তবে ক্ষমা চাইলেও সব শেষে তাঁর বিরুদ্দে বীরভূমে চলা চক্রান্তের কথাও তুলে ধরেন কেষ্ট। তিনি বলেন, 'তিনটে মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল হয়। তা দেখে কারা ভয় পেল?
ওষুধ খেতে হয়...', তৃণমূলের বেঁধে দেওয়া সময় শেষের আগেই 'ভুল স্বীকার' কেষ্টর, পাশাপাশি বললেন, 'চক্রান্ত চলছে...'
অনুব্রত মণ্ডল
তিনি অপমান করার কথা কখনওই ভাবতে পারেন না। তৃণমূলের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশের ঠিক দু’ঘণ্টা পরই ভুল স্বীকার অনুব্রতর। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ নির্দেশিকা জারি করে অনুব্রত মণ্ডলকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় তৃণমূল। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। নাহলে দল শোকজ করবে।
দল বলেছে করতে তো হবে। আনুগত্য মেনে ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত। দলের নির্দেশের দু’ঘণ্টার মধ্য়ে লিখিত ভাবে ক্ষমা চিঠি পাঠালেন কেষ্ট। তিনি যে ভুল করেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
এদিন ক্ষমা চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘সত্যিই আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে ১০০ বার ক্ষমা চাইতে রাজি আছি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খাই। দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়।’
তবে ক্ষমা চাইলেও সব শেষে তাঁর বিরুদ্দে বীরভূমে চলা চক্রান্তের কথাও তুলে ধরেন কেষ্ট। তিনি বলেন, ‘তিনটে মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল হয়। তা দেখে কারা ভয় পেল? বিজেপি কীভাবে আইসি-কে গালিগালাজ করার ফুটেজ পেল? কে দিল? কোনও চক্রান্ত নেই তো?’
দলের পাশাপাশি কেষ্টর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে বোলপুর পুলিশ। এদিন ‘বীরভূমের বাঘের’ বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বোলপুর পুলিশ। এই প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার অমনদীপ জানিয়েছেন, অফিসারকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, সরকারি কর্মীকে হুমকির মামলা রুজু করা হয়েছে। কেষ্ট বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলির বেশির জামিন-অযোগ্য। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে যতটা কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, ততটাই নেবে বলেও জানিয়েছেন সুপার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours