August 2024

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ টি-২০ লিগে অ্যাকশনে দেখা যাচ্ছে রিঙ্কু সিংকে। সেখানে মিরাট ম্যাভেরিক্সকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। মিরাটের হয়ে পার্ট টাইম বোলারের সফল ভূমিকাও পালন করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রিঙ্কু সিংয়ের এক ভিডিয়ো।

ঘুমোতে পারেন না রিঙ্কু সিং, ভোর ৩টে থেকে ৪টে; কারা আসে তাঁর ঘরে?

 ঘুমোতে পারেন না রিঙ্কু সিং, ভোর ৩টে থেকে ৪টে; কারা আসে তাঁর ঘরে?

রিঙ্কু সিংয়ের (Rinku Singh) ব্যাট বাইশ গজে ঝড় তোলে। ফিল্ডিংয়ে জান লড়িয়ে দেন। চলতি উত্তরপ্রদেশ টি-২০ লিগে অসাধারণ নেতৃত্বও দিচ্ছেন রিঙ্কু। মিরাট ম্যাভেরিক্সের জার্সিতে সেখানে পার্ট টাইম বোলারের সফল ভূমিকাও পালন করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রিঙ্কু সিংয়ের এক ভিডিয়ো। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে ভোর ৩টে থেকে চারটে অবধি তিনি অতীতে ঘুমোতে পারতেন না। এই সময় কারা আসে তাঁর ঘরে?


আইপিএল চলাকালীন নাইটস ডাগআউট পডকাস্টে এর আগে রিঙ্কু সিং জানিয়েছিলেন, তিনি ভূতে ভয় পান। এ বার তেমনই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন নাইট তারকা। ভয়ের চোটে রিঙ্কু অনেক সময় কেকেআরে তাঁর সতীর্থ অনুকূল রায়ের সঙ্গে রাতের পর রাত শুয়েছেন।

নিউজ ২৪ স্পোর্টসের এক ইউটিউব ভিডিয়োতে রিঙ্কুকে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, তাঁর ভয় লাগে বলে কি অনুকূল তাঁর সঙ্গে শুতে আসেন? উত্তরে আলিগড়ের নবাব বলেন, ‘হ্যাঁ, দু’জন একসঙ্গে শুই। ও থাকলে রুমের লাইট জ্বলে না। আমি একা থাকলে রুমের সব আলো জ্বলে। এখন অবশ্য আগের থেকে এই বিষয়ে অনেকটা ঠিক হয়েছি। অনুকূল রায়ের সঙ্গে আমার ভালো কানেকশন। রুমের গদি বেশি নরম হয় বলে আমরা একসঙ্গে অনেক সময় মেঝেতে বিছানা পেতেও শুয়েছি। তবে মনের মধ্যে ঘুরতে থাকে যে, রুমে কোনও অলৌকিক শক্তি না চলে আসে। একটা ভয় কাজ করে কিছু পাছে না হয়ে যায়।’

হাইকোর্টের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে মুক্তি পান সায়ন। সায়নের অভিযোগ, দমনপীড়নমূলক ধারা প্রয়োগ করেছিল পুলিশ। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিন আদালতচত্বরে সায়নের পাশে ঠায় ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা।

শুভেন্দু অধিকারীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই', জেল থেকে বেরিয়ে বললেন সায়ন লাহিড়ী
জামিন পেলেন সায়ন লাহিড়ী।

জামিনে মুক্তি পেলেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটে তাঁর। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল। এমনকী এই গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আদালতের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে ছাত্রনেতাকে মুক্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

হাইকোর্টের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে মুক্তি পান সায়ন। সায়নের অভিযোগ, দমনপীড়নমূলক ধারা প্রয়োগ করেছিল পুলিশ। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিন আদালতচত্বরে সায়নের পাশে ঠায় ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা।

সায়ন লাহিড়ী বলেন, “কোর্টের রায়ে খুশি। আমরা যখন গণ আন্দোলন শুরু করেছিলাম, বলেছিলাম যে আমাদের যেহেতু কেউ নেই। তাই এই গণআন্দোলনকে যাঁরা সমর্থন করছেন, তাঁরা যেন পাশে এসে দাঁড়ান। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তিনি যেভাবে আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, চির কৃতজ্ঞ থাকব। আমাদের আরও সতীর্থ জেলে আছেন। তাঁদের মুক্তিরও চেষ্টা চলবে।”

২৭ অগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। কারা এই ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’, তা নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা চলছিল। এমনও অভিযোগ উঠছিল, এই অভিযানের পিছনে বিজেপি রয়েছে। যদিও কর্মসূচির দু’দিন আগে তিন যুবক কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁরাই এই ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক বলে জানান। সেখানেই ছিলেন সায়ন লাহিড়ীও।

নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম বাধে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। একাধিক গ্রেফতারি হয়। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর সদস্যরাও ছিলেন। যদিও এদিন জেল থেকে বেরিয়ে সায়ন লাহিড়ী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করি, তা শেষও হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। তবে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে ছিলাম, তাই দমনপীড়ন ধারা দিয়েছে।”


শনিবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সাংসদ। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। এদিন বিভিন্নভাবে উঠে আসে আরজি করের ঘটনা।

বাংলার উপর নজর পড়েছে, ওঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে, মমতার হয়ে ব্যাটন ধরলেন শত্রুঘ্ন
শত্রুঘ্ন সিনহা, সাংসদ

এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মাঠে নামলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর দাবি, বাংলার উপর ষড়যন্ত্র চলছে। বিরোধীদের নজর এই রাজ্যের উপর। সাংসদের বক্তব্য থেকে বাদ যায়নি মিডিয়ায়ও। তাঁর দাবি, মিডিয়ার একাংশও হাত মিলিয়েছে বিরোধীদের সঙ্গে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।

শনিবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সাংসদ। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। এদিন বিভিন্নভাবে উঠে আসে আরজি করের ঘটনা। তারাও এক হাত নেন বিরোধীদের। শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, “দেশের মধ্যে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ফাঁসি চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। ওঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। অপপ্রচার করা হচ্ছ।” এদিন সাংসদ বিরোধীদের এই ঘৃণ্য চক্রান্তকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

শত্রুঘ্ন আরও বলেন, “বাংলার ওপর ষড়যন্ত্র চলছে। সমস্ত বিরোধীদের নজর পশ্চিমবাংলার ওপর। কি করে পশ্চিম বাংলাকেও অশান্ত করা যায়। কি করে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে উৎখাত করা যায়। একটাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে একাংশ মিডিয়া।” শত্রুঘ্ন এও বলেন, “এই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের অধীনে। আর এখন এটা সিবিআই তদন্ত করছে। জায়গায়-জায়গায় কিছু লোক আর্থিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ওদের নজর পড়েছে বাংলার উপর। ওরা ভাবছে যে কোনও ভাবে বাংলার ক্ষমতা দখল করো। তাহলে বাকি রাজ্যগুলিতেও আমরা ক্ষমতায় আসব।”

অঙ্গরাজ্যের বিধানসভার ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করতে গেলে ক্ষমতা থাকে সীমিত। কিছু লক্ষ্মণরেখা মানতে হয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। কী সেই লক্ষ্মণরেখা?

কোন 'লক্ষ্মণরেখা' পার করলেই ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনতে পারেন মমতা? জানালেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি


কলকাতা: ধর্ষণের মামলায় যাতে কঠোর শাস্তি হয়, তেমন আইন আনতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিল পাশ করাতে আগামী সপ্তাহেই বিধানসভায় অধিবেশন ডেকেছেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বিল পেশ করা হতে পারে। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বিভিন্ন মঞ্চ থেকে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মমতা। এবার বিল পাশ করে, তেমনই কোনও আইন আনতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এভাবে কোনও রাজ্য কি আদৌ বিল পাশ করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত।


ধর্ষণ বা গণধর্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন আছে। সে ক্ষেত্রে কোনও রাজ্য নতুন বিল আনতে চাইলে বা আইন প্রণয়ন করতে চাইলে, রয়েছে কিছু নিয়ম। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ফৌজদারী আইন হল সংবিধানের সপ্তম তপশিলের যৌথ তালিকাভুক্ত।’ তিনি জানান, ধর্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি আইন আগেই ছিল। সম্প্রতি নতুন আইনও প্রণয়ন করেছে কেন্দ্র। তবে অঙ্গরাজ্যের বিধানসভার ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করতে গেলে ক্ষমতা থাকে সীমিত। কিছু লক্ষ্মণরেখা মানতে হয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

কী সেই লক্ষ্মণরেখা? অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনের কোনও ধারার বিরোধী কোনও আইন আইন প্রণয়ন করা যায় না। এছাড়া এই ধরনের বিল রাষ্ট্রপতির পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষ। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আগে বিল পাঠাতে হবে রাজ্যকে। রাষ্ট্রপতি সব সীমারেখা বিচার করবেন। যদি তাঁর কোনও সংশয় থাকে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী তিনি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন।”

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত আরও জানান, রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইতে গেলে সুপ্রিম কোর্টে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সব শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিতে পারে রাষ্ট্রপতিকে। সব সংশয় শেষ হলে তবেই আইন প্রণয়ন হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ধর্ষণ ও গণধর্ষণের জন্য আইন আছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র এরকম একটি আইন আনতে চেয়েছিল। তবে সেটাও রাষ্ট্রপতির কাছেই আটকে গিয়েছে।

গত ২৮ অগস্ট যুব তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকেই মমতা বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহে স্পিকারকে বলে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি চেয়ে বিল পাশ করানো হবে। শুধু ঘোষণা নয়, সেই মতো প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।