November 2022


শীতকালে দূষণ বেশি থাকে। মুখে তেল, সাবান, ক্রিম নিয়মিত দেওয়া হলেও অনেকেই হাতে পায়ে তা ঠিক করে লাগান না


শীতকালে আমরা মুখের যত্ন যেভাবে নিই সেই ভাবে হাত, পায়ের যত্ন নিই না। অথচ শীতের দিনে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের হাত, পা। কারণ সারাদিনের যাবতীয় পরিশ্রম হয় এই হাত আর পায়ের উপর দিয়েই। ঠাণ্ডার দিনে হাতে যদি অতিরিক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট লাগে সেখান থেকেও হাত খসখসে হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও শীতকালে দূষণ বেশি থাকে। মুখে তেল, সাবান, ক্রিম নিয়মিত দেওয়া হলেও অনেকেই হাতে পায়ে তা ঠিক করে লাগান না। ফলে পা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। আমরা সকলেই ভুলে যাই যে ত্বকের পাশাপাশি হাতেরও সমান ভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের মত হাতেরও চামড়া গুটিয়ে যায় এবং বলিরেখা পড়ে। আর তাই প্রথম থেকে সচেতন না হলে হাত দেখতে খুবই বাজে লাগে। যাঁরা রোজ বাড়িতে বাসন মাজেন বা কাপড় কাচেন তাঁদের আরও বেশি করে হাতের যত্ন নিতে হবে।

এর জন্য নিয়মিত ভাবে স্ক্রাব করতে হবে। বাড়িতে লেবু, মধু, চিনি থাকেই। এই তিনটে উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এবার তা হাতে ভাল করে ম্যাসাজ করলেই কাজ চলে যাবে।

এছাড়াও সেদ্ধ আলুর খোসা ফেলে না দিয়ে তা হাতে ভাল করে ঘষে নিতে পারেব। এতেও হাতের কালো দাগ সহজেই দূর হয়ে যায়। ত্বক থেকে মৃত কোষও তুলে ফেলা যায়। এতে হাত থাকে নরম।

যাণদের দাঁত দিযে হাতের চামড়া কাটার অভ্যাস রয়েছে তাঁদের জন্য শীতের দিনে আরও বেশি সমস্যা হয়। আর তাই হাতে ভাল করে মাখন লাগিয়ে নিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে। এতে চামড়া নরম থাকে। উঠে আসীর মত সমস্যা হয় না। সহজে ফেটে যায় না।

শীতের দিনে অন্তত নিয়ম করে হ্যান্ড ক্রিম লাগান। এতে চামড়া নরম থাকে। হাতে জ্বালা ভাব থাকে না। রাতো ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে শুকনো করে মুছে নিন। এবার হ্যান্ড ক্রিম ভাল ভাবে হাতে মেখে নিন। এতে হাতের তালু নরম থাকে। কোনও রকম বলিরেখাও পড়ে না।

এর আগে জেলার আরও দু'টি স্কুলে এই বিরোধিতার ছবি দেখা গিয়েছিল।

নীল সাদা পোশাক নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলার একাধিক স্কুলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। প্রতিবাদে সরবও হয়েছেন তাঁরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল জলপাইগুড়ির শতবর্ষ প্রাচীন স্কুল। প্রায় দেড়শো বছরের ঐতিহ্য বজায় রাখতে নীল সাদা পোশাক ফিরিয়ে দিল পড়ুয়ারা। বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। খবর ছড়াতেই শুরু হয় চাপানউতর। বুধবার থেকে আগামী তিন দিন স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে নতুন পোশাক বিলি করার কথা। স্কুলের তরফে আগাম নোটিস দিয়ে তা জানানো হয়। সেইমতো এদিন নতুন পোশাক নিয়ে হাজিরও হন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। জামা ভর্তি বস্তা খুলতেই নজরে আসে নীল সাদা পোশাক। যা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা নতুন পোশাক ফেলে রেখেই বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে যান।


এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ কুণ্ডু বলেন, “সরকারি নির্দেশমতো স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলির আবেদনক্রমে এদিন পোশাক দেওয়ার দিন ছিল। আপনারা দেখলেন কী হল। অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ জানালেন। ওনারা বলছেন এই পোশাক তাঁরা নেবেন না। আমাদের কাজ মধ্যস্থতা করা। সরকারি যে নির্দেশ তা ফলো আপ করা। সেটা আমরা করেছি। ড্রেস দেওয়াটা আমার কাজ, নিচ্ছে কি না সেটা আমার কাজ নয়। আমি সরকারি নির্দেশমতো অনুরোধ করেছি। কতজন নিল বা নিল না এই হিসাবটাও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর লোকেরাই বলতে পারবেন। এখনও পোশাক দেওয়ার আরও দু’টো দিন আছে। দেখা যাক ওনারা নেন কি না।” এর আগে জলপাইগুড়ি জলপাইগুড়ি গার্লস স্কুল, জেলা স্কুলেও একই বিরোধিতার ছবি দেখা যায়।





চলছে বিশ্বকাপ। এ বছর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাতারে। সেখানেই ফিফা ফ্যানফেস্টে নাচের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন নোরা। পারফর্মও করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু এ কী!


চলছে বিশ্বকাপ। এ বছর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাতারে। সেখানেই ফিফা ফ্যানফেস্টে নাচের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন নোরা। পারফর্মও করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু এ কী! খোলা মঞ্চেই অশ্লীলতার শিকার হতে হল তাঁকে! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে এমনটাই মনে করছেন নোরার ভক্তরা। যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছেন তাতে দেখা গিয়েছে, তাঁর ‘সাকি সাকি’ গানে মন প্রাণ উজাড় করে নাচছেন নায়িকা। আচমকাই তাঁর পিছনে চলে আসে এক ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার। আর তাঁর ব্যবহার নিয়েই যত শোরগোল। দেখা যায়, নাচের মাঝেই নোরাকে অদ্ভুতভাবে ছুঁতে থাকে ওই ব্যক্তি। ওই ভিডিয়ো দেখেই আপাতত অবাক ও একই সঙ্গে ক্রুদ্ধ নোরার অনুরাগীরা। তাঁদের একটাো প্রশ্ন, “ওই ব্যক্তির মোটিফ কী?”



উদ্দেশ্য কী তা জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি নোরাকে। কিন্তু আলোচনা থামেনি। আপাতত ভক্তরা তাকিয়ে নোরার উত্তরের দিকেই।প্রসঙ্গত, বাইরে থেকে এসে বলিউডে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছেন নোরা। তাঁর নাচের জাদুতে বুঁদ সকলেই। সিনেমায় অভিনয়ের থেকেও তাঁকে বেশি দেখা গিয়েছেন আইটেম নাচেই। এ ছাড়াও বেশ কিছু নাচের রিয়ালিটি শো’তে বিচারকের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে নোরাকে।

সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছিল থ্যাঙ্ক গড ছবিতে। আগামীতে জন আব্রাহাম ও রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাবে হান্ড্রেড পারসেন্ট ছবিতে। হাতে রয়েছে বেশ কিছু ছবিও। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে নোরা রয়েছে সপ্তম স্বর্গে।

সিঙ্গুর ও নলিকুল স্টেশনের মধ্যে ডাউন লাইনে পাওয়ার ও ট্রাফিক ব্লকের কাজ আগে থেকেই চলছিল। এবার সেই কাজের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ফের একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল (Local Trains Cancelled)। গোটা ডিসেম্বর মাস বাতিল থাকবে হাওড়া (Howrah) থেকে সিঙ্গুর (Singur) ও তারকেশ্বর (Tarakeswar) লাইনের বেশ কিছু লোকাল ট্রেন। সিঙ্গুর ও নলিকুল স্টেশনের মধ্যে ডাউন লাইনে পাওয়ার ও ট্রাফিক ব্লকের কাজ আগে থেকেই চলছিল। এবার সেই কাজের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ডিসেম্বর মাসে ফের যাত্রীভোগান্তি সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ফলে যদি ভোগান্তি এড়াতে হয়, তাহলে আগেভাগে জেনে নিন কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকছে গোটা মাসে।



হাওড়া থেকে – ৩৭৩০৭, ৩৭৩১৯, ৩৭৩০৫, ৩৭৩২৭, ৩৭৩৪৩ হরিপাল থেকে – ৩৭৩০৮ তারকেশ্বর থেকে – ৩৭৩৩০, ৩৭৩৩৮, ৩৭৩৪৮, ৩৭৪১২, ৩৭৪১৬ শেওরাফুলি থেকে – ৩৭৪১১, ৩৭৪১৫ সিঙ্গুর থেকে – ৩৭৩০৬

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার পাওয়ার ব্লকের কাজের জন্য বেশ কিছু লাইনে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছুদিন আগেই বারুইপাড়া ও চন্দনপুর সেকশনে চতুর্থ লাইনের কাজের জন্য হাওড়া-বর্ধমান লাইনের বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দশদিন ধরে সেই ভোগান্তি চলেছিল। ১৮ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাতিল ছিল একাধিক লোকাল ট্রেন। এবার ফের যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা।

এবার হাওড়া থেকে সিঙ্গুর ও তারকেশ্বর লাইনে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। গোটা ডিসেম্বর মাস জুড়ে বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে ফের সাধারণ যাত্রীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লোকাল ট্রেন বাতিল থাকার কারণে নিত্যযাত্রীদের নাকাল হতে হবে। বাকি লোকাল ট্রেনগুলিতে বাড়তি যাত্রীর চাপও দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ট্রেনগুলিতে অত্যাধিক ভিড় হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে রেলের তরফে

গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ থাকায় গোটা পার্কের অবস্থা তথৈবচ। চলতি মাসগুলিতেও যা অবস্থা তাতে মিলেনিয়াম পার্ক খোলা যে কার্যত অসম্ভব, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।


গত এপ্রিল মাস থেকে গঙ্গার লাগোয়া মিলেনিয়াম পার্কের (Millenium Park) অন্তর্গত ১, ২ এবং ৩ নম্বর পার্কটি বন্ধ। যে কারণে গোটা উদ্যান আগাছায় ভরে গিয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এসেছে। গঙ্গা লাগোয়া অংশে আগাছা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন তিনি। এ নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, এবার এই আগাছা সাফাই ও অন্যান্য সংস্কারের কাজে গতি আনতে উদ্যোগী হচ্ছে কলকাতা পুরনিগম। বুধবার সন্ধ্যায় মিলেনিয়াম পার্কের গোটা অংশ পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।



গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ থাকায় গোটা পার্কের অবস্থা তথৈবচ। চলতি মাসগুলিতেও যা অবস্থা তাতে মিলেনিয়াম পার্ক খোলা যে কার্যত অসম্ভব, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তবে বড়দিন, বছরের শেষ দিন এবং ইংরাজি বছরের প্রথম দিন যাতে মানুষ এই বিনোদন পার্কে আসতে পারেন এবং মজা করতে পারেন সে কারণে বিশেষ কয়েকটি দিন খুলে রাখা হবে। এরপর আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সংস্কার করা হবে গোটা পার্কটি।

তবে এদিন পরিদর্শনকালে ফিরহাদ হাকিম কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের উপরে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর নির্দেশ যে সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, তা তিনি বুঝিয়েও দেন। এমনকী সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের তিরস্কারও করেন। এদিন তাঁর পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং, কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদ, কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার-সহ কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার শীর্ষ কর্তারা।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, “তিনটি পার্কের মধ্যে ১ এবং ২ নম্বর পার্কের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। কলকাতা বন্দরের সঙ্গে লিজে যে চুক্তি রয়েছে, তাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সই করেনি। যে কারণে পার্কগুলি আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছি না। আমি আমার দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছি বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এই সঙ্কট কাটানোর জন্য।”

এইচআইভির স্থায়ী কোনও নিরাময় নেই। তবুও আয়ুর্বেদে কিছু টিপস মেনে চলেন বিশেষজ্ঞরা

১৯৮৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১ ডিসেম্বর দিনটিকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বজুড়ে সব মানুষ যাতে একত্রিত হয়ে এই রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে এই জন্যই এমন বিশেষ দিন পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই রোগ নিয়ে চিকিৎসাগত ভয় যতটা না রয়েছে তার থেকেও বেশি রয়েছে সমাজের ভয়। এইডস মানেই সমাজ থেকে একঘরে করে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আর তাই এই রোগ রুখতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সচেতনতা। সেই সঙ্গে সংক্রমণ এবং উপসর্গ বুঝতে পারলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। এইচআইভি-এর উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে সমান হয় না। অনেকেই সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে বুঝতে পারেন না যে তিনি আক্রান্ত। সংক্রমণের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে কোনও উপসর্গ বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা নাও থাকতে পারে। কয়েক মাস পরেই জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে জ্বর, ডায়ারিয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মত উপসর্গও থাকে। হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস HIV-ভাইরাস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।



কী ভাবে এইচআইভি-এর সংক্রমণ হয়? 

সংক্রামিত মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সময়ে শরীরের নির্যাস যেমন স্তন্য দুগ্ধ, এবং বীর্য নিঃসরণের মাধ্যমে।

সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ক্ষুর, ব্লেড, ট্যাটুর সূচ থেকে রক্তের মাধ্যমে হতে পারে।

গর্ভবতী মায়ের থেকে সন্তানের।

সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে।

এইচআইভির স্থায়ী কোনও নিরাময় নেই। তবুও আয়ুর্বেদে কিছু টিপস মেনে চলেন বিশেষজ্ঞরা। এই সব নিয়ম মেনে চললে খানিক সুরাহা মিলতে পারে। এইচআইভি সংক্রমণ হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। আর তাই আয়ুর্বেদ মেনে প্রথমেই বডি ডিটক্সের কথা বলা হয়। পিত্ত, কফ, লিভারের সমস্যা এই সব থেকে মুক্তি পেতে প্রথমেই দরকার ডৃিটক্সিফিকেশনের। সেই সঙ্গে শরীর জুড়ে থাকে ভয়ংকর ব্যথা। আর এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত একটি ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আয়ুর্বেদে। তাই রোজ সকালে খালি পেটে তুলসি পাতা চিবিয়ে খৈওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এরপর দুটো খেজুর, দুটো বাদাম, দুটো আমন্ড এবং কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে রোজ সকালে ডুমুর আর মৌরি ভেজানো জল খেতে পারলে তাও খুব ভাল। এছাড়াও অ্যাপ্রিকট জলে ভিজিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের তুলনায় জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার অর্ধেকের বেশি কমল।

এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের তুলনায় জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার অর্ধেকের বেশি কমল। বুধবার (৩০ নভেম্বর), পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রকের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ। এমনকী এক বছর আগে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকেও জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। তবে, সাম্প্রতিক এই জিডিপি বৃদ্ধির হার আরবিআই-এর পূর্বাবাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।



জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড বা জিভিএ বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৬ শতাংশ। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ছিল ১২.৭ শতাংশ। ২০২১ সালের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিভিএ ছিল ৮.৩ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হারের এই পতনের মূল কারণ,খনি, উৎপাদন শিল্প, ইলেক্ট্রিসিটি, গ্যাস, নির্মাণ শিল্প, হোটেল, আর্থিক ক্ষেত্রের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধির হারের ব্যাপক পতন। বিশেষ করে খনি এবং উৎপাদন শিল্প গত ত্রৈমাসিকে যথাক্রমে ২.৮ এবং ৪.৩ শতাংশ করে জিভিএ কমেছে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে এই দুই ক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধি পেয়েছিল যথাক্রমে ৬.৫ এবং ৪.৮ শতাংশ।

আশার আলো দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র কৃষি, বন ও মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে। এই ক্ষেত্রেই একমাত্র ইতিবাচক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৬ শতাংশ। তার আগের ত্রৈমাসিকে এই ক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৫ শতাংশ। আর এক বছর আগের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ৩.২ শতাংশ। অথচ, অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ছিল, দেশে অসম বৃষ্টিপাতের কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ বৃদ্ধি ঘটবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ছবি প্রায়ই দেখা যায়। বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁর সত্যিই প্রশংসনীয়।

হাসনাবাদের খাঁপুকুরে কচিকাঁচাদের ক্লাসরুমে কার্যত দিদিমণির ভূমিকায় দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)। নতুন জামাকাপড় হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়ালে মণীষীদের টাঙানো ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলেন পড়ুয়ারা মণীষীদের নাম জানেন কি না। শ্রেণিকক্ষের একদিকের দেওয়ালে টাঙানো কাজী নজরুল ইসলামের ছবি, উল্টোদিকের দেওয়ালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। এক এক করে মণীষীদের ছবি দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান পড়ুয়ারা তাঁদের চেনেন কি না? এক‌ইসঙ্গে আগামিদিনে পড়ুয়ারা কে কী হতে চায় তাও জানতে চান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কেউ বলে, মাস্টারমশাই হতে চায়, কারও ইচ্ছা চিকিৎসক হবে। ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর জবাব শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভেরি গুড’।


দু’দিনের জন্য হিঙ্গলগঞ্জ সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সভা ছিল তাঁর। বুধবার লঞ্চে ইছামতী ঘুরে দেখেন তিনি। ইছামতী পার করে লঞ্চ গিয়ে থামে হাসনাবাদের এক ঘাটে। সেখানে খাঁপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে যান মুখ্যমন্ত্রী। ভরদুপুর বেলা। ক্লাসরুম ভর্তি ছাত্রছাত্রী। ক্লাসে ক্লাসে ঢুকে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তুলে দেন নতুন পোশাক।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক হয় বুধবার অস্ত্র কেনা হবে। এক সঙ্গে ছ'টি আগ্নেয়াস্ত্র কিনবে বলে ঠিক হয়।

ব্যাগ ভর্তি পুঁইশাক। সেই ব্যাগে ভরেই অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল একজনকে। জয়নগর (Joynagar) থেকে ওই যুবককে গ্রেফতারের পাশাপাশি একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবক পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই পুঁইশাক ভর্তি ব্যাগে অস্ত্র নিয়ে বিক্রি করতে আসেন বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে যান তিনি। বুধবার দুপুরে জয়নগর-২ ব্লকের বকুলতলা থানা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। বেশ কয়েকমাস ধরেই বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসছিল, জয়নগর ও কুলতলি এলাকায় নতুন করে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার কাজ শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যকলাপ নজরেও রাখছিল পুলিশ। সেই নজরদারিতেই জয়নগরের বকুলতলা থানা এলাকার সর্দারপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল কালাম মণ্ডল নজরে আসে পুলিশের। তাঁর বেশ কিছু আচরণ সন্দেহজনক মনে হয় পুলিশের।


এরপরই বারুইপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দারা গোপনে যোগাযোগ করতে শুরু করে নিজেদের খদ্দের হিসাবে পরিচয় দিয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক হয় বুধবার অস্ত্র কেনা হবে। এক সঙ্গে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র কিনবে বলে ঠিক হয়। সপ্তাহখানেক ধরে চলে দর কষাকষি। অবশেষে ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি করে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এদিন বকুলতলার সর্দারপাড়ার বাড়ি থেকে হাতে একটি পুঁইশাক ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ওই যুবক বের হন।

হেঁটেই পৌঁছন নতুনহাট এলাকায়। সেখান থেকে প্রিয়নাথের মোড়ের দিকে যান। তাঁর প্রতিটা পদক্ষেপ নজরে রেখেছিল পুলিশ। সাদা পোশাকে ছিল তারা। এরপরই ওৎ পেতে থাকা বারুইপুর জেলা পুলিশ স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস ও বকুলতলা থানার পুলিশ কর্মীরা ধরে ফেলেন ওই কালামকে।

কালামের হাতে থাকা পুঁইশাক ভর্তি ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ছ’টি ওয়ান শটার পাইপগান ও চারটি এইট এমএম কার্তুজI সেই সঙ্গে মিলেছে একটি স্মার্টফোন। তাঁকে বকুলতলা থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও চারবার এইভাবেই অস্ত্র বিক্রি করেছেন ওই যুবক। বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ধৃতকে।

বড় মনের মেয়ে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। মুখ জুড়ে লেগে থাকত এক গাল হাসি। মানুষের যে কোনও বিপদে ঐন্দ্রিলাকে সবসময় পাশে পেতেন সকলে।

দশ দিন হয়ে গিয়েছে ঐন্দ্রিলা নেই। তাঁর স্মৃতি আঁকড়েই বাঁচার চেষ্টা করছেন তাঁর পরিবারের প্রিয়জনেরা। এবার ঐন্দ্রিলাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন বহরমপুরের মানুষেরা। আয়োজন করলেন তাঁর স্মৃতিতে এক রক্তদান শিবির। ঐন্দ্রিলাকে ভালবাসেন যারা, একজোট হয়ে তাঁরা রক্তদান করলেন। গোটা বিষয়টিতে অবশ্যই সম্মতি ছিল ঐন্দ্রিলার পরিবারের। শুধু যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল এমনটা নয়, বহরমপুরের গান্ধী কলোনি এলাকার কিছু বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফল, ডিম সেদ্ধ, মিষ্টি কেক, ইত্যাদিও। বহরমপুরেই ঐন্দ্রিলার বড় হয়ে ওঠা। সেখানেই কেটেছে তাঁর স্কুলজীবন। স্কুলে দিদি ঐশ্বর্য ছিলেন চিরকালের শান্ত, লেখাপড়ায় মনোযোগী। ঐন্দ্রিলা ছিলেন স্কুলের জান। দুষ্টুমিও করতেন তিনি। টিভিনাইন বাংলার কাছে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মা শিখা দেবী। তাঁর কথায়, “আমার বড় মেয়েটা পড়ুয়া। ছোটটা ছিল দস্যি। প্রায়দিনই স্কুল থেকে গার্ডিয়ান কল হত ঐন্দ্রিলার জন্য। মারামারিও করেছে। কিন্তু ওকে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ হতে না স্কুলে। এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে আমার ছোটটা ছিল চ্যাম্পিয়ন… নাচে, গানে, আবৃত্তিতে প্রথম… আজ সবই অতীত…”।

এখানেই কি শেষ? বড় মনের মেয়ে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। মুখ জুড়ে লেগে থাকত এক গাল হাসি। মানুষের যে কোনও বিপদে ঐন্দ্রিলাকে সবসময় পাশে পেতেন সকলে। কারও বিপদ শুনলে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন। শিখাদেবীর কথায়, “এমন একটা মেয়েকে ধরে রাখতে পারলাম না নিজের কাছে… একবার শীতকালে জানতে পারল কার-কার গায়ের শাল নেই। আমার প্রিয় শালটা নিয়ে গিয়ে একজনের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিল। আমি একটু রাগ করে বলেছিলাম, ‘কী রে, আর শাল পেলি না, ওটাই তোকে দিয়ে দিতে হল?’ ওর বাবা বলেছিল, ‘কী হয়েছে তাতে… আর একটা কিনে নাও’, আসলে আমরাও ওকে বাধা দিতাম না কোনও কিছুতে।”

গত ২০ অক্টোবর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জয়ী হয়ে ফিরলেও তৃতীয়বার আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে হয়েছিল বারংবার হৃদরোগও। ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে আজও ভারাক্রান্ত জনতার মন, এ ক্ষত যে ঠিক হওয়ার নয়।

গত সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগে আগে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


শাসক-বিরোধী সংঘাত চলছেই। বিধানসভায় (West Bengal Assembly) শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনেও তার রেশ জিইয়ে রইল। আলিপুর সংশোধনাগার মিউজিয়াম। বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষ সকলকে সেই মিউজিয়াম দেখতে যাওয়ার আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেননি বিরোধী শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই যাবেন না। পাল্টা ফিরহাদকে বলতে শোনা গেল, ‘ইগোর জন্যই বয়কট’। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শাসকদলের বিধায়কদের নিয়ে বুধবার হাজির হন সংশোধনাগারের মিউজিয়ামে। যদিও সেই উপস্থিতি তালিকায় বিধায়কদের সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য। বর্তমানে শাসকদলে যে সংখ্যক বিধায়ক রয়েছেন, সেই জায়গায় ৭০ থেকে ৭৫ জন বিধায়ককে এদিন যেতে দেখা যায় মিউজিয়ামে। যদিও বিধানসভার কর্মী, বিভিন্ন বিধায়কের আপ্ত সহায়ক মিলিয়ে ১৫০ জনের কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন এদিন।



তাঁরা মিউজিয়ামের প্রতিটি জায়গা ঘুরে দেখেন। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কোনও বিধায়ক ‘নীতিগত’ কারণে উপস্থিত না থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মিউজিয়াম দেখেন। নওশাদ এদিন দীর্ঘক্ষণ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁরা একসঙ্গেই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন।

নওশাদ পরে বলেন, “আমার মতে যেখানে রাজনীতি নেই, সেখানে প্রত্যেকের আসা উচিত ছিল। এখানে বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের ছবি মূর্ত। সেটাই আমরা দেখতে এসেছি। আমরা যেখানে রাজ্যে গঙ্গার ভাঙন নিয়ে ঐক্যমত্যভাবে দিল্লিতে যাচ্ছি, সেখানে এই ধরনের জায়গায় কেন বিজেপি আসছে না তা বলতে পারব না।”

গত সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগে আগে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর জেলকে মিউজিয়ামে পরিণত করে তৃণমূল সরকার। সেই মিউজিয়ামে এখন সাধারণ মানুষেরও এখন প্রবেশাধিকার রয়েছে।

সেই মিউজিয়ামে বিধায়কদের যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সোমবারই বলেন, “স্পিকার বিভিন্নক্ষেত্রে বিচারাধীন বিষয় বলে আমাদের বলতে দেন না। আর ওই জায়গা নিয়েও মামলা চলছে। ফলে বিচারাধীন বিষয় যেখানে রয়েছে, সেখানে আমরা যেতে পারি না।” বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিরোধী দলের পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা এ নিয়ে কথা বলেন। ফিরহাদ হাকিমকে এ নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন মনোজ।

অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “জেল মিউজিয়াম বিচারাধীন বিষয়ের থেকেও বড় হচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্যে চোর ধরো জেল ভরো। ফলে আপাতত আমরা চোরদের ধরি, জেলে ভরি। তারপর মিউজিয়াম নিয়ে ভাবা যাবে।”

যদিও ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ইগোর জন্যই সৌজন্য দেখাতে পারছেন না। ওনাদের নেতার ইগোর জন্য বিধায়কদেরও মুখ বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে। আমাদের নিমন্ত্রণগুলো নিতে পারছে না। সৌজন্য দেখানোটা কাজ, আমি সেটা দেখাব। কিন্তু আপনি রক্ষা করতে পারবেন কি না সেটার আপনার দৈন্যতা।” এ নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আলিপুরে একটা সংগ্রহশালা হয়েছে, এটা বিচার বিভাগের আওতাভূক্ত আছে বলে আমার জানা নেই।”

গত অগস্টে Redmi Note 11 SE ফোনটি ভারতে লঞ্চ করা হয়েছিল 13,499 টাকায়। ফোনের একমাত্র ভ্যারিয়েন্টে 6GB RAM + 64GB স্টোরেজ মডেলের দাম ছিল এটি। এখন দাম কমানোর ফলে এই নতুন Redmi ফোনটি পাওয়া যাবে মাত্র 12,999 টাকায়।

Redmi Note 11 SE Price Cut: চিনা টেক জায়ান্ট Xiaomi ভারতে তাদের সদ্য লঞ্চ করা একটি ফোনের দাম কমাল। জনপ্রিয় সেই ফোনের নাম Redmi Note 11 SE। চলতি বছরের অগস্টে সেই ফোনটি ভারতে লঞ্চ করা হয়েছিল। এখন সেই ফোনই এক ধাক্কায় অনেকটা সস্তা হল। গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে এই ফোনে রয়েছে 6.43 ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে, যা DCI-P3 কালার গ্যামুট সাপোর্ট করছে। এই ডিভাইসটি পারফরম্যান্সের দিক থেকে চালিত হচ্ছে একটি মিডিয়াটেক হেলিও G95 প্রসেসরের সাহায্যে, যা গ্রাফিক্সের জন্য পেয়ার করা রয়েছে Mali-G76 MC4 GPU এর সঙ্গে।



Redmi Note 11 SE কত টাকা সস্তা হল

গত অগস্টে Redmi Note 11 SE ফোনটি ভারতে লঞ্চ করা হয়েছিল 13,499 টাকায়। ফোনের একমাত্র ভ্যারিয়েন্টে 6GB RAM + 64GB স্টোরেজ মডেলের দাম ছিল এটি। এখন দাম কমানোর ফলে এই নতুন Redmi ফোনটি পাওয়া যাবে মাত্র 12,999 টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানি এই ফোনের দাম 500 টাকা কমিয়েছে।

Redmi Note 11 SE আরও সস্তা: ব্যাঙ্কের অফার

Xiaomi এই Redmi Note 11 SE ফোনের দাম যদি 500 টাকা কমায়, তাহলে তারপরেও সংস্থাটি একাধিক ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফারও দিচ্ছে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা-র গ্রাহকরা এই ফোনটি ক্রয় করলে পেয়ে যাবেন 10% পর্যন্ত ছাড়। আবার কারও কাছে যদি HDFC এবং SBI ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড থাকে, তাহলে তাঁরা পেয়ে যাবেন 7.5 শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। প্রসঙ্গত, এই ফোনের সঙ্গে একটি চার্জার অফার করছে Xiaomi। বাইফ্রস্ট ব্লু, কসমিক হোয়াইট, স্পেস ব্ল্যাক এবং থান্ডার পার্পল— এই কয়েকটি রঙে পাওয়া যাবে Redmi Note 11 SE।

Redmi Note 11 SE: স্পেসিফিকেশন ও ফিচার

ডুয়াল সিম সাপোর্টেড এই হ্যান্ডসেটটি সফটওয়্যারের দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড 11 অপারেটিং সিস্টেম ভিত্তিক সংস্থার নিজস্ব MIUI 12.5 কাস্টম স্কিন দ্বারা চালিত হবে। 6.45 ইঞ্চির একটি AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে এই ফোনে, যার রেজ়োলিউশন 1080X2400 পিক্সেল। এটি আবার DCI-P3 কালার গ্যামুটও সাপোর্ট করে। ডিভাইসটিতে রয়েছে রিডিং মোড 3.0, সানলাইট মোড 2.0 এবং 409ppi পিক্সেল ডেন্সিটি। রেডমির তরফ থেকে ফোনটি লঞ্চের সময় জানানো হয়েছিল, এই ডিসপ্লেটি 1,100 নিটস পিক ব্রাইটনেস দিতে সক্ষম। পাশাপাশি ফোনের ডট ডিসপ্লেটি লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন পেয়েছে SGS থেকে।

পারফরম্যান্সের দিক থেকে Redmi Note 11SE চালিত হচ্ছে মিডিয়াটেক হেলিও G95 প্রসেসরের সাহায্যে, যা গ্রাফিক্সের জন্য পেয়ার করা রয়েছে Mali-G76 MC4 GPU-র সঙ্গে। এই ডিভাইসের স্টোরেজ মাইক্রোএসডি কার্ডের সাহায্যে 512GB পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। অত্যন্ত শক্তিশালী একটি 5,000mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে Redmi Note 11 সিরিজ়ের এই মডেলটিতে।


 তাঁর তিন কন্যার প্রত্যেকেই বাংলা বিনোদন জগতের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী - সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী এবং বিদীশা চক্রবর্তী। বাবার প্রয়াণদিবসে তাঁর জন্য মনের কিছু কথা ফেসবুকে লিখেছেন সুদীপ্তা।


বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী বাংলা নাট্যমঞ্চের এক প্রতিভার নাম। কেবল মঞ্চে নয়, সিরিয়াল এবং সিনেমাতেও রেখে গিয়েছেন অভিনয়ের ছাপ। ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি প্রয়াত হন। তিনি চলে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর চলে যাওয়া আজও কেউ মেনে নিতে পারেননি। তিনি রেখে গিয়েছেন তিন কন্য়াকে, নাতনিদের। তাঁর তিন কন্যার প্রত্যেকেই বাংলা বিনোদন জগতের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী – সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী এবং বিদীশা চক্রবর্তী। বাবার প্রয়াণদিবসে তাঁর জন্য মনের কিছু কথা ফেসবুকে লিখেছেন সুদীপ্তা।

সুদীপ্তা লিখেছেন:

“বাবা, আজ ৩০ নভেম্বর। চার বছর আগে এই দিনে চলে গেছ তুমি। তুমি যে নেই, সেটা বিশ্বাস করা গত চার বছরে অভ্যাস হয়ে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু হয়নি যে! বিশ্বাস করতে চাই না বলেই হয় না বোধহয়।
আসলে বাবা হিসেবে তোমার শেখান মূল্যবোধ, সততা, সহজ-সরল জীবনযাপনের অভ্যাস, মানুষকে বিশ্বাস করার আর সম্মান করার অভ্যাসগুলো রয়ে গেছে। তাই বোধহয় তুমিও রয়ে গেছ। ওগুলো থেকে যাবে। তাই বোধহয় তুমি ও থেকে যাবে আমার মধ্যে, আমাদের মধ্যে। আর অভিনয়ের শিক্ষক হিসেবে তোমার শেখান দুটো লাইন আমার অভিনয় জীবনের বীজমন্ত্র। আজকাল চেষ্টা করি আমার ছাত্রছাত্রীদের মনের মধ্যেও সেগুলো গেঁথে দিতে, যাতে ওরাও কোনওদিন এই দুটো লাইন না ভুলে যায় –
১) “ভাল মানুষ না হলে ভাল অভিনেতা হওয়া যায় না।”
২) “অভিনয় দেখে যদি বোঝা যায় যে তুমি অভিনয় করছ, তাহলে তুমি অভিনেতা নও।”
মনে রেখেছি বাবা, এই লাইন দুটো। মনে রেখেছি আর যা কিছু শিখিয়েছ। আজন্ম চেষ্টা করে যাব সততা আর সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে, যেমনটা তুমি আর মা শিখিয়েছ আমাদের।

ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে দলের ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সান্দ্রোকে পাচ্ছেন না ব্রাজিল কোচ তিতে।


দলের তারকা নেইমার জুনিয়র এবং রাইট ব্যাক দানিলোর চোট নিয়ে প্রবল চিন্তায় ব্রাজিলের কোচ তিতে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে এই দু’জনকে ছাড়াই খেলতে হয়েছে ব্রাজিলকে (Brazil)। নেইমার-দানিলোর অনুপস্থিতিতেই সুইস রক্ষণ ভেদে সক্ষম হয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শেষ ষোলো নিশ্চিত হলেও চোট সমস্যা যেন পিছু ছাড়তেই চাইছে না। নেইমার, দানিলোর পর এ বার চোটের কবলে ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সান্দ্রো (Alex Sandro)। ফলে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে (Qatar World Cup 2022) খেলতে পারবেন না তিনি। নক আউটে পা রেখেছে আগেই। ব্রাজিলের কাছে গ্রুপ জি-এর শেষ ম্যাচটি নিয়মরক্ষার। তবে নকআউট পর্ব শুরুর আগে একের পর এক চোটে ব্যপক চাপে ব্রাজিল। কীভাবে চোট পেলেন সান্দ্রো? তুলে ধরল



ইরানবাসীদের এই উদযাপন করা নিয়ে একাংশ সমালোচনা করলেও, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই হার শুধুমাত্র ইরানের ফুটবল দলের নয়, বরং সরকারেরও। আর সেই কারণেই উদযাপন।

বিশ্বকাপে কোনও দল জয়ী হলে যেখানে আনন্দে মেতে উঠছে সেই দেশ, সেখানেই সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল ইরানে (Iran)। মঙ্গলবার রাতে ফিফা বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) ইরানের ফুটবল দল (Iran Football Team) হেরে যেতেই সে দেশের বাসিন্দারা আনন্দে মেতে উঠল। রাস্তায় নেমে উল্লাস, বাজি পোড়াতে দেখা গেল। নিজের দেশের দলের হারে ইরানবাসীদের এই প্রতিক্রিয়ায় অবাক গোটা বিশ্ব। তবে সে দেশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই উদযাপনের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক গভীর কারণ। বিগত কয়েক মাস ধরেই ইরানে যে হিজাব বিরোধী আন্দোলন (Hijab Protest) শুরু হয়েছে এবং তা দমন করতে সরকার যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে, তার বিরোধিতা করতেই এই উদযাপন।




সঠিকভাবে হিজাব না পরায় পুলিশের মারে মৃত্য়ু হয়েছিল মাহসা আমিনি নামক এক ২২ বছরের যুবতীর। এরপর থেকেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে ইরানে। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন সে দেশের মহিলারা। পাশে দাঁড়ান পুরুষরাও। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে কঠোর পদক্ষেপ করে ইরান সরকার। লাঠিচার্জ থেকে গ্রেফতার, গুলি চালানোর মতো ঘটনা প্রায় রোজই হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

ইরানবাসীদের এই উদযাপন করা নিয়ে একাংশ সমালোচনা করলেও, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই হার শুধুমাত্র ইরানের ফুটবল দলের নয়, বরং সরকারেরও। আর সেই কারণেই উদযাপন। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের যেভাবে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদেই এই উদযাপন। এরসঙ্গে ইরানের ফুটবল দলের সঙ্গে কোনও শত্রুতা বা বিতৃষ্ণা নেই। ইরানের ফুটবল দলের মনোবল ভাঙারও চেষ্টা করা হয়নি এই উদযাপনের মধ্য দিয়ে।

গত সেপ্টেম্ববরে সঠিকভাবে হিজাব না পরার অপরাধে, পুলিশের মারে মৃত্য়ু হয়েছিল মাহসা আমিনির। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় ইরানে। এখনও অবধি ৩০০ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণে শিয়ালদহ লাইনের ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। মাঝপথে দুটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিট, অর্থাৎ যখন যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকে লোকাল ট্রেনে, সেই সময়েই শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেন লাইনচ্যুত না হলেও রেলের চাকা কীভাবে লাইন থেকে বেরিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসল কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করছে রেল। প্রাথমিকভাবে সিগন্য়ালের সমস্যা বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার জেরে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে অন্যান্য লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের। বহু যাত্রীকে মাঝপথে নেমে যেতে হয়। দেখা যায়, ট্রেন থেকে নেমে হেঁটেই স্টেশনের দিকে যাচ্ছেন যাত্রীরা।



কী বলছে রেল?
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ট্রেন দুটির পাশাপাশি ধাক্কা লেগেছে। কেউ হতাহত হননি। তেমন কোনও ক্ষতিও হয়নি। তাঁর দাবি, সিগন্যালের সমস্যা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কারও কোনও ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রক্ষণাবেক্ষণের অভাব থাকার কথা মানতে তিনি নারাজ। তবে, রেলের ওই আধিকারিক একথা স্বীকার করেছেন যে, ট্রেনটি অত্যন্ত কম গতিতে যাচ্ছিল বা প্রায় জিরো স্পিডে ছিল বলে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ট্রেনগুলির গতি বেশি থাকলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন তিনি।

দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা
দুর্ঘটনার কারণে শিয়ালদহ লাইনের ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। মাঝপথে দুটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর ১২ টা থেকে বেশ কিছুক্ষণ কোনও লাইনেই ট্রেন চলছিল না। পরে ২, ৩ ও ৪ নম্বর লাইনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন থেকে নেমে পড়েছেন বহু যাত্রী। তাঁরা হেঁটে স্টেশনের দিকে যেতে শুরু করেন। তবে যে লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়েছিল, সেখান থেকে ট্রেন সরানোর পরই স্বাভাবিক হবে পরিষেবা। অনেকেই কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে শিয়ালদহ যাচ্ছিলেন, সেই সময় এভাবে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাঁদের।

তীব্র গরমে স্টেডিয়াম তৈরি করতে গিয়ে ৫০০-র বেশি শ্রমিক মারা গিয়েছেন। সংখ্যাটা কি ৫০০-ই হবে? নাকি তারও বেশি, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক মিটছে না।

অবশেষে পর্দা উঠল বিতর্ক থেকে। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে কম বিতর্কের মুখে পড়েনি কাতার (Qatar World Cup 2022) মরুভূমির দেশে বিপুল অর্থ খরচ করে নতুন সাতটা স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে তীব্র বিতর্কে পড়েছে ওই দেশ। বহির্বিশ্ব দাবি তুলেছিল, বিশ্বকাপের জন্য আধুনিক স্টেডিয়াম তৈরি করতে গিয়ে রক্তের নদী বইয়ে দিয়েছিল কাতার। তা এতদিন অস্বীকার করে গিয়েছে কাতার সরকার। কিন্তু চাপের মুখে এ বার নতিস্বীকার করতে বাধ্য হল তারা। মেনে নিল, তীব্র গরমে স্টেডিয়াম তৈরি করতে গিয়ে ৫০০-র বেশি শ্রমিক মারা গিয়েছেন। সংখ্যাটা কি ৫০০-ই হবে? নাকি তারও বেশি, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক মিটছে না। অনেকেই দাবি করছেন হাজারেরও বেশি শ্রমিক স্টেডিয়াম তৈরির সময় প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু তাঁদের প্রাণহানীর কারণে ক্ষতিপূরণ দেয়নি কাতার। বিশ্বকাপের চিফ হাসান আল থাওয়াড়ির ইন্টারভিউ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। কী বলেছেন তিনি, তুলে ধরল

