May 2024
 

একটু একটু করে তিনিও নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। পাল্টেছে অনেক কিছুই। তবে ‘বয়স হচ্ছে, সন্তান নেবেন কবে’, এই প্রশ্নের হাত থেকে মেলেনি মুক্তি। বিয়ের পর থেকে বারে বারে রটেছে তিনি নাকি অন্তঃসত্ত্বা।

বিদেশে ক্যাটের চেহারায় মস্ত পরিবর্তন, লুকোনো ক্যামেরায় ধরা পড়ল বেবিবাম্প?

ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কইফ, বয়সের ফারাক থেকে খ্যাতির ফারাক, তাঁদের পাশাপাশি একসঙ্গে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি একটা সময়। যদিও শত্রুর মুখে ছাই দিয়েই চুটিয়ে সংসার করে যাচ্ছেন তাঁরা। একাধিক সাক্ষাৎকারে তাঁদের বলতে শোনা যায়, বিয়ের পর জীবন ঠিক কতটা সুন্দর হয়ে উঠেছে। ক্যাটরিনাকে সুখী করতে ভিকি সব পারেন, ক্যাটরিনার কথায়, তাঁকে ঘরের কাজে সাহায্য করা থেকে অবসরে সময় দেওয়া, বিনোদনের যোগান দেওয়া, কোথাও কোনও খামতি ছাড়েন না তিনি। উল্টে ক্যাটরিনাও শিখছেন অনেক কিছু। একটু একটু করে তিনিও নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। পাল্টেছে অনেক কিছুই। তবে ‘বয়স হচ্ছে, সন্তান নেবেন কবে’, এই প্রশ্নের হাত থেকে মেলেনি মুক্তি। বিয়ের পর থেকে বারে বারে রটেছে তিনি নাকি অন্তঃসত্ত্বা।


কিছুদিন আগেও ছড়িয়ে পড়ে একই খবর। বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন ক্যাটরিনা কইফ। সেখানেই কিছুদিন আগে ডেআউটিং-এর একটি ছবি শেয়ার করতেই নেটপাড়ার অনুমান তিনি মা হতে চলেছেন। তাঁর লং কোটের তলায় লুকিয়ে বেবিবাম্প। এবার সামনে এল আরও এক ছবি। লুকোনো ক্যামেরার ধরা পড়ল কি তবে বেবিবাম্প! ভিকি কৌশলের হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। পেটের অংশ বেশ ফোলা বলেই মনে হওয়ায় সকলের অনুমান, অনুষ্কার মতোই নিজের মা হওয়ার খবর সকলের থেকে চেপে রাখতে চাইছেন তিনি।



তবে কি জল্পনাই এবার সত্যি? সেই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে মেলা দায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না জুটির কেউ এই সুখবর শেয়ার করে নিচ্ছেন। যদিও তারকাদের ঢিলেঢালা পোশাক থেকে শুরু করে বেলিফ্যাট, সবই নেটিজ়েনদের চোখে বেবিবাম্পেরই নাম। তাই এখনই এই খবরকে পাকা বলে ধরে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই অপেক্ষা ভক্তদের রয়েই গেল। যদিও এই ছবি ঘিরে ভক্তদের মনে এক আশা তৈরি হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলাই যায়।

গ্রামের পথ ধরে ঘুরছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আশ্বস্ত করছেন ভোটারদের, বলছেন ভোট দিতে যেতে। ভয়ের কিছু নেই। এলাকার লোকজনের কেউ কেউ বলছেন, ভয় দেখানো হয়েছে। কারও কারও বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ ভয় পাচ্ছেন।

কোনও ঝামেলা হলে কপালে দুঃখ আছে', আমডাঙায় 'দাবাং' পুলিশ
আমডাঙায় পুলিশ।


ব্যারাকপুর: আমডাঙার বড়গাছিয়ায় রাত থেকে অশান্তির অভিযোগ উঠছিল। ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। এরপরই সোমবার ভোটের সকালে অন্য ছবি। অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামে ভোটারদের ভয় কাটাতে সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্টের নথি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গ্রামের ভিতরে ভোটারদের আটকানোর‌ও অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি পৌঁছন আমডাঙা থানার ওসি। গ্রামের ভিতরে ঢুকে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি বাহিনীও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। আবদুল সামাদ নামে এক ভোটারের ভয় কাটাতে তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।


গ্রামের পথ ধরে ঘুরছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আশ্বস্ত করছেন ভোটারদের, বলছেন ভোট দিতে যেতে। ভয়ের কিছু নেই। এলাকার লোকজনের কেউ কেউ বলছেন, ভয় দেখানো হয়েছে। কারও কারও বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ ভয় পাচ্ছেন।


এদিন ওসি এক জায়গায় জমায়েত দেখে বলেন, “কোনও ঝামেলা যেন না হয় আমি বলে দিচ্ছি। ঝামেলা হলে কপালে কিন্তু দুঃখ আছে। আমি বাংলা বলছি। ওরা (কেন্দ্রীয় বাহিনী) কিন্তু বাংলা বোঝে না। লাঠির ভাষা বোঝে।”

রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহ নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবারই সেখানে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধুমাত্র দিল্লি নয়, গোটা দেশের মধ্যে এটাই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তাপমাত্রার পারদ ছুঁল ৪৭.৭ ডিগ্রি, কী হবে আগামী ৫ দিন, সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা

কলকাতা তথা বাংলায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু গোটা দেশে আবহাওয়া ততটাও আরামদায়ক নয়। তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে চড়চড়িয়ে। আগামী ৫ দিনের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৪৭ ডিগ্রি পার করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। আবার কোথাও কোথাও প্রবল বৃষ্টি সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে।


আগামী বৃহস্পতিবার থেকে যে সব রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলতে পারে, তার তালিকাও প্রকাশ করেছে মৌসম ভবন। সেই তালিকায় আছে উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, গুজরাট। উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকেই থাকবে। অন্যদিকে, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মূলত প্রবল বৃষ্টি হবে কেরলের একাধিক জায়গায়। লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

তামিলনাড়ু, পুদুচেরী, কারাইকালে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জায়গাগুলোতেও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহ নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবারই সেখানে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধুমাত্র দিল্লি নয়, গোটা দেশের মধ্যে এটাই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেখানে সরকারি বা বেসরকারি সব স্কুলই আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে হিমাচল প্রদেশে স্কুলের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৭ টে থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত স্কুল করানোর জন্য নির্দেশিকা জারি হয়েছে। অন্যদিকে, তাপপ্রবাহের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানে। উত্তর প্রদেশের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কোটায়। একটি হোটেলের কাছে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।


পুলিশ আধিকারিক বিকাশ সহায় জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা বোঝেন না, তামিল ভাষায় কথা বলেন। পুলিশের দাবি, চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পর চার জঙ্গি তাঁদের পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আহমেদাবাদে তাঁদের অস্ত্র পাওয়ার কথা ছিল বলেও জানা গিয়েছে।

হিন্দু নেতারাই ছিল টার্গেট! শুধু পাকিস্তান থেকে ইঙ্গিত মিললেই..., কী বলছে সূত্র
এই চার জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে

 বড় সাফল্য পেয়েছে গুজরাট এটিএস। সোমবার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জঙ্গিকে। ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁদের। আর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর দেশে বড় হামলার চালানোর পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গিরা। বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের নিশানা করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই কাজ করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকাও পেয়েছিলেন এই চারজন। তাঁরা প্রত্যেকেই শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।


তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ওই চারজন শ্রীলঙ্কা থেকে প্রথমে চেন্নাই পৌঁছন, তারপর সেখান থেকে সোজা আহমেদাবাদ বিমানবন্দর। আর সেখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে চারজনই ধরা পড়ে যান অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের হাতে। জানা গিয়েছে, ওই চারজনের কাছে পাকিস্তানের তৈরি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ধৃত এই চারজনের নাম মহম্মদ নুসরত, মহম্মদ নাফরান, মহম্মদ ফারিস ও মহম্মদ রাশদিন।

পুলিশ আধিকারিক বিকাশ সহায় জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা বোঝেন না, তামিল ভাষায় কথা বলেন। পুলিশের দাবি, চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পর চার জঙ্গি তাঁদের পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আহমেদাবাদে তাঁদের অস্ত্র পাওয়ার কথা ছিল বলেও জানা গিয়েছে।


সূত্রের খবর, চারজনকে ইহুদি এলাকাগুলিতে প্রাথমিকভাবে হামলা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপরই নিশানায় ছিলেন বিজেপি, আরএসএস ও হিন্দু নেতারা। অভিযুক্তদের একজনের কাছে পাকিস্তানের ভিসাও পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কয়েকজন ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে তাঁদের।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতেই, গুজরাট উপকূল থেকে ১৪ জন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট এটিএস এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের কাছ থেকে ৬০২ কোটি টাকার ৮৬ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর এবার আরও বড় সাফল্য পেল এটিএস।

বিয়ে করেননি। দাদার সংসারেই থাকতেন। ফুসফুসে ক্যানসার নিয়ে অল্প দিনেরই লড়াই। তৃতীয় স্টেজে রোগ ধরা পড়ে অভিনেতা উদয়শঙ্কর পালের। সোমবার (২০ মে, ২০২৪) হাসপাতালেই শেষবার নিঃশ্বাস নিয়েছেন এই অভিনেতা।

নিভে গেল জীবন প্রদীপ, আত্মারামের জীবনাবসান, উদয় আর বলবেন না, 'হামি গরিব আদমি...'


টলিপাড়ার কাছে বিষয়টি নিঃসন্দেহে শোকের। প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা উদয়শঙ্কর পাল। সেই উদয়শঙ্কর পাল, যাঁকে আপনারা দেখেছেন আত্মারামের চরিত্রে কালজয়ী ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এ। দরিদ্র বিহারী হাতে টানা রিকশাওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উদয়শঙ্কর। তাঁর নামের আগে বসেছিল আত্মারাম কথাটি। তিনি যে সত্যি আমাদের মাঝে আর নেই, তা মানতেই পারছেন না টলিপাড়ার অনেকে। কী হয়েছিল ‘আত্মারাম’ উদয়শঙ্করের? দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন উদয়শঙ্কর। ফুসফুসে ক্যানসার ছিল তাঁর। থার্ড স্টেজ ক্যানসার। চিকিৎসকেরা প্রায় জবাব দিয়েই দিয়েছিলেন। তাও তাঁকে বাঁচিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। প্রথম দিকে বাড়িতেই ছিলেন। তারপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার (২০ মে, ২০২৪) সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন উদয়শঙ্কর।


উদয়শঙ্কর ছিলেন আইবুড়ো। বিয়ে করেননি। পরিবার বলতে কয়েকজনই। হাওড়ায় থাকতেন দাদার সংসারে। তবে উদয়শঙ্কর সংসার করেছিলেন অভিনয়ের সঙ্গে। মঞ্চাভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু ভাল-ভাল বাংলা ছবিতে দর্শক তাঁকে দেখেছেন। যেমন ‘চতুষ্কোণ’, ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’, ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ কিংবা ‘শজারুর কাঁটা’।

চলতি লোকসভা নির্বাচনে ৩৭০ আসন জয়ের আখ্যান তৈরির জন্য বিজেপিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। পিকের মতে, বিজেপি সুকৌশলে লোকসভায় মোট সংখ্যর আসনের অর্ধেক জয়ের থেকে নির্বাচনী আলোচনা ৩৭০ আসন জয়ে স্থানান্তরিত করেছে। তবে এর ফলে, ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।


'যদি বিজেপি ৩৭০-এর কম আসন জেতে তাহলে...', বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন পিকে
বিজেপি ৩৭০ আসন না জিতলে কী হবে, কী বললেন পিকে?

