আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হয়নি আমার বাবা, প্রাণ দিতে হয়েছে’, ইউনূসকে ইতিহাস মনে করাচ্ছেন মুজিব-কন্যা
সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশে চাপানউতোর আজ থেকে নয়। হাসিনার দাবি ছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেত্রী খালেদা জিয়া এই দ্বীপকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। তা নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যায়।
‘আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হয়নি আমার বাবা, প্রাণ দিতে হয়েছে’, ইউনূসকে ইতিহাস মনে করাচ্ছেন মুজিব-কন্যা
ফের ইউনূসকে তোপ হাসিনার
গদি টলমল ইউনূসের। তবে এখনই ছাড়ছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। দফায় চলছে বৈঠক। যেকোনও মুহূর্তে বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আন্দাজ করেই এবার মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়েছেন প্রায় এক বছর। শুরুতে কিছুটা চুপ থাকলেও বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক দোলাচল দেখে আর চুপ থাকতে পারছেন না মুজিব কন্যা। এবার একেবারে করে ফেললেন বাবার স্মৃতিচারণা। তাতেই তোপের পর তোপ ইউনূসের বিরুদ্ধে। আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিতে রাজি হয়নি আমার বাবা। তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমারও একই হল। ইউনূস এসেই দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিল। এক অডিয়ো বার্তায় এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছেন শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে পদত্যাগের জল্পনা তুলে আওয়ামী লিগ বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করেছেন ইউনূস। এরইমধ্যে হাসিনার একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য বাংলাদেশজুড়ে তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ইউনূস। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সব দেখে বিশ্লেষকদের মত, জল যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে বৈষম্য বিরোধী জোট হালে বিশেষ পানি পাচ্ছে না। সমগ্র বাংলাদেশে সেন্ট মার্টিন ও মানবিক করিডর নিয়ে হাসিনার বার্তা বড় রকমের সারা ফেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের বাইরে থেকেই ইউনূসের মুখোশ খোলার চেষ্টা সব কসরত করছেন হাসিনা।
কেন সেন্ট মার্টিন?
এদিকে সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশে চাপানউতোর আজ থেকে নয়। হাসিনার দাবি ছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেত্রী খালেদা জিয়া এই দ্বীপকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। তা নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যায়। শোনা যায়, ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গোপন সামরিক ঘাঁটি বানাতে চেয়েছিল আমেরিকা। যার হাত ধরে দক্ষিণ এশিয়ার বড় অংশে আধিপত্য বিস্তার করা সহজ হত। উল্টে আমেরিকা বিএনপি-কে ভোটে জিততে সাহায্য করত। হাসিনার দাবি, এই সেন্ট মার্টিন আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চাইছেন ইউনূসও। একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, তিনি আমেরিকার হাতে সেন্ট মার্টিন তুলে দিতে চাননি বলেই যড়ষন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে।
আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই নতুন করে বাংলাদেশজুড়ে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যেই ইউনূসের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে অনেকেই। যা কিছুদিন আগেও দেখা যায়নি পদ্মপারে। এরইমধ্যেই ‘মার্চ ফর ইউনূস’ এরও ডাক দেওয়া হয়েছিল ঢাকা। কিন্তু বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। র্যালি ছেড়ে শেষে শাহবাগে অবস্থান করেই আন্দোলন শেষ করেছেন উদ্যোক্তারা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours