February 2022
আলিপুরদুয়ারে বনদপ্তর উদ্ধার করল একটি পূর্ণবয়স্ক হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ কালচিনি ব্লকের ডিমা চা বাগানে আচমকা ভাল্লুকটিকে দেখে বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিমাতি রেঞ্জ ও বনদপ্তরের ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের টিম জাল ও ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।পরে দুপুর ১ টা নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে ভাল্লুকটিকে কাবু করা হয়। এরপর বন্যপ্রাণী চিকিত্‍সক দিয়ে তিন বছর বয়সী স্ত্রী ভাল্লুকটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রাণীটিকে ফের বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাওড়ার তুলোর গুদামে বিধ্বংসী আগুন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক। আগুন নেভাতে ক্রেন দিয়ে ভাঙ্গা হচ্ছে দেওয়াল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন।


ক্রমেই ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর দেশের পরমাণু অস্ত্র-বাহিনীকে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলেছেন। এই অবস্থায় রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আপত্‍কালীন বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা।আপত্‍কালীন বৈঠকে ৪০ বছর পর ফের বসছে। এই পরিস্থিতিতে একটি নতুন তথ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র The Times - এ দাবি, রাশিয়া আপাতত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্রতে ব্যস্ত। ওই রিপোর্টে দাবি, ৪০০ রাশিয়ান জঙ্গি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। তারা ইতিমধ্যেই হত্যার ছক কষেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগ ইউক্রেনের শহর এখন রাশিয়ার কব্জায়। যুদ্ধ জাহাজ থেকে ক্ষেপনাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে ইউক্রেনের বড় শহরগুলির উপর।
এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার সামরিক হামলায় ইউক্রেনের ৩৫২ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নিহতদের মধ্যে ১৪ শিশুও রয়েছে। রবিবারের হিসেব অনুসারে আহতের সংখ্যা ছুঁয়েছে প্রায় ১৭০০ ।

অন্যদিকে, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয়দের কীভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বের করে আনা যায়, পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, সে সব নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাঠানো হবে যাতে তাঁরা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া তদারকি করতে পারেন।

রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে এই আবহে বাংলার বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা হচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আজ আকাশ মেঘলা থাকবে সেখানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আজ কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে থাকবে।বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাংলার বহু জেলায় জলীয়বাষ্প ঢুকছে।এর জেরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও ঠাণ্ডা ফেরার কোনো আশা নেই।যত দিন এগোবে তাপমাত্রার পারদ চড়বে।


আজ দার্জিলিং, কালিম্পং বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগণা ,দক্ষিণ ২৪ পরগণা ,২ মেদিনীপুর ,কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ,পুরুলিয়া ,ঝাড়গ্রাম মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে। আজ থেকে বাড়বে উত্তরবঙ্গের হিমালয়ের সংলগ্ন জেলাগুলির তাপমাত্রা। আবার অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কেটে গেলে বাড়বে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা। তবে শীতের বিদায় হয়ে গেলেও আগামী ২৪ ঘন্টার পর থেকে চারদিন খুব মনোরম আবহাওয়া থাকবে বাংলা জুড়ে। আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রা সেরকম কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।





অবশেষে সিটকে সাহায্যের আশ্বাস আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Death) পরিবারের। আগামিকাল অর্থাত্‍ সোমবার সকালে ছাত্রনেতার দেহ তোলা হবে কবর থেকে। পাঠানো হবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য।

আনিস কাণ্ডের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসের দেহ তুলতে গিয়ে বাধা পেতে হয় সিটকে। আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, 'আমরা তো আদালতের নির্দেশ মেনে বলেছিলাম দেহ তুলতে দেব। একটু সময় চেয়েছিলাম। সেটা সিট দিতে চাইছে না কেন?' ওইদিনই আনিসের বাবা সালাম খান বলেছিলেন, 'সোমবার দিনের আলোয় গ্রামবাসী, বিচারক এবং আইনজীবীর উপস্থিতিতে মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হোক ময়নাতদন্তের জন্য।' তবে শনিবার সিটের তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। রবিবার সিটের তরফে নোটিস দেওয়া হল খান পরিবারে। সোমবার সকাল আটটায় তোলা হবে আনিসের দেহ।

আনিসের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। এই খবর পেয়েই ক্ষেপে যায় আনিসের পরিবার-সহ এলাকাবাসীরা। তাঁরা দাবি করে, পুলিশ বিষয়টাকে অন্যপথে ঘোরাতে চাইছে। ফলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে। তবে সিটের তত্বাবধানে ময়নাতদন্তে সায় ছিল না তাঁদের। এরপরই বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট ময়নাতদন্তের অনুমতি দেয় সিটকে। সিটও প্রস্তুতি শুরু করে। সেই অনুযায়ী শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ আনিসের বাড়িতে যায় সিটের সদস্যরা এবং তার আনিসের বাবা সালাম খানকে হাই কোর্টের নির্দেশের ব্যাপারে জানান। এরপর ফের সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিট আনিসের বাড়িতে যায় এবং ময়নাতদন্তের জন্য অনুমতির কাগজে সই করান। তখন সালাম দু'দিন সময় চেয়েছিলেন। এরপর শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ বিভিন্ন থানার ওসি পুলিশ সদস্যরা এবং আমতা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও মাসুদুর রহমান ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে হাজির হন। সেখানে ঝামেলা শুরু হয়। ফলে দেহ তোলা যায়নি। অবশেষে আগামিকাল তোলা হবে দেহ।

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে। ওইদিনই গভীর রাতে হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনজন। পরনে ছিল খাঁকি উর্দি। ছাত্রনেতার পরিবারের দাবি, তারা নিজেদের আমতা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। এদিকে পুলিশের তরফে রবিবার সকাল পর্যন্ত বারবার দাবি করা হয়েছে, পুলিশের কোনও টিম শুক্রবার রাতে যায়নি আনিসের বাড়িতে। পরবর্তীতে পুলিশের তরফে বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষ বলে দাবি করা হয়। সেই জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশেরই দুই কর্মীকে।

অবশেষে সিটকে সাহায্যের আশ্বাস আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Death) পরিবারের।
আগামিকাল অর্থাত্‍ সোমবার সকালে ছাত্রনেতার দেহ তোলা হবে কবর থেকে।
পাঠানো হবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য।
ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে ইউক্রেনে (Russia-Ukraine Conflict)। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে চলন্ত শ্মশান (Russian mobile crematorium)। নিহত সেনাদের ট্রাকে তুলে চুল্লিতে পুড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়া (Russia-Ukraine war)। রুশ বাহিনীর কতজন যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছে তার কোনও প্রমাণ না রাখার কৌশল পুতিন সরকারের।চলন্ত ট্রাকের মধ্যে যেমন রয়েছে যুদ্ধাস্ত্র, তেমনই তৈরি করে নেওয়া হয়েছে চুল্লি। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে এমন ট্রাক। ক্ষতবিক্ষত রুশ সেনার নিথর দেহ দেখলেই ট্রাকে তুলে চুল্লিতে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাঁজোয়া গাড়ি ছাড়াও এমন চলন্ত শ্মশান নিয়ে ইউক্রেনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে পুতিন বাহিনী। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, চলমান শ্মশানের নানা ছবি ফুটে উঠেছে নেট মাধ্যমে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর গোড়া থেকেই নাকি সাঁজোয়া গাড়ির আড়ালে এমন চুল্লি সাজানো ট্রাক নেমেছিল ইউক্রেনের রাস্তায়। দাবি এমনও যে, রুশ সেনা শুধু নয় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষজনের দেহও এই ট্রাকে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। কতটা নির্মম আক্রমণ হানছে রাশিয়া তা বিশ্বের কাছে গোপন রাখারই প্রচেষ্টা করছে পুতিন সরকার।গতকাল থেকে কিয়েভ ও খারকিভের ওপর ভয়ঙ্কর আঘাত হেনেছে রাশিয়া। কিয়েভে পর পর বিস্ফোরণ হচ্ছে, তেল ট্যাঙ্কারগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। খারকিভে গ্যাসের পাইপলাইন ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিয়েভের রাস্তায় এখন মুখোমুখি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হচ্ছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, উঁচু বিল্ডিং। রাস্তায় রাস্তায় এখন শ্মশানের স্তব্ধতা। পোড়া ছাই আর কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ। শনিবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ কিয়েভে ঢুকে পড়ে রুশ বাহিনী। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে হামলা। প্রাণ দিয়েও দেশকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লড়ছেন ইউক্রেনের জওয়ানরা। আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, রাজধানীতে ঢোকার একটি নাকা পয়েন্ট ভ্যাসিলকিভে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশের ছদ্মবেশে পৌঁছে গিয়েছিল রাশিয়ার সেনা। সেখানে কর্তব্যরত ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় হয়। রাশিয়ার সেনার হাতে প্রাণ হারান নাকার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের সেনা জওয়ানরা। এখন সেই পথ দিয়েই ঢুকছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ-ট্য়াঙ্কে ভরে গেছে কিয়েভের রাজপথ। পাল্টা প্রতিরোধের পাঁচিল গড়েছেন ইউক্রেনের জওয়ানরাও।
তৃণমূলের সন্ত্রাস ও রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি। ভোর ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত পালিত হবে বনধ। অন্যদিকে পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনারকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আবারও পথ দুর্ঘটনার কারণে শিরোনামে তমলুক (Tamluk Accident)। তমলুকে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় (Tamluk Accident) দু'জনের মৃত্যু হল রবিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, ধারিন্দা সংলগ্ন নিমতৌড়ি রাস্তায় ১১.৫মিনিট নাগাদ ভোটের দায়িত্বে থাকা একটি পুলিশ গাড়ির ধাক্কায় তিন বাইক আরোহী জখম হন।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাইক চালক সাগর সিংহের মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী ও ৩ বছরের কন্যা গুরুতর জখম অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

একই দিনে তমলুকের রাধাবল্লভপুরে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক বাইক আরোহীর (Tamluk Accident)।

তমলুক থানার অন্তর্গত শ্রীরামপুর এলাকায় দিন দুয়েক আগেই পথ দুর্ঘটনার শিকার হয় শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় ওই ছাত্র। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। শ্রীরামপুর মেচেদা রাজ্য সড়কের ওপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মাছের গাড়ি ও ট্রাকের রেষারেষিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্কুলের পথে সাইকেল নিয়ে যাওয়া দুই ছাত্র। দুর্ঘটনা স্থলেই মারা যায় নবম শ্রেণির ছাত্র রোহিত। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছে ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে মাছের গাড়ি ও ট্রাক রেষারেষি সময় মাছের গাড়িতে ধাক্কা মারে সাইকেলে। সাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে যায় রোহিত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় মাছের গাড়ি। কিন্তু ট্রাকটিকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা।

বারবার কী কারণে একই এলাকায় দুর্ঘটনা হয়েই চলেছে,তা খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই অশান্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সুপ্রিমোর উপর তোপ দাগেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সাংসদের উপর আক্রমণ হতেই তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'এখন কোথায় যেভাবে ভোটগ্রহণ চলছে তাতে গণতন্ত্র নয় মমতা তন্ত্র চলছে।'সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের থানে থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত নাইজেরিয়ার নাগরিক ও তাঁর সঙ্গী ওষুধ সংস্থার কর্মী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, লন্ডনের একটি ব্যাংকের ভুয়ো ওয়েবসাইট এবং মেল আইডি তৈরি করা হয়। তার মাধ্যমে প্রতারণা করেই একজনের কাছ থেকে ৯৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সাইবার ক্রাইম নিয়ে এর আগেও মানুষকে সতর্ক করেছে কলকাতা পুলিশ। অপরাধের ট্রেন্ড পালটাচ্ছে। ডার্কওয়েব (Dark Web) ও সাইবার জালিয়াতি সংযুক্ত হচ্ছে অপরাধ জগতে। এর আগে ই-ওয়ালেট নিয়ে সতর্ক করেছিল পুলিশ। এটিএম কার্ড জালিয়াতিতে (ATM fraud) টাকা লেনদেনের মূল হাতিয়ার ই-ওয়ালেট। তদন্ত করে গোয়েন্দারা দেখেন, জামতাড়ার জালিয়াতরা এটিএম কার্ড জালিয়াতির সময় মূলত ব্যবহার করে ই-ওয়ালেট। এটিএম কার্ডের তথ্য জেনে অথবা অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে কোনও গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার পর তা প্রথমে ই-ওয়ালেটেই পাঠানো হয়। এরপর ভুয়ো নামে তৈরি নিজেদের কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তারা পাঠায় ওই জালিয়াতির টাকা।

তেমন কিছু নাইজেরিয়ার বাসিন্দা ও তার মহিলা সঙ্গীর ক্ষেত্রে ঘটেছে কিনা। কীভাবে তাঁরা এই জালিয়াতি চক্র চালাত? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই অভিযুক্ত আরও কোনও প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

ওষুধ সংস্থার কর্মী সেজে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত নাইজেরিয়ার বাসিন্দা। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিল এক ভারতীয় মহিলা।
দু'জনে মিলে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কলকাতার সাইবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই অভিযুক্ত।

বিজেপি প্রার্থী সীমা বিশ্বাসের ঠাকুর পল্লী বনবিহারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূল ভোট লুট করছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। আর এই অভিযোগ তুলে কেঁদে ফেলেন তিনি। বুথের বাইরে বসে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

পুরভোট (WB Municipal Elections 2022) শুরু হতে না হতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার (North 24 Parganas) একাধিক জায়গা থেকেই অশান্তির (Unrest Incident) ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে।উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বাদ যায়নি বনগাঁও।


বনগাঁ পৌরসভার (Bangaon Municipality) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপল্লি বুথে নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর নির্বাচনী এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্দল প্রর্থীকে (Independent Candidate) বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়া নির্দল প্রার্থীর দুই মেয়ের ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই থানার দ্বারস্থ হন তিনি। পাশাপাশি এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সীমা বিশ্বাসের ঠাকুর পল্লী বনবিহারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূল ভোট লুট করছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। আর এই অভিযোগ তুলে কেঁদে ফেলেন তিনি। বুথের বাইরে বসে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, "এভাবে কখনও ভোট হয়? একজনের ভোট আর একজন দিয়ে দিচ্ছে। আমি কখনও এইরকম ভোট দেখিনি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সবাই দু-তিন বার করে ভোট দিচ্ছে।" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বন্দনা দাস। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের উপরে হামলা চালিয়েছে এবং নাটক করছে।


ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক কেন্দ্র থেকে উত্তেজনার ঘটনা সামনে আসছে। বারাসত পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেই ছবি করতে গেলে সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডেই সিপিএম সমর্থক ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যেও হাতাহাতি হয়েছে। তার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সেখানেও সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সকাল থেকেই বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারাসতে। এছাড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩১ নম্বর বুথে তৃণমূল বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএম প্রার্থীর। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। পাল্টা তাদের অভিযোগ, সিপিআইএম এলাকায় বুথ জাম করছে। সাধারণ ভোটারদেরকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।


এই অশান্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সুপ্রিমোর উপর তোপ দাগেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সাংসদের উপর আক্রমণ হতেই তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'এখন কোথায় যেভাবে ভোটগ্রহণ চলছে তাতে গণতন্ত্র নয় মমতা তন্ত্র চলছে।'

ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ (Kharkiv) দখলের জন্য রাস্তায় নামেছে রুশ সেনা। যদিও জায়গা ছাড়তে রাজি নয় ইউক্রেনও। রাস্তাতেও চলছে অবিরাম গুলিবর্ষণ। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধে দুর্দশাগ্রস্থ‌ সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খুলে দিল ইউক্রেনের ইসকন (ISKCON Temple) কর্তৃপক্ষ।ইউক্রেনে ইসকনের ৫৪টিরও বেশি মন্দির রয়েছে। সবকটি মন্দিরই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ও ঘরছাড়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস শনিবার জানিয়েছেন, ইসকনের ভক্তরা মন্দিরগুলিতে যুদ্ধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সেবা করছে। মন্দিরগুলি এখনও নিরাপদ রয়েছে। দুর্দশাগ্রস্তদের সেবা করার জন্য ইসকন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে মন্দিরের দরজা সকলের জন্য খোলা। তিনি আরও জানিয়েছেন, জীবনের এই কঠিন সময়ে ইতিবাচক থেকে শুধু নিজের নয়, অন্যদের জীবন রক্ষা করতেও আমাদের ভক্তরা এগিয়ে যাচ্ছেন। অতীতেও চেচনিয়া যুদ্ধের সময় ইসকনের ভক্তরা দুর্দশাগ্রস্তদের সেবা করেছিলেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষ যারা ফ্ল্যাটে আটকে ছিলেন। তখন তাঁদের দেখভাল করার কেউ ছিল না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, ইসকন ভক্তরা মানুষের কাছে পৌঁছেছে। এমনকি যুদ্ধের সময় সেবা করতে গিয়ে অনেক ভক্তের মৃত্যুও হয়েছে। এই কঠিন সময়ে ওইভাবেই ভক্তরা ইউক্রেনের যুদ্ধ অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষের সেবায় কাজ করছেন। এদিকে, কিয়েভের হরে কৃষ্ণ মন্দিরের ভক্ত রাজু গোপাল দাস শহরের পরিস্থিতি নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে তিনি বলেছেন, তিনি বলেন, '‌ভক্তদের মধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সবাই ভীত ও বিরক্ত। আমরা ভক্তদের জন্য মন্দিরে থাকার ব্যবস্থা করেছি। 
তৃণমূলের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে বহিরাগতের তাণ্ডব। কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার যুবক। ঘটনা কোচবিহার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের। তৃণমূল প্রার্থীর দাবী, এই পোলিং এজেন্ট তাদের নয়, প্রশাসন সঠিক কাজ করেছে।

তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে বুথ থেকে বিজেপি এজেন্টকে বের করে দেন ওই যুবক বলে অভিযোগ।১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী টুম্পা দে'র অভিযোগ, সকাল থেকেই ওই যুবক তাণ্ড‌ব চালাচ্ছে, তাদেের এজেন্টকে বার বার বুথ থেকে বের করে দিচ্ছে। ছাপ্পা দেওয়ার জন্যই যুবক ভেতরে বসে ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি আকণ্ঠ মধ্যপান করেছিল ওই যুবক, দাবী বিজেপি প্রার্থীর।


বিজেপি প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রথমে ওই যুবককে ওখানেই বসিয়ে রেখেছিল। পরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে তাকে গ্রেফতার করে।


অন্যদিকে এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর দাবী, এই যুবক তাদের পোলিং এজেন্ট নয়। এমন কোনও লোকের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সঠিক পদক্ষেপ করেছে। প্রাথী বলেন, 'আমি শান্তির প্রতীক, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই করতে দিতে হবে।'

রাশিয়া বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তার লক্ষ্য ইউক্রেন দখল করা নয়।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI1947, যা ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে গিয়েছিল, ইউক্রেনের কিয়েভে NOTAM (এয়ার মিশনের নোটিশ) এর কারণে দিল্লীতে ফিরে আসছে।একই সঙ্গে রাশিয়ার হামলা নিয়ে ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ এটাকে অহেতুক আক্রমণ বলেছেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে এটি অগণিত জীবনকে বিপদে ফেলবে। তিনি বলেন, 'ইউক্রেনে রাশিয়ার বেপরোয়া ও বিনা উসকানিতে হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের অনেক চেষ্টা ও সতর্কতা সত্ত্বেও রাশিয়া আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়েছে যা ঠিক নয়।'


ইউক্রেনের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে রাশিয়ার হামলায় দেশটির নৌবাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলায় কিয়েভ ও খারকিভে ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড পোস্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এসব হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


সূত্র জানায়, রাশিয়ার হামলার পর সতর্কতা হিসেবে ইউক্রেন সব বেসামরিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।


ইউক্রেনের আধিকারিকরা বলছেন, রাশিয়া কিয়েভের বেশ কয়েকটি স্থানকে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেন আত্মরক্ষা করবে এবং জিতবে।


রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণার সাথে সাথে ইউক্রেনের ১১টি শহরে একযোগে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।


ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার খবর আসতেই অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়ে যায়। অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছুঁয়েছে।


রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনা অবশেষে বৃহস্পতিবার যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ফেলে ফিরে যাওয়া উচিত্‍। এই বক্তব্যের পরপরই ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ও রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। খবর অনুযায়ী, ক্রমাটোস্কে দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। ক্রিমিয়া হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করছে রুশ সেনারা।


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এই যুদ্ধ এড়ানো যাবে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যেসব দেশ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে তাদেরও এর মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। এমন ফলাফল ইতিহাসে কখনওই ঘটেনি। তিনি বলেন, এই বিরোধ আমাদের জন্য জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। ইউক্রেন নব্য-নাত্‍সিদের সমর্থন করছে, তাই আমরা এটি আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 করোনার ভ্রূকুটি কাটিয়ে উঠে ফের স্কুল কলেজ খুলে গেছে বাংলায়। বড়রাই শুধু নয়, বহুদিন পর স্কুলে যাচ্ছে ছোটরাও। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক সব ক্লাস আবার আগের মতো শুরু হয়েছে অফলাইনে। এই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে মঙ্গলবার।

মঙ্গলবার বিকেলে নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। করোনার প্রকোপ কমলেও তা এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এবছরের বোর্ডের পরীক্ষা অফলাইন না অনলাইন কীভাবে হবে তা এখনও ঘোষণা করেনি রাজ্য। এখন দেখার মঙ্গলবারের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়। রাজ্য সরকারের তরফে এই দুই পরীক্ষা নিয়ে কিছু ঘোষণা করা হয় কিনা। যদিও শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। অর্থাত্‍ স্কুলে বসেই হবে পরীক্ষা।




স্বামীর থেকে দামি ফোন নিয়ে রং মিস্ত্রির সাথে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী।ঘটনাটি ঘটেছে চঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালিতলায়।

জানা গিয়েছে, চঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালিতলার বাসিন্দা নিতাই দে। তার সাথে স্ত্রী সুমীর সঙ্গে চোদ্দ বছর আগে বিবাহ হয়। নিতাই ও সুমীর একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ে মৌসুমীর বয়স পাঁচ আর ছেলে শুভমের বয়স বারো।বিয়ের প্রথম-প্রথম ভালোই কাটছিল তাদের।

কিন্তু বছর দুই আগে বাড়ির সামনে একটি ওয়েল্ডিং এর দোকানে কাজ করত বাপি বড়াল নামে এক যুবক। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমীর। এবার তাঁদের প্রেমের কথা জানাজানি হতেই অশান্তি শুরু হয় বাড়িতে। এরপর কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর সুমী স্বামীর কাছে বায়না করে ফোন কিনে দিতে হবে। কিন্তু মোবাইল কিনে দেওয়ার পরই দেখা যায় বেশির ভাগ সময় ফোনে কথা বলছে। হঠাত্‍ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসের দিন মেয়েকে পড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বের হন তিনি এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।







  নাম এসেছিল লটারিতে। তবে ভর্তি হতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণিতে। যদিও হার মানতে নারাজ বাবা মা। অবশেষে দ্বারস্থ হলেন বর্ধমান আদালতের। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাবেন, বললেন খান রেখা পূর্বাশা পারভিনের পরিবার। ২০২০ সালে ভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও আর্থিক অনুদান দিতে না পারায় মেয়েকে ভর্তি করতে পারেননি বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে।

এই নিয়ে ছাত্রীর পরিবার দ্বারস্থ হন প্রশাসনের। দায়ের হল এফআইয়র। কেস চলতে চলতে কেটে গেল প্রায় দুটো বছর। তবে এখনও ভর্তি হতে পারল না খান রেখা পূর্বাশা পারভিন।

পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক প্রথমে ভর্তি করার কথা জানালেও পরে তিনি নিজেই ফোন করে বলেন ভর্তি করা যাবে না তাঁদের মেয়েকে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভর্তির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা আসেননি ভর্তির জন্য। সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে ভর্তি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান বাবা-মা। শেষমেষ তাঁরা দ্বারস্থ হলেন আদালতের। হাইকোর্ট এমনকি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন বলে জানান অসহায় বাবা জাহিরউদ্দিন খান রেখা।

অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক বলেন, "এ সব অভিযোগ চক্রান্ত। আর ডোনেশন চাওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এটা হতেই পারে না। ২৪০ টাকা দিলে স্কুলে ভর্তি করা যায়, সেখানে এক লাখ টাকা অসম্ভব। আর অনেকেই স্কুলের উন্নতির জন্য টাকা দেন সেটা আলাদা বিষয়। ওই পরিবার যদি হাইকোর্ট যায় তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন। এই পথে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না বলে সাফ জানান তিনি।" স্কুলে ভর্তি না হতে পেরে আপাতত বাড়িতেই পড়াশোনা করছে খান রেখা পূর্বাশা পারভিন। আর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় বাবা মা। তবে কবে স্কুলের মুখ দেখবে ওই পড়ুয়া তা তো সময়ই বলবে!

 

ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তাঁর খুনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশ সুপারের কথায় উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে বাগনান থানায় পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তা নিয়ে কোর্ট থেকে একটি সমনও জারি করা হয় বলে জানা যায়। পকসো আইনে মূলত তখনই মামলা দায়ের করা হয় যখন কোন ব্যক্তি কোন শিশুর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত থাকেন। তাহলে কি প্রতিবাদী মুখ আনিস খান এই ধরনের কোন ঘৃণিত কাজে জড়িত ছিলেন তাঁর অতীতে?

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার সৌম্য রায়। আনিস খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবার পুলিশি তদন্তের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছে। সে বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবদিকেই তদন্ত করা হবে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং সত্য উদঘাটন করা হবে। পরিবারের তরফ থেকে যা যা অভিযোগ এখনও পর্যন্ত উঠে এসেছে, তাঁর ভিত্তিতেই পরবর্তী তদন্ত এগোবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নের বৈঠকে আনিস হত্যার তদন্তে একটি বিশেষ সিট গঠনের ঘোষণা করেছেন। এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে তদন্তকারী দল গঠিত হবে সেখানে কারা থাকবেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো রকম নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও আনিসের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে এসে পৌঁছয় নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনার সব দিক গুলি ধরে তদন্ত করা হবে বলে জানালেন তিনি।

 

আরও এক মহামারী অপেক্ষা করছে! জানালেন বিল গেটস

আনফোল্ড বাংলা ডেস্ক: প্রায় আড়াই বছর পরে কোভিড ১৯ মহামারী অবশেষে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ভবিষ্যতে আরো একটি মহামারী সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।


গেটস আরও বলেন, পরবর্তী মহামারীটি করোনভাইরাস থেকে আসবে না। এটি একটি ভিন্ন ধরণের ভ্যারিয়েন্ট থেকে সংক্রামিত হবে।

গেটস উল্লেখ করেছেন কোভিড -১৯-এর প্রকোপ টিকার মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। গেটসই, ডিসেম্বরে ওমিক্রন তরঙ্গ সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছিলেন। এবার বলেছেন, বিশ্ব "আরেকটি" মহামারীর সম্মুখীন হতে চলেছে। যেটি এই সময় এটি একটি ভিন্ন "প্যাথোজেন" হবে। গেটস আমেরিকান টিভি নিউজ চ্যানেল সিএনবিসিতে বলেন, "গুরুতর রোগের ঝুঁকি, যা প্রাথমিকভাবে বয়স্ক হওয়া এবং স্থূলতা বা ডায়াবেটিস হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত,। পরবর্তী মহামারীর জন্য তৈরি হওয়ার খরচ অবশ্য এত বেশি নয়। এটা বিশ্ব উষ্ণায়নের মত নয়। হ্যাঁ, যদি আমরা দ্রুত সচেতন হই, তাহলে আমরা তাড়াতাড়ি ধরতে পারব"।

তিনি আরও বলেছিলেন, 'হু'-এর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২২ সালের মাঝামাঝি বিশ্বব্যাপী ৭০% টিকা দেওয়ার লক্ষ্য। তবে এটা "খুব দেরি" হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তা সত্ত্বেও, গেটস কোভিড-১৯ মহামারীর তীব্রতা হ্রাসের বিষয়ে আশাবাদী। বর্তমানে, বিশ্বের প্রায় ৬১% লোকের অন্তত একটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।

 


কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে হেলমেট বিহীন মদ্যপ 3 বাইক আরোহীর 'দাদাগিরি' । গ্রেফতার 3 অভিযুক্ত । অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি তারা তৃণমূল সমর্থক । অভিযোগ, কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছে বাইক ছাড়ার জন্য । দু'পক্ষের চিত্‍কার চেঁচামেচিতে গ্রামের রাস্তায় লোকজনও জমে যায় (Civic Volunteer assaulted)।

মালদা, 21 ফেব্রুয়ারি : মদ্যপ অবস্থায় হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন 3 বাইক আরোহী । ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের গাড়ি থামাতে বলেন । এরপরেই বিপত্তি শুরু । তিন বাইক আরোহীর দাবি, তাঁরা তৃণমূলের কর্মী । সিভিক ভলান্টিয়ার তারপরও তাঁদের কাছে বাইক ছাড়ার জন্য টাকা দাবি করেছেন । কয়েকজনকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ইউনিফর্মের কলার ধরে ধস্তাধস্তিও করতে দেখা যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ (Malda Police Arrested 3 Accused) । অবশেষে 3 বাইক আরোহীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ।

প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর শহিদ মোড়ে ডিউটি করছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার । সেইসময় হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে সতর্ক করছিলেন । সেই রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে আসছিলেন মাসুদ আলম, মহম্মদ আলি ও নাজিমুল নামে তিন যুবক । তাঁদের 3 জনেরই মাথায় হেলমেট ছিল না । তা দেখে তাঁদের বাইক আটকান রাকেশ পাশওয়ান নামে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার । এরপরেই শুরু হয় বচসা ও ধস্তাধস্তি ।



তিন বাইক আরোহীর অভিযোগ, সেই সময়ে কোনও পুলিশ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না । তা সত্ত্বেও সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের বাইক আটকায় । এমনকি বাইক ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে দু'হাজার টাকা দাবিও করেছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার । টাকা না দেওয়ায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের উপর চড়াও হন ।

আলাউদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "বারদুয়ারি থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর আসছিলাম । শহিদ মোড়ে দেখি, প্রচুর মানুষের ভিড় । সবাই বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ার বাইক ছাড়ার জন্য টাকা নিচ্ছে । সেখানে কোনও পুলিশ অফিসারও ছিল না । অফিসার ছাড়া সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও গাড়ি ধরতে পারে না । সিভিক ভলান্টিয়ারকে কেউ ধাক্কাধাক্কি করেনি । তবে এখানে পুলিশ দিনে 50টি গাড়ি ধরে । তার মধ্যে মাত্র পাঁচটির চালান কাটে । বাকি গাড়িগুলি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।"




সিভিক বানিয়েছে মমতা সরকার, কটাক্ষ শুভেন্দুর

যদিও ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার রাকেশ পাশওয়ান জানিয়েছেন, "অফিসারের উপস্থিতিতেই আমি হেলমেটহীন ওই বাইকটি আটক করেছিলাম । কিন্তু বাইক আরোহীরা গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে । আমি তাদের কথা না শোনায় তারা আমাকে ধাক্কাধাক্কিও করে । আমার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যে।" হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, ওই 3 বাইক আরোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুরের অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, "আমরা শুনেছি, গাড়ি আটকে সিভিক ভলান্টিয়ার নাকি টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিন বাইক আরোহী । যারা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেছে, তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল । পুলিশের কাছে আমার আবেদন, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এখানে দলের কোনও বিষয় নয় । কর্মরত অবস্থায় পুলিশ কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর হাত তোলা অপরাধ । তেমনই উর্দি পরে টাকা দাবি করাও অপরাধ । তাই আমি এই ঘটনায় যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি তুলছি (Police Started Further Investigation)।"





বিয়েবাড়ি যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় রাজস্থানে (Rajasthan) বরযাত্রীর গাড়ি চম্বল নদীতে পড়ে মৃত্যু হল বর-সহ ৯ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার নয়াপুর থানায় চম্বলের ছোটি পুলিয়া এলাকায়।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মীরা। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

জানা গিয়েছে, একটি ক্রেনের সাহায্যে গাড়িটি জল থেকে তোলা হয়েছে। দেহগুলিও উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, উজ্জ্বয়নে বিয়ের জন্য যাচ্ছিল গাড়িটি। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি নদীর জলে পড়ে যায়।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'কোটায় বরযাত্রীদের একটি গাড়ি চম্বল নদীতে পরে যাওয়ায় বর-সহ ৯ জনের মৃত্যুর যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্থ দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। আমি জেলাশাসককে ফোন করে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছি। নিহতদের পরিবারকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর তাঁদের এই আঘাত সহ্য করার শক্তিএবং মৃতদের আত্মাকে শান্তি দিন।'



  • রাজস্থানে বরযাত্রীর গাড়ি চম্বল নদীতে পড়ে মৃত্যু হল বর-সহ ৯ জনের।
  • ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার নয়াপুর থানায় চম্বলের ছোটি পুলিয়া এলাকায়।
  • একটি ক্রেনের সাহায্যে গাড়িটি জল থেকে তোলা হয়েছে।

  •   সমস্ত তথ্য সংগ্রহ -সংবাদ প্রতিদিন 



    ছাত্র নেতা আনিস খান হত্যা মামলায় উত্তপ্ত আমতাবাসী। অভিযোগ 'পুলিশ' সেজে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এক পুলিশ অফিসার এসেছিল। তারা জোর করে বাড়িতে ঢুকে এসে ভিকটিমকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় লাগাতার বিক্ষোভ। পার্শ্ববর্তী গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেন,'' মানুষ ক্ষেপে রয়েছে।কারণ আনিস সবসময় সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত ছিল। সবাইয়ের আদরের। আমি গ্রাম প্রধান হিসেবে চাইব যাতে ও সুবিচার পায়।'' সূত্রের খবর, পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

    মানিকচক এলাকয় ঘরের ভিতর থেকে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মায়ের থেথলানো মৃত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে মালদা মানিকচকের শেখপুরা পূর্বপাড়া এলাকায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মৃত মহিলার নাম বেবী বিবি(৪৫)।তার ছেলে সিভিক ভলেণ্টিয়ার রফিকুল ইসলাম শনিবার রাতে মানিকচক থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন।রবিবার সকালে ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে মাকে ডাকাডাকি করলে দরজা না খুললে সন্দহ হয় ছেলের।খবর চাউর হতেই ভিড় জমাই স্থানীয়রা।বাড়ির মেন গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখেন ঘরের ভিতরে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ।তবে কে, কী কারণে খুন করলো বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবার পরিজনেরা।


    খবর পেয়ে ছুটে আসেন মানিকচক থানার পুলিশ বাহিনী।দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।

    মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হাতেনাতে ধরে ফেলে ছেলে (West Bengal News)। যার ফলে মারাত্মক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল উস্তির একতারায়। আত্মহত্যা করলেন মা, আবার আত্মঘাতী হলেন তাঁর প্রেমিকও।

    প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে পাড়ারই এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।কিন্তু সেই পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার একতারা এলাকায়। খবর পেয়ে রবিবার সকালে দুই বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বাসনা পুরকাইত (৩৪) ও মানস সাউ(২৯)।


    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একতারা গ্রামের জ্বালানি পাড়ার বাসিন্দা পিনাকী মণ্ডলের সঙ্গে বছর দশেক আগে বাসনার বিয়ে হয়েছিল। বাসনা ছিলেন পিনাকীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। স্বামী ও সত্‍ছেলে বাইরে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী যুবক মানস সাউয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বাসনা।


    মানস স্থানীয় রায়পাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকলেও আসল বাড়ি সাগরের সাপখালিতে। এর মাঝেই শনিবার রাতে সত্‍ ছেলে সুদীপ পুরকাইতের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন দু'জন। এরপর ওই দিন রাতে মানস ও বাসনা দু'জন নিজেদের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।




    ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়:
     দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন থাকার পরও জীবনের পথে ফেরা হল না। রবিবার সকালে মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pandey)। সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) টুইট করে দুঃসংবাদটি জানিয়েছেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরেই সাধন পাণ্ডের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন চিকিত্‍সকরাও। মেয়ে শ্রেয়া শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছিলেন। শেষমেশ রবিবার সকালে হাসপাতালেই জীবনাবসান হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।



    প্রিয় পাঠক, খবরটি সদ্য আমাদের কাছে এসেছে। যেটুকু তথ্য এর মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, সেটুকুই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হল। গুরুত্বপূর্ণ এই খবরটি খুঁটিনাটি-সহ কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সবিস্তারে জানাব। অনুগ্রহ করে একটু পরে আর-একবার এই পেজটি রিফ্রেশ করুন, যাতে পূর্ণাঙ্গ খবর ও খবরটির অন্যান্য খুঁটিনাটি আপনারা জেনে নিতে পারেন। এই সময়টুকু আমরা আপনাদের কাছে চেয়ে নিলাম। পাশাপাশি উল্লেখ থাক, সম্প্রতি নেটমাধ্যমে নানারকম ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি। সে বিষয়ে আমরা যথাসম্ভব সতর্ক থেকেই খবর পরিবেশন করি। যে-কোনো খবরের সত্যাসত্য যাচাই করে তবেই আপনাদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন, ঠিক ও তথ্যনিষ্ঠ খবর তুলে ধরার ক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা আন্তরিকভাবে কাম্য।

    সমস্ত তথ্য সংগ্রহ সংবাদ প্রতিদিন 

    প্রায় দু'বছর পর গত বুধবার বাচ্চাদের স্কুল চালু হয়েছে রাজ্যে। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে স্কুলে ঝটিকা-সফরে গিয়ে খুদেদের নিজেই পড়াতে লেগে গেলেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)। শনিবার এমনই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার দেবনগর মোক্ষদা দিন্দা হাই স্কুলে। তবে শুধু খুদেদেরই নয়, ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের পড়ুয়াদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানও পড়াতে দেখা যায় বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুরকে।শনিবার দেবনগর এলাকার তিনটি স্কুল পরিদর্শনে যান শান্তনু। স্থানীয় গার্লস হাই স্কুল ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে মোক্ষদা দিন্দা হাই স্কুলে যান তিনি। স্কুলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে কি না, পড়ুয়াদের পড়াশোনার হালচাল জানতেই স্কুল সফরে গিয়েছিলেন শান্তনু বাবু। স্কুল ঘুরে দেখার পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিডিও। এর পর তিনি ক্লাসে ঢুকতেই চমকে ওঠে পড়ুয়ারা। কেউ কেউ বলে ওঠে, ''আরে, এ তো আমাদের বিডিও সাহেব।''

    স্কুল পরিদর্শনের পর শান্তনু  বাবু বলেন, ''খুব ভাল লাগল। বহু দিন পর ক্লাস নিতে পেরেছি। প্রশাসনিক পদে থেকে সেই সুযোগ হয় না। শিক্ষকদের অনুরোধেই পড়ালাম। পড়ুয়াদের সঙ্গেও পরিচয় হল।''


    বাংলাদেশের শেরপুর সীমান্তে ফের বন্যহাতির দেহ উদ্ধার

    আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন : বাংলাদেশের শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকা থেকে আবার একটি বন্য হাতির দেহ উদ্ধার করা হল। শনিবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী আঠারোঝোড়া থেকে হাতির দেহটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।এই নিয়ে গত চার মাসে, শেরপুরের বিভিন্ন সীমান্তে তিনটি বন্য হাতির দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।

    এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা এলাকায় একটি, এর ঠিক ১০ দিন পর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতার মায়াঘাসী গ্রাম থেকে আরেকটি বন্য হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছিল।

    বন বিভাগ জানায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী হালচাটি গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত সীমান্তসংলগ্ন আঠারোঝোড়া পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির দেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা বন বিভাগকে খবর দেন। পরে রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক মহম্মদ মকরুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে বন বিভাগের লোকজন সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে ।


    উদ্ধার করা হাতিটি মাদি বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা । এটির বয়স আনুমানিক ৭-৮ বছর । খাবারে বিষক্রিয়াজনিত কারণে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে বন বিভাগ।

    স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্য হাতির দল ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার লোকালয়ে নেমে আসছে।

    বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়ে সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজারের মাল ব্লকের মিনগ্নাস চা বাগানে। মৃত যুবকের নাম সোমা মুন্ডা। বয়স আঠাশ বছর।

    জানা গিয়েছে, ওই যুবক বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে চা বাগানের ভাদে লাইনে গিয়েছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ একটি বিষাক্ত সাপ তাঁর হাতে ছোবল মারে।রাতেই স্থানীয়দের তত্‍পরতায় ওই যুবককে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।হাসপাতালেই চিকিত্‍সা চলছিল তাঁর। রাত তিনটে নাগাদ সব শেষ। যমে-মানুষে টানাটানির জেরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছে।রাতেই মালবাজার বনদপ্তরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে। চা বাগানের শ্রমিক মহল্লা থেকে উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।

    সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং - একটি দুধের গাড়ি উল্টে গুরুতর জখম হলেন চালক। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে ক্যানিং-বারুইপুর রোডের ক্যানিং আমড়াবেড়িয়া এলাকায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চালক সুদীপ হালদার।এদিন সকালে দুধ নিয়ে গাড়িটি বারুইপুর থেকে ক্যানিংয়ের দিকে আসছিল।আচমকা দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনা গ্রস্থ দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতর থেকে চালক কে উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিত্‍সার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হলে চিকিত্‍সকরা গাড়ির চালক কে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।কিভাবে এমন দুর্ঘটনা হল সে বিষয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
    বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: লরির ধাক্কায় (Road Accident) স্কুলছাত্রীর (School Girl) মৃত্যুর ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) মহিষাদলে (Mahishadal) উত্তেজনা। ঘাতক লরিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। পলাতক ঘাতক লরির চালক। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান, রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।পুলিশের সামনেই লরিতে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা। লরির ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এভাবেই উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিল মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তনী বেরা।সেই সময়, গেঁয়োখালির দিক থেকে একটি লরি আসছিল।পিছন থেকে সাইকেলে ধাক্কা মারে এই লরিটি।গুরুতর আহত অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু হয় স্কুল ছাত্রীর।

    মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আহমেদ আলি জানিয়েছেন, ধাক্কা মারার পর টেনে নিয়ে যায় লরি। দুর্ঘটনার ছাত্রীর মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।রাজ্য সড়কে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল করে। তাই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, স্কুলের সময় এই রাস্তা দিয়ে বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না।

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

    কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছিল দুজনের। জানা গেছে, গতকাল নন্দকুমার থানা এলাকায় ৪১ নম্বর নম্বর জাতীয় সড়কের হাঁসগেড়িয়ার কাছে এই পথ দুর্ঘটনায় ঘটে। এই দুর্ঘটনার দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও ২ জন। আহতরা তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দকুমারে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে হাঁসগেড়িয়ার কাছে একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায় এবং আহত দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়।

    ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক লরির চালক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ সেজে ঘরে ঢুকে এক যুবককে খুন করা হল।

    শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আমতা থানার দক্ষিণ খান পাড়ায়। পুলিশের দাবি, তাদের কোনও কর্মী বা আধিকারিক এই ঘটনায় যুক্ত নন। মৃত আনিস খান (২৮) আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।মৃতের বাবা সালাম খানের অভিযোগ, গভীর রাতে পুলিশের পোশাক পরা লোক এসে ঘরে ঢুকে তাঁর ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তাঁর কথায়, রাতের বেলায় চারজন আসে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক এবং বাকি তিনজনের গায়ে সিভিক পুলিশের পোশাক ছিল। তারা এসে ঘরে ঢুকে ছেলের খবর জানতে চায়। এদের মধ্যে একজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে এবং বাকি তিনজন ছাদে উঠে যায় ছেলের খোঁজে। এরপর ছাদ থেকে আনিসকে ফেলে দিলে সে কার্নিসে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তিনি চিত্‍কার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে তুলে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত আনিস রাজনৈতিকভাবে আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

    রহস্য দানা বেঁধেছে এই ঘটনায়। কে বা কারা যুক্ত আছে সেবিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। মৃতের বাবার দাবি, তিনি যখন বলেন ছেলের খবর জানি না তখন দুষ্কৃতীরা বলে আনিস আধঘণ্টা আগে বাড়ি এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা পরিষ্কার, দুষ্কৃতীরা আনিসের আসার খবর পেয়েছিল। সেক্ষেত্রে এলাকারই কেউ এই ঘটনায় যুক্ত আছে কি না সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

    উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: আবারও এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কুলতলির মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার মানুষ। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক গৃহবধূ।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ উপকূল থানার ভুবনেশ্বরীর পয়লা ঘেরির বুল্টি হালদারের (২৫) সঙ্গে বছর দশেক আগে বিনোদপুরের বাসিন্দা বাবুসোনা মণ্ডলের বিয়ে হয় দেখাশোনা করে।তাঁদের ৯ বছরের একটি মেয়ে (মেনকা) ও ৫ বছরের একটি ছেলে (মণীশ)। আর এই নিয়েই তাঁদের জীবন যাপন। পেশায় দিনমজুর বাবুসোনা ওরফে দীপকের সঙ্গে কিছু দিন হল স্থানীয় এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এই খবর জেনে যায় বাবুসোনার স্ত্রী বুল্টি।


    তাই নিয়েই প্রায়দিন সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার উভয় পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হওয়ার পরেও শনিবার সকালে বাপের বাড়ি চলে যান বুল্টি। সেখানে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন।


    এই খবর জানাজানি হতেই বুল্টির স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


    সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং - খোলা মাঠের মধ্যে বছর ৬৫ বয়সের এক বৃদ্ধের দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে জয়নগর থানার অন্তর্গত রাজাপুর-করাবেগ গ্রাম পঞ্চায়েতের মেজবাবুর চক এলাকায়।মৃতের নাম রবীন তরফদার(৬৫)।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে জয়নগর থানার অন্তর্গত শেখ-বৈদ্য-তরফদার-নস্করপাড়া অরুন নগর বামনগাছির বাসিন্দা বরীন বাবু গত দুইদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।আর ফেরেন নি।পরিবারের লোকজন বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে ওই বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীর সাথে শুক্রবার দুপুরে ফোন করে কথা বলেন বলে দাবী মৃতের ভাইয়ের।পরিবারের লোকেদের আশা তিনি বাড়িতে ফিরে আসবেন। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামলেও বাড়িতে না আসায় উদ্বেগ বাড়ে পরিবার পরিজনদের। এমন কি ফোন ও বন্ধ হয়ে যায় ওই বৃদ্ধের।শনিবার সকালেই আচমকা খবর পায় পরিবারের সদস্যরা। জানতে পারেন স্থানীয় মাঠে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।সেখানে গিয়ে ওই বৃদ্ধ কে সনাক্ত করেন তার পরিবারের লোকজন। এরপর জয়নগর থানার পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
    তবে সুত্রের খবর মাঠের মাঝে পড়ে থাকা ওই বৃদ্ধের মৃতদেহের পাশ থেকে কীটনাশক উদ্ধার হওয়ায় আত্মহত্যা না খুন সে বিষয়ে ধোঁয়াশ তৈরী হয়েছে।এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
    কৌশিক অধিকারীঃ বহরমপুরঃ বর্তমানে শিশু শৈশব মন, তাই খেলা ছিল প্রান। আর সেই খেলা কেড়ে নিল শৈশবকে। বাড়ির ছাগল বাঁধা দড়ি নিয়ে খেলার সময় গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হল এক কিশোরের। আজকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার সৌয়দপাড়া গ্রামে।পুলিশ জানিয়েছে মৃত বছর এগারোর ওই কিশোরের নাম ফিরদৌস সেখ। ঘটনায় চাঞ্চল্য শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গ্রামে। খবর পেয়ে বড়ঞা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বড়ঞা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিত্‍সকেরা তাকে মৃত বলে জানিয়েছেন। বড়ঞা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর ব্যাবস্থা শুরু করেছে পুলিশ।

    পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পরিবারের সদস্য ফিরৈজা বিবি জানিয়েছেন, আজকে দুপুরে খেলা করছিল। তখন হঠাত্‍ই ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লেগে যায়। আমাদের বিষয়টি নজরে এলে তড়িঘড়ি বড়ঞা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার জুড়ে। তবে পরিবারের কিশোরের খেলা করতে গিয়ে এই মর্মান্তিক মৃত্যু পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা সৈয়দপাড়া গ্রাম জুড়ে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তার পুনাঙ্গ তদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর তদন্ত খতিয়ে দেখা হবে।
    সোনারপুরের সুভাসগ্রামে মা ও ছেলের রহস্য মৃত্যু ( Mysterious death)। বাড়ি থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তে সোনারপুর থানার পুলিশ (Police)।পুলিশ সূত্রে খবর, মা তপতী পুরকাইত ও ছেলে গৌতম পুরকাইতের মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল যথাক্রমে ৭০ এবং ৪২ বছর।জানা গিয়েছে, বাড়ির বৌ রাখী পুরকাইত মগরাহাটে বাপের বাড়িতে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন । গৌতমও গিয়েছিলেন। যদিও তিনি বুধবার চলে আসেন। শুক্রবার সকালে তাকে বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে প্রতিবেশীরা। তাদের সঙ্গে কথাও হয়। দুপুরে ফোনে স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। ষ্টেশন থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসার কথাও বলেন। স্ত্রীই বারণ করেছিলেন। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ তিনি বাড়িতে এসে পৌঁছান। এরপরেই ঘটনার মোড় ঘোরে। এসে দেখেন ঘর অন্ধকার, গেটে তালা লাগানো। জানলা দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। কিছু বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডাকেন।এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তারা। ভেতরে ঢুকে দেখেন মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরের ডাইনিংয়ে পড়ে রয়েছে গৌতমের দেহ। আর একটি ঘরের বিছানায় রয়েছে তপতী পুরকাইতের দেহ। মুহূরর্ত দেরি না করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ শনিবার পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, গৌতম শেয়ার মার্কেটে কাজ করত। তাঁদের বাড়িটিও তারা বিক্রি করে দেয়। সেই টাকা শেয়ারে খাটিয়ে ক্ষতির মুখোমুখি হন তাঁরা। আর্থিক অনটন চলছিল পরিবারে। তাঁর জেরেই মাকে মেরে গৌতম আত্মঘাতী কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদি ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই জানা যাবে প্রকৃত কারণ।



    বিস্তারিত আসছে... চোখ রাখুন কাকদ্বীপ.কমে   সমপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ -  Asianet বাংলা /dailyhunt 

    ২০০৮ সালের আমেদাবাদ সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণ মামলায় একসঙ্গে ৩৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল বিশেষ আদালত।

    অভিযুক্ত ছিল ৪৯ জন, বাকি ১১ জনের আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনানো হল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ভারতিয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।রায় শোনানোর সময় বিশেষ বিচারপতি এআর প্যাটেল জানান, বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবার ১ লক্ষ টাকা করে, গুরুতর আহতেরা ৫০ হাজার এবং স্বল্পাহতরা ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একমাত্র উসমান আগরবাত্তিওয়ালাকে অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু ছিল। আইপিসি, ইউএপিএ, এক্সপ্লোসিভ সাবস্টান্সেস অ্যাক্ট, প্রিভেনশন অফ ড্যামেজ টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত ৪৯ জনের প্রত্যেককেই ২.৮৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি, এই মামলায় অভিযুক্ত ৭৮ জনের মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত।

    ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই আমেদাবাদে বিভিন্ন স্পটে পরপর ২২টি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সরকার পরিচালিত হাসপাতাল, আমেদাবাদ পুরনিগম পরিচালিত এলজি হাসপাতাল, বাস, পার্ক করা সাইকেল, গাড়ি এবং আরও বিভিন্ন জায়গায় বোমা রাখা হয়েছিল। মোট বোমা রাখা হয়েছিল ২৪টি তবে কালোল এবং নারোদায় রাখা দুটো ফাটেনি। সেদিনের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ জনের এবং আহত হয়েছিলেন অন্তত ২০০ জন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইমেল পাঠিয়ে এই মামলার দায়স্বীকার করে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এই ঘটনার আগে অবধি এই জঙ্গি সংগঠনের নাম শোনা যায়নি।

    আজকাল ওয়েবডেস্ক


     16 ই ফেব্রুয়ারি ভোরে অন্তিম লোকে পাড়ি দিয়েছেন বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। বাপ্পী সোনার গয়না পছন্দ করতেন। সবসময়ই তাঁকে দেখা যেত সোনার গয়নায় নিজেকে মুড়ে রাখতে। পরবর্তীকালে তিনি 'লুমিনেক্স ইউএনও' নামে একটি মিশ্র ধাতুর গয়না ব্যবহার করতেন। এটি ছিল সোনা, রূপো, প্ল্যাটিনামের মিশ্রণ।

    তবে সোনাকে চিরকাল পয়া মনে করতেন বাপ্পী। গলায় পরতেন রত্নখচিত পেনডেন্ট, দশ আঙুলে দশ রকমের আংটি। শেষ জন্মদিনে নিজেই নিজেকে উপহার দিয়েছিলেন সোনার পেয়ালা। কিন্তু সবকিছু ছেড়ে হঠাত্‍ই চলে যেতে হল তাঁকে।

    তাঁর স্বর্ণালঙ্কার যত্ন করে রাখার জন্য ছিলেন একজন সহকারী। তিনি গয়নাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। শোনা গিয়েছে, একটি করে মিউজিক অ্যালবাম মুক্তি পেলেই বাপ্পী একটি সোনার বা হীরের গয়না কিনতেন। তাঁর ধারণা ছিল, এটি করলে তাঁর ওই মিউজিক অ্যালবাম হিট হবে। কিন্তু প্রতিটি গয়না পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখে দেওয়া হত নির্ধারিত বাক্সে। তবে তাঁর গয়না অন্য কেউ স্পর্শ করবেন তা পছন্দ করতেন না বাপ্পী। একবার তাঁর এক সহকারী তাঁর গয়নার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে বিনয়ের সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বাপ্পী। কেউ যাতে তাঁর শরীর ও গয়না স্পর্শ করতে না পারেন, তার জন্য সকলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেন বাপ্পী। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পর কি হবে তাঁর সোনার গয়নার? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর অনুরাগীদের একাংশ।

    বাপ্পীর একজন পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, বাপ্পীর দুই সন্তান বাপ্পা (Bappa Lahiri) ও রিমা (Reema) ঠিক করেছেন, বাপ্পীর বাকি জিনিসের মতোই তাঁর গয়নাগুলিও সংরক্ষণ করা হবে। গয়নাগুলি সংরক্ষণ করা হবে দুটি ভাগে।

    একটি ভাগে থাকবে তাঁর নিয়মিত পরা গয়না। সেগুলি বাক্সে যত্ন করে সাজানো থাকবে। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে তাঁর বিশেষ উপলক্ষ্য অনুযায়ী পরার গয়না। সেগুলিও আলাদা ভাবে বিশেষ বাক্সে তুলে রাখা হবে। বাপ্পীদা সোনা ভালোবাসতেন। ফলে অনেকেই তাঁকে স্বর্ণমূদ্রা বা মূর্তি দিতেন উপহার হিসাবে। সেগুলিও আলাদা ভাবে সংরক্ষিত থাকবে।



     সমপূর্ণ তথ্য    -HOOP HAAP 

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations) ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন বিষয়ে এবার রাশিয়াকে (Russia) সতর্কবার্তা দিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে সেরগিয়ে কিস্তলেতসা (Sergiy Kyslytsya) বলেছেন সেনা মোতায়েন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে যে সমর্থন একত্রিতকরণের কাজ চালাচ্ছে রাশিয়া সেই নিয়েই সাবধান করছে তারা।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে বলা হয়েছে, "রাশিয়ার কাছে সেনা প্রত্যাহার এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র রয়েছে। তা না করে যদি আন্তজার্তিক প্রতিক্রিয়া একত্র করে বিকল্প পথ ভাবার চেষ্টা করে সেটি ঠিক হবে না।" সূত্রের খবর, রাশিয়া, ইউক্রেনের সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ডনবাসে স্তানিতসিয়া লুহানস্কায় গোলাবর্ষণ শুরু করেছে।


    তিনি এও বলেন, "ইউক্রেন শান্তি, নিরাপত্তা, এবং স্থিতিশীলতা চায় শুধু নিজের জন্য নয়, পুরো ইউরোপের জন্যও। একই সঙ্গে রাশিয়া যদি উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য বেছে নেয়, ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করবে। " অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে সরাসরি কী আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে মুখ না খুললেও ইঙ্গিতে 'রুশ আগ্রাসনে'র বিরোধিতা করার দাবি জানিয়েছে, সূত্রের খবর।

    এছাড়াও, বাইডেন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সামান্য খবর পেলেই দেখতে পেলেই যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা ও তার মিত্র শক্তিরা। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে কড়া প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হবে।



     আদি বাস সাইবেরিয়ায়। ইউরোপ, এশিয়ার উত্তর অংশে দেখা মিললেও ভারতে তার দেখা পাওয়া বিরল। বিশালাকার সেই সাইবেরিয়ান মিউট সোয়ান পাখির (Siberian Mute Swan Bird) দেখা মিলল দক্ষিণ চব্বিণ পরগণার (South 24 Parganas) রামনগর থানার আসুরালি গ্রামে।

    শেষ পর্যন্ত অবশ্য গ্রামবাসীদের সহযোগিতাতেই পাখিটিকে উদ্ধার করে বন দফতর।

    কয়েকদিন আগেই এই মিউট সোয়ান পাখিটিকে দেখা গিয়েছিল বারুইপুর এলাকায়। এর পর পাখিটি সেখান থেকে উড়ে গিয়েছিল। রাজ হাঁস প্রজাতির এই বিশালাকার পাখিটিকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি দিঘিতে দিনভর ঘোরাফেরা করতে দেখেন আসুরালি গ্রামের বাসিন্দারা। বিশালাকার পাখিটিকে দেখে গ্রামবাসীদের মধ্যে কৌতূহল ছড়ায়। পাখিটির নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেটিকে ধরে বন দফতরে খবর দেন গ্রামবাসীরা। এর পর বন দফতরের কর্মীরা এসে পাখিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

    বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মিউট সোয়ান পাখিটির ওজন প্রায় ১৫ কেজি। বন দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সচরাচর এত বড় আকারের মিউট সোয়ান পাখি দেখা যায় না।

    শারীরিক পরীক্ষার পর সেটিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, সাধারণ পুরুষ মিউট সোয়ান পাখির ওজন হয় ৯ থেকে ১৪ কেজির মধ্যে। মেয়ে পাখিগুলির ওজন হয় তুলনামূলক কম।

    সাইবেরিয়া বাদে উত্তর আমেরিকাতেও মিউট সোয়ান পাখিদের দেখা মেলে। পরিযায়ী হিসেবে তারা মাঝে মধ্যে উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অংশেও উড়ে যায়। কিন্তু ভারতে এই পাখির দেখা পাওয়া বিরল বলেই জানা যাচ্ছে। যেহেতু অন্যান্য রাজ হাঁস প্রজাতির পাখিগুলির তুলনায় এই পাখি কম ডাকাডাকি করে, তাই তাদের নাম মিউট সোয়ান। ১৯৮৪ সাল থেকে ডেনমার্কের জাতীয় পাখির স্বীকৃতিও পেয়েছে এই পাখি।ট

    Anisuddin Molla

    মাধ্যমিক অ্য়াডমিট কার্ড দেওয়া হবে কবে এবং কোনও ভুল থাকলে কবে মধ্যে সংশোধনের আবেদন করতে হবে, এনিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল পর্ষদ।

    মাধ্যমিক (WB Madhyamik Exam) অ্য়াডমিট কার্ড বিলির দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্য়শিক্ষা পর্ষদ। ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করতে হবে।

    কোনও ভুল থাকলে ৪ মার্চের সংশোধনের আবেদন করতে হবে। এনিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল পর্ষদ। উল্লেখ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। স্কুলগুলিকে ৪ মার্চের মধ্যে প্র্য়াকটিক্যাল নিতে হবে।

    উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে স্কুলে এসে বা অনলাইনে এই পরীক্ষা দিতে পারবে। প্র্যাকটিক্যালের ১২ টি বিষয়ের লিঙ্ক প্রকাশ করেছে সংসদ। রাজ্যের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে যে, ১৫ মার্চের পর ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর জমা দিতে হবে। এবার নিজের স্কুলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে আগের মতোই অন্য জায়গায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৯ হাজার ৯৯১ টি স্কুলের পড়ুয়া। ৭ মার্চ বাংলা, ৮ মার্চ ইংরেজি, ৯ মার্চ ভুগোল, ১১ মার্চ ইতিহাস, ১২ মার্চ জীবনবিজ্ঞান ১৪ মার্চ অঙ্ক, ১৫ মার্চ ভোতবিজ্ঞান, ১৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়। ২ এপ্রিল শুরু হবে উচ্চ মাধ্য়মিক। শেষ হবে ২০ এপ্রিল। উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্য়াকটিক্যাল পরীক্ষায় কোনও প্রশ্ন পাঠাবে না সংসদ। স্কুলগুলি মূল্য়ায়ন করে তাঁরা নম্বর সংসদে পাঠাবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রশ্ন করা এবং খাতা দেখা দুই দায়িত্বই ছিল স্কুলের।



    কোভিডের জেরে গত দুই বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তালা ঝুলেছে। স্কুলের মুখ দেখেনি ছাত্র-ছাত্রীরা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মতো পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায়। তবে কোভিড এই মুহূর্তে অনেকটাই কমে এসেছে। তাই এবার হতে চলেছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক দুই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাই। তার ফলে স্বস্তিতে অভিভাবক এবং স্কুল পড়ুয়ারাও। প্রসঙ্গত, কোভিড ভ্যাকসিনেশনের উপর আটকে ছিল স্কুল। উল্লেখ্য, স্কুল খোলার দাবিতে ৪ টি মামলা হয়। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরাতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করেন একজন স্কুল শিক্ষক। ওই মামলাকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় জন্য বহু পড়ুয়ারই পড়াশোনা থেকে মন উঠে গিয়েছে। আর পড়াশোনা করছে না। এখানেই শেষ নয়, অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে । যার ফলে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। অপরদিকে পর্যাপ্ত ডিজিটালাইজ পরিকাঠামো না থাকায় অনেক পড়ুয়াই অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। নানা কারণের জেরেই স্কুলছুটদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সেই অভিশাপ পেরিয়ে এখন আলোর মুখে রাজ্য়ের প্রায় সব স্কুল।

     বিষয়টি হয় তো অবিশ্বাস্য মনে হবে। তবে এমন এক ধরনের পাখি আছে যারা বৃষ্টির জলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আর সেই পাখিটির নাম চাতক পাখি। এই পাখির নামটা অনেকেই শুনেছেন। এই পাখিই বৃষ্টির জল ছাড়া অন্য কোনো জল পান করে না।

    ইংরেজিতে এই পাখির নাম- 'পায়েড কুক্কু' (Pied cuckoo)।

    বৈজ্ঞানিক নাম হলো, 'ক্লামেটর জাকোবিনাস' (Clamator jacobinus)। এই বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ হলো- 'জ্যাকোবিনের চেঁচানো পাখি' (ল্যাটিনঃ clamator = আর্তনাদকারী পাখি, jacobinus = জ্যাকোবিনস অর্থাত্‍, মধ্যযুগীয় ধর্মপ্রচারক গোষ্ঠী) চাতক বা পাপিয়া পাখিটি সাধারণত আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন পরিযায়ী পাখি।

    আবহমান কাল ধরেই লক্ষ্য করা গেছে, দক্ষিণ ভারতের ট্রপিক্যাল অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে উড়ে আসার কয়েকদিন পরই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তাই এই পাখিটির আগমণ 'আবহাওয়ার পূর্বাভাস ' বার্তাও বহন করে। কবি-সাহিত্যিকদের বর্ণনায় যেন, এরাই পিছু পিছু ডেকে নিয়ে আসে বর্ষাকে।

    এই চাতক পাখি সাদা-কালো বর্ণের মিশ্রণের। এই পাখিটির ঝুঁটি, ঘাড়, পিঠ ও ডানা কালো। ডানার পাশটায় সামান্য সাদা ছোপ। গলা, বুক, পেট, লেজের নিচটা কালো কিন্ত লেজের প্রান্ত সাদাটে। চোখ, পা কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। চেহারায় রাগী ভাব। তবে অত হিংস্র নয়। 'গ্রামাঞ্চলের মানুষ এদেরকে বড় বুলবুল পাখি বলে ভুল করে। ' সাধারণত এরা গাছের উঁচু ডালে থাকে তবে, মাঝেমধ্যে মাটিতে নেমে আসে। মাটিতে এদের হাটার ভঙিও অন্যরকম, তারা হাঁটে লাফিয়ে লাফিয়ে।

    এই চাতক পাখির প্রধান খাবার পিঁপড়া, শুয়োপোকা, ঘাসফড়িং, লতাগুল্মের কচিপাতা। তাছাড়া এরা শুধুমাত্র বৃষ্টির জল পান করে। বৃষ্টির সময় আকাশে উড়ে উড়ে পড়ন্ত বৃষ্টির ফোটা পান করে এরা তৃষ্ণা মেটায়।

    জুন থেকে আগস্ট মাসে কোকিলের মতো পরের বাসায় ডিম পাড়ে এরা। এরা নিজেরা বাসা বাঁধতে জানে না। একবারে ডিম পারার সংখ্যা এক থেকে দুইটি। দেখা গিয়েছে, ডিম পাড়ার আগে পুরুষ পাখিটি ছলনার আশ্রয় নেয়, সে সুরেলা ডাক দেয় যাতে অন্য পাখির মনযোগ সরাতে পারে এবং এই সুযোগে স্ত্রী পাখি ডিম পেড়ে আসে। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সাধারণত সময় লাগে ১৮থেকে ২০ দিন।

    এই পাখি ২০ বছর বাঁচে। লোকমুখে শোনা যায় এই পাখি মৃত্যুর সময় মাটিতে পিঠ ঠেকিয়ে, পা দুটোই উপরের দিকে তুলে, ঠোঁট হা করে, চোখ দুটো খুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে মারা যায়।



           তথ্ এক ঝলক