সাত দফার নির্বাচন চলছে। একই সময়ে ব্যাপক ওঠানামা চলছে শেয়ার বাজারে। প্রথম কয়েক দফায় ভোট পড়েছে অন্যান্য বারের তুলনায় বেশ কম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের উৎসাহ বেশ কম। তাই মে মাসের শুরুতে শেয়ার বাজারের সূচক বেশ নীচে ছিল। তবে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করেছেন। তাঁর দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর, শেয়ার বাজারের সূচক রকেটের গতিতে উপরে উঠবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দাবি করেছেন, ৪ জুন শেয়ার বাজার সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। তারপর, বাজারের অবস্থা কিছুটা ফিরেছে। এই অবস্থায় প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০ আসন না জিতলে শেয়ার বাজারকে হতাশা দেখা দিতে পারে।


এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, চলতি লোকসভা নির্বাচনে ৩৭০ আসন জয়ের আখ্যান তৈরির জন্য বিজেপিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। পিকের মতে, বিজেপি সুকৌশলে লোকসভায় মোট সংখ্যর আসনের অর্ধেক জয়ের থেকে নির্বাচনী আলোচনা ৩৭০ আসন জয়ে স্থানান্তরিত করেছে। তবে এর ফলে, ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। বিজেপি ৩৭০ আসন জিততে না পারলে হতাশ হতে পারে শেয়ার বাজার। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, “কোনও সংস্থার কাছ থেকে প্রত্যাশা খুব বেশি থাকলে, তারা ভাল পারফরম্যান্স করলেও অনেক সময় প্রত্যাশা পূরণ হয় না। আর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে তাদের শাস্তি দেয় শেয়ার বাজার। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, বিজেপি যদি ৩৭০ আসনের কম পায়, তা একটা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। তার প্রতিফলন বাজারে দেখা যেতে পারে।”

তবে, ৩৭০ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করাটা বিজেপির অত্যন্ত ‘স্মার্ট পদক্ষেপ’ বলে মনে করেন পিকে। তিনি বলেছেন, “গত তিন-চার মাসে, সব আলোচনাই হয়েছে ৩৭০ আসন জয় এবং ৪০০ পারকে কেন্দ্র করে। এটাকে আপনি বিজেপির কৌশল বলতে পারেন বা বিরোধীদের দুর্বলতাও বলতে পারেন। কিন্তু, বিজেপি গোলপোস্টটাই ২৭২ থেকে ৩৭০-এ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এতে অবশ্যই লাভ হয়েছে বিজেপির। এখন আর কেউ বলছে না মোদীজি হেরে যাবে। সবাই বলছে, ওরা হয়তো ৩৭০ আসন পাবে না। বিজেপির হেরে যাওয়ার কথা আলোচনাতেই নেই।”


প্রশান্ত কিশোর অবশ্য ওটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ৩৭০ আসন না পেলে যে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না, এমনটা নয়। তিনি বলেছেন, “বিজেপি ৩২০টি আসন পেলেও সরকার গঠন করবে।” বস্তুত, ৫৪৩ আসনের লোকসভায়, ২৭২টি আসনের বেশি পেলেই কোনও দল বা জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারে। এর আগে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সঙ্গে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তবে, ২০১৪-র পর থেকে তাঁকে বিজেপি বিরোধী শিবিরেই দেখা গিয়েছে। এখন অবশ্য তিনি আর ভোট-কুশলী হিসেবে কাজ করেন না। তবে, তাঁর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী এখনও অব্যর্থ। ভোট যত এগোচ্ছে অনেকেই বলছেন, বিজেপির পক্ষে হাওয়া সেভাবে নেই। পিকে অবশ্য জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই।


অগ্নিমিত্রাকে পাশে নিয়ে বিশাল রোড শো করছিলেন মিঠুন, হঠাৎ উড়ে এল ইট-জলের বোতল


জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে সেখানে পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। চলছিল রোড শো। সেই সময় তাঁর সেই রোড-শোয়ে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়।

 অগ্নিমিত্রাকে পাশে নিয়ে বিশাল রোড শো করছিলেন মিঠুন, হঠাৎ উড়ে এল ইট-জলের বোতল
মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শোয়ে বিশৃঙ্খলা


মেদিনীপুর: বাংলায় নির্বাচনের প্রচারে আগেই এসেছেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। একাধিক জায়গায় বিভিন্ন প্রার্থী সমর্থনে প্রচার করেছেন তিনি। কিন্তু মেদিনীপুরে পৌঁছতেই তুলকালাম। মিঠুনের রোড শোয়ে ইট ছোড়ার অভিযোগ। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল সেখানে।


জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে সেখানে পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। চলছিল রোড শো। সেই সময় তাঁর সেই রোড-শোয়ে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, যে রাস্তা দিয়ে এই রোড শো হওয়ার কথা ছিল সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মিঠুন উদ্দেশ্য করে কিছু ব্যানার-পোস্টার লিখে এনেছিলেন।


সেই বিষয়টি নিয়ে বচসা বাধে তৃণমূল-বিজেপি-র মধ্যে। অভিযোগ এরপরই জলের বোতল ও ইট ছোড়া হয় মিঠন চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনায় অগ্নিমিত্রা পাল বা মিঠুন চক্রবর্তী কারোরই কোনও আঘাত লাগেনি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে মেদিনীপুর শহরের কুইকটা এলাকায় হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার করে তিনি এসে পৌঁছান অভিনেতা। তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্র পাল। এরপরই শুরু হয় বিশাল মিছিল। আর তারপরই এই অনভিপ্রেত ঘটনা।


ঘরের ভিতর দুই বোনের মাথা থ্যাতলানো শরীর, ভয়ঙ্কর ঘটনায় শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা
 

এই ঘটনায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ মনিরথ আড়ি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এই ব্যক্তি নিহতদের ছোট বোনের স্বামী। পুলিশ সূত্রের খবর, জমি জায়গা লিখিয়ে নেওয়া জন্য গন্ডগোল হয়েছিল।

 ঘরের ভিতর দুই বোনের মাথা থ্যাতলানো শরীর, ভয়ঙ্কর ঘটনায় শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা
দুই বোনের দেহ উদ্ধার


ডায়মন্ড হারবার: বাড়ির মধ্যে দুই অবিবাহিত বোনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার দিগম্বর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরুদাসপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম বাসন্তী প্রামাণিক(৪৫) এবং বিশা প্রামাণিক (৫৫)। দুই বোন একই বাড়িতে থাকতেন। সকালে এক প্রতিবেশী যান ওই বাড়িতে। তখনই দেখতে পান বাড়ির বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুই বোনের দেহ। শরীরে একাধিক ধারাল অস্ত্রে আঘাত ছিল। ঢোলাহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।


এই ঘটনায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ মনিরথ আড়ি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এই ব্যক্তি নিহতদের ছোট বোনের স্বামী। পুলিশ সূত্রের খবর, জমি জায়গা লিখিয়ে নেওয়া জন্য গন্ডগোল হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এই গন্ডগোল চরমে ওঠে। ভারী কিছু দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করার পর এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয় বলে পুলিশের অনুমান।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এজেন্ট পাচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের বলছে ৫ হাজার টাকা দেবো, এজেন্ট হবে? কর্মীরা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ দেখাচ্ছে।" অভিষেকের পরামর্শ, সেই টাকা আবাসের বকেয়া টাকা হিসাবে নিয়ে নিন। আর ১ তারিখ ভোটটা জোড়াফুলেই দিন। অভিষেকের কটাক্ষ, এজেন্ট দিতে পারবে না, আর বলবে তৃণমূল এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না।

সরকারের আয়ু আর...', অভিষেক ঠিক কী বললেন ডায়মন্ড হারবারে?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


ডায়মন্ড হারবার: ১ জুন শেষ দফায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। ৪ জুন ঠিক তিনদিন পর ভোটগণনা। সারা রাজ্যে ভোট প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারে নিজের কেন্দ্রেও প্রচার করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেখান থেকেই বিজেপিকে এক হাত নিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অভিষেককে এদিন বলতে শোনা গেল, “আপনি যখন ভোট দেবেন তখন ওদের সরকারের আয়ু আর ৩ দিন। আমি রাস্তায় আছি। মানুষের মুখের ভাষা আমি বুঝি। মানুষ ওদের নিয়ে তিতিবিরক্ত।” এদিন ভোটপ্রচারে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগও শোনা যায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মুখে।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এজেন্ট পাচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের বলছে ৫ হাজার টাকা দেবো, এজেন্ট হবে? কর্মীরা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ দেখাচ্ছে।” অভিষেকের পরামর্শ, সেই টাকা আবাসের বকেয়া টাকা হিসাবে নিয়ে নিন। আর ১ তারিখ ভোটটা জোড়াফুলেই দিন। অভিষেকের কটাক্ষ, এজেন্ট দিতে পারবে না, আর বলবে তৃণমূল এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না।

এদিন অভিষেক জানিয়ে দেন, আগামী ২৩ মে থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত শেষ সাতদিন তিনি ডায়মন্ড হারবার আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকবেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন ১ জুন অর্থাৎ ভোটের দিন তিনি আমতলায় থাকবেন।


প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন, জয় নিয়ে আশাবাদী তিনি। এদিন বলেন, “আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইব না। ৪ লক্ষের ব্যবধান চাইব। গতবার ওরা বলেছিল অভিষেকের পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ দেখুন আমার পার্টি অফিসের পতাকা উড়ছে। আপনার দলের পতাকা ধরার কেউ নেই।”



শনিবার রাতে বোট নিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে টহল দেওয়ার সময় হরিণ শিকারীদের মুখোমুখি হন বনকর্মীরা। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর। তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। বনদফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, অমলেন্দু রায়দিঘির বাসিন্দা।

 বোট তখন মাঝ নদীতে, আচমকাই ধেয়ে আসল পরপর গুলি, মাথায় পড়ল ধারাল অস্ত্রের কোপ! ভরা মরশুমে সুন্দরবনে ভয় ধরানোর ঘটনা
সুন্দরবনে গুলির লড়াই (ফাইল ছবি)


দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বোট নদীতে ঘুরছিল। চোখে দূরবীন। নজর ছিল জঙ্গলের ভিতর। জঙ্গলের ভিতরে কয়েকজনকে ইতঃস্তত ঘুরতে দেখেছিলেন সরকারি কর্মী। ভাল করে দেখলে বুঝতে পারেন, যারা ঘুরছে, তাদের হাতে অস্ত্র! জঙ্গলের যে রেঞ্জে হরিণ থাকে বেশি, সেখানেই ঘুরছিল তারা। বুঝতে দেরি হয় কর্মীরা। বোট নিয়ে এগিয়ে চলেন জঙ্গলের সে প্রান্তের দিকে। বোট থেকে নেমে সঙ্গীদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মী। আচমকাই গুলি! পাল্টা গুলি চালান তিনিও! হয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলাও। চোরাশিকারীদের হাতে খুন বনদফতরের কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বনকর্মীর নাম অমলেন্দু হালদার (৫৯)।


শনিবার রাতে বোট নিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে টহল দেওয়ার সময় হরিণ শিকারীদের মুখোমুখি হন বনকর্মীরা। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর। তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। বনদফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, অমলেন্দু রায়দিঘির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় বোট নিয়ে বের হয়েছিলেন অমলেন্দু। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন কর্মী ও বোটের ২ কর্মী।


সুন্দরবনের বিদ্যা রেঞ্জে অফিসের অধীনে নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারীরা তাঁদের মুখোমুখি পড়ে যায় বলে খবর। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই হয়। চোরাশিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে অমলেন্দুবাবুর শরীরে। যদিও পরে তাঁকে কোপানো হয় বলেও মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁর মাথায় কুড়ুলের গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে দেহ।

চলতি বছরের শুরুতেই আইএসএফে ভাঙন দেখা গিয়েছিল ভাঙড়ে। শওকত মোল্লার হাত ধরে একশো জন আইএসএফ কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। পরবর্তীতে আবার মাস খানেক আগে পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কয়েকশো জমি কমিটির সদস্য ও আইএসএফ সমর্থকেরা যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

ভাঙড়ে খেলাটা শেষ পর্যন্ত ঘুরিয়েই দিলেন শওকত?
শওকত মোল্লা


ভাঙড়: ভোটের আগে তো ছিলই। এবার ভোটের মধ্যেও। একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে যাচ্ছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। ফের ভাঙড়ে আইএসএফে ভাঙন। এবার আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে একটি কর্মীসভা থেকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেয় আইজেল মোল্লা নামের আইএসএফ নেতা। তিনি ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের ১৪৯ নং বুথের আইএসএফ সদস্য ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে ৫৬৩ ভোটে জিতেওছিলেন। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান আইজেল। আইজালের পাশাপাশি এদিন পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাদিক মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইএসএফ নেতা যোগ দেয় তৃণমূলে। 

নতুন যোগদানে উচ্ছ্বসিত এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। শওকত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্য যারা যোগ দিচ্ছে তাঁদের সম্মান দিতে হবে। সকলকে একত্রিত করে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে আইএসএফ নেতারা বলছেন, এক বছর ধরে কোন কাজ করতে পারেনি। এলাকার উন্নয়নের জন্য তৃণমূলে যোগ দিলাম। 

 শুধু তাই নয়, মানিক সাহা আরও বলেন, "তৃণমূল সর্বভারতীয় তকমা রাখার জন্য ভোটের সময় ত্রিপুরায় যায়। কিন্তু মানুষ আমাদের রাজ্য থেকে তৃণমূলকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ভোট পেয়েছে ০.৮ শতাংশ।" তৃণমূলের পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে বামেদেরও আক্রমণ শানান পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

 ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাচ্ছে, ত্রিপুরার মতো দশা হবে বাংলারও: মানিক সাহা
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি এবার বাংলায় ভোটের ময়দানে জোর প্রচার করছে। অন্য়ান্য রাজ্য থেকে যাঁরা ভোটপ্রচারে আসছেন, তাঁরাও শান দিচ্ছেন একই অস্ত্রে। রবিবার মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইতের সমর্থনে পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গায় জনসভা করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাঁর মুখেও শোনা গেল একই কথা। তাঁর হুঁশিয়ারি, “ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার বদল হয়েছিল। পশ্চিমবাংলাতেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার বদল হবে। মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে। মানিকের তোপ, বামফ্রন্টের যা যা কুকর্ম আছে তার একেবারে কার্বন কপি এই তৃণমূল সরকার। সন্দেশখালি থেকে পার্ক স্ট্রিট, এত কাণ্ড এখানে বলে শেষ করা যাবে না।


রবিবার বিকালে মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইতের সমর্থনে পাথরপ্রতিমার জনসভা থেকে মানিক সাহা বলেন, “সকলে হয়ত জানেন না ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছিল ত্রিপুরায়। বেআইনিভাবে কমিউনিস্টরা দিয়েছিল সে চাকরি। এই চাকরি যাওয়ার সুবাদে সেখানেও আমরা দেখলাম বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এখানেও ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি গিয়েছে যখন বা চলে যাওয়ার পথে, আপনাদেরও সেই দিনটা আসছে। এখানেও বিজেপির সরকার হতে চলেছে। ত্রিপুরায় তো প্রমাণ আমরা দেখিয়েছি।”


শুধু তাই নয়, মানিক সাহা আরও বলেন, “তৃণমূল সর্বভারতীয় তকমা রাখার জন্য ভোটের সময় ত্রিপুরায় যায়। কিন্তু মানুষ আমাদের রাজ্য থেকে তৃণমূলকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ভোট পেয়েছে ০.৮ শতাংশ।” তৃণমূলের পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে বামেদেরও আক্রমণ শানান পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও থেমে থাকেননি, আবারও আবেদন পত্র পাঠাতে থাকেন। সেই সময়ই কয়েকটি পাসপোর্ট ছবি তাঁকে তুলতে হয়। তবে যিনি ছবি তুলতে এসেছিলেন, তাঁর প্রিয়াঙ্কার গঠন বেশ ভাল লেগেছিল।

বিদেশে চরম অপমান, কাঁদতে-কাঁদতে দেশে ফেরেন প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কেরিয়ারের শুরুতেই একের পর এক জয় হাসিল করেছিলেন তিনি। যে মেয়ে একটা সময় নিজের গায়ের রঙের জন্য কষ্ট পেতেন, তিনিই বাজিমাত করেন সিনেদুনিয়ায়। বিদেশে পড়ার সূত্রে প্রিয়াঙ্কা বেশ কিছুদিন পরিবার থেকে দূরে ছিলেন। সেই সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না তাঁর জন্য। তিনি বন্ধুদের হাতে মাঝে মধ্যেই ট্রোল্ড হতেন। শুনতে হতো নানা কুমন্তব্য। নিজের গায়ের রঙ নিয়ে মনে মনে ক্ষোভও হতো তাঁর। ফিরে এসেছিলেন ভারতে। যদিও থেমে থাকেননি, আবারও আবেদন পত্র পাঠাতে থাকেন। সেই সময়ই কয়েকটি পাসপোর্ট ছবি তাঁকে তুলতে হয়। তবে যিনি ছবি তুলতে এসেছিলেন, তাঁর প্রিয়াঙ্কার গঠন বেশ ভাল লেগেছিল।


তাই তিনি বেশ কয়েকটি পোজ় দেওয়া ছবি তোলার আবদার রাখেন। যা শুনে পলকে খুশি হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দিয়েও ছিলেন পোজ়। এরপর তাঁর অজান্তেই তাঁর মা সেই ছবি ফেমিনাতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যেখান থেকে ভাগ্য পাল্টে যায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। এক সাক্ষাৎকারে অনুপম খেরকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, ”ভাগ্যিস সেই বন্ধুরা আমার পিছনে লেগেছিল।” সেই কারণেই তাঁর ভরতে ফিরে আসা, অন্যত্র আবেদন করা। তাই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বিশ্বাস করেন, যা হয় তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও না কোনও ভাল কারণ থাকে। যা সেই মুহূর্তে বুঝতে না পারলেও পরে সত্যি প্রমাণিত হয়।


সেই প্রিয়াঙ্কা এখন সংসার পেতেছেন বিদেশের বুকেই। নিক জোনাসকে বিয়ে করে তিনি দিব্যি সংসার করছেন।


বর্তমানে তিনি সৌরভ দাসের বিপরীতে কাজ করছেন। তবে টলিপাড়া থেকে অনেকেই বলিউডে পাড়ি দিচ্ছেন নানা কাজের সূত্রে। সম্প্রতি মধুমিতা সরকারকে দেখা গিয়েছে বলিউডের দুটি প্রজেক্টের প্রস্তাব গ্রহণ করতে। এবার কি পালা সৌমিতৃষার?

সঞ্জয়লীলা ভনসালির ছবিতে সৌমিতৃষা! চললেন বলিউড?

সৌমিতৃষা কুণ্ডু। টলিউডে একের পর এক ছবির প্রস্তাব তাঁর ঝুলিতে। ধারাবাহিক থেকে অভিনয়ের যাত্রা শুরু। মিঠাই ধারাবাহিক পাল্টে দিয়েছে তাঁর ভাগ্য। অভিনয়ের দাপটে রাতারাতি দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন সৌমিতৃষা। ধারাবাহিক চলাকালিন একের পর এক ছবির প্রস্তাব তাঁর কাছে আসতে থাকে। তবে ধারাবাহিকের কাজের জন্যে তিনি সেই সময় ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেননি। পরবর্তীতে দেবের বিপরীতে প্রধান ছবি দিয়ে বড়পর্দায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। বর্তমানে তিনি সৌরভ দাসের বিপরীতে কাজ করছেন। তবে টলিপাড়া থেকে অনেকেই বলিউডে পাড়ি দিচ্ছেন নানা কাজের সূত্রে। সম্প্রতি মধুমিতা সরকারকে দেখা গিয়েছে বলিউডের দুটি প্রজেক্টের প্রস্তাব গ্রহণ করতে। এবার কি পালা সৌমিতৃষার? তাও আবার সঞ্জয়লীলা ভনসালির ছবির?


এমনটা হলে সৌমিতৃষার ভক্তরা বেজায় খুশি হতেন ঠিকই, তবে এখনও তেমন কোনও প্রস্তাব তাঁর ঝুলিতে নেই। তবে পরিচালকের ট্রেন্ড ফলো করে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করলেন তিনি। যেখানে হীরামান্ডি স্টাইল ফলো করতে দেখা গেল তাঁকে। যদিও এই ভিডিয়ো শুট করা তাঁর অনেক আগেই। স্টোরি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখলেন, ‘সঞ্জয় লীলা বনশালি চরিত্রের মতো পোশাক পরার তাগিদ’। 

মায়ের সঙ্গে এখন মাঝে মধ্যেই নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় আরাধ্যাকে। এবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন কান-এও। সেখানের রেডকার্পেটে হাতে চোট নিয়েই পোজ় দিতে দেখা যায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। আর সেখান থেকে ফিরতেই এ কী কাণ্ড?

ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিদেশ থেকে ফিরতেই আরাধ্যার মধ্যে মস্ত বদল, এও সম্ভব?


আরাধ্যা রাই বচ্চন। বলিউডের অন্যতম চর্চিত স্টারকিড। যাঁকে নিয়ে দর্শক মনে নিত্য কৌতুহল থাকে তুঙ্গে। বচ্চন পরিবারের মেয়ে বলে কথা। অভিনয়ের রক্ত নাকি তাঁর গায়ে, তিনিও ভবিষ্যতে অভিনয় জগতে পা রাখবেন, এমনই আশা ভক্তদের। ইতিমধ্যে যদিও সে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চরিত্রের পরিবেশনায় সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে এখন মাঝে মধ্যেই নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় আরাধ্যাকে। এবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন কান-এও। সেখানের রেডকার্পেটে হাতে চোট নিয়েই পোজ় দিতে দেখা যায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। আর সেখান থেকে ফিরতেই এ কী কাণ্ড? যে আরাধ্যা এতদিন পর্যন্ত পাপারাৎজিদের দেখলে মুখ লুকিয়ে চলত, কখনও কখনও কেঁদেও ফেলত, সে মেয়েই মায়ের সঙ্গে দিলেন পোজ়।


ক্যামেরার প্রতি ভয়টা তিনি কাটিয়ে উঠেছিলেন অনেকদিন আগেই। তবে লাজুক মুখে মাথাটা ঠিক নিচু করে নিত সে ক্যামেরা দেখলে, এবার হাসি মুখে দিলেন ছবি তোলার জন্য পোজ়। মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে। দিন দিন আরও পরিণত হচ্ছে অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মেয়ে। বাড়িতে সকলের ভীষণ পছন্দের সে। ভাল কথা বলে আরাধ্যা। তবে মায়ের সঙ্গেই বেশি থাকতে দেখা যায় তাঁকে। মাঝে মধ্যে যদিও দাদু অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হতে দেখা যায়।



আরাধ্যা এখনও স্কুলের গণ্ডি পার করেনি। তার আগে থেকেই তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা তুঙ্গে। তবে তাঁকে ক্যামেরার সামনে কোনওদিন দেখা যায়নি। কোনও বিজ্ঞাপন, কিংবা কোনও ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবেও দেখা যায়নি তাঁকে। এখন দর্শকদের অপেক্ষা কবে আরাধ্যা সিনেপাড়ায় পা রাখবেন।

উইকএণ্ডকা ধামাকার জন্য সকলেই মুখিয়ে থাকেন। টানা ১০ সিজ়ন ধরে চলা বিগ বসের কান্ডারীই হলেন সলমন খান। ফলে দিন দিন বাড়ছে তাঁর পারিশ্রমিকের মাত্রাও। সলমন খান সিজ়ন ৭-এ এপিসোড পিছু পারিশ্রমিক নিতেন ৫ কোটি টাকা।

আকাশ ছোঁয়া পারিশ্রমিক, 'বিগ বস' থেকে বাদ পড়ছেন সলমন?

 শুরু হওয়ার কথা ছিল বিগ বস ওটিটি থ্রি। বেশ কিছুদিন ধরেই এই শো নিয়ে নানা খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এবার সামনে এল বড় খবর। সলমন খান নাকি সড়তে চলেছেন বিগ বস ওটিটি সঞ্চালনা থেকে? নাকি ভাইজানের পারিশ্রমিকের অঙ্ক দেখে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?


সলমন খান, এক কথায় বলতে গেলে তিনি বিগ বস-এর প্রাণকেন্দ্র। এই রিয়্যালিটি শোয়ের জনপ্রিয়তার কারণের অধিকাংশটাই তাঁর দখলে থাকে। বিগ বসের ঘরে থাকা প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাঁর আচরণ একাধিক সময় বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিলেও তিনি এই বিষয় বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে নারাজ। তাঁর কথায়, এই শোয়ে তিনি যা বলেন সেটাই শেষ কথা। যার ফলে উইকএণ্ডকা ধামাকার জন্য সকলেই মুখিয়ে থাকেন। টানা ১০ সিজ়ন ধরে চলা বিগ বসের কান্ডারীই হলেন সলমন খান। ফলে দিন দিন বাড়ছে তাঁর পারিশ্রমিকের মাত্রাও। সলমন খান সিজ়ন ৭-এ এপিসোড পিছু পারিশ্রমিক নিতেন ৫ কোটি টাকা।

বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি টাকায়। সে ওটিটি হোক বা চ্যানেল, সলমন খান মোটা টাকা এই শোয়ের জন্য দাবী করলেও শোয়ের TRP তুঙ্গে থাকায় কেউ-ই তাঁর দিকে আঙুল তুলতে পারেন না। বর্তমানে এও শোনা যায় যে তিনি নাকি এপিসোড পিছু ১১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। তবে এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ঠাণ্ডা মাথায় তা চ্যানেলের দিকে ঘুরিয়ে দেন। সলমন খান ১১ তম সিজনে নাকি এমনই টাকা পেয়েছেন। তবে এই রিয়্যালিটি শো যখন শুরু হয়েছিল, তখন একটি এপিসোড পিছু সলমন খান পারিশ্রমিক পেতেন ২.৫ কোটি টাকা। বর্তমানে চর্চায় বিগ বস ওটিটি সিজ়ন থ্রি। যেখানে একটা সময় করণ জোহরকে সঞ্চালনায় দেখা যেত, সেখানেই এবার সঞ্চালক সলমন। শোনা যাচ্ছে এপিসোড পিছু সলমন নিতে চলেছেন ১৫ কোটি টাকা। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা এখন তুঙ্গে।


সেই কারণেই কি সরে দাঁড়াতে হয়েছে সলমন খানকে? সূত্রের খবর, এই শো নিয়ে সলমন খানের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা সর্বশেষ স্তরে পৌঁছায়নি। এমনই অবস্থায় শো পিছিয়ে দিতে হচ্ছে, শো পিছিয়ে জুন মাসে শুরু হতে চলেছে। আর নির্মাতারা নাকি সলমনের পরিবর্তে অনিল কাপুরের সঙ্গেও কথা এগোচ্ছেন। এখানেই শেষ নয়, শোনা যাচ্ছে, অনিল কাপুরের রাজি হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতই নাকি রয়েছে। যদিও শেষপর্যন্ত কী হবে তা সময় বলবে। তবে সলমন খানকে নিয়ে এই টানাপোড়েনের পিছনে সত্যি আর্থিক কারণ যুক্ত কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও তথ্য সামনে আসেনি।

পরিবারের সকলকে নিয়ে প্রতীক্ষায় বসবাস করতেন অমিতাভ। তবে সেই বাড়ি এখন অতীত। যদিও বাড়িটি বিক্রি করেননি তিনি। বাড়িটি সম্প্রতি সারানোর কাজেও হাত দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।

১০০ কোটির উপহার অমিতাভকে, আজও তা বুকে আগলে রেখেছেন বিগ বি


অমিতাভ বচ্চন। বলিউডের শাহেনশাহর বাসস্থান ছিল প্রতীক্ষা। প্রতীক্ষা তাঁর প্রথম বাড়ির নাম। যেখানে পরিবারের সকলকে নিয়ে বসবাস করতেন অমিতাভ। তবে সেই বাড়ি এখন অতীত। যদিও বাড়িটি বিক্রি করেননি তিনি। বাড়িটি সম্প্রতি সারানোর কাজেও হাত দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তবে হঠাৎ কেন সেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসলেন নতুন ঠিকানায়? কারণ বিলাস বহুল এই উপহার।


জলসা অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চন বর্তমানে যে জায়গায় থাকেন, তা তিনি উপহারে পেয়েছিলেন। এত দামি উপহার তাঁকে কে দিয়েছেন জানেন? ছবির পরিচালক রমেশ সিপ্পি। ‘সত্তে পে সত্তা’ ছবির ব্যপক ব্যবসা করার জন্য এই বিলাস বহুল বাংলো অমিতাভকে উপহারে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে এই বাংলোর পিছনে বিন্দুমাত্র অর্থ খরচ করেননি তিনি।

তবে বাড়ির ভিতরটা খুব যত্নের সঙ্গে জানিয়েছেন অমিতাভ ও জয়া বচ্চন। একের পর এক ছবি অন্দরমহলের ভাইরাল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জলসার অন্দরমহল থেকে ছবি শেয়ার করে থাকেন বচ্চন পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা। বিশেষ করে অমিতাভ বচ্চন। তাঁর বসার ঘরের ছবি সকলের ভীষণ চেনা। বাড়ির বাইরের ছবিও পরিচিত। তবে বাথরুম কিংবা বেডরুমের যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার সততা যাচাই করে দেখেনি 


বর্তমানে এই বাড়ির মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটির কাছাকাছি। অমিতাভ বচ্চন পরিবারের সকলকে নিয়েই এখানে থাকেন। রয়েছে মেয়ে শ্বেতা নন্দারও একটি ঘর। তবে এই বাড়িতে এখন থাকেন না ঐশ্বর্য, সূত্রের খবর সেটাই। যদিও সে খবর নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন বর্তমান। কেরিয়ারে এমন অনেক উপহারই পেয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। যা খুব যত্নের সঙ্গে রেখেছেন তিনি। একবার ব্লগে লিখেছিলেন অমিতাভ, ‘ভক্তদের দেওয়া ছোট্ট একটা চিঠিও আমি যত্নে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করি।’ তবে অমিতাভের জীবনে এখনও পর্যন্ত পাওয়া সেরা উপহার এই বাংলোটিই। একাধিক সাক্ষাৎকারে তা বারবার স্বীকার করেন বিগ বি।

শোনা যায় সন্তানের দেখভাল বাবদ ৪০০ কোটি চেয়ে বসেছিলেন তিনি। তবে হৃতিক অত টাকা দেননি। কত টাকায় রফা হয়েছিল শেষমেশ?


হৃতিকের থেকে ৪০০ কোটি খোরপোশ চান সুজান! কত টাকা দিতে হয় শেষমেশ?
হৃতিক রোশন ও সুজান খান।


রূপকথার মতো প্রেম ছিল তাঁদের। কিন্তু সেই প্রেম পায়নি পূর্ণতা। পূর্ণতা পায়নি না বলে বরং বলা ভাল, সেই প্রেমের পরিণতি সুখকর হয়নি। ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর বিয়ে হলেও ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর আচমকাই আলাদা হয়ে যান হৃতিক রোশন ও সুজান খান। জানা যায়, পরকীয়ায় নাকি জড়িয়ে পড়েছিলেন হৃতিক। আর সেই কারণেই সুজানের থেকে সরে আসছিলেন ক্রমশ। দু’জনের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হলেও খোরপোশের অধিকার কিন্তু ছাড়েননি সুজান। মোটা টাকার দাবি জানিয়ে বসেন হৃতিকের কাছে।


শোনা যায় সন্তানের দেখভাল বাবদ ৪০০ কোটি চেয়ে বসেছিলেন তিনি। তবে হৃতিক অত টাকা দেননি। কত টাকায় রফা হয়েছিল শেষমেশ? সূত্রের খবর, ৩৮০ টাকায় মিটমাট হয়েছিল তাঁদের। হৃতিকের কাছ থেকে ওই টাকা আদায় করেছিলেন সুজান। তবে টাকা নিয়েছিলেন বলে তাঁদের সম্পর্ক যে তলানিতে পৌঁছয় তা কিন্তু নয়। বরং বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও দু’জনের মধ্যে আজও বন্ধুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে দুই সন্তানকে মানুষ করছেন ওঁরা। তবে ব্যক্তিগত জীবনে দু’জনের মন বেছে নিয়েছে অন্য দু’জনকে।


এই মুহূর্তে সাবা আজাদের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন হৃতিক রোশন। অন্যদিকে প্রাক্তন স্ত্রীও শুরু করেছেন নতুন পথচলা। অভিনেতা আলি গোনির দাদা আরসালান গোনির সঙ্গে সম্পর্কে আছেন তিনি। সম্প্রতি হৃতিক-সাবা, সুজান-আরসানাল মিলে একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন।

বিতর্ককে সঙ্গী করেই রূপাঞ্জনা স্বামী রাতুল ও প্রথম পক্ষের সন্তান রিয়ানকে নিয়ে গিয়েছেন হনিমুনে। নিজের শর্তে নতুন পরিবার নিয়ে ভাল আছেন তিনি। রূপাঞ্জনার থেকে রাতুল বয়সে ছোট। তা নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি রূপাঞ্জনাকে।

বিয়ের পরেই বড় বদল রূপাঞ্জনার! কটাক্ষ, 'স্বামীর কথা একবারও ভাবলেন না?'
কটাক্ষ, 'স্বামীর কথা একবারও ভাবলেন না?'


হঠাৎ করেই রূপাঞ্জনা মৈত্রকে নিয়ে চারিদিকে হইচই। বিয়ে করেই নাকি পাল্টে গিয়েছেন তিনি। নেটিজেনদের একাংশের মতে স্বামী রাতুল মুখোপাধ্যায়ের কথা না ভেবেই তিনি যা করেছেন তা একেবারেই অনুচিত! কী এমন করে ফেলেছেন রূপাঞ্জনা যে তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা? রূপাঞ্জনা মানেই লম্বা চুল– এতদিন ধরে এমনভাবেই তাঁকে দেখেছেন সকলে! সেই রূপাঞ্জনাই সম্প্রতি হনিমুনে যাওয়ার আগে তাঁর ওই বড় চুল কেটে ফেলেছেন।


সেলিব্রিটি হেয়ার স্টাইলিস্ট জলি চন্দার কাছে গিয়ে করেছেন নতুন হেয়ারকাট। আর তাতেই চতুর্দিকে ‘হায় হায়’। ছবি শেয়ার করতেই নেটিজেনদের একটা বড় অংশ লিখেছেন, “বিয়ের এক বছরের মধ্যে চুল কাটতে নেই! তা ভুলে গিয়েছেন! স্বামীর যদি অমঙ্গল হয় ?” যদিও এই বিতর্কে রূপাঞ্জনা পাশে পেয়েছেন তাঁর ভক্তদের। অনেকেই রূপাঞ্জনার হয়ে লিখেছেন, “আজকালকার দিনে এসেও এরকম চিন্তা ভাবনা! ওঁর অসুবিধে নেই। ওঁর স্বামীরও সমস্যা নেই। তাহলে আপনার সমস্যাটা কোথায়? সেটাই বুঝছি না।”


বিতর্ককে সঙ্গী করেই রূপাঞ্জনা স্বামী রাতুল ও প্রথম পক্ষের সন্তান রিয়ানকে নিয়ে গিয়েছেন হনিমুনে। নিজের শর্তে নতুন পরিবার নিয়ে ভাল আছেন তিনি। রূপাঞ্জনার থেকে রাতুল বয়সে ছোট। তা নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি রূপাঞ্জনাকে। সম্প্রতি তাঁকে ‘বুড়ি’ বলে কটাক্ষও করা হয়। উত্তরে রূপাঞ্জনা বলেছিলেন, “সিরিয়ালের চরিত্রেও বুড়ি নই। আসল জীবনেও নই। এটা ওই লক প্রোফাইলের আড়াল থেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে করা এক মন্তব্য। আসলে কী জানেন তো আপনারাই সমাজের মানুষ যারা নিজেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকেন আর অন্যদের উস্কানি দেন। প্রোফাইল ব্লক করতেই পারতাম, কিন্তু করব না। যারা ঘৃণা করেন তাঁরা সংখ্যায় খুব কম। খুব বেশি আমাদের নিয়ে ভাববেন না তাতে নিজেরাই হতাশায় পড়ে যাবেন। সেটা আমরা চাই না। ভাল থাকবেন।”


১১ বছর হয়ে গিয়েছে তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু নেই বললেন তো আর একটা মানুষকে অস্বীকার করা যায় না। ঋতুপর্ণ ঘোষ চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। তাঁর সিনেমার মাধ্যমে। তাঁর শিল্পচর্চার মাধ্যমে। ঋতুপর্ণর সহজাত সারল্যর দিকটা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

ঋতুপর্ণর ছবি হাউজ়ফুল! উচ্ছ্বসিত পরিচালকের উক্তি, 'ঠিকানা দিন, দর্শকের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাসন মাজব...'
ঋতুপর্ণ ঘোষ।


তিনি আজ আর নেই। থাকলে কি না হতে পারত। ২০১৩ সালের এক সকালে গোটা শহরকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সেই মানুষটা, যিনি আধুনিক বাঙালিকে আদব-কায়দা শিখিয়েছিলেন তাঁর ছবির মাধ্যমে। উপহার দিয়েছিলেন এক-একটি অনবদ্য ছবি। তাঁর শৈল্পিক গুণের ছোঁয়া আজও রয়ে গিয়েছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে। সেই মানুষটির নাম ঋতুপর্ণ ঘোষ। একমাথা কোঁকড়ানো চুল, টি-শার্ট এবং একটি ঝোলা কাঁধে সিনেমা বানাতে বেরিয়েছিলেন এই মানুষটা। বিজ্ঞাপনী ছবি তৈরি করতেন শুরুতে। তারপর জীবনে আসে ‘হীরের আংটি’, ‘অসুখ’-এর মতো ছবি। দেখতে-দেখতে ‘দোসর’, ‘চোখের বালি’, ‘খেলা’, ‘তিতলি’র মতো ছবি তৈরি করে অন্য কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। পেয়েছিলেন অসংখ্য জাতীয় পুরস্কার। আরও একটি গুণ ছিল ঋতুপর্ণর। মানুষের সঙ্গে সহজাত সরলের সঙ্গে মিশতে পারতেন।। বয়সে বড়কে সম্মান করতেন তাঁর নিজস্ব স্টাইলে। ছোটদের ভরিয়ে দিতেন আদরে। শৈল্পিক গুণাবলিতে ঠাঁসা ছবি তৈরি করতেন ঋতুপর্ণ, কিন্তু তাঁর ছবি দর্শক দেখতেন হল ভরিয়ে (পড়ুন শহুরে শিক্ষিত বাঙালি দর্শক)। নিজের চোখে ঋতুপর্ণ ছিলেন অসম্ভব প্রফেশনাল। তাঁর পাখির চোখ ছিল, “এমন ছবি বানাব, যা দর্শক হল ভর্তি করে দেখবেন।” প্রথম ছবি মুক্তির পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে কী বলেছিলেন জানেন ঋতুপর্ণ?


ঋতুপর্ণার কেরিয়ারের শুরুটায় তিনি পাশে পেয়েছিলেন অভিনেত্রী পরিচালক এবং বহুমুখী প্রতিভা অপর্ণা সেনকে। অপর্ণাই জোগাড় করে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণার প্রথম ছবির প্রযোজককে। ভুলে যাওয়ার বান্দা ছিলেন না ঋতুপর্ণ। অপর্ণার সেই দান তিনি কোনওদিনও মুছে ফেলতে পারেননি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অপর্ণার সঙ্গে সুমধুর সম্পর্কটা লালন করেছিলেন ঋতুপর্ণ। অপর্ণাও তাঁকে বসিয়েছিলেন নিজের ভাইয়ের আসনে। অপর্ণার স্বামী কল্যাণ রায়কে ‘জামাইবাবু’ মনে করতেন ঋতুপর্ণ। তাঁর সঞ্চালনায় তৈরি ‘ঘোষ অ্য়ান্ড কোম্পানি’তে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ঋতুপর্ণার সেই দিদি-জামাইবাবু। তখন ঋতুপর্ণকে কল্যাণ বলেছিলেন, “তোমার মনে পড়ে ঋতুপর্ণ, একটা ঘটনায় কথা আমরা খুব হেসেছিলাম।” তারপর কল্যাণই ফাঁস করেছিলেন, ঋতুপর্ণ নাকি প্রথম ছবির সাফল্যের পর, হলের বাইরে হাউজ়ফুল ঝুলতে দেখে এতই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন যে, এ কথাও বলেছিলেন প্রত্যেক দর্শকের বাড়িতে গিয়ে বাসন নিজে দিয়ে আসবেন। এই কথা শুনে পাশে বসে থাকা অপর্ণাও হেসে বলেছিলেন, “ও কিন্তু বাসন মাজতে খুব ভালবাসে।”

আজ আর ঋতুপর্ণ নেই। তাঁর অভাব তৈরি হয়েছে দর্শকের হৃদয়ে। দর্শক হল ভরালে আর কেউই বলবেন না, বাসন মাজব তোমার বাড়িতে গিয়ে। একটা শূন্যস্থান তৈরি করেছেন ঋতুপর্ণ।




ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল ছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। তাঁকে ভীষণই ভালবাসতেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁকে প্যাম্পারও করতেন ভীষণরকম। তেমনই এক শিক্ষিকা ফাঁস করলেন অনেক কিছুই। কেন তাঁর কাছে এসেই ঐশ্বর্য কাঁদলেন জানালেন সেই লাতাকা ম্যাম। ঠিক কোনও দুঃখ জাহির করেছিলেন ঐশ্বর্য, জানেন?

'আমার হচ্ছে না,' কাঁদলেন ঐশ্বর্য, সব সত্যি জানালেন তাঁরই এক শিক্ষিকা...
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।


ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। লেখাপড়ায় অসম্ভব ভাল ছিলেন তিনি। স্কুলজীবনে কোনওদিনও প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় স্থানে অবতীর্ণ হননি। চিরকালই ফার্স্ট গার্ল ছিলেন অভিনেত্রী। ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরিবারের সকলেই পড়ায় ভাল। বাবা বায়োলজিস্ট। দাদা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। ঐশ্বর্যরও পড়াশোনা নিয়েই থাকার কথা ছিল। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকার কথাই ছিল না। কিন্তু ঐশ্বর্যের অন্য প্ল্যানিং ছিল তাঁকে নিয়ে। ঐশ্বর্যরই এক শিক্ষিকা একটি ম্যাগাজ়িনে তাঁকে দিয়ে মডেলিং করালেন। এবং তারপরই জীবনটা পাল্টে গেল বিশ্বসুন্দরীর। মডেলিং থেকে মিস ওয়ার্ল্ড, তারপর অভিনয়–ঐশ্বর্যর উত্থান মনে রাখার মতো। তবে যশ-খ্যাতি-প্রতিপত্তি মানুষ ঐশ্বর্যকে কোনওদিনও পাল্টাতে পারেননি। বিশেষ করে তাঁর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।


ঐশ্বর্যকে ছোট থেকেই ভালবাসতেন তাঁর শিক্ষিকারা। হীরের মতো চকচকে দুটি চোখ নিয়ে অভিনেত্রী নানা কিছু জিজ্ঞাসা করতেন তাঁদের। তেমনই একটি ঘটনার কথা বর্ণনা করেছিলেন ঐশ্বর্যর এক টিচার। তাঁরা নাম লাতাকা। তিনি বলেছিলেন, “ঐশ্বর্য আমার অত্যন্ত প্রিয় ছাত্রী। হীরের মতো চোখ নিয়ে আমার কাছে এসে কাঁদত। কেন ও পারছে না বাকিদের মতো, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ত। বলেছিল, ‘আমার এটা হচ্ছে না, আপনি আমাকে আমাকে প্লিজ় দেখিয়ে দিন’। আমি দেখতে পাই ওর চোখ থেকে অশ্রুধারা বেয়ে আসছে।”

যে কাজের জন্য অনেকেই রাত জাগেন, শ্রীলেখা কোনওদিনও জাগেননি। তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন। দুশ্চিন্তায় জীবন কাটানো এক্কেবারেই না-পসন্দ এই অভিনেত্রীর। ঠিক কীসের কথা হচ্ছে বলুন তো? বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে  সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রীলেখা।

শ্রীলেখা মিত্র এই কাজের জন্য কোনওদিনও রাত জাগেননি, বলেছেন, 'বাকিরা কীভাবে জেগেছে, কে জানে?'
শ্রীলেখা মিত্র।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এখন দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন। কিন্তু তিনি উত্তর কলকাতার দমদমের মেয়ে। অগজ়িলিয়াম কনভেন্ট স্কুলে পড়তেন। ছোট থেকেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচণ্ড প্রিয় ছাত্রী ছিলেন অভিনেত্রী। সবসময় যে লেখাপড়ায় ভাল ফল করতেন, তা কিন্তু নয়। তবে নাচে-গানে, অন্যান্য ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটির কারণে মেতে থাকতেন ভীষণ। স্কুলজীবনে অভিনেত্রীর অজানা কিছু ঘটনার কথা  সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন শ্রীলেখা। বিশেষ করে লেখাপড়ায় কতখানি মন দিতেন…


লেখাপড়ায় ভালই ছিলেন শ্রীলেখা। কিন্তু কোনওদিনও বাড়াবাড়ি রকমের সিরিয়াস ছিলেন না। বলেছিলেন, “আমি কিন্তু সিরিয়াস ছিলাম না মাত্রাতিরিক্ত। অল্প পড়তাম, মাথা পরিষ্কার ছিল। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সায়েন্স নিয়েছিলাম। আমার বন্ধুবান্ধবরা রাত জেগে পড়ত। আমার অবাক লাগত। নিজেকে প্রশ্ন করতাম। ওরা এত কী পড়ে…”

তারপরই শ্রীলেখা ব্যক্ত করেছিলেন কিছু কথা। স্কুলের পরীক্ষার সময় হলে গিয়ে দেখতেন, সক্কলের চোখ-মুখ ছোট হয়ে গিয়েছে। চোখের তলায় কালিও পড়েছে কারও-কারও। ভাবতেন, এত কীসের দুশ্চিন্তা। অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি, “আমি কোনওদিনও রাত জেগে পড়িনি। আমার সহপাঠী এবং বন্ধুরা সক্কলে রাত জাগত। আমি বুঝেই উঠতে পারতাম না, পরীক্ষার আগের দিন কীসের এত পড়া।”

গুয়াহাটির আকাশে পৌঁছলেও এমন ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির দাপট শুরু হয়, বিমান নিয়ন্ত্রণে রাখাই কার্যত মুশকিল হয়ে পড়ে। এই প্রতিকূল ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপটের কারণে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করতে পারেনি। রাত তখন ৯টা ২১। কলকাতা বিমানবন্দরে সেই বিমান অবতরণ করানো হয়।

মাঝ আকাশে বিমান, উঠল ঝড়! কলকাতা বিমানবন্দরই হল ত্রাতা
প্রতীকী ছবি।


কলকাতা: মাঝ আকাশে বিমান। এদিকে এমন ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে বিমান অবতরণই করতে পারল না গন্তব্যে। বাধ্য হয়ে গুয়াহাটির বদলে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করাতে হয়। রবিবার বাগডোগরা থেকে গুয়াহাটিগামী বিমানটিকে ঘুরিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।


বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এদিন রাতে স্পাইসজেটের এসজি ৩৪৫৪ বিমান ৮৩ জন যাত্রী (যার মধ্যে ২ জন শিশু ছিল), ৪ জন কেবিন ক্রু নিয়ে বাগডোগরা থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে উড়ান নেয়।


গুয়াহাটির আকাশে পৌঁছলেও এমন ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির দাপট শুরু হয়, বিমান নিয়ন্ত্রণে রাখাই কার্যত মুশকিল হয়ে পড়ে। এই প্রতিকূল ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপটের কারণে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করতে পারেনি। রাত তখন ৯টা ২১। কলকাতা বিমানবন্দরে সেই বিমান অবতরণ করানো হয়।

রচনা এ কথা শুনে হেসে লুটিয়ে পড়েন। তিনি বলেন, "ও চায় সবাইকে নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু সেটা তো হবে না। দিদির প্রভাব এতটাই পশ্চিমবঙ্গে, তাঁর প্রভাবের উপর কারও প্রভাব চলতে পারে না। আর ভোটের সময় অনেকে অনেক কথা বলবে, প্ররোচিত করার চেষ্টা করবে। এরকম দিনে অনেক কথাই বলবে।"

Rachana-Locket: 'রচনা বিজেপিতে আসবেন', লকেটের কথা শুনে কী বললেন 'দিদি নম্বর ওয়ান'?
লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুগলি: ভোটের সকালে বিস্ফোরক দাবি বিজেপির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। লকেট হুগলির বিজেপি প্রার্থী, অন্যদিকে রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সোমবার লকেট ভোটের হালহকিকতের খোঁজ নিতে বেরিয়ে বলেন, বিজেপিতে আসতে হবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


লকেট বলেন, “উনি নতুন উনি জানেন না ওনার আশেপাশে কত চোর ডাকাত ঘুরে বেড়াচ্ছে। উনি হঠাৎ করে এসে গিয়েছেন। আশা করি এই নির্বাচনের পর উনি আর তৃণমূলের দিকে ফিরে দেখবেন না। যদি উনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চান তাহলে বিজেপির হাতই ধরতে হবে।” লকেটের সংযোজন, “এটা দিদি নম্বর ওয়ানের উপর ভোট নয়, কোরাপশন নম্বর ওয়ানের উপর ভোট। কোরাপশন নম্বর ওয়ানকে হঠানোর ভোট এটা।”


যদিও রচনা এ কথা শুনে হেসে লুটিয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “ও চায় সবাইকে নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু সেটা তো হবে না। দিদির প্রভাব এতটাই পশ্চিমবঙ্গে, তাঁর প্রভাবের উপর কারও প্রভাব চলতে পারে না। আর ভোটের সময় অনেকে অনেক কথা বলবে, প্ররোচিত করার চেষ্টা করবে। এরকম দিনে অনেক কথাই বলবে।”

সকালে ভোট পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন অর্জুন সিং। অভিযোগ তখন একদল যুবক তাঁকে রাস্তায় ঘিরে ধরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর জল গড়ায় আরও অনেক দূর।

অর্জুন সিং-কে চমকাচ্ছেন, 'বাড়াবাড়ি করিস না, কী করবি? কিচ্ছু করতে পারবি না....', বারাকপুরের বুকে এ কোন 'বনি'?
কে এই বনি?


বারাকপুর: ভোটে তপ্ত বারাকপুর। অর্জুন সিং-কে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মহিলা বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন অর্জুন সিং। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সংবাদমাধ্যমের সামনেই অর্জুন সিংকে হুমকি দিতে দেখা গেল এক যুবককে। উল্লেখ্য এই যুবকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছিলেন অর্জুন। আর তা শোনা মাত্রই ওই যুবক ক্যামেরার সামনেই অর্জুনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন।


সকালে ভোট পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন অর্জুন সিং। অভিযোগ তখন একদল যুবক তাঁকে রাস্তায় ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর জল গড়ায় আরও অনেক দূর। অভিযোগ ওঠে, এক মহিলা কর্মী ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁর ওপরেও হামলা হয়। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এরপর ওই এলাকায় এসে পৌঁছন অর্জুন সিং। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও সেখানে ছিলেন। পরিস্থিতি এমন হয়, যে রাস্তার এক প্রান্তে অভিযুক্ত, আরেক প্রান্তে অর্জুন সিং। এক জন আরেক জনের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। তাঁদের আটকাচ্ছেন অনুগামীরা। অভিযুক্তের সামনে দাঁড়িয়েই অর্জুন সিং বলতে থাকেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। ভোট দিতে যাচ্ছিল মেয়েটাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। ও একটা ক্রিমিন্যাল। পরিচিত ক্রিমিন্যাল। আমাকে থ্রেট দিচ্ছে।”


অর্জুন একথা বলা মাত্রই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন ওই যুবক। তিনি বলতে থাকেন, “কোন মহিলাকে আমি মেরেছি বলুন। আমি ক্রিমিন্যাল? কে বলছে আমাকে ক্রিমিন্যাল? অর্জুন সিং আমার নাম বনি। আমি বনি। কী করবি? কিচ্ছু করতে পারবি না। বাড়াবাড়ি করিস না। একদম বাড়াবাড়ি করবি না।” ঘটনাকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে পুলিশ।

ঘটনাটি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বনগাঁ ৯৫/ ২৬৩ নম্বর বুথের ঘটনা। সেখানকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। সেই সময় হঠাৎ করেই মহিলাদের সঙ্গে নাকি অশ্লীল ব্যবহার করেন রাজ্য পুলিশের এক কর্মী।

মহিলাদের 'গালিগালাজ',রাজ্য পুলিশের আধিকারিকের বিরুদ্ধে নালিশ বিশ্বজিতের
বিশ্বজিৎ দাস, তৃণমূল প্রার্থী


বনগাঁ: বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরলেন দলেরই কর্মী সমর্থকরা। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরা। জানালেন, মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেছেন রাজ্য পুলিশেরই এক কর্মী। বিষয়টি শুনেই ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল প্রার্থী।


ঘটনাটি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বনগাঁ ৯৫/ ২৬৩ নম্বর বুথের ঘটনা। সেখানকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। সেই সময় হঠাৎ করেই মহিলাদের সঙ্গে নাকি অশ্লীল ব্যবহার করেন রাজ্য পুলিশের এক কর্মী। তাঁদের গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানার পরই বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান তিনি।

বিশ্বজিৎবাবু সাংবাদিকদের জানান, “সকলের বাড়িতেই মা-বোন থাকেন। আমাদের কর্মীরাই অভিযোগ করেছেন মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন তিনি। আমি অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছি। অশোভন আচরণ করা ঠিক নয়। একজন কর্তব্যরত পুলিশ মহিলাদের গালিগালাজ করেছেন। ওনাকে আচার-আচরণ ঠিক করতে হবে।”


আইটিবিপি জওয়ানকে গাছে বেঁধে ফেলেন গ্রামের লোকেরা। ব্য়াপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জওয়ানের সঙ্গে আরও তিনজন আইটিবিপি জওয়ান ছিলেন, তাঁদেরও সরানো হয় বলে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে।

ভোটের ডিউটিতে এসে শ্লীলতাহানি, আইটিবিপি জওয়ানকে পেটাল গ্রামবাসী
প্রতীকী ছবি


হুগলি: জাঙ্গিপাড়ায় মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ) জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে বেঁধে রেখে গ্রামবাসীরা ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে স্থানীয় এক হাইস্কুলে ভোটের ডিউটিতে ছিলেন ওই জওয়ান। সেখানেই গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন।


চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন অভিযোগকারী। এরপরই আইটিবিপি জওয়ানকে গাছে বেঁধে ফেলেন গ্রামের লোকেরা। ব্য়াপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জওয়ানের সঙ্গে আরও তিনজন আইটিবিপি জওয়ান ছিলেন, তাঁদেরও সরানো হয় বলে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে।


অন্যদিকে উলুবেড়িয়ায় ভোটের ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানকে সরাল নির্বাচন কমিশন। বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসএফ জওয়ানকে সরাল কমিশন।


সকাল থেকেই ভিড় ছিল রাস্তাঘাটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী রোড-শো শুরু করতেই চারিদিক থেকে পুষ্পবৃষ্টি হয়।


 'পরিবর্তনের হাওয়া বইছে', পুরীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর 
রোড-শোয়ে জনসমুদ্র
পুরীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


গলির মোড় থেকে বড় রাস্তা। চতুর্দিকে থিকথিকে ভিড়। পা রাখার জায়গা নেই জগন্নাথ ধামে। নাহ, রথযাত্রা নয়, পুরীতে জনজোয়ার নামল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড-শোতে। সোমবার ওড়িশার পুরীর মন্দিরের সামনেই গ্রান্ড রোড ধরে রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সকাল থেকেই ভিড় ছিল রাস্তাঘাটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী রোড-শো শুরু করতেই চারিদিক থেকে পুষ্পবৃষ্টি হয়। বিজেপি প্রার্থী সম্বিত পাত্র ও বিজেপি বিধায়ক জয়ন্ত সারাঙ্গির হয়ে প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মারচিকোট চক থেকে রোডশো শুরু হয়।



২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক তাপস সাহা বলেন, "ভোট হয়ে গিয়েছে এখানে। সকলেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখনও এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে। আমরা তো সব জেনে গিয়েছি, কী করে ওরা। 

সন্দেশখালির কয়াল তো বলেছেন হাজার হাজার টাকা মদের খরচ দেয় বুথে বুথে। কিছু এখানকারও আছে। বিজেপির টাকা নিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছে। আমরা উপযুক্ত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক সেটাই চাই।"

গোবর লেপে দিয়েছে তৃণমূলের পোস্টারে, হইচই দুর্গাপুরে
এভাবেই নষ্ট করা হয়েছে পোস্টার।

দুর্গাপুর: ভোটের দিন বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট মিটলেও অশান্তি চলছেই। আসছে নানারকমের অভিযোগও। এবার দুর্গাপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সারদাপল্লিতে তৃণমূলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে এলাকায় একাধিক পোস্টার লাগানো ছিল। সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পোস্টারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। সেখানে গোবর দিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তৃণমূলের। পাল্টা বিজেপির দাবি, এসব তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।


২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক তাপস সাহা বলেন, “ভোট হয়ে গিয়েছে এখানে। সকলেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখনও এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে। আমরা তো সব জেনে গিয়েছি, কী করে ওরা। সন্দেশখালির কয়াল তো বলেছেন হাজার হাজার টাকা মদের খরচ দেয় বুথে বুথে। কিছু এখানকারও আছে। বিজেপির টাকা নিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছে। আমরা উপযুক্ত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক সেটাই চাই।”


তবে বিজেপি কোনওভাবেই এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং বর্ধমান দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি এই ধরনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। আসলে আমাদের একের পর এক ওয়ার্ডে লিড হবে বুঝে ওরা ভয় পাচ্ছে। আর তৃণমূলের ওখানে দু’টো গোষ্ঠী যারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, নিজেরাই নেত্রীর ছবিতে গোবর দেয়, পোস্টার ছেঁড়ে। এসব করে ওরা বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিয়ে বিজেপিকে বদনামের চেষ্টা করে। তবে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুরের প্রতিটা বুথেই লিড পাবেন। হারের ভয়ে গোষ্ঠীকোন্দল করে এসব করছে।”


চা বাগানের শ্রমিকদের এমনিই দুর্দশা বারোমাসের। অভাব অনটনের সংসার। দু'পয়সা রোজগারের আশায় অনেক সময়ই ভুল পথে পা বাড়ি ফেলেন কেউ কেউ। অনেক নাবালিকাকে দেওয়া হয় কাজের টোপ। তারাও বাড়িতে না জানিয়েই বেরিয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।


ট্রেনের কামরায় পুলিশে ছয়লাপ, নাবালিকার চোখে চোখ পড়তেই রহস্য ভেদ!
রেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক।


জলপাইগুড়ি: কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লিতে এক নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। অসমের এক চা শ্রমিকের মেয়েকে দিল্লিতে কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের আরপিএফের স্পেশাল টিম। শুক্রবার সকালে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেল থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চা বাগানের শ্রমিকদের এমনিই দুর্দশা বারোমাসের। অভাব অনটনের সংসার। দু’পয়সা রোজগারের আশায় অনেক সময়ই ভুল পথে পা বাড়ি ফেলেন কেউ কেউ। অনেক নাবালিকাকে দেওয়া হয় কাজের টোপ। তারাও বাড়িতে না জানিয়েই বেরিয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।

এরকমই এক ঘটনা শুক্রবার ঘটে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি দিল্লিতে কাজ করেন। সেখানেই নিয়ে যাচ্ছিলেন নাবালিকাকে। তিনি বলেন, “মেয়েটা আমাকে বলেছিল মা বাবাকে জানিয়েছে। আমি দিল্লিতে কাজ করি। ওকেও কাজের জন্যই নিয়ে যাচ্ছিলাম। লোকের বাড়িতে ঘর মোছা, বাসন মাজার কাজ করবে বলে নিয়ে যাচ্ছিলাম।”


জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থানার পুলিশ আধিকারিক বিপ্লব দত্ত বলেন, “আমরা আমাদের এলাকার মধ্যে সবসময় সতর্কতামূলক প্রচার করি। তারপরও এরকম ঘটনা কখনও কখনও ঘটে যায়। আমরা যতটা পারি সবসময় যাত্রীকে সহযোগিতা করি। একটাই কথা বলার কাজের জন্য বা টাকার লোভে কোথাও যাওয়ার আগে একবার খোঁজ করে যান। আর বাড়ির লোককে জানিয়ে যান।”

ডিপ্রেশনে থেকেও জয়ী হওয়া এক জলন্ত উদাহরণ গায়িকা ইমন চক্রবপর্তী। একটা সময় অসম্ভব খারাপ সময় দিয়ে গিয়েছেন এই গায়িকা। তাঁর জীবনের ঘটে যায় একের পর-এক বিপর্যয়। সবটাকে জয় করেছেন ইমন। কিন্তু কেন এত 'নিম্নচাপ' ছিল গায়িকার? কেন তিনি জীবনের যবনিকা পতন ঘটাতে চেয়েছিলেন?

ইমনের সুইসাইড নোট! লেখেন, 'আজই আমার শেষ দিন...'


২০১৬ সালে ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বাঙালি গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম গান। সবচেয়ে অল্প বয়সে প্রথম ছবিতে গান গেয়েই পুরস্কার পাওয়া ইমনের এটা একটা বিরাট বড় কৃতিত্ব। গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায় তাঁকে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ‘প্রাক্তন’ ছবিতে। তাঁর আগেও ইমন গান গাইতেন। গানের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখান থেকেই ইমনের গান শুনে তাঁকে ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন অনুপম। হাতের চাঁদ পাওয়ার মতো বিষয় ছিল ইমনের কাছে। ছুট্টে গিয়েছিলেন রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে। তারপর বাকিটা ইতিহাস। গানটি ছিল ‘তুমি যাকে ভালবাসো’। গানটি এত সুন্দর গেয়েছিলেন ইমন যে, তাঁকে লহমায় সকলে ভালবাসতে শুরু করে দেন। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি গায়িকাকে। কিন্তু এই ইমনের জীবনটাই ছিল কাঁটায় পরিপূর্ণ। একবার একটি মোটিভেশনাল মঞ্চে এসে জীবনের কালো অধ্যায় সম্পর্কে অকপট কিছু কথা বলেছিলেন ইমন। নিয়মিত সুইসাইড নোট লিখতেন তিনি। নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এই গায়িকা।

২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইমনের জীবনে ঘটে যায় বিরাট ভূমিকম্প। মাকে তিনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। সেই মা হঠাৎ চলে যান ইমনের জীবন থেকে। মা চলে যাওয়ার পর থেকে ইমনের জীবন হয়ে ওঠে কাঁটায় পরিপূর্ণ। মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, মেয়েকে সকল কটাক্ষ থেকে রক্ষা করেছিলেন। বাড়িতে বসে ইমন যখন ঘণ্টার পর-ঘণ্টা গানের রেওয়াজ করতেন, পাড়া-প্রতিবেশীরা বলতেন, “কন্যা কি লতা মঙ্গেশকর হবে, সারাক্ষণ হা হা গান করে।” বাবা-মা এবং যৌথ পরিবারের সকল সদস্য তাঁকে সব কটাক্ষ থেকে রক্ষা করেছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর বাস্তবের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইমন। বন্ধুবান্ধব, এমনকী ইমনের তৎকালীন প্রেমিকও হাত ছেড়ে দিয়েছিলেন। ব্রেকআপ হয়েছিল গায়িকার। ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন ইমন। ডাইরির পাতা খুলে নিয়মিত সুইসাইড নোট লিখতে। লিখতেন, “আজই আমার শেষ দিন। এই মুহূর্তটা আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত।”




আইপিএলের ১৭তম মরসুম শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এখন থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরা টুর্নামেন্টের হাইভোল্টেজ ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছেন। ৯ জুন সেই মহারণ। তার আগে ফের হাজির বিশ্বকাপের সময় সেই বহু জনপ্রিয় মওকা মওকা ভিডিয়ো। এ বার রয়েছে বিশেষ চমক।


 পাক ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের সমর্থক! কারণ জানলে হাসি পাবেই...
 পাক ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের সমর্থক! কারণ জানলে হাসি পাবেই...

টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন একাধিক ক্রিকেট প্রেমী। শিয়রে কড়া নাড়ছে আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্ট। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আগেই এক পাক ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের সমর্থক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। অনেকেই ভাবতে পারেন, পাকিস্তানি ভক্তর কাছে ক্ষমা কি সত্যিই চেয়েছেন ভারতের এক সমর্থক? হ্যাঁ এটাই সত্যি। ভিডিয়ো না দেখলে আপনারও বিশ্বাস হবে না।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম মরসুম শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এখন থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরা টুর্নামেন্টের হাইভোল্টেজ ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছেন। ৯ জুন সেই মহারণ। তার আগে ফের হাজির বিশ্বকাপের সময় সেই বহু জনপ্রিয় মওকা মওকা ভিডিয়ো। যা নিয়ে আলোচনা চলে ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে মুখে।


সবই তো হল, কিন্তু পাক সমর্থকের কাছে কেন ক্ষমা চাইলেন ভারতের ভক্ত? এ বার সেই বিষয়ে আসা যাক। স্টার স্পোর্টসের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে একটি ১ মিনিটের ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে ভারতের সমর্থক হিসেবে দেখানো হয়েছে রতন নামের এক ব্যাক্তিকে। আর পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে দেখানো হয়েছে আলতাফ নামের এক সমর্থককে।

ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ভারতের রতন কখনও পাকিস্তানের আলতাফকে ধোনির জার্সি উপহার হিসেবে পাঠান। কখনও আবার টিভি ভাঙার জন্য হাতুড়ি উপহার পাঠান। কখনও আবার নুন পাঠান (ওই যে কথায় বলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে— তার জন্য)। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তান হারায়। যার ফলে স্কোর দাঁড়ায় ভারতের পক্ষে ৫-১। সেই সময় পাক সমর্থককে এক বাক্স বাজি পাঠান ভারতের ফ্যান। পরের বছর ফের ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ব্যাটে ভর করে জেতে। তাই ২০২২ সালে পাক ভক্তকে ছোলে-ভাটুরে পাঠান ভারতের ফ্যান।


এ বার বিশ্বকাপের আগে আলতাফকে একটি চিঠি পাঠান রতন। সেখানে লেখেন, ‘অনেক ছেলেমানুষি হয়েছে। দেখা করতে চলে এসো। আমি ক্ষমা চাইব। সময় খুব কম।’ এরপর দেখা যায় জিনিস পত্র প্যাক করে রতনের বাড়িতে হাজির আলতাফ। এসেই তিনি রতনকে সরি বলতে বলেন। রতন সরি বলেও দেন। সেই সময় আলতাফ বলেন, ‘ঠিক আছে যা হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা করলাম।’ সঙ্গে সঙ্গে রতন বলেন, ‘না না আমি ক্ষমা চাইলাম যেটা হতে চলেছে তার জন্য। ৯ জুন রে…।’ এরপর রতন খুশিতে নাচতে থাকেন, যা থেকে বোঝা যায় তিনি বলতে চাইছেন, আসন্ন বিশ্বকাপেও ভারত মাত দিতে চলেছে পাকিস্তানকে।

আইপিএল 2024: রোহিত ভরসা দিলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা স্কাই ফিরলেন খালি হাতেই। তিন বল স্থায়ী হয় তাঁর ইনিংস। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে ২ ওভারে দেন ২৭ রান। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টেই হার্দিকের যা পারফরম্যান্স, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে ফর্মে ফিরবেন তো? এই প্রশ্নটাই যেন ঘুরছে।

হার দিয়ে মরসুম শেষ মুম্বইয়ের, বিশ্বকাপের আগে দেশের প্রাপ্তি হিটম্যান শো
হার দিয়ে মরসুম শেষ মুম্বইয়ের, বিশ্বকাপের আগে দেশের প্রাপ্তি হিটম্যান শো


কলকাতা: সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup)। মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। জটিল অঙ্কে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দু-দলের কাছেই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা ছিল শুধুই মর্যাদার। তবে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা প্লেয়ারদের কাছে এটি প্রস্তুতি ম্যাচের মতোই। শেষ ম্যাচে ১৮ রানের জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG)। মুম্বইয়ের প্রাপ্তি নমন ধীরের মতো তরুণ ব্যাটারের অনবদ্য ইনিংস। ভারতের প্রাপ্তি হিটম্যান শো।

ওয়াংখেড়েতে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর কাছে হতাশার মরসুম। নানা দিক থেকেই। শেষ মুহূর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন। আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম জার্সি গায়ে চাপিয়ে বলতে পেরেছিলেন, ঘরের ফেরার অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। হার্দিককে মন থেকে যেন স্বাগত জানাতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সমর্থকরা। নানা ম্যাচেই বিদ্রুপের সামনে পড়তে হয়েছে। তাঁর কাছে সুযোগ ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বে সকলের মন জেতার। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

বোলিংয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। ১০ ওভারের মধ্যেই ৬৯ রানে প্রতিপক্ষের তৃতীয় উইকেট নেওয়া ভালো দিক। যদিও ১৫ ওভারের পর ইনিংসের রূপ বদলে দেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। নিকোলাস পুরান আরও একটা অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল হাফসেঞ্চুরি করলেও ইনিংসের গতি বাড়াতে পারেননি। পুরান মাত্র ২৯ বলে ৭৫ রান করেন। শেষ অবধি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২১৫ রানের বিশাল টার্গেট দেয় লখনউ।


মুম্বই বোলিং লাইন আপে এই ম্যাচে বদল হয়েছিল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় জসপ্রীত বুমরাকে। তাঁর পরিবর্তে বাঁ হাতি পেসার অর্জুন তেন্ডুলকর মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেললেন। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছিলেন সচিনপুত্র। কিন্তু স্লগ ওভারে অস্বস্তিতে পড়লেন। রান আপেই অস্বস্তিতে দেখায়। দুটো ডেলিভারি, নিকোলাস পুরান পরপর দুটি ছয় মারেন। চোটের জন্য ওভার সম্পূর্ণ করতে পারেননি।

বোর্ডে ২১৫ রানের টার্গেট। ব্যাটিং কম্বিনেশনেও বদল আনে মুম্বই। রোহিতের ওপেনিং পার্টনার ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স। এ মরসুমে একটি সেঞ্চুরি ছিল। বাকি ম্যাচে ছন্দে দেখায়নি। বিশ্বকাপের আগে জ্বলে উঠলেন হিটম্যান। মাত্র ৩৮ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৭৯! শুধু তাই নয়, ১০টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছয়।

রোহিত ভরসা দিলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা স্কাই ফিরলেন খালি হাতেই। তিন বল স্থায়ী হয় তাঁর ইনিংস। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে ২ ওভারে দেন ২৭ রান। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টেই হার্দিকের যা পারফরম্যান্স, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে ফর্মে ফিরবেন তো? এই প্রশ্নটাই যেন ঘুরছে।


প্রথমে আসা যাক অঙ্কে। চেন্নাই সুপার কিংসের রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১২ পয়েন্ট। দু-দলেরই শেষ ম্যাচ। চেন্নাই জিতলে তারাই প্লে-অফে যাবে। আরসিবি জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। অর্থাৎ চেন্নাইয়ের সমান। এখানেই নেট রান রেটের অঙ্ক। 

অঙ্ক, বিরাট-আবেগের ম্যাচে 'মাহি'ন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা; আশঙ্কা আবহাওয়া


কোন বিষয়টা নিয়ে বেশি লেখা উচিত! অঙ্ক, আবেগ নাকি আবহাওয়া? এই তিনটেই আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুম এক শেষ পর্বে। লিগের শেষ ধাপ চলছে। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই সুপার কিংস। এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল দক্ষিণী ডার্বি দিয়েই। চেন্নাইয়ের মাঠে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সুপার কিংস। এ বার ফিরতি ম্যাচ। প্লে-অফের দৌড়ে ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনালও বলা যায়।


প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে কেকেআর। প্লে-অফে আরও দুটি দল রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বাকি রয়েছে একটি মাত্র স্পট। দৌড়ে রয়েছে দুটি দল। চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর এই ম্যাচই ঠিক করে দেবে প্লে-অফে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখা যাবে নাকি বিরাট কোহলিকে। আশঙ্কা আবহাওয়াও।

প্রথমে আসা যাক অঙ্কে। চেন্নাই সুপার কিংসের রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১২ পয়েন্ট। দু-দলেরই শেষ ম্যাচ। চেন্নাই জিতলে তারাই প্লে-অফে যাবে। আরসিবি জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। অর্থাৎ চেন্নাইয়ের সমান। এখানেই নেট রান রেটের অঙ্ক। সিএসকের নেট রান রেট +0.528। অন্য দিকে, আরসিবির নেট রান রেট +0.387। ফলে আরসিবিকে শুধু জিতলেই হবে না, নেট রান রেটেও ছাপিয়ে যেতে হবে চেন্নাই সুপার কিংসকে। এই অঙ্কটাই বলা প্রয়োজন।


চেন্নাইয়ের নেট রান রেট ছাপিয়ে যেতে আরসিবিকে অন্তত ১৮ রানের ব্যবধানে (ধরা যাক আরসিবি ২০০ রান করল) জিততে হবে। ধরা যাক আরসিবিকে রান তাড়া করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ১৮ ওভারের মধ্যেই রান তাড়া করে জিততে হবে। খুবই কঠিন অঙ্ক। সব কিছুর হিসেব মিলবেই, বলা যায় না। এ বার আশঙ্কার কথায় আসা যাক। বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়? ম্যাচ না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেবে চেন্নাই সুপার কিংস। আর ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এ বারের মতো মরসুম শেষ করবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এ বার আবেগ প্রসঙ্গ। মাহি-রাট। এটাই কি শেষ সাক্ষাৎ হতে চলেছে? মহেন্দ্র সিং ধোনি সরকারি ভাবে জানাননি, এটাই তাঁর শেষ আইপিএল। তবে মরসুমের শুরুতেই নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া, পুরনো লুকে ফেরা অনেক ইঙ্গিত বহন করে। হতেই পারে, চেন্নাই সুপার কিংস ছিটকে গেলে ধোনি ঘোষণা করে দিলেন, এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল! ধোনি সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করেন। এমন সারপ্রাইজ হয়তো কোনও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীই চাইবেন না। কিন্তু মাহিকে বোঝা কঠিন।

চারিদিকে তাই আবেগের আবহ। এই ম্যাচ নিয়ে নানা হাইপ। তা একেবারেই ফেলনা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পারেন, হাঁটতে পারেন। তবে এক টিমে আর তাঁদের দেখা যাবে না। প্রতিপক্ষ হিসেবেও যদি শেষ ম্যাচ হয়? আশঙ্কা তো এটাও! আর এমন একটা মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর প্রার্থনা যেন মাহি মারুক, প্লে-অফে পৌঁছক বেঙ্গালুরু। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সৌজন্যে যেমন প্রথম ট্রফি এসেছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিটাও আসুক কিং কোহলির হাতে। তার জন্য আবেগ, অঙ্ক এবং আশঙ্কার এই ম্যাচ যে জিততেই হবে!

আগামী ২০ মে (সোমবার) বিকেল পাঁচটার মধ্যে শোকজ় নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, সেই বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে।


বিপাকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! মমতাকে নিয়ে 'কুমন্তব্যের' অভিযোগে পদক্ষেপ কমিশনের
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ় নোটিস পাঠাল কমিশন। আগামী ২০ মে (সোমবার) বিকেল পাঁচটার মধ্যে শোকজ় নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, সেই বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে।


আগামী ২৫ মে ভোট রয়েছে তমলুকে। ভোটের ঠিক মুখে এই শোকজ নোটিসের জেরে বিপাকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, শোকজ়ের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে শোকজ় নোটিসে এও বলা হয়েছে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীর থেকে কোনও জবাব না আসে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে এই বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু বলার নেই। সেক্ষেত্রে কমিশন নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা পদক্ষেপ করতে পারে।


উল্লেখ্য, গত ১৫ মে হলদিয়ার এক জনসভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সেই নিয়ে গতকালই কমিশনের অফিসে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল শিবির। সেই অভিযোগ প্রাপ্তির পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। শোকজ় নোটিস পাঠানো হল তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। নির্বাচন কমিশন সঙ্গে এও জানিয়েছে যে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করে প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে ওই মন্তব্য আপত্তিকর এবং আদর্শ আচরণবিধি ও কমিশনের অ্যাডভাইজরির পরিপন্থী।


এসব দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যাপারে ওড়িশা পথিকৃত্‍। সে রাজ্যের কাজ দেখে শেখার মতো। মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড়ের নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়ায়, অনেক আগেই লোকজনকে নিরাপদে সরানোর সুযোগ পাওয়া যায়। এই কাজটা সুচারু ভাবে করে ওড়িশা সরকার। ফলে প্রবল প্রতাপশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও ওড়িশায় মৃতের তালিকা কখনই লম্বা হয় না।

এ বছর বজ্রপাতে ৩০ জনের মৃত্যু বাংলায়, পূর্বাভাস নিয়ে প্রচারে খামতিই কি দায়ী?
প্রতীকী চিত্র।


 বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। এর আগে ৬ মে-র দুর্যোগেও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। যার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু বজ্রপাতে। দু’দিনই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জরুরি প্রশ্ন হল, দুর্যোগের আগে রাজ্য সরকার কাজের কাজটা কি করেছিল? গ্রীষ্মকালে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টি নামে, ঝড় ওঠে। বজ্রগর্ভ মেঘে বাজ পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। উল্লম্ব বজ্রগর্ভ মেঘ যত উঁচু হবে, তত বেশি বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা। বছর বছর বজ্রপাত বাড়ছে কি না, সেটা মৌসম ভবন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বিষয়। গবেষণা করলে উত্তর পাওয়া যাবে। কিন্তু বজ্রপাতে মৃত্যু যে বাড়ছে, সেটা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। চলতি মাসেই অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু বাংলায়। চলতি বছরে সংখ্যাটা অন্তত ৩০। এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুন একদিনেই বজ্রপাতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। এটা পরীক্ষিত সত্য, আজকাল ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে বজ্রপাত, ঝড়-বৃষ্টিতে মৃত্যু অনেক বেশি।


ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু কমানো গেলে, বজ্রপাতে তা সম্ভব হচ্ছে না কেন? খামতি কোথায়?

ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখলে অন্তত ৫ দিন আগে থেকে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের আশঙ্কায় হলুদ, কমলা সতর্কতা জারি করে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের কাজ পূর্বাভাস জানানো। এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, গত কয়েক বছরে হাওয়া অফিসের সেই কাজে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি হয়নি। রাজ্য সরকারের, বিশেষ করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাজ, সেই পূর্বাভাস সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা। বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করা।


কী করবেন, কী করবেন না, সেটা বলাও কাজ রাজ্যের এবং সেটা বারবার বলা। গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি গ্রামাঞ্চলে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু হয় চাষের জমিতে। চাষের কাজ বা গরু-ছাগল চরাতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মৃত্যু। ৬ মে রাজ্যে যে ৯ জন বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন, তারাও জেলার। পূর্ব বর্ধমানের পাঁচ জন, ২ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার বাসিন্দা। গতকাল যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের ১১ জন মালদহের, একজন মুর্শিদাবাদের, একজন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। জেলায় জেলায় কি সচেতন করার কাজটা করেছিল রাজ্য প্রশাসন?

এটা একদিনের অভ্যাস নয়। বছরভরের পরিকল্পনায় থাকা উচিত। পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই কি? এই যে মার্চের শেষে ময়নাগুড়িতে ঝড়-বৃষ্টিতে চার জনের মৃত্যু হল। তখনও এই প্রশ্নটা উঠেছিল। সে সময় টর্নেডোর পূর্বাভাস হয়তো ছিল না। সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি, কালবৈশাখীর পূর্বাভাস ছিল। সেই সময় সাবধানে থাকার কথা কি বিশেষ ভাবে প্রচার করেছিল রাজ্য সরকার? করলে হয়তো একটা বা দুটো প্রাণহানি এড়ানো যেত।

এসব দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যাপারে ওড়িশা পথিকৃত্‍। সে রাজ্যের কাজ দেখে শেখার মতো। মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড়ের নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়ায়, অনেক আগেই লোকজনকে নিরাপদে সরানোর সুযোগ পাওয়া যায়। এই কাজটা সুচারু ভাবে করে ওড়িশা সরকার। ফলে প্রবল প্রতাপশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও ওড়িশায় মৃতের তালিকা কখনই লম্বা হয় না। অথচ বাংলায় আমপানে কিন্তু অন্তত একশো জনের মৃত্যু হয়েছিল। কোথাও তো খামতি রয়েছে! সাধন পাণ্ডে মন্ত্রী থাকাকালীন সবাইকে ক্রেতাসুরক্ষা দফতর চিনিয়ে দিয়েছিলেন। এই দফতরটাও যে আছে, এটাই অনেকে জানত না। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও যে আছে, সেটা বোঝানোর দায় বা দায়িত্ব কি সরকার নিতে পারে না?

বজ্রাঘাত থেকে বাঁচতে কী করবেন? কয়েকটা প্রাথমিক উপায় জেনে রাখা ভাল

এক, আবহাওয়া খারাপ হতে দেখলেই কংক্রিটের আস্তানায় ঢুকে পড়তে হবে।

দুই, বিদ্যুতের ঝলক দেখা আর শব্দ শোনার মধ্যে যদি ৩০ পর্যন্ত গুনতে না পারেন, তাহলে অন্তত ৩০ মিনিট বাইরে বেরোবেন না। এর মানে আরও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

তিন, গাছ বা উঁচু রডের নীচে, খোলা মাঠে, নৌকায়, পাহাড়ের মাথায় বা সৈকতে নয়

চার, পাইপবাহিত জল, জানালার রড, এমন বিদ্যুত্‍ পরিবাহী কিছু স্পর্শ করবেন না।

আশপাশে বজ্রপাতের আশঙ্কা কতটা, মৌসম ভবনের দামিনী অ্যাপে প্রতি মুহূর্তের তথ্য দেয়।

নিজে শিখুন, অন্যকেও সেখান। না হলে বৃষ্টির স্বস্তির মধ্যে বজ্রপাতের প্রাণ কাড়ার ঘটনা চলতেই থাকবে।

বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা যখন ঘাটকোপার দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় দমকা হাওয়ায় উপর থেকে ২৫০ টনের বিশালাকার বিলবোর্ডটি তাদের গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার ৫৬ ঘণ্টা পরে, বুধবার বিলবোর্ডের নীচ থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়।


ঘণ্টার পর ঘণ্টা শশ্মানে বসে কার্তিক আরিয়ান, পরিবারের একসঙ্গে দুই সদস্যকে হারালেন
কার্তিক আরিয়ান।

 দমকা হাওয়া, ঝড় উঠতেই ভেঙে পড়েছিল বিশাল বিলবোর্ড। আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৬ জনের। সোমবার বিকেলে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে বিশাল ১২০ x ১২০ ফুটের যে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে, তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্য়ু হয়েছে বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের দুই আত্মীয়েরও। তাঁদের শেষকৃত্য়ে দেখা যায় কার্তিক আরিয়ানকে।


জানা গিয়েছে, কার্তিক আরিয়ানের কাকা মনোজ চানসোরিয়া ও কাকি অনিতাও মুম্বইয়ের ভেঙে পড়া বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। গত ১৩ মে তাঁরা মুম্বই থেকে জব্বলপুরে ফিরছিলেন। ছেলে আমেরিকায় থাকে, তাঁর কাছে যাওয়ার জন্যই ভিসা করাতে মুম্বইয়ে এসেছিলেন দম্পতি।

বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা যখন ঘাটকোপার দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় দমকা হাওয়ায় উপর থেকে ২৫০ টনের বিশালাকার বিলবোর্ডটি তাদের গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার ৫৬ ঘণ্টা পরে, বুধবার বিলবোর্ডের নীচ থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। ততক্ষণে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলেই জানা গিয়েছে।



শশ্মানে কার্তিক আরিয়ান।

তাঁদের ছেলে যশ জানান, বিকেল থেকে মা-বাবার ফোন না পেয়েই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। মুম্বইয়ে পরিচিত ও আত্মীয়দের ফোন করতে থাকেন। নিজেও রাতের ফ্লাইট ধরে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন। শেষে পুলিশের সহায়তায় তাঁদের লোকেশন ট্রাক করে দেখা যায়, শেষ লোকেশন ছিল ঘাটকোপারে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দুর্ঘটনাস্থল খোঁজার পর তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়।

বৃহস্পতিবার তাদের শেষকৃত্য় সম্পন্ন হয়। শশ্মানে ছিলেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানও। শেষকৃত্য না হওয়া পর্যন্ত তিনি শশ্মানেই ঠায় বসেছিলেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে রাত ৮ টা নাগাদ স্বামীর স্কুটিতেই বাড়ি ফিরছিলেন জলপাইগুড়ি ৫ নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা ঝুমা চন্দ। পথে আনন্দ পাড়া সংলগ্ন শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থাকা একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়ান তাঁরা। সেই সময় এক যুবক এগিয়ে আসেন তাঁদের দিকে।

 বাড়ি থেকে বেরতেই ভয় পাচ্ছেন মহিলারা! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরে একই ঘটনা ৩ জায়গায়
অভিযোগকারী মহিলা

 কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরপর একই ঘটনা। শহরের বুকে তিনজন মহিলার গলা থেকে টেনে নেওয়া হল সোনার হার। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শান্ত এলাকায় পরপর একই ঘটনা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরের মহিলারা।


ঘটনা ১: শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে রাত ৮ টা নাগাদ স্বামীর স্কুটিতেই বাড়ি ফিরছিলেন জলপাইগুড়ি ৫ নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা ঝুমা চন্দ। পথে আনন্দ পাড়া সংলগ্ন শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থাকা একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়ান তাঁরা। সেই সময় এক যুবক এগিয়ে আসেন তাঁদের দিকে। অভিযোগ, মহিলার গলা থেকে ১৩ গ্রাম ওজনের সোনার হার টান মেরে ছিনিয়ে নেন ওই যুবক। শুধু তাই নয়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে একটি বাইক নিয়ে এগিয়ে আসেন আরও এক যুবক। ছিনতাইকারী ওই বাইকে উঠে ঘুমটি এলাকার দিকে পালিয়ে যান বলে দাবি ঝুমার। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

ঘটনা ২: জলপাইগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুক্লা নাগ (৪৭)। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর বাড়ির সামনে সান্ধ্য ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। আচমকাই বাইক নিয়ে হাজির হন দুই যুবক। কথা বলার অছিলায় মহিলার গলায় থাকা প্রায় ১১ গ্রামের সোনার হার ছিনতাই করে নিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। তিনিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।


ঘটনা ৩: অন্যদিকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা পূর্ণিমা সিনহা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কান্তেশ্বরী মন্দিরের কাছে বাইকে করে দুই যুবক এসে দেড় ভড়ি ওজনের গলার হার ছিনতাই করে পালান বলে অভিযোগ। তিনিও কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

জলপাইগুড়ি পুরাতন দমকল কেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা কিংশুক বোস বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে এইরকম ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু তারপর কয়েক বছর এই জাতীয় ঘটনার খবর পাইনি। আবার মাস খানেক ধরে এই জাতীয় খবর পাওয়া যাচ্ছে।