January 2023

শুক্রবার সকালে সিউড়ি বিধানসভার আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে যান দিদির দূত বিকাশ রায়চৌধুরী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছেন প্রধান।

শুক্রবার সকালে সিউড়ি বিধানসভার আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে যান দিদির দূত বিকাশ রায়চৌধুরী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছেন প্রধান। আর বিধায়ককে সামনে পেয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা আবার নিজেদের তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলেই দাবি করেছেন। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমে প্রধান বিক্ষোভকারীদের বিরোধী দলের সদস্য বলে দাবি করতে থাকেন। প্রধান বলেন, “এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ। কে কী করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। এখন জব কার্ড হচ্ছে না। জব কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা এখন কারোরই নেই। অপপ্রচার চলছে।” যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁদের বিরোধী দলের সদস্য বলেছেন তিনি। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই স্লোগান ওঠে, প্রধান নিজের অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা কথা বলছেন। পরে অবশ্য স্থানীয় ক্লাবে বসে গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনেন বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি মানুষকে নিয়ে ছিনিবিনি খেলেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, তা দল নেবে।”


দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। আবাস দুর্নীতি ইস্যুতে প্রধানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ি এলাকা। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর সামনেই স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এভাবে প্রধানের বিরুদ্ধে বিধায়কের সামনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তবে এসবের মাঝে বিধায়কের সামনে নিজেদের অভিযোগই জানাতে পারলেন না গ্রামবাসীরা। সেই অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি যে স্টার আর্থিক দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী অভিনেতা হিসেবে চর্চিত, গোটা বিশ্বে যাঁকে অনেকেই এক নামে চেনেন, সেই শাহরুখ খানকেই নাকি চিনতেন না পাঠান অভিনেত্রী।


বলিউডে বর্তমানে অন্যতম চর্চিত বিষয় হল ‘পাঠান’ (Pathaan)। চারবছর পর বক্স অফিসে ফেরা মাত্রই ঝড় তুলেছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। সঙ্গে রয়েছে দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহমের সংযোজন। সব মিলিয়ে ছবি নাকি এক কথায় হিট। যদিও সোশ্যাল চোখ রাখেলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বর্তমান। তবে আলোচনার কেন্দ্রে যে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে শাহরুখ খানের ছবি তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। একাধিক স্টারকাস্ট, সঙ্গে টানটান অ্যাকশন, সব মিলিয়ে ছবি নিয়ে একাধিক মন্তব্য ভক্তদের হাতে হাতে ঘুরছে। ছবি দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়া মারফত শুভেচ্ছা জানাতে করণ জোহর লিখেছিলেন-‘ শাহরুখ খান দেশের সীমানার উর্ধ্বে’। সত্যি কি তেমনটা ঘটল? এবার প্রশ্ন তুলে ধরলেন খোদ ছবির নায়িকা। না, দীপিকা পাড়ুোকন নন। তিনি হলেন রিচেল মুসলিন। যাঁর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেকে নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।


সম্প্রতি যে স্টার আর্থিক দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী অভিনেতা হিসেবে চর্চিত, গোটা বিশ্বে যাঁকে অনেকেই এক নামে চেনেন, সেই শাহরুখ খানকেই নাকি চিনতেন না পাঠান অভিনেত্রী। হলিউডের এই অভিনেত্রীকে দেখা যায় পাঠান ছবিতে। এই তাঁর প্রথম হিন্দি ছবিতে কাজ করা। হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দীপিকা পাড়ুকোনের নাম তিনি জানতেন। তবে চিনতেন না শাহরুখ খানকে। ছবির সহপরিচালক তাঁকে জানায়, শাহরুখের ছবি পাওয়া মানে এক বড় সুযোগ। আর সেই কারণেই তিনি ছবি করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।



মামলাকারী দাবি করেন, এভাবে তো ইন্টারভিউ বোর্ডে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আগেই বাদ পড়ে যাবেন। তাই এই সমতা বজায় রাখার মামলাটি হয়।


চাকরি প্রার্থীদের জন্য আগেই ‘মিত্র কমিটি’ গড়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Avijit Ganguly)। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, এই কমিটি ইতিহাস তৈরি করবে। সারা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের যোগ্যতা বিচারের ক্ষেত্রে সমতা রাখতে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শুভময় মৈত্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করেছে হাইকোর্ট। নম্বরে সমতা বজায় রাখার একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, গত দু’দশকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক নম্বরের হার অনেকটাই বেড়েছে। বদল এসেছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে। বর্তমানে পাশ করা পড়ুয়াদের সঙ্গে যদি পুরনো পড়ুয়াদের নম্বরের তুলনা করা হয়, সেক্ষেত্রে পুরনোরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে। এদিকে নিয়োগের পরীক্ষার ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর গুরুত্ব পায়। ফলে শতাংশের নিরিখে নবপ্রজন্ম এগিয়ে থাকছে বলেই অভিযোগ ছিল মামলাকারীর। সেই কারণেই এই কমিটি গঠন করে হাইকোর্ট।

মামলাকারীর বক্তব্য, ২০১৪ সালে যিনি টেট পাশ করেছেন, তিনি তার বেশ কিছুটা আগেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। এর মধ্যে সিলেবাসে বদল এসেছে। বদল এসেছে পরীক্ষার মূল্যায়ণ পদ্ধতি, নম্বরের বিন্যাসেও। ফলে ২০২২ সালে যাঁরা টেট দিয়েছেন, তাঁরা নম্বরের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাকাডেমিক স্কোরের ক্ষেত্রেও বিস্তর ফারাক থাকছে তাঁদের। ফলে নম্বরের ক্ষেত্রে সমতা থাকছে না বলে মামলা হয়।

মামলাকারী দাবি করেন, এভাবে তো ইন্টারভিউ বোর্ডে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আগেই বাদ পড়ে যাবেন। তাই এই সমতা বজায় রাখার মামলাটি হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। তিনি এই কমিটি তৈরি করে দেন। যোগ্যতা বিচার কীভাবে করা যেতে পারে, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। সেই কমিটি এদিন প্রাথমিক কাজ শেষ করার জন্য আরও এক মাস সময় চাইল।





রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান নিয়ে কড়া মন্তব্য করতে শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে। বললেন, অনুষ্ঠান করে হাতেখড়ি দেওয়া, এটি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে।


রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হাতেখড়ি নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। সরস্বতী পুজোর বিকেলে রাজ্যপালের হাতেখড়ির জন্য রাজভবনে যে এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপি শিবিরের কাউকে দেখা যায়নি সেখানে। আমন্ত্রণপত্র পেলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সেখানে যাননি। কেন যাচ্ছেন না, সেই কারণও নিজেই জানিয়েছিলেন। টুইটে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, সেখানে যে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হবে, তার সাক্ষী তিনি হতে চান না। পরে শুভেন্দু আরও বলেছিলেন, রাজ্যপালকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এবার তাঁর হাতেখড়ির অনুষ্ঠান নিয়ে কড়া মন্তব্য করতে শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকেও (Dilip Ghosh)। বললেন, অনুষ্ঠান করে হাতেখড়ি দেওয়া, এটি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে।



সেখানে বিজেপির নেতাদের গরহাজির থাকা নিয়ে প্রশ্ন করায় আরও সুর চড়ালেন দিলীপবাবু। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কে কোথায় যাবেন, কে কোথায় যাবেন না, সেটি আলাদা বিষয়। কিন্তু এই ধরনের ‘ড্রামা করা রাজ্যপালের শোভা পায় না’ বলেই মনে করছেন তিনি। নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, ‘নতুন ভাষা শেখা উচিত। তাতে সংহতি দৃঢ় হয়। আমাদের দেশে বহু মানুষ বহু ভাষা জানেন। তার জন্য কোনও অনুষ্ঠান করার দরকার হয় না।’ সঙ্গে অবশ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির কথায়, রাজ্যপালের পদে গরিমা যাতে বজায় থাকে, সেই দিকে নজর দেওয়া উচিত। আগামী দিনে যাতে কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারে, রাজ্যপালের ব্যবহার তেমনই হবে বলে আশা করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার গেরুয়া শিবিরের।

দিদির ‘সুরক্ষা কবচ’ (Didir Surakha Kavach) কর্মসূচির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে সরগরম কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে মহকুমায় । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে তুফানগঞ্জের (Tufanganj) কয়েকটি জায়গায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় তুফানগঞ্জে । পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, যতই এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ততই বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। শাসক (TMC) ও বিরোধীদের মধ্যে এই নিয়ে কোন্দল তুঙ্গে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার গেরুয়া শিবিরের।



অপরদিকে বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ করছে। ঘটনাকে ঘিরে সরগরম তুফানগঞ্জের অন্দরান ফুলবারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি বুথ। যদিও উভয় দলই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে উভয় দল তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোবিন্দ রায় বলেন, “জনগণ ওদের একেবারে অপছন্দ করে। পঞ্চায়েত ভোটে ওদের ভালো ফল হবে না। রাতে বিজেপির কর্মীরা মদ-গাঁজা খেয়ে ঘোরাঘুরি করে। ওরাই পোস্টার ছিঁড়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছে। আর মদের নেশার ঘোরে নিজেরা নিজেদেরও পতাকা ছিঁড়েছে।”


শিয়ালদহ মেন ও সাউথ সেকশনের ও কতগুলি ট্রেন বাতিল। আবার হাওড়া থেকে কর্ড লাইনে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেন বাতিল থাকবে।




দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারতীয় রেল। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রেলের নেটওয়ার্ক ভরসা করতে হয় বহু মানুষকে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ এবং অপারেশনাল কিছু কাজের জন্য অনেক লাইনে কিছু ট্রেন বাতিল করে রেল। কুয়াশার কারণেও শীতকালে বহু ট্রেন বাতিল হয়। এই ট্রেন বাতিলের জেরে মানুষ যাতে সমস্যা না পড়ে তার জন্য বাতিলের তালিকা জানিয়ে দেন রেল কর্তৃপক্ষ। ২৭ জানুয়ারিও দেশ জুড়ে ২৮৭ লোকাল, প্যাসেঞ্জার এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। এবং ৪৪ ট্রেনের যাত্রাপথের পরিবর্তন এবং ৪০ ট্রেনের গতিপথ ছোট করা হয়েছে। একাধিক রাজ্যের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনও রয়েছে এর মধ্যে। পঞ্জাব, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে চলাচলকারী একাধিক ট্রেন রয়েছে বাতিলের তালিকায়। আসুন দেখে নিই সেই তালিকা। শিয়ালদহ সেকশনের কিছু ট্রেনও থাকবে বাতিল।

২৭ জানুয়ারি ২৮৭ ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেলের। এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি সেকশনে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেন ও শুক্রবার বাতিল থাকবে। কোথাও যাওয়ার আগে দেখে নিন, যাতে বেরিয়ে সমস্যায় না পড়তে হয়।

০৩০৮৫ আজিমগঞ্জ জং- নলহাটি জং লোকাল। যা রাত ১০টা ২৫ মিনিটে আজিমগঞ্জ ছেড়ে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নলহাটি পৌঁছনোর কথা। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের সংযোগকারী ট্রেনটি শুক্রবার বাতিল থাকবে। নলহাটি থেকে আজিমগঞ্জ আসার একটি ট্রেনও বাতিল থাকবে। সকাল ৭টা ৫ মিনিটে আসানসোল ছেড়ে বোকারো স্টিল সিটির যাওয়া ট্রেনটিও বাতিল হয়েছে। শিয়ালদহ- আজমেঢ় এক্সপ্রেসও বাতিল থাকবে।


পালং শাকের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। একইভাবে, যখন এই শাক চচ্চড়িতে রাঙা আলু, বেগুন, শিম, কুমড়ো মেশে তখন এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

পালং শাকের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। একইভাবে, যখন এই শাক চচ্চড়িতে রাঙা আলু, বেগুন, শিম, কুমড়ো মেশে তখন এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। পুষ্টিবিদদের মতে, সবজি সব সময় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই একবাটি সবজি খেয়েও আপনি ওজন কমাতে পারেন। পাশাপাশি আপনাকে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস নিয়েও মাথা খারাপ করতে হবে না। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক পালং শাকের চচ্চড়ি কীভাবে তৈরি করবেন।

পালং শাকের চচ্চড়ি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:

২টো মাঝারি সাইজের আলু, ১টা রাঙা আলু, ১টা বেগুন, ৫-৬টি শিম, ১ আঁটি পালং শাক, ১৫০ গ্রাম কুমড়ো, পরিমাণ মতো সর্ষের তেল, ২টো শুকনো তেল, ১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন, ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ লঙ্কার গুঁড়ো, ২টো কাঁচালঙ্কা আর স্বাদ অনুযায়ী নুন এবং সামান্য চিনি স্বাদের জন্য।

এর সঞ্চালকের প্রশ্নে যখন উঠে আসে খরাজ মুখোপাধ্যায় অভিনেতার থেকেও বেশি শোনা যায় তিনি কমেডিয়ান। এটা নিয়ে কোনও আক্ষেপ হয় না? 


টলিউড অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রথম থেকেই নিজের কেরিয়ার নিয়ে বেশ আশাবাদী। একটাই বিষয় তাঁকে বারে বারে টানত, তা হল অভিনয়। থিয়েটরের প্রতি তাঁর এক অমোঘ নেশা। যার হাতছানি নিতি কখনই এড়াতে পারেননি। সম্প্রতি সন্দেশ টিভি-তে সোল কানেকশন-এ উপস্থিত হয়ে নিজের অভিনয় প্রীতির কথা উজার করে বললেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। তাঁর নিজের অভিনয়ের প্রতি খিদে এতটাই, যে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম দেখাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বাস্তব ছবিটা। বলেছিলেন- আজও আমি থিয়েটর নিয়ে সিরিয়াস। আমি যেদিন প্রথম বেড়িয়েছিলাম প্রতিভাকে নিয়ে সেদিনই জানিয়েছিলাম, তোমার জীবনে একটা সতীন আছেন। এটা মাথায় রাখো।


নানা ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে কেরিয়ার গেলেও কোথাও গিয়ে যেন খরাজ মুখোপাধ্যায় জানতেন, দিনের শেষে তাঁর মন কী চায়। তাই অভিনয়েই বাঁচেন তিনি। থিয়েটরের মঞ্চ প্রাণ হলেও বড়পর্দা কিংবা ছোট পর্দা থেকেও মুখ ফিরিয়ে থাকেননি তিনি। একের পর এক ভাল ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি।

তবে কেবল অভিনেতা নন, ডাবিং স্টারও বটে খরাজ মুখোপাধ্যায়। একের পর বলিউড থেকে টলিউজের বাঘাবাঘা অভিনেতাদের ডাবিং করেছেন তিনি। অভিনেতার কথায় প্রতিটা অভিনেতাই অনুভূতির বিভিন্ন রহসদ নিয়ে অভিনয় করেন। সেই টিউনিং-কে ম্যাচ করাতে পারলেই ডাবিং খুব সহজ হয়ে যায়।

২০২৩ সালটি মৃণাল সেনের ১০০ বছর পূর্তির। সেই জন্য তাঁকে নিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে বাংলায়। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি করছেন 'পালান'। সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় তৈরি করছেন মৃণাল সেনের বায়োপিক 'পদাতিক'।

রেগে গিয়েছেন কিংবদন্তি বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেনের পুত্র কুণাল সেন। তাঁর নাম করে কিছু ‘দুষ্টু’লোক ফোন নম্বর চাইছে ইনস্টাগ্রামে। তৈরি করেছে মিথ্যা অ্যাকাউন্টও। এই নিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন মৃণালপুত্র। তিনি একটি পোস্টের মাধ্যমে সতর্ক করেছেন সক্কলকে।

ফেসবুকে কুণাল লিখেছেন, “কেউ বা কারা আমার নাম করে ইনস্টাগ্রামে মিথ্যে প্রোফাইল তৈরি করেছে। সেই ভুয়ো প্রোফাইলে আমার আসল প্রোফাইল থেকে ছবি নিয়ে পোস্ট করেছে। সেই অ্যাকাউন্টটির নাম kunal___sen (এ ক্ষেত্রে আপনার বাড়তি আন্ডারস্কোরটি লক্ষ্য করুন।) এরপর তারা আমার কনট্যাক্টসদের টেক্সট করছে এবং ফোন নম্বর নেওয়ার চেষ্টাও করছে। এটা একটা ক্লাসিক টেকনিক। আমি আশা করছি, আপনারা অনেকেই ফোন নম্বর দেননি। এটা একটা সাংঘাতিক সমস্যা। কিছু বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

কুণালের এই পোস্টের পরে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীই তাঁকে সুপরামর্শ দিয়েছেন ফেসবুকে। কেউ-কেউ তাঁকে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কুণাল জানিয়েছেন, তাঁর প্রোফাইল হ্যাক হয়নি। অনেকে তাঁকে আইনের সাহায্যও নিতে বলেছেন। কেউ-কেউ জানিয়েছেন, তাঁরা সেই ভুয়ো প্রোফাইলটিকে ব্লক করেছেন।

২০২৩ সালটি মৃণাল সেনের ১০০ বছর পূর্তির। সেই জন্য তাঁকে নিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে বাংলায়। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি করছেন ‘পালান’। সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় তৈরি করছেন মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’। পুত্র কুণাল থাকেন শিকাগোতে। সেখানেই তৈরি হয়েছে মৃণাল সেনের আর্কাইভ।

বর্তী Updated on: Jan 27, 2023 | 11:38 AM
Shyampur Molestation Case: ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিগৃহীতার। ধৃত তিন জনের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।



শ্যামপুরকাণ্ডে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। তিন অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও, হাওড়ার গ্রামীণ জেলার এসপির যৌথ উদ্যোগে করা হয়। ছিলেন হাওড়ার গ্রামীণ জেলার অ্যাডিশন্যাল এসপি ইন্দ্রজিৎ সরকারও। ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিগৃহীতার। ধৃত তিন জনের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। ছিলেন আরও দু’জন প্রতিনিধি। নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। নিগৃহীতা ছাত্রী তাঁদের জানায়, ধৃত তিন দুষ্কৃতী এলাকায় এর আগেও অনেক মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। তাঁদের কাছে ঘটনার রাতের বিবরণ দেন নিগৃহীতা। সুদেষ্ণা রায় বলেন, “পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা পাশে থাকব। এই পরিবারের দুটি মেয়ে। এই দুজনকেই কন্যাশ্রী দেওয়া হবে। এর সঙ্গে আরও কীভাবে পাশে থাকা যায়, তার চেষ্টা করব। তিন জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়। পুলিশ বেআইনি মদের ঠেক গুলো যাতে তুলে দেয়, তার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।”


এদিকে, ঘটনাকে ঘিরে সরব রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির (BJP) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বুধবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্যামপুর। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শ্যামপুর থানায় যান গ্রামবাসীরাও। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। থানার ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা বিষয় নিয়ে এখনও তপ্ত শ্যামপুর।


আলফা, কেএলও এনডিএফবি এবং কেএলও দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পুলিশ মহলে এই সবের জন্য তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে।

অফুরান উদ্যম, সাহসিকতা ও ভাল কাজের জন্য এবার পুরস্কার পাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকার। শৌর্য পদকের পর এবার ইন্ডিয়ান পুলিশ মেডেল (আইপিএম) পাচ্ছেন তিনি। উত্তরবঙ্গের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল যখন কেএলও (KLO) আন্দোলনে জেরবার রাজ্য সরকার, সেই সময় আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রাম থানার দায়িত্ব পান বাসুদেব সরকার। আর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক সাফল্য। আলফা, কেএলও এনডিএফবি এবং কেএলও দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পুলিশ মহলে এই সবের জন্য তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। সেই বাসুদেব সরকার এবার জাতীয় স্তরের পুরস্কার পাওয়ায় খুশির হাওয়া আলিপুরদুয়ার পুলিশ প্রশাসনেও।



কেএলও আন্দোলনের কালো মেঘে যখন ঢেকে গিয়েছিল উত্তরের আকাশ, ঠিক সেই সময়ে ধুমকেতুর মত আবির্ভাব ঘটে পুলিশ অফিসার বাসুদেব সরকার। পুলিশ মহলে ‘বিডি’ বলেই সুপরিচিত তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কেএলও আন্দোলন চরমে পৌঁছে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গে। লাগামহীন সন্ত্রাস। সেই সময়েই দায়িত্বে আসেন বাসুদেব সরকার। কেএলও-দের নিয়ন্ত্রণে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ২০০১ সাল থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক থানায় ডিউটি সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মাটিগারা, কুমারগ্রাম, জয়গাঁ, গোয়ালপোখর, শামুকতলা, বাগডোগরা, এনজিপি, মালবাজার থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনও কোনও থানায় দুইবারও পোস্টিং পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে পদোন্নতি হয়ে আইসি হিসেবে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের দায়িত্ব পালন করেন। পরে আবার সিতাই এবং কুমারগ্রাম থানার আইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।

কলকাতা, শিলিগুড়ির পর বাংলার আরও দুই শহরে চালু হয়ে গেল Reliance Jio True 5G। সেই শহর দুটিই পশ্চিম বর্ধমানের— আসানসোল ও দুর্গাপুর।

কলকাতা, শিলিগুড়ির পর বাংলার আরও দুই শহরে চালু হয়ে গেল Reliance Jio True 5G। সেই শহর দুটিই পশ্চিম বর্ধমানের— আসানসোল ও দুর্গাপুর। এদিন দেশের মোট 50টি শহরে মুম্বইয়ের টেলিকম জায়ান্টটি তাদের দ্রুত গতির 5G পরিষেবা লঞ্চ করল। সব মিলিয়ে এখন দেশের মোট 184টি শহর Jio 5G পরিষেবা পেয়ে গেল, যার মধ্যে চারটিই বাংলার।

Reliance Jio হল দেশের প্রথম এবং একমাত্র অপারেটর, যারা দেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে 5G পরিষেবা চালু করেছে। এই সব শহরের Jio গ্রাহকদের Jio Welcome Offer ব্যবহারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই 50 শহরের Jio ব্যবহারকারীরা মঙ্গলবার, 24 জানুয়ারি থেকে কোনও অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই 1 Gbps+ গতিতে সীমাহীন ডেটার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন।

এদিনে 50 শহরে Jio 5G চালু করে কোম্পানির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, 17টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে 50টি অতিরিক্ত শহরে Jio True 5G পরিষেবা লঞ্চ করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। এই নিয়ে এখন দেশের 184 শহরে জিও 5G চালু হয়ে গেল। এখনও পর্যন্ত 5G পরিষেবার বৃহত্তম রোলআউটগুলির মধ্যে একটি হল এদিনের এই 50 শহরে Jio-র 5G পরিষেবার সম্প্রসারণ। শুধু ভারত নয়। বিশ্বের কোনও জায়গাতেই এমন বৃহত্তম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এর আগে হয়নি।”

Jio-র ওই মুখপাত্র আরও যোগ করে বললেন, “সারা দেশে ট্রু 5জি রোলআউটের গতি এবং তীব্রতা বাড়িয়েছি। কারণ, আমরা চাই প্রতিটি ব্যবহারকারী Jio True 5G প্রযুক্তির ট্রান্সফর্মেশনাল সুবিধা উপভোগ করুন। 2023 সালে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের প্রতিটা প্রান্তের মানুষ Jio True 5G-র দ্রুততর ইন্টারনেট দ্বারা উপকৃত হতে পারবেন।”

স্প্যানিশ ক্লাবের হয়ে প্রচুর সাফল্য পেয়েছেন। সাফল্য দিয়েছেন ক্লাবকেও। কিন্তু বার্সা ছেড়ে সেই মেসিকেই (Lionel Messi) চলে যেতে হয়েছিল প্যারিস সাঁজাতে।

বার্সেলোনার যুব দল থেকেই উত্থান হয়েছিল তাঁর। সিনিয়র টিমে পা দেওয়ার পর দ্রুত সাফল্যের শিখরে উঠে পড়েছিলেন। ধীরে ধীরে বিশ্বের সেরা ফুটবলারের তালিকাতেও ঢুকে পড়েছিলেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ক্লাবের হয়ে প্রচুর সাফল্য পেয়েছেন। সাফল্য দিয়েছেন ক্লাবকেও। কিন্তু বার্সা ছেড়ে সেই মেসিকেই (Lionel Messi) চলে যেতে হয়েছিল প্যারিস সাঁজাতে। সেও ছিল এক নায়কীয় পরিস্থিতি। বার্সা ছাড়ার আগে শেষ যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন, তাতে কেঁদে ফেলেছিলেন এলএম টেন। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে আসছে আর্জেন্টেনিয়ানের। ট্রান্সফার মার্কেটে গুঞ্জন, মেসি ফিরতে পারেন বার্সেলোনায় (Barcelona)। তা কি সম্ভব? কী বলছে মেসির ঘনিষ্ঠমহল? তুলে ধরল 


বার্সেলোনার হয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে খেলেছেন মেসি। স্প্যানিশ ক্লাব তো বটেই, বিশ্বের ক্লাব ফুটবলেও তিনি অন্যতম সফল ফুটবলার। ৭৭৮টা ম্যাচ খেলেছেন বার্সার হয়ে। করেছেন ৬৭২টা গোল। সঙ্গে ৩০৩টা গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। সেই মেসি তার পরও খুশি নন তাঁর পুরনো ক্লাব নিয়ে। এই দু’বছরে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে অনেকটাই। বার্সা যেমন নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। তেমনই মেসিও বিশ্ব ফুটবলে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। কাতার বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে মেসিও এসে গিয়েছেন তাঁর ফুটবল জীবনের প্রান্তিক স্টেশনে। এই পরিস্থিতিতে মেসি যে আর নতুন করে ফিরে যেতে চাইছেন না বার্সায়া, তা খানিকটা হলেও স্পষ্ট।

মেসির এক ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক গাটসন এদুল দাবি করেছেন, পিএসজি যদি ছাড়তেও হয়, তা হলেও বার্সেলোনায় ফিরবেন না মেসি। তার অন্যতম কারণই হল, স্প্যানিশ ক্লাবের বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। গাটসনের কথায়, ‘এই মুহূর্তে মেসির সঙ্গে বার্সার বোর্ডের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। মেসি ওর পুরনো ক্লাব বার্সেলোনাকে আজও একই রকম ভালোবাসে। কিন্তু পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কও বেশ জটিল হয়ে গিয়েছে। তার কারণই হল, বার্সা আর ওর মধ্যে শেষটা ভালো ছিল না।’

ইডেনের পিচে বেশি জল ঢালা হয়েছে বলেই ম্যাচের আগের দিনই রব তুলেছিলেন মনোজরা। সঠিক সময়ে ম্যাচ শুরু করা যাবে না বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। বাস্তবে ঘটল সেটাই।


ঘরের মাঠে রঞ্জির (Ranji Trophy 2022-23) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ বাংলার (Bengal Team)। মঙ্গলবার সকাল সকাল ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বাদ সাধল ইডেন গার্ডেন্সের ভেজা পিচ। মঙ্গলবার কলকাতার কনকনে শীতের সকালে টস করা যায়নি। পিচের সঙ্গে মাঠও ভেজা ছিল। বৃষ্টি হয়নি তাহলে পিচ ভেজা কেন? মনোজ তিওয়ারিরা পিচ কিউরেটরদের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন। ইডেনের পিচে বেশি জল ঢালা হয়েছে বলেই ম্যাচের আগের দিনই রব তুলেছিলেন মনোজরা। সঠিক সময়ে ম্যাচ শুরু করা যাবে না বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। বাস্তবে ঘটল সেটাই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ টস হয়। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলার। ইডেনে বাংলা-রঞ্জি ম্যাচের বল গড়ায় দুপুর ১টা থেকে


ইতিমধ্যেই বাংলা দল কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পাকা করেছে। তাতে কী? অপরাজিত থেকে নকআউটের ম্যাচে নামতে চায় টিম বেঙ্গল। নকআউটে ঝাঁপানোর আগে গ্রুপ এ-র শেষ ম্যাচ ঘরের মাঠে। অবশ্যই এর ফায়দা তোলার চেষ্টা থাকবে মনোজদের। কিন্তু ম্যাচের আগেরদিন উইকেট দেখে মাথায় হাত পড়ে মনোজদের। অনুশীলন পিচের অবস্থাও ছিল এক। অনুশীলন পিচও খেলার যোগ্য নয়। গুরুতর না হলেও সোমবার অনুশীলনের সময় সামান্য আঘাত পান আকাশদীপ। মঙ্গলবার, সারা দিনে চারবার ইডেনের পিচ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। অবশেষে চার ঘণ্টা পর টস শুরু হয়।

কেন নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর শুরু হল ম্যাচ? ইডেনের পিচে জল দেওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে বিতর্ক। রঞ্জি ট্রফিতে উইকেট তৈরির দায়িত্ব থাকে বোর্ডের উপর। অর্থাৎ কিউরেটররা বোর্ডের নিযুক্ত কর্মী। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাঁদের। তা সত্ত্বেও পিচে অতিরিক্ত জল ঢেলে ম্যাচের প্রথম সেশন ভেস্তে দেওয়ার মানে কী? ঘটনায় ব্যপক অসন্তুষ্ট বাংলার ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি। নাম না করলেও কিউরেটরদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বাংলা-ওড়িশা ম্যাচে পিচ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন বিসিসিআই কিউরেটর অশোর ভার্মা। যদিও অনুশীলন পিচ সিএবির দায়িত্বে।



হায়দরাবাদে প্রথম ওডিআইতে তিনশোর উপরে রান উঠলেও ব্রেসওয়েলের সেঞ্চুরিতে পাল্টা লড়াই করেছিল কিউয়িরা। আজকের পরিস্থিতি অন্যরকম। ভারত ইতিমধ্যেই সিরিজ জিতে গিয়েছে।


হায়দরাবাদের পর ইন্দোরে ফের রানের বর্ষণ। দুই ওপেনারের দুরন্ত সেঞ্চুরি। ওপেনিং জুটিতে উঠল ২১২ রান। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার (৮৫ বলে ১০১ রান) ব্যাটে দীর্ঘ তিনবছর পর সেঞ্চুরি এল। অনবদ্য শতরান এল শুভমন গিলের ব্যাটেও। এই দুইয়ের ব্যাটে ভর করে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওডিআই (India vs New Zealand) ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট খুইয়ে ৩৮৫ রান তুলল ভারত। অর্থাৎ প্রায় চারশোর কাছাকাছি টার্গেট। হায়দরাবাদে তিনশোর উপরে রান উঠলেও ব্রেসওয়েলের সেঞ্চুরিতে পাল্টা লড়াই করেছিল কিউয়িরা। আজকের পরিস্থিতি অন্যরকম। ভারত ইতিমধ্যেই সিরিজ জিতে গিয়েছে। তবে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা এড়াতে হলে আজও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের ব্যাট চওড়া হতে হবে। নয়তো হেসেখেলে সিরিজে কিউয়িদের ক্লিন সুইপ করবে ভারত। ভারতের ইনিংসের বিস্তারিত 


হোলকার স্টেডিয়ামে ছোট বাউন্ডারির মাঠে এদিন শুরু থেকেই তাণ্ডব শুরু হয় রোহিত, গিলের। ভারতীয় ওপেনারদের চার, ছয়ের বন্যায় দিশেহারা দেখাচ্ছিল কিউয়ি বোলারদের। জুটিতে ২১২ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ। ২৬ ওভার পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বোলারদের হতাশ করে রেখেছিলেন রোহিত-গিলরা। ১০১ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। দলীয় ২১২ রানের মাথায় শতরানকারী রোহিতের উইকেট ফেলে প্রথম সাফল্য নিউজিল্যান্ডের। ব্রেসওয়েলের বলে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন। ওভারের শেষ বলে রোহিতের পথ অনুসরণ করেন আরও এক শতরানকারী শুভমন গিল (৭৮ বলে ১১২ রান)। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ২৭ বলে ৩৯ রান বিরাট কোহলির। ঈশান কিষাণ (১৭), সূর্যকুমার যাদব (১৪) স্বল্প রানেই ফিরলেন। বিরাটের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন ঈশান। কিউয়িদের চাপ বাড়িয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৮ বলে ৫৪ রান হার্দিকের। শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটে ১৭ বলে ২৫ রান। সব মিলিয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান উঠল ভারতের খাতায়।



চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন উরফি। তাঁকে নিয়ে নানা কটাক্ষ।

ফুলে গিয়েছে গোটা মুখ। চোখের অবস্থাও তথৈবচ। উরফি জাভেদকে দেখলে চিনতে পারাই দায়। কী হয়েছে তাঁর? নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন উরফি। সেখানেই দেখা গিয়েছে, উরফির এই নতুন ‘রূপ’। উরফি লিখেছেন, “কী থেকে কী হয়ে গেলাম। যখন এলার্জি হয়ে যায়।” যদিও এখানেই তিনি থেমে যাননি। প্রশ্ন করেছেন, “কার মতো দেখতে লাগছে আমায়”? নেটিজেনরাও উত্তর দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, তাঁকে নাকি বিনামেক আপের রাখী সাওয়ান্ত। আবার কারও মতে এ সবই নাকি উরফির ‘কর্মফল’।



চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন উরফি। তাঁকে নিয়ে নানা কটাক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উঠেছে অশ্লীলতার অভিযোগও। এমনকি সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার দায়ে থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। পোশাক না পরা নিয়ে সম্প্রতি এক বিবৃতি দিয়েছিলেন উরফি। শেয়ার করেছিলেন এক ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছিল উরফির সারা গায়ে এলার্জি হয়েছে। উরফি জানিয়েছিলেন পোশাক পরলে নাকি তাঁর গায়ে এলার্জি বের হয়। আর সে কারণেই পোশাক পরা থেকে বিরত থাকেন তিনি। তা নিয়েও যদিও চলেছিল চরম ট্রোলিং।

সম্প্রতি এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কোনওদিন পোশাক নিয়ে অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে তাঁকে কি পড়তে হয়েছে? উরফি উত্তরে জানিয়েছিলেন, তাঁর যা রয়েছে বাকিদেরও তাই রয়েছে। তাই লজ্জা বা অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে মোটেও পড়তে হয় না তাঁকে। তিনি আরও বলেন, “আত্মীয়রা আমায় নিয়ে কী বলে, আমার কিচ্ছু যায় আসে না”। নিজের শর্তে বাঁচেন তিনি, থাকতে চান চর্চায়।

মহিলাদের বর্ষসেরা ওয়ান ডে টিমে প্রত্যাশিত ভাবেই রয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। মহিলাদের বর্ষসেরা ওয়ান ডে টিমের অধিনায়ক ভারতের হরমনপ্রীত কৌর।

 এক দিন আগেই বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগেই সেরা একাদশ ঘোষণা করেছিলেন। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি টিমে তিন এবং মহিলাদের টি-টোয়েন্টি টিমে ভারতের চারজন ছিলেন। এ বার টেস্ট এবং ওয়ান ডে টিমও ঘোষণা করল আইসিসি। টেস্ট টিমে ভারতের মাত্র একজন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। ওয়ান ডে টিমে রয়েছেন ভারতের দু-জন। মহিলাদের বর্ষসেরা ওয়ান ডে টিমে প্রত্যাশিত ভাবেই রয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। মহিলাদের বর্ষসেরা ওয়ান ডে টিমের অধিনায়ক ভারতের হরমনপ্রীত কৌর। এ ছাড়াও জায়গা পেয়েছেন পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর। কেমন হল আইসিসির বর্ষসেরা একাদশ? বিস্তারিত 


বর্ষসেরা টিম ঘোষণা সম্পূর্ণ হল। তবে বর্ষসেরা ক্রিকেটার, ভিন্ন ফরম্যাটে বর্ষসেরার ঘোষণা এখনও বাকি। এ দিন ঘোষিত বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে ভারতীয়দের মধ্যে মাত্র একজন সুযোগ পেয়েছেন। তিনি ঋষভ পন্থ। কিছুদিন আগেই গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঋষভ। বিপদ কাটিয়ে উঠলেও তাঁর মাঠে ফেরা সম্ভব হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তাঁর খেলার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও টেস্ট ক্রিকেটে বহু ম্যাচেই ভারতকে ব্য়াট হাতে ভরসা দিয়েছেন। ঋষভ পন্থ ক্রিজে থাকা মানেই প্রতিপক্ষ বোলারদের আতঙ্ক। টেস্ট একাদশে ভারতের আর কেউই নেই। টেস্ট একাদশের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে ইংল্য়ান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন বেন স্টোকসকে।

আইসিসি পুরুষদের বর্ষসেরা ওয়ান ডে একাদশের নেতৃত্বে হরমনপ্রীত কৌর। গত কয়েক বছরের মতো এ বারও রয়েছেন ভারতের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ত্রি-দেশীয় সিরিজ খেলছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন স্মৃতি ও হরমনপ্রীত কৌর। একাদশে এ ছাড়াও রয়েছেন পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর। গত বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। শুরু থেকে নজর কেড়েছেন। ধারাবাহিকতার পুরস্কার পেলেন। আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ান ডে স্কোয়াডে রেনুকা।

বর্ষসেরা টেস্ট টিম: উসমান খোয়াজা (অস্ট্রেলিয়া), ক্রেগ ব্রেথওয়েট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মার্নাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া), বাবর আজম (পাকিস্তান), জনি বেয়ারস্টো (ইংল্য়ান্ড), বেন স্টোকস (ইংল্য়ান্ড), ঋষভ পন্থ (ভারত), প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া), কাগিসো রাবাডা (দক্ষিণ আফ্রিকা), নাথান লিয়ন (অস্ট্রেলিয়া), জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্য়ান্ড)।

বর্ষসেরা ওয়ান ডে টিম (মেন্স): বাবর আজম (পাকিস্তান), ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), শেই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), শ্রেয়স আইয়ার (ভারত), টম ল্য়াথাম (নিউজিল্যান্ড), সিকান্দার রাজা (জিম্বাবোয়ে), মেহদি হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ), আলজারি জোসেফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মহম্মদ সিরাজ (ভারত), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া)



ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় তথা নিয়মরক্ষার ওডিআই ম্যাচে ফের হিট রোহিত। ৮৩ বলে দুরন্ত সেঞ্চুরি তাঁর।

কাটল দীর্ঘদিনের শতরানের খরা। ওডিআই ফরম্যাটে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ব্যাটে শেষবার শতরান এসেছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। তারপর থেকে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে হিটম্যানের ব্যাট ছিল নীরব। এর মাঝে টেস্টে শতরান এলেও ওডিআইতে ঝুলি ছিল শূন্য। শতরানের কাছাকাছি পৌঁছেও ফিরতে হয়েছে। তিন অঙ্কের সংখ্যার সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছিল। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) বিরুদ্ধে তৃতীয় তথা নিয়মরক্ষার ওডিআই ম্যাচে ফের হিট রোহিত। ৮৩ বলে দুরন্ত সেঞ্চুরি তাঁর। ৯টি চার ও ছয়টি ছক্কা। নতুন বছরের প্রথমেই তিনবছরের শতরানের খরা কাটালেন। ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি ফেলছে ভারতীয় শিবির। রোহিতের সেঞ্চুরির পর কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মুখে চওড়া হাসি দেখা গিয়েছে। ম্যাচের বিস্তারিত

রোহিতের ব্যাটে সেঞ্চুরি দেখার অপেক্ষা মিটেছে অনুরাগীদের। দীর্ঘ তিনবছরের অপেক্ষা। ফিটনেস নিয়ে বরাবর সমালোচিত হয়েছেন। ব্যাটে রানের খরা নিয়ে ছেড়ে কথা বললেননি কেউ। সব সমালোচনার জবাব দিয়ে ঘরের মাঠে কেরিয়ারের ৩০তম ওডিআই সেঞ্চুরি হাঁকালেন রোহিত। এরই সঙ্গে রিকি পন্টিংয়ের ওডিআই শতরানের রেকর্ডে ভাগ বসালেন। ওডিআই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিকের তালিকার তৃতীয় স্থানে রোহিত। রোহিত ও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ৩০-৩০।

যদিও শতরানের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি রোহিত। ২৭ ওভারের প্রথম বলে ব্রেসওয়েলের বলে স্টাম্প উড়ে যায়। ৮৫ বলে ১০১ রান। ইন্দোরের অপেক্ষাকৃত ছোট বাউন্ডারির স্টেডিয়ামে রোহিত মাঠে নেমেই ঝড় তোলেন। ১০১ রানে শেষ হয় সেই ঝড়। দারুণ ছন্দে রয়েছেন বিরাট কোহলি। শুভমন গিলের ব্যাটে রান থামার কোনও লক্ষণই নেই। তিনিও ৭৮ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দলের ক্যাপ্টেনের ব্যাটে শতরান আসায় ভারতীয় শিবিরে খুশির হাওয়া।

সালের শেষ বা ২০২৪ সালের শুরুতেই সাধারণ নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। সেই নির্বাচনে সার্বিক ভাবে ইভিএম-এ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাই বাস্তবায়িত হবে না বলে জানা গিয়েছে।
ইভিএমে নির্বাচন পরিচালনার পথ থেকে সরে এল বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালুর পথে হাঁটল না শেখ হাসিনার সরকার। ব্যালটের পরিবর্তে দেশের সাধারণ নির্বাচন প্রক্রিয়া ইভিএমের মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব সরকারকে কয়েক মাস আগে দিয়েছিল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। ইভিএম কেনা এবং তার মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। ওই খাতে এখন টাকা খরচ করতে রাজি নয় বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, খাদ্য, চিকিৎসা ও কৃষিকাজে অগ্রাধিকার দিতেই ইভিএম প্রকল্প আপাতত বাতিল করা হল। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সে দেশে শুরু হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ের সর্বোচ্চ সরকারী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক বা ডিসি সম্মেলন। সেই সম্মেলনেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।



২০২৩ সালের শেষ বা ২০২৪ সালের শুরুতেই সাধারণ নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। সেই নির্বাচনে সার্বিক ভাবে ইভিএম-এ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাই বাস্তবায়িত হবে না বলে জানা গিয়েছে। এর আগে স্থানীয় কিছু নির্বাচন ইভিএম-এর মাধ্যমে করিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচনের ব্যাপারে ব্যালটের উপরই নির্ভরশীল বাংলাদেশ। সেখানে শুরু থেকেই নির্বাচন হয় ব্যালটে। আগামী সাধারণ নির্বাচনেও তার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ইভিএম এখনই চালু না করার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন লক্ষ্যের ব্যাপারে ওই সম্মেলন থেকে বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রশাসন পরিচালনায় ডিসি-দের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের প্রশংসা করে বলেন, “জনমুখী মনোভাব ও মানুষকে সেবার করার যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়েছে তা প্রশংসনীয়। আমরা তো জনপ্রতিনিধি। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আসি। মেয়াদ ৫ বছর। আপনাদের (ডিসি) দায়িত্ব অনেক। শুধু চাকরি করা না, জনসেবা দেওয়া। আপনাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন।” বিভিন্ন দুর্যোগে ডিসি-দের ভূমিকা প্রসঙ্গে হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশের দুর্যোগে মানুষের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে জণগনের সেবক হিসেবে আপনারা নিজেদের প্রমাণ করেছেন। করোনায় আপনজন পাশে না থাকলেও আপনারা ছিলেন।”




রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। দেশবাসীকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। উন্নয়নশীল মর্যাদার তকমা ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেন তিনি। এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে কী কী সুবিধা দেশ পাবে, কী কী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তা ঠিক করার জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণকে যেন অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করে তুলতে পারি, যেটা আমাদের লক্ষ্য।” উন্নয়নকে শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক না করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। তবে পয়সার জন্য ভিত্তিহীন প্রকল্পের পথে না হাঁটার পরামর্শ শোনা গিয়েছে মুজিব-কন্যার কথায়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মতো কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব পাবে এই সম্মেলনে। শেখ হাসিনা ছাড়াও উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এই সম্মেলনে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডিসিরা।

গত শনিবার ধর্মতলায় সংঘর্ষের গ্রেফতার করা হয়েছে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পীরজাদা পরিবারের সদস্যরা।

আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqi) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে। ফিরহাদ হাকিম গ্রেফতার হওয়ার পর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Biman Banerjee) দাবি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতারির বিষয়ে জানানো হয়নি। তাহলে নওশাদের গ্রেফতারিতে স্পিকার চুপ কেন? গ্রেফতারির মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছেন নওশাদের আত্মীয় তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারাও। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানালেন, নিয়ম মেনেই গ্রেফতার করা হয়েছে নওশাদকে। তিনি বলেন, ‘নিয়ম হল গ্রেফতার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হয়। এ ক্ষেত্রেও জানানো হয়েছে। আমরা বিধানসভার বুলেটিনে সেটা প্রকাশ করে দেব। হাউসকেও আমি জানিয়ে দেব।’



গত শনিবার নওশাদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে বিধানসভার স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে। মঙ্গলবার লালবাজারে বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে যান পীরজাদা পরিবারের সদস্যরা। দেখা করার পর বেরিয়ে নওশাদের দাদা কাশেম সিদ্দিকী বলেন, ‘পীরজাদাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এমনটা ঘটেনা।’ এরপরই সংবাদমাধ্য়মে মুখ খুললেন স্পিকার। পরবর্তীতে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে, তা ফুরফুরা শরিফে বৈঠকে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকীরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন বা পরাক্রম দিবসে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছাত্রছাত্রীদের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের জীবনী পাঠের পরামর্শ দিলেন তিনি।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন বা পরাক্রম দিবসে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদের সেন্ট্রাল হলে নেতাজিকে সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে অংশ নেন ‘নো ইওর লিডার’ (তোমার নেতাকে চেনো) কর্মসূচিতে নির্বাচিত ৮০ জন তরুণ-তরুণী। নয়াদিল্লিতে তাঁর বাসভবনে তরুণ সমাজের এই প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে একেবারে অকপটে এবং মুক্তভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের বিভিন্ন দিক ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন। তরুণদের তিনি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের জীবনী পাঠের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে তাঁদের জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।



এর আগে, সংসদে জাতীয় নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুধুমাত্র বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরই আমন্ত্রণ জানানো হত। কিন্তু মোদী সরকার এই রীতির পরিবর্তন করেছে। সংসদের সেন্ট্রাল হলে নেতাজির ছবিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সারাদেশ থেকে, কুইজ ও অন্যান্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই ৮০ জন তরুণ-তরুণীকে নির্বাচন করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে নেতাজির অবদানের বিষয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগও দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময়, তরুণ-তরুণীরা সংসদের সেন্ট্রাল হলে বসার অনন্য সুযোগ পাওয়ার উত্তেজনা ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির মাধ্য়মে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। যা তাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ধারণা উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে হাজির দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা।


বাজেয়াপ্ত করা মাদক সময়মতো পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একটি মাদকের পরীক্ষার ব্যবস্থা কবে কার্যকর হবে রাজ্যের ফরেনসিক সাইন্স ল্যাবরেটরিতে, তার জবাব পেতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকাকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, ২৪ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রসচিবকে আদালতে হাজির থেকে জানাতে হবে মেটা ইনফেটা মাইন নামে ওই বিশেষ মাদকটির পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা কেন এতদিনেও হয়নি রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই মতো এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে হাজির দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা।



প্রসঙ্গত, একটি মাদক মামলায় ধৃতের জামিন আটকে গিয়েছিল এই মেটা ইনফেটা মাইন নামক মাদকের পরীক্ষার ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে। পরীক্ষা না হওয়ার কারণ হিসেবে রাজ্যের তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল, এই মাদক পরীক্ষার যে যন্ত্রের দরকার তা রাজ্যের ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে নেই। সেই কথা শোনার পরই আদালত ওই যন্ত্র আনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করার নির্দেশ দিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এখন মাদক পরীক্ষার জন্য দুটি যন্ত্র কেনা হলেও, পরীক্ষার জন্য যে রাসায়নিক দরকার না পাওয়া যাচ্ছে না। আদালতে এমনই জানালেন রাজ্যের আইনজীবী।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে বেশ কড়া ভাষায় প্রশ্ন করেন, রাজ্য কি চাইছে মাদক পরীক্ষা না করে মামলাগুলি ঝুলিয়ে রাখতে? এই পরীক্ষা কি পৃথিবীতে প্রথম হচ্ছে? সাধারণ মাদক পরীক্ষায় এত উদাসীনতা কেন? বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, পরীক্ষা আটকে থাকলে মামলা আটকে থাকছে। এটা চলতে পারে না। অতঃপর তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত এই পরীক্ষা করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে স্বরাষ্ট্রসচিবকে। নির্দেশ কার্যকর করে চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল আদালত।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পর্যবেক্ষণ, “মাদক পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যের কোনও নির্দেশিকা নেই, এটা হতে পারে না। এ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন সময় মাদক পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে। তার পরও রাজ্যের কেন এই ঢিলেমি? এই ধরনের সাধারণ মাদক পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে কী আর বলব?”

রাজ্যের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, মাদক পরীক্ষার জন্য দু’টি যন্ত্র কিনেছে সরকার। কিন্তু পরীক্ষার জন্য যে রাসায়নিক দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না। গাজিয়াবাদে যোগাযোগ করেও সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কথা শুনে বিচারপতি বাগচির প্রশ্ন, তাহলে এটা কি ধরে নিতে হবে যে রাসায়নিক প্রয়োজন পরীক্ষা করার জন্য তা দেশে নেই? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য জানান, বিষয়টি তেমন নয়। তবে যেখান থেকে আনা হয় সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।



সারা দেশের সরকারি পরিকাঠামোয় যে চিকিৎসা কার্যত নজিরবিহীন, তা সম্ভব করে দেখাল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ।

মুম্বইয়ের এক নামী ক্যান্সার হাসপাতাল জবাব দিয়ে দিয়েছিল। বলে দিয়েছিল, আর কোনও আশা নেই। সেই কথা শুনে বছর ছাব্বিশের ছেলেকে নিয়ে ভারাক্রান্ত মনে রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন বাবা। বাংলায় ফিরে কার্যত কোনও আশা না রেখেই ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital)। সেখানকার হেমাটোলজি বিভাগের ডাক্তারবাবুদের তত্ত্বাবধানে চলে চিকিৎসা। ক্যান্সার আক্রান্ত সেই যুবককে সুস্থ করে তাক লাগিয়ে দিল এনআরএসের হেমাটোলজি বিভাগ। শুধু তাই নয়, সারা দেশের সরকারি পরিকাঠামোয় কোনওদিন যে চিকিৎসা হয়নি, তা সম্ভব করে দেখাল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ।



দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কেমোথেরাপি করানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও বার বার ফিরে আসছিল ক্যান্সার। তিন মাস ধরে মুম্বইয়ের এক নামী হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পর, সেই হাসপাতাল কার্যত হাত তুলে নিয়েছিল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পিন্টুর মৃত্যু এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে ততদিনে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য।

এরপর ছেলেকে নিয়ে গতবছরের অক্টোবর মাসে রাজ্যে ফিরে এনআরএসের হেমাটোলজির বহির্বিভাগে যান পিন্টুর বাবা। শেষ সময়ে ছেলে যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, অন্তত সেটুকু নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। আর এখান থেকেই শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। পিন্টুকে সুস্থ করে তুলতে হাল না ছাড়া সংগ্রাম চালিয়ে যান হেমাটোলজির বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সাহা। কিন্তু পিন্টুর অস্থি মজ্জার সঙ্গে ১০০ শতাংশ মিল তাঁর পরিবারের কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি। ভাই পিকাই মোহন্তের সঙ্গে ৫০ শতাংশ মিল পাওয়া যায়।

এক্ষেত্রে যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা সম্ভব তার নাম `হ্যাপলো আইডেন্টিক্যাল স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্ট’। কী সেই চিকিৎসা পদ্ধতি? এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীকে হেপা-ফিল্টার রুমে রেখে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেম সেলগুলিকে বার করা হয়। দেওয়া হয় কড়া মাত্রার কেমোথেরাপি। সংক্রমণের অনুপ্রবেশ রোধে হেপা-ফিল্টারের কক্ষপথে ত্রিস্তরীয় বলয় থাকে। হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সাহা বলছেন, “প্রথম পর্যায়ে চেষ্টা করা হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বোন ম্যারোকে কেমোথেরাপি ও রেডিয়োথেরাপি দিয়ে বার করে দেওয়া হয়। এরপর অর্ধেক মিলের স্টেম সেলকে রোগীর দেহে ধীরে ধীরে দেওয়া হয়। সেটিই তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।”

হ্যাপলো ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতির পাশাপাশি রোগগ্রস্ত অস্থিমজ্জার পুরোপুরি অপসারণে জরুরি ছিল বিশেষ ধরনের রেডিয়েশন। যার নাম `টোটাল বডি ইররেডিয়েশন’ বা টিবিআই। সরকারি পরিকাঠামোয় টিবিআই-এরও নজির নেই বললেই চলে। স্বাভাবিক ভাবে রেডিওথেরাপি বিভাগের সম্মতি আদায়ে ফের একবার হাল না ছাড়ার অঙ্গীকার করেন চিকিৎসক সন্দীপ সাহা। তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়ে ছাব্বিশ বছরের যুবককে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডলও।

রোগগ্রস্ত অস্থিমজ্জার অপসারণের পরে স্টেম সেল প্রক্রিয়ায় রোগীর দেহে ভাল অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপিত করার চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হল টোটাল বডি ইররেডিয়েশন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সারা দেশে সরকারি পরিকাঠামোয় এ ধরনের খরচ সাপেক্ষ চিকিৎসার নজির নেই। এ দেশে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে। খরচ ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। সেখানে এনআরএসে এই আধুনিক পদ্ধতিতে রোগীর খরচ হয়েছে মাত্র তিন লক্ষ টাকা।

চিকিৎসক সন্দীপ সাহা বলছেন, বাঙালি হিসেবে এই সাফল্যে তিনি খুবই আনন্দিত। এনআরএস-এর হেমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুফানকান্তি দলুই বলছেন, “আমরা ঝুঁকি নিয়ে সরকারি হাসপাতালে হ্যাপলো আইডেন্টিক্যাল স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্ট করতে পেরেছি। দুরারোগ্য ব্যাধি মানে যে দক্ষিণে বা মুম্বইয়ে শেষ চিকিৎসা, তা একদমই নয়। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও যথেষ্ট ভাল ডাক্তারবাবুরা রয়েছেন, যাঁরা ভারত সেরা।”



মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি), ফের একবার ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন। ভোটের আগেই আপ-বিজেপি ধুন্ধুমার।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি), ফের একবার ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন। এদিন, মেয়র নির্বাচনের জন্য দিল্লির সিভিক সেন্টারে ভোটাভুটির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই, হট্টগোল শুরু হয়। যার জেরে অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হন প্রোটেম স্পিকার। যে কারণে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। তাই, এক মাসেরও বেশি আগে নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরও, দিল্লির মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের আসন ফাঁকাই রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই বিজেপি ও আপ কাউন্সিলরদের হট্টগোলের জেরে দিল্লির মেয়র নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এদিন আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পুর অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হল।



এর আগে গত ৬ জানুয়ারি প্রথমবার দিল্লির মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু, প্রোটেম স্পিকার মনোনয়ন থেকেই আপ ও বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল। পুর নির্বাচনে আপ জয়লাভ করলেও, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর, বিজেপি কাউন্সিলর সত্যা শর্মাকে প্রোটেম স্পিকার মনোনীত করেন। সেই যাত্রা বিরোধ মিটলেও, এরপর প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত কাউন্সিলরদের বদলে মনোনীত কাউন্সিলরদের প্রথমে শপথ গ্রহণ করার জন্য ডাকতেই ফের দুই পক্ষে বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল। যা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে গড়ায়। স্থগিত হয়ে যায় মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন।



গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। তাঁরই পরিবারের সদস্যরা এদিন লালবাজারে গিয়েছিলেন।


কলকাতা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (Naushad Siddiqi) ছাড়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথাও বলেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই পীরজাদারা পৌঁছে যান লালবাজারে। নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিধায়কের দাদা কাশেম সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, একা কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি নওশাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই সরকার পীরজাদাদের গায়ে হাত দিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এভাবে অত্যাচার করা হয় না।’ এদিন নওশাদের তিনজন আত্মীয়কে লালবাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০-১৫ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল।



এদিন দুপুরেই লালবাজারে পৌঁছে যান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল জামা-কাপড়ের ব্যাগ। পীরজাদারা জানান, তাঁদের ভাই নওশাদের সঙ্গে একবার দেখা করতে চান তাঁরা। তাঁকে কিছু পোশাক দিতে চান। প্রথমে পুলিশ প্রবেশ করতে দিতে আপত্তি জানায়। পীরজাদারা সাফ জানান, ঢুকতে দেওয়া না হলে ফুরফুরা শরিফের ক্ষমতা দেখতে পাবে সরকার।

সাধারণত সেন্ট্রাল লক আপে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। এদিন পুলিশ কমিশনারের থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ০১ টা ৩৬ মিনিটে ঢুকতে দেওয়া হয় তিন ভাইকে। দেখা করে ০২ টো ১৮ মিনিটে বেরিয়ে আসেন কাশেম সিদ্দিকী, সাউদ সিদ্দিকী ও নাজনুস সৈয়দ সিদ্দিকী। তাঁরা জানান, আধিকারিকদের সামনেই দেখা করে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে। আলাদা করে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সিদ্দিকীদের দাবি, নওশাদ তাঁদের কাছে ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নামও নিয়েছেন। কাশেম বলেন, ‘ভাইয়ের কিছু বলার ছিল। বলতে পারেনি। অফিসাররা ঘিরে রেখেছিলেন। ভাই বলেছে, বাইরে গিয়ে বলব। যা বলার আদালতে বলব।’ প্রথম দ্বিতীয় দিন ওষুধ দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।



ইডির মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। বিচারক রঘুবীর সিং এদিন কেষ্টর জামিনের আবেদন খারিজ করেন।


জামিন পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল। গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) তরফে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি আদালতে। এমন অবস্থায় ইডির মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। বিচারক রঘুবীর সিং এদিন কেষ্টর জামিনের আবেদন খারিজ করেন।

অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রতকে শোন অ্যারেস্ট করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা যখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, তখন হঠাৎই দুবরাজপুর থানার পুলিশ অপর একটি মামলায় তাঁকে শোন অ্যারেস্ট করে এবং নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে অবশ্য সেই মামলায় জামিন পান তিনি। এদিকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার যে অনুমতি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট ইডিকে দিয়েছিল, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। সেই মামলার শুনানিও বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে। গতকালের শুনানিও ফের পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে আপাতত দিল্লিযাত্রা থমকেই রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের।

প্রসঙ্গত, অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছে আসানসোল আদালতে। সেই মামলার শুনানিতেও অতীতে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে সেই জামিনের আবেদন ধোপে টেকেনি। যদিও আসানসোল আদালতের শেষ বারের শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের জন্য আবেদন জানাননি তাঁর আইনজীবী।

চুপ করে থাকব' মন্তব্যের মধ্য দিয়েই অমর্ত্য সেন তাঁর জবাব দিয়ে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

কিছুই বলব না, চুপ করে থাকব।” বিজেপি নেতৃত্বের করা কটাক্ষ প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সোমবার নেতাজির জন্মবার্ষিকীর দিন কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে বাড়িতে যান নোবেলজয়ী। সেখানেই সাংবাদিকেরা বিজেপি নেতৃত্বের করা কটাক্ষের জবাব জানতে চাইলে কার্যত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে নারাজ অমর্ত্য সেন। কার্যত অবজ্ঞার সুরে তিনি বলেন, “আমি কিছুই বলব না। যতই বলুক, চুপ করে থাকব।”

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তারপরই তাঁর সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি নেতৃত্বের তরফে একের পর এক বাক্যবাণ আসে অমর্ত্য সেনের উপর। এদিন তারই প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় অমর্ত্য সেনের কাছে। কিন্তু, এক কথাতেই পুরো বিষয়টি উপেক্ষা করে যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। যদিও ‘চুপ করে থাকব’ মন্তব্যের মধ্য দিয়েই অমর্ত্য সেন তাঁর জবাব দিয়ে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিদেশ থেকে কলকাতায় ফিরেই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “মতের মিল না হলেই মানুষকে মারধর করা হচ্ছে। একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা কমেছে। ভারতে কখনও এরকম অবস্থা বেশিদিন ধরে চলেনি।” এই সমস্যা দূর করতে জাতি, ধর্ম ভুলে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করারও বার্তা দিয়েছেন নোবেলজয়ী। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।



জুটমিলের ভিতর থরে থকে পাট রাখা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।


ছুটির বিকালে বিধ্বংসী আগুন লাগল বজবজ জুটমিলে। ওই জুটমিলের ভিতর থরে থরে পাট রাখা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার বিকালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। পরে আরও ৭টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। ঠিক কী থেকে পাটে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত যেনতেন প্রকারে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে কয়েকজন দমকলকর্মী অল্প-বিস্তর আহত হয়েছেন। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।



স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এদিন বন্ধ ছিল বজবজ জুটমিল। বিকাল ৫টা নাগাদ হঠাৎ করেই জুটমিলের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর আগুনের লেলিহান শিখা বেরোতে শুরু করে। জুটমিলের ভিতরে আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকল বাহিনীতে খবর দেন। খবর পেয়েই দ্রুত দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু, এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বেগতিক বুঝে প্রথমে দমকলের আরও দুটি ইঞ্জিন এবং পরে আরও ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং জোরকদমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

এদিন ছুটির দিন হওয়ায় এবং বজবজ জুটমিল বন্ধ থাকায় ভিতরে কেউ ছিলেন না। ফলে এই অগ্নিকাণ্ডে বড় ঘটনা ঠেকানো গিয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী থেকে দমকল বাহিনী। তবে বন্ধ জুটমিলের ভিতরে ঠিক কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভিতরে দাহ্য পদার্থ, পাটের স্তূপ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে দমকল বাহিনী জানিয়েছে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ১০টি ইঞ্জিন ও ২টি পাম্পের চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনীও।

এদিন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা এক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে বার্তা দেন, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসার।

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (ISF MLA Naushad Siddiqui) গ্রেফতারির পর কার্যত কলকাতা অচলের হুঁশিয়ারি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদার। সোমবারই এই হুঁশিয়ারি দেন পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “কলকাতায় ধর্মতলায় আমরা পীরসাহেবরা গিয়ে বসব। তাঁবু খাটিয়ে বসব।” নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর একজোট ফুরফুরার পীরজাদারা। সোমবার পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির বাড়িতে একটি বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি, পীরজাদা সাফারি সিদ্দিকি, পীরজাদা সানাউল্লাহ সিদ্দিকি, সাহিমউদ্দিন সিদ্দিকি, পীরজাদা নাজমুস শাহাদাত-সহ অন্য পীরজাদারা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি বলেন, নওশাদ সিদ্দিকিকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে কলকাতা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথাও বলেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, আরাবুলের লোকজন এসে নওশাদের উপর হামলা করেছে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অথচ আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, জৈন, খ্রিস্টান, দলিত, আদিবাসী আমাদের যেখানে যত ভক্ত আছেন, আপনারা তৈরি হন আগামিদিন কলকাতা আসার জন্য। আমরা কলকাতার রাজপথ অচল করে দেব।”



সূত্রের খবর, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে বুধবার আইএসএফ শহরে মিছিল করবে। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিল করবে তারা। যেতে পারে রাজভবনেও। এদিন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, “ফুরফুরা শরিফের যত পীরসাহেব আছেন, সকলে খারাপ নজরে দেখছি এটা। বাংলার হিন্দু-মুসলমান সকলেই খারাপ নজরে দেখছেন। সামনে পঞ্চায়েত ভোট।”

পীরজাদা সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসেন বলেন, “আমাদের খুব চিন্তাভাবনা করে ভোট দিতে হবে। আজ পশ্চিমবাংলায় যে পরিস্থিতি চলছে, ভয় পেলে হবে না। বিজেপির ভয়, সিপিএমের ভয়, কংগ্রেসের ভয়, ভয় দেখিয়ে যা চলছে হবে না। বাংলার সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বলব, যেখানেই অন্যায় করে কোনও দল চলবে, তাদের উল্টোদিকে যে থাকবে তাদের আমরা জেতাব।” ইতিমধ্যেই পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকিও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।



মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর সাগরদিঘি আসন ফাঁকা হয়ে যায়। এবার সেই কেন্দ্রেরই প্রার্থী ঘোষণা করা হল।

ব্লক সভাপতিকেই টিকিট দিল তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘিতে (Sagardighi) উপ নির্বাচন আসন্ন। সেই নির্বাচনে সাগরদিঘির ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকায় কেউ কেউ বলেন, তিনি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের আত্মীয়। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন দেবাশিস বাবু। সুব্রত সাহা ছিলেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে সুব্রত সাহার মৃত্যু হলে ওই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে ওই কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে সেখানেই। সেই কেন্দ্রেরই প্রার্থী করা হল দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই উপনির্বাচন ওই অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন নাম ঘোষণা হওয়ার পরই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি জয় নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। জিতে ক্ষমতায় এলে এলাকার উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। এলাকায় তৃণমূলের প্রতি মানুষের কোনও ক্ষোভ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে, তাঁর মতে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। তবে তিনি জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় নন। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার দিদি’ বলেই উল্লেখ করেন তিনি।



এর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ ছাড়া ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বায়োপিকও বাজার দর বেশ হাঁকিয়েছিল। সচিন তেন্ডুলকরের ডকুমেন্টরিও প্রকাশ হয়েছে এর আগে। এ বার পালা সৌরভের।

প্রায় এক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিকের কথা। এ বার সেই কাজে গতি আনতে মুম্বই পাড়ি মহারাজের। সোমবার সন্ধেয় বাণিজ্যনগরীতে উড়ে গেলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সৌরভের আত্মজীবনী ফুটিয়ে তোলা হবে পর্দায়। বায়োপিক তৈরিতে চিত্রনাট্যর কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন বোর্ড সভাপতির সবুজ সংকেত মিললেই বায়োপিক তৈরির কাজে নামবে ছবির নির্মাতারা। এর আগে শোনা গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিকে অভিনয় করতে পারেন রনবীর কাপুর। যদিও সেই কাজ মাঝপথে থেমে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই সৌরভের বায়োপিক তৈরির কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে এ বিষয়ে কোনও তাড়াহুড়ো চাইছেন না বেহালার বাঁ-হাতি ব্যাটার। বরং আত্মজীবনকে আরও জমজমাট ভাবে পর্দায় প্রকাশ করতে উদ্যোগী মহারাজ। বিস্তারিত

এর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ ছাড়া ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বায়োপিকও বাজার দর বেশ হাঁকিয়েছিল। সচিন তেন্ডুলকরের ডকুমেন্টরিও প্রকাশ হয়েছে এর আগে। এ বার পালা সৌরভের। তবে সৌরভের ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন তা এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবার ছবির নির্মাতাদের সঙ্গে বায়োপিকের বিষয়ে কথা বলবেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। মুম্বই যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সৌরভ বলেন, ‘বেশ কিছু কাজের জন্যই মুম্বই যাচ্ছি। তবে বায়োপিক তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয়।’



দুই রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিবদের নিয়েও বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলার সুফল বাংলা, বীজ বিতরণ করা, বাংলার শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কুমার সর্বজিত।



নবান্নে বিহারের (Bihar) কৃষিমন্ত্রী কুমার সর্বজিত। সোমবার নবান্নে এসে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছুটির দিনে তাঁর এই সফর ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নীতীশ কুমার এনডিএ ছেড়ে আরজেডি, বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বিহারের মসনদে। তারই প্রতিনিধি এদিন নবান্নে। এদিন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিহারের মন্ত্রী। জানান, কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কীভাবে কৃষিতে বাংলা এতটা সফলভাবে এগিয়ে চলেছে, তা জানতেই তাঁর বঙ্গসফর। এদিন নবান্নে বসে বাংলার কৃষিব্যবস্থা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে কুমার সর্বজিত বলেন, “মমতা মানে মা।” তাঁর কথায়, কেন্দ্র থেকে টাকা না নিয়েও কী করে কৃষিতে পশ্চিমবঙ্গ সফলভাবে এগিয়ে চলেছে সে বিষয়ে পরামর্শ নিতেই তিনি এসেছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিহারের কৃষিমন্ত্রীর কথায়, “কেন্দ্র ঠিক সময়ে ফার্টিলাইজারের টাকাও দেয় না। তারপরও পশ্চিমবঙ্গ কৃষিতে ভাল কাজ করছে। কৃষকদের জন্য নানা প্রকল্প নিয়ে এসেছে। আমি জানতে চেয়েছি কী করে কাজ করছেন। কিছু ভাল কাজ পশ্চিমবঙ্গ করছে। কিছু বিহার করছে। তাই ঠিক করা হয়েছে দুই রাজ্যই ভাল ভাল প্রকল্পগুলি নিয়ে যাতে নিজের রাজ্যে কাজ করতে পারে।”




দুই রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিবদের নিয়েও বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলার সুফল বাংলা, বীজ বিতরণ করা, বাংলার শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কুমার সর্বজিত। শুধু বিহার নয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে গত সপ্তাহে ওড়িশা থেকেও প্রতিনিধি এসে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বাংলার শস্যবীমা প্রকল্প কীভাবে চলে, তা নিয়ে আলোচনা করে যান। এর আগে তেলঙ্গনা থেকেও সরকারি প্রতিনিধিরা এসেছিলেন নবান্নে।

 নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ভারত সিরিজও জিতে নিয়েছে। মাঠের লড়াইয়ে একের পর এক জয় পেলেও স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে পারলেন না মহম্মদ সামি।


ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মহম্মদ সামি। তাঁর ব্য়ক্তিগত জীবন অবশ্য কয়েক বছর ধরেই অস্বস্তিতে। সামি এবং তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগই করেছেন। দু-জনেই দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা থাকেন। তাঁদের কন্য়া অবশ্য মায়ের সঙ্গেই থাকেন। মানসিক এবং ব্য়ক্তিগত সমস্যা কাটিয়ে ক্রিকেটে মনসংযোগ করেছেন জাতীয় দলের পেসার মহম্মদ সামি। সদ্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন সামি। জিতে নিয়েছেন ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ভারত সিরিজও জিতে নিয়েছে। মাঠের লড়াইয়ে একের পর এক জয় পেলেও প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে পারলেন না মহম্মদ সামি। বিস্তারিত 

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন হাসিন জাহান। সামির সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় খোরপোশের দাবি তুলেছিলেন হাসিন জাহান। যদিও জাতীয় দলের ক্রিকেটার পাল্টা দাবি করেন, হাসিন মডেলিং করে মাসে ১০ লক্ষ টাকা আয় করেন, ফলে খোরপোশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন সামি। তা অবশ্য ধোপে টিকল না। হাসিনের মাসে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের অভিযোগ ওড়ালো আলিপুর জেলা আদালত। আয়করের হিসেবে মহম্মদ সামির বার্ষিক আয় ৭.১৯ কোটি টাকা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও খেলেন। অতিরিক্ত জেলা বিচারক অনিন্দিতা গাঙ্গুলির নির্দেশ, স্ত্রী হাসিন জাহানকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে মহম্মদ সামির। সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। প্রতি মাসের প্রতিমাসে ১০ তারিখের মধ্যে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্ত্রী হাসিনের পাশাপাশি মেয়ে আগের মতোই মাসিক খরচের টাকা পাবে সামির থেকে।



সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই বাসন্তীতে মিঠুন চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পল, সুকান্ত মজুমদাররা একটি দলীয় কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

বাসন্তীতে (Basanti) রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima bhattacherjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা একটি জনসভার ডাক দেয় তৃণমূল। এই জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তখনই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

করেছিলেন। সেই সভা থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বার্তা দেন। একই সঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণও করেন। এরই পাল্টা একটি জনসভা আজ (রবিবার) ওই একই জায়গায় করে শাসকদল। সেই জনসভারই প্রধান বক্তা ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার মন্ত্রীর গাড়ি যখন বাসন্তীর কলতলা মোড়ে ঢোকে ঠিক সেই সময় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বুলা নাসরিন লস্কর প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল একপ্রকার বিভাজনের রাজনীতি করছেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। গোষ্ঠী কোন্দল তৈরি করছেন। যার জেরে সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলেই এদিন মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপর কলতলা মোড় থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গাড়ি সভাস্থলের উদ্দেশে চলে যায়।

বুলা নাসরিন লস্কর বলেন, “বিধায়ক কাজ করলে আমাদের জানায় না। আমি দশ বছরের প্রধান। তাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে না। সেই কারণে বিক্ষোভ। আমরা শুধু মন্ত্রীকে জানাতে চেয়েছিলাম যে বিধায়ক আরএসপির লোকজনকে নিয়ে কাজ করছেন।” যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বিধায়ক।



অযৌক্তিক ভাবে বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ পুর ট্যাক্স বা পুর কর বাড়িয়েছে৷ এমনকি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে এই ট্যাক্স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। এমনই অভিযোগ।

যার ছিল ৫০০ টাকা পুরকর। তাঁর করা হয়েছে ২ লক্ষ ২০ হাজার। যার ছিল ৮৭৫ টাকা তাঁর করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। আবার মাসে যাঁরা ৪-৬ লক্ষ টাকা ভাড়া পান তাঁদের ক্ষেত্রে দেড় হাজার বা সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। অযৌক্তিক ভাবে বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ পুর ট্যাক্স বা পুর কর বাড়িয়েছে৷ এমনকি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে এই ট্যাক্স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। এমনই অভিযোগ।


এর প্রতিবাদেই সরব হয়েছে শহরের সাধারণ মানুষ। বালুরঘাট পুরবাসী সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে নাগরিক কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়৷ সেই নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার বিকেলে বালুরঘাট নাট্যতীর্থ মন্মথ মঞ্চে। যেই কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এমনকী উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা।

মূলত, বালুরঘাট পুরসভা যে ভাবে অযৌক্তিক ভাবে পুর কর বাড়িয়েছে তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শহরবাসী। অভিযোগ, এই পুরকর সকলের জন্য এক করা হয়নি ৷ ব্যক্তি বিশেষে এই পুর কর বাড়ান হয়েছে৷ অদ্ভুত ভাবে বিভিন্ন মার্কেট হাউসে পুর কর নাম মাত্র রয়েছে ৷ আবার কারো ক্ষেত্রে কয়েক হাজার গুন বেড়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷

তবে কেন এমন বিভাজন ? যদিও, পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রত্যেক ওয়ার্ডে অ্যাসেসমেন্ট করেই পুর কর বৃদ্ধি করা হয়েছে ৷ এমনকী এই পুর কর আগের বোর্ডের সিদ্ধান্ত বলেও জানানো হয়েছে৷ এ দিকে নাগরিক কনভেনশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পুর কর নিয়ে পুরসভাকে বিবেচনা করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে তারা আরও বড় আন্দোলনে নামবেন।

 ২৬ জানুয়ারি এবার বসন্ত পঞ্চমী। এদিনই সরস্বতী পুজো। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন এখানে সরস্বতী পুজো করতে চায় এবার।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) সরস্বতী পুজো করতে চায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। এদিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনওই সরস্বতী পুজো হয়নি। এবারও তাতে সম্মতি নেই কর্তৃপক্ষের। শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য, সরস্বতী পুজো করতে দিচ্ছে না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, অনুমতি না পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে সরস্বতী পুজো করবে তারা। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাসে কোনও ধর্মাচরণ হয় না। তাই এখানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এই সরস্বতী পুজোকে সামনে রেখে জোর তরজা শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্সিতে। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্সির রীতিও মাথায় রাখতে হবে। সবদিক বজায় রেখেই সুষ্ঠুভাবে একটা সমাধান পথ বের হোক, চান তিনি। ২৬ জানুয়ারি এবার বসন্ত পঞ্চমী। এদিনই সরস্বতী পুজো। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন এখানে সরস্বতী পুজো করতে চায় এবার। এ নিয়ে ডিন অব স্টুডেন্টসকে চিঠিও লিখেছে তারা। তারা আর্জি জানিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি রাতভর তারা পুজোর আয়োজন করতে চায়। রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মণ্ডপ সাজানোর অনুমতি চাওয়া হয় ওই আবেদনপত্রে। একইসঙ্গে ২৬ জানুয়ারি পুজোর স্থল খুলে রাখা, ২৭ জানুয়ারি বিসর্জনের ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়েরও উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।



সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও এই পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি ও প্রেসিডেন্সির রাজ্যের দলীয় কোঅর্ডিনেটর প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, “প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি স্যরকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল সরস্বতী পুজোর অনুমতি চেয়ে। প্রেসিডেন্সির বুকে এই পুজো নির্বাচিত ছাত্র সংগঠন করে না। আমাদের সংগঠনের ছাত্র ছাত্রীরা তা করতে চেয়েছিল। তিনি মৌখিকভাবে না করার কথা বলে দেন। আমি পুজো করতে চাই। পুজো করব। আমাদের ছাত্র সংগঠন সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পুজো করবে। আমরা বারবার আবেদন করে চিঠি পাঠাচ্ছি। শেষমেশ যদি অনুমতি না মেলে গেটের সামনে পুজো করব। ডিন স্যর সহযোগিতা করলে ভিতরেই করতে পারব।”

একইসঙ্গে প্রান্তিক জানান, সরস্বতী পুজো উৎসব। আর শিক্ষার কোনও ধর্মীয়করণ হতে পারে না। প্রান্তিকের কথায়, “বাম সংগঠন এসএফআইয়ের বর্বরোচিত আক্রমণ প্রেসিডেন্সি অতীতেও দেখেছেন। তাই হয়ত উনি ভীত। উনি ভাবছেন অনুমতি দিলে ওনাকে ঘেরাও করে রাখা হবে। যে কালচারটা প্রেসিডেন্সিতে চলে এসেছে।” এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এক একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রীতি থাকে। সেই রীতিকেও তো মান্যতা দিতে হবে। ফলে আমাদের ছাত্র সংগঠন যাা বলছে, তাও যেমন ঠিক। প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ যদি একটা কিছু বলে থাকে, তাদের দিকটাও তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। যদি দেখা যায় সেখানে একটা রীতি নিয়ে তারা চলতে চায়, সেখানে বিকল্প কোন পথে বাগদেবীর আরাধনা করা যায় তা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দেখবে।”

এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, “প্রেসিডেন্সি সবসময় ধর্মীয় আচারঅনুষ্ঠানের ঊর্ধ্বে থেকেছে। এটা প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্য। পুজো নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। তবে এরা সরস্বতী পুজোর নামে কী যে করে, তা গোটা বাংলার মানুষ জানে। ওদের মোচ্ছবের সংস্কৃতি শিক্ষাজগতের পরিপন্থী।”

রেল সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ২১ জানুয়ারি শনিবার। এদিন হাওড়াগামী বন্দে ভারত বিকেল ৫টা ৫১ নাগাদ মালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছয়

 এ রাজ্যে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ (Vande Bharat Express) চালু হওয়া ইস্তক বারবার বিতর্ক। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি অবধি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে, এখনও মাস ঘোরেনি। এরইমধ্যে তিন থেকে চারবার ট্রেনের কাচে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠে গিয়েছে। এবার আবার আরেক কাণ্ড। চলন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠতে গিয়ে এক যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে হিঁচড়ে নিয়ে গেল ট্রেন। প্ল্যাটফর্মে বসে থাকা যাত্রীরা ছুটে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে টেনে বিপদসীমা থেকে দূরে নিয়ে আসেন। না হলে আরও বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারত বলেই মত প্রত্যক্ষদর্শীদের। রেল সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ২১ জানুয়ারি শনিবার। এদিন হাওড়াগামী বন্দে ভারত বিকেল ৫টা ৫১ নাগাদ মালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে ট্রেন। সন্ধ্যা ৬টায় মালদহ স্টেশন ছাড়ে।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন প্ল্য়াটফর্ম ছেড়ে যখন বেরোচ্ছে সেই সময় শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। সি৫ কোচের ৯ নম্বর আসনটি বুকিং ছিল তাঁর নামে। কিন্তু ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় ততক্ষণে স্বয়ংক্রিয় সমস্ত কোচের দরজাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিবশঙ্কর গার্ডের লবি ধরে ট্রেনে উঠতে যান। এরপরই ঘটে বিপত্তি। প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে যে ফাঁকা স্থান তাতে পা আটকে যায় তাঁর। ট্রেন চলতে থাকায় ব্যালেন্স রাখতে পারেননি।

চিনের লুনার নববর্ষ উদযাপনের জন্য মন্টিরে পার্কে প্রায় হাজার খানেক চিনা নাগরিক ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে। সবাই যখন উৎসবের মেজাজে তখনই চলতে থাকে গুলি।


আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় চলছিল চাইনিজ লুনার নিউ ইয়ারের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই গুলি চালনার অভিযোগ উঠল। ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টিরে পার্কে এই অনুষ্ঠান চলার সময় চলে গুলি। এর জেরে বেশ কয়েক জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রচুর মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মন্টিরে পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তবে গুলি চালনায় অভিযুক্ত বন্দুকবাজকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। চিনের লুনার নববর্ষ উদযাপনের জন্য মন্টিরে পার্কে প্রায় হাজার খানেক চিনা নাগরিক ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে। সবাই যখন উৎসবের মেজাজে তখনই চলতে থাকে গুলি।



এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, আততায়ী মেশিনগান নিয়ে এসেছিল। সেখানকার একটি ড্যান্স বারে এই গুলি চলে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি ৬-৭ রাউন্ড গুলি চলার শব্দ পেয়েছেন। তবে এই ঘটনা ঘটনার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও ঘটনা নিয়ে কোনও তথ্য সামনে আসেনি। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টিরে-কে অন্যতম নিরাপদ শহর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখানে এ রকম ঘটনা ঘটার পর থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল এখনও ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আততায়ীর খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি স্পষ্ট করে দেন, "এবার আমার প্রতি এই ভালোবাসাটা ভোট-বাক্সে দিতে হবে। খালি হাতে যাব না।"


কাটমানি নিতে এলে বাঘের মত দাঁড়িয়ে থাকব। রবিবার হুগলির চণ্ডীতলায় এসে ‘চিতা’ সিনেমার প্রসঙ্গ তুলে এমনই মন্তব্য করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। আবাস যোজনায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মহাগুরু বলেন, “কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার থেকেও কাটমানি খায়। কিন্তু, এখানে সেটা হবে না। বাঘের মতো দাঁড়িয়ে থাকব। একবার বিশ্বাস করুন, অনুরোধ করছি, একবার বিজেপি-কে ভোট দিন।”



এদিন নিজেকে দলের কেবল ক্যাডার বলে জানান বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মত ক্যাডার। কাজের কথা ছোট করে বলি। সবাইকে বলছি, যে কোনও ধর্মের বা পার্টির লোক হোক, লোকসভা অবধি যেতে হবে না। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে নিয়ে আসুন, যাদের কাঁচা বাড়ি আছে তাদের পাকা বাড়ি করে দেখাব। এই দাদা কথা দিচ্ছে। একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। এরা (তৃণমূল) ঘর কি, বাথরুমও তুলে নিয়ে যাচ্ছে।” এমনকি যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছে না এবং মেয়েরা নিরাপত্তা পাচ্ছে না বলেও তোপ দাগেন মিঠুন।

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর দলের তরফে বীরভূম জেলার দায়িত্ব চারজনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর দলের অন্দরে দলাদলিও বেড়েছে বলেই অভিযোগ।


গত বছর অগস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ১১ অগস্ট তাঁকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রায় ৬ মাস হতে চলল। এর মাঝে অজয়ের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। তিনিও দিল্লিযাত্রা রুখতে মরিয়া। আর এই টানাপোড়েনের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফর। আগামী ৩০ তারিখ বীরভূমে যাচ্ছেন মমতা। শোনা যাচ্ছে, মমতার এই সফরে অনুব্রতকে কার্যত আবছা করে ফেলবে দল। কোথাও দেখা যাবে না অনুব্রতর ছবি, নেওয়া হবে না নামও। শনিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের বোলপুর কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। তাতেই এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রের দাবি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রতকে ঝেড়ে ফেলতে চলেছে দল? একটা সময় বলা হতো, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া বীরভূমে একটা পাতাও গাছ থেকে পড়ে না। সেই অনব্রত প্রায় ৬ মাস ধরে জেলে বিচারাধীন বন্দি হয়ে রয়েছেন। বোলপুরে অনুব্রত যে বাড়িতে সকাল থেকে রাত, শুধুই ভিড় নজরে আসত সেসব এখন উধাও। ধীরে ধীরে তাঁর ‘অনুরাগী’রা দূরত্ব বাড়িয়েছেন বীরভূম জেলা কার্যালয় থেকেও। এবার কি দলের কর্মসূচি থেকেও সরানো হচ্ছে কেষ্টকে?


অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর দলের তরফে বীরভূম জেলার দায়িত্ব চারজনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর দলের অন্দরে দলাদলিও বেড়েছে বলেই অভিযোগ। ‘দিদির দূত’ হিসাবে এই জেলাতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী রায়, বিকাশ রায় চৌধুরী বা অসিত মালের মতো নেতারা। অনুব্রত জেলায় সংগঠনকে বেঁধে রেখেছিলেন। এখন দলীয় নেতার বিরুদ্ধে একে অপরে প্রকাশ্যে ক্ষোভও ঢেলে দেন।

তবে অনুব্রতর ‘সাংগঠনিক দক্ষতা’ যতই হোক না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দলে বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে বলেই সূত্রের দাবি। দলের অন্দরের এই ক্ষোভ সামাল দিতে মরিয়া জেলা নেতৃত্ব। এসবের মধ্যেই মাসের শেষে মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন জেলায়। তার আগে শোনা যাচ্ছে, অনুব্রতকে প্রচার থেকে ‘ভ্যানিশ’ করতে চাইছে জেলা নেতৃত্ব।

যদিও এ কথা মানতে চাননি সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। লোকে অপপ্রচার করছে।” যদিও জেলা বিজেপির তরফে সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বীরভূমের বাঘকে প্রত্যাখ্যান করতে চাইছে তৃণমূল। দল বুঝতে পারছে এদের সঙ্গে রাখলে আখেরে বিপদই হবে।”

তবে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা আমি একেবারেই বলতে পারব না। এটা জেলা নেতৃত্ব স্থানীয় নেতৃত্বের বিষয়। এ ব্যাপারে আমার কোনও মন্তব্য নেই। অনুব্রত মণ্ডল দলের একজন ডাকসাইটে নেতা ছিলেন বা আছেন। তিনি ঘটনাচক্রে বন্দি। যদি দোষী হন, প্রমাণ হবে। তিনি লড়ছেন। এ বিষয়ে আলাদা করে কোনও বক্তব্য নেই।”

রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে দিদির দূত হয়ে রবিবার গিয়েছিলেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর।

সরকারি অফিসের তালা ইট দিয়ে ভাঙছেন বিধায়ক। সে সময় পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাংসদ। রবিবারের সকালে এ রকমই দৃশ্য দেখা গেল মালদহ জেলার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে। দিদির দূত হয়ে গিয়ে বিধায়কের এই আচরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রবিবারের দিন স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ ছিল সরকারি দফতর। কিন্তু সেই তালা কেন ভাঙতে উদ্যোগী হলেন দিদির দূত, তা নিয়ে ছড়িয়েছে অসন্তোষ। যদিও পরে সেখানে উপস্থিত কর্মীরা চাবি দিয়ে চালা খুলেছেন। কিন্তু সাংসদের উপস্থিতিতে বিধায়কের আচরণ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি সাংসদ ও বিধায়ক। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, কেন তাঁরা এই কাজ করলেন তা নিয়ে কথা বলা হবে।



রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে দিদির দূত হয়ে রবিবার গিয়েছিলেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। দিদির দূত হিসাবে ঘুরতে ঘুরতে তাঁরা পৌঁছে যান রতুয়ার বিএমওএইচ অফিসে। কিন্তু রবিবার হওয়ায় বন্ধ ছিল সেই অফিস। বিএমওএইচও ছিলেন না অফিসে। সে সময় বিধায়ক এবং সাংসদ ফোন করে অফিসে আসতে বলেন ওই সরকারি স্বাস্থ্য কর্তাকে। কিন্তু তাঁর আসতে দেরি হওয়ায় বিধায়ক নিজেই ইট নিয়ে তালা ভাঙতে উদ্যত হন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বন্ধ তালার উপর ইটের বাড়ি মারছেন ওই বিধায়ক। বেশ কয়েক বার বাড়ি মারার পর তাঁকে আটকালেন সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি। এর পর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক জন চাবি দিয়ে তালা খুলে নিলেন।

যদিও এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর এবং বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তবে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেছেন, “তালা ভাঙার কাজ কেন বিধায়ক করতে গেলেন বুঝতে পারছি না। যেখানে তিনি বর্ষীয়ান নেতা।” তবে এই বিষয়ে মৌসম নুর ও সমর মুখার্জির সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও দিদির দূত হিসাবে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল মৌসম নূরকে।