May 2024

জল বিষয়ক মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, "আমরা যখনই জেনেছি টাইম কলের জল দূষিত, তখনই তা বন্ধ করেছি। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিরোধীরা রাজনীতি করছে। আগামী দুই জুন থেকে ফের তিস্তার শোধিত জল আমরা সরবরাহ করতে পারব। ততটা সময় এভাবে ট্যাঙ্কারেও পাউচে জল বিলি হবে।"

 কুুুপন দিয়ে নিতে হচ্ছে জলের পাউচ, শিলিগুড়িতে আজও সঙ্কটে 'জীবন'
শিলিগুড়িতে জলের সমস্যা


শিলিগুড়ি: জল নিয়ে এখনও হাহাকার অব্যাহত। কিছু এলাকায় কুপন দিয়ে মিলছে জল। শুক্রবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিস্থিতি দেখতে যাবেন মেয়র গৌতম দেব। জল নিয়ে সঙ্কট চলছেই। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ট্যাঙ্কারে করে জল বিলি করছে পৌরনিগম। বিলি করা হচ্ছে পাউচ। আর ভোটের আবহে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক চর্চা। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে এই জল সঙ্কট কেন্দ্র করে। গতকাল সিপিএমের বিক্ষোভে উত্তাল হয় শিলিগুড়ি।


শুক্রবার সকালে চাহিদা মেটাতে দেড় লক্ষের বেশি পাউচ শহরে বিলি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে লম্বা লাইনে তা সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জল বিষয়ক মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, “আমরা যখনই জেনেছি টাইম কলের জল দূষিত, তখনই তা বন্ধ করেছি। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিরোধীরা রাজনীতি করছে। আগামী দুই জুন থেকে ফের তিস্তার শোধিত জল আমরা সরবরাহ করতে পারব। ততটা সময় এভাবে ট্যাঙ্কারে ও পাউচে জল বিলি হবে।”


রয়েছে আরও একটি বিষয়। জলের পাউচে লেখা নাই তৈরির তারিখ ও ব্যবহারের সর্বোচ্চ তারিখ। এক বাসিন্দা বলেন, “বুঝতে পারছি না। বিশ্বাস করেই নিচ্ছি আপাতত। পর্যাপ্ত জল নেই। ফুটিয়ে ও কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছি।”

 মঙ্গলবার স্থানীয় এক বাসিন্দা পুকুর পাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন ওই ব্যক্তিকে। প্রথমটায় তিনি বুঝতে পারেননি। ভেবেছিলেন কেউ সাঁতার কাটচ্ছেন। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন সে শরীরে প্রাণ নেই। 

বছর সত্তরের বৃদ্ধের অর্ধনগ্ন শরীর ভাসছে জলে, প্রথমে মনে হয়েছিল সাঁতার কাটচ্ছেন, ভুল হয় ধারণা!
দেহ উদ্ধার

এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বারুইপুরে। সাত সকালে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়।ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার নুরীদানা একটি প্রাইমারি স্কুলের পাশের পুকুরে ভাসতে দেখা যায় বয়স্ক ব্যক্তির দেহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দেহটি অর্ধনগ্ন ছিল। তাঁদের অনুমান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বয়স সত্তরের ওপরেই হবে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় এক বাসিন্দা পুকুর পাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন ওই ব্যক্তিকে। প্রথমটায় তিনি বুঝতে পারেননি। ভেবেছিলেন কেউ সাঁতার কাটচ্ছেন। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন সে শরীরে প্রাণ নেই।


তিনিই স্থানীয় বাসিন্দাদের ডেকে আনেন। তারপর বারুইপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদের উদ্ধার করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই ব্যক্তি এলাকার নন। তবে তাঁকে সেখানে আগে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে। দু’তিন আগেও এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ভোটের আগে এই ধরনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রেলসূত্রে খবর, আগামী ১ জুন ও ২ জুন স্পেশাল এই ট্রেন চালানো হবে। মধ্যরাত পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসকের অনুরোধে এই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ট্রেন বাড়ালে প্রচুর সংখ্যক ভোট কর্মীর যাতায়াতের সুবিধা হবে।

রেজাল্টের আগে স্পেশাল ট্রেন চলবে শিয়ালদহ লাইনে
চলবে স্পেশাল ট্রেল

কলকাতা: শনিবার সপ্তম দফার ভোট। অর্থাৎ শেষ দফা। মূলত, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, ডায়মন্ডহার, বসিরহাট, দমদম, বারাসত, জয়নগর ও মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে হতে চলেছে ভোট। আর তাই শেষ দফা ভোটের আগে বাড়তি উদ্যোগ নিল রেল। স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তা শুধুমাত্র ভোটকর্মীদের জন্য।


রেলসূত্রে খবর, আগামী ১ জুন ও ২ জুন স্পেশাল এই ট্রেন চালানো হবে। মধ্যরাত পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসকের অনুরোধে এই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ট্রেন বাড়ালে প্রচুর সংখ্যক ভোট কর্মীর যাতায়াতের সুবিধা হবে। সেই কারণে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং এবং নামখানা থেকে শিয়ালদহ (সাউথ)এর উদ্দেশ্যে কিছু স্পেশাল এইএমইউ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোন-কোন স্পেশাল ট্রেন চলবে?


নামখানা-শিয়ালদহ স্পেশাল- ১ জুন রাত ১১:৪৫ মিনিটে নামখানা থেকে ছেড়ে ২রা জুন রাত ০২:২০ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে।

ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদহ স্পেশাল- ২জুন রাত ০১:০০ টায় ডায়মন্ড হারবার থেকে ছেড়ে রাত ০২:২৭ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে।

ক্যানিং-শিয়ালদহ স্পেশাল- ২রা জুন রাত ০১:০০ টায় ক্যানিং থেকে ছেড়ে রাত ০২:০৫ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে। স্পেশাল ট্রেনগুলি হল্ট এবং ফ্ল্যাগ স্টেশন সহ সমস্ত স্টেশনেই থামবে।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “ভোট কর্মীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসকের অনুরোধে এই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।”

গুলি-বোমার শব্দে ততক্ষণে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরইমধ্যে অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারাই রক্তাক্ত অবস্থায় তপনকে উদ্ধার করে জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভোটের আগেই তপ্ত জয়নগর, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে বোমা-গুলি
চাপানউতোর এলাকার রাজনৈতিক মহলে


জয়নগর: এখনও বাকি এক দফার ভোট। ১ জুন যাদবপুর, মথুরাপুরের মতো একাধিক হেভিওয়েট আসনের সঙ্গেই ভোট রয়েছে জয়নগরে। কিন্তু, ভোটের আগে ফের হিংসার ছবি। ঝরল রক্ত। জয়নগরে গড়দেওয়ানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে এলাকায়। চলছে পুলিশি টহল। চাপানউতোর শুরু এলাকার রাজনৈতিক মহলে। 


সূত্রের খবর, এদিন গড়দেওয়ানি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তপন মণ্ডল মোড়ে বসে ভোটার স্লিপ গোছানোর কাজ করছিলেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। কিন্তু, বরাত জোরে সেই গুলি লাগেনি তপনের গায়ে। এদিকে গুলির শব্দ পেয়েই প্রাণ বাঁচাতে একটি দোকানে লুকিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু, ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। দোকানে ঢুকতে দেখে সেখানেও বোমা মারা হয়। তাতেই আহত হন ওই তৃণমূল নেতা। 

সায়নী শুধু তৃণমূলের প্রার্থী নন, যুবনেত্রীও বটে। তাঁর ওপরেই এবার যাদবপুর কেন্দ্রের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও নতুন প্রার্থী নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতা।

কেন টিকিট পেলেন না মিমি? সায়নীর হাত ধরে আবারও ব্যাখ্যা মমতার
মমতা ও সায়নী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে মিমি চক্রবর্তীকে টিকিট দিয়ে চমক দিয়েছিল তৃণমূল। আর এবার আর টিকিট পাননি তিনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফা দিয়ে এসেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি কাজ করতে পারছেন না। আর সেই কেন্দ্রে এবার প্রার্থী করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। আর সায়নীর সমর্থনে প্রচারে দিয়ে আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করলেন কেন টিকিট দেওয়া হল না মিমিকে।


আজ বুধবার বারুইপুরে একটি সভা ছিল। সেখানে সায়নীর জন্য ভোট প্রার্থনা করে মমতা বলেন, “মিমিকে আগেরবার আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। এবার মিমি একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় টিকিট দেওয়া হয়নি। এবার সায়নীকে প্রার্থী করা হয়েছে। ও কোমরে কাপড় বেঁধে লড়াই করবে।”

সায়নী শুধু তৃণমূলের প্রার্থী নন, যুবনেত্রীও বটে। তাঁর ওপরেই এবার যাদবপুর কেন্দ্রের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও নতুন প্রার্থী নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতা। অন্য একটি সভায় গিয়ে তিনি বলেন, ‘সায়নীকে দিয়েছি এই কারণে, যে আগের বার আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি।’ ‘আমাদের দোষ ছিল’ বলেও উল্লেখ করেছেন মমতা।


পরে মমতা বলেছিলেন, মিমির কোনও দোষ ছিল না। তিনি নিজের অভিনয় জগতে ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ ছিল। সে জন্য আমরা শুধরে নিয়েছি। সায়নী এলাকায় পড়ে থেকে লড়াই করবেন এবং দাঁতে দাঁত দিয়ে লড়াই করবেন উন্নয়নের কাজে।

এ দিন, প্রচার গাড়ির ছাদে উঠে বক্তব্য রাখছিলেন অভিষেক। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে কিছু কর্মী সমর্থক সবুজ আবির মেখে এসেছেন। বক্তব্য রাখতে-রাখতেই অভিষেক বলেন, "এ কী! এখনই সবুজ আবির মেখে ফেলেছেন।

 প্রচারে তখন অভিষেক, TMC কর্মীরা খেলছিলেন সবুজ আবির, হঠাৎ বললেন, 'এ কী এখনই...'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল প্রার্থী


ফলতা: নিজের লোকসভা কেন্দ্রে (ডায়মন্ড হারবার) তখন শেষবেলার প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। চলছে র‌্যালি। দু’পাশে উপচে পড়া ভিড়। উন্মাদনার পারদও তুঙ্গে। সবুজ আবির উড়িয়ে সেই উন্মাদনা জানান দিচ্ছেন কর্মীরা। আর তা চোখে পড়তেই ‘আত্মবিশ্বাসী’ অভিষেক বললেন, “সবুজ আবির বাঁচিয়ে রাখুন। ৪ তারিখ গোটা দেশ সবুজময় হবে।”


এ দিন, প্রচার গাড়ির ছাদে উঠে বক্তব্য রাখছিলেন অভিষেক। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে কিছু কর্মী সমর্থক সবুজ আবির মেখে এসেছেন। বক্তব্য রাখতে-রাখতেই অভিষেক বলেন, “এ কী! এখনই সবুজ আবির মেখে ফেলেছেন। এই দ্যাখো এরা এখনই সবুজ আবির মেখে ফেলেছে। আরে সবুজ আবির বাঁচিয়ে রাখুন। চার তারিখ গোটা দেশ সবুজময় হবে।”


এরপরই অভিষেকের কথায় হাততালির ঝড় ওঠে। অভিষেক আরও বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে কোনও দলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই নেই। তৃণমূলের লিড নিয়ে এখানে এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের লড়াই হবে।” ভিড়ের মধ্যেই হাত মেলাতে এগিয়ে আসছে যুবকের দল। এরই মধ্যে তৃণমূলের পতাকা হাতে ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলেন এক বৃদ্ধা। বাড়ির বিদ্যুতের মিটার খারাপ হয়ে গিয়েছে। সাংসদের কানে এই কথা পৌঁছতেই এসেছেন তিনি। প্রবল হট্টগোলের মধ্যেই বৃদ্ধাকে কাছে ডেকে অভিযোগ শুনলেন অভিষেক। আশ্বাসও দিলেন সমস্যার সমাধান করার।


 তৃণমূলের আহত এক কর্মী হাসপাতালের বেডে শুয়েই বলেন, "রাস্তা দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের মিছিলের ওপরেই হামলা করে। প্রায় তিরিশটার মতো বোমা মেরেছে। আমার পা ঝলসে গিয়েছে।" আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

ভোটের আগে তপ্ত 'আরাবুলহীন' ভাঙড়, বোমাবাজিতে আহত শিশু-সহ ৭, উঠল নওশাদের গ্রেফতারির দাবি
আহত ব্যক্তি

ভাঙড়: রাত পোহালেই বঙ্গে সপ্তম দফার ভোট। ভোট রয়েছে স্পর্শকাতর এলাকা ভাঙড়েও। অশান্তিপ্রবণ ভাঙড় ভোটের আগেও তার ‘চরিত্র’ বজায় রাখল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তপ্ত হয়ে উঠল ‘আরাবুলহীন’ ভাঙড়। ভাঙড়ের ভোগালিতে ফের তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ। রেহাই পেল না শিশুও। বোমাবাজিতে জখম এক শিশু-সহ ৭ জন। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে অতর্কিতে বোমা মেরেছে আইএসএফ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। গুরুতর আহত চার জনতে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁদের পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান সায়নী ঘোষ, অরূপ বিশ্বাসরা। ছিলেন শওকত মোল্লাও।


তৃণমূলের আহত এক কর্মী হাসপাতালের বেডে শুয়েই বলেন, “রাস্তা দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের মিছিলের ওপরেই হামলা করে। প্রায় তিরিশটার মতো বোমা মেরেছে। আমার পা ঝলসে গিয়েছে।” আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর অভিযোগ, “রাজনৈতিকভাবে না পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাস তৈরি করছে নওশাদ সিদ্দিকি। ৫ জন গুরুতর আহত। একটা শিশুও আহত হয়েছে।”


হাসপাতালের বাইরে সায়নী ঘোষ বলেন, “আইএসএফের পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, সেটা বুঝেই হামলা করছে। বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ দিতে গিয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে এই হামলা চালানো হয়েছে।” অরূপ বিশ্বাস বলেন, “হারার আগেই আসলে ওরা হার মেনে নিয়েছে। ” এখনও নিয়ে এই নিয়ে আইএসএফের বক্তব্য, “তৃণমূলের লোকেরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। নিজেরাই সন্ত্রাস তৈরির জন্য বোমা মেরেছিল। আর তাতেই আহত হয়। এখন আইএসএফের নামে দোষ চাপাচ্ছে।”


অভিনেত্রী একটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিতে তিনি এবং তাঁর সেই মনে কেমনের ব্যক্তি। ১১ বছর ধরে সিনেমাপড়ার কোণায়-কোণায় তাঁকে খুঁজে চলেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। সেই তাঁকে, যিনি অপরাজিতাকে সকলের সামনে 'অপা' বলে ডাকতেন।

সিনেমাপাড়ার কোণায়-কোণায় তাঁকেই প্রথমে খোঁজেন, না পেলেই হাহাকার অপরাজিতার
অপরাজিতা আঢ্য।



১১ বছর ধরে সিনেমাপড়ার কোণায়-কোণায় তাঁকে খুঁজে চলেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। সেই তাঁকে, যিনি অপরাজিতাকে সকলের সামনে ‘অপা’ বলে ডাকতেন। তাঁর আজ বড় অভাব অনুভব করেন অপরাজিতা। অভিনেত্রী একটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিতে তিনি এবং তাঁর সেই মনে কেমনের ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। আজকের দিনে (৩০ মে) তিনি পরপারে চলে গিয়েছিলেন। চলে গিয়েছিলেন সকলের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সেই ঋতুপর্ণকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেছেন তাঁর প্রিয় অপা। এবং মনের সব কষ্ট এক্কেবারে নিংড়ে দিয়েছেন তিনি।


ঋতুপর্ণর সঙ্গে কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন অপরাজিতা। লিখেছেন, “কতদিন হয়ে গেল তাই না ঋতুদা? আমায় তোমার মনে আছে এখনও…? আমার কিন্তু তোমায় রোজ মনে পড়ে। অ্যাকশন-কাটের জগৎ পেরিয়ে তুমি আমায় অন্তরে-অন্তরে ভাবিয়ে তোলো। অভিভাবক-বন্ধু-পরিচালক সব কিছু পেরিয়ে, সেই মানুষটাকে খুঁজি সিনেমাপাড়ার কোণায়-কোণায়। সেই যে আমায় সাহস দিয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। সেই মানুষ যাঁর সঙ্গে দেখা হলেই মন খুশি। অপরিসীম পরিপূর্ণতা… কোথায়? কোথায়, কোথায় সেই মানুষ? সেই তুমি… এখন তোমার অপা অনেক বড় হয়ে গেছে ঋতুদা। সেই ছোটটি নেই জানো তো। আমি ঠিক আছি। যেখানেই থাকো ভালো থেকো।”

অপরাজিতাকে ঋতুপর্ণ কাস্ট করেছিলেন ‘গানের ওপারে’ সিরিয়ালে পুপে (অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী)-র মায়ের চরিত্রে। এ ছাড়াও অপরাজিতা আঢ্য কাজ করেছেন ঋতুপর্ণর ‘শুভ মহুরত’, ‘চিত্রাঙ্গদা’র মতো ছবিতে।
কোন শোক ভোলার কথা অনুপম লিখেছেন তাঁর পোস্টে? চলতি বছরই মার্চ মাসের ২ তারিখ বিয়ে করেছেন অনুপম রায়। বাঙালি গায়িকা প্রশ্মিতা পালের সঙ্গে বছর খানেকের সম্পর্ক এবং তারপর বিয়ে। এর আগে দুটি বিয়ে অসফল হয় অনুপমের। প্রশ্মিতাকে নিয়ে সুখে আছেন তিনি। এই পোস্ট কি তারই প্রতিনিধি?

'...ভুলেছি শোক', বিয়ের দু'মাস পর হৃদয় নিংড়ানো লেখা অনুপমের
অনুপম রায়।

‘সাহসী কোনও কথায়, ঠোঁট পুড়ে গিয়েছিল, স্মৃতিহীন কোন আলাপে, এ জীবন বেছে নিল? প্রতিটাদিন প্রতিটারাত কার ইশারায়, ভুলেছি শোক, হাজার চোখ খোঁজে আমায়!’–গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায় লিখেছেন এই পোস্টটি। সঙ্গে ছবিও দিয়েছেন। মাথা নুইয়ে খাতার পাতায় লিখছেন এই সব! তাই দেখা যাচ্ছে ছবিতে। মার্চ মাসের ২ তারিখ বিয়ে করেছেন অনুপম রায়। বাঙালি গায়িকা প্রশ্মিতা পালের সঙ্গে বছর খানেকের সম্পর্ক এবং তারপর বিয়ে। এই প্রথম ছাদনাতলায় যাননি অভিনেতা। এর আগেও দু’বার বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুটি বিয়েই তাঁর অসফল হয়েছে। প্রথম স্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী, দ্বিতীয়জন গায়িকা-সমাজসেবী পিয়া চক্রবর্তী। তৃতীয়বার বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে সুখে সুংসার করছেন গায়ক। এই পোস্ট কি সেই সুখের প্রতিনিধি?


কিছুদিন আগেই মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়েছিলেন অনুপম-প্রশ্মিতা। বিদেশের মাটিতে তাঁদের সুসময়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সব। অনুরাগীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন ছবিগুলি দেখে। বিয়ের পরপর মধুচন্দ্রিমায় যাননি তাঁরা। পেশাদারিত্বের পূর্ব প্রতিশ্রুতিই পিছিয়েছিল মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা।


অনুপমের পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। গায়কের লেখনীর প্রশংসা করেছেন তাঁরা। শুরু থেকেই সুর এবং কথা নিয়ে খেলা করছেন অনুপম। তাঁর প্রথম প্লেব্যাক গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ হয়ে উঠেছে ভগ্ন হৃদয়ের অ্যান্থেম। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অনুপমকে। গান লেখা, গান গাওয়া, গানের নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সাহিত্য রচনাতেও পাকা হাত তৈরি করেছেন এই বহুমুখী প্রতিভার মানুষটি।

ডন থ্রি ছবি এখন তাঁর ঝুলিতে। তবে প্রতিটা চরিত্র নিয়ে যে তিনি কতটা সচেতন, তা একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজেই প্রমাণ করেছিলেন কিয়ারা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যে কোনও চরিত্রের জন্য যতটা সম্ভব ভাঙতে জানেন।

শুটিং ফ্লোরে সেক্সটয়..., করণ জোহরের নির্দেশে এই কাজটাও করতে হয়েছিল কিয়ারাকে


কিয়ারা আডবাণী, কেরিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক চরিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে সকলের নজর কেড়েছেন। ধীরে ধীরে বলিউডে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন অভিনেত্রী। একের পর এক ছবি এখন তাঁর ঝুলিতে। সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল কিয়ারাকে। আর বলিউডে অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন কবীর সিং ছবির মাধ্যমে। দাপটের সঙ্গে সকলের নজর কেড়েছেন অভিনয় গুণে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ডন থ্রি ছবি এখন তাঁর ঝুলিতে। তবে প্রতিটা চরিত্র নিয়ে যে তিনি কতটা সচেতন, তা একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজেই প্রমাণ করেছিলেন কিয়ারা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যে কোনও চরিত্রের জন্য যতটা সম্ভব ভাঙতে জানেন।


তেমনই এক চ্যালেঞ্জিং চরিত্র ছিল লাস্ট স্টোরিজ়-এ। যার একটি দৃশ্যে কিয়ারাকে সেক্সটয় ব্যবহার করতে দেখা যায়। কী দেখানো হয় পর্দায়? তিনি সেক্সটয়টি শরীরের গোপনাঙ্গে প্রবেশ করিয়েছিলেন। যার রিমোর্ট তিনি অন্যত্র রেখে আসেন। কিছুক্ষণ পর চরিত্র অনুভব করে, শরীরে এক অদ্ভুত অনুভূতি ঘটছে। সেক্সটয়টি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তিনি কিছু বোঝার আগেই শরীর জুড়ে শিহরণ খেলে যায়। আসলে ঘরে উপস্থিত থাকা অন্য এক সদস্য টিভির রিমোর্ট ভেবে সেক্সটয়ের রিমোর্ট চালাচ্ছিলেন। তাতেই বিপত্তি। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্বামী ও শাশুড়ির কথা ভুলেই যায় চরিত্র। সেই মুহূর্তে যে এক্সপ্রশন দিয়েছিলেন কিয়ারা তা সম্পূর্ণ ছিল তাঁর অজানা। কারণ তিনি সেক্সটয় সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।


ছবির পরিচালক করণ জোহর তখন সহায় হয়েছিলেন। কিয়ারাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে সবটা বুঝিয়েছিলেন। প্রতিটা টেকে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, যাতে তাঁর মুখের অবয়ব একেবারে পারফেক্ট থাকে। তেমনটাই হয়েছিল। এই সিরিজে কিয়ারা আডবাণীর অভিনয় সকলের নজর কেড়েছিল। প্রশংসিতও হয়েছিল। তবে কিয়ারা চরিত্রে বিন্দুমাত্র বুঝতে দেননি যে তিনি এই বিষয় সেভাবে কিছুই জানতেন না। বরং পারদর্শীতার সঙ্গেই তা উপস্থাপনা করেন।

 বচ্চন পরিবারের সম্মতি না থাকলে নাকি ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছেন না তিনি। রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ট দৃশ্যে অভিনয় করার পর থেকেই নাকি পরিবারে ভাঙন শুরু।

অভিষেকের স্ত্রী হয়ে 'ভোগান্তি'? বিয়ের পরের দিন থেকেই জীবন পাল্টে যায় ঐশ্বর্যর


প্রকাশ্যে গুঞ্জণ ছিল একাধিক। বিয়ের পরই নাকি কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে ঐশ্বর্যর। জুনিয়ার বচ্চনকে বিয়ে না করার উপদেশও দিয়ে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু প্রেমের কাছে হার মানেন বিশ্ব সুন্দরী। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কি তিনি ভাল আছেন! কীভাবে প্রতিটা পদে পদে নিজেকে পাল্টে ফেলে মানিয়ে নিচ্ছেন তিনি! অভিনয় জগত থেকে যে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অনেকটাই তা স্পষ্ট। তখন হাতে একের পর এক ভাল ছবির কাজ। দুজনে পর পর ছবি করছেন, কখনও একফ্রেমে, কখনও আবার আলাদা। তবে বিয়ের পরের দিনই তাঁর পরিচয় হয় দাঁড়ায় বচ্চন বধূ। পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন না তিনি। একটা সময় পর শোনা যায় ছবির ক্ষেত্রেও আসছে বহু নিষেধাজ্ঞা। বচ্চন পরিবারের সম্মতি না থাকলে নাকি ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছেন না তিনি। রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ট দৃশ্যে অভিনয় করার পর থেকেই নাকি পরিবারে ভাঙন শুরু। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে তাঁরা নাকি আলাদাই থাকছেন, এমন কি বিবাহ বিচ্ছেদের খবরও উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে। যদিও সবটাই জল্পনা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনওদিন কোনও মন্তব্য করেননি।


তবে প্রাথমিকভাবে ঐশ্বর্যকে বেশ কয়েকটি ছবি করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও কিছুদিন পর থেকে ঐশ্বর্যকে আর সেভাবে বক্স অফিসে ঝড় তুলতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেই জানিয়ে ছিলেন বেশ কিছুটা বিরতিতে থাকবেন। তবে বর্তমানে তা ভক্তদের কাছে বেজায় নিরাশ করা খবর। কারণ মাঝে একটা দুটো ছবি করেই নিজেকে আবারও সরিয়ে নিয়েছেন হৃত্বিক। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তখন সম্পর্কের জল্পনা তুঙ্গে। সুইজারল্যান্ডে মন দেওয়া নেওয়ার পর্ব তখন ইতি। একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে যুক্ত হয়ে ক্লাউড নাইনে রয়েছেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই। কিন্তু দিনের শেষে কোথাও গিয়ে যেন ছন্দপতন ঘটে ছবি মুক্তির পর। অশান্তি এতটাই বেড়ে যায় যে মুহূর্তে তিনি নিজের অন্য ফ্ল্যাটে সিফট করে গিয়েছিলেন। অবশেষে তা সামলে নেয় বচ্চন পরিবার।
না, কিচ্ছু মনে নেই ভুতুর। ছোটবেলায় সে কী-কী করেছে, ভুতু সিরিয়ালে সে কীভাবে মাতিয়েছে, কোনওটাই তার স্মরণে নেই আর। শিশু শিল্পী আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়ের সব ভুলেছে। মায়ের কাছে সব কিছু শুনে রোজ অবাক হচ্ছে বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়া ভুতু। কিন্তু কেন কিছুই মনে পড়ছে না তার। কারণ জানলে অবাক হবেন।

'...আমার কিছু মনে নেই', ছোটবেলার অভিনয়ের সব স্মৃতি কেন মুছে গেল ভুতুর মস্তিষ্ক থেকে?
ভুতু এখন এবং তখন (অভিনেত্রী আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়)।

‘ভুতু’কে কেউ ভুলতে পারেন না। কিন্তু জানেন কি ভুতু নিজেই ভুতুকে ভুলে গিয়েছে। ২০১৫ সালে সম্প্রচারিত ‘ভুতু’ সিরিয়ালের ভুতুই সেই ছোট্ট ভূত, যাকে দেখার জন্য সব কাজ ফেলে টিভির পর্দার সামনে বসে পড়তেন দর্শক। ইংরেজি ভূত ক্যাসপারের আদলে তৈরি হয়েছিল বাংলা সিরিয়ালের এই দুষ্টুমিষ্টি শিশু ভূত ভুতু। অসামান্য অভিনয় করেছিল আর্শিয়া মুখোপাধ্য়ায়। যে আর্শিয়া এখন ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। ভুতু এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, হিন্দিতেও তৈরি হয়েছিল সিরিয়ালটি। মা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটা। তারপর কলকাতায় ফিরে আসে আবারও ‘রানু পেল লটারি’, ‘মীরা’র মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছিল। দেবের সঙ্গে ‘ককপিট’ ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ছোট্ট তারকা পেয়েছিল বহু পুরস্কারও। কিন্তু এখন তাঁর সে সব কিছুই মনে নেই মেয়েটার। অবাক করা কথা বলেছে সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়া আর্শিয়া।


মাত্র ৬ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করে আর্শিয়া। রাতদিন এক করে শুটিং করেছিল বাচ্চাটা। হাতা গোটানো লম্বা শার্ট, মাথা ভর্তি লম্বা অগোছালো চুল এবং গালে টোল নিয়ে ২২ মিনিট পর্দায় ছেয়ে থাকা ভুতু। রাতের বেলায় শুটিং করার সময় ঘুমিয়ে পড়ত ফ্লোরেই। আর পাঁচটা বাচ্চা যেমন পড়ে। শুটিংকে গুলি মেরে মায়ের কোল খুঁজত মেয়েটা। কিন্তু পেত না। পেত না কারণ, যে সে ভুতু। আর পাঁচটা বাচ্চার জীবন তার হতেই পারে না। তারই অপোক্ত কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব চাপানো যে। দর্শক মনোরঞ্জনের দায়িত্ব বাচ্চাটার উপর চাপিয়ে টিআরপি ঊর্ধ্বমুখী করেছিল চ্যানেল। তার যাতে ঘুম না পায়, তাই গোটা স্টুডিয়ো স্কুটি করে চক্কর কাটিয়ে তাঁকে জাগিয়ে রাখা হত। সামান্য চিপস এবং চকোলেটের লোভে মেয়েটা রাতের পর-রাত জেগেছে। না, এগুলো তার কিছুই মনে নেই। সব মায়ের মুখে শোনা। এটাও তাঁর শোনা যে, সে পুরস্কারও পেয়েছে, দেবের মতো সুপারস্টারের কোলে পিঠে চেপে অভিনয় করেছে।

 লাগাতার কয়েকদিন ধরে প্রবল ভ্যাপসা গরমের পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাঁকুড়ায় শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। রাত দশটার পর থেকে প্রবল বজ্র বিদ্যুৎ সহযোগে বাঁকুড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়। সকালেও বিক্ষিপ্ত ভাবে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়।

 জমিতে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন, বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দম্পতির
বজ্রঘাতে মৃত্যু হল দম্পতির

বাঁকুড়া: সাত সকালেই বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক দম্পতির। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার নতুনগ্রাম এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম নিরঞ্জন সাঁতরা ও তারারানি সাঁতরা। বজ্রপাতে দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


লাগাতার কয়েকদিন ধরে প্রবল ভ্যাপসা গরমের পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাঁকুড়ায় শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। রাত দশটার পর থেকে প্রবল বজ্র বিদ্যুৎ সহযোগে বাঁকুড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়। সকালেও বিক্ষিপ্ত ভাবে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টির মধ্যেই গ্রাম লাগোয়া জমিতে সবজি তুলতে গিয়েছিলেন বড়জোড়া থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন সাঁতরা ও তারারানি সাঁতরা। আচমকাই বজ্রপাতে সবজির জমিতেই লুটিয়ে পড়েন ওই দম্পতি।


স্থানীয় বাসিন্দার দেখতে পেয়ে দম্পতিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বড়জোড়া থানার পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

বহুদিন ধরে সম্পর্কে আছেন রুবেল ও শ্বেতা। প্রকাশ্যেই প্রেমের ইজহারে কোনও কার্পণ্যও নেই তাঁদের। শ্বেতার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই শেয়ার করেন ছবি। এরকমই এক ছবি শেয়ার করে রুবেল লিখেছেন, "হাত ধরে সঙ্গে চলতেই চাই। একে অন্যকে ভালবেসে বুঝতে চাই।"

'বিয়ের আগেই...', শ্বেতা-রুবেলের ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল, তুমুল সমালোচনা
আবিরের স্ত্রীর ব্যবহার নিয়ে অকপট মিমি

সকাল থেকেই বিভিন্ন পাপারাৎজি অ্যাকাউন্টে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি ছবি। যে ছবি নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা। ছবিটি ছোট পর্দার জপ্নপ্রিয় জুটি রুবেল দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্যের। ইনস্টাগ্রামে রুবেল তাঁর ও শ্বেতার এক ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করেছে, আর সেই ছবি নিয়েই এখন চারিদিকে চর্চা। শুধু যে চর্চা তা নয়, বরং হচ্ছে সমালোচনা। নেটিজেনদের একটা বড় অংশ লিখছেন, “নিজেদের ব্যক্তিগত মুহূর্তও এভাবে বিক্রি করছেন? লজ্জা লাগা দরকার।”


বহুদিন ধরে সম্পর্কে আছেন রুবেল ও শ্বেতা। প্রকাশ্যেই প্রেমের ইজহারে কোনও কার্পণ্যও নেই তাঁদের। শ্বেতার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই শেয়ার করেন ছবি। এরকমই এক ছবি শেয়ার করে রুবেল লিখেছেন, “হাত ধরে সঙ্গে চলতেই চাই। একে অন্যকে ভালবেসে বুঝতে চাই।” বিছান্যা গা এলিয়ে দেওয়া এক মিষ্টি ছবি। তবে ভালভাবে নেননি অনেকেই। একজন লেখেন, “এত দেখিও না। কিছু জিনিস তো ব্যক্তিগত থাকাও দরকার। ভালবাসার অনুভূতিটা নিজেদের মনে রেখে দাও।” আর একজন লেখেন, “দেখতেও বিশ্রী লাগছে, বিয়ের আগেই তো সব সামনে।” যদিও কটাক্ষকে প্রশয় দেননি ওঁরা। পাল্টা উত্তর দিতেও দেখা যায়নি তাঁদের।


কীভাবে শ্বেতা-রুবেলের প্রেম শুরু হয়? এর আগে টিভি নাইন বাংলার কাছে মনের ঝাঁপি খুলেছিলেন অভিনেতা। রুবেল বলেন, ” বারাসাতে দেবাশিষ ঘোষের স্কুল, ওই একই ডান্স গ্রুপ থেকে আমরা দুজনেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তাই ওকে আমি চিনি বহুদিন ধরেই। কিন্তু যমুনাঢাকি করতে গিয়েই সেই বন্ধুত্বটা আরও একটু বেশি হয়ে গেল।” বিয়ে নিয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, “সবটাই তো ভাগ্য, আপাতত দুজন দুজনের সান্নিধ্য ভীষণ ভাবে উপভোগ করছি। সেটাই করতে চাই।”

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এছাড়াও গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছিলেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমানকে। সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও পর্যন্ত হয়নি। তদন্ত চলছে।

১৯-এ রোজভ্যালি, ২৪-এ রেশন! ঋতুপর্ণার নাম জড়াতেই খোঁচা শ্রীলেখার


রেশন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডি-র তলব পেয়েছেন, সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে এমনটাই। ঋতুপর্ণা অবশ্য সুদূর ইউএসএ থেকে দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এখনও কোনও চিঠি আসেনি। ২০১৯-এ রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়ানো থেকে ২০২৪-এ রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো– প্রথম সারির অভিনেত্রীকে জড়িয়ে কথা উঠতেই খোঁচা শ্রীলেখা মিত্রের। এক পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। যেই পোস্টে লেখা– “রোজভ্যালি, রেশন–অনেক দুর্নীতিতেই নাম জড়াচ্ছে ঋতুপর্ণঅ্যার। কিন্তু টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থাকবে নীরব! এই মেরুদন্ডহীনতায় নিয়ে এরাই আবার মাঝে মধ্যেই জ্ঞানের যত দার্শনিক উক্তি করে!” এই পোস্ট শেয়ার করেই শ্রীলেখা লিখেছেন, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু চুপ”।

এ নিয়ে শ্রীলেখার বিস্তারিত বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করে টিভিনাইন বাংলাও। অভিনেত্রীর বক্তব্য, “আমাকেই কেন বলতে হবে বারবার? কেন আর কেউ কিছু বলে না? কই আমাকে তো ইডি ডেকে পাঠায় না। বড় অভিনেত্রী, তাই একবার নয় দুইবার ডাক পড়ে।”


উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এছাড়াও গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছিলেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমানকে। সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও পর্যন্ত হয়নি। তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। দেব, নুসরত, বনি সেনগুপ্তরা হাজিরা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির কাছে।

 এ কী? নেটদুনিয়া তো সে কথা বলছে। যে কোনও সার্চ ইঞ্জিনে 'দেবের স্ত্রী কে' সার্চ করলেই দেখা যাচ্ছে একটাই খবর, "দেব বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী মৈত্র। ২০২১ সালে ওঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে।"

৩ বছর আগেই গোপনে বিয়ে করেছেন দেব? খবর সামনে আসতেই তুমুল হইচই
দেব অধিকারী

এত বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছেন, অথচ দেব-রুক্মিণী কেন বিয়ে করেন না তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ইন্ডাস্ট্রির বাতাসে ভেসে বেড়াট তাঁদের নাকি আইনি বিয়ে হয়ে গিয়েছে আগেই। তবে ব্যক্তিগত হলফনামায় দেব আজও অবিবাহিত। কিন্তু এ কী? নেটদুনিয়া তো সে কথা বলছে। যে কোনও সার্চ ইঞ্জিনে ‘দেবের স্ত্রী কে’ সার্চ করলেই দেখা যাচ্ছে একটাই খবর, “দেব বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী মৈত্র। ২০২১ সালে ওঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে।”


এ নিয়ে যখন চারিদিকে হইচই, তখন মুখ খুলেছেন বিদায়ী সাংসদও। এক ফ্যানক্লাবের তরফে দেব সম্পর্ক এই অজানা খবর শেয়ার করে লেখা হয়েছে,”গুগ্‌ল না থাকলে জানতেই পারতাম না!” সেই পোস্টেই কমেন্ট করেছেন দেব নিজেই লিখেছেন, “আমিও”। বহুদিন ধরে রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন দেব। যদিও এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি তাঁদের বিয়ের কোনও আপডেট নেই। নিজের অভিনয়ের কেরিয়ার ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আপাতত বেজায় ব্যস্ত অভিনেতা।


এ দিন ইনস্টাগ্রামে নির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার পর একটি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। তিনি লিখেছেন, “প্রতিটি দল ও তার কর্মীদের অনেক শুভেচ্ছা। গত ৩ মাস ধরে প্রত্যেকটা দলের কর্মীরা চেষ্টা করেছে নিজেদের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য। সবার পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানাই। আশা করি যেই জিতুক আমাদের দেশ যেন এগিয়ে যায়। জয় হিন্দ।”

 সপ্তম দফার ভোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, “সপ্তম দফার সমস্ত এজেন্ট দের বলছি, পুলিশ ডাকলে যাবেন না, বাড়িতে ডাকলে দরজা খুলবেন না। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। ষষ্ঠ দফায় অনেক ক্যামেরা বন্ধ ছিল। তবে দিনের শেষে ১৫০ টি বুথে ক্যামেরা চলেনি।”

শেষ দফার ভোটের আগে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শুভেন্দু, করলেন বিস্ফোরক দাবি
শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতা

কলকাতা: আর বাকি একটা দফা। শেষ ল্যাপে সপ্তম দফার ভোটে বিহার, উত্তর প্রদেশের সঙ্গে ভোট রয়েছে বাংলাতেও। এদিকে এরমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন শিশির বাজোরিয়া, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। করলেন একগুচ্ছ দাবি। তারপর সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে যে তিনি খুশি তা স্পষ্টই বলেন তিনি। বলেন, “আমরা আলোচনায় খুশি। আমরা বেশ কয়েকটি লিখিত দাবি জানিয়েছি।”


তবে ষষ্ঠ দফার ভোট নিয়ে কিছু ক্ষোভের কথাও কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে জানান শুভেন্দু। বলেন, “আমরা ষষ্ঠ দফার ভোটে, দুইটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছি। কোনও কেস না থাকা সত্ত্বেও মমতার পুলিশ খুব ওভার অ্য়াক্ট করেছে। ৫০ জন ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের আটকানো হয়েছে। ৩০০ বাড়িতে পুলিশ রেইড করে বাড়িতে থাকতে দেয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের যুব মোর্চার সভাপতিকে আটকে রাখা হয়েছে।”


এখানেই না থেমে সপ্তম দফার ভোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, “সপ্তম দফার সমস্ত এজেন্ট দের বলছি, পুলিশ ডাকলে যাবেন না, বাড়িতে ডাকলে দরজা খুলবেন না। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। ষষ্ঠ দফায় অনেক ক্যামেরা বন্ধ ছিল। তবে দিনের শেষে ১৫০ টি বুথে ক্যামেরা চলেনি। সুন্দরবনের কয়েকটি বুথ ছাড়া এসব জায়গায় ওয়েব কাস্টিং বাধ্যতামূলক। ৪ তারিখের কাউন্টিং এজেন্টের লিস্ট ১ তারিখ দিতে বলেছেন সিইও। এজেন্টদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, CEO আশ্বস্ত করেছেন।” এরপরই মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আছে কিছু কাউন্টিং এজেন্ট কে অ্য়ারেস্ট করতে হবে। আমাকে সিআইডি-র অফিসার বলেছে।”


সূত্রের খবর, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কিছু নথি যাচাই করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সকাল ১১টা নাগাদ অভিনেত্রীকে সল্টলেকের ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।


 বড় খবর! এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণাকে তলব ED-র
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব ইডির

কলকাতা: ইডির নজরে আবারও টলিউড অভিনেত্রী। আগামী ৫ই জুন তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। রেশন দুর্নীতির টাকা অভিনেত্রীর সংস্থায় গিয়েছে। সেই কারণে ইডির তলব বলে সূত্র মারফত জানতে পারা যাচ্ছে। তবে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনো এরকম কোনও নোটিশ পাননি তিনি।উল্লেখ্য, তবে এই প্রথম নয় এর আগেও ইডি তলব করেছিল অভিনেত্রীকে। সেই সময় রোজভ্যালি সংক্রান্ত একটি মামলায় ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। ২০১৯ সালে এই চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান হয়। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রোজভ্যালির একাধিক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী। প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময় তাঁর কিছু বিদেশ ভ্রমণের অর্থের উৎস নিয়ে। পাঁচ বছর পর ফের তলব করা হল তাঁকে। তবে এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।


উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এছাড়াও গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছিলেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমানকে। সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও পর্যন্ত হয়নি। তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। দেব, নুসরত, বনি সেনগুপ্তরা হাজিরা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির কাছে।

সদ্য তলবের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই।একাধিকবার উত্তর ২৪ পরগনার যুব তৃণমূল নেতা দেবরাজকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। মুখোমুখি হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চোখা চোখা প্রশ্নের। কিন্তু এবার ভোটের কাজে ব্যস্ত তিনি। সেই কারণে হাজিরা দিতে পারবেন না বলে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রাজ্যে ৪টি সভা করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর ১৯টি সভা এই রাজ্যে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তমলুকে গয় ভার্চুয়াল সভা। একইসঙ্গে প্রথমবার কলকাতায় রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘খেলা’ শেষ! অপেক্ষা আর চারদিনের, বাংলায় এগিয়ে রইলেন কে?
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: ১৬ মার্চ দিল্লির সদর দফতরে নির্বাচন কমিশন দেশের লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে। তার আগে থেকেই যদিও শুরু হয়েছিলেন প্রস্তুতি। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা পর থেকে প্রচার পর্ব পারদ উঠতে শুরু করে সপ্তমে। এবারের ভোটে গোটা দেশের নজর রয়েছে আমাদের বাংলায়। ৪২ আসনের জমজমাট যুদ্ধ। বিজেপি শুরু থেকেই বাংলাকে টার্গেট করেছে। ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে লড়াইয়ে নামে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ২০১৯ সালের ধাক্কা পাঁচ বছর বাদে কাটিয়ে তোলার মরিয়া লড়াই রাজ্যের শাসক তৃণমূলের। এই প্রেক্ষাপটেই ভোটের লড়াইয়ে ঝাপালেন দুই শিবিরের দুই কাণ্ডারি। নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই, দফা ধরে ধরে। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রাজ্যে ৪টি সভা করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর ১৯টি সভা এই রাজ্যে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তমলুকে গয় ভার্চুয়াল সভা। একইসঙ্গে প্রথমবার কলকাতায় রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশে ২০৬টি সভা ও রোড শো করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই তথ্য ১ মার্চ থেকে। 


তবে পিছিয়ে নেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তথ্য বলছে, ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ৯৩টি সভা হয়েছে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে ৩১টি সভা ও ৪টি রোড শো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিণবঙ্গে ৬২টি সভা ও ১৪টি রোড শো মুখ্যমন্ত্রীর। সোজা কথায় সত্তরউর্ধ্ব প্রধানমন্ত্রী ও ষাটউর্ধ্ব মুখ্যমন্ত্রী বিরামহীন ভাবে নিজেদের দলের হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে মাঝে মধ্যে উঠে এসেছে ক্লান্তির কথা। ভোট ঘোষণার আগে শারীরক ভাবে একাধিক ধাক্কা সামলাতে হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। ভোট প্রচারে বেড়িয়ে হেলিকপ্টারের মধ্যে হোঁচটও খেতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিরতি নেননি। প্রচারে চালিয়ে গেছেন দলের হয়ে। 

বসিরহাট কেন্দ্রটি এবার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই বসিরহাটের মধ্যেই রয়েছে সন্দেশখালি। যে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে দফায় দফায় নিত্য নতুন বাঁকের দেখা মিলেছে। শেখ শাহজাহানের হাজতবাস থেকে প্রতিবাদী রেখা পাত্রের বিজেপি প্রার্থী হওয়া, এলাকায় বোমা উদ্ধার থেকে অস্ত্রের ভাণ্ডারের সন্ধান, সব মিলিয়ে মোড়ে মোড়ে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক মাসে।

ডায়মন্ড হারবার অনেক 'পিছনে', কমিশনের তালিকায় 'এগিয়ে' বসিরহাট, যাদবপুর, দমদম
প্রতীকী ছবি।


কলকাতা: সপ্তম দফার ভোট নিয়ে চড়ছে পারদ। বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে প্রচারপর্ব। শনিবার ভোট। এই দফার ভোট নিয়ে বিশেষ সতর্ক নির্বাচন কমিশনও। এই দফাতেই সবথেকে বেশি কেন্দ্রে ভোট। ভোট হচ্ছে মোট ৯টি কেন্দ্রে। তালিকায় রয়েছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবারে। ভোটের দু’দিন আগেই স্পর্শকাতর বুথের তালিকা সামনে এসেছে। তালিকায় শীর্ষে বসিরহাট। দমদম, যাদবপুর-সহ একাধিক লোকসভা কেন্দ্রের পরে নাম রয়েছে ডায়মন্ড হারবারের।


বসিরহাটে মোট বুথ ১৮৮২, স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১০৯৬। জয়নগরে বুথের সংখ্যা ১৮৭৯, স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৬৮৬। দমদমে বুথের সংখ্যা ১৭৯২। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৫৭২। মথুরাপুর বুথের সংখ্যা ১৮৯৮, স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪২০। যাদবপুরে বুথের সংখ্যা ২১২০, স্পর্শকাতর ৩২৩টি। বারাসতে বুথের সংখ্যা ১৯৯১, স্পর্শকাতর বুথ ২৭০টি। ডায়মন্ড হারবারে বুথের সংখ্যা ১৯৬১, স্পর্শকাতর ১৯৮টি। কলকাতা দক্ষিণে বুথের সংখ্যা ২০৭৮, স্পর্শকাতর ১১৭টি। কলকাতা উত্তরে বুথের সংখ্যা ১৮৬৯, স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৬৬।


বসিরহাট কেন্দ্রটি এবার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই বসিরহাটের মধ্যেই রয়েছে সন্দেশখালি। যে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে দফায় দফায় নিত্য নতুন বাঁকের দেখা মিলেছে। শেখ শাহজাহানের হাজতবাস থেকে প্রতিবাদী রেখা পাত্রের বিজেপি প্রার্থী হওয়া, এলাকায় বোমা উদ্ধার থেকে অস্ত্রের ভাণ্ডারের সন্ধান, সব মিলিয়ে মোড়ে মোড়ে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক মাসে। এই আবহে ভোট এবং এই ভোটকে সামনে রেখে বসিরহাটে বিশেষ নজর সকলের। নজর রেখেছে কমিশনও। হাজারের উপরে স্পর্শকাতর বুথ এখানে। ১১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে এই লোকসভা কেন্দ্রে।

গত পঞ্চায়েত ভোটে রক্তাক্ত হয়েছিল গণনাকেন্দ্র তথা কাঠালিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকা। প্রথমেই তিনি কাঠালিয়া স্কুলে যান বৃহস্পতিবার। সেখানে এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। এরপর কাঠালিয়া থেকে বেরিয়ে সোনারপুর বাজারে যান তিনি।

ভোটের ভাঙড়ে বড় 'চমক', দিল্লি থেকে দু'দিন আগে হাজির পুলিশ অবজারভার
পুলিশ অবজারভার নীলেশ ভারনি বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে পৌঁছন।


 ভোটের আগে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে ভাঙড়ে গেলেন পুলিশ অবজারভার নীলেশ ভারনি। যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবার লোকসভার পুলিশ অবজারভার তিনি। ভোটের আগে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান তিনি।


গত পঞ্চায়েত ভোটে রক্তাক্ত হয়েছিল গণনাকেন্দ্র তথা কাঠালিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকা। প্রথমেই তিনি কাঠালিয়া স্কুলে যান বৃহস্পতিবার। সেখানে এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। এরপর কাঠালিয়া থেকে বেরিয়ে সোনারপুর বাজারে যান তিনি।

সেখানে এসে স্থানীয় মানুষজন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তিনি উত্তর কাশীপুর থানায় যান। সেখানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ ও থানার ওসি অমিতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশাসনিক পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।


প্রসঙ্গত, ভোটের আবহে বিবিধ ঘটনা ঘটে চলেছে ভাঙড়ে। ভোটের দু’দিন আগেই ভাঙড়ের চকমরিচা থেকে উদ্ধার হয় বোমা। বুধবার রাতে উত্তর কাশীপুর থানা এলাকার এই ঘটনা। বৃহস্পতিবার ছয়ানি এলাকা থেকে পোলেরহাট থানার পুলিশ ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপিকে গ্রেফতার করে। খুনের পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। অন্যদিকে ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হামলারও অভিযোগ ওঠে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে এলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙরের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। এসেই তিনি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফাতিরর দাবি তুললেন। এক শিশুও এই ঘটনায় আহত হয়েছে সেই খবরও দেন।

 ভাঙড়ে যেন ফিরছে পঞ্চায়েত-সন্ত্রাসের চেনা ছবি, রাতে যা ঘটল তারপরই নওশাদের গ্রেফতারির দাবি শওকতের
শওকত মোল্লা


ভাঙড়: উত্তেজনার আবহ ছিলই। ভোটের একদিন আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙড়। এবার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ আইএসএফ এর বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের উত্তর কাশিপুর থানার বানিয়ারা এলাকার ঘটনা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, দলীয় কর্মসূচি মিটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রফিক খান। সঙ্গে ছিল দলেরই বেশ কিছু কর্মী। 


অভিযোগ, যখন তাঁরা দল বেঁধে বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁদের উদ্দেশ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে আইএসএফের। ঘটনায় মোট পাঁচজন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন বলে খবর। আহতদের উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। 



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন আচমকাই মল্লারপুর স্টেশনে ট্রেনের উপরে তার আগুনের ঝলকানি দেখা যায়। এরপরই হঠাৎ প্রবল শব্দে কিছু একটা ফাটারও শব্দ আসে। এরপরই ট্রেন থেকে নামার হুড়োহুড়ি পরে যায়। অনেকে ঘাবড়েও যান। এতটা রাত, তার উপর এমন ঘটনা। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ট্রেন আটকে থাকায় আরও আতঙ্ক কাজ করে যাত্রীদের। যদিও পরে ট্রেনটি রওনা দেয়।

 বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে আগুনের ঝলকানি, আতঙ্কে ছোটাছুটি যাত্রীদের
আগুনের ঝলকানি ট্রেনে।

বীরভূম: আচমকাই ট্রেনে আগুনের ফুলকি। ভয়ে আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা। বীরভূমের মল্লারপুর স্টেশনে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ওভারহেডের তারে আগুনের ফুলকি দেখা দেওয়ায় প্রায় ৪৫ মিনিটের বেশি সময় আটকে থাকে হাওড়া-রামপুরহাট বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন।


মল্লারপুর রেল স্টেশনের চার নম্বর ট্রাকের ওভারহেড তারে বার বার আগুনের ঝলকানি দেখা দেয় এদিন। এরপরই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার পর যদিও ফের ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন আচমকাই মল্লারপুর স্টেশনে ট্রেনের উপরে তার আগুনের ঝলকানি দেখা যায়। এরপরই হঠাৎ প্রবল শব্দে কিছু একটা ফাটারও শব্দ আসে। এরপরই ট্রেন থেকে নামার হুড়োহুড়ি পরে যায়। অনেকে ঘাবড়েও যান। এতটা রাত, তার উপর এমন ঘটনা। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ট্রেন আটকে থাকায় আরও আতঙ্ক কাজ করে যাত্রীদের। যদিও পরে ট্রেনটি রওনা দেয়।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই লিলুয়াতে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল একটি লোকাল ট্রেন। যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। খবর পেয়েই রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কেন এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়।


পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই সম্পর্ক যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, তার জন্য পর্নতারকাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন।

পর্নস্টারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ! দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, হোয়াইট হাউসের দৌড় কি শেষ?
ডোনাল্ড ট্রাম্প।


কয়েক মাস বাদেই ভোট। তার আগেই মুখ পুড়ল ট্রাম্পের। যে কেচ্ছা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল, সেই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পর্নতারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক লুকোতে ঘুষ দেওয়ার মামলায় বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করল নিউ ইয়র্ক জুরি আদালত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ৩৪টি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, প্রতিটিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।


আগামী নভেম্বর মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফের একবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে সামিল হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। লড়ছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের পাঁচ মাস আগেই চরম অস্বস্তিতে পড়লেন ট্রাম্প।

পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই সম্পর্ক যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, তার জন্য পর্নতারকাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন। পরে আদালতে যান ওই পর্নতারকা। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্কের বিবরণ থেকে শুরু করে ঘুষের কথা জানান তিনি। অবশেষে আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘুষকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করল।


জানা গিয়েছে, রিপাবলিকান প্রার্থীর সর্বোচ্চ চার বছরের সাজা হতে পারে। তবে জেলে যেতে হলেও, নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না ট্রাম্পকে।

বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরিয়েই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এই রায় লজ্জাজনক। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রভাবিত। আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের কাছ থেকেই আসল রায় পাওয়া যাবে।”

বিহারে তাপপ্রবাহের জেরে বুধবারই একটি স্কুলের কমপক্ষে ১৬ জন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে না পারায়, রিক্সা ও বাইকে করেই ছাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেগুসরাই ও জামুইয়ের স্কুলেও পডুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর এসেছে।

তাপপ্রবাহের এমন ভয়ঙ্কর জের, ২ ঘণ্টাতেই মৃত্যু ১৬ জনের
হাসপাতালে রোগীদের ভিড়।



মাত্র দুই ঘণ্টা। তাতেই পরপর মৃত্যু হল ১৬ জনের! হাসপাতালের চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, রক্ষা করা গেল না। তাপপ্রবাহ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার প্রমাণ মিলছে হাতেনাতে। বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে তাপপ্রবাহের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মেলে। তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিহারে মৃত্য়ু মিছিলের খবর মিলল।


জানা গিয়েছে, বিহারের ঔরঙ্গাবাদের একটি জেলা হাসপাতালে মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। তাপপ্রবাহের জেরেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গরম ও তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থতার কারণে আরও কমপক্ষে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার সহ একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ বইছে। বৃহস্পতিবার বিহারে তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি। বুধবার ঔরঙ্গাবাদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতিরিক্ত গরমের জেরেই সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্ত ওষুধ, আইস প্যাক মজুত রাখা রয়েছে। আরও কুলার আনা হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। দুপুরে গরমের মধ্যে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


বিহারে তাপপ্রবাহের জেরে বুধবারই একটি স্কুলের কমপক্ষে ১৬ জন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে না পারায়, রিক্সা ও বাইকে করেই ছাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেগুসরাই ও জামুইয়ের স্কুলেও পডুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর এসেছে। এরপরই রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল জানতে পেরেছে, রোজ়ভ্যালিকাণ্ডের জাঁদরেল তদন্তকারীদের পাঠানো সমন পেয়ে সেবার কলকাতার গার্ডেন রিচের এক মনসা মন্দিরে ছুটে গিয়েছিলেন শিল্পী ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রীর এই আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কথা জানতে পেরে যোগাযোগ করে মানসা মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ সাহার সঙ্গে, যাঁকে এলাকার লোকে চেনেন 'দাদা মা মনসা' নামে।

'ঋতুপর্ণার কপালে রোজ়ভ্যালির সময় মায়ের পায়ের ফুল ছুঁইয়ে দিয়েছিলাম, আর কোনও বিপদ হয়নি'
ইডি।

দেবদ্বিজ ভক্তিমতী ‘টলি কুইন’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাড়িতে পুজোআর্চার পাশাপাশি এক বিশেষ দেবীর মন্দিরেও ঘনঘন দর্শনে যান তিনি। হাতের গুচ্ছ আংটিও জানান দেয়,’ম্যাডাম সেনগুপ্ত’র জ্যোতিষের প্রতি প্রগাঢ় আস্থা। এহেন ঋতুই এবার সূত্রের খবর অনুযায়ী, রেশন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডি-র তলব পেয়েছেন। ২০১৯ সালেও এই ঋতুপর্ণাকেই ইডি সমন পাঠিয়েছিল রোজ়ভ্যালিকাণ্ডে। আর তখনই ঘটেছিল এক ‘দৈব ঘটনা’। টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল জানতে পেরেছে, জাঁদরেল তদন্তকারীদের পাঠানো সমন পেয়ে সেবার কলকাতার গার্ডেন রিচের এক মনসা মন্দিরে ছুটে গিয়েছিলেন শিল্পী ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রীর এই আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কথা জানতে পেরে  যোগাযোগ করে মানসা মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ সাহার সঙ্গে, যাঁকে এলাকার লোকে চেনেন ‘দাদা মা মনসা’ নামে।


কী ঘটেছিল সে যাত্রায়?

ঋতুপর্ণাকে যে ফের তদন্তকারী সংস্থা আরেকটি দুর্নীতি প্রসঙ্গে তলব করেছে সে খবর টিভি নাইন ডিজিটালের থেকেই জানতে পেরেছেন দিলীপবাবু। ভক্তের জন্য এমন অস্বস্তিকর খবর শুনে মন্দিরের পুজারির কন্ঠে উদ্বেগ ধরা পড়ে। তিনি বলেন, “বিপদে পড়লেই আমার এই মন্দিরে ছুট্টে আসে ঋতুপর্ণা। অনেকদিন দেখিনি ওকে। কেমন আছে ও? আপনাদের কাছেই তো জানতে পারলাম ওকে নাকি এবার রেশনদুর্নীতি কাণ্ডের জন্যও ডাকা হয়েছে।”


এই খবরটিও পড়ুন
দীপিকার প্রেমিক অন্য মহিলার সঙ্গে বিছানায়, অভিনেত্রীর জীবনের কালো অধ্যায়…
দীপিকার প্রেমিক অন্য মহিলার সঙ্গে বিছানায়, অভিনেত্রীর জীবনের কালো অধ্যায়…
আরাধ্যাকে নিয়ে বড় কথা ঐশ্বর্যর, অবাক করা উত্তর দিলেন মেয়ের শরীর-রূপ নিয়ে
আরাধ্যাকে নিয়ে বড় কথা ঐশ্বর্যর, অবাক করা উত্তর দিলেন মেয়ের শরীর-রূপ নিয়ে
কাজলের মা তনুজাকে জড়িয়ে উত্তমকুমার কেন বলেছিলেন, ‘তুমি আমার বুকে থাকবে…’
কাজলের মা তনুজাকে জড়িয়ে উত্তমকুমার কেন বলেছিলেন, ‘তুমি আমার বুকে থাকবে…’
বিপদের সময় কেমন দেখেছেন ঋতুপর্ণাকে, প্রশ্ন করতেই জিলীপ সাহা জানাচ্ছেন, অভিনেত্রী অত্যন্ত ভাল মানুষ। সঙ্গে এও বলছেন, “মেয়েটা বিপদকে খুবই ভয় পায়। সাতে-পাঁচে থাকতে চায় না কারও। সিনেমাটিনেমা নিয়েই ওর জগৎ।” এখানেই না থেমে দিলীপবাবু আরও বলেন, “রোজ়ভ্যালির গোলমালটার সময় এসেছিল ঋতুপর্ণা। আমি ওর মাথায় মায়ের পায়ের ফুল ছুঁইয়ে দিয়েছিলাম ওই সময়। মনে হয় আর কোনও বিপদ হয়নি।”

ক্যানসার-জয়ী বাষট্টি বছরের দিলীপবাবু আরও বলেন, বিপদে পড়লেই তাঁর কাছে ছুট্টে আসেন বহু মানুষ। জনসাধারণ থেকে শুরু করে তারকা–সকলেই সেখানে যান। ঋতুপর্ণাও তেমনই আসেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যান এই মনসা মন্দিরে। এরপর সম্পর্ক এতটাই আত্মিক হয়ে যায় যে দিলীপবাবু এবং তাঁর স্ত্রীকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এও নিয়ে এসেছিলেন রচনা। সামনেই মন্দিরের পুজো। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। এরপরই ঋতুপর্ণাকে অনেকদিন দেখতে পাননি বলে আক্ষেপ পুরোহিতের।

উঠে আসছে খাইরুল ইসলামের নাম। তিনি আবার শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ বলে খবর। সেই খাইরুলকেই খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেফতার বাপি। বৃহস্পতিবার ছয়ানি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পোলেরহাট থানার পুলিশ।

ভেটের ঠিক আগে ভাঙড়ে বেকায়দায় তৃণমূল, রাতারাতি ঘুরে গেল খেলা
শোরগোল ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে


ভাঙড়: জেলে আরাবুল। এবার পুলিশ ধরল ভাঙড়ের আরও এক দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। ভোটের আগে গ্রেফতার ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপি। ভগবানপুর অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি বাপি আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর গ্রেফতারি নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে। প্রাক্তন প্রধান রেজিনা খাতুনের স্বামী বাপির বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে।


উঠে আসছে খাইরুল ইসলামের নাম। তিনি আবার শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ বলে খবর। সেই খাইরুলকেই খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেফতার বাপি। বৃহস্পতিবার ছয়ানি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পোলেরহাট থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।

আগামী শনিবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। একাধিক কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচন রয়েছে যাদবপুর ও কলকাতা দক্ষিণেও। আজ প্রচারের শেষ দিন। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ভোটের প্রচারে সকাল থেকেই ইতি-উতি ছুটবেন তিনি।

 আজ মালা-সায়নীর সমর্থনে হাঁটবেন মমতা, কোন-কোন রুট দিয়ে যাবে মিছিল?

 বুধবার রোড শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত রোড শো ছিল তাঁর। ঠিক যে পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগে রোড শো করেছিলেন। সেই পথেই গতকাল পাল্টা প্রচার করেন তিনি। বৃহস্পতিবারও শেষ লগ্নে প্রচারে বেরবেন মুখ্যমন্ত্রী। যাদবপুর থেকে গোপালনগর পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি।


আগামী শনিবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। একাধিক কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচন রয়েছে যাদবপুর ও কলকাতা দক্ষিণেও। আজ প্রচারের শেষ দিন। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ভোটের প্রচারে সকাল থেকেই ইতি-উতি ছুটবেন তিনি। এ দিন, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ ও কলকাতা দক্ষিণের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মালা রায়ের সমর্থনে প্রচার করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ কলকাতার গোপালনগর মোড় পর্যন্ত মিছিল করার কথা তাঁর। মিছিল শেষের সভায় বক্তৃতাও রাখবেন মমতা। দুপুর দু’টো থেকে শুরু হবে তাঁর পদযাত্রা।


তৃণমূল সূত্রে খবর, মিছিল শুরু হবে যাদবপুর সুকান্ত সেতু থেকে। এরপর তা পৌঁছবে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি। সেখান থেকে পদযাত্রা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছবেন ল্যান্ডস ডাউন। তারপর পদ্মপুকুর, যদুবাবুর বাজার হয়ে হরিশ মুখোপাধ্যায় রোডে পৌঁছবে মিছিল। সেখান থেকে গোপালনগল ক্রসিংয়ে এসে শেষ হবে।

রাজ্যে আসন বাড়াতে হবে। সেই তালিকায় রয়েছে এ রাজ্যও। এখানে ২৩ টি জনসভা করেছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। রাজ্যে প্রথমবারের জন্য একটি রোড-শো করেছেন। সব মিলিয়ে ভোট পর্বে ২৪ টি (১ মার্চ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত) কর্মসূচি। আরও একটি কর্মসূচি ছিল তমলুক লোকসভার জন্য। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই কর্মসূচি ভার্চুয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।

 ৭৩-রেও যেন যুবক, ভোটবঙ্গে ছুটলেন এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে, রিপোর্ট কার্ডে দেখা যাবে মোদী ম্যাজিক?
নরেন্দ্র মোদী

বয়স ৭৩। কিন্তু কে বলবে সে কথা? নির্বাচনের প্রচারে চরকি পাকে কার্যত তাঁর ধারে পাশে আপাতত কেউ নেই বললেই চলে। আর জনপ্রিয়তার কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে বাকিদের ডজন-ডজন গোল দেবেন তিনি। আর এই নিয়ে অতি বিরোধীও তর্ক জুড়বেন না। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনি সময় তো বটেই, নির্বাচনের আগে কার্যত ‘ছুটছেন’ দেশের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গেই এসেছেন একাধিকবার। ক্লান্তি? তার লেশমাত্র চোখে পড়েনি। কিন্তু সব শেষ উঠে আসে সেই ‘কোটি টাকার’ প্রশ্ন এই খাটুনি-এই পরিশ্রম বঙ্গভূমিতে কি আখেড়ে চওড়া হাসি ফোটাবে পদ্মশিবিরে?


চার রাজ্যে আসন বাড়াতে হবে। সেই তালিকায় রয়েছে এ রাজ্যও। সেখানে ২৩ টি জনসভা করেছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। রাজ্যে প্রথমবারের জন্য একটি রোড-শো করেছেন। সব মিলিয়ে ভোট পর্বে ২৪ টি (১ মার্চ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত) কর্মসূচি। আরও একটি কর্মসূচি ছিল তমলুক লোকসভার জন্য। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই কর্মসূচি ভার্চুয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে চারটি সভা করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯ টি সভা করেন তিনি। আরামবাগ লোকসভায় ১ মার্চ সভা করেন (প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক)। আবার ওই লোকসভায় পরবর্তীতে ফের একটি সভা করেন। কৃষ্ণনগরেও ভোট ঘোষণার আগে ২ মার্চ (প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক) সভা করেন। আবার ওই লোকসভার ভোটের কয়েকদিন আগে ফের সভা করেন মোদী।


উত্তর কলকাতায় মোদী রোড-শো করেছেন। সেখানে উপচে পড়েছে ভিড়। রাস্তার দু’ধারে মোবাইল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন মানুষ। বাড়ির ঝুল বারান্দা দিয়েও উঁকি-ঝুঁকি মারতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। তবে বিজেপি-র অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, মোদী ছাড়া দলের কোনও কেন্দ্রীয় নেতাই লোকসভায় এ বঙ্গে অন্তত এত কর্মসূচি করেননি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অঙ্ক কষে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি অনেক আসনের হিসাব নিকাশ বদলে দিতে পারে। কারণ আট থেকে আশির একাংশের কাছে মোদী ‘ক্রেজ’ রয়েছে এক অন্যমাত্রায়। বারংবার দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রচারে যখন তিনি ভাষণ রেখেছেন সেই সময় উপচে পড়েছে সভাস্থলের ভিড়। ‘মোদী’ ‘মোদী’ চিৎকারে তো কখনও-কখনও নিজের বক্তৃতা থামাতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। নিরবে মঞ্চের উপর থেকে তাকিয়ে সবটা লক্ষ্যও করেছেন তিনি। পরে কুর্নিশ জানিয়েছেন বাংলার জনগণকে। বলেছেন, বঙ্গে না এলে এত ভালবাসা অধরা থেকে যেত তাঁর। এও বলেছেন, “এখানে এসে আমার মনে হয়েছে গত জন্মে আমি হয়ত এই বাংলাতে জন্মেছিলাম।” তাই এই জনপ্রিয়তার কারণেই কি অমিত শাহ,জে পি নাড্ডাদের তুলনায় অনেক বেশি কর্মসূচি তিনি?

দেশের মধ্যে বিজেপির ফলের নিরিখে ‘টপার’ হবে পশ্চিমবঙ্গ, এ কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সে কারণেই কি লোকসভা ভোটেও বারবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন দু’বারের প্রধানমন্ত্রী। তবে এ রাজ্যে বিজেপি মোদীর কর্মসূচিতে কতটা লাভবান হল, হিসাব নিকাশের উত্তর মিলবে ৪ জুন। কিন্তু জনপ্রিয়তা আর পরিশ্রমের নিরিখে দলের বাকিদের কয়েক যোজন পিছনে ফেলবেন নরেন্দ্র মোদী, তা নিয়ে চর্চার অবকাশ নেই, মানছেন রাজনীতির কারবারিরাও।



আইনজীবী মারফত পাঠানো চিঠিতে দেবরাজ জানিয়েছেন, ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায়, তিনি এখনই হাজিরা দিতে অপারগ। ৪ জুনের পর হাজিরা দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে সময় চেয়ে চিঠি পাঠালেন দেবরাজ। বুধবার দেবরাজকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করে সিবিআই।

 ভোটের কাজে ব্যস্ত, সময় চেয়ে সিবিআই-কে চিঠি দেবরাজের
হাজিরা এড়ালেন দেবরাজ



 এই নিয়ে তৃতীয় বারের তলব। কিন্তু এবারও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন না বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। সিবিআই-কে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। আইনজীবী মারফত পাঠানো চিঠিতে দেবরাজ জানিয়েছেন, ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায়, তিনি এখনই হাজিরা দিতে অপারগ। ৪ জুনের পর হাজিরা দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে সময় চেয়ে চিঠি পাঠালেন দেবরাজ। বুধবার দেবরাজকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করে সিবিআই।


প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গত নভেম্বর মাসেই দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। বরানগরেও দেবরাজের অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেদিন দেবরাজের বাড়ি থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তদন্তকারীরা নিয়ে গিয়েছিলেন বলে সূত্র মারফত খবর। তার ভিত্তিতেই গত জানুয়ারি মাসে দেবরাজকে দু’বার তলব করা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। আবারও দেবরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। মঙ্গলবারই তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বুধবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১ জুন কলকাতায় ভোট। তিনি বর্তমানে ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বলে সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন।

জানা গিয়েছে, কাঁচড়াপাড়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা সুনীল সাউ। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী থাকেন সেখানে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে দুই দুষ্কৃতী সুনীল সাউয়ের বাড়িতে ঢোকে। ঘরের টিন কেটে ভিতরে ঢুকে চুরি করে সমস্ত সামগ্রী।

কাঁচড়াপাড়ায় চুরি, হাতেনাতে ধরে ফেলায় গৃহকর্তাকে খালে ফেলে খুন
কাঁচড়াপাড়ায় মৃত্যু

কাঁচড়াপাড়া: ঘরে কেউ নেই। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিল চোরেরা। আর তারপর মর্মান্তিক ঘটনা। চোরেদের কীর্তি হাতে নাতে ধরে ফেলতেই গৃহকর্তাকে বেধড়ক মারধর। শুধু তাই নয়, তাঁকে খালের জলে ফেলে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ার ঘটনা।


জানা গিয়েছে, কাঁচড়াপাড়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা সুনীল সাউ। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী থাকেন সেখানে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে দুই দুষ্কৃতী সুনীল সাউয়ের বাড়িতে ঢোকে। ঘরের টিন কেটে ভিতরে ঢুকে চুরি করে সমস্ত সামগ্রী।


পরিবার সূত্রে খবর, সেই সময়ই কাজ সেরে বাড়ি ফিরে চুরি করতে দেখে ফেলেন সুনীল সাউ। চোরেদের হাতেনাতে ধরেও ফেলেন তিনি। অভিযোগ, দুষ্কৃতী তাঁকে সেই সময় বেধড়ক মারধর করে। ঘরের পাশেই নর্দমায় ফেলে দেয়। এরপর প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি সঙ্গীর খোঁজ চালাচ্ছে বীজপুর থানার পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ডি সি নর্থ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট গণেশ বিশ্বাস বলেন, “বীজপুর থানার অন্তর্গত একটি বাড়িতে বাড়ির লোকের অনুপস্থিতে ঘরে ঢোকে চোর। মালিক চলে আসার পর বুঝতে পারে ঘরে কেউ ঢুকেছে। এরপর একজন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তারপর বাড়ির পাশের নালা খালে পড়ে যায়। পরে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। একজনকে গ্রেফতার করেছি।”

বরুণ দাস আরও যোগ করেন, 'ইন্ডিয়াস টাইগার্স ও টাইগ্রেস, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিভার খোঁজ, এর পাশাপাশি একটা ডিজিটাল মাধ্যম আমরা চালু করছি যা ফুটবল নাইন (Football9)। জার্মানির সবচেয়ে বড় ফুটবল ইভেন্ট দেখে এই ইচ্ছেটা আরও তীব্র হয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভারতে ফুটবল প্রতিভা খোঁজের সাফল্যের জন্য জার্মান ফুটবল সংস্থার সঙ্গ আমাদের দারুণ ভাবে সাহায্য করবে এবং ফুটবলে ভারতবর্ষ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠবে।'

বার্লিনে জার্মান কাপ ফাইনালে বড় ঘোষণা টিভি নাইন নেটওয়ার্কের MD ও CEO বরুণ দাসের

ডিএফবি পোকাল কাপ, যা জার্মান কাপ নামেও পরিচিত, এর ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন টিভি নাইন নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস। তিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় ঘোষণা করেন তিনি। বার্লিনে হয়েছে জার্মান কাপ ফাইনাল। শুধুমাত্র জার্মানিই নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট জার্মান কাপ। তেমনই ভারতের সবচেয়ে বড় টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্ক 


গত ২৫ মে বার্লিনে জার্মান কাপ ফাইনালে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস ঘোষণা করেন, আগামী হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে (WITT) সামিট অনুষ্ঠিত হবে জার্মানিতে। এ বছর অগস্ট-সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক স্তরে এই সামিট হবে। শুধু তাই নয়, টিভি নাইন ইন্ডিয়ান টাইগার্স অ্যান্ড টাইগ্রেস, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিভার খোঁজেরও (অনূর্ধ্ব ১৪ ছেলে এবং মেয়ে) ঘোষণা করেন বরুণ দাস। পাশাপাশি, ফুটবলে আরও একটি উদ্যোগ নিতে চলেছে টিভি নাইন। তারও ঘোষণা করেন সেখানেই। ফুটবলের প্রচার ও প্রসারে টিভি নাইন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম চালু করতে চলেছে যার নাম, ফুটবল নাইন (Football9)। এর মাধ্যমে ভারতে জার্মান ফুটবলেরও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্য থাকবে।

জার্মান কাপ ফাইনালে একটি অনুষ্ঠানে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস ছাড়াও ছিলেন জার্মানিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত পার্বতানেনি হরিশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জার্মান ফুটবল সংস্থার (DFB) সভাপতি বার্নাড নুয়েনডর্ফ, অস্ট্রিয়ায় ইন্ডিয়া ফুটবল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জেরাল্ড রিডেল এবং ভারতবর্ষ ও জার্মানির বিশেষ ব্যক্তিত্ব।


জার্মানি ফুটবলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের দিনে এই ঘোষণাগুলি সম্পর্কে বরুণ দাস বলেন, ‘এ বছর আমরা প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরে টিভি নাইন হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডের সাক্ষী থাকব। শুরুটা হবে জার্মানিতে। এর মাধ্যমে দু-দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। মিডিয়া, বিনোদন এবং ফুটবলের মাধ্যমে টেকনোলজি, অর্থনীতি, বিনিয়োগের দিক থেকেও উন্নতি হবে দু-দেশের।’

বরুণ দাস আরও যোগ করেন, ‘ইন্ডিয়াস টাইগার্স ও টাইগ্রেস, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিভার খোঁজ, এর পাশাপাশি একটা ডিজিটাল মাধ্যম আমরা চালু করছি যা ফুটবল নাইন (Football9)। জার্মানির সবচেয়ে বড় ফুটবল ইভেন্ট দেখে এই ইচ্ছেটা আরও তীব্র হয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভারতে ফুটবল প্রতিভা খোঁজের সাফল্যের জন্য জার্মান ফুটবল সংস্থার সঙ্গ আমাদের দারুণ ভাবে সাহায্য করবে এবং ফুটবলে ভারতবর্ষ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠবে।’

জার্মানিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত পার্বতেনানি হরিশ বলেন, ‘জার্মানির সঙ্গে এমনিই আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। জার্মানি আমাদের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারও। ব্যবসায়ীক দিক থেকেও ইউরোপে ভারতের সবচেয়ে বড় সঙ্গী জার্মানি। দু-দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও অনেক উদ্যোগ নেওয়া যায়। টেকনোলজি ও প্রতিভার বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে জার্মানি। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে। ভারতের ছাত্ররা এখান থেকে টেকনোলজির পাঠ নিয়ে নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারবে। টিভি নাইন যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে দুই দেশকে আরও কাছাকাছি আনবে।’

জার্মান ফুটবল সংস্থার (DFB) সভাপতি বার্নাড নুয়েনডর্ফ বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা খুবই গর্বের যে ভারতের সবচেয়ে বড় নিউজ নেটওয়ার্কের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পেরেছি। এর মাধ্যমে ভারতে জার্মান ফুটবলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। শুধু তাই নয়, ফুটবলে নতুন প্রজন্মর উঠে আসার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই উদ্যোগ। টিভি নাইনের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে সামিট এ বার জার্মানিতে হবে।’

অস্ট্রিয়ায় ইন্ডিয়া ফুটবল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জেরাল্ড রিডেল বলেন, ‘ভারতের সহযোগিতায় ফুটবল প্রতিভার খোঁজের জন্য মুখিয়ে রয়েছে আমাদের সংস্থা। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিভার খোঁজ। আমাদের বিশ্বাস, টিভি নাইনের এই উদ্যোগের ফলস্বরূপ একদিন ভারতবর্ষও ফুটবল বিশ্বকাপে খেলবে। আমাদের লক্ষ্য এটাই।’


কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটপর্ব পরিচালনার জন্য প্ল্যানিং তৈরি নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, তা নিশ্চিত করতে শহরে মোতায়েন থাকবে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ৩২৪টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ৩৬টি স্পেশাল কুইক রেসপন্স টিম।

ভোট সপ্তমীতে নিশ্ছিদ্র ঘেরাটোপে কলকাতা, চলবে 'পাখির চোখে' নজরদারি
কেন্দ্রীয় বাহিনী (ফাইল ছবি)

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের একেবারে শেষ দফায় ভোট রয়েছে কলকাতা শহরাঞ্চলে। শনিবার ভোট। তার আগে কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটপর্ব পরিচালনার জন্য প্ল্যানিং তৈরি নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, তা নিশ্চিত করতে শহরে মোতায়েন থাকবে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ৩২৪টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ৩৬টি স্পেশাল কুইক রেসপন্স টিম। উল্লেখ্য, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র। সেই ভাঙড়ের কিছুটা অংশও এখন কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত। শনিবারের ভোটে শুধুমাত্র ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত অঞ্চলের জন্যই রাখা হচ্ছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।


এর পাশাপাশি কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মহানগরের ৪৫টি জায়গায় নাকা চেকিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। নজরদারি চলবে শহরের বিভিন্ন বহুতল থেকেও। এরকম মোট ৭২টি বহুতল থেকে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিশেষ নজর দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অতীতে বাংলার ভোটে যে ধরনের অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠে এসেছিল, তাতে এবার শুরু থেকেই বাংলার দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


এবারের ভোটে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ ছাড়া বড়সড় কোনও ঘটনা এখনও পর্যন্ত হয়নি বাংলার ভোটে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে ছয় দফার ভোট।

এই এলাকায় যাতে বিজেপি সভা করতে না পারে সেই কারণে এদিন সকাল থেকে তৃণমূলের নেতারা নানাভাবে প্যান্ডেল, লাইট, মাইকের লোককে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগও করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি যিনি জমি দিয়েছেন সভা করার জন্য তাঁকেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

৩০ বছরে যা হয়নি ভোটের ঠিক আগে শওকতের ডেরায় তাই করে দেখালেন শুভেন্দু
সরগরম ক্যানিংয়ের রাজনৈতিক মহল


ক্যানিং: বিগত ৩০ বছর ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় রাজ্যের কোনও বিরোধী দলের রাজ্য স্তরের নেতারা সভা করতে পারেননি। কার্যত ছবিটা ছিল এমনই। কিন্তু, তিনি সভা করে দেখালেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ডেরায়। বুধবার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত পাতিখালি স্কুল মাঠে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারির সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই এ কথা বলেন শুভেন্দু। 


এই এলাকায় যাতে বিজেপি সভা করতে না পারে সেই কারণে এদিন সকাল থেকে তৃণমূলের নেতারা নানাভাবে প্যান্ডেল, লাইট, মাইকের লোককে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগও করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি যিনি জমি দিয়েছেন সভা করার জন্য তাঁকেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সব হুমকি উপেক্ষা করেই এদিন বিজেপি কর্মীরা সভা করার সাহস দেখিয়েছেন। এছাড়া তিনি আরও বলেন, এই সভায় আসার সময় নাগরতলায় তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনাও ছিল তৃণমূলের। কিন্তু তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ি থেকে নামতেই পালিয়ে যায় সকলে। তিনি বলেন, “ এঁদের কি করে সোজা করতে হয় আমি জানি। সব দল প্রচার করবে। এটা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। যদি এত কাজ করে থাকো তাহলে ভয় কিসের? পুলিশ এদের সঙ্গে আছে বলেই এদের এত বাড়াবাড়ি। পুলিশ বাবা পার করেগা। এদের রোগ কী, ওষুধ কী শুভেন্দু অধিকারী ভাল জানে। ঠিক সময়ে ঠিক ওষুধ দিয়ে দেব।”  

স্লগ ওভারের প্রচারে বড় চমক বিজেপির। কলকাতার আকাশে অভিনব প্রচার। ড্রোন শো'য়ে রাতের কলকাতায় ফুটিয়ে তোলা হল মোদী সরকারের বিভিন্ন 'হিট' প্রকল্পের ছবি। শুধু মোদী সরকারের প্রকল্পগুলিকেই নয়, পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন মনীষিদের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে ড্রো শো'য়ের মাধ্যমে।

ড্রোন শো'য়ে রঙিন হল কলকাতার আকাশ, ভোট প্রচারের লাস্ট ল্যাপে বড় চমক বিজেপির
কলকাতার আকাশে বিজেপির ড্রোন শো

কলকাতা: লোকসভা ভোট একেবারে লাস্ট ল্যাপে এসে গিয়েছে। শনিবার শেষ দফার ভোটগ্রহণ। ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম… একের পর এক হাইভোল্টেজ আসন। বাংলার মোট নয়টি আসনে ভোট রয়েছে সপ্তম দফায়। তার আগে স্লগ ওভারের প্রচারে বড় চমক বিজেপির। কলকাতার আকাশে অভিনব প্রচার। ড্রোন শো’য়ে রাতের কলকাতায় ফুটিয়ে তোলা হল মোদী সরকারের বিভিন্ন ‘হিট’ প্রকল্পের ছবি। বুধবার রাতে শহর তিলোত্তমার আকাশ এরকমই এক অভিনব প্রচারের সাক্ষী থাকল।


শুধু মোদী সরকারের প্রকল্পগুলিকেই নয়, পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন মনীষিদের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে ড্রো শো’য়ের মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতি আঁকা হল রাতের কলকাতার আকাশে। তৃণমূল শিবির থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে বিজেপিকে বার বার ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ শানানো হয়েছে। আজ বাংলার মনীষিদের প্রতিকৃতি ড্রোন শো’য়ের মাধ্যমে তুলে ধরে, বঙ্গবাসীর মনে কি আরও জায়গা করার চেষ্টা বিজেপির? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।


কলকাতায় শহিদ মিনার ময়দানে এই ড্রোন শোয়ের আয়োজন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। মাটি থেকে ৪০০ মিটার উঁচুতে। দিল্লি আইআইটি-র কিছু প্রাক্তনীর সহযোগিতায় এই আয়োজন করা হয়েছিল। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, শহিদ মিনার ময়দানকে কেন্দ্র করে ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ড্রোন শো দেখা যাবে। তাঁর কথায়, ‘এই শো আগে কোনওদিন কলকাতায় হয়নি। এ এক অভিনব দৃশ্য।’ ভোটের প্রচার কর্মসূচিকে আরও রঙিন করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য।


 রথযাত্রার আগেই ঘটল বিপত্তি। বুধবার জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রার জন্য নরেন্দ্র পুষ্করিণী সরোবরে সকলে জমায়েত হয়েছিলেন। শতাধিক পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল। কয়েকজন ভক্ত আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন। হঠাৎই বাজির ফুলকি এসে পড়ে বাজির স্তূপের উপরে। একের পর এক বিস্ফোরণ হতে শুরু করে।

 পুরীর জগন্নাথের চন্দন যাত্রায় হঠাৎ বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন ১৫ জন
জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় দুর্ঘটনা।
 

এ কোন অশনী সঙ্কেত! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ভয়ঙ্কর বিপত্তি। অগ্নিদ্বগ্ধ হলেন কমপক্ষে ১৫ জন। বুধবার রাতেই ওড়িশার পুরীতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পুরীর জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রার সময়ে হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। আগুনে ঝলসে যান কমপক্ষে ১৫ জন পুণ্যার্থী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আতশবাজি থেকেই আগুন লেগেছিল। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।


সামনেই রথযাত্রা। সেজে উঠছে পুরী। কিন্তু রথযাত্রার আগেই ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, বুধবার জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রার জন্য নরেন্দ্র পুষ্করিণী সরোবরে সকলে জমায়েত হয়েছিলেন। শতাধিক পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল। কয়েকজন ভক্ত আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন। হঠাৎই বাজির ফুলকি এসে পড়ে বাজির স্তূপের উপরে। একের পর এক বিস্ফোরণ হতে শুরু হয়।



যেখানে বাজি রাখা ছিল, তার আশেপাশে যারা ছিলেন, তারা অগ্নিদ্বগ্ধ হন। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে সরোবরে ঝাঁপ দেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন দ্বগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।


দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শোক প্রকাশ করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আহতদের চিকিৎসার খরচও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বহন করা হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।


পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভোট প্রচারের পাশাপাশি বিগত এক মাস ধরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কবে, কোথায় হবে-তা নিয়েও পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে আরও বড় অনুষ্ঠান করে শপথ গ্রহণের পরিকল্পনা বিজেপির।

চিরাচরিত রীতি ভাঙতে প্রস্তুত বিজেপি, ক্ষমতায় এলে শপথ গ্রহণ হবে এখানে...
দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ নরেন্দ্র মোদীর। ফাইল চিত্র।


লোকসভা নির্বাচনের এক দফা এখনও বাকি। তার আগেই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি তথা এনডিএ শিবির। তাই লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কবে, কোথায় হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। চিরাচরিত শপথ গ্রহণের রীতি ভাঙতে পারে এবার। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিতে নারাজ মোদী সরকার। 


যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান না হয়, তবে কোথায় হবে? বিজেপি সূত্রের খবর, তৃতীয়বার সরকার গঠন করলে এনডিএ সরকার দিল্লির কর্তব্যপথে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে পারে। সম্ভাব্য শপথ গ্রহণের তারিখ ৯ জুন। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৫ দিনের মাথায় শপথ গ্রহণ করতে পারে নতুন সরকার।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভোট প্রচারের পাশাপাশি বিগত এক মাস ধরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কবে, কোথায় হবে-তা নিয়েও পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে আরও বড় অনুষ্ঠান করে শপথ গ্রহণের পরিকল্পনা বিজেপির। এর জন্যই রাষ্ট্রপতি ভবনের বদলে বাইরে, খোলা জায়গা খোঁজা হচ্ছে, যেখানে অধিক সংখ্যক অতিথির বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।


এক্ষেত্রে শাসক দলের প্রথম পছন্দই কর্তব্য পথ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পেরই একটি অংশ হিসাবে সেজে উঠেছে কর্তব্য পথ। বিজেপির পরিকল্পনা, শপথ গ্রহণের সময় পিছনে বিগত ১০ বছরে সরকারের উন্নয়নকাজগুলি তুলে ধরা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালে ২৬ মে শপথ গ্রহণ করেছিল বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকার। সেই বছর ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছিল ১৬ মে। ২০১৯ সালের ৩০ মে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করে এনডিএ। সে বছর ২৩ মে ফল প্রকাশ হয়েছিল। দুটি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানই রাষ্ট্রপতি ভবনে হয়েছিল

অন্যদিকে এই প্রচারে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি যদিও বলেন, "শেষ পর্যায়ে ভোটে এসে এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হবে।" তবে এ দিন ব্রাত্যর মুখে শোনা গেল বামপন্থীদের সুনাম।

 ঝড় তুললেন কাকলি, TMC প্রার্থীর প্রচারে হাজির বলিউডের মন্দাকিনী
কাকলির প্রচারে মন্দাকিনী

শনিবার লোকসভা ভোটের শেষ দফা। বিরোধী থেকে শাসকদল প্রত্যেকে তাই ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারে। আর সেই প্রচারে এবার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে শহরে হাজির হলেন আশির দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী মন্দাকিনী।


বুধবার মধ্যমগ্রামে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বাড়ি দিগবেরিয়া থেকে মিছিল শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরে সেই মিছিল। তবে এ দিন রাজনীতি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিনেত্রী। বরং মন্দাকিনী বলেছেন, “ভাল মানুষের সঙ্গে থাকতে পারলে ভাল লাগে। সেই কারণেই আমি প্রচারে এসেছি।”

অন্যদিকে এই প্রচারে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি যদিও বলেন, “আমরা শেষ প্রচারে এসে পৌঁছেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী এসে বাজে বকছেন। ভিত্তিহীন কথা বলেছেন। এই ভোট বিজেপিকে হারানোর ভোট। শেষ পর্যায়ে ভোটে এসে এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হবে।” এরপর তবে এ দিন ব্রাত্যর মুখে শোনা গেল বামপন্থীদের সুনাম। তিনি অন্তত প্রধান বিরোধী দল হিসাবে বামপন্থীদের দেখতে চান। ব্রাত্য বলেন, “বামপন্থীরা আশা করতেই পারে। আমরা চাইব আমাদের রাজ্যে প্রধান বিরোধী মুখ বামপন্থীরাই হোক। কারণ কোনও সাম্প্রদায়িক বিভাজন মূলক দল আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে চাই না। এই রাজ্য সম্প্রীতির মাটি। ফলে মূল বিরোধী দল সিপিএম থাকুক বা কংগ্রেস থাকুক। কোনও বিভাজনমূলক দল চাই না। তাই বামপন্থীরা যে শূন্য হয়েছে নিজেদের ভুল রাজনীতির জন্য হয়েছে। নিজেদের ভুল যদি শুধরে নেয় তাহলে অসুবিধা নেই।” শুধু তাই নয়, শিক্ষামন্ত্রী এও বলেন, “আমি নিজে মনে করি বৃহত্তর ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বামপন্থী নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গ একটি লড়াই আন্দোলনের জায়গা। এই স্থানকে বিজেপির বোঝা সম্ভব নয়।”

 এই নির্দেশিকায় বিমা সংস্থাগুলিকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে হাসপাতালে কোনও রোগী যদি ক্যাশলেস চিকিৎসার জন্য অনুরোধ তৈরি করে, তবে তাদের মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে জানাতে হবে যে সেই আবেদন গ্রহণ হবে কি না। 

১ ঘণ্টার মধ্যেই ক্যাশলেস চিকিৎসার অনুমোদন, স্বাস্থ্যবিমায় ক্লেম নিয়েও বড় পরিবর্তন
প্রতীকী চিত্র

চিকিৎসা হল আরও সহজ। হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে থাকবে না আর কোনও চিন্তা। স্বাস্থ্যবিমা নিয়ে বড় খবর। বিমা নিয়ামক সংস্থা আইআরডিএআই-র তরফে জারি করা হল বিশেষ নির্দেশিকা। এবার থেকে নিখরচায় বা ক্যাশলেস চিকিৎসা পাওয়া যাবে কি না, তা বিমা সংস্থাকে জানাতে হবে এক ঘণ্টার মধ্য়েই। আগে এই অনুমোদন পেতেই কয়েকদিন সময় লেগে যেত। এবার আবেদন করার এক ঘণ্টার মধ্যেই জানতে পারবেন, বিমার অধীনে ক্যাশলেস ট্রিটমেন্টের পরিষেবা পাওয়া যাবে কি না। এতে একদিকে যেমন বিমাকারীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন, তেমনই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবাও আরও সুষ্ঠ ও সংগঠিত হবে।


স্বাস্থ্যবিমার প্রয়োজন কতটা, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে কোভিডকালের পর সাধারণ মানুষ আরও বেশি করে স্বাস্থ্যবিমার গুরুত্ব বুঝেছে। তবে বিমার পলিসি বা ক্লেম সংক্রান্ত অনেক অভিযোগও রয়েছে গ্রাহকদের। আর সেই অভিযোগ নিরসন করতেই এবার বড় পদক্ষেপ করল বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইআরডিএ। গ্রাহক বা বিমাকারীদের আরও ক্ষমতা দিতে এবং বিমা সংস্থাগুলি যাতে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে না পারে, তার জন্য মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এই নির্দেশিকায় বিমা সংস্থাগুলিকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে হাসপাতালে কোনও রোগী যদি ক্যাশলেস চিকিৎসার জন্য অনুরোধ তৈরি করে, তবে তাদের মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে জানাতে হবে যে সেই আবেদন গ্রহণ হবে কি না।


কী সুবিধা পাবেন?
ধরুন আপনার একটি স্বাস্থ্যবিমা পলিসি রয়েছে এবং আপনাকে কোনও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আপনি চাইলেন হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসায় করাবেন। হাসপাতালের তরফে আপনার চিকিৎসা ক্যাশলেস হবে কি না, তা জানার জন্য বিমা সংস্থাগুলির কাছে আবেদন পাঠানো হয়। আইআরডিএআই-র নতুন নিয়মে, বিমা কোম্পানিগুলিকে এই ধরনের অনুরোধের ক্ষেত্রে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এই অনুরোধে তাদের অনুমোদন বা অসম্মতি জানাতে হবে। এতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট নীতি ছিল না।

 ৩ ঘন্টার মধ্যে ক্লেম নিষ্পত্তি করতে হবে বিমা সংস্থাকে-
আইআরডিএআই-র নির্দেশিকায় স্বাস্থ্যবিমার ক্লেম সংক্রান্ত নিয়মেও বড় পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার থেকে বিমা কোম্পানিগুলি হাসপাতাল থেকে রোগীর ছাড়ার পর বিমার ক্লেমের তিন ঘন্টার মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে। সহজ কথায় বলতে গেলে, ডিসচার্জের অনুরোধের ৩ ঘন্টার মধ্যে বিমার ক্লেম নিষ্পত্তি করতে হবে।

ক্যাশলেস চিকিৎসার জন্য বিমা কোম্পানি ২৪ ঘণ্টা অনুমোদন দিলে সাধারণ মানুষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করতে পারবে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসার শুরুতে হাসপাতালের খরচের জন্য রোগীর পরিবারের সদস্যদের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হবে না।

অন্যদিকে, ডিসচার্জ রিকোয়েস্ট পেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিমার ক্লেম নিষ্পত্তির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলে ডিসচার্জের সময় হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে বিল নিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হবে না।