August 2022

রবিবার দুপুর। নয়ডার পাশাপাশি প্রায় পুরো দেশের চোখ আটকে টেলিভিশনের স্ক্রিন, মোবাইলের পর্দায়। কখন মাটিতে মিশবে 'দুর্নীতির জোড়া প্রাসাদ'? কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল রীতি মেনেই। তার পর?


নয়ডা: রবিবার দুপুর। নয়ডার (noida) পাশাপাশি প্রায় পুরো দেশের চোখ আটকে টেলিভিশনের স্ক্রিন, মোবাইলের পর্দায়। কখন মাটিতে মিশবে 'দুর্নীতির জোড়া প্রাসাদ (twin tower)'? কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল রীতি মেনেই। এক সময় মোটা ধোঁয়ার চাদরে মুড়ে ভেঙে পড়ল দুই ইমারত। কিন্তু তার পর? তার পরের খোঁজটা কেউ রেখেছিল? পরিবেশবিদরা বলছেন, ওই বিস্ফোরণের পর নয়ডা-সংলগ্ন এলাকায় PM10-র মতো ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ একলাফে পৌঁছে গিয়েছিল ৬৭৬-এ। PM 2.5-র পরিমাণও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায় যা কিনা অশনি সঙ্কেত। 

কী হয়েছে?
রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। আর উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের হিসেব বলছে, যে জায়গায় টুইন-টাওয়ার ছিল তার কাছে পার্শ্বনাথ সোসাইটি সংলগ্ন এলাকায় রবিবার দুপুর ২টো থেকে ১০ টা পর্যন্ত PM10-র পরিমাণ ছিল ৬৭৬। অথচ ঠিক তার আগের দিন PM10-র পরিমাণ ছিল ৮১। আশার কথা একটাই। সোমবার থেকে PM10-র মাত্রা ওই এলাকায় আবার কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, রবিবার ওই এলাকাতেই আর এক প্রকার ভাসমান ধূলিকণা, PM 2.5-র মাত্রা ছিল ১৪১। তুলনামূলক বিচার করলে দেখা যাবে বিস্ফোরণের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার PM 2.5-র মাত্রা ১৭। অর্থাৎ ওই বিস্ফোরণের পরে দুটিরই মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যায়। পরিবেশ দফতরের আধিকারিকদের মতে, সোমবার যে বৃষ্টি হয়েছে তাতেই দূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু তা না হলে?

বিস্ফোরণের টুকিটাকি...
গত রবিবার ঝর্ণা বিস্ফোরণের মাধ্যমে সুপারটেক প্রাইভেট লিমিটেডের ওই জোড়া ইমারত ভেঙে ফেলা হয়। তা থেকে তৈরি হয় প্রায় ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ। কেঁপে ওঠে ৫০০ মিটার দূরের এলাকাও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই ধ্বংসাবশেষ সরাতে অন্তত তিন মাস লাগতে পারে। দূষণের মাত্রা মাপতে এসেছিল বিশেষ ডাস্ট মেশিন। ধুলোয় ঝড় সামলাতে আসে স্মগ গান। আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে জলের ফোয়ারা ছেটাতে থাকে দমকল। তবে বিস্ফোরণের অভিঘাতে নয়ডায় পাশের এটিএস সোসাইটির দেওয়ালে হালকা ফাটল ধরেছে বলে খবর। ক্ষতি হয়েছে গাছের। তাতে পুরু ধুলোর আস্তরণও পড়েছে। বিস্ফোরণের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর ফেরানো হয় আশেপাশের আবাসনের বাসিন্দাদের। কিন্তু দূষণের মাত্রার বিষয়টি চাঞ্চল্যকর, মানছেন অনেকেই।

বিপুল সম্পত্তির হদিস পেতে জেলে জেরা কেষ্টকে, মুখে কুলুপ বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশার’।

সিবিআইয়ের (CBI) প্রশ্নের মুখে মুখে কুলুপ। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না কেষ্ট। স্পষ্ট জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক। সূত্রের খবর, এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। তাঁর ও তাঁর মেয়ের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশাকে’। তবে কোনও প্রশ্নেরই কোনও উত্তর তিনি দেননি। সূত্রের খবর, একই কাজ করেছেন সায়গল হোসেনও। তিনি, এঁটেছেন মুখে কুলুপ।  

এদিন জেলে অনুব্রতকে জেরা পর বেরিয়ে আসা সিবিআই আধিকারিককে সাংবাদিকরা তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্ন করে জানতে চান আদৌও অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন কিনা। তাতে ওই সিবিআই আধিকারিক স্পষ্ট জানান ‘না’। সূত্রের খবর, এদিন ১২টা নাগাদ ৪ সদস্যের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে আসেন। সেখানেই রয়েছেন অনুব্রত। তবে সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের ভিতর একজন সিবিআই আধিকারিক ঢোকেন। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। 

এদিকে কেষ্টের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ও তাঁর দেবরক্ষী সায়গল হোসেন সহ অনেকের নামেই বেশ কিছু সম্পত্তির হদিস মিলেছে। সূত্রের খবর, এদিন সিবিআই আধিকারিকদের জেরা কারণই ছিল এই সমস্ত সম্পত্তির উৎস সন্ধান। এদিন সায়গল হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর জন্য সাজানো ছিল প্রশ্নমালা। মিনিট পনেরো তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। 

কেষ্টকে ঠিক কী কী প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা? 



সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পর তল্লাশিতে বোলপুরজুড়ে কেষ্টর প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। একইসঙ্গে কেষ্টকন্যা সুকন্যার বিভিন্ন কোম্পানি ও উদ্ধার হওয়া জমির বিষয়েও প্রশ্নও করা হয় বলে খবর। একইসঙ্গে কঙ্কালী ট্রাস্টের দেবত্র সম্পত্তির হাতবদল নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। তবে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি অনুব্রত। মুখে কুলুপ ছিল সায়গলেরও। এদিকে এদিন অনুব্রতকে জেরার পর সিবিআই আধিকারিকরা সরাসরি চলে যান বিশেষ সিবিআই আদালতে। সেখানেই তাঁদের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর। 

গ্রহের পরিবর্তন অনেক রাশির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর সাথে আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির জন্য সেপ্টেম্বর মাসটি কঠিন হতে চলেছে।

সেপ্টেম্বর মাসে (September 2022) অনেক বড় গ্রহের পরিবর্তন (Planet Transit) ঘটতে চলেছে। বুধ, শুক্র এবং সূর্য এই মাসে রাশি পরিবর্তন করবে। এই তিনটি গ্রহের স্থানান্তর আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন আনবে। মাসের শুরুতে, ১০ সেপ্টেম্বর, বুধ কন্যা রাশিতে বিপরীতমুখী হবে। এর পরে, ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্র সিংহ রাশিতে অস্তমিত হবে। তারপর ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্য কন্যা রাশিতে গমন করবে। এর পরে, ২৪ সেপ্টেম্বর আবারও শুক্র কন্যা রাশিতে গমন করবে। গ্রহের পরিবর্তন অনেক রাশির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির জন্য সেপ্টেম্বর মাসটি কঠিন হতে চলেছে।


সিংহ রাশি

সেপ্টেম্বরে গ্রহের অবস্থান পরিবর্তনের মধ্যে, ব্যবসায়ীরা যদি ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চান তবে প্রথমে কোনও পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন অন্যথায় অসুবিধা দেখা দিতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রেও এই মাসটি উত্থান-পতনে পূর্ণ হবে। এই সময়ের মধ্যে কোথাও বিনিয়োগ করবেন না। এই সময়ের মধ্যে করা বিনিয়োগের কারণে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। যদি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় তবে পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করার পরেই এগিয়ে যান।

তুলা রাশি

তুলা রাশির জাতকদের এই সময়ে কর্মক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা কম সন্তুষ্ট হবেন। তারা ব্যবসায় যে সাফল্য চায় তা দেখতে পাবে না। আপনার বিবাহিত জীবনে কিছু অসুবিধাও হতে পারে। আসলে, কোনও বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার মতবিরোধ হবে, যা আপনার দুজনের মধ্যে বিবাদের কারণ হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে, অর্থ ব্যয় করার সময় আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভেবেচিন্তে অর্থ ব্যয় করা এই মাসে ঠিক হবে। অন্যথায় আপনাকে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এমনকি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও, এই মাসটি আপনার জন্য বিশেষ কিছু দেখাচ্ছে না, তবে, আপনার কোনও বড় সমস্যা হবে না, তবে ছোট সমস্যা থেকে যাবে।

বৃশ্চিক রাশি

বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য সেপ্টেম্বর মাসটি গ্রহের পরিবর্তনশীল অবস্থানের মধ্যে আর্থিক এবং স্বাস্থ্যের দিক থেকে কিছুটা উদ্বেগজনক হতে পারে। এই মাসে আপনাকে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হতে পারে। অতএব, খুব সাবধানে অর্থ বিনিয়োগ এবং ব্যয় করা উপকারী হবে। সম্ভব হলে সিনিয়রের পরামর্শ নিন। এই মাসে আপনার সামনে কিছু অপ্রয়োজনীয় খরচ আসতে পারে, যার কারণে আপনার বাজেট ব্যাহত হতে পারে। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও কিছু ছোটখাটো সমস্যা আপনাকে বিরক্ত করবে।

মকর রাশি

কর্মজীবনের দিক থেকে মকর রাশির জাতকদের জন্য সেপ্টেম্বর মাসটি খুব একটা অনুকূল মনে হচ্ছে না। এই সময়ে আপনাকে আপনার কর্মজীবনে কিছু অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হতে পারে। এই সময়ে আপনাকে ধৈর্য ধরতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যের দিক থেকে এই মাসটি কিছুটা কষ্টদায়ক হতে পারে। আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে যোগব্যায়াম করা আপনার জন্য উপকারী হবে। তাই যোগব্যায়াম করতে থাকুন

জয়ের মঞ্চ গড়ে দেয় আফগানিস্তানের স্পিন জুটি। মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খানের দাপটে ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশ। আরও একটা বিধ্বংসী পারফরম্যান্স আফগানিস্তানের। এ বারের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করল আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ছিল পেসারদের দাপট। এ দিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের মঞ্চ গড়ে দেয় আফগানিস্তানের স্পিন জুটি। মুজিব উর রহমান (Mujeeb Ur Rahman) এবং রশিদ খানের (Rashid Khan) দাপটে ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ অবধি ১২৭ অবধি পৌঁছায় বাংলাদেশ। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় আফগানিস্তান।



ম্যাচের আগে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহদি হাসান মিরাজ জানিয়েছিলেন, স্পিন সহায়ক পিচ পেলে দু’দলের লড়াই ভালো হবে। তবে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এমনটা হয়তো আন্দাজ করেননি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা। মহম্মদ নঈমকে বোল্ড করেন মুজিব। ডট বলের চাপে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে আনামুল হককে ফেরান মুজিবই। পাওয়ার প্লে-তে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। তিনটিই মুজিবের শিকার। এরপর পর রশিদ খানের ম্যাজিক শুরু। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেনকে ফেরান রশিদ। শেষ দিকে তিনটি ছোট জুটি হওয়ায় কিছুটা ভদ্রস্থ স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন ৩১ বলে ৪৮ রান করেন। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ অবধি পৌঁছায় বাংলাদেশ। মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খান তিনটি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ১২৭-৭ (মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত ৪৮, মুজিব উর রহমান ৩-১৬, রশিদ খান ৩-২২)। আফগানিস্তান ১৩১-৩ (নাজিবুল্লাহ জাদরান ৪৩ অপরাজিত ৪৩, ইব্রাহিম জাদরান অপরাজিত ৪২)।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রি করা যায় না। কাউকে বিক্রি করলেও, ক্রেতার নাম-ঠিকানা, কেনার কারণ সব লিখে থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। অভিযোগ, শহর বা গ্রাম- কোথাও কেউ নিয়ম মানে না।

কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহর। শুধু ২০২১-র পরিসংখ্যানে নয়, পর পর ২ বছর কলকাতার ঝুলিতে সেরার শিরোপা। কিন্তু এনসিআরবি রিপোর্টে (NCRB Report) শুধু আলো নয়, অন্ধকারও যথেষ্ট। অ্যাসিড হামলায় এ বারও শীর্ষে বাংলা। এই নিয়ে পর পর চার বার। দুয়ে উত্তরপ্রদেশ, একে বাংলা। সোজা কথায়, অ্যাসিড হামলায় ‘এগিয়ে বাংলা’!

দেশে প্রতি বছর যা অ্যাসিড হামলার ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়, তার বেশিরভাগই ঘটে দু’রাজ্যে। বাংলা ও উত্তরপ্রদেশ। গত আট বছরের এনসিআরবি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ঘুরে-ফিরে রয়েছে এই দুই রাজ্যই। ৫ বার বাংলা শীর্ষে, ৩ বার উত্তরপ্রদেশ। একমাত্র স্বস্তির তথ্য, ৮ বছরে এ বারই সবচেয়ে কম অ্যাসিড হামলার ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। ২০১৬ সালে যেখানে দেশে মোট হামলার ঘটনা ২৮১-তে পৌঁছেছিল, সেখানে ২০২১-এ তা কমে হয়েছে ১৭৪। বাংলাতেও লিপিবদ্ধ হামলার সংখ্যা কমেছে। রাজ্যে ৩৪, উত্তরপ্রদেশে ২৫।

রাজ্যের অ্যাসিড-যোদ্ধারা অবশ্য মনে করছেন, আদতে সংখ্যাটা আরও বেশি। জয়নগরের মনীষা পৈলান সাত বছর আগে অ্যাসিড আক্রান্ত হন। তাঁর অভিজ্ঞতা, “সব ঘটনা থানা পর্যন্ত পৌঁছয় না। বাড়ির লোক চাপা দিয়ে দেয়। ঘটনার সময় শারীরিক যন্ত্রণা, মানসিক যন্ত্রণা এমন জায়গায় থাকে, সব আক্রান্তের পক্ষে থানায় পৌঁছনোও সম্ভব হয় না। তাছাড়া দীর্ঘ লড়াই। সবার পক্ষে লড়াই চালানোর ধৈর্যশক্তি থাকে না।” মনীষা নিজে এখনও লড়াই চালাচ্ছেন। সাত বছরেও বিচার পাননি। অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত, দিব্যি সংসার করছে। বিচার প্রক্রিয়া অতি শ্লথ। তবু হার মানতে নারাজ মনীষা। অন্য অ্যাসিড আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে ‘চিত্‍কার’ নামে একটি সংগঠনও চালাচ্ছেন। তিনি বলছেন, “পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় প্রতি মাসে একটি করে অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটছে। ঘরে ঘরে সোনার ব্যবসা, মানে অ্যাসিডের জোগান নিয়ে সমস্যা নেই। ছোটখাটো কারণেও অ্যাসিড ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটছে। নদিয়ার দিক থেকেও একাধিক ঘটনার খবর পাই।”

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রি করা যায় না। কাউকে বিক্রি করলেও, ক্রেতার নাম-ঠিকানা, কেনার কারণ সব লিখে থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু, শহর বা গ্রাম- কোথাও কেউ নিয়ম মানে না। নিয়ম কার্যকর করতে প্রশাসনকেও কড়া হতে দেখা যায়নি। এমনই পর্যবেক্ষণ দমদমের অ্যাসিড-যোদ্ধা সঞ্চয়িতা যাদবের। তাঁর আক্ষেপ, “গত কয়েক বছরে কোনও পরিবর্তন দেখলাম না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। বহু চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি আমরা। উনি মহিলাদের পাশে থাকার কথা বলেন, কিন্তু কখনও অ্যাসিড হামলা নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করতে দেখলাম না!” সাত বছর লড়ে গত বছরই বিচার পেয়েছেন সঞ্চয়িতা। আদালতের নির্দেশে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে হামলাকারীর। মনীষার মতো সঞ্চয়িতাও লড়ছেন অন্য আক্রান্তদের জন্য। ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যের ভূমিকাতেও অসন্তুষ্ট তরুণী। তাঁর ক্ষোভ, “এ রাজ্যে আক্রান্তদের পুনর্বাসনের কোনও সরকারি ব্যবস্থা নেই। যে যার মতো চেষ্টা করছেন। সেটাও হাতে-গোনা। আক্রান্তের চিকিত্‍সাতেই বিপুল খরচ। তবু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সময়ে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না অনেকে। এরকমও হয়েছে, অর্ডার বেরিয়ে যাওয়ার পরও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। বলা হয়েছে, তহবিলে টাকা নেই। কতটা অবহেলা ভাবুন!”

গত আট বছরের পরিসংখ্যান

অ্যাসিড হামলা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সিনেমা হয়েছে। ২০২০ সালে ‘ছপাক’ সিনেমার মাধ্যমে আক্রান্ত মালতীর দুর্বিষহ যন্ত্রণার কথা ফুটিয়ে তুলেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। লক্ষ্মী আগরওয়ালের সেই কাহিনি গোটা দেশ দেখেছে, কিন্তু সচেতনতা আসেনি। বন্ধ হয়নি হামলা। এ রাজ্যের চিত্রও সেটাই বলছে।

আইনস্টাইন রিংয়ের তাক লাগানো ছবি তুলে দেখাল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সেই ছবিতে আইনস্টাইন রিং এতটাই নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠেছে, যা আগে দেখা যায়নি। আর তার কারণ হল এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ়ারের হাতের কারসাজি।

মহাজাগতিক দুনিয়ার একের পর এক অবিশ্বাস্যকর ছবি তুলে নিয়ে আসছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আর সেই ছবিগুলির মাধ্যমে মহাবিশ্বের কিছু শ্বাসরুদ্ধকর দিক তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে স্পেস টেলিস্কোপটি। এবার আরও একটি বিরল ছবি তুলে নিয়ে এসেছে জেমস। সেই ছবিটি একটি আইনস্টাইন রিংয়ের। চিত্রটি তোলা হয়েছে স্পেস টেলিস্কোপের MIRI ডিটেক্টরের সাহায্যে। পাশাপাশি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের শক্তিশালী NIRCam ডিটেক্টর ব্যবহার করেও ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

আইনস্টাইন রিং কী?

যখন একটি নক্ষত্র বা একটি গ্যালাক্সি থেকে আলো অন্য গ্যালাক্সি বা একটি বিশাল বস্তু পৃথিবীর দিকে যাওয়ার পথে অতিক্রম করে, সেই বিশেষ অবস্থাকে বলা হয় আইনস্টাইন রিং। যেহেতু বৃহৎ বস্তুর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আলোকে বাঁকিয়ে দিতে পারে, তাই এটি মহাকর্ষীয় লেন্সিং তৈরি করে একটি রিংয়ের মতো প্রভাবের সৃষ্টি করে, যার ফলে গ্যালাক্সির আলো প্রায় নিখুঁত বলয়ের মতো প্রদর্শিত হয়। NIRCam দ্বারা ধারণ করা এই গ্যালাক্সিটি হল SPT-S J041839-4751.8। এই বিশেষ গ্যালাক্সি পৃথিবী থেকে প্রায় 12 বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

তবে এই অসামান্য ছবিটির জন্য ধন্যবাদ জানাতে হয় Spaceguy44 নামের এক রেডিট ব্যবহারকারীকে। পোস্ট প্রসেসিংয়ের পরেই আইনস্টাইন রিংয়ের অমন অনবদ্য রূপ দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এই রেডিট ব্যবহারকারী স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের আর্কাইভ থেকে ছবিটি সংগ্রহ করেছেন। একটি বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করে আইনস্টাইন রিংয়ের এমন রঙিন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মোট তিন ধরনের ভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে লাল হল F1000W ফিল্টার, যেটি 10µm আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ক্যাপচার করে। সবুজ হল F770W ফিল্টার, যা 7.7µm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য এবং নীল হল F560W ফিল্টার যেটি 5.6µm তরঙ্গদৈর্ঘ্য ধরে। Spaceguy44 নামের ওই রেডিট ইউজ়ার এই ছবিগুলিকে নিয়ে অ্যাস্ট্রপির সাহায্যে মিশিয়ে এবং রঙিন করে GIMP-তে প্রসেসিং করেন।

অবাক করার মতো বিষয়টি হল যে, এটি SPT-S J041839-4751.8-এর জন্য জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দ্বারা ক্যাপচার করা প্রথম আইনস্টাইন রিং নয়। এই অগস্টেই অর্থাৎ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও এরকমই একটি আইনস্টাইন রিংয়ের ছবি তুলে ধরেছিল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। কিন্তু এবারে SpaceGuy44 এই ছবিটি রঙিন করার ফলে তার যে বিস্তারিত রূপ ধরা পড়েছে, তা আগের ছবির থেকে অনেকখানিই আলাদা।

ছোট লরিতে ঢাকা দিয়ে গরু পাচারের ছক, আসানসোল-ধানবাদ সীমান্তে ধরা পড়ল চালক।

গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গোটা রাজ্যেই জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বীরভূমের (Birbhum) ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে জেল হেফাজতে দিন কাটছে তাঁর। তবে তারপরেও কী বাংলায় গরু পাচারে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে? সূত্র বলছে গরু পাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে বাংলায়। বিহার থেকে পাচার হচ্ছে গরু। সেই গরুই ঢুকছে বাংলায়। তবে থেকে বেশি গরু আসছে বীরভূম আর মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে গরু বোঝাই হয়ে চলে যাচ্ছে জেলায় জেলায়। এরইমধ্যে এবার ধানবাদ-আসানসোল (Dhanbad-Asansol) সীমান্ত ধরা পড়ল গরু বোঝাই গাড়ি। 

এদিকে আগে বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পার্শেল ভ্যানের মত বড় কন্টেনার বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হত গরু। তবে এবার আর বড় কন্টেনার নয়। গরু পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল ছোট লরি। তাতেই ত্রিপল ঢাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু। সূত্রের খবর, ধানবাদ পেরিয়ে গাড়িটি যখন আসানসোল সীমানার চেকপোস্টের দিকে যাচ্ছিল তখনই গাড়িটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরা প্রথমে হাত দেখিয়ে গাড়িটিকে দাঁড়া করানোর চেষ্টা করলে গাড়ি থামেনি বলে অভিযোগ। উল্টে গাড়ির স্পিড আরও বাড়িয়ে দেন চালক। যদিও পরবর্তীতে নিরসার কাছে পাটরা মোড়ে গাড়িটিকে ধরা হয়। দেখা যায় গাড়ির ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু গরু। খবর যায় পুলিশে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা হাত দেখাই। তখন গাড়ি একটু আস্তে করে। পরে ফের স্পিড বাড়িয়ে দেয় চালক। গাড়ি ছুটতে শুরু করে। আমরা তখন গাড়িটাকে ধাওয়া করি। কিছুদূর গিয়ে গাড়িটাকে ধরতে সমর্থ হই। তখন গাড়িতে কী আছে জিজ্ঞাস করাতে চালক বলে কিছু নেই। আমরা গাড়িকে উঁকি দিতেই দেখি গাড়ি ভর্তি গরু। কোনও কাগজও দেখাতে পারেনি। তারপরই আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”
যদিও চালকের দাবি, বিহারের বক্সার জেলার পশু হাট থেকেই এই গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলায়। তবে গরুর হাটে গরু কেনাবেচারও কোনও কাগজ সে দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে গরুগুলিকে উদ্ধার করে ধানবাদের কাতরাসে গোশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগে ৪০ টি গরু সহ একটি কন্টেনার ধরা পড়েছিল ধানবাদে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা তারপর থেকেই সাধারণের নজর এড়াতে বড় কন্টেনার ব্য়াবহার করা বন্ধ করতে শুরু করছে পাচারকারীরা। পাচারের জন্য ব্যবহার বেড়েছে ছোট গাড়ির।

রেলস্টেশনের পাশের কলোনি থেকে চার কিশোর গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে এসেছিল। সেই সময় গঙ্গায় জোয়ার ছিল। কিন্তু ওই চার কিশোর তা বুঝতে পারেনি। মুহূর্তের অসতর্কতা, আর তাতেই গঙ্গায় তলিয়ে যায় তারা।

গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল (Drown in Ganga) চার কিশোর। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়ায় (Bhatpara)। জগদ্দলের এক গঙ্গায় স্নান করতে নেমেছিল স্থানীয় চার কিশোর। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। গঙ্গায় তলিয়ে যায় ওই চার কিশোর। তাঁরা প্রত্যেকেই জগদ্দল স্টেশন সংলগ্ন পূর্বাশা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদের প্রত্যেকের বয়স ১১-১৫ বছর পর্যন্ত। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে শম্ভু রাম, জিতু চৌধুরি, সৌরভ প্রসাদ ও গৌতম প্রসাদ। এদিকে দুপুরে চার কিশোর গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে যায় জগদ্দল থানার পুলিশ। খবর পেয়ে গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে যান ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংও। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।


স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর দুটো নাগাদ। রেলস্টেশনের পাশের কলোনি থেকে চার কিশোর গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে এসেছিল। সেই সময় গঙ্গায় জোয়ার ছিল। কিন্তু ওই চার কিশোর তা বুঝতে পারেনি। মুহূর্তের অসতর্কতা, আর তাতেই গঙ্গায় তলিয়ে যায় ওই চার কিশোর। আশপাশে তখন কেউ ছিল না। গঙ্গার ঘাটে ওই কিশোরদের মোবাইল ও পার্স পড়ে ছিল। সেই দেখেই সন্দেহ হয় অন্যান্যদের। দেরি না করে, সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় ডুবুরিদেরও। এদিকে ওই মোবাইল ফোন ও পার্সের সূত্র ধরে খবর দেওয়া হয় তলিয়ে যাওয়া কিশোরদের পরিবারের লোকদেরও। মঙ্গলবার দুপুরের এই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন কিশোরদের পরিবারের লোকেরা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বেলুড়ে গঙ্গার ঘাটে এক কিশোরী তলিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ও গঙ্গায় জোয়ার চলছিল। সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল চার কিশোর। ভাটপাড়ার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই চার কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

প্রযুক্তির হাত ধরে বর্তমানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুঠোফোন। কিন্তু, মোবাইল ফোন ব্যবহারে এখনও স্কুলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

স্কুলে (School) মোবাইল ফোন আনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ঝামেলা। হাতিহাতিতে জড়ালো পড়ুয়ারা। স্কুলের গেটে পড়ল তালা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত গাববেড়িয়ার ছাত্র বন্ধু উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে। গেটে তালা ঝুলে যাওয়ায় স্কুলের মধ্যেই আটকে পড়লেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। খবর গেল পুলিশে। শেষে পুলিশ এসে তালা খুলে উদ্ধার করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। 

ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষক প্রদীপ কুমার বাগ বলেন, “ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। মোবাইল ফোন আনা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। এখন মোবাইল নিয়ে তো একটা বিধিনিষেধ রয়েছে। এদিকে পড়ুয়ারা অনেক সময় বলে যে আমার বাবা বিদেশে। মা অসুস্থ। নানা অজুহাত দেখায়। এখন পরীক্ষা চলছে। তাই কাউকে সাসপেন্ডও করা যায়নি। এদিন পরীক্ষার হলেও ওরা মোবাইল আনে। পরীক্ষার হলে যে শিক্ষকরা গার্ড দিচ্ছেলিনের তাঁদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয় পড়ুয়াদের। তবে শিক্ষকরা কাউকেই মারধর করেনি। ওরা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলায় জড়ায়। গণ্ডগোলটা অনেকটা বড় হয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”’

প্রযুক্তির হাত ধরে বর্তমানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুঠোফোন। এমনকী সরকারের তরফ থেকে মোবাইল কেনার জন্য পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে অর্থসাহায্য। করোনাকালে বিগত দুবছর ধরেই এই মোবাইলকে হাতিয়ার করে চলেছে পঠনপাঠন। যদিও অফলাইন পঠনপাঠন শুরু হতেই স্কুলের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে পুরনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অনেক স্কুলই। অভিযোগ তা মানছেন না অনেক পড়ুয়াই। উল্টে পড়াশোনার পরিবর্তে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ মোবাইলকে শুধুমাত্র বিনোদনের হাতিয়ার করে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ। তারমধ্যে এ ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষা মহলে। 

বান্ধবী ও তার পরিবারকে আটক করেছে পুলিশ। জয়গাঁ সীমান্তের একটি বস্তিতে ঘটেছে এই ঘটনা


রাতের দিকে বান্ধবী ডেকেছিল ফোন করে। সেই বান্ধবীর বাড়িতেই গিয়েছিল কিশোর। কিন্তু সকাল পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় মায়ের চিন্তা বাড়ে। লোকজনকে খবর দেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে সেই বান্ধবীর বাড়ি থেকেই মিলল কিশোরের মৃতদেহ। থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বান্ধবী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কিশোরকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়ঁগা এলাকার ঘটনা। জয়ঁগার মেচিয়া বস্তিতেই ওই বান্ধবীর বাড়ি। এ দিন সকালে যার দেহ উদ্ধার হয়েছে তার নাম সফিকুল ইসলাম। ১৭ বছরের ওই কিশোরের বাড়ি বস্তি থেকে খুব দূরে নয়। কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। কী ভাবে মৃত্যু হল ওই কিশোরের, সে রহস্য উদঘাটন হয়নি এখনও। মৃত্যু ঘিরে এলাকায় ব‍্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।

জয়ঁগা ঝর্ণা বস্তির বাসিন্দা সফিকুল। এলাকারই একটি গ‍্যারেজে কাজ করত ওই কিশোর। সফিকুল ইসলামের সঙ্গে পাশের মেচিয়াবস্তির এক কিশোরীর প্রণয়ের সম্পর্কের কথা অনেকেই জানতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই কিশোরের মা জানান, সোমবার রাতে সফিকুলের কাছে হঠাৎই একটা ফোন আসে। তিনি জানতে পারেন ওই বান্ধবীই ফোন করে ডেকেছে। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সফিকুল। তার মা জানিয়েছেন, ওই পরিবারের সঙ্গে ছিল না কোনও পুরনো শত্রুতাও।



মঙ্গলবার সকালে মেচিয়াবস্তিতে ওই কিশোরীর বাড়ি উদ্ধার করা হয় সফিকুল ইসলামের মৃতদেহ। কিশোরীর বাড়িতে তার মা ও ভাই ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যুবকের মৃত্যু ঠিক কী ভাবে হল, ময়নাতদন্তের পর তা বুঝতে পারবে পুলিশ।

শাসক দলের নেতাদেকর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে আগেই। এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠল।



এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে সোমবার আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে মমতার পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে। ইডি, সিবিআই ও আয়কর দফতরকে দিয়ে তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায়। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে।



সোমবার TMCP’র কর্মসূচি থেকে প্রশংসার সুরে তিনি বলেন, অনুব্রতর মতো সাহায্যকারী ছেলে কম দেখেছি।


আশাবুল হোসেন, বিজেন্দ্র সিংহ ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে দলনেত্রী তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন,' কেষ্টকে ( Anubrata Mondal ) গ্রেফতার করলেন কেন? কেষ্ট কী করেছিল? কেষ্টরা ভয় পাবে না। একটা কেষ্টকে ধরলে। লক্ষ কেষ্ট রাস্তায় তৈরি হবে। ' এরপর নেত্রীর ওপর ভরসার কথা জোর গলায় বলেন গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, যথেষ্ট করেছেন ' 

অনুব্রত মণ্ডলকে কোনও পদ থেকেও সরানো হয়নি
গরু পাচার ( Cow Smuggling ) মামলার তদন্তে ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ( CBI ) । দু’দফায় সিবিআই হেফাজতে থাকার পর, এখন তিনি আসানসোল ( Asansol ) জেলে বন্দি। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তবে এসবের মধ্যেও, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ( Partha Chatterjee ) মতো অনুব্রত মণ্ডলকে কোনও পদ থেকেও সরানো হয়নি। এবং স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।

কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে খুব কম দেখেছি
আবারও প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে ভরসার কেষ্টর হয়েই কথা বললেন তৃণমূল নেত্রী। গরু পাচারের মামলায়, সিবিআইয়ের হাতে ধৃত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা শোনা গেল তৃণমূলনেত্রীর মুখে। বললেন, কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে খুব কম দেখেছি।

অনুব্রতর পাশেই দাঁড়িয়েছেন মমতা
এই নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। ফের অনুব্রতর পাশেই দাঁড়িয়েছেন মমতা । অনুব্রত মণ্ডল আপাতত জেল হেফাজতে। আসানসোলের জেলে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতর প্রসংশা করলেন, সেদিন রাতেই আসানসোলে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। সিবিআই সূত্রে খবর, এবার বেশ কিছু নতুন তথ্য ও নথি সামনে রেখে অনুব্রতকে জেরা করা হবে। আসানসোল জেলে গিয়ে সিবিআই অফিসাররা এবার জেরা করবেন অনুব্রতকে। আবার কি নতুন কোনও তথ্য বেরিয়ে আসবে ? 


অন্যদিকে সোমবার গরুপাচার মামলায় সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দিকেই আঙুল তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফের নাকের তলা দিয়ে গরু পাচার হয়, কয়লা পাচার হয়। আর ওরা তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলে! কোলিয়ারির নিরাপত্তা দায়িত্বে কে রয়েছে? সিআইএসএফ। সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে কে রয়েছে? বিএসএফ। তা হলে কীভাবে গরু পাচার হয়? কীভাবে কয়লা পাচার হয়? '' 

নেটফ্লিক্সে আসছে একঝাঁক নতুন প্রজেক্ট।


এইমুহূর্তে বিশ্বজুড়ে যে ওটিটি প্ল্য়াটফর্ম গুলো সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার মধ্য়ে অন্য়তম নেটফ্লিক্স। এই প্ল্য়াটফর্মে একাধিক ছবি ও ওয়েব সিরিজের হাত ধরে প্রথমবার ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করেছেন বেশ কিছু প্রথম সারির অভিনেতা- অভিনেত্রী। যাদের মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য় হলেন আলিয়া ভাট, মাধুরী দীক্ষিত, অনিল কাপূর, অভিষেক বচ্চন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মত হেভিওয়েটরা। 

এবার নেটফ্লিক্স প্রকাশ্য়ে আনল নতুন তথ্য। শীঘ্রই এই প্ল্য়াটফর্মে আসছে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ। যার স্টারকাস্ট রীতিমত তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। এই প্রজেক্ট গুলো দেখা যেতে চলেছে রাজকুমার রাও, টাবু, তামান্না ভাটিয়া,ইয়ামি গৌতম,রিতেশ দেশমুখের মতো তারকাদের। 

সিনেপ্রেমীদের মধ্য়ে উন্মাদনা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন সোশাল সাইটে নেটফিক্সের তরফ থেকে শেয়ার করা হচ্ছে পোস্টার,টিজার সহ নানান কিছু।

তথ্য় অনুযায়ী নেটফিক্সে আসতে চলেছে রোমান্টিক কমেডি ছবি 'প্ল্যান এ প্ল্যান বি'। এই ছবি দর্শককে দুটি বেমানান জগতের আভাস দেবে। একজন ম্যাচ মেকার এবং একজন ডিভোর্স অ্যাটর্নি৷ এই দুজন একে অপরের প্রেমে পড়েন। এই ছবিতে মুখ্য় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী তারকা তামান্না ভাটিয়া ও রিতেশ দেশমুখ। এই প্রথমবার একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন এই ডুয়ো। তাই তাঁদের নিয়ে সিনেমাপ্রেমী দর্শকের মধ্য়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। পাশাপাশি ছবির টিজারও ইতিমধ্য়ে বেশ পছন্দ করেছে দর্শক। ছবি প্রসঙ্গে অভিনেতা রিতেশ দেশমুখ জানিয়েছেন যে, ১৯০টি দেশে নেটফ্লিক্সে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের জন্য তিনি সত্যিই উত্তেজিত। 


অন্য়দিকে তামান্না ভাটিয়া জানিয়েছেন, রিতেশ এবং প্ল্যান এ প্ল্যান বি-এর পুরো টিমের সাথে কাজ করতে পেরে তিনি বেশ খুশি। দর্শকের মতো তিনিও এই ছবি নিয়ে বেশ উত্তেজিত। তামান্না ভাটিয়া ও রিতেশ দেশমুখ ছাড়াও শশাঙ্ক ঘোষ পরিচালিত 'প্ল্যান এ প্ল্যান বি' ছবিতে অভিনয় করেছেন পুনম ধিলোন, কুশা কপিলার মত একাধিক শিল্পীরা। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর এই ছবির প্রিমিয়ার হওয়ার কথা।

'প্ল্যান এ প্ল্যান বি' ছাড়াও নেটফ্লিক্সে আসতে চলেছে ক্রাইম-ড্রামা থ্রিলার 'মনিকা, ও মাই ডার্লিং'। যেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও, হুমা কুরেশি, রাধিকা আপ্তে, সিকান্দার খের, বাগাবতী পেরুমল, আকাঙ্খা রঞ্জন কাপুর, সুকান্ত গোয়েল এবং জেন মেরি খান। 'মনিকা, ও মাই ডার্লিং'-এর পরিচলনা করেছেন নির্দেশক ভাসান বালা।

 



অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আগেই সিবিআইয়ের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল, তারা তদন্তের প্রয়োজনে জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে চায়।


অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চলেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আসানসোলের জেলে জেরা করা হবে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। মঙ্গলবার সকালেই সেখানে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আসানসোল জেলে পৌঁছবেন তদন্তকারীরা। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের যে তদন্তকারীরা রয়েছেন, তাঁরাই যাচ্ছেন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে।



অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আগেই সিবিআইয়ের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল, তারা তদন্তের প্রয়োজনে জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে চায়। তার অনু্মতি যেন আদালত দেয়। সেই আর্জি মঞ্জুরও করেন বিচারক। সেইমতোই সিবিআই মঙ্গলবার সেখানে যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

সিবিআই সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিনে তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে। বেশ কয়েক জায়গায় জমির হদিশ পেয়েছে, সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা। অন্যদিকে এর আগে যেদিন অনুব্রতকে আদালতে তোলা হয়, সেদিনই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, অনুব্রতর যোগ রয়েছে এমন বহু জায়গায় টাকার খবরও পেয়েছেন তাঁরা। শুধু অনুব্রত নন, এই অর্থের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর আত্মীয়স্বজনদেরও, এমনই সূত্রের দাবি। সেই টাকার উৎস খুঁজে পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জেরার জন্য এদিন তদন্তকারীরা আসানসোল জেলে যাচ্ছেন বলেই খবর।

একটি হুডখোলা বাসে করে ঘুরছিলেন পাটায়া শহরে। সেই বাসটি যখন শহরের যৌনপল্লী এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে উঠে পড়েন এক কম বয়সি যৌনকর্মী।

বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইল্যান্ড। কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র নয়। ভিন্ন ধরনের খাবার ও জীবন যাপনের বৈচিত্র পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে এই দেশকে। কয়েকটা দিনের মজা উপভোগ করতে এই দেশে আসেন অনেকেই। এ দেশের যৌনপল্লীর মোহময় লাস্যের টানেও আসেন অনেকেই। সম্প্রতি তাইল্যান্ডের পাটায়া শহরে ঘুরতে এসেছিলেন এক পর্যটক। সেই শহরের যৌনপল্লীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই যৌনকর্মী যা করেছেন তা সারা জীবনেও ভুলবেন তা তিনি। সেই ঘটনা নিয়ে হইচইও হয়েছে বিস্তর।

৫৫ বছরের ওই পর্যটক একটি হুডখোলা বাসে করে ঘুরছিলেন পাটায়া শহরে। সেই বাসটি যখন শহরের যৌনপল্লী এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে উঠে পড়েন এক কম বয়সি যৌনকর্মী। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যৌনকর্মী মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তখন হঠাৎই বসে বসে থাকা ব্যক্তির কানের লতি কামড়ে ধরেন। কামড়ে লতি কেটে নেন ওই মত্ত যৌনকর্মী।

তা করতেই চিৎকার করে ওঠেন ওই ব্যক্তি। তা শুনে বাসে উপস্থিত অন্যরা তাকান পিছনে। অভিযোগ তখনও নির্বিকার ছিলেন ওই মত্ত যৌনকর্মী তিনি তখন কেটে নেওয়া কানের লতি চিবিয়ে খেয়ে নেন বলে অভিযোগ। এরপরই বাসের কর্মীরা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত যৌন কর্মীকে। এবং ওই ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনা নিয়ে সাইজাই কামাচুলা নামের এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, “ওই মহিলা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ ধরতে গেলে বাধা দেন তিনি। লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আরও পুলিশ কর্মীরা এসে তাঁকে আটক করে।”

বাইডেন প্রশাসন যদি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান (Taiwan) সফরের পর থেকে চিনের (China) গাত্রদাহ মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকী আমেরিকাকে সটান হুমকি দিতেও পিছপা হয়নি বেজিং। তাইওয়ান সীমান্তে নজিরবিহীন সেনা মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। এই অবস্থায় আমেরিকার এক সিদ্ধান্তে শি জিংপিং সরকারের রক্তচাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ান সরকারকে ১০১ কোটি মার্কিন ডলার অস্ত্র বিক্রি করতে রাজি। এই নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুমতি চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন, এমনটাই জানা গিয়েছে। সোমবার পলিটিকোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই বিপুল অস্ত্রের মধ্য ৬০টি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ১০০টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন যদি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরই গণতান্ত্রিক তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে সেনা মহড়া চালিয়েছে বেজিং। এমনকী তাইওয়ান দ্বীপকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছে বেজিং। তাইওয়ানের দাবি, চিনা ড্রোন ক্রমাগত তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। যদিও সোমবার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং।

গত সপ্তাহেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল যে তাইপেই সরকারকে জো বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন আইন প্রণেতারা সবরকমভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে অস্ত্রের বাইরেও তাইওয়ানের সামরিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পলিটিকোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে হোয়াইট হাউজের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মার্কিন অস্ত্র সাহায্যের সম্ভাবনা জোরাল হওয়ার পর চিনের তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেটাই এখন দেখার।

গল্পটি লিখেছিলেন রুপা রাও। এবং তিনি গল্পটি লিখেছিলেন সিরিজ়ে তৈরি হওয়ার ১০ বছর আগে।

বলা হচ্ছে, এটিই নাকি দেশের প্রথম লেসবিয়ান গল্প নির্ভর ওয়েব সিরিজ়। একটি মেয়ের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের আলাপ ও তাঁদের মধ্যে বাড়ন্ত প্রেম নিয়ে সিরিজ়ের চিত্রনাট্য। সিরিজ়ের নাম ‘দ্য আদর লাভ স্টোরি’। এই সিরিজ় এমন একটি সময় তৈরি হয়েছিল যখন লেসবিয়ান ও গে যুগলদের (পড়ুন সমকামী যুগল) লড়াই অনেকটা কঠিন ছিল এই সমাজে। তখনও সেকশন ৩৭৭ মান্যতা পায়নি সেই অর্থে। সুতরাং, ‘দ্য আদর লাভ স্টোরি’ এমন সময় মুক্তি পেয়েছিল, যে সময় সমকামী প্রেমকে অপরাধের চোখে দেখা হত। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘দ্য আদর লাভ স্টোরি’। সমকামীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে তৈরি করা হয়েছিল এই সিরিজ়। ৯০-এর দশকের দুই লেসবিয়ানের গল্পকে তুলে ধরা হয়েছিল সেখানে। গল্পটি লিখেছিলেন রুপা রাও। এবং তিনি গল্পটি লিখেছিলেন সিরিজ়ে তৈরি হওয়ার ১০ বছর আগে।


দ্য আদর লাভ স্টোরি’র গল্পটি বেঙ্গালুরুর। যেখানে লেসবিয়ান প্রেমকে আলমারি বন্দি করে রাখা হত একটা সময়। পরের এপিসোডগুলিতে আঁচল ও আধ্যার পরিবারের সঙ্গে তাদের সমস্যা তৈরি হয় এই সম্পর্ককে ঘিরে। কিন্তু শেষটা ‘হ্যাপি এন্ডিং’ রেখেছেন নির্মাতারা। কেবল তাই নয়, নিউ ইয়র্ক ওয়েব ফেস্টে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন রুপা।

যে যার বিশ্বাস মেনে চলে। সে সাধারণ মানুষ হোক, আর তারকা। নিজের ধর্মের সম্মান জানান এমন অনেক মুসলিম তারকা ফুটবলার রয়েছেন। এ বার তারই প্রমাণ দিলেন বুন্দেশলিগার অন্যতম সফল দল বায়ার্ন মিউনিখের (Bayern Munich) সাদিও মানে (Sadio Mane)।

 যে যার বিশ্বাস মেনে চলে। সে সাধারণ মানুষ হোক, আর তারকা। নিজের ধর্মের সম্মান জানান এমন অনেক মুসলিম তারকা ফুটবলার রয়েছেন। এ বার তারই প্রমাণ দিলেন বুন্দেশলিগার অন্যতম সফল দল বায়ার্ন মিউনিখের (Bayern Munich) সাদিও মানে (Sadio Mane)। সম্প্রতি বায়ার্নের ফুটবলারদের দিয়ে একটি ঠাণ্ডা পানীয়র শুটিং করানো হয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখের টুইটারে সেই শুটিংয়ের ছবি-ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাদের শেয়ার করা ছবিতেই দেখা গিয়েছে, একদিকে দলের বাকি প্লেয়ারদের হাতে এক জনপ্রিয় কোম্পানির বিয়ারের বড় গ্লাস রয়েছে। অন্যদিকে হাত মুঠো করে বসে রয়েছেন সেনেগালের তারকা মানে। নেটিজ়েনদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে এই ছবি।

উল্লেখ্য, সাদিও মানে একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী ফুটবলার। আর ইসলাম ধর্মে মদ্যপানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার ফলে বিয়ার ধরে ফটোশুট করেননি মানে। সতীর্থরা বিয়ার হাতে ধরলেও, তিনি খালি হাতেই ছিলেন। লিভারপুল ছেড়ে এ বার বায়ার্ন মিউনিখে সই করেছেন মানে। তার পাশাপাশি বায়ার্নে আরও এক মুসলিম ফুটবলার যোগ দিয়েছেন। তিনি হলেন মরক্কোর ডিফেন্ডার নৌসাইর মাজরাউই। তিনিও মানের মতোই ফটোশুটের সময় বিয়ারের গ্লাস হাতে ধরেননি

মানে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওই বিয়ার স্পর্শ করেননি। এই প্রসঙ্গে গত বছরের ইউরো কাপের দুটি ঘটনা মনে পড়তে বাধ্য। ঘটনা ১, সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ঠাণ্ডা পানীয়র বোতল টেবল থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। এবং সকলে জল খাওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি ফিট থাকার জন্য তেমন বার্তা দিয়েছিলেন। ঘটনা ২, রোনাল্ডোর দেখানো পথেই খানিটকা হাঁটেন পল পোগবা। গত বছরের ইউরো কাপে প্রেস কনফারেন্সের সময় টেবলে বিয়ারের বোতল রাখা ছিল। পোগবা যা দেখে সরিয়ে দেন। তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী ফুটবলার। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখের সামনে বিয়ার দেখেই তিনি সেই বোতল টেবিলের নীচে নামিয়ে দেন।

লিভারপুলের হয়ে চলতি বছরের কারাবাও কাপ জেতার পর ফেব্রুয়ারিতে, মানে সতীর্থ তাকুমি মিনামিনোকে উদযাপনের সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে শ্যাম্পেন স্প্রে না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। জাপানি তারকা তাকুমি সেই অনুরোধের সম্মান জানিয়েছিলেন।

১ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি এই পদে আবেদন করা যাবে।


চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় সুযোগ। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হনারারি হেলথ ওয়ার্কার পদে কর্মী নিয়োগ করা করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২৭টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। এই পদে মাসিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা ভাতা মিলবে। ১ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি এই পদে আবেদন করা যাবে। এই পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক…

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যে কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাস রা থাকলেই আবেদন করা যাবে। এর পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কাজের অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে।

বয়স: আবেদনকারীদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ২২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি: আবেদনপত্র ডাউনলোড করে পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় নথি যুক্ত করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।

আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: MUNICIPAL COMMISSIONER, KOLKATA MUNICIPAL CORPORATION, 5, S. N. BANERJEE ROAD, KOLKATA -700013

প্রয়োজনীয় নথি: বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনীয় নথির তালিকা দেওয়া রয়েছে।



আন্তঃশহর পরিষেবা চালু করে অনলাইন খাদ্য সরবরাহের মানচিত্রকে পালটে দিতে চাইছে জোমাটো। ‘ইন্টারসিটি লেজেন্ড’ ব্র্যান্ডের অধীনে এই নয়া পরিষেবা চালু করছে সস্থাটি।


এবার দিল্লিতে বসেই কলকাতা থেকে বিরিয়ানি অর্ডার করতে পারবেন? বা শ্যামবাজারে বসে হায়দরাবাদ থেকে কাবাব অর্ডার করা যাবে! এমনই নয়া পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোমাটো। এবার আন্তঃশহর পরিষেবা চালু করে অনলাইন খাদ্য সরবরাহের মানচিত্রকে পালটে দিতে চাইছে জোমাটো। ‘ইন্টারসিটি লেজেন্ড’ ব্র্যান্ডের অধীনে এই নয়া পরিষেবা চালু করছে সস্থাটি।

এই নয়া পরিষেবার আওতায় জোমাটোর তরফে নির্দিষ্ট কিছু রেস্তোঁরাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আবহে অন্য শহরে বসে এই রেস্তোঁরাগুলো থেকে অনায়াসে খাবার অর্ডার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সংশ্লিষ্ট রেস্তোঁরা অর্ডারের খাবার তৈরি করে তা ফ্রিজ করবে। এরপর সড়কপথে বা আকাশপথে তা গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। যেমন করে কোনও কুরিয়ার পৌঁছে থাকে, ঠিক সেভাবেই। এই আবহে কোনও কোনও অর্ডার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে একদিনের বেশি সময় লাগতে পারে।

এখনও অবশ্য এই আন্তঃশহর পরিষেবা জোমাটোর সব গ্রাহকদের কাছে উপলব্ধ নয়। জোমাটোর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে আন্তঃনগর ডেলিভারি এখনও পরীক্ষামূলক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘গ্রাহকের অনুরোধ পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে আমরা সম্প্রতি এই পরিষেবা চালু করেছি। ইন্টারসিটি লেজেন্ডস অফারগুলির অংশ হিসাবে বিভিন্ন শহর থেকে অন্য শহরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে করে অন্য শহরের খাবারের সঙ্গে ভারতীয়দের সংযোগ স্থাপন হবে। এই পরিষেবা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত৷ অবশ্য এখনও এই পরিকল্পনার বিশদ ভাগ করার সময় আসেনি।’


এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এই অসম্ভব প্রায় পরিষেবা কতদিন এবং কীভাবে জোমাটো চালিয়ে যেতে পারবে। আদতে জোমাটোর আগেও এই ধরনের উদ্যোগ চালু করেছে এবং তারপরে আচমকাই তা গুটিয়ে নিয়েছে। এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে মুদি সামগ্রী ডেলিভারি এবং নিউট্রাসিউটিক্যালসের মতো পরিষেবা। এই আবহে এক শহর থেকে অন্য শহরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার এই বিষয়টি বেশ উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি মতো সত্যিই পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।


সিআরএসসি-র তরফে প্রথমে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৭৯ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৪৪৩ কোটি টাকার দাবি করা হয়।


সীমান্ত নিয়ে চাপান-উতোর আগেই ছিল, ২০২০ সালের মে মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দখলদারি নিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে। জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে। দুই দেশের সংঘর্ষের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে ফাটল ধরে, তা এখনও জোড়া লাগেনি। তবে ভারত-চিনের সংঘর্ষ কিন্তু সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতীয় রেলওয়ের একটি চুক্তি নিয়েও সম্মুখ সমরে নেমেছে দুই দেশ। ৪৭১ কোটির চুক্তি বাতিল করাকে কেন্দ্র করে এবার আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে চিন।

গালওয়ান সংঘর্ষের পরই সে বছর জুন মাসেই চিনা সরকারের অধীনস্থ সিআরএসসি রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন ইন্সটিটিউট গ্রুপকে দেওয়া ৪১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রেট করিডর গঠন করার বরাত, যা কানপুর থেকে দীন দয়াল উপাধ্যায় জংশন (মোগলসরাই) অবধি তৈরি তৈরি হত, সেই বরাত বাতিল করে দেওয়া হয়। ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির এই চুক্তি বাতিল করার বিরোধিতা করেই সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সে অভিযোগ দায়ের করেছে চিনা সংস্থা। ওই সংস্থার অভিযোগ, চুক্তি বাতিলের আগে যে অংশটুকুর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তার টাকা দেওয়া হয়নি। ওই ফ্রেট করিডর তৈরির কাজ করার সময়ে তাদের যে নানাবিধ সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

কী নিয়ে বিরোধ?
সিআরএসসি-র তরফে প্রথমে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৭৯ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৪৪৩ কোটি টাকার দাবি করা হয়। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিও ফেরত চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, একজন কনট্রাক্টর প্রকল্প শুরু করার আগে চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য যে ডাউন পেমেন্ট করতে হয়, তাকেই ব্য়াঙ্ক গ্যারান্টি বলে। চিনের দাবি, ভারতে বেআইনিভাবে এই চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে।


চিনের তরফে অভিযোগ দায়ের করার পরই ভারতের তরফেও পাল্টা মামলা করা হয়েছে। ৭১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ভারতও ২৩৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে
বাংলাভাগের ইস্যু নিয়ে বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। এদিন তিনি বললেন, 'রক্ত দিয়ে বাংলা ভাগ রুখব। শুধু আমাদের রক্ত দেব না। প্রয়োজনে অন্যের রক্তও ঝরবে। বিজেপি নেতাদের একথা মাথায় রাখতেই হবে। রক্ত গেলে, দুপক্ষেরই রক্তই যাবে। কারণ আমরা কেউ চুরি পরে বসিনি।' এমনটাই হুঙ্কার তৃণমূলের হেভিওয়েট উদয়ন গুহ-র। আর এরপরেই মুখ খুললেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা-র (BJP Leader Rahul Sinha)।

  ওই রক্তে কোনও কাজই হবে না। কারণ ওদের রক্ত বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে : রাহুল সিনহা

রাহুল সিনহা এর পরেই বললেন, 'প্রথম কথা হচ্ছে, ওই রক্তে কোনও কাজই হবে না। কারণ ওদের রক্ত বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। ওরকম বিষাক্ত রক্ত কোনও শুভকাজে লাগে না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বাংলাভাগের কোনও প্রশ্নই এখানে আসেনি। অতয়েব শুধু শুধু বাজার গরম করে লাভ নেই। কারণ আমার তো মনে হয় না, কোনও পলিটিক্যাল পার্টি বাংলাভাগের জন্য বলেছে। কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাংলাভাগ যারা চেয়েছিল, তাঁদেরকে ওরাই সমর্থন করেছিল পিছন দিক থেকে।তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ, গোপনে যোগাযোগ, এটা ওরাই করেছে। অতয়েব বাংলাভাগের উসকানির কাজ যদি কেউ করে থাকে, সেটা তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। অতয়েব শুধু শুধু চিৎকার করে, আস্ফালন করে, আকাশ বাতাস কাঁপানোর কোনও দরকার নেই।'



  'পৃথক উত্তরবঙ্গ'-র ইস্যুতে উত্তাল হয় সারা বাংলা

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভার আগে থেকেই 'পৃথক উত্তরবঙ্গ'-র ইস্যুতে উত্তাল হয় সারা বাংলা। মূলত বিজেপির একটি সভা থেকে মন্তব্যের পরেই ক্রমশ জয় গড়ায় রাজ্য়ে। এনিয়ে একুশের বিধানসভার আগে জোর বিতর্ক শুরু হয় উত্তরবঙ্গে। বিক্ষোভের জেরে রাতারাতি উত্তরবঙ্গ সফরে পর্যন্ত যান বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিজেপি নেতা জন বার্লা এই ইস্যুতে দফায় দফায় বৈঠকও করেন। প্রথমে এই ইস্যুতে মুখ খোলা হলেও পরে এনিয়ে কেন্দ্রের তরফে বিতর্কের আগুন নেভাতে এই ইস্যুতে সমর্থন তুলে নেওয়া হয়। তবে এনিয়ে থেমে থাকে না রাজ্যের শাসকদল। এই ইস্যুকেই ঢাল বানিয়ে একের পর এক সভায় গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে রাজ্য তৃণমূল নের্তৃত্বের শীর্ষ নেতারা। আর এবার সেই ইস্যুতেই ফের বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। আর তারপরেই এদিন তোপ দাগলেন রাহুল সিনহা। 

 মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর (Srikanto Mahato) বক্তব্যের বিরোধিতা করে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) পাশে থাকার বার্তা রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh)। তাঁর মন্তব্য, 'এখন সাংস্কৃতিক জগতের মানুষদের দাগিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।' 

তৃণমূল মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বিস্ফোরক মন্তব্য

'খারাপ লোককে ভাল বলা হচ্ছে। আমরা বাঁচব কীভাবে? খারাপকে খারাপই বলতে হবে।' দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। 

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপা ধ্যায় (Partha Chatterjee)। গরু পাচার মামলায় অ নুব্রত মণ্ড লকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে CBI। আর এই প্রেক্ষাপটেই কার্যত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন শালবনির তৃণমূল বিধায়ক ও ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একেবারে খোলামেলা পরিবেশে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। কিন্তু কথা বলতে বলতেই, আর নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি মন্ত্রী। শুধু শীর্ষ নেতৃত্ব নয়, মন্ত্রীর নিশানায় রয়েছেন একাধিক সাংসদ, বিধায়করা। মেদিনীপুরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান-সহ আরও অনেকে তাঁর নিশানায়।

মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করে মিমি, নুসরতের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রুদ্রনীল ঘোষের। বিজেপি নেতার মন্তব্য, 'কিছু মানুষ দু’ হাত দিয়ে লুটেপুটে খেয়েছে। এখন সাংস্কৃতিক জগতের মানুষদের শুধু দাগিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।' মিমি, নুসরতের সমর্থনে এমনই মন্তব্য রুদ্রনীলের। 


অন্যদিকে, শ্রীকান্ত মাহাতোর এহেন মন্তব্যে কার্যত ‘অস্বস্তি’তে রাজ্যের শাসকদল। এই সুযোগে তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ খোঁচা বিরোধীদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'লুটেপুটে খাওয়ার দল, সবাই খাবে। আগামী দিনে আরও নেতারা এই ধরনের কথা বলবেন। সবাই বলবেন, এই দলটা করা যাচ্ছে না।'


অন্যদিকে শ্রীকান্ত মাহাতোকে ইতিমধ্যেই শোকজ করেছে তৃণমূল। তিনি দুঃখপ্রকাশও করেছেন বলে দাবি নেতৃত্বের।

গত ১২ অগাস্ট, মুম্বই পুলিশের একটি দল রণবীরের বাড়িতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠাতে গিয়েছিলেন। অভিনেতা তাঁর বাসভবনে ছিলেন না বলে জানা যায় এবং পুলিশকে বলা হয় যে তিনি ১৬ অগাস্ট ফিরবেন
ফটোশ্যুট বিতর্কে (Nude Photoshoot Controversy) সোমবার নিজের বয়ান রেকর্ড করলেন অভিনেতা রণবীর সিংহ (Ranveer Singh)। চেম্বুর পুলিশ স্টেশনে (Chembur Police Station) এদিন নিজের বয়ান রেকর্ড করেন অভিনেতা। তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট হওয়া নগ্ন ছবির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের (FIR) ভিত্তিতে বয়ান দিলেন তিনি। 

বয়ান রেকর্ড রণবীরের

সম্প্রতি এক ম্যাগাজিনের জন্য নগ্ন হয়ে ফটোশ্যুট করেছিলেন রণবীর সিংহ। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হয়ে যায় তা। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে, যেখানে দাবি করা হয় যে তাঁর ছবি মহিলাদের ভাবাবেগে আঘাত করে। 

এই মামলায় আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ অগাস্ট তাঁর পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আজই অর্থাৎ ২৯ অগাস্ট পৌঁছে যান থানায়, নিজের বয়ান রেকর্ড করান। ম্যাগাজিনের সঙ্গে তাঁর কী চুক্তি ছিল সেই ব্যাপারে বিস্তারিত প্রশ্ন সাজানো হয় পুলিশের তরফে। কোথায় ছবি তোলা হয়, ওই ছবি কারণ ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে সেই ব্যাপারে রণবীরের কোনও ধারণা ছিল কিনা, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় বলে খবর সূত্রের।


জানা যাচ্ছে, রণবীর তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন যে ফটোশ্যুটটি তাঁকে সমস্যায় ফেলবে এবং মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করবে তা তাঁর ধারণা ছিল না। তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

গত ১২ অগাস্ট, মুম্বই পুলিশের একটি দল রণবীরের বাড়িতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠাতে গিয়েছিলেন। অভিনেতা তাঁর বাসভবনে ছিলেন না বলে জানা যায় এবং পুলিশকে বলা হয় যে তিনি ১৬ অগাস্ট ফিরবেন।
কর্মক্ষেত্রে, রণবীর সিংহকে শেষ দেখা গিয়েছে 'জয়েশভাই জোরদার' ছবিতে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কর্ণ জোহর পরিচালিত ও আলিয়া ভট্টের সঙ্গে 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি'। এছাড়া আসছে রোহিত শেট্টির পরিচালনায় 'সার্কাস' ছবি। সেখানে তাঁকে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও পূজা হেগড়ের সঙ্গে।
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় (Pradip Mukherjee Demise)। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস জনিত সমস্যায় (lungs problem) ভুগছিলেন 'জন অরণ্য'-এর (Jana Aranya) সোমনাথ। আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

'জন অরণ্য' থেকে বিদায় নিলেন 'সোমনাথ'

প্রয়াত হলেন সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) কালজয়ী ছবি 'জন অরণ্য'-এর 'সোমনাথ' চরিত্রের। বিদায় নিলেন প্রবীণ অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ফুসফুস জনিত সমস্যায়। ভর্তি ছিলেন গোরাবাজার মিউনিসিপ্যালিটি হাসপাতালের ওপরের প্রাইভেট হাসপাতালে। সেখানেই আজ অর্থাৎ সোমবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জন অরণ্য' ছবির হাত ধরে প্রচারের আলোয় আসেন অভিনেতা। এরপর অজস্র ছবিতে কাজ করেন তিনি। ১৯৭৮ সালের 'গোলাপ বউ', ১৯৭৯ সালের দৌড়, ১৯৮১ সালের 'দূরত্ব' থেকে শুরু করে ১৯৯২ সালের 'হীরের আংটি', 'শাখা প্রশাখা', 'দহন'-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। 


শুধু পুরনো দিনেই নয়, ২০২১ সাল পর্যন্তও একাধিক আধুনিক ছবিতে কাজ করে গেছেন তিনি। 'উৎসব', 'যেখানে ভূতের ভয়', 'মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর', 'গয়নার বাক্স', 'বাদশাহী আংটি'. 'সজারুর কাঁটা', 'কহানি ২', 'তরুলতার ভূত' প্রমুখ ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

বিদীপ্তা চক্রবর্তীর শোকপ্রকাশ

এদিন সকালে দুঃসংবাদ পেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী (Bidipta Chakraborty)। এদিন ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন, 'অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় চলে গেলেন। অনেক স্মৃতি, বেশ কিছু কাজ একসঙ্গে, আমার জীবনের প্রথম মেগা সিরিয়াল থেকে টেলিফিল্ম,ছবি। শেষ তোমার সঙ্গে দেখা ড্রাকুলা স্যার এর সেট এ। মনে পড়ছে সেদিনের কথা। শান্তিতে থেকো প্রদীপ কাকু।' (অপরিবর্তিত)
চলতি বছরের শুরু থেকেই একের পর এক দুঃসংবাদ বিনোদন দুনিয়ায়। প্রয়াত হয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, কিংবদন্তী পরিচালক তরুণ মজুমদার, গায়িকা নির্মলা মিশ্র প্রমুখ। শুধু বাংলা বিনোদন জগতেই নয়, শোকের ছায়া নেমেছে জাতীয় চলচ্চিত্র জগতেও। কলকাতায় এসে অনুষ্ঠানের পর মৃত্যু হয় বলিউড গায়ক কেকে-র। এছাড়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ির মতো তারকারাও।

মুকেশ অম্বানি। দীপাবলির মধ্য়ে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে শুরু হয়ে যাবে দেশের দ্রুততম নেটওয়ার্ক পরিষেবা।   

Jio 5G পরিষেবার রোডম্যাপ
এদিন বার্ষিক সভায়  অম্বানি বলেন, ''Jio-এর 5G একটি সত্যিকারের 5G পরিষেবা হিসাবে প্রমাণিত হবে। ৪জি পরিষেবার ভিত্তি নিয়ে এই পরিষেবা তৈরি করেনি কোম্পানি।'' তিনি জানান,  কেবল Jio-র কাছে 700 MHz স্পেকট্রাম রয়েছে। Jio 5G-এর কভারেজ দুর্দান্ত হবে ও 5G পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী নেটওয়ার্ক হবে। জিও 5G র জন্য 2 লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে কোম্পানি।

মুম্বইয়ে জিও এক্সপিরিয়েন্স সেন্টার খুলবে
এদিন রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের চেয়ারম্যান আকাশ অম্বানি ঘোষণা করেছেন, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইতে জিও এক্সপিরিয়েন্স সেন্টার খোলা হবে। সাশ্রয়ী মূল্যের 5G স্মার্টফোনে Google-এর সঙ্গে কাজ করবে কোম্পানি। 5G-র সাহায্যে Jio Air Fiber পুরো ভিডিও ও গেমিং অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে বলে দাবি করেছে আকাশ। 

Jio 5G পরিষেবা দীপাবলির মধ্যে ৫টি শহরে শুরু হবে
এজিএম-এ মুকেশ অম্বানি বলেছেন যে, Jio 5G হবে বিশ্বের বৃহত্তম 5G নেটওয়ার্ক। প্রাথমিকভাবে ৫টি শহরে 5G পরিষেবা দেওয়া হবে। দীপাবলি পর্যন্ত দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতায় 5G পরিষেবা শুরু হবে। এর পরে 2023 সালের ডিসেম্বরের মধ্যে 5G পরিষেবা সারা দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে। Jio 5G হাই স্পিড Jio Air Fiber অফার করবে।

  • চলতি বছর অক্টোবর চার শহরে জিও-র ৫জি পরিষেবা চালু হলেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সারা ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করবে রিলায়েন্স জিও।
  • Qualcomm- এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতে ৫জি নেটওয়ার্ক লঞ্চ করতে চলেছে জিও।
  • এন্ড-টু-এন্ড ওয়্যারলেস ৫জি এক্সপিরিয়েন্স পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের জন্য রিলায়েন্স জিও সংস্থা Jio Air Fiber পরিষেবার কথাও ঘোষণা করেছে। 
  • গুগলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রিলায়েন্স জিও অ্যাফোর্ডেবল রেঞ্জে ৫জি স্মার্টফোনও লঞ্চ করবে বলে জানা গিয়েছে।
  • জিও-র চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি জানিয়েছেন Jio Air Fiber পরিষেবার মাধ্যমে ইউজাররা Gigabit-speed ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তাও ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে। 
  • এই ওয়্যারলেস ডিভাইস পাওয়ার সোর্স হিসেবে প্লাগ-ইন করা যাবে এবং ওয়াই-ফাই হটস্পট হিসেবেও কাজ করবে। 

রিলায়েন্স জিও-র পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি যেমন ভোডাফোন-আইডিয়া, ভারতী এয়ারটেল- এই সংস্থাগুলিও ভারতে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করার দৌড়ে সামিল হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এয়ারটেলও অক্টোবরের মধ্যেই নাকি ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করবে। 

রিলায়েন্স জিও ৫জি স্মার্টফোন

ভারতে রিলায়েন্স জিও সংস্থা নতুন ৫জি ফোনও লঞ্চ করবে। এই ফোনের দাম সাধ্যের মধ্যেই হবে বলে শোনা গিয়েছে। অর্থাৎ অ্যাফোর্ডেবল রেঞ্জে জিও ৫জি ফোন লঞ্চ হবে ভারতে। যদিও জিও ৫জি ফোনের দাম কত হবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। রিলায়েন্স জিও ৫জি ফোন কবে লঞ্চ হবে তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণও জানা যায়নি। 

জীবন (life) তাকে খুব বেশি সময় ও স্বস্তি দেয়নি। শেষ সফরেও (death) সামান্য মর্যাদা পেল না ২ বছরের খুদে (2 year old kid)। হাসপাতাল থেকে ভ্য়ান (hearse van) না পাওয়ায় তার দেহ হাতে (arms) নিয়ে গ্রামের পথে হাঁটা (barefoot walk) লাগাল দাদা (Elder brother)। উত্তরপ্রদেশের (uttarpradesh) বাঘপত জেলার ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই চোখের জল বাঁধ মানছে না নেটিজেনদের। এটুকুও কি করা যেত না শিশুটির জন্য? কী করছিল হাসপাতাল প্রশাসন? 

কী ঘটেছিল?
মৃতের নাম কালা। তার বাবা, প্রবীণ কুমার পেশায় দিনমজুর। আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে ১ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া করে সন্তানের দেহ শামলি জেলার লিলোনখেড়ি গ্রামে নিয়ে যাবেন। ওই গ্রামেই পিতৃপুরুষের ভিটে প্রবীণ কুমারের। শেষ বারের মতো খুদেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বাবা। অভিযোগ, বাঘপতের জেলা হাসপাতালে বার বার এই মর্মে অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। শেষমেশ শিশুর দেহ দুহাতে তুলে নিয়ে হাঁটা দেয় ১০ বছরের দাদা। স্বচক্ষে সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই ভিডিও করেছিলেন। প্রশাসনকে সতর্কও করেন। তার পর ভ্যান পায় পরিবার। কিন্তু তার আগে কেন হাঁটতে হল খুদেকে নিয়ে ? এমন মর্মান্তিক ছবি কেন দেখতে হল, প্রশ্ন উঠছেই। প্রশাসনের অবশ্য় দাবি, ওঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। শোনেননি। 

মৃত্যুর কারণ...
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছ, গত শুক্রবার বাঘপতে দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়ের উপর একটি ব্যাঙ্কের কাছে গাড়ির তলায় চাপা পড়ে যায় ২ বছরের বাচ্চাটি। টানা কান্নায় বিরক্ত হয়ে সৎমা তাকে ধাক্কা দিয়েছিল। তার পরই ওই ঘটনা ঘটে, দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সৎমাকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও তাঁর দাবি, বাচ্চাটির ক্ষতি করার জন্য কিছু করেননি তিনি। এর পরই কালার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পর দিন, সেখান থেকে ফেরার সময়ই ওই ঘটনা। প্রবীণের সঙ্গে তাঁর বড় ছেলে সাগর ও এক আত্মীয়ও ছিলেন বলে খবর। সেই আত্মীয়ই পরে জানান, বার বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও কেউ ভ্যানের ব্য়বস্থা করেননি। তার পরই শিশুর দেহ দুহাতে তুলে নেয় বাবা। কিন্তু কয়েক মিটার যেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সাগরের হাতে দিয়ে দেন কালাকে। এই ঘটনা ওডিশার কালাহান্ডির দানা মাঝির স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে অনেককে। স্ত্রী দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনিও। সেই ছবি নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। 
এত বছর পর কার্যত একই স্মৃতি ফিরে এল উত্তরপ্রদেশের বাঘপতে।  
দলের বিরুদ্ধে যে'পরিবারতন্ত্রের' (Familism) অভিযোগ উঠছে, টিএমসিপি-র (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 'জয় শা-কে (Jay Shah) কি রেলের প্ল্যাটফর্মে পেয়েছিলেন', হালের জাতীয় পতাকা বিতর্ক প্রসঙ্গে কটাক্ষ প্রশ্ন তাঁর।

কী বললেন অভিষেক?
আজকের সমাবেশের আগেও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ'পরিবারতন্ত্রের' অভিযোগ আনেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমাবেশ মঞ্চে পাল্টা জাতীয় পতাকা বিতর্কের প্রসঙ্গ তোলেন অভিষেক। সঙ্গে সংযোজন,'কথায় কথায় পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন। কীসের পরিবারতন্ত্র? জয় শা-কে রেলের প্ল্যাটফর্মে পেয়েছিলেন?' তাঁর চ্যালেঞ্জ,'আপনি অধিবেশন চলাকালীন এত বিল আনেন। পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিল আনুন। প্রথম ভোট আমি দেব।' তার পরই জয় শা-কে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ,'আপনার ছেলে বিসিসিআই-র সেক্রেটারি। কোনও দিন ধরেননি, বল ধরেননি।' অভিষেকের মতে, জয়ের কাছে আগে পদ, তার পর পরিবার, তার সমাজ, সকলের শেষে দেশ। জয় যুক্তি দিয়েছেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি থাকায় জাতীয় পতাকা হাতে তুলবেন না। যদিও বিজেপি নেতাদের মুখে সম্পূর্ণ অন্য কথা, মনে করেন অভিষেক। হালের এই জাতীয় পতাকা বিতর্কের প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি একটাই। এমন ব্যক্তি যিনি দেশের জাতীয় পতাকা ধরতে ইতস্তত করেন তাঁকে বিসিসিআই থেকে বের করে দেওয়া হোক। সঙ্গে প্রশ্ন, 'তাঁর বাবার-ই বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার কী যোগ্যতা রয়েছে?' এই সমালোচনার জন্য তাঁকে যদি ইডি বা সিবিআই তুলে নিয়ে যায়, তাতেও আপত্তি নেই তৃণমূল সাংসদের। 

তোপে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব...
২১ জুলাই সমাবেশের পর রাজ্য রাজনীতিতে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কয়েক দিন পর গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। পর পর দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির জেরে বিজেপি-সহ বিরোধীদের লাগাতোর আক্রমণের মুখে পড়েছে শাসকদল। এদিন তারও পাল্টা দেন অভিষেক। গরু চুরি থেকে কয়লা চুরি,সব কিছুতেই সোমবার বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফ, সিআইএসএফের মতো সংস্থার নাকের ডগা দিয়ে কয়লা ও গরু চুরির অভিযোগ এনে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য,'এর নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেলেঙ্কারি কারণ এর টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে।' কিন্তু তৃণমূলের নাম কেন জড়াচ্ছে এতে?কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ? অভিষেকের ব্যাখ্যা,'বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায় আটকে দিয়েছেন, এই জন্যই ওঁদের গায়ের জ্বালা।' তাঁর দাবি, বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করার অভিযোগ আনছে, তা সর্বৈব মিথ্য়া। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি আজ বাংলার ঘরে ঘরে, সংযোজন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। বরং বিজেপি বাংলার মানুষকে বঞ্চিত রাখতে চায়, অভিযোগ তাঁর।
পার্থ চোর হলে আইনি বিচার হবে। কিন্তু কেষ্ট চোর, ববি চোর, অরূপ চোর, অভিষেক চোর, এমনকি আমাকেও চোর বলছে। মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে এই সুরেই গলা তুললেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। এদিন একাধিক ইস্যু পাশাপাশি চোর ইস্যুতেও সরব হয়েছেন মমতা।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, 'আমরা সবাই চোর আর ওঁরা সব সাধু? আমার সম্পত্তি নিয়েও নাকি মামলা হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে মাসে ১ লক্ষ টাকা পেনশন পেতাম, নিইনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মাসে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা বেতন নিই না।' সবমিলিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে ফের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ভোটের আগে তৃণমূলের সবাইকে গ্রেফতার করাই বিজেপির পরিকল্পনা। আমাকেও গ্রেফতার করে দেখুন না, কী হয়।

২১ জুলাইয়ের পর শনিবার সবথেকে বড় এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। করোনা পরিস্থিতির (Covid Situation) জন্য ২ বছর পর টিএমসিপি-র প্রকাশ্য সমাবেশ। এবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলে থাকায় দুর্নীতি-বিদ্ধ তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে আজ কী বার্তা দেন মমতা-অভিষেক, সেদিকেই নজর ছিল সবার। 

এ দিন দলের নেতা নেত্রীদের সম্পত্তি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘ববির সম্পত্তি পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করছে, ওকেও হয়ত গ্রেফতার করবে। কেষ্টর খুবই পরোপকারী ছেলে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, ফের নোটিস পাঠানো হতে পারে অভিষেকক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইডি-সিবিআইকে দিয়ে, লোকের বাড়িতে টাকা লুঠ করছে। সরকারের টাকা বিদেশে করে দিচ্ছে। বিজেপি ব্যবসায়ীদের বাড়িতে টাকা মজুত করছে। নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় ইডি’র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

গরু-পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কয়লা পাচারের তদন্তে, এরাজ্যের IPS অফিসারদের, দিল্লিতে ডাকছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই প্রেক্ষাপটে মেয়ো রোডে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে পাল্টা হুঙ্কার ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
ব্রাত্যকে (Bratya Basu) বলব আইন মতো নতুন করে চাকরি করে দাও, অ্যাপয়েন্টমেন্ট যেন আটকে না থাকে'। নিয়োগ প্রসঙ্গে সভামঞ্চ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee)। 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য তথা দেশ। দুর্নীতির দায়ে জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি হলেও বহু নিয়োগই আটকে। আজ সেই প্রসঙ্গেই সভামঞ্চ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি প্রসঙ্গে বলেন, '১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭০ জনকে আমাদের সরকার চাকরি দিয়েছে। হাতে আর ৮৯ হাজার ৩৫ আসন খালি আছে। কয়েকজন স্বার্থান্বেশির জন্য চাকরি আটকে আছে। ব্রাত্য আইন মতো নতুন করে চাকরি করে দাও, অ্যাপয়েন্টমেন্ট যেন আটকে না থাকে। 

আজ কলকাতার মেয়ো রোডে টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের বিরাট সমাবেশ। ইতিমধ্যেই বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সভা উপস্থিত হয়েই কত চাকরি বাম আমলে ? এবং কত চাকরি তৃণমূলের সরকারের আমলে হয়েছে ? পরিসংখ্যান চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


এদিন মমতা বলেন, 'আপনারা বলুন তো, কত ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে আমাদের আমলে ? সিপিএম তোমার আমলে, লিস্ট কোথায় ? আলমারি কোথায় ডকুমেন্ট কোথায় কারা চাকরি পেয়েছে পসা নিয়েছো , আর চাকরি দিয়েছো। তাই সিস্টেমটা ওরাই ভাল জানে। আজকে তৃণমূলকে বলছে চোর। আমি যদি আজ রাজনীতি না করতাম, আর এই চেয়ারে না থাকতাম, আমি আমার বোনেদের বলতাম, যারা এই মিথ্যে কথা রটনা করে, তাঁদের জিভগুলিকে টেনে খুলে দিতে।'

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল সার্ভিস মনে রাখবেন, স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ টি চাকরি দিয়েছি।' তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকারে ১৭৬ টি পলিটেকনিক, ৭ হাজার নতুন স্কুল, স্কুলে যাওয়ার জন্য ব্যাগ, বই বিনে পয়সায় দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী ৮০ লক্ষ স্কলারশিপ পায়। সবুজ সাথী সাইকেল ১ কোটি ৭ লক্ষ, শিক্ষাশ্রী ১ কোটি ৫ লক্ষ এবং এছাড়াও বারো ক্লাসে বিনাপয়সা ট্যাব দেওয়া হয়, এগুলি মনে রাখবেন, বলেন এদিন মমতা।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরবার শাসকদল। একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী থেকে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ করে কম নম্বর পেয়েও কী করে চাকরি পেলেন পরেশ কন্যা, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। ইতিমধ্য়েই হাইকোর্টে বিচারপতির নির্দেশে মন্ত্রী কন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় শুধু মন্ত্রী কন্যা নয়, পরেশের পরিবারের আরও একাধিক জনের এসএসসি-তে চাকরি হওয়া নিয়ে চাঞল্যকর তথ্যও প্রকাশ্যে আসে। একদিকে চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়েছে পাশ করা শিক্ষার্থীরা। আর তারমাঝেই এহেন বিস্ফোরক তথ্য এসে কার্যত উদ্বেগ বাড়িয়েছে শাসকদলের। বিশেষ করে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ গ্রেফতারের পর 'চোর' স্লোগানে উত্তাল রাজ্য। সরব বাম-বিজেপি। আর এদিন একুশে জুলাইয়ের সভার পর আজ ২৯ অগাস্ট মেয়ো রোডের সমাবেশে ফের প্রশ্নের কাঠগড়ায় বিরোধীদের দাঁড় করালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ তৃণমূলের বিরাট সমাবেশে ঝড় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মূলত আজ ছিল টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিরাট সমাবেশ কলকাতার মেয়ো রোডে। আর এই সভামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এদিন তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

এদিন মমতা বলেন, কারা গ্রেফতার করছেন ? কারা হ্যারাস করছেন ? কারা দুষ্টুমি করছেন ? কারা গায়ের জোরে আমাদের লোকেদের নামে বদনাম করছেন ? কারা বদনাম করছে, আমরাও লিস্ট করে রাখছি । মূলত রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের। এবং কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থাকেই অধিকাংশ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আর ইতিমধ্যেই শহরে এনিয়ে, সিবিআই-কে দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না, বলে পোস্টার পড়েছে রাজ্যের শাসকদলের। মূলত কয়লা পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেক নিজেই এর আগে বলেছেন, 'এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি।' নজরে রয়েছেন অভিষেক-পত্নী রুজিরাও। এদিকে ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডল। ইডি-র হাতে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে এদিন গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, 'ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লুঠ।'  


প্রসঙ্গত, বাইশ সালে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরবার শাসকদল। একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী থেকে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ করে কম নম্বর পেয়েও কী করে চাকরি পেলেন পরেশ কন্যা, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। ইতিমধ্য়েই হাইকোর্টে বিচারপতির নির্দেশে মন্ত্রী কন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় শুধু মন্ত্রী কন্যা নয়, পরেশের পরিবারের আরও একাধিক জনের এসএসসি-তে চাকরি হওয়া নিয়ে চাঞল্যকর তথ্যও প্রকাশ্যে আসে। একদিকে চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়েছে পাশ করা শিক্ষার্থীরা। আর তারমাঝেই এহেন বিস্ফোরক তথ্য এসে কার্যত উদ্বেগ বাড়িয়েছে শাসকদলের। বিশেষ করে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ গ্রেফতারের পর 'চোর' স্লোগানে উত্তাল রাজ্য। সরব বাম-বিজেপি। আর এদিন একুশে জুলাইয়ের সভার পর আজ ২৯ অগাস্ট মেয়ো রোডের সমাবেশে ফের প্রশ্নের কাঠগড়ায় বিরোধীদের দাঁড় করালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কাতারের আটটা স্টেডিয়ামে গরমের জন্য এসির ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে গরমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সমস্ত রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, যা যা কোনও গরম দেশে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তা কী কী?


নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) । এর আগে যা কখনও হয়নি। জুন-জুলাইয়েই সাধারণত বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। নভেম্বরে বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) হওয়ার প্রধান কারণ হল, জুন-জুলাইয়ে কাতারের প্রচণ্ড গরম। কাতার যখন ২০২২-এর বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায়, এই গরমের সঙ্গে লড়াইয়ের করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রতিজ্ঞা করেছিল। যদিও তাদের এই প্রতিজ্ঞা উপেক্ষা করে ফিফা (FIFA) বিশ্বকাপের সময় পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বরে করে দেয়। এই সময় কাতারে গরম কম থাকলেও, দুপুরের খেলাগুলোতের সময় তাপমাত্রা থাকবে ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে স্টেডিয়ামগুলোয় হবে বিশ্বকাপের খেলা, তা পরেও ব্যবহার করা হবে। তাই গরম প্রতিরোধী ব্যবস্থাও তৈরি করা হয়েছে এখানে।

কাতারের আটটা স্টেডিয়ামে গরমের জন্য এসির ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে গরমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সমস্ত রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, যা যা কোনও গরম দেশে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তা কী কী?

প্রথমত, এই স্টেডিয়ামগুলো পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে মাঠে সর্বোচ্চ পরিমাণ ছায়া পাওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, রঙের ব্যবহার। বাইরে থেকে বেদুইনদের তাঁবুর মতো দেখতে আল-বায়েত স্টেডিয়াম। প্রথমে বাইরের অংশে কালো রং করার কথা ছিল। কিন্তু কালো রং তাপ শোষক হয় বলে এই স্টেডিয়ামের বাইরের রং সাদা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, মাঠের তাপমাত্রা গড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গিয়েছে। তৃতীয়ত, স্টেডিয়ামগুলো এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যাতে গরম খুব সহজে ভিতরে ঢুকতে না পারে। স্টেডিয়ামগুলোর বাইরের অংশ এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে তাপপ্রবাহ প্রতিফলিত করতে পারে। ফলে গরম হওয়া যাতে কোনও ভাবে ভিতরে ঢুকতে পারবে না। চতুর্থত, কাতারের বেশিরভাগ নতুন স্টেডিয়ামে ‘ফোল্ডেবেল’ ছাদ রয়েছে। ফলে তা খোলা হলে স্টেডিয়ামে ঠান্ডা হওয়া প্রবেশের ক্ষমতা অনেকখানি বেড়ে যাবে। ফলে মাঠ ঠান্ডা রাখতে প্রয়োজনীয় জল ও বিদ্যুতের খরচ কমবে।

গরম কমিয়ে স্টেডিয়াম ঠান্ডা রাখার এই সব কাতারি পদ্ধতি খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ফলে মাঠে থাকছে বিশেষ বাতানুকুল যন্ত্রের ব্যবস্থাও। কিন্তু এই সব যন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আসবে কোথা থেকে? খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কথাই ধরা যাক। সেখানে স্টেডিয়ামের ছাদে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা স্টেডিয়াম ঠান্ডা করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। যদিও ঠান্ডা রাখার বেশির ভাগ ব্যবস্থা অত্যাধুনিক, অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ এক ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে। যাকে বলা হয় ‘অ্যাবজর্বসন চিলার’। অর্থাৎ, গরম হাওয়া শুষে নেওয়ার মারাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র। এই যন্ত্র অনেকটা কুলারের মতো কাজ করে। জল ও সূর্যের তাপের মাধ্যমে এই যন্ত্র জলকে ঠান্ডা করে। এই ঠান্ডা জল বাতাসকে ঠান্ডা করে। ওই ঠান্ডা বাতাস আবার বড় বড় পাখার মাধ্যমে মাঠকে ঠান্ডা রাখে। এরই মধ্যে কাতার ফ্লুইড ডায়নামিক্স নিয়েও কাজ করেছে। যাতে হওয়া চলাচলের মাধ্যমে মাঠ ও মাঠে থাকা দর্শকদের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা রাখা যায়। দর্শকদের অস্বস্তি যাতে সবচেয়ে কম হয়। ফলে গোটা মাঠকে ঠান্ডা রাখার থেকে দর্শকাসনকে ঠান্ডা রাখার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডা বাতাস ধরে রাখতে পারে এমন পদার্থ দিয়ে দর্শকাশন তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্যে ১০০ টি পদে আশা কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতে হবে আবেদন।

রাজ্যের মহিলা চাকরি প্রার্থীদের জন্য বড় খবর। রাজ্য়ে প্রচুর পরিমাণে আশা কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের অধীনে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় চুক্তির ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন সাব ডিভিশনে আশা কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এই পদে আবেদনের জন্য বিস্তারিত তথ্য় জেনে নিন।
পদের নাম :

আশা কর্মী (ASHA Worker) নিয়োগ করা হচ্ছে।

মোট শূন্যপদ :

মোট ১০০ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

নিয়োগস্থল :

দার্জিলিং জেলায় নিয়োগ করা হবে। কার্শিয়াং সাব ডিভিশনে ২৪ টি ও দার্জিলিং সদর সাব ডিভিশনে ৭৬ টি পদে নিয়োগ করা হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা :

এই পদে আবেদন করার জন্য প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক বা সমতুল্য় পরীক্ষায় পাস করতেই হবে। কেবলমাত্র মহিলারাই এই শূন্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিবাহিতা, বিধবা, আইনগতভাবে বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলারা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা :

এই পদে আবেদনের জন্য প্রার্থী বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে বয়সে কিছুটা ছাড় রয়েছে। ২২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হলেই তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন পদ্ধতি :

আগ্রহী প্রার্থীরা অফলাইনে আবেদন করতে পারেন। সেলফ অ্য়াটেস্টেড করা পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে একটি খামে ভরে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা :

To The Sub-Divisional Officer, Advertisemnet Notice No ___________ dated _______ Name of The Block Applied For _____________ District- Darjeeling

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ :

১৬ সেপ্টেম্বর

নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন : 

দিল্লি থেকেও আসছেন প্রতিনিধিরা। বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজে এই শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাঁচ বছরের ব্যবধান। শুরু হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির। এর আগে ২০১৭ সালে হলদিয়ায় চিন্তন শিবির হয়। সোমবার থেকে শুরু হয়ে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত এই শিবির চলবে। প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবেন প্রায় সাড়ে তিনশো প্রতিনিধি। দিল্লি থেকেও আসছেন প্রতিনিধিরা। বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজে এই শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।



সূত্রের খবর, সোমবারের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি ল সন্তোষ, সর্ব ভারতীয় মুখ্যপ্রবক্তা, রাজ্যের অবজারভার পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন সারা দেশের প্রশিক্ষণ শিবিরের যিনি প্রধান তিনি। রাজ্য থেকে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারের মতো নেতৃত্ব।

প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্দেশ্য কী?

বিজেপির মেরুদন্ড আরএসএস (RSS)। তাদের কিছু নিজস্ব নিয়মাবলী রয়েছে। এই আরএসএস-এর নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে যাঁরা নতুন বিজেপিতে এসেছেন অন্যদল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাঁরা যাতে সেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেন তারই পাঠ পড়ানো হবে এ দিন।

আলোচনার বিষয়বস্তু কী?

সূত্রের খবর, এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আলোচনার মধ্যে থাকবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাফল্য, সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে দলের কর্তব্য, কর্মীদের নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় ও দলের মধ্যে ঐক্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করে একসঙ্গে কাজ করে দল কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়টিও এই তিনদিন শেখানো হবে।

আজ দুপুর ২ টো থেকে এই শিবির শুরু হবে। সকাল এগারোটার মধ্যে প্রত্যেককে ঢুকতে বলা হয়েছে। শেষ হবে ৩১ তারিখ। এই তিনদিন কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। প্রত্যেককেই থাকতে হবে বৈদিক ভিলেজে।

আজ নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের সময় এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শিবির ভারতীয় জনতা পার্টিতে সারা বছর চলতে থাকে। সারা দেশ জুড়ে হয়। এটা একটা প্রক্রিয়া। কার্যকর্তাদের বিচারধারা আদর্শবাদ সম্বন্ধে কার্য পদ্ধতির সম্বন্ধে সম্মুখ জ্ঞান দেওয়া এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে।’



মাইগ্রেনের সমস্যায় শরীরের খুব কষ্ট হয়। রোজ ১৫ টা কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল ছেঁকে নিয়ে রোজ খান

মাইগ্রেনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। মাইগ্রেন মূলত স্নায়ুর সমস্যা। মাথার পিছনের দিকে বিশেষ করে মাতার অর্ধেক অংশ বরাবর ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, আলো ও শব্দে কষ্ট এবং তীব্র শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা হল মাইগ্রেনের লক্ষণ। মাইগ্রেনের ব্যথা ১ দিন থেকে শুরু করে কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেন ঠিক কোন কারণের জন্য হয় এবিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও কিছুই জানা যায় না। NHS-এর মতে মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের ফলাফল হল মাইগ্রেন। সাময়িকভাবে মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকেত, রাসায়নিক পদার্থ এবং রক্তনালীকে প্রভাবিত করে। মাইগ্রেনের থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ তো আছেই। তবে সব সময় ওষুধেই যে কাজ হয়ে যায় এমন নয়।

সম্প্রতি, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার মাইগ্রেনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে নিয়মিত ভাবে কাজে লাগান এই সব ঘরোয়া টোটকা। আর এই সব উপকরণ স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল।

রোজ সকালে উঠে কিশমিশ ভেজানো জল খেতে পারেন। আগের রাতে ১০-১৫ টা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খান। এভাবেই রোজ খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। টানা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই জল খান। এতে শরীরের পিত্ত কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেনের সঙ্গে বমি, অ্যাসিডিটি, জ্বালাপোড়া ভাব ইত্যাদি থাকলে অসহিষ্ণুতা আরও বাড়ে।

জিরা-এলাচের চা মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পর ১ ঘন্টা এই জল খেতে পারলে ভাল ফল পাবেন। বমি বমি ভাব আর মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে আর এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এতে মন শান্ত থাকে। সেই সঙ্গে কমে মাইগ্রেনের ব্যথাও।

মাইগ্রেন কমাতে ঘি-ও খুব কার্যকরী। নানা ভাবে খেতে পারেন ঘি। ব্রাহ্মী, শঙ্খপুষ্পী, যষ্টিমধু ইত্যাদি কিছু ভেষজ খাবারে ঘি সহ খেতে পারেন। গরম দুধে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার নাকের দুই ফুটোর মধ্যেও ঘি দিতে পারেন। এতেও ব্যথা কমে। বমি ভাবও দূর হয়।


এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতি মার্কিন ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দাম ৮০ টাকা ৩ পয়সায় নেমে দাঁড়ায়, যা আগেরদিনের তুলনায় ০.২৫ শতাংশ কম।


সাময়িকভাবে স্বস্তি মিললেও, ফের পতন শুরু হল টাকার দামে। সোমবার বাজার খুলতেই ডলার প্রতি রুপির দাম ৮০ টাকায় নেমে আসে। বিশ্ব বাজারে আর্থিক মন্দার কালো ছায়ার মাঝে টাকার দামে ফের পতন হওয়ায় চিন্তিত অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতি মার্কিন ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দাম ৮০ টাকা ৩ পয়সায় নেমে দাঁড়ায়, যা আগেরদিনের তুলনায় ০.২৫ শতাংশ কম। গত সপ্তাহে বাজার খোলার সময়ে ডলার প্রতি রুপির দাম ৮০.০৭ টাকা ছিল। বাজার বন্ধের সময়ে তা সর্বনিম্ন রের্কড গড়ে ৮০.১৩ টাকায় পৌঁছয়।

মাঠের বাইরে থাকা দুই দেশের ক্রিকেটাররাও বেশ উপভোগ করেছে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ


বাইজ গজে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ মানেই চরম উত্তেজনা। দুবাইতে এশিয়া কাপের মঞ্চে রবিরাতে সেই উত্তেজনার পারদ টগবগ করে ফুটছিল। দুই দেশের ক্রিকেটাররাও বেশ উপভোগ করেছে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।


বিল্ডিং ধ্বংসের পরও বৈধ নির্মাণ ছিল টুইন টাওয়ার, এই দাবিতেই টিকে রয়েছে সুপারটেক সংস্থা। এই বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, "আমরা নয়ডা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেক অনুমতি সাপেক্ষেই এই দুটি টাওয়ারের নির্মাণ করেছিলাম।" 


উচ্চতায় হার মানিয়েছিল স্ট্যাচু অব লিবার্টিকেও, কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার ভেঙে গুঁড়িয়ে যেতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ সেকেন্ড। ৪০ তলার এই জোড়া বহুতল ভাঙার জন্যই কেবল খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা, এমনটাই সরকারি সূত্রে খবর। কিন্তু যারা এই গগনচুম্বী টাওয়ার তৈরি করেছিল, তাদের কত টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হল জানেন? রবিবার নয়ডার টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার পরই নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেক লিমিটেড সংস্থার তরফে জানানো হল, এই বিশাল ইমারত ভেঙে ফেলায় তাদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হল। এরমধ্যে নির্মাণ খরচের পাশাপাশি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়াও অন্তর্গত

১০০ মিটার উচ্চতার টুইন টাওয়ার অ্যাপেক্স ও কেয়ান-কে রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভেঙে ফেলা হয়। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই টুইন টাওয়ারকে ভেঙে ফেলা হয়। প্রায় ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বিস্ফোরণ ঘটাতে। শুধুমাত্র টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার জন্যই খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে সুপারটেক সংস্থাকে। বাকি ১৫ কোটি টাকা ইমারতের ভাঙা টুকরো বিক্রি করে তোলা হবে বলেই জানা গিয়েছে।

টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পরই সুপারটেক সংস্থার চেয়ারম্যান আরকে অরোরা বলেন, “আমাদের সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হল। জমি কিনতে, বিল্ডিংগুলি নির্মাণের জন্য, অনুমতির জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ১২ শতাংশ সুদের হারে ওই দুটি টাওয়ারে যারা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাদের অ্যাডভান্স বা ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ দাম ফেরত দিতে হয়েছে।”

বিল্ডিং ধ্বংসের পরও বৈধ নির্মাণ ছিল টুইন টাওয়ার, এই দাবিতেই টিকে রয়েছে সুপারটেক সংস্থা। এই বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা নয়ডা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেক অনুমতি সাপেক্ষেই এই দুটি টাওয়ারের নির্মাণ করেছিলাম।” উল্লেখ্য, ৮ লক্ষ স্কোয়ারফুটের উপরে তৈরি এই টুইন টাওয়ারের মোট ৯০০টি ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার দর প্রায় ৭০০ কোটিরও বেশি ছিল।
টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার জন্য যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল, এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং নামক ওই সংস্থাকেও ১৭,৫ কোটি টাকা দিয়েছে সুপারটেক সংস্থা, এমনটাই জানান চেয়ারম্যান আরকে অরোরা। বিল্ডিংগুলির জন্য ১০০ কোটির যে বিমা করানো হয়েছিল, সেই টাকাও দিতে হয়েছে সংস্থাকে।