June 2024

হঠাৎই ইলেকট্রিক শক খেয়ে মৃত্যু হলো সাগরের বামনখালী এলাকার এক ব্যক্তির 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২৯শে জুন শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের বামনখালী এলাকার গৌরহরি দাস নামে এক ব্যক্তি বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়ে হঠাৎই ইলেকট্রিক শক খায়,এরপর তার পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় এরপর সাগর গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই সাগরের
 বামনখালী এলাকার বাসিন্দা গৌরহরি দাস নামে ওই ব্যক্তিকে দেখার পরে মৃত বলে ঘোষণা করে,এরপর সাগর থানার পুলিশ ওই ঘটনার খবর পেয়ে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে সেই ছবি আপনারা সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডটকমের ক্যামেরার মাধ্যমে

 স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

শেষ ১০টি আইসিসির টুর্নামেন্টের মধ্যে ৯টি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলেছে ভারত। কিন্তু ট্রফি জিততে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫টি এক দিনের বিশ্বকাপ এবং ২টি টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেললেও ট্রফি জিততে পারেনি।
শনিবার বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে সাত রানের জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিস্মিত করে দ্বিতীয় বার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ভারত।

সাউথ আফ্রিকার বোলিং এর সময় পাওয়ারপ্লেতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ঋষভ পান্ত এবং সূর্যকুমার যাদব সহ তিনটি উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল। ভারত অবশ্য বিরাট কোহলি এবং অক্ষর প্যাটেল চতুর্থ উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়ে নিয়ে পুনরুদ্ধার করেছে - একটি ফাইনালে ভারতীয় জুটির সর্বোচ্চ।

আকসার ৪৭ রানের দ্রুত ফায়ারের পরে পড়ে গেলে, কোহলি ৪৮ বলে একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ভারত অবশ্য প্রতিযোগিতামূলক ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের মোট তৈরি করেছিল। 

১৭ তম ওভারে ভারত একটি পরিবর্তন চিহ্নিত করে যখন হার্দিক পান্ডেয়া ৫৩ রানে ক্লাসেনকে আউট করেন, মাত্র চার রান দেন। জাসপ্রিত বুমরাহ একটি স্পেলবাইন্ডিং ওভারের সাথে ফলোআপ করেন, মার্কো জ্যানসেনকে ক্লিন করার সময় মাত্র দুই রান দেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ২০ রানের ঘাটতি হয়। এরপর আরশদীপ সিং একটি দাগহীন ওভার দেন, চার রান দেন এবং শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬ রান দেন।

পান্ডিয়া ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে নির্ণায়ক ধাক্কা খেলেন, লং অফ বাউন্ডারিতে সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য ক্যাচের পিছনে ডেভিড মিলারকে আউট করেন।  

রাত ১১:২৩ চারপাশে ফাটছে বাজি, জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা ভারতবর্ষ , সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্ডিয়া টিমের প্রশংসার ঝড় উঠেছে। 

ব্যুরো রিপোর্ট কাকদ্বীপ ডট কম


শুধু মারধরই নয়, এর পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, গায়েব হয়ে গিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও। একদিকে যখন এরশাদ আলমকে ধরে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তখনই ওই হোস্টেলের তিন জন আবাসিক গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

গণধোলাই দেওয়ার সময়েও সচেতন! তিন জন গিয়ে লোপাট করেছিল সিসিটিভি ফুটেজ
গণধোলাইয়ে মৃত্যুর অভিযোগ


কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে সরকারি হোস্টেলে গণধোলাইয়ে মৃত্যুর অভিযোগকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারদিকে। শুধু মারধরই নয়, এর পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, গায়েব হয়ে গিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও। একদিকে যখন এরশাদ আলমকে ধরে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তখনই ওই হোস্টেলের তিন জন আবাসিক গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ঘটনার সময় এরশাদ ওই এলাকায় কফি কিনতে গিয়েছিলেন। তখনই স্থানীয় এক মুদি ব্যবসায়ী বলে ওঠেন, চোর যাচ্ছে। সেকথা শুনতে পেয়েই হোস্টেলের কয়েকজন আবাসিক রাস্তা থেকে এরশাদকে হোস্টেলের ভিতরে তুলে নিয়ে যায়।


ওই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই বউবাজারের উদয়ন হোস্টেল থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে ১২ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া এবং বাকি দু’জন প্রাক্তন ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়ন হোস্টেলের ওই দু’জন প্রাক্তন ছাত্রের নেতৃত্বেই মারধর করা হয়েছিল এরশাদকে। উল্লেখ্য, বউবাজারের উদয়ন হোস্টেলে সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠেছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেই ঘটনা থেকে স্রেফ সন্দেহের বশে এরশাদকে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


এদিকে জানা যাচ্ছে, গণপিটুনির পর হাসপাতালে মৃত এরশাদ আলম বিগত প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে চাঁদনী চক এলাকায় টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। গতকাল ফোন করে এরশাদ ১০ হাজার টাকা আনতে বলেন দোকানের মালিককে। সেই ফোন পাওয়ার পরে দোকানের মালিক বৌবাজার থানার পুলিশকে নিয়ে ওই হোস্টেলে যায়, কিন্তু হোস্টেল বৌবাজার থানার অন্তর্গত না হওয়ার কারণে হোস্টেলের তালা খোলা হয়নি। পরবর্তীতে ওই দোকান মালিক মুচিপাড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গেলেও প্রায় ১০-১৫ মিনিট পরে গেট খোলা হয় হোস্টেলের। হোস্টেলে ঢুকে এরশাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এদিন অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের আইনজীবী পড়ুয়াদের জামিনের জন্য আবেদন জানান। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক হোস্টেলের অভিযুক্ত ১৪ জন আবাসিকের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।


 'শিক্ষিত, বুদ্ধিমান হয়েও ঘৃণ্য অপরাধ', লজ্জায় মুখ ঢাকতে হচ্ছে গণধোলাইকাণ্ডে ধৃত ছাত্রদের
উদয়ন হোস্টলের ঘটনায় ধৃতদের আদালতে পেশ


কলকাতা: উদয়ন হোস্টেলে গণধোলাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ ধৃত ১৪ জন আবাসিককে শনিবার পেশ করা হয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা, ৩৬৫ ধারায় অপহরণের মামলা ও ১২০বি ধারায় সম্মেলিত ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের আইনজীবী পড়ুয়াদের জামিনের জন্য আবেদন জানান। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক হোস্টেলের অভিযুক্ত ১৪ জন আবাসিকের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন আদালত চত্বর থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় মুখ ঢেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন অভিযুক্তরা।


অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে যুক্তি সাজান, ‘এরা সকলেই স্কলার স্টুডেন্ট। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র আছে। খুন করার কোনও মানসিকতা ছিল না। এদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে জামিন দেওয়া হোক।’ তিনি আদালতে আরও জানান, ‘মূল অভিযুক্ত কে? কারা মারধর করেছে? সেই বিষয়ে অভিযোগে কিছুই স্পষ্ট উল্লেখ নেই। সন্দেহের জায়গা থেকেই এদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘এরা সকলেই ছাত্র। শিক্ষিত। বুদ্ধিমান। কিন্তু নিজেদের প্রতিভা দেশ গঠনের কাজে ব্যবহার করা উচিত ছিল। তা না করে এরা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। মিলিতভাবে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। এটা একটা মারাত্মক অভিযোগ।’ ধৃতদের প্রত্যেকের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী।


সরকারি আইনজীবী আদালতে আরও জানান, ‘আক্রান্ত ব্যক্তি দোকানের মালিককে ফোন করেছিলেন, টাকা নিয়ে আসার জন্য বলেছিলেন। মালিক সেই কথা পুলিশকে জানিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর গেট বন্ধ ছিল। নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছে।’ ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে তাঁর যুক্তি, আরও অনেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদেরও নাগাল পাওয়া দরকার। সেই কারণে এদের সকলকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা জুটি বেঁধে ভারতীয় টিমকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। এ বার চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁদের আরও এক সোনালি মুহূর্ত তৈরি করার পালা। কে বলতে পারে এই রো-কো জুটি মিলেই ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিতেই পারেন।


রো-কো জুটির 'লাস্ট ডান্স'! বিশ্বকাপের সমীকরণ মেলাতে আজই শেষ সুযোগ...
Virat-Rohit: রো-কো জুটির 'লাস্ট ডান্স'! বিশ্বকাপের সমীকরণ মেলাতে আজই শেষ সুযোগ...

