May 2023

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হতে দেখা গিয়েছে উপেন বিশ্বাসকে। তিনিই প্রথম চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির নাম সামনে আনেন।

Upen Biswas: ‘গডফাদার’কে ধরতে তদন্তকারীদের পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসসুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে উপেন বিশ্বাস



কলকাতা : সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কেউ বলছেন, কান টানা হয়েছে, এবার মাথা আসবে। আবার কেউ বলছেন, আস্তে আস্তে জালে পড়বে ‘বড় মাছ’। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কাকু’র গ্রেফতারি গোয়েন্দাদের মূল ষড়যন্ত্রকারীর কাছে পৌঁছে দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের দাবি, এবার দ্রুত ‘গডফাদার’কে জালে আনা প্রয়োজন।


 বাংলার মুখোমুখি হয়ে উপেন বিশ্বাস বলেন, “যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, সেই সুজয়কৃষ্ণকে আমি কোনওভাবেই গডফাদার বলে মনে করি না। তবে তিনি গডফাদার কাছাকাছি।” তাঁর মতে, এতটা সংগঠিত অপরাধ তো কালীঘাটের কাকু করতে পারেন না। প্রাক্তন সিবিআই কর্তার দাবি, তদন্তকারীরা শুধুমাত্র চার্জশিট দিয়েই যেন থেমে না যান তাঁরা। তিনি বলেন, “একটা চার্জশিট করে দিলেন, আর গডফাদারের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন না, তাহলে আবার সারদার মতো হবে।”

কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই-এর ডিরেক্টরদের উদ্দেশে উপেন বিশ্বাস বলেন, “দেখুন আপনাদের চ্যালারা কী করছে। দ্রুত গডফাদারকে ধরতে বলুন।”

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন সূর্যাস্তের আগে খাবার খেয়ে নিতে পারলে সবচাইতে ভাল। সবথেকে ভাল যদি সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে রাতের খাওয়া খেয়ে নিতে পারেন

Late Night Eating Side Effects: দেরি করে খাবার খেলে এই সব সমস্যা হবেই, কেনও ভাবেই রুখতে পারবেন না বার্ধক্যঅ্যাসিডিটির সমস্যা প্রবল হয় এই কারণে



দিন বদলেছে, বিজ্ঞানের উন্নতি হয়েছে কিন্তু নেমে গিয়েছে জীবনযাত্রার মান। রোজকার জীবনে সকলে বড়ই ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে খাওয়া-ঘুমের নির্দিষ্ট আর সময় নেই। যে যার খুশি মতো বডি ক্লক পরিচালনা করছেন। একটা সময় ছিল যখন মানুষ রাত ৮ টার মধ্যেই খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেলতেন। আর এখন ঘড়ির কাঁটা আটটা ছুঁলে সবে সন্ধ্যে নামে ড্রইংরুমে। তারপর চলে টুকিটাকি স্ন্যাকসের পর্ব। রাতের খাওয়া ১১ টা না বাজলে শুরুই হয় না। কোথাও গিয়ে রাত ১২ টার পর ডিনার মানুষের স্টেটাস সিম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিভি দেখে, তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে তবেই না রাতের খাওয়া। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, যত বেশি করে সন্ধ্যের জল খাবার খাবেন ততই কিন্তু রাতে খিদে বাড়বে। আর দেরীতে খেলে পাকস্থলী ও হজমের জন্য তা আরও বেশি বিপজ্জনক। দিনের পর দিন এরকম চলতে থাকলে একটা সময়ের পর হজমশক্তি খুবই খারাপ হয়ে যায়। দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস কোনও দিক থেকেই ভাল নয়।


রাতে অনেক দেরী করে খেলে অ্যাসিডের সমস্যা হবেই। কারণ এতে পেটে জ্বালা হতে পারে। খাদ্যনালীর কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। আর রাতে খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়া হয়। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়েই।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন সূর্যাস্তের আগে খাবার খেয়ে নিতে পারলে সবচাইতে ভাল। সবথেকে ভাল যদি সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে রাতের খাওয়া খেয়ে নিতে পারেন।


দেরী করে খেলে সবথেকে বেশি যে সমস্যা হয় তা হল ঘুম কম হওয়া। সন্ধ্যের জলখাবার দেরী করে খেলে ঘুম কিছুতেই আসতে চায় না। খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে অন্তত ২ ঘন্টা সময়ের ব্যবধান রাখতেই হবে।

দেরী করে যদি খাবার খান তাহলে একেবারেই হালকা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তেল-মশলাদার খাবার বেশি খেলে হজমের সমস্যা হবেই। হালকা খাবার খেলে এই সব সমস্যা তুলনায় অনেকটাই কম হয়।

আয়ুর্বেদের মতে সন্ধ্যে ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সময় হল মারাত্মক। কারণ এই সময় নোনতা বা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। নোনতা বা মিষ্টি বেশি খেলে অ্যাসিডিটি হবেই। বদহজমের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় উল্টোপাল্টা এই সব খাবার খেলে। তাই চেষ্টা করুন রাতে সময়ের মধ্যে খাওয়া সেরে ফেলতে।

ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের পূর্ব আলতাগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার হিসাবে কর্মরত অবিস্মিতা। ১৪ বছরের পেশাগত জীবনের সেরা স্বীকৃতি পেলেন তিনি। জুন মাসের মাঝামাঝি দিল্লিতে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু।

Dhupguri Nurse: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অতিমারিতে কোভিড রোগীদের সেবা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল পুরস্কার পাচ্ছেন ধূপগুড়ির নার্সধূপগুড়ির নার্স অবিস্মিতা


ধূপগুড়ি: ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির কমিউনিটি হেলথ অফিসার অবিস্মিতা ঘোষ। এই নিয়ে টানা তিনবার ধূপগুড়ির মেয়েরা সর্বভারতীয় এই সম্মান পেলেন। মঙ্গলবার ভারতীয় নার্সিং ফেডারেশনের প্রকাশ করা তালিকায় দেশের মোট ১৫ জন এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। এর মধ্যে এ রাজ্য থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে ২০২২ সালের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ধূপগুড়ির অবিস্মিতা ঘোষ। করোনা অতিমারিতে যখন গোটা বিশ্ব ত্রস্ত ছিল সে সময় দাঁড়িয়ে নিজেকে ঘরবন্দি না রেখে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবিস্মিতা ঘোষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন। সেই খবরও তুলে ধরেছিলাম আমরা। তার পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য সরকারের নজরে আসে অবিস্মিতার নিরলস কর্মযজ্ঞের কাহিনি। এ বার তিনি পেলেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল অ্যাওয়ার্ড। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই পুরস্কার তুলে দেবেন ধূপগুড়ির ওই নার্সের হাতে।


ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের পূর্ব আলতাগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার হিসাবে কর্মরত অবিস্মিতা। ১৪ বছরের পেশাগত জীবনের সেরা স্বীকৃতি পেলেন তিনি। জুন মাসের মাঝামাঝি দিল্লিতে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। ২০০২ সালে জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজে ভূগোল অনার্সের পড়া ছেড়ে জিএনএম ট্রেনিংয়ে যোগ দেন অবিস্মিতা। ২০০৫ সালে প্রশিক্ষণ শেষের পর ২০০৯ সালে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। টানা ১০ বছর সফল ভাবে নার্সিং করার পর ২০১৯ সালে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে। আশাকর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সকলকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের টিকাকরণের চেহারা বদলে দিয়েই মিলেছে দেশের সেরা নার্সের স্বীকৃতি। অবিস্মিতার স্বামী স্কুল শিক্ষক। দুই সন্তানও রয়েছে তাঁর। পরিবার সামলেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তিনি।

দেশের সেরা নার্সের সন্মান লাভের পর অবিস্মিতা ঘোষ বলেছেন, “আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। আমি ভাবতেই পারিনি অত বড় সম্মান আমি পাব। আমার এই সম্মানের জন্য আমার স্বাস্থ্য দফতর, আমার সহকর্মী এবং পরিবারের অবদান রয়েছে।” অবিস্মিতা আরও বলেছেন, “উচ্চ মাধ্যমিকের পর কলেজ ছেড়ে ট্রেনিংয়ে গিয়েছিলাম একটা নিশ্চিত সরকারি চাকরির ভাবনা থেকে। কাজে যোগ দেওয়ার পর বুঝতে শিখি নার্সিং শুধুমাত্র কোনও পেশা নয়। একজন মানুষের জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানের ফারাক টুকু গড়তে পারেন একজন দক্ষ নার্স। সেই ভাবনা থেকেই ১৪টা বছর পেরিয়ে গেল। এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর মনে হচ্ছে লড়াই বিফলে যায়নি।”


ধূপগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেছেন, “আমাদের শহরের মেয়ে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল অ্যাওয়ার্ড পাবে। আমরা দারুণ খুশি। আমরা দেখেছিলাম যে লকডাউনের সময় তাঁর নিরলস পরিষেবা দেওয়া। নিজে অন্তঃসত্ত্বা হয়েও করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁকে সম্বর্ধনা দেব।”
রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যেমন আগে হেল্থ স্কিমে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস সুবিধা পাওয়া যেত। এবার তা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা ক্যাশলেস পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

State Government Employees: এবার আরও কম বয়সে পদোন্নতি সরকারি কর্মচারীদের, বাড়ছে হেল্থ স্কিমে ক্যাশলেস সুবিধাওমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে কিছু সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও তাতে ডাক পাননি ডিএ আন্দোলনকারীরা। এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি হত চাকরি শুরুর ৮ বছর, ১৬ বছর ও ২৫ বছর পরে। তবে এবার সেই নিয়মে কিছুটা বদল আনা হচ্ছে। প্রথম পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৮ বছরের নিয়মই বহাল থাকছে। তবে পরবর্তী পদোন্নতিগুলির ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এবার থেকে চাকরি শুরুর ১৬ বছরের বদলে ১৫ বছরে এবং ২৫ বছরের বদলে ২৪ বছরে মিলবে পদোন্নতি।

এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যেমন আগে হেল্থ স্কিমে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস সুবিধা পাওয়া যেত। এবার তা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা ক্যাশলেস পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে পদোন্নতির কারণে যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে সেগুলিও দ্রুত পূরণ করার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসেও পদ বাড়ানোর ভাবনা রয়েছে রাজ্যের।

এদিকে এদিন নবান্নের বৈঠকে ডাক না পাওয়া সরকারি কর্মচারীদের কেউ কেউ আবার বলছেন, ‘নেই মামার থেকে কানা মামা ভাল।’ তাঁরা বলছেন, ‘চিকিৎসার সুযোগে পুরো ক্যাশলেসের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবার পদোন্নতির বিলম্বে MCAS এক বছর করে কমে গিয়ে ৮-১৫-২৪ বছর করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসের (কমন ক্যাডার সহ) পদ ৯২৪ থেকে বৃদ্ধি করে ১২৪০ অর্থাৎ ৩১৬-টি নতুন পদ সৃষ্টি যথেষ্টই উৎসাহব্যঞ্জক একথা বলতে একটুও দ্বিধাবোধ করছি না।’

কর্মসূচিতে কোন কোন ভিআইপি, মন্ত্রীরা আসছেন সেই তালিকা সাধারণত আগে থেকেই তৈরি থাকে। তারপরও কীভাবে অখিল গিরিকে চিনতে পারলেন না অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা ? উঠছে প্রশ্ন।

Akhil Giri: অভিষেককে স্বাগত জানাতে এসে জোর ধাক্কা খেয়ে রেগে আগুন অখিলঅভিষেককে স্বাগত জানাতে এসে নিরাপত্তারক্ষীদের ধাক্কা খেলেন অখিল, রুষ্ট মন্ত্রী


কাঁথি: নবজোয়ার কর্মসূচিতে বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banerjee)। এরইমধ্যে নবজোয়ার কর্মসূচিতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা গেল কাঁথিতে। কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে (Akhil Giri) ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠল অভিষেকের নিরাপত্তীরক্ষীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, কেন এই ধাক্কা? 

সূত্রের খবর, অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা মন্ত্রী অখিল গিরিকে চিনতে পারেননি। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় যখন ঢুকছিল তখন তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন অখিল গিরি। রীতিমতো ভিড়ও ছিল এলাকায়। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে দেখা যায় নিরাপত্তাপক্ষীদের। সূত্রের খবর, অখিলকে চিনতে না পেরেই ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে যান কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটিও চলে বলে খবর। প্রায় ২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলে ধস্তাধস্তি। 



জানা যাচ্ছে, সাঁইথিয়ায় প্রচুর চালকল রয়েছে। আর সেই সব চালকল মালিকদের মধ্যেই অনেকের সঙ্গেই অনুব্রতর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

Cattle Smuggling Case: এনামুলের সঙ্গে লেনদেন! গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ দুই চালকল ব্যবসায়ীকে CBI তলবপ্রিংশু ছাঁঝের ও আকুল দাস


সাঁইথিয়া: গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে এবার দুই চালকলের মালিককে তলব করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিজাম প্যালেসে অর্থাৎ কলকাতার সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই দুই ব্যবসায়ীকে। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে বীরভূমের একাধিক চালকলের নাম সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার চালকলেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এবার নাম জড়াল আরও দুজনের। প্রিংশু ছাঁঝের ও আকুল দাস নামে দুই ব্যবসায়ীকে ১ জুন, বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে পাচার সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।


সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে এই দুই ব্যবসায়ীর লেনদেনর হদিশ পেয়েছে সিবিআই। বিভিন্ন সময় তাঁদের সঙ্গে এনামুলের বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাচারের টাকা কোথা থেকে কার হাতে যেত, এসব তথ্য দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওয়া যাবে বলে অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। জানা যাচ্ছে, সাঁইথিয়ায় প্রচুর চালকল রয়েছে। আর সেই সব চালকল মালিকদের মধ্যেই অনেকের সঙ্গেই অনুব্রতর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

এই মামলায় এনামুল হককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে একে একে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, তাঁদের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার সেই মামলার তদন্তে আরও গভীরে পৌঁছতে চান গোয়েন্দারা।

বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই নতুন নীতি কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে।

Graduation Course: এবার ৪ বছরে স্নাতক হবেন পড়ুুয়ারা, অবশেষে শিলমোহর জাতীয় শিক্ষানীতিতেফাইল ছবি



কলকাতা : দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে কলেজের পাঠের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিলমোহর দিল রাজ্য। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ৪ বছরের পাঠ শেষ করে তবেই স্নাতক হবেন পড়ুয়ারা। জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্যের। সেই শিক্ষানীতি বিশ্লেষণ করার জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। অবশেষে সেই নীতিতে মিলল অনুমোদন। এবার থেকে তিন বছরের বদলে চার বছর ধরে চলবে স্নাতকের পাঠ। চার বছর পর সরাসরি গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।



যদিও, এই তিন তৃণমূল নেতা আচরণকে ভাল চোখে দেখেননি অভিষেক। পরে গাড়ির কাচ নামিয়ে তিনি বলেন, "প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না। এসব দলে চলবে না। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তোমাকে সাসপেন্ড করছি।"

Abhishek Banerjee: 'প্রকৃত তৃণমূল কর্মীরা এমন করে না', কনভয়ের সামনে হঠাৎ ৩ নেতা শুয়ে পড়ায় কড়়া পদক্ষেপ অভিষেকেরতিন তৃণমূল কর্মীর আচরণে ক্ষুব্ধ অভিষেক (নিজস্ব চিত্র)

ঘাটাল: রবিবার রাত তখন ন’টা। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim medinipur) ঘাটালের বীরসিংহ থেকে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচি সেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ফিরছিলেন বিদ্যাসাগর হাইস্কুল মাঠের তাঁবুতে। আচমকাই তখন অভিষেকের কনভয় আটকে শুয়ে পড়লেন তিন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। জোরে-জোরে তুললেন স্লোগান ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। এমনকী ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝিকে পদ থেকে সরানোর দাবি তোলেন তাঁরা। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর। যদিও, এই তিন তৃণমূল নেতা আচরণকে ভাল চোখে দেখেননি অভিষেক। পরে গাড়ির কাচ নামিয়ে তিনি বলেন, “প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না। এসব দলে চলবে না। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তোমাকে সাসপেন্ড করছি।”


সাসপেন্ড হওয়া তিন তৃণমূল নেতা হলেন ঘাটালের মূলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলি,বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ ও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষ। তাঁদের দাবি, ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝি পদে থাকলে দল ডুববে। তাই তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দায়িত্ব হোক বলে অভিষেকের কাছে আর্জি জানান ওই তিনজন। তবে প্রতিবাদের ফল যে এভাবে দিতে হবে তা হয়ত ভাবেননি ওই তৃণমূল নেতারা।

এ দিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝির কাছে পৌঁছলে ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে সাসপেন্ড করা হয়। এবং বাকি দু’জনকেও শোকজ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্র মারফত। ঘটনায় রীতিমতো মুখে কুলুপ তিন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা। তবে এদের মধ্যে যাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই মুলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে ফোন করা হলে তিনি বেশিকিছু বলতে না চাইলেও ফোনে জানান,”সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে শুনলাম। তবে আমার হাতে কোনও লেটার আসেনি। অঞ্চলের প্রধানের কাছে সাসপেন্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। সেই আমায় জানিয়েছে।” হঠাৎ কেন সাসপেন্ড করা হল তাঁকে সে প্রশ্নের উত্তরে বুথ সভাপতি জানান,”আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি তাই সাসপেন্ড করেছে।” একই সঙ্গে বলেন, “অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ার কথা মিথ্যা। খালি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। তিনি আমাদের দলের সুপ্রিমো। তাঁর উপরে কিছু বার্তা দেওয়ায় যাবেনা আর বলাও যাবে না। উনি যা ভাল বুঝেছেন করেছেন। আমি ৯৮ সাল থেকে দল করি সাসপেন্ড করেছে ঠিক আছে। কিন্তু দল ছাড়তে পারব না। ভোটটা তো দিতে পারব।”


যদি এ বিষয়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, “যাঁরা এই কাজকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল।”

এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিষ হুদাইত বলেন,”মুলগ্রামের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি সহ কয়েকজন নেতৃত্ব ঘাটালের জলসরায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে কিছু কথা বলার চেষ্টা করে যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান।দ লের ওইসব নেতৃত্ব দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ইচ্ছা করে মনগড়া কথা বানিয়ে বলার চেষ্টা করেছে। দলের যে স্তরে জানানোর দরকার সেখানে না জানিয়ে একেবারে জনসমক্ষে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই তাঁকে সঙ্গে-সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং বাকিদেরও শোকজ করা হবে। ৭ দিনের মধ্যে জবাব না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার সময় টিটাগড়ে অবস্থিত তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Barrackpur TMC: ব্যারাকপুরে তৃণমূলের মেগা বৈঠক, উচ্চ-নেতৃত্বের গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে কি দেওয়া হবে বার্তা?তৃণমূলের বৈঠক



ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুর সাব ডিভিশনে তৃণমূলের মেগা সাংগঠনিক বৈঠক। আগামী ২ জুন এই মেগা বৈঠক হবে। উপস্থিত থাকবেন অর্জুং সিং, সৌগত রায়। থাকবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিক। এছাড়াও থাকছেন শাসকদলের ১৪ জন বিধায়ক ও ১৩টি পুরসভার কাউন্সিলর-চেয়ারম্যান।


সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার সময় টিটাগড়ে অবস্থিত তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘নব জোয়ারের’ প্রস্তুতির জন্য এই সভা ডাকা হয়েছে। তবে নব জোয়ারের প্রস্তুতির মধ্যেও বিভিন্ন বিধায়ক, পৌরসভার চেয়ারম্যানদেরও সভায় থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, বিগত কয়েকদিনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খোলা, এই সংক্রান্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় গড় শালবনি এলাকায় অভিষেকের কনভয় আসার আগে থেকেই এলাকায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কুড়মি সমাজের মানুষেরা।

Kurmi Protest: অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ, আরও ১ জন কুড়মি আন্দোলনকারী গ্রেফতারকুড়মি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার (নিজস্ব চিত্র)


ঝাড়গ্রাম: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক কুড়মি আন্দোলনকারী। ধৃতের নাম জয় মাহাত। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ জন। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন জয় মাহাত। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে।


প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় গড় শালবনি এলাকায় অভিষেকের কনভয় আসার আগে থেকেই এলাকায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কুড়মি সমাজের মানুষেরা। ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরেও চলছিল অবরোধ। এরই মধ্যে অভিষেকের কনভয় আসতেই আরও বাড়ে ক্ষোভের আঁচ। হামলার অভিযোগ ওঠে কনভয়ে থাকা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে। ভেঙে যায় গাড়ির কাচ। শুধু তাঁর গাড়ি নয়,কনভয়ে থাকা আরও একাধিক গাড়ির উপর হামলা হয়েছে বলে খবর। লাথি মারার অভিযোগ ওঠে কনভয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীদের উপরেও।

এরপর একে একে গ্রেফতার করা হয় দশজনকে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ (Police)। ভারতীয় ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ আরও একাধিক ধারায় জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের হয়।

বুরান ঘাটি থেকে এক ভিডিয়ো বার্তাও ওই আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলছেন, 'আপার প্রাইমারির দীর্ঘ ৯ বছরের যন্ত্রণার অবিলম্বে সমাধান হোক। যাতে নির্ভুলভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলে, তার জন্য সরকার ও কমিশন যথাযথভাবে তথ্য দিয়ে ব্যবস্থা করুক।'

Upper Primary: ৯ বছরের জ্বালা-যন্ত্রণা পৌঁছল ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে, বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের দাবি এবার হিমালয়ের কোলেওবুরান ঘাটি থেকে সুর চড়ল আপার প্রাইমারি নিয়োগের

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে (West Bengal Teacher Recruitment) একের পর এক বেনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। মামলা ও জটের মধ্যে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক শিবির। ব্যর্থতার আঙুল উঠতে শুরু করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের (Education Department) দিকে। এরই মধ্যে এবার আরও জোরাল হচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের (Upper Primary Recruitment) দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা এবার পৌঁছে গেল হিমালয়ের কোলে। হিমাচল প্রদেশের বুরান ঘাটিতে। সমুদ্রতট থেকে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে। যাঁরা পাহাড়কে ভালবাসেন, যাঁরা ট্রেকিং পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে বুরান ঘাটি এক অতি পরিচিত ট্রেক রুট। এবার হিমালয়ের কোলে সেই বুরান ঘাটি থেকে আন্দোলনের সুর চড়াচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চের অন্যতম সহযোদ্ধা স্মিত বিশ্বাস।


তুষারাবৃত হিমালয়ের কোলে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে হাতে প্ল্যাকার্ড তুলে নিয়েছেন তিনি। তাতে লেখা, ‘আপার প্রাইমারি নিয়োগ চাই। মামলাকে ঢাল করে কমিশনের ৯ বছরের ছলচাতুরি বন্ধ হোক।’ উল্লেখ্য, নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। সেই ২০১৪ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। তারপর ২০১৫ সালে পরীক্ষা। ২০১৬ সালে নিয়োগের সেই পরীক্ষার ফলও বেরিয়ে যায়। এরপর দুই দফা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এতগুলি বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও তাঁদের চাকরি মেলেনি। এমন অবস্থায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে চাকরিপ্রার্থীদের। ক্রমশ চড়ছে আন্দোলনের সুর। আর এবার নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা হিমালয়ের কোলে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে পৌঁছে দিলেন আন্দোলনকারীরা।

বুরান ঘাটি থেকে এক ভিডিয়ো বার্তাও ওই আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলছেন, ‘আপার প্রাইমারির দীর্ঘ ৯ বছরের যন্ত্রণার অবিলম্বে সমাধান হোক। যাতে নির্ভুলভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলে, তার জন্য সরকার ও কমিশন যথাযথভাবে তথ্য দিয়ে ব্যবস্থা করুক। আর কত যন্ত্রণা আমরা সহ্য করব? কমিশন একের পর এক ভুল করবে… এটা তো দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। আমরা চাই, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।’

আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চ থেকেও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা যেমন চাকরিপ্রার্থীরা ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কলকাতার রাস্তায় বসে রয়েছি, ঠিক তেমনইভাবে আমাদেরই এক সহযোদ্ধা হিমাচলের ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কোর্ট অর্ডার থাকা সত্ত্বেও, কোর্ট অর্ডারকে গুরুত্ব না দিয়ে কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়াকে একের পর এক অজুহাতে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

অন্যদিকে এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কোহিনুর মজুমদার বলছেন, ‘মামলাকে ঢাল কে করেছে? মামলা তো পশ্চিমবঙ্গ সরকার করেনি। মামলা তো করেছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। আমরা বার বার সমাধানের কথা বলেছি। সমাধানের পথ দেখিয়েছি আমরা। সবার যাতে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করেছে। যারা মামলাখোর, মামলা ছাড়া যাদের কোনও অস্তিত্ব নেই… তারা মামলা করছে।’

কিন্তু এভাবে ভিন রাজ্যে কি যদি কেউ প্রতিবাদ করেন, তাহলে কি এ রাজ্যের ভাবমূর্তির উপর প্রভাব পড়বে না? প্রশ্ন করায় কোহিনুর বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক নেতার উস্কানিতে তাঁরা এই আন্দোলন করছেন। ওই রাজনীতিকরা চেষ্টা করছেন, বাংলার নাম খারাপ করার। কিন্তু এতে কোনও লাভ হচ্ছে না। উল্টে,পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় স্তরে ও আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কৃত হচ্ছে। এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কিছু করে, পশ্চিমবঙ্গের নাম কলুষিত করা যাবে না।’

প্রসঙ্গত, আপার প্রাইমারি অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা এর আগেও বার বার নিজেদের সমস্যার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে রাজপথে হামাগুড়ি দিয়ে প্রতিবাদের সেই দৃশ্য আজও আবছা হয়ে যায়নি মানুষের মন থেকে। বেকারত্বের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে হামাগুড়ি দিতে দিতে আন্দোলনকারীরা সেদিন বলেছিলেন, ৯ বছর ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তাঁদের ‘মেরুদণ্ড হারিয়ে গিয়েছে’, তাঁরা ‘মেরুদণ্ডহীন প্রাণী’ হয়ে গিয়েছেন।

ইনস্টাগ্রামে Science Feed নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। দেখা গেল, একটি ফাঁকা রাস্তায় বৃষ্টি হচ্ছে, সামান্য জলও জমেছে। একজন এসে কৌটো থেকে সাদা রঙের কিছু টুকরো ওই জলে ফেলে দিলেন। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আগুনের ফুলকি উঠতে লাগল। ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো।

Viral Video: জলের মধ্যে ফেলা হল কয়েক টুকরো সোডিয়াম, ফলাফল দেখে নেটিজ়েনদের মাথায় হাত!বৃষ্টির জলে কয়েক দানা সোডিয়াম...

Latest Viral Video: সোশ্যাল মিডিয়ায় হরেক কিসিমের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। টুইটার হোক, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম, প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মেই আপনি প্রতিদিন অগুনতি ভিডিয়ো দেখতে পান। এ সোশ্যাল মিডিয়া এক এমনই জায়গা, যেখানে এলে আপনি আপনার সাধারণ জ্ঞানের দক্ষতা আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন। বিনোদনমূলক নানাবিধ ভিডিয়োর সঙ্গেই এখানে আপনি শিক্ষামূলক কিছু ভিডিয়োও দেখতে পাবেন। সেরকমই একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হয়েছে। বৃষ্টির জলে (Rain Water) কয়েক টুকরো সোডিয়াম মেটাল (Sodium Metal) ফেলে দিলে যে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, দেখা গেল সেই ভিডিয়োতে।


ইনস্টাগ্রামে Science Feed নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। দেখা গেল, একটি ফাঁকা রাস্তায় বৃষ্টি হচ্ছে, সামান্য জলও জমেছে। একজন এসে কৌটো থেকে সাদা রঙের কিছু টুকরো ওই জলে ফেলে দিলেন। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আগুনের ফুলকি উঠতে লাগল। ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-- হলি থেকে বলি তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এ হেন প্রিয়াঙ্কার জীবনের একাধিক সত্য এবার 'জনতার দরবারে'। লাই ডিটেক্টরে সামনে রাখতেই ফাঁস হয়ে গেল জীবনের নানা অজানা কথা।

Priyanka Chopra: প্রকাশ্যে বাতকর্ম থেকে ঘুমিয়ে নাক ডাকা, 'লাই ডিটেক্টর'-এ ফাঁস প্রিয়াঙ্কার সব সত্যিফাঁস প্রিয়াঙ্কার সব সত্যি


প্রিয়াঙ্কা চোপড়া– হলি থেকে বলি তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এ হেন প্রিয়াঙ্কার জীবনের একাধিক সত্য এবার ‘জনতার দরবারে’। লাই ডিটেক্টরে সামনে রাখতেই ফাঁস হয়ে গেল জীবনের নানা অজানা কথা। এই যেমন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি নাক ডাকেন কিনা, বা ধরুন কোনওদিন প্রকাশ্যে বাতকর্ম করেছেন কিনা ইত্যাদি… এর মধ্যে কিছু প্রশ্নের উত্তর সঠিক উত্তর দিলেন তিনি। আবার কিছু প্রশ্নের মিথ্যে উত্তর দিয়ে ধরাও পড়ে গেলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কাকে প্রশ্ন করা হয়, “এমন কোনও সিনেমা আছে যেখানে অভিনয় করে তাঁর একদম ভাল লাগেনি।” তিনি উত্তর দেন, “হ্যাঁ, কিন্তু আমি বলতে পারব না কোন ছবি। ওই ছবির অভিজ্ঞতা বেশ ভয়ঙ্কর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাকে অপেক্ষা করতে হত।” তিনি আরও জানান, জনসমক্ষে বাতকর্মও করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “হ্যাঁ করেছি। নিঃশব্দে… কিন্তু ভয়ঙ্কর ছিল।”

দেরি করা নিয়েও যে মিথ্যে বলেন অভিনেতা, তাও ফাঁস হয়ে গিয়েছে এই প্রশ্ন-উত্তরের খেলায়। নাক-ডাকা নিয়ে মিথ্যে বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ধরা পড়ে গিয়েছে সেই মিথ্যেও। নায়িকার কথায়, “আমার স্বামী বলে যে আমি নাক ডাকি, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না।” নায়িকা এই কথা বলামাত্রই লাল আলো জ্বলে ওঠে। অর্থাৎ তিনি যে মিথ্যে বলেছেন, তা ধরা পড়ে যায়।

চলতি কয়েক মাসে ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর-সহ উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন থানা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

West Bengal Police: বদলে গেল রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি, কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের জের?রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি বদলে জোর চর্চা


রায়গঞ্জ: কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) কাণ্ডের পর চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। এদিকে এরইমধ্যে এবার মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি পদে রদবদল করল রাজ্য সরকার। রায়গঞ্জ রেঞ্জ গঠিত হওয়ার পর থেকে ডিআইজি পদে ছিলেন অনুপ জয়সওয়াল। এদিন তাঁর বদলে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করে নিয়ে আসা হল রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি হিসাবে। রাজ্য পুলিশের (Police) তরফে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, আগে মালদা রেঞ্জে দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলার সব থানা ছিল। পরবর্তীতে উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর দুই জেলা নিয়ে দিনাজপুর রেঞ্জ তৈরি হয়। তারপর শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুর জেলা নিয়ে পুলিশের রায়গঞ্জ রেঞ্জ গঠিত হয়। পরবর্তীতে ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ দুই পুলিশ জেলা তৈরি হয়। যা বর্তমানে রায়গঞ্জ রেঞ্জের অধীনে।

পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিল গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। শনিবারই বরাত পাওয়া ঠিকাদার ওই ট্যাঙ্কে প্রথম জল ভর্তি করার কথা বলেন গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারের কথামতো সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।

Bankura: 'হাত ধুতে এসেছিলাম, এক অদ্ভুত শব্দ শুনি', বাঁকুড়ায় হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্কের নাম শুনলেই ছ্যাঁৎ করে উঠছে বুক!বাঁকুড়ায় ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক

বাঁকুড়া: তৈরির ১০ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ল গ্রামে জল সরবরাহের ওভারহেড টাঙ্কি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্থানীয় বাসিন্দা। ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামনিপুর গ্রামের এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করাতেই এই বিপত্তি। আর সেক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকেই আঙুল তুলেছেন। ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, গ্রামের জলসঙ্কট মেটাতে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামনিপুর গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে ওভারহেড ট্যাঙ্ক ভর্তি করে তা দিয়ে জলসরবরাহের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।


বরাত পেয়ে গ্রামের মাঝে দুর্গামন্দির সংলগ্ন জায়গায় গভীর নলকূপ খনন করে পাশেই এক হাজার লিটারের ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানো হয়। প্রায় সাত ফুট উঁচু পাকা নির্মাণের ওপর এক হাজার লিটারের সিন্থেটিক ট্যাঙ্ক বসানো হয়। ১০ দিন আগেই কাজ শেষ হয়। দীর্ঘদিনের জলকষ্ট থেকে এবার মুক্তি মিলবে বলে আশা করেন গ্রামবাসীরা।

পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিল গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। শনিবারই বরাত পাওয়া ঠিকাদার ওই ট্যাঙ্কে প্রথম জল ভর্তি করার কথা বলেন গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারের কথামতো সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ট্যাঙ্ক সমেত পাকা সাত ফুটের নির্মাণ ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় ট্যাঙ্কের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন চুড়ামনিপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চট্টোপাধ্যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।



আইপিএল ফাইনাল শেষ হওয়ার দশদিনের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। তবে বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডে- তে ফাইনাল খেলা হবে। তাই সময় কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দিন।

CSK vs GT, IPL 2023 : দেশ বড় নাকি আইপিএল! আদৌ ফাইনাল খেলবেন সামি, গিল, জাডেজারা?


আমেদাবাদ: সন্ধ্যা নামতেই প্রবল বেগে বারিধারা। যে মাঠে শুভমন গিল, মহম্মদ সামি, রবীন্দ্র জাডেজাদের দাপট দেখানোর কথা, সেখানেই রাজত্ব করল বরুণদেব। ঝড়, শিলা বৃষ্টির তোড়ে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের চারপাশ নদীতে পরিণত হয়। তবে আইপিএলের ফাইনালে (IPL 2023) রিজার্ভ ডে থাকায় ম্যাচ স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ভেজা মাঠে কম ওভারের ম্যাচ খেলে দীর্ঘ দু’মাসের পরিশ্রমের ফলাফল পণ্ড হতে দিতে চায়নি চেন্নাই সুপার কিংস বা গুজরাট টাইটান্সের কেউই (CSK vs GT)। নিয়ম অনুযায়ী আজ, সোমবার মোদী স্টেডিয়ামে স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচ শুরু হবে ঠিক একই সময়ে। অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭টায় টস, সাড়ে সাতটায় শুরু ম্য়াচ। একে বৃষ্টির বাধা, তার উপর খবর ছড়িয়ে পড়ে যে সোমবার ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ায় ফাইনাল খেলতে পারবেন না শুভমন গিল, মহম্মদ সামি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং অজিঙ্ক রাহানে। কারণ উপরোক্ত চারজনের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে যাওয়ার কথা আজ রাতে। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে।


আইপিএল ফাইনাল শেষ হওয়ার দশদিনের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের। বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডে -তে ম্যাচ হবে। তাই সময় কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দিন। আইসিসি টুর্নামেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের আগে প্রস্তুতির জন্য এই গুটি কয়েক দিন কী আদৌ যথেষ্ট? প্রশ্ন উঠছে। যাই হোক, আইপিএলের কারণেই বোর্ড ঠিক করেছিল ভারতীয় দলের সদস্যদের তিন ভাগে লন্ডনে পাঠানো হবে। বিরাট কোহলি, অক্ষর প্যাটেল, শার্দূল ঠাকুর, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা লন্ডন পৌঁছে গিয়েছেন। রবিবার রাতে রওনা দেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও স্ট্যান্ড বাই প্লেয়ার হিসেবে সদ্য ডাক পাওয়া যশস্বী জয়সওয়াল, জয়দেব উনাদকটরা। আইপিএল ফাইনাল শেষ হতেই তড়িঘড়ি লন্ডন রওনা হওয়ার কথা বাকি থাকা চার ক্রিকেটার শুভমন গিল, মহম্মদ সামি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং অজিঙ্ক রাহানের। রবিবার, আইপিএল ফাইনাল ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কি ম্যাচ খেলবেন না তাঁরা?

রবিবার রাতেই জয় শাহের টুইটার অ্যাকাউন্টে এমনই বার্তা ফুটে ওঠে। প্রবল বেগে ভাইরাল হতে থাকে টুইট। যেখানে লেখা ছিল, “আইপিএলের ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রয়েছে। কিন্তু ডব্লিউটিসি ফাইনালে যাঁরা অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা সোমবার সকালেই লন্ডন রওনা দেবেন। তাই শুভমন গিল, মহম্মদ সামি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং অজিঙ্ক রাহানেকে ফাইনালে পাওয়া যাবে না।” যা দেখে থমকে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। পরে দেখা যায়, সেটি জয় শাহের প্যারোডি অ্যাকাউন্ট। সত্যিটা জেনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন দর্শকরা।


সোমবার বৃষ্টি ফের বাধা না হলে ভয়ঙ্কর ফর্মে থাকা শুভমন গিল ইতিহাস গড়তে পারেন। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৯০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেন তিনি। ২০১৬ সালে ৯৭৩ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি। এর পাশাপাশি ২৮টি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপের তালিকায় শীর্ষে মহম্মদ সামিষ ফাইনালে সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে টুপি দখলে নিয়ে নেবেন তিনি। তবে সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। আপাতত আইপিএলের ভাগ্য বরণদেবতার হাতে।

আমেদাবাদে রবিবার সন্ধে থেকে তাণ্ডব দেখিয়েছে বৃষ্টি। জলে থই থই অবস্থা হয় স্টেডিয়ামের। যার ফলে, দুরন্ত বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় রবিবারের আইপিএলের ফাইনাল (IPL 2023 Final)। তাই রিজার্ভ ডেতে (IPL 2023 Final Reserve Day) গড়িয়েছে মেগা ফাইনাল। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফুটো থাকা ছাদ থেকে অঝোরে বৃষ্টির জল পড়ছে।

IPL 2023 Final: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ছাদ ফুটো! তীব্র বিতর্কে জেরবার বোর্ডবিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ছাদ ফুটো! তীব্র বিতর্কে জেরবার বোর্ড
Follow us on

google-news-icon
আমেদাবাদ : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম (Narendra Modi Stadium)। আর এই স্টেডিয়ামের ছাদেই কিনা ফুটো! রবিবার আমেদাবাদে সন্ধে থেকে তাণ্ডব দেখিয়েছে বৃষ্টি। জলে থই থই অবস্থা হয় স্টেডিয়ামের। যার ফলে, দুরন্ত বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় রবিবারের আইপিএলের ফাইনাল (IPL 2023 Final)। তাই রিজার্ভ ডেতে (IPL 2023 Final Reserve Day) গড়িয়েছে মেগা ফাইনাল। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফুটো থাকা ছাদ থেকে অঝোরে বৃষ্টির জল পড়ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দেখভালের ব্যবস্থাও বিশেষ থাকার কথা। আর সেখানে কিনা এমন পরিস্থিতি! নেট দুনিয়ায় ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের মুখে বিসিসিআই (BCCI)। বিস্তারিত জেনে  এর এই প্রতিবেদনে।


জলে থই থই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্টেডিয়ামটি ২০২১ সালে সংস্কারের পর খোলা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে জল ভেতরে পড়তে শুরু করে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভক্তরা তাঁদের করা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ফাইনাল ম্যাচ দেখতে প্রচুর দর্শক ভিড় করেছিল মোতেরায়। হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অঝোর ধারায় ঝরা জল গ্যালারিতে পড়তে থাকে। ফলে দর্শকরা ভিজে যান। তাই তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বোর্ডের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আসলে, বিসিসিআইয়ের কাছে তাঁদের দাবি এটাই যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অর্থনৈতিক দিক থেকে এতটা সমৃদ্ধ হওয়ার পরও কেন গ্যালারির এমন বেহাল দশা?



প্রশ্ন উঠেছে বিসিসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে
বিসিসিআইয়ের স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিয়ে এই প্রথম প্রশ্ন উঠছে না। গত বছর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে জল পড়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সে বার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টি-২০ ম্যাচ ছিল। এ ছাড়া একাধিক স্টেডিয়ামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মহিলা ভক্তরা বাথরুম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নও তুলেছেন।

ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত হয়েছিল আইপিএলের লিগ পর্বের ম্যাচগুলি। কোনও প্লে অফের ম্যাচ ছিল না। তার মধ্যেও ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে নির্বিঘ্নে।

Eden Gardens : পাত্তা পেল না মোতেরা, আইপিএলের সেরা ভেনু ইডেন গার্ডেন্স


কলকাতা: ঝাঁ চকচকে, অত্যাধুনিক, লক্ষাধিক দর্শকাসন বিশিষ্ট নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে পিছনে ফেলে যুগ্মভাবে এ বারের আইপিএলের সেরা ভেনুর পুরস্কার পেল ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens)। প্রায় দু’মাস ধরে ১৬তম আইপিএলের ৭০টি লিগ পর্বের ম্যাচ খেলা হয়েছে মোট ১২টি স্টেডিয়ামে। এরপর প্লে অফের ম্যাচ হয়েছে। তবে ইডেন গার্ডেন্সে আয়োজিত হয়েছিল আইপিএলের লিগ পর্বের ম্যাচগুলি (IPL 2023)। কোনও প্লে অফের ম্যাচ ছিল না। তার মধ্যেও ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে নির্বিঘ্নে। কোনও সমস্যা বা বাধার মুখে পড়তে হয়নি। দর্শকাসন ভরেছে কানায় কানায়। সমর্থনের অভাববোধ করেনি কোনও দলই। সব মিলিয়ে এ বারের আইপিএলের সেরা ভেনুর তকমা পেল ক্রিকেটের নন্দন কানন। তবে যুগ্মভাবে। সেরা ভেনুর পুরস্কার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে ইডেন গার্ডেন্স। বিস্তারিত রইলর এই প্রতিবেদনে।


সদ্য সমাপ্ত আইপিএলের ৭টি আয়োজিত হয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে। তার মধ্যে ৪টি ম্যাচ জেতে প্রথমে ব্যাটিং করা টিম। রান তাড়া করে জেতে তিনটি টিম। প্রায় সবকটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। মোট ৭টি ম্যাচে দুটি দলের ইনিংস মিলিয়ে ১৬১২ ডেলিভারিতে ২৫৫২ রান উঠেছে। ম্যাচ প্রতি রানের গড় ৩৬৪.৫৭ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৩। সর্বাধিক স্কোর ২৩৫ এবং সর্বনিম্ন স্কোর ওঠে ১২৩। এই ৭টি ম্যাচে ইডেনে ৪১৪ বার সীমানার বাইরে গিয়ে পড়েছে বল। ১৫৬টি ছয় এবং ২৫৮টি চার। বোলাররা সব মিলিয়ে ৭০টি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএল চলাকালীন ইডেনের পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা। কারণ ইডেন গার্ডেন্সের পিচ এখন আর আগের মতো মন্থর নয়। ক্রিকেটের নন্দন কাননে এখন গতিময় উইকেট। আইপিএল হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, পিচ থেকে পেসার ও স্পিনাররা উভয়েই সুবিধে পান। এমন স্পোর্টিং পিচ খুশি করতে পারেনি কেকেআর ক্যাপ্টেনকে। তবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ ইডেনকে নিয়ে খুশি।


একদিকে যখন ইডেন গার্ডেন্স সেরা মাঠের তকমা পাচ্ছে তখন অন্যদিকে সমালোচনায় জেরবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। প্রবল বৃষ্টিতে ছাদ ফুটো হয়ে জল ঝরেছে। বৃষ্টির জলে মাঠ থইথই। একশো শতাংশ মাঠ কভার দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টির পর মাঠ শুকনো করার আধুনিক ব্যবস্থাপনা চোখে পড়েনি।

অনাথ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিহারের এই স্কুলের পাশাপাশি সোনু দেশের আরও ১০ হাজার ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।

Sonu Sood: বিহারের ১১০ অনাথ শিশুর অভিভাবক সোনু সুদ, এবার স্কুল গড়ার সংকল্প অভিনেতারবলিউড অভিনেতা সোনু সুদ

করোনার (Covid 19) থাবায় যখন গোটা বিশ্ব জর্জরিত, তখন ভগবানের মতো গরীব মানুষের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। ভগবানই বটে! লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী মানুষকে ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব নিয়ে রাতারাতি গরীবের ভগবান হয়ে উঠেছিলেন সোনু। শুধু তাই-ই নয়, বাড়িয়েছিলেন আর্থিক সাহায্য়ের হাতও। পাশাপাশি দুস্থ শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছিলেন। এবার বিহারে (Bihar) স্কুল গড়ার কাজে নেমেছেন সোনু। ১১০ জন অনাথ শিশুর মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার সংকল্প করেছেন তিনি।


বলিউডের পরিচিত মুখ সোনু। শুধু বলিউডেই নয়, কাজ করেছেন দক্ষিণী ছবিতেও। তবে বড় পর্দায় কাজের থেকেও তাঁর বেশি পরিচিতি সমাজকল্যানমূলক কাজের সৌজন্যেই। অতিমারীর সময় মুশকিল আসানের দূত হয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। নিজের সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের। দুস্থ শিশুদের পড়াশোনার দায়ভারও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সোনু। এবার তাঁদের জন্য আস্ত স্কুল গড়ার কাজে হাত লাগালেন তিনি। সোনু এখন বিহারের ভবিষ্যত গড়ার কারিগর। বিগত কয়েক বছরে অভিনেতা শিশুদের পড়াশোনার জন্য যা করেছেন, সেই অবদানের কথা মাথায় রেখেই বিহারের কাটিহারে সোনুর নামে তৈরি হয়েছে একটি স্কুল। বীরেন্দ্র কুমার মাহাতো নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে এই স্কুল। মূলত অনাথ শিশুদের জন্য়ই তিনি এই স্কুলটি তৈরি করেছেন। চাকরি ছেড়ে এই অনাথ শিশুদের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন বীরেন্দ্র।



 দুরন্ত ছন্দে ছিলেন গুজরাট টাইটান্সের পেসার মোহিত শর্মা। কিন্তু শেষ ওভারের মাঝে ড্রিঙ্কস ও নেহরার বার্তা নিয়ে যান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তারপরই নিজেকে হারিয়ে ফেললেন মোহিত।

Mohit Sharma : ছন্দে ছিলেন মোহিত, শেষ ওভারে ড্রিঙ্কস ও নেহরার বার্তাই হল কাল!
Image Credit Source: Twitter

কলকাতা: ক্রিজে চেন্নাই সুপার কিংসের দুই বিধ্বংসী ব্য়াটার শিবম দুবে ও রবীন্দ্র জাডেজা। তা সত্ত্বেও শেষ ওভারের প্রথম চার বলে গুজরাট টাইটান্স পেসার মোহিত শর্মা (Mohit Sharma) দিয়েছিলেন মাত্র ৩ রান। তার মধ্যে তিনটি দুর্দান্ত ইয়র্কার। চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে প্রবল চাপ। এদিকে মোহিতের ছন্দ ও ভরপুর আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে গুজরাট টাইটান্স। অথচ ওভারের মাঝেই দলের পেসারের ছন্দ ভেঙে দিলেন খোদ ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং কোচ আশিস নেহরা। প্রথম চার বলের পর মোহিতের জন্য ড্রিঙ্কস ও বার্তা পাঠান নেহরা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মোহিতের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। তারপর যে শেষ দুটি বল করেন মোহিত, দুটিতেই লেন্থ মিস। ওই দুটি বল ২০২৩ আইপিএলের (IPL 2023) ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। এতেই গুজরাট টাইটান্স ম্যানেজমেন্টের উপর রেগে খাপ্পা ক্রিকেট সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের প্রশ্ন, কী এমন হল যে ওভারের মধ্যে ড্রিঙ্কস আনা হল? সঞ্জয় মঞ্জরেকর, টম মুডিদের অভিযোগ, এসব করে মোহিতের ছন্দ পুরোপুরি নষ্ট দেওয়া হয়। অনেকে টাইটান্সদের হারের পিছনে গুজরাটের ম্যানেজমেন্টকেই দায়ী করেছেন। বিস্তারিত র এই প্রতিবেদনে।


এ বারের আইপিএলের কামব্যক কিং বলে যদি কাউকে ধরা হয় তিনি হলেন মোহিত শর্মা। গতবছরও নেট বোলার ছিলেন। কোনও দলই তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। অবশেষ গুজরাট টাইটান্স টিমে সুযোগ। গতবছরও নেট বোলার হিসেবে কাজ করেছেন। এ বার রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কা খাওয়ার পর যশ দয়ালের পরিবর্তে একাদশে ঢোকার সুযোগ পান মোহিত। সেখান থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন ২৭টি উইকেট নিয়ে। পার্পল ক্যাপধারী মহম্মদ সামির থেকে এক উইকেট পিছনে। এ হেন মোহিত আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সোমবার রাতের শেষ ওভারে ছন্দে ছিলেন। আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠছিল শরীরি ভাষায়। ওভারের প্রথম তিনটি বলে ইয়র্কার দেন। এরপর চতুর্থ বলে মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হন শিবম দুবে। ঠিক তারপরই দেখা যায় গুজরাটের একাদশের বাইরে থাকা এক প্লেয়ার ড্রিঙ্কস নিয়ে মাঠে ঢুকছেন। দুজনে কিছুক্ষণ কথা হয়। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও কথা বলেন মোহিতের সঙ্গে। শেষ দু বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১০ রানের। মোহিতের ডেলিভারি সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলে ম্যাচ জিতিয়ে দেন রবীন্দ্র জাডেজা।



ওভারের মাঝপথে মোহিতকে কী এমন বলতে চেয়েছিলেন কোচ আশিস নেহরা এবং ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া? জানতে চেয়েছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর এবং টম মুডি। ইএসপিএল ক্রিকইনফোর অনুষ্ঠানে গুজরাট শিবিরের ট্যাকটিক্স নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঞ্জরেকর বলেন, “মোহিত শর্মা ইয়র্কার-বোলার বলে পরিচিত নয়। কিন্তু এদিন তাঁকে দুর্দান্ত ইয়র্কার দিতে দেখেছি। ঠিক তখনই ড্রিঙ্কস নিয়ে আসা হল। ওর আশেপাশে অনেকেই ছিল। ও যখন ফের বোলিং মার্কে যাচ্ছে তখনও শান্ত ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর মনে হচ্ছিল। তাহলে শুধুশুধু ছন্দ নষ্ট করে কী লাভ হল?”

এ মরসুমে চেন্নাই সুপার কিংসে কেরিয়ারের রূপ বদলে গিয়েছে তুষারের। বেগুনি টুপির দৌড়েও ছিলেন তুষার। কিন্তু ফাইনালের বোলিংয়ে লজ্জার নজির তৈরি হল।

Tushar Deshpande : চ্যাম্পিয়ন হয়েও লজ্জার নজির গড়লেন CSK বোলার
Image Credit Source: IPL
Follow us on

google-news-icon
আমেদাবাদ : চ্যাম্পিয়ন। এক বার নয়, পাঁচ বার। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হার দিয়ে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে পরিংসংখ্যানও ভালো ছিল না। গত আইপিএলে অভিষেক হয় গুজরাট টাইটান্সের। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। গত মরসুমে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাট টাইটান্স। তিন বারই হার চেন্নাইয়ের। এমনকি এ বারও তাদের বিরুদ্ধে হার দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু হয়। শেষ দু ম্যাচে অবশ্য পরিসংখ্যান বদলে দিয়েছে সিএসকে। ফাইনালে সেই গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েই পঞ্চম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু ট্রফির উচ্ছ্বাসের মাঝে লজ্জার নজিরও গড়লেন চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার। বিস্তারিত জেনে নিনএর এই প্রতিবেদনে।


আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। বোলিংয়ে মোহিত শর্মা। এ মরসুমে ১২ রান ডিফেন্ড করেছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। ফলে তাঁর ওপর ভরসা রাখেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ওভারের প্রথম বলটিই ডট। পরবর্তী তিন বলে তিনটি সিঙ্গল। শেষ দু-বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ রান। মোহিত ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নেবেন এমনটাই যেন ভাবছিল টাইটান্স শিবির। যদিও চিত্র পাল্টে দেন স্যার রবীন্দ্র জাডেজা। পঞ্চম বলে ছয় এবং শেষ বলে বাউন্ডারি। চেন্নাই শিবির উৎসবের মেজাজে। কিন্তু বোলিংয়ের দিক থেকে খুবই কঠিন পরিস্থিতি ছিল চেন্নাইয়ের। যার ফলে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করেও ২১৪-র বিশাল স্কোর গড়েছিল টাইটান্স।


ফাইনালে ৪ ওভারের স্পেলে ৫৬ রান দেন সিএসকের পেসার তুষার দেশপান্ডে। এ মরসুমে চেন্নাই সুপার কিংসে কেরিয়ারের রূপ বদলে গিয়েছে তুষারের। বেগুনি টুপির দৌড়েও ছিলেন তুষার। কিন্তু ফাইনালের বোলিংয়ে লজ্জার নজির তৈরি হল। আইপিএলের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার নিরিখে এত দিন শীর্ষে ছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ২০২২ সালের আইপিএলে ৫৫১ রান দিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। ইকোনমি ৮.২৮। এ বারের আইপিএলে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন তুষার। ৯.৯২ ইকোনমিতে তিনি দিয়েছেন ৫৬৪ রান। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কাগিসো রাবাডা। ২০২০ আইপিএলে দিয়েছিলেন ৫৪৮ রান।

 ১ তারিখের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় চল্লিশের উপর তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে। ২ তারিখ থেকে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সতর্কতাবার্তা রয়েছে।

Weather Update:আন্দামানে বর্ষা, বাংলায় তাপপ্রবাহ, আগামী কয়েকদিন প্রবল দুর্ভোগের পূর্বাভাসআলিপুর আবহাওয়া দফতর
Follow us on

google-news-icon
কলকাতা: অবশেষে আন্দামানে ঢুকল বর্ষা। তবে বাংলার জন্য দুঃসংবাদ। আবারও বাংলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আবারও দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে আগামী চার দিনে। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ১ জুনের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় চল্লিশের উপর তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে। ২ তারিখ থেকে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সতর্কতাবার্তা রয়েছে। ৩ তারিখ এই চার জেলা-সহ নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।


বাদবাকি জেলাতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় আগামী ২ দিনে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির আশপাশে ঘুরবে। আগামী ২ দিনে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।

সামান্য বৃষ্টি হলেও তা হতে পারে শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আগামী দু’দিনে কলকাতার তাপমাত্রা আরও বাড়বে। অস্বস্তিকর পরিবেশ বজায় থাকবে।


উত্তরবঙ্গে ওপরের পাঁচটি জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই দিনে উত্তরবঙ্গে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে। তিন তারিখ উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী পাঁচ দিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে বুধবার, ৩১ মে স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হয়ে পশ্চিমের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

অবশেষে আন্দামানে এল বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের ৮ দিন পরে আন্দামানে বর্ষা। ১৯ মে নিকোবরে বর্ষা আসে। তারপর দুর্বল হয়ে পড়ে মৌসুমী বায়ু। অবশেষে মৌসুমী বায়ু শক্তিশালী হয়েছে। তবে এবার কেরলেও দেরিতে ঢুকবে বর্ষা। ৪ জুন বর্ষা ঢুকতে পারে দেশের মূল ভূখণ্ডে।

ফাইনালে নিজের শেষ ২০ বলে সাই সুদর্শনের স্ট্রাইকরেট। শেষ ২০ বলে ৬০ রান করেন সাই। আধডজন বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছয় মেরেছেন। প্রথম ২৭ বলে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান। এর মধ্যে ছিল দুটি বাউন্ডারি ও ১টি ছয়।

IPL STATS : চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, এ বারের আইপিএলে আর কী কী নজির হল!
Image Credit Source: IPL



আবেগ, উচ্ছ্বাস, দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে পঞ্চম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে এ মরসুমে বাড়তি উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। কার্যত সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, ট্রফি জিতলে অবসর ঘোষণা করবেন মাহি। যদিও পোস্ট ম্যাচে বাস্তব স্বীকার করেও জানিয়েছেন, পরের মরসুমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ফাইনালটা অবশ্য ফিনিশার ধোনির কাছে হতাশার কেটেছে। মঞ্চ প্রস্তত ছিল। তিনি নামলেন বিশাল গর্জনে। কিন্তু সেটা যে প্রথম বলেই থেমে যাবে এমন প্রত্যাশা কেউ করেননি। ফাইনালে গোল্ডেন ডাক ধোনি। যদি এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ হয়ে থাকে, এই বিষয়টা হয়তো কিছুটা হলেও আক্ষেপ রাখবে। তবে সোমবার মাঝরাতে ধোনি হয়ে উঠলেন রবীন্দ্র জাডেজা। শেষ দু-বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। স্যার জাডেজা ওভার বাউন্ডারি এবং বাউন্ডারিতে ম্যাচ ফিনিশ করেই মাঠ ছাড়েন। এই ম্যাচের পর কী কী নজির তৈরি হল? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।


৫- চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএল ট্রফি সংখ্যা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ছুঁয়ে ফেলল চেন্নাই সুপার কিংস। দু-দলের আইপিএল ট্রফি সংখ্যাই এখন এক।

৫- অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি আইপিএল ট্রফি জয়ের নজির ছিল রোহিত শর্মার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পাঁচটি ট্রফিই জিতেছে রোহিতের নেতৃত্বে। এ বার তাঁকে ছুঁয়ে ফেললেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসও ধোনির নেতৃত্বেই পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন।


৪-পঞ্চম ট্রফি জিততে শেষ বলে এই রান প্রয়োজন ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে দু-বার এমন পরিস্থিতি এসেছিল, যেখানে চার কিংবা চার বেশি রান প্রয়োজন ছিল এবং রান তাড়ায় জয় এসেছে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শেষ বলে পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। দীনেশ কার্তিক ছয় মেরে চ্যাম্পিয়ন করেন ভারতকে। ২০২১ সালের সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির ফাইনালে শেষ বলে ছয় মেরে তামিলনাডুকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শাহরুখ খান।

৬-প্রথম সুযোগেই ফাইনাল। চেন্নাই সুপার কিংস এমনটাই করেছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল এবং চ্যাম্পিয়নও হল। আইপিএলে টানা ছ’বার প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে যাওয়া টিমই চ্যাম্পিয়ন হল। ২০১১ সাল থেকে প্লে-অফ ফরম্যাট চালুর পর আইপিএলে ১৩ মরসুমের মধ্যে ১০ বারই প্রথম সুযোগে ফাইনালে ওঠা দল চ্যাম্পিয়ন হল।

২৬- রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ে ২৬ বার অপরাজিত থাকলেন স্যার রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর সামনে শুধুই মেহন্দ্র সিং ধোনি। যিনি রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে ২৭ বার অপরাজিত থেকেছেন।

৩- এ বারের আইপিএলে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন গুজরাট টাইটান্সের পেসার মহম্মদ সামি। তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানই গুজরাট টাইটান্স বোলারদের দখলে। সামি (২৮), রশিদ খান (২৭) এবং মোহিত শর্মা (২৭)। আইপিএলের ইতিহাসে এ বারই প্রথম পার্পল ক্যাপের তালিকায় শীর্ষ তিনটি স্থান একই দলের বোলারের।

২৩২.৩৯- এ বারের আইপিএলে পেসারদের বিরুদ্ধে রাহানের স্ট্রাইকরেট! এক মরসুমে পেসারদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইকরেটের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রাহানে (অন্তত ১০০ বল খেলা ব্যাটারদের মধ্যে)। পেসারদের বিরুদ্ধে এ মরসুমে ৭১ বলে ১৬৫ রান করেছেন রাহানে। মাত্র দু-বার আউট হয়েছেন। টিম ডেভিড গত মরসুমে করেছিলেন ১৫৪ রান, স্ট্রাইকরেট ২৫২.৪৫। এর আগে ২০১৪ সালের আইপিএলে জেমস ফকনার ২৪২.৮৫ স্ট্রাইকরেটে ১৩৬ রান করেছিলেন।

২১৪-৪- ফাইনালে সিএসকের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্স এই স্কোর গড়ে। শুধুমাত্র আইপিএলই নয়, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালেই এটি সর্বাধিক স্কোর। প্রথম বার এত বড় স্কোর গড়েও ফাইনালে হার। এর আগে ২০১৬ আইপিএল ফাইনালে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে ২০০-৭ স্কোর গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

৯৬-ফাইনালে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় গুজরাট টাইটান্সের তরুণ ব্যাটার সাই সুদর্শনের। আইপিএল ফাইনালে এটি তৃতীয় সর্বাধিক স্কোর। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অপরাজিত ১১৭ এবং পঞ্জাব কিংসের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা আইপিএল ফাইনালে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

৩০০- ফাইনালে নিজের শেষ ২০ বলে সাই সুদর্শনের স্ট্রাইকরেট। শেষ ২০ বলে ৬০ রান করেন সাই। আধডজন বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছয় মেরেছেন। প্রথম ২৭ বলে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান। এর মধ্যে ছিল দুটি বাউন্ডারি ও ১টি ছয়।

২১ বছর, ২২৬ দিন- আইপিএল ফাইনালে দ্বিতীয় কণিষ্ঠতম ব্যাটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরির নজির সাই সুদর্শনের।

৫৬- ফাইনালে চার ওভারে এই রান দেন সিএসকে পেসার তুষার দেশপান্ডে। আইপিএল ফাইনালে যুগ্মভাবে সর্বাধিক। ২০১৬ সালের আইপিএল ফাইনালে শেন ওয়াটসন চার ওভারে দিয়েছিলেন ৬১ রান। অন্য দিকে, ২০২১ সালের আইপিএলে সিএসকের বিরুদ্ধে ৫৬ রান দিয়েছিলেন লকি ফার্গুসন।

৮৯০- এ বারের আইপিএলে শুভমন গিলের মোট রান। আইপিএলের এক মরসুমে এটিই দ্বিতীয় সর্বাধিক। ২০১৬ সালের আইপিএলে বিরাট কোহলি ৯৭৩ রান করেছিলেন।

৫-এ মরসুমে পাঁচ বার ২০০ প্লাস স্কোর গুজরাট টাইটান্সের। সবকটিই ঘরের মাঠ আমেদাবাদে।

সংসদ অভিযানের পরই দিল্লি পুলিশের তরফে নির্দেশিকা আসে, যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়া যাবে না। অন্যত্র জায়গা বাছতে হবে কুস্তিগীরদের। যন্তর মন্তরে কুস্তিগীররা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয় রাজধানীর পুলিশের তরফে

Wrestlers protest: ‘আজই গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেব অলিম্পিক মেডেল’, যন্তর মন্তর থেকে সরানোর নির্দেশে হুঁশিয়ারি কুস্তিগীরদেরঅলিম্পিক মেডেল জেতার মুহূর্ত

নয়া দিল্লি: স্বনামধন্য বক্সার মহম্মদ আলি অলিম্পিকে জেতা সোনার মেডেল ওহিও নদীতে ছুড়ে ফেলেছিলেন। কারণ, রেস্তোরাঁয় বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ায় অত্যন্ত এটা ছিল তাঁর প্রতিবাদ। এবার সেই পথেই হাঁটলেন কুস্তিগীরা সাক্ষীরাও। ধর্নারত সাক্ষীদের যন্তর মন্তর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সোমবার। দিল্লি পুলিশের এই নির্দেশিকা আসার পর অলিম্পিক মেডেল জয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা জানিয়েছেন, যন্তর মন্তর থেকে সরিয়ে দিলে আজই অর্থাৎ মঙ্গলবার হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় অলিম্পিকের মেডেল ভাসিয়ে দেবেন। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া গেটে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দেন কুস্তিগীররা। রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন সংসদ অভিযান যাত্রা শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সংসদ ভবনে পৌঁছনোর অনেক আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন সাক্ষীরা।


সংসদ অভিযানের পরই দিল্লি পুলিশের তরফে নির্দেশিকা আসে, যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়া যাবে না। অন্যত্র জায়গা বাছতে হবে কুস্তিগীরদের। যন্তর মন্তরে কুস্তিগীররা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয় রাজধানীর পুলিশের তরফে। ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, অন্যত্র ধর্না করার আবেদন করতে পারেন আন্দোলনকারীরা। যদিও যন্তর মন্তরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় অনড় সাক্ষীরা। 

কুস্তিগীররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যন্তর মন্তর থেকে সরালে কড়া পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। যন্তর মন্তর প্রতিবাদের জায়গা বলে পরিচিত। এখানে আন্দোলন করতে না দিলে গঙ্গায় মেডেল ভাসিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। কুস্তিগীররা জানান, মেডেল চলে গেলে বেঁচে থাকা তাঁদের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা যে সত্যিই আরও বড় পদক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।


ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন একের পর এক মহিলা কুস্তিগীররা। এই বিজেপি সাংসদকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়ারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। এই জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সভাপতির পদ থেকে ব্রিজভূষণকে অপসারণ করা হয়নি। সময় যত গড়িয়েছে, ব্রিজভূষণের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে। এইবার ‘নিজেদের অস্তিত্বই’ গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার পণ ধরলেন কুস্তিগীররা।

গ্রেফতার হলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় পরিচালক পীযূষ সাহা। ২০লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
Breaking: বীরভূমের ছেলেকে 'হিরো' বানানোর প্রতিশ্রুতি! ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ধৃত টলি-পরিচালকগ্রেফতার টলি-পরিচালক

বিহঙ্গী বিশ্বাস 


গ্রেফতার হলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় পরিচালক পীযূষ সাহা। ২০লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘হিরো বানানোর’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা অক্ষয় গুপ্তের কাছ থেকে ২০লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। যদিও বেশ কিছু সময় অতিক্রান্ত হলেও সেই ছবি আর হয়নি। এর পরেই ২০২২ সালে পরিচালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অক্ষয়। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। জামিনের আবেদন করলেও তা আপাতত খারিজ করেছে আদালত।

কে এই পীযূষ সাহা?


টলিপাড়ার জনপ্রিয় পরিচালক তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে জিৎ… কাজ করেছেন তাঁর ছবিতে। তাঁর ছবি ‘কেল্লাফতে’র মধ্যে দিয়েই টলিউডে ডেবিই হয় অঙ্কুশ হাজরার। অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীরও বড়বেলায় ডেবিউ তাঁর হাত ধরেই। এ ছাড়াও ‘নীল আকাশের চাঁদনী’, ‘রাজু আঙ্কল’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।

অক্ষয়ের বয়ানে… 

পীযূষ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বীরভূমের রামপুরহাটের ছেলে অক্ষয় গুপ্ত। টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গেও। তাঁর কী অভিযোগ তা তুলে ধরা হল তাঁরই বয়ানে। অক্ষয়ের কথায়, “মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি। আমার বাবা মারা গিয়েছেন ছোটবেলায়। কুড়ি লক্ষ টাকা হুট করে বের করে দেওয়া আমার মতো পরিবারে সম্ভব নয়। কিন্তু আমি দিয়েছিলাম। বিশ্বাস করেছিলাম স্যরকে। পরিচালক পীযূষ সাহার কাছে আমি বেশ কিছুদিন ক্লাস করেছিলাম অভিনয়ের। উনি আমায় বলেন, আমার মধ্যে প্রতিভা আছে, অঙ্কুশ-সোহমের ওঁর হাত ধরেই জার্নি শুরু, আমাকেও উনি লঞ্চ করবেন। বলেন, আমাকে নিয়ে একটা ছবি বানাবেন। আমিও বিশ্বাস করি। ছবির বাজেট ঠিক হয় ১ কোটি। উনি বলেন, এর মধ্যে আমাকে ৫০ লক্ষ দিতে হবে। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। গ্রামের ছেলে, এ শহরের কিছুই জানি না। উনি বলেন, এভাবেই নাকি কাজ হয় এখানে। আমিও বিশ্বাস করি। অনেক কষ্ট করে আসতে আসতে টাকা দিতে শুরু করি। এটা ২০১৯ সালের ঘটনা। এর পর সময় কেটে যেতে থাকে, উনি সমানে বলেন, হবে, ছবি হবে। কিন্তু ছবি আর হয় না। এরই মধ্যে চলে আসে করোনা, লকডাউন। সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। উনিও আমার ফোন ধরা কমিয়ে দিতে থাকেন। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, আমি বুঝতে পারছিলাম যা হচ্ছে তা ঠিক না। তাও স্যরকে বিশ্বাস করেছিলাম যে উনি আমায় ঠকাবেন না। দেখতে দেখতে ২০২২ এসে যায়। আমার মায়ের হঠাৎ ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যানসারের খরচ তো কম নয়, আমি ওঁকে হাতজোড় করে অনুরোধ করতে থাকি, হিরো হওয়ার দরকার নেই, আমার কিছু টাকা যেন তিনি অন্তত দিয়ে দেন। উনি ‘হ্যাঁ’ বললেও সেই টাকা আর দেননি। বাধ্য হয়েই ২০২২-এর শেষে আমি এফআইআর করি। আর অবশেষে উনি গ্রেফতার হন। আমি গ্রামের ছেলে, অনেক আশা নিয়ে এ শহরে এসেছি। এরকমটা যে হতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি। আইন ব্যবস্থার উপর আমার আস্থা রয়েছে। আশা করছি, সুস্থ ও সঠিক বিচার পাব।

পুলিশের গাড়ি থেকে নামতে নামতে নিজের পা এগিয়ে দিয়ে দেখালেন। বললেন, 'আমার নিজের পায়ের অবস্থাটা দেখুন, তাহলে বুঝতে পারবেন কী অবস্থা।'

Partha Chatterjee: 'সেটাই দুর্ভাগ্যের, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার', ফোলা পা দেখিয়ে বললেন পার্থপার্থ চট্টোপাধ্যায়



কলকাতা: পায়ের অবস্থা ভাল নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। বেশ ফুলেছে। পায়ের পাতা ফুলে ঢোল হয়েছে। মঙ্গলবার আদালত কক্ষেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন পার্থ। জেলবন্দি থাকাকালীন ঠিকঠাক চিকিৎসা পরিষেবা যাতে পান, সেই বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। আর এবার আদালত থেকে বেরিয়ে, নিজেই পা এগিয়ে দিয়ে দেখালেন, কী অবস্থা হয়ে রয়েছে। যদিও পার্থবাবুর ব্যাখ্যা, তিনি একবারও বলেননি জেলের চিকিৎসা পরিষেবা ভাল নয়। তাঁর বক্তব্য, পরিষেবা অপর্যাপ্ত। এরপরই পুলিশের গাড়ি থেকে নামতে নামতে নিজের পা এগিয়ে দিয়ে দেখালেন। বললেন, ‘আমার নিজের পায়ের অবস্থাটা দেখুন, তাহলে বুঝতে পারবেন কী অবস্থা।’


যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দেন, জেলে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে তাঁর অভিযোগ থাকলেও, সরকারের উপর তাঁর এখনও আস্থা রয়েছে। এতদিন ধরে সরকারকে ‘ট্রিটমেন্ট’ দিলেন পার্থ, এত দায়িত্ব পালন করলেন… আর এখন সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ‘ট্রিটমেন্ট’ পাচ্ছেন না? সাংবাদিকের প্রশ্নে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থর সটান জবাব, ‘সেটাই দুর্ভাগ্যের, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার।’ যদিও এরপরই তিনি আবার বলেন, ‘সরকারের উপর আস্থা রাখতে হবে।’ তাহলে কি এখনও আস্থা রাখছেন পার্থ? সেই উত্তরও দিয়ে গেলেন নিজেই। বলে গেলেন, ‘হ্যাঁ, আমার এখনও আস্থা আছে।’



প্রিমিয়ার এ আর প্রিমিয়ার বি দুটো ডিভিশনের ক্লাব এ বার থেকে খেলবে একসঙ্গে। মোট ২৬ টা ক্লাব খেলবে একসঙ্গে। নাম হবে সুপার প্রিমিয়ার ডিভিশন।




এর অর্থ হল, একেকটা ক্লাব খেলবে ২৫টি করে ম্যাচ। বহরে বাড়বে লিগ। সেই সঙ্গে নতুন মুখ উঠে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
IFA: তিন প্রধানের সঙ্গে এ বার খেলবে ডায়মন্ডহারবারও

কলকাতা: একসময় জমজমাট ছিল কলকাতা লিগ। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের সঙ্গে তালমিলিয়ে তথাকথিত ছোট টিমগুলো দুরন্ত ফুটবল উপহার দিত। ওই ছোট ক্লাবগুলোই ছিল ময়দানের প্রাণ। সময় যত পাল্টেছে লিগ তত বেশি বড়-ছোটতে ভেঙেছে। তিন প্রধানের সঙ্গে কিছু মাঝারি ক্লাব জুড়ে লিগ হয়েছে পরবর্তীকালে। এর পেছনে অবশ্য অন্য অঙ্ক ছিল। আর বাকি ক্লাবগুলো কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাস ভুলে আবার মিলিয়ে দেওয়া হল দুটো ডিভিশন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের সঙ্গে এ বার খেলতে দেখা যাবে ডায়মন্ডহারবার এফসিকেও। প্রিমিয়ার এ আর প্রিমিয়ার বি দুটো ডিভিশনের ক্লাব এ বার থেকে খেলবে একসঙ্গে। মোট ২৬ টা ক্লাব খেলবে একসঙ্গে। নাম হবে সুপার প্রিমিয়ার ডিভিশন। বহরে বাড়বে লিগ। সেই সঙ্গে নতুন মুখ উঠে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।



সোমবারই মণিপুরে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওইদিন রাতেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ও সহ রাজ্যের গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

Mamata Banerjee: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে যেতে চান মমতা, চিঠি লিখলেন কেন্দ্রকে

কলকাতা : মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার সেই মণিপুরে নিজে যেতে চান তিনি। মণিপুরে যাওয়ার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে তিনি চিঠি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মণিপুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মমতা। মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে বারবার দায়ী করেছেন মমতা। সে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। এরই মধ্যে মমতার এই চিঠি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।


সোমবারই মণিপুরে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওইদিন রাতেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ও রাজ্যের গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে খোঁজ-খবর নেন। ১ জুন পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন অমিত শাহ। মণিপুরের মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গেও শাহ দেখা করবেন এবং অশান্তি বন্ধ করতে তাঁদের দাবি শুনবেন বলে সূত্রের খবর।

রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে মণিপুরকে রক্ষা করার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মমতা। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তিনি। একতা, শান্তি ও সম্প্রীতি রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মণিপুরে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের কথা ভেবে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয় নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যাঁরা বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারছেন না, উপদ্রুত এলাকায় আটকে পড়েছেন, তাঁদের সহায়তার জন্য মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজ্য সরকার।



৫ জুন স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষা দফতর থেকে স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা।

West Bengal’s School: গরমের ছুটি শেষ, আগামী সপ্তাহে খুলে যাচ্ছে স্কুলখুলে যাচ্ছে স্কুল

কলকাতা: ছুটি শেষ। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার মেনেই খুলছে স্কুল। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলি (School) খুলবে ৫ জুন। পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তেই সিলমোহর শিক্ষা দফতরের (Education Department)। ৫ জুন স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষা দফতর থেকে স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে। তবে ৭ তারিখ খুলছে প্রাইমারি স্কুলগুলি। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে এমনই।


প্রসঙ্গত, এবারে বৈশাখের শুরু থেকে ক্রমেই বেড়েছে গরমের দাপট। চলেছে তাপপ্রবাহ। তাতেই পড়ুয়াদের অস্বস্তির কথা মাথায় রেখে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে একদফার ছুটি দিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। প্রবল গরমের জেরে ৬ দিন স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বাড়ন্ত গরমে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি বাচ্চাদের সঙ্গে মিশি। একটি বাচ্চা আমায় জানিয়েছে আমরা আর পারছি না। মাথা যন্ত্রণা করছে। আর মাথা যন্ত্রণা মানে হিট স্ট্রোকের প্রবণতা। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক্ষুনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।” এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলে ছুটি। তারপর ফের খোলে স্কুল।

উপ নির্বাচনের ফল মমতারও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছিল। সাগরদিঘির ফলাফল সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে একটি কমিটিও গঠন করেছিলেন তিনি।

Mamata Banerjee: অভিষেকের হাত ধরে বাইরনের যোগদান খবরের কাগজ পড়ে জানলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতাতৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাইরন



কলকাতা : সোমবার থেকে ফের রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে সাগরদিঘি। মাস তিনেক আগে নির্বাচিত বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সেই যোগদান যখন রাজ্য রাজনীতির আলোচনার শীর্ষে, তখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। সংবাদমাধ্যমে পড়ে সবটা জেনেছেন বলেই উল্লেখ করেছেন মমতা। সোমবার ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন। সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মমতা জানালেন, সবটাই স্থানীয় নেতৃত্বের ব্যাপার। কার্যত প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।


মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা। বাইরনকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। এটা লোকাল ম্যাটার। স্থানীয় নেতৃত্বকে জিজ্ঞেস করুন। আমার কিছু জানা নেই। আমি পেপারে সবটা পড়েছি।’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘আমি এগুলো করি না। দলের বেশ কিছু সিস্টেম আছে। এগুলো ব্লক স্তরে হয়। ডোন্ট আস্ক মি (আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না)।’

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সারগদিঘির উপনির্বাচন ছিল রাজ্যের শাসক দলের জন্য একটা বড় ধাক্কা। এই নির্বাচনের পরই রাজ্যের বিধানসভা পেয়েছিল একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক। উপ নির্বাচনের ফল মমতারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। সাগরদিঘির ফলাফল সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে একটি কমিটিও গঠন করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, টাকার খেলা হয়েছে সাগরদিঘিতে।



এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পাপড্ডা গ্ৰামের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই এদিন উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ।

TMC: বড়ঞায় বোমাবাজিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগতৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা বড়ঞায়।
বহরমপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকট হয়ে উঠল শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানা এলাকায় এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মত বোমা পড়ে এলাকায়। ভাঙচুর করা হয় রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন। তারপর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


পুলিশ জানায়, মৃত নাম আমির শেখ। বড়ঞা থানার অন্তর্গত পাপড্ডা গ্ৰামের যুবক আমির শেখ এলাকায় তৃণমূল কর্মী এবং প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামী হিসাবে পরিচিত। বাড়ি ফেরার পথে বোমার আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের অনুগামীরাই আমিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে আমিরের দুই সঙ্গী গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পাপড্ডা গ্ৰামের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই এদিন ইব্রাহিম শেখের অনুগামীরা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামী আমির সহ তাঁর সঙ্গীদের উপর হামলা চালায় এবং বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। আচমকা বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন আমির। আরও ২ জন গুরুতর জখম হন। তারপর তাঁরা পাল্টা প্রতিবাদ জানালে দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে এবং এলাকায় মুড়ি মুড়কির মত বোমা পড়ে। তারপর খবর পেয়ে বড়ঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পাপড্ডা গ্ৰামের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই এদিন উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ।

TMC: বড়ঞায় বোমাবাজিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগতৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা বড়ঞায়।
বহরমপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকট হয়ে উঠল শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানা এলাকায় এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মত বোমা পড়ে এলাকায়। ভাঙচুর করা হয় রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন। তারপর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


পুলিশ জানায়, মৃত নাম আমির শেখ। বড়ঞা থানার অন্তর্গত পাপড্ডা গ্ৰামের যুবক আমির শেখ এলাকায় তৃণমূল কর্মী এবং প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামী হিসাবে পরিচিত। বাড়ি ফেরার পথে বোমার আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের অনুগামীরাই আমিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে আমিরের দুই সঙ্গী গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পাপড্ডা গ্ৰামের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই এদিন ইব্রাহিম শেখের অনুগামীরা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামী আমির সহ তাঁর সঙ্গীদের উপর হামলা চালায় এবং বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। আচমকা বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন আমির। আরও ২ জন গুরুতর জখম হন। তারপর তাঁরা পাল্টা প্রতিবাদ জানালে দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে এবং এলাকায় মুড়ি মুড়কির মত বোমা পড়ে। তারপর খবর পেয়ে বড়ঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



আবহাওয়াবিদ সুপ্রিয়ো বন্ধ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকলেও তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা নেই।

Weather Update: বঙ্গে আবারও বৃষ্টির সতর্কতা, কোন-কোন জেলা ভিজবে জানাল হাওয়া অফিসফাইল চিত্র

কলকাতা: সকালের দিকে রোদের সামান্য তেজ থাকলেও রাত্রিবেলা মোটামুটি আরামদায়ক আবহাওয়াই রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কারণ বিগত দু’একদিন ধরে যেভাবে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে তাতে পরিবেশ প্রায় ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে বলাই যায়। শনিবারের মতো রবিবারও সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। তবে রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ দু’পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে আশার খবর যে এই মুহূর্তে তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা নেই।


আবহাওয়াবিদ সুপ্রিয়ো বন্ধ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকলেও তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা নেই। পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। তবে রাজ্যে বর্ষা ঢুকবে সময় অনুযায়ীই। অপরদিকে, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে এদিন হালকা থেকে মাঝারি মাপের বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এর মধ্যে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা ও দুই দিনাজপুরে মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রোজেক্ট করতে চাইছেন? সাংবাদিকের প্রশ্নে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় বললেন, 'এই জন্যই তো আমি তৃণমূল ছেড়েছি।'

Suvendu Adhikari: কেন শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়েছিলেন? অভিষেকের প্রসঙ্গ উঠতেই খোলসা করলেন বিরোধী দলনেতাশুভেন্দু অধিকারী

কলকাতা: মানুষের মনের কথা আরও বেশি করে বুঝতে, জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেকের সেই কর্মসূচিতে আসরে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। প্রথমে একবার মালদায়, তারপর শালবনিতে… দু’বার অভিষেকের নবজোয়ারের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সশরীরে গিয়ে উপস্থিত। এছাড়া মাঝে একবার অভিষেককে যখন সিবিআই তলব করল, তখন বাঁকুড়ায় ভার্চুয়ালি বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। বার বার অভিষেকের কর্মসূচিতে মমতাকে আসরে নামা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রোজেক্ট করতে চাইছেন? সাংবাদিকের প্রশ্নে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ‘এই জন্যই তো আমি তৃণমূল ছেড়েছি।’


এরপরই পরিবারতন্ত্রের ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারী আবারও খোঁচা দেন তৃণমূল শিবিরকে। বললেন, ‘এই জন্যই তো বিজেপি তেলাঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে পরিবারবাদ, তোষণবাদ ও দুর্নীতি খতম করে বিকাশবাদকে জয়যুক্ত করবে।’ উল্লেখ্য, পরিবারতন্ত্রের ইস্যুতে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বার বার তৃণমূলকে বিঁধেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে বিজেপি। রবিবার বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) জেলা কমিটির তরফে সোনারপুরে এক মিছিল থেকে সেই ইস্যুতেই আবারও রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।


এদিনের মিছিল থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। মানুষ চাইছেন চোরেরা জেলে যাক।’ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রবিবারের এই মিছিল ঘিরে সোনারপুরে এদিন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে পথের দু’ধারে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় বিদ্ধ করে আক্রমণ শানিয়ে গেলেন।



বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির উন্নয়নের কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি কতদূর, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

2024 Lok Sabha Elections: লক্ষ্য ২০২৪, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মোদীরবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক নরেন্দ্র মোদীর।
Follow us on

google-news-icon
নয়া দিল্লি: পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন! নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের পরই BJP শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার বিকালেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বৈঠকে বসেন তিনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা (J.P Nadda)। মূলত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ও উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Narendra Modi)।


সূত্রের খবর, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির উন্নয়নের কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি কতদূর, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে জনসংযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জোর দেন বলেও জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, এদিন মোদী-শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে মোট ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ২ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও নাগাল্যান্ডের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ইয়াংথুঙ্গো প্যাটোন।

হিংসাধ্বস্ত মণিপুরে রবিবার (২৮ মে), আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকা জুড়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে পুলিশের কমান্ডোদের। এই অভিযানে অন্তত ৩০ জন 'সন্ত্রাসবাদী'কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।

Manipur Violence: হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত ৩০ 'কুকি জঙ্গি', জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৩ মে থেকেই মণিপুরজুড়ে চলছে হিংসা (ফাইল ছবি)

ইম্ফল: হিংসাধ্বস্ত মণিপুরে বড় সাফল্য সেনার। রবিবার (২৮ মে), আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকা জুড়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে পুলিশের কমান্ডোদের। এই অভিযানে অন্তত ৩০ জন ‘সন্ত্রাসবাদী’কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদীরা অসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এম-১৬ এবং একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং স্নাইপার বন্দুক ব্যবহার করছে। বেশ কিছু গ্রামে গিয়ে তারা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। আমি ওদের কুকি যোদ্ধা বলতে চাই না। ওরা আসলে কুকি সন্ত্রাসবাদী। ওরা নিরস্ত্র অসামরিক ব্যক্তিদের উপর গুলি চালিয়েছে। বন্দুকযুদ্ধ চলছে সশস্ত্র জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে, কোনও সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়। তাই আমি সাধারণ মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”


সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ২টো নাগাদ কুকি যোদ্ধারা ইম্ফল উপত্যকা এবং তার আশেপাশের পাঁচটি এলাকায় একযোগে আক্রমণ চালিয়েছে। সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সেনার সঙ্গে কুকি বিদ্রোহীদের বন্দুকযুদ্ধ চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় মৃতদেহ ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেকমাই-এ ইতিমধ্যেই গুলির লড়াই বন্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর খবর আসছে। এক সর্বভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের বা রিমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ফায়েং এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থআয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বিষেনপুরের চন্দনপোকপিতে গুলিবিদ্ধ মৃত্যু হয়েছে খুমানথেম কেনেডি নামে ২৭ বছরের এক কৃষকের। তাঁর মরদেহও রিমসে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই এলাকায়া আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমে ইম্ফল বিজেপি বিধায়ক খোয়াইরাকপাম রঘুমণি সিংয়ের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং তাঁর দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েথে।

এই অবস্থায় সোমবারই মণিপুর সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মেইতেই এবং কুকি – যুযুধান দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার এবং রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবারই দুই দিনের সফরে মণিপুরে গিয়েছেন। সেনাবাহিনী বলেছে যে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ঠেকাতে একটি চিরুনি অভিযান চলছে, যা মণিপুরকে ফুটিয়ে তুলেছে। রাজ্যে সেনাপ্রধান আসার পরই চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনের আগের দিনই বিদ্রোহী কুকি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু হল।


রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরেই তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছে। আসলে রাজ্যের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মেইতেই হলেও, উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত না হওয়ায় রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ জমির উপর অধিকার আছে তাদের। বাকি পাহাড় ও জঙ্গলের সংরক্ষিত জমিতে বাড়ি বসবাস করার অধিকার রয়েছে একতমাত্র আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের। মেইতেইদের উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার দাবির প্রতিবাদে, ৩ মে ইম্ফলে এক বিশাল মিছিল বের করেছিল কুকিরা। হাজার হাজার মানুষের সেই মিছিলকে কেন্দ্র করেই মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষ বেধেছিল। যার জেরে রাজ্যের ৭০ জনেরও মানুষের প্রাণ গিয়েছে, ভিটে ছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তারপর থেকে ২৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

রঘুনাথপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলননগর সমবায় ভোটে বিপুল জয় পেল তৃণমূল। ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ১৩টি আসন।

TMC: জেলায় অভিষেকের 'নবজোয়ার'-র আগে তমলুকে উড়ল সবুজ আবির, সমবায়ে জয় তৃণমূলেররঘুনাথপুর ব্লকের সমবায় ভোটে জয়ী তৃণমূল।


তমলুক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek BanerjeE) ‘নবজোয়ার’ এখনও হয়নি। তার আগেই শুভেন্দুর গড়ে উড়ল সবুজ আবির। ফের সমবায় ভোটে ধরাশাই বিজেপি, সিপিএম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক (Tamluk) থানার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলননগর সমবায় ভোটে বিপুল জয় পেল তৃণমূল (TMC)। ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ১৩টি আসন। স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত ঘাস-ফুল শিবির। ভোটের ফল ঘোষণার পরই সবুজ আবির উড়িয়ে বিজয়মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বলা যায়, অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি হওয়ার আগেই উজ্জীবিত তৃণমূল।


জানা গিয়েছে, তমলুক থানার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপূর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলননগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট হয়েছিল মোট ১৭টি আসনে। এর মধ্যে আগেই ৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জয়ী হয়েছিলো তৃণমূল। এদিন ১৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। তৃণমূল ও বিজেপি ১৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। বামফ্রন্ট ১০টি আসনে লড়াই করে। সকাল ১০টা থেকে কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ হয় শুরু হয়। তারপর বিকালে ভোট গণনা শুরু হতেই হাসি চওড়া হয় শাসকদলের। শেষ পর্যন্ত, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে এককভাবে ১৩ টি আসন, বামফ্রন্ট পেয়েছে ৩ টি আসন আর বিজেপি পেয়েছে ১ টি আসন।

যদিও সমবায় ভোটের এই ফলাফলে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে চাপা সন্ত্রাস করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির শহিদ মাতঙ্গিনী মণ্ডল-৩ এর সভাপতি সুজিত সামন্ত। অপরদিকে, সিপিআই জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য গৌরাঙ্গ কুইলার দাবি, “শাসক তৃণমূল ও বিজেপি অন্দরে জোট করেছে এবং তাদের প্রার্থী নির্বাচন করতে বাধা দিয়েছে। ভোটের সময়ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।