December 2020
নতুন বছরের শুরুতেই ফের দু'দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তবে বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে নয়, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন তিনি। এই সফরে একদিন বনগাঁয় যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জনসভা করবেন সেখানে। বিজেপি (BJP) সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, CAA ইস্যুতে মতুয়া (Motua) ভোটে ভাঙন ধরবে না তো? পরিস্থিতি কিন্তু বিজেপির (BJP) পক্ষে খুব একটা সুবিধেজনক ছিল না। কিছু দিন ধরেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন বনগাঁর বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। এরমধ্যে আবার রাজ্যে সফরে এসে খোদ অমিত শাহ-ই (Amit Shah) বলে যান,  করোনার টিকা আগে দেওয়া হোক তার পরে CAA, NRC নিয়ে কাজ হবে। ফলে সুর আরও জোরালো করেন শান্তনু। এমনকী, তিনি তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়।
এদিন হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur) নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ও স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। সেখানে বনগাঁ সাংসদ স্পষ্টই জানিয়ে দেন, বিজেপিতেই (BJP) আছেন। CAA লাগু করার জন্য দলের কাছে দাবি রেখেছেন। শান্তনু ঠাকুর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার পরেই কিন্তু অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর ও বনগাঁয় জনসভা বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলল গেরুয়াশিবির।

প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে বাংলার জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি (BJP)। আজ জেপি নাড্ডা (JP Nada), তো কাল অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজ্যে দলের সর্বভারতীয় নেতাদের আনাগোনা লেগেই আছে। কিছু আগেই দু'দিনের সফর সেরে দিল্লি ফিরেছেন শাহ (Amit Shah)। সেবার সফরের শুরুতে উত্তর কলকাতায় স্বামীজির বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর রোড শো করেছিলেন অনুব্রতের গড় বোলপুরে।
স্বাদ গন্ধ চলে যাচ্ছে করোনায় আক্রান্তদের। তবে তা যে সকলের হচ্ছে এমনটা নয়। তবে মোটের উপর স্বাদ গন্ধ অনুভূতি হারাচ্ছেন অনেকেই। তবে জ্বর, শুষ্ক কাশি, সর্দি থাকছে। জ্বরের আসা যাওয়ার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারর কারর আবার বমি ও পায়খানার সমস্যাও দেখা দিয়েছে।  কিন্তু এই উপসর্গই শেষ নয়। সম্প্রতি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার স্থায়িত্ব বেশিদিন হলে কাঁচা মাছের গন্ধের সঙ্গে পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছে তাঁরা।
করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু গবেষণা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে আছড়ে পড়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের ঢেউ। দেখা দিতে পারে নতুন নতুন উপসর্গ। যে আশঙ্কা ইতিমধ্যে দানা বেঁধেছে বিজ্ঞানীমহলে।সম্প্রতি যে নতুন উপসর্গের খোঁজ মিলছে তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত অনেকেই শুধুমাত্র কাঁচা মাছের গন্ধ পাচ্ছেন। আবার অনেকে সবসময় পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছেন।  এই উপসর্গটি নতুন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই উপসর্গ দেখা দিলে, করোনা রোগী প্যারোস্মিয়ায় আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এই রোগে মস্তিষ্ক সঠিক গন্ধ চিনতে পারে না।
ব্রিটেনে ইতিমধ্যে এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাদের প্রথমে স্বাদ গন্ধ ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি তাঁরা কাঁচা মাছের গন্ধ ছাড়া অন্য কোনও গন্ধ পাচ্ছেন না। আবার অনেকে খালি পোড়া পোড়া গন্ধই পাচ্ছে, যেখানে পুড়ে যাওয়া কোনও জিনিসই থাকছে না।এখনও পর্যন্ত মূলত,  যে যে স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত তাদের মধ্যেই এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স-এর মতে ১২ সপ্তাহের বেশি দিন করোনা আক্রান্ত হলে, এই কাঁচা মাছ অথবা পোড়া গন্ধ পাওয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। 
ঈশানদেব চট্টোপাধ্য়ায়: বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) মুখে বিজেপি-র (BJP) কাছে কদর বাড়ছে মতুয়াদের। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষপর্যন্ত বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) দাবি মেনে নিল দলের রাজ্য নেতৃত্ব। নয়া সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা পেল বনগাঁ (Bongaon)। সভাপতি হলেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত মানসপতি দেব।
উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ লোকসভা এলাকাটি মতুয়া (Motua) অধ্যুষিত। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র তিনটি আলাদা জেলা কমিটির অধীনে ছিল। সূত্রের খবর, আলাদা আলাদা জেলা কমিটির অধীনে থাকার কারণে সাতটি বিধানসভা এলাকায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বনগাঁর (Bongaon) বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)। দলের বারাসত জেলার সভাপতিকে অপসারণ অথবা বনগাঁকে সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দাবিটি মেনে নিল বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতত্ব। এমনকী, জানুয়ারিতে রাজ্য সফর চলাকালীন বনগাঁয় অমিত শাহের (Amit Shah) জনসভার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, এ রাজ্যে CAA কি কার্যকর হবে? মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা কি আদৌ নাগরিকত্ব পাবেন? তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। এরইমধ্যে আবার বঙ্গসফরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনার টিকা আগে দেওয়া হোক তার পরে CAA, NRC নিয়ে কাজ হবে। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। ক্ষোভ এতটাই বেড়ে যায় যে, বিজেপি (BJP) ছেড়ে শান্তনু (Shantanu Thakur) তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। সাংসদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য নেতারা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শান্তনু ঠাকুর স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন।
উপগ্রহ? তা-ও কি কাঠের হয়!
অন্তত জাপান যেরকম ভেবেছে, তাতে ব্যাপারটা প্রায় তেমনই হতে চলেছে। অচিরেই মহাকাশে ভাসতে চলেছে জাপানের বানানো কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ। ২০২৩ সালের মধ্যে উপগ্রহটি তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন জাপানি গবেষকেরা।
কিন্তু হঠাৎ কেন এরকম ভাবনা?
আসলে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাকাশে দিনে দিনে আবর্জনা (Space junk and debris) বাড়ছে। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের যন্ত্রাংশ-সহ বিভিন্ন জিনিস এই আবর্জনার পর্যায়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানেই এই অভিনব পদ্ধতির কথা ভাবল জাপান।কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ এ ক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে। কেননা, বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে কাঠ পুড়ে কোনও ক্ষতিকর উপাদান মহাকাশে ছড়িয়ে পড়বে না।
জাপানি বিজ্ঞানীরা তাই কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। এই চেষ্টায় তাঁরা সফল হলে তা হবে বিশ্বের প্রথম কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ।
জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ( Kyoto University)ও জাপানের ফরেস্ট্রির (Japanese forestry company) একদল গবেষক কৃত্রিম এই উপগ্রহটি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kyoto University) অধ্যাপক ও মহাকাশচারী টাকাও ডই (Takao Doi, Kyoto University professor and Japanese astronaut) এক ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাকে বলেন, 'যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীতে আবার ফিরিয়ে আনা হয়, সেগুলি বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে উত্তপ্ত হয়ে পুড়ে যায়। এবং পোড়ার সময়ে সেটি ধাতব সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয় চারপাশে। এসব কণা বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে অনেক বছর ধরে ভেসে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, এসব কণা একটা সময়ের পরে পৃথিবীর পরিবেশের ওপরই বিরূপ প্রভাব ফেলবে।'
ঠান্ডায় খুশখুসে কাশি হওয়াটা স্বাভাবিক।এন্টিবায়োটিক ওষুধের সাইডএফেক্টও কম নয়।
চলছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা! এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা তো এই গরম! আর এই ঠান্ডা গরমে শরীরের অবস্থা নাজেহাল! খুশখুশে কাশি, ঠান্ডা লাগা, শ্লেষ্মাজনিত নানা মরসুমি অসুখ লেগেই রয়েছে । কিন্তু দেদার অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপে খুসখুসে কাশি কমতে সময় লাগে। ওষুধের সাইড এফেক্টও কম নয়!
সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনল ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব হাল-এর গবেষকরা। তাঁদের দাবি, খুশখুশে কাশির মোকাবিলা করতে ডার্ক চকোলেটের কোনও বিকল্প নেই।তাঁদের মতে, শ্লেষ্মাজনিত অসুখের অন্যতম সমাধান লুকিয়ে আছে কোকোয়। কোকোয় থাকা থিওব্রমিন পাতলা শ্লেষ্মাকে আঠালো করে খুসখুসে কাশি কমায়।
ডার্ক চকোলেটে কোকোর পরিমাণ বেশি থাকায় একেই অন্যতম সেরা সমাধান বলে মনে করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, কোকো কেবল পাতলা শ্লেষ্মাকে আঠালো করে তা-ই নয়, গলার ভিতরের স্নায়ুপ্রান্তগুলিকে আঠালো আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেয়। কাজেই, খুসখুসে কাশি আর থাকে না। বেশির ভাগ কাফ সিরাপ বা কাশি কমানোর ওষুধে তাই কোকো থাকে।খুসখুসে কাশিতে ভুগছেন, এমন কয়েক জন রোগীকে ডার্ক চকোলেট দিয়ে প্রায় দু’দিনের মধ্যে তাঁদের কাশি অনেকটাই কমিয়ে ফেলা গিয়েছে বলেও দাবি গবেষকদের।
তবে কাশি হলেই চকোলেট খেতে শুরু করলে হানা দিতে পারে ওবেসিটি, সুগারের মতো নানা রোগও। তাই খুশখুশে কাশির ক্ষেত্রে চকোলেট খেলেও ভারী কাশিতে ওষুধ খাওয়াই ভাল।
মাত্র ১৪ বছর ৯ মাস ১৭ দিন বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টার হল ভারতের লিওন মেনডোসা। ইতালির ভার্গানি কাপে খেলার সময় সে তৃতীয় তথা শেষ নর্মের যোগ্যতা অর্জন করে। ভারতের ৬৭তম গ্র্যান্ড মাস্টার হল লিওন। গোয়া থেকে ভক্তি কুলকার্নির পর দ্বিতীয়।
শুধু এইটুকু তথ্যে লিওনের কৃতিত্বকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। প্রতিকূলতাকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পাওয়ার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ সে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এরোফ্লোট ওপেন খেলতে মস্কোয় উড়ে গিয়েছিল। সেই যে দেশের বাইরে যাওয়া, ১০ মাস পরেও এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি লিওন।কোভিড-১৯-এর জেরে প্রায় প্রত্যেক দেশেই লকডাউন জারি হওয়ায় দেশে ফেরার কোনও উপায়ও ছিল না। কিন্তু লিওন বসে থাকেনি। লকডাউনে থাকতে থাকতেই কঠোর মনে চালিয়ে যাচ্ছিল অনুশীলন। থাকতে হত হোটেলে, খেতে হত বাবার রান্না করা খাবারই। কিন্তু হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মনঃসংযোগে কোনও ছেদ পড়েনি। এক মনে কোচ বিষ্ণু প্রসন্নর থেকে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছিল।
বিমান চলাচল শুরু হতেও দেশে ফেরেনি লিওন। ঘুরে বেড়িয়েছে একের পর এক দেশে। অক্টোবরে রিগো দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম জিএম নর্ম পায় সে। মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে বুদাপেস্টে দ্বিতীয় নর্ম আসে। অবশেষে ইতালিতে এসে মিলল সাফল্য।গত বছর এক ক্যাম্পে লিওনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কিংবদন্তি দাবাড়ু ভ্লাদিমির ক্রামনিকের। তখনই লিওনের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ক্রামনিক। এক বছর পরে গ্র্যান্ড মাস্টারের তকমা পেল লিওন।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির আগে ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার (CAB President Avishek Dalmiya) , সচিব স্নেহাসিশ গাঙ্গুলি, যুগ্ম-সচিব দেবব্রত দাসের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন সৌরভ। সেই সময় ইডেনে অনুশীলন করছিল বাংলা ক্রিকেট দল। ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেন সৌরভ। 
নতুন বছরে জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট (Syed Mushtaq Ali T20 Trophy)। দেশের ছটি সেন্টার- ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা, ভদোদরা, ইন্দোর, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ে বায়ো বাবলে হবে এই টুর্নামেন্ট। তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। প্রতিযোগিতার নক আউট পর্ব হবে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে (Motera Stadium)।

ঘরের মাঠেই সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির (Syed Mushtaq Ali T20 Trophy) ম্যাচ খেলবে বাংলা দল। এলিট বি (Elite B-র গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ হবে কলকাতায় (Kolkata)। বাংলার (Bengal) পাশাপাশি এলিট-বি তে রয়েছে ওড়িশা (Odisha),ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), তামিল নাডু (Tamil Nadu), অসম (Assam) এবং হায়দরাবাদ (Hyderabad)।
নতুন বছরের শুরুতে স্বাভাবিক হওয়ার পথে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। ৪ জানুয়ারি থেকে বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যা। এর পাশাপাশি অফিস টাইমে ৭ মিনিট অন্তর পাওয়া যাবে মেট্রো। শনি ও রবিবার লাগবে না ই-পাস (E-Pass)। স্মার্টকার্ডে (Smart Card) যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।     
৪ জানুয়ারি থেকে মেট্রোর (Kolkata Metro) সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ২২৮টি। আপে চলবে ১১৪টি। সমসংখ্যক ট্রেন চলবে ডাউনে। ট্রেনের (Kolkata Metro) সংখ্যা বাড়ায় আপ লাইনে সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৭.৫০টা পর্যন্ত ৭ মিনিট অন্তর পাওয়া যাবে মেট্রো। ডাউন লাইনে সকাল ৮ টা ৪৮ মিনিট থেকে সন্ধে ৭টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত ৭ মিনিটের ব্যবধান থাকবে। অর্থাৎ অফিস টাইমে বেশিক্ষণ আর ট্রেনের অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

আগের মতো এখনই টোকেন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে না। বর্তমানে সিনিয়র সিটিজেন, মহিলা ও শিশুদের ই-পাস লাগছে না। ৪ জানুয়ারিতে অফিস টাইম ছাড়া বাকি যাত্রীদেরও ই-পাস আবশ্যক নয়। সকাল ৯ থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫ থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত ই-পাস লাগবে সাধারণ যাত্রীদের। বাকি সময়ে স্মার্টকার্ডেই (Smart Card) চলতে পারবেন যাত্রীরা। শনি ও রবিবার লাগবে না ই-পাস (E-Pass)।
নতুন প্রজাতি নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ব্রিটেনে। কোভিডের এই নতুন প্রজাতিটি হুহু করে ছড়াচ্ছে ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে সাধারণের ওপরে প্রয়োগের জন্য Oxford ও Astrazenca-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন Covishield-কে অনুমোদন দিল ব্রিটেন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, 'দেশের Medicines and Healthcare products Regulatory Agency (MHRA)-র সুপারিশ মেনে নিয়েছে সরকার। ফলে এবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হল।৪ সপ্তাহ ও ১২ সপ্তাহের মাথায় দুটি ডোজ দেওয়া হবে গ্রাহককে। ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে ওই ভ্যাকসিন নিরাপদ।
এদিকে  ব্রিটেনে ওই ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার পর ভারতে কোভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়ে উঠল। ভারতে ওই ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র মেলায় খুশি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, দারুন খবর। ব্রিটেনের করোনা গবেষণায় এটি একটি বড় সাফল্য।  অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে।ভারতে কোভিশিল্ড(Covishield) তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ইতিমধ্য়েই ওই ভ্যাকসিন জরুরি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য আবেদন করেছে সেরাম। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১ জানুয়ারি কোনও একটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে দেশে। 
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রজেক্ট আহমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেন(Bullet Train) প্রকল্প এখনও আটকে রয়েছে জমি জটে। গুজরাটে জমি সমস্যা অনেকটা মিটলেও মহারাষ্ট্রে তা এখনও মেটেনি। এরকম এক অবস্থায় ধাপে ধাপে বুলেট ট্রেন চালু করার কথা ভাবছে রেল।

রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে তা চলতে পারে আহমেদাবাদ(Ahmedabad)থেকে ভাপি(Vapi)পর্যন্ত।  মোট রাস্তা ৩২৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফায় তা চলতে পারে ভাপি থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত। এদিকে, রেলমন্ত্রীরও সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকার জমি অধিগ্রাহণ সাহায্য না করলে বুটেল ট্রেন ধাপে ধাপেই চালু করা হবে।
রেল বোর্ড সূত্রে জি নিউজের খবর, গুজরাটে বুলেট ট্রেনের জন্য ৮০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রে জমি পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা এখনও আটকে রয়েছে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ জমি পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি ভারতে জাপানের দূতাবাস থেকে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করা হয়েছে E5 Series Shinkansen বা বুলেট ট্রেনের কিছু ছবি। ওই ট্রেনে কিছু রদবদল ঘটিয়ে চালানো হবে আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটে। 
উল্লেখ্য, ২০১৭ সলের ১৪ সেপ্টেম্বর আহমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
ব্যবধান ঠিক ন’দিনের। ২০ তারিখ ছিল ‘রোড-শো’। ২৯ তারিখ ‘ঐতিহাসিক পদযাত্রা’। কিন্তু, ধারে, ভারে এবং স্বতঃস্ফূর্ততায় ২০-কে ছাপিয়ে গেল ২৯। অমিত সাহকে আক্ষরিক অর্থেই টেক্কা দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়
২০ ডিসেম্বের বোলপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোড শো-এর ‘পাল্টা’ মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলবারের ‘ঐতিহাসিক পদযাত্রা’ কেমন হয়, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল সব মহলেই। শাসক শিবিরের লক্ষ্য ছিল, ভিড়  ও আয়োজনের নিরিখে বিজেপি-কে ছাপিয়ে যাওয়া এবং অবশ্যই বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা।
রবীন্দ্র-আবেগ সামনে রেখে সেই কাজে একশো শতাংশ সফল তৃণমূল। বোলপুরের বাসিন্দারা বলছেন, এ দিনের পদযাত্রা রাজনৈতিক কর্মসূচির থেকে অনেক বেশি ছিল সংস্কৃতিক মিছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় আড়াই লক্ষ লোকের সমাগম করার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তাতে পুরোটা না-হলেও লক্ষাধিক মানুষের ভিড় এ দিন হয়েছিল।প্রথমে  ঠিক ছিল অমিতের রোড শো-এর পথ ধরে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠ থেকে বোলপুরের চৌরাস্তা পর্যন্ত  হাঁটবেন  মমতা। পরে সিদ্ধান্ত হয়, বোলপুর ট্যুরিস্ট লজের মোড় থেকে চৌরাস্তা হয়ে, শান্তিনিকেতন শ্রীনিকেতন রোড ধরে  পদযাত্রা শেষ হবে প্রায় সাড়ে তিন কিমি দূরে  জামবুনি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই পদযাত্রা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদযাত্রা শুরু করেন বেলা ১টা নাগাদ।
তার আগেই  জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে কর্মী-সমর্থকেরা ডাকবাংলো মাঠে জামায়েত হতে শুরু করেন। আসে আদিবাসী নৃত্যের দল, ঢাক, প্রচুর সংখ্যায় বাউল কীর্তনের দল। ছিল মহিলা ব্যান্ড পার্টি। গোটা রাস্তা সাজানো হয়েছিল  সবুজ, সাদা, গেরুয়া বেলুনে। ছিল তৃণমূলের দলীয় পতাকা। রাস্তার দু’দিকে ব্যারিকেডের এক পাশে রবীন্দ্রনাথের বিশাল বিশাল কাটআউট। তার উপরে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানের লাইন। রাস্তার আর এক দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সংবলিত কাটআউট। পদযাত্রা লাইভ দেখানোর জন্য রাস্তার কিছুটা দূরে দূরে ছিল জায়ান্ট স্ক্রিন।বর্নাঢ্য পদযাত্রা শুরু হওয়ার আগে থেকেই রাস্তার দু’দিকে, বাড়ির ছাদে কাতারে কাতারে লোক জমে গিয়ছিল।  মমতা  লজ মোড় থেকে ডাকবাংলো মোড়ে পৌঁছে যাওয়ার পরেই তাঁর পিছু পিছু হাঁটতে থাকেন অপেক্ষায় থাকা মানুষজন। অমিত শাহের রোড শো- ঘনঘন উঠেছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। কিন্তু, এ দিন কোনও পাল্টা স্লোগান তোলা হয়নি। বরং  শঙ্খ ধ্বনি ও উলুর আওয়াজে মুখরিত হয়েছে চারপাশ। ছিল লোকসংস্কৃতির প্রদর্শন। বাউল-কীর্তনের সঙ্গে ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত।পদযাত্রা জুড়ে সামনে ছিল শান্তিনিকেতনী পোশাকে মহিলাদের ৮-১০ জনের দল। তাঁরা একটি লরিতে বসে সমানে রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে গিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথের ছবি ব্যবহার করে অমিতের রোড শো-এর আগে যে ফ্লেক্স পড়েছিল, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক বেধেছিল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় রবীন্দ্রনাথের ছবিতে কোথাও অনুব্রত বা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার হয়নি।বরং ‘যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক, আমি তোমায় ছাড়ব নামা’, ‘আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’, ‘সভ্যতা সংস্কৃতির দ্বারে আমি যেন ফিরে আসি বারে  বারে’ অথবা ‘আমার সোনার বাংলা... ’—কবিগুরুর ছবির উপরে এমন সব গানের কলি ব্যবহার করে কোথায় যেন গেরুয়া শিবিরকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তারা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
পদযাত্রার অনেকটা সময় মমতার হাতে ছিল রবীন্দ্রনাথের একটি ছবিও।
গ্লোবাল থিংক ট্যাঙ্ক ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড রিসার্চ  (CEBR) এবার ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে বড় খবর দিল। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সালে ব্রিটেনকে পিছনে ফেলবে।

২০২৭ সালে ভারতের অর্থনীতি জার্মানিকে পিছনে ফেলবে। ২০৩০ সাল নাগাদ ভারত জাপানকেও পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।
বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারতীয় অর্থনীতিতে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি হবে। ২০২২ সালে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
করোনা চিনর জন্য বরদান হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ড্রাগনের দেশ বিশ্বের সব থেকে বড় অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে পারে।

আমেরিকার অর্থনীতি এখনও ধুঁকছে। ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতিতে ১.৯ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

বছর পাঁচেকের মধ্যে আমরিকাকে টপকে চিন বিশ্বের সব থেকে বড় অর্থনীতির দেশ হতে পারে। বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে।
কিছুদিন আগে লিওনেল মেসি নিজেই জানিয়েছিলেন, বয়স প্রভাব ফেলছে তাঁর খেলায়। আর কয়েক বছর পরে হয়তো তাঁকে ফুটবলার হিসেবে আর মাঠে দেখা যাবে না।
ফুটবল থেকে সরে গেলে কি কোনও ভাবে তাঁকে কোচ হিসেবে সাইডলাইনে দেখা যাবে? এমন সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিলেন মেসি। জানালেন, কোচিংয়ে আসার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। বরং তিনি ইচ্ছুক স্পোর্টিং ডিরেক্টরের মতো কোনও ভূমিকা নিতে।স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘লা সেক্সতা’য় এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘‘আমি মোটেই ভবিষ্যতে নিজেকে কোচ হিসেবে দেখি না। বরজং কোনও ক্লাবে স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত হয়ে ফুটবলারদের তুলে আনতে চাই।’’
উল্লেখ্য, গত বছর এক সাক্ষাৎকারে কোচিংয়ে না আসার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোও।তবে ভবিষ্যতে কী হতে পারে সেটাও উড়িয়ে দেননি। কিন্তু মেসির নিজের বক্তব্যে সোজাসাপ্টা নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

মন্দিরে হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী। ওই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে পুঞ্চে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে।

রবিবার পুঞ্চের পুলিস সুপার রমেশ কুমার আঙ্গরাল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই ৩ জন পুঞ্চের(Poonch)মেন্ধার এলকায় একটি মন্দিরে গ্রেনেড হামলার ছক কষেছিল। তাদের পাকিস্তানি সহযোগীদের পরিকল্পনা মাফিক তারা ওই কাজ করতে যাচ্ছিল। তাদের চালনা করা হচ্ছিল বালাকোট থেকে।

শনিবার সন্ধে ৮টা নাগাদ মান্ধারের গুলহুটা গ্রামের মুস্তাফা ইকবাল খান ও মুর্তাজা ইকবাল খান নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। এরা দুজন সম্পর্কে ভাই। এদের কাছ থেকে ৬টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।

পুঞ্চের বাসুনিতে ৪৯ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদর দফতরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই তারা জানায়, এলাকার আরি গ্রামের একটি মন্দিরে গ্রেনেড হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের। ওই দুজনের ফোনে পাকিস্তানের(Pakistan) নম্বর থেকে কল আসার রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, মন্দিরে কীভাবে গ্রেনেড হামলা চালাতে হবে তার একটি ভিডিয়ো ক্লিপিংসও মিলেছে বলে পুঞ্চের পুলিস সুপার জানিয়েছেন।

ধৃত মুস্তাফা ইকবাল খান জেরায় কবুল করেছে সে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। ইয়াসিন আহমেদ নামে তার এক সহযোগীর নামও সে কবুল করেছে। তাকেও গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আবারও 'সৌজন্য সাক্ষাৎ'! এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যেতে পারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)। একটি সূত্র উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা IANS জানাচ্ছে, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শাহের সঙ্গে সৌরভের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রয়াত অরুণ জেটলি (Arun Jaitley) দীর্ঘদিন দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (DDCA) সভাপতি ছিলেন। জেটলির মূর্তি বসতে চলেছে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে। উদ্যোক্তা, DDCA-ই। সংবাদ সংস্থা IANS-র সূত্র জানাচ্ছে, জেটলির ওই মূর্তির আবরণ করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজেজু (Kiren Rijiju), হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri), অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। আর সেই মঞ্চে দেখা যেতে পারেন BCCI-র সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Sourav Ganguly)! থাকতে পারেন জাতীয় দলের আরও দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) ও বীরেন্দ্র সেহবাগও (Virender Sehwag)। গৌতম গম্ভীর আবার পূর্ব দিল্লির বিজেপি (BJP) সাংসদও বটে।

উল্লেখ্য, খেলার ছাড়ার পর এবার কি তাহলে রাজনীতিতে? সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে (Sourav Ganguly) নিয়ে জল্পনা নতুন নয়। বলা ভালো, একুশের নির্বাচনে আগে রাজনৈতিক আলোচনা কিন্তু বারবারই উঠে আসছে সৌরভের নাম। তিনি নিজে কি বলছেন?  এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আবার সম্ভাবনাটি যে পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন, এমনটাও নয়। তাহলে? জল্পনা রয়েই গিয়েছে। দিন কয়েক যখন দু'দিনের সফরে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), তখন Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি খোলাখুলি জানিয়েছেন, বাংলায় দুশোরও বেশি আসনে জিতবে বিজেপি। ভূমিপুত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে কি 'দুই-দুইয়ে চার'ই হতে চলেছে? কারণ, সৌরভ তো শুধু বাংলার ভূমিপুত্রই নন, বাঙালির কাছে  আবেগ।

এই পরিস্থিতিতে আবার রবিবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar) সঙ্গে 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' করতে রাজভবনে যান সৌরভ (Sourav Ganguly)। দু'জনের মধ্যে বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। বৈঠক শেষে সৌরভ বলেন, 'রাজ্যপাল কখনও ইডেন গার্ডেন্স দেখেননি। পরের সপ্তাহে ওঁকে ইডেনে নিয়ে যাব।' তিনি আরও জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর অন্যত্র দেখা হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনও রাজভবনে আসেননি। একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ এটি।' এই সাক্ষাৎ নিয়ে কোনও জল্পনা করতে নিষেধ করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেকথা শুনছে কে! বরং ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে বিজেপি যোগ গিয়ে জল্পনা বাড়ছে উত্তরোত্তর। 
নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে জেনে নিন ব্যঙ্ক ছুটির তালিকা। কারণ, ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে পণ্ড হয়ে যায় অনেক দরকারি কাজ। ব্যাঙ্ক বন্ধের দিন জানা না থাকলে রেকারিং ডিপোজিট, টাকা তোলা, লোন ট্রান্সফারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে যায়। শনি রবি সঙ্গে ছুটি মিলিয়ে নতুন বছরে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে প্রায় ৫৩ দিন।
জানুয়ারিতে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ১,২, ১১, ১৪, ২৩, ২৬ তারিখ। নতুন বছরের ছুটি, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার, সঙ্গে রবিবার।
ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ থাকবে ১৩,১৬,২৭ ফেব্রুয়ারি।   এই মাসে থাকছে সরস্বতী পুজোর ছুটি।
মার্চে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে ১১,১৩,২৭,২৯। দুই শনিবারের সঙ্গে থাকছে মহাশিবরাত্রি, হোলি ও দোলের ছুটি।এপ্রিলে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে, ২,৪,১০,১৪,২১,২৫ তারিখে। রয়েছে গুড ফ্রাইডে, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখী জয়ন্তী, মহাবীর জয়ন্তী, আর থাকবে দুই শনিবারের ছুটি।
মে মাসে মে দিবস, ইদ-উল-ফিতরের জন্য ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে দুদিন। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার মূল তারিখগুলি হল ১,৪,১২,২২।
জুলাই মাসে বকরি-ইদ এবং দুই শনিবার, এই তিনদিন বন্ধ থাকবে ব্য়াঙ্ক। তারিখগুলি ১০,২০,২৪।
আগস্ট মাসে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ১০,১৪,১৫,২২,২৮,৩০ তারিখ। এই মাসে রয়েছে স্বাধীনতা দিবস, রাখিবন্ধন, জন্মাষ্টমী, মহরম এবং দুটি শনিবার।সেপ্টেম্বরে শনি রবি ছাড়া রয়েছে গণেশ চতুর্থীর ছুটি।
অক্টোবরে শুরুতে ২ অক্টোবর গান্ধি জয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি। পুজোর জন্য বন্ধ থাকবে ১৩, ১৪, ১৫। ১৮ অক্টোবর ইদ ই মিলানের ছুটি। ২৩ ডিসেম্বর রয়েছে চতুর্থ শনিবার। অর্থাৎ অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ প্রায় বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।
প্রায় ঘণ্টাদু'য়েকের বৈঠক সেরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়ে কোনও রকম 'স্পেকুলেশন' করতে নিষেধ করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি।

রবিবার সন্ধেবেলায় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
এই সাক্ষাৎকার নিয়ে সৌরভকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'রাজ্যপাল কখনও ইডেন গার্ডেন্স দেখেননি। পরের সপ্তাহে ওঁকে ইডেনে নিয়ে যাব।' তিনি আরও জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর অন্যত্র দেখা হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনও রাজভবনে আসেননি। একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ এটি। পরে এক প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, রাজ্য়পালের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ নিয়ে যেন কোনও জল্পনা না করা হয়। 
করোনার নয়া ‘ব্রিটেন স্ট্রেন’ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই সোমবার থেকে দেশের ৪ রাজ্যে শুরু হল করোনা টিকার ড্রাই রান। যার অর্থ টিকা সংরক্ষণ থেকে তা প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া। এর পর দেখা, এই সময়ের ব্যবধানে টিকা ঠিক থাকছে কি না ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব, গুজরাত এবং অসমের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সোমবার এবং মঙ্গলবার, এই দু’দিন ধরে চলবে ওই পরীক্ষা।  সেই সঙ্গে কিছু মানুষের টিকাকরণও হবে। টিকাকরণের পর কী কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, মূলত তা খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে নজর দেওয়া হবে টিকা সংরক্ষণ থেকে বিভিন্ন এলাকায় টিকা নিয়ে পরিবহণের বিষয়টিতেও।
উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম— দেশের ৪টি অংশের ৪ রাজ্যের ২টি করে জেলায় চলবে পরীক্ষা। ৪ রাজ্যই তাদের পরীক্ষালব্ধ রিপোর্ট পাঠাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে। জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা, পঞ্জাবের লুধিয়ানা, শহিদ ভগৎ সিংহ নগর, অসমের শোণিতপুর এবং নলবাড়িতে হতে চলেছে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
করোনা টিকা হাতে এলে প্রথম ধাপে অন্তত ৩০ কোটি মানুষের টিকাকরণ হবে বলে কেন্দ্রের পরিকল্পনা।তার আগে জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন দিক উপযুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ। জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির মতে, প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন এমন প্রায় ২ কোটি কর্মী ও তার সঙ্গে নির্দিষ্ট বয়সের ২৭ কোটি মানুষকে প্রথম ধাপে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে।  ফসলের ন্যূনতম মূল্যের(MSP) আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে। এমন অনড় অবস্থান নিয়েই আগামী ২৯ ডিসেম্বর কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন কৃষকরা।

প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক দিনে বারে বারেই বলছেন, নয়া ৩ কৃষি আইন(Farm Laws) কৃষক স্বার্থের কোনও ক্ষতি করবে না। তাঁদের MSP বজায় থাকবে, মান্ডি থাকবে। তাঁর যেখানে বেশি দাম পাবেন সেখানেই ফসল বিক্রি করুন। মান্ডিতে বিক্রি করুন, রাজ্যের বাইরে বিক্রি করুন কিংবা কোনও ব্যসবায়িক প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করুন, কোনও সমস্যা হবে না। এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিরেধীরা।
এরকম এক পরিস্থিতিতে শনিবার কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব নিয়ে সিংঘু সীমান্তে বৈঠকে বসেন ৪০ কৃষক সংগঠনের নেতারা। সেখানে  ঠিক হয় আগামী ২৯ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। তবে কীভাবে ওই আইন প্রত্যাহার করা হবে, এমএসপির গ্যারান্টি কীভাবে সরকার দেবে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

কৃষক নেতা দর্শনপাল সিং শনিবার বলেন, আাগামী ৩০ ডিসেম্বর কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ট্র্যাক্টর Rally করবে কৃষকরা। এটি হবে কুন্ডলি- মানেশ্বর-পালওয়াল হাইওয়েতে। সবাইয়ের কাছে অনুরোধ, এবছর নববর্ষ পালন করুন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে।
আগামিকাল বীরভূম সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। আগামিকাল সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। তার পরদিন মঙ্গলবার বোলপুর শহরে মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই ফের প্রতিবাদে মুখর বোলপুরের শিবপুর এলাকার জমিহারা কৃষকরা। শিল্পের দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।

উল্লেখ্য, বীরভূমের বোলপুরের শিবপুর এলাকায় ৩০০ একর জমিতে সিপিআইএম আমলে শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। তারপর তৃণমূল আমলে সেখানে শিল্পের বদলে গড়ে ওঠে গীতবিতান টাউনশিপ ও বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। আর মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই সেই বিক্ষোভ আরও জোরালো হল। শিল্পের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। 

আজ সকালেই শিবপুরের জমির এলাকায় জমিহারা কৃষকরা পোস্টার দেন। পোস্টার দেয় শিবপুর জমিহারা কৃষক মঞ্চ। কৃষকদের দাবি, এই জমি শিল্পের জন্য নেওয়া হয়েছিল, তাই শিল্প-ই করতে হবে। আর না হলে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে এলে তাঁর সাথে দেখা করারও আবেদন করেছেন এই কৃষকেরা। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি মানা না হলে, মুখ্যমন্ত্রীর সামনেও বিক্ষোভ দেখানোর হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা।
কমলালেবু খেতে ভালোবাসেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন! স্বাদে তো বটেই, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার! আর রূপচর্চা? হ্যাঁ, সেটাও বিলক্ষণ হতে পারে কমলালেবু দিয়ে! কমলালেবুর রস, খোসা, শাঁস, সব কিছুই আপনার রূপচর্চার কাজে লাগতে পারে! অবাক হচ্ছেন?
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শীত যত এগিয়ে আসছে, রোদ্দুরের রং যতই কমলা রঙের হয়ে উঠছে, ততই বাজারে জাঁকিয়ে বসছে কমলালেবু! খাতায়-কলমে এখনও শীত আসতে বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও বাজারে কমলালেবুর কমতি নেই! দার্জিলিং লেবু এখনও এসে পৌঁছোয়নি বটে, তবে নাগপুরি কমলালেবুতে ছেয়ে গেছে বাজার, আর সেই লেবুর গন্ধ মেখে শীত শীত আমেজটাও শুরু হয়ে গেছে। শীতের পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া, রোদ পোয়ানো, সব কিছু জুড়েই কমলালেবুর উপস্থিতি!ব্রণ কমায়
ব্রণের সমস্যা দূর করতে কমলার রসের সাইট্রিক অ্যাসিডকে কাজে লাগান। আঙুলে করে একটু কমলার রস নিয়ে ব্রণর উপরে ঘষে দিলেই শুকিয়ে যাবে ব্রণ, ত্বক হয়ে উঠবে পরিষ্কার, ঝকঝকে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
ত্বকের রং উজ্জ্বল করে
এক চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়া নিন, তাতে মেশান দুধের সর বা টক দই। এই মিশ্রণটা মুখে ফেস প্যাকের মতো করে মেখে বিশ মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। মুখে চটজলদি ফর্সাভাব আনতে আর কালো দাগছোপ হালকা করতে এই ফেসপ্যাকটি দারুণ কাজ করে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
ত্বক সতেজ করে
মুখের খোলা রোমছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য নিন কমলার রসের। মুখে খানিকটা কমলার রস মেখে দুই-তিন মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে চেপে চেপে ধুয়ে নিন। ত্বক মুহূর্তেই সতেজ হয়ে উঠবে। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।মুখের মৃত কোষ দূর করে
কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে গ্রাইন্ডারে দিয়ে একটু মোটা দানার পাউডার করে নিন। পরিমাণমতো এই পাউডার নিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা মুলতানি মাটি আর মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। সারা মুখে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে আলতো হাতে স্ক্রাব করুন। এরপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে মুখ। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার।
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না
কমলায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডান্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককে ফ্রি র্যাডিকালের হামলা থেকে রক্ষা করে, কাছে ঘেঁষতে দেয় না বলিরেখা ও বয়সের দাগ। কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন, তারপর জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটি আমার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু এর বাইরেও এটি আরও অনেক কাজে লাগে। যেমন আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার। কমলার রসে রয়েছে সিট্রিক অ্যাসিড যা প্রাকৃতিক ব্লিচ উপাদান হিসেবে কাজ করে। তাই রোদপোড়া ত্বকের যত্নে এই রস বেশ কার্যকর। বরফ জমানোর ট্রে’তে তাজা কমলার রস রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে ঘরে ফিরে ওই বরফ ত্বকে ঘষুন।