May 2021
আজকের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের মুড়িগঙ্গা ও শীলপাড়া গ্রামের মানুষরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে,কারণ তাদের দাবি একটাই তাদের মুরিগঙ্গা শীলপাড়ায় যে আইলা বাঁধ হয়েছিল কিন্তুু ৩০০ মিটার মত নদী বাঁক না কমপ্লিট হওয়ায় জল ঢুকেছে পুরো এলাকায়, এখনও ডুবে আছে পুরো এলাকা, তারপর কাজ করার কথা ছিল ওই কন্টাকটারের , কিন্তুু যারা আইলা বাঁধে কাজ করতো তারা আইলা বাঁধের কাজ না করে টলারে মালপাট তুলে চম্পট দিচ্ছিল সেই সময় ওই এলাকার গ্রামবাসীরা জানতে পেরে ওই ট্রলার টিকে আটকায় এবং টলারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ওই এলাকার মানুষ, খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে সাগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে ঘটনাটিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, কিন্তুু এলাকার মানুষ পুলিশের কোনো কথা না শুনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে,

টিম সাউদি অথবা ট্রেন্ট বোল্ট নন। ভারতের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের গোপন অস্ত্র হতে চলেছেন নিল ওয়াগনার। এই বাঁহাতি পেসার অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে খেললেও এবার যেন অনেক বেশি মোটিভেটেড হয়ে আছেন মাঠে নামার জন্য। ওয়াগনার অতীতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। গোলাপি টেস্টে তাঁকে সামলাতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ানদের।

গতি এবং বাউন্স দুটো দিয়েই ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে পারেন। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে নামার আগে ওয়াগনার বলেন, " আমার কাছে এটা বিরাট সুযোগ। নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। বিপক্ষে দুনিয়ার অন্যতম সেরা দল। তাঁদের বিরুদ্ধে সাফল্য পেলে খুশি হব। আমি জানি আমি দেশের হয়ে একদিনের ক্রিকেট বা টি টোয়েন্টি খেলতে পারি না। এটাই আমার বিশ্বকাপ। সেটা মাথায় রেখেই মাঠে নামব "।
ভারতীয় দলকে অবশ্য দুনিয়ার সেরা টেস্ট দল বলতে নারাজ তিনি। তবে মানছেন ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ সবচেয়ে শক্তিশালী। খুব বেশি খেলার সুযোগ হয়নি ভারতের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নামার আগে ভিডিও ক্লিপস দেখে দেখে বিরাট, রোহিত, রাহানেদের শক্তি, দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা হয়ে গিয়েছে। এবার সেটা মাথায় রেখে মাঠে নেমে করে দেখাবার পালা। কঠিন চ্যালেঞ্জ মানছেন ওয়াগনার। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কড়া পরীক্ষার মুখে ফেলতে প্রস্তুত তিনি।
ভারতের আগেই ইংল্যান্ড পৌঁছে গিয়েছে ব্ল্যাক ক্যপস ব্রিগেড। ফলে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ বেশি পাবে তাঁরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে কিউইরা। তবে ওয়াগনার মনে করেন এই পর্যায়ে দুটি বেশি ম্যাচ খেলে ফেলা মানে খুব বেশি এগিয়ে থাকা এমন মনে করার কারণ নেই। লড়াই সমানে সমানে হবে। বর্তমান ভারতীয় দলের জোরে বোলিং আগের থেকে অনেক উন্নত মেনে নিয়েছেন তিনি। তিনি কী বল হাতে ওপেন করবেন ? নাকি পরে আক্রমণে আসবেন? এই ব্যাপারটা অধিনায়কের ওপরেই ছেড়ে দিতে চান বাঁহাতি পেসার। বোলার হিসেবে যে দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে, তা পূরণ করার চেষ্টা করবেন তিনি।

বঙ্গ ভোটের ফলপ্রকাশের (West Bengal Election Result 2021) একমাসও হয়নি। এরই মধ্যে 'ঘর ওয়াপসির' বার্তা দিয়েছেন সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু সহ একাধিক তৃণমূল ত্যাগী নেতা-নেত্রী। একুশের নির্বাচনের আগে টিকিট না পেয়ে অভিমানে তৃণমূল ছেড়েছিলেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ (Sonali Guha)। কিন্তু ফল প্রকাশের পরপরই ক্ষমা চেয়ে বিজেপি ছেড়ে মমতার ছায়াতলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক। তা নিয়ে ট্যুইটারে কাতর আর্জিও জানান সোনালি। সূত্রের খবর, এরপরই শনিবার কালীঘাটে সোনালি গুহকে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ যদিও সেক্ষেত্রে পারিবারিক ছিল। কিন্তু মমতার ডাক পেয়ে আপ্লুত সোনালি। একইসঙ্গে সোনালির মতোই যাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন, তাঁরাও এতে আশার আলো দেখছেন। এই আবহে আগামী ৫ জুন তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বৈঠকে দলে ফিরতে চাওয়া পুরনো নেতাকর্মীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদান ছিল রোজকার ব্যাপার। সোনালি গুহ ছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই পুরনো দলেই ফিরতে চান অধিকাংশ নেতারা। সেই তালিকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়, সব্যসাচী দত্তের মতো নেতাদের নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী দলে ফিরতে চাওয়া নেতাদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই এখন দেখার।
যদিও গত ২ মে, ভোটের ফল প্রকাশের দিনই পুরনো নেতাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, 'আসতে চাইলে আসবে। ওয়েলকাম তাঁদের।' আর নেত্রীর সেই বার্তা নিয়েই আশায় দিন গুণছেন বহু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা।

শনিবার মমতার কালীঘাটের বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন সোনালিও। সেখানে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয় তাঁর। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই কালীঘাটে যাওয়া সোনালির। কিন্তু শুধু সোনালি নয়, আরও যে সমস্ত নেতার পরবর্তী গন্তব্য তৃণমূল, তাঁরা সকলেই এখন তাকিয়ে আছেন ৫ জুন বৈঠকের দিকেই।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) প্রভাব শুধুই মানবজাতির উপর নয়। প্রাণঘাতী প্রভাব বন্যপ্রাণের উপরেও পড়েছে। রবিবার সকালে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের হরিখালি ক্যাম্পের পাশে উদ্ধার হল এক পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘের দেহ (Royal Bengal Tiger Death)। বাঘটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসার জন্য সজনেখালিতে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বাঘটির। প্রাথমিক ভাবে বনকর্মীদের অনুমান, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাঘটির। অসুস্থ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তবে তারই সঙ্গে দোসর হয়েছিল ইয়াসের প্রভাব। গত বুধবার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছে ইয়াস। সে কারণেও আরও বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছেল বাঘটি।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভিকে যাদব জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণেই বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত করে দেখা হচ্ছে বাঘটির মৃত্যুর কারণ। তাঁর অভিজ্ঞতা, চিড়িয়াখানায় সাধারণত একটি বাঘ বেঁচে থাকতে পারে প্রায় ১৮ বছরের কাছাকাছি।‌ কিন্তু সেই বাঘই জঙ্গলে থাকলে ১২ থেকে ১৪ বছর বাঁচে। কারণ, চিড়িয়াখানায় বাঘের যে পরিচর্যা হয় সেটা জঙ্গলে সম্ভব নয়। কারণ, চিড়িয়াখানার বাঘকে খাবারের জন্য কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে হয় না। জঙ্গলে যেটা প্রতি পদে পদে ঘটে।
রবিবার সকালেই বাঘটি হরিণভাঙা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হরিখালি ক্যাম্পের পাশে চলে এসেছিল। অসুস্থ অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে বনকর্মীরা চিকিৎসারর চেষ্টা শুরু করেন। নৌকা করে চিকিৎসার জন্য তাকে সজনেখালি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু পথেই বাঘটি মারা যায়। বাঘটির বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের কাছাকাছি।

বন দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ইয়াসের কারণে জঙ্গলের ভেতর জল ঢুকে গিয়েছিল। ফলে বহু প্রাণী বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছিল। যার প্রমাণ ইয়াসের দিন হরিণ ও বুনো শুয়োরের জলে ভেসে লোকালয়ের দিকে চলে আসা। হতে পারে এই বাঘটি যেখানে ছিল সেখানে কোনও খাবার পাচ্ছিলনা। আবার জল থেকে বাঁচতে তাকে অনেক পরিশ্রমও করতে হয়েছে। এটাও হতে পারে জলের তোড়ে বাঘটি কোনও শক্ত জিনিসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বাঘটির তা ময়নাতদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশনের জন্য সপ্তাহান্তে বন্ধ থাকবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India)-র ডিজিটাল পরিষেবা। SBI-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, শনিবার (২২ মে) ব্যাঙ্কের কাজ শেষের পর NEFT সিস্টেমগুলির প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধণের জন্য ডিজিটাল পরিষেবাগুলি বন্ধ রাখা হবে।

ভারতের বৃহত্তম ঋণদানকারী তথা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা রবিবার রাত্রি ১২টা ০১ মিনিট থেকে শুরু করে সে দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত SBI-এর YONO বা SBI-এর YONO লাইটে কোনও রকম NEFT-সংক্রান্ত সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারবেন না।

এদিন নিজেদের অফিসিয়াল Tweet হ্যান্ডেলে SBI-এর তরফে জানানো হয়েছে, “২০২১ সালের ২২ মে ব্যাঙ্কের কাজ বন্ধ হওয়ার পরে SBI তার NEFT সিস্টেমগুলিকে উন্নতিসাধন করবে। রবিবার তথা ২৩ মে রাত্রি ১২ টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, YONO এবং YONO লাইট পরিষেবাগুলি উপলভ্য হবে না। তবে উপলভ্য থাকবে RTGS পরিষেবাগুলি।”

২১ মে শুক্রবার থেকেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উপলব্ধ নেই SBI ইন্টারনেট (অনলাইন) পরিষেবা। বৃহস্পতিবার এক ট্যুইটে বলা হয়, নানা ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম চালর কারণে অনলাইন পরিষেবাগুলি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। গ্রাহকদের এবিষয়ে জানিয়ে SBI-এর তরফে আবেদন করা হয়, "আমরা আরও উন্নততর ব্যাংকিং পরিষেবার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করার কারণে আমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় গ্রাহকদের আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।"

প্রসঙ্গত, এর আগে ৭ এবং ৮ মে অনলাইন পরিষেবাগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে SBI-এর অনলাইন পরিষেবা ব্যহত হয়।

সারা দেশে ২২,০০০-এরও বেশি শাখা এবং ৫৭,৮৮৯-টিরও বেশি এটিএম সহ, SBI হল ভারতের বৃহত্তম ঋণদানকারী সংস্থা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ব্যাঙ্কে ৮৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং ১৯ মিলিয়ন মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যবহারকারী ছিলেন। SBI YONO-তেও রয়েছেন ৩৪.৫ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারী। আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অ্যাপে প্রতিদিন লগ ইন করেন প্রায় ৯ মিলিয়ন ব্যবহারকারী।


বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে Facebook-এর জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। আর এই জনপ্রিয়তা যতই বাড়ছে ততই নতুন নতুন নিয়মনীতি তৈরির পথে হাঁটছে এই সংস্থা। এবার ব্যবহারকারীদের ভুয়ো তথ্য প্রসঙ্গে অবগত করার জন্য একটি নতুন উপায় শুরু করেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট Facebook।

সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে Facebook বলেছে, "করোনাভাইরাস এবং ভ্যাকসিন, জলবায়ু পরিবর্তন, নির্বাচন বা অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক কন্টেন্টের ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করছি যে খুব কম লোকই আমাদের অ্যাপগুলিতে এই ভুল তথ্য দেখতে পাবে।"

Facebook-এ কী পরিবর্তন হচ্ছে?

Facebook মূলত তিনটি নতুন পরিবর্তন এনেছে। প্রথমত, এটি একটি পেজকে ট্যাগ করবে, যা বারবার ফ্যাক্ট-চেকারদের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য শেয়ার করবে। দ্বিতীয়ত, ভাইরাল ভুয়ো তথ্য শেয়ার করার জন্য শাস্তি হিসাবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকউন্ট থেকে কন্টেন্ট হ্রাস করা হবে। তৃতীয়ত, ফ্যাক্ট-চেকারদের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য শেয়ার করার সময় লোকেরা যে বিজ্ঞপ্তিগুলি পেয়ে থাকে সেগুলিকে নতুন করে ডিজাইন করা হবে।

কী ভাবে Facebook-এর ফ্ল্যাগ পেজগুলি ভুল তথ্য শেয়ার করবে?

এক্ষেত্রে কোনও ব্যবহারকারী যখন একটি Facebook পেজে যান তখন সেখানে বারে বারে একটি মেসেজ আসতে থাকবে, যেখানে লেখা থাকবে, "এই পেজটি বার বার মিথ্যা তথ্য শেয়ার করছে।" এর পর ব্যবহারকারীরা পূর্ববর্তী পেজে ফিরে যেতে পারেন। তার অপশন ওই প্রম্পট মেসেজেই দেওয়া থাকবে। এছাড়াও ওই পেজে শেয়ার করা কিছু পোস্টে ভুয়ো তথ্য এবং ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম সম্পর্কিত আরও তথ্যের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করা হবে। Facebook জানিয়েছে যে, এটি ব্যবহারকারীরা পেজটি ফলো করতে চান কি না সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ভুয়ো তথ্য শেয়ার করার জন্য নতুন জরিমানা কী হবে?

Facebook কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে নিউজ ফিডে সমস্ত শেয়ার করা পোস্টের সংখ্যা হ্রাস করে দিতে পারে, যদি তারা বার বার এমন কোনও কন্টেন্ট শেয়ার করে নেয় যেগুলির গুণমান ফ্যাক্ট-চেকার দ্বারা বিচার করা হয়েছে।

যদিও এর আগে Facebook বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ, Instagram অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য শেয়ার করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কিন্তু এবার এই সংস্থা ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোন ফ্যাক্ট-চেকার Facebook-এর সঙ্গে জড়িত?

বিশ্বব্যাপী, Facebook বেশ কয়েকটি ফ্যাক্ট-চেকিং অংশীদারকে নিযুক্ত করেছে - বিভিন্ন ভৌগোলিক এলাকার জন্য আলাদা আলাদা ফ্যাক্ট-চেকার রয়েছে। ভারতের জন্য Facebook নয়টি ফ্যাক্ট-চেকারদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। সেগুলি হল- এএফপি-হাব (AFP-Hub), বুম (Boom), ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো (Fact Crescendo), ফ্যাক্টলি (Factly), ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক (India Today Fact Check), নিউজচেকার (NewsChecker), নিউজমোবাইল ফ্যাক্ট চেকার (Newsmobile Fact Checker), দ্য কুইন্ট (The Quint) এবং বিশ্বাস (Vishvas)।

৪৮ ঘণ্টা যুদ্ধের পর উদ্ধার হল সোদপুরের গেঞ্জি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ চার ব্যক্তির ঝলসানো দেহ। গত ৪৮ ঘণ্টা ওই বহুতলে ঢুকতে না পারয় দমকল এই ব্য়ক্তিদের হদিশ পায়নি। আজ ভিতরে ঢুকতেই দোতালার সিঁড়িতে ওই চার ব্যক্তির ঝলসানো দেখতে পাওয়া যায়। মৃতদের নাম অমিত সেন, স্বরূপ ঘোষ, তন্ময় ঘোষ, সুব্রত ঘোষ। সম্ভবত দ্রুত কারখানা ছেড়ে নামতে চাইছিলেন তাঁরা, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

পরিবার সূত্রে খবর বুধবার রাতে শেষ কথা হয় স্বরূপের সঙ্গে বাবা মায়ের, বাবা মায়ের শরীরের খোঁজ নেন তিনি। এর পর বুধবার ভোররাত নাগাদ আগুন লাগে সেই কারখানায়। তারপর স্বরূপের ফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি তাঁকে। ছেলে আর নেই শুনে কার্যত ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। একই চিত্র চাকদার কুন্দলিয়া গ্রামের সুব্রতদের বাড়িতেও।

বিলকান্দা শিল্পতালুকের ওই কারখানায় আগুন লেগেছিল বুধবার মধ্যরাতে। সোদপুরের বিলকান্দা শিল্পতালুকের গেঞ্জি কারখানায় সেই আগুন নেভে ৩৮ ঘণ্টা পর। এই লম্বা সময় ধরে ২২ টি ইঞ্জিন লাগাতার কাজ করে গিয়েছে, ভাঙা হয়েছে বিল্ডিংটির নানা অংশ। আজ, শনিবার ওই চারজনের খোঁজ করতে ড্রোন নামানোর পরিকল্পনা করে দমকল, পিডাব্লিউডি ও সিভিল ডিফেন্স আধিকারিকরা। অবশেষে পকেট ফায়ার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেই দেহগুলির সন্ধান পান দমকলবাহিনী। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

কেন এত দেরি হল দেহ উদ্ধারে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ১৫ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছলেও, বিল্ডিংটি পুরনো হওয়ায় ভিতরে ঢুকতেই পারছিলেন না দমকল। ফলে পকেট ফায়ারগুলি নে‌ভানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় ইঞ্জিন বাড়ানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে রোবট নিয়ে জল ছুঁড়ে পকেটগুলিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে দমকল বাহিনী। তারপর ধাপে ধাপে ইঞ্জিন বাড়ানো হয়। কিন্তু কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় সামগ্রিক ভাবে আগুন নেভানো মুশকিল হয়ে যায়। এই কারণেই দেরি। লকডাউনের মধ্যে কেন কারখানা চালানো হচ্ছিল, সেই নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর্যালোচনা বৈঠকে ডাক পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ রাজ্য রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে৷ এবার এই বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন গুজরাতের কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভরত সোলাঙ্কি৷ নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধে তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় ঝড় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বিরোধী দলনেতা ডাক পেলে গুজরাতে কেন ডাকা হয় না?

ইয়াসের আগেই ভারতের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় তাউকতাই৷ এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল গুজরাতে৷ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গুজরাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে পর্যালোচনা বৈঠকও করেন তিনি৷ কিন্তু কংগ্রেস নেতা সোলাঙ্কির অভিযোগ, মোদির সেই বৈঠকে ডাক পাননি গুজরাতের বিরোধী দলনেতা৷
ট্যুইটারে সোলাঙ্কি লিখেছেন, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতাকেও ডাকা হয়েছে জেনে ভাল লাগল৷ কিন্তু আমার ভেবে অবাক লাগছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় তাউকতাই-এর জেরে গুজরাতের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের সময় কেন এখানকার বিরোধী দলনেতাকে উনি আমন্ত্রণ জানাতে ভুলে গেলেন?'

দ্বিতীয় মনমোহন সিং সরকারের আমলে পানীয় জল এবং নিকাশী মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সোলাঙ্কি৷ গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বও সামলে ছিলেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হল, তা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ পাল্টা বিজেপি-র তরফে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, বিরোধী দলনেতা হিসেবেই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন শুভেন্দু৷ পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে ওড়িশাতেও একই ধরনের বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ কিন্তু সেই বৈঠকেও ওড়িশার বিরোধী দলনেতা ডাক পাননি বলেই খবর৷ এবার কংগ্রেস নেতা সোলাঙ্কিও গুজরাতের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অস্বস্তি আরও বাড়ালেন৷
বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিক ও অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাধ্যমিক হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের রুটিন-সহ বিস্তারিত বিষয় দুই বোর্ড স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মোতাবেক ইতিমধ্যেই আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর, সেই আলাপ-আলোচনায় ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সে ক্ষেত্রে যেহেতু প্রশ্নপত্র ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল তাই ছাত্রছাত্রীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ৯০ নম্বর এর প্রশ্নপত্র ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হবে। তার মধ্য থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ৪৫ নম্বর এর উত্তর দেবেন। এই প্রস্তাবই আপাতত স্কুল শিক্ষা দফতর কাছে পাঠানো হচ্ছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বলেই সূত্রের খবর।
তবে উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর বিভাজন কী হবে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বলে সূত্রের খবর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়ার দিকেই এগোচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা থেকে বাদ পড়তে পারে একাধিক বিষয়। সাইকোলজি, অ্যানথ্রোপলজি, এগ্রোনোমি, ইনভারমেন্টাল সায়েন্স, হেলথ এন্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক, ভিসুয়াল আর্টস, সোশিওলজি, পার্শিয়ান, আরাবিক, ফ্রেঞ্চ, হোম ম্যানেজমেন্ট এই বিষয়গুলির পরীক্ষা নাও নেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্কুলে প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে এই বিষয়গুলি নম্বর দেওয়া হতে পারে বলেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর। জানা গেছে এই প্রস্তাবটি ও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পাঠাতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই কোন কোন বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেবে সংসদ আর কোন কোন বিষয়ে নেবে না তা নিয়ে চূড়ান্ত জানিয়ে দেবে সংসদ।
৯ বা ১০ অগাস্ট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু করতে পারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সূত্র খবর আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে মাধ্যমিকের রুটিন প্রকাশ করতে পারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার রুটিন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একই দিনে দুটি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলেও সম্ভাবনা হিসেবে উঠে আসছে উচ্চমাধ্যমিকের। যদিও এই বিষয়গুলো নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

-সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্বাদশ শ্রেণির CBSE বোর্ড পরীক্ষা (CBSE Class XII Exam) বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছে পিটিশন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি স্থগিত (Hearing Adjourn) হয়ে গেল। আগামী সোমবার (৩১ মে) আবারও শুনানি (Hearing) হবে। সেদিনই পরীক্ষা বাতিল নিয়ে সম্ভবত চূড়ান্ত রায় দিতে চলেছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার শুনানির শুরুতেই বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, CBSE-কে মামলার কপি পাঠানো হয়েছে কিনা। প্রত্যুত্তরে মামলাকারী তথা আইনজীবী মমতা শর্মা জানান, আজ (শুক্রবার) মামলার কপি পাঠানো হবে। তাতে বিচারপতি খানউইলকর বলেন, 'আপনি সেটা করুন। আমরা সোমবার শুনানি করব।' যদিও 'কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট সেকেন্ডারি এডুকেশনের (CISCE) আইনজীবী জানান, তিনি আছেন। তাতে অবশ্য রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। সিবিএসই এবং কেন্দ্রকে মামলার কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। জানানো হয়, আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় ফের মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, কোভিডের (Coronavirus) জেরে অনিশ্চিত দেশের সিবিএসই (CBSE) দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণি পরীক্ষা বাতিল (Cancelation Of Board Exam) করার জন্য দাবি উঠেছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। এই নিয়ে কাউন্সিলের দিক নির্দেশনা চেয়ে ওই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট মমতা শর্মা দায়ের করা আবেদনে, আদালতকে আদালতকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল ঘোষণা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছিল।

আগামী ৩১ মে, ২০২১ সোমবার থেকে দিল্লিতে (Delhi Coronavirus) শুরু হচ্ছে 'আনলক' পর্ব (Delhi Unlock)। শুক্রবার ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এই আনলক পর্ব করা হবে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করে ধাপে ধাপে। সোমবার থেকে রাজধানীতে কলকারখানা ও নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন (Delhi Lockdown) জারি করা হয়েছিল দিল্লিতে। এপ্রিলে একদিনে প্রায় ২৫ হাজার করোনায় সংক্রামিত পাওয়া গিয়েছিল রাজধানীতে। গত সপ্তাহেই ৩১ মে পর্যন্ত দিল্লিতে লকডাউন বাড়ানো হয়েছিল।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, বিগত কয়েকদিন যাবৎ রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। কেজরিওয়াল শুক্রবার বলেছেন, 'এ বার সব কিছুই খুলে দেওয়া জরুরি। না-হলে অনাহারে মরতে হবে মানুষকে।' তিনি ঘোষণা করেছেন, 'সোমবার থেকেই শিল্পাঞ্চলের উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে কাজ শুরু করা যাবে।' গত সপ্তাহে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি করেছিলেন, সংক্রমণ হারও ৫ শতাংশের নীচে। লকডাউন করেই কোভিডের দ্বিতীয় ঝড় আটকানো সম্ভব হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে যেভাবে অক্সিজেন-সহ চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যে কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লিতে নতুন করে ১১০০ নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এখনই অকারণ বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, 'দিল্লির করোনার সংক্রমণের হার ১.৫ শতাংশের নীচে চলে এসেছে, তবুও এই লড়াই এখনও শেষ হয়নি।'
এরই সঙ্গে কেজরিওয়াল মনে করিয়ে দিয়েছেন, আনলক শুরু হওয়ার পর যদি ফের করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে, তাহলে ফের লকডাউনের পতেই হাঁটবে দিল্লি। এদিন DDMA-এর তরফে আনলকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে আনলক করা হবে। নজর রাখা হবে টিকাকরণের হারের দিকেও।
আমফান (Cyclone Amphan) থেকে 'শিক্ষা' নিয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই ইয়াসের (Cyclone Yaas) ক্ষেত্রে আর সেই দলীয় 'ভুলের' পুনরাবৃত্তি চান না তিনি। তাই ইয়াসের ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ বণ্টনের রাশ দল নয়, সম্পূর্ণরূপে প্রশাসনের হাতে রাখছেন তিনি। এদিনই একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, অপরদিকে নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন খাতে কত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর আগেই মমতা জানিয়েছেন, এবার হবে 'দুয়ারে ত্রাণ'। সকলেই নিজের ত্রাণ যেমন দুয়ারে পাবেন, তেমনি ক্ষতিপূরণের জন্য নিজেরাই আবেদন করবেন। আর এ ক্ষেত্রে দলের তরফে যাতে আর কোনও দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে, সেই বার্তাই এবার দলে কঠোরভাবে জানিয়ে দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী।

সূত্রের খবর, আগামী ৫ জুন তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডেকেছেন মমতা। দলের সমস্ত সাংগঠনিক নেতাদের সেই বৈঠকে ডেকেছেন তিনি। রাজ্য এবারের ভোট প্রচারে 'দুয়ারে রেশন'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমফানের সময় ত্রাণ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ দুর্নীতির ভুড়িভুড়ি অভিযোগ উঠেছিল। যা ভোটের প্রচারে ব্যাপক হারে ব্যবহার করেছিল BJP। তাই এবার ইয়াসে সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ‘দুয়ারে সরকার’, তারপর 'দুয়ারে রেশন'-এর আদলে এবার ‘দুয়ারে ত্রাণ’ বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প। ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত হবে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ। ১৯ জুন থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত সব আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে। ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি ব্যাংকে টাকা দেওয়া হবে। পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়া বাড়ি ঠিক করতে ক্ষতিগ্রস্তদের কুড়ি হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। শস্য নষ্ট হবার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ন্যূনতম এক হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা করে পাবেন। মহিষ কিংবা গরুর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বাবদ ত্রিশ হাজার টাকা, ছাগল ভেড়া মারা গেলে বা ভেসে গেলে ৩হাজার টাকা, বাছুরের জন্য ১৬০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে পানচাষিদের। মৎস্যজীবীদের পুরোপুরি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা মেরামতি করতে পাঁচ হাজার টাকা, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা ঠিক করতে পাঁচশো টাকা, জাল কেনা বাবদ ২৬০০ টাকা করে দেবে। তাঁতের সরঞ্জাম মেরামত যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৪১০০ টাকা, গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
তছনছ হয়ে গিয়েছে সাধের দিঘা৷ আর পাঁচজন বাঙালির মতো ইয়াসের দাপটে লন্ডভন্ড হওয়া দিঘার ছবি দেখে হতাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর আফশোসটা হয়তো একটু বেশিই৷ কারণ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে রাজ্য সরকার৷ যার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিজের৷ তাই চেনা দিঘাকে দ্রুত আগের রূপে ফেরাতে এ দিন সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই কাজে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গড়ে দিয়েছেন তিনি৷

এ দিনই দিঘায় গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে প্রথমে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিকেলে নিজেই ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ বিধ্বংসী ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে কতটা ক্ষতি হয়েছে এলাকার, মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে তা নিজেই দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সৈকত লাগোয়া যে ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙেছে, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দিঘাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে৷ মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে নিয়েও একই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওই বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এখন থেকে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব৷ পাশাপাশি, দিঘা সহ মন্দারমণি, তাজপুরের মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত যে সৈকত এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলির পুনর্গঠনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গড়া হয়েছে এ দিন৷ তার নেতৃত্বতেও থাকছেন মুখ্যসচিব৷ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে কীভাবে এই সমস্ত এলাকায় পুনর্গঠন, সৌন্দর্যায়ন এবং বাঁধ নির্মাণ করা যায়, এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে এই কমিটি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রূপশী দিঘা পর্যটনকে আকৃষ্ট করে৷ দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব আমি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিচ্ছি৷ নতুন করে প্ল্যান অফ অ্যাকশন তৈরি করতে হবে৷ দিঘার যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে নতুন সেট আপ করতে হবে৷ মাথায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি না থাকলে হবে না৷ আলাপনের নেতৃত্বেই কাজটা এখন চলবে৷ '
দিঘাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে পূর্ত, সেচ দফতরকে বিশেষভাবে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙায় এ দিনও সেচ দফতরের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'কাঁচা মাটি দিয়ে বাঁধ করলে জলের তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে৷ টাকা জলে যাচ্ছে আর পকেটে চলে যাচ্ছে৷' একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদী সমাধান বের করতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, 'সব জায়গায় জলে জলে জলাকার৷ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলাম ভরা কোটালের জন্য৷ প্রকৃতি মাকে তো আটকানো যায় না৷ কিন্তু স্থায়ী সমাধান চাই৷ একবার আয়লা, একবার আমফান, একবার ইয়াস- আসল আর প্রতি বছর সবকিছু ভেঙে গেল, এ ভাবে তো চলতে পারে না৷ ' বাঁধ শক্তিশালী করতে এ দিনও ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীকে সেচ দফতরের তরফে এ দিনের বৈঠকেই জানানো হয়, দিঘার সৈকত বরাবর মেরিন ড্রাইভের মূল রাস্তার সেভাবে ক্ষতি হয়নি৷ কিন্তু ফুটপাত, গার্ডওয়ালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ তবে শু
এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে দিঘা এবং সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা করে আর্থিক প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য৷
আগামিকাল, শনিবার আকাশপথে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, জেলার মধ্যে দিঘা, শঙ্করপুর, নন্দীগ্রামের মতো এলাকাগুলিরি বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ দিঘা যাওয়ার আগে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিও আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হিঙ্গলগঞ্জ এবং গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি৷
আজকের গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগে উচ্ছাসে মেতে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা,
ইতিমধ্যে সাগরে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Video Link : https://www.facebook.com/watch/?v=1886821174815647
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়ার ভেসেল ঘাটের পৌঁছে গেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক পি উল্গানাথন,
জেলাশাসক কচুবেড়িয়া থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা চলে যায় গঙ্গাসাগরে হেলিপ্যাড ময়দানে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারটি ল্যান্ড করবে, তারপর জেলাশাসক পুরো হেলিপ্যাড ঘুরে দেখেন দেখার পর তিনি তাঁর সাগরের জেলাশাসক ভবনে চলে যান,
ওই দিন জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি ভাস্কর মুখার্জী,সাগরের এসডিপিও দীপাঞ্জন চ্যাটার্জী, সাগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বাপি রায়, সাগর কোস্টাল থানার ওসি তরুণ রায়,সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল মহাশয়

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সংঘাত এখন চরমে ৷  ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ভারত সরকারের নতুন আইটি বিধিনিষেধগুলির (IT Rules) বিরুদ্ধে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল। নতুন নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপ এবং অনুরূপ সংস্থাগুলিকে তাদের মেসেজিং অ্যাপের দ্বারা পাঠানো মেসেজগুলির ‘অরিজিন’ অর্থাৎ সর্বপ্রথম কে এই মেসেজটি পাঠিয়েছে, তার উৎস সম্পর্কে খোঁজ রাখতে হবে ৷ এই নিয়মের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে ২৫ মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয় ৷

সংস্থার দাবি, মেসেজিং অ্যাপে চ্যাট ট্রেস করার অর্থ হল প্রত্যেকের হোয়াটস্যাপে সেন্ড করা প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে বলার সমান। এটি করলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বলে আর কিছু থাকবে না। ফলে জনসাধারণের গোপনীয়তার অধিকার বিঘ্নিত হবে। এই সমস্যার সমাধানে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা সংস্থা চালিয়ে যাবে বলেই হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৷

WhatsApp-এর এই নতুন গোপনীয়তা নীতি প্রত্যাহার করার জন্য কয়েকদিন আগেই ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। যদি এই কোম্পানির তরফে কোনও জবাব না মেলে তবে, আইনি পথে হাঁটবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অভিযোগ, “এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন, WhatsApp-এর তরফে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের উপর থেকে এই অন্যায় শর্ত আরোপের অবস্থানটি বদল করা উচিত।’ হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, প্রাইভেসি পলিসি প্রত্যাহার করা যাবে না। তবে যাঁরা এই নতুন পলিসি মানবেন না, তাঁদেরও কোনও ফিচার্স থেকে বঞ্চিত করা হবে না, ভারত সরকারকে চিঠির উত্তরে জানায় WhatsApp।

১৫ মে WhatsApp-এর নতুন গোপনীয়তা নীতিকে কর্যকর করার পর সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের করা আবেদন প্রসঙ্গে জবাব চেয়ে দিল্লি হাইকোর্ট ভারত সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই নতুন গোপনীয়তা নীতি ভারতের সংবিধানের আওতায় ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের একটি বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার, WhatsApp এবং মূল সংস্থা Facebook-কে প্রতিক্রিয়া জানাতে নোটিস জারি করে।

সম্প্রতি গোপনীয়তা নীতি আপডেট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহারকারীদের ১৫ মে-র তারিখের সময়সীমা বাতিল করে WhatsApp। সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই সংস্থার তরফে বলা হয়, যদি কেউ এই গোপনীয়তা নীতি গ্রহণ না করে তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের অ্যাপের অনেক কার্যকারিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাদের সেক্ষেত্রে তখন সীমিত কার্যকারিতার মধ্যে রাখা হবে। WhatsApp-এর এই সীমাবদ্ধতার তালিকায় রয়েছে চ্যাট (chat), নোটিফিকেশন (notifications) এবং কলের (calls) মতো সুবিধাগুলিকে। সুতরাং কোম্পানির নতুন আপডেট গ্রহণ না করলে এই সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত করা হবে ব্যবহারকারীদের। ব্যবহারকারীরা ‘Agree’ অপশনে ক্লিক করে এই নতুন নীতি গ্রহণ করতে পারবেন।

প্রথমে ৮ ফেব্রুয়ারি WhatsApp-এর গোপনীয়তা নীতি বাস্তবায়নের প্রথম তারিখ থাকলেও পরে নানা বিতর্কের সম্মুখীন হওয়ায় তা পরিবর্তন করে ১৫ মে করা হয়। এখন সেই তারিখও পিছিয়ে দিয়েছে WhatsApp। তবে ভারত যে কোনও ভাবেই এই নীতি মানতে নারাজ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!




 অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শক্তি হারিয়ে  গভীর  নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে অবস্থান করছে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের ওপর। যার ফলে এই মুহূর্তে ঝড় বইছে ঝাড়খণ্ডে। সেই ঝড়ের গতিবেগ  ৭০ থেকে ৯০ কিমি/ঘণ্টার কাছাকাছি থাকার কথা। ফাইল ছবি।


*বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খণ্ডে হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যায় ঘণ্টায় ৫৫ কিমিতে। গভীর নিম্নচাপটি এ বারে বিহার-উত্তরপ্রদেশের দিকে সরবে বলেই আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি।



ঝাড়খণ্ড যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে ইয়াস। ইয়াসের অবস্থানের জেরে আজও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি হবে।পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। ফাইল ছবি।



 বুধবার সকালেই রামনগরের এক ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। রাতে আর তিন মৃত্যুর খবর এলো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে মৃত্যু হয়েছে মন্দারমনি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার দুই বাসিন্দার। অন্য দিকে ভরা কোটালে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন ভোলা দাস নামের নৈহাটির এক তরুণ। মন্দারমনির মৃত ব্যক্তির নাম কানাই গিরি। ঘোড়ামারার মৃত ব্যক্তির নাম বৃন্দাবন জানা। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক ব্যক্তি।

মন্দারমনির বাসিন্দা কানাই গিরি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় আচমকাই তলিয়ে যান তিনি। গতকাল, বুধবার ইয়াসের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মন্দারমনি -সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরেই। সমুদ্রের জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে চাষের জমি। অন্তত চার লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

একই চিত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার। মুড়িগঙ্গার জলোচ্ছ্বাসই সেখানে প্রাণ নিল বৃন্দাবন জানা নামের ওই ব্যক্তি। সাইক্লোন সেন্টারে উঠে এলেও ঝড় বৃষ্টি মাথায় তিনি বাড়ির পরিস্থিতি দেখতে যান। পরে বিপর্যয় কমলে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় নিকটবর্তী এক পানের বরজে। মনে করা হচ্ছে তীব্র জলোচ্ছ্বাসেই ভেসে গিয়েছিলেন তিনি।

অন্য দিকে নৈহাটিতে ভরা কোটা‌লের সময়ে গঙ্গা পারাপার না করার কথা বারংবার বলা হয়েছিল। সূত্রের খবর নৈহাটির যুবক ভোলা দাস নোঙরে নৌকো বাঁধতে জলে নেমেছিলেন সব নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েই। জলে তলিয়ে যান তিনি।

ইয়াস আসার আগের দিন বিকেলে মিনি টর্নেডোয় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ইয়াসের আছড়ে পড়ার দিন, বুধবার দুপুরে রামনগরের এক বাসিন্দা মাছ ধরতে সব জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন। ক্রমে আরও তিনটি মৃত্যুর খবর এলো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ জনের প্রাণ নিল ঘাতক সাইক্লোন ইয়াস। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


 সোদপুরে এক গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। সাত ধণ্টা পরেও দাউড়দাউ করে জ্বলছে বিলকান্দার ওই কারখানা চত্বর। সূত্রের খবর ওই  কারখানা চত্বরে চারজন আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এখনও। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। দমকল সূত্রে খবর, যে কারখানাটিতে আগুন লেগেছে তা এতই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে যে যে কোনও মুহূর্তে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই দিক বিবেচনা করেই বহুতলটিতে প্রবেশ করতে পারছে না বাহিনী। বাইরে থেকেই চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা, কাজ করছে দমকলের রোবট। কারখানার বাইরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে চারটি বাইক। বেশ কয়েকটি এসি মেশিন থাকায় আগুনের দাপট আরও বেড়েছে। পাশাপাশি বাইরে ঝোড়া হাওয়ার কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণ মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা ঘটনাস্থল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেদকরা মনে করছেন আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে।

সূত্রের খবর বুধবার বিলকান্দা শিল্পতালুকে অবস্থিত ওই কারখানায় রাত আড়াইটেয় আগুন লাগে। পরপর কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। আশেপাশে  রঙের কারখানা থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়াতে থাকে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওই চার ব্যক্তির ভিতরে আটকে থাকা। দমকল সূত্রে খবর, এই কারখানায় ঘটনার সময়ে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কোনও ভাবেই কাজ করেনি। কাজ করেননি ফায়ার অ্যালার্মও। এই মুহূর্তে আগুন জ্বলছে কারখানার বেশ কয়েকটি তলায়।

উদ্বেগের বিষয়, এই ভয়াল পরিস্থিতিতে বাইরে থেকেই কাজ করতে হচ্ছে দমকল আধিকারিকদের। তারা বলছেন আগুন নেভানো এখানে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ঘিঞ্জি এই এলাকায় ১৫টির বেশি ইঞ্জিন ঢোকানো সম্ভব হচ্ছে না। কতক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।

সাইক্লোন ইয়াসের ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল যখন, তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা ১৫ মিনিট। ধারমা-চাঁদবালি উপত্যকায় অবশ্য তাণ্ডব শুরু হয়েছিল তার অনেকটা আগেই। অবশেষে বুধবার রাত ১১টার মধ্যেই এই সাইক্লোন পর্ব সাঙ্গ হল। অবশ্য বিপর্যয় তাতে শেষ হচ্ছে না। দুর্বল হয়ে সাইক্লোন ইয়াস এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাঁর অভিমুখ এখন দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডে। আবহবিদরা বলছেন আজই সামগ্রিক ভাবে শক্তি হারিয়ে ফেলবে ইয়াস। তবে তার আগে বাংলা, ওড়িশা ও বিস্তীর্ণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ইয়াসের অবস্থানের জেরে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুরের বড় অংশে।

সাইক্লোন ইয়াস বাংলায় ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে তাই নিয়ে নানা মত ছিল। তবে শেষমেশ আবহবিদরা হাতেকলমে বুঝিয়ে দেন, সাইক্লোনের অভিমুখ পরিবর্তন হয়েছে। তা উপকূলবর্তী অঞ্চল ছুঁয়ে গেলেও তা মূলত আছড়ে পড়ব ওড়িশার ধামরা বন্দরে। সাইক্লোন আছড়ে পড়ার বহু আগে থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের ফলে বেনজির পরিস্থিতি হয় দিঘা মন্দারমনিতে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম, কণ্টাই, রামনগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কুলতলি, কচুবেরিয়া, কুলপিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। আবহবিদরা জানান, এই জলস্ফীতির কারণ ভরা কোটাল। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানান জলস্ফীতি হতে পারে আজ বৃহস্পতিবারও। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি উপকূল ও নদী তীরবর্তী মানুষজনকে সতর্ক করেন তিনি।

আপাত ভাবে দেখা যাচ্ছে, সাইক্লোনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুক্রবার থেকে জেলা সফর করবেন। সরেজমিনে পরিস্থিতি পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স তাঁর সঙ্গে থাকবে। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন,আগামী ২৮ মে মুখ্যমন্ত্রী বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন আকাশপথে। যে যে এলাকাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে জায়গায় জায়গায় তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। প্রথমে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ যাবেন । সন্দেশখালি, ধামাখালি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জরিপ করে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেখান থেকে আকাশপথে যাবেন সাগরে। সুন্দরবন এলাকার বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।

সাগরে বৈঠক শেষে আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরে। ইয়াসে ত্রস্ত আরেক জেলায় তিনি প্রথমে নামবেন দিঘায়। সেখানে এলাকা পরিদর্শন করে চলে যাবেন কাঁথিতে। রামনগরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যাবেন এ বছর তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এখনও পর্যন্ত সাইক্লোন ধাক্কায় বাংলায় মৃতের সংখ্যা ৪। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।

ইয়াস দাপটের পরেই আজ সকালে জলমগ্ন বহু এলাকায়। বাদ রইলো না কাকদ্বীপ হসপিটাল ও। একদিকে ইয়াসের দাপট তার সাথে চন্দ্র গ্রহণ ও পূর্ণিমা কটাল থাকার কারণে বহু এলাকায় নদীর জল উপচে উঠে আসে। কিছু একলায় সরাসরি বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে, এবং কিছু এলাকায় খাল বিল এর জল বেড়ে গিয়ে এলাকায় জল প্রবেশ করে। এর মধ্যে কাকদ্বীপ হসপিটাল, বড় বাজার, কাকদ্বীপ ইয়াংস্টাফ মোড়, গোয়ালার চক, কাকদ্বীপ রেলব্রিজ, কাকদ্বীপ নতুনরাস্তা, পাথর প্রতিমা ব্যানার্জি বাজার, নামখানা আরও বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই কিছু কিছু জায়গায় এখনো চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। সকাল থেকেই আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লাইভ করেছেন। 
অন্যদিকে গত কাল ইয়াস এর দাপটের আগেই কাকদ্বীপ এর উপকূল বর্তি এলাকা গুলো ঘুরে দেখেন কাকদ্বীপ বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা মহাশয়, এবং আজ তিনি প্রত্যেক ফ্লাড সেন্টারে গিয়ে মানুষদের দেখে আসেন যে , তারা নিরাপদ আছেন কি না।
ইয়াস দাপটের পরেই আজ সকালে জলমগ্ন বহু এলাকায়। বাদ রইলো না কাকদ্বীপ হসপিটাল ও। একদিকে ইয়াসের দাপট তার সাথে চন্দ্র গ্রহণ ও পূর্ণিমা কটাল থাকার কারণে 
বহু এলাকায় নদীর জল উপচে উঠে আসে। কিছু একলায় সরাসরি বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে, এবং কিছু এলাকায় খাল বিল এর জল বেড়ে গিয়ে এলাকায় জল প্রবেশ করে। এর মধ্যে কাকদ্বীপ হসপিটাল, বড় বাজার, কাকদ্বীপ ইয়াংস্টাফ মোড়, গোয়ালার চক, কাকদ্বীপ রেলব্রিজ, কাকদ্বীপ নতুনরাস্তা, পাথর প্রতিমা ব্যানার্জি বাজার, নামখানা আরও বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই কিছু কিছু জায়গায় এখনো চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। সকাল থেকেই আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লাইভ করেছেন। 
অন্যদিকে গত কাল ইয়াস এর দাপটের আগেই কাকদ্বীপ এর উপকূল বর্তি এলাকা গুলো ঘুরে দেখেন কাকদ্বীপ বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা মহাশয়, এবং আজ তিনি প্রত্যেক ফ্লাড সেন্টারে গিয়ে মানুষদের দেখে আসেন যে , তারা নিরাপদ আছেন কি না।

 

দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।



 অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে শক্তি হারিয়ে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস। যার ফলে এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ  থাকবে ৭০ থেকে ৯০ কিমি/ঘণ্টার কাছাকাছি। ইয়াস ঝাড়খণ্ডে ঢোকার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ৫৫-৭৫ কিমি/ঘণ্টা। তারপর ইয়াস গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এরপর যাবে উত্তরপ্রদেশের দিকে।


এদিকে ইয়াসের প্রভাবে আগামীকাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হবে বৃষ্টি। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে, অর্থাত্‍, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পঃ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শক্তি কমার ফলে রাজ্যের  বৃষ্টি হবে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। 


বুধবার সকালে ওড়িশার ধামড়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই আছড়ে পড়ে ইয়াস। ঘণ্টাতিনেক ধরে চলে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। ল্যান্ডফলের পর পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা তছনছ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।  পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগণার বিস্তৃণ উপকূলবর্তী বেশিরভাগ এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সাগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জ, দিঘা থেকে শংকরপুর সব জায়গাতেই ভরা কটালের জেরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব পড়ে। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতায় সেভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইয়াসের জেরে।


একঝলকে ইয়াসের বর্তমান অবস্থা-

  • শক্তি হারিয়ে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস।
  • এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ৭০ থেকে ৯০ কিমি/ঘণ্টায়।
  • ঝাড়খণ্ডে ঢোকার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ৫৫-৭৫ কিমি/ঘণ্টা।
  • তারপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এরপর যাবে উত্তরপ্রদেশের দিকে।
  • কাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
  • পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পঃ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড়।
  • কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
  • পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।
  • কাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
  • বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।




ইয়াস আসার পূর্বমুহূর্তেই জলমগ্ন গঙ্গাসাগর। ইয়াস আসার কয়েক ঘণ্টা আগে গঙ্গাসাগরের মুড়িগঙ্গা নদীর বেশ কিছুটা নদী বাঁধ ভেঙে যাওযায় ফলে জলমগ্ন মুড়িগঙ্গা শিলপাড়া সহ আরো কয়েকটি গ্রাম। একদিকে ঝোড়ো হাওয়া ফলে উত্তাল নদী ওই কারণে নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়, আর এক দিকে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢোকার ফলে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ বাড়ি জলমগ্ন আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ,
এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন জায়গায় নদীর বাঁধ ভাঙ্গার ফলে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে গেছে যেমন কচুবেড়িয়া, মুড়িগঙ্গা, শিলপাড়া, কোম্পানিছাড়, সুমতিনগর, বঙ্কিমনগর, মৃত্যুঞ্জয়নগর, গোবিন্দপুর, সাউঘেরী, মহিষামারী, বোটখালি, ধব্লাট, এর পাশাপাশি কপিলমুনি মন্দিরও পুরো জলমগ্ন,
এর পাশাপাশি ঘোড়ামারাদ্বীপ পুরোটাই জলমগ্ন,
গঙ্গাসাগরে সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক হাজার বাড়ি এই প্রবল জলোচ্ছাসে এর ফলে ক্ষতি হয়ে গেছে, এই প্রবল জলোচ্ছাসে ফলে আতঙ্কে রয়েছে গঙ্গাসাগরবাসী। দেখছেন সকাল বেলার সরাসরি চিত্র গঙ্গাসাগর কপিল মুনি মন্দিরের সামনে থেকে।


  Battlegrounds Mobile India হিসাবে ভারতে ফিরছে PUBG Mobile। আর এই গেমটিকে ঘিরে ব্যাটল রয়্যাল গেম প্রেমীদের উদ্দীপনা যেন তুঙ্গে। আগামী মাসেই এই গেমটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নতুন Battlegrounds Mobile India তৈরি করেছে PUBG Mobile-এর ডেভেলপার Krafton। এই গেমটির প্রি-রেজিস্ট্রেশনও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে Battlegrounds Mobile India-র একটি টিজার। এই টিজারটিতে একটি ম্যাপের নামের ইঙ্গিত রয়েছে, যা PUBG মোবাইল প্লেয়ারদের কাছে পরিচিত হতে পারে। এই ম্যাপের নাম হল, Erangel ম্যাপ। যা PUBG মোবাইলে অত্যন্ত জনপ্রিয় ম্যাপ।

গত বছর সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাতের জেরে PUBG Mobile ভারতে নিষিদ্ধ করে দেশের সরকার। তাই এবার আর PUBG Mobile নিয়ে কোনও রকম বিতর্কের মুখে পড়তে নারাজ Battlegrounds Mobile India-এর ডেভেলপার সংস্থা Krafton। এই সংস্থার কথায়, Battlegrounds Mobile India-কে তারা সম্পূর্ণ ভাবে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। তাই গেম স্ট্রিমারদের উদ্দেশ্যে এই সংস্থা আবেদন জানায়, তাঁরা যেন PUBG Mobile-এর সঙ্গে Battlegrounds Mobile India-কে তুলনা না করেন।

ইতিমধ্যেই Battlegrounds Mobile India-র নতুন টিজার প্রকাশ করা হয়েছে Facebook-এ। এই টিজারে Erangle ম্যাপের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে কিছু পোলারয়েড ফটোও। এছাড়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে ওয়াটার ট্যাঙ্কও। যা PUBG Mobile প্রেমীদের পক্ষে চেনা ভীষণই সহজ। সেই সঙ্গে পোলারয়েডের উপর লেখা রয়েছে 'Erangle'। এর পরেই PUBG Mobile-এর Erangle ম্যাপ Battlegrounds Mobile India-তেও থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, Battlegrounds Mobile India-তে এই ম্যাপে কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে।

নতুন Battlegrounds Mobile India গেম ভারতে আসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি তা নিষিদ্ধকরণের পথে হাঁটলেন অরুণাচল প্রদেশের এক কংগ্রেস বিধায়ক। সেই মর্মে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠিও লেখেন। সেই সঙ্গে এই বিধায়ক Tweet করে অভিযোগ তোলেন যে, দেশের সুরক্ষার জন্য এই গেমটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। গেমে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে আদতে কোটি কোটি ভারতবাসীর তথ্য সংগ্রহ করতে এটাকে চিনের একপ্রকার ফাঁদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


 কয়েক মাস ধরেই PUBG-প্রেমীদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছিল। ঘুরপাক খাচ্ছিল একই কথা, ভারতে কি ফিরছে PUBG? অবশেষে সুখবর দিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতে ব্যান করা হয়েছিল জনপ্রিয় এই মোবাইল গেম PUBG। তার পর থেকেই ঘুরে ঘুরে আসে একই প্রশ্ন ভারতে কবে ফিরবে PUBG Mobile India। কখনো ভিন্ন নামে বা কখনও বা অন্য কোনো উপায়ে এই গেম ফিরে আসার খবর রটতে থাকে। অবশেষে ফিরে আসছে জনপ্রিয় রয়্যাল ব্যাটল গেম। তবে একেবারে অন্য নামে। এবার থেকে PUBG Mobile India-র পোশাকি পরিচয় হবে Battlegrounds Mobile India।

চলতি সপ্তাহের প্রথমেই এই খেলার জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তবে Google Play ইউআরএলটিতে PUBG মোবাইল নাম অন্তর্ভুক্ত থাকায় Google Play রেজিস্ট্রেশন PUBG Mobile এবং Battlegrounds Mobile India-র মধ্যে লাইনগুলিকে আরও ঝাপসা করে দিয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর কিছুটা বিতর্ক সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি নাম পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। Play Store ইউআরএল (https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pubg.imobile)-তে, আপনি স্পষ্টভাবে "pubg.imobile" দেখতে পাবেন যা এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাবজি মোবাইল নির্মাতা Krafton এমাসের গোড়ার দিকেই PUBG মোবাইলের ভারতীয় সংস্করণ হিসাবে Battlegrounds Mobile India-র নাম ঘোষণা করেছিল। এরপর ১৮ মে থেকে অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাক-রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে Battlegrounds Mobile India শুরু হতে চলেছে। Krafto-এর ইউআরএলে PUBG ছাড়ার পিছনে কারণ অবশ্য অজানা রয়েছে। তবে Krafton এবিষয়ে জানিয়েছে যে খেলাটি ভারত সরকারের সমস্ত নিয়মবিধিকে মান্যতা দেবে। কোম্পানি ক্ষুদ্র খেলোয়ারদের একটি সময়সীমা দিয়েছে এবং ইন-গেম কেনার জন্য দৈনিক ৭,০০০ টাকা খরচ সীমিত করেছে।

Krafton আরও বলে যে নতুন নামে খেলাটি একটি এস্পোটস (esports) ইকোসিস্টেম সহ আসবে যাতে ট্যুরনামেন্ট ও লিগ থাকবে একইসঙ্গে ইন-গেম বিষয়গুলি যেমন আউটফিটও থাকবে। এক্ষেত্রে যাঁরা প্রি-রেজিস্টার করবেন তাঁরা গেম অফিসিয়ালি চালু হওয়ার পর বিশেষ পুরস্কার পাবেন। উল্লেখ্য, যাঁরা ইউআরএলে প্রথম চিহ্নিত করেছিলেন, সেই আইজিএন অনুযায়ী, Battlegrounds Mobile App প্যাকেজ হল com.pubg.imobile এবং এটি Google Play Store অ্যাপ'স সিইও-তে প্রভাব ফেলবে। তবে বহু দিন পর প্রিয় গেমকে ফিরে পাওয়ার খবর পেয়ে আশায় বুক বাঁধছেন গেম-প্রেমীরা।


 করোনাকালে অনলাইনে টাকা লেনদেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি চলছে লকডাউন। এই সময় বাড়ি থেকে বেরনো পুরোপুরি বন্ধ। যে কোনও রকম বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই সমাধান করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার (NEFT) হল এমন এক ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম, যার মাধ্যমে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়৷ ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং অথবা ব্যাঙ্কের শাখা মারফত লেনদেন করে এই পরিষেবার সুবিধা নেওয়া যায়৷ এই পরিষেবার মাধ্যমে কেউ টাকা পাঠালে তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পৌঁছে যায় ৷

যেরকম এস বি আই Net Banking, INB/YONO/YONO Lite/UPI নামক বেশ কয়েকটি বিভাগ চালু করা হয়েছে অনলাইন পরিষেবার জন্য। গত কাল এসবিআই ট্যুইট করে জানিয়েছে যে, ১৪ ঘণ্টার জন্য তাঁদের এনইএফটি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শনিবার রাত থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনলাইন পরিষেবা ও YONO/YONO Lite অ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে। শনিবার ২২ মে রাত ১২ টার পর থেকেই রবিবার ২৩ মে দুপুর ২ টো পর্যন্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কোনরকম নেট ব্যাঙ্কিং কাজ করবেনা।

তার কারণ হল, ১৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত এনইএফটি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (এনইএফটি) পরিষেবা দিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআইয়ের নির্দেশ, এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হলে তা গ্রাহকদের অবশ্যই জানাতে হবে। এতে গ্রাহকরা তাঁদের অর্থ আদানপ্রদনের পরিকল্পনা আগাম সেরে রাখতে পারবেন।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য গত ১৮ এপ্রিল আরটিজিএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরটিজিএসের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়। অর্থ মন্ত্রকের অধীন রেগুলেটরি বডি ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, RTGS সিস্টেমে ডিসাস্টার রিকোভারি টাইম আপগ্রেড করতে ও কাজের গুণমান বাড়াতে এই কাজ করা হয়েছিল। যার জন্য ১৭ তারিখের পর সাময়িক কিছু সময়ের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।তার কারণ হল, ১৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত এনইএফটি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (এনইএফটি) পরিষেবা দিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআইয়ের নির্দেশ, এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হলে তা গ্রাহকদের অবশ্যই জানাতে হবে। এতে গ্রাহকরা তাঁদের অর্থ আদানপ্রদনের পরিকল্পনা আগাম সেরে রাখতে পারবেন।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য গত ১৮ এপ্রিল আরটিজিএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরটিজিএসের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়। অর্থ মন্ত্রকের অধীন রেগুলেটরি বডি ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, RTGS সিস্টেমে ডিসাস্টার রিকোভারি টাইম আপগ্রেড করতে ও কাজের গুণমান বাড়াতে এই কাজ করা হয়েছিল। যার জন্য ১৭ তারিখের পর সাময়িক কিছু সময়ের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।


 অক্সিজেনের (Oxygen) প্রয়োজন হলেই এবার বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাবে অক্সি এক্সপ্রেস । আজ সোমবার নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘ ও অন্যান্য কয়েকটি সংস্থা ও ব্যক্তির উদ্যোগে ৫টি গাড়ি উদ্বোধন করা হয়। এই গাড়িগুলির নাম দেওয়া হয়েছে অক্সি এক্সপ্রেস। আজ এই অক্সি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন সুরুচি সঙ্ঘের সভাপতি তথা বিদ্যুৎ, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আবেদনে সাড়া দিয়েই সুরুচি সঙ্ঘ এই প্রয়াস নিয়েছে।

মূলত দক্ষিণ কলকাতার মানুষের জন্যই এই পরিষেবা দেবে অক্সি এক্সপ্রেস। বেহালা, টালিগঞ্জ সহ দক্ষিণ কলকাতায় যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বা কনসেন্ট্রেটরের প্রয়োজন পড়বে সেখানে এই অক্সি এক্সপ্রেস পৌঁছে যাবে। সঙ্গে একজন চিকিৎসকও থাকবেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেন্ট্রেটর ছাড়াও ফ্রি টেলি মেডিসিন পরিশষেবা অর্থাৎ ডাক্তারি পরামর্শ পাবে মানুষ। আক্রান্ত যাঁরা বাড়িতে আছেন তাঁদের নার্সিং কনসালটেন্ট দেওয়া হবে। এছাড়াও সুরুচি সঙ্ঘ নার্সিং ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গেও কনসাল্ট করার ব্যবস্থা করেছে।

একটি টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই গাড়ি পৌঁছে যাবে বাড়িতে। নম্বরটি হল ১৮০০ ৩০৯ ৯০৯৯। প্রথমে পাঁচটি গাড়ির ব্যবস্থা করা হলেও, চাহিদা বেশি থাকলে আগামীতে গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান অরূপ বিশ্বাস।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সংক্রমণ এমন জায়গায় পৌঁছয় যে অক্সিজেনের ঘাটতি একটি বড় সমস্যা হয়ে ওঠে। সেই অবস্থায় সুরুচি সঙ্ঘের এমন উদ্যোগে মানুষ উপকৃত হবে বলেই মনে করছে। করোনায় অধিকাংশ রোগীরই অক্সিজেনের দরকার পড়ছে। আর তাই উল্লিখিত টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই অক্সি এক্সপ্রেস বাড়িতে পৌঁছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেবে।