November 2020

ওষুধ নয়, প্রাকৃতিক উপায়ে অনেকটাই কমানো যেতে পারে এই মানসিক চাপ

শিলাজিৎ-- সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে শিলাজিৎ অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে কর্মরত অল্পবয়সী যুবক ও যুবতীদের শিলাজিৎ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শিলাজিতের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক থাকে। এটি চাপ কমিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রয়োজন মতো শিলাজিৎ অবসাদ কমাতে দারুন কাজে দেয়।
অশ্বগন্ধা-- শতাব্দীপ্রাচীন এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ অশ্বগন্ধা। ব্রেনের কেমিক্যাল সিগনালিং নিয়ন্ত্রণ ও স্নায়ুতন্ত্রকে সতেজ করার মাধ্যমে মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ দূর করতে পারে। এ' ক্ষেত্রে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নানা ক্ষেত্রে কর্মরতদের অশ্বগন্ধা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
পুদিনার চা-- মানসিক চাপ বা অবসাদ কমাতে ম্যাজিকের কাজ করে পুদিনার চা। পুদিনার মধ্যে উপস্থিত মেন্থল ও অ্যান্টিপ্যাসমোডিক উপাদান অত্যন্ত কার্যকরী। কাজ থেকে ফিরে পুদিনার চা পান করলে মুড রিল্যাক্স হয়ে যায়। তাই ওয়র্ক ফ্রম হোম বা অফিসের কাজে সারা দিন খুব চাপে থাকলে, সন্ধ্যায় এক কাপ পুদিনার চা পান করতে পারেন।
প্ল্যান্টবেসড প্রোডাক্ট-- আজকাল অধিকাংশ ওয়ার্কিং প্রফেশনাল এই ধরনের প্রোডাক্ট বেছে নিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই, যাতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে কিছুটা হলেও অবসাদ বা উদ্বেগ কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই প্রোটিন, মাল্টিভিটামিন ও নানা ধরনের আয়ুর্বেদিক হার্ব প্রডাক্ট ব্যবহার করেন। এতে কিছুটা হলেও অবসাদ কমতে পারে।
এসেনশিয়াল অয়েল-- বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা এমনকী মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ দূর করতে প্রায়শই অ্যারোমাথেরাপির কথা বলা হয়। এ ক্ষেত্রে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করে মাসাজ করা হয়। এতে অনেকটাই কমতে পারে মানসিক অবসাদ। ল্যাভেন্ডার এসেনসিয়াল অয়েল, জেসমিন, রোজ, বারগামট এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
গল্পকথার চরিত্রই চোখের সামনে, সমুদ্রসৈকতে দেখা মিলল নীল ড্রাগনের
#দক্ষিণ আফ্রিকা: রূপকথা বা সায়েন্স ফিকশনে নীল ড্রাগনের হাজারো কীর্তি শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে তাদের দেখা মেলে না! কিন্তু এবার গল্পকথার চরিত্রই চোখের সামনে, সমুদ্রসৈকতে দেখা মিলল নীল ড্রাগনের।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের কাছে অবস্থিত ফিশ হোক বিচে প্রায় ২০টি নীল ড্রাগন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া ওয়েজেন। তিনি তড়িঘড়ি সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই নেটিজেনদে মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই কমেন্ট করেন, ' সমুদ্রের সবথেকে সুন্দর খুনি।' নীল ড্রাগনের ছবি দেখতে নেট দুনিয়ায় ভিড় জমান আট থেকে আশি। এককথায়, ভাইরাল।নীল ড্রাগনের বৈজ্ঞানিক নাম গ্ল্যাকাস আটলান্টিকাস, এর পরিচিতি 'ভয়ঙ্কর খুনি' কারণ সমুদ্রের বিষাক্ত প্রাণীদের মেরেই পেট ভরায় এই ড্রাগন এবং বিষাক্ত প্রাণীদের কোষ ব্যবহার করেই ফের শিকার করে। আকারে ছোট হলেও নীল ড্রাগন প্রচণ্ড বিষাক্ত, শরীরে থাকা হুলগুলি মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীর শরীরে ফুটলে বিষ ছড়িয়ে পড়ে।
মারিয়া ওয়েজেন জানান, প্রতিদিনের মতো সেদিনও তিনি ভোরবেলায় সমুদ্রের ধার ধরে হাঁটছিলেন। সেই সময়েই নীল ড্রাগন দেখতে পান। তার ভাষায়, ' ড্রাগনগুলির মধ্যে পাখি, টিকটিকি ও অক্টোপাসের ফিচারও লক্ষ্য করি। মাঝেমধ্যেই সমুদ্রতটে নানা সামুদ্রিক প্রাণী ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসে। সেগুলিকে চেষ্টা করি ফের জলে ছেড়ে দিতে। কিন্তু এই অদ্ভুতদর্শন ব্লু ড্রাগনগুলি দেখে খানিক ভয়-ই পেয়ে যাই।''
বিশিষ্ট অধ্যাপিকা ও ইতিহাসের গবেষক অধ্যাপিকা উত্তরা চক্রবর্তী প্রয়াত। কলকাতা শহরের ইতিহাস নিয়ে তাঁর অসংখ্য লেখা আছে। তাঁর ইতিহাস চর্চায় গুরুত্ব পেয়েছে মুসলিম নারী।
ডিজিটাল ডেস্ক: যে ধরনের শিক্ষকের জন্য লেখাপড়ার শহর হিসেবে কলকাতার পরিচিতি তেমনই এক শিক্ষককে হারিয়ে দরিদ্র হল এই শহর। তিনি অধ্যাপিকা উত্তরা চক্রবর্তী। রবিবার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অধ্যাপিকা উত্তরা চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৪৪ সালে। বেথুন কলেজের অধ্যাপিকা হিসেবেই তাঁর বেশি পরিচিতি, তবে পড়িয়েছেন লেডি ব্রেবোর্ন কলেজেও।সরকারি কলেজে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেওয়ার আগে অধ্যাপনা করেছেন দার্জিলিংয়ের লোরেটো কলেজে। সেখানেই তাঁর অধ্যাপনার সূচনা। অবসরের পর পড়িয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও। প্রেসিডেন্সি কলেজেই তাঁর পড়াশোনা। স্কুলশিক্ষা সেন্ট জন ডায়াসেশন স্কুলে।
ইতিহাসের অধ্যাপিকা উত্তরা চক্রবর্তীর বিশিষ্টতা তাঁর ছাত্রদরদে। ছাত্রদের প্রিয় এই অধ্যাপিকার পড়ানো আর গবেষণার উদ্দেশ্যই বোধহয় ছিল ভাবী প্রজন্মকে ইতিহাসপাঠ আর গবেষণায় আগ্রহী করে তোলা।তাঁর নিজের আগ্রহের ক্ষেত্র ছিল বিস্তৃত। শহরের ইতিহাস, বিশেষ করে কলকাতার ইতিহাসচর্চা ছিল তাঁর পড়াশোনার এক বড় জায়গা জুড়ে। কলকাতার আদিপর্ব, সুতানুটি, গোবিন্দপুর, শহরের বণিক, শেঠ বসাক, শিমলা বাজার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে লিখেছেন তিনি।
শুধু 'শহর কলকাতার উপাখ্যান' রচনা করেননি তিনি, চর্চা করেছেন নারী ইতিহাস। মেয়েদের কলেজে পড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়তো তাঁকে প্ররোচিত করেছে উচ্চশিক্ষায় নারীর ইতিহাস অনুসন্ধানে। সেই লক্ষ্যে সম্পাদনা করেছেন উইমেন্স এডুকেশন এন্ড পলিটিকস্ অব জেন্ডার, ইন দ্য ফুটস্টেপস অব চন্দ্রমুখী, বেথুন কলেজের ১২৫ বছরের স্মারক গ্রন্থ। দেশের আর এক ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক সোসাইটির ২২৫ বছর উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ 'টাইম পাস্ট এন্ড টাইম প্রেজেন্ট'-এর সম্পাদনার কাজও করেছেন তিনি। আবার বেথুন কলেজে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সঙ্গে যুক্ত থেকে ইন্ডিয়ান আর্কিয়োলজিক্যাল সোসাইটির বুলেটিন পুরাবৃত্ত-এ লিখেছেন 'আর্কিয়োলজি অব ক্যালকাটা: এভিডেন্স ফ্রম বেথুন কলেজ'। তাঁর মানবীবিদ্যাচর্চায় গুরুত্ব পেয়েছে মুসলিম নারী; লিখেছেন রোকেয়াকে নিয়ে।
মধ্যযুগের ভারত ছিল তাঁর অধ্যাপনা আর অধ্যয়নের আর এক আগ্রহের জায়গা। পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের ২০০৫ সালের অধিবেশনে মধ্যযুগের ভারত বিভাগে সভাপতিত্ব করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন 'নদী বসতির পটভূমি ও শহর' নিয়ে। নব্বইয়ের দশকে বিজ্ঞানের ইতিহাসচর্চার গোড়ার যুগে লিখেছেন সুলতানি আমলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা নিয়ে।
তাঁর শেষ বড় কাজ বিক্রমপুরের ইতিহাস-এর রচয়িতা যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তর ( ১৮৮২-১৯৬৪) জীবনীগ্রন্থ 'পথচারী ঐতিহাসিক যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত' (সম্পর্ক, ২০১৮)। বিশিষ্ট ইতিহাসকার যোগেন্দ্রনাথের দৌহিত্রী হিসেবেই শুধু নয়, উত্তরকালের ইতিহাসকার হিসেবে এক বড় কাজ করে গেছেন তিনি যোগেন্দ্রনাথের জীবন ও কাজের বিশ্লেষণ আর তার সঙ্গে তাঁর বিস্তৃত গ্রন্থপঞ্জি রচনা করে।

লিওনেল মেসি প্রয়াত কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাকে স্বকীয় ভঙ্গিতে যেভাবে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন তা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালবাসা কুড়িয়েছে নেটিজেনদের। তবে জার্সি খোলার জন্য তাঁকে নিয়মমাফিক কার্ড দেখান রেফারি। যদিও পরে রেফারি বলেছেন, ফিফার উচিৎ এই হলুদ কার্ডটি ফিরিয়ে নেওয়া! 

রবিবার ওসাসুনাকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে একের পর এক ওসাসুনার ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে অনবদ্য গোল করেন মেসি। গোল করার পরেই তিনি বার্সার জার্সি খুলে ফেলেন এবং ভিতরে ছিল নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবের ১০ নম্বর জার্সি। 
এই জার্সি পরেই নিজের কেরিয়ারের সায়াহ্নে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন মারাদোনা। যদিও কোনো গোল তিনি করতে পারেননি। পরে এই ক্লাবেই সই করেন মেসি। এবং তাঁকেও দেওয়া হয়েছিল মারাদোনার ছেড়ে যাওয়া বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি।

মেসিকে হলুদ কার্ড দেখানোর সময়ে তাঁর রীতিমতো খারাপ লেগেছিল বলে জানান ম্যাচের রেফারি আন্তোনিও মাটেউ লাহোজ। তাঁর মতে, ফিফার উচিৎ জার্সি খুললেই হলুদ কার্ড দেখানোর নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা। সমাজের স্বার্থে যদি কোনো ফুটবলার জার্সি খোলেন সেক্ষেত্রে হলুদ কার্ড দেখানো উচিৎ নয় বলেই মত দেন তিনি। 

কালো মানুষদের অধিকারের সমর্থনে বা মারাদোনার মতো কোনো কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেখানোর ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের ক্ষমা করে দেওয়াই উচিৎ বলে জানান লাহোজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি শুধুই নিয়ম অনুসরণ করছিলেন। কিন্তু মেসিকে হলুদ কার্ড দেখাতে মানসিকভাবে তাঁকে খুবই বেগ পেতে হয়েছিল।
চিনের ব্রহ্মপুত্র নদ, অর্থাৎ ‘ইয়ারলুং জ্যাংবো’ নদীতে বিশাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প শুরু করতে চলেছে সে দেশ। বেজিংয়ের ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণে, এই সিদ্ধান্তে চিন্তা বাড়তে পারে ভারতের। কারণ, নদের সমতল যাত্রাপথের বেশিরভাগটাই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে। ফলে নদীর উচ্চগতিতে পরিবর্তন এলে বা কোনও বাধা তৈরি হলে নিম্নগতির পরিবর্তন হতেই পারে। তাতে ব্রহ্মপুত্র-নির্ভর মানুষেরা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনের শক্তি উৎপাদন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান চিনা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, নদের নিম্ন গতিপথের শুরুতেই একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে। যেটি দেশের একাধিক অংশের মূল জল সরবাহের উৎস হয়ে দাঁড়াবে। তেমনই বিদ্যুৎ সরবরাহ ও নিরাপত্তাতেও সাহায্য করবে। চিনের শক্তি উৎপাদনের ইতিহাসে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে দাবি তাঁর।এর আগে ভারত বারবার চিনের সরকারকে অনুরোধ করেছে, নদীর উচ্চগতিতে যেন এমন কিছু বানানো না হয়, যাতে নিম্নগতির কোনও ক্ষতি হয়। সেই কারণেই ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বাঁধ বানানো নিয়ে চিরকালই কৌতূহল প্রকাশ করছে। এর আগেও ব্রহ্মপুত্রের উপর প্রকল্প তৈরির কথা হয়েছিল। কিন্তু ভারত বাংলাদেশে জল সরবরাহের কী হবে, তাই নিয়ে চিন্তায় আছে ভারত।  
নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলায় অন্তত ১১০ জনের প্রাণ গিয়েছে। রবিবার এ কথা জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জের হিউম্যানিটরিয়ান কো-অর্ডিনেটর এডওয়ার্ড কালোন।

তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, 'অন্তত ১১০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হামলায় আরও অনেকে জখম হয়েছেন। এ বছর নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর এটাই সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা। এই নৃশংস হামলা যারা করেছে, তাদের যথাযোগ্য বিচারের আবেদন জানাচ্ছি।'
শনিবার উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার মাইডুগুড়ি শহরের কাছে কোশোবে গ্রামে এই রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটে। ধানের ক্ষেতে কৃষকদের টার্গেট করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। রবিবার জাবারমারি গ্রামে মৃতদের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বর্নোর গভর্নর বাবাগানান উমারা জুলুম। ওই গ্রামেই শনিবারের হামলায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা কৃষকদের বেঁধে একের পর এক তাঁদের গলার নলি কেটে দেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দূরের উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় শোকোতের বাসিন্দা। কাজের খোঁজে তাঁরা গিয়েছিলেন উত্তর-পূর্বে। হামলার পর থেকে ৮ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
কোভিড ১৯ ভাইরাসের সঙ্গে লড়ার জন্য মানুষের শরীর এ বার নিজে থেকেই তৈরি হয়ে উঠছে ভিতরে ভিতরে!
#সিঙ্গাপুর: এ যেন ঠিক মাতৃগর্ভ থেকে কবচ আর কুণ্ডল নিয়ে কর্ণের ভূমিষ্ঠ হওয়ার মতো ঘটনা! আর যদি কাব্যকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়, নজরটি বিন্যস্ত করতে একান্ত ভাবেই বিজ্ঞানের খাতে, তা হলে বলতে হয় যে এ নিছক বিবর্তনবাদের খেলা। কোভিড ১৯ ভাইরাসের সঙ্গে লড়ার জন্য মানুষের শরীর এ বার নিজে থেকেই তৈরি হয়ে উঠছে ভিতরে ভিতরে!
স্ট্রেইটস টাইমস নামের এক দৈনিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে যে সিলিন নগ-চ্যান নামের সিঙ্গাপুরের এক মহিলা চলতি মাসে এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন যে মায়ের গর্ভ থেকেই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। যে ঘটনা খুব স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য জাগিয়েছে সেখানকার চিকিৎসকদের মধ্যে।কথা হল, কী ভাবে শিশুটির শরীরে ভাইরাসের অ্যান্টিবডির সহজাত উপস্থিতি লক্ষ্য করলেন চিকিৎসকরা? এই বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে করোনাকালের এক অমোঘ প্রশ্ন- মা করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর শরীর থেকে কি ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও?
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গালাইজেশন বা সংক্ষেপে WHO এ বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনও পর্যন্ত কিছু বলে উঠতে পারেনি। তারা শুধু জানিয়েছে যে এমনটা হওয়ার আশঙ্কা বিরল!
সেই দিক থেকেই নগ-চ্যান এবং তাঁর সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা। খবর বলছে যে চলতি বছরের মার্চে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রায় আড়াই সপ্তাহ মতো হাসপাতালে থেকে তিনি বাড়িতে ফিরে যান।তার পর থেকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসকরা নগ-চ্যান এবং তাঁর গর্ভস্থ শিশুর নানা ডায়াগনস্টিক টেস্ট করিয়ে চলছিলেন। শিশুটি সম্প্রতি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেও নতুন করে টেস্ট করে দেখা হয় সে করোনাক্রান্ত কি না! আর তাতেই জানা গিয়েছে যে সে মাতৃগর্ভ থেকেই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি শরীরে নিয়ে জন্ম নিয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান- মায়ের শরীরের অ্যান্টিবডিই কোনও ভাবে প্রবেশ করেছে শিশুর শরীরে, আপাতত সুনিশ্চিত ভাবে কোনও কারণ দর্শাতে পারছেন না তাঁরা।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে চিনের বেশ কয়েক এলাকাতেও সদ্যোজাত শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডির অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। তাই সন্দেহ থেকেই যায়- প্রকৃতি কি এ ভাবেই ভাইরাসের দৌরাত্ম্য প্রতিহত করার অস্ত্র তুলে দিচ্ছে নবপ্রজন্মের হাতে?
জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা ছিলেন দিওপ৷ সেবার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল সেনেগাল৷
#সেনেগাল:২০০২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল সেনেগাল৷ যাঁর পা থেকে সেই গোল এসেছিল, সেই পাপা বউবা দিওপ প্রয়াত৷ মাত্র ৪২ বছর বয়সেই চলে গেলে সেনেগালের ফুটবল তারকা৷ দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি৷ কয়েকদিন আগে ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার প্রয়াণের পর ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আরও এক মন খারাপ করে দেওয়া খবর এল সেনেগাল থেকে৷জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা ছিলেন দিওপ৷ সেবার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল সেনেগাল৷ গোটা ফুটবল বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছিলেন দিওপ এবং তাঁর সতীর্থরা৷ সেবছরই আফ্রিকান নেশনস কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ক্যামেরুনের কাছে হার স্বীকার করতে হয় সেনেগালকে৷ সেই দলেরও সদস্য ছিলেন পাপা বউবা দিওপ৷
শোকবার্তায় ফিফা ট্যুইটারে লিখেছে, 'সেনেগালের ফুটবল কিংবদন্তি পাপা বউবা দিওপের মৃত্যু সংবাদে ফিফা শোকাহত৷ একদা বিশ্বকাপের নায়ক চিরকাল নায়কের মর্যাদাই পাবেন৷' মাত্র ২১ বছর বয়সে দেশের হয়ে অভিষেক হয় দিওপের৷ এর পর সেনেগালের হয়ে ৬০টি ম্যাচে খেলেন তিনি৷ আফ্রিকান দলটির মাঝমাঠের স্তম্ভ ছিলেন পাপা৷ কিন্তু ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে তাঁর অসাধারণ গোলগুলি ফুটবলপ্রেমীদের মণিকোঠায় চিরদিন থেকে যাবে৷ ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেনেগালের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘদেহী এই ফুটবলার৷ পাশাপাশি ফরাসি ক্লাব লেন্স, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফুলহ্যাম, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড, বার্মিংহাম সিটি-র মতো ক্লাবের হয়েও খেলেছেন দিওপ৷
পাপা বউবার দিওপকে স্মরণ করে লিভারপুল স্ট্রাইকার এবং সেনেগালের তারকা ফুটবলার সাদিও মানে ট্যুইটারে লিখেছেন, 'তোমার চির বিদায়ের খবরে আমাদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছে৷ কিন্তু তুমি আমাদেরকে বিদায় জানালেও চিরকাল তুমি আমাদের হৃদয়েই থেকে যাবে৷'

প্ৰকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। আর তাই ভারতের নতুন পদক্ষেপ।

