November 2023

এসডিও, বিডিও, পুলিশ সুপার, জেলাশাসক সবাইকে লিখিতভাবে অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা কিছুই হয়নি। দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষজন এখন কার্যত দিশেহারা। তবুও প্রশাসনের আশ্বাসেই ভরসা করতে হচ্ছে তাঁদের।
 

খণ্ডঘোষে অবাক কাণ্ড! অ্যাকাউন্ট নেই অথচ বাড়ি বাড়ি আসছে নতুন ATM কার্ড
গ্রামবাসীদের হাতে এসেছে এটিএম কার্ড

বর্ধমান: ঘরে ঘরে এসে পৌঁছেছে নতুন এটিএম কার্ড। ব্যাঙ্কের নাম লেখা খাম খুলে সেই কার্ড দেখে তাজ্জব গ্রামবাসীরা। তাঁরা অ্যাকাউন্টই খোলেননি, এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করা তো দূরের কথা! তাহলে এইসব খাম এল কোথা থেকে? একজন বা দুজন নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে শতাধিক মানুষের সঙ্গে। তাঁরা মূলত বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানা এলাকার বাসিন্দা। কেউ থাকেন মুসলিম পাড়ায়, কেউ বাগদী পাড়ায়। এখানেই শেষ নয়। ওই সব কার্ড পেয়ে ব্যাঙ্কে ছুটেছিলেন ওই গ্রামবাসীরা। আর সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের নামে থাকা অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। সব অ্যাকাউন্টগুলো ৩ থেকে ৫ বছরের পুরনো বলেও জানা গিয়েছে। সব দেখেশুনে রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একাধিক অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।

এক গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই গ্রামের প্রায় ১২০-১৩০ জনের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা ব্যাঙ্কে কোনও অ্যাকাউন্ট খোলেননি, অথচ তাঁদের নামে কুরিয়ারে এটিএম কার্ড এসে পৌঁছেছে বাড়িতে। অভিযোগ, যাঁদের নামে কার্ড তাঁদের সবার বাড়িতে ওই খাম দেননি কুরিয়ার কর্মী। গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে রাখা ছিল বেশির ভাগ কার্ড। সেই বাড়ির মালিক পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রামবাসীরা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের দ্বারস্থ হলে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ।

গ্রামবাসীদের দাবি, কেউ ১০০ দিনের কাজ করছেন, কেউ গরুর খড় কাটছেন, কেউ রান্না করছেন, কেউ মাঠে কাজ করছেন এই রকম সব ছবি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে। এসডিও, বিডিও, পুলিশ সুপার, জেলাশাসক সবাইকে লিখিতভাবে অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা কিছুই হয়নি। দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষজন এখন কার্যত দিশেহারা। তবুও প্রশাসনের আশ্বাসেই ভরসা করতে হচ্ছে তাঁদের।


বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জড়িত আছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের দাবি একদল অসাধু ব্যবসায়ী তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করে এভাবে কালো টাকা সাদা করেছে।

সিপিএমের দাবি, অসাধু উপায়ে ওই নিরীহ মানুষজনের কাছ থেকে নথি নিয়ে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে অসৎ উদ্দেশে। এটা একটা সংগঠিত চুরি বলে দাবি করেছেন এলাকার সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষ। চার কোটি টাকার বেশি এইভাবে লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের দাবি, পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর অঞ্চলে প্রচুর রাইসমিল রয়েছে এবং তার মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতারা শ্রমিক শ্রেণির মানুষদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইডির কাছে অভিযোগ জানানো হবে। যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। খন্ডঘোষের ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে তদন্তের মাধ্যমে তা প্রকাশ্যে আসবে।

বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে ঘটনার কথা শুনে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত জালিয়াতির নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন

যদিও জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের।

Maldah: কুইন্টাল প্রতি ৫ কেজি 'কাটমানি', বস্তা বস্তা ধান রাস্তায় ছড়ালেন চাষিরা
রাস্তায় ঢাললেন ধান

মালদহ: ধানের বস্তা ফেলে রাস্তায় ধান ছড়িয়ে বিক্ষোভ চাষিদের। দূর দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে এসে ভোগান্তির সম্মুখীন চাষিরা। সার্ভার সমস্যায় হয় না ধানের বিক্রি। আবার ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ধান যা গ্রাম্য ভাষায় বলে ধলতা। এরই প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। বিষয়টি নিয়ে ইস্যু করেছে বিজেপি। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ।


এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ যা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ধান ফেলে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও। ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছে বিজেপিও।

যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। চাষিদের অভিযোগ, তারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট ভাড়াও খরচ হয়েছে।এই ধান বিক্রির অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ যোগান। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তারা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখিন হন চাষিরা।


যদিও জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছে। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

এদিকে সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেন। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, “চাষিদের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা মিল মালিকদের বলা হবে।”



জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় অনেকেই অতি-উৎসাহী হয়ে কিছু করে ফেলেন। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন সংযত থাকেন। পোস্টার লাগানো, লিফলেট লাগানো, মাইক বাজানো-সবকিছুই যেন করা হয়, তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, মানুষের যেন কষ্ট না হয়।

সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন সাকিব।

 রাজনীতির মাঠে নেমে প্রথম দিনই 'হলুদ কার্ড' দেখলেন সাকিব

রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন সদ্য। আর শুরুতেই হলুদ কার্ড খেলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী কাল শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।


বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার পর গতকাল বুধবার প্রথম নির্বাচনী এলাকায় যান সাকিব আল হাসান। মাগুরায় পৌঁছে তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের চিঠিতে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান ফরিদপুরের কামারখালী এলাকা থেকে কনভয় নিয়ে মাগুরা শহরে ঢোকেন। তিনি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিশাল কনভয় নিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে মাগুরায় যান সাকিব। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকে মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্ত গড়াই সেতু এলাকায় উপস্থিত ছিলেন হাজারও নেতাকর্মী ও সমর্থক। কামারখালীর গড়াই সেতু থেকে মাগুরা শহরে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সাকিবের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ সময় সেতু এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।

সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুসারে, কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনও ব্যক্তি কোনও ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনও যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করা যাবে না।

এদিকে, জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় অনেকেই অতি-উৎসাহী হয়ে কিছু করে ফেলেন। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন সংযত থাকেন। পোস্টার লাগানো, লিফলেট লাগানো, মাইক বাজানো-সবকিছুই যেন করা হয়, তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, মানুষের যেন কষ্ট না হয়। এ সময় সাকিব সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন। সাকিব বলেন, এটা আমাদের দল, যদি আচরণবিধি মেনে না চলি, আমাদেরই সমস্যা হবে।

সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে চলেছে, অতিরিক্ত ৯৭টি 'তেজস' যুদ্ধবিমান এবং ১৫৬টি 'প্রচন্ড' অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর), এই বিষয়ে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। এর জন্য প্রায় ১.১ লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি করছে কাউন্সিল।

৯৭টি 'তেজস' এবং ১৫৬টি 'প্রচন্ড'-এ শক্তি বাড়াচ্ছে সেনা, চুক্তি ১১ লক্ষ কোটি টাকার
তেজস ও প্রচণ্ড (ফাইল ছবি)

নয়া দিল্লি: আরও দেশিয় সরঞ্জামে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতে সেনাবাহিনী। বাহিনীতে যুক্ত হতে চলেছে, অতিরিক্ত ৯৭টি ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান এবং ১৫৬টি ‘প্রচন্ড’ অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর), এই বিষয়ে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। দুটি এয়ারক্র্যাফ্টই দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি। কাজেই এই অনুমোদন, দেশে প্রতিরক্ষা উত্পাদন শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য এর জন্য প্রায় ১.১ লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি করছে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ডাক দিয়েছিলেন। তারপর থেকে সামরিক ক্ষেত্রে ক্রমে বিদেশি নির্ভরতা কমানোর প্রয়াস চালাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করছে সেনাবাহিনী। এদিনের অনুমোদন, সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।



 ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। 

পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলর ও দুই কংগ্রেস কাউন্সিলরের দু'টি পৃথক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 ঝালদা পুরসভার চেয়ারে কে? বড় নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার
ঝালদা পুরসভা।

কলকাতা: ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদায় আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে এই আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এই সময়ের মাঝে পুরসভা যেমন চলছে, তেমনই চলবে।


ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলর ও দুই কংগ্রেস কাউন্সিলরের দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সম্ভবত রাজ্যের একমাত্র পুরসভা ঝালদা, যেখানে পুরভোট মেটার এতদিন পরও চেয়ারে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছেই। থেকে থেকেই দল বদলান কাউন্সিলরদের কেউ কেউ। আর তাতেই ঘুরে যায় বোর্ডের নিয়ন্ত্রক শক্তিও। মোট ১২টি আসন এই ঝালদা পুরসভায়। গত পুরভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেস এখানে যথাক্রমে ৫টি করে আসনে জেতে। নির্দল পায় বাকি ২টো। এই নির্দলই বারবার খেলা ঘুরিয়েছে ঝালদার। বিশেষ করে শীলা চট্টোপাধ্যায় কখনও কংগ্রেসে সমর্থন দিয়েছেন, কখনও তৃণমূলে। কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগদানও করেন।

পরিত্যক্ত হয়ে গেল কলকাতা লিগের ডার্বি। আজ নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। যদিও টিম পাঠায়নি মোহনবাগান। কলকাতা লিগে আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। টানা তিন বার লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান। 

তখন থেকেই ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন ডার্বি কেন আগে করা হয়নি, সে প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব জানিয়েছিলেন, দু-দলের অনেক প্লেয়ারই জাতীয় দলে ছিলেন। সে কারণে এতটা দেরি হয়েছে।

মাঠে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা, মোহনবাগান টিম নামাল না, ডার্বি পরিত্যক্ত

কলকাতা: পরিত্যক্ত হয়ে গেল কলকাতা লিগের ডার্বি। আজ নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। যদিও টিম পাঠায়নি মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল টিম অবশ্য নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে গিয়েছিল। ম্যাচ কমিশনার তাদের একঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলে। যদিও মোহনবাগান টিম না পৌঁছনোয় ডার্বি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এমন আশঙ্কা ছিলই। এর কারণও রয়েছে। ডার্বি যে সূচি মেনে নাই হতে পারে, আভাস ছিল বাংলা ফুটবল সংস্থার কাছেও। বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


আরও বেশি করে স্থানীয় প্রতিভা তুলে আনতে এ বার থেকে রাজ্যস্তরের লিগগুলি বিদেশিহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। কলকাতা লিগও হয়েছে বিদেশিহীন। বেশির ভাগ দলই তরুণ ফুটবলারদের নামিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বেশ কিছু তরুণ প্রতিভা উঠে এসেছে। জুনিয়র দল থেকে সিনিয়র টিমে জায়গা করে নিয়েছেন অনেকেই। তবে ডার্বির সেই আগ্রহ যেন ছিল না। কলকাতা লিগে আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। টানা তিন বার লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান। তখন থেকেই ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।

ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ ডার্বি ভেস্তে যাওয়ায় বলেন, ‘ডার্বি ঐতিহ্যের ম্যাচ। আমরা তৈরি ছিলাম। প্লেয়াররাও তৈরি ছিল। এটি ভারতবর্ষের সেরা ম্যাচ। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আইএফএ নেবে।’ লিগে রানার্স হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রসঙ্গে বিনো জর্জ বলেন, ‘আমাদের ছোট ভুলে চ্যাম্পিয়নশিপ হাতছাড়া তৈরি হয়েছে। ডার্বি থেকে নতুন প্লেয়ার উঠে আসে। আমাদের প্লেয়াররা ওয়ার্ম আপও করেছে। আমরা রানার্স, এটাই বিশ্বাস করছি।’


সূচি নিয়েই কি কোনও সমস্যা ছিল মোহনবাগানের? দু-দিন আগেই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছিলেন, ‘ডার্বিটার জন্যই লিগ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছিল না। সম্প্রচারকারীদের তরফে আমাদের ফোনও করা হয়েছিল। ওরা ক্ষোভ প্রকাশ করছিল। একটা ম্যাচের জন্য লিগ অসম্পূর্ণ রাখার কোনও কারণ হয় না। মোহনবাগানের ২৭ তারিখ ম্যাচ ছিল। সেখানেই ৩০ তারিখ ডার্বির দিন ঠিক করা হয়েছে।’ অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন ডার্বি কেন আগে করা হয়নি, সে প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব জানিয়েছিলেন, দু-দলের অনেক প্লেয়ারই জাতীয় দলে ছিলেন। সে কারণে এতটা দেরি হয়েছে।

এরপর সিবিআই-এর গন্তব্য 54 GNS সরণির বালাজি আবাসন। সেখানেই দোতলায় অদিতি মুন্সীর স্টুডিও। তল্লাশি চলে সেখানেই। বেলা ৩টে নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বেরিয়ে আসতে দেখা যায় দেবরাজকেও।

Debraj Chakraborty:অদিতি মুন্সীর স্টুডিয়োতেও তল্লাশি, স্বামী বললেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য পায়নি CBI’
দেবরাজ চক্রবর্তী

কলকাতা: রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক তথা গায়িকা অদিতি মুন্সীর স্বামী বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। সকালে আরও তিন জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু CBI র‌্যাডারে দেবরাজের খবর তোলপাড় করে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সকাল ৮টা নাগাদই আদালতের ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ হাতে নিয়ে পৌঁছে যান সাত সিবিআই আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে দু’দফায় চলে তল্লাশি। রাজারহাটের বাড়িতে তল্লাশির পর বেলা ১টা নাগাদ দেবরাজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে, তাঁর আরেকটি বাড়িতে এবার সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি চালাবেন।


এরপর সিবিআই-এর গন্তব্য 54 GNS সরণির বালাজি আবাসন। সেখানেই দোতলায় অদিতি মুন্সীর স্টুডিও। তল্লাশি চলে সেখানেও। বেলা ৩টে নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বেরিয়ে আসতে দেখা যায় দেবরাজকেও। কিন্তু এই প্রথমবার দেবরাজ দৃশ্যত মেজাজ হারান। গলা উঁচিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তবে তিনি স্পষ্ট জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত এই তল্লাশি চললেও, আধিকারিকরা প্রাসঙ্গিক কোনও নথি পাননি।

দেবরাজের কথায়, “সকাল আটটায় ওঁরা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। আমি ছিলাম না। আমাকে মা ফোন করেন। সাত জনের প্রতিনিধি দল এসেছিল। সিআরপিএফ ছিল। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছিলেন। সব কটি তলাই খতিয়ে দেখেছেন। আমার আইটিআর, ব্যাঙ্কের ডিটেইলস, কোম্পানির ডিটেইলস সব কিছু তাঁদের হাতে দিয়েছি।”

তবে দেবরাজ এটাও বলেন, “আমি ওঁদের জিজ্ঞাসা করি, কী ক্ষেত্রে এই তদন্ত। আমাকে আদালতের নির্দেশ দেখিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে এসেছিলেন। আমার দুটো বাড়িতেই তল্লাশি চলে। ওঁরা প্রাসঙ্গিক কোনও নথি হাতে পাননি।”

দেবারাজের বাড়ি থেকে নথি স্ক্রুটিনির জন্য নিয়ে গিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আগামী দিনেও সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

প্রসঙ্গত, বুধবার ধর্মতলায় বিজেপির মেগা শোতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন। আর তারপরই তেড়েফুঁড়ে সিবিআই। তবে এই তল্লাশির পিছনে কেবল রাজনীতির যোগ রয়েছে বলেই পাল্টা কটাক্ষ করেন দেবরাজ। স্পষ্টই বললেন, “আমি-সহ আরও যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চলছে, তার কারণ আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। আর আমি গর্বিত আমরা তৃণমূল করি। প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি আমার কাছে সিবিআই পায়নি। পাওয়ার কথাও নয়।”

দেবাশিস বলে দিলেন, 'আইএফএর যদি দম থাকে মোহনবাগানকে বাদ দিয়ে কলকাতা লিগ, শিল্ড করুক। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, করে দেখাক। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, যারা বাংলার ফুটবলকে ভালোবাসবে, তারা আমাদের ডার্বি না খেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে। 

বারবার বলেছি, আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডার্বিটা দিতে। ফোনেও কথা হয়েছে এ নিয়ে। কিন্তু শোনা হয়নি। যারা চালাচ্ছে, তাদের যোগ্যতা নেই আইএফএ চালানোর।'

Kolkata Derby: পরিত্যক্ত ডার্বি, আইএফএ 'অযোগ্য', ইস্টবেঙ্গলকেও ছাড়লেন না বাগান সচিব!

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল তৈরি হলেও ডার্বিতে টিম নামায়নি মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন কর্তারা টিম না পাঠানোয় কলকাতা লিগের ডার্বি পরিত্যক্ত হয়ে গেল। তিন পয়েন্ট কাটা যেতে পারে মোহনবাগানের। সে ক্ষেত্রে কলকাতা লিগে রানার্স হবে ইস্টবেঙ্গল। পরিত্যক্ত ডার্বি ঘিরে কিন্তু উত্তপ্ত অবস্থা ময়দানের। আরও ভালো করে বললে মোহনবাগান ক্ষোভে ফুঁসছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ডার্বির দিনক্ষণ পিছোতে রাজি হয়নি আইএফএ। যা এখনও মেনে নিতে পারছেন না বাগান কর্তারা। ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত আইএফএ তো বটেই, ইস্টবেঙ্গলকেও ছাড়লেন না। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেবাশিস। কী বললেন তিনি? বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


রাখঢাক না করেই একঘর সাংবাদিকের সামনে দেবাশিস বলে দিলেন, ‘আইএফএ নাকি তৈরি ছিল ম্যাচটা আয়োজন করার জন্য? কাকে তৈরি হওয়া বলে? যে ম্যাচটার টিকিটই ছাপা হল না, সেই ম্য়াচটার জন্য তৈরি ছিল ওরা? কীসের কলকাতা লিগ, কীসের পয়েন্ট, কার পয়েন্ট, আইএফএ তো দেখছি ফুটবলটা তুলে দেবে।’ কলকাতা লিগের ডার্বি ম্যাচে টিম না পাঠানোয় রাজ্য ফুটবল সংস্থা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। যা নিয়ে প্রশ্ন করতেই সাংবাদিকদের দেবাশিস বলে দিলেন, ‘আইএফএর যদি দম থাকে মোহনবাগানকে বাদ দিয়ে কলকাতা লিগ, শিল্ড করুক। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, করে দেখাক। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, যারা বাংলার ফুটবলকে ভালোবাসবে, তারা আমাদের ডার্বি না খেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে। বারবার বলেছি, আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডার্বিটা দিতে। ফোনেও কথা হয়েছে এ নিয়ে। কিন্তু শোনা হয়নি। যারা চালাচ্ছে, তাদের যোগ্যতা নেই আইএফএ চালানোর।’

আইএফএ-কে একহাত নেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলকেও ছাড়েননি দেবাশিস। বাগান সচিব বলেন, ‘ওই ক্লাবটার জন্য ভেবে খারাপ লাগছে। না খেলে রানার্স হবে? আমি হলে তো বলতাম, কবে মোহনবাগান খেলতে চায়, তবেই খেলব। একটা ব্যাপার নিয়ে তো কথাই হচ্ছে না। কলকাতা লিগ চলাকালীন এআইএফএফের টুর্নামেন্ট ছাড়া অন্য কিছু খেলা যায় না। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কলকাতা লিগ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল কী করে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ খেলল? আমি তো গভর্নিং বডিতে আছি। কই এ নিয়ে তো মিটিং হয়নি! ওদের তো স্ক্র্যাচ করে দেওয়া উচিত।’


টেস্টে ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে জসপ্রীত বুমরাকে। অতীতে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুমরা। টি-টোয়েন্টিতে ভাইস ক্যাপ্টেন রবীন্দ্র জাডেজা। ওয়ান ডে-তে কোনও ভাইস ক্যাপ্টেন রাখা হয়নি। 

ওয়ান ডে স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ফেরানো হয়েছে লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং কিপার ব্যাটার সঞ্জু স্যামসনকে। তেমনই প্রথম বার ওয়ান ডে টিমে ডাক পেলেন রিঙ্কু সিং। টি-টোয়েন্টিতে অনবদ্য পারফর্ম করছেন রিঙ্কু। এ বার তাঁকে ওয়ান ডে-তে রাখা হল।

 দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ফরম্যাটে ভিন্ন অধিনায়ক; 'এ' দলও ঘোষণা হল

মুম্বই: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মার ফেরা নিয়ে কথা চলছিল। এ বছর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেননি রোহিত। কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়কে রেখে দেওয়ায় মনে করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টিতেও নেতৃত্বে ফিরবেন রোহিত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে রোহিত শর্মাকে। বিরাট কোহলি আগেই ছুটি চেয়েছিলেন সাদা বলের ক্রিকেট থেকে। রোহিত, বিরাট দু-জনই টেস্টে ফিরছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারত ‘এ’ দলও ঘোষণা হল। এ ছাড়াও তিন ফরম্যাটের সিরিজের দলও ঘোষণা হল। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


বোর্ডের মেইলে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী বিরাট কোহলির মতো রোহিত শর্মাও সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্রাম চেয়েছেন। সে কারণেই এই দু-জনকে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে-তে রাখা হয়নি। ওয়ান ডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন সূর্যকুমার যাদব। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্য। তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি বলা যায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবে শুধু এই ফরম্যাটেই খেলানো হবে সূর্যকুমার যাদবকে? দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদব, ওয়ান ডে-তে লোকেশ রাহুল এবং টেস্টে যথারীতি রোহিত শর্মা নেতৃত্ব দেবেন। সাদা বলের স্কোয়াডে রাখা হয়নি মহম্মদ সামিকেও। টেস্টে তাঁকে রাখা হলেও নির্ভর করছে ফিটনেসের ওপর।

টেস্টে ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে জসপ্রীত বুমরাকে। অতীতে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুমরা। টি-টোয়েন্টিতে ভাইস ক্যাপ্টেন রবীন্দ্র জাডেজা। ওয়ান ডে-তে কোনও ভাইস ক্যাপ্টেন রাখা হয়নি। ওয়ান ডে স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ফেরানো হয়েছে লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং কিপার ব্যাটার সঞ্জু স্যামসনকে। তেমনই প্রথম বার ওয়ান ডে টিমে ডাক পেলেন রিঙ্কু সিং। টি-টোয়েন্টিতে অনবদ্য পারফর্ম করছেন রিঙ্কু। এ বার তাঁকে ওয়ান ডে-তে রাখা হল।

ঘোষিত টেস্ট স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ঈশান কিষাণ, লোকেশ রাহুল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, মুকেশ কুমার, মহম্মদ সামি (ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে), জসপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), প্রসিধ কৃষ্ণ

নীলসমুদ্রে ভেসেছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ফাইনালে শুরু থেকেই অজি বোলারদের শাসন করার কাজ নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। 

ধীরে ধীরে হিট হচ্ছিল হিটম্যানের ব্যাট। কিন্তু ৯.৪ ওভারে ঘটল অঘটন।
Rohit Sharma: তেইশের বিশ্বকাপে ব্যাটার রোহিতের সফর শেষ, ফাইনালে গড়লেন যে রেকর্ড
Rohit Sharma: তেইশের বিশ্বকাপে ব্যাটার রোহিতের সফর শেষ, ফাইনালে গড়লেন যে রেকর্ড

আমেদাবাদ: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে বিশ্বকাপ ফাইনাল (ICC World Cup 2023 Final)। নীলসমুদ্রে ভেসেছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ফাইনালে শুরু থেকেই অজি বোলারদের শাসন করার কাজ নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ধীরে ধীরে হিট হচ্ছিল হিটম্যানের ব্যাট। কিন্তু ৯.৪ ওভারে ঘটল অঘটন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে রোহিত ঠিকঠাকই শট খেলেছিলেন। কিন্তু ১১ মিটার দৌড়ে অনবদ্য ক্যাচ নেন ট্রাভিস হেড। যার ফলে ৩১ বলে ৪৭ রান করে অবশ্য মাঠ ছাড়েন রোহিত। হিটম্যানের এই ইনিংসে এল ৪টি চার ও ৩টি ছয়। রোহিত আউট হতেই ভারতীয় সমর্থকরা স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারলেন না। মুহূর্তের মধ্যে আমেদাবাদের গ্যালারি ‘চুপ’ হয়ে গেল। এরই মাঝে ফাইনালে রেকর্ড গড়ে সফর শেষ করলেন ব্যাটার রোহিত শর্মা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

এ বারের বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ৫৯৭ রান করে থামলেন রোহিত শর্মা। ওডিআই বিশ্বকাপের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি রান করা অধিনায়ক এখন রোহিত শর্মাই। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৫৭৮ রান করেছিলেন। তেইশের বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনের সেই রেকর্ড ভাঙলেন ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা।



এক ঝলকে দেখে নিন এ বারের বিশ্বকাপে ব্যাটার হিসেবে যে সকল রেকর্ড গড়লেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা —

গ্রুপ পর্বে ৯টি, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে মোট ১১ ম্যাচে ৫৯৭ রান।
১১ ম্যাচে গড় ৫৪.২৭। স্ট্রাইকরেট ১২৫.৯৪।
বিশ্বকাপের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি ছয় (৩১টি)।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছয়।
বিশ্বকাপের এক মরসুমে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন।
বিশ্বকাপের এক মরসুমে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছয়।
ওডিআই বিশ্বকাপের এক মরসুমে দ্বিতীয় সর্বাধিক স্ট্রাইকরেট।
পাওয়ার প্লে-তে ৪০১ রান। স্ট্রাইকরেট ১৩৫।
বিরাট কোহলির পর ওডিআই বিশ্বকাপে ২৫০০ এর বেশি রান করা দ্বিতীয় ব্যাটার হলেন রোহিত।


আফ্রিকার পঞ্চম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার নজির গড়তে চলেছে তারা। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই তারা ছিটকে দিল জিম্বাবোয়ের মতো শক্তিশালী দেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে দুটি দেশ চব্বিশের বিশ্বকাপে অংশ নেবে। 


নামিবিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল তারা। প্রথম বার বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল উগান্ডা।
 উগান্ডার ইতিহাস, বড় দলকে ছিটকে দিয়ে বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশ

দুবাই: ইতিহাস গড়ল উগান্ডা। প্রথম বার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করল আফ্রিকার এই দেশ। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। আফ্রিকার পঞ্চম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার নজির গড়তে চলেছে তারা। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই তারা ছিটকে দিল জিম্বাবোয়ের মতো শক্তিশালী দেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে দুটি দেশ চব্বিশের বিশ্বকাপে অংশ নেবে। নামিবিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল তারা। ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে না ক্রিকেটে জিম্বাবোয়ের মতো ঐতিহ্যশালী দেশ। বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।

যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিই জিতেছে উগান্ডা। সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটেছিল কয়েক দিন আগেই। ক্রিকেট মানচিত্রে উগান্ডাকে দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হবে। অন্য দিকে, জিম্বাবোয়ে। সে দেশের ক্রিকেটের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য আছে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছে জিম্বাবোয়ে। ক্রমশ তাদের ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। যদিও ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অনবদ্য পারফর্ম করেও শেষ অবধি টিকিট জোগার করতে পারেনি তারা। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিল নেদারল্যান্ডস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তানজানিয়াকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল উগান্ডা। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য নামিবিয়ার অলরাউন্ডার ডেভিড উইজের অনবদ্য বোলিংয়ের সামনে হার মানতে হয় উগান্ডাকে। ৬ উইকেটে হেরেছিল তারা। এরপর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের অনবদ্য জয়। এরপর তারা হারায় কেনিয়াকে। এ দিন রাওয়ান্ডাকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করল উগান্ডা।


আফ্রিকার পঞ্চম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার নজির গড়তে চলেছে তারা। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই তারা ছিটকে দিল জিম্বাবোয়ের মতো শক্তিশালী দেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে দুটি দেশ চব্বিশের বিশ্বকাপে অংশ নেবে। 


নামিবিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল তারা। প্রথম বার বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল উগান্ডা।
 উগান্ডার ইতিহাস, বড় দলকে ছিটকে দিয়ে বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশ

দুবাই: ইতিহাস গড়ল উগান্ডা। প্রথম বার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করল আফ্রিকার এই দেশ। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। আফ্রিকার পঞ্চম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার নজির গড়তে চলেছে তারা। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই তারা ছিটকে দিল জিম্বাবোয়ের মতো শক্তিশালী দেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে দুটি দেশ চব্বিশের বিশ্বকাপে অংশ নেবে। নামিবিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল তারা। ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে না ক্রিকেটে জিম্বাবোয়ের মতো ঐতিহ্যশালী দেশ। বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।

যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিই জিতেছে উগান্ডা। সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটেছিল কয়েক দিন আগেই। ক্রিকেট মানচিত্রে উগান্ডাকে দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হবে। অন্য দিকে, জিম্বাবোয়ে। সে দেশের ক্রিকেটের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য আছে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছে জিম্বাবোয়ে। ক্রমশ তাদের ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। যদিও ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অনবদ্য পারফর্ম করেও শেষ অবধি টিকিট জোগার করতে পারেনি তারা। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিল নেদারল্যান্ডস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তানজানিয়াকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল উগান্ডা। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য নামিবিয়ার অলরাউন্ডার ডেভিড উইজের অনবদ্য বোলিংয়ের সামনে হার মানতে হয় উগান্ডাকে। ৬ উইকেটে হেরেছিল তারা। এরপর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের অনবদ্য জয়। এরপর তারা হারায় কেনিয়াকে। এ দিন রাওয়ান্ডাকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করল উগান্ডা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন বুধবার। ধর্মতলায় বিজেপির সভা ছিল। একই সময়ে বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়করা। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে দুপুরের পর বিজেপি বিধায়করা সেখানে যান। 

গাড়ি বারান্দায় ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ সেখানেই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় বিজেপি চিৎকার করে এবং জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করে বলে অভিযোগ।

 বিজেপির ১১ বিধায়কের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা
শুভেন্দু অধিকারীরা ধরনায়। বৃহস্পতিবার।

কলকাতা: জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ নিয়ে বুধবারই তপ্ত হয়েছে বিধানসভা। ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হল মামলা। বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষ যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু হয়েছে। তালিকায় আছেন শঙ্কর ঘোষ, মনোজ টিজ্ঞারা। যদিও এ নিয়ে পাল্টা আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

বুধবার শুভেন্দু অধিকারী-সহ মোট ১২ জন বিজেপি নেতার নামে তৃণমূলের পরিষদীয় দল অভিযোগ তোলে। সচিবের কাছে সেই অভিযোগ করা হয়। তারই ভিত্তিতে একটি অভিযোগ হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে শুভেন্দুর নাম কোনও এফআইআরে যুক্ত করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তাই অভিযোগে শুভেন্দুর নাম থাকলেও থানার অভিযোগে তাঁর নাম নেই। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। শুভেন্দুর নাম যুক্ত করার আবেদন জানাতে পারে।

তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের তরফে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার যে লিখিত অভিযোগ জমা করা হয়েছিল, সেই অভিযোগ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট-এ হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা দায়ের হয়। সঙ্গে অন্যান্য অভিযোগও আছে। তালিকায় আছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মালতি রাভা রায়, চন্দনা বাউড়ি, নীলাদ্রিশেখর দানা, মিহির গোস্বামী, মনোজকুমার ওরাওঁ, সুমন কাঞ্জিলাল, দীপক বর্মন, হিরণ, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন বুধবার। ধর্মতলায় বিজেপির সভা ছিল। একই সময়ে বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়করা। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে দুপুরের পর বিজেপি বিধায়করা সেখানে যান। গাড়ি বারান্দায় ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ সেখানেই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় বিজেপি চিৎকার করে এবং জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করে বলে অভিযোগ।

যদিও এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা কোনও ব্যাখ্যা দেব না। আমরা হাইকোর্টে রিট করছি।” পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা একটা ক্রাইম। আমি আশা করব আইন আইনের পথে চলবে। কারণ, আমরা যে কোনও দল করতে পারি। তবে জাতীয় সঙ্গীত, ভারতবর্ষ এবং সংবিধান আমাদের সকলের মাথার উপরে। সেখানে এভাবে জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করা আমরা ধিক্কার জানাই।”

মুখ্যমন্ত্রী গতবছর বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করে যাওয়ার পর চাকরি পেয়েছেন মিহিলালও। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ বগটুইকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলালের। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় আট মাস ধরে তিনি বেতন পাচ্ছেন না।
 মমতার নির্দেশে চাকরি মিলেছিল, BJP করাতেই কি বেতন বন্ধ মিহিলালের?
মিহিলাল শেখ

বীরভূম: বগটুই অগ্নিকাণ্ডের পর তড়িঘড়ি রামপুরহাটে ছুটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি চাকরিও পেয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন মিহিলাল শেখও। মুখ্যমন্ত্রী গতবছর বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করে যাওয়ার পর চাকরি পেয়েছেন মিহিলালও। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ বগটুইকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলালের। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় আট মাস ধরে তিনি বেতন পাচ্ছেন না। আক্ষেপের সুরে বললেন, “বেতন না পাওয়ার কারণে আমি প্রচণ্ড সমস্যায় আছি। আমি টানা ডিউটি করে যাচ্ছি। ডিউটিতে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। কিন্তু বেতন মিলছে না। এই নিয়ে আমি মহকুমাশাসক, জেলাশাসককেও জানিয়েছি।”


প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকেই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল মিহিলালের। বগটুইয়ের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পর চলতি বছরের মার্চে গ্রামে মৃতদের স্মৃতিতে শহিদ বেদী তৈরি হয়েছিল। সেখানে গিয়ে মাল্যদান করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিহিলালের দাবি, সেদিন থেকেই বিরোধী দলনেতা তাঁর প্রতি ভীষণ সহানুভূতিশীল। বিজেপির নীচুতলার কর্মীরাও তাঁর সুবিধা-অসুবিধার খবরাখবর নেন। কিন্তু শাসক দলের কোনও কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না বলেই দাবি মিহিলালের। তাঁর সন্দেহ, “আমি বিজেপি করি বলেই আমার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় লেখালিখি করেও তো কোনও উত্তর পাচ্ছি না বেতন বন্ধের।”

মিহিলালের এই অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে। তিনি অবশ্য এই বিতর্কের মধ্যে ঢুকতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য,”উনি যখন মাইনে পাচ্ছিলেন, তখন কি আমাকে বলেছিলেন যে প্রতি মাসে মাইনে পাচ্ছেন? উনি কী করেন, কে মাইনে দেয়, কে মাইনে দেয় না… জানি না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বুঝে নিক, কথা বলুক।” মিহিলালের বক্তব্য, মার্চ মাসে শুভেন্দু গিয়েছিলেন গ্রামে। তারপর থেকেই তাঁর বেতন বন্ধ। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে অবশ্য সাংসদ বলছেন, “শুভেন্দুকে বলে দিক না (মিহিলাল)। উনি যখন মনে করছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বলে এটা হচ্ছে।”

সাংসদের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বও। বিজেপি বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডলের দাবি, “মিহিলালের কোন দল ভাল লাগবে, কাদের সঙ্গে থাকবে, সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। কেউ কোন দল করবে, কার সঙ্গে যাবে, কার সঙ্গে যাবে না, সেটা বলে দেওয়ার কোনও অধিকার সাংসদের নেই। মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি এসে বিষয়টি ধাপাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মুখ বন্ধ করার জন্য চাকরি দেওয়া হয়েছিল

সিবিআই আধিকারিকরা ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে বিধায়ক দাবি করেছেন, এটি একটি জমি বিক্রির টাকা। 

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরেক বিধায়কের বাড়ি থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার
বিধায়কের বাড়ি থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার



মুর্শিদাবাদ: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার। সিবিআই আধিকারিকরা ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে বিধায়ক দাবি করেছেন, এটি একটি জমি বিক্রির টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের চার জায়গায় এক যোগে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সকাল ৮টা নাগাদ আধিকারিকরা বিধায়কের বাড়িতে যান। জাফিকূলে বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। বিএড , ডিএড, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসিস্ট কলেজ রয়েছে তাঁর নামে। যে সময়ে তল্লাশি চলে, তখন বিধায়ক কলকাতায় ছিলেন। ডোমকল থানার আইসি সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, জাফিকূল ইসলামের টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়েও তল্লাশি চালান আধিকারিকরা।

বেলা গড়াতেই দেখা যায়, সিবিআই-এর একটি বিধায়কের বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। তখনও ভিতরে চলছিল তল্লাশি। এরপর ডাক পড়ে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের। টাকা গোনার মেশিন আনা হয় বিধায়কের বাড়িতে। বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কাছে ভিতর থেকে খবর আসে, বিধায়কের বাড়িতেও মিলেছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। তারপরও কেটে যায় ঘণ্টা দুয়েক। জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিধায়কের বাড়ি থেকে ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে সিবিআই কর্তারা। আর সেই টাকা গুনতেই আনা হয় মেশিন।

যদিও বিধায়ক দাবি করেছেন, তিনি বর্তমানে একটি জমি বিক্রি করেছেন। এই টাকা তারই মূল্য। ২০১৭ সালে ডোমকল পৌরসভায় তৃণমূলের টিকিটে লড়েন জাফিকুল। এরপর ২০১৯ সালে তৃণমূলেরই চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের জায়গা নেন তিনি। এখন যদিও তিনি প্রাক্তন। জানা যাচ্ছে, জাফিকুল ইসলাম প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। তাঁর নামে একাধিক কলেজ থাকার সূত্রেই আলাপ বলে জানা গিয়েছে।

বিশ্বকাপ শেষ করে ফের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। এরপর তাদের গন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে রয়েছে জোড়া সিরিজ। এই সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা হার্দিক পান্ডিয়ার। কিন্তু বিশ্বকাপে চোট পান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ হার্দিকের।


এ বার শোনা যাচ্ছে এই সিরিজে ভারতের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে রোহিত শর্মার হাতে। এই বিষয়ে রোহিতরে রাজি করাতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। গত এক বছর দেশের হয়ে টি-২০ তে খেলেননি রোহিত। বহু জনের হাতে টি-২০ দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্ত ধারাবাহিকভাবে অধিনায়কত্ব করেননি কেউ।

Rohit Sharma: রাহুলের পর এ বার রোহিত, হিটম্যানের হাতে গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছে বোর্ড
রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি

নয়াদিল্লি: রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের হেড স্যার হিসেবে ফের ড্রেসিংরুমে ফিরছেন রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) । তাঁর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023) শেষ হতেই ফের অজিদের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। পাঁচ দিনের টি-২০ সিরিজে অংশ নিয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে পাঁচ ম্যাচের দু’টিতে জয় পেয়েছে ভারত। এই সিরিজ শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাবে মেন ইন ব্লু। সেখানে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জোড়া সিরিজে অংশ নেবে ভারত। হিসেব মতো এই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) । কিন্তু এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন হার্দিক। তবে কার নেতৃত্বে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারত, এই নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। তবে এ বার শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ট্রফির খরা কাটাতে রোহিত শর্মাকে ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়ক করার কথা ভাবছে বিসিসিআই। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।



বিশ্বকাপ শেষ করে ফের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। এরপর তাদের গন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে রয়েছে জোড়া সিরিজ। এই সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা হার্দিক পান্ডিয়ার। কিন্তু বিশ্বকাপে চোট পান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ হার্দিকের। এ বার শোনা যাচ্ছে এই সিরিজে ভারতের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে রোহিত শর্মার হাতে। এই বিষয়ে রোহিতরে রাজি করাতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। গত এক বছর দেশের হয়ে টি-২০ তে খেলেননি রোহিত। বহু জনের হাতে টি-২০ দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্ত ধারাবাহিকভাবে অধিনায়কত্ব করেননি কেউ। সামনের বছর বিশ্বকাপ। হঠাৎ করে এখনই কোচ বা অধিনায়ক পরিবর্তন করতে চাইছে না বোর্ড। সেই দিক থেকে রাহুলকে রাজি করাতে পেরেছে বোর্ড। তেমনই রোহিতকেও রেখে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। রোহিত তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করুক এমনটাই চাইছে বিসিসিআই। এখনই ভিন্ন ফরম্যাট, ভিন্ন অধিনায়কের রাস্তায় হাঁটতে চায় না বোর্ড। তাই রোহিতের হাতেই দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। হয়তো রোহিতকে সামনে রেখে অন্য কাউকে তৈরি করা হতে পারে। তবে ২০২৪ বিশ্বকাপের আগে দলে কোনও রকম পরিবর্তন আনতে চাইছে না ভারত, এমনটাই সূত্রের খবর।


রোহিতের নেতৃত্বে সোনা ফলছে ভারতীয় টিমে। তাঁর অধিনায়কত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ওঠে মেন ইন ব্লু। এ ছাড়া তেইশের বিশ্বকাপে একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস সবটাই হয়েছে রোহিতের অধিনায়কত্বে। তাই পরবর্তী দায়িত্বটাও রোহিতের হাতে তুলে দিয়েই নিশ্চিন্ত হতে চাইছে বোর্ড। আজ,বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা হওয়ার কথা। সেই দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা। অন্যদিকে শোনা গিয়েছে, বিশ্বকাপের ধকল কাটাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অংশ নিচ্ছেন না বিরাট কোহলি। ধীরে-ধীরে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে কি সরছেন কিং? গুঞ্জন বিভিন্ন মহলে।

পুরনো শরিকদের পাশাপাশি আওয়ামি লিগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কিছু নতুন দলও। সেই নতুন দলগুলির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু পুরনো ১৪ শরিককে এখনও ডাকেননি বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। তাই স্বাভাবিকভাবেই সংশয়ে রয়েছে শরিক দলগুলি।

Bangladesh Election 2024: ৪০ বছরের জোটসঙ্গীদের বাদ দিয়ে কি একাই নির্বাচনে লড়বেন শেখ হাসিনা?
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন (ফাইল ছবি)

ঢাকা: দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে, এমনকি যখন ক্ষমতায় ছিল না, সেই সময়ও বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের সঙ্গী ছিল ১৪টি শরিক দল। কিন্তু, ২০২৪-এর নির্বাচনে কি শেখ হাসিনার দল শরিকদের বাদ দিয়ে এক-একাই লড়বে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের তিনশটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ। এর পাশাপাশি সব আসনেই ডামি প্রার্থী দেওয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শরিকদের জেতা আসনগুলিতেও দলীয় প্রার্থী এবং এই ডামি প্রার্থী দেওয়ায় ধোঁয়াশায় পড়েছে শরিক দলগুলি। আসন ভাগাভাগি নিয়ে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মিলছে না তাদের। সকলেই তাকিয়ে বৃহস্পতিবারের দিকেই। এদিনই, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।

শাসক জোটের সবথেকে বড় শরিক দল আওয়ামি লিগ। কিন্তু, শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও পর্যন্ত আলোচনার কোনও উদ্যোগ নেয়নি এশখ হাসিনার দল। তাই স্বাভাবিকভাবেই সংশয়ে রয়েছে শরিক দলগুলি। ১৪ পুরনো শরিকদের পাশাপাশি আওয়ামি লিগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কিছু নতুন দলও। সেই নতুন দলগুলির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু পুরনো ১৪ শরিককে এখনও ডাকেননি বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে বাংলাদেশ সংসদে জোট শরিকদের সাতটি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির রয়েছে তিনটি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ২টি, তরীকত ফেডারেশনের ১টি এবং জাতীয় পার্টির ১টি। পাশাপাশি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বি চৌধুরীর দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশও গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট বেঁধেই নির্বাচনে লড়ছে। বর্তমান সংসদে তাদেরও ২টি আসন রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত, এই দলগুলির কারও সঙ্গেই বৈঠকের উদ্যোগ নেয়নি আওয়ামি লিগ। এই হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে শরিক দলগুলির মধ্যে।

তবে আওয়ামি লিগ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় পার হওয়ার পরই, জোট শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনের আগেই, পরিস্থিতি অনুযায়ী কাকে কোন আসনে ছাড়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশ্য, আওয়ামি লিগের দাবি, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে শরিক দলগুলিকে তারা সমঝোতা হওয়া আসনগুলির বাইরেও, সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছে।

আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘৩০০ আসনেই আওয়ামি লিগের প্রার্থী থাকবে। তবে, আসন সমঝোতা হলে জোট শরিকদের কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে।’ ১৪ জোট শরিক আবশ্য বলছে, আওয়ামি লিগের অবস্থান পরিষ্কার নয়। তারা শরিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে। আসন সমঝোতা নিয়ে তাদের তরফে এখনও পর্যন্ত বসার কোনও উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, “আগে থেকেই সিদ্ধান্ত রয়েছে জোট বেঁধে নির্বাচনে যাবে ১৪ দল। যদিও তা নিয়ে আওয়ামি লিগের উদ্যোগ দেখছি না।” জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “যে কোনও সময়ই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ শরিক দলের বৈঠক হবে। সেখানেই সব বিষয়ে আলোচনা হবে।”

সোমবার বিয়ে, আর মঙ্গলবারই দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন পিয়া। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। ঘণ্টা খানেকের অস্ত্রোপচারে ল্যাপ্রোস্কোপির মাধ্যমে ৪ মিলিমিটারের পাথরটাকে কিডনি থেকে বের করেন চিকিৎসকেরা।

যেহেতু এই ধরনের অস্ত্রোপচারে কাটাকাটি কম, তাই রোগীও তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে ওঠেন। ফলে বুধবারই পিয়াকে বাড়িতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাড়ি ফিরেই পিয়ার মিষ্টি পোস্ট। যে পোস্টে জায়গা পেয়েছে মার্সি বিউকুপ (পপ স্মোকের গান)।

 Hospitalised: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে পরমের সঙ্গে 'কোয়ালিটি টাইম' কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ পিয়ার...
পরম-পিয়া।

ডিজ়াইন করা স্বচ্ছ কাচের ফুলদানিতে সাদা পাঁপড়িওয়াল একগুচ্ছ ফুল। পাশেই ব্লক প্রিন্ট কাপড়ে মোড়ানো রুচিশীল ল্যাম্পশেড। এই দুই সামগ্রীকে সঙ্গে দিচ্ছে প্রেমের বার্তাবহনকারী একটি কার্ড, যাতে আলিঙ্গনরত নারীপুরুষের ছবি আঁকা। বাড়ির কোনও একটি কোণে রাখা টেবিলে একসঙ্গে থাকে এরা। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই সেই কোণটির একটি ছবি পোস্ট করেছেন পিয়া চক্রবর্তী। সেই পিয়া চক্রবর্তী, যাঁকে কেন্দ্র করে এখন আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই নেটপাড়ায়। কেন? কেননা, তিনি গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সঙ্গে দাম্পত্য়ে থাকাকালীন তাঁরই বন্ধু অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক পরমব্রতর সঙ্গে চুপিসারে পরকীয়া করেছেন এবং গত ২৭ নভেম্বর অনাড়ম্বর বিয়েটাও সেরেছেন।

এ হেন পিয়া বিয়ের পরদিনই হাসপাতালের পথেও ছুটেছেন। সেটাও ছিল একটা চমকে দেওয়ার মতোই খবর। কারণ, বিয়ের পরদিন কনে সাধারণত বউভাত অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেন। হাসাপাতালে ছোটেন না। কিন্তু পিয়ার বেলায় তা ঘটেনি। পরমকে বিয়ে করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় পিয়াকে। বিয়ের কয়েকদিন আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন সমাজসেবী-গায়িকা পিয়া। তাঁর কিডনিতে ধরা পড়ে পাথর। নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাই সময় মতো জলটাও খাওয়া হয় না তাঁর। অতএব কিডনিতে জন্ম নেয় পাথর। পরমের সঙ্গে সুখে সংসার করতে যাওয়ার আগে তাই অবাঞ্ছিত পাথরটাকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পিয়া (চিকিৎসকও তাই-ই চেয়েছিলেন)।



 শতবর্ষে প্রয়াত নোবেলজয়ী হেনরি কিসিংগার
হেনরি কিসিংগারই একমাত্র কূটনীতিবিদ যিনি প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সময়কালে মার্কিন বিদেশনীতি তৈরিতে কাজ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একই সময়কালে হোয়াইট হাউসের স্টেট সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর ছিলেন।

 শতবর্ষে প্রয়াত নোবেলজয়ী হেনরি কিসিংগার
হেনরি কিসিংগার

ওয়াশিংটন: প্রয়াত নোবেলজয়ী হেনরি কিসিংগার (Henry Kissinger)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। কনেটিকেটের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। মার্কিন বিদেশ নীতিতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনিই একমাত্র মার্কিন কূটনীতিক, যিনি দুই প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করেছেন। বুধবার কিসিংগার অ্যাসোসিয়েটের তরফেই নোবেলজয়ীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।


নোবেলজয়ীর ফার্মের তরফে বুধবার হেনরি কিসিংগারের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও, কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে বিশদে কিছু জানানো হয়নি।

হেনরি কিসিংগারই একমাত্র কূটনীতিবিদ যিনি প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সময়কালে মার্কিন বিদেশনীতি তৈরিতে কাজ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একই সময়কালে হোয়াইট হাউসের স্টেট সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর ছিলেন। প্যারিস শান্তি চুক্তি, ভিয়েতনাম চুক্তি স্বাক্ষরে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ইজরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলির সম্পর্ক গঠনে এবং আমেরিকা-সোভিয়েত শস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করলেও, ১৯৩৮ সালে তাঁর পরিবার আমেরিকায় চলে আসে। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ইউরোপীয় সেনার সদস্য হয়ে লড়েছিলেন। এরপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

বিতর্ক-
শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেও, তাঁকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক ছিল। ভিয়েতনামে মার্কিন নীতিতে মানবাধিকারকে গুরুত্ব না দেওয়াকে ঘিরে সমালোচিত হয়েছিলেন কিসিংগার। ১৯৬৯ সালে কম্বোডিয়ায় সিক্রেট বম্বিং ও পরবর্তী বছরে মার্কিন অভ্যুত্থানের পিছনে তিনিই ছিলেন।


হামাসের শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসিম নইম জানান, ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ থামাতে জোরকদমে প্রচেষ্টা চলছে। ইজরায়েল যাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ায়, তার জন্য আলোচনা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপটাউনে সফরেই সাংবাদিক বৈঠক করে নইম বলেন, "আমরা সমস্ত ইজরায়েলি সেনাকে মুক্তি দিতে রাজি যদি ওরা আমাদের বন্দিদের ছেড়ে দেয়।"

এবার নতুন শর্ত হামাসের, ইজরায়েলি সেনাদের মুক্ত করতে ফাঁকা করতে হবে জেল
হামাসের হাত থেকে মুক্ত পণবন্দি।

কেপ টাউন: যুদ্ধবিরতি শেষ। তার আগেই নতুন প্রস্তাব হামাসের। যদি জেলবন্দি প্যালেস্তাইনীদের মুক্তি দেয় ইজরায়েল, তবে ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হামাস। বুধবার হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানান, যদি ইজরায়েল তাদের জেলে বন্দি প্যালেস্তাইনীদের মুক্তি দেয়, তবে তার বদলে হামাসও ইজরায়েলি সেনাদের মুক্তি দিতে রাজি।

হামাসের শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসিম নইম জানান, ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ থামাতে জোরকদমে প্রচেষ্টা চলছে। ইজরায়েল যাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ায়, তার জন্য আলোচনা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপটাউনে সফরেই সাংবাদিক বৈঠক করে নইম বলেন, “আমরা সমস্ত ইজরায়েলি সেনাকে মুক্তি দিতে রাজি যদি ওরা আমাদের বন্দিদের ছেড়ে দেয়।”

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস যখন ইজরায়েলের উপরে প্রথম হামলা চালিয়েছিল, তখন প্রায় ২৪০ জন নাগরিককে পণবন্দি বানায়। টানা একমাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর সম্প্রতিই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে। বিগত ছয়দিন ধরে যুদ্ধবিরতির অধীনে একাধিক ইজরায়েলি ও বিদেশি বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। তার বিনিময়ে ১৮০ জন প্যালেস্তাইনী নাগরিক, যারা ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন, তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এখনও অবধি হামাস কোনও ইজরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেয়নি। এবার তাদের মুক্তি দিতেই নতুন শর্ত রাখল হামাস।

অন্যদিকে, ইজরায়েল সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, হামাস পণবন্দি থাকা ১০ মাসের এক শিশু, তাঁর চার বছরের দাদা ও মাকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর আনন্দে আত্মহারা উদ্ধারকারী দলও। উদ্ধারকাজের ম্যারাথন অভিযানের পর আনন্দে নেচে ওঠেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেছেন আন্তর্জাতিক টানেলিং এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিক্স।

SDRF Celebration: ১৭ দিনের তপস্যা, উদ্ধারকাজ শেষের পর নাচ উত্তরকাশীর SDRF-র, পা মেলালেন ত্রাতা আর্নল্ডও
SDRF-র কর্মীদের সঙ্গে নাচ আর্নল্ডের।

উত্তরকাশী: এক প্রকার তপস্যাই বটে। দীর্ঘ ১৭ দিন ধরে উত্তরকাশীতে চলেছে উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার রাতে অবশেষে সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে। সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়েছে সমস্ত শ্রমিককে। বর্তমানে তাঁরা ঋষিকেশের এইমসে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে, শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর আনন্দে আত্মহারা উদ্ধারকারী দলও। উদ্ধারকাজের ম্যারাথন অভিযানের পর আনন্দে নেচে ওঠেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেছেন আন্তর্জাতিক টানেলিং এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিক্স (Arnold Dix)।


এক্স হ্যান্ডেলে আর্নল্ড ডিক্স এসডিআরএফ কর্মীদের নাচের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ভিডিয়োয় এসডিআরএফ কর্মীদের একটি ভেঙে পড়া শুকনো গাছের উপরে দাঁড়িয়ে নাচ করতে দেখা যায়। ভিডিয়োর ক্যাপশনে আর্নল্ড লেখেন, “কখনও ভেবেছেন উদ্ধারকারীদের কী অনুভূতি হয় যখন সকলকে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনলে কেমন অনুভূতি হয়? উত্তরাখণ্ডের এসডিআরএফের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে এই উদযাপনে যোগ দিন।”



অনেকক্ষণ পরে বাড়ি পৌঁছয় ওই দুই শিশু। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আচড়ানো-কামড়ানোর চিহ্ন মিলতেই পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করে। তখনই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, শেষে দুই শিশুকন্য়াকে নামানোর আগে তাঁদের ধর্ষণ করে ওই গাড়িচালক।

Physical Assault: গাড়ির মধ্যেই ২ নার্সারি পড়ুয়াকে 'ধর্ষণ' চালকের, রণক্ষেত্রে পরিণত গ্রাম
প্রতীকী ছবি

পটনা: স্কুল শেষ হয়ে গিয়েছে ঘণ্টাখানেক আগে, এদিকে বাড়ি ফেরেনি খুদে। স্কুলে ফোন করে জানতে পারলেন, অনেকক্ষণ আগেই স্কুল ভ্য়ানে চেপে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল নার্সারির ছাত্রী। তাহলে গেল কোথায় সে? চারিদিকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে যখন অস্থির সকলে, তখনই মিলল খুদে পড়ুয়াকে। তবে রক্তাক্ত অবস্থায়। অভিযোগ, ওই নার্সারি স্কুল পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে স্কুলের ভ্য়ান চালক। পরে জানা যায়, শুধু একজন নয়, দুই পড়ুয়াকে একসঙ্গে ধর্ষণ করে ওই ভ্যান চালক। অভিযুক্ত ভ্য়ান চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুই নার্সারি পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসার পথে ধর্ষণ করে ভ্যান চালক। জানা গিয়েছে, গাড়িতে প্রায় ৮-১০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে রওনা দিয়েছিল ওই চালক। সকলকে নামানোর শেষে ওই দুই খুদে পড়ুয়ার নামার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন।

অনেকক্ষণ পরে বাড়ি পৌঁছয় ওই দুই শিশু। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আচড়ানো-কামড়ানোর চিহ্ন মিলতেই পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করে। তখনই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, শেষে দুই শিশুকন্য়াকে নামানোর আগে তাঁদের ধর্ষণ করে ওই গাড়িচালক।

বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারের সদস্যরা গ্রামবাসীদের নিয়ে চড়াও হয় এবং ওই ভ্যান চালককে ধরে মারধর করে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় স্কুল ভ্যানে। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত বিগত তিন বছর ধরে স্কুলের ভ্যান চালাত। অভিভাবকরাও স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

অন্যদিকে, নির্যাতিত দুই শিশুকন্যার চিকিৎসা চলছে বেগুসরাইয়ের হাসপাতালে।


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের সময় বীরসিংহ গ্রামকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার অঙ্গ হিসাবেই বীরসিংহ গ্রামকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল।

Medinipur: এক বছরেই নিভল আলো! সূর্যি পাটে গেলেই অন্ধকারে ডোবে বিদ্যাসাগরের গ্রাম
অন্ধকারে ডুবে থাকে গ্রাম

মেদিনীপুর: উন্নয়নের আলো মিটল এক মাসেই। আবারও অন্ধকারে ডুবল বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ গ্রাম। বছর তিনেক আগে রাজ্য সরকারের তরফে ঘটা করে পথবাতি চালু করা হয় বীরসিংহ গ্রামে। গোটা গ্রামকে আলোয় মুড়ে দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বছর ঘুরতে না ঘুরতে একের পর এক পথবাতি অকেজো হতে থাকে বলে অভিযোগ। এখন কোনও মতে ধুঁকছে কয়েকটি পথবাতি। বর্তমানে প্রায় অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বীরসিংহ গ্রাম। গ্রামের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আলোই নিভে গিয়েছে। পথবাতি অকেজো হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

একের পর এক পথবাতি যে অকেজো হয়ে পড়েছে, তা স্বীকার করেছেন বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সচিব তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসও। তিনি বলেন, “বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আলো রয়েছে। কিন্তু গ্রামের রাস্তায় বেশ কিছু পথবাতি অকেজো। তাই পথবাতি মেরামতির জন্য একটি আনুমানিক টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের সময় বীরসিংহ গ্রামকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার অঙ্গ হিসাবেই বীরসিংহ গ্রামকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। মোট ৬৬২টি পথবাতি বসানো হয় । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একের পর এক পথবাতি অকেজো হয়ে হতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

তাই বীরসিংহ গ্রামে সন্ধ্যার পর আলো জলে না পথবাতিতে। কোন কোন পথবাতির বাল্ব উদ্ভব হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার স্থানীয় মানুষ ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাল্ব। বর্তমানে ৪৬২ টি পথবাতি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পণ্ডিতের গ্রামে আলোক ফেরাক।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালানোর জন্যই সিবিআই গোয়েন্দারা পৌঁছেছেন সেখানে। আজ সকালবেলা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-এর দু'টি দল বের হয়। দুটি গাড়ি করে তাঁরা পৌঁছয় পাটুলিতে বাপ্পাদিত্যর বাসভবনে।

CBI Raids in Bappaditya Dasgupta's House: পার্থ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্যর বাড়িতে হানা CBI-এর
বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত, তৃণমূল কাউন্সিলর

কলকাতা: বৃহস্পতির সকালে সিবিআই হানা শহরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তর বাড়িতে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালানোর জন্যই সিবিআই গোয়েন্দারা পৌঁছেছেন সেখানে। আজ সকালবেলা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-এর দু’টি দল বের হয়। দুটি গাড়ি করে তাঁরা পৌঁছয় পাটুলিতে বাপ্পাদিত্যর বাসভবনে। গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরাও।

পার্থ-র হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা বাপ্পাদিত্যর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মানসপুত্র বলেই চিহ্নিত করা হয় তাঁকে। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য তিনি। পার্থর গ্রেফতারির পর থেকেই গোয়েন্দাদের র‌্যাডারে ছিলেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপর আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন গোয়েন্দারা। তৃণমূল কাউন্সিলর দাবি করেছেন, সিবিআই-কে সব রকমভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যা যা নথি চাওয়া হবে তা গোয়েন্দাদের দেখানো হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বাড়িতেই রয়েছেন বাপ্পাদিত্য। তাঁর সামনেই প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বিভিন্ন নথি-পত্র ঘেঁটে দেখছেন গোয়েন্দারা।

বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত ছাড়াও বেহালা এলাকার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। যেহেতু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ, তাই শিক্ষদফতরের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও প্রভাব খাটানো হত কি না, টাকার বিনিময়ে কোনও রকম নিয়োগের কথা তিনি জানতেন কি না সবটাই বাপ্পাদিত্যর কাছ থেকে জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা।


উল্লেখ্য, গত বছর পার্থর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রাক্তন মন্ত্রীর এ হেন বিলাস বহুল বাড়ি ও তাঁর ঘর থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলাকে জানিয়েছিলেন, তিনি স্তম্ভিত। জানা যায়, আগে ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড নামে যে সংস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাজ করতেন, সেই সংস্থাতেই এইচআর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বাপ্পাদিত্য। সেখান থেকেই আলাপ। পার্থ-র কাছ থেকে কাজ শিখেছেন বলেও জানান কাউন্সিলর। এরপর বয়সে অনেকটাই বড় পার্থ-র হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর। কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই ‘মেন্টর’ হিসেবে মানতেন তিনি। এই তৃণমূল কাউন্সিলর তৎকালীন সময়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাদার। তাই এই ঘটনায় তাঁর গোটা পরিবারই স্তম্ভিত


 এ দিকে, কলকাতায় কুড়ি ডিগ্রির উপরে চড়ল পারদ। আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ। রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। কমবে দিনের তাপমাত্রা। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৯ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯৩ শতাংশ।

Weather Update: সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন, চোখ রাঙাবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম?
আবার ঘূর্ণিঝড়

কলকাতা: ডিসেম্বর পড়েছে। তবে ঠান্ডা কোথায়? এর মধ্যে আবার নিম্নচাপের পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে কুড়ি ডিগ্রির উপরে। পশ্চিমের জেলাতেও তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকবে। আগামী পাঁচ সাতদিনে আপাতত শীতের আমেজ বাড়বে না।


আবার ঘূর্ণিঝড়?

আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। শনিবার সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যার নাম মিগজাউম। নামটি দিয়েছে মায়ানমারের দেওয়া। এর অভিমুখ থাকতে পারে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করলেও করতে পারে।

জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে বাংলাদেশে মূলত আছড়ে পড়তে পারে। তবে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকেও ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা।

সপ্তাহন্তে আবহাওয়ার বদল ঘটতে পারে উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে। মেঘলা আকাশে ঢেকে থাকতে পারে এলাকা। শীতের পথে আপাতত কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। শুধুমাত্র সকাল এবং সন্ধ্যেতে শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

এ দিকে, কলকাতায় কুড়ি ডিগ্রির উপরে চড়ল পারদ। আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ। রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। কমবে দিনের তাপমাত্রা। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৯ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯৩ শতাংশ।

সপ্তাহের শেষের দিকে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি। পার্বত্য এলাকা ছাড়া আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ।উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে একই রকম পরিবেশ শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও চার-পাঁচ দিন।

শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা বলি বা না বলি, মানুষের একটা ধারনাই তৈরি হয়ে গিয়েছে যে এভাবে আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।" সারা দেশ জুড়েই এমন ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

 নারদ মামলায় আদালতে হাজির শোভন, মদন, ববি
হাজির হলেন শোভন-ফিরহাদ-মদন

কলকাতা: সবটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। মামলার ৭ বছর পরও এমনটাই বলছেন তিন অভিযুক্ত নেতা। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনজনের গলাতেই এদিন ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব শোনা যায়। নারদ স্টিং অপারেশন মামলায় ২০২১ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের। গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াত নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পেলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাজিরা দিতে হয় তাঁদের।


শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বলি বা না বলি, মানুষের একটা ধারনাই তৈরি হয়ে গিয়েছে যে এভাবে আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।” সারা দেশ জুড়েই এমন ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই কথা শোনা যায় ববি হাকিমের গলাতেও। তাঁর দাবি, কোনও প্রমাণ ছাড়াই দিনের পর দিন তদন্ত চলছে।


নারদ স্টিং মামলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, নগদ টাকা নিচ্ছেন ওই নেতারা। এরপরই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর আচমকা তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলেও কাটাতে হয় তাঁদের।



শুধু তাই নয় কয়েক মাস আগে, সরকারি খাস জায়গায় বাড়ি করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতা। যেই ঘটনার পর থেকে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা

খবর করতেই চোখের জল সার্থক হল শাহজানের স্ত্রীর
পাট্টার জমি দখল করে রাখার অভিযোগ

মেদিনীপুর: খবরের জের। ১২ বছর পর পাট্টা পাওয়ার জমি দখল পেল দরিদ্র পরিবার। চন্দ্রকোণায় এক দরিদ্র পরিবারের পাট্টা পাওয়া রেকর্ড ভুক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। TV9 বাংলায় সেই খবর সম্প্রচারিত হয়। পরিবারেরই দাবি, এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনে আধিকারিকরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান গায়েন। তিনি লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেই একটি সরকারি ক্যানেল পাড়ের জায়গায় বাস করতেন। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয় শাহজাহানের। বর্তমানে শাজাহানের স্ত্রী বেলা বিবির ও তাঁর দুই সন্তান সেই বাড়িতে থাকেন। তাঁদের দাবি, কয়েক বছর আগে সরকারিভাবে ৫ শতক কৃষিজমি পাট্টা পেয়েছেন, সেই জায়গার রেকর্ড পর্যন্ত করে নিয়েছেন তাঁরা। সেই জমিই জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আনোয়ার মল্লিক।

শুধু তাই নয় কয়েক মাস আগে, সরকারি খাস জায়গায় বাড়ি করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতা। যেই ঘটনার পর থেকে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। শাহজাহানের স্ত্রীর দাবি, এর আগে সুবিচার চেয়ে স্থানীয় শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি কোন সুরাহা। সকলেই শুধু দিয়েছেন আশ্বাস। কিন্তু চিড়ে ভেজেনি তাতে।

জমি দখলের কথা পক্ষান্তরে স্বীকারও করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনোয়ার মল্লিক। তাঁর দাবি, ” ওরা পাট্টা পেয়েছে সঠিক কথা, কিন্তু দলে আলোচনা করার পরেই ওদের জমি তুলে দেওয়া হবে।” তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে যান তিনি। তাঁর যুক্তি, ‘টাকা যে নিয়েছি, তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে ওরা।’

এই খবর সম্প্রচারিত করা হয়। আর তা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বাড়িতে চলে যান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা হাজরা। তিনি শাহজাহানের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে আসেন। আজ, সেই জায়গাতেই শাহজাহানের পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আজ চোখে জল শাহজাহানের স্ত্রীর। তিনি বললেন, “আমার এতদিনের লড়াই স্বার্থক। মাথার গোঁজার একটা ঠিকানা তৈরি হল। অনেক কসরত করতে হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছিল, রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর আরটিআই-তে জানা গিয়েছিল, রাজ্যে কত রেশন কার্ড আছে, কোন ক্যাটেগরির উপভোক্তারা কী পান, রাজ্য সরকার মাসে বা সপ্তাহে কোন কার্ডে কতটা খরচ করে সে বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি ক্যাগ-কে।

'রাজ্য সরকারের উচিত CAG-কে সব তথ্য দেওয়া', বার্তা রাজ্যপালের
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

কলকাতা: বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকার ক্যাগ-কে যথেষ্ট তথ্য দেয় না। এমন অভিযোগ সামনে এসেছে একাধিকবার। এবার নাম না করে রাজ্য সরকারকে ক্যাগ-এর প্রয়োজনীয়তা বোঝালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সিএজি অফিসে গিয়ে তিনি বলেন, “ক্যাগের কাজকে স্বাগত জানানো উচিত। প্রত্যেক প্রশাসনের নৈতিক কর্তব্য হওয়া উচিত।” প্রত্যেক রাজ্যের সরকার যাতে ক্যাগের কাজকে গুরুত্ব দেয়, সেই বার্তাই দিয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবার অডিট দিবস উপলক্ষে কলকাতার ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিট জেনারেল’-এর অফিসে উপস্থিত হয়ে এভাবেই অডিটরদের কাজের বর্ণনা করেন রাজ্যপাল।


রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আগেই তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর আরটিআই-তে জানা গিয়েছিল, রাজ্যে কত রেশন কার্ড আছে, কোন ক্যাটেগরির উপভোক্তারা কী পান, রাজ্য সরকার মাসে বা সপ্তাহে কোন কার্ডে কতটা খরচ করে সে বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি ক্যাগ-কে।

রাজ্যপাল এদিন বলেন, সিএজি সর্বদা সত্য তথ্য তুলে ধরে। কে দোষী, কে দোষী নয়, তা সিএজি-র অডিটররা বের করে আনেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, অর্থ কোথায় ব্যয় হচ্ছে, তা সঠিকভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সিএজি-কে তথ্য দেওয়া উচিত। কারণ তারা বেহিসেবি খরচ নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করে, কে দোষী তা খুঁজে বের করতে পারেন একমাত্র অডিটররা।


রাজ্যপাল আরও বলেন, “অডিটরদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।” তাঁর মতে, মানুষের কষ্টের উপার্জন করা অর্থ কোথায় খরচ হচ্ছে, সেই হিসেব রাখা খুবই জরুরি।

শুধু মাত্র দেবরাজ কিংবা বাপ্পাদিত্য নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার শহরের চার থেকে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে

CBI Raid: বৃহস্পতিতে তুঙ্গে CBI, বিধায়ক-সহ অদিতি মুন্সির স্বামীর বাড়িতেও হানা
বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী ও ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে লক্ষ্মীবারে আবারও তেড়েফুঁড়ে উঠল সিবিআই। বুধবার একটি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের পরদিনই সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে। অদিতি মুন্সীর স্বামী বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী , কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতকের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে।


বিধাননগরে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিধাননগরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই তদন্তকারীরা হানা দেন। জানা যাচ্ছে, তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তল্লাশি চলছে পাটুলিতে কলকাতা পুরনিগমের মুখ্যসচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে।

শুধু মাত্র দেবরাজ কিংবা বাপ্পাদিত্য নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার শহরের চার থেকে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়েই চলছে তল্লাশি।

দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে এই মুহূ্র্তে একজন ডিএসপি ইন্সপেক্টর-সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক রয়েছেন। জেলাতেও চলছে তল্লাশি। মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় কুলি চৌরাস্তার মোড়ে ঝান্টু নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, তাঁর বেসরকারি স্কুল ও কলেজ রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তকারীদের হাতে প্রমাণ এসেছে।

তল্লাশি চলছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও।তিনি প্রাক্তন ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান। বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে জাফিকুল ইসলামের । বিএড , ডিএড, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসিস্ট কলেজ রয়েছে তাঁর নামে।

প্রসঙ্গত, বুধবারই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে নবম দশম নিয়োগ মামলায় বর্তমানে জেল হেফাজতেই রয়েছেন কল্যাণময়। কিন্তু একটি সুনির্দিষ্ট মামলাতে জামনের পরই দেখা গেল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও তৎপর সিবিআই। একযোগ, রাজ্যের একাধিক জেলায় চলছে তল্লাশি।


তৃণমূলেরই ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, স্ত্রী বিধায়ক হলেও, রাজনৈতিকগত ভাবে দেবরাজের 'কেরিয়ার' অনেক বেশি ঘটনাবহুল। দেবরাজ চক্রবর্তীর উত্থানের ইতিহাস যথেষ্ট চমকপ্রদ। একসময়ে তিনি শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু

Pজেল খাটা-দলবদল থেকে শাসকদলের শীর্ষস্তরের 'কাছের লোক'! কীভাবে উত্থান অদিতি মুন্সীর স্বামীর?
দেবরাজ চক্রবর্তী

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধাননগর পুরনিগমের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে চলছে সিবিআই তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই-এর বিশেষ প্রতিনিধি দল দেবরাজের রাজারহাট রোডের বাড়িতে হানা দেয়। এই বাড়িতেই থাকেন তাঁর স্ত্রী রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বিধায়ক অদিতি মুন্সীও। এই মুহূর্তে বাড়ির বাইরে মোতায়েন রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ভিতরে চলছে তল্লাশি। তিন তলা বাড়ির একেবারে নীচের তলায় গ্যারেজের পাশেই কাউন্সিলরের অফিস ঘর। দরজার বাইরে লাগানো তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।


তৃণমূলেরই ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, স্ত্রী বিধায়ক হলেও, রাজনৈতিকগত ভাবে দেবরাজের ‘কেরিয়ার’ অনেক বেশি ঘটনাবহুল। দেবরাজ চক্রবর্তীর উত্থানের ইতিহাস যথেষ্ট চমকপ্রদ। একসময়ে তিনি শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু। পরবর্তীকালে পূর্ণেন্দু বসুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কারণ সে সময়ে তৃণমূলের টিকিটে তিনি ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি। সে সময়ে তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।২০১৩ সালে বিধাননগর পুরনিগমে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। নির্বাচনের দিনই অবশ্য নির্বাচনী হিংসার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর জেল হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তৃৃণমূলে যোগ দেন।

দ্বিতীয়বার তিনি ওই এলাকাতেই তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। কাউন্সিলর হওয়ার পর তিনি বিয়ে করেন অদিতি মুন্সীকে। ২০২১ সালে বিধায়কের টিকিট পান অদিতি মুন্সী। তৃণমূল অন্দরের খবর, দলেরই শীর্ষ স্তরের এক অতি প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ দেবরাজ। এমনকি ওই প্রভাবশালী নেতাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ডাকা হলে, তাঁর গাড়িতেও দেখা যায় দেবরাজকে।


সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘চেইন’ ধরেই দেবরাজের বাড়িতে তল্লাশি করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁরা আসলে জানতে চাইছেন, ‘ফাইনাল বেনিফিশিয়ারি’র নামটা। অর্থাৎ কার কাছে শেষ দুর্নীতির টাকাটা পৌঁছেছিল। সেই সূত্রেই চলছে তল্লাশি।

এক ঝলকে দেখে নিন দেবরাজের উত্থান

১. ২০১৩ তে রাজারহাট নিউ টাউন এর একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুন্য হয়ে পড়ে।

২. তখন দেবরাজ ছিলেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক।

৩. দেবরাজ তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাওয়ার আবদার জুড়ে দেন।

৪. এতে সায় ছিল না মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর।

৫. দল ও টিকিট দেয়নি দেবরাজকে।

৬. তারপর আসে ২০১৩ পুরভোট।

৭. ততদিনে রাজারহাট নিউ টাউন বিধাননগর পুরনিগমের অধীনে।

৮. দেবরাজ ফের টিকিট পাওয়ার দাবি জানান।

৯. সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

১০. কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান দেবরাজ।

১১. নির্বাচনের দিনই এলাকায় গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দেবরাজকে।

১২, দেবরাজ ভীষণভাবে চেয়েছিলেন তৃণমূলের অন্দরে জায়গা করে নিতে।

১৩. ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই দল বদল করে তৃণমূলে ভিড়ে যান দেবরাজ।

১৪. তিনি তৃণমূলের এক শীর্ষস্তরের নেতার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

১৫. ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণেন্দু বসুর জায়গায় বিধানসভা ভোটের টিকিট পান দেবরাজের স্ত্রী অদিতি মুন্সি।

১৬. ক্রমে দলের যুব সংগঠনেও উত্থান হয় দেবরাজের।

রাজারহাটের বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে দেবরাজ বলেন, " সিবিআই আধিকারিকরা এসেছিলেন। তাঁরা একটি তদন্তের স্বার্থে আসেন। কোর্টের অর্ডারে এই রেইড হয়েছে। আমার আরেকটা রেসিডেন্স রয়েছে। সেখানে আমি যাচ্ছি।"

বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠলেন অদিতি মুন্সীর স্বামী, সঙ্গে CBI! দেবরাজ যাওয়ার আগে বললেন...
গাড়িতে দেবরাজ চক্রবর্তী

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সকাল থেকেই বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাট রোডের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশির মাঝেই বেলা ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবরাজকে। সঙ্গেই ছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। গাড়িতে তোলা হয় দেবরাজকে। তাঁর আরও একটি বাড়ি রয়েছে, সেখানেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে নিজেই জানান দেবরাজ। রাজারহাটের বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে দেবরাজ বলেন, ” সিবিআই আধিকারিকরা এসেছিলেন। তাঁরা একটি তদন্তের স্বার্থে আসেন। কোর্টের অর্ডারে এই রেইড হয়েছে। আমার আরেকটা রেসিডেন্স রয়েছে। সেখানে আমি যাচ্ছি।”




মহেশতলার সন্তোষপুরে এক বাড়িতে মধুচক্র চালানো‌কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, গ্রেপ্তার বাড়ির মালিক 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মহেশতলা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর হাজী পড়ার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক মোল্লার বাড়িতে রমরমিয়ে চলতে দেহ ব্যবসা। 

 স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয়রা লক্ষ্য করে বহু অপরিচিত ছেলেরা যাতায়াত করছে ওই বাড়িতে এই বিষয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে নানান কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়ার ও অভিযোগ উঠে আসে। 

অবশেষে মঙ্গলবার রাতে দুটি অপরিচিত ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের অভিযোগ নাবালিকা মেয়েদের দিয়েই চলত মধুচক্রের কারবার। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিঞ্জিরা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে 
ওই ঘর থেকে ২ নাবালিকাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করায় উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায় ফলে পুলিশ দুই নাবালিকা মেয়েকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয় 


এরপরে পুলিশ ঘরের মালিক কে আটক করে নিয়ে যাবার সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে।

স্টাফ রপোর্টার তপন কুমার দাস




এডিএম সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেলেন ২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুুতি,

২৯ শে নভেম্বর বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা ২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের প্রস্তুুতি খতিয়ে দেখেন,
এদিন উপস্থিত ছিলেন
 এডিএম G অনীশ দাশগুপ্ত, এডিএম LA হরসিমরন সিং,এডিএম ZP সৌমন পাল,সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রয়,সাগরের এসডিপিও দীপাঞ্জন চ্যাটার্জী, GBDA এর EO নীলাঞ্জন তরফদার, সাগর থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারী শুভেন্দু দাস, গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারী বাপি রায়,
এদিন ২০২৪ এর গঙ্গাসাগরের মেলা মাঠের অবস্থা এবং মেলার চলমান কাজ পর্যালোচনা করেন,এবং মেলা চলাকালীন স্থায়ী পুলিশ সদর দপ্তর,১নং স্নানের ঘাট থেকে শুরু করে সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত চলমান কাজ ঘুরে দেখেন এডিএম সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা,৬ নভেম্বর জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুুতির বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে একটি বৈঠক করেছিলেন। এবারের মেলায় অনেক পরিবর্তন দেখা যাবে গঙ্গাসাগর মেলায় কুয়াশার কারণে মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল চলাচলের সমস্যার জন্য এবার বিশেষ কুয়াশা আলোর ব্যবস্থা থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল


প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেদিনও শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে অল আউট অ্য়াটাকে নামতে দেখা যায় মমতাকে। সাফ বলেন, “বদলা নিতে হবে। বদলা মানে রাজনৈতিক বদলা।”

Amit Shah: মমতার পর কলকাতায় এসে বদলার কথা অমিত শাহের মুখে, কিন্তু কিসের?
মমতাকে আক্রমণ শাহের

কলকাতা: কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যরা এখনও চক্কর কাটছেন আদালতের দুয়ারে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির বাড়িতেই খুন হন অভিজিৎ। শুধু অভিজিৎ নন, পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ভোটের হিংসায় তৃণমূলের হাতে বলি হয়েছেন এরকমই শত শত অভিজিৎ। পঞ্চায়েত ভোটেও ছবিটা বিশেষ বদলায়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। এবার কলকাতায় এসে এই ইস্যুতে আরও একবার সোচ্চার হতে দেখা গেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে। তাঁর গলায় শোনা গেল বদলার কথা। বিজেপি কর্মীদের হত্যা নিয়ে নতুন করে হলেন সরব। তাঁর সাফ দাবি, বদলার ছবি দেখা যাবে ২০২৬ সালেই। 

এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চে উঠে শুরু থেকেই রণংদেহি মেজাজে দেখা যায় অমিত শাহকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “বিজেপি কর্মকর্তাদের হত্যা হয়েছে। গোটা দেশের বিজেপি কর্মী, বাংলার বিজেপি কর্মীরা এর বদলা নেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছেন। দিদি এই কথা মনে রাখবেন। ২০২৬ সালে যখন নির্বাচন হবে তখন বুঝতে পারবেন রাজৈনতিক হত্যার বদলা কীভাবে ভোট দিয়ে নেওয়া হবে।”




আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লিগের হয়ে লড়বেন সাকিব আল হাসান। এ বার মনোনয়ন পেয়ে এই প্রথম নিজ জেলা মাগুড়ায় গেলেন তিনি । লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হন। বিশাল একটি গাড়ী বহর নিয়ে নিজের শহরে প্রবেশ করেন সাকিব। 

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও স্থানীয় স্তরের নেতাকর্মীরা। সাংসদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র পেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিবের।

রাজনীতির ময়দানে সাকিব, ঘরের ছেলেকে কাছে পেয়ে খুশি মাগুড়াবাসী
সাকিব আল হাসান
Image Credit source: ছবি: রাজীব খান

ঢাকা: ক্রিকেটের পাশাপাশি এ বার রাজনীতির ময়দানে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) । বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লিগের হয়ে লড়বেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন নিয়ে নিজ এলাকায় মাগুড়াতে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার। সেখানে লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সাকিব। তাঁকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।বিশাল একটি গাড়ি বহর নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন তিনি। সাকিবের কর্মসূচীতে হাজির লিখেছেন জেলা ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সাকিবকে কাছে পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।

আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লিগের হয়ে লড়বেন সাকিব আল হাসান। এ বার মনোনয়ন পেয়ে এই প্রথম নিজ জেলা মাগুড়ায় গেলেন তিনি । লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হন। বিশাল একটি গাড়ী বহর নিয়ে নিজের শহরে প্রবেশ করেন সাকিব। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও স্থানীয় স্তরের নেতাকর্মীরা। সাংসদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র পেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিবের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগের পক্ষ থেকে নিজ জন্মভূমি মাগুড়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। নিজের শহরে পৌঁছালতে ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেয় মাগুড়াবাসী। ঘরের ছেলেকে অন্যভাবে পেয়ে খুশি তারাও।

মাগুড়ায় পৌঁছে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সামনে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রথম বক্তব্য রাখেন সাকিব। তিনি বলেন, “১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি, অনেক সংবর্ধনাও পেয়েছি। কিন্তু এ বার যা পেলাম এর চেয়ে বড় কিছু আগে কখনও পাইনি।” বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে স্বরণ করে বক্তব্য শুরু করে সাকিব বলেন, “আপনারা সবাই জানেন সাইফুজ্জামান শিখর ভাই মাগুড়া-১ আসনে কতো ভালো কাজ করেছেন। এখানে যদিও আমি মনোনয়ন পেলেও, আসলে এটা তাঁরই আসন। আমরা দু’জনে মিলে একসঙ্গে কাজ করবো। তিনি মাগুড়াকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। নির্বাচিত হলে আমরা দু’জন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনের পাঁচ বছরে মাগুড়াকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।”

এখানেই শেষ নয়, মাগুড়া জেলা আওয়ামী লিগের সভাপতির নাম উল্লেখ করে সাকিব বলেন, “তাঁরা আমাদের অভিভাবক। তাXরা আমাকে শেখাবেন। আমি এখানে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাঁরা এখানে পিএইচডি করে ফেলেছেন। তাঁরাই আমায় পথ দেখাবেন। তাঁদের পরামর্শ মতোই এগিয়ে যাবো।”