November 2021
ডোমজুড় থানার অন্তর্গত নিবড়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় বছর খানেক ধরে ব্যবসা করছেন পরিবহন ব্যবসায়ী আরশাদ খান আশরাফী।

এই রাজ্যে যে তোলাবাজির ঘটনা অব্যহত রয়েছে তা আরও এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হাও়ড়ার ডোমজুড় (Howrah, Domjur)। তোলাবাজির পাঁচ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় অভিযোগে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর (businessman) অফিসে ভাঙচুর এবং ৮০ হাজার টাকা লুটপাট করা হয়া।ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের নিবড়া এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। ওই আতঙ্কিত ব্যবসায়ী ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন তোলাবাজি বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার অথবা তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি পুলিশ (police) কমিশনারকে সমাজবিরোধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন।

ডোমজুড় থানার অন্তর্গত নিবড়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় বছর খানেক ধরে ব্যবসা করছেন পরিবহন ব্যবসায়ী আরশাদ খান আশরাফী। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ দিন কয়েক আগে ওই ব্যবসায়ীর অফিসে কয়েক জন দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় আসেন। তারা সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি ভেঙে দেয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অফিস থেকে ৮০ হাজার টাকা লুটও করে। ওই ব্যবসায়ীকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী ডোমজুড় থানা লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু তার অভিযোগ পুলিশের কাছে অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
পুরীর হোটেল থেকে উদ্ধার কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের দেহ। সপরিবারে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাত্‍ করেই সোমবার সন্ধ্যেবেলায় হোটেলের ঘরে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় চিকিত্‍সককে, তিনি এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ইতিমধ্যেই পুরি পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা সেই দেহকে নিজেদের রিমান্ডে নিয়েছে এবং কন্টাক্ট করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে। কলকাতা পুলিশের একটা টিম রওনা হয়েছে পুরির উদ্দেশ্যে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সমস্ত নিয়ম মেনে ময়না তদন্ত হবে দেহের এবং তার পরেই তার পরিবারের সঙ্গে তাঁর দেহ ফিরিয়ে আনবে এই পুলিশের টিম। উল্লেখ্য, মৃত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ১৯৮৬ সালের অফিসার।

সাধারণ করোনার উপসর্গের পাশাপাশি শরীরে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে ওমিক্রন (Omicron) প্রজাতির করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করা যেতে পারে, খোলসা করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেই চিকিত্‍সক, যাঁর কাছে প্রথমবারের জন্য ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

নতুন প্রজাতির (new variant) ক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিত্‍সক।

ঠিক যখন বিপুল টিকাকরণ থেকে শুরু করে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন লড়াইয়ের ফলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল বিশ্ব, তখনই দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) ফেরত করোনা ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি আশঙ্কা তৈরি করেছে গোটা বিশ্বে। ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের মতো একাধিক প্রজাতির পর ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ নতুন করে কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিত্‍সকদের, সতর্ক


হয়েছে হু (WHO)। সেই প্রজাতিতে যাঁরা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদের শরীরে কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে, তা নিয়েই এ বার স্পষ্ট কথা শোনা গেল চিকিত্‍সকমহল থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা মেডিক্যাল অসোসিয়েশনের প্রধান অ্যাঞ্জেলিকিউ কোয়েটজি জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত যে ক'জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পেয়েছেন, বা চিকিত্‍সা করেছেন, তাঁদের মধ্যে কাউকেউ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, শেষ ১০ দিনে তিনি ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মুখোমুখি এসেছে, তাঁদের মধ্যে আগের মতো করোনার উপসর্গ আর দেখা যাচ্ছে না, দেখা যাচ্ছে নতুন ধরনের কয়েকটি উপসর্গ। কী রয়েছে সেই উপসর্গের তালিকায়?

তিনি বলেছেন, যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের শরীরে ভর করছে ভীষণ ক্লান্তি। গাঁটে ব্যথা দেখা দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত গলা খুসখুস করছে, এ ছাড়া শুকনো কাশিতেও ভুগছেন কেউ কেউ। চিকিত্‍সকের আশঙ্কা, ইউরোপ-সহ সারা পৃথিবীতেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। টিকাপ্রাপ্ত নন, এমন অনেকের মধ্যেই এই ভাইরাসের প্রজাতি আস্তানা তৈরি করেছে। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ায় এখনও তা বোঝা যাচ্ছে না।

পাশাপাশি, ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে এমন কোনও চরম প্রাণঘাতী উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না যে হঠাত্‍ করে তাঁদের চিহ্নিত করা যাবে। সেই কারণেই হয়েছে আরও সমস্যা। চিকিত্‍সক আরও জানিয়েছেন, তিনি যাঁদের চিকিত্‍সা করছেন তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪০-এর নীচে।


  মোবাইলে আসক্তি নিয়ে বারেবারেই সতর্ক করছেন চিকিত্‍সক থেকে মনোবিদরা। রোজই কোনও না কোনও দুর্ঘটনার খবর আসে মোবাইলে আসক্তির জেরে। তবুও যে হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের তার সবচেয়ে বড় প্রমান হল রাজস্থানের চুরু জেলার সাহওয়া শহরের বছর কুড়ির যুবক।

সে মোবাইলে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে পুরোপুরি মানসিক রোগীতে পরিনত হয়েছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি সামনে এসেছে সম্প্রতি। ওই যুবক তাঁর পরিবারের কাউকে চিনতে পারছেন না। পাঁচদিনের বেশি ঘুম নেই, এমনকি খাওয়াদাওয়াও প্রায় বন্ধ।

ওই যুবকের পরিবারের দাবি, বিগত একমাসের বেশি সময় ধরে ওই যুবক মোবাইলে এতটাই বুঁদ হয়ে থাকছিলেন যে ব্যবসা, পরিবার সব ভুলেছিলেন। সারা দিনরাত সে মোবাইলে গেম খেলা ও চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন। কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তাও বন্ধ হয়েছিল। শেষ পাঁচদিন তাঁর ঘুমও নেই। ফলে ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিনত হয়েছে ওই যুবক। আপাতত তাঁর চিকিত্‍সা চলছে চুরুর সরকারি হাসপাতালে। তাঁকে দেখছেন দুজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। অনেকেই বলছেন আগামীদিনে এই প্রবনতা বন্ধ করা না গেলে তরুণ প্রজন্মের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।


 উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে করে কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হলেন এক মহিলা আইনজীবী। নিখোঁজ আইনজীবীর নাম রীনা বাড়রী। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ ও রেল পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে রীনাদেবীর পরিবার। জলপাইগুড়ির বার অ্যাসোসিযেশনও বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেছে পুলিশের সঙ্গে।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরের তরুণ দল ক্লাবের কাছেই থাকতেন রীনাজেবী। রবিবার রাতে তিনি কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে চেপেছিলেন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে। স্লিপার ক্লাসের চার নম্বর বোগির ৩৩ নম্বরে আসনে ছিলেন তিনি। সোমবার সকাল আটটার সময় তাঁর পৌঁছানোর কথা ছিল জলপাইগুড়ি। কিন্তু তিনি আসেননি।

পরিবারের তরফে জানানো হয, শেষবার রবিবার রাত ১০টা নাগাদ রীনাদেবীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁদের। সেই সম. রীনাদেবী ট্রেনেই ছিলেন বলে জানিযেছে পরিবার। যেই সময রীনাদেবীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের ফোনে কথা হয, তখন তিনি বর্ধমানে ছিলেন বলে দাবি করা হয়। তবে এরপর রীনাদদেবীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ আইনজীবীর ফোন বন্ধ।

এদিকে আইনজীবীর ভাই শিবনাথবাবু জানিয়েছেন যে রেল পুলিশ এখনও কোনও খবর দিতে পারেনি। এদিকে রীনাদেবীর সঙ্গে থাকা ব্যাগপত্রেরও কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনায স্বভাবতই পরিবারের সব সদস্য অত্যন্ত চিন্তিত আছেন বলে জানান নিখোঁজ আইনজীবীর ভাই।

 


পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়েই মৃত্যু হল নবম শ্রেণির ছাত্রের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরে। কী কারণে ছাত্রের মৃত্যু হল জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ছেলের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা।

জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগরের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছিল উত্‍সব চক্রবর্তী।

সোমবার স্কুলে তাঁর পরীক্ষা ছিল। অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষা দিয়েছিল সে। পরীক্ষা শেষ হতে স্কুল থেকে বেরোতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে উত্‍সব। কিছুক্ষণের মধ্যেই সংজ্ঞা হারায় সে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।

ঘটনার সময় ছেলের সঙ্গেই ছিলেন মা। চোখের সামনে একমাত্র ছেলেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখে জ্ঞান হারান তিনি। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

উত্‍সবের সহপাঠীরা জানিয়েছে, পড়াশুনোয় খুব মনোযোগী ছিল সে। সোমবার পরীক্ষার হলে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। তাহলে হঠাত্‍ কী ভাবে ছাত্রের মৃত্যু হল জানতে তদন্ত শুরু করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।

 












 গত সপ্তাহেই সব প্রিপেড প্ল্যানের দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এয়ারটেল। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে এয়ারটেলের নতুন প্রিপেড প্ল্যান। তবে দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার নিয়ে হাজির হল গুরুগ্রামের কোম্পানিটি। চারটি প্রিপেড প্ল্যানের সঙ্গে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫০০এমবি ডেটা দেবে টেলিকম কোম্পানিটি।

এয়ারটেলের ৭১৯ টাকা, ২৯৯ টাকা, ২৬৫ টাকা ও ৮৩৯ টাকা প্রিপেড রিচার্জে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। গত মাসে ২৪৯ টাকা (যা এখন ২৯৯ টাকা) প্ল্যানের সঙ্গে প্রথম প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫০০এমবি ডেটা দেওয়া শুরু করলেও এখন আরও তিনটি প্ল্যানের সঙ্গে কোম্পানির গ্রাহকরা একই সুবিধা পাবেন।

যখনই ডেটা শেষ হয়ে যাবে তখনই এয়ারটেল থ্যাঙ্কস অ্যাপ থেকে অতিরিক্ত ডেটা রিডিম করে নেওয়া যাবে। ৭১৯ টাকা, ২৯৯ টাকা, ২৬৫ টাকা ও ৮৩৯ টাকার প্ল্যানগুলির সঙ্গে পাওয়া যাবে আনলিমিটেড লোকাল ও ন্যাশনাল আউটগোইং কল ও আনলিমিটেড ইনকামিং কলের সুবিধা। এছাড়াও ভারটি প্ল্যানের সঙ্গেই থাকছে বিনামূল্যে প্রতিদিন ১০০টি এসএমএস।

৮৩৯ টাকা প্ল্যানের গ্রাহকরা প্রতিদিন ২জিবি ডেটা ব্যবহার করতে পারেন। ৫০০এমবি অতিরিক্ত ডেটার কারণে এবার থেকে এই প্ল্যান রিচার্জ করলে মিলবে প্রতিদিন ২.৫জিবি ডেটা। তবে ২৬৫ টাকা রিচার্জে মেলে ১জিবি ডেটা, যা এখন বেড়ে প্রতিদিন ১.৫জিবি হচ্ছে।

এদিকে ২৯৯ টাকা ও ৭১৯ টাকা প্ল্যানের সঙ্গে প্রতিদিন ১.৫জিবি ডেটা ব্যবহার করা যাব। যা এখন বেড়ে প্রতিদিন ২জিবি হয়েছে।

এয়ারটেলের ২৬৫ টাকা ও ২৯৯ টাকা রিচার্জে ২৮ দিন ভ্যালিডিটি পাওয়া যায়। ৭১৯ টাকা ও ৮৩৯ টাকা প্রিপেড প্ল্যানের সঙ্গে এয়ারটেল গ্রাহকরা পাবেন ৮৪ দিন ভ্যালিডিটি।

চারটি প্ল্যানের সঙ্গেই এয়ারটেল প্রিপেড গ্রাহকরা আমাজন প্রাইম মোবাইল এডিশন এক মাস বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও থাকছে উইঙ্ক মিউজিক সাবস্ক্রিপশন, বিনামূল্যে হ্যালোটিউন ও আরও অনেক সুবিধা।

সীমান্তে পাচার নিয়ে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ(BSF)। সোনার বিস্কুট (Gold Biscuit) সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে তারা।

মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারী সীমান্তের দহরকন্দা গ্রামের ঘটনা। বিএসএফ(BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবাই, মায়ানমার ও বাংলাদেশ হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকা ১০টি সোনার বিস্কুট যার ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম, বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল এক ব্যক্তি।

ওই ব্যক্তির নাম গোলাম হোসেন। সেই সময় তাকে দেখে টহলরত ১১২ নং ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। এরপরই শুরু হয় জেরা। তার উত্তরে অসঙ্গতি পাওয়ায় বিএসএফ তল্লাশি চালায় ব্যাগে।তখনই বেরিয়ে আসে ১০টি সোনার বিস্কুট।

জানা গিয়েছে,অভিযুক্তের বাড়ি পার্শ্ববর্তী হাকিমপুর উত্তরপাড়ায়। তাকে আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলি তেঁতুলিয়ায় শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান এগুলি কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। ধৃত সোনা পাচারকারীকে রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

কয়েকদিন আগেই টোটোর ব্যাটারির ভিতর সোনার বিস্কুট পাচারের অভিযোগ উঠছিল। সেই বিস্কুট নিয়ে বাংলাদেশে পাচারের ছক কষছিল ব্যক্তি। অবশেষে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয় সে। বছর ২৮ এর টোটো চালক সুমন মণ্ডল যাত্রী নিয়ে আসছিল। সেই সময়ে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার স্বরূপ কুমার গোগোই এর নেতৃত্বে টোটো গাড়িটিকে আটকে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির পর টোটোর ব্যাটারি থেকে ৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। ওজন প্রায় ৭০০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। হাতেনাতে টোটো চালক সুমনকে আটক করে বিএসএফ।

তারপর তাকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট তেঁতুলিয়া শুল্ক দফ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। টোটো গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর প্রাথমিক অনুমান এগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে এগুলি ভারতে ঢুকেছে। এর সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে,সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফের এক্তিয়ার থাকবে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আইনের ১৩৯ ধারার ১ উপধারার কথা বলা হয়েছিল। এই ধারা প্রয়োগ করেই বিএসএফের এই এক্তিয়ার বাড়িয়েছে। আইনের সেই ধারাকেই চ্যালেঞ্জ করেই এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেছে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জনৈক ব্যক্তি। মামলাকারীর দাবি, আইনের এই ধারায় ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস হবে। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতির ঘরে।


TV9-BANGLA
নদিয়ায় পথ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কেন্দ্র সরকার। মৃতদের পরিবার পিছু দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। আহতরা পাবেন ৫ হাজার টাকা। কেন্দ্রের সহযোগিতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।

নদিয়ার হাঁসখালিতে একটি শববাহী গাড়ির সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৮ জনের।




এরপরেই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

PM Narendra Modi has announced an ex-gratia of Rs 2 lakhs each from PMNRF for the next of kin of those who have lost their lives due to the road accident in Nadia, West Bengal. Rs 50,000 would be given to the injured: PMO pic.twitter.com/dDwQAdCuu2

শোকপ্রকাশ করে বাংলায় টুইট করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় ঘটে যাওয়া পথ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঈশ্বর ওনাদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহায় হোন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি'।

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় ঘটে যাওয়া পথ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঈশ্বর ওনাদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহায় হোন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট বার্তায় লিখেছেন, 'নদিয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় আমি ব্যথিত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ঈশ্বর তাঁদের এই কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন, এই প্রার্থনা করি। সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে'।

Heartbroken to hear about the road accident in Nadia.

I offer my deepest condolences to the bereaved families and pray for the speedy recovery of those who were injured.

May God give them the strength to get past this difficult time. (1/2)

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

Deeply pained at reported death of 18 people and 5 others injured in Nadia District after the vehicle they were travelling in collided with a truck parked on the side of road.

Expect all efforts @MamataOfficial to the family of deceased and injured. Need to promote Road Safety.

সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি টুইটে মমতা-সরকারকে সড়ক-নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিতে 'পরামর্শও' দিয়েছেন রাজ্যপাল।
ওয়েলিংটন: গর্ভবতী মহিলাদের হবু সন্তান নিয়ে নানা উত্‍কণ্ঠা থাকে। বিস্তর টেনশনে ভোগন অনেকেই। সেই সমস্ত ভয়, উদ্বেগ দূরে সরিয়ে মধ্যরাতে সাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁচে সন্তানের জন্ম দিলেন নিউজিল্যান্ডের এক সাংসদ। তাঁর এই সাহসিকতার কথা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া।নিউজিল্যান্ড পার্লামেন্টের ওই সদস্যার নাম জুলি অ্যানি জেন্টার। নিউজিল্যান্ডের সময় অনুযায়ী রবিবার ভোর তিনটের সময় একটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এদিন প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পরেই তিনি সাইকেল নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে যাঁরা জুলিকে চেনেন, তাঁরা তাঁর এই কাজে একেবারেই হতবাক নন। কারণ তিন বছর আগে একই ভাবে প্রসব বেদনা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেবার ছিল রোদ ঝলমলে সকাল। এবার মধ্যরাত।


সন্তান জন্মের পর ফেসবুকে সেই কথা নিজেই শেয়ার করেছেন সাংসদ। সুখবর জানিয়ে লিখেছেন, ''বড় খবর! রবিবার ভোর ৩টে ৪ মিনিটে আমাদের পরিবারে নতুন সদস্য এসেছে। প্রসব যন্ত্রনা ওঠার পর এই ভাবে সাইকেল চালিয়ে যাব, সত্যিই তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমনটাই হল। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় আমার অবস্থা ততটা খারাপ ছিল না। আমরা রাত ২টোর সময় বাড়ি থেকে বেরোই। কিন্তু ২-৩ মিনিট পরেই ব্যথা শুরু হয়ে যায়। ১০ মিনিট পরে আমরা যখন হাসপাতালে পৌঁছই, তখন যন্ত্রণা চরমে পৌঁছেছে। (আমি কার পার্কে দাঁড়িয়ে হাসছিলাম এর ঠিক পরের মুহূর্তেই)। তবে অদ্ভূত ভাবে এখন আমাদের সঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্যবান, সুখী এক ছোট্ট ঘুমন্ত প্রাণ।" সেই সঙ্গে হাসপাতালের গোটা ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুলি।
সারা বিশ্বের সঙ্গে করোনা ভাইরাস নামটার পরিচয় ঘটেছিল প্রায় দু'বছর হতে চলল। দু'বছর পর বিশ্বের কোভিড পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। হানা দিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি। আর সেই ওমিক্রন নিয়ে এবার ভারতকে সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন।

তাঁর আশা, ওমিক্রন নিয়ে গোটা বিশ্বে যে উদ্বেগ দানা বেঁধেছে সেদিকে তাকিয়েই সতর্ক হবে ভারত। কোভিডবিধি কড়াভাবেই পালন করা হবে এদেশে। কোভিডের দাপট ভারতে এখন আগের চেয়ে অনেক কম। যদিও এখনও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন অনেকেই, তবে অতিমহামারীর সেই ভয়াবহ রূপ এখন শান্ত হয়েছে। আর তাই দিকে দিকে কোভিডবিধি শিথিল হয়ে পড়েছে। অফিস-কাছারি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ খুলে গেছে সবই। কিন্তু বিধি শিথিল হলেও মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহারে ঘাটতি হলে চলবে না, তেমনটাই জানাচ্ছেন হু-এর বিজ্ঞানী। তাঁর মতে ওমিক্রন থেকে সতর্ক হতে হবে। কোভিডবিধি শিথিল করে দিলে চলবে না। এখন থেকেই যদি সতর্ক না হয় ভারতবাসী, তবে আগামীদিনে ফের ভোগাবে করোনা। তা সে যতই ভ্যাকসিন নেওয়া থাক না কেন। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে বিজ্ঞানসম্মত পথেই। কোভিডের ওমিক্রন প্রজাতিকে উদ্বেগের বলে মেনে নিয়েছে হু। তবে তা কতটা দাপট দেখাতে পারবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে নানা মত দেখা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোভিডের সবচেয়ে মারাত্মক প্রজাতি ডেল্টা। ওমিক্রন কি তাকেও ছাপিয়ে যাবে? প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছে। তার মাঝেই নতুন এই প্রজাতি নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ২৯ নভেম্বর থেকে নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই নিম্নচাপই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই নিম্নচাপই ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হবে। আর সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়বে অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে।

ইতিমধ্যে মৌসম ভবনের তরফে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।এমনকি পরিস্থিতি জটিল হলে সাইক্লোনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। যদিও পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।এটি বেশ শক্তিশালী হবে

মৌসম ভবন বলছে, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি বেশ শক্তিশালী হবে ও ক্রমশ উত্তর- পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাবে। তার জেরে আগামী ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বরের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষিপাত হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। মৌসম ভবনের তরফ থেকে করা এটি টুইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইবে। এছাড়া ১ ডিসেম্বর হাওয়া বইবে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে।

বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয় ঘূর্ণিঝড়ে
 

সাধারণত অক্টোবর ও নভেম্বরে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয় ঘূর্ণিঝড়ে। অথচ এবার তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বঙ্গোপসাগরে। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে সারাদিন ধরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ওই ভারী বৃষ্টিপাত তৈরি হয়। সেই সময়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও লাগোয়া উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল।

দীঘা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত
 

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেই ঘূর্ণাবর্ত ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে। তার প্রভাবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এমনকি জামশেদপুর হয়ে দীঘা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয় মৌসুমী অক্ষরেখা। যার এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে।

শহরে ১০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে
 

ইতিমধ্যে গত ২৭ নভেম্বর সকালে চেন্নাই শহরে ১০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ মাসে চেন্নাইতে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৮ সিএম। আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, ১৯১৮ সালের নভেম্বরে চেন্নইতে ১০৮.‌৮ সিএম রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছিল। আইএমডি ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দিয়েছে যে ২৮ নভেম্বর চেন্নাইয়ের উত্তর উপকূসবর্তী জেলাগুলিতে ও পুদুচেরিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বর শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাকি আর এরই মধ্যে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস। আইএমডি মনে করছে এ বছরের নভেম্বরের বৃষ্টিপাত হয়ত ২০১৫ সালের ১০৫ সিএম বৃষ্টিপাতের রেকর্ডকে ভাঙতে পারে।

source: oneindia.com
বিশাখাপত্তনম: বর্তমানে ই-কমার্স সংস্থা গুলির ওপর কমবেশি সকলেই নির্ভরশীল। কারণ এখন থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যেমন সহজ, তেমনই কোনও কিছু কেনার প্রয়োজন হলে বাইরে যেতে হয়না, বাড়িতে বসে অর্ডার করলেই মেলে পছন্দের জিনিস। এই ধরনের অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করে মাদক পাচার! 

শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবটা খানিকটা এইরকমই। অন্ধ্র প্রদেশে পুলিশের স্পেশাল এনফোর্সমেন্ট ব্যুরো সম্প্রতি এই রকম এক চক্রের পর্দাফাঁস করেছে।

পুলিশের বিশেষ ওই শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাবা ছেলে জুটি। জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনকে ব্যবহার করে তাঁরা গাঁজার ব্যবসা চালাচ্ছিল। শনিবার, বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড পুলিশ এক গাঁজা পাচার চক্রের সন্ধান পায়। সেই পাচার চক্র, বিশাখাপত্তনম থেকে অনলাইন মাধ্যমে গাঁজা আনিয়ে পাচার করত। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিল, অনলাইনে কোনও নিষিদ্ধ দ্রব্য বিক্রি করার কোনও অনুমতি, সংস্থার তরফে দেওয়া হয়নি। এই তদন্তে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষের সব ধরনের সহায়তা পেয়েছে পুলিশ।

স্পেশাল এনফোর্সমেন্ট ব্যুরো সূত্রে খবর, অ্যামজনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে গাঁজার ব্যবসা ফেঁদেছিলেন ধৃত সুরজ ও মুকুল জয়সওয়াল। বিশাখাপত্তনম থেকে গাঁজা পাচারের জন্য তাঁরা অন্যদের জিএসটি নম্বর ব্যবহার করত। বাবা ছেলে জুটি শ্রীনিবাস রাও এবং মোহন রাজু বিশাখাপত্তনম থেকে পাচারের কাজ পরিচালনা করত বলেই জানা গিয়েছে। বাবা ছেলের পাশাপাশি আরও দুই ব্যক্তি ও গাড়ির চালককে আটক করেছে স্পেশাল এনফোর্সমেন্ট ব্যুরো।
আজ 28শে নভেম্বর 2021 আজকের সোনা-রূপো, গ্যাস ও পেট্রোল-ডিজেলের দাম আসুন দেখে নিই
রুপোর দাম : আজ কলকাতায় 100 গ্রাম রুপোর দাম 6220 টাকা। দাম কমেছে 90 টাকা।
গ্যাসের দাম : কলকাতায় 14.2 কেজির গ্যাসের দাম 926 টাকা। সোনার দাম : আজ কলকাতায় 22 ক্যারাট 100 গ্রাম সোনার দাম 470000|দাম কমেছে 2000 টাকা।
24 ক্যারাট 100 গ্রাম সোনার দাম 497000 টাকা। দাম কমেছে 2000 টাকা।
আজ কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম 104.67 টাকা। ডিজেলের দাম প্রতি লিটার 89.79 টাকা।


তথ্য সংগৃহীত- dailyhunt
বাড়ির কাছে ক্ষেত থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার এক গৃহবধূর মৃতদেহ। চাঞ্চল্য নদীয়ার কল্যাণী থানার কাটাবেলে এলাকায়। আলেকজান বিবি (৩৫).. পরিবার সূত্রে জানা গেছে ভোররাতে শৌচকর্ম করতে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন তারপর আর তার খোঁজ মিলছিল না এরপর ভোরবেলা বাড়ির সামনেই ক্ষেত থেকে অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় বাড়ির লোকেরা, খবর দেওয়া হয় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে কল্যাণী থানার পুলিশ ।দেহ টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।পরিবারের দাবি খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া।


News source- প্রতিদিন ২৪×৭/dailyhunt
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নদিয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে শ্মশানযাত্রী বোঝাই লরি। এদিন দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মোট ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। তাঁরা হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। জানা গেছে শনিবার রাত ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নদিয়ার হাঁসখালি-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে শ্মশানযাত্রী বোঝাই একটি লরি উল্টোদিক থেকে এসে ধাক্কা মারে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি লরিকে।
দুই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, শ্মশানযাত্রী বোঝাই লরিটি উত্তর ২৪ পরগনার দিক থেকে যাচ্ছিল। মৃতদেহ সত্‍কার করতে নদিয়ার দিকে যাচ্ছিল তাঁরা। কিন্তু পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয়রাই। আহতদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মধ্যরাতে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
দুই দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিক বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা টেস্টে তাঁদের পজিটিভ এসেছে। এরপরই করোনা ভাইরাসের নতুন ওমিক্রন রূপ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ভারতে। বেঙ্গালুরু গ্রামীণ ডেপুটি কমিশনার কে শ্রীনিবাস শনিবার জানিয়েছেন ওই সংক্রমণ ওমিক্রনের কি না তা জানতে আরও পরীক্ষা আবশ্যক।
বেঙ্গালুরু গ্রামীণ ডেপুটি কমিশনার জানান, আরও পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই রিপোর্টগুলি প্রকাশ্যে এলেই যে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রামিত কি না জানা যাবে। ওইসব পরীক্ষার ফলাফল আসতে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।

বেঙ্গালুরুর স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, উভয়কেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এবং তাঁদের পরীক্ষার ফলাফলে নতুন রূপটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানে থাকবে। শ্রীনিবাস বলেন যে, ১০টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮৪ জন মানুষ এখানে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৯৪ জন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন।

তাঁদের সবারই পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁরা কেউ করোনা সংক্রমিচত কি না, করোনার ওমিক্রন স্ট্রেন তাঁদের শরীরে রয়েছে কি না শনাক্ত করেই তাঁদরে ছাড়া হয়েছে। এমন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের পরীক্ষা করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি পরিদর্শন করার জন্য বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরও পরিদর্শন করা হচ্ছে।

ভারতে যখন করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। এই ওমিক্রনকে আটকাতে এদিন তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসেন শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং ভারতে করোনভাইরাস রোগ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। করোনা মহামারীটি রোধ করার জন্য দেশব্যাপী টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

শীর্ষ সরকারি আধিকারিক সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি বলেন, ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তখন করোনাভাইরাসটির ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছে এই নয়া স্ট্রেনের। তা বিশ্বব্যাপী সংক্রামক হতে পারে। এই ওমিক্রনের ৩২টি মিউটেশন এবং দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা ফের ভয় ধরাচ্ছে বিশ্বে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে দু-জন দক্ষিণ আফ্রিকানের করোনা সংক্রমণ আতঙ্ক বাড়াল।

source: oneindia.com
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর টাউন থানার অন্তর্গত মথুরাকাটি এলাকায় গতকাল রাতে চারজন দুষ্কৃতী একটি মাঠে জড়ো হয়েছিল ডাকাতির উদ্দেশ্যে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয়। হানা দিয়ে চারজন দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।তাদের কাছে একটি পিকভ্যান, খড়্গপুর থেকে চুরি যাওয়া দুটি বাইক ও ২লিটার ড্রাগস বানানোর দ্রব্য কেডিং মিক্সার পাওয়া যায়।শনিবার সেখ রাজা,সেখ কাটক,সেখ সেলাম সহ চারজন দুষ্কৃতীকে খড়্গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে খড়গপুর শহরজুড়ে।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করল স্বামী (Husband Murders wife)। এমন নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি (Nalhati) থানা গোপাল চক গ্রামে। জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম জুলেখা খাতুন(২০)।সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত।



জানা গেছে নলহাটি থানার গোপাল চক গ্রামের বাসিন্দা জুলেখা খাতুন। ১ বছর আগে নলহাটি থানার গোপালপুর গ্রামের আজমীর আলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। বিয়ের মাত্র তিন মাস পরই জুলেখা ও আজমীরের সস্পর্কে বিচ্ছেদ হয়। স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যান জুলেখা।


এরপর জুলেখা খাতুন বাবার বাড়ি গোপাল চক গ্রামে থাকতেন। গতকাল রাত্রে জুলেখার স্বামী আজমীর আলি মদ্যপ অবস্থায় চড়াও হয়। গোপালচক গ্রামে জুলেখার বাবার বাড়িতে গিয়ে একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর বুকে আঘাত করে আজমীর।


মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জুলেখা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মুর্শিদাবাদের পাচগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে পার্শ্ববর্তী জেলা মুর্শিদাবাদের বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই রাতের দিকে জুলেখা খাতুনের মৃত্যু হয়।


স্ত্রীর বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আজমীর আলি। কিন্তু চিত্‍কার-চেঁচামেচি শুনে আজমীর আলিকে ধরে ফেলেন গ্রামের লোকজন। এরপর তাকে নলহাটি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় লোকজন। জুলেখা খাতুনের মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, বাঁকুড়ায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে গুরুতর জখম হলেন উভয় পক্ষের মোট ৬ জন। আজ দিনভর দফায় দফায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রামপুরে। ঘটনার খবর পেয়ে সোনামুখী থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনায় আহতদের প্রথমে সোনামুখী গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
পারিবারিক অশান্তিতে রক্তপাত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের দুই সন্তান-সহ পাঁচজনকে খুন করল এক ব্যক্তি। প্রাণহানি হয়েছে এক পুলিশ আধিকারিকেরও। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাড়িতেও সে ব্যাপক ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ।নৃশংস ঘটনার সাক্ষী ত্রিপুরার (Tripura) খোয়াই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত প্রদীপ দেবরায় উত্তর রামচন্দ্রঘাটের শেওড়াতুলির বাসিন্দা। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। শুক্রবার সন্ধেয় কাজ সেরে নিজের বাড়িতে আসে সে। স্ত্রীর সামনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুই কন্যাসন্তানকে কোপায় সে। চোখের সামনে নিজের সন্তানদের উপর অত্যাচার মানতে পারেননি প্রদীপের স্ত্রী মীনা পাল দেবরায়। দুই সন্তানকে বাঁচাতে যান তিনি। সেই সময় স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রদীপ। বাড়ি ছেড়ে কোনওক্রমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মীনা। স্ত্রীকে ধরতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়তে শুরু করে প্রদীপ।


পথে একটি অটো দেখতে পায় সে। ওই অটোতে চালক-সহ মোট পাঁচজন ছিলেন। হাত নাড়িয়ে অটোটি দাঁড় করায় সে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে অটোর সামনের কাচে সজোরে আঘাত করে। অটোয় থাকা যাত্রীদের আঘাত করে। একজনের চোট গুরুতর। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিত্‍ মল্লিক। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় প্রত্যেককে উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তের স্ত্রীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তের দুই সন্তান, পুলিশ আধিকারিক, অটোচালক-সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন এমন কাজ করল সে? অভিযুক্ত প্রদীপ জানায়, 'সকলেই বিশ্বাসঘাতক।' তবে কী কারণে খুন করেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি প্রদীপ
সুকুমার সরকার, ঢাকা: সকালে উঠেই চোখে পড়েছিল ছেলের ঝুলন্ত লাশ। সুকৌশলে দেহ নামিয়ে বস্তায় ভরে শৌচাগারে বালি চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন মৃতের বাবা-মা। তার পর বেরিয়ে পড়েছিলেন ভোটের প্রচার করতে। অবশেষে দু'দিন পর বিবেকের তাড়নায় পুলিশকে খবর দেন তারা। পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দম্পতিকেও আটক করা হয়। শুক্রবার রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে।

বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা করুণা বেগম ও তাঁর স্বামী আলহাজ। তাঁদের ছেলে আবদুল করিম। বয়স ১৮। বহুদিন ধরেই তিনি মাদক নিতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘরেই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। পরদিন সকালে অনেক ডাকাডাকির পরও তাঁর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে তাঁর বাবা-মা ঘরে উঁকি দিয়ে দেখেন, সিলিং থেকে ছেলের দেহ ঝুলছে।জেরার মুখে পুলিশকে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে দেহটি নামিয়ে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে বালি চাপা দিয়ে দেয়। তার পর ভোটের প্রচারে বের হন। প্রসঙ্গত, করুনা বেগম চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু'দিন পর ছেলের শোকে ভেঙে পড়েন তাঁরা। শেষে করিমের বাবা আলহাজ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শুক্রবার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার করে।

জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন করুনা বেগম পুলিশকে জানান, তাঁদের এক ছেলের বউ প্রায় দু'বছর আগে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছিল। ওই সময় তদন্ত চলাকালীন তাঁরা আর্থিকভাকে সর্বশ্বান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই ছেলের আত্মহত্যায় নতুন করে ঝামেলায় জড়িয়ে বসতভিটা হারাতে হতে পারে, এই ভয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল তাঁরা। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন ওই দম্পতি।
মদ(Liquor) থেকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় হয় সমস্ত রাজ্য সরকারগুলির। পশ্চিমবঙ্গও(West Bengal) এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম নয়। তাই এই মদ(Liquor) সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ঠ মাথা ব্যাথা রয়েছে রাজ্য সরকারের(WB Govt)। ১৬ নভেম্বর থেকে বিলিতি মদের ওপর ২৫ শতাংশ আবগারি শুল্ক কমানো হয়েছে।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারই(WB Govt) নয়, সেই একই পথে হেঁটেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। স্কচ, হুইস্কির ওপর একধাক্কায় ৫০ শতাংশ আবগারি শুল্কে ছাড় দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিলেতি মদের ওপর আবগারি শুল্কে কাঁচি চালানোর পর প্রতিটি ব্র্যান্ডের মদের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সব সময় তো সেই দাম মনে রাখা সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি নতুন পন্থা নেওয়া হয়েছে। সুরাপ্রেমীদের চাপ কমাতে এবার এসে গেল রাজ্য সরকারের অনলাইন পোর্টাল WB Govt Online Portal)পরিষেবা। এই পোর্টাল(Online Portal) থেকেই এক ক্লিকেই জেনে নেওয়া যাবে কোন ব্র্যান্ডের মদের দাম কত। বিয়ার থেকে ব্রান্ডি,দেশি-বিদেশি সব রকমের মদের দাম জানা যাবে রাজ্য সরকারের(WB Govt) এই পোর্টাল(Online Portal) থেকে। তাই যখন যে ব্র্যান্ড দরকার এক ক্লিকে দেখে ফেলুন তার দাম আর নিজের পকেটের ওজন বুঝে চলে যান অফ শপে। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন কিভাবে কোন পোর্টাল থেকে জানতে পারবেন মদের দাম।

