August 2021

 


‘মা, আমারে পার্লারে কাম দেওয়ার কথা বইলা সোহাগ আর কালু ইন্ডিয়ার খারাপ জায়গায় দেড় লাখ টাকায় বেইচা ফেলছে।’ মোবাইল ফোনে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পর এমন কথা শুনে মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। শুভাকাঙ্ক্ষী রূপে পাশে এসে দাঁড়ানো ওই ব্যক্তির কাছে ছুটে যান ওই নারী। তাঁরা বলেন, ‘এসব বাজে কথা, তোমার মেয়ে ভালো আছে।’ এরপর মেয়ের আর ফোন আসে না। এখন পর্যন্ত মেয়েকে ফিরে পাননি বস্তিবাসী ওই নারী। তবে ভারত থেকে নিজের মেয়েকে উদ্ধার করে দেশে ফিরে আসা একই বস্তির এক নারীর কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর মেয়ে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের কিষানগঞ্জের পাঞ্জিপাড়ায় একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে বন্দিদশায় রয়েছে।

রাজধানীর পল্লবী থানাধীন কালশী এলাকার শাহপরান বস্তির একটি ঘরে সম্প্রতি যখন ওই নারীর সঙ্গে কথা হয়, তখন তিনি শুধু মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছিলেন। তিনি জানান, পল্লবী থানায় অভিযোগও করেছেন তিনি।

গত ১৬ আগস্ট র‌্যাব অভিযুক্ত সেই কালু, সোহাগ ওরফে নাগিন সোহাগ ও বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের সূত্রে এবং ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই পাচারকারীচক্রে রাজিয়া, আসমা, শামসুল, আলী, ভাগিনা বাবুসহ আরো কয়েকজন রয়েছেন। তাঁরা গত কয়েক বছরে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে দরিদ্র পরিবারের ২০০ মেয়েকে ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করেছেন।

কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় লজ্জা-সংকোচ পেছনে ফেলে ভুক্তভোগী অন্য পরিবারগুলোও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু কালশীর শাহপরান বস্তিরই শতাধিক নারীকে ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচার করেছে কালু-সোহাগ চক্র।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পাচারকারীচক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযোগ পেয়েও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি র‌্যাব কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পরেও তদন্তে পাচারের বিস্তারিত বেরিয়ে আসছে না। ভারতে বন্দি থাকা মেয়েদের ফেরত আনার ব্যাপারেও নেই কোনো উদ্যোগ।

জানতে চাইলে র‌্যাব ৪-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চক্রটি আরো অনেক মেয়েকে পাচার করেছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। ফিরে আসা মা-মেয়েও দেখেছে। এই চক্রে আরো কয়েকজন আছে। আমরা মামলাটির তদন্তভার পেতে আবেদন করেছি। তদন্ত পেলে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’

মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি : শাহপরান বস্তির ভুক্তভোগী নারী বলছিলেন, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল সোহাগ ও তাঁর মামা কালু সাতক্ষীরায় পার্লারে কাজে দেওয়ার কথা বলে তাঁর মেয়েকে নিয়ে যান। গন্তব্যে পৌঁছার পর কালুর মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও কলে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। সোহাগ এসে একদিন মেয়ের বেতনের নাম করে তাঁর হাতে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন। আরেক মাসে দেন আড়াই হাজার টাকা। সঙ্গে একটি মোবাইল ফোনসেট। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে যখন জানতে পারেন যে তাকে ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন কালু ও সোহাগ, তখন তাঁদের কাছে ছুটে যান। মেয়েকে ফিরে পেতে আকুতি জানান। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁর মেয়ের হদিস পাচ্ছিলেন না। মান-সম্মান হারানোর ভয়ে কাউকে কিছু জানাতেও পারছিলেন না। এরই মধ্যে তিনি খবর পান, ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েকে উদ্ধার করে ফিরেছেন তাঁদের বস্তিরই আরেক নারী। পরিচিত সেই নারীর কাছে যেতেই তিনি বলেন, ‘তোমার মাইয়ারে দেখছি। আমার মাইয়ারে যেখান থেইকা উদ্ধার করছি, সেইখানে। অনেক কষ্টে আছে। ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের কিষানগঞ্জের পাঞ্জিপাড়ায় আছে সে।’ তিনি জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কারচুপির কাজ করে অনেক কষ্টে সংসার চলছে তাঁদের। বড় মেয়েটির বিয়ে হয় চার বছর আগে। স্বামী নির্যাতন করার কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর পর থেকেই এক সন্তান নিয়ে মেয়েটি তাঁর কাছেই ছিল। সোহাগ বস্তিতে এসে তাঁর মেয়েকে পার্লারে কাজ দেবেন বলে নিয়ে যান।

ওই নারী বলেন, ‘আমি থানায় অভিযোগ করছি। তারা মামলা না নিয়া খালি জেরা করে। আমি আমার মাইয়ারে ফিরত চাই।’

মেয়েকে উদ্ধার করে ফিরেছেন এক মা : শাহপরান বস্তির অদম্য সেই মা পরিচয় লুকিয়ে নিজেই পাচার হয়ে সাড়ে চার মাস নিষিদ্ধ পল্লীতে বন্দি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে গত ১৭ জুলাই দেশে ফিরেছেন। কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি ও তাঁর মেয়ে পাচারকারীদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁরা বলছিলেন, শাহপরান বস্তিরই দুই নারীকে তাঁরা পাঞ্জিপাড়ার সেই নিষিদ্ধ পল্লীতে দেখেছেন।

ওই নারী বলেন, তাঁর মেয়ে পাচার হওয়ার ঘটনা জানিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সন্দেহভাজনদের নাম জানালেও পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেষে পরিচয় গোপন করে কালুর কাছে বিদেশে কাজ চেয়ে স্বেচ্ছায় পাচার হন তিনি। সাতক্ষীরার বিল্লাল এবং ভারতের শামসুলের মাধ্যমে নয়াদিল্লির জিবি রোডের নিষিদ্ধ পল্লীতে পৌঁছে যান তিনি। তবে সেখানে মেয়েকে পাননি। তিনি ছোট ছোট আবদ্ধ কক্ষে বাংলাদেশি কিছু নারীকে দেখেছেন। সাড়ে চার মাস পর কৌশলে সেখান থেকে পালান তিনি। এরই মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় ভারতীয় এক যুবকের সঙ্গে। তাঁর সহায়তায় মেয়ের খোঁজ পান দক্ষিণ দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায়। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় সেখানকার নজরুলের পল্লী থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি।

জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘যে মায়ের কথা বলছেন, তাঁর মেয়েকে পাঞ্জিপাড়ার একটা ঘরে দেখলাম। খারাপ অবস্থা। কথা বলতে পারি নাই। আমার কিছু করার ছিল না। নিজের মেয়েরেই আনতে পারছিলাম না।’ তিনি আরো বলেন, ‘মেয়েকে উদ্ধার করে ফিরে আসার পর শুনেছি, বস্তির আরো দুই মেয়েকে সোহাগ নিয়ে যাবে। আমি তখন ওই দুই পরিবারের কাছে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলি। ওই দুজন আর যেতে রাজি হয়নি। বস্তির অনেক মেয়ে নিখোঁজ আছে।’ তিনি বলছিলেন, বস্তির সবাই জানে বাউনিয়া বাঁধের কালু আর তাঁর ভাগ্নে সোহাগ মেয়েদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়া যান।

ফিরে আসা ১৮ বছরের মেয়েটি বলেন, পার্লারে কাজের কথা বলে সাতক্ষীরা নেওয়ার পর বিল্লাল যখন আরো তিনটা মেয়ের সঙ্গে নৌকায় তাঁকে পার করছিলেন, তখন জানতে পারেন তাঁদের গন্তব্য ভারত। তখন মাঝির মোবাইল ফোন থেকে বাবাকে কল দিয়ে জানান। এরপর ওই পারে আলী নামের একজন তাঁদের চারজনকে নজরুলের কাছে নিয়ে যান। পাঞ্জিপাড়ায় নজরুলের নিয়ন্ত্রণাধীন নিষিদ্ধ পল্লীতে আরো মেয়ে আছে। বাংলাদেশের মেয়েও আছে।

স্ত্রীকে পাচারের অভিযোগ রিকশাচালকের : শাহপরান বস্তির এক রিকশাচালক অভিযোগ করেন, কালু ও সোহাগদের চক্র তাঁর স্ত্রীকে পাচার করেছে। মাসখানেক আগে তিনি ঘটনাটি জানতে পারেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আট মাস ধরে কালু আর সোহাগ আমার স্ত্রীকে ভালো চাকরি দিয়ে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আসছিল, কিন্তু আমি রাজি হই নাই। একদিন আমার স্ত্রী কিছু না বইল্যাই বাসা ছেড়ে চলে যায়।’ তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান।

বস্তির বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোহাগ, বাবুসহ কয়েকজন যুবক বস্তিতে ঘুরে মাদক বিক্রি করেন। যেসব ঘরে তরুণী আছে, সেখানে গিয়ে কৌশলে সম্পর্ক তৈরি করেন। আর্থিক অনটনে থাকা এই তরুণীদের বিনা খরচে ভারতের বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারে চাকরির প্রলোভন দিয়ে পাচার করেন তাঁরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তবর্তী গ্রামে চারটি ‘সেফ হাউসে’ নারীদের রাখেন পাচারকারীচক্রের বিল্লাল। কালু, সোহাগসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের দালালরা সেখানে মেয়েদের নিয়ে যান। একদিন অবস্থানের পর নৌকায় করে ইছামতী নদী পার হয়ে ভারতের বসিরহাট সীমান্তবর্তী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মেয়েদের। এ কাজ করেন চক্রের এজেন্ট আলী ও শামসুল। বসিরহাট থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে কিষানগঞ্জের পাঞ্জিপাড়া, এরপর আরেকটি রুটে ট্রেনে করে দিল্লিতে নেওয়া হয় তাদের।

জানতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কালু, সোহাগ ও বিল্লালের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ড শেষে কালু ও বিল্লাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই চক্র শাহপরান বস্তি থেকে আরো মেয়েকে পাচার করেছে বলে শুনছি। তবে পরিবারগুলো অভিযোগ দিচ্ছে না। অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে।’


 



সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বন্ধুদের সঙ্গে বাইক (মোটরসাইকেল) প্রতিযোগিতায় নেমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তুষার আহমেদ (২৬) নামে ছাত্রলীগের এক নেতা। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার তিন দিন পর সোমবার (৩০ আগস্ট) ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত তুষার আহমেদ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের জুলফিকার আলী ভুট্টুর ছেলে ও সিরাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এছাড়াও তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের পেঙ্গুয়ারী পাগলা বাজার এলাকায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তুষার।

বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোক্তার হোসেন মুক্তা জানান, পেঙ্গুয়ারী পাগলা বাজার এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি তালগাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া বাইকটিতে থাকা অপর আরোহী বায়েজীদ হোসেনও গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলের পাশের খাল থেকে তার স্বজনেরা বিচ্ছিন্ন হওয়া পা উদ্ধার করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।


 


দ্ধের দামামা, বিমান হানা থেকে শুরু করে তালিবানি তাণ্ডবে পুরোপুরি বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। রবিবারের পর সোমবার সাতসকালেই কাবুলের হামিদ কারাজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায় চলল রকেট হানা। জানা গেছে, এদিন সকাল ছ'টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ কাবুল (Kabul) বিমানবন্দরের দিকের ল্যাব জার খাইরখানা চৌরাস্তা লাগোয়া ক খোরশিদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি গাড়ি থেকে ২টি রকেট ছোঁড়া হয়। কে বা কারা এই রকেট ঠিক কোন কারণে হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই NATO আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে। মার্কিন সেনাকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল। সবমিলিয়ে ২৪ ঘণ্টা সময় রয়েছে মার্কিন সেনার হাতে





আইসিসের বিস্ফোরক বোঝাই করা গাড়িতে বিমান হানা চালায় মার্কিন সেনা। রবিবার সন্ধ্যাতেই এর জবাব দিয়েছে আইসিস। গত বৃহ্স্পতিবার রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল। সেখানে ফের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার সকালের রকেট হানা যেন সেই হামলারই নির্দেশক।

 মেদিনীপুর শহরে ভয়ঙ্কর গুলির লড়াই। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল কমপক্ষে ২২টি মামলার কুখ্যাত আসামি সুমন সিং ওরফে মোটা রাজা'র দিকে। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় রীতিমতো ধাওয়া করে রাজাকে ডেবরা ও মেদিনীপুরের মধ্যবর্তী একটি জায়গা থেকে ধরে ফেলে পুলিশ। যদিও তার সঙ্গে থাকা ৩ জনের নাগাল পায়নি পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, মোটা রাজার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটা ৯ এমএম পিস্তল, ৩ টি তাজা কার্তুজ-সহ বিপুল পরিমাণ মাদক। এমন সাফল্যের পর জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করায় নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে পুলিশ কর্মীদের।

 


করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ নিয়ে একদিকে যখন সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঠিক তখনই সুখবর শোনাল পশ্চিমবঙ্গ। গত এক মাসে পশ্চিমবঙ্গের ৬ জেলায় করোনা সংক্রমণে একটি মৃত্যুও হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বাংলার স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এই তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। গত এক মাসে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৩ টি জেলার মধ্যে ৪টি জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনেরও কম।


৬ জেলায় একটিও মৃত্যু হয়নি






পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের সুখবর শোনাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের ৬ জেলায় একটি মৃত্যুও হয়নি । তালিকায় রয়েছে আলিপুরদুয়ার,কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম। মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে এক জন করে মারা গিয়েছেন। বাঁকুড়ায় ২ জন করে মারা গিয়েছেন। আর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৪ জন করে মারা গিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানে গত ৪ সপ্তাহে মাত্র ৭ জন মারা গিয়েছেন।

মৃত্যু আবার বেড়েছে কয়েকটি জেলায়




৬ জেলায় যেমন একটিও মৃত্যু হয়নি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। ঠিক তেমন ভাবেই বেশকয়েকটি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের ছোট্টজেলা কালিম্পংয়ে গত এক মাসে ১০জন মারা গিয়েছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। একই ভাবে মৃত্যু বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায়। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১২ জন মারা গিয়েছেন গত ২৮ দিনে। উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্যের চার জেলা। হুগলি জেলায় সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত এক মাসে ১৯ জন মারা গিয়েছেন করোনা সংক্রমণে এই জেলায়।

উত্তরবঙ্গে মৃত্যু বেশি

রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান বলছে গত ১ মাসে উত্তরবঙ্গের চেয়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে করোনাসংক্রমণে কম মৃত্যু হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে। গত এক মাসে উত্তরবঙ্গের েজলা গুলিতে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েেছ। জেলা হিসেবে সেই সংখ্যাটা ৬.৬ শতাংশ। আর দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি জেলায় গত ১মাসে২০২ জন মারা গিয়েছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। জেলা হিসেবে সেই সংখ্যাটা ১৪.৩ জন। গত ১৮ দিনে শুধু মাত্র দার্জিলিং জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২০ জন।জলপাইগুড়ি জেলায় মারা গিয়েছেন ১৬ জন।





 আবাসিক হোমে নাবালকদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সোনারপুরের এ ই ঘটনায় হোমের অন্যতম এক কর্তা-সহ মোট দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে ওই হোমের নাবালকদের চিকিত্‍সার জন্য একটি কমেন্ট হোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ধামাইতলার ওই হোমের সঙ্গে কোনও অপরাধ জগতের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।


বেসরকারি হোমগুলিতে নাবালকদের ওপর মানসিক, শারীরিকের পাশাপাশি যৌন নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশ প্রশাসন অতি তত্‍পরতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রেও অন্যথা হল না‌। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সোনারপুরের ওই হোমে তল্লাশি চালানো হয়। হোমে থাকা ১০ জন নাবালককে গোপনে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে দু'জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তারক মণ্ডল হোমের যুগ্ম কর্তা, অন্যজন সুশোভন চক্রবর্তী হোমের এক কর্মী।

সম্প্রতি সোনারপুর থানায় এক দম্পতি অভিযোগ করে, তাদের এক ছেলেকে পড়াশোনার জন্য ধামাইতলার হোমে রেখেছে। দেখভালের জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হয়। তবে কয়েকদিন আগে তার ছেলে একটি চিঠি লিখে সমস্ত বিষয় জানায়। এরপর ওই চিঠি নিয়েই সোনারপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছিল নাবালকের পরিবার। আবাসিক হোমে এ ধরনের কেলেঙ্কারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই অত্যাচারিত নাবালকদের হোম থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র রাখা হয়েছে। অসুস্থদের ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।

 




বাংলার বুকে আবারও নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। মৃত্যুকেলা তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন আগেই। তার জেরেই গত ৩১ জুলাই থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন ছিলেন তিনি। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর কোভিডমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন এই সাহিত্যিক। কিন্তু কয়েকদিন আগেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেববাবুর মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তাঁর লিভার এবং কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ক্রমশ ক্ষীণতর হচ্ছিল দৃষ্টিশক্তিও। তার জেরে আবারও তাঁকে বেলভিউতে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত বাংলার সাহিত্যজগতের এক অধ্যায়ের অবসান হল।


বুদ্ধদেব গুহ বাংলার সেই সাহিত্যিক ছিলেন যিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী কালে বাঙালিকে জঙ্গল আর আধিবাসীদের জনজীবন সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। বিভূতিভূষণ 'আরণ্যক' লিখে যে যাত্রাপথের সূচনা ঘটিয়েছিলেন বুদ্ধদেববাবু সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়ে একের পর এক সাহিত্য রচনা করে দিয়েছেন যার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই পটভূমিকা ছিল জঙ্গল আর জঙ্গলের জনজীবন। ডালটনগঞ্জ, পালামৌ, কোয়েল নদী, এই সব কিছুর সঙ্গে বাঙালিকে পরিচিত করার মূলে ছিলেন বুদ্ধদেববাবু ও তাঁর সৃষ্ট একের পর এক উপন্যাস। কিশোরদের জন্য তাঁর সৃষ্ট 'ঋজুদা' সেই জঙ্গলকে ঘিরেই বারে বারে আবর্তিত হয়েছে। এবার সেই ঋজুদার অ্যাডভেঞ্চার থেমে গেল চিরতরে। তবে বাঙালির কাছে বুদ্ধদেববাবু চিরকাল থেকে যাবেন 'প্রেমিক' হিসাবে। পর্দায় বাঙালিকে যদি উত্তমকুমার প্রেম করতে শিখিয়ে থাকেন, তো সাহিত্যে তা শিখিয়েছেন বুদ্ধদেব।

১৯৩৬ সালের ২৯জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই সাহিত্যিক। প্রথমদিকে পূর্ব বঙ্গে আর পরে কলকাতায় তাঁর পড়াশোনা। ৯৯টি উপন্যাস, ২৯টি ঋজুদার অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী ও ৯টি রিভু কাহিনীর সঙ্গে বাঙালিকে পরিচয় করিয়েছিলেন এই সাহিত্যিক। তাঁর লেখা নিয়ে বিতর্কও ছিল। তবুও তাঁর সাহিত্যের চাহিদাও ছিল বাঙালির কাছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'জঙ্গল মহল' থেকে শুরু করে 'মাধুকরী', 'কোজাগর', 'অববাহিকা', 'বাবলি'- একের পর এক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যজগতকে যত না সমৃদ্ধ করেছে তার থেকেও বেশি সমৃদ্ধ করেছে বাঙালির মননশীলতাকে। প্রেমিকের চোখ দিয়ে জঙ্গলকে দেখা, তাকে চেনা, তাকে দেখা, ভালবাসা বুদ্ধবাবুই করে দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। এদিন এই সব কিছুতেই একটা দাঁড়ি পড়ে গেল

 


মাকে খুঁজতে গিয়ে পা পিছলে জলে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নেমে এলো শোকের ছায়া। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী ব্লকের খাজরা ২ নম্বর অঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। মৃত শিশুর নাম প্রিয়াঙ্কা সিং (বয়স ২বছর) পরিবার সূত্রে জানা যায় নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সিং, এর স্ত্রী মিলু সিং,তার দুই মেয়ে রিয়া এবং প্রিয়াঙ্কাকে ভাত খেতে দিয়ে বাড়ির মাঠের দিকে বেরিয়ে যায়। মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট মেয়ে প্রিয়াঙ্কা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। সেই সময় বাড়ির কাছেই এক পুকুরে পা পিছলে পড়ে যায় ছোট্ট প্রিয়াঙ্কা। বোনকে দেখতে না পেয়ে দিদি রিয়া কান্নাকাটি করে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।রিয়ার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে দেখতে পায় বাড়ির পেছনের ডোবাতে ছোট্ট প্রিয়াঙ্কা দেহ ভাসছে।প্রতিবেশিরা সেই ডোবা থেকে ছোট্ট প্রিঙ্কাকার দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় খাজরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সক মৃত বলে ঘোষণা করে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা

 


বাংলাদেশের রাজবাড়ীর পদ্মা-যমুনা নদীর মোহনায় ১৬ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। ফেরিঘাটের পাশে নদীতে সোমবার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় জেলে পলাশ হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লার কাছে ৩৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে।

পলাশ বলেন, 'আমি ভোরে নদীতে জাল ফেললে মাছটি ধরা পড়ে। নদীতে মাঝে মাঝেই এ রকম বড় মাছ পাওয়া যায়। আজকে আমার ভাগ্যে মাছটি ছিল। পরে ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লার কাছে মাছটি বিক্রি করি।'

চান্দু মোল্লা বলেন, 'নদীতে বর্ষা মৌসুমে বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। সেই মাছগুলো জেলেরা বিক্রি করতে আনলে ডাকের মাধ্যমে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করি। আজকের মাছটিও কিনেছিলাম। বড় বড় মাছগুলো সাধারণত শিল্পপতি বা বড় ব্যবসায়ীরা কিনে নেন।


 স্কুলের মাঠের কাছে কঙ্কাল উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। স্থানীয় বাচ্চারাই প্রথম কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে। এর পরই এলাকার লোকজনকে কঙ্কালের বিষয়ে জানায় তারা। খবর যায় পুলিশে। সোমবার সকালে পুলিশ এসে উদ্ধার করে কঙ্কালটি।


কঙ্কালটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে তার কাছেই রয়েছে শ্যামনগর গুড়দহ ঋষি অরবিন্দ স্কুলের মাঠ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে সেখানে চলছিল ফুটবল টুর্নামেন্ট। তখনই বল এসে পড়ে মাঠের পাশে ঝোপে। বাচ্চারা সেই বল খুঁজতে এসেছিল। তখনই কঙ্কাল দেখতে পায় তারা। সোমবার সকালে খবর জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ভিড় জমান সেখানে। খবর পেয়ে আসে পুলিশও।

কঙ্কাল দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অনেক দিন ধরেই পড়ে রয়েছে কঙ্কালটি। তবে কোথা থেকে কঙ্কালটি সেখানে এল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

ইংরেজি ২৮.০৮.২০২১ তারিখ সুন্দরবন পুলিশ  জেলার পুলিশ সুপার মাননীয় শ্রী ভাস্কর মুখার্জি মহাশয়ের তত্বাবধানে একটি গোপন খবর এর ভিত্তিতে  কাকদ্বীপ রুপচাদ ঘাটে  একটি গুদামঘরে তল্লাসি চালানো হয়। 
রেশনের চাল সহ (রাজ্য সরকারের দেওয়া  পি.ডি.এস. এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জন্য নির্ধারিত) মোট ৯১৬ বস্তা চাল যার ওজন -২৪১৭৫ কেজি, ৫৩৩ বস্তা রেশনের গম, ওজন ২৬৬৫০ কেজি, ১৭৫ বস্তা রেশনের আটা, ওজন ৮৭৫০ কেজি, পিডি এস লেখা অসংখ্য খালি বস্তা,  ১৩৫০ টি পিডিএস এর  ১ কেজি আটার খালি প্যাকেট, ব্যাগ ক্লোজার
 পাঞ্চিং মেশিন, একটি ট্রাক যাতে গম পাচার করা হচ্ছিল  ইত্যাদি আটক করা হয় এবং কাকদ্বীপ বিদ্যানগর এলাকার এক গুদাম এর ম্যানেজার সহ, দুই কর্মচারী কে গ্রেফতার করা হয়। কাকদ্বীপ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শ্রী অনিল কুমার রায়, সুন্দরবন পুলিশ জেলার ডি এস পি, ডি ই বি, শ্রী নওসের আলি ও কাকদ্বীপ থানার আই সি, শ্রী শিবু ঘোষ  স্থানীয়ভাবে বিষয়টি তত্বাবধান করেন। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে।  বাকী আসামিকে গ্রেফতারের এর চেষ্টা চলছে।
Source : Sundarban police District page

 


গত প্রায় দেড় বছর ধরে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার  ফলে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর পড়াশুনা বন্ধ হয়েছে। একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে এই প্যানডামিক পরিস্থিতি গত দেড় বছর স্কুল কলেজ বন্ধ হওয়ায় কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী কেউ ইনকামের পথ বেছে নিয়েছে পড়াশোনা ছেড়ে। এবং অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় পরিকাঠামোর অভাব , আর্থিক অভাব সব মিলিয়ে  স্কুলছুট হচ্ছে বহু ছাত্রছাত্রীর। তাই আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায় কিছু কলেজ পড়ুয়া মিলে কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে শুরু করলো বিকল্প ক্লাস রুম মাসিক ২ টাকার বিনিময়ে।

FACEBOOK PROFILE




যদি শুধুমাত্র 'রকেট' এর কথা বলা হয়, তাহলে হ্যাঁ, টিপু সুলতানের সময় অর্থাৎ অষ্টাদশ শতকের একদম শেষদিকে এই জিনিস ভারতে প্রথম নির্মিত হয়েছিল।

তবে এরও অনেক আগে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার ইতিহাসে রকেটের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন, একাদশ শতকে চীনের যুদ্ধশাস্ত্র 'ইউজিং ঝংইয়াও' নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম বারুদ ও আগ্নেয় তীরের কথা পাওয়া যায়। একেই সভ্যতার ইতিহাসে রকেটবিজ্ঞানের আদিতম রূপ মনে করা হয়। পর্যটক এভিলিয়া চেলেবির বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় সপ্তদশ শতকে ১৬৩৩ সালে লায়ারি হাসান চেলেবি অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান চতুর্থ মুরাদ-এর কন্যার জন্মের সময় ইস্তাম্বুলে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেন। তবে এই ঘটনা নিয়ে মতভেদ আছে। বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এবং অতিরঞ্জিত বর্ণনার কারণে এটাকে বিজ্ঞান না ধরে কিংবদন্তী হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

তাই নিশ্চিত ইতিহাসের কথা ভাবলে টিপু সুলতানের আমলের রকেটকেই পৃথিবীর প্রথম ব্যবহৃত রকেট হিসেবে গণ্য করা যায়।

তবে এই রকেটের সাথে মানববাহী মহাকাশগামী রকেটের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই (যদিও উভয়েই নিউটনের তৃতীয় সূত্রকেই মূলনীতি হিসেবে ব্যবহার করে)। টিপু সুলতানের রকেট ছিল একদমই ছোটমাপের- বল্লমের আকারের যা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মহীশূরের যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল।

এই ধরণের যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত রকেটের আধুনিক যুগের একটি উদাহরণ হল- পিনাকা। এগুলি ছোটমাপের মিসাইলের মত স্বল্প দূরত্বে আঘাত হানতে পারে।

অপরদিকে মানববাহী মহাকাশগামী রকেট আকারে অতি-বৃহৎ ও অত্যন্ত জটিল একটি সিস্টেম। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের আগে মহাকাশগামী রকেটের অস্তিত্ব ছিল না। তবে বহুকাল ধরেই রকেটের বিবর্তন ঘটছিল এবং রকেট ক্রমশঃ উন্নত হয়ে উঠছিল। কখনও তা হয়েছিল যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে, কখনও প্রদর্শনীর জন্য, কখনও বা অনুসন্ধিৎসু গবেষকদের গবেষণার অংশ হিসেবে।

রকেটবিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ধরা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মানির আবিষ্কার V-2 রকেটকে। ১৯৪৪ সালে এই রকেট ১৭৬ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত গিয়েছিল। এটিই মহাকাশে পৌঁছানো মানুষের তৈরি প্রথম বস্তু। যদিও এই রকেটও ছিল একটি যুদ্ধাস্ত্র। এটি নাৎসি জার্মানি থেকে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে গ্রেট ব্রিটেনে হামলা করতে পারত।

আর ইতিহাসের প্রথম মানববাহী মহাকাশগামী রকেট হল সোভিয়েত ইউনিয়নের ভস্তক-K যা ভস্তক-১ মহাকাশযানকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছিল। এতে করেই ১৯৬১ সালে সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন ৩২৭ কিমি উচ্চতায় যান এবং পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসেন। ইউরি গ্যাগারিনই হলেন মানবসভ্যতার ইতিহাসে মহাকাশগামী প্রথম মানব।

বাঁয়েঃ ভস্তক-কে রকেট
ডানে ওপরেঃ ভস্তক-১ মহাকাশযান রকেটে যুক্ত অবস্থায়
ডানে নীচেঃ ভস্তক-১ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফেরার পর

এই ধরণের মানববাহী মহাকাশগামী রকেটগুলি প্রযুক্তিগতভাবে অত্যন্ত জটিল, আকারে বৃহৎ এবং প্রচণ্ড শক্তিশালী।

উদাহরণ হিসেবে এখনও পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্যাটার্ন-৫ এর কথা বলা যেতে পারে। এই রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপিত অ্যাপোলো মহাকাশযানে চেপেই মানুষ চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল। ১০ মিটার ব্যাস ও ১১০.৬ মিটার উচ্চতার এই রকেটের মোট ভর ছিল ২৯৭০ টন। এটি নিম্ন পার্থিব কক্ষপথে ১৪০ টন ও চাঁদের দিকে ৪৮.৬ টন ভর পাঠাতে পারত। একে মহাশক্তিশালী ৫ টি রকেটডাইন এফ-১ ও ৬ টি রকেটডাইন জে-২ ইঞ্জিন শক্তি দিত। জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হত অতিশুদ্ধ কেরোসিন ও অতিশীতল অবস্থায় রাখা তরল অক্সিজেন।

স্যাটার্ন-৫ রকেটের নীচের দিকে থাকা কয়েকটি এফ-১ ইঞ্জিন (সামনে ওয়ারনার ভন ব্রাউন, ভি-২ ও স্যাটার্ন-৫ রকেটের স্রষ্টা, আমেরিকান মহাকাশ প্রোগ্রামের জনক)

আর ভারতের প্রথম মানববাহী মহাকাশগামী রকেট হতে চলেছে GSLV Mk3। এটি একবিংশ শতকে নির্মিত হয়েছে। ২০১৭ সালে এর প্রথম কক্ষীয় উড়ান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভারতে ১৯৬০ এর দশক থেকে শুরু হওয়া গত ৬ দশকব্যাপী নিরন্তর মহাকাশপ্রযুক্তি গবেষণাই এই সাফল্যের ভিত্তিনির্মাণ করেছে।

এটি ১৩ তলা বিল্ডিং-এর মত উঁচু (৪৩.৪৩ মিটার), ব্যাস ৪ মিটার, ওজন ৬৪০ টন। এই রকেট নিম্ন পার্থিব কক্ষপথে ১০ টন ভর নিয়ে যেতে পারে। এতে ২ টি এস-৪০০ ইঞ্জিন, ২ টি বিকাশ ইঞ্জিন ও ১ টি CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।

CE-20 ইঞ্জিন (এতে অতিশীতল অবস্থায় রাখা তরল হাইড্রোজেন ও তরল অক্সিজেন জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়)


CE-20 ইঞ্জিন (এতে অতিশীতল অবস্থায় রাখা তরল হাইড্রোজেন ও তরল অক্সিজেন জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়)

এই রকেট 'গগনযান' মহাকাশযানে করে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাবে।




 ভারত ১ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ প্রদানের মাইলফলক স্পরশ করেছিল শুক্রবার। ১৬ অগাস্টের রেকর্ড ভেঙে শুক্রবার ১ কোটি ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৯০ ডোজ করোনা টিকা প্রদান করা হয়েছিল দেশে। কিন্তু দেশকে দ্রুত করোনামুক্ত করতে হলে আরও গতি বাড়াতে হবে ভ্যাকসিনের। ৩১ ডিসেম্বরের আগে করোনামুক্ত করতে হলে আরও কত করোনা ডোজ প্রয়োজন, তা নিয়েই চলছে চর্চা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিত্‍সকরা আশঙ্কা করছেন, সেপ্টেম্বরে দেশে তৃতীয় কোভিড ঢেউ আঘাত হানতে পারে। তাই যতটা সম্ভব দ্রুত জনগণকে টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রাপ্তবয়স্ক জনতাকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে দেশ।

কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় হল টিকা প্রদান। এ ছাড়া জন্য অন্য কোন চিকিত্‍সা নেই। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শুধুমাত্র সম্পূর্ণ কোভিড ভ্যাকসিনেশনই একজন ব্যক্তিকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করতে সক্ষম করে।

দেশে প্রায় ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা রয়েছে এবং তাদের সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়ার জন্য ১৮৮ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন। ভারতে তিনটি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট দ্বারা কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেক দ্বারা কোভ্যাক্সিন এবং রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি প্রদান করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটি এখন পর্যন্ত ৬২.২৯ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা অর্ধেকেরও বেশি। ৫১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন। এই ৫১ শতংশ ব্যক্তির মধ্যে ২৯.৫৫ শতাংশ ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন, যা মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ।

এর মানে হল, আগামী ১২৬ দিনের মধ্যে অর্থাত্‍ ২৮ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতকে ১২৫.৭৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োগ করতে হবে সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার জন্য। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রতিদিন ১ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দিতে হবে।

৭ অগাস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাতির উদ্দেশে বলা হয়েছিল 'মেড ইন ইন্ডিয়া' ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং কোভাক্সিনের কমপক্ষে ১৩৬ কোটি ডোজ দেবে। ভ্যাকসিন তৈরির মাসিক লক্ষ্যমাত্রা হল- অগাস্টে ২৫.৬৫ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৬.১৫ কোটি, অক্টোবরে ২৮.২৫ কোটি, নভেম্বরে ২৮.২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে ২৮.৫ কোটি ডোজ।

এদিকে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম জাইডুস ক্যাডিলা থেকে এবং রাশিয়ান স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ভারতীয় উত্‍পাদনের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫ কোটি ভ্যাকসিন পাবে ভারত। জাইডুস ক্যাডিলার তিন-শট কোভিড ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোম্পানি আশা করছে এই বছর কমপক্ষে ২.৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করবে। তিন-শটের ভ্যাকসিন হওয়ায় এটি প্রায় ৮৩ লক্ষ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দিতে সক্ষম হবে।


 কোভিড আবহে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। গ্রামেগঞ্জে স্কুল, মাদ্রাসায় স্কুলছুট বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নজির গড়েছে মুশির্দাবাদের বেলডাঙার দেবকুণ্ডু শেখ আব্দুর রাজ্জাক মেমোরিয়াল গার্লস হাইমাদ্রাসা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামান্য হলেও ছাত্রী বেড়েছে।

শুরু থেকেই চলার পথটা কখনও মসৃণ ছিল না। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অনুত্তীর্ণ, স্কুলছুট ১৫-১৬ বছর বয়সি ৭৮ জন ছাত্রী নিয়ে ২০১০ সাল থেকে জুনিয়র গার্লস হাইমাদ্রাসা হিসেবে পথ চলা শুরু। প্রতি বছর ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২০১৯ সালে হয় ১০৮০। চলতি বছরে ওই মাদ্রাসায় ছাত্রীর সংখ্যা ১০৯১। মাদ্রাসা পষর্দ সভাপতি আবু
তাহের কামরুদ্দিন বলেন, ''কোভিড আবহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন স্থগিত থাকলেও থেমে নেই বেলডাঙার ওই মাদ্রাসা। ওই মাদ্রাসার কর্মকাণ্ড অন্য মাদ্রাসাও অনুসরণ করুক। এই অতিমারিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পঠনপাঠন চালু রেখেছেন। ওখানকার ছাত্রীদের ভূমিকাও গর্ব করার মতো। যার জন্য স্কুলছুট হয়নি। বরং ছাত্রী বেড়েছে।''

অতিমারির আবহে মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও স্কুলছুট ঠেকাতে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। শিক্ষিকাদের সাহায্য করেছে 'চাইল্ড ক্যাবিনেট'। প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুনের কথায়, ''প্রতি ক্লাসের প্রথম সারির দশ জন মেয়েকে নিয়ে আমাদের স্কুলে একটি মন্ত্রিসভা তৈরি করেছি। এই এলাকায় অর্থের অভাবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা খুব। সেই প্রবণতা রুখতে আমাদের ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভা দারুণ কাজ করে।''

'চাইল্ড ক্যাবিনেট'-এর 'প্রধানমন্ত্রী' আনিসা সুলতানা চলতি বছরে মাদ্রাসা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় হয়েছে। আনিসার কথায়, ''গত দেড় বছর মাদ্রাসা
বন্ধ থাকলেও আমরা সক্রিয় ছিলাম। চার ছাত্রীর বিয়ে আটকেছি। অপেক্ষাকৃত গরিব ছাত্রীদের উত্‍সাহ দিতে শিক্ষিকারা নিয়মিত ফোনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।'' আর এক ছাত্রী দশম শ্রেণির পড়ুয়া ফাওফিয়া ফিদ্দার কথায়, ''আমরা গ্রুপের সদস্যেরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এলাকায় গিয়ে ক্লাসও নিয়েছি। সেখানে শিক্ষিকারা অনলাইনে সাহায্য করেছেন।''

বেলডাঙার বাসিন্দা, ইতিহাসের শিক্ষিকা সামজিদা খাতুনের পর্যবেক্ষণ, ''করোনার সময় মাদ্রাসায় পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও আমরা চাইল্ড ক্যাবিনেটের সদস্য-ছাত্রীদের নিয়ে প্রতি মাসে গ্রামের এলাকায় গিয়ে সমস্যায় পড়া অভিভাবক, ছাত্রীদের নিয়ে কথা বলেছি।'' স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের এই ভূমিকাতেই স্কুলছুট শুধু রোখা গিয়েছে তাই নয়, ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে।

মাদ্রাসা পর্ষদের সচিব রেজানুল করিম তরফদার বলেন, '' পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, খেলাধূলায় ছাত্রীদের উত্‍সাহ দিতে কাজ করছে এই মাদ্রাসা।


 যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে আরেকটি হামলার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। সামরিক কমান্ডাররা তাকে জানিয়েছেন, রবিবারই এই হামলা হতে পারে।

''সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি'' থাকায় মার্কিন নাগরিকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

কাবুলে এখনো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাজ্যের সৈন্য, কূটনৈতিক এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি কাবুল ছেড়ে গেছে।

বিমানবন্দরের কাছে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্থানীয় একটি শাখা-ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশ (আইএস-কে) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পাল্টা জবাব হিসাবে শুক্রবারে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শীর্ষস্থানীয় দুই জন আইএস-কে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এই দুইজন ব্যক্তি পরিকল্পনাকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন কিনা, তা পরিষ্কার নয়।


কাবুল থেকে ইতালির সর্বশেষ ফ্লাইটে এই বাসিন্দারা ফিরে এসেছেন

শনিবার একটি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই (ড্রোন) হামলাই শেষ নয়। জঘন্য ওই হামলার সঙ্গে যে ব্যক্তি জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খোঁজ আমরা চালিয়ে যাবো এবং উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।''


আফগানিস্তানের সবচেয়ে চরমপন্থী ও সহিংস জঙ্গি গ্রুপ হচ্ছে আইএস-কে। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমেরিকানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছে তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। তারা বলছেন, আমেরিকানদের উচিত্‍ ছিল, আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা।


 সল্টলেকের বিকাশ ভবনের বাইরে কীটনাশক খাওয়া এক শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার সামান্য অবনতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাসপাতালে ভর্তি বাকি ৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিত্‍সকেরা।

মঙ্গলবার বদলির প্রতিবাদ এবং বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদের দু'জন নীলরতন সরকার হাসপাতাল এবং তিন জন আরজি কর হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার পুতুল জানার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট CCUD থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষক্রিয়া রুখতে পুতুলকে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তার মাত্রার হেরফের করলেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। তাই আপাতত তাঁকে সিসিইউ-তে রেখেই চিকিত্‍সা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিত্‍সকরা। ওই হাসপাতালে ভর্তি বাকি দুই শিক্ষিকা আগের থেকে ভাল আছেন বলে জানান এক চিকিত্‍সক।



এনআরএস হাসপাতালের সিসিইউ-তে চিকিত্‍সাধীন জ্যোত্‍স্না টুডু এবং শিখা দাস। দু'জনই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কীটনাশকের ফলে কিডনি বা অন্য কোথাও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না বোঝার জন্য একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার রিপোর্টও ভাল বলে জানিয়েছেন এক চিকিত্‍সক।

 


নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার অভিনেতা আরমান কোহলির বাড়িতে। শনিবার এনসিবি-র তরফে তল্লাশি করা হয় তাঁর মুম্বইয়ে বাড়িতে। কিছু পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার এক মাদক ব্যবসায়ী অজয় রাজু সিং-কে আটক করা হয়েছিল আর এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিগ বস খ্যাত এই অভিনেতার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। আরমান কোহলিকে গ্রেপ্তারের একদিন আগেই অভিনেতা গৌরব দীক্ষিতকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

তবে এর আগেও বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন আরমান। ২০১৮ সালে তাঁর বাড়ি থেকে ৪১ টি স্কচ হুইস্কির বোতল উদ্ধার করা হয়েছিল। তখনও 'প্রেম রতন ধন পায়ো' সিনেমার এই সহ-অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে মাদকচক্রের হদিশ পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে এনসিবি। করণ জোহর ও অর্জুন রামপালকে সমন পাঠানো হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। এবার 'বিগ বস' খ্যাত এই অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

কোনও একটি সাক্ষাত্‍কারে আরমান বলেছিলেন, 'আমি যদি কয়েকটি সিনেমা নার ছাড়তাম তাহলে অনেকেই বড় সুপারস্টার হতে পারতেন না'। শাহরুখ একসময় বলেন, 'আমাকে স্টার বানানোর পিছনে আরমান কোহলির অবদান অনস্বীকার্য'।

 


দেশে নতুন করে কোভিড   আক্রান্ত হলেন ৪৫ হাজার ৮৩ জন। দৈনিক সংক্রমণ গত দিনের তুলনায় কিছুটা কম হলেও কেরলের পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াচ্ছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে মোট করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪৫ হাজার ৮৩ জনের শরীরে। শনিবারের তুলনায় তা কিছুটা কম। আর একদিনে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৪৬০ জনের। ৪৫ হাজারের মধ্যে শুধু কেরলেই গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ২৬৫ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই এই রাজ্যের দৈনিক কোভিড গ্রাফ চিন্তায় রাখছে প্রশাসনকে। সর্তকতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ফের কোভিডবিধি দৃঢ় করছে কেরল সরকার। জারি হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু। ৪৬০ মোট মৃত্যুর মধ্যে শুধু কেরলেই গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১৫৩ জন কোভিড রোগী। কেরল ছাড়া সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। এখানে এদিন একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৩১ জন। এই মুহূর্তে দেশে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৫৮ জন।


 ভুয়ো সাংবাদিক ধরতে এবার বড়সড় নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। তামিলনাড়ু সরকারকে তিন মাসের মধ্যে প্রেস কাউন্সিল গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সরকারি ও পুলিশ আধিকারিক এবং অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের নিয়ে এই প্রেস কাউন্সিল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতে তরফে।


কোভিড বিধিনিষেধের সময় বিভিন্ন গাড়ির সামনে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে অনেকেই ঘুরেছেন। নাকা চেকিংয়ের সময় ভুয়ো সাংবাদিকদের হাতেনাতে ধরেছে পুলিশ। যাদের ধরপাকড় করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ আবার বড় অপরাধের সঙ্গেও জড়িত। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করে এই অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, বহু লোককে নকল ফেক আইডির ব্যবস্থাও করে দেয় এরা। আর তাই এবার কড়া বার্তা দিল আদালত।


তামিলনাড়ুর যে কোনও প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সংগঠনকে স্বীকৃত করার দায়ভার থাকবে এই প্রেস কাউন্সিলের। এছাড়াও সাংবাদিকদের গণপরিবহনে ছাড় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি রাজ্য সরকারের থেকে নয়, বরং এ বিষয়গুলি প্রেস কাউন্সিলই দেখবে। পাশাপাশি ভুয়ো সাংবাদিক ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও এক্তিয়ার থাকছে এই কাউন্সিলের ওপর।

 


এবারও স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল যুবক। শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল সে। রাতভর নিখোঁজ থাকার পর রবিবার সকালে ওড়িশার সমু্দ্র সৈকতে ওই যুবকের দেহ ভেসে ওঠে। শনাক্তকরনের জন্য তাঁর সঙ্গীদের ওড়িশায় পাঠিয়েছে দীঘা পুলিশ। এদিকে এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

শনি, রবি এবং সোমবার-টানা তিনদিন ছুটি। আর সেই সুযোগে অনেকেই ছুটি কাটাতে হাজির হয়েছে দিঘার সমুদ্র সৈকতে। বলা যায় পর্যটকের   ঢল নেমেছে দিঘায়। এমন পরিস্থিতিতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যুবকের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


নদিয়ার কোতয়ালী থানা এলাকার বাসিন্দা প্রীতম সাঁধুখা (২৩) বন্ধুদের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে এসেছিলেন। বিকাল পাঁচটা নাগাদ তাঁরা নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে স্নান করতে নামেন। সেই সময় প্রীতম তলিয়ে যায় বলে খবর। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর খোঁজ না পেয়ে বন্ধুরা থানায় যায়। জানায়, সমুদ্রে স্নান করে উঠে এসেছিলেন প্রীতম। তার পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তবে মনে করা হচ্ছিল, হয়তো প্রীতম বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

রবিবার সকাল দশটা নাগাদ ওড়িশার উদয়পুর ঘাটে প্রীতমের দেহ ভেসে ওঠে। পরে সেখানকার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে দিঘার পুলিশ তাঁর বন্ধুদের ওড়িশাতে পাঠিয়েছে। এদিকে এই মৃত্যুর ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।


 জন টেরি

চেলসির হয়ে দাপিয়ে খেলতেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। পরে নিজেই ফাঁস করেন প্রায় ৫০টি কুসংস্কার ছিল তার। যার মধ্যে ম্যাচের দিন টিম বাসের নির্দিষ্ট সিটে বসা থেকে একই গান শোনা সবই আছে। টানা দশ মরসুম পছন্দের একজোড়া শিন প্যাডেই খেলেছেন টেরি।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার পর্তুগিজ তারকাও কিন্তু মেনে চলেন বেশ কিছু কুসংস্কার। খেলতে নামার আগের সবার শেষে টানেল থেকে বের হওয়া অভ্যাস ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। সবার আগে ঘাসের মাঠে নিজের ডান পা'টি রাখেন এই মহাতারকা।

গ্যারেথ বেল

ওয়েলশের মহাতারকা আবার গোলের জন্য নয় চোট থেকে বাঁচার জন্যে পালন করেন বেশ কিছু কুসংস্কার। খেলতে নামার আগে নিজের মোজায় গর্ত করে নেন বেল। তার বিশ্বাস এতে কাফ মাসলে চাপ কম পড়বে। ম্যাচের দিন নিজের পছন্দের ল্যাম্বোরগিনি আভেন্তাদোর গাড়িটিও চালান না তিনি। অসুবিধাজনক সিটের কারণে পায়ের সমস্যা তৈরি হতে পারে ভেবে ভয় পান বেল।

জোহান ক্রুয়েফ

টোটাল ফুটবলের জনক বলে পরিচিত এই ডাচ তারকার কাছে দুর্ধর্ষ স্কিলই নয় ছিল অদ্ভুত সব টোটকা। আয়াখস আমস্টারডামের হয়ে খেলবার সময় প্র‍তি ম্যাচেই মাঠে নেমে দলের গোল রক্ষকের পেটে চড় মেরে দৌড়ে যেতেন মাঝমাঠে। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষর গোল লক্ষ্য করে নিজের চ্যুইং গামটা ফেলবার পর শান্ত হতেন ক্রুয়েফ। ১৯৬৯ সালের ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে মাঝমাঠে গিয়ে ডাচ কিংবদন্তির খেয়াল হয় চ্যুইং গাম চিবোতেই ভুলে গিয়েছেন তিনি। শেষ অব্ধি ইন্টার মিলানের কাছে ১-৪ গোলে হারেন ক্রুয়েফরা।

লিওনেল মেসি

বিশ্বের সেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোর সাথে একটিই মিল আছে মেসির। ফ্রি কিক নেওয়ার আগের টোটকায়। দুই হাতে বলটি বসিয়ে পিছিয়ে আসেন আর্জেন্তিনীয় মহাতারকা। দু পা অল্প ফাঁক করে দাঁড়িয়ে গভীর নিঃশ্বাস, আর তারপর? বিপক্ষের রক্ষণভাগ তাকিয়ে দেখেন ক্যানভাসে আঁকা হচ্ছে ছবি।

জলাটন ইব্রাহিমোভিচ

এই সুইডিশ তারকার কুসংস্কারের কোপে পড়েন তার স্ত্রী হেলেনা সিগার। ম্যাচের আগের দিন যৌন সঙ্গম একেবারেই না পসন্দ জলাটন ইব্রাহিমোভিচের।

ডেভিড বেকহ্যাম

ইংল্যান্ডের মহাতারকা ও স্টাইল আইকন ডেভিড বেকহ্যাম স্বীকার করেছেন তিনি অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডারে ভোগেন। ম্যাচের দিন ঘর থেকে বেরনোর আগেই বেকহ্যাম দৌড়াতেন ফ্রিজের দিকে। কেন? ফ্রিজের সবকিছু সঠিক ভাবে সাজানো আছে দেখে তবেই মাঠের দিকে রওনা দিতেন তিনি।

ওয়েন রুনি

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার ম্যাচের আগে নিজের পছন্দের সিরিয়াল চকো পপস খেতেন। অন্য ব্র‍্যান্ড বা একই ব্র‍্যান্ডের অন্য কোন ফ্লেভারের সিরিয়াল মুখে তুলতেন না রুনি।

ইকের কাসিয়াস

বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক কাসিয়াসের নানান রকমের কুসংস্কার আছে। প্রতিটি ম্যাচেই বিশেষ জার্সি পরে নামার পাশাপাশি বাম পা দিয়ে বক্সের শেষপ্রান্তে ও গোল লাইনে আঁচড় কাটেন তিনি। ম্যাচে কাসিয়াসের দল গোল করলেই দৌড়ে নিজের গোলে ফিরে বাম হাত দিয়ে ক্রসবার স্পর্শ করেন কাসিয়াস।

গ্যারি লিনেকার

ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপে নেমে কিছুতেই বলে শট নিতেন না লিনেকার। হয়তো ভাবতেন ম্যাচে নামার পর গোলের সামনে তার ধার কমে যাবে। আরো একটি কুসংস্কার ছিল তার। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল না পেলে দ্বিতীয়ার্ধে অন্য জার্সি পরে মাঠে নামতেন তিনি।


 জলপাইগুড়ি হাসপাতাল এক তরুণের মৃত্যু ঘিরে প্রবল গোলমাল হয়। মৃত ওই তরুণের পরিবারের অভিযোগ করোনা‌য় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার । এবং এক্ষেত্রে হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

বুধবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি‌ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের লোকেরা বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালে‌র সামনে। খবর পেয়ে ঘটনা‌স্থলে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জানা গেছে মৃত তরুণের নাম সুবীর মুন্ডা। জলপাইগুড়ি‌র রংধামালি সংলগ্ন জয়পুর চা-বাগানের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হেমব্রম বলেন, রাতে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিল ছেলেটি।

ভোর পাঁচটা‌র সময় তাঁকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিত্‍সক জানিয়ে দেন ছেলেটি‌র করোনা হয়েছে। কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু এরপর চার ঘন্টা কেটে গেলেও কোনও অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় তাকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। চার ঘন্টা ধরে হাসপাতালে‌র সামনে পড়ে থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটে তার। এরপর জরুরী বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


 নিজের হাতে বাবা-মা, বোন আর ঠাকুমাকে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছিল বছর উনিশের যুবক মহম্মদ আসিফ। মালদা জেলার কালিয়াচকের সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিল আসিফের দাদা। পরে তার মাধ্যমেই গোটা বিষয়টি আসিফদের আত্মীয়্রা জানতে পারেন। তা থেকেই থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে আসিফদের রহস্যজনক বাড়িটির গোপন কুঠুরি থেকে ওই চারজনের দেহবাশেষ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আসিফকেও। সেই ঘটনার ৭০ দিন পরে এবার মালদা জেলা আদালতে ঘটনার চার্জশিট পেশ করলো পুলিশ। ওই চার্জশিটে আসিফের বিরুদ্ধে খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাট, খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসিফের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩০৭ ধারায় মামলা ঠুকেছে। ২৭৩ পাতার সেই চার্জশিটে ৪৪জনের সাক্ষী রয়েছে। এই চার্জশিট পেশ করার পাশাপাশি পুলিশের তরফে স্পেশ্যাল পি পি বা পাবলিক প্রসেকিউটার নিয়োগ করার আবেদন করা হয়েছিল যা আদালত মঞ্জুরও করেছে। চলতি বছরের ১৯জুন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এলেও মূল ঘটনাটি মার্চ মাসে হয়েছিল বলেই এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। তবে আসিফের দাদার ভূমিকা নিয়ে এখনও পুলিশের বেশ কিছু বিষয়ে খটকা রয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে আসিফের কার্যকলাপ নিয়েও উচ্চস্তরের তদন্ত হওয়া উচিত বলেও অনেকে মনে করছেন। যদিও ঘটনার সিআইডি তদন্ত চলছে। রাজ্যের এই গোয়েন্দা বাহিনীও আলাদা করে চার্জশিট জমা দেবে আদালতে। সেই চার্জশিট জমা পড়লে তারপরেই মামলার মূল শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত আসিফ রয়েছে জেল হেফাজতে।

ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া ১২ জন সশস্ত্র ডাকাতকে গ্রেপ্তার করল পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাদের কাছে একাধিক বন্দুক সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশ থেকে। 
মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা হোসনাবাদ এলাকাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু যুবক জড়ো হয়েছে বলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ছিল শুক্রবার রাতেই। সেই মুহূর্ত পুলিশ ওত পেতে ছিল। শুক্রবার ভোরে তাদের পর পর গ্রেপ্তার করে ফেলে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বন্দুকসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা সকলেই বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।

অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা এলাকায় একটি নামী মোবাইল দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কেরানিতলা এলাকায় দোকানের পেছনে দেওয়াল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার মোবাইল ও বিভিন্ন সামগ্রী, নগদ টাকা চুরি গিয়েছে বলে দোকানদার দাবি করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। 

 


রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। এখনও পর্যন্ত যে সব জেলায় সিবিআই টিম গিয়েছে 

ভাটপাড়া, বাঁকুড়া, কৃষ্ণনগর, সহ একাধিক জায়গায় সেই সব জায়গাতে অধিকাংশ জায়গাতে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কথা জানিয়েছেন অভিযোগকারীর পরিবার সিবিআই টিমের কাছে। স্থানীয় পুলিশের উপর ভরসা নেই, অভিযোগকারীদের দাবি সিবিআইয়ের কাছে।

তাঁদের আরোও অভিযোগ, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অভিযুক্তরা কিছু মামলায় গ্রেপ্তার হলেও, সামগ্রিক ভাবে অভিযুক্তদের অনেককেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে পলাতক দেখানো হয়েছে। অথচ নিগ্রহের শিকার হয়েছেন, এমন পরিবারের দাবি ওই সব অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

-কাবুল বিস্ফোরণের প্রত্যাঘাত, আফগানিস্তানে ড্রোন হানা মার্কিন সেনাবাহিনীর

সিবিআই সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ষাটটি মামলার কেস ডিটেলস নথি এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। মোট সতেরোটি জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা নথি পাঠানো হয়েছে সিবিআইতে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, যারা ইতিমধ্যেই জেলে আছে, সেইসব অভিযুক্তদের জেলে গিয়ে জেরা করবেন সিবিআই কর্তারা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে।

সিবিআই যুক্তি হিসেবে বলছে, বেশির ভাগ কেসেই ১৪ দিন হয়ে গিয়েছে। ফলে একই কেসে দুবার হেফাজতে নেওয়া যায়না। ভিন্ন কেসে নেওয়া যায়, কিন্তু রাজ্যর জেলায় কেস ও সিবিআই-এর একই কেস ফলে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে না।

উল্লেখ্য হাইকোর্ট মোট ১২৪ টা মামলা সিবিআই-কে দেখতে বলেছে। ৫২ টি খুন, খুনের চেষ্টা, অস্বাভাবিক মৃত্যু রয়েছে তার মধ্যে। এর মধ্যে ৭২ ধর্ষণ, মহিলাদের সম্ভ্রমহানির ঘটনা রয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে ৫২ জায়গায় সংখ্যাটা ৪৪ হবে, বাকি ৮ টায় কোনও তারিখ নেই অভিযোগপত্রে। আর ৭২ ধর্ষণের ঘটনার ৯ টি ক্ষেত্র বিবেচিত হবে না কারণ এই ৯টাতে কোনও তারিখ নেই অভিযোগপত্রে। রাজ্যের আপত্তি মেনে নিলে মোট কেস সিবিআই পাবে ১০৭ টা কেস। ১৯ অগাস্ট নির্দেশের দিন পর্যন্ত সংখ্যা আরও বাড়বে সিবিআই চাইলে।