টকটিভির পিয়ের্স মর্গ্যানকে দেওয়া ইন্টারভিউতে হাসান বলেছেন, ‘সংখ্যাটা ৪০০ হতে পারে। কিংবা ৪০০ থেকে ৫০০ হতে পারে। আমি সঠিক সংখ্যাটা জানি না।’ যতই মারা যাওয়া শ্রমিকদের সংখ্যা জানি না বলে এড়িয়ে যান হাসান, বিতর্ক কিন্তু তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্বকাপের চিফকে যে এই অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখে পড়তেই হবে, তা খুব ভালো করেই জানতেন তিনি। গত ১২ বছরের বিশ্বকাপের আয়োজন করতে গিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে কাতার। এশিয়া থেকেই বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্টেডিয়াম বানানোর জন্য। মূলত কনস্ট্রাকশন্সের সঙ্গে জড়িত থাকা শ্রমিকদের বাড়তি অর্থও দেওয়া হয়েছিল দিনমজুরি হিসেবে। কিন্তু ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমনও বলা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কাতারের বিরুদ্ধে। বিশ্ববাসী কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মরুদেশকে।

হাসান আবার বলেছেন, স্টেডিয়াম তৈরি করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন মাত্র ৩ জন। বাকি শ্রমিকরা মারা গিয়েছেন পরিকাঠামোগত কাজ করতে গিয়ে। হাসানের কথায়, ‘একটা মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেকের যে মৃত্যু হয়, সেটা ভালোই বুঝি। কিন্তু যে সব সাইটে কাজ হত, তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ধীরে ধীরে বেড়েছিল। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।’

তাইওয়ানের সংস্থা Wistron এর ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি ক্রয় করতে চলেছে Tata। তার জন্য 612.6 মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতী মুদ্রায় প্রায় 5,000 কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে টাটা।

ভারতে iPhone প্রস্তুত করার তোড়জোড় শুরু করে দিল Tata। দেশে আইফোন প্রস্তুত করতে শীঘ্রই সংস্থাটি Apple এর প্রোডাকশন প্ল্যান্ট Wistron অধিগ্রহণ করতে চলেছে। সূত্রের খবর, তাইওয়ানের সংস্থা Wistron এর ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি ক্রয় করতে চলেছে Tata। বিরাট দামে সেই ফেসিলিটি ক্রয় করবে রতন টাটার সংস্থা। জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের Wistron ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি কিনতে 612.6 মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতী মুদ্রায় প্রায় 5,000 কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে টাটা। যদিও এ বিষয়ে Apple-এর Wistron এবং Tata-র তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, কর্ণাটকের Apple Wistron ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টটি অধিগ্রহণ করতে চলেছে টাটা।



সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, 5,000 কোটি টাকার চুক্তিতে অ্যাপল উইস্ট্রন অধিগ্রহণ করতে চলেছে। আর তা যদি সত্যিই বাস্তাবায়িত হয়, তাহলে প্রথম ভারতীয় সংস্থা হিসেবে দেশে iPhone প্রস্তুত করবে টাটা, যা এতদিন পর্যন্ত তাইওয়ানের ম্যানুফ্যাকচারারদের হাতে ছিল— ঠিক যেমনটা Wistron এতদিন ধরে করে আসছিল। সেই সঙ্গেই আবার ছিল Foxconn এবং Pegatron এর মতো সংস্থাও। প্রসঙ্গত, Wistron ভারতে iPhone প্রস্তুত করা শুরু করে 2017 সাল থেকে।

এর আগে ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, যৌথ ভিত্তিতে Wistron এর সঙ্গে হাত মিলিয়েই ভারতে iPhone প্রস্তুত করতে জয়েন্ট ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট খোলার চিন্তাভাবনা করছিল Tata। ভারতে এই মুহূর্তে Apple এর মোট তিনটি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে, সেগুলি হল Wistron, Pegatron এবং Foxconn।

সম্প্রতি Apple ঘোষণা করেছিল যে, তারা সদ্য লঞ্চ হওয়া iPhone 14 ভারতে তৈরি করবে চেন্নাইয়ে Foxconn এর শ্রীপেরাম্বুদুর ফেসিলিটিতে। সে সময় অ্যাপলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, “আমরা ভারতে iPhone 14 প্রস্তুত করতে পেরে খুবই খুশি। নতুন iPhone 14 লাইনআপ যুগান্তকারী নতুন প্রযুক্তি এবং উল্লেখোগ্য নিরাপত্তা ক্ষমতার পরিচায়ক।” যাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন, তাঁদের জেনে রাখা উচিত এর আগে ভারতে একাধিক সিরিজ়ের iPhone মডেল নির্মিত হয়েছে— iPhone 13, iPhone 12 এবং iPhone SE।

এদিকে চিনের ঝেংঝুতে অবস্থিত Apple এর Foxconn প্ল্যান্টে চলমান উত্তেজনার কারণে iPhone 14 Pro মডেলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। সাম্প্রতিকতম একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনে ফক্সকনের ঝেংঝো প্ল্যান্টে হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার একদিন পর নতুন নিয়োগকারী সহ 20,000 টিরও বেশি কর্মচারী প্রস্তুতকারক ওই প্ল্যান্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। শ্রমিকরা কাজের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, যা পরবর্তীতে বিক্ষোভের পরিণত হয়।




সূত্রের খবর, আজও জেলাতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিনভর কী কর্মসূচি রয়েছে তাঁর, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

হিঙ্গলগঞ্জ সফরের দ্বিতীয়দিনে বুধবার ইছামতী ভ্রমণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর বুধবার নৌকায় ইছামতীবক্ষে ঘোরেন মমতা। এদিন বেলা ১টা নাগাদ ইছামতীর ধারে যে গেস্ট হাউজ, সেখান থেকে বের হন। এরপর লঞ্চে নদী ভ্রমণ করেন তিনি। হাসনাবাদের একটি ঘাটে নামেন। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চলে যান এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলেও। সঙ্গে বেশ কিছু উপহার নিয়ে যান খুদেদের জন্য। একবার মুখ্যমন্ত্রীকে চাক্ষুষ করার জন্য এদিন বহু মানুষ ভিড় জমান নদীঘাটে।



বুধবার, ভরা স্কুল চলছিল তখন। ক্লাসরুমে কচিকাচাদের হইহই। এরইমধ্যে খবর আসে মুখ্যমন্ত্রী ঢুকছেন। তুমুল তৎপরতা ভিতরে। গেট পার করে স্কুলে পৌঁছে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেন পোশাক। ক্লাসরুমে গিয়ে পড়ুয়াদের কাছে নাম জানতে চান। সকলেই আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের নিজের নাম বলে। খুদে পড়ুয়াদের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী যেন একেবারে স্কুলের দিদিমণি।
মঙ্গলবারই শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ইছামতী ঘুরে দেখবেন। তবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির কোনও আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি। তবে এদিন ১টা নাগাদ তিনি লঞ্চে উঠে ইছামতী ঘোরেন, ইছামতী ঘুরে পৌঁছন ডাসা নদীতে। ডাসা নদী পেরিয়ে হাসনাবাদের খাঁপুকুর এলাকায় লঞ্চ থেকে নামেন তিনি। সেখানে প্রথমে ওই প্রাথমিক স্কুলে যান। সেখানকার বাচ্চাদের নতুন পোশাক দেন। তারপর প্রগতি সংঘের মাঠে এসে মহিলাদের হাতে শাড়ি, চাদর তুলে দেন।
টাকির গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজ মুখ্যমন্ত্রীর। এলাকার লোকজনের সঙ্গে বসে এদিন দুপুরে খাবার খেলেন মমতা। স্টিলের থালায় ভাত, তরকারি খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশে বসে এলাকার লোকজন।
এ তো সবে শুরু...।' ভক্তদের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন নোরা ফাতেহি?

বর্তমানে সারা বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন বলিউড হটডিভা নোরা ফাতেহি (Nora Fatehi)। অভিনয়ের ইচ্ছে ছিল ছোট থেকেই। তবে সেই স্বপ্নপূরণে পাশে পাননি কাউকেই। নিজের লড়াই নিজেই চালিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী, আজ সেই সকল স্বপ্নপূরণ হতে দেখে আবেগঘন নোরা। আইটেম ডান্স (Item Dance) দিয়ে শুরু হয়েছিল কেরিয়ার। ছবিতে তাঁর নাচই হয়ে উঠবে ইউএসপি এই কথা তিনি তখনও বুঝে উঠতে পারেননি। বরং অভিনয় করার জন্য মরিয়া ছিলেন তিনি। তবে হাতে আসা লক্ষ্মী অর্থাৎ কাজের প্রস্তাব ফেরাননি তিনি। আর সেখান থেকেই সফর শুরু। সাকি সাকি গার্ল এখন ফিফা (FIFA 2022) থিমসং ২০২২-র অংশ। কেরিয়ারের এই গ্রাফে তিনি নিজেই আপ্লুত।

ফিফা উদ্বোধন থেকে শুরু করে ফ্যানফেস্টে বোল্ড লুকে অনবদ্য ডান্স উপস্থাপনা। ২৯ নভেম্বর কাতার জমে উঠল নোরার নাচে। নোরার কথায়, যখন স্টেডিয়ামে তাঁরই গান বাজতে শোনা যায়, এবং তাতে সকলকে ঠোঁট মেলাতে দেখা যায় সেই অনুভুতি ঠিক কতটা আনন্দের চোখ ভরে উপভোগ করছেন তিনি। নোরা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন- যখন আপনি আপনার নিজের কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন বিশ্বকাপ ফুটবলের স্টেডিয়ামে, তা অনন্য, এটা এক বড় মাইলস্টোন হয়ে থাকবে আমার জার্নির। আমি সব সময় এমনই এক মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলাম। আর সেই স্বপ্নপূরণের খিদেটা আমার মধ্যে ছিল। এক সাধারণ মেয়ে থেকে এখানো পৌঁছনো।

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী টিমের অন্যতম সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগটা বেশ জটিল। এতে তিনি সরাসরি জড়িয়ে নেই। তাঁর পরিবারের এক সদস্যের কারণেই অভিযুক্ত হয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট।



 এ বার স্বার্থের সংঘাতে বিদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনি (Roger Binny)। অবশ্য ক্রিকেট প্রশাসনে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার, যাঁরা বোর্ডের (BCCI) নানা পদে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বা স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তবে বিনির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কিছুটা হলেও চাপ বাড়াচ্ছে। তার কারণই হল, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী টিমের অন্যতম সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগটা বেশ জটিল। এতে তিনি সরাসরি জড়িয়ে নেই। তাঁর পরিবারের এক সদস্যের কারণেই অভিযুক্ত হয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বোর্ডের এথিক্স অফিসার বিনীত শরণ নোটিশ ধরিয়েছেন বিনিকে। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে। ঘটনা আসলে কী, তুলে ধরল

কেন স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠল বিনির বিরুদ্ধে? ঘটনাটা বেশ মজার। বিনির ছেলে স্টুয়ার্ট বিনি, যিনি একসময় ভারতের হয়ে খেলেওছেন, সেই তাঁর স্ত্রী মায়ান্তি ল্যাঙ্গার। বিনির পুত্রবধূ আবার স্টার স্পোর্টসের সঞ্চালক। এই স্টার স্পোর্টস ভারতীয় ক্রিকেট সম্প্রচারের সত্ত্ব কিনে রেখেছে। মায়ান্তি সেই স্পোর্টস চ্যানেলের সঞ্চালক হওয়ার কারণেই চাপে পড়েছেন বিনি। বোর্ড প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সেই সঞ্জীব গুপ্তা। যিনি এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছিলেন।

যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিনিকে, তাতে লেখা হয়েছে, ৩৯ ধারার ২ ও বি নিয়মে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে আপনাকে লিখিত জবাব দিতে হবে।

মেসিকে নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের যা দাবি তা সত্যি হলে, এ বার আর পিএসজিতে নেইমার-এমবাপেদের সঙ্গে নয়, বরং আমেরিকার লিগে খেলতে দ্যুতি ছড়াতে দেখা যাবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে।

 বর্তমানে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে (Argentina) নিয়ে ব্যস্ত লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। তার মধ্যে এলএম টেনের ক্লাব নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এ বার নাকি পিএসজি ছাড়তে চলেছেন মেসি? উত্তর সময়ই বলবে। কিন্তু বিশ্বকাপের পরে নিজের ক্লাব পিএসজিতে ফিরে কী সিদ্ধান্ত নিবেন মেসি, তা নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। পিএসজির (PSG) সঙ্গে মেসির যে চুক্তি হয়েছিল, তা নতুন বছরের জুনে শেষ হতে চলেছে। কয়েক দিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে, আর পিএসজির সঙ্গে চুক্তি না বাড়িয়ে মেজর সকার লিগে খেলতে দেখা যেতে পারে মেসিকে। তবে কি পিএসজি ছেড়ে মিয়ামির পথে মেসি? সেই তথ্যই তুলে ধরল

আসলে মেজর লিগ সকার হল, আমেরিকার এক ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে একটা সময় ইউরোপ ও ইংল্যান্ডের প্রথম সারির ক্লাবে বয়সের দরুণ যে সমস্ত ফুটবলাররা খেলার সুযোগ পেতেন না তাঁদের খেলতে দেখা গিয়েছিল। ডেভিড বেকহ্যাম, ওয়েন রুনি, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো তারকা ফুটবলারও এক সময় খেলেছেন মেজর লিগ সকারে। এ বার সেখানে দেখা যেতে পারে মেসিকে।

ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হওয়ার পর দু’পক্ষ চাইলে তা আরও এক বছর বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। মেসি সেটা না চাইলে, চলতি মরসুমের মাঝেই ক্লাব ছাড়ার সুযোগ রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার কাছে। জানা গিয়েছে, বিপুল অর্থে মেসিকে কিনতে পারে ইন্টার মিয়ামি। তা যদি হয়, মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে সব থেকে দামি ফুটবলার হতে চলেছেন লিও মেসি।

ইন্টার মিয়ামির অন্যতম কর্ণধার ডেভিড বেকহ্যাম কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছেন। ফুটবল মহলের দাবি, বেকহ্যামের বিশ্বকাপ দেখেতে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, মেসিকে মেজর লিগ সকারে নিয়ে আসা। এ বার দেখার মেসি প্যারিস থেকে মিয়ামির পথে পা বাড়াব কিনা।

এ বারের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে লিওনেল মেসি নিজেই জানিয়েছিলেন কাতার বিশ্বকাপই তাঁর কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। একইসঙ্গে তিনি এরপর আমেরিকান লিগে খেলার ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন। মেসিকে নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের যা দাবি তা সত্যি হলে, এ বার আর পিএসজিতে নেইমার-এমবাপেদের সঙ্গে নয়, বরং আমেরিকার লিগে খেলতে দ্যুতি ছড়াতে দেখা যাবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। জানা গিয়েছে, মেজর সকার লিগে মিয়ামিতে মেসির পাশাপাশি খেলতে দেখা যেতে পারে সেস ফ্যাব্রেগাস এবং লুইস সুয়ারেজকেও। সব হিসেব নিকেশ পাওয়া যাবে কিছুদিন পর। আপাতত ক্লাব নয়, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে ভাবছেন মেসি। দেশকে তৃতীয় ও নিজের কেরিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ জয়েই ফোকাস লিও মেসির।

1 ডিসেম্বর থেকে Hero MotoCorp-এর সমস্ত বাইক ও স্কুটারের দাম বাড়তে চলেছে। কত টাকা করে বাড়ছে? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হিরো বাইক ও স্কুটারগুলির দাম নতুন মাস থেকে 1,500 টাকা করে বাড়তে চলেছে। কিন্তু কেন বাড়ছে?

Hero MotoCorp কি আপনার প্রিয় বাইক কোম্পানি? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটি দুঃসংবাদ। কোনও Hero বাইক বা স্কুটার কেনার চিন্তাভাবনা করলে 1 ডিসেম্বরের আগেই কিনে ফেলুন। কারণ, 1 ডিসেম্বর থেকে Hero MotoCorp-এর সমস্ত বাইক ও স্কুটারের দাম বাড়তে চলেছে। কত টাকা করে বাড়ছে? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হিরো বাইক ও স্কুটারগুলির দাম নতুন মাস থেকে 1,500 টাকা করে বাড়তে চলেছে। কিন্তু কেন বাড়ছে? Hero MotoCorp জানিয়েছে, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির কারণেই তাদের বিস্তৃত রেঞ্জের বাইক ও স্কুটারগুলির দাম বাড়ানো হচ্ছে।

Hero MotoCorp এই মুহূর্তে দেশের মার্কেটে যে মোটরসাইকেলগুলি বিক্রি করে, সেগুলি হল— স্প্লেন্ডার প্লাস, HF ডিলাক্স, HF 100, প্যাসান প্রো, সুপার স্প্লেন্ডর, গ্ল্যামার, এক্সট্রিম 160R, এক্সট্রিম 200S, এক্সপালস 200 4V এবং এক্সপালস 200T। এদিকে আবার সংস্থাটি যে স্কুটারগুলির বিক্রি করে, তার মধ্যে রয়েছে প্লেজ়ার প্লাস XTEC, মায়েস্ত্রো এজ 110, মায়েস্ত্রো এজ 125 এবং ডেসটিনি 125 XTEC।

এই প্রতিটি স্কুটার ও মোটরসাইকেলের দাম চলতি বছরের 1 ডিসেম্বর থেকে অন্তত 1500 টাকা করে বাড়তে চলেছে। এখন প্রতিটি মডেলের দাম ঠিক কত করে বাড়বে, তা নির্ভর করবে মডেল এবং মার্কেটের উপরে।

Hero MotoCorp-এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার নিরঞ্জন গুপ্তা বলছেন, “সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমাদের মোটরসাইকেল ও স্কুটারের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে। তবে গ্রাহকদের উপরে এর প্রভাব কমানোর জন্য আমরা উদ্ভাবনী ফাইন্যান্সিং সমাধান নিয়ে আসব।”

ভগবান রাম এবং মাতা সীতার বিবাহের একটি বিশেষ বিষয় ছিল যে তাদের উভয়ের জন্মকুণ্ডলীতে সম্পূর্ণ ৩৬টি গুণ ছিল। রাম ও সীতার বিয়ের খাবার নিয়ে সারা বিশ্বে একটি আলোচনা বিষয়।

বিবাহ পঞ্চমীর উৎসব (Vivah Panchami 2022) পালিত হয় মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে। এবার এই শুভ তিথি পড়েছে ২৮শে নভেম্বর, সোমবার। পুরাণ ও শাস্ত্র অনুযায়ী, ত্রেতাযুগে বিবাহ পঞ্চমীর দিনেই পুরুষোত্তম শ্রী রাম (Lord Ram) এবং দেবী সীতার বিয়ে হয়েছিল। তাই এই তারিখটি বিবাহ পঞ্চমী বা শ্রীপঞ্চমী নামে পরিচিত। এই দিনে, ভগবান রাম এবং সীতার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অনেক জায়গায়, তবে অনেক পিতামাতা এই তারিখে তাদের মেয়ের বিয়ে এড়িয়ে যান কারণ তারা এই তারিখটিকে অশুভ মনে করেন। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে রাম-সীতার বিয়েতে যোগদান করলে বা গল্প শুনলে জীবনের অনেক দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। এই বিশেষ দিনে রাম ও মা সীতার বিবাহ সম্পর্কে কিছু বিশেষ কথা জেনে রাখুন।





রাজা জনক শিব ধনুষের শর্ত রেখেছিলেন

দেবী সীতার পিতা রাজা জনক শর্ত দিয়েছিলেন যে, ভগবান শিবের ধনুকটি যে শক্তহাতে বেঁধে দেবেন তিনিই হবেন সুন্দরী সীতার স্বামী। এই শর্তের পিছনেও ছিল একটি কারণ। সীতা শৈশবে যখন শিব ধনুক দেখেছিলেন, তখন তিনি একা বাম হাতে ধনুক তুলেছিলেন। মহারাজ জনক যখন এই অপূর্ব ও অলৌকিক দৃশ্য দেখেন, তখন তিনি মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন সীতা যেমন অতিপ্রাকৃত, তেমনি তার স্বামীও তারই সমতুল্য হওয়া উচিত।

রাবণও স্বয়ম্বরে অংশগ্রহণ করেছিলেন

সীতার স্বয়ম্বর সম্পর্কে একটি মজার তথ্যও শোনা যায়, তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন। কিংবদন্তি অনুসারে, সীতার স্বয়ম্বরে রামের পাশাপাশি রাবণও যোগ দিয়েছিলেন। তবে তার আগেই রাম শিবের ধনুক তুলে বিজয়ী হয়ে গিয়েছিলেন। তথ্য অনুসারে, রাবণকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল যে যদি সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও অপরিচিত মহিলাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে তবে তার মাথা ১০০ টুকরো করে ফেলা হবে। তা সত্ত্বেও সব কথা উপেক্ষা করেও তিনি রাজা জনকের কন্যা সীতাকে বিয়ে করতে যান। কিন্তু তিনি শিবের ধনুকটি বাঁধতে পারেননি বলে স্বয়ম্বর ত্যাগ করেন।

বিয়ের সময় রাম ও সীতার বয়স কত ছিল

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যখন দেবী সীতা এবং ভগবান রামের বিয়ে হয়েছিল, সেই সময় ভগবান রামের বয়স ১৩ বছর এবং মা সীতার বয়স ৬ বছর ছিল। কিন্তু বিয়ের পরেও ১২ বছর বয়স পর্যন্ত দেবী সীতা বাপের বাড়িতেই থাকতেন। তারপরে তিনি অযোধ্যায় রামের কাছে চলে যান। তবে ভগবান রাম ও মাতা সীতার বয়স নিয়ে অনেক পণ্ডিতের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

রাম ও সীতার ৩৬টি গুণ ছিল

ভগবান রাম এবং মাতা সীতার বিবাহের একটি বিশেষ বিষয় ছিল যে তাদের উভয়ের জন্মকুণ্ডলীতে সম্পূর্ণ ৩৬টি গুণ ছিল। রাম ও সীতার বিয়ের খাবার নিয়ে সারা বিশ্বে একটি আলোচনা বিষয়। কথিত আছে যে তার বিয়েতে এত খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল, তার নাম অধিকাংশেরই অজানা। কথিত আছে যে ভোজে রসের জন্য খাবার ছিল এবং প্রতিটি রস দিয়ে অসংখ্য ধরনের খাবার তৈরি করা হয়েছিল।

সীতার বোনদের নাম

সীতার বিয়ের দিনেই তাঁর তিন বোনেরও একই মণ্ডপে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। তিন বোনের নাম ছিল উর্মিলা, মান্ডবী এবং শ্রুতকীর্তি। রাজা জনকের দুই কন্যা ছিল, সীতা ও উর্মিলা। মান্ডবী এবং শ্রুতকীর্তি ছিলেন তাঁর ছোট ভাই কুশধ্বজের কন্যা। সীতার বিয়ে হয়েছিল রামের সঙ্গে, উর্মিলার বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মণের সঙ্গে, মাণ্ডবীর বিয়ে হয়েছিল ভরতের সঙ্গে এবং শ্রুতিকীর্তীর বিয়ে হয়েছিল শত্রুঘ্নের সঙ্গে।

আইসিএমআর-এর নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না।

বেশিরভাগ মানুষই সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ডাক্তার না দেখিয়েই ওষুধ খেয়ে নেন। আবার অনেক এমনও রয়েছেন যাঁরা ছোট ছোট সমস্যায় সব সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নেন। এবার এই দুটোই বন্ধ হবে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে সাধারণ ভাইরাল জ্বর কিংবা হালকা জ্বরের ক্ষেত্রে আর অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়ার দিনও এবার শেষ। আইসিএমআর-এর নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না। এখানেই শেষ নয়। কোন দিন ওষুধ খাওয়া শুরু করছেন এবং কবে শেষ করছেন সেটাও মনে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমায় ওষুধ খেয়েও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলেও ওষুধের ডোজ় বাড়ানো বা ওষুধ পরিবর্তন করা যাবে না।

নিউমোনিয়া সংক্রান্ত জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর। তবে সেটাও সময়সীমা রয়েছে। জ্বর বেশি হলে ৮ দিন এবং তারপর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ দিনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স দেওয়া যেতে পারে রোগীকে। অন্যান্য কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রেও এই সময়সীমাই মানতে হবে। এছাড়া সাধারণ ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া আর চলবে না।

আইসিএমআর-এর অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে বেশ কয়েক সমীক্ষা করে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এমন অনেক বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যার শক্তিশালী প্রভাব অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে ওই শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়াগুলোর উপর অ্যান্টিবায়োটিক কোনও কাজ করে না। উল্টে ওই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো শরীরের অন্যান্য ভাল ব্যাকটেরিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। আর সাধারণ জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা শরীরে মারাত্মক ঝুঁকি ডেকে আনে।

উরফির নাম করে এমন কথা বলার জন্য রেগে যান ডিজিটাল অভিনেত্রী। অকারণে তাঁর নাম ব্যবহার করেছেন কথোপকথনে চেতন বলে কটাক্ষ করেন তিনি।


উরফি জাভেদ (Uorfi Javed) বরাবর স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন। আর সেটা যদি হয় তাঁকে নিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই। এবার তিনি একহাত নিলেন লেখক চেতন ভগতকে (Chetan Bhagat)। তাঁকে ৮০ দশকের মানসিকতার মানুষ বলে উল্লেখ করেন। হঠাৎ কেন উরফি রেগে গিয়েছেন চেতনের উপর। শুধু উরফি নন, সমালোচনার শিকারও হয়েছেন চেতন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর বক্তব্যের জন্য। আসলে সম্প্রতি লেখক এক সাহিত্যে সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি উরফি প্রসঙ্গ টেনে দেশের যুবকদের সাবধান করতে চেয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল উরফির ছবি দেখে সময় নষ্ট না করে, নিজের কেরিয়ারে মন দেওয়া উচিৎ। তাঁর মতে, চাকরির পরীক্ষায় উরফি কী পোশাক পরেছেন তা পরীক্ষার্থী জানেন কি না জানতে মোটেই ইচ্ছুক নন সাক্ষাৎকার নিতে বসা সামনের ব্যক্তিটি। আর এখান থেকেই শুরু হন চেতন ট্রোল হওয়া।

উরফির নাম করে এমন কথা বলার জন্য রেগে যান ডিজিটাল অভিনেত্রী। অকারণে তাঁর নাম ব্যবহার করেছেন কথোপকথনে চেতন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। অন্যদিকে চেতনের মতে তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। “২ স্টেটস” ছবির লেখক টুইট করে জানান যে, তিনি শুধু মাত্র “ছেলেদের” তাঁদের কর্মজীবনে মনোনিবেশ করতে বলেছেন ইনস্টাগ্রামে সময় নষ্ট না করে।

“আমি ছেলেদের ফিটনেস এবং তাঁদের কেরিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছিলাম ইনস্টাগ্রামে সময় নষ্ট না করে। দৃশ্যত এটি ঠিক নয়! তাঁরা আমার বক্তব্য কেটেছে, প্রসঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেছে। শিরোনামটি এমনভাবে যোগ করা হয়েছে যা আমি কখনও বলিনি। বক্তব্যের অংশ বিশেষ নিয়ে একটা বক্তব্য দাঁড় করানো হয়েছে,” ভগত বললেন।

চেতনের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি বলেন, “ফোন আজকাল যুবকদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিভ্রান্তির কারণ হয়েছে। বিশেষ করে ছেলেদের জন্য, শুধু ইনস্টাগ্রাম রিল দেখে যাঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাচ্ছে। সবাই জানে উরফি জাভেদ কে। আপনি তাঁর ফটোগুলো দেখে কী করবেন? এটি কি আপনার পরীক্ষায় আসছে, নাকি যখন চাকরির জন্য যাবেন সাক্ষাৎকার দিতে, সেখানে ইন্টারভিউয়ারকে বলবেন যে আপনি তাঁর সমস্ত পোশাক সম্পর্কে জানেন?”

এখানেই থামেননি ড. ভগত, আরও যোগ করেন, “একদিকে একজন যুবক আছেন যিনি কার্গিলে আমাদের দেশকে রক্ষা করছেন এবং অন্য দিকে আমাদের আরও একজন যুবক আছেন যাঁরা তাঁদের কম্বলে লুকিয়ে উরফি জাভেদের ছবি দেখছেন”।



এদিন আদালতে পার্থর পাশাপাশি এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়দেরও তোলা হয় আদালতে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে আদালতে দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী। সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহাকে। আদালতে তোলা হয় ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ সিং, ও প্রসন্ন রায়কেও। পার্থর আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, পার্থ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। এইভাবে তদন্ত হলে কবে মামলা শেষ হবে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিন আদালতে পার্থর আইনজীবী জানান, ‘সিবিআইয়ের তদন্ত অফিসার নিজেই বলেছেন তিনি একা মানুষ। তিনি সামাল দিতে পারছেন না। তাদের ব্যর্থতার জন্য অভিযুক্ত কেন জেলে আটকে থাকবেন?’ এরপরই পার্থর বয়স ও অসুস্থতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জামিনের আর্জি জানান তিনি।

পার্থর আইনজীবী জানান, ‘সিবিআই ফার্দার ইনভেস্টিগেশন কথাটা বেড়াল ছানার মতো ব্যবহার করে আটকে রাখছে।’ বিচারকের কাছে তিনি আর্জি জানান, পার্থকে জামিন দিয়ে ট্রায়ালের মুখোমুখি বসার সুযোগ দেওয়া হোক। পার্থ প্রমাণ করবেন তিনি নির্দোষ। পার্থ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও আদালতে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছতে। তার মানে এখনও সিবিআই ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছয়নি। গত ১৪ দিনে মামলার কোনওরকম অগ্রগতি নেই। এইসব বিষয়কে আমরা সামনে রেখে জামিনের আবেদন জানিয়েছি। সিবিআই তদন্তের নামে একজন অভিযুক্তের মৌলিক অধিকার খর্ব করা ছাড়া কোনও ফলপ্রসূ তদন্তে পৌঁছতে পারেনি।”

 গত বছরই অসম লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে এক জনের। একটি ভাল্লুকেরও মৃত্যু হয়।


শীত পড়তেই ভাল্লুকের আগমন ডুয়ার্সে। চিন্তিত বনদফতর। কারণ খুঁজতে রাজ্যে এই প্রথম ভাল্লুক গণনা করতে চলেছে বন দফতর। গত বছর প্রথম ভাল্লুক দেখা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের ইংডং চা-বাগান এলাকায়। এরপর ডুয়ার্সের মালবাজার, মাদারিহাট,বক্সা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। গত বছরই অসম লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে এক জনের। একটি ভাল্লুকেরও মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ভাল্লুকের আক্রমণে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। ডুয়ার্সের মালবাজার, ধূপগুড়ি, নাথুয়া এলাকায় দেখা মিলছে ভাল্লুকের। বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধূপগুড়িতে ভাল্লুক ধরাও পড়েছে। ডুয়ার্সের বনাঞ্চল এবং বন সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে ভাল্লুকের আতঙ্ক পৌঁছে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর এবং মালবাজার শহরেও।

মাল শহরে ভাল্লুক পৌঁছে গিয়েছিল একটি ভবনে যেখানে অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দিন কয়েক আগেই মেটেলি, মালবাজার, মাদারিহাট- সহ বেশ কয়েকটি চা-বাগানে দেখা মিলেছে ভাল্লুকের। তার মধ্যে গত ১৫ দিনে ৬ টি ভাল্লুককে উদ্ধার করেছে বন দফতর। এর মধ্যে আটিয়াবাড়ি চা-বাগান থেকে একটি, লতাবাড়ি থেকে ৩ টি, মেন্দাবাড়ি বন বস্তি থেকে দুটি। এর মধ্যে দুটি ভাল্লুককে বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। বাকি চারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ডুয়ার্সের মালবাজারে এখনও বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে ভাল্লুক। ভাল্লুকের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ভাল্লুক গণনার সিন্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।



ক্ষেপে রয়েছেন চিনের মানুষ। ঘরবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে তাঁরা ক্লান্ত। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করা কোভিড ১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি যে দেশে, সেই চিন আড়াই বছর পরও কড়া কোভিড নীতি মেনে চলছে।

সারা বিশ্বের প্রতিটি কোনার মানুষের কাছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপকে (Qatar World Cup 2022) পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ফিফা। অথচ চিনে কাঁটছাট করে সম্প্রচারিত হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ। চিনের শি জিনপিং সরকার সেদেশে ফুটবল বিশ্বকাপ সম্প্রচারে সেন্সর বসিয়েছে। খামোখা ফুটবল বিশ্বকাপ সম্প্রচার সেন্সরড হতে যাবে কেন? শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই আসবে এই প্রশ্ন। কারণ হল চিনের সরকার বিরোধী গণআন্দোলন। কড়া কোভিড নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে চিন (Protest Against Xi Jinping) । উঠছে শি জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবি। পুরোটা পড়ে নিন

ক্ষেপে রয়েছেন চিনের মানুষ। ঘরবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে তাঁরা ক্লান্ত। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করা কোভিড ১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি যে দেশে, সেই চিন আড়াই বছর পরও কড়া কোভিড নীতি মেনে চলছে। সারা বিশ্ব এখন নিউ নরম্যালে অভ্যস্ত। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, হাঁচি কাশি দিলেই কোভিড টেস্টের জন্য ছোটার দিন শেষ হয়েছে। এমনকি কোভিডের চোখ রাঙানির শেষে সুষ্ঠুভাবে বসেছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। যে টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে লাখো মানুষ কাতারে পাড়ি দিয়েছেন। প্রতিটি ম্যাচে হাজারো দর্শকের ভিড়। বায়ো বাবলের পাঠ চুকে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। বাদবাকি বিশ্বকে দেখে হিংসে হতেই পারে চিনের মানুষের। কোভিড সংক্রমণ নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ায় দেশটিতে ফের কড়া কোভিডবিধি আরোপিত হয়েছে। চলছে কড়া লকডাউন। কিন্তু এভাবে আর কাঁহাতক! প্রতিবাদে পথে নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ। শি জিনপিং সরকারের ‘কোভিড শূন্য নীতি’-র প্রতিবাদে শয়ে শয়ে মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ নজিরবিহীন।

শ্যামসুন্দরপুর সমবায়ের ১২ আসনে নির্বাচনে লড়াইয়ে ছিলেন মোট ২৬ জন প্রার্থী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে আসন সমঝোতা করে এখানে প্রার্থী দিয়েছিল বাম ও বিজেপি।

পূর্ব মেদিনীপুরের আরও দুই সমবায়ের নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হল বিরোধীরা। রবিবার নন্দকুমারের শ্যামসুন্দরপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও পাঁশকুড়ার মঙ্গলদাঁড়ি ইউনাইটেড কৃষি উন্নয়ন সমিতির ডিরেক্টর নির্বাচনে যথাক্রমে ১০ ও ৭ আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। শ্যামসুন্দরপুর সমবায়ের ১২ আসনে নির্বাচনে লড়াইয়ে ছিলেন মোট ২৬ জন প্রার্থী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে আসন সমঝোতা করে এখানে প্রার্থী দিয়েছিল বাম ও বিজেপি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তৃণমূল, বাম-বিজেপি জোট ও নির্দলের ২ জন-সহ মোট ২৬ জন প্রার্থী। ৯৯০ জন ভোটারের মধ্যে এদিন ভোট পড়ে ৯০ শতাংশ। আর বিকেলে ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায় তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ১০ টি আসনে এবং ২ টি আসনে জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, “দুটি সমবায় দখলের লক্ষ্যে জনমতকে প্রভাবিত করতে প্রকাশ্য এবং গোপন আঁতাত করেছিল বিরোধীরা। যা ভাল চোখে নেননি মানুষ। তৃণমূলের হাত শক্ত করে ভোটে তার জবাব দিয়েছেন।” যদিও এই ফলাফল নিয়ে বামফ্রন্ট এবং গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । যদি সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব আগেই জানিয়ে দিয়েছে, নীতি বড়। তাই বিজেপির সঙ্গে জোট করা যাবে না। প্রয়োজনে নিচুতলায় জোটে উদ্যোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার রবিবার দুপুরে একটি টুইট করেন। সেই টুইটেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।


 রাজ্য রাজনীতিতে রোজই বাগযুদ্ধ চলছে। ব্যক্তিগত বিষয় হোক বা রাজনৈতিক, এক দলের নেতা অপর দলের নেতাকে বিভিন্ন বিষয়ে আক্রমণ করে থাকে। সেই তালিকায় এ বার নতুন সংযোজন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন। শান্তনু সেনের মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন সুকান্ত মজুমদার। শান্তনু সেনও পাল্টা মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

মেয়েকে জড়িয়ে তাঁকে সুকান্তের আক্রমণে জবাবও দিয়েছেন শান্তনু সেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির টুইটের ঘণ্টা দুয়েক পরই পাল্টা টুইট করেন শান্তনু। মেয়ের অতীতের শংসাপত্রের ছবিও রয়েছে সেই টুইটে। ‘রাজনীতির ময়দানে লড়তে না পেরে’ মেয়ে-পরিবারকে টেনে আনার বিষয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন বিজেপি নেতাকে। আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে তৈরি থাকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পেশায় চিকিৎসক এই সাংসদ। শান্তনু লিখেছেন, “রাজনীতির ময়দানে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়ে পরিবার এবং বাচ্চাদের টেনে আনার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আমার মেয়ে মেধাবী ছাত্রী। বায়োকেমিস্ট্রি অনার্সেও তাঁর ভাল ফল। নিট পাশ না করে কেউ মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারেন না। বঙ্গ বিজেপিকে লজ্জা। আইনি লড়াইয়ের জন্য তৈরি হও।” সেই সঙ্গে মেয়ের শংসাপত্রের ছবিও পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ।

বিশ্বকাপের মঞ্চে কানাডার প্রথম গোল। কিন্তু ম্যাচের পরিণতি হল অনেক বেশি হতাশার। ম্যাচের ২ মিনিটেই পিছিয়ে পড়া ক্রোয়েশিয়ার অনবদ্য প্রত্যাবর্তন।

বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) মঞ্চে ইতিহাস গড়লেন আলফান্সো ডেভিস। কানাডার (CANADA) হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম গোলের নজির। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ এসেছিল তাঁর সামনে। ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। পেনাল্টি থেকে শট নিতে হত। নিয়েওছিলেন। কিন্তু ইতিহাস তৈরি হয়নি সেই ম্যাচে। ক্রোয়েশিয়ার (CROATIA) বিরুদ্ধে ম্যাচের ২ মিনিটে সেই আলফান্সো ডেভিসই নজির গড়লেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে কানাডার প্রথম গোল। কিন্তু ম্যাচের পরিণতি হল অনেক বেশি হতাশার। ম্যাচের ২ মিনিটেই পিছিয়ে পড়া ক্রোয়েশিয়ার অনবদ্য প্রত্যাবর্তন। ম্যাচের বিস্তারিত রিপোর্ট

ক্রোয়েশিয়া প্রথম ম্য়াচে মরোক্কোর বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল। গত বারের রানার্স ক্রোয়েশিয়ার পারফরম্যান্স প্রথম ম্যাচে আশঙ্কা ধরিয়েছিল, আদৌ তারা কতটা এগতে পারবেন। এই ম্যাচেও মাত্র ১২০ সেকেন্ডে গোল খাওয়ার পর হতাশা বাড়ছিল মদ্রিচদের শিবিরে। যদিও অনবদ্য প্রত্যাবর্তন ক্রোয়েশিয়ার। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরান আন্দ্রে ক্রামারিচ। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কোর লাইন ২-১ করেন মার্কো লিভাজ্জো। এই স্কোর নিয়েই বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া। বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক মদ্রিচরা। ৭০ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ব্য়বধান বাড়ান সেই আন্দ্রে ক্রামারিচ। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে জোড়া গোল। অ্যাডেড টাইমে চতুর্থ গোল লভ্রে মায়েরের। কানাডা গোলরক্ষক বেশ কিছু সেভ না করলে আরও বড় ব্যবধানে জিতত ক্রোয়েশিয়া। তবে এ দিনের প্রত্য়াবর্তনে পরিষ্কার, গত বারের রানার্সরা ছন্দে ফিরছে।

২০১৭ সালে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। প্রথম অভিনয় করেছিলেন ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। সেখান থেকেই আলাপ সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে।

মেয়ে নেই ৭ দিন। শোকে পাথর ঐন্দ্রিলার মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন মেয়ের একের পর এক ছবি। ভিডিয়ো অথবা ছবির ক্লিপিংস। এবার শুধু ঐন্দ্রিলা শর্মা নয়, সব্যসাচীকে নিয়েও ফেসবুক পোস্টে আবেগঘন তিনি। সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলা অভিনীত এক ধারাবাহিকের ক্লিপিংস শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “আমার সব্যের ঐন্দ্রিলা”। বুঝিয়ে দিয়েছেন সব্যসাচীই ছিলেন তাঁর মেয়ের অন্যতম ভরসা। কবি বলেছেন ‘বিংশ শতকে শোকের আয়ু কম’– কিন্তু মেয়ের স্মৃতি আঁকড়েই আগামী জীবন বেছে থাকার অঙ্গীকার শিখাদেবীর। কিন্তু মন যে বড় দায়! মেয়েকে দেখেননি সাতদিন। সন্তানহারা মায়ের তাই কাতর আকুতি, ‘কোথায় রে মানিক তুই’। ঐন্দ্রিলা আর ফিরবেন না। নির্মম হলেও এটাই সত্যি।

২০১৭ সালে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। প্রথম অভিনয় করেছিলেন ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। সেখান থেকেই আলাপ সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে। এরপর জিয়নকাঠি ধারাবাহিকে দেখা যায় তাঁকে। জীবনে দু’বার ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সব্যসাচীই তাঁর গাড়িতে করে অভিনেত্রীকে ভর্তি করেন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর ২০ দিন চলে লড়াই। সকলেই আশা করেছিলেন গত দুবারের মতো এবারেও তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু শনিবার রাতে প্রায় দশবার হৃদরোগে আক্রান হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এরপরেই রবিবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর দুপুরে অঘটন। প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা। চলে যান না ফেরার দেশে।

ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর থেকেই সব্যসাচীকে নিয়ে রটেছে একের পর এক রটনা। কখনও রটেছে তাঁর অসুস্থতার খবর। কখনও রটেছে তিনি নাকি হাসপাতালে ভর্তি। এই নিয়ে কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করেছিলেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর বন্ধু সৌরভ দাস। বলেছিলেন, “সব্যসাচী সুস্থ আছে। সঙ্গে আছি আমি এবং থাকব। যারা ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে তারা অসুস্থ। বিব্রত হবেন না।” এখানেই শেষ করেননি সৌরভ। যোগ করেন, “যদি কোথাও থেকে কোনও মিথ্যে খবর রটানো হয় তবে সেই ব্যক্তি বা পোর্টালের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। পরিবারটিকে শান্তি দিন”। কিন্তু শান্তি পাচ্ছেনই বা তাঁরা কোথায়? মেয়ে নেই, মেয়ের স্মৃতি এখন তাঁদের একমাত্র সম্বল।

রবিবার চিনের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে চিন সরকারের কঠোর শূন্য-কোভিড নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন শয়ে শয়ে মানুষ।


রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল জনগণ। রবিবার এক বিরল দৃশ্য দেখা গেল চিনের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে। চিন সরকারের কঠোর শূন্য-কোভিড নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন শয়ে শয়ে মানুষ। যা চিনের নিরিখে অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ঘটনা। আসলে, কোভিড-১৯ মহামারির মোকাবিলায় একের পর এক লকডাউন, দীর্ঘ দিন ধরে চলা কোয়ারেন্টাইন এবং গণ পরীক্ষার চাপে ক্লান্ত-অবসন্ন চিনের সাধারণ মানুষ, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপির একটি সূত্র। ওই সূত্রের দাবি, গত বৃহস্পতিবার শিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকিতে এক মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড, জনগণের ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে। ওই ঘটনায় উদ্ধারকার্য ব্যাহত হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনকেই দায়ী করেছেন। সরকার অবশ্য তা মানছে না।

বিক্ষোভের এই ছবি দেখা গিয়েছে উহান শহরেও। সেখানকার প্রতিবাদ মিছিলের ছবি ও ভিডিয়ো অবশ্য চিনের কমিউনিস্ট সরকার দ্রুত সেন্সর করেছে। এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংহাই শহরের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদীরা শি জিনপিং এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সরকারের ইস্তফা দাবি করেছে। সকালে উরুমকিতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলেও, বিকেলে ওই একই জায়গায় নীরব প্রতিবাদ মিছিল করেছেন শয়ে শয়ে মানুষ। কড় হাতে সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিক্ষোভের কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদেরকে খুঁজছে চিনা পুলিশ। গুয়াংজু এবং চেংডু শহর থেকেও বিক্ষোভের একই ছবি দেখা গিয়েছে।

শুধু শহরের রাস্তায় নয়, লকডাউন ও কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা বিরোধী প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও। এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবারই বেজিংয়ের অভিজাত সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ জানাতে সমাবেশ করে শয়ে শয়ে ছাত্রছাত্রী। সূত্রের খবর, এদিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের দরজায় দরজায় সই সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল। পরে আরও অনেকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। চিনা জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের পরিচিত সঙ্গীত ‘ইন্টারন্যাশনাল’-ও গেয়েছে তারা। সমলোগান দিয়েছে, “লকডাউন নয়, আমরা স্বাধীনতা চাই”। গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আওয়াজ তুলেছে তারা।

রবিবার, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মহিপালপুর ফ্লাইওভারে ভিআইপি রেজিস্ট্রেশন প্লেট লাগানো একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায়, মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক প্রবাসী বাঙালি সাইকেল আরোহীর।

রবিবার, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মহিপালপুর ফ্লাইওভারে ভিআইপি রেজিস্ট্রেশন প্লেট লাগানো একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায়, মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক প্রবাসী বাঙালি সাইকেল আরোহীর। মৃত ওই ব্যক্তির নাম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি গুরুগ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময় তিনি সাইকেল চালিয়ে গুরুগ্রাম থেকে দিল্লির ধৌলা কুয়ানের দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গাড়ি-চালকের দাবি, আচমকা টায়ার ফেটে যাওয়াতে তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। পুলিশ চালককে গ্রেফতার করেছে, গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে।



পুলিশ জানিয়েছে, মহিপালপুর ফ্লাইওভারের কাছেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক বিএমডব্লু গাড়িটিতে ভিআইপি রেজিস্ট্রেশন প্লেটের পাশাপাশি একটি স্টিকার লাগানো ছিল। সেই স্টিকারে লেখা ছিল, ‘প্রেসিডেন্ট ফাইন্যান্স কমিটি, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড’। গাড়ির মালিক পাঞ্জাবিবাগের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময়, গাড়িটি গুরুগ্রাম থেকে দিল্লি আসছিল, চালাচ্ছিলেন সোমবীর নামে এক ব্যক্তি। তিনিই নিয়মিত ওই গাড়িটি চালান। দুর্ঘটনার পর, গুরুতর আহত অবস্থায় শুভেন্দুকে তিনিই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রতিদিনই সকালে সাইকেল চালাতেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। এদিন, গাড়িটি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। সেই সময় তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল। শুভেন্দুর সাইকেল চালানোর বন্ধু সারিকা পান্ডা ভাট বলেছেন, “সাইকেল চালানোয় খুবই আগ্রহী ছিলেন তিনি (শুভেন্দু)। প্রতিদিনই সাইকেল চালাতেন। তিনি দিল্লি এবং এনসিআরের সাইক্লিং সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, আমরা প্রায়শই দল বেঁধে সাইকেল চালিয়ে গুরগাঁও থেকে দিল্লিতে যেতাম। আজ তিনি একাই যাচ্ছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের সাইক্লিস্ট গ্রুপে এই যাত্রা সম্পর্কে লিখেওছিলেন তিনি।”

বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ জয় হিন্দ টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, "তিহার জেলের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সত্যেন্দ্রের দরবারে জেল সুপারিন্টেডেন্টও রয়েছেন, যাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিশুর ধর্ষককে দিয়ে তেল মালিশ ও নবাবি খাওয়া-দাওয়ার পর এবার এটা।"

একের পর এক সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) ফাঁস, আর তাতেই নতুন করে বিতর্কে ফাঁসছেন জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে বন্দি হয়ে তিহার জেলে রয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। জেলে তাঁর একের পর এক ভিডিয়ো ফাঁস হতেই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক। তেল মালিশ, এলাহি ভোজের ভিডিয়োর পর ফের প্রকাশ্যে এল আরও একটি ভিডিয়ো, যেখানে তিহার জেলের সুুপারিন্টেডেন্টকে সত্য়েন্দ্র জৈনের সেলে বসে কথা বলতে দেখা গেল। বিজেপির তরফে এই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, রাত ৮টার পর জেলের সুপার ব্যক্তিগতভাবে জেলবন্দি আম আদমি পার্টির নেতা তথা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন।


শনিবার সকালে বিজেপির তরফে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায়, সত্যেন্দ্র জৈনের সেলের ভিতরে বেশ অনেকজন বসে রয়েছেন। এমন সময়েই সেলের ভিতরে ঢুকছেন সুপারিন্টেডেন্ট। বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পর আপ মন্ত্রীর সেলের ভিতরে এই আলোচনার আসর বসত বলে অভিযোগ। গত সেপ্টেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ এটি। ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্র জৈনকে ভিআইপি সুযোগ-ব্যবস্থা দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই জেলে ভিআইপি সুবিধা-ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্য়েন্দ্র জৈন। প্রথম ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল জেলবন্দি মন্ত্রীকে তেল মালিশ করে দিচ্ছেন এক বন্দি। এই ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই সত্যেন্দ্র জৈন আদালতের দ্বারস্থ হন। এরই মাঝে আরও একটা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দেখা যায় তিনি জেলে এলাহি ভোজ করছেন। এদিকে, আগেরদিনই আদালতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে জেলে সঠিক খাবারটুকুও জুটছে না তাঁর।

শনিবার অপরিবর্তিত রয়েছে সোনার দাম। তবে এদিন দাম কমেছে রুপোর।



বিয়ের মরশুমে স্বস্তি ক্রেতাদের জন্য। পরপর দু’দিন দাম বাড়ল না সোনার (Gold Price Today)। গতকালও অপরিবর্তিত ছিল সোনার দাম। শনিবার সকালেও দাম বাড়েনি হলুদ ধাতুর। এদিন ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার দাম রয়েছে ৪৮,৫৫০ টাকা। আর ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম রয়েছে ৫২,৯৭০ টাকা। এদিন সোনার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও দাম কমেছে রুপোর (Silver Price Today)। তবে এদিন ১ কেজি রুপোর দাম কমেছে ২০০ টাকা। গতকালও একই হারে দাম কমেছিল রুপোর।

শনিবার বেলা ১১ টা অনুযায়ী কলকাতায় সোনা-রুপোর দাম :

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (১ গ্রাম) : ৪,৮৫৫ টাকা

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (৮ গ্রাম) : ৩৮,৮৪০ টাকা

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (১০ গ্রাম) : ৪৮,৫৫০ টাকা

২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনা (১০০ গ্রাম) : ৪,৮৫,৫০০ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (১ গ্রাম) : ৫,২৯৭ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (৮ গ্রাম) : ৪২,৩৭৬ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (১০ গ্রাম) : ৫২,৯৭০ টাকা

২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (১০০ গ্রাম) : ৫,২৯,৭০০ টাকা

১ কেজি রুপোর বাটের দাম : ৬১,৮০০ টাকা

সোনা-রুপোর তুলনামূলক দাম :

বিয়ের মরশুমে সোনার দাম বাড়ায় মাথায় হাত পড়েছিল ক্রেতাদের। তবে পরপর দু’দিন অপরিবর্তিত রয়েছে সোনার দাম। এদিন সস্তা হয়েছে রুপোর দাম। পরপর দু’দিন ৪০০ টাকা দাম কমল ১ কেজি রুপোর।

এদিন বিশ্ব বাজারে বেড়েছে সোনার দাম। তবে তার প্রভাব দেশীয় বাজারে পড়েনি। গতকাল বিশ্ব বাজারে ১ ট্রয় আউন্স সোনার দাম ছিল ১,৭৫৯.০৬ মার্কিন ডলার। এদিন আরেকটু বেড়ে হয়েছে ১,৭৭৫ মার্কিন ডলার। তবে এর প্রভাবে দেশীয় বাজারে সোনার দাম বাড়েনি।

সোনার শেয়ার বাজারের দাম

আদালতের বিচারপতিকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়ার জন্য মামলাকারীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। তাঁর আবেদনও বাতিল করা হয়েছে।


আদালতের বিচারপতিকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছেন এক মামলাকারী। তারপর রেজিস্ট্রিকে সেই মামলাকারীকে শোকস নোটিস পাঠানোর জারি করার নির্দেশে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। এই নোটিস জারি করে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোনও আদালতের বিচারপতিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা কেন দায়ের হবে না। ওই মামলাকারীর এই ধরনের উক্তিকে মানহানিকর বলে আখ্যা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি ওই মামলাকারীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘কয়েক মাসের জন্য আপনাকে জেলে পাঠাতে হবে। তাহলে আপনি টের পাবেন।’ সেই ব্যক্তির উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আপনি সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে এইভাবে যেকোনও অভিযোগ করতে পারেন না।’ পড়ে থাকা মামলার দ্রুত শুনানির জন্য মামলাকারী আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শুনানি হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী বেঞ্চকে জানিয়েছে, তিনি সমস্ত ফাইল ঘেটে মামলাকারীকে বিনা শর্তে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। মামলাকারীর আইনজীবীও তাঁকে সমর্থন করেননি। তিনি বলেছেন, বিনা শর্তে ক্ষমা চাইলেই তাঁর মামলা লড়বেন আইনজীবী। এদিকে মামলাকারী বলেছেন, ‘আমি ক্ষমা চাইছি।’তিনি জানিয়েছেন, আবেদন করার সময় চরম মানসিক অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘এটা মানহানিকর’। বেঞ্চ বলেছে, ‘আমরা একটি শোকস নোটিস পাঠাবো এটা জানতে চেয়ে যে আপনার বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি অবমাননার মামলা হবে না।’ আরও বলেছে, ‘বিচারপতি এই মামলার কী করবে? আপনি তাঁকে সন্ত্রাসবাদী এবং আরও কিছু বলছেন। কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার এটা কোনও পদ্ধতি?’ বেঞ্চের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘আমরা এই আবেদনের ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির বিষয়টিকে উৎসাহ দিতে দিতে পারি না। এই আবেদন বাতিল করা হল।’

বাজার এখনই ছেয়ে গিয়েছে নলেন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লায়। এই সুযোগে নলেন গুড় দিয়ে ওয়েস্টার্ন ডেসার্ট বানিয়ে নিন। রইল মুজ়ের সহজ রেসিপি...


শীত মানেই নলেন গুড়। যদিও বঙ্গে এখনও শীত জাঁকিয়ে পড়েনি। কিন্তু বাজার এখনই ছেয়ে গিয়েছে নলেন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লায়। যদিও এখন সারা বছরই এই ধরনের খাবার বাঙালি নলেন গুড়ের তৈরি খাবারের জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকে। শীত এলেই মন চায় নলেন গুড়ের তৈরি অন্য মিষ্টি খেতেও। এই সুযোগে আপনি বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারবেন নলেন গুড়ের মুজ়।



নভেম্বরের শেষ থেকেই বাজারে নলেন গুড় পাওয়া যায়। এই নলেন গুড় থেকেই ব্রাউন সুগার তৈরি হয়। এবার আপনি চাইলে ওয়েস্টার্ন ডেসার্টও বানিয়ে নিতে পারেন। সাধারণ মুজ় ডিম দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু নলেন গুড়ের মুজ় তৈরি করার জন্য আপনাকে ডিম ব্যবহার করতে হবে না। বরং শীতের আমেজে আপনি জমিয়ে উপভোগ করতে পারেন নলেন গুড়ের মুজ়। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক নলেন গুড়ের মুজ়ের সহজ রেসিপি…

নলেন গুড়ের মুজ় তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:

নলেন গুড়, ক্ষীর, পাটালি গুড়, হুইপড ক্রিম, নলেন গুড়ের কাঁচাগোল্লা, আমন্ড ও পেস্তার কুচি, মুজ় কাপ এবং পাইপিং ব্যাগ। এই সব কয়েকটি উপাদান আপনাকে পরিমাণ মতো নিতে হবে। কতজনের জন্য মুজ় তৈরি করবেন, তার উপর নির্ভর করে উপকরণ নেবেন। যদিও বেশি পরিমাণ উপকরণ নিলে মুজ় বানিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

নলেন গুড়ের মুজ় তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:

প্রথমে পাটালি গুড় ফুটিয়ে পাতলা করে নিন। এরপর নলেন গুড়ের সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মিনিট পাঁচেকের জন্য ফ্রিজে রাখুন। এতে নলেন গুড় ও ক্ষীরের মিশ্রণটা একটু সেট হয়ে যাবে। ফ্রিজ থেকে বের করে ওই মিশ্রণের উপর এক চামচ নলেন গুড়ের লেয়ার দিন। এবার এর উপর নলেন গুড়ের কাঁচাগোল্লার লেয়ার দিন। তার উপর আবার পাটালি গুড়ের একটা স্তর দিন। এই ভাবে নলেন গুড় ও ক্ষীরের মিশ্রণের উপর মোট চারটে লেয়ার তৈরি করুন।

এবার মুজ় সাজানোর পালা। হুইপড ক্রিমের সঙ্গে নলেন গুড় মিশিয়ে নিন। এবার হুইপড ক্রিমের এই মিশ্রণ পাইপিং ব্যাগে ভরে নিন। এবার এটা নলেন গুড় ও ক্ষীরের মিশ্রণের চারটে লেয়ারের উপর সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। আপনি চাইলে হুইপড ক্রিম দিয়ে ডিজাইন বানিয়ে নিতে পারেন। শেষে উপর দিয়ে আমন্ড ও পেস্তার কুচি ছড়িয়ে দিন। এবার এই মুজ়টা সেট হওয়ার জন্য এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।

সম্প্রতিই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়াম ব্যবস্থা। কলোজিয়াম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "কলোজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয় না।"


সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই ত্রুটিমুক্ত নয়। বর্তমান যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে কাজ করাই এর একমাত্র সমাধানের পথ, শুক্রবার এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আজ, শনিবার সংবিধান দিবস। এই উপলক্ষ্য়েই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।



সম্প্রতিই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়াম ব্যবস্থা। কলোজিয়াম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “কলোজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম সেরা বিষয়টি শেষ আলোচনার জন্য রেখে দেব। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয় না। কিন্তু আমরা বর্তমান সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করি। আমি সহ কলোজিয়ামের অধীনে থাকা সমস্ত বিচারকরাই গণতন্ত্রের বিশ্বস্ত সৈনিক, যারা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে। আমরা যখন অপূর্ণতা বা অসম্পূর্ণতা নিয়ে কথা বলি, তখন আমাদের কাছে সমাধানের একটাই পথ রয়েছে, তা হল বর্তমান ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই কাজ করা। বিচার ব্যবস্থায় শুধু ভাল মানুষকে নিয়োগ করা এবং তাদের মোটা অঙ্কের বেতন দিলেই কলোজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভাল মানুষের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভাল মানুষদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা, ভাল আইনজীবী তৈরি করেই কলোজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। টাকা বা বেতন দিয়ে বিচারকের মান নির্ণয় করা সম্ভব নয়। একজন বিচারককে আপনি যতই বেতন দেন না কেন, তা একজন সফল আইনজীবীর দিনের শেষের উপার্জনের একটা ছোট অংশ হবে। বিচারক হওয়া আসলে বিবেকের ডাক।”

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসাবে পালিত হয়।এর আগে এই দিনটি আইন দিবস হিসাবে পালিত হয়।


দর্শকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তারকা দম্পতি কি ফের মা-বাবা হলেন?


সন্তানের জন্মের পর হাসপাতালের বিছানায় শায়িত মা। পাশে ফুটফুটে সদ্যজাত। মা সকলের চেনা – অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। সঙ্গে একরত্তি। একটি ছবিতে আবার বাবা রাজা গোস্বামীকেও দেখা গেল। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তারকা দম্পতি কি ফের মা-বাবা হলেন?

এখানেই ধোঁয়াশা। এবং এখানেই ধোঁয়াশার অন্ত। যে ছবি মধুবনী-রাজা শেয়ার করেছেন ফেসবুক পোস্টে, তাতে ক্যাপশনে কেবলই লেখা, “আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন”। ব্যস, আর কিছু নেই তাতে। এবং তাতেই অনেকের মনে হতে শুরু করেছে ফের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০২১ সালের এপ্রিলে পুত্রসন্তান কেশবের জন্ম দিয়েছিলেন মধুবনী-রাজা। কেশবই তাঁদের জীবনের কেন্দ্রে। মধুবনী গোপাল ঠাকুরের ভক্ত। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও টিভি শোতে এসে বলেওছেন, তাঁর বিশ্বাস বাড়ির গোপালের মুখের সঙ্গে পুত্র কেশবের মুখের মিল আছে। তাই শ্রীকৃষ্ণের ১০৮টি নামের থেকে পুত্রের নামকরণ করেছে এই তারকা যুগল। কিন্তু সদ্য পোস্ট করা ছবিতে এ কি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান?


একেবারেই না। এই সদ্যজাত আসলে কেশবই। তার জন্মের সময়ের ছবি সম্প্রতি শেয়ার করেছেন মধুবনী। ক্যাপশনে না হলেও, সারিবদ্ধ ছবির একটিতে তারিখের উল্লেখ আছে মধুবনীর হাতে সাঁটা লেবেলে… তাতে লেখা ‘৯.৪.২১’। অর্থাৎ, কেশবের জন্মের তারিখ।

গতবছরের গোড়ার দিকে কেশব যখন জন্মায়, সেই সময়কার ছবি এটি। যদিও সদ্যজাত ও মধুবনীর পোস্ট হওয়া ছবি দেখে অনেকে ধরেই নিয়েছেন তিনি ফের মা হয়েছেন। অসংখ্য অনুরাগী কমেন্ট বক্সে এসে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁদের। কেউ-কেউ আবার ভুল ভাঙানোর উদ্যোগও নিয়েছেন। বলেছেন, “ডেটটা মনে হয় কেউ খেয়াল করছে না।”

গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি এ বার সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছে না। ৭ ম্যাচে পাঁচটি জয় পেলেও হায়দরাবাদ গোল করেছে মাত্র ১০টি। গোল খেয়েছে ৬টি। যদিও এ সব পরিসংখ্য়ানে মাথা ঘামাচ্ছেন না সবুজ মেরুন কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

হঠাৎ ছন্দপতন কাকেই বা স্বস্তিতে রাখে! আইএসএলে (ISL 2022-23) টানা চার ম্যাচ অপরাজিত ছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। গত ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-৩ ব্য়বধানে হার। এরই মাঝে আরও বড় ধাক্কা এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। গুরুতর চোটে মাঠের বাইরে জনি কাউকো। সম্ভবত এ মরসুমে আর তাঁকে পাওয়া যাবে না। প্রাক্তন দল এফসি গোয়ার কাছে ০-৩ হারের হতাশা। এটিকে মোহনবাগান কোচের নজরে এ বার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন। সেই লক্ষ্যেই যুবভারতীতে নামছে সবুজ মেরুন শিবির। ম্যাচ প্রিভিউ

গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি। গত আইএসএলে প্লে-অফ সেমিফাইনালেই এটিকে মোহনবাগানকে ছিটকে দিয়েছিল। এটিকে মোহনবাগানের কাছে এটি বদলারও ম্যাচ। গত ম্যাচের অতীত ভুলে নতুন ম্যাচেই নজর সবুজ মেরুনের। কোচ হুয়ান ফেরানো বলছেন, ‘এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ফল ও পারফরম্যান্স নিয়ে সবাই হতাশ। কিন্তু মাঝে কয়েকটা দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আমাদের সামনে এখন নতুন ম্যাচ, নতুন সুযোগ। এই ম্যাচের জন্য সঠিক প্রস্তুতিই এখন আমাদের লক্ষ্য।’ জনি কাউকোর চোট প্রসঙ্গে হুয়ান বলছেন, ‘আমিও হতাশ। চোট-আঘাত ফুটবলেরই অঙ্গ। গত মরসুমেও তিরি, অভিলাষ, চোট পেয়েছিল। এ বার কাউকো। আমাদের খুবই সমস্যা হয়ে গেল। কারণ, ও আমাদের দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এ খানে আমাদের হাতে কেনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এর মধ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। যেটা সবসময়ই বলি, আমাদের দল শক্তিশালী, অনেক দক্ষ ফুটবলার রয়েছে আমাদের শিবিরে। জনিকে ছাড়াও, সঙ্গবদ্ধ হয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে।’

গত ম্যাচে হারলেও সম্ভবত অপরিবর্তিত একাদশ নামাতে চলেছেন হুয়ান ফেরান্দো। গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি এ বার সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছে না। ৭ ম্যাচে পাঁচটি জয় পেলেও হায়দরাবাদ গোল করেছে মাত্র ১০টি। গোল খেয়েছে ৬টি। যদিও এ সব পরিসংখ্য়ানে মাথা ঘামাচ্ছেন না সবুজ মেরুন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। বলছেন, ‘ওরা গত কয়েক বছর ধরে একই পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলছে। প্রায় একই দল ধরে রেখেছে। ওরা যে পদ্ধতিতে খেলে, তার ওপর ওদের আস্থা রয়েছে। প্রথম মরসুমটা ওদের কাছে বড় পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরের দুই মরসুম ওরা ভাল খেলেছে এবং সাফল্যও পেয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। আমার কাছে আমার দলের পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

হিন্দু ক্যালেন্ডার ও জ্য়োতিষশাস্ত্র অনুসারে, আগামী ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে, শুক্র গ্রহ ধনু রাশিতে যাত্রা করবে।


বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, শুক্র গ্রহকে প্রেম, সম্পদ এবং সুখের কারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যে কোনও ব্যক্তির জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি, প্রেম ও সম্পদের মূল্যায়ন হয় রাশিফলের এই গ্রহের অবস্থান দেখে। এই কারণেই জ্যোতিষশাস্ত্রে শুক্রকে শুভ গ্রহের শ্রেণীতে রাখা হয়েছে। শুক্র বৃষ ও তুলা রাশির অধিপতি। এর সঙ্গে, মীন রাশিতে উচ্চ এবং কন্যা রাশিতে নিচু বলে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ৫ ডিসেম্বর শুক্র তার রাশি পরিবর্তন করতে চলেছে। হিন্দু ক্যালেন্ডার ও জ্য়োতিষশাস্ত্র অনুসারে, আগামী ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে, শুক্র গ্রহ ধনু রাশিতে যাত্রা করবে। কিছু রাশিচক্রের জন্য শুক্রের এই স্থানান্তরটি খুব ভাগ্যবান হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোন রাশির জন্য শুক্র গ্রহের স্থানান্তর শুভ, তা দেখে নেওয়া যাক…


মেষ রাশি

জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুসারে, শুক্র এই রাশির ভাগ্যবান স্থানে গমন করতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই রাশির জাতকরা ভাগ্যের পূর্ণ সমর্থন পাবেন। এর পাশাপাশি যাদের রাশিতে শুক্র শুভ অবস্থানে রয়েছে, তাঁরা এই ট্রানজিটের আরও বেশি সুবিধা পাবেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে মধুরতা বজায় থাকবে। এ ছাড়া চাকরি ও ব্যবসায়ও লাভবান হতে পারেন।

সিংহ রাশি

এই রাশির পঞ্চম ঘরে শুক্র পাড়ি দিতে চলেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাশিফলের পঞ্চম ঘর প্রেম এবং বিবাহিত জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে। এমন পরিস্থিতিতে এই বাড়িতে শুক্র গ্রহের কারণে প্রেম জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে। এই সময়ে যারা নতুন চাকরি খুঁজছেন, তারা এর সুবিধা পাবেন বেশি। চাকরিতেও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

বৃশ্চিক রাশি

শুক্র বৃশ্চিক রাশির দ্বিতীয় ঘরে গমন করবে। এই পরিস্থিতিতে এই রাশির জাতক- জাতিকাদের সুখের উপায় বাড়তে দেখা যাবে। এর পাশাপাশি আর্থিক লাভের অনেক সুযোগ থাকবে। বিদেশ ভ্রমণ হতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত কাটাতে পারবেন। এই সময়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ ভাল প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়াও, আপনি চাকরিতে বিশেষ সুবিধাও পেতে পারেন।

কুম্ভ রাশি

শুক্র চতুর্থ ঘরে অর্থাৎ কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের ভাগ্যবান ঘরে প্রবেশ করতে চলেছে। শুক্রের এই ট্রানজিট এই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য শুভ ও শুভ বলে প্রমাণিত হতে পারে। ট্রানজিট সময়ের মধ্যে আটকে থাকা কাজ শেষ হবে। এ সময় আয়ের অনেক উৎসও তৈরি হবে। দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। সন্তানের দিক থেকে শুভ সংবাদ পেতে পারেন।