তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন নিয়েছেন ইউনূস। গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রফতানির লাইসেন্স নিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমোদন নিয়েছেন।


ঢাকা: ইউনূসের গদি নিয়ে টানাটানি। তিনি আদৌ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এর মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের। তিনি মারাত্মক সব অভিযোগ আনলেন মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে।

শেখ হাসিনার পুত্র লেখেন, অবৈধ সরকারের দুর্নীতির প্রধান মাথা ও প্রশ্রয়দাতা হলেন ডঃ মহম্মদ ইউনূস। মাত্র ৯ মাসে তিনি একাধিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। কী কী সেই সুবিধা, তার তালিকাও তুলে ধরেছেন সজীব। তাঁর দাবি,  মহম্মদ ইনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন ও অর্থপাচারের মামলাসহ নিজের নামে থাকা সকল মামলা অনৈতিকভাবে দ্রুত খারিজ করিয়ে দিয়েছেন।

এছাড়া তিনি ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণের প্রাপ্য গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সব মুনাফার উপর আগামী ৫ বছরের জন্য অনৈতিক কর মকুব করে সুবিধা নিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কে থাকা সরকারের মালিকানা শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে এনেছেন।

তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন নিয়েছেন ইউনূস। গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রফতানির লাইসেন্স নিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমোদন নিয়েছেন।

সজীব জানিয়েছেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা ফান্ডের ৭০০ কোটি টাকা সিঙ্গল সোর্স সিলেকশন (Single Source Selection) এর মাধ্যমে গ্রামীণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেছেন ইউনূস। নিজের এনজিও-র কর্মী, আত্মীয়স্বজন আর এলাকার মানুষদের নিয়োগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, গতকালও ইউনূসের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিলেন সজীব। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব আহমেদ পোস্ট করে লেখেন যে সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশিত তালিকায় উল্লেখ করা ছিল শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সময় সেনার হেফাজতে কারা ছিলেন। সেই তালিকায় নাম ছিল বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিরও। তাহলে মহম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য কে পাঠ করালেন? তবে কি তাঁর শপথ গ্রহণ অবৈধ ছিল? প্রধান বিচারপতির সই জাল করেছিলেন মহম্মদ ইউনূস?


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours