December 2022

রিয়েলিটি শো-তে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

  টিভি চ্যানেলের রিয়েলিটি শো’তে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ। গ্রেফতার ২। গ্রেফতার করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসে রাজারহাট থানায় ওই টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বলা হয়, তাদের চ্যানেলের নাম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে, চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করে ও রিয়েলিটি শো’তে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে একাধিক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এমনকি রিয়েলিটি শো-তে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। একাধিক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তাদের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট হয়।



এরপরই রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের পর তদন্তে নামে রাজারহাট থানার পুলিশ। বুধবার রাতে ব্যারাকপুর ন’পাড়া ও জগদ্দল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শ্রেয়সী চক্রবর্তী ও সৌগত সাহা। ধৃতদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের পাস বুক-সহ বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর,মূলত ডিজিটাল প্লাটফর্মকেই বেছে নিতেন তাঁরা। আজ তাদেরকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানাবে রাজারহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে এই প্রতারণা চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা, কত জনের কাছ থেকে তাঁরা কত টাকার প্রতারণা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মূলত তরুণ সমাজকেই তাঁরা টার্গেট করতেন। তাঁদের রিয়েলিটি শোতে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাতেন। আর যাঁরা সেই ফাঁদে পা দিতেন, তাঁদের কাছ থেকেই টাকা চাওয়া হত বলে অভিযোগ।

বিশ্বকাপে তাঁর দেশ যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায়, তিনি কাতারে খেলতে পারেননি ঠিকই, তবে ইপিএল ফের চালু হতেই গোল করেছেন হালান্ড।

বিশ্বকাপের জন্য দীর্ঘদিন বিরতি ছিল ক্লাব ফুটবলের লিগগুলিতে। কাতার বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শেষ হতেই ক্লাব ফুটবলের একাধিক লিগ শুরু হয়ে গিয়েছে। লিডস ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে বুধবার গভীর রাতে ইপিএলের ম্যাচে নেমেছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City)। ৩-১ ব্যবধানে লিডস ইউনাইটেডকে হারিয়েছে পেপ গুয়ার্দিওলার ছেলেরা। ম্যান সিটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন নরওয়ের তারকা ফুটবলার আর্লিং হালান্ড (Erling Haaland)। অপর একটি গোল রড্রির। কাতার বিশ্বকাপের সময়টা ঘরেই কেটেছে হালান্ডের। নরওয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। যে কারণে, কাতারে যাওয়া হয়নি হালান্ডের। বাড়িতে বসে, টেলিভিশনেই বিশ্বকাপে চোখ রেখেছিলেন হালান্ড। বিশ্বকাপে খেলতে না পারার অনুভূতি কেমন হয়েছে হালান্ডের? জেনে নিন 

বিশ্বকাপে তাঁর দেশ যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায়, তিনি কাতারে খেলতে পারেননি ঠিকই, তবে ইপিএল ফের চালু হতেই গোল করেছেন হালান্ড। প্রসঙ্গত, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিমধ্যেই ম্যাঞ্চেস্টার সিটির জার্সিতে ১৪টি ম্যাচে ২০টি গোল করে ফেলেছেন আর্লিং হালান্ড। যা ইতিমধ্যেই রেকর্ড। তিনি ইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার যিনি মাত্র ১৪ ম্যাচে ২০টি গোল করার রেকর্ড গড়লেন। গত সপ্তাহে, কারাবাও কাপের ম্যাচে লিভারপুলের বিরুদ্ধেও তিনি গোল করেছিলেন। ধারাবাহিকভাবে গোল করা দারুণ রপ্ত করেছেন হালান্ড। তবে বিশ্বকাপে না খেলতে পারার একটা আক্ষেপ তাঁর রয়েছেই।

তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে না খেলে, বাড়িতে বসে থেকে তা দেখেছি। এর জন্য কেমন পাগল পাগল লেগেছে। আমি আমার নিজের বাড়িতে বিশ্বকাপের ধারাভাষ্য দিতাম। যদিও সেখানে কেউ আমার কথা শুনত না।” হালান্ড জানান, তিনি বিশ্বকাপে বাকিদের গোল করতে দেখে নিজেকে আরও বেশি গোল করার জন্য চার্জড আপ করেছেন। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে অন্যদের গোল করতে দেখে আমি এক প্রকার আমার ব্যাটারি রিচার্জ করেছি। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আমাকে একদিকে যেমন অনুপ্রাণিত করেছে, তেমনই আমি বিরক্তও হয়েছি। আমি গোল করার জন্য আগের থেকে আরও বেশি ক্ষুধার্ত।”

২২ বছরের হালান্ড দেশের জার্সিতে সিনিয়র পর্যায়ে এখনও অবধি ২৩টি ম্যাচে ২১টি গোল করেছেন। এদিকে ম্যান সিটির হয়ে ১৪টি ম্যাচেই ২০ গোল করে ফেলেছেন হালান্ড। ইপিএলের লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ম্যান সিটি। লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। সিটির থেকে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে আর্সেনাল। লিডসকে হারানোর পর, হালান্ড বলেন, “আমরা যে জিতেছি, এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এখন। আর্সেনাল এখন লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু আমরা ওদের টেক্কা দেওয়ার জন্য তৈরি আছি। তাই এই জয়টার জন্য আমি বেশ খুশি।”

গয়া পুলিশ সন্দেহভাজন চিনা মহিলার স্কেচ প্রকাশ করেছে। পুলিশ ওই মহিলার পাসপোর্ট নম্বরও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে।

বিহারের বুদ্ধগয়ায় রয়েছেন তিব্বতী ধর্মগুরু দলাই লামা। তা ঘিরে ইতিমধ্যেই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দলাই লামার জীবন সংশয়ের বিষয়টি প্রায়শই উদ্বেগ তৈরি হয়। বুদ্ধগয়ায় এসে সেই অবস্থা জারি রইল। লামাকে খুন করতে পারেন চিনা মহিলা। এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গয়া পুলিশ। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন এক চিনা মহিলার স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে লামার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই মহিলা গয়াতেই ছিলেন বছর খানেক। কিন্তু এখন তাঁর খোঁজ মিলছে না। পুলিশের সন্দেহ ওই মহিরা চিনের চর হতে পারেন। লামার নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারতের পুলিশ। ভারত-চিনের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা রয়েইছে। সেই সঙ্গে তিব্বত ছেড়ে দীর্ঘদিন ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন লামা। ভারতে বসে লামার চিনবিরোধিতা নিয়ে বেজিংয়ের ক্ষোভও পুরনো। তাই বেজিংয়ের ছোবল থেকে লামাকে রক্ষা করতে সতর্ক থাকতে হয় ভারতের পুলিশকে।


ইতিমধ্যেই গয়া পুলিশ সন্দেহভাজন চিনা মহিলার স্কেচ প্রকাশ করেছে। পুলিশ ওই মহিলার পাসপোর্ট নম্বরও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুবছর গয়াতেই থাকছিলেন ওই মহিলা। পুলিশের কাছেও সেই খবর ছিল। তাঁকে ঘিরে বেশ কিছু সন্দেহ দানা বেঁধেছে পুলিশের মনে। কিন্তু এখন তাঁর খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য খোঁজা হচ্ছে তাঁকে।

শাহরুখের শেষকৃত্য পালনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।


পাঠান’ ছবিটি মুক্তি পায়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু তাতে কী! মুক্তির আগেই ছবিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। সেই বিতর্কের অন্যতম কারণ ‘বেশরম রং’ গানটি। যেখানে স্বল্প গেরুয়া বসনে পারফর্ম করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। শাহরুখের সঙ্গে অন-স্ক্রিন রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কেন এত স্বল্প বসন, কেন সেই স্বল্প বসনে গেরুয়া রঙের ব্যবহার, কেন এত ঘনিষ্ঠতা, তা নিয়ে নানা মহলে নানা আলোচনা চলছেই। কিন্তু সবের মধ্যে যে ঘটনাটি শিরোনাম দখল করে নিয়েছে, তা হল ভোপালে শাহরুখের শেষকৃত্য পালন। কিং খানের ‘লাস্ট রাইটস’ পালন করেছেন অযোধ্যার জগৎগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজ। গত সপ্তাহে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, শাহরুখকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেবেন। এবং এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানাবেন ‘পাঠান’ ছবিতে ব্যবহৃত ‘বেশরম রং’ গানের। শাহরুখের শেষকৃত্য পালনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, আচার্য মহারাজ শাহরুখের ছবির সামনে একটি ঘট ধরে রয়েছেন। তারপর তিনি সেই ঘটটি মাটিতে ছুড়ে ফেলছেন এবং মন্ত্র উচ্চারণ করছেন।

গত সপ্তাহে অযোধ্যার আচার্য মহারাজ শাহরুখকে ‘জেহাদি’ বলে দেগেছিলেন। এবং বলেছিলেন তিনি তাঁকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেবেন। এমন হুমকি দিয়ে তিনি শাহরুখের পুত্তলি পুড়িয়েছিলেন।

কেবল সেখানেই থেমে থাকেননি আচার্য মহারাজ। হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করে পয়সা রোজগারের করছেন শাহরুখ, গেরুয়া রঙের অপমান করছেন – তাও বলেছেন। ইউটিউবে এই ধরনের কনটেন্টকে পোস্ট করে যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁদের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি।

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রয়াত রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর আজ হাসপাতালেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি।



সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতায় গলব্লাডার অপারেশন হয় সুব্রতবাবুর। তবে বুধবার সকালেই সুস্থ হয়ে মুর্শিদাবাদ ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু রাত্রিবেলা পুনরায় অসুস্থ বোধ করেন। এরপরই তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তারপর আজ সকাল ১০টা ৪০ নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি।

মন্ত্রীর এ হেন আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে, ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশল পাহাড়ে সময় কাটিয়েছেন, যে মুহূর্তগুলিও তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

নতুন বছর সেলিব্রেশনে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কইফ। এই জুটি যে ঘুরতে বেড়াতে বেশ পছন্দ করেন তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিয়ের পরই তাঁদের দেখা গিয়েছিল মলদ্বীপ ভ্রমণে। তারপর বেশ কিছুটা কাজ মিটিয়ে আবারও বিবাহবার্ষিকীতে এই জুটি পাড়ি দিয়েছিলেন পাহাড়ে। এবার বর্ষবরণের পালা। বর্তমানে বিটাউনের এই জুটি ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশল রাজস্থানে ছুটি কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে, ক্যাটরিনা কাইফ, ভিকি কৌশলের সঙ্গে ছুটির মেজাজে হলেন ফ্রেমবন্দি। সেখান থেকেই অনবদ্য ফ্রেমে ছবি শেয়ার করেছেন তাঁরা। তিনি পোস্টটির ক্যাপশনে লিখেছেন: “ম্যাজিক্যাল… আমি মনে করি আমার প্রিয় জায়গাগুলির মধ্যে এক একটি।”

ভিকি কৌশলও জঙ্গল সাফারি থেকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি তাঁর ভ্যাকশন ট্রিপ থেকে বেশ কিছু উজ্জ্বল করা ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি সেই পোস্টটির ক্যাপশন দিয়েছেন ভিকি: “২০২৩ সালে সকালে এখানেই উঠতে হবে।” ২ বছর ডেট করার পর গত বছরের ডিসেম্বরে ভিকি কৌশলকে বিয়ে করেন ক্যাটরিনা কাইফ। তাঁরা রাজস্থানেই বিয়ের উৎসবের আয়োজন করেছিল। পরিবারের সদস্য এবং চলচ্চিত্র জগতের খুব কম বন্ধুদের উপস্থিতিতে এই ব্যক্তিগত বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।

তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে, ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশল পাহাড়ে সময় কাটিয়েছেন, যে মুহূর্তগুলিও তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ক্যাটরিনা কাইফকে শেষ দেখা গিয়েছিল ফোন ভূত ছবিতে, সহ-অভিনেতা ইশান খট্টর এবং সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে। তিনি সলমন খানের সঙ্গে টাইগার ৩-এ অভিনয় করেছেন। বিজয় সেতুপতির সহ-অভিনেতা শ্রীরাম রাঘবনের মেরি ক্রিসমাস-এও দেখা যাবে তাঁকে। অন্য়দিকে সদ্য় মুক্তি পেয়েছে ভিকি কৌশলের ছবি গোবিন্দা নাম মেরা। এই ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে ভূমি পেদনেকর ও কিয়ারা আদবাণীর সঙ্গে।

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন নবদম্পতি বলরুম ড্যান্স করছেন।


বিয়ে প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করে। প্রত্যেকেই চান যে তাঁর বিয়ের দিন স্মরণীয় হয়ে থাকুক। প্রত্যেক মানুষের মনে এমন আশা থাকে যে, সেগুলো তিনি তাঁর এই বিশেষ দিনে পূরণ করতে চান। যেমন ধরুন বিয়ের পর বলরুম ড্যান্স করার ইচ্ছা থাকে অনেকের মধ্যে। কিন্তু নাচতে গিয়ে যে বিপত্তি ঘটে যেতে পারে এটা হয়তো কেউই আশঙ্কা করতে পারেন না। আসলে জীবনে চলার পথে কখন কী ঘটে যেতে পারে, এটা কেউ বলতে পারে না। আর যাই হোক, দুর্ঘটনা তো জানা দিয়ে আসে না। কিন্তু বিয়ের দিন যদি এমন বিপত্তি ঘটে তাও সকলের সামনে তাহলে লজ্জারও শেষ থাকে না। এমন এক ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন নবদম্পতি বলরুম ড্যান্স করছেন। দুজনেই খুব খুশি। কিন্তু তারই মাঝে ঘটে যায় বিপত্তি। বউয়ের ওড়না কোনওভাবে আটকে বরের শেরওয়ানিতে। তখনও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন বর। ভার সামলাতে না পেরে স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে দেন তিনি। আর এই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছোটে হাসির রোল।

দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো,

বিয়ের পর রোম্যান্টিক মুহূর্তের ক্যামেরাবন্দী করতে চান নবদম্পতিরা। কিন্তু সেই রোম্যান্টিক মুহূর্ত যে ভাবে ওই নবদম্পতিদের জীবনে আসবে, সেটা হয়তো তাঁরাও ভাবেননি। আসলে এটা নিতান্তই দুর্ঘটনা। ওই নবদম্পতি কিন্তু ভালভাবেই বলরুম ড্যান্স করছিলেন। তবে যতই হোক তাঁরা তো এই নাচে পারদর্শী নন। সুতরাং, নাচতে গিয়ে যে একটু ভুল হবেই। আর সেটাই স্বাভাবিক।

এই ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের জয়পুর প্রিওয়েডিং নামের একটি পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে। যদিও ক্যাপশনে এই ভিডিয়ো সম্পর্কে কোনও কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইনস্টাগ্রামের এই ভিডিয়োটি খুব ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ রিয়্যাক্ট দিয়েছেন এই ভিডিয়োটিতে। পাশাপাশি হাজার-হাজার মানুষ কমেন্ট করেছেন ভিডিয়োটিতে।

এখানে যোগ্য ব্যক্তিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ চূড়ান্ত তালিকায় নাম নেই যোগ্য ব্যক্তিদেরই।

আবাস যোজনায় বাড়ির দাবিতে পুরুলিয়ার ঝালদা বাঘমুণ্ডি সড়ক পথ অবরোধ করল উদয়শুরুর গ্রামবাসীরা। ঝালদা ১ নং ব্লকের ইলু জারগো গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়শুরু গ্রামে আবাস যোজনা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। এবিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা সোমবারি মাহাতো , সুকুন্তলা রজক, অঞ্জনা রজকরা জানান, গ্রামে প্রায় ৪০০-৪৫০ টি পরিবার রয়েছে। এখানে যোগ্য ব্যক্তিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ চূড়ান্ত তালিকায় নাম নেই যোগ্য ব্যক্তিদেরই।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে, এমনকি গাড়িও রয়েছে, তাঁদের নাম রয়েছে তালিকায়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঝালদা বাঘমুন্ডি সড়ক পথ অবরোধ করেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দার বলেন, “যোগ্য ব্যক্তিদের আবাস যোজনার বাড়ি দিতে হবে, যতক্ষণ না এই দাবি পূরণ হচ্ছে পথ অবরোধ চলবে।”

বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা বিলাসি রজকের দাবি, “গ্রামে বহু যোগ্য ব্যক্তি বঞ্চিত , তাই অবরোধ। বিষয়টি বিডিওকে জানাবো, যাতে সকলে বাড়ি পান।” আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। সর্বত্র একই অভিযোগ। যোগ্যদের নাম বাদ যাচ্ছে তালিকা থেকে। এক্ষেত্রে অনেক জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন।

বিক্ষোভের মুখে পড়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী গ্রামবাসীদের দাবি আংশিক মেনেও নিয়েছেন। তাঁর স্বীকারোক্তি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সমীক্ষায় কয়েকজন গ্রামবাসীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকারি শর্ত অনুযায়ী যোগ্য হয়েও নাম বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ। আবাস যোজনা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, প্রসাদপম, দালান বাড়ি থাকা নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিদেরও নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় বিজেপি, তৃণমূল উভয়ই রয়েছে। সেক্ষেত্রে অবশ্য চলছে একে অপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আপ্রাণ প্রয়াস।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৭.৪ শতাংশ। আর সেই সংখ্যা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয় কমিশন।


ছুটির সমস্যায় অনেকেরই ভোট দিতে বাড়ি ফেরা হয় না, তবে এবার আর সেই সমস্যা হবে না। পরিযায়ী শ্রমিক বা ভিনরাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য বিশেষ পদ্ধতি চালু করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এবার রিমোট ভোটিং (Remote Voting) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা যাবে। বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। কমিশন একটি বিশেষ ধরনের ইভিএম (মাল্টি কনস্টিটুয়েন্সি ইভিএম) প্রস্তুত করেছে, যার মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়া যাবে। এই পদ্ধতি বোঝাতে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি সব দলের কাছে ওই পদ্ধতি বর্ণনা করা হবে। একটি মেশিন থেকেই ৭২ টি কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট দেওয়া হবে।



কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উন্নততর প্রযুক্তির যুগে ভোটদানের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকা উচিত নয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৭.৪ শতাংশ। আর সেই সংখ্যা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয় কমিশন। ৩০ কোটি ভোটার ভোট না দেয়নি সেবার। এর পিছনে কী কারণ, তা খতিয়ে দেখে কমিশন।

৮ টি জাতীয় দল ৫৭ টি আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিদের ডেকেছে কমিশন। কমিশনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেকেই বাড়ি থেকে দূরে কর্মস্থলে থাকলেও তাঁরা ভোটার তালিকা থেকে নাম সরান না। আবার অনেকেই কম সময়ের ব্যবধানে কর্মস্থল পরিবর্তন করায় অসুবিধা থেকে যায়। নতুন পদ্ধতিতে সেই সমস্যা মিটবে বলে জানানো হয়েছে।

বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের চেকপোস্টের ঘটনা। সেখানে সীমান্ত রক্ষ্মী বাহিনীর ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা টহলরত অবস্থায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন।


সীমান্ত দিয়ে যাচ্ছিল টোটো। চালককে দেখলে বোঝার উপায় ছিল না পিছনে লুকিয়ে রহস্য। তবে বিষয়টি নজর এড়ায়নি বিএসএফ-এর। টোট চাললকে আটকে জিক্ষাসাবাদ করতেই ফাঁস রহস্য। সীমান্তে টোটোর মধ্যে করে ফেনসিডিল পাচারের চেষ্টা, প্রচুর ফেনসিডিল সহ পাচারকারী গ্রেফতার



বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের চেকপোস্টের ঘটনা। সেখানে সীমান্ত রক্ষ্মী বাহিনীর ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা টহলরত অবস্থায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় গোপন খবরের ভিত্তিতে, সীমন্তররক্ষী বাহিনী রাকিবুল সর্দার নামে এক টোটোচালক আটকায়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর সত্যি সামনে আসে।

রাকিবুলের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৫৩ বোতল ফেনসিডিল। জানা গিয়েছে, ওই ফেনসিডিলগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। বিএসএফের জেরায় স্বীকার করে ওই পাচারকারী। এরপর বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাকে আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে স্বরূপনগর থানা পুলিশ ওই ফেনসিডিল পাচারকারীকে গ্রেফতার করে বারাসত জেলা আদালতে পেশ করে।

তবে এর সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র জড়িত আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে সীমন্ত রক্ষী বাহিনী ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা ও স্বরূপনগর থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, সীমান্তের পাচারের ঘটনা নতুন নয়। কয়েকদিন আগে সোনার বিস্কুট পাচারের অভিনব চেষ্টা রুখে দেয় বিএসএফ। কেজি খানেক সোনার বিস্কুট সহ ধৃত পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে। অভিনব কায়দায় সোনার বিস্কুট পাচারের চেষ্টা রুখে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। ভোররাতে হাকিমপুরেরই বাসিন্দা পাঁচু গোপাল মণ্ডল সীমান্তের দিক থেকে সাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। তাঁর সাইকেল চালানোর ভঙ্গিমা দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর গোপনাঙ্গ অর্থাৎ পায়ুছিদ্র থেকে ছ’টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেন বিএসএফ জওয়ানরা। এরপর আজ আবার পাচার রুখল বিএসএফ।

৩০ ডিসেম্বর, বছর শেষের ঠিক আগে, অর্থাৎ নতুন বছরের আগমনের পূর্বেই দেশের বিভিন্ন হলে মুক্তি পাবে 'প্রজাপতি'।

বাংলার ‘প্রজাপতি’ এবার সীমানা ছাড়িয়ে উড়ে গেল গোটা দেশ জয় করবে বলে। কলকাতায় হল ভর্তি করে দর্শককে ছবিটি দেখানোর পর এবার তা মুক্তি পেতে চলেছে গোটা দেশে। কবে মুক্তি পাচ্ছে ছবি, তাও জানা গিয়েছে ইতিমধ্য়েই। বড়দিন এবং অভিনেতা-সাংসদ দেবের জন্মদিনের (দেবের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর) ঠিক আগে, অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর বাংলার প্রেক্ষাগৃহগুলিতে মুক্তি পায় ‘প্রজাপতি’। গোটা দেশে মুক্তি পাবে বছর শেষে। এর অর্থ, নতুন বছরে প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এ এক অনন্য উপহার দেব-মিঠুন ও টিম ‘প্রজাপতি’র তরফ থেকে। ৩০ ডিসেম্বর ভারতের নানা জায়গায় মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রজাপতি’। কোন-কোন শহরে মুক্তি পাচ্ছে, তা নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে জানিয়েছেন স্বয়ং দেব।

সেই তালিকা বিশাল। মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, রাঁচি, ধানবাদ, পুনে, সুরাট, বরোদা, ভেলোর, বেলাচেরি, ওড়িশা, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বরে ৩০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রজাপতি’। দেব-মিঠুন-মমতার (অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর) ভালবাসার ‘প্রজাপতি’ উড়বে এই সব কটি শহরে।

বাবা ও ছেলের অনন্য রসায়নের গল্প ‘প্রজাপতি’। পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারায় জয়। বাবা গৌর সেই থেকে তাঁকে বুকে আগলে বড় করে তোলে। দ্বিতীয় বিয়ে করে না সে। ছেলে এবং মেয়ে দু’জনকেই মায়ের মমতায় বড় করতে থাকে। মা যা-যা দায়িত্বের মধ্যে সন্তান প্রতিপালন করেন, তা সবই করে সেই বাবা। সাড়ে চুয়াত্তর বয়সি বাবার একটাই স্বপ্ন – সে ছেলের বিয়ে দেবে। ঘটনাচক্রে তার কলেজজীবনের বান্ধবী কুসুমের সঙ্গে আলাপ হয়। বাবা বুঝতে পারে, তারও শেষজীবনে সঙ্গীর প্রয়োজন। কিন্তু কুসুমের সঙ্গে বাবার বিয়ে দিতে রাজি হয় না ছেলেমেয়ে। শেষমেশ কি বাবা পাবে তার ভালবাসাকে? বাধ্যক্য-একাকিত্ব-সন্তানস্নেহ-প্রেম এই সব নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘প্রজাপতি’র গল্প। মধ্য়বিত্ত বাঙালিকে ফের হলমুখী করতে পেরেছে এই ছবি। বড়দিনের ছবি, সপ্তাহান্তে তো বটেই, সপ্তাহের ব্যস্তদিনেও প্রজাপতি হাউজ়ফুল দামী মাল্টিপ্লেক্সেও।

তবে এই পরিস্থিতিতেও এই ছবি জায়গা করে নিতে পারেনি ‘নন্দন’-এর মতো সরকারী হলে। বিজেপি ঘনিষ্ঠ মিঠুনের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দেবের রয়াসনকে স্ক্রিনে ফুটতে দেয়নি নন্দন। তাই নিয়ে ক্ষোভ কিছু কম নেই দেবেরও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, “এইবার তোমাকে মিস করব নন্দন। কিন্তু কোনও ব্যাপার নয়। আমাদের আবার দেখা হবে… গল্পের এখানেই শেষ।” একটি সাক্ষাৎকারে TV9 বাংলাকে দেব ‘প্রজাপতি’ নিয়ে রাজনীতি করতে বারণও করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই সময় উল্টো দিক থেকে সবজি বোঝাই ইঞ্জিন ভ্যান সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন।

মোটরবাইক ও ইঞ্জিন ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক ডিআইবি অফিসারের। গুরুতর আহত হয়েছেন এক। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার মগরা সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম সুব্রত হালদার (৪৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অশোকনগরের বাসিন্দা বাদুড়িয়া থানার ডিআইবি আধিকারিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন সুব্রত হালদার। বাদুড়িয়া থানায় বাইকে করে ডিউটিতে আসছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই সময় উল্টো দিক থেকে সবজি বোঝাই ইঞ্জিন ভ্যান সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন।



আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে পড়েছে এলাকায়। মৃত ডিআইবি অফিসার পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ইঞ্জিন ভ্যানটিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘাতক চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ইঞ্জিন ভ্যানের গতিবেগ ছিল অনেক বেশি। বারংবার ‘সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ’-এর প্রচার করা হচ্ছে। হেলমেট পরা বাধ্য়তামূলক করা হয়েছে। যদিও ওই আধিকারিক হেলমেট পরেই ছিলেন। তারপরও কীভাবে এই দুর্ঘটনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার পাশাপাশি হেলমেটের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিচ্ছে। যে হেলমেট মৃত পুলিশ আধিকারিক পরেছিলেন, তার আদৌ স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট আছে কিনা সে নিয়েও সংশয় দেখা গিয়েছে।

এর শেষে এসেও কাটছে না কোভিডের ভয়। করোনার দুশ্চিন্তাকে সঙ্গী করেই আরও একটি নতুন বছরে পা রাখতে চলেছে গোটা বিশ্ব।

২০১৯ সালের শেষের দিক। চিনে (China) খোঁজ মিলল কোভিড-১৯ ভাইরাসের (COVID 19)। হাজারো কড়াকড়ির পরেও থামিয়ে রাখা যায়নি করোনাকে। একের পর এক দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভাইরাস। ঢুকে পড়ে ভারতেও। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হয় লকডাউন। প্রথম ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ, তৃতীয় ঢেউ… দফায় দফায় লকডাউন। হাজার হাজার মানুষের এক লহমার কাজ হারানো। চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। হাসপাতালে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। সেই ভয়ঙ্কর দিন কাটিয়ে ২০২২ সালে কোভিড ধাক্কা সামাল দিয়ে ওঠে ভারত।

কোভিড রয়েছে বটে, কিন্তু সেই আতঙ্ক অনেকটাই কমে এসেছে বাইশ সালের মাঝামাঝি সময়ে। কোভিডে মৃত্যুও কমেছে। এর জন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হয় দেশে ব্যাপক টিকাকরণ কর্মসূচিকে। করোনা টিকার জোড়া ডোজ় এবং বুস্টার ডোজ়ের সৌজন্যে কোভিডকে অনেকটাই কাবু করা গিয়েছে। কিন্তু দুশ্চিন্তা এখনও পিছু ছাড়ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল সম্প্রতি জানিয়েছেন, “কোভিড অতিমারি মোকাবিলায় আমরা অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি এবং এখন এখন আমরা অনেক ভাল জায়গায় রয়েছি। কিন্তু প্যানডেমিক এখনও চলে যায়নি। বিশ্বে এখনও প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।”

কোন কোন জায়গায় এখনও সমস্যা? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, বিশ্বের স্বল্প-আয়ের দেশগুলিতে এখনও প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনের টিকাকরণ হয়নি। স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে নজরদারির প্রচণ্ড অভাব। এর ফলে ভাইরাসের নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পেতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

ভারত কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশে প্রতিদিন গড়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা যাচ্ছে দেড়শোর আশপাশে। রাজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি হিসেবে তা দশের নীচে নেমে এসেছে। কিন্তু কোভিড পুরোপুরি চলে যায়নি। নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াতে শুরু করেছে ওমিক্রনের এক সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭। চিনে ইতিমধ্যেই করোনার এই উপপ্রজাতির দাপটে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে মৃত্যু মিছিল। এদিকে চিনে যে সাব ভ্য়ারিয়েন্টের দাপট দেখা যাচ্ছে, সেই সাব ভ্যারিয়েন্ট এদেশেও পাওয়া গিয়েছে। এমন অবস্থায় হাত পা গুটিয়ে থাকতে নারাজ ভারতও। আরও নজরদারি, আরও জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের উপর জোর দিতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।



রেলের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ২টো পর্যন্ত হাওড়া স্টেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হচ্ছে।


বছর শেষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) আসছেন বাংলায়। ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express)। ইতিমধ্যেই হাওড়া-জলপাইগুড়ি (Howrah-Jalpaiguri) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে জোর চর্চা চলছে বাংলার নাগরিক মহলে। এদিকে মোদীর আগমনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে হাওড়া স্টেশনের। শুরু হয়েছে চেকিং। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরপিএফ। ইতমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বড় ঘোষণা করে দিয়েছে রেল। হাওড়া স্টেশনে বন্ধ থাকছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম। ওই প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে চলবে না কোনও ট্রেন। সাধারণের প্রবেশও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। 

রেলের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ২টো পর্যন্ত হাওড়া স্টেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হচ্ছে। তবে এই স্টেশন থেকে সংশ্লিষ্ট সময় যে ট্রেনগুলি চলার কথা ছিল সেগুলি অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে চলবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী। 


প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে বাংলায়। তিরিশের উদ্বোধন ঘিরে তৈরি হয়েছে সাজ সাজ রব। বিজেপির অন্দরেও সেই ছবি দেখা গিয়েছে। দেশের দ্রুততম ট্রেনের সঙ্গে বিজেপির লোগো দেওয়া মোদীর পোস্টার পড়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। এদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে বিগত কয়েক মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বেড়েছে চাপানউতর। একাধিক ব্যক্তিকে আটকও করেছে আরপিএফ। মাঠে নেমেছে আয়কর দফতর। যার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে হাওড়া স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

গোটা বিশ্ব যখন বড় দিন উদযাপনে ব্যস্ত, তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পেলে। ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গেই হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ৮২ বছরের ব্রাজিলের কিংবদন্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন পেলের সন্তানেরা।


বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 20222) মাঝেই একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফুটবল সম্রাট পেলেকে (Pele)। বিগত কিছু বছর ধরে দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। এ ছাড়াও রয়েছে হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা। বিশ্বকাপ চলাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় সাও পাওলোর (Sao Paulo) একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন ফুটবল বিশ্ব। বড়দিনের আগে পেলে কন্যা ক্রিশ্চিনা কেলি নাসিমেন্তো সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, বাবা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কেমন আছেন ফুটবল সম্রাট? তুলে ধরল

গোটা বিশ্ব যখন বড় দিন উদযাপনে ব্যস্ত, তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পেলে। ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গেই হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ৮২ বছরের ব্রাজিলের কিংবদন্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন পেলের সন্তানেরা। এই বড় দিনটা বাবার সঙ্গে হাসপাতালেই কাটাচ্ছেন তাঁর ছেলে মেয়েরা। ক্রিসমাসের আগে পেলের কন্যা কেলি নাসিমেন্তো বাবার সঙ্গে একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাবাকে আলিঙ্গন করছেন কেলি। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘আমরা এখনও এখানে যুদ্ধ ও বিশ্বাসে আছি। লড়াই জারি রয়েছে। আরও একটা রাত একসঙ্গে।’

তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনার তালিকায় গরিব মানুষের নাম না আশায় তাঁরা অনুতপ্ত। তবে যাঁরা ঘর পাওয়ার তাঁরা ঠিক ঘর পাবেন।

শনিবার হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিনকে। প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ১৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য সোজা বিডিও-র কাছে চলে যান গণ-ইস্তফা দেওয়ার জন্য। সেই সময় প্রধান জানান, “বহু অসহায় মানুষ এখনও পাকা ঘর পাননি। এরপর হয়ত আমাদের বাড়ি গিয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাবে। তা থেকে বাঁচতেই আমরা আজ ইস্তফা দিতে চাইছি।” সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নাটকীয় মোড়। রবিবার সকালে জানা যায় প্রধান ও উপ-প্রধান বাদে বাকি ১৫ জনের মধ্যে থেকে ১১ জন নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেছেন।



তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনার তালিকায় গরিব মানুষের নাম না আশায় তাঁরা অনুতপ্ত। তবে যাঁরা ঘর পাওয়ার তাঁরা ঠিক ঘর পাবেন। যদিও এখনও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধান। প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন রবিবার বলেন, “আমি এখনও বলছি পঞ্চায়েতের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার সিদ্ধান্তে অনড়। আমি যদি দেখি আমার অঞ্চলে দরিদ্র মানুষ ঘর পাননি তাহলে আমি সেখান থেকে সরে আসব।” এরপর তিনি বলেন, “আমরা সই করে বিডিও অফিসে দিয়ে এসেছি। বিডিও ছিলেন না। তবে ওনার কর্মচারীরা গ্রহণ করেছে।” অপরদিকে, বিডিও জানান যে শনিবার ছুটির দিন ছিল তাই গ্রহণ হয়নি। তারা যদি দিতে চান মঙ্গলবার আসতে হবে।

আর সেই সুযোগে দলের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে জেলা তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে দাবি সোমবার মালিহাটী গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান উপপ্রধানদের জেলায় ডেকে পাঠিয়েছেন জেলা নেত্রী শাওনী সিংহ রায়। এই বিষয় মুর্শিদাবাদের তৃণমূল চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, “হয়ত তাঁদের অভিমান হতে পারে। হয়ত সরকারি কর্মচারিদের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যাঁরা লিস্ট করেছেন তাঁধের কোনও বিষয় থাকতে পারেন। কী ঘটনা ঘটেছে, কী ঘটল সবটা জেনে পরবর্তীতে দলগতভাবে পদক্ষেপ করব।” অপরদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু হয়েছে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিজেদের গড় বলে ভাবে। সেখানেই এটা শুরু হয়েছে। এবার জেলায় জেলায় এমনটা হবে। তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।”

2022: আর্জেন্টিনার (Argentina) প্রতিটা মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবে। দেশের প্রতিটা ঘরে ক্রিসমাসের সঙ্গেই উদযাপিত হচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ। তারই ঝলক ধরা পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়।


 ক্রিসমাস (Christmas) মানেই সবার প্রথম যে ছবিটা মাথায় আসে, সেটা হল লাল রংয়ের ব্যাগ পিঠে নিয়ে সাদা চুল-দাড়িওয়ালা এক বুড়ো সবাইকে গিফ্ট দিচ্ছে। এই বুড়ো আর কেউ নয়, সক্কলের প্রিয় সান্তা। চারিদিকে উৎসবের মরসুম। শহরের অলিগলি সেজে উঠেছে আলোর রোশনাই। ডিনার টেবিল ভরেছে কেক, কুকিজ, টার্কি এবং ওয়াইনে। পাশাপাশি বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) জয়ের আমেজ এখনও তাজা। একাধারে ক্রিসমাস অন্যদিকে বিশ্বসেরা। সুতরাং উদযাপনও দ্বিগুণ। আর্জেন্টিনার (Argentina) প্রতিটা মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবে। দেশের প্রতিটা ঘরে ক্রিসমাসের সঙ্গেই উদযাপিত হচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ। তারই ঝলক ধরা পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়। এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বিশেষ ভিডিয়ো শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে লা আলবিসেলেস্তেদের খুশির ঝলক। সেই ভিডিয়ো তুলে ধরা হল

এএফএ (Argentina FA)-র পক্ষ থেকে শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক বাচ্চা ছেলে সিড়ি দিয়ে খুশিতে নেমে আসছে। এর পর সে ক্রিসমাস ট্রি-র সামনে লাল রংয়ের ফিতে দিয়ে বাঁধা বড় গিফ্ট দেখে এক্কেবারে চমকে যাচ্ছে। সেই বাচ্চার চোখে মুখে একটা আলাদা উত্তেজনা। এর পর সেই বাচ্চাটি ধীরে ধীরে গিফ্ট আনবক্স করে। যখনই তার চোখে পড়ে চকচকে সোনালি ট্রফিটি, তাঁর মুখের হাসি চওড়া হয়ে যায়। এর পর সে ওই বিশ্বকাপ ট্রফিটি হাতে তুলে নেয়। এবং মিষ্টি চুমু একে দেয়। এবং সেই সোনালি ট্রফিটি হাতে তোলার আগে ওই বাচ্চাটি বিড় বিড় করতে থাকে ‘গ্রাসিয়াস পাপা লিওনেল!’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘ধন্যবাদ ঈশ্বরের দূত লিওনেল।’

মন কী বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ দিন মন্ত্রী বলেন, "এ রাজ্যে নতুন একটি ভাল সরকার না আসা পর্যন্ত আবাস যোজনা প্রকল্পেও টাকা আটকে দিতে পারে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর।"

ফের রাজ্যকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। একাধিক ইস্যুতে কটাক্ষের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। প্রথমে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বলেন, “আবাস যোজনায় শুধু নাম বাদ দিলে হবে না, কীভাবে নাম ঢুকল তার তদন্ত দরকার। নাহলে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মতো আবাস যোজনাতেও আটকে যেতে পারে টাকা”

মন-কী-বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ দিন মন্ত্রী বলেন, “এ রাজ্যে নতুন একটি ভাল সরকার না আসা পর্যন্ত আবাস যোজনা প্রকল্পেও টাকা আটকে দিতে পারে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর।” মুর্শিদাবাদে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ ১৭ জন সদস্যের ইস্তফা নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু হয়েছে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিজেদের গড় বলে ভাবে। সেখানেই এটা শুরু হয়েছে। এবার জেলায় জেলায় এমনটা হবে। তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।”

নন্দীগ্রামে জয়েও তৃণমূলের অন্দরে আতঙ্কের ছাপ প্রসঙ্গে সুভাষ সরকার বলেন, “তৃণমূলের এই ভয় এখন স্বাভাবিক। চুরি ও দুর্নীতিতে দলের প্রাণভোমরা মন্ত্রী নেতারা সব জেলে। একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় যে দুর্নীতি হয়েছে সেগুলি যেভাবে প্রকাশ্যে আসছে তাতে দলের অনেক রথী মহারথীরা ধরা পড়ে যাবে। তৃণমূলের অন্দরে এখন সেই ভয় কাজ করছে।”

এখানেই শেষ নয়। নন্দনে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত প্রজাপতি ছবিটির না জায়াগা পাওয়া প্রসঙ্গে সুভাষ সরকার বলেন, “তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। বিজেপির অন্যান্য নেতাদের মতো মিঠুন চক্রবর্তী যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। মিঠুন চক্রবর্তীর ভয়ে সাংস্কৃতিক জগৎকে দূরে সরিয়ে রাখলে তা মানুষ ভাল ভাবে নেবে না।”

নন্দনে ছবি দেখাতে না পারায় দেব টুইটে লিখেছিলেন, “এইবার তোমাকে মিস করব ‘নন্দন’। কোনও ব্যাপার না। আবার দেখা হবে। এখানেই গল্পের শেষ।
তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের একটা ছোট্ট টুইট। আর তা নিয়ে আপাতত উত্তাল রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে টলিপাড়া। দেব ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি ‘প্রজাপতি’ সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পায়নি। কেন? নেপথ্যে কি রয়েছে রাজনৈতিক কারণ? মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক পরিচয়ই কি দায়ী এর পিছনে? দেবের রাজনৈতিক পরিচয় কি এ ক্ষেত্রে ব্যাকফুটে? এ নিয়ে যখন চলছে একের পর এক চুলচেরা বিশ্লেষণ, তখন টলিউডের অধিকাংশই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। হাতেগোনা মুখ খুলেছেন যারা তাঁদের মধ্যে একজন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। TV9 Bangla-কে তিনি বলেন, “প্রজাপতি নন্দনে মুক্তি না পাওয়ার মধ্যে কোনও রাজনীতি রয়েছে কিনা জানি না, তবে সন্দেহ তো থেকেই যায়।” কৌশিক টেনে এনেছেন ‘অপরাজিত’ ছবির কথা। অনীক দত্তের ওই ছবিও নন্দনে জায়গা পায়নি। সেখানে এক বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে অনীক বারংবার শাসক দলের নানা কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

কৌশিক যোগ করেন, “মিঠুন বাবু ও দেবের রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়েও তাঁদের অন্য পরিচয় রয়েছে। তাই সেই পরিচয়ের খাতিরেই নন্দনে ছবিটা স্ক্রিনিং হলে ভালই হত। সেদিক দিয়ে নিন্দে জানাচ্ছি।” তাঁর সংযোজন, “পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনীতি বহুকাল ধরেই হয়েছে। বাম আমলে কিছু হত না, এখন হচ্ছে… এটা বলা ঠিক নয়। আমার প্রশ্ন হবে কেন? অতীত নিয়ে ঘাঁটতে চাই না। কোনও রাজনৈতিক দলই দাবি করতে পারে না যে আমাদের সময় স্বচ্ছ ছিল…কিন্তু এখনও যে হচ্ছে, যা হচ্ছে, সেটা নিয়েই তো আলোচনা করব। আর যা হচ্ছে তা মোটেও ঠিক নয়।”


প্রসঙ্গত, নন্দনে ছবি দেখাতে না পারায় দেব টুইটে লিখেছিলেন, “এইবার তোমাকে মিস করব ‘নন্দন’। কোনও ব্যাপার না। আবার দেখা হবে। এখানেই গল্পের শেষ।” কিন্তু গল্পের যে শেষ হয়নি সে আঁচ পাওয়া গিয়েছিল গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতেই। নন্দনে ‘প্রজাপতি’ শো না পাওয়ায় শাসকদলকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ। তৃণমূলকে প্রতিহিংসা পরায়ণ দল বলে আক্রমণ করেন। দেবকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী লেখেন, “যে দলের আপনি সাংসদ, সেই দলটি কি ভয়ানক প্রতিহিংসাপরায়ণ এবার বুঝলেন তো? আপনার দলে শিল্পীর ‘রং’ দেখে তবেই তার যোগ্যতার বিচার হয়, তাঁর প্রতিভা দেখে নয়। আর তাই মিঠুন চক্রবর্তী-কে বাদ দেওয়া হয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে, আর তাঁর অভিনীত সিনেমা বাদ দেওয়া হয় ‘নন্দন’ থেকে।” আজ অর্থাৎ রবিবার দেবের জন্মদিন। বিশেষ দিনে যদিও সঙ্গী বিতর্ক। দেব যদিও টুইট করেই চুপ, জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।



Apple-এর এমন অনেক ডিভাইসই রয়েছে, যেগুলির আদ্যাক্ষর 'i'। ঠিক যেমন iPhone, iPod, iPad এবং iMac। কিন্তু কেন এই সব ডিভাইসের প্রথম অক্ষরটা 'i', তা কি জানেন?


একটা সময় ছিল যখন মানুষজন Apple iPhone-এর দাম শুনে আঁতকে উঠতেন। সেই দিন এখন অতীত। হালফিলে রীতিমতো iPhone কেনার হিড়িক লক্ষ্য করা গিয়েছে। দাম কি কমেছে? এক ফোঁটাও কমেনি, বরং বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু EMI, এক্সচেঞ্জ-সহ একাধিক অফারে দামি আইফোন এখন মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই চলে এসেছে। আর iPhone মানেই আলাদা একটা ব্যাপার। শুধু আইফোন কেন! কাটিং এজ প্রযুক্তি, কুল লুক এবং সর্বোপরি গ্রাহকের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কারণেই Apple-এর প্রডাক্টগুলি বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের দ্বারা সাদরে গৃহীত হয়েছে। সেই শুরুর সময় ম্যাকিনটোস কম্পিউটার থেকে শুরু করে আজকের আইফোন বা ম্যাক ল্যাপটপ— এমনই সব পণ্য Apple তৈরি করেছে, যা কেবল বিশ্বস্ত বা ব্যবহারিকই নয় বরং নান্দনিকভাবে আনন্দদায়কও।



ডিজাইন এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার উপর সংস্থার গভীর মনোনিবেশের ফলই হল আজ জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছনো। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্সের পর বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং সুপরিচিত প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলির মধ্যে একটি এখন Apple। সেই সংস্থার বিভিন্ন পণ্য, তা সে iPad, iMac বা iPhone হোক না কেন, তাদের চমৎকার গুণমান এবং আকর্ষণীয় লুক অনেক গ্রাহকের কাছে স্টেটাস সিম্বল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন, iPhone-এর আগে ‘i’ কেন থাকে?

Apple প্রডাক্টে ‘i’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়?

Apple-এর এমন অনেক ডিভাইসই রয়েছে, যেগুলির আদ্যাক্ষর ‘i’। ঠিক যেমন iPhone, iPod, iPad এবং iMac। এখানে ‘i’ অর্থে ‘internet’। আইফোন, আইপড, আইপ্যাজ এবং আইম্যাক— এই সবগুলিই ওয়েব-বেসড ডিভাইস বলেই এদের নামের আদ্যাক্ষর ‘i’ ব্যবহার করা হয়েছে ‘internet’ বোঝাতে। বিল্ট-ইন ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দিয়ে সর্বপ্রথম যে পার্সোনাল কম্পিউটার রিলিজ় করা হয়েছিল, তা ছিল iMac। 1998 সালে প্রথম iMac লঞ্চ করা হয়েছিল। মূলত, এই একটা কারণেই ‘i’ প্রিফিক্স ব্যবহার করা হয়েছিল। সে সময় অ্যাপল-এর অ্যাক্টিং সিইও ছিলেন স্টিভ জোবস, তিনিই প্রথম iMac লঞ্চ করেছিলেন।

সেই শুরু। তারপর থেকে Apple-এর বিবিধ রেঞ্জের প্রডাক্টের নামের সঙ্গে ‘i’ জুড়ে যায়। এখন সেই ‘i’ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির উদ্ভাবনী শক্তি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। ব্যবহারকারীদের মধ্যেও এমন একটা চিন্তাভাবনা চলে এসেছে, যেখানে ‘i’ অর্থে তিনি ও তাঁর সত্তা। এবং নামের আদ্যাক্ষরে ‘i’ রয়েছে এমন কোনও ডিভাইস মানেই তা Apple প্রডাক্ট। ইউজ়ার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস, স্লিক, কনটেম্পোরারি অ্যাপিয়ারেন্স মানেই হল অ্যাপলের ডিভাইসগুলির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যাদের নামের প্রথম অক্ষর ‘i’।

প্রিফিক্স হিসেবে ‘i’ ব্যবহার করছে এমন আইকনিক এবং প্রভাবশালী পণ্যগুলির মধ্যে একটি হল iPhone। গ্রাউন্ড ব্রেকিং গ্যাজেট হিসেবে 2007 সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল আইফোন। একটা সেলফোনের ক্ষমতাকে ইন্টারনেটের শক্তির সঙ্গে মিশিয়েই নিয়ে আসা হয়েছিল iPhone (i+Phone)। প্রথম আইফোন মডেলটি ছিল একটি বিপ্লবকারী ডিভাইস, যা প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন এবং ব্যবহারের ফসল।

ওয়াশিং মেশিনকে ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারলে আপনারই লাভ। তাই নিয়মিত নজর দিন মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণে।

অধিকাংশ মানুষই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিই ব্যবহারের নিয়ম না জেনেই ব্যবহার করতে শুরু করে দেন, একথা সত্যি। যদিও এটা করা অনুচিত। শহরাঞ্চলে যথেচ্ছ জলের ব্যবহারে রাশ টেনেছেন অনেকেই। সেই কারণেই ঘরে ঘরে বেড়েছে ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার। স্বাভাবিকভাবেই বেহিসেবি জল খরচ এখন কম। সেইসঙ্গে মানুষও কর্মজীবনে ব্যস্ত। ওয়াশিং মেশিনে অনেক সহজে কাপড়জামা কাচা, ধোয়া, শুকোনো যায়। এই সব সুবিধের জন্যই ওয়াশিং মেশিনের কদর বেড়েছে গৃহস্থ বাড়িতে। তবে প্রয়োজনের সঙ্গীকে যত্নে রাখাও তো জরুরি। ওয়াশিং মেশিনকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে আপনারই লাভ। তাই নিয়মিত নজর দিন মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণে।




ওয়াশিং মেশিনে একসঙ্গে অনেক বেশি কাপড় দেবেন না। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে এক বা দুই কেজি কম দিন। বেশি জামাকাপড় একসঙ্গে দিলে মেশিন দুর্বল হয়ে পড়ে। জামাকাপড়ও ভাল পরিস্কার হয় না। এচাড়াও ওয়াশিং মেশিনে সুতি বা ফেব্রিক কাপড় ধোয়ার জন্য আলাদা আলাদা সেটিং থাকে। নিদির্ষ্ট ধরনের কাপড়ের জন্য নির্দিষ্ট সেটিং আগে সেট করে নিন। তারপর পরিষ্কার করুন।

2. ওয়াশিং মেশিন কয়েকবার ব্যবহারের পর পরিস্কার করতে হবে। জামাকাপড়ের ময়লা সামান্য হলেও মেশিনের মধ্যে জমে থাকে। তাই মেশিনে কোনও কাপড় না দিয়ে খালি মেশিনে গরম জল ও বেকিং সোডা দিয়ে একবার চালিয়ে নিন। এতে মেশিনের ভিতরটা পরিস্কার হয়ে যাবে।

3. অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। পাউডার ডিটারজেন্টের পরিবর্তে লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিলেই মেশিন তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হবে এই ধারণা ভুল। বরং বেশি সাবান দিলে তা থেকে অনেক ফেনা তৈরি হবে, যার ফলে ওয়াশিং মেশিনের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং পরে ওয়াশিং মেশিনও খারাপ হয়ে যেতে পারে।

4. নিয়মিত পাইপ চেক করুন দেখে নিন সেটা বেঁকে গিয়েছে কি না, কোনও রকম ফাটল ধরেছে কি না। মেশিনের সঙ্গে পাইপের সংযোগ থাকে। তাই পাইপ নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। ময়লা জমে থাকলে কাপড় কাচার পর অপরিস্কার জল পাইপ দিয়ে বেরতে পারবে না।

5. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার পর বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিন। ওয়াশিং মেশিনে ভোল্টেজ ওঠানামা করলে তাতে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করাই ভাল।

6. অনেক সময় দেখা যায় কাপড় কাচা শেষ হওয়ার পরেও সেগুলি মেশিনের মধ্যে রেখে দেন। কিন্তু, এটা একেবারেই ঠিক নয়। এতে ফিল্টারে মরচে পড়ার সম্ভবনা থাকে। চেষ্টা করুন বেশিক্ষণ ভেজা কাপড় ওয়াসিং মেশিনে না রাখতে।

গুয়াহাটি-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে ঢুকতেই এসি কামরা, বি-১ কোচ থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় বি-১ কামরাটি।

বড়দিনে বড় আতঙ্ক! চলন্ত গুয়াহাটি-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনে আগুন লাগল। রবিবার দুপুরে কাটোয়া স্টেশনে ট্রেনটি ঢুকতেই আগুনের হলকা চোখে পড়ে অন্যান্য যাত্রীদের। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনের সকল যাত্রী সহ কাটোয়া স্টেশন চত্বরে। ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে থামতেই যাত্রীরা তড়িঘড়ি প্ল্যাটফর্মে নেমে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করা হয়। হতাহতের কোনও ঘটনাও ঘটেনি।



রেল সূত্রে খবর, চলন্ত গুয়াহাটি-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনের এসি কামরা, বি-১ কোচ থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখা যায়। মূলত কামরার নীচে থেকেই আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখা যায়।খবর পেয়েই চালক কাটোয়া স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে দেন এবং মেরামতির কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও কী কারণে আগুনের ফুলকি তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুয়াহাটি-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে ঢুকতেই এসি কামরা, বি-১ কোচ থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় বি-১ কামরাটি। প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীদের তরফেই স্টেশন মাস্টারকে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে আগুনের উৎস খুঁজে নির্বাপণের ব্যবস্থা করেন রেলের কর্মী ও ইঞ্জিনিয়াররা। রেলের তৎপরতায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে চলন্ত ট্রেনের এসি কামরার নীচে থেকে আগুন বেরোনোর খবর মুহূর্তের মধ্যে গোটা ট্রেন সহ কাটোয়া স্টেশনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ট্রেনের যাত্রী সহ প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত অনেকেই আগুন-আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। তারপর রেলের কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারেরা ট্রেনে আগুন লাগার উৎস খুঁজে বের করে মেরামতির কাজ শুরু করেছেন।

মেয়র হওয়ার কথা নিজেও টুইট করে জানিয়েছেন হোথি। তিনি লিখেছেন, “লোদি শহরের ১১৭ তম মেয়র হিসাবে শপথ নিয়ে আমি সম্মানিত।”


আমেরিকার নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার লোদি শহরের মেয়র নির্বাচিত হলেন মিকে হোথি। মিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর বাবা-মা ভারত থেকে আমেরিকায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন। মিকে নিজেও শিখ। এই প্রথম ক্যালিফোর্নিয়ার কোনও শহরের মেয়র হলেন এক জন শিখ। মিকে মেয়র হওয়ায় নতুন রেকর্ডও তৈরি হল সে দেশে। হোথিকে মেয়র হিসাবে মনোনীত করেছিলেন সে শহরের নবনির্বাচিত কাউন্সিলওম্যান লিসা ক্রেগ। তিনি নভেম্বরে নির্বাচনে জিতেছিলেন। বুধবারের বৈঠকে তিনি ভাইস মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ওই শহরের মেয়র ছিলেন চ্যান্ডলার। তাঁর অধীনে সহ মেয়র হিসাবে কাজ করেছেন মিকে। এ বার তিনি মেয়র হলেন ওই শহরের।


মেয়র হওয়ার কথা নিজেও টুইট করে জানিয়েছেন হোথি। তিনি লিখেছেন, “লোদি শহরের ১১৭ তম মেয়র হিসাবে শপথ নিয়ে আমি সম্মানিত।” স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মিকে হোথির বাবা-মা ওই শহরের আর্মস্ট্রং রোডে শিখ মন্দির স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। লোদি শহরের ব্যাপারে বলতে গিয়ে মিকে বলেছেন, “প্রত্যেকে লোদি শহরে এসেছে। কারণ তাঁরা বুঝেছে এটা খুব নিরিবিলি এক পরিবার কেন্দ্রিক শহর। খুবব নিরাপদ। এখানকার শিক্ষা, লোকজন, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং বাসিন্দাদের পরিশ্রম করার ইচ্ছা শহরকে সুন্দর করে তুলেছে। মেয়র হিসাবে এই শহরবাসীর প্রতিনিধি হতে পেরে আমি খুব গর্ব অনুভব করছি।”

মিকে হোথি ২০০৮ সালে টোকে হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন। তবে আমেরিকার বেড়ে ওঠার সময় বেশ কিছু অসুবিধার সামনে পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোথি। বিশেষত ৯/১১ হামলার পরবর্তী সময়ে। সে সময় মুসলিম এবং শিখদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সে সবকে পিছনে ফেলে আমেরিকার এই ছোট্ট শহরে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলতে পেরে লোথি পরিবার যে খুশি সে কথা গোপন করেননি।

ছয় কোচ বিশিষ্ট একটি স্পেশ্যাল ট্রেন কাশ্মীরি গেট স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। কাশ্মীরি স্টেশনে একটি ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

দিল্লিবাসীর জন্য সুখবর। রাত পোহালেই চালু হচ্ছে দিল্লি মেট্রোর নতুন করিডর। ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিন-এ দিল্লি মেট্রোর নতুন করিডরের উদ্বোধন করা হবে। শনিবার দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (DMRC)-এর তরফে এ কথা জানানো হয়। নতুন এই স্টেশনে এবার সংযুক্ত হল নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা, গুরগাঁও।

দিল্লি মেট্রো সূত্রে খবর, ২০০২ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এই মেট্রো করিডরের শিলান্যাস করেন। নতুন এই করিডরের মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে। সহোদরা থেকে তিস হাজারি পর্যন্ত প্রায় ৮.২ কিলোমিটার পথ বিস্তৃত করা হল এই মেট্রো করিডর। এই মেট্রো করিডরের মধ্যে রয়েছে ছয়টি স্টেশন। দীর্ঘ ২০ বছর পর অবশেষে দিল্লি মেট্রো করিডরের বিস্তৃতির কাজ সম্পন্ন হল। বড়দিনের প্রাক্কালে এদিন দিল্লি মেট্রোর নতুন করিডর উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেন DMRC (দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন)-এর এক সিনিয়ার আধিকারিক জানান, দিল্লি মেট্রো করিডরের বিস্তৃতি একটা বড় মাইলস্টোন। এই ট্রেনটি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার পথ ১৬ ঘণ্টা থেকে ১৮ ঘণ্টা চলবে বলেও জানান দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের আধিকারিক।

এদিন ছয় কোচ বিশিষ্ট একটি স্পেশ্যাল ট্রেন কাশ্মীরি গেট স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। এদিন কাশ্মীরি স্টেশনে একটি ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে যে মেট্রো রেল করিডরের কাজ চলছিল, তার বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।


শুক্রবার নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চঞ্চল দেবনাথের অভিযোগ, ওই সভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন শুভেন্দু।


বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুললেন নদিয়ার এক তৃণমূল নেতা। এই নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। নদিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথের অভিযোগ, শুক্রবার রাণাঘাটের সভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। যদিও তৃণমূল নেতার অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইল না বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কিভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা যায়? শাসকদলের সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়ে কোনও ফল হয়নি বলে তাদের অভিযোগ।

শুক্রবার নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চঞ্চল দেবনাথের অভিযোগ, ওই সভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন শুভেন্দু। সভা থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, চঞ্চল দেবনাথ এবং অরূপ মুখোপাধ্যায় ওরফে টিঙ্কু নামে তৃণমূলের দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। এই দুই নেতা টাকা তুলে দিতেন বলে শুভেন্দুর অভিযোগ।

বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য তাঁর সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ চঞ্চল দেবনাথের। আজ এই নিয়ে হরিণঘাটা থানায় যান তিনি। শুভেন্দুর নামে মানহানির মামলা করতে চান। পুলিশের বক্তব্য, তাঁরা তৃণমূল নেতার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। তবে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। কারণ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ নিতে হবে বলে রাজ্যের উচ্চ আদালত জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেজন্যই এফআইআর দায়ের হয়নি। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, টিঙ্কুও এই নিয়ে মানহানির মামলা করতে চান।

ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি। তবে আমি খোঁজ নেব।”

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। এবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক অন্তঃসত্ত্বা জনপ্রতিনিধিকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। প্রসঙ্গত, এতদিন মেহেমুদ খাঁন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। দল মেহেমুদ খাঁনকে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করার পর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শুক্রবার ছিল পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তাঁদের পক্ষের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য। আর মেহেমুদ খাঁন তাঁর অনুগত ভূতনাথ মালিককে প্রার্থী করেন। এই নির্বাচনই বয়কট করেছিলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির একজন নির্বাচিত সদস্য চৈতালী হাত। 



6 প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি। তবে আমি খোঁজ নেব।” যদিও এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি তাবারক আলী মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গোটা বিডিও অফিস চত্বর পুলিশে ছয়লাপ ছিল। আসলে ভোটাভুটিতে ভূতনাথ মালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ওদের মুখ পুড়েছে। তাই এইসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওরা মান বাঁচানোর চেষ্টা করছে।” নবনির্বাচিত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক দাবি করেন, ভোটাভুটিতে চৈতালী হাত দের পক্ষে ছিলেন মাত্র ১৪ জন সদস্য। আর তাঁকে ২২ জন্য সদস্য সমর্থন করেন। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে চৈতালি হাত সহ তাদের পক্ষের সবাই ভোটে অংশ নেয়নি। পরাজয়ের গ্নানি ঢাকতে চৈতালী হাতকে দিয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ করিয়েই ওর পক্ষের নেতারা মুখ রক্ষার কৌশল নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভূতনাথ। অন্যদিকে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। 

পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে যতবারই বাংলায় ভোট হয়েছে ততবারই রাজনৈতিক তরজায় ফিরে ফিরে এসেছে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। এমনকী সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।”


বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। সরগরম বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। ভোটের মুখে বারবার শাসক হোক বা বিরোধীদলের মুখে ফিরে ফিরে আসছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের (Singur-Nandigram) কথা। “সিঙ্গুর আন্দোলনে একমাত্র আমাদের কমরেডরাই মার খেয়েছে”। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই বললেন সিপিআইএমএল (লিবারেশন) -এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য (Dipankar Bhattacharya)। সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এদিন তিনি বলেন, “সিঙ্গুর আন্দোলনে একমাত্র আমাদের কমরেডরাই মার খেয়েছে। জেলে গিয়েছে আমাদের কর্মীরাই। প্রথমদিন থেকে ওখানে আমাদের কমরেডরা পড়ে থেকে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে এটা বড় রাজনৈতিক পটভূমিতে চলে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস চলে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন করেছেন।” 




পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে যতবারই বাংলায় ভোট হয়েছে ততবারই রাজনৈতিক তরজায় ফিরে ফিরে এসেছে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। এমনকী সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।” তাহলে সিঙ্গুরে টাটাদের শিল্প হলে কি বাংলার শিল্পায়নের ছবিটা বদলে যেত? দীপঙ্করের উত্তর, “আমি এটা মনেই করি না। শিল্পায়নটা কেন সিঙ্গুর দিয়ে ব্যাখ্যা করব? এ তো অনেকটা মন্দির ওহি বানায়েঙ্গির মতো হচ্ছে। একটা কারাখানা দরকার। কারখানার জন্য অন্য জায়গা কী নেই? প্রচুর জায়গা আছে। তবে ওই কারাখানা গুজরাটে গিয়েও চলেনি। পরবর্তীতে টাটা নিজে বলেছে এটা ফ্লপ আইডিয়া।”

তাঁর আরও দাবি, সিঙ্গুরে শিল্প নিয়ে রোম্যান্টিসিজমের যে বাতাবরণ বাংলায় রয়েছে তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। দীপঙ্করের অকপট মন্তব্য, “সিঙ্গুরে শিল্প হলে যেন একটা শিল্প বিপ্লব হয়ে যেত, আমার মনে হয় এটা বাজে কথা। তবে বাংলায় যেটা দরকার সেটা শিল্প, চাকরি। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চাকরি দরকার। শিল্প তার একটা উপায়। তার একটা মাধ্যম।” 



 এদিন রাতে ব্রেবোর্ন রোডের ধারে শতাব্দী প্রাচীন এই গির্জায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি।

বড়দিনের (Christmas 2022) উৎসবে সামিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতায় পর্তুগিজ চার্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। ব্রেবোর্ন রোডের ধারে ক্যাথিড্রাল অব মোস্ট হোলি রসারি। শতাব্দী প্রাচীন গির্জা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর কন্যাও। গির্জার ভিতরে ক্যারলেও অংশ নেন তাঁরা। এদিন অভিষেক পরেছিলেন একটি কালো রঙের স্যুট। পর্তুগিজ চার্চের ভিতরে ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু’ গানে মুখরিত হয়ে ওঠে। এক নৈস্বর্গিক শোভা তৈরি হয় গির্জার ভিতরে। বড়দিন উপলক্ষ্যে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গির্জা। চারিদিক আলো ঝলমলে। এদিন রাতে ব্রেবোর্ন রোডের ধারে শতাব্দী প্রাচীন এই গির্জায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


পর্তুগিজ গির্জায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রতিবছরই বড়দিনের উৎসবে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য বছরগুলি সাধারণত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চে যেতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এবার তিনি হাজির ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন এই পর্তুগিজ চার্চে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিশপ স্বয়ং। সেই আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী গির্জায় বড়দিনের প্রাক্কালের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এদিন রাত ১০টা ৩২ মিনিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের মেয়ে আজানিয়াকে নিয়ে গির্জায় পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। গির্জার তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ও আজানিয়াকে আশীর্বাদ করেন বিশপ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর রাত প্রায় ১১টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।



সরকারি কর্মসূচিতে ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভায় থাকবেন তিনি। পাশাপাশি রেলের একাধিক প্রকল্পের সূচনাও করবেন তিনি।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভা রয়েছে কলকাতায়। সেই সভায় থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের পরিকল্পনা ছিল হাওড়ার ডুমুরজলায় প্রধানমন্ত্রীর একটি জনসভা আয়োজনের। তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব‌্য, “ডুমুরজলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে উনি সভা করবেন না।” চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, হংকং, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে কোভিড মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে চিন্তা বাড়ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিরও। এর বাইরে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক বৈঠক করেছে। রাজ্যগুলির জন্য তৈরি করা হয়েছে নির্দেশিকা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফিরেছে মাস্ক। এসবের মধ্যেই রাজনৈতিক কার্যকলাপেও রাশ টানা শুরু হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


বিজেপির অন্দরের খবর, কোভিড পরিস্থিতির কারণে বাংলায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি কর্মসূচিতে ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভায় থাকবেন তিনি। পাশাপাশি রেলের একাধিক প্রকল্পের সূচনাও করবেন তিনি। বছর শেষে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসছেন, তাই বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বার্তা পাঠানো হয়েছিল একটি জনসভা করার জন‌্য।

নতুন বছরে রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার ডুমুরজলা ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভাকে সামনে রেখে সেই ভোটেরই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বঙ্গ বিজেপির। তবে বর্তমানে বিশ্বে করোনার যা চিত্র, তা খেয়াল রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই জনসভার অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তেমনটাই জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে রাজ‌্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল।

তাঁকে সিরিয়াল কিলার অ্যাখ্যা দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, এমনটা অভিযোগ করেন ৭৮ বছর বয়সী চার্লস।

নম্র, শান্ত স্বভাব। মুখে একটা হালকা হাসি। এই ব্যক্তিকে দেখে কেউ বলতেই পারবেন না একাধিক ব্যক্তিকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছেন। কথা হচ্ছে ফরাসি সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজের (Charles Sobhraj)। ১৯৭০-র দশকে গোটা এশিয়া জুড়ে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন চার্লস শোভরাজ। গোয়া থেকে শুরু করে থাইল্যান্ড, এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় খুন, ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মূলত বিদেশি পর্যটকদেরই নিশানা বানাতেন শোভরাজ, সেখান থেকেই তাঁর নাম হয় ‘দ্য বিকিনি কিলার’। বিগত ১৯ বছর ধরে নেপালের জেলে সাজা কাটছিলেন চার্লস শোভরাজ। বৃহস্পতিবারই তাঁকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রায় দুই দশক পরে জেল থেকে পাকাপাকিভাবে মুক্তি পেয়ে কেমন লাগছে, এই প্রশ্নের উত্তরে চার্লস শোভরাজ বলেন, দারুণ লাগছে।

১৯ বছর সাজার পর চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিলেও তাঁর অপরাধ প্রবণতার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে নেপাল প্রশাসন। সূত্রের খবর, নেপালে যাতে আবার খুন বা অন্য কোনও অপরাধ করতে না পারে, তার জন্য চার্লস শোভরাজকে ১০ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। জেল থেকে মুক্তির পরই সে দেশের প্রশাসনের তরফে চার্লস শোভরাজকে ফ্রান্সের বিমানে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, দোহা হয়ে শনিবারই ওই বিমানে করে প্যারিসে পৌঁছবেন চার্লস শোভরাজ।

বিমানে বসেই দ্য বিকিনি কিলার বলেন, “আমার দারুণ লাগছে… অনেক কাজ করতে হবে আমাকে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। নেপাল সরকারের বিরুদ্ধেও মামলা করব”। তাঁকে সিরিয়াল কিলার অ্যাখ্যা দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, এমনটাও অভিযোগ করেন ৭৮ বছর বয়সী চার্লস।

উল্লেখ্য, সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজের জীবনের উপর ভিত্তি করেই নেটফ্লিক্স ও বিবিসির তরফে একটি ওয়েব সিরিজ প্রকাশ করা হয়। ওই ওয়েব সিরিজটির নাম ‘দ্য সারপেন্ট’।

দ্য বিকিনি কিলার হয়ে ওঠা:
চার্লস শোভরাজের বাবা ছিলেন ভারতীয়, মা ভিয়েতনামের। পরে তাঁর মা একজন ফরাসি নাগরিককে বিয়ে করেন। ছোট থেকেই পরিবারের সঙ্গে বিরোধ, দূরত্বের কারণে কুপথে চলে যায় চার্লস। অল্প বয়সেই হাত পাকে অপরাধে। ১৯৭০-র দশকে শুরু হয় তাঁর অপরাধের আসল কাহিনি। দামি পাথরের ব্যবসায়ী সেজে মূলত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাত চার্লস। তারপর সুযোগ বুঝে তাদের মাদক খাইয়ে লুঠপাট ও খুন করত। ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনামে ধরা পড়েন চার্লস শোভরাজ। বিকিনি পরিহিত এক আমেরিকান যুবতীকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেখান থেকেই তাঁর নাম হয় দ্য বিকিনি কিলার। পরে তদন্তে জানা যায়, ২০টিরও বেশি খুন করেছেন চার্লস।

করোনা সংক্রমণ রুখতে চিনের সরকার ২০২০ সাল থেকেই গ্রহণ করেছিল "জিরো কোভিড নীতি"। কিন্তু মাসের পর মাস টানা লকডাউন, কঠোর করোনাবিধিতে বিরক্ত হয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ।


 ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে চিনের (China) করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। দিন-প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লাগামছাড়া সংক্রমণ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সে দেশের সরকার। কীভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, তা ভেবে কূল পাচ্ছে না চিন। এই পরিস্থিতিতেই আরও ভয়ের বার্তা শোনাল চিন সরকারের শীর্ষ স্বাস্থ্য মহল। চলতি সপ্তাহেই সে দেশে দৈনিক প্রায় ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি। যদি এই তথ্য সত্যি হয়, তবে চিন তথা গোটা বিশ্বে এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। চিনে এই বিপুল সংখ্যক করোনা সংক্রমণের তথ্য সামনে আসতেই বেড়েছে আরও উদ্বেগ। কারণ, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭, যার কারণে এত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই অনেক দেশে পাওয়া গিয়েছে।

চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২০ দিনের মধ্যোই চিনের মোট জনসংখ্য়ার ১৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২৪৮ মিলিয়ন, ২৪.৮ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যদি এই হারেই সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তবে বিগত বছরগুলির করোনা সংক্রমণের রেকর্ডকে তা ছাপিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে চিনের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল। সেই সময়ে দৈনিক ৪ মিলিয়ন বা ৪০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

করোনা সংক্রমণ রুখতে চিনের সরকার ২০২০ সাল থেকেই গ্রহণ করেছিল “জিরো কোভিড নীতি”। কিন্তু মাসের পর মাস টানা লকডাউন, কঠোর করোনাবিধিতে বিরক্ত হয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। শুরু হয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। শেষে বাধ্য হয়েই জিরো কোভিড নীতি শিথিল করে শি জিনপিংয়ের সরকার। আর নিয়মবিধি শিথিল করার পর থেকেই সে দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা।

চিনে এই করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কম টিকাকরণের হার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না ওঠাকেই দায়ী করা হয়েছে। বাকি দেশগুলির তুলনায় চিনে করোনা টিকাকরণের হার খুব কম। অন্যদিকে, সংক্রমণের পর ও টিকা না নেওয়ায় সে দেশের মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। আর সেই কারণেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সিনচুয়ান প্রদেশের অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বেজিংয়েও প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যাই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রন দিয়ে ৪৭ বছরের খরা কাটাতে চাইছে কোচ গ্রাহাম রিড। বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবনা ভারতীয় টিমের জেনে নিন...

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেই ১৯৭৫ সালে একবারই এসেছিল সাফল্য। যদি আরও ভালো করে বলতে হয়, ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে খানিকটা সাফল্যের ছাপ রাখতে পেরেছিল সাতের দশকে। ১৯৭১ সালে, প্রথম বিশ্বকাপে তৃতীয়। ২ বছর পর বিশ্বকাপে আরও একধাপ এগিয়ে রানার্স। পরের বার, অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে চ্যাম্পিয়ন। পরের ৪৭ বছরে? নাহ, নজরকাড়া তো বটেই, বলার মতোও সাফল্য আসেনি। অতীত ভুলে এ বার ঘরের মাঠে হকি বিশ্বকাপে ট্রফির মঞ্চে উঠে পড়তে চাইছে ভারতীয় টিম। শুক্রবারই হকি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষণা করে দেওয়া হল ১৮ জনের ভারতীয় টিম। হরমনপ্রীত সিং (Harmanpreet Singh) টিমের ক্যাপ্টেন। ভাইস ক্যাপ্টেন অমিত রোহিদাস। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রন দিয়ে ৪৭ বছরের খরা কাটাতে চাইছে কোচ গ্রাহাম রিড। বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবনা ভারতীয় টিমের, তুলে ধরল


কোচ রিড বলেছেন, ‘হকির দিক থেকে ভাবলে এই বিশ্বকাপ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট হলে টিমের উপর যে প্রত্যাশার বাড়তি চাপ থাকে, তা আর নতুন করে বলতে হবে না। সব দেশই তাদের সেরা টিম নিয়ে এই বিশ্বকাপ খেলতে আসবে। সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করবে। সে কথা মাথায় রেখেই সেরা টিম বাছার চেষ্টা করা হয়েছে। এই টিম প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।’

ভারতীয় টিমের ভরসা জায়গা হতে চলেছেন পিআর শ্রীজেশ। কেরিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন তিনি। টিমে তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে থাকছেন কৃষ্ণন বি পাঠক। ডিফেন্সে ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীতের সঙ্গে অমিত, সুরেন্দ্র কুমার, বরুণ কুমার, জার্মানপ্রীত সিং, সঞ্জীপ সাসারা থাকবেন। মাঝমাঠেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকবে। মনপ্রীত সিং, বিবেক সাগর প্রসাদ, হার্দিক সিং, নীলকন্ঠ শর্মা, সমশের, আকাশদীপ সিংরা থাকবেন।

গ্রাহাম রিড বলছেন, ‘গত দু’মাস ধরে এই বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘরের মাঠে প্রো লিগ খেলেছি। বিশ্বের এক নম্বর টিম অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে গিয়ে খেলেছি। এ বার সামনে তাকাতে হবে। যাতে বিশ্বকাপে আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পারি।’

পুরো টিম:
গোলকিপার- কৃষ্ণণ বাহাদুর পাঠক, পারাত্তু রবীন্দ্রন শ্রীজেশ

ডিফেন্ডার- জার্মানপ্রীত সিং, সুরেন্দ্র কুমার, হরমনপ্রীত সিং, বরুণ কুমার, অমিত রোহিদাস, নিলম সঞ্জীপ সেস

মিডফিল্ডার- মনপ্রীত সিং, হার্দিক সিং, নীলকন্ঠ শর্মা, সমশের সিং, বিবেক সাগর প্রসাদ, আকাশদীপ সিং

ফরোয়ার্ড- মনদীপ সিং, ললিত কুমার উপাধ্যায়, অভিষেক, সুখজিৎ সিং



 সব দ্বন্দ্বেরই শেষ আছে বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে যুদ্ধে ইতি এখনও না হওয়ার জন্য তিনি ইউক্রেনকেও দুষেছেন।


ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করতে চান। বৃহস্পতিবার এমন কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ঝাঁঝ কমলেও যুদ্ধে এখনও পুরোপুরি ইতি টানেনি রাশিয়া। সেই যুদ্ধেই বন্ধের ইঙ্গিত এল পুতিনের কথায়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সাংবাদিকদের পুতিন বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য এই দ্বন্দ্বে ইতি টানা। আমরা তার চেষ্টাও চালাচ্ছি। দ্রুত এবং ভালভাবে আমরা শেষ করতে চাই।” সব দ্বন্দ্বেরই শেষ আছে বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে যুদ্ধে ইতি এখনও না হওয়ার জন্য তিনি ইউক্রেনকেও দুষেছেন। পুতিন বলেছেন, “সব দ্বন্দ্বই শেষ হয় কোনও না কোনও উপায়ে। এর জন্য আলোচনাও দরকার। আমাদের প্রতিপক্ষ (কিয়েভ) যত দ্রুত এ বিষয়টি বুঝবে ততই মঙ্গল।” এর পাশাপাশি কিয়েভ এবং ওয়াশিংটনের আচরণ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুতিন। রাশিয়াকে দুর্বল করতে আমেরিকা ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।



রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা এখন পূর্ব ডোনেৎস্কের দখলের ব্যাপারে মনোনিবেশ করেছেন। ডোনেৎস্ক এলাকার বাখমুট শহর এখন যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধে ইতি টানার ব্যাপারে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অনড় মনোভাবকেও দায়ী করেছেন রাশিয়া। পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় রাজি না হওয়ার জন্যও জেলেনস্কিতে দায়ী করেছেন মস্কোর সামরিক প্রধান।


সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে গিয়েছিসেন জেলেনস্কি। সেই ঐতিহাসিক সফর সেরে ইউক্রেনে ফিরেছেন তিনি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থসাহায্যকে দান নয়, বিনিয়োগ হিসাবে দাবি করেছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। এর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায় ১৮০ কোটি ডলারের সামরিক অস্ত্র সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে জেলেনস্কির এই আচরণকে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছেন না পুতিন। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে আমেরিকার ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ শোনা গিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের গলায়। এ নিয়ে পুতিন বলেছেন, “যাঁরা এ সব কাজ করছেন তাঁরা বৃথা এই কাজ করছেন। তাঁরা দ্বন্দ্বকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন।”

বিশ্বভারতীর নানা ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে।


বিশ্বভারতীর শৃঙ্খলা না মানার অভিযোগে বরখাস্ত করা হল অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপককে। বিশ্বভারতীর নানা ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। আগে শোকজ করা হয়েছিল তাঁকে। সেকারণেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের

নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ শোকজ করা হয়েছিল অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ছাত্রীরা। রাত ২ টো নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্য। অভিযোগ, সেদিন সেই বিক্ষোভ উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। আর সেই কারণেই এবার তাঁকে শোকজ করে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, সেদিন যেখানে ভাঙচুর চালানো হয়, ঘেরাও করা হয়, সেখানে একজন অধ্যাপক হিসাবে তিনি ছাত্রদের উস্কানি দিয়েছিলেন এবং উপস্থিত ছিলেন। যা বিশ্বভারতীর নিয়ম বহির্ভূত। তাঁর কাছে এই নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।সেক্ষেত্রে তাঁকে ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই সাসপেন্ড ছিলেন এই অধ্যাপক। এই ঘটনায় সুদীপ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “ছাত্রছাত্রীরা প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁদের উস্কানি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।” সূত্রের খবর, অধ্যাপকের জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এরপর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না চলবে না। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করা মামলায় নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাসে বার বার ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতী। মধ্যরাতেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ছাত্র-ছাত্রীদের করা অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য।

পাঁচ সদস্যের নির্বাচক কমিটির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর সাড়া পড়ে যায়। জাতীয় নির্বাচক হতে গেলে নিশ্চিত ভাবেই কিছু শর্তপূরণ করতে হবে। তা করার পর তবেই ঠিক হবে, কারা হবেন সদস্য।


৬০০ জনের তালিকায় অবাক করা কিছু নাম। যে নাম দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও। সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, মহেন্দ্র সিং ধোনি তো রয়েইছেন, সেই তালিকায় কিনা রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম উল হকের নামও! এই চার কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। কেন? ব্যাপারটা হল, জাতীয় নির্বাচক মণ্ডলীর সদস্য নির্বাচনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে সিভি চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিসিসিআই (BCCI)। নির্বাচক হওয়ার জন্য নাকি সচিন, সেওয়াগ, ধোনিরা আবেদন করেছেন। এতেই শেষ নয়, ইনজামামও নাকি ভারতের জাতীয় নির্বাচক হতে চান। ইমেল মারফত তাঁদের আবেদনপত্র পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বোর্ড। খতিয়ে যা দেখা গেল, তাতে বোর্ড কর্তারাও রীতিমতো হতবাক। কী ঘটেছে? তুলে ধরল 

শর্তপূরণ করতে হবে। তা করার পর তবেই ঠিক হবে, কারা হবেন সদস্য। সেই মতো ৬০০ জন আবেদনপত্র পাঠিয়ে ছিলেন। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ১০কে চূড়ান্ত বাছাই করার কথা বোর্ডের। তা করতে গিয়েই দেখা যায় সচিন, শেওয়াগ, ধোনিরা আবেদন করেছেন। যা আশ্চর্যের ঘটনা। তাঁদের মতো হাইপ্রোফাইল প্রাক্তন ক্রিকেটার নির্বাচক হতে চাইলে, আগেই তাঁদের ইচ্ছে প্রকাশ করতেন। কিন্তু তা না করে সরাসরি বোর্ডের কাছে আবেদন করে বসবেন, কর্তারা একেবারেই বিশ্বাস করেননি। এতেই শেষ নয়, পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক পর্যন্ত ভারতের জাতীয় নির্বাচক হতে চাইছেন, এও বিশ্বাস করতে পারেননি কর্তারা। দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, এঁরা কেউই আবেদন করেননি। ফেক ইমেল আইডি তৈরি করে সেখান থেকে আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে।

বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, ‘প্রায় ৬০০ জন আবেদন করেছেন জাতীয় নির্বাচক হতে চেয়ে। মজার কথা হল, কিছু ফেক ইমেল আইডি থেকে সচিন, শেওয়াগ, ধোনিদের নামেও আবেদন করা হয়েছে। এটা বোর্ডের সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়। ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি বা সিএসি ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করবে বোর্ড। সেখান থেকে বেছে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে কমিটির পাঁচ সদস্যকে।’



 স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ এখনও রয়েছে। সুতরাং করোনাবিধি অনুসরণ করে চলা উচিত। বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

বর্ষশেষে ফের একবার উদ্বেগ বাড়ছে করোনা নিয়ে। চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা। আশেপাশের দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে সেই করোনা সংক্রমণ। ভারতেও যাতে ফের একবার করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য অতি তৎপর কেন্দ্র। একের পর এক বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা নিয়ে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্য়েই জল্পনা শুরু হয়েছে, ফের কি বাধ্যতামূলক করা হবে মাস্ক পরার নিয়ম? ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকলেই মাস্ক পরার অনুরোধ করেছেন। তবে সূত্রের খবর, আপাতত মাস্ক পরার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, যাবতীয় করোনাবিধি অনুসরণ করতে বলা হলেও, এখনই কোনও নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হবে না।



স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও, এখনই কোনও নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হবে না। আপাতত করোনা পরীক্ষা, টিকাকরণের উপরই জোর দেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণ রুখতে কী কী সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত, সে সম্পর্কেও সচেতন করা হবে।

ভারতীয় গবেষকদের দাবি, চিনে করোনার যে প্রকোপ দেখ গিয়েছে, তার কারণ হল টিকাকরণের কম হার ও চিনা নাগরিকদের কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই চিনে জিরো কোভিড নীতি অনুসরণ করা হলেও, সে দেশে করোনা টিকাকরণের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। এরফলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। চিনের করোনা টিকা- সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ এখনও রয়েছে। সুতরাং করোনাবিধি অনুসরণ করে চলা উচিত। বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত নাগরিকদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিনিষেধগুলি মেনে চলতে বলা হচ্ছে। তবে মাস্ক পরার মতো করোনাবিধি বাধ্য়তামূলক করা হবে না। কারণ, হঠাৎ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে জনসাধারণের জীবন ব্যাহত হতে পারে, এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮ টা নাগাদ বেহালা এসএন রায় রোডে একটি ১০ চাকার ডাম্পারের ধাক্কায় মৌলি নামে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।

বাইকে মেসে ফিরছিলেন। পিছন থেকে একটি ডাম্পার এসে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে তরুণী। বাইকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় ছাত্রীর শরীর। শুক্রবার সাত সকালেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা বেহালায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম মৌলি অধিকারী (২২)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বাইক চালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।



পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮ টা নাগাদ বেহালা এসএন রায় রোডে একটি ১০ চাকার ডাম্পারের ধাক্কায় মৌলি নামে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃত তরুণী পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময়ে একটি বাইক ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলেন তিনি। বেহালার পাঠকপাড়ার একটি মেসে থেকে পড়াশুনা করতেন ওই তরুণী। এদিন সকালে অনলাইনে বাইক বুক করে তিনি একটি জায়গায় যাচ্ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, একটি ডাম্পার বেপরোয়া গতিতে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে অনেকটা দূরে পড়ে যান ওই তরুণী। ডাম্পারের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় শরীরটা। মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে ওই তরুণীর। মৌলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। বাইকের চালক বর্তমানে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আবাস ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। সঠিক পরিবারকে আবাস যোজনার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই নবান্নের নির্দেশে গ্রামে গ্রামে সমীক্ষা শুরু করেছেন সরকারি আধিকারিকরা। আর এবার সেই আবাস যোজনা নিয়ে সরাসরি অসন্তোষের মুখে পড়লেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। সম্প্রতি তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘চলো যাই গ্রামে’ কর্মসূচি নিয়ে পুরুলিয়া গিয়েছিলেন চন্দ্রিমা। আর সেখানেই সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যদিও চন্দ্রিমার দাবি, এতদিন আগে সার্ভে করা হয়েছিল, তার জন্যই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার ইন্দটাঁড় ময়দানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পঞ্চায়েতের সভায় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেই তিনি চলে যান পুরুলিয়ার সারগো গ্রামে। গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রামবাসীরা পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে এদিন কথা বলেন চন্দ্রিমা। আবাস যোজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। বহু মানুষ তাঁর কাছে আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্রুত তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন মহিলা নেত্রী।



আপনি যদি ভুলবশত পাঠিয়ে ফেলা কোনও মেসেজ 'Delete for Everyone' করার পরিবর্তে 'Delete for me' করে ফেলেন, তাহলে তা UNDO করার অপশনও আপনাকে দেবে WhatsApp।


WhatsApp এখন আমাদের জীবনের সঙ্গে একপ্রকার মিশে গিয়েছে। চ্যাট, মিডিয়া পাঠানোর পাশাপাশি তার পরিধি এখন ভয়েস এবং ভিডিয়ো কলেও বিস্তৃত। কিন্তু এহেন WhatsApp যখন আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী, তখন সেখান থেকে কিছু সময় মেসেজ পাঠাতে গিয়ে আমাদের লজ্জিতও হতে হয়। ঠিক কীরকম? এই যেমন ধরুন, আপনি হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ভুল ব্যক্তি বা একটা ভুল গ্রুপে কোনও মেসেজ পাঠিয়ে ফেললেন। তখন কী করেন আপনি? তারপরে আবার দুর্ঘটনাক্রমে যদি আপনি ‘Delete for me’ অপশনে ক্লিক করে দেন, তাহলে তো আর লজ্জার শেষ থাকে না। কারণ, সেই মেসেজে আপনার ‘Delete for Everyone’ অপশনে ক্লিক করার কথা ছিল।

আপনার সেই লজ্জার মুহূর্তটি WhatsApp এবার এক লহমায় বদলে দিতে চাইছে। নতুন একটি ফিচার নিয়ে আসছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি। কী সুবিধা হবে সেই ফিচারে? আপনি যদি ভুলবশত পাঠিয়ে ফেলা কোনও মেসেজ ‘Delete for Everyone’ করার পরিবর্তে ‘Delete for me’ করে ফেলেন, তাহলে তা UNDO করার অপশনও আপনাকে দেবে WhatsApp।

সম্প্রতি WhatsApp-এর তরফে টুইট করে এই জরুরি ফিচারের ঘোষণা করা হয়েছে। টুইটে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি এই ফিচারকে ‘Accidental Delete’ বলছে। এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য 5 সেকেন্ডের একটি উইন্ডো খুলে যাবে। সেখান থেকেই ইউজাররা অন্যদের জন্য মেসেজ ডিলিট করার পরিবর্তে নিজেদের জন্য মেসেজ ডিলিট করলে, তা UNDO-ও করে নিতে পারবেন।

WhatsApp-এর এই নতুন ফিচারটি আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড দুই ক্ষেত্রের ব্যবহারকারীদের জন্যই নিয়ে আসা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ব্যক্তিগত এবং গ্রুপ চ্যাট দুই ক্ষেত্রেই এই WhatsApp-এর এই Accidental Delete ফিচারটি কাজ করবে। ওই রিপোর্টে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, ফিচারটি চলতি বছরের অগস্ট মাসেই কিছু Android এবং iOS ব্যবহারকারীর জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। খুব শীঘ্রই তা সমস্ত Android এবং iOS ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসবে বলে জানা গিয়েছে।

এই জেলখানাকে অনেক নেটিজেনই পাঁচতারা জেলখানা বলে থাকেন। বর্তমানে সেখানে ২০৫ জন বন্দি রয়েছেন। গত ১৮ বছর ধরেই এই জেলখানা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জেলখানার সম্মান পেয়েছে।

বিশালাকার বিল্ডিং। বহুতলের চারপাশ কাচ দিয়ে মোড়া। দূর থেকে মনে হতেই পারে এ হয়তো কোনও বিলাসবহুল হোটেল। কিন্তু তা আসলে জেলখানা। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের রাখা হয় এখানে। বিলাসবহুল জেলের ছবি দেখে অভিভূত নেটদুনিয়া। নেটিজেনদের বিস্ময় বাইরে থেকে যদি এত সুন্দর হয়, তাহলে ভিতরের কয়েকদিদের কত ভাগ লাগে। জানা গিয়েছে, এই জেলখানা হল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জেলখানা। ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় রয়েছে এই জেলখানা। নাম জাস্টিস সেন্টার লিওবেন।




অস্ট্রিয়ার পর্বতঘেরা লিওবেন এলাকায় অবস্থিত এই জেলখানা। এখানে প্রত্যেক কয়েদিদের একই সেলে অস্বস্তিকর ভাবে থাকতে হয় না। প্রত্যেক কয়েদির জন্য পৃথক সেলের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সেলের সঙ্গেই রয়েছে বাথরুম। অর্থাৎ প্রত্যেক কয়েদি জেলবন্দি থাকার সময় নিজস্ব বাথরুমে শৌচকর্ম সারে। এ ছাড়াও টেলিভিশনের ব্যবস্থাও রয়েছে সেলে। অত্যাধুনিক মানের সেলের পাশাপাশি জিম, বাস্কেটবল কোর্ট রয়েছে লিওবেনের জেলখানায়। এমনকি কয়েদিদের ঘোরার, আড্ডা মারার জায়গাও রয়েছে জেলে। একটি রিক্রিয়েশন সেন্টারও রয়েছে। এর পাশাপাশি জেলের দেওয়াল কাচের তৈরি হওয়ায় এর মধ্যে থাকার সময় বাইরের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন কয়েদিরা।

এই জেলখানাকে অনেক নেটিজেনই পাঁচতারা জেলখানা বলে থাকেন। বর্তমানে সেখানে ২০৫ জন বন্দি রয়েছেন। গত ১৮ বছর ধরেই এই জেলখানা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জেলখানার সম্মান পেয়েছে। এই জেলখানার নকসা তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত আর্কিটেক জোশেপ হোহেনসিন। তবে হিংসাত্মক অপরাধ যাঁরা করেননি তাদেরকেই রাখা হয় এই জেলে। এই জেলের মধ্যেই রয়েছে আদালত। তাই বিচারাধীন বন্দিদের সেখানেই বিচার করা হয়। যদিও খুন, ধর্ষণ, অপরহণের মতো অপরাধ যারা করে, তাদের অবশ্য ঠাঁই হয় না এ জেলে। সাধারণত লঘুমানের অপরাধীদের রাখা হয় এই জেলে। যাতে তারা জীবনে সংশোধনের সুযোগ পান। অস্ট্রিয়ার লিওবেনের এই জেলখানা প্রকৃত অর্থেই সংশোধনাগার।