March 2025

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনিই ভুলবশত গোল্ডম্যানকে গ্রুপে অ্যাড করে ফেলেছিলেন। সাংবাদিক ওই গ্রুপের আলোচনা স্ক্রিনশট সহ ভাইরাল করে দেন।


কেলেঙ্কারি কাণ্ড! গ্রুপ চ্যাট থেকে ফাঁস হামলার পরিকল্পনা, কোথায় মুখ লুকোবেন ট্রাম্প?
ভাইরাল চ্যাট।

মহা কেলেঙ্কারি। ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে আমেরিকা। কীভাবে, কোথায় হামলা চালাবে, সেই পরিকল্পনা করার গ্রুপের সব চ্যাট ফাঁস! তাই নিয়ে শোরগোল বিশ্বজুড়ে। যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।


মার্কিন ম্যাগাজিন ‘দ্য আটলান্টিক’ বুধবার ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হুথিদের উপরে আমেরিকার এয়ার স্ট্রাইকের পরিকল্পনা ফাঁস করে দেয়। পুরোটাই হয়েছে একটা ছোট্ট ভুলে। মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যালে গ্রুপ তৈরি করে এই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। সেখানেই ‘ভুলবশত’ অ্যাড করে দেওয়া হয় ‘দ্য আটলান্টিক’ -র এডিটর-ইন-চিফ জেফারি গোল্ডবার্গকে। ব্যস, খবর আর চাপা থাকেনি। ভাইরাল হয়ে যায় ‘হুথি পিসি স্মল গ্রুপে’র চ্যাটের স্ক্রিনশট।

ওই গ্রুপে মার্কিন আধিকারিকরা পরিকল্পনা করেছিলেন ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হুথিদের উপরে হামলার। গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ ছিলেন।হামলায় কী ধরনের বিমান ব্যবহার করা হবে, কোন সময়ে হামলা চালানো হবে, তা নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল। সাংবাদিক ওই গ্রুপের আলোচনা স্ক্রিনশট সহ ভাইরাল করে দেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনিই ভুলবশত গোল্ডম্যানকে গ্রুপে অ্যাড করে ফেলেছিলেন।

চ্যাট ফাঁস হতেই কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজের পদত্যাগ দাবি করেছে। তাদের দাবি, হুথিদের উপরে হামলার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে।

তবে ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি সাফ বলেছেন যে ওই গ্রুপ চ্যাটো গোপনীয় কিছু ছিল না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথও একই কথা বলছেন।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই ট্যারিফের সিদ্ধান্তে আমেরিকার লাভ হবে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্তে বিপুল লাভের আশা করলেও, ইতিমধ্যেই শেয়ার মার্কেট টলমলে হয়ে গিয়েছে।


রাতারাতি 'ভিলেন'! ট্রাম্পের জন্যই হুড়মুড়িয়ে পড়ছে TATA-র এই শেয়ার
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ডুবল টাটার শেয়ার।


ওয়াশিংটন: বড় সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের। আর তাতেই হু হু করে ডুবছে ভারতীয় গাড়ি কোম্পানির শেয়ার। ধস নেমেছে টাটা মোটরস সহ একাধিক কোম্পানির শেয়ারে। ডুবছে বাকি কোম্পানিও। কী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প যার কারণে ভারতীয় গাড়ি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির শেয়ারে এমন বিপর্যয় নামল?


আমদানি করা সমস্ত গাড়ির উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসতে চলেছে আমেরিকায়। ঘোষণা ট্রাম্পের। এই সিদ্ধান্তে কোনও বদল আসবে না, তাও সাফ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকেই এই শুল্ক কার্যকর হতে চলেছে। ৩ এপ্রিল থেকে গাড়ির উপরে শুল্ক চাপানো হবে।

বুধবারই ওভাল অফিসে বসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার বাইরে তৈরি হওয়া সমস্ত গাড়ির উপরে ২৫ শতাংশ করে আমদানি শুল্ক বসানো হবে। এটাই স্থায়ী হবে। এই সিদ্ধান্তে এমন বৃদ্ধি হবে, যা কখনও দেখেননি।”


ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই ট্যারিফের সিদ্ধান্তে আমেরিকার লাভ হবে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা গাড়ির উপরে যেখানে ২৫ শতাংশ করে শুল্ক বসানো হবে, সেখানেই আমেরিকায় যদি সেই গাড়ি তৈরি করে বিদেশি কোম্পানিগুলি, সেক্ষেত্রে কোনও শুল্ক দিতে হবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্তে বিপুল লাভের আশা করলেও, ইতিমধ্যেই শেয়ার মার্কেট টলমলে হয়ে গিয়েছে। বিনিয়োগকারী থেকে গ্রাহক, সকলেই চিন্তায় রয়েছেন যে ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে। বিদেশি গাড়ির উপরে হঠাৎ ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ায়, দাম বাড়বে এক লাফে অনেকটাই। সেক্ষেত্রে মার্কিন বাসিন্দাদেরই সাধ্যের বাইরে চলে যাবে গাড়ি কেনার ক্ষমতা।

অন্যদিকে, বিশ্লেষক-সমালোচকরা আরেকটি দিকও তুলে ধরেছেন। বিদেশি গাড়ির উপরে শুল্ক বসায়, আমেরিকায় টেসলার বিক্রি বাড়তে পারে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সংস্থা। যদিও ট্রাম্প আগেই সাফাই দিয়েছেন যে শুল্ক বসানোর এই সিদ্ধান্তের পিছনে টেসলা সিইও-র কোনও হাত নেই। গাড়ির উপরে শুল্ক বসানো নিয়ে তিনি কোনও পরামর্শ দেননি। কোনও ছাড়ও চাননি।

প্রসঙ্গত, আজ টাটা মোটরসের শেয়ারে ৪.৭৭ শতাংশ পতন হয়েছে। হুন্ডাইয়ের শেয়ারেও পতন হয়েছে।

তাদের আরও দাবি, জেনারেল মুনিরের আমলে পাকিস্তানে নৈরাজ্য বেড়েছে। যা ঘিরে মানুষের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর জনরোষও তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।


 'গদি ছাড়ুন না হলে সেনা নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নেবে', সেনাপ্রধানকে চিঠি পাঠিয়ে 'আল্টিমেটাম' অন্যান্য কর্তাদের
প্রতীকী ছবি


দারিদ্র, সন্ত্রাসের মাঝে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পাকিস্তান। এবার সেদেশের সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গিয়েছে বিদ্রোহ। কারা করছে? বিদ্রোহ ডেকেছেন খোদ সেনারই অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা। ইতিমধ্যে তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে তারা।


কোন সূত্র ধরে পাকিস্তানের সেনার অন্দরে তৈরি হল বাকবিতণ্ডা? জানা গিয়েছে, সেনাপ্রধানের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সেনার জওয়ান থেকে অন্যান্য কর্তারা। তাই তাঁকে পদত্যাগ করার জন্য একটি ‘আল্টিমেটাম’ চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, সেনাপ্রধান পদত্যাগ না করলে, নিজেদের হাতে ক্ষমতা তুলে নিতে বাধ্য হবে সেনা।

আর কী রয়েছে সেই চিঠিতে?


সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিঠিতে সেনার অন্যান্য কর্তাদের দাবি, জেনারেল মুনিরের কর্মকালে পাকিস্তানে ১৯৭১ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিরোধী মুখ বন্ধ করা হয়েছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

গত এক বছর ধরে নতুন করে নানা আন্দোলনের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। মূলত, বালোচিস্তানের ‘স্বাধীনতার’ জন্য আসরে নেমেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। সম্প্রতি, তারা পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন অপহরণ করে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় শতাধিক, দাবি লিবারেশন আর্মির। শুধুই ট্রেন অপহরণই নয়। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই পাকিস্তানের একটি সেনা কনভয়েও বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় তারা। আর তাতেই এবার ‘ভয় পাচ্ছে’ পাকিস্তান সেনা।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের মতো পাকিস্তান থেকে ভেঙে গিয়ে আবার একটা নতুন রাষ্ট্র তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা সেনাবাহিনীর। সেই কারণেই সেনাপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগের দাবিতে পাঠানো হল এই চিঠি।

সেই চিঠিতেই আবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ফেলে দেওয়া থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে নির্বাচনে কারচুপির মতো একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে। তাদের আরও দাবি, জেনারেল মুনিরের আমলে পাকিস্তানে নৈরাজ্য বেড়েছে। যা ঘিরে মানুষের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর জনরোষও তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।


স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, অথচ সেখানে উল্লেখ নেই জাতির জনকেরই, যিনি জান-প্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের একবারও উল্লেখ থাকল না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের।


ইউনূসকে চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীর, মনে করালেন ভুলতে বসা 'মুক্তিযুদ্ধে'র কথা
ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মহম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা। চিঠিতে আর কী কী লিখলেন তিনি?


স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, অথচ সেখানে উল্লেখ নেই জাতির জনকেরই, যিনি জান-প্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের একবারও উল্লেখ থাকল না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের। সে এক কথা, তবে পড়শি দেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলল না ভারত।

বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনের তরফে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই চিঠিতে লেখা, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুক্ত সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”


সম্প্রতি যেভাবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দুই দেশই। সেখানেই স্বাধীনতা দিবসে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কথাই মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমাদের অংশীদারি সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুই দেশের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত থাকবে।”





ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার খরচের জন্য ক্লেইম দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থা এলআইসি জানায় যে বিমা করার সময় ওই ব্যক্তি মদ্যপানের অভ্যাসের কথা লুকিয়েছিলেন।


সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃখের খবর শোনাল সুপ্রিম কোর্ট


বিমা করার সময় ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য জানাতে হয়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অভ্যাস, সবই জানাতে হয়। তবে কোনও তথ্য লুকোলে তার পরিণাম মারাত্মক হতে পারে। খারিজ হয়ে যেতে পারে আপনার ক্লেইম-ই। বছরের পর বছর ধরে জমানো টাকা সম্পূর্ণ জলে যেতে পারে।


সম্প্রতিই সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার রায়ে বিমা করানোর সময় সব তথ্য সত্য জানানোর গুরুত্ব কতটা, তা-ই তুলে ধরেছে। এক ব্যক্তি তার জীবনবিমার নথিতে উল্লেখ করেননি যে তিনি নিয়মিত মদ্যপান করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী যখন বিমার অর্থ ক্লেম করেন, তখন বিমা সংস্থা তার ক্লেম খারিজ করে দেয়।

জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে এক ব্যক্তি এলআইসি-র জীবন আরোগ্য পলিসি কিনেছিলেন। ফর্ম পূরণ করার সময় তিনি উল্লেখই করেননি যে মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। বিমা কেনার এক বছরও পূরণ হয়নি, তার মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রচন্ড পেটে যন্ত্রণার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এক মাস চিকিৎসা চলার পর তিনি হৃৎরোগে আক্রান্ত হন এবং মারা যান।


ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার খরচের জন্য ক্লেইম দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থা এলআইসি জানায় যে বিমা করার সময় ওই ব্যক্তি মদ্যপানের অভ্যাসের কথা লুকিয়েছিলেন। পলিসিতে “নিজে থেকে সৃষ্ট রোগ” এবং “অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শারীরিক জটিলতা”র ক্ষেত্রে কোনও কভারেজ দেওয়া হয় না।

যেহেতু ওই ব্য়ক্তি এলআইসি-র ফর্মে উল্লেখ করেননি যে তিনি মদ্যপান করতেন, তাই তাঁর বিমা খারিজ করে দেওয়া হবে। ওই মহিলা বিমার ক্লেমের দাবিতে জেলা কনজিউমার ফোরামে যান। সেখানে বিধবা স্ত্রীর পক্ষেই রায় দেওয়া হয়। এলআইসি-কে ৫.২১ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। রাজ্য ও জাতীয় কনজিউমার কমিশনও একই রায় বহাল রাখে। কিন্তু এলআইসি তাদের শর্তে অবিচল ছিল। তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

শীর্ষ আদালত ওই বিধবা মহিলার বদলে, এলআইসি-র পক্ষেই দাঁড়ায়। বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “এটা সাধারণ বিমা পলিসি ছিল না। স্পেশালাইজড স্বাস্থ্যবিমা ছিল, যাতে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত দেওয়া ছিল। ওই ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে মদ্যপান করতেন। এটা এক রাতে হতে পারে না। একদিন মদ্যপানে রাতারাতি লিভারের সমস্যা তৈরি হতে পারে না। উনি বিমা কেনার সময় মদ্যপানের তথ্য লুকিয়েছিলেন। এটাই বিমার ক্লেইম খারিজ করার জন্য যথেষ্ট।”

এলআইসি-র দাবি মানলেও, ওই বিধবা মহিলার আর্থিক পরিস্থিতি দেখে শীর্ষ আদালত ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি, যা তিনি আগেই এলআইসি-র কাছ থেকে পেয়েছিলেন।



প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক আর্জি ছিল।


 কোনও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে মিটিং করা যাবে না JU-তে, নির্দেশ হাইকোর্টের, ব্রাত্যকে নিয়েও উঠল প্রশ্ন
কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলল ব্রাত্য বসুকে নিয়ে


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা গুরুত্বপূর্ণ কাউকে নিয়ে কোনও সেমিনার, মিটিং করা যাবে না নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের প্রশ্ন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় জানার পরও কেন রাজনৈতিক নেতা সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন? এর প্রভাব পড়তে পারে জেনেও তিনি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন ?” বিষয়টি স্পষ্ট নয় আদালতের কাছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।


প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক আর্জি ছিল।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যাদবপুরে গুণ্ডা রাজ চলছে। ২০১৪-এর পর শ্লীলতাহানির মামলা রুজু হয়েছিল। একাধিক এফআইআর (FIR) হয়। কিছু সময় বশ মানে না এমন ঘোড়া ছুটে বেড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা নির্দেশ দেবেন মাথা পেতে নেব। শুধু শান্তি চাই। ইউনিভার্সিটি কিছু করছে না। আমারা নিরুপায়।”


এ দিন আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন , “বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের কোনও ক্ষমতা থাকে না। তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। কেন আপনারা রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিতে চান না?” উত্তরে বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইনজীবী রিজু ঘোষাল বলেন, “আমরা চিঠি লিখেছি। উচ্চ শিক্ষা দফতরকে টাকার বিষয়ে জানানো হয়েছে।”

এরপরই প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, “বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করুন। রাজনৈতিক রঙ বাদ দিন। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল সেটায় নজর দিন। উপাচার্য সহ বাকিদের ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাঁরা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রথমে যাঁরা ছাত্র নয়, তাঁদের বের করতে হবে।” তিন সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।


কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের পোস্টার-যুদ্ধ সামনে এসেছিল। প্রথমে 'সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়' বলে পোস্টার পড়ার পর রাতারাতি 'সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়' নামে পোস্টারে ভরে যায় দক্ষিণ কলকাতা। এবার বিজেপি নেত্রীর নামে পড়ল পোস্টার।


মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির মহিলা মুখ অগ্নিমিত্রা? পোস্টার পড়তেই জোর জল্পনা
অগ্নিমিত্রার নামে পোস্টার


ভোটের আগে শহরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক পোস্টার-যুদ্ধ। বৃহস্পতিবার সাত সকালে দেখা গেল, কেষ্টপুরে রাস্তার মাঝখানে অগ্নিমিত্রা পলের নামে পড়েছে ব্যানার। ডিভাইডারের গায়ে ঝোলানো হলুদ ব্যানারে লেখা, ‘অগ্নিমিত্রাকে চায়।’ সৌজন্য হিসেবে লেখা রয়েছে, ‘বাংলার অসুরক্ষিত মহিলা সমাজ।’ প্রশ্ন উঠেছে কারা দিল এমন পোস্টার? তবে কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে অগ্নিমিত্রাকে দেখতে চায় বিজেপির একাংশ?


ব্যানারে অগ্নিমিত্রাকে ‘বাংলার নারীশক্তির রক্ষাকবচ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৬-এ বাংলায় ভোট। পাশাপাশি বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি নির্বাচনও আসন্ন। তার সঙ্গে এই ব্যানারের যোগ থাকতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা।

২০২৬-এর ভোটের আগে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী হিসেবে মহিলা মুখ তুলে ধরতেই কি এই ব‍্যানার? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এই সব জল্পনায় আমল দিচ্ছে না বিজেপি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের দাবি, এটা আদতে আইপ্যাকের কাজ। তিনি বলেন, “অগ্নিমিত্রাকে আইসোলেট করার জন্য় আইপ্য়াক এই সব কাজ করেছে। কিন্তু, বিজেপিতে অনেক শিক্ষিত-বুদ্ধিমান লোক আছে। তারা সব বুঝতে পারবে। এগুলো করে আসলে মূর্খামি করছে।”


অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এই বিষয়টাকে আর তৃণমূলের পোস্টার-যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের পোস্টার-যুদ্ধ সামনে এসেছিল। প্রথমে ‘সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’ বলে পোস্টার পড়ার পর রাতারাতি ‘সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়’ পোস্টারে ভরে যায় দক্ষিণ কলকাতা।

সেই পর্ব কি আবারও ফিরতে চলেছে? বৃহস্পতিবার আদালতে জোরাল ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আবারও সিবিআই-এর নজরে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।


তালিকায় নাম রাজ চক্রবর্তীরও... বড় পদক্ষেপের আভাস দিল সিবিআই
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে নতুন তথ্য


বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি ছিল। এদিন আদালতে বড় তথ্য দিয়েছে সিবিআই। শুনানির নির্যাস, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই। কাদের ডাকা হতে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।


২০২২-২৩ সাল, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরপর গ্রেফতারি হয়েছে। ইডি-সিবিআই-এর জালে একের পর এক শাসক নেতা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা- সেই পর্ব কি আবারও ফিরতে চলেছে? বৃহস্পতিবার আদালতে জোরাল ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আবারও সিবিআই-এর নজরে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।

আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, বিকাশ ভবনের ওয়ার হাউজ় থেকে একটি তালিকা খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। তাতে ৩২১ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম ছিল। তার মধ্যে ১৩৪ জন চাকরিও পান। তাঁদের নাম রাজনৈতিক নেতারা সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি সিবিআই-এর। তাতে যেমন পার্থর হাজতবাসের মেয়াদ বাড়তে পারে, অন্যদিকে নতুন করে বিপাকে পড়তে পারেন অনেক নেতাই।



সমাজকর্মী ভি পোলাম্মা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, "২০০৫ সালে হিন্দু দত্তক ও রক্ষণাবেক্ষণ আইনের অধীনে মেয়েদেরও সম্পত্তিতে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। দত্তক আইনেও এই সমতা থাকা উচিত।"


দত্তক ছেলে বা মেয়ে নয়, পরিচয় শুধু 'সন্তান', বড় সিদ্ধান্ত এই রাজ্যের
প্রতীকী চিত্র।

পুত্র বা কন্যা নয়, পরিচয় হবে শুধু সন্তান। আইনি নথিতে এবার আর পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান উল্লেখ করা থাকবে না, সেখানে উল্লেখ থাকবে শুধুই সন্তান। বড় সিদ্ধান্ত নিল ছত্তীসগঢ় সরকার। শতাব্দী প্রাচীন দত্তক আইনে সংশোধন করা হল। লিঙ্গ বৈষম্য় ঘোচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সন্তান দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনি নথিপত্রে দত্তক পুত্র বা দত্তক কন্যা বলে আর উল্লেখ থাকবে না। তাদের পরিচয় দেওয়া হবে শুধুমাত্র সন্তান হিসাবেই।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের অর্থমন্ত্রী ওপি চৌধুরী বলেন, “১৯০৮ সালের এই আইনে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুত্র বলে উল্লেখ ছিল। এটা সেই যুগের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতারই পরিচয় ছিল। আমরা এই শব্দটি বদলে দত্তক সন্তান করেছি লিঙ্গ নিরপেক্ষতা ও মহিলাদের সম্মান দিতে।”


সমাজকর্মী ভি পোলাম্মা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, “২০০৫ সালে হিন্দু দত্তক ও রক্ষণাবেক্ষণ আইনের অধীনে মেয়েদেরও সম্পত্তিতে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। দত্তক আইনেও এই সমতা থাকা উচিত।”

আরেক সমাজকর্মী বিভা সিংও বলেন যে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য মিটল অবশেষে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরেক ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে ৪১৭টি শিশুকে দত্তক নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৪৬ জন কন্যাসন্তান। ছেলে হোক বা মেয়ে, দত্তকের নথিতে ‘দত্তক পুত্র’ বলেই উল্লেখ ছিল। এই নিয়েই অনেকে আপত্তি জানান। এরপরই সরকার দত্তক আইনে সংশোধন করল।




এই বিষয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু জানান, পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘোষণার পর থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বৈদ্যবাটি পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে।


বেলগাছিয়ার ভাগাড়ের ময়লা নিতে প্রস্তুত বৈদ্যবাটি!
বিকল্প ভাগাড়!


হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড় পরিবর্তনের বিকল্প খুঁজছে প্রশাসন। এবার প্রস্তুত হুগলি। বৈদ্যবাটি পুরসভার ৫২ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট। সেখানে প্রতদিন ৫০০-৬০০ টন বর্জ্য লিগাসি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে লাগে। হাওড়ার বর্জ্য নিতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে বৈদ্যবাটি পুর কর্তৃপক্ষ।


হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। একদিকে ভাগাড়ের সমস্যা, অন্যদিকে পানীয় জলের সমস্যা, স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে ফাটল। সব মিলিয়ে জেরবার এলাকাবাসী।এর মধ্যে পুর মন্ত্রী সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

এবার বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেই জঞ্জাল সরানোর জন্য। বেলগাছিয়ার ভাগাড়ের পরিবর্তে আবর্জনা ফেলা হবে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। সেখানে প্রায় আড়াইশো মেট্রিক টন আবর্জনাকে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলার পরই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বৈদ্যবাটি পুরসভা।


হুগলির বৈদ্যবাটিতে রয়েছে হুগলি জেলার আঞ্চলিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যেখানে শহরের সাতটি পুরসভার কঠিন বর্জ্য পদার্থ থেকে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সার ও অন্যান্য ব্যবহারযোগ্য জিনিস তৈরি করা হয়। পার্শ্ববর্তী জেলা শহর হাওড়ার সমস্যায় এবার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে হুগলির বৈদ্যবাটি। যার ফলে একদিকে সুরাহা পাবে হাওড়া জেলার মানুষ, অন্যদিকে শুধুমাত্র ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পড়ে না থেকে সেই বর্জ্য পদার্থকে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে কাজে লাগানো হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে।

এই বিষয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু জানান, পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘোষণার পর থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বৈদ্যবাটি পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে। কঠিন বর্জ্য পদার্থ, যা এখানে আনা হবে সেই জায়গাও প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৫২ একর জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈদ্যবাটির এই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট। যে পরিকাঠামো এখানে রয়েছে, তা দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণ আবর্জনা রিসাইকেল করা যায়। সাতটি পুরসভার আবর্জনা বৈদ্যবাটি প্ল্যান্টে জমা হয়। তাই হাওড়ার আবর্জনা এলেও অসুবিধা হবে না।

হাওড়ার বেলগাছিয়ার আবর্জনার স্তূপ অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে প্রথমে বিকল্প হিসাবে ধরা হয়েছিল শিবপুরের আরুপাড়া এলাকায়। সেখানে নতুন ভাগাড় তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। এদিকে, বেলগাছিয়ার ভাগাড়ের ধসে গোটা জেলার ময়লা নেওয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।



আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিগত কয়েক বছর ধরে আলু চাষে ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আলু চাষিরা। তাই তাঁদের দাবি ছিল, ধানের মতো আলুরও সহায়ক মূল্য নির্ধারন করুক সরকার।


 বস্তায় বস্তায় 'লস', সরকারের দাম হিসেব করে মাথায় হাত চাষিদের, সংসার চলবে কী করে!
আলুর বস্তা (ফাইল ছবি)


সরকারি দামে লাভ তো দূরের কথা, বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছেন আলুচাষিরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে। বস্তা-প্রতি যা কৃষকদের যা দাম দেওয়া হচ্ছে, তাতে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিগত কয়েক বছর ধরে আলু চাষে ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আলু চাষিরা। তাই তাঁদের দাবি ছিল, ধানের মতো আলুরও সহায়ক মূল্য নির্ধারন করুক সরকার। সেই সঙ্গে ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন কৃষকরা।


কৃষকদের হিসেব বলছে, আলুর উৎপাদন খরচ বস্তা পিছু ৪৬৫ টাকা। আর সেই বস্তা সরকার কিনছে ৪৫০ টাকায়। অর্থাৎ চাষিদের ক্ষতি হচ্ছে বস্তা পিছু ১৫ টাকা করে। বিঘা প্রতি ক্ষতির পরিমাণ ৭৫০ টাকা। সরকারের সহায়ক মূল্য নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কৃষক মহলে।

চলতি বছরে গড়ে বিঘা প্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে ৮০ বস্তা (৫০ কেজি)। গড়ে সেই আলুর উৎপাদন খরচ বস্তা পিছু ৪৪০ টাকা। তার সঙ্গে রয়েছে বস্তার দাম, বাছাই খরচ এবং হিমঘর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার খরচ। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত ২৫ টাকা করে খরচ পড়ে বস্তা পিছু।


অর্থাৎ বস্তা প্রতি সব মিলিয়ে খরচ দাঁড়াচ্ছে ৪৬৫ টাকা করে। কিন্তু সরকার হিমঘর থেকে চাষিদের থেকে আলু কিনবে ৪৫০ টাকায়। আর তাতেই বিঘা প্রতি ক্ষতি হচ্ছে ৭৫০ টাকা করে। তিন মাস ধরে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার উপর খরচ করে এক বিঘা জমিতে চাষ করেন কৃষকরা। আর অভিযোগ, সেখানে লাভের বদলে উল্টে বিঘা প্রতি ক্ষতি হচ্ছে ৭৫০ টাকা করে।

অন্যদিকে, ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে এখনও জারি আছে নিষেধাজ্ঞা ফলে ব্যবসায়ীদের আলু কেনার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা আলু না কিনলে আলুর দাম নিম্নমুখীই থাকবে ফলে বর্তমানে ব্যাপক ক্ষতির মুখে আলুচাষিরা।

তবে সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কৃষি দফতরের যুক্তি, ব্যবসায়ীরা যাতে চাষিদের থেকে কম দামে আলু কিনতে না পারে, তার জন্যই সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে চাষিদেরই লাভ।

কৃষি দফতরের এই যুক্তিকে হাস্যকর বলে দাবি আলু ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, ভিনরাজ্যে রফতানি বন্ধ রাখলে কোনোমতেই চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন না।

সম্প্রতি মঞ্চে ঝড় তুললেন রূপম ইসলাম। এমনিতে গায়কের একক শো বা ফসিলস-এর শোয়ে অনুরাগীদের ভিড় সামলানো মুশকিল হয়। তবে এদিন সেরকম কোনও শো ছিল না। বরং 'দুর্গাপুর জংশন' ছবির জন্য 'সায়ানাইড' গানটা গেয়েছেন রূপম। সেই গানের লঞ্চেই মঞ্চে পারফর্ম করতে দেখা গেল রূপমকে। 


তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
'সায়ানাইড'-এর সঙ্গে কীভাবে জুড়লেন রূপম ইসলাম?



সম্প্রতি মঞ্চে ঝড় তুললেন রূপম ইসলাম। এমনিতে গায়কের একক শো বা ফসিলস-এর শোয়ে অনুরাগীদের ভিড় সামলানো মুশকিল হয়। তবে এদিন সেরকম কোনও শো ছিল না। বরং ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির জন্য ‘সায়ানাইড’ গানটা গেয়েছেন রূপম। সেই গানের লঞ্চেই মঞ্চে পারফর্ম করতে দেখা গেল রূপমকে। তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। অরিন্দম ভট্টাচার্য পরিচালিত এই ছবিতে বিক্রমকে প্রধান মুখ হিসাবে দেখা যাবে। কিছু দিন আগে সোহিনী সরকারের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিক্রমের ‘অমর সঙ্গী’ ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের পর এপ্রিলের শেষে আবার বড়পর্দায় দেখা যাবে বিক্রমকে।

এই গানটা লিখেছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়, কৌস্তুভ কেসি আর রৌনক চক্রবর্তী। ছবিতে যে ঘটনার উল্লেখ থাকবে, সেই কথা মাথায় রেখেই গানের কথা সাজানো হয়েছে। রূপম ইসলামের অনুরাগীরা ফসিলস-এর বিভিন্ন গানের দিকে নজর রাখেন। তবে রূপমের পরিধি সেখানেই শেষ নয়। বাংলা ছবিতে গত দশ বছরে যেসব গান সুপারহিট হয়েছে, তার অনেকগুলো গেয়েছেন রূপম। আবার বাংলা ছবিতে সঙ্গীত পরিচালক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত একটা ছবিতে আবার রূপম গান গেয়েছেন ক্যাকটাসের সিধুর সঙ্গে। প্রথমবার দু’জনে একসঙ্গে প্লেব্যাক করলেন বলেই তাঁরা উচ্ছ্বসিত ছিলেন। লক্ষণীয় এপ্রিলে বেশ কয়েকটি বাংলা ছবির মুক্তি রয়েছে। পয়লা বৈশাখের মরসুমের পর এপ্রিল জুড়ে পাঁচটা বাংলা ছবি মুক্তি পাবে। এই মুহূর্তে সবক’টা ছবির প্রচারই শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর জংশন ছবির প্রচার শুরু হলো মঞ্চে রূপম-বিক্রমের ডুয়েট দিয়ে।




রেলপথে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তথা রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে সারদার দেবীর পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিকে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। 

তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। যদিও তারপর একাধিকবার থমকেছে কাজ।

জট কাটিয়ে 'মায়ের গাঁ' জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা, এক্সপ্রেসের দাবি পৌঁছাল দিল্লির দরবারে
দিনভর দেখা গেল উচ্ছ্বাসের ছবি


 দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে সারদা দেবীর পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা। এদিন কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন জয়রামবাটির পবিত্র মাটি ছুঁতেই ট্রেনকে ঘিরে উপচে পড়ল এলাকার হাজার হাজার মানুষের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস আর আবেগ। অন্যদিকে এদিনই কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির ট্রেন যাত্রার প্রসঙ্গ লোকসভায় তুলে দ্রুত ওই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, এরপর সবুজ সঙ্কেত পেলে লোকাল এক্সপ্রেস সবই চলবে ওই লাইনে। 


রেলপথে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তথা রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে সারদার দেবীর পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিকে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। নানা উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে গোটা প্রকল্প। ধাপে ধাপে প্রকল্পের কাজ শেষ করে কখনও বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত আবার কখনও সেই রেলপথ সম্প্রসারিত করে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করেছে রেল। কিন্তু, তারপর থেকেই ভাবাদিঘি সমস্যার কারণে শ্লথ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ধীর গতিতে হলেও চলতি বছরের গোড়াতেই ময়নাপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হয়। 


নতুন পথে গোপীনাথপুর ও জয়রামবাটি দু’টি স্টেশন তৈরি করা হয়। তারপরেই রেলের তরফে ঘোষণা করা হয় মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে। আর তারই প্রক্রিয়া হিসাবে এদিন আরও একধাপ এগলো রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন চালানো হয় সম্প্রসারিত ওই রেলপথে। বিশেষ ট্রেন হলেও এই প্রথম মায়ের গাঁয়ে পৌঁছাচ্ছে ট্রেন। স্বাভাবিকভাবেই জয়রামবাটির মাতৃ মন্দিরের সন্যাসী ভক্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আবেগ আর উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এদিন রেলের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের বহু আগে থেকেই ট্রেন দেখতে সাধারণ মানুষেরা ভিড় জমান জয়রামবাটি স্টেশনে। উপচে পড়া সেই ভিড় ঠেলে সাড়ে তিনটা নাগাদ কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন পৌঁছে যায় মায়ের দেশে। প্রথম দিনের এই ট্রেন যাত্রার সাক্ষী থাকতে স্টেশনে হাজির ছিলেন মাতৃ মন্দিরের ভক্ত সন্যাসীরাও। খুশি স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, আগামীদিনে ওই রেলপথে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হলে জয়রামবাটিতে দেশ-বিদেশের ভক্তদের আনাগোনা যেমন সহজতর হবে, তেমনই বদলে যাবে গোটা এলাকার আর্থ সামাজিক পরিবেশও। দেশের পর্যটন মানচিত্রেও করে নিতে পারে বড় জায়গা।  

বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ নিয়ে নানা গল্প নানা সময়ে লেখা হয়, তবে সেই সময়ে সিনেমা পাড়ার নানা অজানা গল্প লিখে গেছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। উত্তম কুমার বাঙালির ম্যাটিনি আইডল । তাঁকে নিয়ে ছবি করার বাসনা নিয়ে বহু প্রযোজক পরিচালক অভিনেতারা বসে থাকতেন।


তরুণ মজুমদার সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন উত্তম কুমারকে, আর তারপরের ঘটনা জানলে বুঝবেন কেন তিনি উত্তম



বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ নিয়ে নানা গল্প নানা সময়ে লেখা হয়, তবে সেই সময়ে সিনেমা পাড়ার নানা অজানা গল্প লিখে গেছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। উত্তম কুমার বাঙালির ম্যাটিনি আইডল । তাঁকে নিয়ে ছবি করার বাসনা নিয়ে বহু প্রযোজক পরিচালক অভিনেতারা বসে থাকতেন। তবে তাঁকেও ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। কথাটা শুনেই নিশ্চিত রে-রে করে তেড়ে আসতেই পারেন, তবে যাঁকে নিয়ে এই উক্তি তাঁর গল্প শুনলে অবাক হবেন সবাই।


সেই সময় তরুণ মজুমদার ‘পলাতক’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সবে, তবে ঐ রকম বাউণ্ডুলে চরিত্র কাকে দিয়ে করবেন ভাবছেন সেই সময়, সিনে ইন্ডাস্ট্রির একজন খবর দিলেন, থিয়েটার পাড়ায় একটি ছেলে রয়েছে যাঁকে মূলত সবাই কমেডিয়ান হিসেবেই ব্যবহার করে। নাম অনুপ কুমার। তবে ছবির প্রযোজক ঠিক হয়নি। প্রসঙ্গত ভাল গল্পের জন্য প্রযোজকের আকাল সবসময়ই ছিল মনে হয়।

যাই হোক এবার আসল বিষয় , ছায়াবাণী প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার অসিত চৌধুরি তরুণ মজুমদারের পলাতক ছবির গল্প শুনতে ডেকে পাঠালেন। তরুণ মজুমদার যখন অফিস পৌঁছন দেখেন উত্তম কুমার বসে আছেন। তরুণ মজুমদার একটু অবাক হলেও উত্তম বাবুর সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক বলে শুরু করলেন চিত্রনাট্য পড়া। চিত্রনাট্য শুনে বাহবা দিয়ে বিদায় নিলেন উত্তম কুমার। এর কয়েকদিন পরেই প্রযোজক অসিত চৌধুরী ফোন করে জানালেন, ছবিটি তিনি প্রযোজনা করছেন এবং ছবির প্রধান চরিত্রে উত্তম কুমার করবেন। তবে এই কথা শুনে তরুণ মজুমদার বিপদে পড়ে যান, কারণ তিনি এই চরিত্রের জন্য অনুপ কুমারকে ভেবে রেখেছেন। উত্তম কুমার নয়। অবশেষে তিনি নানা দিক ভেবে ঠিক করেন উত্তম কুমারের কাছেই তিনি যাবেন, সেই মত তিনি পৌঁছন নিউথিয়েটার স্টুডিও। সেখানেই মেকআপ রুমের সামনে কাচের গ্লাসে চা খাচ্ছেন উত্তম কুমার। উত্তম কুমারকে তরুণ মজুমদার বলেন, একটু কথা আছে কিছু সময় দরজা বন্ধ করে বসা যায়? উত্তম কুমার নিজেই দরজায় ছিটকিনি দিলেন। এর পর সবটা বুঝিয়ে বললেন তরুণ মজুমদার। তবে উত্তম কুমার তরুণ মজুমদারের কাঁধে হাত রেখে বললেন, আমি বুঝিয়ে বলবো আপনি ভাববেন না।


এর পর বেশ কিছু জল গঙ্গা দিয়ে বয়ে চলে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে ‘যাত্রীক’ অর্থাৎ তরুণ মজুমদার, দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও শচিন মুখোপাধ্যায় এই তিনজন এর পরিচালনায় তৈরি হয় ‘পলাতক’। এই ছবিতেই মুখ্য চরিত্রে দেখা যায় অনুপ কুমারকে। পরবর্তী সময়ে এই ছবির হিন্দি রিমেক হয় ‘রাহগির’ নামে।

তবে তরুণ মজুমদার তাঁর সিনেমা পাড়া দিয়ে বইতে লিখেছেন, উত্তম কুমারের মত এত বড় অভিনেতা অনায়াসে সহজ করে নিয়েছেন পরিস্থিতি। তাঁর বাদ পড়াতে এতটুকু খারাপ হয়নি তাঁদের সম্পর্ক। তরুণ মজুমদার আরও লেখেন অনেকেই বাংলা ছবির এই তারকাদের এই দিকগুলো জানেন না। ভালো অভিনেতার পাশাপাশি বড় একটা হৃদয় ছিল তাঁর। তাই তো মহানায়ক।

গঙ্গাসাগরে একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে স্বামী বিবেকানন্দ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তির উন্মোচন করা হলো


গঙ্গাসাগরের বিষ্ণুপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্বামী বিবেকানন্দ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তির উন্মোচন করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তারসাথে বিদ্যালয়ে বসানো হলো সিসি ক্যামেরা। মূর্তির উন্মোচনের পাশাপাশি গুণী ব্যক্তিদের সম্মাননা। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। 
এর পাশাপাশি এই স্কুলের সিসিটিভি থেকে শুরু করে একাধিক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। এদিন এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানিয়েছেন এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে যাতে তারা এগিয়ে যায় সেই লক্ষ্যে দুটো কম্পিউটার স্কুলের জন্য দেবেন।

আজকের এই অনুষ্ঠানে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সাগরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি সহ-সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান, উপপ্রধান হরিপদ মন্ডল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। 


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার


দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বদলি প্রসঙ্গে ক্ষোভ চড়ায় ছয় রাজ্যের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানরা। এমনকি, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, 'আমরা কোনও আবর্জনা ফেলার জায়গা নই।'


'বদলি থামিয়ে দায়ের হবে FIR', নগদ-কাণ্ডের বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ বার-প্রধানরা
প্রতীকী ছবি

 বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে ১৫ কোটি টাকা উদ্ধারের পরেও, তার বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে বারংবার অভিযোগ তুলেছে আইনজীবীমহল থেকে রাজনীতিকরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিচারপতি নিয়োগে যুক্ত কলোজিয়াম কাঠামোও। এমনকি এত পরিমাণ নগদ উদ্ধারের পর সেই ‘বিতর্কিত’ বিচারপতিকে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বদলি করে দেওয়ার নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়াম। আর তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।


দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বদলি প্রসঙ্গে ক্ষোভ চড়ায় ছয় রাজ্যের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানরা। এমনকি, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কোনও আবর্জনা ফেলার জায়গা নই।’

ইতিমধ্যেই বিচারপতি বর্মার বদলির বিরোধিতা করে দেশের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, গুজরাত, এলাহাবাদ, কর্নাটক, কেরল ও লখনউ হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানরা। চিঠিতে নগদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতির বদলির বিরোধিতা করার পাশাপাশি, তাঁকে সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন এই বার প্রধানরা।


এই মর্মে বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বার প্রধানদের দাবিকে খতিয়ে দেখে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন, বলে জানালেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনিল তিওয়ারি। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে, এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হলেও, তাকে বিচারবিভাগীয় সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির আশ্বাসের পর এলাহাবাদ হাই কোর্টে চলা ধর্মঘট বন্ধ করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করবে বলে জানিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। নগদ-কাণ্ডের পর প্রায় দিন পনেরো হতে চললেও, এখনও পর্যন্ত কোনও রকম FIR দায়ের করা হয়নি সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে। শীর্ষ আদালতে পাঠানো বার প্রধানদের ওই চিঠিতে সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও আর্জি জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দোলের ছুটি চলাকালীন পরিবারকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। সেই সময়ই তাঁর বাংলোতে আগুন লেগে যায়। যা নেভাতে তড়িঘড়ি ছুটে যায় দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর পর কী কী ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে যেতেই চমকে যান দমকল কর্মীরা। উদ্ধার হয় থরে থরে টাকার বান্ডিল।



কিছুদিন আগেই রাম নবমীতে ১ কোটি বাঙালিকে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সাফ বলেছিলেন, “গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে।” এমনকী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও পরবর্তীতে দফায় দফায় তোপ দেগেছিলেন তিনি।


রাম নবমী ৬ তারিখে, এখন থেকে প্র্যাকটিস করতে হবে তো!’, কী প্র্যাকটিস করার কথা বলছেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু অধিকারী


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ দলের বিধায়ক ও কর্মীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বারুইপুরে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনেই বড় কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। অনুমতি পেতে ছুটতে হয়েছিল হাইকোর্টে। অনুমতি পেতেই সেই সভা থেকে এদিন দফায় দফায় পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। উঠে এল রাম নবমীর প্রসঙ্গও। মঞ্চে উঠেই দিলেন ‘জয় শ্রী রাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়ের’ মতো স্লোগান। স্লোগানকে হাতিয়ার করেই কর্মীদের দিলেন নতুন অক্সিজেন। 


শুভেন্দু যখন জয় শ্রী রাম স্লোগান দিচ্ছেন তখন বেশ কিছু কর্মী তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। কিন্তু, স্লোগানের ঝাঁঝ কম দেখে সঙ্গে সঙ্গেই শুভেন্দু বলে ওঠেন, “আরও জোরে, আরও জোরে বলুন। ৬ তারিখে তো রাম নবমী। এথন থেকে প্র্যাকটিস করতে হবে তো!” ফের কিছুটা থেমে ফের রণ হুঙ্কারের সুরেই দেন জয় শ্রী রাম। পাল্টা গর্জে ওঠেন সমবেত কর্মীরা। সুর এক্কেবারে সপ্তমে। পিছনে তখন বসে অগ্নিমিত্রা পাল, তাপস রায়ের মতো নেতারা। তাঁদেরও গলা মেলাতে দেখা যায় শুভেন্দুর সঙ্গেই।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাম নবমীতে ১ কোটি বাঙালিকে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সাফ বলেছিলেন, “গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে।” এমনকী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও পরবর্তীতে দফায় দফায় তোপ দেগেছিলেন তিনি। সাফ বলেছেন, রাম নবমীর মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুলিশের প্রোফর্মা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “আমরা সব জায়গায় বলে দিচ্ছি এই প্রোফর্মা কেউ ফিলাপ করবেন না। প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।” এখানেই কপালে চিন্তার ভাঁজ চাওড়া হয়েছে বিজেপি নেতাদের। এদিন ফের বারুইপুর থেকে সেই পুলিশকেই চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল শুভেন্দুকে।  

বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের গাড়িতে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারল একটি বাস! বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐশ্বর্য বিলাসবহুল গাড়ি। এই দুর্ঘটনার ভিডিও জনপ্রিয় পাপারাজ্জি বরিন্দর চাওলার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেই ভাইরাল হয়েছে।


ঐশ্বর্যর গাড়িতে বাসের ধাক্কা! বচ্চন পরিবারে বড় অঘটন



বুধবার দিন দুপুরে মুম্বইয়ের রাস্তায় ঘটে গেল বড়সড় অঘটন। বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের গাড়িতে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারল একটি বাস! বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ঐশ্বর্য বিলাসবহুল গাড়ি। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ির পিছনের অংশ। তবে গাড়ির ভিতর ঐশ্বর্য বা বচ্চন পরিবারের অন্য কেউ ছিলেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই দুর্ঘটনার ভিডিও জনপ্রিয় পাপারাজ্জি বরিন্দর চাওলার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইরাল হয়েছে।

এখনও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি ঐশ্বর্য বা বচ্চন পরিবারের কেউ। তবে অনুরাগীরা বেশ দুশ্চিন্তায়। সূত্রের খবর ঐশ্বর্যর গাড়িতে বাসের ধাক্কা লাগার পর বেশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যায় মুম্বইয়ের রাস্তা। তারপর ঐশ্বর্যর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়।

দিলীপ ঘোষের দা কেনার কারণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল দিলীপও স্পষ্ট জবাব দেননি। বুধবার টিভি৯ বাংলাকে দা কেনার কারণ জানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।


'চিনের মতো যে কেউ পিটিয়ে দিয়ে যাবে', দা কেনার ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ
দা হাতে দিলীপ ঘোষ (ফাইল ফোটো)


মেলা থেকে হঠাৎ কেন দা কিনলেন তিনি? দা কিনে কী বার্তা দিতে চেয়েছেন? গতকাল তিনি নিজেই হেঁয়ালি করে উত্তর দিয়েছিলেন। তাতে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনা আরও বেড়েছিল। অবশেষে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেলা থেকে দা কেনার কারণ জানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


গতকাল কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপ গ্রামে গোপীনাথ মেলায় গিয়েছিলেন দিলীপ। মেলা ঘুরে একটি দোকান থেকে দা কেনেন তিনি। আর দা কেনার কারণ হিসেবে গতকাল জানিয়েছিলেন, “দা অনেক কাজে লাগে। বুঝতে পারবেন যখন কাজ হবে। এক দা’তে সব কাজ হয়ে যাবে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে কী বোঝাতে চাইলেন দিলীপ। গতকাল থেকেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বুধবার টিভি৯ বাংলাকে দা কেনার কারণ জানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “আমি রাজনীতির মধ্যে থেকেও অরাজনৈতিক জীবনযাপন করি। অরাজনৈতিক প্রোগ্রামেই যেতাম। গতকাল মেলায় গিয়েছিলাম। মেলায় অনেককিছু পাওয়া যায়। লোকে কিছু না কিছু কেনে। কী কিনব? আমার বাড়িতে নারকেল দিয়ে গিয়েছে এক বস্তা। কিন্তু, দা নেই। তরোয়াল অবশ্য রয়েছে। তরোয়াল দিয়ে তো নারকেল ভাঙা যায় না। তাই একটা দা কিনলাম। তা নিয়ে লোকের চিন্তা শুরু হয়েছে। দিলীপদার হাতে দা কেন? দাদার হাতেই তো দা থাকবে।”




 মাঠে নামার আগেই বড় ধাক্কা KKR-এ, তারকাকেই পাচ্ছে না নাইটরা


আইপিএলের ১০টি টিমের একটি করে ম্যাচ এই চলতি মরসুমে হয়ে গিয়েছে। আজ, বুধবার বর্ষাপাড়ায় কেকেআর ও রাজস্থানের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ। জেনে নিন কেমন হল দুই দলের একাদশ।

 মাঠে নামার আগেই বড় ধাক্কা KKR-এ, তারকাকেই পাচ্ছে না নাইটরা
মাঠে নামার আগেই বড় ধাক্কা KKR-এ, তারকাকেই পাচ্ছে না নাইটরা


কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) এবং রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) এই আইপিএল (IPL) মরসুম শুরু করেছে হার দিয়ে। এ বার কোন দল ঘুরে দাঁড়ায় সেটাই দেখার পালা। বর্ষাপাড়ায় আজ মুখোমুখি কেকেআর এবং পিঙ্ক আর্মি। দুটো দলই হারের লজ্জা এড়াতে চাইবে। মাঠে নামার আগে কেকেআর শিবিরে বড় ধাক্কা। কারণ, সুনীল নারিনের মতো তারকাকে পাওয়া যাবে না আজকের ম্যাচে। টস ভাগ্য আজ সঙ্গ দিয়েছে রাহানের। কিন্তু তারপর যা খবর শোনালেন তিনি, তা কেকেআরের অনুরাগীদের মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার মতো।


বর্ষপাড়ায় টসের পর রাহানে বলেন, “আমরা প্রথমে বোলিং করব। উইকেট ভালো দেখাচ্ছে। এখানে শিশিরের বিরাট প্রভাব পড়বে। এখানে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে চাই। ভয়ডরহীন খেলতে চাই। আমরা আগের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আজ নারিনকে আমরা পাব না। ওর বদলে মইন একাদশে এসেছে।”

কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশ: কুইন্টন ডি’কক, অজিঙ্ক রাহানে, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, মইন আলি, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, হর্ষিত রানা, স্পেন্সর জনসন, বৈভব আরোরা, বরুণ চক্রবর্তী।


ইমপ্যাক্ট বিকল্প-অংক্রিশ রঘুবংশী, অনরিখ নর্টজে, মনীশ পান্ডে, অনুকূল রয়, লাভনীথ সিসোদিয়া।

রাজস্থান রয়্যালসের সম্ভাব্য একাদশ: সঞ্জু স্য়ামসন, যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ, নীতীশ রানা, ধ্রুব জুরেল, শিমরন হেটমায়ার, তুষার দেশপান্ডে, জোফ্রা আর্চার, ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা, মহেশ থিকসানা, সন্দীপ শর্মা।

রেল লাইনের পাশে চালু রাস্তা হঠাৎই কেটে বন্ধ করে দেওয়া হলো ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীরা।


রেলগেটের দাবিতে উকিলের হাট স্টেশনের পাশে রোডে রেল ক্রসিং - এর ওপরে রেললাইনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেন স্থানীয় থেকে শুরু করে ক্ষুদে পড়ুয়ারা


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের উকিলের হাটের একটি রাস্তা যেটি স্টেশন রোড হিসেবে পরিচিত। এই রাস্তা উকিলেরহাট বাজার হয়ে ফটিকপুর, বিশালক্ষীপুর এবং বামানগরের উপর দিয়ে গঙ্গাধরপুর রোডের হসপিটাল মোড়ে সংযোগ হচ্ছে। কাকদ্বীপ অক্ষয় নগর নতুন রাস্তার পরে নামখানা রোডে এটি একটি মাত্র রাস্তা, যেটি গঙ্গাধরপুর রোডকে সরাসরি ন্যাশনাল হাইওয়ে ১১৭ তে সংযোগ করছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এবং তার সাথে প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী ও এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে পাশাপাশি এই রাস্তা উপর নির্ভর করেই চলে প্রচুর মানুষের জীবন জীবিকা। বামানগর হাইস্কুল যেটি এই রাস্তাতেই অবস্থিত উকিলের থেকে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী এই স্কুলে পড়ে তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা তার সাথে উকিলের বাজার এলাকায় একটি স্কুল রাজনগর স্কুল সেখানেও প্রচুর পরিমাণে ছাত্রছাত্রী এই রাস্তা থেকেই যাতায়াত করে। 
হঠাৎ করে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অসুবিধায় করেছে পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগীর গাড়ি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত। 

দীর্ঘদিন ধরে রেলের বিভিন্ন দপ্তরে এই এলাকার মানুষ রেলগেটের দাবিতে লিখিত জানালেও রেল দপ্তর নিশ্চুপ বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ২৫ শে মার্চ মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের অজ্ঞাতে রেললাইনের পাশে এই রাস্তা প্রায় ছয় ফুট গভীর করে কেটে দেওয়া হয়। এবং লোহার খুঁটি দিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে ব্যাহত হয়েছে এই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত থেকে শুরু করে দৈনন্দিন নিত্য যাত্রীদের যাতায়াত। 

আন্দোলনকারীরা জানান অবিলম্বে এই রাস্তা ঠিক করে দিতে হবে। এবং যত শীঘ্রই সম্ভব একদিনের মধ্যেই রেলগেট তৈরি করে দিতে হবে। তবেই তারা এই আন্দোলন তুলবেন বলে জানান। 


উকিলেরহাট থেকে মুন্না সরদারের রিপোর্ট কাকদ্বীপ ডট কম

কন্টেনার গাড়িতে মাদক পাচারের ছক, বাজেয়াপ্ত কেজি কেজি মাদক

মাছের ক্রেটের আড়ালে মাদক পাচার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মগরাহাটে কয়েক কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত। ডায়মন্ডহারবার পুলিশের জালে ১। ভিন রাজ্য থেকে মাদক পাচারে চেষ্টা বলে জানা গেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের অভিযান। গাড়ি আটকাতেই পালিয়ে যান চালক। কন্টেনার গাড়ির মধ্যে আলাদা একটি কেবিন করে যার মধ্যে রাখা রয়েছে মাদক।
 গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত কেজি কেজি মদক। গাড়িকে কেন্দ্র করে ভিড় করেন পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয়রা।   

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার 

ম্যান সিটি ও টেকনো ইন্ডিয়ার মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা। লন্ডনে শিল্প বৈঠকে টেকনো ইন্ডিয়ার তরফে উপস্থিত ছিলেন সত্যম রায়চৌধুরী। পাশাপাশি ম্যান সিটির শীর্ষ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতার লন্ডন সফরে ম্যান সিটির সঙ্গে মউ চুক্তি টেকনো ইন্ডিয়ার
মমতার লন্ডন সফরে ম্যান সিটির সঙ্গে মউ চুক্তি টেকনো ইন্ডিয়ার

লন্ডন সফরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই এ বার ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। খুব শীঘ্রই কলকাতায় খুলবে ম্যান সিটি ফুটবল স্কুল। ভারতীয় ফুটবলের (Indian Football) উন্নতির লক্ষ্যে প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয় ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার সিটির (Manchester City) সঙ্গে চুক্তি টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের।


লন্ডনে ম্যান সিটির অফিসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিশেষজ্ঞ কোচরাই কলকাতার ফুটবল স্কুলে ট্রেনিং দেবেন। এই ফুটবল স্কুলের মূল লক্ষ্য আধুনিক মানের পরিকাঠামো, উন্নত মানের ট্রেনিং দিয়ে ফুটবলার গড়ে তোলা।


একবার এই স্কুল চালু হলে ইংল্যান্ড থেকে অভিজ্ঞ কোচেদের নিয়ে আসা হবে। ওই স্কুলে ট্রেনিং নেওয়া তরুণ-তরুণীদের শুধু ফুটবলের দক্ষতাই নয়,গুরুত্ব দেওয়া হবে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের উপরেও। ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্লেয়ারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে। এরপর বিশেষ প্রতিভাবান ফুটবলারদের ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হবে। ম্যান সিটির নিজস্ব যে পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে ভারতের প্রতিভাবান ফুটবলাররা অনুশীলন করতে পারবে।

ম্যান সিটি ও টেকনো ইন্ডিয়ার মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা। লন্ডনে শিল্প বৈঠকে টেকনো ইন্ডিয়ার তরফে উপস্থিত ছিলেন সত্যম রায়চৌধুরী। পাশাপাশি ম্যান সিটির শীর্ষ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে একটি ম্যান সিটির জার্সি উপহার দেওয়া হয়েছে। চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর মমতা বলেছেন, “ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের একটা আবেগের সম্পর্ক। আপনারা প্রায় সকলেই জানেন ফুটবল কতটা ভালোবাসে বাংলা। একইসঙ্গে কতটা ক্রিকেট ভালোবাসে। বাংলার তিনটি ক্লাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান। আরও একাধিক ক্লাব আছে। আমি সকল ক্লাবের জন্ইয গর্বিত। আর আমি খুশি যে সত্যমরা এই চুক্তি করল।”

প্রসঙ্গত, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যে টার্গেটও সেট করে দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, কয়েক সপ্তাহ আগেই বড় কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবৎ।

‘শুভেন্দুর ধর্মযুদ্ধের আহ্বান সময়োচিত’, RSS-র মুখপত্রে বিরোধী দলনেতার ভূয়সী প্রশংসা
শুরু নতুন জল্পনা


বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় আরএসএসের মুখপত্র স্বস্তিকায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা। তা নিয়েই এবার নতুন চর্চা। ‘অর্ধমকে উৎখাত করতে শুভেন্দু অধিকারীর ধর্মযুদ্ধের আহ্বান সময়োচিত। তাঁকে অস্ত্র-বুদ্ধি-উপদেশ দেওয়ার দায়িত্ব সকলের। নইলে পাপের ঘরের চক্রব্যুহ ভেদ করা তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয়।’ এ কথাই লেখা হল স্বস্তিকায়। একইসঙ্গে আরও লেখা হল, ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে নিজেকে হিন্দু বলে তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমান ভারতে এই সাচ্চা ভাবটাই প্রয়োজন।’ 


প্রসঙ্গত, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যে টার্গেটও সেট করে দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, কয়েক সপ্তাহ আগেই বড় কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবৎ। করেছেন দফায় দফায় বৈঠক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে তাতেই যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বাংলার পদ্ম ব্রিগেড। 


এরইমধ্যে আবার হিন্দুত্ববাদের লাইনে হেঁটে সোজাসাপটা প্রচার কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছে বিজেপি। ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, ছাব্বিশে বিজেপি সরকার চাই’, গোটা রাজ্যেই এই লাইনে পোস্টার ফেলেছে পদ্ম শিবির। যা নিয়ে চাপানউতোরের অন্ত নেই। অন্যদিকে তৃণমূলের ‘তোষণের’ রাজনীতি নিয়েও লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা আক্রমণ আসছে ঘাসফুল শিবির থেকেও। এই আবহে স্বস্তিকায় শুভেন্দুর প্রশংসা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিতর্কিত এই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ে 'সংবেদনশীলতার অভাব' বলেই উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।


'এটা এক মুহূর্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়...' স্তনে হাত দেওয়া ধর্ষণের চেষ্টা নয়, হাইকোর্টের রায়কে 'অসংবেদনশীল' বলল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট।


স্তনে হাত দেওয়া বা পাজামার দড়ি ছেঁড়া ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। বিতর্কিত এই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ে ‘সংবেদনশীলতার অভাব’ বলেই উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।


উত্তর প্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলাতেই এই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অভিযুক্তরা নাবালিকাকে ব্রিজের নীচে টেনে নিয়ে গিয়ে, জামা-কাপড় ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নাবালিকার চিৎকারে পথচলতি কয়েকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে। তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই ধারা কমিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার বদলে যৌন হেনস্থা বলে উল্লেখ করে।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের পরই দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্ট স্বত্বঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা গ্রহণ করে। এ দিন শীর্ষ আদালতে বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে রায়দানকারীর সংবেদনশীলতার অভাব প্রকাশ করেছে। এটা কোনও এক মুহূর্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত বা রায় নয়, এটা চিন্তাভাবনা করে রায় কারণ বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৪ মাস পর রায়দান করা হয়েছে।”


সুপ্রিম কোর্ট বলে, “আমরা সাধারণত মামলার এই স্তরে এসে স্থগিতাদেশ দিই না। কিন্তু যেহেতু এই রায়ের ২১, ২৪ ও ২৬ অধ্যায়ে মানবিকতার অভাব ও আইনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাই আমরা স্থগিতাদেশ দিচ্ছি।”

সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কেন্দ্র ও উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগের থেকে তামিম ভালো থাকলেও তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা পুরোপুরি মেটেনি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন তামিমকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎকসরা।


কেমন আছেন তামিম ইকবাল? মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে বললেন, 'হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে...'
কেমন আছেন তামিম ইকবাল?


কলকাতা: দিনদুয়েক আগে এক ম্যাচের মাঝে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ২ বার হার্ট অ্যাটাক হয় বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবালের (Tamim Iqbal)। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছনোর পর দেখা যায়, তামিমের হার্টে ব্লকেজ ছিল। এরপর সফলভাবে রিং পরানো হয়েছে। এখন কেমন আছেন তিনি? নিজেই শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন।


হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর এখন কেমন আছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার? নিজের শারীরিক অবস্থার কথা ফেসবুকে লিখতে গিয়ে তামিমের মনে পড়েছে এক কাছের মানুষের কথা। নিজের ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, “দুই বছর আগে এই রোজার সময়েই অনুপের কাছে গিয়েছিলাম। সেদিন জানতে পারলাম, অনুপের বাবা ৪ বছরেও হার্টের অপারেশন করতে পারেননি।” সেখানে থেমে থাকেননি তিনি। আরও লেখেন, “হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যে কোনও ঘোষণা না করেই থেমে যেতে পারে। আর আমরা এই কথাটি বার বার ভুলে যাই।” এরপরই এই কঠিন সময়ে যাঁরা তামিমের পাশে থেকেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার।

আগের থেকে তামিম ভালো থাকলেও তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা পুরোপুরি মেটেনি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন তামিমকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎকসরা। উল্লেখ্য, মাঠ থেকে প্রথম তামিমকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রথমে চিকিৎসকদের ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আগেই হাসপাতাল বদলে দেওয়া গিয়েছে তামিমের। বর্তমানে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন।



 ১৬ দিন আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বাঘেল ক্ষমতায় থাকাকালীন মদ দুনীর্তি এবং সেখানে আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তেই অভিযান চালিয়েছিল ইডি। আজ এবার হানা সিবিআইয়ের।


ইডির পর এবার সিবিআই, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িই যেন 'দ্বিতীয় ঠিকানা' তদন্তকারীদের!
ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে তল্লাশি।


প্রথমে ইডি, এখন সিবিআই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঘনঘন হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির। আজ, বুধবার সকালেই ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও তাঁর ছেলে চৈতন্যের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। রায়পুর ও ভিলাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। এছাড়াও রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই।


১৬ দিন আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বাঘেল ক্ষমতায় থাকাকালীন মদ দুনীর্তি এবং সেখানে আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তেই অভিযান চালিয়েছিল ইডি। আজ এবার হানা সিবিআইয়ের। তবে কোন মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি সিবিআই।

এদিকে, কংগ্রেস নেতার টিমের তরফে এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে লেখা হয়, “এবার সিবিআই এল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের আজ দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ড্রাফ্টিং কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে। তার আগে সিবিআই তাঁর রায়পুর ও ভিলাইয়ের বাসভবনে হাজির হল।”


কংগ্রেসের তরফেও বিবৃতি দিয়ে সুশীল আনন্দ শুল্কা বলেছেন, “বিজেপির মোদী সরকার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়েছে”। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী টিএস দেও-ও একই সুরে বলেছেন, “এজেন্সি লাগাতার হেনস্থা করছে ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। ভূপেশজির ভাবমূর্তি নষ্ট করার ব্যর্থ চেষ্টা এটা বিজেপির। রাজ্যের বিজেপি সরকার প্রমাণ করছে যে তারা রাজ্য চালাতে ব্যর্থ, তাই এই ধরনের ইস্যু তৈরি করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ঘোরানোর চেষ্টা করছে। প্রথমে ইডি, তারপর সিবিআই, তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপির বি টিম হিসাবে কাজ করছে।”


সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য বারবার মানসিক চাপ, শেষমেষ মৃত্যু 

সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য বারবার মানসিক চাপ, সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর পথ বেছে নেয় এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ থানার ভুবননগর এলাকায়। স্বামীর মৃত্যুর জন্য স্বামীর মামার বাড়ির পরিবার সহ স্বামীর মা কে দায়ী করেছে মৃতের স্ত্রী। তিনি শশুর বাড়ির লোকজনের বিরূদ্ধে কাকদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।


 সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। ধৃতদের মঙ্গলবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বলে জানান কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস। 


এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাকদ্বীপ মহাকুমার ভুবননগর এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। 


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার




কাকদ্বীপ ট্রাফিকে কর্মরত মুসলিম পুলিশ কর্মীদের হাতে ইফতার তুলে দেওয়া হলো

এখন চলছে রমজান মাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকে পবিত্র রমজান মাসকে উপলক্ষ করে কাকদ্বীপ ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে, ট্রাফিকে কর্মরত মুসলিম পুলিশ কর্মীদের হাতে ছোট্ট একটি ইফতার উপহার তুলে দেওয়া হল। 

এদিন কাকদ্বীপ চৌরাস্তার মোড়ে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন ট্রাফিক ডিএসপি কমল মাইতি এবং কাকদ্বীপ ট্রাফিক গার্ডের সঞ্জয় পাল এবং ট্রাফিক গার্ডের সমস্ত পুলিশ প্রশাসন। এই কাজের মধ্যে দিয়ে বোঝা গেলো সকলের ধর্ম কে সম্মান করাই হলো প্রকৃত ধর্ম পালন করা। সব ধর্ম সমন্বয় আমাদের ভারতবর্ষ। 
স্টাফ  রিপোর্টার মুন্না সর্দার


সরকার ঘুরপথে নতুন করে সেই বিতর্কিত বন্ড নিয়ে আসতে চাইছে কিনা বলে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোমবার লোকসভায় অর্থবিল নিয়ে আলোচনার সময়েই কেন্দ্রের দিকে ফের 'নির্বাচনী বন্ডের' তির ছু়ড়লেন তিনি।

 'সরকার কি ঘুরপথে নির্বাচনী বন্ড ফেরাতে চাইছে?', নতুন বিলের ধারা তুলে প্রশ্ন মহুয়ার
মহুয়া মৈত্র

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিতর্ক কম নয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রথার ঘাড়ে খাঁড়া ফেললেও, সরকার ঘুরপথে নতুন করে সেই বিতর্কিত বন্ড নিয়ে আসতে চাইছে কিনা বলে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোমবার লোকসভায় অর্থবিল নিয়ে আলোচনার সময়েই কেন্দ্রের দিকে ফের ‘নির্বাচনী বন্ডের’ তির ছু়ড়লেন তিনি।


কী অভিযোগ মহুয়ার?

নতুন অর্থবিল আলোচনায় মহুয়া প্রশ্ন তোলেন, ‘নতুন আয়কর আইনে যে ধারাগুলির কথা উল্লেখ রয়েছে, সেই একই ধারা নির্বাচনী বন্ডেও উল্লেখ ছিল।’ এরপরই মহুয়া প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যা খুব সহজ ভাবে স্পষ্ট করে শাসকদল হয়তো পিছনের দরজা দিয়ে তাদের পছন্দের নির্বাচনী বন্ড পদ্ধতিকে আবার ঢোকাতে চাইছে।’

এরপরই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কীভাবে ‘লাভের গুড়’ খেয়েছে বিজেপি, সেই নিয়েও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘লোকসানে চলা সংস্থাগুলি মোট ৪৩৪ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপিকে। তদন্তাধীন ৪১টি সংস্থা পদ্ম শিবিরকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আরও ৩০টি এমন সংস্থা যারা ইতিমধ্যে যারা তদন্তের আওতায় রয়েছে, তারা বিজেপিকে ৩৩৫ কোটি টাকা দিয়েছে।’ পাশাপাশি, ইডি ও সিবিআইয়ের মতো সংস্থা যেন টাকা তোলার সংস্থায় না পরিণত হয়, অর্থমন্ত্রীর কাছে সেই আর্জিও রাখতে দেখা যায় মহুয়াকে।



প্রসঙ্গত, গত বছরই নির্বাচনী বন্ড পদ্ধতিকে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বন্ড প্রক্রিয়া বাতিলের পরেই কোন দল কত টাকা পেয়েছে, সেই নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থসাহায্য পাওয়ার তালিকায় বিজেপির পরেই নাম রয়েছে তৃণমূলের। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ড হয়ে পেয়েছে তৃণমূল।

সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় বকেয়া নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার। তিনি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে?


 শিবরাজের উত্তর শুনেই রেগে আগুন কল্যাণ, 'ক্রিমিনাল কেস' করার পরামর্শ সাংসদের

 গ্রামোন্নয়নের টাকা নিয়ে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এবার ফের সেই ইস্যু নিয়ে সংসদ চত্বরেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উত্তর শুনে অসন্তুষ্ট সাংসদরা এদিন সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যান।


বঞ্চনা ইস্যু নিয়েই ২০২৬-এর ভোট ময়দানে লড়তে চায় তৃণমূল। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বলে সূত্রের খবর। আর তারপরই মঙ্গলবার লোকসভায় আক্রমণাত্মক তৃণমূল।

সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় বকেয়া নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার। তিনি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে? লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান যা জানিয়েছেন তাতে, উল্লেখ করা হয়েছে, গত তিন বছরে MGNREGA তথা ১০০ দিনের কাজের জন্য কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। এই জবাব পেয়েই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান সাংসদরা।


সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। তিনি বলেন, “সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না ওরা। বলা হচ্ছে, ২৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছে। যদি তাই হয়েও থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল কেস’ করুক। তাই বলে কোটি কোটি মানুষকে বঞ্চনা করা যায় না। বাঙালির পেটে লাথি মারাটাই ওদের কাজ।”

আপেলের দাম ৩ বছর আগে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি ছিল দাম। মুসম্বির পিস ছিল ১০ টাকা করে। এখন তা বেড়ে ১৩ হয়ে গিয়েছে। পেঁপের দাম বেড়েছে অনেকটাই।


নাশপাতি ৩৫০, বেদানা ২২০, ফলে হাত ঠেকানোই দায়, কলকাতার বাজারে ক্রেতারা কী বলছেন

শাক-সবজির দাম তো দিনে দিনে বাড়ছেই। ডাল-ভাত খেতেও পকেটে পড়ছে টান। কিন্তু শরীরে পুষ্টি বজায় রাখতে ফল তো খেতেই হবে। সাধারণ মানুষ বলছেন, ফলে হাত দিলেই লাগছে ছ্যাঁকা। গত তিন বছরে লাফিয়ে বেড়েছে দাম। ফলের দাম ঠিক কতটা বেড়েছে, বাজারে গিয়ে তারই খোঁজ করল TV9 বাংলা। কোনও কোনও ফলের দাম বেড়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ হয়েছে।


কোন ফলের কত দাম

আপেল- ২৫০ টাকা প্রতি কেজি


মুসম্বি- ১৫০ টাকা প্রতি ডজন

আঙুর- ১২০ টাকা প্রতি কেজি

পেঁপে- ৮০ টাকা প্রতি কেজি

তরমুজ- ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি

বেদানা- ২০০ থেকে ২২০ টাকা প্রতি কেজি

শশা- ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি

সাকালু- ৫০ টাকা প্রতি কেজি

কাঁঠালি কলা- ৫০-৬০ টাকা প্রতি ডজন

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, বছর তিনেক আগেও ফলের দাম ছিল অনেক কম।

আপেলের দাম ৩ বছর আগে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি ছিল দাম। মুসম্বির পিস ছিল ১০ টাকা করে। এখন তা বেড়ে ১৩ হয়ে গিয়েছে। পেঁপের দাম বেড়েছে অনেকটাই। সব ফল গড়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে সবথেকে বেশি বেড়েছে নাশপাতির দাম। যে ফল বছর কয়েক আগেও ছিল ২০০ টাকা কেজি, আজ সেটাই বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি। ফলন কম এবং বাইরে থেকে আসে বলেই এতটা দাম বৃদ্ধি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারাও জানাচ্ছেন ফল কেনার পরিমাণ কমাতে হচ্ছে তাঁদের। এক ক্রেতা বলেন, “বছর তিনেক আগেও সব মিলিয়ে ৫০-৬০ টাকার ফল কিনে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যেত, এখন সেটা প্রায় ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।”

বিশাখাপত্তনমে পন্থের ব্যাটে রানের ঝলকানি দেখা যায়নি। ৬ বল খেলে শূন্যে ফেরেন তিনি। পন্থ পারফর্ম করতে না পারলেও দল ৮ উইকেটে ২০৯ রান তোলে। তবে এই টার্গেট দিল্লি ৩ বল বাকি থাকতেই পূরণ করে ফেলে। ১ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি।


রাহুলের মতোই পরিণতি পন্থের? LSG মালিক-ক্যাপ্টেনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিরাট শোরগোল
রাহুলের মতোই পরিণতি পন্থের? LSG মালিক-ক্যাপ্টেনের ভিডিয়ো ঘিরে জল্পনা


 আইপিএলের (IPL) সবচেয়ে দামি নেতা তিনি। ২৭ কোটির ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। তাঁর এই প্রাইস ট্যাগ পুরো মরসুম তাঁকে তাড়া করে বেড়াবে। যতক্ষণ না তিনি ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিতে পারবেন। বিশাখাপত্তনমে পন্থের ব্যাটে রানের ঝলকানি দেখা যায়নি। ৬ বল খেলে শূন্যে ফেরেন তিনি। পন্থ পারফর্ম করতে না পারলেও দল ৮ উইকেটে ২০৯ রান তোলে। তবে এই টার্গেট দিল্লি ৩ বল বাকি থাকতেই পূরণ করে ফেলে। ১ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি। এই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা তো চলছে, তবে একটি বিষয় নিয়ে যত বেশি চর্চা। কারণ ম্যাচ শেষে লখনউয়ের ক্যাপ্টেন পন্থের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় টিম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। যা দেখে ক্রিকেট প্রেমীদের মনে পড়ে যেতে থাকে, গত মরসুমে কেএল রাহুল ও সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বাদানুবাদের কথা। পন্থের সঙ্গেও কি তেমনই কিছু হয়েছে?


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে পন্থের সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তবে সেখানে তাঁদের কী কথা হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। নেটিজ়েনরা নিজেদের মতো ভাবতে শুরু করেছেন, পন্থ হয়তো প্রথম ম্যাচ হেরেই টিম মালিকের কাছ থেকে বকুনি খাচ্ছেন। ভিডিয়ো দেখে পরিষ্কার নয়, যে তাঁদের কী কথা হচ্ছিল। তবে তাঁদের কথোপকথনের সময় পাশেই ছিলেন দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও।




নেটদুনিয়ায় অপর এক ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, ম্যাচ শেষে ঋষভের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। গত মরসুমে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যখন ম্যাচ হারার জন্য রাহুলকে ধমক দিয়েছিলেন প্রকাশ্যে, তারপর তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। ক্রিকেট মহলের মতে, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও নিশ্চয়ই চাইবেন না এ বারও তেমনটা হোক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের পরবর্তী ম্যাচ ২৭ মার্চ। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।





বিরোধী দলনেতার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। তবে এই রিপোর্ট দেওয়ার জন্য মোট আট সপ্তাহের সময় চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পরবর্তী শুনানি হবে ২১ এপ্রিল।


 শুধুই ভারত নয়, ব্রিটেনেরও নাগরিক রাহুল? কেন্দ্রকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ আদালতের
বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী


নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কে দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যে এলাহাবাদ আদালতের বিচারপতি এআর মাসুদি ও অজয় কুমার শ্রীবাস্তবের লখনউ বেঞ্চে উঠেছে এই মামলা। বিরোধী দলনেতার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। তবে এই রিপোর্ট দেওয়ার জন্য মোট আট সপ্তাহের সময় চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পরবর্তী শুনানি হবে ২১ এপ্রিল।


তবে রাহুলের নাগরিকত্ব ঘিরে কেন তৈরি হল বিতর্কের জট? গোটা ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্ব রাখার অভিযোগে দিল্লির একটি আদালতে মামলা করেন। তাঁর দাবি, ‘রাহুল গান্ধী নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া একটি নথিতে সেদেশের নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। যা ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, আইন অমান্যকর।’

উল্লেখ্য, প্রাক্তন মন্ত্রীর পর এই ইস্যুতে সুর চড়াতে দেখা যায় কর্নাটকের বিজেপি নেতা এস ভিগনেশ শিশিরকেও। রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক বলে গত বছরই এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশনও দাখি করেন তিনি ও বিরোধী দলনেতার এদেশের নাগরিকত্ব ও সাংসদ পদ বাতিলের আর্জি জানাতে দেখা যায় বিজেপি নেতাকে। সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই আদালতের তরফে সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। যার ভিত্তিতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


নতুন বছরে ফের একবার মাথা চাড়া দিয়েছে সেই মামলা। অবশ্য, কর্নাটকের নেতার সাংসদ পদ বাতিলের আর্জি খারিজ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পাশাপাশি, কেন্দ্রকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।