দুই দেশের প্রায় ৫০ হাজার সেনা জওয়ান লাদাখের প্রবল শীতেও একে অপরের দিকে লক্ষ্য রাখছে। চিনের রাষ্ট্রনেতারা মুখে শান্তির কথা বলছেন ঠিকই। তবে তাঁরা সেনা সরাতে রাজি নয়। আর তাই ভারতীয় সেনা পিএলএ-র উপর কড়া নজর রাখছে।
ফের উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে ভারত প্যাংগন লেকের সামনে marcos commandos মোতায়েন করল ভারত। ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম খতরনাক marcos commandos-কে বিশ্বের বহু শক্তিশালী দেশের সেনাও সমীহ করে।

লাদাখে গরুড় কমান্ডো ও প্যারা স্পেশাল ফোর্স আগে থেকেই মোতায়েন করেছে ভারত। পূর্ব লাদাখে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ভারত একাধিকবার চিনের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে চিনকে ভরসা করছে না ভারতীয় সেনা। তাই শক্তি বাড়ানোর প্রস্তুতিও চলছে পাশাপাশি।

স্থলের পাশাপাশি জলেও শত্রুকে শিক্ষা দিতে পারদর্শী মার্কোস কমান্ডো। প্যাংগন লেকের চারপাশে সুরক্ষার দায়িত্ব এবার এই স্পেশাল ফোর্স-এর হাতে। এছাড়া ভারতীয় সেনার ক্যাম্পে হামলা রোধেও এই ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। 

কোভিড টিকা নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মানহানির মামলা করল সিরাম।রবিবার সন্ধ্যায় পুণের ওই সংস্থার দাবি, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা 'কোভিশিল্ড'-এর ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী চেন্নাইয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ পুরোপুরি ‘বিদ্বেষমূলক এবং ভুল ধারণার বশবর্তী’ হয়ে করা। ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার প্রতি সহানুভূতি রয়েছে বলে জানালেও তা যে টিকাগ্রহণের জন্য হয়নি, সে দাবিও করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া(সিআইআই)। সিরাম কর্তৃপক্ষের মতে, “চেন্নাইয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার সঙ্গে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের একেবারেই সম্পর্ক নেই।”

৪০ বছর বয়সি ওই স্বেচ্ছাসেবকের দাবি, ১ অক্টোবর চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ‘কোভিশিল্ডে’র ডোজ নেওয়ার পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় ওই টিকার তৃতীয় ট্রায়ালের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। পেশায় বিজনেস কনসালটেন্ট ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, টিকার ডোজ নেওয়ার পর ২৬ অক্টোবর হাসপাতাল ছাড়া পান তিনি। তাঁর দাবি, এর পর থেকেই তাঁর গুরুতর স্নায়বিক সমস্যা শুরু হয়। প্রবল মাথাব্যথা, আলো-শব্দের প্রভাবে বিরক্তি-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি, কাউকে চিনতে বা কথাও বলতে পারছিলেন না বলে দাবি করেন ওই স্বেচ্ছাসেবক। এর পর ২১ নভেম্বর সিরাম-সহ একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে ৫ কোটির টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা রুজু করেন তিনি। তাঁর আইনজীবীর তরফে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র সিইও, চেন্নাইয়ের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-সহ একাধিক সংস্থাকে নোটিশ পাঠানো হয়।আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি অবিলম্বে ‘কোভিশিল্ডে’র ট্রায়াল, উৎপাদন বন্ধ করারও দাবি জানান ওই স্বেচ্ছাসেবক। তবে এ সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে ‘কোভিশিল্ডে’র উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম। তাঁদের পাল্টা দাবি, “নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনছেন ওই স্বেচ্ছাসেবক।” সিরামের আরও দাবি, “চেন্নাইয়ের ওই ব্যক্তির অভিযোগ বিদ্বেষপূর্ণ। কারণ ট্রায়ালের আগেই তাঁকে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছিল যে সমস্ত শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছেন, তার সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি জেনেও ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এর পর সংস্থার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছেন।”


জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি। গতকাল রাতে তীব্র বিস্ফোরণের পর গলগল করে বেরিয়ে এসেছে কালো ধোঁয়া। সঙ্গে ছাঁই। আগুনের ফুলকিও দেখা গিয়েছে বলে খবর। ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার। প্রসঙ্গত, প্রায় ১৩০ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিু রয়েছে সেখানে। যার মধ্যে একটি গতকাল রাতে জেগে ওঠে। এলাকার তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। ধোঁয়ার ঘনঘটা ছুঁয়েছে আকাশ। পুরু ছাই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। প্রশাসন থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 
ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টার জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বালামুখ থেকে মাঝে মাঝে ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য আগাম সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। 
রবিবার ভোররাতে বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায়। ভুমিকম্পে কেঁপে ওঠা গোটা এলাকা। ঘর থেকে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন জ্বালামুখ থেকে ঘন কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ের স্তরে ক্রমশ ঢেকে যাচ্ছে স্থানী এলাকা।

তাপমাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলার টিম এসে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় বাসিন্দাদের। উল্লেখ্য মাস তিনেক আগে জেগে উঠেছিল মাউন্ট সিনাবাং। নিকটবর্তী ২৬ টি গ্রামের তিনহাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও লাগাতার বিস্ফোরণ ও টগবগিয়ে ফুটছে লাভাস্রোত, ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে। এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। 
একদিকে দলের বেসুরো নেতাদের বার্তা, অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কারে ভরা ছিল অভিষেকের প্রচারসভার বক্তব্য৷
#বজবজ: দল মায়ের সমান, তাই মায়ের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাঁকে ছেড়ে কথা বলা কি উচিৎ? প্রচারসভায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের কাছে সরাসরি সেই প্রশ্নই রাখলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুরু থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে, রবিবারের সভা থেকে দলের 'বেসুরো' নেতাদের প্রতি বার্তা দেবেন দলের তরুণ তুর্কী৷ সেই মতই কারও নাম না করেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে দল এবং দল নেত্রীই তৃণমূলের শেষ কথা বলেন৷ কেউ যদি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না৷ 'বেসুরো' নেতাদের প্রতি দলের মনোভাবই একপ্রকার নিজের বক্তব্যে তুলে ধরলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ৷ পাশাপাশি কোনও নেতার নাম না করে তিনি আরও বলেন যে উচ্চাক্ষাঙ্কার ফলে যদি কেউ দল ছাড়েন, তিনি আসলে মেরুদন্ডহীন৷ মূলত শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করেন অভিষেক৷ তাঁর কথায় 'রাতারাতি কেউ নেতা হয়নি, কেউ প্যারাশ্যুটে নামেনি, লিফ্টে ওঠেনি৷ লিফ্টে উঠলে আমি দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়াতাম'৷গত কয়েকদিন নানা পরিবর্তন ঘটেছে দলে৷ মন্ত্রত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু৷ তিনি দল ছাড়তে পারেন, এই জল্পনাও চলছে জোরদার৷ দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন মিহির গোস্বামী৷ দল ছাড়ছেন শীলভদ্র দত্ত৷ কিছুটা অন্য সুর জটু লাহিরীর গলায়৷ তাঁদের প্রতি দলের মনোভাব কী, সেটা অভিষেকের বক্তব্য আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল৷
২০২১-কে সামনে রেখে যে প্রচারসভা শুরু করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক, তাতে বিজেপির প্রতিও তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্য আরও একবার বুঝিয়ে দিল যে আগামিদিনে এভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট সুর চড়াবে দল ৷ আজ, রবিবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম নামলেন ময়দানে৷ এবং বুঝিয়ে দিলেন যে খোলাখুলি বিজেপির বিরোধের সুরই থাকবে তাঁদের এই প্রচার ঘিরে৷ রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷দুপুর ২টোর সময় মুচিশা হাইস্কুল মাঠে শুরু জনসভায় তিনি বলেন যে বাংলায় তৃণমূলকে আটকানো বিজেপির কাজ নয়৷ এবং একের পর এক বিজেপি নেতাদের নাম তুলে ধরে তিনি বলেন যে, সকলেই তৃণমূলের ভাইপোকে নিয়ে কথা বলছে, তবে কারও সাহস নেই সরাসরি নাম করা৷ অভিষেকের মতে বিজেপি নেতাদের বুকের পাটা নেই৷ তিনি বলেন যে বিজেপি দেশ ভাগের রাজনীতি করলেও তৃণমূল উন্নয়নের রাজনীতি করে৷ সাধারণের পাশে থাকাই তৃণমূল দলের একমাত্র লক্ষ্য৷ এর উদাহরণ দিতে গিয়ে গত ১০ বছরের তৃণমূল সরকারের একের পর এক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন অভিষেক৷ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা উল্লখে করেন তিনি৷ পাশাপাশি ১ তারিখ থেকে দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে৷ জনমুখী প্রকল্পে নাম বাদ গেলে সেখানে যোগাযোগ করলে নাম উঠে যাবে৷ জানান সাংসদ৷
মহিষাদল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর স্মরণসভা প্রকৃতার্থে স্মরণসভাই থাকল।
#মহিষাদল: মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর প্রথম সভা। নিজেই বলছেন অরাজনৈতিক সভা। ফলে শুভেন্দু অধিকারী কী বলেন তা জানতে কান পেতেছিল গোটা রাজ্য। বিরাট মিছিল করে সভামঞ্চে পৌঁছতে দেখা যায় শুভেন্দুর অনুগামীদের। মহিষাদল থেকে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু সভাকে রাজনীতির রঙ দিলেন না। দেখা গেল না স্বরের সেই ওঠাপড়াও, স্মরণসভা প্রকৃতার্থে স্মরণসভাই থাকল।শুভেন্দু অধিকারী যখন মহিষাদলের সভামঞ্চে উঠছেন, ঘড়ি ধরে তাঁর কয়েক মিনিট আগে শুভেন্দুর নাম না করেই বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন,"লিফটে উঠলে পতন অনিবার্য, বিশ্বাসঘাতকতা করলে কড়ায় গণ্ডায় জবাব দেওয়া হবে। ফলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সঞ্চার হয়, শুভেন্দু কি উত্তর ফিরিয়ে দেবেন? যে ফাটল দিনের আলোয় পরিষ্কার তা কি ভাঙনের আকার নেবে? শুভেন্দু কিন্তু একবারের জন্যেও সুর চড়ালেন না।
হাততালি দিতে থাকা অনুগামীদের থামিয়ে বললেন, "স্মরণসভায় হাততালি কাম্য নয়।"
সভার শুরুতেই তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সভাস্থলে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের। অতীতচারণা দিয়ে সভা শুরু করেন শুভেন্দু। জানান নন্দীগ্রাম পর্বের পরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় কুমুদিনী ডাকুয়া, সুশীল ধারাদের সঙ্গে। রণজিৎ বয়াল, সুশীল ধারাদের বীরগাথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, "রণজিৎবাবুরা যে কাজ আমার হাতে দিয়ে গিয়েছে তা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করব।"বাংলা বাঙালির সেবক হিসেবে কাজ করে যাব", অঙ্গীকার শুভেন্দুর। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন অরাজনৈতিক কর্মসূচিও। ক্ষুদিরামের জন্মদিন ও তাম্রলিপ্ত দিবসে পথে নামার কথা জানালেন শুভেন্দু। তততদিন কি বিধায়ক পদে বহাল থাকবেন? শুভেন্দু আজ নীরব, মৌন, শান্ত, ঝড়ের আগে যেমন থাকে আকাশ।
ধর্মান্তকরণের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খানের স্ত্রী কমলরুখ খান। তাঁর অভিযোগের তির ওয়াজিদের পরিবারের বিরুদ্ধে। কমলরুখের অভিযোগ, তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত না হতে চাওয়ার কারণে, তাঁর ১৬ বছরের মেয়ে ও ৯ বছরের ছেলের উত্তরাধিকার তাঁকে দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্টে এই প্রথমবার কমলরুখ খান নিজের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। এমনকি ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল আনার সপক্ষেও মুখ খুলেছেন কমলরুখের। তাঁকে সমর্থন করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। 

কমলরুখ খান জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময় থেকেই প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। ১০ বছর আগে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এ তাঁদের বিয়ে হয়। তিনি পার্সী আর ওয়াজিদ মুসলিম ছিলেন। বিয়ের পরও তাঁরা নিজ নিজ ধর্মে থাকবেন এই মর্মেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁকে ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন কমলরুখ খান। তিনি ধর্মান্তরিত না হতে চাইলে তাঁর ও ওয়াজিদের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে। এমনকি ওয়াজিদের মত্যুর পরও তাঁর পরিবারের তরফে এখনও তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কমলরুখ। এমনকি বর্তমানে ধর্মন্তকরণ বিরোধী বিল নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সে বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালকের স্ত্রী, যিনি পেশায় একজন হিপনোথেরাপিস্ট।

এদিকে কমলরুখের কথার প্রসঙ্গ ধরে পার্সীদের মত সংলঘুদের সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। তাঁর কথায়, পার্সীরা এদেশে আক্রমণকারী হিসাবে আসেনি, তাঁরা এদেশটাকে ভালোবেসেই এসেছিল। এদেশের অর্থনীতিতে তাঁদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
তথাকথিত ‘লাভ জেহাদ’ বিতর্কের মধ্যেই জোর করে ধর্মান্তর রুখতে অর্ডিন্যান্স আনল উত্তরপ্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাঠানো খসড়া বিলটিতে সই করে অনুমোদন দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল শুক্রবার রাতে অনুমোদন দেওয়ার পরে শনিবারই গেজেট নোটিফিকেশন করে অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হয়েছে।
আইনের নাম যাই থাক, বিয়ের জন্য ধর্মান্তর রোখাই যে অর্ডিন্যান্সটির প্রধান লক্ষ্য, তা স্পষ্ট। এই আইন প্রয়োগের পরে ধর্মান্তর করে বিয়ে শুধু বাতিল গণ্যই হল না, ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাও গুনতে হতে পারে পাত্রকে। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ হিসেবে আইনটি প্রয়োগ করা হলেও পরে বিধানসভায় পাশ করিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধর্মান্তর-বিরোধী আইনে পরিণত করা হবে এ’টিকে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, বিধানসভায় তাঁদের সদস্যরা এর বিপক্ষেই ভোট দেবেন।
হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলেদের বিয়ের বিরোধিতায় সরব কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের অভিযোগ, হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ছলে ভুলিয়ে ধর্মান্তর করে বিয়ে করাটা আসলে মুসলিম জেহাদিদের কৌশল। এরই নাম দেওয়া হয়েছে ‘লাভ জেহাদ’। অনেক সময়ে গরিব হিন্দু মেয়েদের বিয়ে ও সংসারের লোভ দেখিয়েও ধর্মান্তর করা হচ্ছে।বিজেপি হরিয়ানা, কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশও এই ‘লাভ জেহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন আনার কথা বলেছে। উচ্চ আদালত সম্প্রতি স্বেচ্ছা-বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে না-দেখার কথা বললেও
কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা যে তাঁদের অবস্থানে অনড়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ প্রমাণ।
নতুন অর্ডিন্যান্সে ‘জোর করে, প্রভাব খাটিয়ে, ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তর’-কে শুধু বেআইনিই করা হয়নি, ধর্মান্তরিত কোনও নারী বা পুরুষের ‘স্বধর্মে ফিরে আসা’-র পথও খোলা রাখা হয়েছে। এ জন্য ওই নারী বা পুরুষকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।কেউ স্বধর্মে ফিরে এলে ভিন্নধর্মের বিয়ে আর ধর্মান্তরের জন্য বাতিল বিবেচিত হবে না। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের ব্যাখ্যা— এই সুযোগ রাখায় প্রমাণ হল, কেবল ধর্মান্তরের উদ্দেশ্যে বিয়েকেই বাতিল করতে চায় যোগী সরকার। তাঁদের প্রশ্ন, প্রকৃত স্বেচ্ছা-বিয়েতে ধর্মান্তরই বা কেন হবে?
আইন অনুযায়ী কেউ যদি অভিযোগ করেন জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে তাঁকে ধর্মান্তর করা হয়েছে, তবে অভিযুক্তদের শাস্তি ছাড়া ক্ষতিপূরণও তিনি পেতে পারেন। এই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আগেই জানিয়েছিন, জোর করে বা ছল করে ধর্মান্তর প্রমাণ হলে সাধারণ ক্ষেত্রে ১ থেকে ৫ বছরের কারাবাসের সাজা হবে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত নারী বা পুরুষ নাবালক অথবা তফসিলি জাতি বা জনজাতিভুক্ত হলে শাস্তি বেড়ে ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। সঙ্গে জরিমানা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ধর্মান্তরিত নিজে ছাড়াও তাঁর রক্তের সম্পর্কের যে কেউ প্রশাসনের কাছে এই আইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
উত্তরপ্রদেশে হিন্দুত্ববাদীরাও বহু জায়গায় অনুষ্ঠান করে ভিন্‌ ধর্মীদের হিন্দু ধর্মে ফেরান।তা-ও কি নিষিদ্ধ হচ্ছে নয়া আইনে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতাদের জবাব— জোর করে কাউকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করানো হয় না। যাঁরা আসেন, তাঁরা স্বেচ্ছায়। আর দেশের সব মানুষই এক সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলেন। স্বধর্মে ফেরার পথ তো খোলাই রাখা হয়েছে আইনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস কোথা থেকে ছড়িয়েছে? উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে ছড়ায় কোভিড-১৯। শুরু থেকে তা মানতে নারাজ ছিল চিন। কোভিড প্রাদুর্ভাবের দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছে বেজিং। প্রথমে ইউরোপকে দায়ী করেছিল তারা। সে দাবি ধোপে টেকেনি। আর এবার তো অবাককাণ্ড! চিনা গবেষকরা দাবি করলেন, কোভিড-১৯-র জন্ম ভারতে।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি ও সায়েন্সের একদল গবেষকের দাবি, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে ভারতে জন্ম হয় করোনাভাইরাসের। পশুর থেকে জলবাহিত হয়ে মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ে ভাইরাস।চিনে কীভাবে এল? গবেষকদের যুক্তি, ভারত থেকে ভাইরাস গিয়েছে উহানে। ইন্দো-চিন সীমান্ত বিবাদের মাঝে এমন দাবি ঘিরে স্বাভাবিকভাবে উঠছে নানা প্রশ্ন। 
কোভিড-১৯-র বংশানুক্রমিক (phylogenetic) বিশ্লেষণ করেছে চিনা গবেষক দল। কোষের মতোই ভাইরাস পরিবর্তিত হলে সামান্য বদল হয় ডিএনএ-তে। চিনা বিজ্ঞানীদের দাবি, বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, উহানে ভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি। বরং ৮টি দেশে হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া অথবা সার্বিয়া।গবেষকদের যুক্তি, ভারত ও বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের পরিবর্তন একেবারে সামান্য হয়েছে। ভৌগলিকভাবে দুই দেশ চিনের প্রতিবেশী। ওই দুই দেশ থেকে ভাইরাস চিনে আসতেই পারে।
গবেষকদের যুক্তি, গরম কালে জলের অভাব হয়। একটু জলের জন্য বাঁদররা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে। তখনই মানুষ ও পশুর মধ্যে সংস্পর্শের সম্ভাবনা বাড়ে। পশুর থেকে মানবশরীরে  SARS-CoV-2-র সংক্রমণে প্রচণ্ড গরম কারণ হতে পারে।
কিন্তু ভারতে ছড়ালে তা চিনে কেন ধরা পড়ল? গবেষকদের ব্যাখ্যা, ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। কয়েক মাস ধরে কমবয়সিদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়।স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় সনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানের একটি বাজার থেকে ছড়িয়েছিল কোভিড-১৯। চিনা গবেষকরা দাবি করেছিল, ইউরোপে প্রথম ছড়িয়েছে কোভিড-১৯। চিন তার জন্মস্থল নয়। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান শুক্রবার জানান,'আমার বিশ্বাস, চিনে এই রোগের জন্ম হয়নি, এটা কল্পনা করা বেশ দুঃসাধ্য।' উহানের সামুদ্রিক খাবারের (সি ফুড) বাজারে হু বিশেষজ্ঞদের পাঠাতে পারে বলে জানান রায়ান।কোভিড প্রাদুর্ভাবে চিনকে দোষারোপ করেছিলেন বিদায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন,'এটা চিনা ভাইরাস।' হু-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও এনেছিলেন। তাঁর অভিমত ছিল, চিনের হয়ে কথা বলছে হু।