কলকাতা: অদ্য শেষ রজনী… রাহুল দ্রাবিড় আজ শেষ বারের মতো রোহিত-বিরাটদের তাতাবেন। তাঁর জন্য তাই অদ্য শেষ রজনী বলাই যায়। আর বিরাট-রোহিতদের জন্য? এটাই কি তাঁদের শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024)? ক্রিকেট মহলে কান পাতলে এ কথাই কিন্তু শোনা যাচ্ছে। পরের টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে। অর্থাৎ বছর দুয়েক পর। সেই সময় ভারতের জার্সিতে আর জনপ্রিয় রো-কো (রোহিত-কোহলি) জুটিকে টি-২০ ফর্ম্যাটে খেলতে দেখা যাবে কিনা, নিশ্চয়তা নেই। ফলে এমনটা হতেই পারে আজ, শনিবারই শেষ বার দেশের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে নামতে পারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। শেষটা ভালো করতে অবশ্যই চাই বিশ্বকাপ ট্রফি।


৭ মাস ১০ দিন পর আরও এক বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত। এই বিশ্বকাপ ভারত জিতুক দ্রাবিড়ের জন্য। এই বিশ্বকাপ ভারত জিতুক রোহিতের জন্য। এই বিশ্বকাপ ভারত জিতুক বিরাটের জন্য। এমন কথাই শোনা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমী থেকে শুরু করে দেশের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মুখে। রো-কো জুটি আজ যেন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সোনা ফলায়, সেই প্রার্থনা করছেন তাঁদের ভক্তরা।


বিরাট ও রোহিত জুটি বেঁধে ভারতীয় টিমকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। এ বার বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁদের আরও এক সোনালি মুহূর্ত তৈরি করার পালা। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য রোহিত। সে বার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি তখন ভারতীয় টিমে আসেননি। এরপর ২০১১ সালে ভারত যখন ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেই সময় বিরাট ছিলেন চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্য। তখন আবার রোহিত স্কোয়াডে সুযোগ পাননি। ফলে বিরাটের কাছে একদিকে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার প্রথম সুযোগ। অন্যদিকে রোহিতের কাছে গত বছরের ওডিআই বিশ্বকাপে হারের আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ। তাই বলা যেতেই পারে রো-কো জুটির কাছে বিশ্বকাপের সমীকরণ মেলাতে আজই শেষ সুযোগ।

শুভমের পরিবারের অভিযোগ, জমির উপর দিয়ে সাধারণ তার ব্যবহার করে ফিশারির জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছিল। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু ফিশারির মালিক কথা শোনেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অবৈধ ফিশারির বিদ্যুতের তার প্রাণ কাড়ল ছোট্ট শুভমের
শুভম রানার মৃত্যু।



পূর্ব মেদিনীপুর: মর্মান্তিক পরিণতি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের। এলাকায় বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা ফিশারিতে বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ তুলল পরিবার। বল আনতে গিয়ে কাটা তারে হাত লেগে মৃত্যু হয় শিশুটির। মহিষাদল থানার মলুবসান গ্রামে এই ঘটনায় শোকের ছায়া। নিহতের নাম শুভম রানা।


শুক্রবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল শুভম রানা নামে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্র। পাশেই জমি। তাতে খেলার বলটি গিয়ে পড়ে। সেই বল আনতে গিয়েই একটি নীল রঙের তারে হাত লেগে যায়। তারের একটি অংশ খোলা ছিল। তাতেই ঘটে যায় সর্বনাশ।

এলাকারই একজন শুভমকে পড়ে থাকতে দেখে। এরপরই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় পাড়ায়। উদ্ধার করে ছোট্ট শুভমকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


শুভমের পরিবারের অভিযোগ, জমির উপর দিয়ে সাধারণ তার ব্যবহার করে ফিশারির জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছিল। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু ফিশারির মালিক কথা শোনেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

মৃত শুভমের আত্মীয় খোকন রানা বলেন, “এটা তো জেনে শুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। ফিশারিকে বহুবার বলেছি। করছে করবে বলে তিন বছর কাটিয়ে দিল। ফিশারির মালিক এখন বলছে জানি না। এই যে এত বড় ঘটনা সব লুকিয়ে পড়েছে। কেউ আসেনি।” ঘটনার পর থেকে ওই ফিশারি মালিকের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এদিকে সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় ভে

পাওয়ার প্লে-তে বাঁ হাতি স্পিনারকে এনে যে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রোটিয়াদের, তাতে সফল। অস্বস্তি আরও বাড়ল ওভারের শেষ ডেলিভারিতে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিলেন ঋষভ পন্থ। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফাইনালের মঞ্চে কিছুটা সময় ক্রিজে কাটানো প্রয়োজন ছিল। যদিও সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের মাথায় বল লাগে।

পরিকল্পনা সফল! প্রোটিয়া অধিনায়ক যা ভেবেছিলেন তাই হল...


সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া ও সেমিফাইনালে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাজিমাত করেছিলেন রোহিত শর্মা। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়লেও টিমের উপর চাপ পড়তে দেননি ক্যাপ্টেন। তাঁকে আটকানোর পরিকল্পনা খুঁজছিল প্রোটিয়া শিবির। পাওয়ার প্লে-তে কী পরিকল্পনা হতে পারে, সেটাই লিখেছিল টিভি নাইন বাংলা। পাটা পিচ হলেও স্পিনাররা উইকেট সোজা বল করলে চাপ। আর বাঁ হাতি স্পিনার যে কোনও পিচেই অস্বস্তি তৈরি করতে পারেন। সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন, পাওয়ার প্লে-তে মইন আলিকে বোলিং না করানো তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের পুনপাবৃত্তি করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্কর‌্যাম। কী পরিকল্পনা ছিল তাঁর?


পাওয়ার প্লে-তেই বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজকে আক্রমণে আনেন এইডেন মার্কর‌্যামে। প্রথম বলই অবশ্য অনেকটা শর্ট। বড় রকমের এজ লেগে বাউন্ডারিতে। এরপরই রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি। হিটম্যান রিভার্স সুইপ মারছেন এবং তাতে বাউন্ডারি, দুর্দান্ত মুহূর্ত। এরপর একটি ডট বল। অস্বস্তি তৈরি হল চতুর্থ ডেলিভারিতে। সুইপ করেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু শর্ট স্কোয়ার লেগে ফিল্ডারের হাতে।


পাওয়ার প্লে-তে বাঁ হাতি স্পিনারকে এনে যে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রোটিয়াদের, তাতে সফল। অস্বস্তি আরও বাড়ল ওভারের শেষ ডেলিভারিতে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিলেন ঋষভ পন্থ। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফাইনালের মঞ্চে কিছুটা সময় ক্রিজে কাটানো প্রয়োজন ছিল। যদিও সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের মাথায় বল লাগে। বেলুনের মতো তা উঠে যায়। কিপার কুইন্টন ডি’ককের সহজ ক্যাচ। তৃতীয় আম্পায়ার নিশ্চিত করতেই মাঠ ছাড়তে হয় পন্থকে। মাত্র ২৩ রানেই ২ উইকেট হারায় ভারত।

১১ নম্বর গোড়াহাছা রোডে যে বস্তি রয়েছে, সেখান থেকেই মানুষজন এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। মাজেরহাটের কাছে ওই জমিটি পোর্টে এলাকা। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে থেকে আসছেন এই বস্তিবাসীরা। সুরাহার আশায় এদিন সন্ধেয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা।

দিদি আমাদের বস্তি বাঁচান', মেয়রের বাড়ির সামনে ছলছল চোখে কাতর আর্তি
ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ


কলকাতা: ছলছলে চোখে ভিড় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। প্রচুর পুরুষ-মহিলা ভিড় করেছেন। চোখ ছলছলে। হাতে লেখা পোস্টার, ‘দিদি আমাদের বস্তি বাঁচান।’ জানা যাচ্ছে ১১ নম্বর গোড়াহাছা রোডে যে বস্তি রয়েছে, সেখান থেকেই মানুষজন এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। মাজেরহাটের কাছে ওই জমিটি পোর্টে এলাকা। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে থেকে আসছেন এই বস্তিবাসীরা। সুরাহার আশায় এদিন সন্ধেয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে এক মহিলা বললেন, ‘আমাদের থাকার জায়গা নেই। বাচ্চা নিয়ে থাকি। আমরা কোথায় যাব এখন এই বর্ষার সময়? আমাদের মাথার উপর ছাদটুকু বাঁচান।’


অসহায় মুখে বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের বস্তি ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে ভাঙা হবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বস্তিবাসীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেখানে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার রয়েছে। অপর এক মহিলা জানাচ্ছেন, তাঁরা বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে সেখানে বাস করছেন। কিন্তু গতকাল আচমকা পোর্টের তরফে কিছু অফিসার এসে তাঁদের দু’দিন সময় দিয়েছেন ঘর ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য।

এমন অবস্থায় তাই এবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে ছুটে এসেছেন বস্তিবাসীরা। তাঁরা চাইছেন কলকাতার মহানাগরিক যাতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাতে তিনি বিষয়টি পৌঁছে দেন।


প্রসঙ্গত, শহরের বস্তিবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে মনে যে আলাদা জায়গা রয়েছে, সে কথা কারও অজানা নয়। এমনকী ‘বস্তি’ শব্দটি ব্যবহার নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন অতীতে। বলেছিলেন, ‘এটাকে বস্তি বলবে না। এটা আমার মাটির কুটির, আমার ভালবাসার জায়গা, মায়ের আঁচল। বস্তি বলে কিছু হয় না।’ শহরের বুক থেকে ‘বস্তি’ শব্দটি তুলে দিয়ে ‘উত্তরণ’ শব্দ ব্যবহারের কথাও বলেছিলেন তিনি।

এদিকে শনিবার সন্ধেয় এই ঘটনার পরই বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বস্তিবাসী মানুষজনের অভিযোগের কথা লিখে প্রত্যেক বস্তিবাসীকে দিয়ে সই করিয়ে তারাতলা থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

বেআইনি চলাই মদ বিক্রির অভিযোগে সাগরের কোম্পানীছাড় এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো সাগরের আবগারি দপ্তরের পুলিশ

 আবগারি পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২৭ শে জুন বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরের আবগারি দপ্তরের পুলিশ সাগরের কোম্পানীছাড় এলাকা থেকে বেআইনি চলাই মদ বিক্রি করার অভিযোগ বেশ কয়েক লিটার চলাই মদ সহ অভিমুন্য মণ্ডল নামে সাগরের কোম্পানীছাড় এলাকার এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে, এরপর ২৮ শে জুন শুক্রবার অভিযুক্ত অভিমুন্য মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে সাগর থেকে কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে নিয়ে গেল সাগরের আবগারি দপ্তরের পুলিশ
সেই ছবি আপনারা সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডটকমের ক্যামেরার মাধ্যমে 

সাগর থেকে ক্যামেরায় সৌরভ মন্ডলের রিপোর্ট কাকদ্বীপ ডট কম


সাগরের বামনখালীতে সাইকেল ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইকেল চালক 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২৮ শে জুন শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের অধীন বামনখালীতে একটি অটো ও সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ লাগে এরপর ওই ঘটনাস্থলে গোপীনাথ দাস নামে সাগরের বামনখালী এলাকার ওই সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়, এরপর স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সাইকেল চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায় সাগর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন গোপীনাথ দাস নামে ওই সাইকেল

 চালককের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, সাগর থানার পুলিশ ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছে অটো টিকে আটক করে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে, সেই ছবি আপনারা সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডটকমের ক্যামেরার মাধ্যমে

সাগর থেকে সৌরভ মন্ডলের রিপোর্ট কাকদ্বীপ ডট কম
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২৮ শে জুন শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের অধীন বামনখালীতে একটি অটো ও সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ লাগে এরপর ওই ঘটনাস্থলে গোপীনাথ দাস নামে সাগরের বামনখালী এলাকার ওই সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়, এরপর স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সাইকেল চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায় সাগর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন গোপীনাথ দাস নামে ওই সাইকেল চালককের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, সাগর থানার পুলিশ ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছে অটো টিকে আটক করে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে, সেই ছবি আপনারা সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডটকমের ক্যামেরার মাধ্যমে

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

সারা দেশের কাছে মডেল হয়ে উঠেছে কাকদ্বীপের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত

সারা দেশের কাছে এখন মডেল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কর্মকান্ড ইতিমধ্যেই সারা দেশ জুড়ে সাড়া ফেলেছে। বিশেষত এস.এল.ডাব্লু তথা কঠিন, তরল ও বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পটি সারা দেশের কাছে নজির তৈরি করেছে। 
দেশের বিভিন্ন রাজ্য প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পটিকে সরজমিনে দেখার জন্য প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসছেন। বৃহস্পতিবার দেশের দশটি রাজ্য থেকে মহকুমা, ব্লক ও জেলা স্তরের আধিকারিকরা এই প্রকল্পের কাজকর্ম দেখার জন্য পঞ্চায়েতে এসেছিলেন। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্বু কাশ্মীর, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা ও মিজোরাম সহ মোট ১০টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা এদিন কাকদ্বীপ এর এই পঞ্চায়েতে এসেছিলেন। প্রথমে তাঁরা পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রকল্পটি কিভাবে চালানো হচ্ছে, সেই বিষয়ে সবিস্তারে পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের কাছ থেকে জেনে নেন। এরপরই তাঁরা সরজমিনে দেখার জন্য এস.এল.ডব্লু প্রজেক্টে যান। 

জম্বু কাশ্মীর থেকে আসা এক আধিকারিক সুশাঙ্ক ব্যাহেং বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে এই প্রকল্পের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি দেখলাম। এই প্রযুক্তি নিজেদের রাজ্যেও কার্যকর করার চেষ্টা করব। সঠিক পদ্ধতিতে এই রূপ প্রকল্প নির্মাণ করতে পারলে আগামী দিনে প্রচুর কর্মসংস্থান বাড়বে। এছাড়াও এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।"


প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বনাথ ঘোড়ই বলেন, "দশটি রাজ্যের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি পঞ্চায়েতে এসেছিলেন। তাঁরা এস এল ডব্লু প্রজেক্টের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানলেন। এই প্রকল্পটি তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে, কি পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে, মাসিক কত টাকা আয় ও ব্যয় হয়ে থাকে, এই রূপ নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"




ব্যুরো রিপোর্ট কাকদ্বীপ ডট কম


উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, অনেক সময় অবিবাহিত যুগল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মনোভাব পোষণ করে ফেলেন বিচারপতি। তাঁদের 'অনার কিলিং'-এর মতো ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিচারপতিরা অনেক সময় 'অবিবাহিত' বলে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন না।

সমাজ কেমন হবে, তা বিচারপতি ঠিক করেন না, আমরা সংবিধানের 'সার্ভেন্ট', 'মাস্টার' নই: প্রধান বিচারপতি
কলকাতায় প্রধান বিচারপতি


কলকাতা: অনেক সময় বিচারপতিরা নির্দেশ দিতে গিয়ে নিজেদের চিন্তাধারা প্রয়োগ করে ফেলেন, যা কখনই হওয়া উচিত নয়। কলকাতায় জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি উল্লেখ করেন, সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে, সেটাও কখনও কখনও স্থির করে দেন বিচারপতিরা। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থা সংবিধানের দৃষ্টিতেই দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।


প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “বিচারের ক্ষেত্রে বিচারপতির নিজস্ব চিন্তাধারা থাকতে পারে না। বিচারপতিরা সংবিধানের সার্ভেন্ট, সংবিধানের মাস্টার নয়। ভাল লাগুক বা না লাগুক সংবিধানের নৈতিকতা সম্মান করতে হবে, মানতে হবে।”

এই প্রসঙ্গে উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, অনেক সময় অবিবাহিত যুগল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মনোভাব পোষণ করে ফেলেন বিচারপতি। তাঁদের ‘অনার কিলিং’-এর মতো ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিচারপতিরা অনেক সময় ‘অবিবাহিত’ বলে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন না। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “অনেক সময় বাড়ির অমতে ভিনধর্মে বিয়ে হয়েছে শুনলেও বিচারপতি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন না।”


এদিন বক্তব্যের শুরুতেই সংবিধানের নৈতিকতার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে, সেটাই সংবিধানের নৈতিকতার গুরুত্ব। বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারের গুরুত্ব কতটা, সেটাও বোঝান প্রধান বিচারপতি। তিনি মনে করেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে বুঝতে পারেন যে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের পাশে আছে, তেমন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মনে করেন, বিচারের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও সাধারণ মানুষের ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আদালতে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে প্রথম শুনানি পর্যন্ত, কতদিন সময় লাগছে সেটা মামলাকারী জানার অধিকার আছে।


উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, অনেক সময় অবিবাহিত যুগল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মনোভাব পোষণ করে ফেলেন বিচারপতি। তাঁদের 'অনার কিলিং'-এর মতো ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিচারপতিরা অনেক সময় 'অবিবাহিত' বলে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন না।

সমাজ কেমন হবে, তা বিচারপতি ঠিক করেন না, আমরা সংবিধানের 'সার্ভেন্ট', 'মাস্টার' নই: প্রধান বিচারপতি
কলকাতায় প্রধান বিচারপতি


কলকাতা: অনেক সময় বিচারপতিরা নির্দেশ দিতে গিয়ে নিজেদের চিন্তাধারা প্রয়োগ করে ফেলেন, যা কখনই হওয়া উচিত নয়। কলকাতায় জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি উল্লেখ করেন, সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে, সেটাও কখনও কখনও স্থির করে দেন বিচারপতিরা। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থা সংবিধানের দৃষ্টিতেই দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।


প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “বিচারের ক্ষেত্রে বিচারপতির নিজস্ব চিন্তাধারা থাকতে পারে না। বিচারপতিরা সংবিধানের সার্ভেন্ট, সংবিধানের মাস্টার নয়। ভাল লাগুক বা না লাগুক সংবিধানের নৈতিকতা সম্মান করতে হবে, মানতে হবে।”

এই প্রসঙ্গে উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, অনেক সময় অবিবাহিত যুগল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মনোভাব পোষণ করে ফেলেন বিচারপতি। তাঁদের ‘অনার কিলিং’-এর মতো ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিচারপতিরা অনেক সময় ‘অবিবাহিত’ বলে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন না। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “অনেক সময় বাড়ির অমতে ভিনধর্মে বিয়ে হয়েছে শুনলেও বিচারপতি নিরাপত্তার নির্দেশ দেন না।”


এদিন বক্তব্যের শুরুতেই সংবিধানের নৈতিকতার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে, সেটাই সংবিধানের নৈতিকতার গুরুত্ব। বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারের গুরুত্ব কতটা, সেটাও বোঝান প্রধান বিচারপতি। তিনি মনে করেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে বুঝতে পারেন যে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের পাশে আছে, তেমন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মনে করেন, বিচারের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও সাধারণ মানুষের ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আদালতে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে প্রথম শুনানি পর্যন্ত, কতদিন সময় লাগছে সেটা মামলাকারী জানার অধিকার আছে।

মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮.০৬.২০২৪) একটি নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন অমলা-কন্যা মমতা। মায়ের জন্মদিনে সারাটা দিন তাঁকে বেশি-বেশি করে মনে পড়ছে মমতার। সেসব কিছুই তিনি ভাগ করে নিলেন সঙ্গে। তুলে ধরলেন শঙ্কর পরিবারের অন্দরের কথাও।

পুত্রের মৃত্যু কতখানি নাড়িয়েছিল অমলা শঙ্করকে, কাঁপা গলায় জানালেন কন্যা মমতা
মা অমলা শঙ্করের সঙ্গে মমতা।


সেঞ্চুরি করেছিলেন নৃত্যশিল্পী এবং ‘কল্পনা’ ছবির অভিনেত্রী অমলা শঙ্কর। ১০০ বছর বেঁচেছিলেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন। তাঁর কন্যা অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর বলেছিলেন, “মা জীবনে সবকিছু পেয়েছেন। সবকিছু দেখেছেন। এটাই আমার শান্তি।” আজ (২৭.০৬.২০২৪) তাঁর সেই প্রিয় বন্ধু, আদরের মায়ের ১০৫তম জন্মদিন। মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮.০৬.২০২৪) একটি নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন অমলা-কন্যা মমতা। মায়ের জন্মদিনে সারাটা দিন তাঁকে বেশি-বেশি করে মনে পড়ছে মমতার। সে সব কিছুই তিনি ভাগ করে নিলেন 
ডিজিটালের সঙ্গে। তুলে ধরলেন শঙ্কর পরিবারের অন্দরের কথাও।


শঙ্কর পরিবারের আটপৌরে বউ

আমাদের বাড়িটা একাধিক কিংবদন্তির বাড়ি। বহু বিখ্যাত মানুষেরা রয়েছেন। বাবা উদয় শঙ্কর থেকে শুরু করে কাকা রবি শঙ্কর। আমার মা অমলা শঙ্কর। আমার দাদা আনন্দ শঙ্কর। বউদি তনুশ্রী শঙ্কর। আমাদের ছেলেমেয়েরা তো আছেই। মা যখন শঙ্কর বাড়িতে বিয়ে করে এসেছিলেন, তিনি খুবই ছোট। বাচ্চা মেয়েই বলা চলে তাঁকে। সবকিছু সামলেছিলেন। পরবর্তীতে আমি মাকে আর পাঁচজন বাঙালি বাড়ির মায়ের মতোই দেখেছি। খুব সাধারণ, আটপৌরে। একদিকে যেমন রান্নাঘরে রান্না করছেন, অন্যদিকে হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরিয়ে এসে বাবাকে রবীন্দ্রনাথের কিছু একটা পড়ে দিচ্ছেন। আমার মা, আমাকে এবং আমার দাদাকে ব্যস্ততার কারণে কোনওদিনও কোনও আয়ার কাছে রেখে মানুষ করেননি। আমাদের প্রতিপালনের সবটা নিজে হাতে করেছেন। আমার ছোট ছেলে এবং ছোট বউমাও কিন্তু এক্কেবারে মায়ের ধারা পেয়েছে। বাচ্চাকে নিজেরাই মানুষ করছে ভাগাভাগি করে। আয়া কিংবা ন্যানি রাখেনি। বিখ্যাত মানুষের বাড়ি হলেও, ছোট থেকে এই সংস্কৃতি দেখেই আমরা বড় হয়েছি। আসলে আমরা খুবই বাঙালি এবং ভীষণভাবে ঘরোয়া।

বলিউডের দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের সঙ্গে বাঙালিদের চেহারার অদ্ভুত মিল খুঁজে পান অনেকেই। বিদ্যা বাংলা ভাষাটাও জানেন। বাঙালি না হয়ে বাংলার সঙ্গে এক অবাঙালি অভিনেত্রীর এই অন্তরঙ্গতা মুগ্ধ করেছিল প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে। বিদ্যাকে বাহবা জানিয়েছিলেন তিনি।

আমি পূর্ব জন্মে বাংলারই কেউ ছিলাম: বিদ্যা বালন
বিদ্যা বালন।


বাঙালি পরিচালক গৌতম হালদারের ‘ভাল থেকো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালন। সেই সময় তিনি নতুন ছিলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন এই বাংলা ছবিতেই। ফলে বিদ্যার সঙ্গে বাংলার এক নিবিড় যোগ আছে শুরু থেকেই। তারপর মুম্বইয়ের বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকারের পরিচালনায় তৈরি হিন্দি ছবি ‘পরিণীতা’য় অভিনয় করেন বিদ্যা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাংলা উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে হিন্দি ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন প্রদীপ। তাতেও নায়িকার চরিত্রে ছিলেন এই বিদ্যাই। বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষের নির্দেশনায় তৈরি ‘কাহানি’তে বিদ্যাকে দেখানো হয়েছিল এক বাঙালির চরিত্রেই। গোটা ছবির শুটিং হয়েছিল কলকাতায়। কেবল তাই নয়, বলিউডের এই দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রীর সঙ্গে বাঙালিদের চেহারার অদ্ভুত মিল খুঁজে পান অনেকেই। বিদ্যা বাংলা ভাষাটাও জানেন। বাঙালি না হয়ে বাংলার সঙ্গে এক অবাঙালি অভিনেত্রীর এই অন্তরঙ্গতা মুগ্ধ করেছিল প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে। বিদ্যাকে বাহবা জানিয়েছিলেন তিনি।


