October 2021
জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে রোমে (Rome) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতালি (Italy) সফরের দ্বিতীয় দিনেও ঠাসা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর গতকাল পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। শুধু তাই নয়, ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে আলিঙ্গন করতেও দেখা যায় তাঁকে। আর ঠিক কিছুক্ষণ পরই ফ্রান্স প্রেসিডেন্টকে দেখা গেল হিন্দিতে একটি টুইট করতে।টুইটে কী লিখেছেন ম্যাক্রোঁ?

‘আমরা আশাবাদী যে ভারতের সঙ্গে পরিবেশ,স্বাস্থ্য ও উদ্ভাবনী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব । এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করব।’










এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারত ও ফ্রান্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার কথা আলোচনা করেন। ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁকে বন্ধু সম্বোধন করে টুইটে মোদী লেখেন,” বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগীতা বৃদ্ধি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করাই আমাদের উদ্দেশ্যে। এর পাশাপাশি আরও একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে ।”

বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা এখন রোমে। রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ।বাইডেন, বরিসদের সঙ্গে খোশমেজাজে সময়ও কাটাতে দেখা যায় নমোকে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইটারে কিছু ছবি শেয়ার করা হয়। আর এই ছবি থেকেই স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভারতের অবস্থান এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। জি-২০ সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা একসঙ্গে একটি ছবিও তোলেন। সেই ছবিও নরেন্দ্র মোদী শেয়ার করেছেন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে।

এর আগে রোম সফরে গিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রথমবার পোপের মুখোমুখি হলেন তিনি। ঘণ্টা খানেক মিনিটের বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। জলবায়ু পরিবর্তন সহ একাধিক বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদী। পোপকে ভারতে আমন্ত্রন জানিয়েছেন মোদী। গতকাল রোম সফরের দ্বিতীয় দিন ছিল প্রধানমন্ত্রীর।

সূত্রের খবর, পোপ এবং মোদীর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২০ মিনিট ধরে । যদিও সেই বৈঠক এক ঘণ্টা চলেছে। একাধিক বিষয়ে নিয়ে পোপ এবং মোদীর আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দারিদ্র্য দূরবীকরণের মতো বিষয়ও।
বর্তমান যুগে, Whatsapp সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে জনপ্রিয়। যেখানে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ একে অপরের সাথে সংযুক্ত। ব্যক্তিগত থেকে প্রফেশনল কাজ WhatsApp-এর মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। যাইহোক, আপনি কি জানেন যে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ আজ অর্থাত্‍ 31শে অক্টোবরের পর থেকে নির্বাচিত স্মার্টফোনগুলিতে কাজ করা বন্ধ করে দেবে।কোথাও আপনার স্মার্টফোনটি এই লিস্টে অন্তর্ভুক্ত নয়, কারণ 1 নভেম্বর থেকে, হোয়াটসঅ্যাপ কিছু স্মার্টফোনে কাজ করবে না। এমন সময়, দীপাবলির সময়, মেসেজ বা ভিডিও কলিংয়ের সময় আপনার সমস্যা হতে পারে। এক্ষুনি দেখে নিন কোথাও আপনার স্মার্টফোনও তো নেই এই লিস্টে...

এই কারণে, এই ফোনগুলিতে কাজ করবে না WhatsApp

যদি আপনার ফোন পুরানো অপারেটিং সিস্টেমে চলছে, তাহলে শীঘ্রই আপনার ফোনে WhatsApp চলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যারা তাদের স্মার্টফোন আপডেট করেননি তারা হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাক্সেস হারাতে পারেন। পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে WhatsApp পাওয়া যাবে না যার ভার্সন 4.0.4 বা তার কম। যারা আপডেট করবে না তাদের নতুন স্মার্টফোন কিনতে হবে বা হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া অন্য কোন অ্যাপ্লিকেশন খুঁজতে হবে। 1 নভেম্বর 2021 থেকে WhatsApp শুধুমাত্র Android 4.1 (বা উচ্চতর), iOS 10 (বা উচ্চতর), KaiOS 2.5.0 (বা উচ্চতর) চালিত স্মার্টফোনে কাজ করবে। যার মানে হোয়াটসঅ্যাপ পুরনো OS ভার্সনে কাজ করা ডিভাইসগুলিতে বন্ধ হয়ে যাবে।

এই মোবাইলে WhatsApp বন্ধ থাকবে

বলে দি যে 40 টিরও বেশি মোবাইল ফোন রয়েছে যার উপর হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করা বন্ধ করবে। এই ফোনগুলি iOS এবং Android দুটিই। এখানে সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন:

Apple: iPhone SE, iPhone 6S, iPhone 6S Plus

Samsung: Galaxy Trend II, Galaxy SII, Galaxy S3 mini, Galaxy Xcover 2, Galaxy Core & Galaxy Ace 2.

LG: The LG Lucid 2, Optimus F7, Optimus F5, Optimus L3 II Dual, Optimus F5, Optimus L5, Optimus L5 II, Optimus L5 Dual, Optimus L3 II, Optimus L7, Optimus L7 II Dual, Optimus L7 II, Optimus F6 Enact, Optimus L4 II Dual, Optimus F3, Optimus L4 II, Optimus L2 II, Optimus Nitro HD and 4X HD, Optimus F3Q

ZTE: ZTE Grand S Flex, ZTE V956, Grand X Quad V987, Grand Memo.

Huawei: Huawei Ascend G740, Ascend Mate, Ascend D Quad XL, Ascend D1 Quad XL, Ascend P1 S, Ascend D2.

Sony: Sony Xperia Miro, Sony Xperia Neo L, Xperia Arc S

Others: Alcatel One Touch Evo 7, Archos 53 Platinum, HTC Desire 500, Caterpillar Cat B15, Wiko Cink Five, Wiko Darknight, Lenovo A820, UMi X2, Faea F1, THL W8

Information source- Digit / dailyhunt
একসঙ্গে তিনজনের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছে মন্তেশ্বর। তিনজনে একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ঘরের বিছানায় মশারির ভিতরে পড়ে রয়েছে মা ও ছেলের নিথর দেহ। ঠিক পাশের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল মামার দেহ। অর্থাত্‍ মহিলার ভাই। মন্তেশ্বরের খান্দরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।দিদি এবং ভাগ্নেকে খুনের পর ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম মালবিকা চক্রবর্তী (‌৫০)‌। ১৬ বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। ছেলে কৌশিককে নিয়েই থাকতেন। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। তবে বিবাহিত। ওই গ্রামেরই অন্য জায়গায় থাকেন। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ভাই উত্‍পল চট্টোপাধ্যায় দিদির বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। এটা খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, রবিবার ওই মহিলার বাড়িতে পরিচারিকা আসেন। কিন্তু ডেকেও কোনও তাঁর সাড়াশব্দ মেলেনি। তখন পরিচারিকা মহিলার মেয়ে-জামাইকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তখন তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন উত্‍পল চট্টোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ। পাশের ঘরটিতে তালা দেওয়া। তখন খবর দেওয়া হয় মন্তেশ্বর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে বাকিদের দেহ উদ্ধার করে।

কেন এই ঘটনা ঘটল?‌ তাহলে কী দু'‌জনকে খুন করে তারপর আত্মহত্যা?‌ নাকি বাইরে থেকে কিছু ঘটেছিল?‌ সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘর থেকে ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিদি এবং ভাগ্নেকে খুন করে আত্মহত্যা করেন উত্‍পল।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। অভিমানে আত্মঘাতী স্বামী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার নয়ঘড় কলোনি এলাকায়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে আসা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গেছে মৃত ওই যুবকের নাম গোড়া মন্ডল। বাড়ি ওই এলাকাতেই। মৃতের কাকার অভিযোগ কোন একটি বিষয় নিয়ে শুক্রবার রাতে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয় গোড়া মন্ডলের। অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই যুবক। শনিবার সকালে দরজা ভেঙে ওই যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুকুরে স্নান করতে নেমে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে নওগাঁ শহরে । শনিবার দুপুরে শহরের আরজি নওগাঁ এলাকার নামা শিকারপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো-ফরহাদ, সুরাইয়া, আশা ও খাদিজা। তাদের বয়স ছয় থেকে ১০ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে স্নান করতে নামে ছয় শিশু। এক পর্যায়ে জলে ডুবে যায় ফরহাদ, সুরাইয়া, আশা ও খাদিজা। বাকি দুই জন পাড়ে ছিল। তারা কান্না শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারা এসে ডুবে যাওয়া চার শিশুকে উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবাইকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্‍সক চার শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে চার শিশুর লাশ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে আরামবাগ মহকুমায়। দিন সাতেক ধরে মহকুমা হাসপাতাল এবং ব্লক হাসপাতালগুলিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় বাড়ছে অভিভাবকদের। এই পরিস্থিতিতে গ্রামগঞ্জে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে।

মহকুমা হাসপাতালের সুপার সত্যজিত্‍ সরকার অবশ্য বলেন, 'উদ্বেগ বা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।শীত পড়ার মুখে অন্যান্য বছরের মতোই কিছু শিশুর সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর হচ্ছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে সবাই। খুব কম শিশুর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড মিলছে।''

মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০টি শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। শুক্রবার ভর্তি ছিল ৮৬টি শিশু। শনিবার সকালে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি শিশুর সংখ্যা ছিল ৫১। মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সুব্রত ঘোষ জানান, এ দিনও জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকা শিশুদের ভর্তি করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই জ্বর স্বাভাবিক। শিশুকে সুস্থ রাখতে মায়েদের সচেতন করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মহকুমার ৬টি ব্লক হাসপাতালেও প্রতিদিন গড়ে ৬-৭টি করে জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করা হচ্ছে। ৫-৭ দিনের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। মহকুমায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন ওইসব শিশুদের মধ্যে শতকরা ৫ থেকে ৭ জনের ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে। টাইফয়েডে শতকরা ৮-১০ জন আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে।

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রবণতা কিছুটা বেশি। কারণ হিসাবে তাঁদের বক্তব্য, সদ্য বন্যার পর বহ জায়গায় জল নিকাশি বিঘ্নিত হওয়ায়
জমা জলে মশার উপদ্রব বেড়েই এই হাল। হাসপাতালে শিশু রোগীর ভিড় নিয়ে তাঁদের ব্যাখ্যা, প্রতি বছর একই রকম জ্বরে যে সব শিশুদের বাড়িতে রেখেই চিকিত্‍সা করেছেন অভিভাবকরা, এ বার করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জেরেই তাঁরা কোনও ঝুঁকি নিচ্ছেন না। জ্বর হলেই হাসপাতালে চলে আসছেন। স্বাস্থ্য দফতরও তা-ই চাইছে। পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদ এলাকার বাড়ি ধরে কোথাও জ্বর হচ্ছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে ফের হত্যাকাণ্ড। নিজের স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুন করে নিজেই আবার ১০০ নম্বর ডায়াল করে পুলিশ ডাকেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার মনোহরপুকুর রোডে।মৃত মহিলার নাম প্রিয়াঙ্কা বাজাজ। শনিবার রাতে তাঁকে খুনের পর নিজেই পুলিশে খবর দেন তাঁর স্বামী অরবিন্দ বাজাজ। শনিবারই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অরবিন্দর আক্রমণে তাঁদের মেয়েও গুরুতর জখম হয়েছে বলে খবর। আপাতত সে চিকিত্‍সাধীন রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। তার বয়স ১৮। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই খুন তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দাম্পত্য কলহের জেরেই খুন করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা বাজাজকে। প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন ওই দম্পতির মধ্যে গত দু'বছর ধরে অশান্তি চলছেই। দু'বছর ধরেই অরবিন্দ কোনও কাজ করতেন না। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। 
প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়াঃ- আমরা সাধারণত বধূ নির্যাতনের কথা বেশিরভাগ শুনে থাকি কিন্তু স্বামী নির্যাতন এটা সচরাচর শোনা যায় না এমনই অভিযোগ পাওয়া গেল সাঁকরাইল থানা অন্তর্গত আন্দুলে । এবার স্বামী নির্যাতন সরাসরি অভিযোগ স্ত্রী মুনমুন রায় ও তার পরিবারের উপর।গত 18 বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কালিপদ রায় ( ৪০) ও মুনমুন রায়ের সাথে বিয়ে হয়, বছর 13 একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বেশ কয়েক বছর আগে থেকে সংসারের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় স্ত্রী মুনমুন রায় মেয়েকে নিয়ে। বাড়ির লোকের কাছ থেকে জানা যায় কালিপদ বাবু পেশায় অঙ্কন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক প্রবন মানুষ ছিলেন। তার এই শিক্ষাকতা করে যা আয় করতেন স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে পারতেন না এই নিয়ে প্রায় অশান্তি হতো দুজনের মধ্যে।

স্ত্রীর অশান্তির জেরে একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করেন। দুর্গাপূজার পরের দিন একাদশীর দিন মেয়েকে দেখতে বের হন তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি কালিপদ রায়ের । পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় কালিপদ রায় বাড়ির সেজ ছেলে ছিলেন তার মা কানন রায় ও তার পরিবারের ভাইয়েরা সরাসরি অভিযোগ করলেন স্ত্রী মুনমুন রায় ও তার বাপের বাড়ি দিকে। স্ত্রী মুনমুন রায় কালিপদ বাবুর গায়ে তেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।

ওই ঘটনার দিন কালিপদ বাবুর মা ও ভাইরা মিলে চিকিত্‍সার জন্য সাঁকরাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় ওইখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে কিছুদিন চিকিত্‍সার চলার পর অবস্থার অবনতি হওযায় কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় । পরিবারের অভিযোগ এই টানা চিকিত্‍সা চলাকালীন স্ত্রী একেবারের জন্য দেখতে আসেনি। চিকিত্‍সা চলাকালীন কালিপদ রায় তার পরিবারকে বলে যান তার স্ত্রী এবং তার ভাইরা মিলে তেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছে। এতদিন জীবন যুদ্ধের মধ্যে অবশেষে 29 শে অক্টোবর ভোর চারটের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এরপর পরিবারের লোকেরা মুনমুন রায়ের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর অভিযোগ পাওয়ার পর স্ত্রী মুনমুন রায় কে গ্রেফতার করেন আজ তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । মুনমুন রায় আন্দুল পূর্বপাড়া খালপাড় নামক জায়গায় ভাড়া থাকতেন। যে স্থানে ঘটনাটা ঘটেছিল এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান দুজনের মধ্যে তারা বাহিরে কথাবার্তা বলছিলেন হঠাত্‍ তার সারা শরীরে আগুন জ্বলা অবস্থায় ছুটে আসে বাড়ির দিকে ওই প্রত্যক্ষদর্শী নিজে জল দিয়ে আগুন নেভান।
১৭৮ দিন পর, রবিবার থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফের গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত আগেই দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।তার আগে শনিবার হাওড়া ও শিয়ালদায় দেখা গেল লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তুতি চরমে।


সরকারি থেকে বেসরকারি, অধিকাংশ অফিস খুলে গেলেও, লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় গত ছ'মাসে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের একটা বড় অংশকেই।অবশেষে রবিবার থেকে ট্রেন চালুর খবরে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন প্রায় প্রত্যেকেই। অনেকে আবার নজর দিচ্ছেন করোনাবিধি রক্ষার ওপরেও।

সূত্রের খবর, সাধারণ দিনে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে ৪৮৮টি এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ১৯১টি লোকাল ট্রেন চলে। রবিবার এর সবকটি না চললেও, সোমবার থেকে পুরোদমে লোকাল ট্রেন চালানো হবে। রেল সূত্রে খবর, এ বছরের ১ অক্টোবর টাইম টেবিল প্রকাশ করেছে রেল। রবিবার থেকে নতুন টাইম টেবিল অনুযায়ীই চলবে লোকাল ট্রেন।

এদিকে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ওল্ড কমপ্লেক্সে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ১০ টাকা। আর একই স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে সেই প্ল্যাটফর্ম টিকিট ৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এনিয়ে বিভ্রান্তিতে যাত্রীরা। রেল সূত্রে দাবি, পূর্ব (Eastern Railway) ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামের ফারাকই এর কারণ।

একই স্টেশন, কিন্তু প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম আলাদা। ১০-২০ নয়, দামের ফারাক ৪০ টাকা। একই স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দু'রকম দাম নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। হাওড়া ওল্ড কমপ্লেক্সে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ১০ টাকা। অথচ, নিউ কমপ্লেক্সে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ৫০ টাকা। রেল সূত্রে দাবি, কেউ ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে ১০ টাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিট কিনে, নিউ কমপ্লেক্সে এলে, কোনও শাস্তির মুখে পড়বেন না।


রাহুল পাসোয়ান, আসানসোলঃভুয়ো ডিএসপি পরিচয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করছিল দুই যুবক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তাদের নাম কৌস্তভ ব্যানার্জি এবং জিতেন্দ্র শর্মা। কৌস্তভের বাড়ি আসানসোল দক্ষিণ থানার ইসমাইল এলাকায় এবং জিতেন্দ্র শর্মা আসানসোল দক্ষিন থানা এলাকার বুধা গ্রামের বাসিন্দা।গতকাল রাতে আসানসোল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিএসপি পরিচয়ে তোলাবাজি করছিল বলে অভিযোগ।





 পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাদের আসানসোল কোর্টে তোলা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি স্কুটি এবং একটি মোটরসাইকেল আটক করেছে পুলিশ


News copy-anm NEWS -সবার আগে 


কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে বসেই গাঁজার ছিলিমে টান দিত সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা! কীভাবে? কারারক্ষীকে হাতেনাতে পাকড়াও করল পুলিস। টুপির ভিতর থেকে বাজেয়াপ্ত হল ১০ প্যাকেট গাঁজা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ মফিজুদ্দিন।জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের (Jalpaiguri Central Correctional Home) কারারক্ষী হিসেবে বন্দিদের উপর নজরদারি ও নিয়মরক্ষার দায়িত্বে ছিল সে। তাহলে? অভিযোগ, সংশোধানাগারের ভিতরে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের হাতে গাঁজা পৌঁছে দিত মফিজুদ্দিন। বিনিময়ে মোটা টাকাও নিত সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সতর্ক হয়ে যায় সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষ। পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে গেটে তল্লাশি সময়ে মফিজুদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন সংশোধানাগারের কর্মীরাই। তাঁর টুপি থেকে উদ্ধার হয় ১০ প্যাকেট গাঁজা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কোতুয়ালি থানায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতকে ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কতদিন সংশোধনাগারের ভিতরে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল? এই পাচারচক্রের সঙ্গে কি আরও কেউ জড়িত? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।এদিকে এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেও বন্দিদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, গাঁজা, ছুরি-সহ নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছিল। যা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন খোদ কারা বিভাগের এআইজি।





Information source- Zee 24 ঘন্টা
গুজরাটের কচ্ছে মন্দিরে ঢোকার অপরাধে এক দলিত পরিবারের ছ'জন নিগ্রহের শিকার হলেন। প্রায় ২০ জনের এক দল ওই দলিত পরিবারের ওপর আক্রমণ চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে কচ্ছের ভাচুয়া তালুকার গান্ধীধাম অঞ্চল সংলগ্ন নেড় গ্রামে গত ২৬ অক্টোবর। ওইদিনই দু'বার ওই পরিবারের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।পুলিশি সূত্র অনুসারে, ওই অঞ্চলের অধিবাসী গোবিন্দ বাঘেলা এবং তাঁর পরিবার গত ২০ অক্টোবর স্থানীয় এক মন্দিরে যান। এরপরেই স্থানীয় হিন্দুদের একটি দল তাঁদের ওপর আক্রমণ চালায়। উত্তেজিত জনতার দল গোবিন্দ বাঘেলার বাড়িতে চড়াও হয় এবং ভাঙচুর চালায়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তখন তাঁদের ওপরেও লাঠি, রড নিয়ে আক্রমণ চালায় ওই উত্তেজিত জনতা।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে গুজরাটের কংগ্রেস নেতা জিগনেশ মেভানী শনিবার এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এবং শুধুমাত্র গ্রেপ্তার করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমি গুজরাটে অস্পৃশ্যতার এই ধরণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং কড়া ব্যবস্থা নেবার দাবিতে বিধানসভায় তিন-চার বার সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছি।


এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গোবিন্দ বাঘেলার পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার পরেই ভুজের সিভিল হাসপাতালে ছ'জনকে ভর্তি করা হয়। এঁদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া এবং গেছে এবং অনেকেরই মাথায় আঘাত ছিলো।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গেছে। তাঁদের নাম কানা আহীর, জীভা আহীর, ভেলা আহীর, অর্জন রাবারি, দীনেশ বালসারা, রাজেশ বালসারা, রানা বালসারা প্রমুখ। এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৭ ধারা অনুসারে (খুনের চেষ্টা), ধারা ৩২৩ (আক্রমণের চেষ্টা), ধারা ৩০৭ (সাংঘাতিক অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ), ধারা ৪৫২ (অনধিকার প্রবেশ), ধারা ১২০ বি, ধারা ৫০৬ এবং ধারা ২৯৪ বি অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার মেছেদা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে বাসের ধাক্কায় সব্জি ব্যাবসায়ীর মৃত্যু। মৃতার মাম অমলা দাস বাড়ী স্থানীয় জফুলি গ্রামে । ওই মহিলা মেছেদা বাজারে সব্জি বিক্রি করে।

মেছেদা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড দিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন সেই সময় হলদিয়া মেছেদা হাই রোডের বাস দ্রুত গতিতে ধাক্কা মারে।ঘটনা স্থলেই ওই মহিলার মৃত্যু ঘটে। কোলাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।

বাসের ড্রাইভার হেল্পার পলাতক।পলিসি বাস টিকে আটক করেছে।
পাঁচ মাস পর সম্পূর্ণরূপে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন, জানাল নবান্ন। আগামী রবিবার অর্থাৎ ৩১শে অক্টোবর থেকে আবারও রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন। পূর্ব রেলওয়ের তরফে আগেই বলা হয়েছিল লোকাল ট্রেন চালু করার ক্ষেত্রে রেল সবরকমভাবে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। এরমধ্যেই নবান্নের তরফে শুক্রবার এক নির্দেশিকা জারি করে জানান হল আবারও লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হচ্ছে এ রাজ্যে। আর তা শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার থেকেই।
Information source- SNews

নদীয়া কৃষ্ণনগরে পথদুর্ঘটনায় পঞ্চায়েত কর্মীর মৃত্যু। নদীয়া পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সোজা ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে এবং লরির নিচে ঢুকে যায়। ঢুকে যায় পঞ্চায়েতের ক্যাজুয়াল কর্মী চাপরা থেকে কৃষ্ণনগর দিকে আসছিল।কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি গোডাউনে কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার গার্ড ডিউটি করছিল। সেখানে অনেক কটা লরি দাঁড়িয়েছিল এবং ওই ভদ্রলোক প্রচন্ড স্পিডে বাইক নিয়ে এসে সোজা লরি পেছনে ধাক্কা মারে। পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে উনি পঞ্চায়েতের ক্যাজুয়াল কর্মী এটা জানা গেছে। কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ক্রমশই কী সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা? বর্তমান পরিস্থিতিতে কাউকেই বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। আর সব থেকে বড় প্রশ্ন প্রতিহিংসা যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন সেই আক্রোশকে দমিয়ে রাখা অনেকটাই কঠিন। শুক্রবার, মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ঘটনা একই সঙ্গে নৃশংসতা ও প্রতিহিংসার নজির স্থাপন করেছে। নিজেরই প্রতিবেশীর ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হলেন এক ব্যক্তি।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে ছুরি আঘাতে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং একই পরিবারের ৩ শিশু সহ ৪ জন আহত। পুলিশ সূত্রে খবর মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গিয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারণ সাধারণ ঝগড়া। ঝগড়া থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ভিওয়ান্ডির (Bhiwandi) গাইবি নগর এলাকার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৪৫ বছর বয়সী মহম্মদ আনসারুল হক লোকমান আনসারি (Mohammad Ansarul Haque Lukman Ansari,) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শান্তি নগর থানার (Shanti nagar Police Station) এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড সংহিতা (Indian Penal code) অনুযায়ী খুনের মামলার পাশাপাশি শিশু নির্যাতনের মামলাও রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত দু’জন হলেন, ৪২ বছর বয়সী কামরুজমা আনসারি (Kamruzma Ansari) ও ৩৫ বছরের ইমতিয়াজ মহম্মদ জুবের (Imtiaz Mohammad Juber Khan) খান । এই ঘটনায় আহতরা সকলেই কামরুজমা আনসারির পরিবারের সদস্য। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে আনসারির পরিবারে সদস্য এক মহিলা কয়েকদিন আগেই অভিযুক্তের সঙ্গে ঝগড়া চলাকালীন তাঁকে অপমানজনক কথা বলেন। আদতে তাঁরা প্রতিবেশী। সেই ঘটনার সূত্রেই শুক্রবার সকালেই অভিযুক্ত আনসারিকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। আক্রমণের সময় আনসারি তাঁর বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইমতিয়াজ খান বাধা দিতে এলে অভিযুক্ত তাঁকেও রেয়াত করেননি। দুজনেই ঘটনাস্থলে মারা যান। শোরগোল শুনে আনসারির পরিবারের সদস্যরা সেখানে চলে আসেন এবং আততায়ীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরাও যখম হন। এই ঘটনার পর এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা তদন্ত করে দেখছে, এই খুনের ঘটনার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা।
এ যেন খানিকটা একযাত্রায় পৃথক ফল। একই স্টেশনে দু'টি কাউন্টারে দু'রকম টিকিটের দাম! এমন অবাক কাণ্ডই ঘটেছে হাওড়া স্টেশনে। পুরনো কমপ্লেক্সে ঢুকে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটলে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। নিউ কমপ্লেক্সে সেই টিকিটের দাম পাঁচ গুণ বেশি, অর্থাত্‍ ৫০ টাকা।কেন এই অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড? পিছিয়ে যেতে হবে ২০২০ সালের মে মাসে। পয়লা মে রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, লকডাউনে লোকাল বন্ধ থাকলেও চালু হবে দূরপাল্লার যাত্রিবাহী ট্রেন। দেশের বিভিন্ন জোনকে স্টেশন ও প্ল্যাটফর্ম চত্বর যথাসম্ভব ভিড়মুক্ত এবং অবাঞ্চিত প্রবেশ এড়াতে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে দায়িত্ব বর্তায় সংশ্লিষ্ট জোনের উপরে। এটি রেল বোর্ডের নির্দেশ নয়, প্রস্তাব। তাই একেকটি রেল জোন নানা পন্থায় ভিড় উদ্যোগ নেয়। যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশে অনুত্‍সাহী করতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম পাঁচ গুণ বাড়ায় কেন্দ্রীয়, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তবে মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ রেল বিরত থাকে। স্টেশন চত্বর ফাঁকা রাখতে নজরদারি বাড়ায় তারা। ফলে পূর্ব রেলের প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ১০ টাকাই থেকে যায়। আর দক্ষিণ-পূর্ব রেলে তা বেড়ে হয় ৫০ টাকা। সে কারণেই এমন দামের গোলযোগ।

ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এটা বেনজির ঘটনা। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ১০ টাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিট নিয়ে পুরনো থেকে নতুন কমপ্লেক্সে চলে আসলেন। তখন টিকিট পরীক্ষক ধরলে কী হবে? রেল কর্তৃপক্ষের কাছে সদুত্তর নেই।
করোনা বিধি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। জেলায় জেলায় পুলিশের অভিযান। মাস্ক না পরে বেরনোয় জলপাইগুড়িতে গত দু'দিনে গ্রেফতার প্রায় ৪৮৯জন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কনটেনমেন্ট জোনেও চলে পুলিশের টহলদারি। করোনা সতর্কতা নিয়ে লাগাতার প্রচারেও অনেকের হুঁশ ফেরেনি। মাস্ক না পরে দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে রাস্তায় বের হওয়া, বাজারহাট করা চলছেই। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণও। এই অবস্থায় জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। করোনা বিধি না মানায় গত ২ দিনে জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৪৮৯ জনকে।

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার ৯টি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। মাস্ক পরে বাইরে বেরনো সহ করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যাতে বাসিন্দারা মেনে চলেন তার জন্য তত্‍পর পুলিশ প্রশাসন। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার অভিযান চালায় পুলিশ। যাঁরা মাস্ক পরে ছিলেন না, এমন অনেককে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 
সামনে গ্রিল কারখানা। মাটির নীচে পাতালঘরে অস্ত্রের কারখানা। সেই কারখানায় যেতে হয় আবার সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে। সেই কারখানাতেই হানা দিল পুলিশ। কারখানার মালিক তো গ্রেফতার হলেনই সেই সঙ্গে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল শোরগোল।একই সঙ্গে উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমার জীবনতলা থানা এলাকার বিবির আবাদ এলাকায়। এখানকারই বাসিন্দা তথা গ্রিল কারখানার মালিক রাজকুমার হালদারের বাড়িতেই এই অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ ও জীবনতলা থানার পুলিশ হানা দেয় রাজকুমারের বাড়িতে। এদিন রাজকুমারকে তোলা হচ্ছে আদালতে।

জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে রাজকুমারের বাড়িতে গ্রিল কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি হয়। তার জেরেই আচমকা তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তাতেই ওই বাড়ির নীচে পাতালঘরে অস্ত্র নির্মাণের কারখানার বিষয়টি সামনে আসে। রাজকুমারের বাড়ির একটি নির্দিষ্ট ঘর থেকেই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে ওই পাতালঘরে পৌঁছানো যেত। সেই ঘর থেকেই পুলিশ উদ্ধার করে ৯টি একনলা পাইপগান, ৪টি নির্মীয়মান বন্দুক, ৭টি ওয়ান শাটার, স্প্রিং আয়রন রড, ড্রিল মেশিন হ্যান্ড ড্রিল, হাতুড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ। এই অস্ত্র কারখানা একা রাজকুমারই চালাতো নাকি এর পিছনে অন্য কোনও চক্র কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জীবনতলা থানা এলাকার তাম্বুলদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিরাবাদে এই কারখানার হদিশ পুলিশের কাছে গোপন খবরের সূত্রে এসেছিল। তারপর বেশ কিছু দিন নজর রাখা হয় ওই কারখানার ওপর। পুলিশ সব থেকে অবাক হয় এটা দেখে যে, গ্রিল কারখানার আড়ালে মাটির নীচে পাতালঘরে এমন অস্ত্র কারখানা রমরমিয়ে চলছে সেটা এলাকার লোকেরা কেউ জানতেনই না। এমনকি এই নিয়ে কেউ কিছু টেরও পায়নি। শুক্রবার রাতে পুলিশ হানা দিতেই তাঁরা চমকে যান
Information source- এই মুহুর্তে

বৃহস্পতিবারই ফেসবুকের অভিভাবক সংস্থার নাম বদলের ঘোষণা করেছেন মার্ক জুকারবার্গ। এতদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের অভিভাবক সংস্থা ছিল ফেসবুক। এবার থেকে অভিভাবক সংস্থার নাম হল- মেটা৷ আর এই নাম বদল নিয়েই জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে হাসির জোয়ার। খোদ টুইটারও এই নাম নিয়ে 'মজা' করেছে।  

টুইটার ফেসবুকের নাম পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে,  "BIG NEWS lol jk still Twitter"। শুধু টুইটার নয় নেটিজেনরাও এই 'মেটা' নাম নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হ্যামবার্গার চেইন সংস্থা উইন্ডেস টুইটে লিখেছে, "Changing name to meat" । প্রসঙ্গতই তারা মাংসের ব্যাপারি, তাই Meta নামের অক্ষর রদবদলের মাধ্যমেই অনুরাগীদের Meat আস্বাদনের 'বিজ্ঞাপন' করেছেন এভাবেই। 

হরি ঘোষ, দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেনগেট এলাকায় তামলা নালা থেকে একটি সদ্যজাত পুত্র সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলাকাবাসী মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী'র দাবি, ওই সদ্যজাতের মৃদেহটি কোনও ব্যাক্তি এদিন সকালে তামলা ব্রিজ থেকে নালাতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়এলাকাবাসীর অনুমান ৫ - ৬ মাস বয়স হবে ওই সদ্যজাত শিশুটির। এলাকাবাসী এই পাপকর্মে যুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


আলিপুরদুয়ার: নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মৃত ওই নাবালিকার নাম রিঙ্কু বর্মন, বয়স ১৫ বছর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ধূলাগাঁও এলাকায় এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ বাড়ির ঠাকুর ঘরে দেখতে পান পরিবারের লোকজন।

খবর পেয়ে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ারে পাঠানো হবে শুক্রবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -উপনির্বাচনের প্রাক্কালে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে বাসন্তী থানার অন্তর্গত সাতকেওড়া ( হায়দার মোড়)এলাকায়।ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুটি বন্দুক সহ এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে।উল্লেখ্য রাত পোহালেই গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হবে।১২৭ গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এরমধ্যে গোসাবা থানার অন্তর্গত ১৪ টি এবং বাসন্তী থানার অন্তর্গত ২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হবে।আর সেই উপনির্বাচনের প্রাক্কালেই বড়সড় সাফল্য পেল বারুইপুর পুলিশ জেলার অধিনস্ত বাসন্তী থানার পুলিশ।দুটি বন্দুক সহ একজন দুষ্কৃতি কে গ্রেফতার করলো বাসন্তী থানার পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানাগিয়েছে শুক্রবার দুপুর নাগাদ বিশেষ সূত্রে বাসন্তী থানার পুলিশ খবর পায় থানা এলাকার সাতকেওড়া ( হায়দার মোড়) গ্রামের বাসিন্দা হান্নান মোল্লা বেশ কিছু বন্দুক অসত্‍ উদ্দেশ্যে জড়ো করেছে।এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজীর হয়। সেখানে হান্নান মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুটি দেশজ বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করে হান্নান মোল্লাকে।
কোথা থেকে বন্দুক গুলি আনা হয়েছে, কেনই বা জড়ো বন্দুক করেছিল এবং এই ঘটনার সাথে অন্য আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে ধৃতকে জিঞ্জাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া মহল্লায় নিজ ঘর থেকে স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ কামারপাড়া মহল্লার ঘোষপাড়া বৃজগোপাল ঘোষের বাড়ীতে গিয়ে দুটি লাশ উদ্ধার করেন।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে বলেন, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে দেখি বৃজগোপাল ঘোষের বাড়িতে তার ছেলে শ্রী গৌরাঙ্গ কুমার ঘোষ (২৮) ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তমা রাণী ঘোষ (১৯) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে।আমরা দুটি লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাবো।

তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ একজন হত্যা করে অপরজন আত্মহত্যা করেছেন। বিস্তারিত সুরতহাণের পর জানা যাবে।

গৌরঙ্গের মা রুবী রাণী ঘোষ বলেছেন, সকাল ১০টার মতো বেজে গেছে। তবুও ওরা ঘুম থেকে ওঠে না। তখন আমি অনেক ডাকাডাকি করি কোন সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখি ওরা দুজনে পড়ে আছে
নদীয়া:- শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের হরেকৃষ্ণ পল্লীর বাসিন্দা ফনি বিশ্বাসের ছেলে 22 বছর বয়সী চিন্ময় বিশ্বাস আজ দুপুরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায় পুকুরের জলে। চিনময় এর দিদি জানায়, পাড়ার দুটি কিশোরের সাথে সে স্নান করতে যায় আজ, প্রত্যেকদিন না গেলেও মাঝেমধ্যেই তার ওই পুকুরে স্নান করতে যাওয়ার অভ্যাস ছিলো। শারীরিক সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও কেনো এই মৃত্যু তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে পরিবার। তবে সাঁতার জানা ছিল কিনা তা জানা নেই পরিবারের। এলাকার যুবকরা তাকে উদ্ধার করার পর শান্তিপুর হাসপাতালে পৌছানোর পরই তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।

৩১ অক্টোবর, রবিবার থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন। খবর, নবান্ন সূত্রে।

শনিবার রাজ্যের চার আসনের উপনির্বাচন। আর তার পরের দিন থেকেই লোকাল ট্রেন চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে মুম্বইয়ে।করোনা পরিস্থিতির আগের অবস্থায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য এবং পশ্চিম রেল। লোকাল ট্রেনকে মুম্বইয়ের লাইফলাইন বলা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে মধ্য রেল ১,৭৭৪টি এবং পশ্চিম রেল ১,৩৬৭টি লোকাল ট্রেন চালাবে।

লোকাল ট্রেনকে এই রাজ্যেরও লাইফলাইন বলা যায়। প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ মানুষ হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখা দিয়ে যাতায়াত করেন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাতেও তারা লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য তৈরিই ছিল। এখন রাজ্য সরকার বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।


এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ''গত মে মাস থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশেই লোকাল ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমতি মেলায় এখন রবিবার থেকে তা চালু হবে। আমরা আগে থেকেই তৈরি ছিলাম।'' একই সঙ্গে তিনি বলেন, ''সব লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলেও রেলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি থাকবে যাতে কেউ যেন খুব জরুরি কারণ ছাড়া ট্রেন সফর না করেন।''

এখন সব শাখাতেই কিছু কিছু স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। সাম্প্রতিক কালে তার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিধি নিষেধ জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিনই স্বাভাবিক হচ্ছে লোকাল ট্রেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। আর সেই ঘোষণার পরেই রেলকর্তারা আশা করছিলেন খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। শুক্রবার বিকেলে সেই খবর মিলল।

নদীতে ভাসছে একের পর এক মৃতদেহ,কোনো দেহ মানুষের তো কোন আবার জীবজন্তুর। তবে সমস্ত দেহ এক জায়গায় আটকে পড়াই চরম দুরবস্থা এলাকাবাসীর। PHE দপ্তরের জল উত্তোলন কেন্দ্র লাগোয়া একেরপর এক মৃতদেহ আটকে থাকায় চরম সমস্যায় নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি। উদাসীন PHE দপ্তর বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।এমনই ঘটনা সামনে এসেছে মালদার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর শংকরটোলা এলাকায়।এই পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। শংকরটোলা এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ফুলাহার নদী।এই নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত ভেসে যাচ্ছে একের পর এক মৃত মানুষ ও জীবজন্তুর দেহ। কি যে সমস্ত দেহ আটকে পড়েছে নদীর তীরে PHE দপ্তরের জল উত্তোলন এলাকায়। পছন্দটা দেহ আটকে পড়া চরম সমস্যায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী কয়েকশো পরিবার।

দুর্গন্ধ ও একের পর এক দেহে কার্যত দুর্বিষহ অবস্থার রয়েছে এলাকাবাসীর। p.h.e. দপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী জানালেও উদাসীন মনোভাব রয়েছেন দপ্তরের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে মৃতদেহগুলি সরিয়ে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। এই নদী লাগোয়া রয়েছে জনসাস্থ কারিগরি দপ্তর এর আর্সেনিকমুক্ত অপরিশোধিত পানীয় জল উত্তোলন কেন্দ্র।

এই নদী থেকেই জল তুলে p.h.e. দপ্তর গ্রামগঞ্জ শহর বাড়ি বাড়ি পৌঁছাচ্ছে। জল উত্তোলনের জন্য নদীতে যেটি বানানো হয়েছে। সেই যেটির চারিপাশ জুড়ে এখন মানুষ সহ জীবজন্তুর দেহ আকড়ে ধরে রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, p.h.e. দপ্তর এই নদী থেকেই জল তুলে সেই জল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছচ্ছে।

আর গোটা পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে।মৃতদেহের দুর্গন্ধে এলাকাজুড়ে রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বারংবার PHE দপ্তরকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।ফলে দ্রুত প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এবং এই এলাকা থেকে মৃতদেহগুলি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বলে দাবি এলাকাবাসী।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লিতে ডেকে কয়লা পাচারের মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটানা আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মাসের শেষে একই মামলায় দিল্লিতে নিজেদের মূল দফতরে ডেকে পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে লাগাতার ন'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, মলয়বাবুকে এ দিন প্রায় ন'ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, গত কয়েক মাসে মলয়বাবুকে একাধিক বার নোটিস দিয়ে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে মলয়বাবু জানিয়েছিলেন, তদন্তকারী সংস্থার তরফে যে-সব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে, তা প্রস্তুত করতে সময় লাগবে। শেষ পর্যন্ত এ দিন সকালে তিনি দিল্লিতে ইডি-র দফতরে পৌঁছন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে আসা নানা তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন মলয়বাবুকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এটাই শেষ নয়। পরবর্তী কালে তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

কয়লা পাচারের মামলায় অভিষেক ছাড়াও ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। একই মামলার তদন্তে আট জন পুলিশকর্তাকেও দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
নিজের ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের মধুপুর গ্রামে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম লমধর মুর্মু (‌২৪)‌। মধুপুরের বাসিন্দা ওই যুবক ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন।পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও খাওয়াদাওয়া করে নিজের ঘরে শুতে চলে যায় লমধর। এরপর এদিন অনেক ডাকাডাকির পরও যখন কোনও সাড়াশব্দ পাননি লমধরের মা চুমকি মুর্মু, তখন তিনি দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে পড়ে রয়েছে। এরপর চুমকি দেবী চিত্‍কার চেঁচামেচি করতেই আশেপাশের মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারাই পুলিশকে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, লমধরকে খুন করা হয়েছে। সে কোনও আত্মহত্যা করেনি। যারা লমধরকে খুন করেছে, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। পুলিশ অবশ্য এখনই এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে পুলিশের অনুমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, যুবকের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাঁর গায়ে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। স্বাভাবিক যদি মৃত্যু হত তাহলে রক্তের ছাপ দেখা যেত না। আমরা চাই, সত্যি ঘটনা কী সেটা বেরিয়ে আসুক।
Tv9 Bangla,মিনাখাঁ -কয়েকদিন আগেই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে খুন করেছিল নিজের স্ত্রীকে। তারপর থেকেই এলাকা ছাড়া ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সহযোগী বন্ধু। তবে জারি ছিল তদন্ত। গতকাল পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা। গ্রেফতার করা হয় ওই দুই অভিযুক্তকে।
ঘটনাস্থান বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদিহাটি।চলতি মাসের সাত তারিখ বছর চল্লিশের মমতাজ বিবিকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটে। সেই সময় মমতাজের স্বামীর বিরুদ্ধেই ওঠে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নামে। এবং দীর্ঘদিন ধরে জারি রাখে তল্লাশি। অবশেষে গতকাল মুল অভিযুক্ত শামসুর সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এলাকায় রাজু হাতুড়ে ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিল। শুধু রাজু নয় এদিন গ্রেফতার করা হয় তার সহযোগী বছর ২৪ সাদ্দাম হোসেন ওরফে শাহনুরকে। ধৃতরা দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিল।

বধূহত্য়ার ঘটনার প্রায় একুশ দিন পর মিনাখাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সিদ্ধার্থ মন্ডলের নেতৃত্বে মঠবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে তাদের। বৃহস্পতিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে দুই অভিযুক্তকে তোলা হবে। মিনাখাঁ থানার পুলিশ জানায়, তারা ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করবেন আদালতের কাছে।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে পরকিয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।তবে এই ঘটনার পর ছাড় পেয়ে যায়নি অভিযুক্ত। গ্রামবাসীরা সকলে মিলে গণপ্রহার চালায় তার উপর। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে।

অভিযুক্ত স্বামীর নাম দীপঙ্কর বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীকে সন্দেহ করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে অশান্তির মাত্রা ছাড়ায় গতকাল। এরপর আজ ভোরে যখন স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় দীপঙ্কর শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর।

এখানেই শেষ নয়। খুন করার পর গ্রামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পন করে অভিযুক্ত। ঘটনার কয়েক ঘন্টার পরই বিষয়টি জানাজানি হয় এলাকায়। তখনই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ি থেকে বের করে গণ ধোলাই দেয় তাকে।

এরপর ঘটনাস্থানে হাজির হয় বুলবুলিতলা ফাঁড়ির পুলিশ। তার হাতে তুলে দেয় অভিযুক্তকে। পরে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্যে কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কালনা থানার পুলিশ। কালনা থানার পুলিশ জানায় মৃতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
নাম পরিবর্তন করা হয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের। 'মেটা' নাম দেওয়া হয়েছে তার নতুন।

নতুন এ নাম ঘোষণা করেন বলে জানা যায় বৃহস্পতিবার ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।

কয়েকদিন যাবত এ গুঞ্জন চলছিল যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক নাম পরিবর্তনের।অবশেষে জাকারবার্গ ঘোষণা দেন ফেসবুকের নাম মেটা রাখার। একইসঙ্গে পেশ করেন তিনি মেটাভার্স সংযুক্ত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা।

শুধুমাত্র তার সমস্যাযুক্ত সামাজিক নেটওয়ার্কের বাইরে ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মূল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে "মেটা" করা হচ্ছে- এমনই জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।

ফেসবুক প্রধান জানিয়েছেন, আমরা অনেক কিছু শিখেছি সামাজিক সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করে এবং বন্ধ প্ল্যাটফর্মের অধীনে জীবনযাপন করার থেকে এবং আমরা যা শিখেছি তা গ্রহণ করার এবং পরবর্তী অধ্যায় তৈরিতে সহায়তা করার এখন সময় এসেছে।

ফেসবুক তাদের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় গত সপ্তাহে। তবে তা উল্লেখ করা হয়নি সেখানে নতুন কি নাম সেটা। বেশ কয়েকটি নাম আলোচনায় ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় সময় রাত ১০টায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয় সেই সভায় ফেসবুকের নতুন নাম ঘোষণা করা হয় মেটা।

২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু করেছিল ফেসবুক। তারপর থেকে মার্ক জুকারবার্গের হাত ধরে ক্রমশ শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে ফেসবুক।

ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, অকুলাসের মতো শাখার পাশাপাশি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ সবই এই মুহূর্তে ছিল মাদার কোম্পানি ফেসবুকের অধীনস্থ। কিন্তু নতুন নামকরণে নতুন পথচলা শুরুর ইঙ্গিত দিলেন মার্ক জুকারবার্গ।

Information source- E News bangla/ dailyhunt
বুধবার রাত্রে নারায়নগড় থানার চাতুরী ভাড়া থেকে সোনারপুর যাওয়ার রাজ্য সড়কের কাছে এক আশ্রমের পাশে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার মৃতদেহ। বুধবার সন্ধ্যায় নারায়নগড় থানার পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই মহিলার নাম রাধারানী হাটুই বয়স আনমানিক ৬২ বছর বাড়ি নারায়নগড়ের চাতুরী ভাড়া সংলগ্ন আশ্রম মোড়ে বহুরূপা এলাকায়।জঙ্গলে মৃতদেহ পড়ে থাকতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয় খবর পেয়ে নারায়নগড় থানার পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে।খবর পেয়ে থানায় গিয়ে পৌঁছান সীমন্ত হাটুই। মৃত মহিলার ছেলে সীমন্ত হাটুই জানান "তার মায়ের হাই প্রেসারের রোগ ছিল আর এদিন বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে কোন কা কারণে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ
মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ভালো মানুষ সেজে হাতিয়ে নিতো মোবাইল, এভাবেই বেশ কয়েকটি ঘটনার সত্য সামনে এলো আজ। নদীয়া শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চল এর বাগদেবীর পুরের বাসিন্দা প্রবোধ মণ্ডলের ছেলে প্রলয় মন্ডলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরি, তোলাবাজির হুমকির বিরুদ্ধে এর আগেও শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।আজ শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন গোডাউন মাঠ এলাকায় একটি মোবাইলের দোকানে তিনটি মোবাইল বিক্রি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। খবর পেয়ে ছুটে আসে গোটা গ্রামের কলের মটর নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন চুরি যাওয়া গৃহকর্তারা। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার প্রশাসন এসে পৌঁছায়। এলাকাবাসীর বক্তব্য তাদের সকল চুরি যাওয়া দ্রব্য ফেরত দিলে তবেই ছাড়া হবে তাকে। শান্তিপুর থানার মধ্যস্থতায় ওই যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
পর পর তিনদিন ঊর্ধ্বমুখী এ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের পারদ। মঙ্গলবার যা ছিল ৮০৬, বুধবার তা বেড়ে ৯৭৬ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই দৈনিক সংক্রমণ দাঁড়াল ৯৯০-এ। অর্থাত্‍ আবারও বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। পর পর সংক্রমণ বেড়েছে কলকাতাতেওবৃহস্পতিবার শুধুমাত্র কলকাতাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ২৭৫। মঙ্গলবার ও বুধবার মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন যথাক্রমে ২৭২ ও ২৪৮।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৯ জন। গত একদিনে সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৮৪৫ জন। পজিটিভি রেট ২.১৮ শতাংশ। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৩৭টি। নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এখনও কোভিড বিধি না মানলে বিপদ থেকে আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এক নজরে দেখে নিন কোন জেলায় কত সংক্রমণ:

আলিপুরদুয়ার- গতকাল আক্রান্ত ৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৫ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

কোচবিহার- গতকাল আক্রান্ত ১৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১ জন । শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৩ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

দার্জিলিং- গতকাল আক্রান্ত ৩২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩১ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

কালিম্পং- গতকাল আক্রান্ত ৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৪ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

জলপাইগুড়ি- গতকাল আক্রান্ত ২৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৭। মৃত্যু: বুধবার-৪, বৃহস্পতিবার-০।

উত্তর দিনাজপুর- গতকাল আক্রান্ত ৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৬ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-১।

দক্ষিণ দিনাজপুর- গতকাল আক্রান্ত ৩০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৬ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

মালদহ- গতকাল আক্রান্ত ৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৭ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

মুর্শিদাবাদ- গতকাল আক্রান্ত ৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৫ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

নদিয়া- গতকাল আক্রান্ত ৪৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৪৬ জন। মৃত্যু: বুধবার-২, বৃহস্পতিবার-২।

বীরভূম- গতকাল আক্রান্ত ২৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৪ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

পুরুলিয়া- গতকাল আক্রান্ত ৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

বাঁকুড়া- গতকাল আক্রান্ত ১৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৮ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

ঝাড়গ্রাম- গতকাল আক্রান্ত ৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৬ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

পশ্চিম মেদিনীপুর- গতকাল আক্রান্ত ৩১ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৭ জন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৯ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

পূর্ব মেদিনীপুর- গতকাল আক্রান্ত ১৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৭ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

পূর্ব বর্ধমান- গতকাল আক্রান্ত ২২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৫ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

পশ্চিম বর্ধমান- গতকাল আক্রান্ত ২৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২১ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

হাওড়া- গতকাল আক্রান্ত ৭৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৬৭ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-২।

হুগলি- গতকাল আক্রান্ত ৭৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৭০ জন। মৃত্যু: বুধবার-০, বৃহস্পতিবার-০।

উত্তর ২৪ পরগনা- গতকাল আক্রান্ত ১৫৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৩৭ জন। মৃত্যু: বুধবার-৩, বৃহস্পতিবার-২।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা- গতকাল আক্রান্ত ৭৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৬৭ জন। মৃত্যু: বুধবার-২, বৃহস্পতিবার-১।

কলকাতা- গতকাল আক্রান্ত ২৭২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৭৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২২১ জন। মৃত্যু: বুধবার-৪, বৃহস্পতিবার-১।
কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ বলবত্‍ থাকবে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ''বাজার ও দোকানপাটই শুধু নয়, পাড়ার চায়ের দোকানও বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও জমায়েত বা জটলা নজরে এলেই পুলিশ-প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করবে।''

বুধবার সকাল থেকেই রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলি ঘেরার কাজ শুরু করে সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

ওই সমস্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে বসানো হচ্ছে পুলিশ-পিকেট। এর পাশাপাশি, মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। রাস্তায় পুলিশি টহলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও চলবে নজরদারি। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে ওই পুর এলাকার বাজার, দোকান এবং বাসস্ট্যান্ডে মাস্কবিহীন লোকজনকে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।

পুলিশ ও পুর প্রশাসনের আবেদন, এই তিন দিন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বা অন্য জরুরি কারণ ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। বেরোনোর উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে‌। পল্লববাবু বলেন, ''প্রাথমিক ভাবে তিন দিনের জন্য কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে আরও কঠি‌ন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।'' বিভিন্ন এলাকায় বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা জানতে আপাতত সিসি ক্যামেরার ফুটেজই প্রধান ভরসা। ওই ফুটেজে কাউকে বিধি ভাঙতে দেখলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
অবশেষে জামিন পেলেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। মাদক মামলায় ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শাহরুখপুত্রকে। তার ২৬ দিন পর বম্বে হাই কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করল। আরিয়ানের পাশাপাশি আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচারও জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।কাল বা পরশু জেল থেকে ছাড়া হতে পারে শাহরুখপুত্রকে।

২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শোনা যায়, এনসিবি'র সেই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। কর্ডেলিয়া ক্রুজের পার্টি থেকেই আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের আটক করা হয়। বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর ৩ অক্টোবর শাহরুখপুত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রথমে আর্থার রোড জেলের কোয়ারেন্টাইন সেলে রাখা হয় আরিয়ানকে। পরে অন্য জেলে পাঠানো হয়। ছেলের গ্রেপ্তারির বেশ কয়েকদিন বাদে আর্থার রোড জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাহরুখ। প্রথমে আরিয়ানের জামিনের ভার তিনি দিয়েছিলেন আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডেকে। কিন্তু পরে আইনজীবী বদল করা হয়। বুধবার বম্বে হাই কোর্টে আরিয়ানের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন মুকুল রোহতগি। বুধবার শুনানি শুরু হওয়ার পর আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

শোনা যায়, আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে এনসিবি'র পক্ষ থেকে নাকি দাবি করা হয়, আরিয়ান মাদক মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। জামিনে মুক্ত হলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে মামলার কাজ ব্যাহত করবেন বলেও নাকি জানানো হয়েছে।

এদিকে শাহরুখপুত্রের মাদক যোগ কাণ্ডে এনসিবির অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে (Kiran Gosavi) গ্রেফতার করেছে পুণে পুলিশ। পুরনো একটি প্রতারণা মামলায় বুধবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত। তোলাবাজির অভিযোগে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
হরিয়াণার রাখিগরহির দম্পতি বা প্রেমিকরা। পরিণত বা বিকশিত হরপ্পা যুগের। সময়কাল: ~ ৪৬০০ থেকে ৪০০০ বৎসর পূর্বের।


তথ্য সংগ্রহ-ফেসবুক 
লটারি কেটে আচমকা কোটিপতি হয়ে ওঠার ঘটনা প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে শোনা যায়। তবে এ বার মাছ বিক্রি করে প্রায় এক কোটি টাকা আয় করলেন দিঘার এক ট্রলার মালিক। মঙ্গলবার দিঘা মোহনার মাছের বাজারে এক ঝাঁক তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি করে প্রায় এক কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন চঞ্চল মালিক।
সম্প্রতি মাছ ধরে তীরে ফেরে ওই ট্রলারটি। ট্রলারে ৩৩টি তেলিয়া ভোলা মাছ ছিল। তা বিক্রি হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকায়। দিঘা মোহনার আড়তদার শ্যামসুন্দর দাসের আড়তে ওঠে ওই মাছ। তিনি বলেন, ''মাছগুলি নিলামে কেজি প্রতি প্রায় ১২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে দাম উঠেছে প্রায় ৯৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা।'' ওই মাছ দেখতে আড়তে ভিড় জমে যায়।

মত্‍স্যজীবীরা জানাচ্ছেন, মাছের বাজারে তেলিয়া ভোলার দর সব সময়েই বেশি থাকে। এই মাছের বিভিন্ন অংশ চিকিত্‍সা-সহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। একটি মাছের ওজন যত বেশি তার কেজি প্রতি দামও তেমন হয় বলেই মত্‍স্যজীবীদের মত। তবে তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি করে এক লপ্তে কোটিপতি হওয়ার ঘটনা প্রায় বেনজির। সম্প্রতি সুন্দরবনের মত্‍স্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছিল ৭৮ কেজির একটি তেলিয়া ভোলা মাছ। যার দাম ওঠে ৩৭ লক্ষ টাকা।
এক মুখ দাড়ি গোঁফ, অনেক কালের কালো ছোপ ছোপ' নিয়ে চুঁচুড়া শহরে ঘুরে বেড়াতেন চিত্তরঞ্জন মাহাত। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া। কিন্তু চুঁচুড়ার 'ফুটপাতে একা একা' জীবন কাটছিল তাঁর। সম্প্রতি এক পুলিশকর্মীর সহায়তায় সাত বছর পর পরিবারে ফিরতে চলেছেন তিনি।

চুঁচুড়া শহরের ঘড়ির মোড়, খরুয়াবাজার, আখনবাজার বাসস্ট্যান্ডে সারাদিন ঘুরতে দেখা যেত চিত্তরঞ্জনকে।রাতে তাঁর ঠিকানা ছিল ইমামবাড়া হাসপাতাল। তাঁর জট পড়া চুলে 'উকুনের পরিপাটি সংসার' ছিল কি না জানা যায়নি। তবে লোকের কাছে চেয়ে চিন্তেই দিন কাটত তাঁর।

চুঁচুড়া পুলিশ লাইনের কর্মী সুকুমার উপাধ্যায় সম্প্রতি বসেছিলেন খাবারের দোকানে। সেখানেই তিনি দেখেন চিত্তরঞ্জনকে। তখনই সুকুমার নাম, ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁকে। তার জবাবে ভবঘুরে চিত্তরঞ্জন জানান, পুরুলিয়ার মানবাজার থানার অন্তর্গত গোপালনগর পঞ্চায়েতের খাটচিরি গ্রামে বাড়ি তাঁর। এর বেশি তিনি নিজের ব্যাপারে জানাতে পারেননি। সে দিন চিত্তরঞ্জনের একটি ছবি তুলেছিলেন সুকুমার। পরে সেই ছবি পাঠিয়েছিলেন মানবাজার থানায় থাকা তাঁর এক পুরনো সহকর্মীকে।

সহকর্মীর মারফত সুকুমার জানতে পারেন, সাত বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন। তার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পর মানবাজার থানার সাহায্যে সুকুমার কথা বলেন চিত্তরঞ্জনের পরিবারের সঙ্গে। পাশাপাশি চুল-দাড়ি কাটার ব্যবস্থা করে চিত্তরঞ্জনকে নতুন জামা-কাপড় কিনে দেন তিনি।

বুধবার চিত্তরঞ্জনের দাদা অধিষ্ঠ মাহাত আসেন চুঁচুড়ায়। সাত বছর পর হারানো ভাইকে খুঁজে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তিনি। ভাইকে ফেরানোর ব্যবস্থা করায় সুকুমারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন অধিষ্ঠ। তিনি বলেছেন, ''বছর সাতেক আগে ভুল করে বাঁকুড়ার বাসে উঠে পড়েছিল ভাই। তার পর কোনও ভাবে এখানে চলে আসে। আমরা অনেক খুঁজেছি। পুজো দিয়েছি। কিন্তু ভাইয়ের কোনও খোঁজ পাইনি।'' বুধবার বেলায় চিত্তরঞ্জনকে নিয়ে অধিষ্ঠ রওনা দিয়েছেন পুরুলিয়ায়। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছেন সুকুমারও।

Source- আনন্দবাজার পত্রিকা
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীপাড়া থেকে বছর চব্বিশের জাকির হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শানপুকুর এলাকায়।নির্যাতিতা নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ তার মা আজমীর শরীফে বেড়াতে যান বাড়িতে তার বাবার সঙ্গে থাকত। গত ২২ তারিখে তার বাবা সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখেন মেয়ে ঘরে নেই। এরপরে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় দেগঙ্গা থানায় এসে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা বাবা। তদন্তে নেমে ২৪ তারিখে নাবালিকাকে পুলিশ উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। এরপরে নির্যাতিত নাবালিকা বাড়িতে গিয়ে শারীরিক অসুস্থতায় মুষড়ে পড়ে। তার এক বৌদির সঙ্গে শারীরিক অত্যাচার হয়েছে এবং দুদিন ধরে ধর্ষণ করা হয় বিষয়টি খুলে বলে। অভিযুক্ত জাকির হোসেন মেয়েটিকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সেই কারণে এই নির্যাতনের কথা চেপে ছিল ওই নাবালিকা। নির্যাতিতার বৌদী বিষয়টি জানানোর পরে তার বাবাকে জানাই। বাবা বিষয়টা জানতে পেরে দেগঙ্গা থানায় মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকৈ গ্রেফতার করেছে এছাড়াও নির্যাতিতা বালিকা জানিয়েছে অভিযুক্ত জাকিরের সঙ্গে এই নির্মম অত্যাচারে সহযোগিতা করেছে দুই যুবক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্ত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা রুজু করে আজ বারাসাত জেলা আদালতে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। 
ছবি ও তথ্য - সেখ মুক্ত
দু'জনের বাড়ি প্রায় পাশাপাশি। তারা পড়তও একই স্কুলে। দু'জনের মা-ই এ দিন সন্তানদের পরীক্ষার কাগজপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত কাজে স্কুলে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগে বিরাট পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল দুই বন্ধু। কোনও ভাবে এক জন ঘাট থেকে পা পিছলে জলে পড়ে গেলে অন্য জন তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয়।কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জলে ডুবে মৃত্যু হল দু'জনেরই।

মঙ্গলবার দুপুরের এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত মধ্যমগ্রামের পশ্চিম চণ্ডীগড় এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই কিশোরের নাম ধ্রুব বিশ্বাস (১৪) এবং পবিত্র সাহা (১৩)। পুকুরঘাটে পা পিছলে প্রথমে জলে পড়ে যায় ধ্রুব। বন্ধুকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় পবিত্র। তাদের উদ্ধার করে বারাসত মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ধ্রুবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকেরা। বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, পবিত্রের ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিত্‍সা শুরু করা হলেও বাঁচানো যায়নি। সন্ধ্যার দিকে মৃত্যু হয় পবিত্রেরও।

স্থানীয়েরা জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ দুই বন্ধু জলে নেমেছিল। কোনও ভাবে ধ্রুব পা পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। তাকে হাত-পা ছুড়তে দেখে জলে ঝাঁপ দেয় পবিত্র। ওই পুকুরের পাশেই থাকেন রিপন বিশ্বাস। তিনি জানান, সাঁতার না জানায় পবিত্রকে জলের মধ্যে আঁকড়ে ধরে ধ্রুব। তার জেরে
সাঁতার জানা সত্ত্বেও পবিত্রও ডুবে যায়। প্রচুর জল খেয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কয়েক জন পুকুরে ঝাঁপ গিয়ে দুই কিশোরকে উদ্ধার
করেন। পুকুরপাড়েই ধ্রবকে শুইয়ে তার পেট থেকে জল বার করার চেষ্টা হয়। কিন্তু জলের সঙ্গে রক্তও বেরোতে থাকে বলে জানাচ্ছেন
প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পুকুরে সব সময়ে বাচ্চারা স্নান করতে নামে। এ দিনের ঘটনার পরে পুকুরের চার পাশ উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ধ্রুবর কাকিমা প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস জানান, মধ্যমগ্রাম কবিগুরু স্কুলের ছাত্র ছিল দুই বন্ধু। কাউকে না জানিয়েই এ দিন তারা পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। দুপুরের দিকে বাড়ির লোকজন দুর্ঘটনার খবর পান।

পবিত্রের বাবা পলাশবাবু পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী। তাঁর কর্মস্থল ঝাড়খণ্ডে। ছেলের মৃত্যুর খবর এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁকে জানানো হয়নি। পলাশবাবু শুধু শুনেছেন, ছেলের দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তিনি ঝাড়খণ্ড থেকে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে
শনিবার বাংলা থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় নিয়েছে বর্ষা তবুও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। রাত এবং ভোরের শিরশিরে হাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে এখন হেমন্তের পরশ। তারি মাঝে ফের হেমন্তের স্বস্তিতে বিরক্তিকর কাটা হয়ে দাঁড়াতে চলেছেন বৃষ্টি‌। তবে এক টানা বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েকদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অনুভূত হতে পারে হেমন্তের পরিবেশ।সকালের দিকে কোথাও কোথাও দেখা যাবে সামান্য কুয়াশা এবং সকালের দিকে অনুভূত হবে হালকা শীতের আমেজ। বেলা বাড়লে অবশ্য বদলে যাবে পরিস্থিতি। গরমের সঙ্গে আদ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত রয়েছে। যার জেরে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়াতে‌। কারণ এই সমস্ত জেলাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ থেকে ৩৫ ডিগ্রি এবং রাতের দিকে তাপমাত্রা থাকতে পেরে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং সহ বেশকিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তখনও পর্যন্ত ওই যুবকের নাম,পরিচয়, ঠিকানা কোনও কিছুই ঠিকমতো জানা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তদন্ত চালিয়ে যায় পুলিশ(Police)। এরপর সন্ধের মধ্যেই জানা গেল ওই যুবকের যথার্থ পরিচয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম জয়দেব শীল।বছর ৩৫। তাঁর বাড়ি মালদার ইংরেজবাজার থানার (English Bazar) থানার কোঠাবাড়ি এলাকায়। মৃত যুবক পেশায় সেলুন ব্যবসায়ী।

পরিবার সূত্রে খবর, ,সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় জয়দেব। এরপর রাত গড়িয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ শুরু হয় তাঁর। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও খোঁজ করতে থাকেন ওই যুবকের। এরপর মঙ্গলবার সকালে ইংরেজবাজার থানার বাগবাড়ি এলাকার বাঁধের উপরে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর।

মৃতদেহের পকেট থেকে ছোটন হালদার নামে এক ব্যক্তির আধার কার্ড উদ্ধার হয়। ছোটন হালদারের স্ত্রী জানান, গতকাল লোন নেওয়ার জন্য তার স্বামীর আধার কার্ড জয়দেবকে দিয়েছিল। তারপরে সকালে শুনতে পায় এই ঘটনা ঘটেছে। ছোটন বর্তমানের পুরাতন মালদার একটি বেকারিতে কাজে যুক্ত রয়েছেন।

এদিকে, মৃতের পরিবারের দাবি কেউ বা কারা জয়দেবকে খুন করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকালও এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলকায়। সোমবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার হয় হাড়োয়া থানা (Haroa Police station) এলাকার গাম্ভীরগাছি ফেরিঘাটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বসিরহাট মহকুমার (Basirhat) গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতা খাটরা গ্রামের ওই ফেরি ঘটে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় দেহটি বিদ্যধারী নদীর একটি শাখা বুড়িখালের পাশে পড়ে ছিল। বয়স্ক ওই ব্যক্তির মৃতদেহটিতে পচন ধরার কারণে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তারাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

এছাড়া, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খুন নাকি ওই ব্যক্তির মৃত্যু জলে তলিয়ে যাওয়ার কারণে হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি জানার চেষ্টা চলছে মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয়।
Source-TV9 BANGLA
কেউ কি জেলে যেতে চায় নিজের ইচ্ছায়? এর প্রশ্নের উত্তর সবাই 'না' করবে কিন্তু কিছুটা দ্বিধায় পড়তে হবে এখন হয়তো। কারণ, নিজ থেকেই পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন ইতালিতে এক লোক, জেলে পাঠানো হয় যেন তাকে। কারণ, তিনি মনে করেন, জেলে যাওয়াই ভালো স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে থাকার চেয়ে!স্বেচ্ছায় জেলে যাওয়ার আবেদন করেছেন দেশটির গুইডোনিয়া মন্টেসেলিও এলাকায় 'হাউজ অ্যারেস্ট' (গৃহবন্দি) থাকা ৩০ বছর বয়সী এক আলবেনীয় নাগরিক- জানিয়েছেন রবিবার ২৪ অক্টোবর ইতালীয় পুলিশ।

কারাবিনিয়েরি পুলিশ বলেছেন, ওই লোক জানিয়েছেন, তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক বসবাস। সাজার বাকি অংশ কারাগারে কাটানোর আবেদন করেছেন তিনি এ কারণে।

ওই ব্যক্তি মাদক সংক্রান্ত অপরাধে কয়েক মাস যাবত্‍ গৃহবন্দি জানিয়েছেন তিভোলি কারাবিনিয়েরির ক্যাপ্টেন ফ্রান্সেস্কো গিয়াকোমো ফেরান্তে। কয়েক বছরের সাজা বাকি তার এখনো।

তিনি থাকতেন বাড়িতে স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে - বলেছেন ওই লোকের প্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন ফেরান্তে। কিন্তু সেটি ভালো যাচ্ছিল না। তিনি আমাদের বললেন, আমার পারিবারিক জীবন নরকে পরিণত হয়েছে, এসব আর সহ্য করতে পারছি না, আমি জেলে যেতে চাই।

জানা গেছে, ঘটনাক্রমে ওই ব্যক্তিকে হাউজ অ্যারেস্টের শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে ফের গ্রেফতার করা হয় এবং স্থানীয় বিচারিক কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারে স্থানান্তরের আদেশ দেন। অর্থাত্‍, স্ত্রী থেকে দূরে যেতে সত্যি সত্যি শেষপর্যন্ত জেলে গিয়েছেন তিনি।
খুনের হুমকি দেওয়া হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার আলাপনবাবুর স্ত্রী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে স্পিড পোস্টে সেই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কলকাতা পুলিশে।সূত্রের খবর, দেড় লাইনের চিঠিতে বলা হয়েছে যে 'ম্যাডাম, আপনার স্বামীকে মেরে ফেলা হবে। কেউ আপনার স্বামীর জীবন বাঁচাতে পারবেন না।' চিঠির প্রেরক হিসেবে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিকাল টেকনোলজির এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে চিঠিতে প্রেরক হিসেবে যে ব্যক্তির নাম আছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত) সেই নামের কোনও ব্যক্তির হদিশ মেলেনি। অধ্যাপকদের তালিকায় ওই ব্যক্তির নাম নেই। রিসার্চ স্কলারের তালিকায় সেরকম কোনও নাম নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ওই চিঠির প্রতিলিপি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আলাপনবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যিনি আপাতত রাজ্য সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। হুমকি চিঠির বিষয়টি রাজ্য সরকারকেও জানানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, চিঠি আদতে কে পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এমনিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রের সঙ্গে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আলাপনবাবু। গত ২২ অক্টোবর দুপুর তিনটেয় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের কলকাতা বেঞ্চে আলাপনবাবুর মামলার শুনানি ছিল। কেন্দ্রের কর্মীবর্গ দফতরের তরফে কলকাতা থেকে সেই মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সেইদিনই কলকাতা থেকে দিল্লিতে মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় স্যাটের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ। আজ (বুধবার) এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব।

 Information sorcy-Hindustan Times বাংলা
কৌশলে 'হাতিয়ে নেওয়া' হয়েছে জমি। বসত বাড়ি থেকেও উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। জুটছে শারীরিক, মানসিক 'নির্যাতন'ও। নিজের বড় মেয়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিশ্বরম্ভা গ্রামের এক ষাটোর্ধ দম্পতি। মঙ্গলবার দুপুরে কালনার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা।যদিও অভিযোগ মানতে চাননি তাঁদের বড় মেয়ে। তাঁর দাবি, 'অভিযোগ ভিত্তিহীন'।

বিশ্বরম্ভা চাঁপাতলা এলাকার বাসিন্দা ননীবালা দাস এবং রাধেশ্যাম দাসের আইনজীবী অরিন্দম বাজপেয়ী এ দিন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিধানচন্দ্র বিশ্বাসকে জানান, রাধেশ্যামবাবু অসুস্থ। তাঁর হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই। তাঁরা যে অটোয় আদালতে এসেছিলেন, তার সামনে এসে কথা শোনার আর্জিও জানানো হয়। দোতলা থেকে নেমে দম্পতির অভিযোগ শোনেন ওই আধিকারিক। ননীবালাদেবী জানান, তাঁদের চার ছেলে মেয়ে। বড় মেয়ে মঞ্জুরানি দাসের বিয়ে হয়েছে পূর্বস্থলীর বাগাচারা গ্রামে। তবে বছরখানেক ধরে বাপের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। স্বামীর নামে থাকা বিঘে দেড়েক চাষজমি, তাঁর নামে থাকা দেড় কাঠা জমি বড় মেয়ে 'ভুল বুঝিয়ে' লিখিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ''বড় মেয়ে আমাদের দেখভাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন শারীরিক, মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে।'' তাঁর আরও অভিযোগ, মাসখানেক আগে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করে মেয়ে। মারধরও করে। প্রথমে পূর্বস্থলী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে নদিয়ার শক্তিনগর হাসপাতালে চিকিত্‍সা হয় তাঁর। বৃদ্ধা জানান, স্বামী ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। বড় মেয়ের কাছ থেকে নিজেদের জমি ফেরত চান তাঁরা। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তাঁদের।

বৃদ্ধা জানান, তাঁদের ছোট ছেলে অন্যত্র বসবাস করেন। বড় ছেলে ওই গ্রামে থাকলেও তাঁর অবস্থা ভাল নয়। বড় মেয়েই ভরসা ছিলেন তাঁদের। কিন্তু তিনি তাঁদের তাড়াতে চান, অভিযোগ বৃদ্ধার। তাঁদের আইনজীবীর দাবি, ''অত্যাচারের কথা জানিয়ে প্রথমে এসডিইএম আদালতে সিনিয়র সিটিজেন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এবং বিএলআরও-কে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রশাসন সক্রিয় হতেই বৃদ্ধার মুখে অ্যাসিড ঢালার চেষ্টা, মারধরের ঘটনা ঘটে।'' এ দিন এসডিইএম আদালত বিএলআরও এবং পুলিশকে ওই দম্পতির নিরাপত্তা এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।

মঞ্জুরানির আইনজীবী বিকাশ রায়ের পাল্টা দাবি, ২০১৬ সালে রাধেশ্যাম দাস সম্পত্তির কিছু অংশ স্ত্রী ও কিছু অংশ বড় মেয়েকে দেন। তাতে পরিবারের আরও দুই সদস্য ক্ষুণ্ণ হন। সে রাগ পড়ে মঞ্জুদেবীর উপরে। তাঁদের 'মদতেই' মামলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ''বড় মেয়ে নন, পরিবারের অন্যেরাই অত্যাচার করছে ওঁদের উপরে। আদালতে প্রমাণ দেব আমরা।'' মঞ্জুরানিও বলেন, ''মা-বাবার উপরে কোনও অত্যাচার করা হয়নি। সম্পত্তিও কেড়ে নেওয়া হয়নি। অভিযোগ ভিত্তিহীন।'
দু'জনের বাড়ি প্রায় পাশাপাশি। তারা পড়তও একই স্কুলে। দু'জনের মা-ই এ দিন সন্তানদের পরীক্ষার কাগজপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত কাজে স্কুলে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগে বিরাট পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল দুই বন্ধু। কোনও ভাবে এক জন ঘাট থেকে পা পিছলে জলে পড়ে গেলে অন্য জন তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয়।কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জলে ডুবে মৃত্যু হল দু'জনেরই।

মঙ্গলবার দুপুরের এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের পশ্চিম চণ্ডীগড় এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই কিশোরের নাম ধ্রুব বিশ্বাস (১৪) এবং পবিত্র সাহা (১৩)। পুকুরঘাটে পা পিছলে প্রথমে জলে পড়ে যায় ধ্রুব। বন্ধুকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় পবিত্র। তাদের উদ্ধার করে বারাসত মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ধ্রুবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকেরা।

বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, পবিত্রের ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিত্‍সা শুরু করা হলেও বাঁচানো যায়নি। সন্ধ্যার দিকে মৃত্যু হয় পবিত্রেরও। স্থানীয়েরা জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ দুই বন্ধু জলে নেমেছিল। কোনও ভাবে ধ্রুব পা পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। তাকে হাত-পা ছুড়তে দেখে জলে ঝাঁপ দেয় পবিত্র। ওই পুকুরের পাশেই থাকেন রিপন বিশ্বাস।

তিনি জানান, সাঁতার না জানায় পবিত্রকে জলের মধ্যে আঁকড়ে ধরে ধ্রুব। তার জেরে সাঁতার জানা সত্ত্বেও পবিত্রও ডুবে যায়। প্রচুর জল খেয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কয়েক জন পুকুরে ঝাঁপ গিয়ে দুই কিশোরকে উদ্ধার করেন। পুকুরপাড়েই ধ্রবকে শুইয়ে তার পেট থেকে জল বার করার চেষ্টা হয়। কিন্তু জলের সঙ্গে রক্তও বেরোতে থাকে বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পুকুরে সব সময়ে বাচ্চারা স্নান করতে নামে। এ দিনের ঘটনার পরে পুকুরের চার পাশ উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ধ্রুবর কাকিমা প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস জানান, মধ্যমগ্রাম কবিগুরু স্কুলের ছাত্র ছিল দুই বন্ধু। কাউকে না জানিয়েই এ দিন তারা পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল।

দুপুরের দিকে বাড়ির লোকজন দুর্ঘটনার খবর পান। পবিত্রের বাবা পলাশবাবু পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী। তাঁর কর্মস্থল ঝাড়খণ্ডে। ছেলের মৃত্যুর খবর এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁকে জানানো হয়নি। পলাশবাবু শুধু শুনেছেন, ছেলের দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তিনি ঝাড়খণ্ড থেকে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।