February 2025

কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে রয়েছে বাংলাদেশী বার্জ, চিন্তায় প্রান্তিক মৎস্যজীবীরা

এক সপ্তাহ বেশি মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে রয়েছে ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই বাংলাদেশি বার্জ "সি ওয়ার্ল্ড"। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ ক্রমাগত মুড়িগঙ্গা নদীতে মিশছে বিষাক্ত ফ্লাইয়াস। যার ফলে চিন্তায় প্রান্তিক মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, ওই পণ্যবাহী জাহাজটিতে ছাই ভর্তি রয়েছে। ছাই গুলি নদীতে মিশে গেলে জল দূষিত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে জলজ প্রাণী গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার উপরে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।




 
চলতি মাসের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ায় ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল একটি ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই বাংলাদেশি জাহাজ। প্রায় এক সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও সেটি এখনও পর্যন্ত একই রকম অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাহাজটিকে নদী থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মৎস্য দপ্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসকে একটি দরখাস্ত করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়েন এই লাভলি। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী রেহানা সুলতানা।




লাভলির পদে কোপ! 'বাংলাদেশি' হওয়ার অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারিত TMC নেত্রী
অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান


তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়। ভিন দেশের নাগরিক হয়ে নাম ভাঁড়িয়ে বাংলায় এসে ভুয়ো ওবিসি কার্ড বানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি, অবশ্য টিভি৯ বাংলার খবরের জেরে সেই শংসাপত্র খুইয়েছেন। বাকি ছিল পঞ্চায়েত প্রধানের পদ। অবশেষে সেটাও হারালেন লাভলি খাতুন।


বাংলাদেশ থেকে এসে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে প্রধানের দায়িত্ব বসার অভিযোগ ছিল এই লাভলির বিরুদ্ধে। টিভি৯ বাংলার লাগাতর খবরের জের। অবশেষে সেই পদও হারালেন লাভলি খাতুন।

জানা গিয়েছে, অস্বচ্ছতার অভিযোগে মালদহের রশিদাবাদ পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হল লাভলি খাতুনকে। মহাকুমা শাসকের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে তার পঞ্চায়েতের সদস্যপদও। আপাতত, ওই পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাবেন উপপ্রধান, নির্দেশ মহাকুমা শাসকের।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়েন এই লাভলি। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী রেহানা সুলতানা। ভোটে জয়ের পর পঞ্চায়েত প্রধান হলেও লাভলির ‘আসল’ পরিচয় প্রকাশ্য়ে আনতে উদ্যত হন রেহানা। যান বিডিওর কাছেও। সেখানে সর্বপ্রথম লাভলি পরিচয় পত্রে ধরা পড়ে গরমিল। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু লাভ না হওয়ায় শেষমেশ হাইকোর্টে গিয়ে দ্বারস্থ হন রেহানা।

সেই থেকেই যেন শিরে সংক্রান্তি লাভলির। জানা গিয়েছে, অপসারিত এই পঞ্চায়েত প্রধানের আসল নাম নাসিয়া শেখ। অভিযোগ, ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসেন তিনি। এসেই ভুয়ো ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেন লাভলি। বদলে দেয় নিজের বাবার নামও। কিন্তু হাজার প্রচেষ্টাতেও হল না শেষরক্ষা।



মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরু থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে টানা স্লোগান চালাতে দেখা যায় বিজেপিকে। অধ্যক্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কান দেননা আপ বিধায়করা।

রেখার ব্রহ্মাস্ত্র! আবগারি-কাণ্ডে বিধানসভায় CAG রিপোর্ট পেশ করতেই সাসপেন্ড ১২ AAP বিধায়ক

 নির্বাচন মিটেছে। নতুন সরকারও গড়েছে। কিন্তু তাতেও নামেনি রাজনৈতিক পারদ। সপ্তাহের শুরুতেই রাজধানীর বুকে বাঁধল হইচই। নতুন সরকার গড়ার পরেই ‘আপের শেষ দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারিটা পদ্ম শিবির দিয়ে দিয়েছিল। এবার সেই ‘শেষ দেখার’ পর্বই যেন শুরু হল রাজধানীর বুকে।

নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি সুর চড়িয়েছিল যে ক্ষমতায় এলে আপের একাধিক ‘কেলেঙ্কারির’ ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনবে তারা। সেই কথা মতোই কাজে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। বিধানসভায় আয়োজিত তিন দিনের বিশেষ অধিবেশনে আপের আমলে ঘটা আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে ক্য়াগ রিপোর্ট পেশ করল তারা। আর তারপরেই বাঁধল হইচই।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরু থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে টানা স্লোগান চালাতে দেখা যায় বিজেপিকে। অধ্যক্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কান দেননা আপ বিধায়করা। আর সেই হই হট্টগোলের মধ্যে বিধানসভায় নিজেদের ব্রহ্মাস্ত্র বের করে বিজেপি। আপের আবগারি কেলেঙ্কারির ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত।

তারপরেই সুর একেবার সপ্তমে। দ্বিতীয় দিনেই উত্তাল হল অধিবেশন। তবে একদিকে আপের বিরুদ্ধে বিধানসভায় ক্য়াগ রিপোর্টকে হাতিয়ার করল বিজেপি। অন্যদিকে, আপ চলল অম্বেডকর ইস্য়ুতে। কেন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীর ঘর থেকে অম্বেডকরের ছবি সরিয়ে মোদীর ছবি বসানো হয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলল তারা। যার মাশুলও গুনতে হল কিছুক্ষণের মধ্যেই। হইচই, উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরির দায়ে বিধানসভা থেকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড হলেন আপের ১২ বিধায়ক। সাসপেন্ড হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশি মারলেনাও। মুলতুবি অধিবেশন।

তবে সাসপেন্ড হওয়ার পরে কিন্তু থেমে থাকেনি সেই ১২ আপ বিধায়ক। বিধানসভার অন্দর থেকে বেরিয়ে ওই চত্বরেই হাতে বাবা অম্বেডকরের ছবি হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখায় তারা। পদ্ম শিবিরের দিকে তোপ দেগে অতিশি আবার বলেন, ‘মোদী কি বাবা অম্বেডকরের থেকেও বড়? উনি তো মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের ঘরে অম্বেডকরের ছবি সরিয়ে দিয়ে নিজের ছবি বসিয়ে দিয়েছেন।’



অবশ্য, আপের এই অম্বেডকর ইস্য়ুর পাল্টা ক্যাগ রিপোর্টকে রেখেছে বিজেপি। এদিন প্রবেশ ভর্মা বলেন, ‘সময় ঘনিয়ে এসেছে। যে ক্য়াগ রিপোর্টের জন্য আমরা এতদিন অপেক্ষা করছিলাম তা এবার সামনে আসছে।’

 ২০১৪ সালে দুর্গাপুজোর সময় মন্দির থেকে টাকা খোয়া যাওয়া নিয়েই সূত্রপাত বিতর্কের। সেই সময় মন্দিরের প্রণামী বাক্স থেকে মোট ১০ হাজার চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল এক স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

পুরনো 'পাপের' প্যাঁচে শাসকনেতা! খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা TMC কাউন্সিলরের
ডান দিকে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কাউন্সিলর


১১ বছর পর মিলল বিচার। ২০১৪ সালের একটি পিটিয়ে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল পানিহাটি পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারক গুহ। আদালত সূত্রে খবর, কাউন্সিলর ছাড়াও এই মামলায় একই সাজা হয়েছে আরও চার জন অভিযুক্তের।

ঘটনাটা ঠিক কী?

২০১৪ সালে দুর্গাপুজোর সময় মন্দির থেকে টাকা খোয়া যাওয়া নিয়েই সূত্রপাত বিতর্কের। সেই সময় মন্দিরের প্রণামী বাক্স থেকে মোট ১০ হাজার চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল এক স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই দলবল নিয়ে দুর্গা মণ্ডপেই মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারেন বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর তারক গুহ ও তার অনুগামীরা। তখন তিনি কিন্তু কাউন্সিলর হননি। তাও এলাকায় দাপট কম ছিল না তারকের। পিটিয়ে খুনের পর গোটা ঘটনাকেই ধামাচাপা দিয়ে দেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ।

১১ বছর পর…

কয়েক বছর পর সেই মামলায় ব্যারাকপুর আদালতে দায়ের হয় একটি মামলা। যার ভিত্তিতে বারংবারই কাউন্সিলরকে হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে তলব করেন বিচারক। কিন্তু প্রতিবারই ছলে-বলে-কৌশলে সেই তলব এড়িয়ে যেতেন তিনি।

শেষবার, গত সপ্তাহের শুক্রবার কাউন্সিলরকে ফের তলব করা হলে, আদালতে হাজিরা দেন তিনি। তখন শাসকনেতাকে হাতের নাগালে পেতেই গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাকে। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটেনি। তার আগেই বড় রায় শুনিয়ে দিলেন ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক।

মঙ্গলবার, ছিল সাজা ঘোষণা। ২০১৪ সালের পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর তারক গুহ-সহ নেপাল গুহ, জয়দেব মুখার্জি, শ্যামল দাস ,হরিপদ সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। পাঁচ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা শোনান তিনি

 সেই আলোচনার শেষ দিনেই মিটে গেল নির্বাচন পর্ব। রাজ্য সম্মেলন থেকেই বাছাই করা হল রাজ্য সম্পাদকের মুখ। পাশাপাশি, গঠন হয়েছে ৮০ জন সদস্যের রাজ্য কমিটি। তাতে রয়েছেন অনেকেই, তবে বাদ পড়েছেন কেউ কেউ।


বাদ পড়লেন সুশান্ত-বিকাশরা, সিপিএম-এর ভরসা এখন সেলিমেই


সিপিএমের অন্দরে এখন বদলের হাওয়া। দল আছে। নেতৃত্ব আছে। কিন্তু নেই ভোট। ‘শূন্য’ বামেদের লড়াইটা এখন পুনরায় ভোটের ময়দানে নিজেদের অস্তিত্বের পুনরুদ্ধার করা। ডানকুনিতে হয়ে গেল সিপিএমে রাজ্য সম্মেলন। আলোচনা হল, দলের ভোট কৌশল, আলোচনা হল সংগঠনের পুনরুদ্ধার নিয়ে। আলোচনা হল মাটির সঙ্গে ‘দোস্তি’ বজায় রাখা নিয়ে।

সেই আলোচনার শেষ দিনেই মিটে গেল নির্বাচন পর্ব। রাজ্য সম্মেলন থেকেই বাছাই করা হল রাজ্য সম্পাদকের মুখ। পাশাপাশি, গঠন হয়েছে ৮০ জন সদস্যের রাজ্য কমিটি। তাতে রয়েছেন অনেকেই, তবে বাদ পড়েছেন কেউ কেউ। আর এই বাদ পড়ার তালিকায় যাঁকে নিয়ে জল্পনা ছিল সব থেকে বেশি, সেই সুশান্ত ঘোষের নাম খুঁজে পাওয়া গেল না সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তালিকায়।

তবে সুশান্ত একা নন। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আরও অনেকে। রাজ্য কমিটি থেকে ‘ছুটি’ অশোক ভট্টাচার্য ও জীবেশ সরকারও। বামেদের তরফে জানা গিয়েছে, ৮০ জনের নতুন রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন ১৪ জন মহিলা সদস্যও। আর এই সম্মেলন থেকেই ফের সিপিএমে রাজ্য সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিমই।


প্রসঙ্গত, সিপিএমের অন্দরে বয়সজনীত সীমা নিয়ে বারংবার উঠেছে প্রশ্ন। জ্যোতি থেকে বুদ্ধ, শাসনকালের ৩৪ বছরে রাজ্য কমিটিতে বেশির ভাগ সময়ই দেখা গিয়েছে প্রৌঢ়দেরই। বয়স্কদের সব সময় ক্ষমতা তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলেরই একাংশ। ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন থেকে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে এমনটা নয়। বয়সজনীত কারণে বাদ পড়েছেন কয়েকজন। তবে তরুণ প্রজন্মে নতুন অন্তর্ভুক্তি সেই হিসাবে নেই। যা ছিল তাই রয়েছে।

কমিটি থেকে বাদ পড়লেন বাঁকুড়ার প্রবীণ নেতা অমিয় পাত্র। বয়সজনীত কারণে সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্যসভা সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যকেও। একই ভাবে বাদ পড়েছেন অমিয় পাত্র ও সুখেন্দু পানিগ্রাহী। উল্লেখ্য়, আরজি কর-কাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতিতে কলতান দাশগুপ্তের ‘কণ্ঠ’ ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্কেরই জের। গুঞ্জন থাকা সত্ত্বেও রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেলেন না কলতান।

তবে এবারের কমিটিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি নতুন নাম। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য,দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী। কলকাতার সিটু নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল।

হুড়মুড়িয়ে সোনা বিক্রি দেশে, আসতে চলেছে কোন বিপদ? সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা…


তবে বর্তমান জেনারেশনে স্মৃতি বা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ যেন কমে যাচ্ছে, বলছে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টই। দেশের অনেক মানুষই তাঁদের অবসর জীবনযাপনের জন্য তাঁদের পারিবারিক বিভিন্ন সোনার গয়না বিক্রি করে দিচ্ছেন।


হুড়মুড়িয়ে সোনা বিক্রি দেশে, আসতে 

ভারতে সোনার মূল্য শুধু যে তার বাজার মূল্যে ধরা হয় তা নয়। দেশের অনেক বনেদী বাড়িতে আজও খুঁজলে দেড়শো বা দু’শো বছরের পুরনো সোনার গয়না পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের মানুষ শুধুমাত্র বিনিয়োগের বিকল্প হিসাবেই যে সোনা কিনতো এমন নয়, তারা সোনা কিনতো নিজেদের শখ পূরণের জন্য বা উপহার দেওয়ার জন্য। আর সেই সোনা জেনারেশনের পর জেনারেশন রেখে দেয় তার বাজারের মূল্যের জন্য, সেই গয়নার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন স্মৃতির জন্য বা কোনও সাংস্কৃতিক মূল্যের কারণে।


তবে বর্তমান জেনারেশনে স্মৃতি বা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ যেন কমে যাচ্ছে, বলছে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টই। দেশের অনেক মানুষই তাঁদের অবসর জীবনযাপনের জন্য তাঁদের পারিবারিক বিভিন্ন সোনার গয়না বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার কেউ কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত এমার্জেন্সির জন্য বিক্রি করে দিচ্ছেন নিজের পারিবারিক সোনা। আর এর ফলে ভারতের বাজারে এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ হুড়মুড়িয়ে সোনা বিক্রি করে দিচ্ছেন।

এর প্রভাব অবশ্যই পড়ছে ভারতের অর্থনিতিতে। এমনভাবে পুরনো সোনা বিক্রিতে একটা জিনিস যেন স্পষ্ট হচ্ছে, বলছে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ। তারা বলছে, ভারতীয় সংস্কৃতির একটা পরিবর্তন হয়েছে। যেখানে ঐতিহ্যগত বিভিন্ন মূল্যবোধ ধীরে ধীরে দেশের মানুষের কাছে অর্থের যে বাস্তবতা, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।


এমনিই আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক স্বাক্ষরতা খুব বেশি নয়, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই ঘটনা তো একপ্রকার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সেই জেনারেশনের মানুষদের যাঁরা সঠিক সময়ে সঞ্চয় শুরু করতে পারেননি। তবে সোনার হুড়মুড়িয়ে বিক্রির ফলে বিকল্প কোনও বিনিয়োগের ক্ষেত্র আরও প্রশস্ত হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আহত ব্যক্তির নাম রঙ্গলাল মাল। অভিযোগ, নিজের বাড়িতেই বোমা মজুত করে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। ভুলবশত বোমাতে হাত পড়ে যায়। তারপরই উড়ে যায় হাত। আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।


'আমার বাঁ হাত উড়ে গেল স্যর', ঘরে মজুত রেখেছিলেন বোমা, স্পর্শ করতেই ভয়ঙ্কর অবস্থা TMC কর্মীর
রঙ্গলাল মাল


 বীরভূমের মাড়গ্রামে ভয়বহ বিস্ফোরণ। বাড়ির ভিতরে মজুত ছিল বোমা।আর সেই বোমায় হাত পড়তেই বিস্ফোরণ। যার জেরে বাঁ হাত উড়ে গেল এক ব্যক্তির। আহত ব্য়ক্তি জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কর্মী। আগে সিপিএম করতেন। অনেক বছর আগে বাড়িতে বোমা মজুত করে রেখেছিলেন।


আহত ব্যক্তির নাম রঙ্গলাল মাল। অভিযোগ, নিজের বাড়িতেই বোমা মজুত করে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। ভুলবশত বোমাতে হাত পড়ে যায়। তারপরই উড়ে যায় হাত। আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা কেন, কেন বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল সেখানে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আহত ব্যক্তি বলেন, “আগে সিপিএম করতাম। এখন তৃণমূল করি। অনেক বছর আগে ঘরের ভিতর বোমা রেখেছিলাম। সেই সময় ঝামেলা হত। সেই গণ্ডগোল থেকে বাঁচতে বোমা মজুত করে রাখা ছিল। তবে এই বোমাটা কোথায় ছিল বলতে পারব না। হাত দিতেই ফেটে গেল। আমার বাঁ হাতটাই উড়ে গেল স্যর।”

শিবরাত্রিতে শিবকে তুষ্ট করতে হলে, তুষ্ট করতে হবে পাবর্তীকেও। তাই এই শুভদিনে অবশ্যই স্ত্রী বা প্রেমিকাকে এক বিশেষ উপহার দিন।


শিবরাত্রিতে স্ত্রীয়ের পায়ে পরান এটি, এক উপহারেই ঘুরবে ভাগ্যের চাকা!


শিবের মতো স্বামী চাই! হ্য়াঁ, প্রাচীনকাল থেকে এই ধারনাকে সঙ্গে নিয়েই বহু অবিবাহিত মেয়েরা উপোস করে শিবলিঙ্গে জল ঢালছেন। কথিত রয়েছে, শিব যতই রাগী হন না কেন, শিবের মতো স্বামী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কেননা, শিব পার্বতীর ভক্ত। পার্বতী ছাড়া তিনি আর কিছু বোঝেন না। তাই স্বামী তো সবাই চায়! কিন্তু জানেন কি? শাস্ত্রে রয়েছে, শিবরাত্রিতে শিবকে তুষ্ট করতে হলে, তুষ্ট করতে হবে পাবর্তীকেও। তাই এই শুভদিনে অবশ্যই স্ত্রী বা প্রেমিকাকে এক বিশেষ উপহার দিন। যা কিনা সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি এনে দেবে।


কী এই বিশেষ উপহার?

জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, এই শিবরাত্রিতে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে রুপোর নুপূর উপহার দিন। আর ঠিক সন্ধ্যাবেলায় স্ত্রী বা প্রেমিকাকে নিজে হাতে পায়ে পরিয়ে দিন। মনে রাখবেন, স্ত্রী বা প্রেমিকাকে নুপূর পরানোর আগে, আপনাকে নতুন পোশাক পরতে হবে। আর অবশ্য়ই স্ত্রী নুপূর পরার পর যেন ঠাকুর ঘরে শিবের মাথায় জল দেন। আর প্রেমিকাকে নিয়েই অবশ্যই দর্শন করুন শিব মন্দির।

তবে শুধুই স্ত্রী বা প্রেমিকা নয়, এই শুভ দিনে বাড়ির যে কোনও মহিলাকেই উপহার দেওয়ার কথা বলছেন জ্যোতিষীরা। রুপোর কানের দুল, রুপোর গলার চেন, রুপোর মুদ্রাও দিতে পারেন। রুপোই আপনার চন্দ্রর ক্ষেত্রকে প্রাভাবিত করে উন্নতি এনে দেবে।

জার্মানির নির্বাচনের ফলাফলের ধাক্কায় কিছুটা হলেও পিছিয়ে গিয়েছে আমেরিকান ডলার। আর ডলার ধাক্কা খাওয়ায় কিছুটা হলেও দর বেড়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মুদ্রার।

জার্মানির নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব, ডলারের সাপেক্ষে লাফিয়ে বাড়ল এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দর!


ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখ জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। আর এই নির্বাচনে জয়লাভ করেছে সে দেশের ক্রিস্টান ডেমক্র্যাটিক ইউনিয়ন ও তার জোটসঙ্গী ক্রিস্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন। আর ২০ শতাংশেরও কম ভোট পেয়ে হেরেছে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১৯৩৩ সালের পর এই প্রথম এত খারাপ ফল করল এই রাজনৈতিক দলটি।


স্বাভাবিক ভাবেই জার্মানির এই নির্বাচনের আঁচ এসে লেগেছে এশিয়াতেও। জার্মানির এই ফলাফলের ধাক্কায় কিছুটা হলেও পিছিয়ে গিয়েছে আমেরিকান মুদ্রা ডলার। আর ডলার ধাক্কা খাওয়ায় কিছুটা হলেও দর বেড়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মুদ্রার। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের ইয়ান, কোরিয়ার ওয়ান, চিনের ইউয়ান। এ ছাড়াও নানান উন্নয়নশীল দেশের মূদ্রাও খানিকটা এগিয়েছে ডলারের তুলনায়। মায়েশিয়ার রিঙ্গিট বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। এ ছাড়াও বেড়েছে পোল্যান্ডের জলোটি ও রোমানিয়ার লেউ।


জার্মানিতে শাসক দলের পরাজয় সে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে। একই সঙ্গে যোগ হয়েছে জার্মানির ক্রমগত মুদ্রাস্ফীতি। যা আশা করা হয়েছিল তার তুলনায় সে দেশের কাস্টমার প্রাইস ইনডেক্স কমেছে অনেকখানি। আর এসবের জেরে ধাক্কা খেয়েছে ইউএস ডলারও। আর ডলারের এই ধাক্কার প্রভাব গিয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপি বাণিজ্যে। পড়েছে আমেরিকার বাজার। তৈরি হয়েছে একটা শূন্যস্থান। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করার দৌড়ে হঠাৎই এগিয়ে গিয়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বাজার।

জানা যাচ্ছে, সোমবার সন্ধে নাগাদ থানায় পৌঁছন এক তরুণ। কিন্তু এসে যা বলেন তা শুনে কার্যত হকচকিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। বছর তেইশের ওই যুবক জানায় ভাই-ঠাকুমা-কাকিমা-কাকু-প্রেমিকাকে খুন করেছে। রেয়াত করেনি ক্যানসারে আক্রান্ত মা-কেও।


ট্যাংরা-কাণ্ডের ছায়া! ঠাকুমা-কাকা-কাকিমা-প্রেমিকা-ভাইকে খুন! থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ যুবকের
হাড়হিম হত্যাকাণ্ড


ফের হাড়হিম হত্যাকাণ্ড। কলকাতার ট্যাংরা-কাণ্ডের ছায়া এবার কেরলে। কলকাতায় যেভাবে নিজের পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করে দুই ভাই, ঠিক একইভাবে কেরলে পরিবারের পাঁচজনকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ ‘গুণধর’ ছেলের। এক্ষেত্রেও উঠে আসছে আর্থিক অনটনের টানাপোড়েন।


জানা যাচ্ছে, সোমবার সন্ধে নাগাদ থানায় পৌঁছন এক তরুণ। কিন্তু এসে যা বলেন তা শুনে কার্যত হকচকিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। বছর তেইশের ওই যুবক জানায় ভাই-ঠাকুমা-কাকিমা-কাকু-প্রেমিকাকে খুন করেছে। রেয়াত করেনি ক্যানসারে আক্রান্ত মা-কেও। এক জায়গায় নয়, তিনটি আলাদা-আলাদা জায়গায় এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সে। তড়িঘড়ি সেই তিন জায়গায় পৌঁছয় তদন্তকারীদের দল। সেখানে যেতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।

পুলিশ সূত্রে খবর, কাউকে মাথায় হাতুড়ি মেরে, কাউকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে প্রাণে বেঁচে যান ক্যানসার আক্রান্ত মা। অভিযুক্তের নাম আফান। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরুবন্তপুরমে।

পুলিশ সূত্রে খবর, আফানের হত্যালীলা শুরু হয় সোমবার সকালে। প্রথমে ঠাকুমা সালমা বিবির বাড়ি যায় সে। ৯ মিনিটে ঠাকুরমাকে মেরে বেরিয়ে যায়। এরপর আসে কাকার বাড়ি। সেখানে কাকা লতিফ ও তাঁর স্ত্রী শহিদাকে নির্মমভাবে খুন করে। লতিফের মাথায় কুড়িবার আঘাত করা হয়েছে। এরপর বাড়ি ফেরে সে।

ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন প্রেমিকা। আফান একে একে তার মা-তেরো বছরের ভাই আয়সান ও প্রেমিকা ফারজানার উপর চড়াও হয় সে। প্রেমিকার মুখে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসায়। তুমুল আক্রমণের মধ্যে বেঁচে যান মা। আইসিইউ-তে ভর্তি তিনি। এরপর এই নৃশংস হত্যালীলা চালিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে আফান। পুলিশকে জানায় সেও নাকি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাঁর শরীরে কোনও বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্ত মাদক সেবন করেছিল।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ব্যবসায় প্রবল ক্ষতি। আর সেই কারণে এই হত্যালীলা চালিয়েছে অভিযুক্ত।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ বি জমে উঠেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে। গ্রুপের চার দলই সেমিফাইনালের দৌড়ে। যাবে যে কোনও দুটি দল।


গ্রুপ এ থেকে সেমিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ড, গ্রুপ বি-তে কী অঙ্ক?


আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ এ-র অঙ্ক পরিষ্কার। ভারত ও নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে এই দু-দল মুখোমুখি হবে। এই গ্রুপ থেকে শীর্ষে কে থাকবে, তারই ফয়সালা হবে সেই ম্যাচে। ভারত-নিউজিল্যান্ড যেমন শেষ চারে, তেমনই বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এই গ্রুপ থেকে ছিটকে গিয়েছে। তাদের একটি ম্যাচ বাকি। সেটা একেবারেই নিয়মরক্ষার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ বি জমে উঠেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে। গ্রুপের চার দলই সেমিফাইনালের দৌড়ে। যাবে যে কোনও দুটি দল।


গ্রুপ বি-তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল। অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে। ফলে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও তাদের জন্য দরজা আরও ভালোভাবেই খুলে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা দু-দলের ঝুলিতেই এখন তিন পয়েন্ট করে রয়েছে। তবে নেট রানের নিরিখে এই গ্রুপে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের আর একটা করে ম্যাচ বাকি।

গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ম্যাচ ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে জিতলে সরাসরি সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে প্রোটিয়ারা। একান্তই যদি সেই ম্যাচ তারা হেরেও যায়, কিন্তু ইংল্যান্ড নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ দুটি জিততে না পারে, তিন পয়েন্ট নিয়েও সেমিতে যেতে পারে প্রোটিয়ারা।

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ম্যাচ জিতলেও নেট রান খুব বেশি বাড়াতে পারেনি। তবে তাদের সেমিফাইনাল ভাগ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই আছে আপাতত। নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারালেই হবে। কিন্তু আফগানদের কাছে হেরে গেলে অস্ট্রেলিয়ার রেজাল্টের উপর নির্ভর করতে হবে।

বুধবার অর্থাৎ আগামী কাল মুখোমুখি হতে চলেছে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। যে দল জিতবে সুযোগ থাকবে সেমিফাইনালে যাওয়ার। কিন্তু হারলে বিদায় নিশ্চিত। আফগানিস্তানের নেট রান রেটও ভালো নয়। ফলে পরপর দু-ম্যাচ জিতলে তবেই সুযোগ থাকবে।

জানা গিয়েছে, মৃতা যুবতীর বাড়ি হুগলির চন্দননগরে। পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী তিনি। রবিবার গভীর রাতে ছোট গাড়িতে করে চালক সহ ৫ জন চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। গাড়িতে ছিলেন সুতন্দ্রাও।


নোংরা অঙ্গভঙ্গি, গাড়ি ধাওয়া করে লাগাতার কটূক্তি করছিল একদল মত্ত যুবক! সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়েই গাড়ি উল্টে মৃত্যু যুবতীর
মৃত যুবতী। পাশে উল্টে যাওয়া গাড়িটি।


 মদ্যপ যুবকদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মৃত্যু যুবতীর। দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে ভুল পথে চলে যায় গাড়ি। তখনই উল্টে যায় গাড়ি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবতীর। মৃতার নাম সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। আহত গাড়িতে থাকা সহযাত্রীরাও। এখনও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি। গোটা ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা।


জানা গিয়েছে, মৃতা যুবতীর বাড়ি হুগলির চন্দননগরে। পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী তিনি। রবিবার গভীর রাতে ছোট গাড়িতে করে চালক সহ ৫ জন চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। গাড়িতে ছিলেন সুতন্দ্রাও।

বুদবুদে একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরানোর সময় গাড়ি দাড় করাতেই কয়েকজন যুবক সুতন্দ্রাকে উত্যক্ত করতে থাকে। বুদবুদ থেকে পানাগড় পর্যন্ত কয়েকজন যুবক একটি ছোট সাদা গাড়িতে করে তাদের ধাওয়া করে। অভিযুক্ত যুবকরা সকলেই মত্ত ছিলেন বলে দাবি।

সুতন্দ্রাদের গাড়ির পিছনেই থাকা অভিযুক্তদের গাড়ি থেকে লাগাতার উড়ে আসছিল কটূক্তি। পানাগড়ে আসার পরই ওই যুবকদের গাড়িটি ধাক্কা দেয় সুতন্দ্রাদের গাড়িতে। পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডের মুখে তাদের গাড়ি আটকাতে গেলে, ভয়ে সুতন্দ্রাদের ছোট গাড়িটি রাইস মিল রোডে দ্রুত গতিতে ঢুকিয়ে দেন চালক।

এতেই বিপত্তি হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছোট গাড়িটি প্রথমে একটি দোকানে ধাক্কা মারে। এরপর রাস্তার ধারে শৌচাগারে ধাক্কা মারে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই যুবতীর মৃত্যু হয়। গাড়িচে থাকা বাকি ৪ জন সামান্য আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। দুটি গাড়িকে আটক করার পাশাপশি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অন্যদিকে যারা কটূক্তি করছিল, তাদের এখনও সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহযাত্রী মিন্টু মন্ডল বলেন, “গাড়িটাকে ফলো করছিল। নোংরা অঙ্গভঙ্গি, কটূক্তি করছিল। হঠাৎ ওদের গাড়িটা সামনে চলে যায়। তারপর আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। গাড়িটা উল্টে যায়।”

গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাও বলেন, “ওরা খালি ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। বাদিকে পুরো চেপে দিয়েছিল। গাড়িটাকে ডিভাইডারে তুলে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল, কিন্তু পারেনি। আমি থানার রাস্তা ধরি, তাও ওরা বাদিক থেকে এসে ফের ধাক্কা মারে, গাড়ি উল্টে যাওয়ায় ম্যাডামের ওখানেই মৃত্যু হয়।”

তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীদের ফেলে পেটানো হয়েছে। অপরদিকে, সিপিএম-এর দাবি এই সমবায়ে নিশ্চয়ই লুঠ হয়েছে। সেই কারণে তাঁদের কর্মীদের ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।


 মেদিনীপুরে CPM-TMC-র হাতাহাতি, বাম নেতা বললেন, 'ব্যাঙ্কে কী এমন মধু আছে মনোনয়ন জমাই দিতে দিচ্ছে না?'
সিপিএম-তৃণমূলের ঝামেলা

মেদিনীপুরে সমবায় ব্যাঙ্কের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। সম্মুখ সমরে তৃণমূল-সিপিএম-এর নেতা কর্মীরা। রীতিমতো হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় ঝামেলা। তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীদের ফেলে পেটানো হয়েছে। অপরদিকে, সিপিএম-এর দাবি এই সমবায়ে নিশ্চয়ই লুঠ হয়েছে। সেই কারণে তাঁদের কর্মীদের ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।


পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে প্রায় দশ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে। সোমবার থেকে চলছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। বুধবারও মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া রয়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সিপিএম মনোনয়ন জমা দিতে চেয়েছিল। তখন বাধা দেয় তৃণমূল। এরপর আজ যখন ফের তাঁদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যান সেই সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-সিপিএম নেতৃত্ব। কার্যত হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় এই ঘটনা।

এ প্রসঙ্গে সিপিএম-এর জেলা কমিটির সদস্য কীর্তি দে বক্সী বলেন, “আমরা মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলাম। স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় ছুটে এল। যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করেছে। আমাদের পার্টি অফিসও বন্ধ করে দিয়েছে। আমার ধারণা লুঠ হয়েছে। সেই আতঙ্কে যেভাবে হোক ক্ষমতায় যেতে চাইছে। নয়ত ছোট ব্যাঙ্ক- ছোট একটা নির্বাচন। কী মধু আছে যে ক্ষমতায় যেতেই হবে? আমার মনেই হচ্ছে লুঠ হয়েছে।” অপরদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “অযাচিত ভাবে ওরা তৃণমূল কর্মীদের মেরেছে। আমাদের একটি ছেলেকে মাটিতে ফেলে মেরেছে। সিপিএম এর এই গুণ্ডাবাহিনীকে জবাব দেবে তৃণমূল।”