এই দাম দেখতে গ্রাহককে প্রথমে https://excise.wb.gov.in/CommonUser/RegisterBrand_Liquor.aspx?type=28 এই ওয়েব সাইটটিতে যেতে হবে। এরপর সেখানে Liquorক্যাটেগরি বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি এই দুটি অপশন রয়েছে। সেখান থেকে বেছে নিতে হবে Liquor Kind। এখানেও দুটি অপশন পাওয়া যাবে। এরপর Liquor Type বেছে নিতে হবে।সব শেষে বাছতে হবে আর্থিক বছর বা ফিন্যানসিয়াল ইয়ার(Financial Year)। এই আর্থিক বছরে স্বাভাবিক ভাবেই এখনকার দাম জানতে চাওয়া ব্যক্তিরা ২০২১-২২ সালকেই বেছে নেবেন। এটি বেছে নেওয়ার পরেই সেই মদের দাম দেখা যাবে অনলাইনে। প্রয়োজনে এটির পিডিএফ সেভ করে নিতে পারেন বা প্রিন্টও করিয়ে নিতে পারেন। মদের দাম কমায় সরকারের মোট আবগারি রাজস্ব(Excise Revenue) আদায় কমে যাবে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয়নি। এক প্রশাসনিক কর্তার মতে, রাজস্ব আদায় কমবে না বরং, দাম কমলে বিক্রি বাড়বে এবং তাতে আবগারি রাজস্ব সংগ্রহও এখনকার তুলনায় অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।



রয়্যাল চ্যালেঞ্জের ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের বর্তমান দাম ১০০০ টাকা। নয়া শুল্ক হারের ফলে সেই দাম কমে হয়েছে ৭৩০ টাকা।

ম্যাকডয়েল সেলিব্রেশন রামের ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের বর্তমান দাম ৬৪০ টাকা। নয়া শুল্ক হারের ফলে সেই দাম কমে হয়েছে ৫৪০ টাকা।

ব্লেন্ডার্স প্রাইড ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের বর্তমান দাম ১৩৫০ টাকা। নয়া শুল্ক হারের ফলে সেই দাম কমে এখন ৯২০ টাকা।

অ্যান্টিকুইটি ব্লু ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের বর্তমান দাম ১৬১০ টাকা। নয়া শুল্ক হারের ফলে সেই দাম ১২০০ টাকা।

ম্যাকডয়েল ডিল্যআক্স এক্স এক্স রাম-র ১৮০ মিলি বোতলের দাম হয়েছে ১৪০ টাকা।

সেলিব্রেটেড ম্যাচিওরড রামের ১৮০ মিলির দাম হয়েছে ১৪০ টকা।

ওল্ড মঙ্ক রিসার্ভের ১৮০ মিলি বোতলের বর্তমান দাম ১৮০ টাকা।

ওল্ড মঙ্ক হোয়াইট প্রিমিয়াম রামের দাম হয়েছএ ১৮০ টাকা।

তাই বলাই যায়, সুরাপ্রেমীদের স্বর্গ হাতে পাওয়ার মতো অবস্থা
কোভিডের নতুন স্ট্রেন বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তা নিয়েই শনিবার জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, ল্যামডার পরে করোনার আরও এক নতুন প্রজাতি নাকি হানা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রজাতির দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

ডেল্টার থেকেও সংক্রামক, ঝড়ের গতিতে জিনের গঠন বদলে ফেলতে পারে, সুপার-স্প্রেডার এই প্রজাতিকে 'উদ্বেগজনক' বা 'ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন' বলে ঘোষণা করেছে হু। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্ট বলছে, নতুন এই প্রজাতির জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের গঠন বিন্যাস বের করে এর নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১৫২৯। ভাইরোলজিস্টরা বলছেন ওমিক্রন। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একইসঙ্গে দেশে করোনা টিকাকরণের গতি কেমন, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানবেন। সেইসঙ্গে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। গতকাল রাতেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে স্বাভাবিক হতে চলেছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। যেসমস্ত দেশগুলি 'ঝুঁকিপূর্ণ' তালিকার অন্তর্ভূক্ত নয়, আপাতত সেই দেশগুলির মধ্যেই বিমান চলাচল করবে। এদিকে, গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে 'উদ্বেগের কারণ' হিসাবে চিহ্নিত করায়, হংকং, বেলজিয়াম, ইজরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিমান চলাচলে প্রভাব পড়বে। আপাতত এই দেশগুলিতে নির্ধারিত উড়ানের ৭৫ শতাংশই চলাচল করতে পারবে।
মাদক পাচার, তোলাবাজি, জালিয়াতি চক্রের অন্যতম বড় মাথা ছিল শেখ বিনোদ। কলকাতা পুলিশের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় নামও ছিল তার। আগেও একবার ভুয়ো কলসেন্টার চালানোর অভিযোগে ধরা পড়েছিল শেখ বিনোদ। কিন্তু এবার আরও বড় প্রতারণা চক্রে তার নাম জড়িয়েছে।প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। শুক্রবার খড়্গপুর থেকে তাকে ধরে আনে লালবাজারের গোয়েন্দা অফিসাররা। পুলিশ জানিয়েছে, সিআইটি রোডের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখায় এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে একটি চক্র। আর এই চক্রের মাথায় রয়েছে কুখ্যাত তোলাবাজ শেখ বিনোদ। ব্যাঙ্কেরই এক কর্মীর সাহাস্যে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল বিনোদ। দুটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছিল। সেগুলোর মাধ্যমেই জালিয়াতি চলত। গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সবস্ব লুঠ করে নিত বিনোদ ও তার দলবল। ব্যাঙ্কেরই এক গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই উঠে আসে শেখ বিনোদের নাম। শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে গতকাল খড়্গপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভুয়ো কলসেন্টারের কারবার খুলে বসার জন্যও বিনোদকে খুঁজছিল পুলিশ। মাদক পাচারের অভিযোগও ছিল তার নামে। তদন্তকারীরা বলছেন, নব্বইয়ের দশকে বাম আমলে দক্ষিণ শহরতলিতে বিনোদ দলবল নিয়ে ডাকাতি, সন্ত্রাসমূলক কাজ চালাত। একবার জনতার তাড়া খেয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল। পরে নাকি সে তার কাজের ধরন বদলে ফেলে।
শিয়ালের হামলায় আহত ৪ জন। ঘটনাটি শুক্রবার সকালে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের। আহতদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্‍সা দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা হামলায় একটি শিয়াল নিহত হয়। রেঞ্জ অফিসার সুদর্শন সরকার জানান, তারা এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করছেন। শেয়ালের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হচ্ছে।বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোহরা এলাকায় তিন কৃষক আয়নাল হক (৫৮), মাসিরুল হক (১৮) ও রবিউল ইসলাম (২৪) ধান কাটতে গিয়েছিলেন। এসময় কিছু শেয়াল তাদের আক্রমণ করে। তিনজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে তারা চিকিত্‍সাধীন।
অপরদিকে, শুক্রবার সকালে তুলসিহাটার কামরাতা গ্রামে শিয়ালের আক্রমণে আহত হয়েছেন আরেক কৃষক সকাল দাস (৪০)। তাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে পাল্টা হামলায় একটি শেয়াল মারা গেছে।
ঝাড়খণ্ডের ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা। পিকআপ ভ্যান উল্টে চার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন পুরুলিয়ার বাসিন্দা। একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পটমদার ঠংঠঙ্গি এলাকায়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শুক্রবার, ৩২জন শ্রমিকের একটি দল একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে ঝাড়খণ্ডের টাটানগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।তারা বিশাখাপত্তনমে চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। পুরুলিয়া পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়িটি।

পটমদার ঠংঠঙ্গি এলাকায় পিকআপ ভ্যানটি রাস্তায় উল্টে যায়। পটমদার থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্‍সক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর একজনকে গুরুতর অবস্থায় টাটা মেনস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গভীর রাতে তিনি মারা যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মল মাহাতো (৩২) এবং দুর্যোধন মাহতো (২৩) বড়বাজার থানার অন্তর্গত সিন্দ্রি গ্রামের বাসিন্দা। মৃতের নাম চারু মাহাতো (২৫) লাকা গ্রামের বাসিন্দা। অন্য একজনের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ব্যস্ত সময় সল্টলেক সেক্টর ফাইভে (Salt Lake Sector V) পথদুর্ঘটনা। চলন্ত বাস থেকে নামার সময় বিপত্তি। পিছন দিক আসা বাস পিষে দিল যুবককে। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও হয়নি শেষরক্ষা। প্রাণ গেল তাঁর। ঘাতক বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।পলাতক বাসচালক।

জানা গিয়েছে, নিহতের নাম ভোলা বাল্মিকী। তিনি বিহারের গয়ার বাসিন্দা। কলকাতায় চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ভোলা। শনিবার সকালে ভোলা বাল্মিকী বাসে চড়ে চাকরির পরীক্ষা দিতে আসছিলেন। বেনফিশ মোড়ে বাস থেকে নামার কথা ছিল তাঁর। চলন্ত বাস থেকে নামতে যান ভোলা। সেই সময় টেকনো ইন্ডিয়া কলেজের দিক থেকে দ্রুত গতিতে অপর একটি বাস আসছিল। ভোলাকে পিষে দেয় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে হইচই শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্‍সকরা জানান, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ভোলার।

পুলিশের তরফে ভোলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঘাতক বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে চালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে, পরীক্ষা দিতে এসে ঘরের ছেলের আকস্মিক প্রাণহানির ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন ভোলার পরিজনেরা।
এক কলেজ পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার অন্তর্গত নতুন বাজার মোড়ে। এই ঘটনায় আক্রান্ত হওয়া ওই কলেজ পড়ুয়ার কপাল ফেটে যায় এবং তিনি অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তার সঙ্গীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন।


বীরভূমের মুরারই থানার অন্তর্গত মুরারই গ্রামের সাইফুল শেখ বৃহস্পতিবার রাতে তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি জলসাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই মুরারই নতুন বাজার মোড়ে তাদের মধ্যে অবস্থায় গালাগালি করতে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়ার গুলজার এবং তার সঙ্গীরা। এই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হলে তা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। সেই সময় ওই কলেজ পড়ুয়াদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় কলেজ পড়ুয়া সাইফুল শেখের কপাল ফেটে রক্তাক্ত হয়। তার অভিযোগ ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার গুলজার এবং আরও কয়েকজন তাদের মারধর করেছেন। মারধর করার সময় সিভিক ভলেন্টিয়ার গুলজার বন্দুকের বাট দিয়ে তার কপালে চোখের ওপর আঘাত করেন। আর তাতেই তার চোখের উপর গুরুর কাছে কপালের অংশ ফেটে যায় এবং রক্তাক্ত হয়।

এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধও করা হয়। আক্রান্ত কলেজ পড়ুয়া সাইফুল শেখ দাবি করেছেন, অবিলম্বে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করতে হবে এবং সাসপেন্ড করতে হবে। তা না হলে তারা ফের অবরোধ শুরু করবেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুরারই থানার পুলিশ শুরু থেকেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে। যদিও শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে পুলিশের আশ্বাস, তাদের তরফ থেকে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোন খামতি রাখা হবে না।
দিন কয়েক আগে নিজেই স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন স্বামী। এরপর শান্তিমতো কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিন-দশেক পর বাড়িতে ফিরেই হল সমস্যা। শ্বশুরবাড়িতে থেকে বউকে আনতে গেলে বাধ সাধল সে। কিছুতেই ফিরতে চাইল না স্বামীর সঙ্গে। এরপর শুরু বচসা। আর এই বচসার জেরে খুন স্ত্রীকে।ঘটনাস্থান উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কাপসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মায়ানগর। জানা গিয়েছে মৃত স্ত্রী-র নাম গীতা চৌধুরী (২০)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জয় চৌধুরী।

মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সঞ্জয় হলেন পেশায় ভীনরাজ্যের শ্রমিক। দিন দশেক আগে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি রাখতে আসে সে। সেখানে স্ত্রীকে রেখে মালদায় নিজের বাড়ি ফিরে যায় সঞ্জয়। এরপর দিন তিনেক আগে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন সঞ্জয়বাবু। কিন্ত বেঁকে বসেন স্ত্রী। কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে চাননা তিনি। তখন থেকেই ঝামেলা বাধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।

গতকাল এই একই ইশ্যুতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলে বিবাদ। সেই বিবাদ পৌঁছায় চরমে। সঞ্জয়ের সঙ্গে কোনও ভাবেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাননা গীতা। যার ক্রমাগত রাগ বাড়তে থাকে সঞ্জয়ের। পরে গীতার বাবা অর্থাত্‍ সঞ্জয়ের শ্বশুর-শাশুড়ির বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিল সে।

যখন গীতার মা-বাবা বাইরে কাজের জন্য গিয়েছিলেন সেই সময় শোওয়ার ঘরে গীতাকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সঞ্জয়। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীকে খুনের পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করতে যান বলে অভিযোগ।

এদিকে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা এসে দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আর দেরী না করে তড়িঘড়ি তারা ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে দুইজনকে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিত্‍সকরা গীতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন রয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

এই ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী জানান,”প্রায় দশদিন হয়ে গেল বাপের বাড়িতে এসেছে। এখন আর শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইছে না। ওর বাবা-মাও বলছিল ওকে নিয়ে চলে যেতে। কিন্তু ও যেতেই চাইছিল না কিছুতে। এরপর আজ সকালেও ওকে জিজ্ঞাসা করি বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু রাজি হয়নি। উল্টে বলল আমার মেরে তুমি নিজেও মরে যাও। এরপরই আমি ছুরি দিয়ে ওকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করতে চাই।”
ষষ্ঠীর দিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানত এরপর আর ফেরা হবে না। প্রায় দেড় মাস পর উদ্ধার হল পুলিশ অফিসারের দেহ। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। মৃত ওই পুলিশ অফিসারের নাম পার্থ চৌধুরি (৪৬)। তিনি রাজারহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন। গত ১১ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।সূত্রের খবর, পার্থ চৌধুরির মা ও ভাই থাকতেন চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগরে। অন্যদিকে, স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকাতেন বেলুড়ের আবাসনে। দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন রোজের মতোই বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফেরেন না। পরিবারের তরফ থেকে শুরু হয় খোঁজাখুজি। এরপরও খোঁজ না পেয়ে থানায় মিলিং ডায়রি করা হয়। পরে ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সংবাদপত্রেও বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তাঁর মা।

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছবি দিয়ে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানাতে থাকেন। এইভাবেই দোলাচলে কেটে যায় প্রায় দেড়মাস। এরপর গত ২০ অক্টোবর বালির পদ্মবাবু রোডের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় থেকে একটি দেহ উদ্ধার করে বালি থানার পুলিশ। জানা যায়, মৃতদেহটি সেখানে প্রায় তিনদিন ধরে পড়েছিল। এরপর ওই দেহটি পাঠানো হয় হাওড়া পুলিশ মর্গে।

এদিকে, নিখোঁজ অফিসারের তদন্ত জারি রেখেছিল রাজারহাট থানার পুলিশ। তদন্ত নেমে তারা বিভিন্ন থানায় যে সকল অজ্ঞাত পরিচয়ের মৃতদেহ গুলি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। সেই সময়ই নিউটাউন থানার পুলিশের হাতে আসে পার্থ চৌধুরির নিথর দেহ। খবর দেওয়া হয় তার পরিবারকে। পরিবার এসে শনাক্ত করে মৃতদেহটি। তবে কীভাবে মৃত্যু হল ওই সাব-ইন্সপেক্টরের তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াসা।
প্রথম দু'দিন ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। কিন্তু তার পরেই কমতে শুরু করেছে স্কুলে হাজিরা। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের দাবি, নানা কারণে স্কুলে যেতে অনীহা দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের। তাদের স্কুলমুখী করতে মাইক হাতে প্রচারে নেমেছেন তাঁরা।বৃহস্পতিবার শিক্ষকেরা দল বেঁধে শহরের সংখ্যালঘু এলাকা-সহ অন্য পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসার আবেদন করেন। কোন বাড়িতে পড়ু্য়া রয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে অভিভাবকদেরও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য অনুরোধও করা হয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোহর দাস বলেন, ''বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। তাদের স্কুলমুখী করতে আমরা আপাতত কয়েকদিন এ ভাবেই মাইকে প্রচার করব। প্রথম দিনের প্রচারে ভালই সাড়া পেয়েছি। আশা করি, এতে কাজ হবে।''

এলাকার অন্যতম পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় হাজার দেড়েক। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ছাত্রীদেরও পড়ায় সুযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের দাবি, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া রয়েছে ১০৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ জনের দেখা মিলছে স্কুলে। দ্বাদশ শ্রেণিতেও ২৮৯ জনের মধ্যে হাজির হচ্ছে ১৩৫-১৪০ জন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনা-সংক্রমণের ভয়ে অভিভাবকেরা স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না বলে দাবি শিক্ষকদের।

এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ভ্যানে মাইক বেঁধে প্রধান শিক্ষক জনা দশেক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে নামেন। পাইকপাড়া, কাজিপাড়া থেকে শুরু করে সুভাষ রোড, সাহাপাড়া, বাজারপাড়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা প্রচার চলে। পাইকপাড়ার বাসিন্দা মাতব্বর শেখ, মহব্বত শেখদের দাবি, ''স্কুল যে খুলেছে প্রথমে জানতে পারিনি। এখন শুনছি পড়ুয়ারা যেতে চাইছে না। আসলে দীর্ঘক্ষণ স্কুলে থাকায় করোনার ভয় রয়েছে। তাই একটু চিন্তায় আছি। তবে শিক্ষকদের এই উদ্যোগে ভরসা পাচ্ছি।'' আর এক বাসিন্দা অশোক মণ্ডলও বলেন, ''স্কুলে যাওয়া নিয়ে এখনও কিছুটা ভীতি, কিছুটা গুজব কাজ করছে। তাই অনেকে যেতে চাইছে না।'' পড়ুয়ারা কেউ দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকায় অসুবিধার কথা জানিয়েছে। কারও কথায় বোঝা যাচ্ছে, দীর্ঘ স্কুল বন্ধে বাড়িতে থাকার অভ্যাস বদলাতে সময় লাগছে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জালিলা খাতুন, দশম শ্রেণির সৈইফ আলি খানেরা বলে, ''প্রথম দিকে স্কুলে যেতে খুবই ইচ্ছে করত। কিন্তু টানা মাস্ক পরে থাকতে পারছি না। তাই রোজ যাচ্ছি না।'' তবে শিক্ষকদের কথায় অনেকেরই আগ্রহ ফিরছে। দাঁইহাটের পুরপ্রশাসক শিশির মণ্ডল শিক্ষকদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গত রবিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ভুটকির হাট বাজারে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলের এসসিএসটি সেলের বুথ সভাপতি সলেমন মহম্মদ। এই ঘটনায় এবার এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই কেন এই কাণ্ড তা স্পষ্ট হবে।পুলিশ সূত্রের খবর,বিহার সীমান্ত সংলগ্ন চোপড়া থেকে দীনেশ মহম্মদ নামে এক যুবক কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল দীনেশ। ঘটনার রাতেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় সে।

এদিকে এই ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ধৃতকে শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন জানান হবে। তবে কেবলই রাজনৈতিক উদ্দেশে হামলা, নাকি ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা ছিল, সেই সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দীনেশ ছাড়াও অপর দুষ্কৃতীর খোঁজ করছে পুলিশ।
শহরের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার যুবক। আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজ সহ নারকেলডাঙ্গা থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ রেহান ওরফে রেহান শেখ। সে নারকেলডাঙারই বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ।ধৃতের মোবাইল কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। একবালপুর এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। মোমিনপুর মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে। তাঁর থেকে ‍১টি ওয়ান সাটার ও ২ রাউন্ড কার্তুজ মেলে। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, কলকাতায় অস্ত্র বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। তাঁকে জেরা করে তাঁর এক সঙ্গী বাবলু আরিকেও গ্রেফতার করেছে একবালপুর থানার পুলিশ। 
চলে গেলেন বামপন্থী নেতা অবনী রায়। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে আরএসপি নেতা প্রাক্তন সাংসদ এর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। জানা গেছে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।শারীরিক অসুস্থতার কারণেও পুনরায় সাংসদ পদ এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন।তিন ১৯৭৮ সালে কলকাতা থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭৮ এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। আবার আরেকটি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তারপর থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে একটি ট‍্যুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, প্রবীণ আরএসপি নেতা অবনীবাবু রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্মে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি অবনী রায়ের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি'।
ফুচকা হোক বা ঝালমুড়ি, গোটা ফল হোক কিংবা কাটা ফল— সবেতেই স্বাস্থ্য দফতরের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। কিন্তু এত দিন এই আইন নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ি ছিল না। এ বার খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।

তাঁরাই নিয়মিত খোঁজ নেবেন সব বিক্রেতা রেজিস্ট্রেশন এবং যাঁদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রয়োজন তাঁরা তা করছেন কি না।
খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে সব আইনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সরকার। 'ফুড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড সেফটি অথরিটি অব ইন্ডিয়া' (এফএসএসএআই)-র অধীনেই গোটা দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন কার্যকর হয়। কেন্দ্রীয় আইন রাজ্যে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতর কার্যকর করে। এই আইন অনুযায়ী যে কোনও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করলেই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। বার্ষিক ১০০ টাকা করে দিতে হয় ছোট বিক্রেতাদের। আর বার্ষিক ব্যবসা ১২ লাখ টাকা বা তার বেশি হলেই ফুড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। দু'হাজার টাকা থেকে শুরু হয় ফুড লাইসেন্সের জন্য বার্ষিক খরচ। কোন দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করে কত টাকা হবে লাইসেন্স ফি।

এত দিন এই আইন রাজ্যে চালু থাকলেও সে ভাবে জোর দেওয়া হয়নি মূলত কর্মী সংখ্যার অভাবেই। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ফুড রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে ২০১৮ সালেই উদ্যোগী হয় রাজ্য। সেই সময় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৪০ জন ফুড অফিসার নিয়োগ হয়। কিন্তু এর পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য দফতর এই ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে পারেনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই শুরু হয়েছে প্রচার।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা শাখার অন্যতম প্রধান তথা ফুড সেফটি ইনস্পেক্টিং অফিসার বিশ্বজিত্‍ মান্না বলেন, ''বর্তমান আইনে বেবি ফুড থেকে ফুচকা— সবই খাদ্য সুরক্ষা শাখার অধীনে। আমরা এখন রাজ্যের সর্বত্র এই আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার কাজ শুরু করেছি। ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি, রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী দোকানদার থেকে হকার খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসা করলেই এফএসএসএআই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। প্রতি বছর ১০০ টাকা দিয়ে পুনর্নবীকরণও বাধ্যতামূলক। আর বড় অঙ্কের ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স থাকাও বাধ্যতামূলক।'' বিশ্বজিত্‍ আরও জানিয়েছেন, জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাজার এলাকায় প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। সকলকে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই সময়ে কেউ রেজিস্ট্রেশন ছাড়া খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন ধরা পড়লে আইনি ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, আইন অনুসারে নিয়ম ভঙ্গ করলে ছোট ব্যবসায়ীদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর বছরে ব্যবসা ১২ লাখ টাকার বেশি হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা ফুড লাইসেন্স করাবেন না তাঁদের ছ'মাসের কারাবাস অথবা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা দুটোই হতে পারে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করেন এমন স্থায়ী দোকানদারদের বেশির ভাগেরই রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স থাকলেও পথের খাবারের দোকানের সে সব একেবারেই নেই। এখন তাই সেই দোকানদার ও হকাররা যাতে অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন করেন সে ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য। প্রথম পর্বে সব শহরে জোর দেওয়া হবে। মাছ, সব্জি বিক্রেতাদেরও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হচ্ছে। জেলায় জেলায় পাঠানো নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ঘুরে ঘুরে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করেন তাঁদেরও রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এর জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলে কাজ করবে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। ওই বিভাগের এক কর্তা বলেন, ''খাবারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই খাদ্য সুরক্ষা এবং তা নিয়ে সচেতনতা দরকার। প্রাথমিক পর্বে আমরা রাজ্যের সব খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতার তথ্য একত্রিত করতে চাইছি। তার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা দরকার। এর পরে দফায় দফায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।''

উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক তৃষা হাজরা বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত খাদ্য ব্যবসায়ীদের ফুড লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এফএসএসএআই আইন অনুযায়ী। ফুড লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া খাদ্য ব্যবসা করা আইনত দণ্ডনীয়। ছোটো-বড়, স্থায়ী-অস্থায়ী সমস্ত রকম ব্যবসায়ীকেই এই রেজিস্ট্রেশন বা ফুড লাইসেন্স করাতে হবে।''
কলকাতা: বেতন-বৈষম্যের প্রতিবাদে নার্সদের বিশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে স্তব্ধ হল কলকাতা। সোমবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের হয় সেই মিছিল। মিছিল শেষে নার্সরা পথ অবরোধ করেন রবীন্দ্র সদন মোড়ে। সেখানেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রোড।গত কয়েক দিন ধরেই এসএসকেএমে আন্দোলন চালাচ্ছে 'নার্সেস ইউনিটি'। তাঁদের দাবি মূলত দু'টি। নার্সদের বেতন কাঠামোয় যে বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে হবে। বেতন কাঠামোয় পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বেশ কয়েক জনকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ নার্স সংগঠনের। সেই বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগানও তোলেন আন্দোলনকারীরা।

নিজেদের দাবি আদায়ে এসএসকেএম হাসপাতালে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সরা। সেখান থেকেই বের হয় সোমবারের মিছিল। এসএসকেএম ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালের নার্সরা যোগ দেন এই মিছিলে।

এই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এসেছেন নার্সরা। এই মিছিলের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিয়েই অবরুদ্ধ কলকাতার ব্যস্ত রাস্তা। কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে।
পঁচিশ জন কিশোর-কিশোরীর মামা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাদেরকে তিনি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাতেই ওই সমস্ত কিশোর-কিশোরীকে পাচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ দৃঢ় হয়। শনিবার এমন সন্দেহে চারজনকে আটক করল পুলিশ।ঘটনাটি রায়গঞ্জ থানা এলাকার।

শনিবার সন্ধ্যায় ২১ জন কিশোর এবং চারজন কিশোরীকে রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেসে তুলতে তাড়াহুড়ো করছিলেন চারজন - দু'জন পুরুষ এবং দু'জন মহিলা। ঘটনাচক্রে সময়ই নিজের এক আত্মীয়কে ট্রেনে তুলতে এসেছিলেন কৌশিক চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। আত্মীয়কে টেনে তোলার পরে তাঁর চোখ যায় কিশোর-কিশোরীদের উপর। তিনি দেখেন যে দু'জন পুরুষ এবং দু'জন মহিলা ওই কিশোর-কিশোরীদের সামলাতে ব্যস্ত রয়েছেন। একসঙ্গে এতজন কিশোর কিশোরীকে দেখে তিনি ওই ব্যক্তিদের একজনকে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। এর মধ্যে একজন নিজের নাম মোজাহিদুল ইসলাম বলে জানান। তিনি নিজেকে হরিরামপুরের মহেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে দাবি করেন। এরপরে তাঁদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে ওই ব্যক্তি উত্তর জানান যে তাদের বিয়েবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরক্ষণেই আবার জানান যে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক নিজেকে ওই কিশোর-কিশোরীদের মামা বলে পরিচয় দেন। ওই ব্যক্তির কথায় অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহ হয় কৌশিকের।

পাচারচক্র জড়িত সন্দেহে তিনি সরাসরি পুলিশ ও চাইল্ড লাইনে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশও তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এছাড়া, কিশোর-কিশোরীদের অভিবাবকদের কোনও সম্মতিপত্রও তারা দেখাতে পারেননি। এরপরে তাদের আটক করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। চাইল্ড লাইনকর্মী সুব্রত সাহা বলেন, 'এতগুলো বাচ্চাদের অভিভাবকরা সঙ্গে নেই। এটা মেনে নেওয়া একটু কষ্টকর। ' এই ঘটনায় তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
দেশে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর অত্যাচারে ২৩ বছর বয়সী এক যুবক। দেশটির উত্তর প্রদেশের বাবরি থানায় এ ঘটনায় শনিবার স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, প্রয়াস হলেন শামলি জেলার চুসনা গ্রামের বাসিন্দা। মাত্র ২৩ বছর বয়স তার। কোমল নামে এক নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় গত ১৪ নভেম্বর। এরপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি লেগেছিল। একপর্যায়ে আত্মহত্যা করেন তিনি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসেই।পরিবারের লোক অভিযোগ করেন, তিনি বিষপান করেছেন। চিকিত্‍সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালে নিয়ে গেলে।চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায়।

মৃত যুবকের বোন সীমা অভিযোগ জানান, বিয়ে হয়েছিল দাদার মাত্র এক সপ্তাহ আগে। তার পর থেকেই আমার দাদাকে উত্যক্ত করত বউদি ও তার ভাই মিলে। সবসময় অশান্তি করত। আমার দাদা আর সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়েছে। যারা দাদার মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

কিন্তু কী নিয়ে অশান্তি হত, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বোন। অভিযুক্ত দুজনই পলাতক। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কোভিড প্রতিষেধক (Covid Vaccine) নিয়ে সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি বৈঠকে বসবে দু'সপ্তাহের মধ্যেই। সেখানেই আলোচনা হবে, শিশুদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কীভাবে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা করবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ইন ইন্ডিয়াএকটি সূত্রে জানা যায়, যে শিশুরা নানা রোগে ভুগছে, তাদের সম্ভবত জানুয়ারি থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মার্চের মধ্যে অপর শিশুদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজের পরে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে বুস্টার ডোজ নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমেরিকা স্থির করেছে, যাঁদের কো-মরবিডিটি আছে তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। বয়স্করাও ওই ডোজ পাবেন। ভারতে এখন কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮.২ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের পরে সুস্থতার এই হার সর্বাধিক। গত সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্বে ফের কোভিডের এপিসেন্টার হয়ে উঠছে ইউরোপ। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে। নেদারল্যান্ডসে শুরু হয়েছে লকডাউন। তার প্রতিবাদ হচ্ছে নাগরিক সমাজের নানা মহল থেকে। গত শুক্রবার সেই প্রতিবাদ হিংসাত্মক রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। জনতার উদ্দেশে জলকামান ছোড়ে। দু'জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। জার্মান সরকার জানিয়েছে, শুধু ভ্যাকসিন দিয়ে অতিমহামারী রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অগত্যা লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। জার্মানির রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট রবিবার জানিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার জন। মারা গিয়েছেন ৭৫ জন। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাহনকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাদের সরকারও কি অস্ট্রিয়ার মতো পুরোদস্তুর লকডাউন করার কথা ভাবছে? তিনি বলেন, পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, 'আমরা এখন জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি'। এরই মধ্যে একটি উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডের ফলে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। অর্থাত্‍ গর্ভবতী মহিলাদের মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কোভিড সংক্রমণের জেরে। গবেষকরা বলছেন, স্বাভাবিকভাবে মহিলাদের মধ্যে স্টিলবার্থের সম্ভাবনা যা থাকে, কোভিড সংক্রমণে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কোভিড যেন এতে অনুঘটকের কাজ করে। করোনা ভাইরাসের ডেলটা প্রজাতিই এই স্টিলবার্থের পিছনে অন্যতম কারণ।
আমরা প্রায়ই দেখে থাকি কিছু মানুষ বসে বসে পা নাড়াচ্ছেন। স্কুল, কলেজ, অফিসে অনেকেরই এই অভ্যাস আছে যে তারা বসে থাকার সময় পা নাড়াতে থাকেন। আপনারও কি পা নাড়ানোর অভ্যাস আছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে হালকাভাবে নেবেন না। কেউ কেউ এই অভ্যাসটিকে খুব হালকাভাবে নেন। কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।আসুন জেনে নেওয়া যাক, পা নাড়ানোর গুরুতর কারণ কী হতে পারে।
শরীরে যখন আয়রনের অভাব হয়, তখন পা নিজে থেকেই নড়তে শুরু করে, এর জন্য আপনার ডায়েটে এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।

অনেক সময় নিশ্চয়ই দেখেছেন যে আমরা যখন শুয়ে থাকি, তখনও পা নড়তে শুরু করে। এটা রেস্টলেস সিনড্রোম-এর কারণেও হতে পারে । এতে পা নাড়ানোর সাথে সাথে সূঁচ ফোটানোর অনুভূতি, চুলকানির মতো লক্ষণগুলোও দেখা যায় ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দশ শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন, এই সমস্যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে এটি বেশিরভাগ তরুণদের মধ্যে দেখা যায়।

অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদেরও গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু প্রসবের এক মাস পর তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান।

তাই অবহেলা করবেন না পা নাড়ানোর অভ্যাসকে । প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
অমর প্রেম। ঠিক যেন শাহজাহান-মমতাজ। মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে স্ত্রীকে উপহার দিলেন তাজমহল এর '‌রেপ্লিকা'‌। একেবারে তাজমহলের মত দেখতে বাড়ি ওই ব্যক্তি উপহার দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে।
মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ চোকসে।যে বাড়ি তিনি তৈরি করেছেন, সেটি সম্পূর্ণভাবে তাজমহলের রেপ্লিকা বলাই ভাল। তিন বছর সময় লেগেছে বাড়িটি তৈরি করতে।বাড়ির ভিতরের কারুকার্যের জন্য বাংলা ও ইন্দোরের শিল্পীদের তিনি আনিয়েছিলেন। একেবারে তাজমহলের মতোই টাওয়ার। ২৯ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বাড়িটির যাবতীয় আসবাব এসেছে মুম্বই থেকে। বাড়িটিতে রয়েছে একটি বড় হল ঘর। একতলা ও দু'‌তলায় রয়েছে দুটি করে বেডরুম। রয়েছে লাইব্রেরী ও যোগা রুম। রয়েছে আলোকসজ্জাও। যাতে রাতের অন্ধকারে একদম তাজমহল মনে হয়।


ঠাণ্ডা পড়তেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপও। গত সাতদিনে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৭ জন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী কলকাতায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৩ জন। এবছর মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৩৬৪ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এবছর মোট আক্রান্ত ১ হাজার ১৬৭ জন।তারমধ্যে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, এবছর ডেঙ্গ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও জল যেন জমে না থাকে, সেবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

অন্যদিকে, হাওড়ায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন। মোট আক্রান্ত ৪০১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫০। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৫ জন। দার্জিলিংয়ে সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। মোট আক্রান্ত ১৯৯ জন। জানা গেছে, শিলিগুড়িতেও বেড়েছে মশার দাপট অবস্থা বেশ খারাপ।

বাগডোগরা, নকশালবাড়িতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সুকনাতেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, জায়গায় জায়গায় জমা জল বিপদ বাড়াচ্ছে। পুরসভার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

চিকিত্‍সকদের দাবি, ডেঙ্গু আর কোভিড-১৯ নিরাময়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। এ সব ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক চিকিত্‍সা করতে হয়। কিন্তু রোগীর শরীরে উপসর্গ (ক্লাসিক্যাল সিম্পটম) না থাকলে উপসর্গভিত্তিক চিকিত্‍সাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিত্‍সক কীসের ভিত্তিতে রক্ত বা লালারসের পরীক্ষা করাতে বলবেন, সেটাই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও সেরকম হলে বিষয়টি ভাবনার।