচ্ছত্র নায়ক শুভেন্দুই ছিল। যত অভিযোগ আসছে সবই পুরনো। ২০১৭, ২০১৮ সালের। ওই সময় মন্ত্রিসভায় যিনি ১-২-৩ এর মধ্যে ছিলেন, তারমধ্যে একজন ছিলেন শুভেন্দু। সুতরাং যদি ওই মন্ত্রিসভার তদন্ত করতে হয়, তবে শুভেন্দু অধিকারীকেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।” অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সে তো আমরাও বলতে পারি রাখল বেরার হোটেলে শুভেন্দুর পয়সা খাটত।”

অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, "২০১৬ সাল থেকে যখন দোকানে দোকানে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আদেশ হল, তখন অনেক হোলসেলার এই ব্যবসা ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। তখন বাকিবুর সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছিল। বাকিবুরের নির্দেশেই পুরোপুরি চলত সেই হোলসেলারগুলি।"

Bakibur Rahaman: দীর্ণ হোলসেলারদের 'প্রাণভোমরা' ছিলেন বাকিবুরই! উঠছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ
বাকিবুর রহমান

কলকাতা: শুধু চালকল, আটাকল, হোটেল ব্যবসা কিংবা সিনেমায় টাকা ঢালাই নয়, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বাকিবুর রহমানের কীর্তি রয়েছে আরও। বকলমে তিনিই বেশ কিছু রেশন দোকানকে নিয়ন্ত্রণ করতেন, এমন অভিযোগও উঠে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছেন ইডির অফিসাররা। তা থেকে জোরালো হয়েছে, বাকিবুরের বেনামি রেশন দোকান চালানোর তত্ত্ব। আর এসবের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। রেশন দোকানের সঙ্গে বাকিবুর যোগের যে তত্ত্ব উঠে আসছে, তাতেই একপ্রকার সিলমোহর দিলেন তিনি।


বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, বেশ কিছু হোলসেলার বাকিবুরের কাছে যেতেন। তাঁরা অনুরোধ করতেন, যাতে তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে দেওয়া হয়। তখন বাকিবুর বিভিন্ন লোক মারফত সেই হোলসেলারগুলি চালিয়ে দিত, যাতে লাইসেন্স বজায় থাকে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, “২০১৬ সাল থেকে যখন দোকানে দোকানে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আদেশ হল, তখন অনেক হোলসেলার এই ব্যবসা ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। তখন বাকিবুর সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছিল। বাকিবুরের নির্দেশেই পুরোপুরি চলত সেই হোলসেলারগুলি।”


বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, বাকিবুরের নেতৃত্বেই এই ধরনের হোলসেলারগুলি চলত। রাজারহাট, বারাসত, নৈহাটি থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকায় এভাবে বিভিন্ন হোলসেলারের উপর বকলমে দাপট ছিল রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বাকিবুরের। শুধু তাই নয়, কাশীপুরের গোডাউনও বাকিবুরের ‘নেতৃত্বে’ চলত বলে অভিযোগ অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের।

নিউজিল্যান্ড ম্যাচে তৃতীয় স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে খেলানো হয় মহম্মদ সামিকে। শার্দূলকে বসিয়ে একাদশে আনা হয় সূর্যকুমার যাদবকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখা হয়। ভারতের জয়ের ধারাও অব্যাহত। সুযোগ পেয়েই আগুনে বোলিং মহম্মদ সামির। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও মুগ্ধকর বোলিং করেছেন। মাত্র ২২৯ রান ডিফেন্ড করতে নেমে সামির ৪ উইকেট।


মুম্বই: হাফডজন জয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। ভারতীয় টিমের নজরে আপাতত লিগের বাকি ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থানে থাকা। শুধু তাই নয়, নকআউটের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়াও লক্ষ্য। এর জন্য জয়ের ধারা বজায় রাখা জরুরি। আপাতত টিমে অস্বস্তি একটাই, হার্দিক পান্ডিয়ার না থাকা। বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। দ্রুতই ফিরছেন হার্দিক। স্বাভাবিক ভাবেই টিম ম্যানেজমেন্টের স্বস্তির পাশাপাশি কম্বিনেশন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিও থাকছে। বিস্তারিত জেনে নিন l


হার্দিক ছিটকে যাওয়ায় একাদশে জোড়া পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। ব্যাটিং এবং বোলিং, দুই বিভাগই মজবুত করতে হত। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে তৃতীয় স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে খেলানো হয় মহম্মদ সামিকে। শার্দূলকে বসিয়ে একাদশে আনা হয় সূর্যকুমার যাদবকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখা হয়। ভারতের জয়ের ধারাও অব্যাহত। সুযোগ পেয়েই আগুনে বোলিং মহম্মদ সামির। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও মুগ্ধকর বোলিং করেছেন। মাত্র ২২৯ রান ডিফেন্ড করতে নেমে সামির ৪ উইকেট। ২ ম্যাচেই ৯ উইকেট তাঁর ঝুলিতে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সূর্যকুমার যাদবের জুরি মেলা ভার। ওয়ান ডে কেরিয়ার নিয়ে প্রচুর প্রশ্নও উঠেছিল। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাঁর সুযোগ নিয়েও। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চাপের মুখে ৪৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে নজর কেড়েছেন সূর্য। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচেও তাঁর ওপর ভরসা রাখবে টিম ম্যানেজমেন্ট। হার্দিক ফিরলেও সামি কিংবা সূর্যকে একাদশের বাইরে রাখা কঠিন। ভারতীয় বোর্ডের দল নির্বাচন কমিটির প্রাক্তন সদস্য যতীন পরাঞ্জপে মনে করছেন, দু-জনই জায়গা ধরে রাখবে। তাহলে বাদ পড়বেন কে?

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নির্বাচন কমিটির প্রাক্তন এই সদস্য বলেন, ‘সূর্যকুমার যাদব টি-টোয়েন্টিতে কী করতে পারে, সকলেরই জানা। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটিং প্রশংসনীয়। রোহিত ক্রিজে ছিল। সে সময় পরিস্থিতি বুঝে স্ট্রাইক রোটেট করা সূর্যর স্বভাববিরুদ্ধই বলা যায়। আবার যখন আক্রমণ করার মতো পরিস্থিতি এসেছে, শট খেলতে দ্বিধা করেনি। ওর ব্যাটিংয়ের যেন ভিন্নরূপ দেখা গিয়েছে। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে হার্দিক ফিরলে কী হবে? আমার মতে, সূর্য বরং পাঁচে ব্যাট করুক। শ্রেয়সের জায়গায় লোকেশ রাহুলকে চারে সুযোগ দেওয়া হোক।’

টিম ইন্ডিয়ার নম্বর ফোর, শ্রেয়স আইয়ার প্রথম ম্যাচ থেকেই সুযোগ পেয়েছেন। এখনও অবধি ভরসা দেওয়ার মতো ইনিংস নেই শ্রেয়সের ব্যাটে। স্বাভাবিক ভাবেই একাদশে তাঁর জায়গা সঙ্কটে। হার্দিক ফিরলে যা আরও জটিল হবে। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সূর্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, ওয়ান ডে ফরম্যাটে পরিস্থিতি অনুযায়ী ধরেও খেলতে পারেন।

দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্য দিনে দিনে হিংসা-দুর্নীতির আখড়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, "এ রাজ্যের মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে জেলে গিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী জেলে বসে আছেন। শিক্ষার সর্বনাশ করেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও শেষ। এ রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই চিকিৎসা দরকার। বাকি ছিল খাদ্য। তাও গিয়েছে।"

Dilip Ghosh: টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শাহ, দিলীপ জানালেন কমপক্ষে কত আসন পেতে হবে
দলীয় কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষ।

কলকাতা: পুজোর পর ফের বিজেপির রাজ্য দফতরে দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে দিলেন ভোকাল টনিকও। সোমবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০২৪-এ ৪০০ পার করে নরেন্দ্র মোদীকে আবার প্রধানমন্ত্রী করা।” এদিন দিলীপ ঘোষের গলায় বারবার শোনা গিয়েছে, গ্রামেগঞ্জে কর্মীরাই সংগঠনের বুনিয়াদ। তাঁদের লড়াই-ই জয় এনে দেয়।


দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য ২০১৯ সালে আপনারা লড়াই করেছিলেন। তার আগে বিজেপি একটা দু’টো সিট জিতত বাংলায়। কিন্তু বাংলার মানুষ সে বছর ঠিক করলেন দেশের জন্য মোদী চাই। আর আপনারা কর্মীরা গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় লড়াই করেছেন। অনেকে মারা গিয়েছেন। অনেকে মার খেয়েছেন। বাড়িঘর, দোকান ভেঙে দিয়েছে। তবে তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তবু দল ছাড়েননি। সেই সমস্ত কর্মীরাই ২০১৯ সালে লড়াই করে বাংলা থেকে ১৮টা সিট জিতিয়েছিলেন।”

দিলীপ ঘোষের কথায়, বিজেপির লক্ষ্য ২০২৪-এ ৪০০ পার করা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় গতবার অমিত শাহ ২২ টার্গেট দিয়েছিলেন। আপনারা ১৮ জিতিয়েছিলেন। এবার ৩৫ টার্গেট দিয়েছেন। ৩০ তো পার করতেই হবে। জল যেদিকে গড়াচ্ছে, মানুষের কাছে কোনও বিকল্প নেই। ৩০ নয়, ৩৫ও পারও হয়ে যেতে পারে। যদি গুজরাটে ২৫-এ ২৫ হয়। যদি দিল্লিতে ৭-এ ৭ হয়, রাজস্থানে ২০তে ২০ হয়, বাংলায় ৪২-এ ৪০ কেন হবে না?”

দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্য দিনে দিনে হিংসা-দুর্নীতির আখরা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যের মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে জেলে গিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী জেলে বসে আছেন। শিক্ষার সর্বনাশ করেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও শেষ। এ রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই চিকিৎসা দরকার। বাকি ছিল খাদ্য। তাও গিয়েছে। ওদের পতনের সীমা এসে গিয়েছে। দেশকে বাঁচাতে মোদীজীকেই প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।”

গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তা নিয়ে নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিজেপি শিবির। আর এসবের মধ্যেই দিল্লি থেকে পাঠানো একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনলেন জ্যোতিপ্রিয়র উত্তরসূরি রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

Ration Scam: বাংলার খাদ্য দফতরের প্রশংসায় কেন্দ্র! রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল চিঠি
রথীন ঘোষ

কলকাতা: রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তা নিয়ে নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিজেপি শিবির। আর এসবের মধ্যেই দিল্লি থেকে পাঠানো একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনলেন জ্যোতিপ্রিয়র উত্তরসূরি রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। দু’মাস আগে কেন্দ্রের থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাতে রাজ্যের খাদ্য দফতরের ভূমিকার প্রশংসা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।


রেশন সামগ্রীর ম্যানুয়াল ডিস্ট্রিবিউশনের বদলে অটোমেটেড ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে কোথাও কোনও ম্যানুয়াল ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছে কি না, তা অন্নবিতরণ পোর্টালে নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে মে মাস থেকে। কোথাও কাউকে রেশন কার্ডের ভিত্তিতে ম্যানুয়ালি রেশন সামগ্রী বণ্টন করা হচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখতেই এই পোর্টাল।

কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ৩১ অগস্ট ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে বাংলায় কোথাও ম্যানুয়াল রেশন সামগ্রী ডিস্ট্রিবিউশন হয়নি। রাজ্যের খাদ্য দফতরের গণ বণ্টন ব্যবস্থায় এই সাফল্যের প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। রাজ্যে যখন রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে, তখন খাদ্য দফতরের স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা দেখা গেল রথীন ঘোষের।

রথীন ঘোষের বক্তব্য, “সমস্ত রেশন কার্ডের কেওয়াইসি করানো আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংস্কার আনা হয়েছে। অনেকে বলছিলেন বায়োমেট্রিকে সমস্যা হচ্ছে, তখন আমরা আইডি স্ক্যানারের ব্যবস্থা করেছি। প্রায় ১৬ হাজার দোকানে ই-ওয়েং স্কেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে সঠিকভাবে ওজন হয়।”

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন দেবদূত ঘোষ। তাঁর এবং মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনেকটাই আলাদা। তা হলে কেন এই নাটক করতে, সর্বোপরি মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হলেন দেবদূত। 


বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। সেই ছবিতে মুজিবুরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা আরিফিন শুভ। চলতি মাসে, গত সপ্তাহেই কলকাতায় হয়ে গিয়েছে সেই ছবির প্রিমিয়ার। অন্যদিকে বাংলা ছবি এবং সিরিয়ালের পরিচিত মুখ দেবদূত ঘোষ মঞ্চে অভিনয় করছেন মুজিবুর রহমানের চরিত্রে। নাটকের নাম ‘জয় বাংলা–বঙ্গ আমার বন্ধু আমার’। ‘ভূমিসুত থিয়েটার কলকাতা’র প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে এই নাটক। নাটকের রচয়িতা সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনা দিয়েছে স্বপ্নদীপ সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের মুক্তির নেপথ্য নায়ক ছিলেন মুজিবুর। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নাটকের বেশ কিছু শো হবে গোটা ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে। কল্যানী (১৮ ডিসেম্বর), কলকাতা (তপন থিয়েটার, ২৪ ডিসেম্বর), সোনারপুর (২৬ ডিসেম্বর), বনগাঁ (২৯ ডিসেম্বর), কোচবিহার (৭ জানুয়ারি) এবং মালদায় (৪ ফেব্রুয়ারি) হবে শো।

নাটকের অভিনেতা দেবদূত জানিয়েছেন, একদিন নাকি নাটকের পরিচালক স্বপ্নদীপ সেনগুপ্ত চলে এসেছিলেন তাঁর শুটিংয়ে। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নাটক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই কথা শুনে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দেবদূতও। স্বপ্নদীপ নাকি সেদিন তাঁকে বলেছিলেন, এই নাটক দেবদূত ছাড়া হবেই না। দেবদূত বলেছেন, “ছেলেটার সাহস আছে! লড়াই হল ,শো নামল। হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই নাটক চালান যাচ্ছে। এ কম কথা নয়! ডিরেক্টর ও টিমের নিষ্ঠা, মানুষের ভালোবাসা, আশীর্বাদ ছাড়া এই নাটক চালানো সম্ভব হত না। ধন্যবাদ আপনাদের! পাশে থাকবেন!”

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন দেবদূত ঘোষ। তাঁর এবং মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনেকটাই আলাদা। তা হলে কেন এই নাটক করতে, সর্বোপরি মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হলেন দেবদূত। জানাতে চেয়েছিল TV9 বাংলা। দেবদূত বলেছেন…


চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে ইডেনে আগামিকাল দ্বিতীয় ম্যাচ। তাতে মুখোমুখি বাবর আজমের পাকিস্তান ও সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। দুই দলই যথেষ্ট নড়বড়ে। কারণ টানা ৪ ম্যাচ হেরে টাইগার্সদের বিরুদ্ধে নামছে পাকিস্তান। আর বাংলাদেশ টানা ৫ ম্যাচে হেরেছে। ফলে ইডেন থেকে ২ পয়েন্ট তুলবে কারা, সেটাই দেখার।


কলকাতা: ভারতের যে কোনও স্টেডিয়ামে ‘বিরাট… বিরাট…’, ‘রোহিত… রোহিত…’ স্লোগান শুনতে পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ইডেনে সোমবার দুপুরে উঠল ‘বাবর… বাবর…’ স্লোগান। শুধু পাক তারকা ক্রিকেটারদের নামে স্লোগন দিয়েই থেমে থাকেননি ক্রিকেটের নন্দনকাননে আসা দর্শকরা। বাবর-রিজওয়ানদের অনুশীলন দেখতেও ইডেনে প্রবেশ করেছিলেন কয়েকজন দর্শক। পাক ক্রিকেটাররা যে সময় অনুশীলন শেষ করে ফিরছিলেন, তখন ফের সেই দর্শকরা রিজওয়ানদের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর দেখা যায় সেই দর্শকদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। রিজওয়ান-শাহিনরা মেটালেন ক্রিকেটের নন্দনকাননে (Eden gardens) তাঁদের অনুশীলন দেখতে আসা দর্শকদের আবদার। বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

ইডেনে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামিকাল। আজ, সোমবার দুপুরে অনুশীলন করলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। বাবর আজমকে দেখা যায় খুব কাছ থেকে পিচও দেখলেন। অনুশীলনের আগে টিম হার্ডলে দলকে উদ্বুদ্ধও করেন বাবর। ফুরফুরে মেজাজেই দেখা যায় পাক ক্রিকেটারদের। সোমবার বিকেলের দিকে বাবর-রিজওয়ানরা যখন অনুশীলন শেষ করে মাঠ ছাড়ছিলেন সেই সময় উত্তেজিত দর্শকরা তাঁদের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। তা দেখে দর্শকদের দিকে এগিয়ে যান পাক ক্রিকেটাররা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান এবং সেলফিও তোলেন পাক ক্রিকেটাররা।

Shaheen Shah Afridi shook hands with fans and took selfie with fans at Eden Gardens
ক্রিকেটের নন্দনকাননে আসা দর্শকদের সঙ্গে সেলফি তুললেন পাক তারকা শাহিন শাহ আফ্রিদি। (ছবি-রাহুল সাধুখাঁ)

পাশাপাশি দেখা যায় মহম্মদ রিজওয়ান দু’টি ব্যাট নিয়ে দর্শকদের দিকে এগিয়ে যান। হাত মেলান অনুরাগীদের সঙ্গে। সেখানেই দর্শকদের একজন খানিকটা ওপরের দিকে ছিলেন। তার ফলে প্রথমে রিজওয়ান নিজের ব্যাট তাঁর দিকে বাড়িয়ে দেন। এরপর একটু এগিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে হাত মেলান। সেই সময় দর্শকদের উত্তেজনা ছিল দেখার মতো। এরপর শাহিন আফ্রিদি, ফকর জামান, মহম্মদ হ্যারিসরাও নন্দনকাননে আসা দর্শকদের সঙ্গে হাত মেলান, সেলফিও তোলেন। ৭ বছর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছিল পাকিস্তান। তাতে জিতেছিল পাক টিম। ইডেনে বাবর-রিজওয়ানদের খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের লক্ষ্য থাকবে সাকিব-লিটনদের হারানো।

কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট’ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এখন এক নতুন গবেষণা নিয়ে হাজির হয়েছেন। গিজ়মোডোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ এক অদ্ভুত উপায়, যেখানে কোয়ান্টাম কণাগুলি একে-অপরের সঙ্গে যেন কার্যত কথা বলতে পারে। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ইন্টার‌অ্যাক্ট’ (interact) করা। 2018 সালের মার্ভেল-মুভি 'অ্যান্ট-ম্যান অ্যান্ড দ্য ওয়াস্প'-এও টাইম ট্রাভেল নিয়ে কিছুটা এরকম পন্থারই কথা বলা হয়েছিল।

Time Travel: টাইম ট্রাভেল কি সত্যিই সম্ভব? নতুন পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা যা খুঁজে পেলেন...
টাইম ট্রাভেল নিয়ে আশার আলো জাগানোর মতো পরীক্ষা।

নিবারণ অর্থাৎ নিবারণচন্দ্রকে দেখে বিরিঞ্চিবাবা প্রশ্ন করেছিলেন, “নিবারণ? ও, এখন বুঝি তোমার এই নাম? কোথা যেন দেখেছি তোমায়,—নেপালে? উঁহু, মুরশিদাবাদে।” সেই সঙ্গে ‘মহাপুরুষ’ বিরিঞ্চিবাবার সংযোজন ছিল, “তোমার মনে থাকবার কথা নয়। জগৎ—শেঠের কুঠিতে, তার মায়ের শ্রাদ্ধের দিন। অনেক লোক ছিল—রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, রায় রায়ান জানকীপ্রসাদ, নবাবের সিপাহ—সলার খান—খানান মহব্বৎ জং, সুতোনুটির আমিরচন্দ—হিস্ট্রিতে যাকে বলে উমিচাঁদ। তুমি শেঠজীর খাজাঞ্চী ছিলে, তোমার নাম ছিল—রোস—মোতিরাম।” এহেন সময়-অভিযাত্রী, মানে সহজ ইংরেজিতে যাকে বলে ‘টাইম ট্রাভেলার’ বিরিঞ্চিবাবার মুখোশ অবশ্য প্রত্যাশিতভাবেই খসে পড়েছিল রাজশেখর বসু ওরফে পরশুরামের গল্পের শেষে। বাংলা থেকে শুরু করে ইংরেজি এবং বিবিধ বিদেশি ভাষা, টাইম ট্রাভেলকে কেন্দ্র করে গল্প, উপন্যাসের ছড়াছড়ি। হলিউডের সিনেমাতেও টাইম ট্রাভেলের উদাহরণ ভুরিভুরি। কিন্তু টাইম ট্রাভেল কি সত্যিই সম্ভব? নতুন এক পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা যা খুঁজে পেলেন, তাতে টাইম ট্রাভেলকে কেন্দ্র করে যে চিরাচরিত ধারণা, তা বদলে যেতে চলেছে।


টাইম ট্রাভেল বিষয়টি অনেকের কাছেই একটি ভারী মেশিনের সঙ্গে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে যুক্ত করে অতীত বা ভবিষ্যতে ভ্রমণ করা। ‘কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট’ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এখন এক নতুন গবেষণা নিয়ে হাজির হয়েছেন। গিজ়মোডোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ এক অদ্ভুত উপায়, যেখানে কোয়ান্টাম কণাগুলি একে-অপরের সঙ্গে যেন কার্যত কথা বলতে পারে। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ইন্টার‌অ্যাক্ট’ (interact) করা। 2018 সালের মার্ভেল-মুভি ‘অ্যান্ট-ম্যান অ্যান্ড দ্য ওয়াস্প’-এও টাইম ট্রাভেল নিয়ে কিছুটা এরকম পন্থারই কথা বলা হয়েছিল।

সাম্প্রতিকতম গবেষণাটিকে বলা হচ্ছে ‘গেডানকেন এক্সপেরিমেন্ট’। এই শব্দ বা ‘টার্ম’ সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। পদার্থবিদ্যার সীমানার বাইরে গিয়ে বাস্তব পরীক্ষার পরিবর্তে তাত্ত্বিক পরীক্ষার উল্লেখ করতে গিয়েই এই শব্দের উল্লেখ করেন তিনি। ‘ফিজ়িক্স রিভিউ লেটার্স’-এ নতুন গবেষণা দলটির এই কাজটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে, যেখানে ‘কার্যকর টাইম ট্রাভেল’-এর উল্লেখ রয়েছে।


বিধায়কদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একনাথ শিন্ডে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। এদিনের ঘটনা 'মহারাষ্ট্রের ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারের ব্যার্থতা' বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। যদিও ঘটনার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও।

Video: সংরক্ষণ কোটা নিয়ে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র, ২ এনসিপি বিধায়কের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
এনসিপি বিধায়কদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করল বিক্ষোভকারীরা।

মুম্বই: সংরক্ষণ কোটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। এবার জনতার রোষের কবলে খোদ বিধায়ক। একেবারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল শরদ পাওয়ারের দলের (NCP) দুই বিধায়কের বাড়িতে। বিধায়কের উপস্থিতিতেই তাঁর বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। সোমবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের বিড় জেলায়। বিধায়কের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সংরক্ষণ কোটা প্রসঙ্গে এনসিপি বিধায়ক প্রকাশ সোলাঙ্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তারই শিক্ষা দিতে বিক্ষোভকারীরা এদিন দুপুরে প্রকাশ সোলাঙ্কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ির সামনে পার্কিংয়ে থাকা গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর এনসিপি বিধায়ক সন্দীপ কিসিসাগড়ের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কেবল এনসিপি বিধায়কেরা নন, বিড় জেলায় একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে পরিচিত, প্রাক্তন মন্ত্রী জয়াদত্তজি কিসিসাগড়ের অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আবার ভাদাগাঁও নিমিবালকার গ্রামে বিক্ষোভকারীরা উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ছবি দেওয়া পোস্টার বিকৃত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

সূত্রের খবর, এ দিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ছুটি দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইডি হেফাজতে সময় মতো নিতে হবে ইনসুলিন, ওষুধ। দিনে চারবার করে নিতে হবে ইনসুলিন। মাসখানেক পর ফলোআপে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।

Jyotipriya Mallick: 'ভাল আছেন বালু', এবার কি রাত কাটবে ED-র ডেরায়?
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমল্লিক

কলকাতা: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল! সে কথা রবিবারও বলেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে মন্ত্রী নিজে দাবি করেছিলেন, হাতে জোর পাচ্ছেন না তিনি। সেই কারণে গতকালও তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়। এরপর সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ বৈঠকে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, আপাতত জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ফলত, ইডি হেফাজতে যাওয়ার সম্ভাবনা তাঁর আরও বাড়ল। কবে ইডি আধিকারিকরা তাঁকে নিয়ে যাবেন সেই বিষয়টি গোয়েন্দা আধিকারিকদের উপরই ছেড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, এ দিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ছুটি দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইডি হেফাজতে সময় মতো নিতে হবে ইনসুলিন, ওষুধ। দিনে চারবার করে নিতে হবে ইনসুলিন। মাসখানেক পর ফলোআপে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।

প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবার গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এজলাসেই চেয়ার থেকে পড়ে যান। বমি করেন। অজ্ঞানও হয়ে যান রাজ্যের মন্ত্রী। তারপর থেকেই বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সর্বক্ষণ রয়েছেন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। মস্তিষ্কের এমআরআই ও মেরুদণ্ডের পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। হাতে পায়ে কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। তবে এখন স্থিতিশীল আছেন বালু। যেহেতু তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। তাঁকে সাধারণ ডায়াবেটিক খাবারই দেওয়া হচ্ছে। তবে এতদিন নার্সিংহোমে থাকার জন্য ইডি তাঁকে জেরা করতে পারেনি। এবার তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগোতে পারবেন বলেই মনে করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।