ঋতুপর্ণ ঘোষ সঞ্চালিত ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’ টকশোতে বিদ্যাকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভূমিকায় বিদ্যা সম্পর্কে বলার সময় তাঁর বাংলার প্রতি ভালবাসার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বহুবছর আগে নেওয়া সেই সাক্ষাৎকার পর্বের একটি ক্লিপিং এই মুহূর্তে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। যেখানে বাঙালিদের মধ্যে বাঙালিয়ানা হারাচ্ছে, সেখানে বিদ্যার মতো এক দক্ষিণ ভারতীর এমন বাংলাপ্রীতি চমকে দেওয়ার মতো। ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, “ইংরেজি হরফে একটি লেখা নির্ভুলভাবে বাংলায় লিখে আমাকে মেসেজ করেছিল বিদ্যা। সকলকে সেই মেসেজ দেখিয়েছিলাম আমি।”

৮০ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রী দীপঙ্কর দের বলিরেখা সুস্পষ্ট হচ্ছে। খানিকটা রোগাও হয়েছেন তিনি। কিন্তু ফিজ়িক্যালি ফিট। স্বামী চেহারার যত্ন নিচ্ছেন না, এই নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ল দোলনের কণ্ঠে।

স্বামী দীপঙ্কর দে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখছেন না, খুব মন খারাপ দোলনের
দীপঙ্কর এবং দোলন।


‘ডায়ামন্ড দিদি জিন্দাবাদ’। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হতে শুরু করেছে। তাতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন বাঙালি অভিনেত্রী দোলন রায়। চরিত্রের নাম বৃন্দা। ‘টুম্পা অটোওয়ালি’র নায়িকা এই সিরিয়ালেরও নায়িকা। সেই সিরিয়ালে দোলন ছিলেন টুম্পার শাশুড়িমায়ের চরিত্রে। এই ধারাবাহিকেও তাই। হাসতে-হাসতে ডিজিটালকে দোলন বললেন, “আমাদের শাশুড়ি-বউমার জুটি আবার রিপিট করছে। বিষয়টা খুবই ভাল। আমি এই মুহূর্তে শুটিং করতে যাচ্ছি। অনেকটা পথ।” অন্যদিকে তাঁর স্বামী বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে ‘বঁধুয়া’ ধারাবাহিকে দাদুর চরিত্রে অভিনয় করছেন দীপঙ্কর। তিনিও মহা ব্যস্ত। দোলনের সঙ্গে কথা হবে আর দীপঙ্কর প্রসঙ্গ আসবে না, তা হতেই পারে না। স্বামী সম্পর্কে দু’চার কথা বললেন দোলন।


দোলন বললেন, “ও খুব ভাল আছে। জমিয়ে কাজ করছে। আনন্দে থাকলেই ও ভাল থাকে।” বয়সের ভারে দীপঙ্করের চেহারা খানিক খারাপ হয়েছে। তবে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ। দীপঙ্করের শরীর-স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণভাবে দেখভাল করেন দোলনই। স্বামীর খাওয়া-দাওয়া, ঘুম–সবকিছু সময় মেনে করান তিনি। তবে স্বামী যে একেবারেই নিজের চেহারার খেয়াল রাখেন না, তা নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ল দোলনের কণ্ঠে। অভিনেত্রী বললেন, “আর বলবেন না, আমার স্বামী একেবারেই নিজের চেহারার যত্ন নিতে চান না। বাথরুমে ছড়ানো-ছেটানো থাকে আমার প্রসাধনীর নানা সরঞ্জাম। ময়েশ্চারাইজ়ার থেকে শুরু করে আরও কত কী। সেগুলো একটাও তুলে নিয়ে মাখতে চান না আমার স্বামী। আমি বলি তো, ‘তোমার একটু ইচ্ছে করে না নিজের যত্ন নিতে’।”

ক্যানসার থাবা বসিয়েছে অভিনেত্রী হিনা খানের শরীরে। স্তন ক্যানসার হয়েছে তাঁর। তৃতীয় স্টেজ। এই নিয়ে একটি লম্বা সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন হিনা। জানিয়েছেন, কেমন আছেন তিনি। এই সংবাদে ভেঙে পড়েছেন হিনার অনুরাগীরা।

তৃতীয় স্টেজ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হিনা খান, কেমন আছেন তিনি?
হিনা খান।

‘ইয়ে রিস্তা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’ সিরিয়ালের অভিনেত্রী হিনা খান ক্যানসারে আক্রান্ত। তৃতীয় স্টেজ স্তন ক্যানসার হয়েছে তাঁর। সোশাল মিডিয়ায় সেই সংবাদ নিজেই জানিয়েছেন হিনা। লম্বা নোটে তিনি ব্যক্ত করেছেন, তাঁর ক্যানসার-লড়াইয়ের কাহিনি। অনুরাগীদের আস্বস্ত করে লিখেছেন, “এই মুহূর্তে তিনি ভাল আছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই।”


হিনার সোশাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের সকলকে বলতে চাই, আমার স্তন ক্যানসার হয়েছে। তৃতীয় স্টেজে আছে বিষয়টি। এর চিকিৎসা কঠিন। তাও আমি সকলকে আস্বস্ত করে বলতে চাই, সবকিছু ভালই হয়েছে। আমি ভাল আছি। আমি শক্তিশালী মানুষ। আমার মধ্যে একাগ্রতা আছে। আমি জানি এই অসুখ সারিয়ে উঠতে পারব। আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এই অসুখকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে যা-যা প্রয়োজন, সবটাই আমি করব। আরও শক্তিশালী হয়ে আমি ফিরে আসব আপনাদের কাছে।”


লম্বা সোশাল মিডিয়া পোস্টে হিনা অনুরোধ করেছেন, এই কঠিন সময় যেন সকলে তাঁকে নিজের মতো থাকতে দেন। সকলের ভালবাসা তাঁর একান্ত কাম্য। সকলে যেন তাঁর জন্য প্রার্থনা করেন। এই পোস্টের পর হিনার অনুরাগীরা ভেঙে পড়েছেন। সকলেই অভিনেত্রীর আরোগ্য কামনা করছেন এই মুহূর্তে।


 তাঁর আগামী ছবি 'টেক্কা' নিয়ে যখন বেজায় কৌতুহলি দর্শকেরা তখনই তিনি আরও এক সুখবর শুনিয়েছিলেন। নতুন ছবির খবর-- সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই। যদিও ছবির এই শিরোনাম সর্বশেষ নয়।

সৃজিতের ফ্রেমে আবারও চমক, ১২ দাপুটে তারকার প্রথম লুকেই বাজিমাত


সৃজিত মুখোপাধ্যায় মানেই বাংলা ছবির দর্শকদের এক বাড়তি কৌতুহল। পর্দায় আবারও নতুন চমক। একের পর এক জনপ্রিয় ছবি উপস্থাপনা করে দিন-দিন দর্শকদের খিদে বাড়িয়েই চলেছেন তিনি। যদিও কাজের খিদে তাঁর নিজেরও নেহাতই কম নয়। সে অসুস্থ শরীর নিয়ে রেইকি করা হোক, কিংবা সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে গোটা ইউনিট নিয়ে হইহই করে শুট করা হোক, তিনি থেমে থাকেননি। আর তাই তাঁর আগামী ছবি ‘টেক্কা’ নিয়ে যখন বেজায় কৌতুহলি দর্শকেরা তখনই তিনি আরও এক সুখবর শুনিয়েছিলেন। নতুন ছবির খবর– ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। যদিও ছবির এই শিরোনাম সর্বশেষ নয়। যেখানে টলিপাড়ার একঝাঁক দাপুটে তারকারা আবারও একই ফ্লোরে। ইতিমধ্যেই শুটিং শেষ।




মোট ১২ জন টলিউডের তারকারা থাকছেন ছবিতে। এবার সামনে এল তাঁদের প্রথম লুক। বৃহস্পতি ও শুক্রবার, এই দুইদিন মিলিয়ে একে একে সামনে এল সেই লুক। কার কারা থাকছেন ছবিতে? কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, অনির্বাণ চক্রবর্তী, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অর্জুন চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুহোত্র মুখোপাধ্যায়।




ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘নানা মতামত, রাজনীতিক ভাবনা, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন… সম্পূর্ণ সামাজিক স্পেকট্রামকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং শেষ। এমন সব দুর্দান্ত অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিশেষ করে অনন্যা ও সৌরসেনীর সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। পরমব্রতের সঙ্গেও অনেক দিন পর আবার কাজ করলাম। তাই বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে।’ উত্তেজনা রয়েছে দর্শকদেরও।



বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’ অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। এক কোর্টরুম ড্রামা। ১৯৮৬ সালে ‘এক রুকা হুয়া ফায়সলা’ আবার তৈরি হয়েছিল ইংরাজি নাটক ‘টুয়েলভ অ্যাংরি মেন’ অবলম্বনে। ছবির প্রযোজনায় SVF। তবে ছবিতে থাকা চরিত্রদের লুক কিংবা বিষয়বস্তু দর্শক মনে যতই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করুক না কেন, এই ছবি কবে বড় পর্দায় আসতে চলেছে তা নিয়ে এখনও কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি। কারণ আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের টেক্কা ছবির মুক্তি, পুজোয় আসতে চলেছে টেক্কা। আর তারপরই পাইপলাইনে এই ছবি।

সুস্মিতা সেনের ব্যাগের মধ্যে সব সময় থাকে সেই সসের প্যাকেট। রেস্তোরাঁ কি সসের প্যাকেট পাওয়া যায় না? তাহলে সুস্মিতা ব্যাগের মধ্যে সসের প্যাকেট বহন করেন কেন? এর উত্তর সুস্মিতা নিজেই দিয়েছিলেন একবার।

পার্সে সসের প্যাকেট নিয়ে কেন ঘোরেন সুস্মিতা, কারণ জানলে হাসবেন...
সুস্মিতা সেন।


সুস্মিতা সেন কে কে না চেনেন। কিন্তু তাঁর এই অদ্ভুত স্বভাব সম্পর্কে কতজন জানেন? জানেন কি, রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে এক প্যাকেট টমেটো সস সঙ্গে করে নিয়ে যান সুস্মিতা। ব্যাগের মধ্যে সব সময় থাকে সেই সসের প্যাকেট। রেস্তোরাঁ কি সসের প্যাকেট পাওয়া যায় না? তাহলে সুস্মিতা ব্যাগের মধ্যে সসের প্যাকেট বহন করেন কেন? এর উত্তর সুস্মিতা নিজেই দিয়েছিলেন একবার।


জীবনের কিছুটা সময় লন্ডনের মতো জায়গায় কাটিয়েছেন সুস্মিতা। সেখানকার খাবার তাঁর একেবারেই ভাল লাগত না। তিনি মাছে-ভাতে বাঙালি। ঝাল-ঝোল-অম্বল খেয়ে বড় হয়েছেন। বড় হয়েছেন দিল্লিতেও। সেখানে পরোটা তাঁর প্রিয়। লন্ডনে থাকার সময় সেখানকার বিস্বাদ খাবার খেয়ে মুখ অরুচি ধরে গিয়েছিল সুস্মিতার। তাই যখনই রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন, সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন এক প্যাকেট টমেটো সস। লন্ডনের সব খাবারই সিদ্ধ। সেই সিদ্ধ খাবার খাওয়ার সময় তাতে ছড়িয়ে নিতেন সহজ।



খারাপ মানুষের বিশ্বাসযোগ্য অভিনয়ের কারণেই দর্শকের তিরস্কার জোটে বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের কপালে। কিন্তু একটি বিষয়ে ভীষণ ব্যথা পেয়েছেন বিপ্লব। বিষয়টি  ডিজিটালকে জানিয়েছেন বিপ্লব। সেটা কী?

'বাচ্চার মায়েরা আমাকে দেখিয়ে বলে, ওই যে যাচ্ছে...', কী বলতে চান বিপ্লব?
বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।


বাংলা সিনেমায় দুঁদে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। পর্দায় তাঁর শয়তানি দেখে লোকে তিরস্কারও করেছেন বিপ্লবকে। সেই সমস্ত তিরস্কারকে মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন অভিনেতা। মনে করেছেন, সেটাই তাঁর সেরা পুরস্কার। খারাপ মানুষের বিশ্বাসযোগ্য অভিনয়ের কারণেই দর্শকের অমন তিরস্কার জোটে এই অভিনেতার কপালে। কিন্তু একটি বিষয়ে ভীষণ ব্যথা পেয়েছেন বিপ্লব। বিষয়টি ডিজিটালকে জানিয়েছেন বিপ্লব।


রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিপ্লব দেখেছিলেন, কিছু মা তাঁর দিকে আঙুল তাক করেছেন। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের তাঁকে দেখিয়ে বলছেন, “ওই দেখো দুষ্টুলোক”। এমনটা দেখে বিপ্লবের মন কেঁদে উঠেছে। একবার নয়, দু’বার নয়, বহুবার ঘটেছিল এমন ঘটনা। তারপর একদিন নিজেই ফোঁস করে ওঠেন বিপ্লব। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক মাকে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আপনি কেন বাচ্চাটাকে আমাকে দেখিয়ে বলছেন, আমি দুষ্টুলোক। ওটা তো আমার অভিনয়। আমি কি সত্যি দুষ্টু? এমনটা দয়া করে করবেন না।”




পর্দায় তাঁর উপস্থিতি হাড় হিম করে দিয়েছে দর্শকের। কিন্তু বাস্তব জীবনে মানুষটি সেরকম নন। টলি ইন্ডাস্ট্রির লোকজনই সেই কথাই বলেন তাঁর সম্পর্কে। তিনি হলেন মাটির মানুষ। রাগ-দুঃখ পুষে রাখেন না মনে। সকলকে ক্ষমা-ঘেন্না করে চলেন। সেই সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়েরও রয়েছে ক্ষমা করতে পারিনি মুহূর্ত। শুনে নিল ডিজিটাল।

কটা চোখের ভিলেন সুমিত ক্ষমা করেননি, বলেন, 'কলার তুলে দেওয়ালে ঠেসে দিয়েছিলাম ইপির...'
সুমিতা গঙ্গোপাধ্যায়।


ক্ষমা করা মহৎ কাজ। ছোটবেলায় এমন কথাই শেখানো হয় বাচ্চাদের। কিন্তু সব সময় কি ক্ষমা করা সম্ভব? এমন অনেক ঘটনাই ঘটা যা ক্ষমারও অযোগ্য। খ্যাতনামীদের জীবনেও সেরকম ঘটনা আছে ভূরি-ভূরি। ডিজিটাল কথা বলল সেই সমস্ত বিখ্যাতদের সঙ্গে, যাঁরা ক্ষমা করতে পারেননি। আজ মনের ঝাঁপি খুললেন অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা ফিল্ম জগতে তাঁর পরিচয় এক ভয়ানক ভিলেন হিসেবে। নীলচে চোখের ভয়ানক ভিলেন। ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’, ‘যুদ্ধ’, ‘ঘাতক’, ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-এর মতো ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর পর্দায় উপস্থিতি হাড় হিম করে দিয়েছে দর্শকের। কিন্তু বাস্তব জীবনে মানুষটি সেরকম নন। টলি ইন্ডাস্ট্রির লোকজন সেই কথাই বলেন তাঁর সম্পর্কে। তিনি হলেন মাটির মানুষ। রাগ-দুঃখ পুষে রাখেন না মনে। সকলকে ক্ষমা-ঘেন্না করে চলেন। সেই সুমিতেরও রয়েছে ক্ষমা করতে পারিনি মুহূর্ত। শুনে নিল ডিজিটাল।


যা বললেন সুমিত:

“একটি বড় হাউজ়ের হয়ে পরপর ছবি করছিলাম আমি। রামোজি ফিল্ম সিটিতেই হত অধিকাংশ শুটিং। রামোজির তারা হোটেলে কখনও আমি, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কখনও আমি রজতাভ দত্ত রুম পার্টনার হয়ে ঘর শেয়ার করতাম। সিনিয়র হওয়ার পর আমাকে একটি গোটা ঘরই দেওয়া হত থাকার জন্য। আমার আবার রামোজি ফিল্ম সিটির শান্তিনিকেতন বিল্ডিংটা প্রিয় ছিল। খোলামেলা, সুন্দর। সেখানে থাকলে আমার জন্য সবসময়ই নির্দিষ্ট ঘর রাখা থাকত

বিয়ের সময় কোন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন রূপঙ্করের শালাবাবু? বিয়ের ২৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রথম মুখ খুললেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। স্ত্রীর প্রতি প্রেম জাহির করলেন অকপট।

মিথ্যা বলে শ্বশুরবাড়ির লোক, পরে সবাই জানতে পারে আমি রেলে চাকরি করি না: রূপঙ্কর বাগচী
চৈতালী এবং রূপঙ্কর।


দেখতে-দেখতে একসঙ্গে ২৬টি বসন্ত পার করলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালী বাগচী। ২৭ জুন ছিল তাঁদের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী। বিয়ের আগে একবছর ছিল তাঁদের প্রেমপর্ব। বিয়ের সময়কার কিছু ঘটনা ডিজিটালকে শেয়ার করেছেন রূপঙ্কর। প্রথম জানালেন পাত্র হিসেবে তাঁকে পছন্দ করেননি চৈতালীর বাড়ির লোকজন। এখন যখন সম্পর্ক ভঙ্গুর অনেকক্ষেত্রেই, কোন মন্ত্রবলে ২৬টা বছর একে-অপরের সঙ্গে কাটিয়ে দিলেন রূপঙ্কর-চৈতালী, মনের ঝাঁপি খুললেন গায়ক।


পাত্র হিসেবে আমি খুব খারাপ ছিলাম

আমার এবং চৈতালীর থিয়েটারের প্রেম। আমরা নাটক করতাম নান্দিপঠ দলে। আমাদের আলাপ হয় সেখানেই। প্রথমে আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। তারপর সেখান থেকে প্রেমের সূত্রপাত। বিয়ের ২৫ বছর এবং প্রেমের এক বছর মিলিয়ে আমার আর চৈতালীর পথচলা ২৬ বছরের। দেখা-সাক্ষাৎ এবং প্রেমের এক বছরের মাথাতেই আমাদের বিষয়টা ছাদনাতলায় পৌঁছায়। আমার বাড়ি ছিল উদার। চৈতালীকে সঙ্গে-সঙ্গে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু চৈতালীর পরিবার আমাদের সম্পর্ক মানতে চাইছিল না। কারণ ছিলাম আমি। এখন তো আমার একটু নাম হয়েছে। তখন আমি স্ট্রাগল করি। কেউ চিনত না আমায়। অনিশ্চয়তার জীবন ছিল। তাই ওর বাড়িতে পাত্র হিসেবে আমি খুবই খারাপ ছিলাম।





তারকা সন্তান হয়েও বলিউডে চলার পথ মসৃণ ছিল না কাপুর পরিবারের বড় মেয়ে করিশ্মা কাপুরের। রাজ কাপুরের নাতনি তিনি। বাবা রণধীর কাপুর এবং মা ববিতা কাপুর। কিন্তু তাও কেন তাঁকে কোণঠাসা করে রাখা হত জানেন?

করিশ্মাকে কোণঠাসা করা হয়, কাঁদতেন রাতভর, বোন করিনা ছিলেন নিরুপায়, কিন্তু কেন?
করিশ্মা কাপুর।


কাপুর পরিবারের ছক ভেঙেছিলেন বড় মেয়ে করিশ্মা কাপুর। এই পরিবারের কোনও মেয়ে কিংবা বউ অভিনয় পেশায় থাকেননি। বাড়ির বউরা, যাঁরা এক সময় ছিলেন বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তাঁরা প্রত্যেকেই কাপুর পরিবারে বিয়ে করে এসে অভিনয় ত্যাগ করেছিলেন। সেটাই ছিল এই পরিবারের অলিখিত নিয়ম। সেই প্রথাকে ভেঙে খান খান করে দিয়েছিলেন করিশ্মা। তিনি ছিলেন কাপুর পরিবারের সেই মেয়ে, যিনি বাড়ির অমতে গিয়েও অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। অভিনেতা রণধীর কাপুর এবং অভিনেত্রী ববিতা কাপুরের জ্যেষ্ঠ কন্যার কেরিয়ার গড়ার পথ মসৃণ হয়নি। শুরুতে কাজই পাচ্ছিলেন না তিনি। তারকা সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কোণঠাসা করা হয়েছিল বলিউডে।


এ সবই প্রত্যক্ষ করেছিলেন করিশ্মার ছোট বোন করিনা কাপুর খান। তিনি তখন খুব ছোট। করিনা দেখতেন, সারা রাত জেগে কাঁদতেন তাঁর আদরের দিদি। মা ববিতার কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করতেন করিশ্মা। কাঁদতে-কাঁদতে বলতেন, তাকে কেউ অভিনয়ের সুযোগ করে দিচ্ছেন না। সকলে তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে ইন্ডাস্ট্রিতে। ছোট থাকার কারণে করিনা তখন দিদির পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারেননি। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে শুনতেন দিদির কান্নাকাটি।

পরবর্তীকালে করিশ্মার সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে ওঠেন তাঁর ছোট বোন করিনাই। করিশ্মার যখন বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, গোটা সময়টা দিদিকে কাছছাড়া করেননি করিনা। আগলে রেখেছিলেন নিজের কাছে। কেরিয়ার গোছানোর এই কঠিন সময়ে করিশ্মাকে কেবলই কাঁদতে দেখেছিলেন তিনি। নিজের মুখেই করিনা বলেছিলেন, “দিদিকে দেখতাম খালি কাঁদছে। তখন আমি কিছু করতে পারিনি। খুব খারাপ লাগত আমার।”

ভারতের যেমন দীর্ঘদিনের আক্ষেপের জন্য বাড়তি উত্তেজনা কাজ করতে পারে, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রথম বার ফাইনালে উঠেই ট্রফি জেতার উত্তেজনা। আর এতে ভালোর পাশাপাশি ভুলের সম্ভাবনাও বেশি। যে দল যত কম ভুল করবে, অ্যাডভান্টেজ তাদেরই। তারকা নয়, সেরা পারফরম্যান্সেই কাপ জেতার হাতছানি দু-দলের সামনে। স্বপ্ন পূরণ হবে এক দলেরই!

 সাতে দক্ষিণ আফ্রিকায়, ১৭ বছর পর প্রতিপক্ষ; এ শুধুই ট্রফি নয়...


‘প্রথম’ কোনও কিছুই ভোলা যায় না। বড্ড মন খারাপের মাঝে আরও বেশি করে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। রোহিত শর্মারও কি এমন কিছুই হচ্ছে? কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের? সেই ২০০৭। প্রথম বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বকাপ। আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই থেকে শুরু। অবশেষে নবম সংস্করণে প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতেই শুধু নয়, সব ফরম্যাট মিলিয়েই প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনাল! তাদের কাছে বিশ্বকাপ ট্রফি শুধুই ট্রফি নয়। অনেক কিছুর জবাব দেওয়ার।


ভারতের কাছেও তাই। প্রথম বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন। তখন থেকেই শুধু অপেক্ষা। সেমিফাইনাল অনেকবার। ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর মাত্র একবার ফাইনালে উঠেছিল ভারত। ২০১৪ সালে সে বার হার। এই নিয়ে তৃতীয় বার ফাইনাল। ১৭ বছরের অপেক্ষা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ট্রফির। তা হলে এই ট্রফি, শুধু একটা ট্রফি কী করে হয়! এ যেন অনেক সাধনার ফল। যা হাতে আসতে এখনও একটা ধাপ পেরোতে হবে। সে বার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়, আর এ বার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের কাছে ট্রফি জয়ের শেষ ধাপ।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল যেন শুরু থেকে শুরু। গ্রুপ পর্বে দু-দলই অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে কিংবা সুপার এইটে কে কোন দলকে, কত বড় ব্যবধানে হারিয়েছে, কোনও গুরুত্ব নেই। কোন দলের ব্যাটিং ভালো, কার বোলিং! এতেও বা কী যায় আসে। ম্যাচে যে ভালো খেলবে, ট্রফি তার। এর জন্য যেমন অভিজ্ঞতা, স্কিল দরকার, তেমনই প্রয়োজন স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা। যেটা দু-দলের কাছে দু-রকম।


ভারতের যেমন দীর্ঘদিনের আক্ষেপের জন্য বাড়তি উত্তেজনা কাজ করতে পারে, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রথম বার ফাইনালে উঠেই ট্রফি জেতার উত্তেজনা। আর এতে ভালোর পাশাপাশি ভুলের সম্ভাবনাও বেশি। যে দল যত কম ভুল করবে, অ্যাডভান্টেজ তাদেরই। তারকা নয়, সেরা পারফরম্যান্সেই কাপ জেতার হাতছানি দু-দলের সামনে। স্বপ্ন পূরণ হবে এক দলেরই!

চলতি কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়েকে ৪-১ ব্যবধানে হারাল ব্রাজিল। এই ম্যাচে হলুদ জার্সিধারীদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাই বলতেই হয় ভিনির জাদুতে কোপা আমেরিকায় জয়ের মুখ দেখল ব্রাজিল।


ভিনির 'ভিসি, ভিডি'; কোপা আমেরিকায় ঝড় তুলল ব্রাজিল
ভিনির 'ভিসি, ভিডি'; কোপা আমেরিকায় ঝড় তুলল ব্রাজিল

 কোপা আমেরিকায় (Copa America 2024) জয়ের মুখ দেখল ব্রাজিল (Brazil)। কোস্টারিকার সঙ্গে গ্রুপ-ডি-তে নিজেদের প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করেছিল ব্রাজিল। এ বার গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়েকে ৪-১ ব্যবধানে হারাল সেলেকাওরা। এই জয়ের ম্যাচে হলুদ জার্সিধারীদের হয়ে জোড়া গোল ভিনিসিয়াস জুনিয়রের। তাই বলতেই হয় ভিনির জাদুতে কোপা আমেরিকায় জয়ের মুখ দেখল ব্রাজিল।


অ্যালেজায়েন্ট স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩১ মিনিটেই ব্রাজিলের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন লুকাস পাকুয়েতা। অবশ্য ৪ মিনিটের মধ্যে সেই লুকাসের পাস থেকেই প্যারাগুয়ের জাল কাঁপান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ৩৫ মিনিটে ব্রাজিল ১-০ এগিয়ে যায়। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ব্রাজিলকে আরও এগিয়ে দেন সাভিয়ো। ৪৩ মিনিটে গোল তাঁর। এরপর হাফটাইমের ঠিক আগে ভিনির দ্বিতীয় ও ব্রাজিলের তৃতীয় গোল।


ভিনি, ভিডি, ভিসি হল এক ল্যাটিন শব্দবন্ধ। যার অর্থ — এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ঠিক সেটাই করেছেন ব্রাজিলের তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাঁকে গোল করতে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারকেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে।


ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পরই এক গোল শোধ করেন প্যারাগুয়ের ওমর আলদারেত (৪৮ মিনিটে)। ৬৫ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এ বার অবশ্য কোনও ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা। তাঁর গোলে ব্রাজিল ৪-১ এগিয়ে যায়। ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার কুবাস। ১০ জনের প্যারাগুয়ে অবশ্য শেষ অবধি আর গোল খায়নি।
বার্বাডোজে আজ, শনিবার বিশ্বকাপ জয়ের শাপমোচন কি করতে পারবে রোহিত ব্রিগেড? ভারতীয় ভক্তদের কাছে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ফাইনালে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে মেন ইন ব্লু। একটা জয় আর বিশ্বকাপ ভারতের মুঠোয়।

বিশ্বকাপ হারলে রোহিত বার্বাডোজের সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে... হঠাৎ এমন বিস্ফোরণ ঘটালেন কে?

বিশ্বকাপ হারলে রোহিত বার্বাডোজের সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে... হঠাৎ এমন বিস্ফোরণ ঘটালেন কে?


কলকাতা: জিতেগা ভাই জিতেগা ইন্ডিয়া জিতেগা… আজ, শনিবার এই স্লোগানই আওড়াবেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। বার্বাডোজে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। প্রোটিয়াদের হারাতে পারলেই ভারতীয় শিবিরে আসবে দ্বিতীয় বার টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) ট্রফি। ২০০৭ সালে শেষ এবং প্রথম কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তারপর আর ওই সৌভাগ্য টিম ইন্ডিয়ার হয়নি। এ বার কি ওই ট্রফির খরা কাটবে? মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে এই নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে ভারত। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। এ বার রোহিতের নেতৃত্বেই চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে মেন ইন ব্লু। ৭ মাসের মধ্যে একটা টিম ২টো ফাইনাল হারতে পারে না। এমনটাই বিশ্বাস ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর যদি টিম ইন্ডিয়া হেরে যায় তা হলে রোহিত কী করবেন, সে কথাও বলেছেন মহারাজ।


রোহিত শর্মার নেতৃত্বে এ বার বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়েই ছাড়বে ভারত, আশাবাদী মহারাজ। ভারত বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের শেষ লড়াইয়ে নামার আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার কিন্তু মনে হয় না ৭ মাসের মধ্যে ও (রোহিত) দু’টো বিশ্বকাপ ফাইনালে হারতে পারে। আর যদি ওর নেতৃত্বে ৭ মাসের মধ্যে দুটি ফাইনাল হারে ভারত, তা হলে ও হয়তো বার্বাডোজ সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে। দলটাকে একেবারে সামনে থেকে সামলাচ্ছে ও। দারুণ ব্যাট করছে। আমার মনে হয় ফাইনালেও সেই ছন্দ ধরে রাখবে ও। আশা করছি ফাইনালে ভারত স্বাধীন ভাবে খেলবে এবং টুর্নামেন্টের শেষটা ঠিকঠাক করবে।’

শুক্রবারই চলতি বছরের মাধ্যমিকের রিভিউ ও স্ক্রুটিনি রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, ১২ হাজার ৪৬৮ টি উত্তরপত্রে নম্বর যোগে গন্ডগোল দেখা গিয়েছে এবার। স্ক্রুটিনিতে ২২ নম্বর পর্যন্তও বেড়েছে পরীক্ষার্থীর। পর্ষদ সভাপতি বলেন, "২ মে রেজাল্ট ঘোষণা করেছিলাম। রিভিউ ও স্ক্রুটিনির পর ৭ জন র‍্যাঙ্কে ঢুকছেন। ৬৪ জন হলেন। এটা না হওয়াই কাম্য।"


মাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট ঘোষণা, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু, দেখে নিন কবে কোন পরীক্ষা
প্রতীকী ছবি

কলকাতা: আগামী বছরের মাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর ২০২৫ সালের পরীক্ষায় আবারও পুরনো সময়সীমা। আবারও ২০২৫ সালের পরীক্ষা সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকেই শুরু হবে। চলতি বছরে মাধ্যমিক সকাল ৯টা ৪৫ থেকে শুরু হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ২০২৫-এর মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সকাল ১০টা ৪৫ থেকে দুপুর ২টো অবধি চলবে পরীক্ষা।


পরীক্ষার সূচি
১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথম ভাষার (বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি, গুজরাটি, নেপালি, ওড়িয়া-সহ বিভিন্ন ভাষা) পরীক্ষা।

১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভাষার (ইংরাজি প্রথম ভাষা না থাকলে ইংরাজি। ইংরাজি প্রথম ভাষা থাকলে বাংলা বা নেপালি) পরীক্ষা।


১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার গণিত।

১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার ইতিহাস।

১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভূগোল।

১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার জীবনবিজ্ঞান।

২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভৌত বিজ্ঞান।

২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার অপশনাল ইলেকটিভ সাবজেক্ট।

শুক্রবারই চলতি বছরের মাধ্যমিকের রিভিউ ও স্ক্রুটিনি রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, ১২ হাজার ৪৬৮ টি উত্তরপত্রে নম্বর যোগে গন্ডগোল দেখা গিয়েছে এবার। স্ক্রুটিনিতে ২২ নম্বর পর্যন্তও বেড়েছে পরীক্ষার্থীর। পর্ষদ সভাপতি বলেন, “২ মে রেজাল্ট ঘোষণা করেছিলাম। রিভিউ ও স্ক্রুটিনির পর ৭ জন র‍্যাঙ্কে ঢুকছেন। ৫৭ জন থেকে ৬৪ জন হলেন। এটা না হওয়াই কাম্য।”