September 2023


সূত্রের খবর, তদন্তকারী সংস্থার কাছে খালিস্তানি-আইএসআই যোগের তথ্য প্রমাণও রয়েছে। ইউএপিএ-র অধীনে জেলবন্দি জঙ্গি ও খালিস্তানি নেতাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী ও গ্যাংস্টারদের এই জোট বিদেশের মাটি থেকে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত, অস্ত্র সরবরাহ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে সাহায্য করত।


নয়া দিল্লি: কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চাপান-উতোরের মাঝেই খালিস্তানিপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান কেন্দ্রের। বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ(NIA)। খালিস্তানি (Khalistani) গ্যাংস্টারদের খোঁজে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি-এনসিআর, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। 


কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। পঞ্জাবের ৩০টি জায়গা, রাজস্থানের ১৩টি জায়গা, হরিয়ানার ৪ জায়গা, উত্তরাখণ্ডের ২ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়াও দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। মোট ৫০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, ভারতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক মদত দিচ্ছে ভিন দেশে বসে থাকা খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও কিছু গ্যাংস্টাররা। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকার পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে ভারতে। এই সমস্ত কার্যকলাপের সঙ্গে খালিস্তানি যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকেই আজ এনআইএ-র এই তল্লাশি অভিযান।


অপর একটি সূত্রে খবর, তদন্তকারী সংস্থার কাছে খালিস্তানি-আইএসআই যোগের তথ্য প্রমাণও রয়েছে। ইউএপিএ-র অধীনে জেলবন্দি জঙ্গি ও খালিস্তানি নেতাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী ও গ্যাংস্টারদের এই জোট বিদেশের মাটি থেকে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত, অস্ত্র সরবরাহ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে সাহায্য করত।

সম্প্রতিই কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়া খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্য়ু ঘিরে ভারতের সঙ্গে কানাডার তুমুল বিরোধ বাধে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের যোগ থাকতে পারে। ভারতের তরফে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনআইএ-র অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কে কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর কানাডার 'পরিকল্পিত অপরাধে'র প্রসঙ্গ তোলেন। কীভাবে সেখানে হিংসা, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।

S Jaishankar: 'ভুল লোককে প্রশ্ন করছেন', খালিস্তানি নেতা নিজ্জরের মৃত্যু নিয়ে কড়া জবাব বিদেশমন্ত্রীর
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

নয়া দিল্লি: খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যায় ভারতের হাত থাকতে পারে, এমনটাই দাবি করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে চাপান-উতোর। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। খালিস্তানি নেতার মৃত্যুর দায়ভার যতই দেশের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করুক কানাডা (Canada), ভারত তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না, এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “ভারত এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকে না। কারণ এটা নীতিগত বিষয়।”


মঙ্গলবার নিউইয়র্কে কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর কানাডার ‘পরিকল্পিত অপরাধে’র প্রসঙ্গ তোলেন। কীভাবে সেখানে হিংসা, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য বরদাস্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সম্প্রতিই এক মার্কিন রাষ্ট্রদূত দাবি করেন যে নিজ্জরের হত্যার পিছনে ভারতের যোগ থাকার সম্ভাবনা নিয়ে ‘ফাইভ আই পার্টনার’দের মধ্যে গোপন তথ্য ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। এরপরই বিতর্ক আরও বাড়ে। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি তো ফাইভ আইয়ের সদস্য নই। এফবিআই-র সদস্যও নই অবশ্যই। তাই আমার মনে হয় আপনারা ভুল লোককে প্রশ্ন করছেন।”


নিজ্জরের হত্যা নিয়ে কানাডার কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে এবং তা ভারতকে জানানো হয়, তাহলে ভারত যথাযথ পদক্ষেপ করবে বলেও জানান তিনি

প্রধান খুনের তদন্তে নেমে আগেই বিহার যোগের প্রমাণ হাতে এসেছিল পুলিশের। সেই মোতাবেক বিহারের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরা এলাকা ওঁত পেতে থাকেন তদন্তকারীরা।

তৃণমূল প্রধান খুনের অন্যতম অভিযুক্ত শুটারকে বিহার থেকে গ্রেফতার
ইসলামপুরে বিহার খুনে গ্রেফতার

ইসলামপুর: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনে আগেই বিহার যোগের প্রমাণ মিলেছিল। ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মহম্মদ রাহি খুনে মূল শুটারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিহারের পটনা সংলগ্ন আরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। রাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জশপ্রিত সিং। ধৃতকে জেরা করে এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত, জমি মাফিয়াদের আক্রোশেই এই খুন। খুনে ব্যবহৃত একটি চারচাকা গাড়ি, একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের ইসলামপুর আদালতে তোলা হবে।


প্রধান খুনের তদন্তে নেমে আগেই বিহার যোগের প্রমাণ হাতে এসেছিল পুলিশের। সেই মোতাবেক বিহারের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরা এলাকা ওঁত পেতে থাকেন তদন্তকারীরা। একটি সন্দেহজনক স্করপিও গাড়ি দেখতে পান। সেই গাড়িতেই ছিল অভিযুক্তরা। পুলিশকে দেখে তারা আগেই আঁচ করতে পেরেছিল। গাড়ির গতিবেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল। পুলিশ অভিযুক্তদের ধাওয়া করে মোটর বাইক নিয়েই। কার্যত ফিল্মি কায়দায় বাইক ছুটিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই মামলায় আগেই ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়। এখনও ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়া থানার সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া গ্রামের ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, আনুমানিক দেড় বছর আগে দেখাশোনা করে কুচিয়ামোড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৭ এর ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় মারুফ হোসেনের সঙ্গে।

Basirhat Woman Harassment: শর্ত ছিল মা হওয়া যাবে না, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই পেটে লাথি!
ছবিনা খাতুন, আক্রান্ত গৃহবধূ

বসিরহাট: দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল। তারপর স্ত্রী জানতে পারে তার স্বামীর আরও একবার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম পক্ষের একটি সন্তানও রয়েছে। তাই শর্ত দ্বিতীয়বার আর সন্তান প্রসব করা চলবে না। কিন্তু সেই শর্তপূরণ হল না স্বামীর। সেই রাগে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হতেই তার পেটে লাথি মারার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে।


ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়া থানার সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া গ্রামের ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, আনুমানিক দেড় বছর আগে দেখাশোনা করে কুচিয়ামোড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৭ এর ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় মারুফ হোসেনের সঙ্গে। মারুফ পেশায় ম্যানিব্যাগ কারিগর। বিয়ের পর ছবিনা জানতে পারেন তাঁর স্বামীর আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। এবং তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ছবিনা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখন স্বামী মারুফ হোসেন তাঁকে শর্ত দেয় কোনওরকম ভাবেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না।

পরবর্তীতে গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনই আপত্তি জানায় স্বামী মারুফ হোসেন,শাশুড়ি মাসুদা বিবি ও শ্বশুর শাখার আলি মোল্লা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ছবিনা খাতুনকে বেধড়ক মারধর করে ও তাঁর পেটেও লাথি মারার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে দাদা বদরউদ্দিন গাজি এবং মা আমিনা বিবি মেয়েকে উদ্ধার করতে যুবতীর বাড়িতে আসেন।


অভিযোগ,তাঁর মা এবং দাদাকে বেধড়ক মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনা জানতে পারেন প্রতিবেশীরা। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাড়োয়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করানো হয় হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে।

ইতিমধ্যে স্বামী মারুফ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। স্বামী মারুফ হোসেন,শাশুড়ি মাসুদা বিবি এবং শ্বশুর শাখার আলি মোল্লার বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ছবিনার দাদা বদরঊদ্দীন গাজি জানান, বোন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণে ওকে মারধর করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওর সন্তানকেও মেরে ফেলা হয়েছে।



আজ, বুধবার সকাল থেকে শুটিংয়ে একের পর এক সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জ এসেই চলেছে। চলতি এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) মেয়েদের ২৫ মিটার পিস্তল শুটিংয়ের টিম ইভেন্ট থেকে সোনা জেতার পর এ বার ব্যক্তিগত বিভাগে রুপো পেলেন ভারতের এষা সিং (Esha Singh)।

Asian Games 2023, Shooting: অষ্টাদশী এষার হাত ধরে এশিয়ান গেমসে সোনার পর পিস্তল শুটিংয়ে এল রুপো

হানঝাউ: ভারতীয় অ্যাথলিটরা চলতি এশিয়াডে একের পর এক পদক জিতে চলেছেন। আজ, বুধবার সকাল থেকে শুটিংয়ে একের পর এক সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জ এসেই চলেছে। চলতি এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) মেয়েদের ২৫ মিটার পিস্তল শুটিংয়ের টিম ইভেন্ট থেকে সোনা জেতার পর এ বার ব্যক্তিগত বিভাগে রুপো পেলেন ভারতের এষা সিং (Esha Singh)। অষ্টাদশী এষা মেয়েদের ২৫ মিটার পিস্তল শুটিং ফাইনালে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেন। এই ইভেন্টের ফাইনালে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিলেন ভারতীয় অলিম্পিয়ান মানু ভাকের। কিন্তু ফাইনালে তিনি হতাশ করেছেন। ২১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে শেষ করেন মানু। বিস্তারিত জেনে নিন  এর এই প্রতিবেদনে।


এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে পদকের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ভারতীয় শুটাররা। সকালে পুরুষদের স্কিট-৫০ শুটিংয়ে টিম ইভেন্টে ভারতীয় শুটাররা ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। দুপুরে পুরুষদের স্কিট শুটিংয়ে রুপো পেলেন অনন্তজিৎ সিং নারুকা (Anant Jeet Singh Naruka)।

Asian Games 2023, Shooting: অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া, স্কিট শুটিংয়ে রুপো পেলেন অনন্তজিৎ সিং নারুকা

হানঝাউ: এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে পদকের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ভারতীয় শুটাররা। সকালে পুরুষদের স্কিট-৫০ শুটিংয়ে টিম ইভেন্টে ভারতীয় শুটাররা ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। সেই দলের সদস্যরা হলেন – অনন্তজিৎ সিং নারুকা, গুরজ্যোৎ সিং খাঙুরা, অঙ্গদ বীর সিং বাজওয়া। এ বার পুরুষদের স্কিট শুটিংয়ে রুপো পেলেন অনন্তজিৎ সিং নারুকা (Anant Jeet Singh Naruka)। অল্পের জন্য তাঁর সোনা হাতছাড়া হয়েছে। তারপরও রেকর্ড গড়েছেন অনন্তজিৎ। আসলে এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে এই ইভেন্ট থেকে প্রথম রুপো পেলেন অনন্তজিৎ। আজ, বুধবার সকাল সকাল মহিলাদের ২৫ মিটার পিস্তল শুটিংয়ের টিম ইভেন্টে সোনা জেতেন মানু ভাকের, এষা সিং, রিদম সাংওয়ান। তারপর মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি-পজিশনে টিম ইভেন্টে রুপো পান ভারতের অশি চৌকসে, মানিনি কৌশিক ও সিফট কৌর সাম্রা। এরপর ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি-পজিশনের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সিফট সোনা জেতেন এবং ব্রোঞ্জ পান অশি। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।




আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির হতে চলেছে। শনিবার এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াতে পারে। সেই কারণে আন্দামান সাগর এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


কলকাতা: এক টানা ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি শেষ হয়েছে। তবে মুক্তি নেই। বঙ্গোপসাগরে আবারও তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। তার প্রভাব পড়তে পারে বাংলায়। কিন্তু এই কটাদিন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টি নেই।


আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির হতে চলেছে। শনিবার এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াতে পারে। সেই কারণে আন্দামান সাগর এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ক্রমশ বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেও হতে পারে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। ধীরে ধীরে শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায়। অপরদিকে, কলকাতায়ও তাপমাত্রারও পরিবর্তন হবে শনিবার থেকে। তিলত্তমায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মালদহ-উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।



চলতি সপ্তাহেই দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সেখানেই দিনকয়েক পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবী লাল চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা যোগ দিলেও, শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন নীতীশ কুমার।


পটনা: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শাসিত এনডিএ (NDA) জোটকে হারাতে জোট গড়েছে বিরোধী দলগুলি। ২৮টি বিরোধী দল মিলে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। এই জোটের কাণ্ডারি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পৌরহিত্যেই পটনাতে জোটের সূত্র বাধা হয়। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ হয় জোটের। বিরোধী জোট যখন বিজেপিকে হারানোর ব্লু-প্রিন্ট আঁকছে, সেই সময়ই জল্পনা নীতীশ কুমারকে ঘিরে। ২৪-র নির্বাচনের আগেই কি ফের এনডিএ জোটে ফিরছেন নীতীশ কুমার? এই নিয়েই জোর জল্পনা রাজ্য় তথা জাতীয় রাজনীতিতে। আর সেই জল্পনাকেই উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টির প্রধান পশুপতি কুমার পরস (Pashupati Paras)। মঙ্গলবারই তিনি বলেন, নীতীশ কুমার যদি এনডিএ জোটে ফিরতে চান, তবে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।


চলতি সপ্তাহেই দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেখানেই দিনকয়েক পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের প্রতিষ্ঠাতা দেবী লাল চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, ফারুক আবদুল্লার মতো ইন্ডিয়া জোটের নেতারা যোগ দিলেও, শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন নীতীশ কুমার। এরপরই জল্পনা আরও বাড়ে যে ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে যোগ দিতে পারেন নীতীশ কুমার।

মঙ্গলবার সেই জল্পনাকে উসকে দেন রাষ্ট্রীয় লোক জনতা পার্টির প্রধান পশুপতি কুমার পরস। তিনি বলেন, “যদি নীতীশ কুমার এনডিএ জোটে যোগ দিতে চান, তবে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে”। এর দু’দিন আগে বিহারের বিরোধী দলনেতা বিজয় কুমারও জানিয়েছেন, যেকোনো জাতীয়তাবাদী সৎ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী ব্যক্তিকেই বিজেপি স্বাগত জানাবে।


তবে আপাতত এই জল্পনাকে উড়িয়েই দিয়েছেন নীতীশ কুমার। এনডিএ জোটে ফের একবার যোগ দেওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো সব ফালতু কথা। এই ধরনের কথা শুনতে আমি আগ্রহী নই। আপনারা জানেন বিরোধীদের একজোট করতে আমি কতটা পরিশ্রম করেছি। এটা আমাদের অনেক বড় সাফল্য। আমার লক্ষ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সকে মজবুত করা। ”

অন্যদিকে, বিজেপির এক শিবিরও নীতীশ কুমারকে ফেরাতে নারাজ। প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য সুশীল মোদী সাফ জানিয়ে দেন, নীতীশ কুমার ফের এনডিএ জোটে ফিরতে চাইলেও, তাঁকে আর জায়গা দেওয়া হবে না। বিজেপির দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নীতীশ কুমারের জন্য।


বুধবার সকালে ভারতের ঝুলিতে ঢুকল চতুর্থ সোনা। সিফট শর্মা, অশি চৌকসে ও মানিনি কৌশিকরা ৫০ মিটার থ্রি পজিশনে প্রায় সোনা জিতে ফেলছিলেন। শেষ পর্যন্ত রুপোতে থেমেছেন তাঁরা। তাঁদের আক্ষেপ যেন মিটিয়ে দিলেন মানু, রিদম, এষা। ভারতের তিন পিস্তল শুটার তুলেছেন ১৭৫৯। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পিছনে ফেলে শুটিংয়ের টিম ইভেন্ট থেকে দ্বিতীয় সোনা ভারতের।

Asian Games 2023, 25m Pistol: পিস্তল শুটিংয়ের টিম ইভেন্ট থেকে ভারতকে সোনা দিলেন মানু-এষা-রিদম
২৫ মিটার পিস্তলের টিম ইভেন্ট থেকে ভারতকে সোনা দিলেন মানু ভাকের, এষা সিং ও রিদম সাংওয়ান।
সাত সকালে হানঝাউয়ের শুটিং রেঞ্জে রুপোলি ঝলক দেখিয়েছেন ভারতের তিন মেয়ে। সেই কাটকে না কাটতে সোনালি মুহূর্ত দিলেন ভারতের আরও তিন মেয়ে। এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023, Shooting) ২৫ মিটার পিস্তল শুটিং থেকে সোনা জিতলেন মানু ভাকের, এষা সিং, রিদম সাংওয়ান (Manu Bhaker, Esha Singh, Rhythm Sangwan)। শুটিংয়ের টিম ইভেন্ট থেকে এটা ভারতের দ্বিতীয় সোনা। এর আগে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের টিম ইভেন্ট থেকে সোনা জিতেছিলেন ভারতের ছেলেরা। শুটিং ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সামনে প্যারিস অলিম্পিক। অলিম্পিকের মহামঞ্চের প্রস্তুতি যেন হানঝাউতেই সেরে নিচ্ছেন ভারতীয় শুটাররা। যে মানু ভাকের টোকিও গেমসের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, সেই তিনিই দেখাচ্ছেন নতুন স্বপ্ন। বিস্তারিত।


বুধবার সকালে ভারতের ঝুলিতে ঢুকল চতুর্থ সোনা। সিফট শর্মা, অশি চৌকসে ও মানিনি কৌশিকরা ৫০ মিটার থ্রি পজিশনে প্রায় সোনা জিতে ফেলছিলেন। শেষ পর্যন্ত রুপোতে থেমেছেন তাঁরা। তাঁদের আক্ষেপ যেন মিটিয়ে দিলেন মানু, রিদম, এষা। ভারতের তিন পিস্তল শুটার তুলেছেন ১৭৫৯। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পিছনে ফেলে শুটিংয়ের টিম ইভেন্ট থেকে দ্বিতীয় সোনা ভারতের। গত মাসেই বাকুতে বিশ্ব মিটে দলগত বিভাগে সোনা জিতেছিলেন মানুরা। সেই ধারাবাহিকতাই এশিয়ান গেমসেও ধরে রাখলেন তাঁরা। ২টো সোনা সহ শুটিং থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয়রা পেয়েছেন ৭টা পদক। আর এশিয়ান গেমসে সব মিলিয়ে ৪টে সোনা, ৫টা রুপো ও ৭টা ব্রোঞ্জ ভারতের ঝুলিতে। মোট ১৬টা পদক।


শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মানু। মানু যোগ্যতা পর্বে তিনি ছিলেন শীর্ষে। তুলেছেন ৫৯০ পয়েন্ট। এষা শেষ করেছেন পাঁচে। তাঁর পয়েন্ট ৫৮৬। রিদম শেষ করলেন সাতে, ৫৮৩ পয়েন্ট নিয়ে। মানু আর এষা ফাইনালেও উঠেছেন। মানু যদি নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারেন, তা হলে এশিয়ান গেমসের শুটিং থেকেও ভারত পেয়ে যাবে প্রথম ব্যক্তিগত সোনা।



অভিযোগ, ভুয়ো সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে তারক রায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্তরা। কিছুদিন পর তারক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।


বারাকপুর: ভুয়ো সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা। খড়দহ থানার সোদপুরের বাসিন্দা তারক রায় নামে প্রতারিত ব্যক্তি তারক মূলত ব্যবসায়ী। তাঁর কী ব্যবসা, সেটি তদন্ত ও ওই ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ করতে চাননি তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা একদিন তাঁর কাছে এসে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ব্যবসার বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চান। সেখানে কিছু ভুল রয়েছে, তাঁর পদক্ষেপ করা হবে বলে ভয় দেখান।


অভিযোগ, ভুয়ো সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে তারক রায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্তরা। কিছুদিন পর তারক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বারাসত দত্তপুকুর থানার চরকডাঙ্গা এলাকা থেকে সৌমেন মুখোপাধ্যায় ও জয়শ্রী কর নামে দু’জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সাইবার ক্রাইম আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে আর কোন কোন চক্র জড়িত রয়েছে, তারও তদন্ত চালাচ্ছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

এশিয়ান গেমসে সোনাঝরা দিন। শুটিং থেকে এল দ্বিতীয় সোনা। মেয়েদের ৫০ মিটার প্রোন টিম ইভেন্ট থেকে এসেছিল রুপো। এ বার সোনা দিলেন সিফট কৌর শর্মা। সঙ্গে করলেন বিশ্বরেকর্ডও। ফাইনালে ৪৬৯.৬ পয়েন্ট স্কোর করলেন সিফট। শুটিং থেকে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত সোনা ভারতের। শুরু থেকেই লিড নিয়েছিলেন সিফট। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরানো যায়নি। ব্রোঞ্জ পেলেন অশি চৌকসে।

Asian Games 2023, Shooting: বিশ্বরেকর্ড করে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতলেন ভারতের সিফট কৌর সাম্রা!
এশিয়ান গেমসে বিশ্বরেকর্ড করে সোনা জিতলেন ভারতের মেয়ে সিফট কৌর শর্মা।
Image Credit source: টুইটার

হানঝাউ: এর আগের চারটে সোনা দেশে খুশির হওয়া বইয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা আসেনি। সেই আক্ষেপ মিটিয়ে তৃপ্তিতে ভরিয়ে দিলেন সিফট কৌর সাম্রা (Sift Kaur Samra)। এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি-পজিশনে সোনা জিতলেন ভারতের মেয়ে। টিম ইভেন্টে একটুর জন্য সোনা হাতছাড়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু দুরন্ত ফর্মে ছিলেন সিফট। ফাইনালেও সেই ফর্ম ধরে রাখলেন তিনি। শুধু সোনা জেতা নয়, বিশ্বরেকর্ডও করলেন তিনি। প্রোনের ফাইনালে ভারতেরই জয়জয়কার। সিফট সোনা জিতলেন যেমন, ব্রোঞ্জ পেলেন অশি চৌকসে (Ashi Chouksey)। শেষ কয়েকটা রাউন্ড তিনি যদি পিছিয়ে না পড়তেন, তা হলে রুপো পেতে পারতেন। বুধবার কার্যত সোনাঝরা দিন এশিয়ান গেমসে। পঞ্চম সোনা এল এ দিন সকালেই।  বিস্তারিত।


হানঝাউয়ে এশিয়ান গেমসের রেকর্ড, এশিয়ান রেকর্ড এবং বিশ্বরেকর্ড চুরমার করে দিলেন ভারতের মেয়ে সিফট। ৫০ মিটার থ্রি পজিশন প্রোনের ফাইনালে শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন। ফাইনালে ৪৬৯.৬ পয়েন্ট স্কোর করেন। চলতি বছরের মে মাসে বাকু বিশ্ব মিটে গ্রেট ব্রিটেনের শুটার সিওনায়েড ম্যাকইনটস এই ইভেন্টেই করেছিলেন বিশ্বরেকর্ডে। ৪৬৭ পয়েন্ট স্কোর তাঁর। সেই রেকর্ড হেলায় ভেঙে দিলেন সিফট। রুপো পাওয়া চিনের শুটার কুইনজিয়াও জ্যাং থামলেন ৪৬২.৩ পয়েন্টে। বোঝাই যাচ্ছে, ২২ বছরের মেয়ে কতটা নিখুঁত ছিলেন। সিফট থামানো যাচ্ছিল না। অশিও চেষ্টা করেছিলেন। শুরুতে তিনিও খারাপ শট নিচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ কয়েক রাউন্ডে পিছিয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৪৫১.৯ পয়েন্ট স্কোর করে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেছেন।


শুটিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও তুখোড় সিফট। এমবিবিএস করছেন। শুটিং ধ্যানজ্ঞান হলেও পড়াশোনাতেও সমান ফোকাস করেন পঞ্জাবের মেয়ে। গত বছর থেকেই একের পর এক টুর্নামেন্টে পারফর্ম করে আসছেন তিনি। থ্রি-পিতে এ বছরের শুরু থেকে দুরন্ত ছন্দে। সেই ফর্মই এশিয়ান গেমস থেকে সোনা এনে দিল সিফটকে।



বস্তুত, করোনার সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পঠন-পাঠনের দিকে হেঁটেছিল। করোনা পরবর্তীকালে এই প্রথম অনলাইন পঠন-পাঠনের কথা মাথায় আনতে হচ্ছে মশার দাপটের জন্য। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা-জমা জল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। খোদ ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছিলেন।


কলকাতা: যাদবপুরে বেলাগাম ডেঙ্গি পরিস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও মশার উপদ্রব অব্যাহত। তাই ডেঙ্গি ঠাকাতে আপাতত অনলাইনে ক্লাসের ভাবনা। হস্টেল খালি করে পড়ুয়াদের সরিয়ে দেওয়ার ভাবনা কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবার। কীভাবে অনলাইন ক্লাস করানো যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।


বস্তুত, করোনার সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পঠন-পাঠনের দিকে হেঁটেছিল। করোনা পরবর্তীকালে এই প্রথম অনলাইন পঠন-পাঠনের কথা মাথায় আনতে হচ্ছে মশার দাপটের জন্য। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা-জমা জল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। খোদ ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছিলেন। তবে ক্যাম্পাস এতটাই বড় তার উপর সাফাই কর্মীর সংখ্যা কম থাকার দরুণ কোনও ভাবেই মশার উৎপাত কমানো যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে হস্টেলের ৩০ জন আবাসিক ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছেন শতাধিক। তার মধ্যে আবার একজন পড়ুয়া মারাও গিয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাস বা ক্লাস সাসপেন্ড করার কথা ভাবছে। গতকালের ইসি-র বৈঠকে ডেঙ্গি পরিস্থিতির বিষয় উল্লেখ করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিভাগীয় প্রধানদের মতামত নিয়েই সবটা ঠিক করা হবে।


উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “সব জায়গায় যে রকম হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও সেই রকম বাড়াবাড়ি হয়েছে। হস্টেলে যাতে পড়ুয়ারা না থাকে ভাল হয় এমন প্রস্তাব এসেছে। কারণ প্রতিটি পড়ুয়া অসুস্থ হলে তাঁদের কেয়ার করার মতো পরিষেবা আমাদের কাছে নেই। সেই কারণেই ভাবা হচ্ছে অনলাইন ক্লাসের বিষয়টি।”



কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলছে গবেষণা। যুদ্ধ হলে শত্রু দেশের হাওয়ায় মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে মারণ ভাইরাস। নিমেষে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বহু মানুষ। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।


কলকাতা: যুদ্ধ মানেই বোমা-বন্দুক, বারুদের গন্ধ, এমন ছবিই ভাসে চোখের সামনে। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার উপায় যেমন রয়েছে, তা আটকানোর অত্যাধুনিক উপায়ও রয়েছে বিপক্ষের হাতে। তাই সেই চেনা ছবির দিন হয়ত শেষ! বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অদূর ভবিষ্যতে একাধিক দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে লড়াই হবে নিঃশব্দে। কোনও বিস্ফোরণের শব্দ ছাড়াই পড়ে থাকবে লাশের পর লাশ। কারণ কার্তুজ বানানোর বদলে ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস বানানোয় মন দিয়েছে একাধিক দেশ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি কখনও কলকাতা তেমন পরিস্থিতির শিকার হয়, তাহলে বাঁচবেন তো? গবেষকরা বলছেন কলকাতা শহরের অলিগ-গলিতেই নাকি রয়েছে বাঁচার উপায়।


হাওয়ায় মিশতে পারে মারণ ভাইরাস
আগে বুঝে নেওয়া যাক, জৈব অস্ত্র বা জীবাণু যুদ্ধটা আসলে কী? প্রায় দেড় হাজার খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে শত্রুদের শিবিরে অসুস্থ ভেড়া পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে শোনা যায়। জৈব অস্ত্র প্রয়োগের সেই শুরু। তারপর চিন-জাপান যুদ্ধের সময় জাপান সেনা চিনের বহু জলের উৎসে কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু মিশিয়ে দিয়েছিল। সেই অস্ত্রে নাকি ক্রমশ শান দিচ্ছেন তাবড় দেশগুলি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলছে গবেষণা। যুদ্ধ হলে শত্রু দেশের হাওয়ায় মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে মারণ ভাইরাস। নিমেষে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বহু মানুষ। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।

কলকাতার পুরনো বাড়িই হবে ঢাল!
গবেষকরা বলছেন, কলকাতা শহরের পুরনো বাড়িগুলোই নাকি জব্দ করতে পারে জীবাণুকে। উত্তর কলকাতার গলিতে ঢুকতে দু পাশে যে সব বাড়ি ৬০-৭০ বছর বা তারও আগের কথা বলে, সেগুলিতে নাকি টিকতে পারবে না জীবাণু।


নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অর্ক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এমন কোনও জীবাণু-যুদ্ধ ঘটলে কলকাতার পুরনো বাড়িগুলিতে বিপদের সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ কম। কারণ? ওই বাড়িগুলিতে রয়েছে বড় বড় জানালা, বারান্দা।

জীবাণু আটকাতে কেমন হওয়া উচিত বাড়ি?
গবেষণা বলছে, কোনও ঘরে জমে থাকা বাতাস যদি দিনে ১০ থেকে ১৫ বার সরে গিয়ে নতুন বাতাস প্রবেশ করতে পারে, তাহলে সেখানে জীবাণু জমে থাকার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। একাধিক বড় জানালা ও বড় বারান্দা থাকলে সুবিধা। হাওয়া একদিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বেরতে পারবে এমন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এরও একটা হিসেব আছে। দরজা, জানালা ও ঘুলঘুলির আয়তনের যোগফল হতে হবে ঘরের আয়তনের ২০ শতাংশ। অর্থাৎ যদি ২০০ বর্গফুটের ঘর হয়, তাহলে দরজা, জানালা ও ঘুলঘুলি হতে হবে অন্তত ৪০ বর্গফুটের। নতুন বাড়ি তৈরির সময়েও মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্লাইডিং জানালার বদলে পাল্লা দেওয়া জানালা বানাতে হবে। ঘরের এসি বন্ধ করে জানালা খুলে রাখতে হবে দিনের বেশ কিছুক্ষণ। জানালার সামনে আসবাব থাকলে তা সরিয়ে দিতে হবে।

আজ থেকে কয়েক দশক আগে এভাবে না ভেবেই হয়ত বানানো হয়েছিল বাড়িগুলি। কিন্তু আজ সেগুলির গুরুত্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এসি ঘরে থাকা বা অফিসের এসি কেবিনে কাজ করা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তেমনটাই বলছে গবেষণা।



বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতার শিবির হল নামখানায়। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি দেখা যায়। 


বিশেষ করে করোনা কালে লকডাউনের পর থেকে বাল্যবিবাহের আধিক্ষ্যটা বেশি বেড়েছে। বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েদের প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি দেখা যায়। তবে এসবের জন্য স্মার্ট ফোনকে দায়ী করেছেন অনেকেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে বাল্যবিবাহ রোধের জন্য।বাল্যবিবাহ রোধের জন্য কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। শুধু বাল্যবিবাহ নয়, বর্তমান সময়ে শিশু নির্যাতন, নারী পাচার, শিশুশ্রম,বধূ নির্যাতনের মত সামাজিক ব্যাধি এখন ও দেখা যায়। তবে এসবের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি সরকারিভাবে বিভিন্ন সচেতনতামূলক শিবির গ্রহণ করা হচ্ছে।মঙ্গলবার দিন সুন্দরবন পুলিশ জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার মৌশুনী কো অপারেটিভ হাই স্কুলে বাল্যবিবাহ রোধের জন্য ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে স্বয়ংসিদ্ধা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিনের কর্মসূচির মূলকথা নিজে সচেতন হন ও অপরকে সচেতন করুন। বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রম, নারী পাচার, বধূ নির্যাতন এগুলি যে অপরাধ সে বিষয়ে সচেতন করা হয়। এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রৃদ্ধি সরকার। এদিন তিনি বলেন সমাজের সামাজিক ব্যাধি গুলি দূর করার জন্য, ছোটোদের পাশাপাশি বড়দেরও এগিয়ে আসতে হবে। আজকে শুধু নয়, আগামীতেও এইরকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে থানার পক্ষ থেকে। এদিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মৌশুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসী ভট্টাচার্য,মৌশুনী কো অপারেটিভ হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিনয় সী প্রমুখ।



অদূর ভবিষ্যতে সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ,শিশু নির্যাতন,নারী পাচার,শিশু শ্রম,বধূ নির্যাতনের মতো সামাজিক ব্যাধী দূর হবে এই প্রত্যাশা রাখে প্রান্তিক বাংলা কতৃপক্ষ ।

সরকারি জমিতে থাকা দোকান ও বাড়ি উচ্ছেদের নোটিশ প্রত্যাহারের দাবীতে সারা বাংলা হকার ইউনিয়নের নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর


২৬শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সারা বাংলা হকার ইউনিয়নের রাজ্য ও জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় দোকানদার ও বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। কিছুক্ষণের জন্য মথুরাপুর- ঘোড়াদল রোড অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। মথুরাপুর থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়া দোকানদাররা কোনমতে দোকান ভাঙতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, মথুরাপুর হাসপাতাল রোডের এক বাসিন্দা জবরদখলকারীদের হটাতে কলকাতা হাইকোর্টর দারস্থ হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে মথুরাপুর হাসপাতাল থেকে কালীতলা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ দোকান ও বসতি উচ্ছেদের নোটিশ দেয় পূর্ত দপ্তর। মাসখানেক আগে উচ্ছেদ করতে এসে বাধার মুখে পড়ে পিছু হটে পুলিশ প্রশাসন। এদিনও উচ্ছেদের কথা থাকলেও ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের বিক্ষোভের জেরে পিছু হটে পুলিশ প্রশাসন।

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল



সাগর মহাবিদ্যালয়ের বিল্ডিং এ রংয়ের কাজ করতে গিয়ে হঠাৎই ছাদের উপর থেকে পড়ে গুরুত্ব আহত এক ব্যক্তি

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২৬ শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের হরিণবাড়িতে সাগর মহাবিদ্যালয়ের বিল্ডিং এ রংয়ের কাজ করছিল বেশ কয়েকজন, তাদের মধ্যে সাগরের ধবলাট মনসা বাজার এলাকার বাসিন্দা মিলন জানা নামে এক ব্যক্তি ওই  বিল্ডিংএ  রং করার সময় হঠাৎই ওই বিল্ডিং এর ছাদের উপর থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়,এরপর তার সহকর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরের ধবলাট মনসা বাজার এলাকার মিলন জানা নামে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সাগরের ধবলাট মনসা বাজার এলাকার বাসিন্দা, মিলন জানা নামে ঐ ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার দুপুরে সাগরের কচুবেড়িয়ার ভেসেল ঘাট থেকে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স করে ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল



৫০টি করে পান পাতা দিয়ে পানের গোছ নির্দিষ্ট হওয়ায় প্রতিবাদ জানালেন সাগর ব্লকের পান চাষিরা

গত ২৩শে সেপ্টেম্বর শনিবার রাজ্যে কৃষিজ বিপণন দপ্তরের উদ্যোগে কলকাতার ক্রেতা সুরক্ষার মিটিং হলো পান চাষী,আরৎদার ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে এদিন চূড়ান্ত পর্যায়ের বিশেষ সভার আয়োজন হয়,ওই মিটিংয়ে পান চাষীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে পূর্ববর্তী তিনটি মিটিংয়ের পরে ২৩ শে সেপ্টেম্বর শনিবার সিদ্ধান্ত হয় যে পানের সর্বোচ্চ ৫০টি করে পান গোছে দিয়ে পান নিলাম হবে এবং পান চাষীরা নিলামে সর্বোচ্চ দাম পাবে। আগে পানের নিদিষ্ট কোনো গোছ নিলাম হতো না, কোথাও ১০০,কোথাও ১৫০ কোথাও ৩৫০ গোছে পান নিলাম হতো, শনিবার ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিজ বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না,রাজ্য কৃষিজ বিপণন দপ্তরের সচিব অনিল ভার্মা,স্পেশাল সেক্রেটারী অশোক দাস কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা বিধায়ক বিক্রম প্রধান এবং পানচাষী, আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন,ওই সিদ্ধান্ত ১লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে এবং এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে প্রণয়ন হচ্ছে কিনা তার জন্য কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের নজরদারি থাকবে,

৫০টি করে পান পাতা দিয়ে পানের গোছ নির্দিষ্ট হওয়ায় সোমবার সাগরের চকফুলডুবি মন্দিরতলা বাজারে প্রতিবাদ জানালেন সাগর ব্লকের চকফুলডুবি ও মন্দিরতলা এলাকার পান চাষীরা,তাদের দাবি সরকার যদি পানের গোছে নির্ধারিত করবে তাহলে সরকারকে ধান কেনার মত পানও কিনতে হবে সরকারিভাবে,এবং সারের দাম ও কমাতে হবে, সরকার এই সমস্ত জিনিস না করে সরকার শুধু পানের গোছে কম করলে পাইকারিরা তখন কম দামে পান কিনে নেবে আর চাষিরা সারের দোকান টাকা দিতে ও সংসার চালাতে হিমশিম খাবে কারণ গত বছরও এই সমস্ত চাষীরা এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন,তাদের আরো দাবি তাদের না জানিয়ে হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা মানবে না, সাগর ব্লকের পন চাষীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে,কারণ তারা সুষ্ঠুভাবে পান বিক্রি করছিল তাদের কোন সমস্যা ছিল না সরকারের হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্তে পান চাষীদের বিপুল পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে,
সোমবার ওই বিষয়ে সাগরের চকফুলডুবি মন্দিরতলা বাজার থেকে আমাদের কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার সামনে একজন পানচাষী কি বললেন শুনুন

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

এরপর আজ হঠাৎই স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিরোধী দলনেতা। ভিতরে ঢুকতে চান তিনি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবনের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেননি। তখনই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ান শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari: হঠাৎ স্বাস্থ্য ভবনে শুভেন্দু, বাধা পেতেই গেট টপকে ঢোকার চেষ্টা,পরে বাইরেই বিক্ষোভ
স্বাস্থ্য ভবনে প্রতিবাদে শুভেন্দু

কলকাতা: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। এক প্রকার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। প্রতিদিনই প্রায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে হাজির বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু গেটের বাইরে পুলিশ আটকে দেওয়ায় ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে।


সূত্রের খবর, এর আগে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন। তবে মুখ্যসচিব অনুপস্থিত থাকায় দেখা হয়নি। এরপর আজ হঠাৎই স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিরোধী দলনেতা। ভিতরে ঢুকতে চান তিনি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবনের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেননি। তখনই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ান শুভেন্দু।

বিরোধী দলনেতা বলেন, “স্বাস্থ্য ভবন কি তৃণমূলের পৈত্রিক সম্পত্তি? এখানে ২০-২২ জন বিধায়ক আর বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল আসার আগে এ বাড়ি হয়েছে। আর যাঁরা ভিতরে রয়েছে তাঁরা ট্যাক্সের টাকায় বেতন পান।” শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, “ছোট শিশু মারা যাচ্ছে। সদ্যজাত মারা যাচ্ছে। প্রসূতি মা মারা যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। হাসপাতালে বেড নেই। প্রাইভেট নার্সিংহোমে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগানো হয়েছে।



এশিয়ান গেমসে সোনা জিতলেও সেই টিমেরই যে অংশ হতে পারবেন, মনেই হয়নি। তিতাসের কথায়, 'এশিয়ান গেমস সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না আমার। টিম যে দিন ঘোষণা হয়, দেখি আমার নাম রয়েছে। টিমে আমার নাম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সিনিয়র টিমে খেলার স্বপ্ন অনেক দিন ধরেই ছিল। সেটা যে এত তাড়াতাড়ি পূরণ হয়ে যাবে, ভাবিইনি।'

Asian Games 2023, Titas Sadhu: ছেলেবেলায় ক্রিকেট খেলতেই চাইনি, বলে দিলেন সোনার মেয়ে তিতাস!
সোনা জিতে মন খুললেন ১৯ বছরের বাঙালি পেসার তিতাস।
তিনি কি আসলে বড় ম্যাচের প্লেয়ার? তাঁর সদ্য শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে যেই নজর বোলাবেন, তাই মনে হবে। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ থেকে উঠে আসা। মেয়েদের ওই টুর্নামেন্টের ফাইনালে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও তুলে নেন। জানুয়ারি মাসের সেই পারফরম্যান্স যে আচমকা আসেনি, তা আর একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন বাংলার পেসার তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) মেয়েদের ক্রিকেটে সোনা জিতেছে ভারত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছেন চুঁচুড়ার ১৯ বছরের মেয়ে। এক মাথা ঝাঁকড়া চুলের তরুণী যেন স্বপ্নের স্পেল করেছিলেন। ম্যাচ জিতে উঠে কী বললেন তিনি?এ বিস্তারিত।


চুঁচুড়া থেকে উঠে এসে বিশ্ব দরবারে আলাদা জায়গা করে নিচ্ছেন তিতাস। যেন ঝুলন গোস্বামীর রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলিয়ে ফেলেছেন। দু’দিকে সুইং করাতে পারেন বল। স্কিড করাতে পারেন নতুন বল। তাঁর এই গুণগুলোই ঠিকঠাক পড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্য়াটাররা। প্রথম ওভারে এসেই নিয়েছিলেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে ফের আরও এক উইকেট। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ম্য়াচ জেতানো পারফরম্যান্স তিতাসে। চুঁচুড়ার এই মেয়েই যে ছেলেবেলায় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না, তা জানাই ছিল না। কী বলছেন তিনি?

এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে এই প্রথম টিম পাঠিয়েছে ভারত। হরমনপ্রীত সিংয়ের ভারত সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে। আর তিতাস বলছেন, ‘ছেলেবেলায় ক্রিকেট খেলতেই চাইনি। যে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসি, সেটাও শুরু হয়েছিল দেরিতে। ওই অ্যাকাডেমির হয়ে যে টিম খেলত, সেখানে নিয়মিত হাজির থাকতাম। ওদের নানা ভাবে সাহায্য করতাম। তখনও ক্রিকেট খেলার কথা মাথায় আসেনি। পরে আমিও একটু-আধটু ক্রিকেট খেলতে শুরু করি। তখনও ক্রিকেট সে ভাবে এনজয় করতাম না। তবে মজা লাগত। কিন্তু আমি যখন পারফর্ম করতে শুরু করি, তখন আগ্রহটা বেড়ে যায়। অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের সিলেকশন ছিল, আমি টিমে সুযোদ পাইনি। ওই ঘটনায় ভেঙে পড়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল, আমি যদি ক্রিকেটার হতে চাই, তা হলে আমাকে খেলতে হবে। ক্রিকেটের প্রতি ইমোশনাল হয়ে পড়া সেই সময় থেকেই।’


এশিয়ান গেমসে সোনা জিতলেও সেই টিমেরই যে অংশ হতে পারবেন, মনেই হয়নি। তিতাসের কথায়, ‘এশিয়ান গেমস সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না আমার। টিম যে দিন ঘোষণা হয়, দেখি আমার নাম রয়েছে। টিমে আমার নাম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সিনিয়র টিমে খেলার স্বপ্ন অনেক দিন ধরেই ছিল। সেটা যে এত তাড়াতাড়ি পূরণ হয়ে যাবে, ভাবিইনি।’

দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলেছেন। মেয়েদের আইপিএল যে তাঁর দেখার চোখ বদলে দিয়েছে, তা জানাতে ভুলছেন না। তিতাস বলছেন, ‘মেয়েদের আইপিএলে অনেক দেশে মেয়েরা খেলে। যে কারণে ক্রিকেট খেলাটা সহজ হয় না। স্ট্র্যাটেজি অন্য রকম করতে হয়। ক্রিকেট সম্পর্কে ধারনাও অন্য রকম রাখতে হয়। বিদেশিদের সামনে থেকে দেখার পর ক্রিকটা খেলার ভাবনাটা বদলে যায় অনেকখানি। নিজের খেলায় অনেক কিছু যোগ করেছি।’

বাবা রণদীপ সাধু তাঁর জীবনের বড় অংশ। ছেলেবেলা থেকে বাবাকে পাশে পেয়েছেন। তিতাস বলে দিচ্ছেন, ‘আমরা ক্রিকেটাররা খেলি ঠিকই, কিন্তু সে ভাবে ট্রেনিং করতে ভালোবাসি না। তখন কাউকে লাগে, যে আমাদের তাতিয়ে দেবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে। ১২-১৩ বছরে এটা সবচেয়ে বেশি দরকার। তখন নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হয়। আমার বাবা সেই কাজটা করেছিল। বাবার সঙ্গে নিয়মিত ম্য়াচ নিয়ে কথাও হয়। কেমন বল করলাম, কী ভুল করলাম। সবটা বাবাকে জানাই।’


ভারতীয় টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মনপ্রীত সিং, সমশের সিং পর পর দুটো গোল দিয়ে শুরু করেন তৃতীয় কোয়ার্টার। পরের তিনটে গোল পি-সি থেকে। যার তিনটেই করলেন হরমনপ্রীত। ম্যাচের সেরাও তিনি। তবে এই ভারতীয় টিমের মস্তিষ্ক অভিষেক। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি। বিপক্ষের বক্সে ঢুকে ড্রিবল করা। ডিফেন্স তছনছ করা। ছোট ছোট পাসে বিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া। সঙ্গে দুরন্ত স্কিলের ঝলক। অভিষেকের জন্য সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে খেলা নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছিল ভারত।

এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) হকিতে দুরন্ত ছুটছে ভারতীয় হকি (Indian Hockey Team) টিম। উজবেকিস্তানকে দু’দিন আগেই ১৬-০ উড়িয়ে দিয়েছিল হরমনপ্রীত সিংয়ের (Harmanpreet Singh) টিম। দু’দিন পর আবার অ্যাকশন রিপ্লে। সিঙ্গাপুরকে ফের গোলের মালা পরাল ভারত। ১৬ গোল দিলেন মনদীপ সিং, ললিত উপধ্যায়রা। এ বারও স্কোরলাইনে ১৬ গোলের প্রাচুর্য। তবে, ১ গোল হজমও করতে হয়েছে ভারতকে। পরের ম্যাচ গত বারের এশিয়াড চ্যাম্পিয়ন জাপানের বিরুদ্ধে। কঠিন প্রতিপক্ষের মুখে নামার আগে মনোবল তুঙ্গে মনপ্রীত-অভিষেকদের। এ বিস্তারিত।

উজবেকদের বিরুদ্ধে জোড়া হ্যাটট্রিক ছিল ভারতের। সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধেও জোড়া হ্যাটট্রিক দেখা গেল। ১৬-১ স্কোরলাইনে সবচেয়ে বেশি অবদান ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনের। হরমনপ্রীত একাই করেন চারটে গোল। সব গোলই এল পেনাল্টি কর্নার থেকে। টিম ভালো পারফর্ম করলেও গত কয়েক মাস ক্রেগ ফুলটনের চিন্তার কারণ ছিল পেনাল্টি কর্নার। জাপান ম্যাচের আগে সেই চিন্তা কমিয়ে পি-সি থেকে নিয়মিত গোল পাচ্ছে ভারত। প্রথম কোয়ার্টারে ১-০ এগিয়ে ছিল ভারত। গোল করেছিলেন মনদীপই। কিন্তু বিরতির পরই খোলস ছেড়া বেরিয়ে আসে ভারতীয় টিম। আগ্রাসী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নামে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ২-০ হয়ে যায়। ডান দিক থেকে বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে পেয়ে যান সুখজিৎ সিং। গোলকিপারকে পিছনে রেখে ড্রিবল করতে করতে মাইনাস করেন ললিত উপাধ্যায়কে। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা ললিত মিস করেননি। খানিক পরেই গুরজন্ত সিং ৩-০, বিবেক সাগর প্রসাদ ৪-০। এর পরই হরমনপ্রীতময় ম্যাচ। ভারতের নেতা পেনাল্টি কর্নার থেকে ৫-০ করেন। এশিয়ান গেমসে ওটাই ছিল তাঁর প্রথম গোল। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষে ৬-০ ভারতের। পেনাল্টি কর্নার থেকে অমিত রোহিদাসের কিক গতিমুখ ঘুরিয়ে দিয়ে গোল তুলে নেন মনদীপ। ৬-০ এবং তাঁর দ্বিতীয় গোল। মনদীপের হ্যাটট্রিক এল চতুর্থ কোয়ার্টারে।


ভারতীয় টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মনপ্রীত সিং, সমশের সিং পর পর দুটো গোল দিয়ে শুরু করেন তৃতীয় কোয়ার্টার। পরের তিনটে গোল পি-সি থেকে। যার তিনটেই করলেন হরমনপ্রীত। ম্যাচের সেরাও তিনি। তবে এই ভারতীয় টিমের মস্তিষ্ক অভিষেক। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি। বিপক্ষের বক্সে ঢুকে ড্রিবল করা। ডিফেন্স তছনছ করা। ছোট ছোট পাসে বিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া। সেি সঙ্গে দুরন্ত স্কিলের ঝলক। অভিষেকের জন্য সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে খেলা নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছিল ভারত।

এই জয় নিশ্চিত ভাবেই ভারতের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেবে। এশিয়ান গেমস থেকেই আগামী বছরের প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় হকি টিম। হানঝাউ থেকেই প্যারিসের টিকিট জোগাড় করতে চান হরমনপ্রীত-অভিষেকরা। আর তা করতে হলে জাপানের মতো শক্তিশালী টিমকে হারাতে হবে। তার জন্য় ভারত প্রস্তুত।



এর আগে দেখা গিয়েছে, সারদা কেলেঙ্কারির সময়েও ফরেনসিক অডিট করানো হয়েছিল। আপাতত সিবিআই৩০-৩৮টা সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে, যার মাধ্যমে দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়েছে।


কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহাও তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। বিচারপতির ভর্ৎসনা মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নবাণে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। হাইকোর্টের কড়া ভর্ৎসনার পরই তৎপর সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে? এবার সেটা খুঁজতে তৎপর সিবিআই।


নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন সূত্রের খোঁজে এবার ফরেনসিক অডিট করতে চান সিবিআই তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর হাতে তথ্য় এসেছে, ৩৮টির বেশি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। সেই সংস্থাগুলোর লেনদেনেরও ফরেনসিক অডিট করবে সিবিআই। ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সব সংস্থাই আসবে অডিটের স্ক্যানারে। এই ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাবের’ নাম নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে উঠে এসেছিল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার এক ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর অন্যদিকে, বহু চর্চিত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির আর্থিক লেনদেনও এই অডিটের আওতায় আসবে।

এর আগে দেখা গিয়েছে, সারদা কেলেঙ্কারির সময়েও ফরেনসিক অডিট করানো হয়েছিল। আপাতত সিবিআই৩০-৩৮টা সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে, যার মাধ্যমে দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়েছে। সেই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কোথায় কীভাবে টাকা গিয়েছে, কাদের কাছে গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা, পর্যান্ত সংগ্রহ করার জন্যই ফরেনসিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত।



অস্থায়ী কর্মচারি ও শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়কে মূলত সামনে রেখেই এদিনের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি নেয় যৌথমঞ্চ। ভাস্কর ঘোষ বলেন, "বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে সমস্ত অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে অর্থবছরের শুরুতে নিয়মিত পয়সা পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

DA: রাজ্যপালের সাক্ষাতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ, কুণালের খোঁচা 'ওরা বিরোধীদের দোকান'
রাজভবনের সামনে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধিরা।

কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা বা ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (DA)-এর দাবিতে প্রায় ৮ মাস ধরে আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোমবার রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, আট মাস ধরে আন্দোলন চলছে তাঁদের। এবার তার সমাপ্তি হওয়া দরকার। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তাই রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এদিন সকালে একটি মিছিলও করা হয় যৌথমঞ্চের তরফে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সেই মিছিল পৌঁছয় শহিদ মিনারে। সেখানে জমায়েতের পর এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে যায়।


ভাস্কর ঘোষের কথায়, “আমরা চাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপাল এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। উনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের সঙ্গে বসানোর চেষ্টা করবেন।” সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধি দলের তরফে এদিন বলা হয়, অস্থায়ী অথচ নিয়মিত কর্মী যাঁরা, তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। এ বিষয়েও রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।

অস্থায়ী কর্মচারি ও শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়কে মূলত সামনে রেখেই এদিনের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি নেয় যৌথমঞ্চ। ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে সমস্ত অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে অর্থবছরের শুরুতে নিয়মিত পয়সা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অথচ অঙ্গনওয়াড়ি, পিএইচই কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় ভাগের টাকা দিলেও রাজ্যের ভাগের টাকা দিচ্ছে না। এটা আইনবিরুদ্ধ। রাজ্যপাল বলেছেন, এ বিষয়ে রিপোর্ট চাইবেন রাজ্যের কাছে।”


যদিও এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ আসলে বিরোধীদের দোকান। বিরোধীদের কিছু অতৃপ্ত আত্মা সেই মঞ্চে যায়। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ হচ্ছে দিল্লিতে গিয়ে হিন্দু মহাসভার ঘর ভাড়া করে থাকে। এরা দিল্লিকে বলে না বাংলার বকেয়া দিয়ে দাও। বাংলার বকেয়া দিলে তাঁদেরও ডিএ পেতে সুবিধা হয়। আসলে ওরা শুধু বিরোধীদের স্বার্থ সিদ্ধি করার রাজনীতি করে। ফলে তাদের মতো রাজনীতি করছে।”



রাজ্যের তরফে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন করা হয়, এক্সপার্ট অফিসারদের দিয়ে সিআইডিকে এই তদন্ত করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে, ওই সাইবার অপরাধের মামলা এডিজি সাইবারকে হস্তান্তর করেছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে সিট গঠন করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।

Calcutta High Court: সেক্সটরশন মামলার তদন্তভার গেল এডিজি সাইবারের হাতে, খতিয়ে দেখবেন এক্সপার্ট অফিসাররা
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় আরও তৎপর রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে সিআইডি-র অন্দরে এডিজি, সাইবার পদ তৈরি করা হয়েছে। সাইবার অপরাধের এক মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানাল রাজ্য। রাজ্যের তরফে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন করা হয়, এক্সপার্ট অফিসারদের দিয়ে সিআইডিকে এই তদন্ত করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে, ওই সাইবার অপরাধের মামলা এডিজি সাইবারকে হস্তান্তর করেছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে সিট গঠন করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। পুজোর আগেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


প্রসঙ্গত, হুগলির এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। সেক্সটরশনের ফাঁদে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খুইয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরও প্রতারকদের চাপ বন্ধ হয়নি বলে দাবি। অভিযোগ, টানা চাপের মধ্যে পড়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। সেই মামলায় এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, তারা এই সেক্সটরশন সংক্রান্ত প্রতারণার জাল ছিঁড়তে নতুন পদ তৈরি করেছে। সিআইডিতে এডিজি সাইবার-এর পদ।

উল্লেখ্য, এই পদটি অবশ্য আগেই তৈরি করা হয়েছিল। যার দায়িত্বে বর্তমানে রয়েছেন হরিকিশোর কুসুমাকার। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, তাঁর নেতৃত্বে সিট গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, এই ধরনের প্রতারণার জাল সারা দেশেই ছড়িয়ে আছে। সেই কারণে এক্সপার্ট অফিসারদের দিয়ে তদন্ত করতে চান তাঁরা।

বিভিন্ন সময়ে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে একত্রে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নয়া দিল্লিতে গিয়ে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানার জন্য চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। 

YS Sharmila: তেলঙ্গানায় নয়া সমীকরণ, কংগ্রেসের হাত ধরবেন জগনমোহনের বোন?
দিল্লিতে সনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শর্মিলা (ফাইল ছবি)

হায়দরাবাদ: ডিসেম্বরের আগেই তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে কি রাজ্যে দেখা যাবে নয়া জোট সমীকরণ? সম্ভাবনা প্রবল। ২০২১ সালে নিজের পৃথক দল গঠন করেছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডির বোন ওয়াইএস শর্মিলা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টি সম্ভবত জোট বাঁধবে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে। এমনকী, দলর সকল নেতাদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন শর্মিলা, অন্ধ্রের রাজনৈতিক মহলে এমনও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর), ওয়াইএস শর্মিলা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে ওয়াইএসআর তেলেঙ্গানা পার্টির জোট বাঁধার কিংবা একীকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


তেলঙ্গানায় আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের সফল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ক্ষমতাসীন কেসিআর-এর বিরুদ্ধে এখানে দ্বিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা কংগ্রেসের। সূত্রের খবর, তাদের সমর্থন করতে পারেন অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যা শর্মিলা। কিছুদিন আগে এখানে হায়দরাবাদে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এক বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই সময় এআইসিসি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওয়াইএস শর্মিলা। তার আগেও বিভিন্ন সময়ে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে একত্রে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নয়া দিল্লিতে গিয়ে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। তারপর বলেছিলেন, “কেসিআর-এর বিদায়ঘণ্টা বাজছে। সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস পরবর্তী সরকার গঠন করবে।” শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানার জন্য চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

সোমবার, দলের বিশিষ্ট কর্মকর্তা এবং কর্মীদের নিয়ে এক বৈঠক করেন শর্মিলা। আসন্ন তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টির পক্ষ থেকে। বৈঠকের পর শর্মিলা বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে একত্রে কাজ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারির সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। যদি কোনও জোট না হয়, তবে আমাদের দল রাজ্যের ১১৯টি নির্বাচনী এলাকা থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।” শর্মিলা আরও জানিয়েছেন, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তিনি রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে সফর করবেন। সেখানকার মানুষদের সমস্যা শুনবেন। এর পাশাপাশি, তাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন ওয়াইএসআরটিপি নেত্রী।

উদয় প্রতাপ সিং, রিতি পাঠক, গণেশ সিং এবং উদয় প্রতাপ সিং। এর আগে ১৭ অগস্ট মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। ওই সময়ও ৩৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ফলে, ২৩০ আসনের মধ্যে ৭৮ আসনের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিল বিজেপি।

মধ্য প্রদেশ জয়ে ভোটে লড়বেন মোদী মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রী, দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির
বিধানসভায় প্রার্থী তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

ভোপাল: সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর), মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৩৯ জন প্রার্থীর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তালিকায় নাম রয়েছে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী – নরেন্দ্র সিং তোমর, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এবং ফগ্গন সিং কুলাস্তের। এদিনই ভোপালে বিজেপি কর্মীদের এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হল। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও, বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বিজেপির আরও চার সাংসদ – উদয় প্রতাপ সিং, রিতি পাঠক, গণেশ সিং এবং উদয় প্রতাপ সিং। এর আগে ১৭ অগস্ট মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। ওই সময়ও ৩৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ফলে, ২৩০ আসনের মধ্যে ৭৮ আসনের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিল বিজেপি।


দিমানি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষি কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে। নরসিংপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন, কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিল্প ও জলশক্তি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল। আর নিবাস আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও ইস্পাত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ফগ্গন সিং কুলাস্তে। সাতনার সাংসদ গণেশ সিং বিধানসভাতেও প্রার্থী হচ্ছেন সাতনা আসন থেকে। সিধির সাংসদ রিতি পাঠক প্রার্থী হয়েছেন সিধি বিধানসভা কেন্দ্রে। জব্বলপুর পশ্চিম কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন সাংসদ রাকেশ সিং। আর, গদরওয়ারায় প্রার্থী হয়েছেন উদয় প্রতাপ সিং। বিজেপির প্রার্থীদের দ্বিতীয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। ইন্দোর-১ আসন থেকে লড়বেন তিনি।



 সুলতাদেবীর কথায়, ছেলে যাওয়া ইস্তক নিয়মিত বাড়িতে ফোন করতেন। মায়ের সঙ্গে কথাও হত। রবিবারও কথা হয় বলে জানান মা। হঠাৎই সোমবার সুরজিতের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। সুরজিতের এক বন্ধুই ফোন করেছিলেন। জানান, হার্ট ফেল করেছে।

Migrant Worker Death: পুজোর আগে ছেলে 'পরিযায়ী' হোক চাননি মা, জম্মুতে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের
সুরজিৎ দাস।

হুগলি: আবারও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল কোন্নগরের এক শ্রমিকের। ২৪ দিন আগে জম্মুর রামবান জেলার বনিহালে কাজে গিয়েছিলেন হুগলির কানাইপুর রায়পাড়ার সুরজিৎ দাস (২৪)। পুজোর আগে বাড়িতে এল ছেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় মাথায় বাজ পরিবারের। তারা সন্দেহ করছে সুরজিৎকে খুন করা হয়েছে। ঠিকমতো তদন্ত করা হোক, চান বাড়ির লোকেরা।


পরিবার সূত্রের খবর, কোন্নগর চটকল এলাকার তিন বন্ধুর সঙ্গে সুরজিৎ ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। সুরজিতের মা সুলতা দাসের কথায়, পুজো আসছে, এদিকে ছেলেটা বাইরে কাজে যাবে মনই সায় দিচ্ছিল না। বারবার ছেলেকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। পাল্টা ছেলে মাকে বুঝিয়েছিলেন, বাইরে কাজে গেলে দু’টো পয়সা আসবে হাতে। আবার জম্মু কাশ্মীরটা ঘুরে দেখাও হয়ে যাবে।

সুলতাদেবীর কথায়, ছেলে যাওয়া ইস্তক নিয়মিত বাড়িতে ফোন করতেন। মায়ের সঙ্গে কথাও হত। রবিবারও কথা হয় বলে জানান মা। হঠাৎই সোমবার সুরজিতের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। সুরজিতের এক বন্ধুই ফোন করেছিলেন। জানান, হার্ট ফেল করেছে। সুস্থ ছেলের এমন পরিণতি শুনে ফোনেই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, এরপর সেই বন্ধু ফোন কেটে দেন। এরপর আবারও ফোন করলে, বন্ধুরা জানান, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন সুরজিৎ।


বন্ধুদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। সুলতাদেবী ভিডিয়ো কলে ছেলেকে দেখতে চান। তিনি ছেলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখেন বলেও দাবি করেছেন। যাঁদের সঙ্গে কাজে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অসঙ্গতি পেয়েছে সুরজিতের পরিবার। তাই এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ তারা। ইতিমধ্যেই কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগও জানাতে যায় শ্রমিকের পরিবার। আরও একটি বিষয়ে খটকা লাগছে বাড়ির লোকের। ঠিকাদার তড়িঘড়ি দেহ পাঠানোর জন্য অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। বাড়ির লোকেরা চান, তাঁরা জম্মু গেলে তারপর দেহ ময়না তদন্তে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদও করতে হবে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু করেন। সেখানে তাঁর প্রথম পোস্ট করার এক মিনিটের মধ্যেই শতাধিক প্রতিক্রিয়া পড়ে। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের ফলোয়ার সংখ্যা ১ লক্ষ অতিক্রম করে যায়।

PM Narendra Modi: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালুর এক সপ্তাহের মধ্যেই রেকর্ড সংখ্যক ফলোয়ার নমো-র
জনপ্রিয়তার শিখরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।

নয়া দিল্লি: ফের মোদী ম্যাজিক! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল (Whatsapp channel) চালু করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে রেকর্ড সংখ্যক ফলোয়ার হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এবার এক সপ্তাহের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে মোদীর ফলোয়ার সংখ্যা ছাড়াল ৫০ লক্ষ। যা এক মাইলস্টোন। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই সমর্থন পেয়ে সোমবার বিকালে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেই সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসেজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।


ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অতি সক্রিয়। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এসেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তাঁর সেই চ্যানেল এক সপ্তাহ পূর্ণ করল। এর মধ্যেই ওই চ্যানেলে নমো-র ফলোয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লক্ষের বেশি। যা সত্যিই নজিরবিহীন। এটা জনগণের সাফল্যেরই নজির বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাই সকল ফলোয়ারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসেজ করেছেন তিনি। মেসেজে তিনি লিখেছেন, “আমরা ৫০ লক্ষেরও বেশি সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছি, আমার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যাঁরা আমার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ! আপনাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ক্রমাগত সমর্থন পাওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু করেন। সেখানে তাঁর প্রথম পোস্ট করার এক মিনিটের মধ্যেই শতাধিক প্রতিক্রিয়া পড়ে। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের ফলোয়ার সংখ্যা ১ লক্ষ অতিক্রম করে যায়। যা মাইলফলক। এক সপ্তাহ পরেও সেই রেকর্ডের ধারা অব্যাহত।

 ইদানিং অধিকাংশ বলিউড নায়িকাই বিয়ের থিমে বেছে নিচ্ছেন প্যাস্টেল শেডের পোশাক। পরিণীতিও তার ব্যতিক্রম নন। আমাদের এখানেও এখন অনেক কনে তাঁদের বধূবরণের অনুষ্ঠানে বেছে নিচ্ছেন এমন প্যাস্টেল থিম। পরিণীতি, আলিয়াদের মত বিয়েতে বা কোনও অনুষ্ঠানে পরার জন্য শাড়ি-বলেহঙ্গা চান আপনি?

Parineeti Chopra: পরীর মতই সুন্দর লাগছিল প্রিয়াঙ্কার বোনকে, বিয়েতে এমন লেহঙ্গা পরতে চান? কোথায় কিনবেন কলকাতায়
কেমন লাগল পরিণীতি বিয়ের সাজ

রবিবার সকাল থেকেই উৎসুক চোখ বার বার নজর রাখছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ আম আদমি পার্টি তথা আপ সাংসদ রাঘব চড্ডার সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা যে ২৪ সেপ্টেম্বরই করলেন পরিণীতি। বন্ধু মনিশ মালহত্রার ডিজাইন করা আইভরি রঙের মনোক্রোম্যাটিক কুর্তা সেটে নজর কেড়েছিলেন বাগদানে। আর তাই সাতপাত ঘোরার সময় কেমন সাজ বেছে নিলেন নায়িকা সেই ছবি দেখার জন্য সকলেই উদগ্রীব ছিলেন। সঙ্গীত, মেহেন্দি থেকে হলদি- এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও ছবিই আনেননি পরিণীতি-রাঘব। অবশেষে সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের জীবনের সেই সুন্দর মুহূর্তের কিছু ছবি প্রকাশ্যে আনলেন। বিবাহ নীতির ক্ষেত্রে খানিকটা রণবীর-আলিয়ার দেখানো পথই বেছে নিয়েছেন এই বলি নায়িকাও। বিয়েদের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, জীবনের এই বিশেষ দিনেও কি মনিশ পোশাক বানাবেন তাঁর বন্ধুর জন্য?


শেষপর্যন্ত হলও তাই। বন্ধুর ডিজাই করা লেহঙ্গাতেই রাজস্থানের উদয়পুরে পিচোলা হ্রদের ধারে একে অপরের হাতে বেঁধে দিলেন হলুদ সুতো- শুরু হল পথচলা। আর পাঁচজন বলিউডের নায়িকার মতই ছিল পরিণীতির বিয়ের সাজ। সাদা-সোনালি কম্বিনেশনেই তৈরি হয়েছে পরিণীতির বিয়ের পোশাক, ঠিক যেমনটা ছিল আলিয়ার ক্ষেত্রেও। ইক্রু টোনের হ্যান্ড এমব্রয়ডারি করা পরিণীতির এই লেহঙ্গাটি বানাতে সময় লেগেছিল ২৫০০ ঘন্টা। লেহঙ্গা জুড়ে নকশি আর মেটালের সিক্যুইনের কাজ। যত্ন নিয়ে একটা একটা করে মুক্তো বসানো হয়েছে লেহঙ্গাতে। সোনার সুতো দিয়েই নকশা তোলা হয়েছে লেহঙ্গাতে। লেহঙ্গার ব্লাউজেও রয়েছে একই রকম সিক্যুইনের কাজ। মনিশের কালেকন থেকেই আনকাট জাম্বিয়ান-রুশিয়ান স্টোনের গয়না বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পরিণীতির ভেলে ছিল বিশেষ চমক। দেবনাগরী হরফে ‘বদলা’ আর্টওয়ার্কে লেখা রয়েছে রাঘবের নাম।



বিশ্বভারতীর বক্তব্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। এমন অবস্থায় তাই শান্তিনিকেতনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্য চাইছে বিশ্বভারতী।


বোলপুর: শান্তিনিকেতনের একটি রাস্তা পূর্ত দফতরের কাছ থেকে ফেরত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ওই রাস্তার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। এমন অবস্থায় তাই শান্তিনিকেতনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্য চাইছে বিশ্বভারতী।


মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লিখেছেন, তাঁরা ওই রাস্তাটিতে চার চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে চান। তাঁদের বক্তব্য, ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে, কম্পনে আশ্রমের ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সতর্কবার্তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বক্তব্য, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে সতর্ক করা হয়েছে এই রাস্তার উপর কম্পন বন্ধ না হলে, ভবনগুলি ভেঙে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের বক্তব্য গাড়িঘোড়ার শব্দে আশ্রম এলাকার শান্ত নিরিবিলি পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে।

ওই রাস্তার উপর বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উদাহরণ হিসেবে আনন্দ ও মৃণালিনী পাঠশালার কথাও লিখেছেন তিনি, যেগুলি ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে। এমন অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ির কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথাও চিঠিতে তুলে ধরেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ, যাতে শান্তিনিকেতনের ওই রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তাটিতে চার চাকার গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেও জানাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।

ইউজিসির দল আসার পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানার জন্যই এই তলব বলে রাজভবন সূত্রে খবর। একইসঙ্গে উপাচার্য কাজ করতে পারছেন না কি না সেটাও রিভিউ করে দেখবেন আচার্য, বলছে সূত্র।

JU VC: যাদবপুরের উপাচার্যকে রাজ্যপালের জরুরি তলব, বুদ্ধদেব সাউ রাজভবনে
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।

কলকাতা: একদিন আগেই ভার্চুয়ালি উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রবিবারের পর সোমবার একেবারে সশরীরে যাদবপুরের উপাচার্যকে রাজভবনে হাজিরার নির্দেশ রাজ্যপালের। এদিন বিকেলের পর রাজভবনে যান যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ইউজিসির দল আসার পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানার জন্যই এই তলব বলে রাজভবন সূত্রে খবর। একইসঙ্গে উপাচার্য কাজ করতে পারছেন কি না সেটাও রিভিউ করে দেখবেন আচার্য, বলছে সূত্র।


গত সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। আর তাতে অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি। যে র‌্যাগিংয়ের আবহে বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, গত সপ্তাহের ঘটনার পর তিনিও র‌্যাগিংয়ের শিকার বলেই মন্তব্য করেন উপাচার্য। বলেন, “আমিই তো র‌্যাগিংয়ের শিকার।” যদিও উপাচার্য দাবি করেছিলেন, শুধু পড়ুয়ারা নয়, এই ঘটনার পিছনে কোনও পাকা মাথা থাকতেও পারে।


এই আবহেই রবিবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যদের বার্তা দেন, কোনও কিছুতে কান না দিয়ে সকলে যেন নিজেদের কাজ করে যান। এদিন আবার আলাদা করে যাদবপুরের উপাচার্যকে ডাক।

রিপোর্টে কী কী কী ফাঁক আছে, সে কথা উল্লেখ করে এদিন ইডি অফিসারকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তাঁর অনেক প্রশ্নের উত্তরেই চুপ থাকতে দেখা যায় ইডি অফিসারকে।

Justice Amrita Sinha: 'আপনার কি কারও সাহায্য প্রয়োজন?' ED অফিসারের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের। হাইকোর্ট থেকে শুরু করে বিশেষ আদালত, সর্বত্রই প্রশ্ন উঠছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একটি রিপোর্ট দেখে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চাইলেন ইডি আধিকারিকদের আর কারও সাহায্য প্রয়োজন কি না। উত্তরে ইডি আধিকারিক জানান, হ্যাঁ প্রয়োজন। মূলত ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সের সাহায্য় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে ইডি।


লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সঙ্গে যাঁদের নাম জড়িত, তাঁদের সম্পত্তির হিসেব চেয়েছিলেন বিচারপতি। মুখবন্ধ খামে রিপোর্টও জমা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু সেই রিপোর্টে যা আছে, তা খতিয়ে দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। আজ সোমবার সকালেই তিনি ইডি ও সিবিআই দুই সংস্থার অফিসারদের তলব করেন।

বিকেলে শুনানিতে উপস্থিত হন ইডি আধিকারিক মিথিলেশ মিশ্র। রিপোর্টে কী কী কী ফাঁক আছে, সে কথা উল্লেখ করে অফিসারকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তাঁর অনেক প্রশ্নের উত্তরেই চুপ থাকতে দেখা যায় ইডি অফিসারকে। এরপর বিচারপতি জানতে চান, “তদন্তে কি আরও কারও সাহায্য প্রয়োজন?” উত্তরে ইডি অফিসার জানান, ‘হ্যাঁ প্রয়োজন।’


বিচারপতি আরও জানতে চান, কার সাহায্য দরকার। অফিসার বলেন, ‘আরও আইও (ইনভেস্টিগেটিং অফিসার) প্রয়োজন।’ বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে ইডি আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স উইং-এর সাহায্য চান তাঁরা। এ ব্যাপারে সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন বিচারপতি সিনহা। অন্যদিকে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকা সিবিআই অফিসারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি উত্তরে জানান, ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স উইং-এর সাহায্য প্রায়ই নিয়ে থাকে সিবিআই।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই, তবে তদন্তের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় আদালত। এদিন বিচারপতি বলেন, “এই গতিতে এগোতে থাকলে, তদন্ত শেষই হবে না কোনওদিন।” তিনি ইডি অফিসারের উদ্দেশে বলেছেন, এই বিরাট দুর্নীতির সঙ্গে যিনি যুক্ত, তিনি কখনই প্রমাণ আপনার অপেক্ষায় সাজিয়ে রেখে দেবেন না। আপনারা যতক্ষণে যাবেন, ততক্ষণে প্রমাণ লোপাট হয়ে যাবে।



ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা ফোন করতে শুরু করেছেন তিতাসের বাড়িতে। কলকাতা থেকেও ফোন আসছে, বলছিলেন তিতাসের কাকা। সকলেই চাইছেন এবার তাঁদের মণ্ডপে একবার আসুক তিতাস।

Titas Sadhu: সোনার মেয়ের 'সিক্রেট' ফাঁস কোচের, তিতাসের সাফল্যে গর্বে ভাসছে বাংলা
তিতাসের ঠাকুমা ও কাকা।

হুগলি: খেলা শুরুর পর থেকে টেলিভিশনে সারাক্ষণ চোখ রেখে বসেছিলেন তিতাস সাধুর ঠাকুমা। বাড়ির মেয়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে প্রতিপক্ষকে কেমন কাত করে দিচ্ছে, সে দৃশ্যে চোখ ছলছল করে উঠছিল তৃপ্তি সাধুর। একটাই আফশোস শেষের ওভারগুলো দেখতে পাননি। টিভি সেটের সামনে থেকে সরেছিলেন মাত্র। এরপরই হই হই বাড়িতে। ভারত জিতেছে। প্রথমবার এশিয়াডে মেয়েদের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে ভারত। আর তাতেই বাংলার মেয়ের হাত ধরে এল সোনা। এখন তিতাস একটি সোনার মেয়ের নাম। এশিয়ান গেমস ২০২৩-এ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে খেলছেন চুঁচুড়ার তিতাস সাধু। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে তিতাস চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। এক ওভার মেডেন। তাঁর এই পারফর্ম্যান্সেই সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয় শ্রীলঙ্কার। আর ভারত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সোনা জেতে।


ঠাকুমা তৃপ্তি সাধু বলেন, “খুবই ভাল লাগছে। তবে একটাই খারাপ লাগছে, শেষের দিকে খেলাটা দেখতে পারিনি। প্রথম থেকে খেলাটা দেখছিলাম। আমি তখন সবে উপরে গিয়েছি। তখনই হইহই। মেয়েটা আমাদের সবদিকেই ভাল। এত ভাল মেয়ে দেখা যায় না। ও আরও উঁচুতে উঠুক, আরও বড় হোক এটাই চাই। ও জিতবে আমাদের ভরসা ছিল। খুব অধ্যাবসায় ওর। এটাই ওকে এতটা সাফল্য এনে দিল।”

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা ফোন করতে শুরু করেছেন তিতাসের বাড়িতে। কলকাতা থেকেও ফোন আসছে, বলছিলেন তিতাসের কাকা। সকলেই চাইছেন এবার তাঁদের মণ্ডপে একবার আসুক তিতাস। কাকা রক্তিম সাধু বলেন, “একের পর এক অ্যাচিভমেন্ট। প্রথমে যখন দীপ্তি শর্মার বলে ১২ রান হয়ে গেল একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু দারুণ খেলল মেয়েটা। মনে হচ্ছে ওই যেন বেস্ট প্লেয়ার হয়ে যাচ্ছে। ওর কাছে আমার আশা ছিল। তবে এত ভাল পারফর্ম্যান্স। সকলে ওকে গোল্ডেন গার্ল বলছে, কাকা হিসাবে এর থেকে গর্বের আর কী বা হতে পারে। চুঁচুড়া শহর এখন তিতাসময় হয়ে গিয়েছে।”



সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে খবর নেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ইতিমধ্যে আর্টস এবং সায়েন্সের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সবে ভর্তি হয়েছে।

JU VC: হস্টেল ভাগাভাগি নিয়ে জট বহাল যাদবপুরে, ইউজিসির রিপোর্টেও অসন্তোষ-ছায়া
রাজভবনের বাইরে যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে গিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। এরপরই রিপোর্ট এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু জিনিস কার্যকর হয়নি এখানে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে বেরিয়ে এমনই জানালেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “ইউজিসি কিছু রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ৪-৫ সেপ্টেম্বর ওরা এসেছিল। তারা দেখে গিয়েছে কিছু কিছু জায়গায় আমাদের মেনটেইন করা হয়নি। তখনও তারা বলেছিল। আমি তো ২০ অগস্ট যোগ দিয়েছি। এখন কী হয়েছে তাহলে সেটা তদন্ত করতে হবে। যা যা বলবেন ইমপ্লিমেনটেড হয়নি আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করব।”


সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে খবর নেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ইতিমধ্যে আর্টস এবং সায়েন্সের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সবে ভর্তি হয়েছে। তাদের জন্য পুরোটা করা যায়নি। সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল পুরনো একটি ব্লক খালি করার জন্য। উপাচার্য বলেন, “২০০৯ থেকে এই ভাগাভাগির কথা ছিল। হয়নি। যতটা করা সম্ভব করছি। একটা সার্কুলার আমরা দিয়েছিলাম। সিনিয়রদের পাশের ব্লকে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ১৫ জন লিখিত অভিযোগ করে তারা সিনিয়রদের ভয় পাচ্ছে।”

তৃণমূল সূত্রে খবর আজই নির্মলবাবু রাজভবনের থেকে পাঠানো শপথগ্রহণের চিঠি হাতে পেয়েছেন। সেই চিঠি হাতে পাওয়ার পরই ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের নবনির্বাচিত প্রার্থী নির্মলবাবু যোগাযোগ করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তথা শাসক দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। গোটা বিষয়টি পরিষদীয় মন্ত্রীকে জানান নির্মলচন্দ্র।

Dhupguri: শনিবার ছিল শপথগ্রহণ, আর আজ সেই চিঠি প্রাপ্তি নির্মলের?
তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়।

কলকাতা: শপথ গ্রহণের কথা ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ, গত শনিবার। আর ধূপগুড়ির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সেই শপথ গ্রহণের চিঠি প্রাপ্তি হয়েছে আজ। অর্থাৎ সোমবার। যখন তাঁর হাতে বিধায়ক পদে শপথগ্রহণের চিঠি গিয়ে পৌঁছল, তার ৪৮ ঘণ্টা আগেই পেরিয়ে গিয়েছে শপথ গ্রহণের সময়। জানা যাচ্ছে, নির্মলচন্দ্রের শপথ গ্রহণের চিঠিটি লেখা হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর। তারপর রাজভবন থেকে সেটি পাঠানো হয় ২২ সেপ্টেম্বর। আর ঠিক তার পরের দিনই, অর্থাৎ ২৩ তারিখ ছিল শপথগ্রহণ। অথচ, তৃণমূল সূত্রে খবর আজই নির্মলবাবু রাজভবনের থেকে পাঠানো শপথগ্রহণের চিঠি হাতে পেয়েছেন।


সেই চিঠি হাতে পাওয়ার পরই ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের নবনির্বাচিত প্রার্থী নির্মলবাবু যোগাযোগ করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তথা শাসক দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। গোটা বিষয়টি পরিষদীয় মন্ত্রীকে জানান নির্মলচন্দ্র। এরপরে শোভনদেবের প্রতিক্রিয়া, “একজন নতুন বিধায়ক হয়েছেন। তিনি এলাকার উন্নয়ন করবেন। মানুষের কাজ করবেন, তা তো স্বাভাবিক। কিছু মানুষের শংসাপত্র তো দিতে পারবেন। কিন্তু রাজ্যপাল কেন এমন করছেন বুঝতে পারছি না। জানি না কেন এমন হচ্ছে।”

তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যপাল তো ডাক বিভাগ সম্পর্কে সবটাই জানেন। তাহলে কেন ২৩ তারিখ শপথ গ্রহণের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে ২২ তারিখ চিঠি পাঠানো হল? শেষ মুহূর্তে এই গোটা ব্যবস্থা কেন হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শাসক দলের একাংশ।

ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ। তাঁর সেই ট্রেন যাত্রার ভিডিয়ো ভাইরাল।

Rahul Gandhi: ট্রেনের জেনারেল বগিতে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সওয়ার রাহুল গান্ধী, দেখুন ভিডিয়ো
ট্রেনে সওয়ার রাহুল গান্ধী।

বিলাসপুর: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ দিয়ে শুরু। তারপর একাধিকবার একাধিক জায়গায় জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। কখনও ভোরবেলা সবজি মান্ডিতে গিয়ে বিক্রেতাদের কাছে সবজির অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছেন, কখনও মোটর মেকানিকের দোকানে বসে যন্ত্রপাতি হাতে নিয়ে গাড়ি সারাতে বসেছেন। আবার মোটরবাইকে লাদাখ পাড়ি দিয়ে সেখানকার মার্কেটে গিয়ে জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কথাও জানতে দেখা গিয়েছে রাজীব-তনয়কে। এবার একেবারে ট্রেনের (Train) জেনারেল বগিতে সওয়ার হলেন তিনি। শুধু ট্রেনে সওয়ারি হওয়া নয়, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, অটোগ্রাফ দিতেও দেখা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদকে।


দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাহুল গান্ধী বর্তমানে ছত্তীসগঢ়ে। এদিন ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ। একেবারে ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের জেনারেল বগিতে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসে যেতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে। তাঁর সেই ট্রেন যাত্রার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

 হাতে গোনা কয়েক মরসুমই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলছে লাল-হলুদ। প্রতি মরসুমে শুধু প্রত্যাশাই থাকে। পূরণ আর হয় না। নতুন মরসুম শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। এ বারও ড্র। কিছু ইতিবাচক দিক। তবে সমর্থকদের জন্য হতাশারই শুরু। এমন শুরু কোনও সমর্থকই চান না। বিশেষ করে প্রতিবেশি মোহনবাগান যখন জয় দিয়ে মরসুম শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে কি প্রাপ্তির কিছুই নেই?

ISL Season 10: মিথ ভাঙতে পারল না ইস্টবেঙ্গল, ড্রয়ে মরসুম শুরু লাল-হলুদের

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল কখনও আইএসএলের প্রথম ম্যাচ জেতে না। এ যেন মিথ হয়ে রয়েছে। হাতে গোনা কয়েক মরসুমই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলছে লাল-হলুদ। প্রতি মরসুমে শুধু প্রত্যাশাই থাকে। পূরণ আর হয় না। নতুন মরসুম শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। এ বারও ড্র। কিছু ইতিবাচক দিক। তবে সমর্থকদের জন্য হতাশারই শুরু। এমন শুরু কোনও সমর্থকই চান না। বিশেষ করে প্রতিবেশি মোহনবাগান যখন জয় দিয়ে মরসুম শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে কি প্রাপ্তির কিছুই নেই? ড্র ম্যাচেও কিছু প্রাপ্তি হয়। ইস্টবেঙ্গলেরও হল। ম্যাচের বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গি নিয়ে একটা আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। উপাচার্য নিজেও তা নিয়ে বলেছিলেন। এক ডেঙ্গি পজিটিভ ছাত্রের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি প্রশমিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে বলেই সূত্রের দাবি।

JU: যাদবপুরে ইউজিসির নির্দেশিকা পূরণে র‌্যাপিড অ্যাকশন সেল গঠনের নির্দেশ রাজ্যপালের
সোমবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উপাচার্য।

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সোমবারই রাজভবনে ডাকেন রাজ্যপাল। সন্ধ্যা নাগাদ রাজভবনে হাজির হন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। রাজভবন সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন। কিছুদিন আগেই ইউজিসি ঘুরে গিয়েছে যাদবপুরে। এরপর রিপোর্ট পাঠিয়েছে তারা। রাজভবন সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যপাল বোস উপাচার্যকে নির্দেশ দেন, ইউজিসির নির্দেশিকাগুলি সময়সীমার মধ্যে পূরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে।


সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির নির্দেশিকাগুলির উপর দ্রুত পদক্ষেপ নিতে একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন সেল গঠন করা হবে। তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফে। উপাচার্য তা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। আচার্য তিনদিনে একবার আপডেট নেবেন এই সেল সংক্রান্ত। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ইউজিসি ১৫ দিন সময় দিয়েছে। তা মেনে চলার পাশাপাশি রিপোর্ট দিতে বলেছেন রাজ্যপাল।

ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গি নিয়ে একটা আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। উপাচার্য নিজেও তা নিয়ে বলেছিলেন। এক ডেঙ্গি পজিটিভ ছাত্রের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি প্রশমিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে বলেই সূত্রের দাবি। প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস বা মিলিয়ে মিশিয়ে ক্লাস করার দিকেও ঝোঁকা যেতে পারে। রাজ্যপাল বারবারই এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে উপাচার্যকে নির্দেশ দেন।


গত কয়েকদিন আগে আচমকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের নারায়ণগঞ্জের মুড়িগঙ্গা নদীর নির্মীয়মাণ বাঁধে ভয়াবহ ধস নামে। 


প্রায় ১০০মিটার মাটির বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত ওই এলাকার কয়েক'শ বাসিন্দা। এরমধ্যে ধস এলাকায় বাঁধ মেরামতি শুরু করেছে সেচ দপ্তর। মাটি, বালির বস্তা ও বাঁশ দিয়ে চলছে সেই মেরমতির কাজ। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা এই কাজে খুশী নন। এই মেরামতির পরেও আবার ধসের আশঙ্কা করছে এলাকার মানুষ। পাকা ও স্থায়ী বাঁধের দাবী তুলেছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বাঁধ তৈরীর কাজ শেষ হয় দুই মাস আগে। দুই মাস যেতে না যেতেই তারমধ্যে ধস নামল বাঁধে। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপতকালীন ব্যবস্থা হিসেবে এই বাঁধ মেরামতি চলছে। আগামী দিনে স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তবে যে মানের মেরামতির কাজ চলছে তাতে করে খুশি নন এলাকায় মানুষ। স্থানীয়রা মনে করছেন এই ভাবে বাঁধ মেরামত করলে সমানেই বড় পূর্ণিমার কোটাল রয়েছে আবার ও প্লাবিত হতে হবে আমাদের। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ওই এলাকায় চড়া স্রোত থাকার কারণে নদীতে প্রায় দশ হাজার বাঁশের খাঁচা ফেলে প্রথম পর্যায় এসে এর পরে একটু পলি পড়লে কংক্রিটের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।




 জীবনে অনেক মেলার নাম শুনেছেন। কিন্তুু ঋনমেলা শুনেছেন কখনও। না শুনে থাকলেও এটাই সত্যি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘিতে আয়োজিত হয়েছে এই ঋনমেলা। যেখান থেকে দেওয়া হয়েছে ঋন।

এই ঋনমেলা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ১০ কোটি টাকার ঋনের অনুমতি পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার ২৫ টি ব্লক থেকে মানুষজন সেখানে আসেন‌। তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য আয়োজিত হয়েছিল এই ঋনমেলা।

এই ঋনমেলায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। অতিরিক্ত জেলাশাসক অদিতি চৌধুরী, মহাকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষ, রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মেয়াদি ঋন দেওয়া হয়েছে এই ঋন মেলা থেকে।

এই ঋন মেলা থেকে ঐক্যশ্রী প্রকল্পে মেধাবীদের জন্য চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল।রাজ্যের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর ও সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের ব্যবস্থাপনায় এই ঋনমেলার আয়োজন করা হয়েছিল।

এই ঋনমেলা নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান,নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে মমতা ব্যানার্জি অনেক আগে থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। সেজন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু ভাইদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল