January 2025

অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সমীরবাবু। তিনি বলছেন, “ছেলেটাকে তো ভয় দেখাতো, ভিডিয়ো রেকর্ডও করেছে ওই সব কাজের। কয়েকটা জায়গায় ছেলেটাকে ঘুরতেও নিয়ে যায়। নানা প্রলোভনও দেখায়। ওই কাজে রাজি না হলেই দেওয়া হতো হুমকি।”


মুখে পুরুষাঙ্গ, ভাসুরের বছর ষোলোর ছেলেকে দিয়ে টেপাতেন কোমর, বাগদার কাকিমাকে যেতে হল জেলে
অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা


ভাসুরের নাবালক ছেলের সঙ্গে দিনের পর দিন কুকর্ম। ভিডিয়ো তুলে রেখে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। ঘুরতে নিয়ে গিয়েও লাগাতার প্রলোভন। যৌনক্রিয়ায় রাজি না হলে শেষ পর্যন্ত বাবা-মাকে ভিডিয়ো দেখিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকায়। অবিযোগ নিজের কাকিমার বিরুদ্ধে। নাবালকের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই বছর ৩৫ এর ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। 


এদিনই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। তাঁর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছেন নাবালকের মা তাতে ঘটনার বিশদ বিবরণও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দায়ের হয়েছিল এফআইআর। বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলছেন, “নাবালকের মা বলেছেন আমার জা আমার নাবালক ছেলেকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেছে। এমনকী ওর পুরুষাঙ্গ মুখের মধ্যে দিয়ে ছবিও তুলেছে। ছেলেটাকে বডি ম্যাসাজ করিয়েছে। সেই সব ছবিও তুলে রেখেছে। রোজ যৌন সম্পর্ক না রাখলে ছবি মা-বাবাকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি। ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি। ভয়ে দিনের পর দিন একই কাজ করে যেতে বাধ্য হয়েছে ছেলেটা।” 


অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সমীরবাবু। তিনি বলছেন, “ছেলেটাকে তো ভয় দেখাতো, ভিডিয়ো রেকর্ডও করেছে ওই সব কাজের। কয়েকটা জায়গায় ছেলেটাকে ঘুরতেও নিয়ে যায়। নানা প্রলোভনও দেখায়। ওই কাজে রাজি না হলেই দেওয়া হতো হুমকি। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমরা চাইব এই ধরনের মহিলাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়। কোর্টে মেডিকেল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে। ছেলেটির বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। অভিযুক্তের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন পকসো আদালতের বিচারক।”  

ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সঞ্জু যে সুযোগ পাবেন না, তেমনটাই বলা হচ্ছিল। হলও সেটাই। কী কারণে কোপ পড়ল সঞ্জুতে?


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার স্পিনারের 'কোপে' সঞ্জু স্যামসন?


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার স্পিনারের 'কোপে' সঞ্জু স্যামসন?


সেখানে যেন হঠাৎই পড়ল কোপ! শেষ বার ওডিআইতে পার্লে ১০৮ রানের ইনিংসে মুক্তো ছড়িয়েছিলেন কেরলের উইকেটকিপার ব্যাটার সঞ্জু। যদি তাঁর খেলা শেষ টি-২০ ম্যাচের কথাও বলা হয়, নজরে পড়বে জো’বার্গে রয়েছে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তিনি যে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার ব্যাটার নন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে তাঁকে টিমে নিলে স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে খেলাতে হবে। সেক্ষেত্রে টিম কম্বিনেশন ঘেঁটে যেতে পারে। এই তত্ত্ব উঠে আসছে ক্রিকেট মহলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সঞ্জু যে সুযোগ পাবেন না, তেমনটাই বলা হচ্ছিল। হলও সেটাই। কী কারণে কোপ পড়ল সঞ্জুতে? আসন্ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ জনের যে স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে তাতে রয়েছেন চার স্পিনার। তাই কি শিকে ছিঁড়ল না সঞ্জুর?

গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় টিমের স্ট্যান্ডবাইতে ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। খেলার সুযোগ পাননি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে ভারতের প্রথম পছন্দ ঋষভ পন্থ। এ ছাড়াও টিমে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। ফলে সঞ্জুকে টিমে নেওয়া হলে হয়তো রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটাতে হত। এ ছাড়াও ভারতের ১৫ সদস্যের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রয়েছেন ৪ স্পিনার। দুবাইতে স্পিনিং ট্র্যাকের কথা ভেবেই হয়তো চার স্পিনার নেওয়া হয়েছে ভারতীয় টিমে। কিন্তু চার স্পিনার ভারতের একাদশে হয়তো সুযোগ পাবেন না।




দেশের জার্সিতে ১৬টি ওডিআইতে খেলেছেন সঞ্জু স্যামসন। তাতে করেছেন ৫১০ রান। রয়েছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফসেঞ্চুরি। এ ছাড়া ভারতের জার্সিতে ৩৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন সঞ্জু। তাতে ৮১০ রান এসেছে তাঁর ব্যাটে। আছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফসেঞ্চুরি। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ বার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফিতে খেলেছেন সঞ্জু। কেরলের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির স্কোয়াডে সুযোগ পাননি। প্রথমে তিনি কেরলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে পারবেন না বলে মেইল করেছিলেন কেরল ক্রিকেট সংস্থাকে। এরপর তিনি বিজয় হাজারে ট্রফির আগে তাঁর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে জানিয়ে দেন, তিনি দল বাছাইয়ের জন্য উপলব্ধ। এরপরও তাঁকে কেরলের বিজয় হাজারে টিমে নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন সঞ্জু ভারতের হয়ে টি-২০ ফর্ম্যাটেই আটকে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ টিমেও সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ওডিআইতে তিনি আরও একবার ব্রাত্যই রইলেন।

এই সেতু পোক্ত করার অভিযানে নেমে প্রথমে বেশ কিছু ভারতীয় উদ্য়োগপতি ও শিল্পপতিদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্কের সেতুকে আরও জোরালো করতে চান তিনি।


চলল বৈঠক! ইলনের সঙ্গে দেখা করতে হঠাৎ কেন ছুটে গেলেন ভারতীয় শিল্পপতিরা?
ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় উদ্যোগপতিরা


 ইলন মাস্কের হাত ধরে নতুন করে গতি পেল ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। শুক্রবার টেক্সাসে স্পেস-এক্সের অন্দরে আয়োজিত একটি সভায় ভারতীয় উদ্যোগপতি ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বেশ অনেকটা সময়ই বৈঠক করলেন টেসলা কর্তা। মূলত দুই দেশের ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তিগত দিকগুলিকেই আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা হল এই বৈঠকে।


সম্প্রতি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় পর রিপাবলিকান নেতার ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পেয়েছেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি রয়েছে তাঁর নেতৃত্বেই। আর সেই পদের দায়িত্ব যেন আগেভাগেই পালন করতে শুরু করে দিয়েছেন টেসলা কর্তা, মত ওয়াকিবহাল মহলের। ভারতের সঙ্গে আমেরিকা ব্যবসায়িক সেতুকে আরও পোক্ত করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি।

এই সেতু পোক্ত করার অভিযানে নেমে প্রথমে বেশ কিছু ভারতীয় উদ্য়োগপতি ও শিল্পপতিদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্কের সেতুকে আরও জোরালো করতে চান তিনি।

এদিন মাস্ক বলেন, ‘এই বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতাগুলির মধ্য়ে ভারত অন্যতম। আর সেই প্রাচীনতম সভ্যতার দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতাগুলিকে একেবারের জন্য মুছে ফেলতে হবে। দুই দেশের মধ্যে বাড়াতে হবে বিনিয়োগ।’

ইলনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন যারা

বিশ্বের অন্যতম শিল্পপতির সঙ্গে বাণিজ্যিক বৈঠকে যোগ দিতে ভারত থেকে ছুটে গিয়েছিলেন উদ্যোগপতিদের একটি প্রতিনিধি দল। এসার ক্যাপিটালের কর্ণধার প্রশান্ত রুইয়া, কোটাক ব্যাঙ্কের জয় কোটাক, ওয়ো-র প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়াল, ফ্লিপকার্টের কর্মকর্তা কল্যাণ রানার মতো একাধিক বড় বড় শিল্পপতি ইলনের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলেন সেই বাণিজ্যিক বৈঠকে।
মোহনবাগানে বার্ষিক সাধারণ সভা। এর মাঝেই শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। সে কারণেই আহত হন সেই মহিলা সদস্য সুরভী দাস। যদিও সাধারণ সভায় এমন ঘটনা হয়েই থাকে এবং চেয়ার 'সৌজন্য'-এর কথাও তুলে ধরেন মোহনবাগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।


মোহনবাগানের সভায় ধুন্ধুমার, চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আহত মহিলা সদস্য বলছেন, 'আনসেফ'



বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় মোহনবাগানে। ময়দানে এমনটা নতুন নয়। তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি আহত মোহনবাগানেরই এক মহিলা সদস্য। যিনি নিজের ক্লাবেই ‘আনসেফ’ মনে করছেন। এ দিন ছিল মোহনবাগানে বার্ষিক সাধারণ সভা। এর মাঝেই শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। সে কারণেই আহত হন সেই মহিলা সদস্য সুরভী দাস। যদিও সাধারণ সভায় এমন ঘটনা হয়েই থাকে এবং চেয়ার ‘সৌজন্য’-এর কথাও তুলে ধরেন মোহনবাগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

মোহনবাগানে বার্ষিক সাধারণ সভায় সৃঞ্জয় বোসের বিরোধী শিবির নির্বাচনের দাবি তোলে। এরপরই শাসকগোষ্ঠী থেকে হই হট্টগোল। বিরোধীরা উই ওয়ান্ট ইলেকশন লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সৃঞ্জয় বোস বলেন, ‘২০২২ সালে নির্বাচন হয়নি।’ সভাপতি দেবাশিস দত্তর দাবি, বিরোধী শিবির যদি মনোনয়ন জমা না দেয় তা হলে কী করা যাবে। যার প্রেক্ষিতে সৃঞ্জয় বোস মনে করিয়ে দেন, বিরোধী শিবির থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হলেও তাঁকে প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছিল।

মূল দাবি ছিল, নির্বাচন হোক। শাসক শিবিরের তরফে যখন নির্বাচনের বিরোধীতা করা হয়, সেই সময় বিরোধী পক্ষও সরব হয় এবং শুরু হয়ে যায় দু-পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এই ঘটনাতেই মোহনবাগানের মহিলা সদস্য সুরভী আহত হন। হাতে, কোমরে চোট লেগেছে। সুরভী বলেন, ‘এজিএম চলাকালীন অনেকেই নানা বিদ্রুপ করছিলেন। এই ক্লাবের লনে বসে জায়ান্ট স্ক্রিনে বহু ম্যাচ দেখেছি। আজকে যা পরিস্থিতি হল তাতে আমার পরবর্তীতে ক্লাবে আসতে ভয় লাগবে। নিজেকে আনসেফ মনে করছি।’

অলিম্পিকের কয়েকদিন পর থেকেই নাকি পদকের বেহাল দশা। রঙ উঠছে। মরচে পড়ছে, কালো ছোপ পড়ছে। ব্রোঞ্জ মেডেলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।


পড়ছে মরচে, উঠছে রঙ! অলিম্পিকের মেডেলও ছাপ ফেলল 'কেলেঙ্কারি'?
অলিম্পিক মেডেল


এটা কি মেডেল কেলেঙ্কারি? নাকি অলিম্পিকে চুরিচামারি? দুটোই হয়তো ঠিক। দুটোই হয়তো সত্যি। অলিম্পিক শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই বড় অস্বস্তির মুখে প্যারিস অলিম্পিক কমিটি। পদক ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন খেলোয়াড়রা। একজন কিংবা দু’জন নয়, পাঠাচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মেডেলের ছবি দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।

কারণ, অলিম্পিকের কয়েকদিন পর থেকেই নাকি পদকের বেহাল দশা। রঙ উঠছে। মরচে পড়ছে, কালো ছোপ পড়ছে। ব্রোঞ্জ মেডেলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সোনা ও রূপোর মেডেলগুলোর অবস্থাও ভাল নয়। তাই, অলিম্পিক কমিটির কাছে পদক ফেরত পাঠানো শুরু করেছেন পদকজয়ীরা।

ফরাসি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১০৭ জনের পদক ফেরত এসেছে। এর মধ্যে কয়েকটার দশা খুবই খারাপ। ভারতের শ্যুটার মনু ভাকের এবার অলিম্পিকে জোড়া পদক পেয়েছেন। তিনি মেডেল ফেরত পাঠিয়েছেন। ভারতের আরও দুই পদকজয়ী মেডেল ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অস্বস্তিতে পড়ে অলিম্পিকের আয়োজকরা আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মানে, এমন ঘটনা ঘটলেই পদক বদলে নতুন পদক দেওয়া হবে। গত মাস থেকে নতুন পদক দেওয়া শুরুও হয়ে গেছে।

তবে, ফ্রান্সের মিডিয়ার একটা অংশ বলেই দিচ্ছে, এটা কেলেঙ্কারি। পদক কেলেঙ্কারি। যার দায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির। অলিম্পিক মেডেল নিয়ে এই অভিযোগ কোনওদিন ওঠেনি। বরং বহু বছর পরও পদকের ঔজ্জ্বল্য এতটুকুও কমে না। এটাই অলিম্পিক পদকের ট্র্যাডিশন। অলিম্পিক মেডেল তৈরির নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। আয়োজক দেশ নিজেদের ইচ্ছেমত পদকের ডিজাইন করতে পারে। কিন্তু সেটা করতে হবে অলিম্পিক সংস্থার গাইড লাইন মেনেই।

নিয়ম হল, আয়োজক দেশ অলিম্পিক সংস্থার কাছে ৩ ধরণের পদকের রেপ্লিকা জমা দেবে। সেখান থেকে একটা ডিজাইন চূড়ান্ত করবে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি কমিটি। পদকের গুণমান খতিয়ে দেখাটা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিরই দায়িত্ব। প্যারিস অলিম্পিকের মেডেল তৈরির দায়িত্বে ছিল মোনে দে প্যারিস নামে এক সংস্থা। ডিজাইন করেছিল বিশ্ববিখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড চ্যামেট। তারা কি নিয়ম মেনে মেডেল তৈরি করেনি? এই বারের মেডেলে মেশানো হয়েছিল, আইফেল টাওয়ারের ইম্পাতের অংশ। সেকারণেই কি কোনও সমস্যা হল? প্রশ্ন উঠছে একাধিক।

তবে দুনিয়ার তাবড় ইঞ্জিনিয়াররা সেটা মানছেন না। তাঁদের বক্তব্য, সেটা হলে সব পদকে একই সমস্যা হত। কিন্তু এখানে বিভিন্ন পদকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তা হলে? প্যারিসের এক নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার দাবি, ‘মেডেলে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার জন্যই হয়তো সমস্যা হচ্ছে। আমরা একটিই মেডেল পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছি। এর ভিত্তিতে আমাদের এমনই ধারণা।’

অ্যাটাক সাবমেরিন ও ডেস্ট্রয়ারের কাজ তাদের নামেই স্পষ্ট। ফ্রিগেটের বিষয়টা একটু আলাদা। এক কথায় বলতে গেলে বড়কর্তার দেহরক্ষী। বড় যুদ্ধজাহাজকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এমন এক জাহাজ, যে কিনা একইসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে।


চিনের বাড়াবাড়ি আর সহ্য নয়! আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় নৌসেনা
প্রতীকী ছবি


গল্পের তিন চরিত্র – ফ্রিগেট INS নীলগিরি, ডেস্ট্রয়ার INS সুরাত আর অ্যাটাক সাবমেরিন INS ভাগশির। তিন ধরণের রণতরী, আলাদা, আলাদা কাজ। বুধবার মুম্বইয়ে ৩টি রণতরী নৌসেনার হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে এই প্রথমবার একইসঙ্গে ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার এবং অ্যাটাক সাবমেরিন কমিশনড হল।

অ্যাটাক সাবমেরিন ও ডেস্ট্রয়ারের কাজ তাদের নামেই স্পষ্ট। ফ্রিগেটের বিষয়টা একটু আলাদা। এক কথায় বলতে গেলে বড়কর্তার দেহরক্ষী। বড় যুদ্ধজাহাজকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এমন এক জাহাজ, যে কিনা একইসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। সাবমেরিন চিহ্নিত করা, জলের নীচে বিস্ফোরক খুঁজে ধ্বংস করা, যুদ্ধবিমানকে হিট করা-এমন আরও অনেক কিছু। ভারত এই প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে কোনও অত্যাধুনিক ফ্রিগেট তৈরি করল।

শুরু ২০১৬ সালে। সেই সময়ে কেন্দ্রের কাছে একটা আবেদন রাখেন তত্‍কালীন নৌ-সেনা প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছি ঠিকই। আমাদের যুদ্ধজাহাজগুলো নামে অত্যাধুনিক হলেও কাজে অত্যাধুনিক নয়। অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজের আর্মামেন্ট বা অস্ত্রশস্ত্র বহনের ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়া উঠিত। আমরা সেইদিক থেকে পিছিয়ে।’

উল্লেখ্য, আধুনিক যুদ্ধজাহাজগুলো অন্তত ৮ রকমের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে পারে। নানা ধরণের মিসাইল ও বোমা, টর্পেডো, জলের নীচে বিস্ফোরণ ঘটানোর মত প্রযুক্তি-সহ আরও অনেক কিছু থাকা দরকার। সবচেয়ে বড় কথা, থার্ড ডাইমেশনাল অ্যাটাকের ক্ষমতা থাকলে তবেই তাকে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ বলা যায়। নৌ-সেনা প্রধানের অভিযোগের পরের বছরেই শুরু হয় প্রজেক্ট থ্রিসিসি। অর্থাত্‍ একই সঙ্গে অত্যাধুনিক ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার ও অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি করা যা অত্যাধুনিক অস্ত্র বহনের উপযোগী হবে। কিন্তু, সেই উদ্দেশ্য কি পূরণ হল?

নৌ-সেনার অবসরপ্রাপ্ত সদস্য অলোক বনশল বলছেন, ‘অবশ্যই হল। এবং ভারত অনেক কম টাকায় ও নিজস্ব প্রযুক্তিতে সেই কাজ করল। তিন বন্ধু জলে থাকা মানে দেশের একটা অংশে জলসীমা পুরোপুরি সুরক্ষিত। একজন ফেল করলেও অন্যজন সেই অভাব ঢেকে দেবে।’

তাঁর আরও দাবি, ‘এটাও একটা ধরণের নতুন কৌশল। যা ভারতের থেকে শিখে অন্য দেশগুলোও কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। নৌ-সেনা কখনই যুদ্ধজাহাজের খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ করে না। আমি শুধু বলতে পারি, ভারতের হাতে আসা আইএনএস ভাগশির দুনিয়ার যে কোনও উন্নত সাবমেরিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। ৩টি জাহাজেই উন্নত মিসাইল সিস্টেম রয়েছে।’

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নৌসেনায় কমিশনড হয় আইএনএস ইম্ফল। তার আগের বছর কমিশনড হয় আইএনএস মার্মাগাঁও। গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার বন্দর শহর কালিনিনগ্রাদে সেনার হাতে আইএনএস তুশিল তুলে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মাল্টি রোল, স্টেলথ ফ্রিগেট ক্যাটিগরির রণতরী। বিশ্বজুড়ে সামরিক মহড়া শেষ করে ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ফিরবে আইএনএস তুশিল। ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরে ২৬টি রাফাল-এম বা মেরিন রাফাল কেনার চুক্তি হতে চলেছে। দু-দিন আগে যাতে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এখন শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষা।



এখানেই শেষ নয়, পরীক্ষা শেষে ফের অধ্যক্ষের সামনেই মালদার ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় বালুরঘাট কলেজের ছাত্ররা বলে দাবি। খোদ অধ্যক্ষ বালুরঘাট কলেজের ছাত্রদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেন।


টুকলি নিয়ে গন্ডগোল, মালদহ ও বালুরঘাটের ছাত্ররা জড়াল মারামারিতে
কলেজে উত্তেজনা


বালুরঘাট কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মালদহর এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ বালুরঘাট কলেজে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে ঘটনায় চাঞ্চল্য বালুরঘাট কলেজে। নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা চলাকালীন নকল করার অভিযোগ মালদার এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নকলে বাধা দেয় বালুরঘাট কলেজের পড়ুয়া ও বহিরাগতরা। সেই নকলকে কেন্দ্র করে বালুরঘাট ও মালদার ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বালুরঘাট কলেজ চত্বরে।

অভিযোগ, প্রথমে মালদার ছাত্রদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা বালুরঘাট কলেজের ছাত্রদেরকেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন অল্পবিস্তর আহত হয়েছে। একজনের হাত কেটে রক্ত বেরিয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন প্রথমে ওই সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ড। খোদ কলেজের অধ্যক্ষ ওই গোলমাল থামিয়ে ফের ওই মালদা কলেজের ছাত্রদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন অধ্যক্ষ।

এখানেই শেষ নয়, পরীক্ষা শেষে ফের অধ্যক্ষের সামনেই মালদার ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় বালুরঘাট কলেজের ছাত্ররা বলে দাবি। খোদ অধ্যক্ষ বালুরঘাট কলেজের ছাত্রদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেন। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বালুরঘাট কলেজের ওই ছাত্ররা তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই সদস্য বলে জানা গিয়েছে। পরীক্ষা দিতে আসা ভিন জেলার ওই ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষা মহল। ঘটনা তদন্তে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, “আমি ঝামেলার কথা শুনে আমাদের পড়ুয়াদের বের করি। কথা কাটাকাটির সঙ্গে দেখলাম মারধরের সময় হাত কেটে দিয়েছে। তারপর সে পরীক্ষাও দেয়। পরীক্ষা শেষের পরও ফের ঝামেলা হয়। পুলিশও ছিল।”



এ দিন, তিলোত্তমার পরিবার আরও একজনের উপর নতুন করে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তিনি হলেন ভিপি। অর্থাৎ নির্যাতিতার শিক্ষক। মৃত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা বলেন, "আমার মেয়ের ডায়রির পাতা ছেড়া হয়েছে। এর মানে কী? আমার মেয়েকে গোল্ড মেডেল পেতে দেবে না।"


আমার মেয়ে মারা যাওয়ার আগে লিখে গিয়েছে...', 
 এক্সক্লুসিভ বলেই দিলেন তিলোত্তমার বাবা
তিলোত্তমার বাবা কী বললেন?

 তিলোত্তমা যে ডায়রি লিখতেন সে কথা আগেই জানা সকলের। ঘটনার আগের দিনও তিনি ডায়েরি লিখেছিলেন তেমনটা বারেবারে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। শনিবার টিভি ৯ বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিলোত্তমার বাবা জানালেন, ওই ডায়রির পাতায় তাঁদের মেয়ে কী কী লিখতেন। এমনকী, ডায়রির পাতা ছেঁড়া হয়েছে বলেও বললেন, মৃত জুনিয়র ডাক্তারের বাবা। যারা ছিড়েছে তাদের উপর যে সন্দেহ রয়েছে, সে কথাও বলেছেন মৃতার বাবা। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে ডাইরি লিখত। মারা যাওয়ার আগেও লিখে গিয়েছে, আমায় এমডি-তে গোল্ড মেডেল পেতে হবে, মা-বাবাকে ভাল রাখতে হবে…”


এ দিন, তিলোত্তমার পরিবার আরও একজনের উপর নতুন করে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তিনি হলেন ভিপি। অর্থাৎ নির্যাতিতার শিক্ষক। মৃত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা বলেন, “আমার মেয়ের ডায়রির পাতা ছেড়া হয়েছে। এর মানে কী? আমার মেয়েকে গোল্ড মেডেল পেতে দেবে না। যিনি ভিপিআমার মেয়ের থিসিস আর একটি ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন। আমার মেয়ে বিষয়টি সেই ভাবে নেয়নি। এর মধ্যে কী রহস্য ছিল সেটা ভিপি বলতে পারবেন। ১৬৩ দিন পরও এই ভিপি আমার সঙ্গে কথা বলেনি। যাঁরা মেয়ের সঙ্গে আগের রাতে ছিল তাঁরাও যোগাযোগ করেনি। ইনিও করেননি। এখন তো এর প্রতিও আমার সন্দেহ রয়েছে।”

উল্লেখ্য, এ দিন নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে এই সিভিক ভলান্টিয়রকে। সোমবার হবে সাজা ঘোষণা। সেই সময় দাঁড়িয়ে বিচারক যখন তাঁকে কী কী শাস্তি হতে পারে? তখন সিভিক আচমকা ফের বলে, “আমায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের গলায় মালা ছিল। সেটা ধস্তাধস্তিতে ছিঁড়তে পারে। সেটা পাওয়া গেল না কেন?” সঞ্জয়ের মুখে এই রুদ্রাক্ষের প্রসঙ্গ উঠতেই ফের তৈরি হয় জল্পনা।





গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে 'তিলোত্তমা'-র দেহ উদ্ধার হয়। ১৬২ দিন পর ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষীসাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত।


১৬২ দিন, কোন পথে এগোল তিলোত্তমাকাণ্ড?
আরজি কর কাণ্ডে ১৬২ দিন

রাত দখল। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন। আমরণ অনশন। গত ১৬২ দিন ধরে আরজি কর কাণ্ডে উত্তপ্ত হয়েছে বাংলা। রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে শনিবার ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে দোষীসাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। সোমবার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তার আগে দেখে নেওয়া যাক আরজি কর কাণ্ডে এই ১৬২ দিনের ঘটনার পরম্পরা।

অগস্ট ৯: আরজি করের সেমিনার হল থেকে জুনিয়র ডাক্তার ‘তিলোত্তমা’-র দেহ উদ্ধার হয়।

অগস্ট ১০: ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।







সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে আক্রমণ, তেড়ে গেলেন ভারতীয়রা, সেল ফাটাল BSF
RG Kar Case: ‘মদ্যপান করত, কিন্তু…’, তিলোত্তমাকাণ্ডে কী বলছেন সিভিকের দিদি?
RG Kar Case: ‘মদ্যপান করত, কিন্তু…’, তিলোত্তমাকাণ্ডে কী বলছেন সিভিকের দিদি?
Lottery: লটারিতে ৮০ কোটি টাকা জেতার পর যুবক যা করলেন…, জিতে নিলেন হৃদয়
Lottery: লটারিতে ৮০ কোটি টাকা জেতার পর যুবক যা করলেন…, জিতে নিলেন হৃদয়
অগস্ট ১২: চাপের মুখে ইস্তফা দেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

অগস্ট ১২: পানিহাটিতে তিলোত্তমার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অগস্ট ১৩: তিলোত্তমাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

অগস্ট ১৪: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত দখলের ডাক। ওইদিনই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বহিরাগতদের তাণ্ডব।

অগস্ট ১৮: আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের সুপ্রিম কোর্টের।

অগস্ট ২০: রাজ্য সরকারের কাছে আরজি কর কাণ্ডে স্টেটাস রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট।

অগস্ট ২১: আদালতের নির্দেশে আরজি করের নিরাপত্তায় CISF মোতায়েন।

সেপ্টেম্বর ২: আরজি করে আর্থিক তছরুপ মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

সেপ্টেম্বর ১০: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের।

সেপ্টেম্বর ১২: নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক ভেস্তে যায়।

সেপ্টেম্বর ১৪: আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ১৪: আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।

সেপ্টেম্বর ১৪: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক ভেস্তে যায়

সেপ্টেম্বর ১৬: কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হয় বিনীত গোয়েলকে।

সেপ্টেম্বর ২০: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

অক্টোবর ৫: ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের

অক্টোবর ৭: আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতে প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেখানে প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই।

অক্টোবর ১৯: অনশনমঞ্চে মুখ্যসচিবের ফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ২১: নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার হয়।

অক্টোবর ২১: তিলোত্তমার বাবা-মার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

নভেম্বর ৪: ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠন সিবিআইয়ের।

নভেম্বর ১১: শিয়ালদহ আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু। ইন-ক্যামেরা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

ডিসেম্বর ১৩: ৯০ দিনের মধ্যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ না করায় তিলোত্তমাকাণ্ডে ধৃত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করে শিয়ালদহ আদালত।

জানুয়ারি ৯: সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে শুনানি শেষ। শুনানিতে মোট ৫০ জন সাক্ষ্যের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।

জানুয়ারি ১৮: ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষীসাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। আগামী ২০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস।

অন্যদিকে, অধীর বলেন, "অপরাধী একজন নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানেন,সিপি জানেন। কোর্ট কী করবে? তথ্য প্রমাণ যা থাকবে তার ভিত্তিতে সাজা দেবে। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ কিছু করেনি। সিবিআই গা ভাসিয়ে ছিল। পরিকল্পিত চক্রান্ত হয়েছে।


সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও 'খুশি' নন অধীর-বিকাশরা, কেন?
কী বললেন দুই রাজনীতিবিদ?


জ্যোতির্ময় কর্মকার ও হীরক মুখোপাধ্যায়

কলকাতা: শনিবার শিয়ালদহ আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে সিভিক ভলান্টিয়রকে। তবে একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছেন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অপরদিকে এই কথা বলছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

এ দিন বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “অন্য কেউ কিছু আশা করেনি। ক্লাস সিক্সের ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেও সেও এই কথাই বলত। সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করার মধ্যে কৃতিত্বের কিছু নেই। সিবিআই অন্য কাউকে ধরতে পারেনি। এটা সিবিআই-এর চূড়ান্ত ব্যর্থতা।”


অন্যদিকে, অধীর বলেন, “অপরাধী একজন নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানেন,সিপি জানেন। কোর্ট কী করবে? তথ্য প্রমাণ যা থাকবে তার ভিত্তিতে সাজা দেবে। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ কিছু করেনি। সিবিআই গা ভাসিয়ে ছিল। পরিকল্পিত চক্রান্ত হয়েছে। সন্তুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই। এটা ষড়যন্ত্র। আরও বড় মাথা আছে। সব মাথার একটাই ছাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাঁসির সাজা হতেই পারে। কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারলাম না।” সিবিআই-কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “সিবিআই-এর অদক্ষতা। উদাসীনতা আছে। পুলিশ তথ্য দেয়নি। পুলিশ সিবিআই একযোগে কাজ করত তাহলে এমন হত না।”

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলবে। তবে বেলা বাড়লেই আবার রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে।



ফের বৃষ্টি? জেনে নিন কী বলছে আবহাওয়া দফতর
কী বলছে আবহাওয়া দফতর?


কলকাতা: শীতের আমেজ বজায় থাকলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা এখনই নয়। বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অল্পবিস্তর কুয়াশার দেখা মিললেও আগামী ৫ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন হওয়া অফিসের কর্তারা। আকাশ মোটের উপর পরিষ্কারই থাকবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, হরিয়ানা এবং কেরল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে ১৮ জানুয়ারি শনিবার। পরের ঝঞ্ঝা ২২ জানুয়ারি। তবে তাতে যে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে এমনটা নয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী ৪ থেকে ৫ দিন একই থাকবে। 

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলবে। তবে বেলা বাড়লেই আবার রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে। কলকাতা-সহ বাকি জেলাতেও সকালের দিকে হালকা কুয়াশার দেখা মিলতে পারে।


দক্ষিণে হালকা হলেও উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা থাকছে। ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে ২০০ মিটারের নিচে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকছে। তবে সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও বড় বদল দেখা যাবে না বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। 

মামলার শুনানির সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মৃতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি কে নিয়েছিলেন, সেই সঠিক নথি দিতে পারেননি। সরকারি আইনজীবী ইমরান কাশেম এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল কবীর ধিরাজ দুজনেই স্বীকার করেন সাক্ষীর সময় চিকিৎসকের বয়ানে গাফিলতির কথা।


কাটোয়া:  জবানবন্দির নথি না থাকায় ও সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক সহ জুনিয়র চিকিৎসকদের গাফিলতিতে খুনের দায়ে অভিযুক্ত দশ জনকে বেকসুর খালাস করল ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক। রায় শোনাতে গিয়ে কাটোয়া মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্রাক এজলাসের মধ্যেই বিচারক বলেন,  “হাসপাতালের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে মৃতা পাপিয়া বিবি বিচার পেলেন না। এই ধরনের গাফিলতি যেন পুনরায় না হয়।” সেজন্য রায়ের প্রতিলিপি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠিয়েছেন।

মামলার শুনানির সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মৃতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি কে নিয়েছিলেন, সেই সঠিক নথি দিতে পারেননি। সরকারি আইনজীবী ইমরান কাশেম এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল কবীর ধিরাজ দুজনেই স্বীকার করেন সাক্ষীর সময় চিকিৎসকের বয়ানে গাফিলতির কথা। বধূহত্যা মামলায় স্বামী ননদ-সহ ১০ অভিযুক্তকে খালাস দিতে গিয়ে ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক মন্তব্য করেন।

২৫ নভেম্বর ২০১০ সালে কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামে গৃহবধূ পাপিয়া বিবি আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাপিয়া জানিয়েছিলেন, যে তাঁকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন গায়ে কেরসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ২৯ নভেম্বর পাপিয়ার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসক পাপিয়ার বেড টিকিটে হোমিসাইড অর্থাৎ খুন করা হয়েছে লিখলেও জবানবন্দিকে নিয়েছিল সেই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম বা মূল জবানবন্দির কপি আদালতকে দিতে পারেননি।


পুলিশ জানিয়েছে, অজয়ের বোন দুর্গাবতী ওরফে গুড্ডি সিং ২০২০ সালে মে মাসে বানথারা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, অজয়, রূপা এবং তাঁদের নাবালক সন্তান মিলে পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করেন।

পরিবারের ৬ জনকে নৃশংসভাবে খুন, পরিণতিতে ফাঁসি দম্পতির
প্রতীকী ছবি



লখনউ: সেই নৃশংসতা এখনও ভুলতে পারেনি এলাকার লোকজন। পরিবারের ৬ জনকে নৃশংসভাবে খুন। আর সেই খুনের দায়ে এক দম্পতিকে ফাঁসির সাজা দিল লখনউয়ের একটি আদালত।


খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। অজয় সিং, তাঁর স্ত্রী রূপা সিং ও তাঁদের নাবালক পুত্র পরিবারের ৬ জনকে খুন করেন। মৃতদের তালিকায় রয়েছে অজয়ের ভাই অরুণ সিং ও তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। এছাড়া নিজের বাবা অমর সিং ও মা রাম দুলারিকেও খুন করেন অজয় ও তাঁর স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, অজয়ের বোন দুর্গাবতী ওরফে গুড্ডি সিং ২০২০ সালে মে মাসে বানথারা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, অজয়, রূপা এবং তাঁদের নাবালক সন্তান মিলে পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করেন। দুর্গাবতী অভিযোগ করেন, তাঁর দাদা বাবার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিলেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, বাবা সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা অরুণ সিংকে দিয়ে দেবেন। সেই আশঙ্কা থেকেই, স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সবাইকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন।



রাজুদার তিরিশ টাকার তিনটে পরোটা ইতিমধ্যেই সুপারহিট। ব্লগারদের হইচইয়ে রাজুদা এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছেন। ঠিক এই সময়ই সোশাল মিডিয়া পেল আরেক দাদাকে। যার নাম নিখিলদা।


পরোটার পর এবার পকেট বিরিয়ানি! রাজুদাকে টেক্কা দিতে বাজারে হাজির নিখিলদা


সোশাল মিডিয়ার দয়ায় টুক করেই বিড়াল হয়ে যায় রুমাল। কিংবা কামঘন শব্দেই রাতারাতি ঝড় তোলেন সুন্দরীরা। রিলসের দুনিয়ায় ঢুকলে টুক করে ঘণ্টা কেটে যায় সেকেন্ডে। আর সেই দুনিয়ার দৌলতেই শিয়ালদহের ফুটপাথের পকেট পরোটা ‘ম্যাজিশিয়ন’ রাজুদা চট করে ভাইরাল হয়ে ওয়েব সিরিজের মুখ! এ জগত আজব। আর তাই তো রিলকে রিয়েলের সঙ্গে মিলিয়ে এবার বাজারে হাজির পকেট বিরিয়ানি পরোটা! ভাবছেন এ আবার কেমন কাণ্ড?

গৌরচন্দ্রিকা না করে, গপ্পোটা একটু বিশদে বলা যাক। রাজুদার তিরিশ টাকার তিনটে পরোটা ইতিমধ্যেই সুপারহিট। ব্লগারদের হইচইয়ে রাজুদা এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছেন। ঠিক এই সময়ই সোশাল মিডিয়া পেল আরেক দাদাকে। যার নাম নিখিলদা। রাজুদার মতো পরোটা নিয়ে এলেন তিনি, তবে তাঁর পরোটায় রয়েছে নয়া ফিউশন! বানানোর কায়দায় রয়েছে টুইস্ট।

ব্যাপারটা আরও বিশদে বলা যাক। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি বিরিয়ানির হাঁড়ির উপর পরোটা রেখে তার মধ্যে বিরিয়ানির রাইস, একটা আলু, একটা চিকেন দিয়ে ভাঁজ করে বানিয়ে ফেলছেন নতুন পদ। আর তার নাম পকেট বিরিয়ানি পরোটা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এই পরোটা বিরিয়ানির সাইজ এতটাই ছোট যে প্যাকেটে ঢোকার পর সহজেই পকেটে চালান হয়ে যাচ্ছে। এর দাম মাত্র ৩০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিরিশ টাকায় পরোটার সঙ্গে বিরিয়ানির স্বাদ মিলে মিশে একাকার। আর যিনি এই পকেট পরোটা বিরিয়ানি নিয়ে বাজারে হাজির হয়েছেন, তিনিই হলেন নিখিলদা। সেই নিখিলদাতেই মত্ত এখন নেটপাড়া।



 

তবে নিখিলদার এই পকেট পরোটা বিরিয়ানি সুপারহিট হলেও, এই দোকানে মিলবে বিরিয়ানিসহ চিকেন চাপের মতোও সুস্বাদু খাবারও। নিখিলদার এই দোকান হালে ভাইরাল হলেও, এর বয়স ৪০ বছর। নিখিলদার পকেট পরোটা বিরিয়ানির ভক্তরা বলছেন, রাজুদাকে একমাত্র টেক্কা দিতে পারবেন, এই নিখিলদাই! তা আপনিও কি ট্রাই করতে চান নিখিলদার এই পকেট বিরিয়ানি পরোটা?

দীপল বাবু জানাচ্ছেন, সদ্য ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সল্টলেকে দফতর খোলা হয়েছে। কাজ করছেন ২০০ কর্মী। তবে পরিকল্পনা যে আরও অনেক বড় সংবাদমাধ্যমে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে এর জন্য যে জমি ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত সাহায্য়ের প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য যে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার সে কথাও মনে করান তিনি।


 গোটা দেশের মধ্যে প্রথম পছন্দ কলকাতা! ১০০ কোটি লগ্নির পথে লন্ডনের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা
প্রতীকী ছবি


আসছে না বিনিয়োগ, হচ্ছে না শিল্প, বাড়ছে বেকারত্ব! কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বারবার বিরোধীরা এই মর্মেই তোপ দাগেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে খরার মরসুমে এল বড় খবর। গোটা দেশের মধ্যে বাংলার বুকেই প্রথম তাদের দফতর খুলে ফেলল নামজাদা ব্রিটেনের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা রেডক। এসেছে একেবারে ১০০ কোটি টাকার লগ্নির আশ্বাস। সদ্য একটি সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার দীপল দত্ত। 


দীপল বাবু জানাচ্ছেন, সদ্য ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সল্টলেকে দফতর খোলা হয়েছে। কাজ করছেন ২০০ কর্মী। তবে পরিকল্পনা যে আরও অনেক বড় সংবাদমাধ্যমে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে এর জন্য যে জমি ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত সাহায্য়ের প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য যে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার সে কথাও মনে করান তিনি। প্রসঙ্গত, লন্ডনের রেডক মূলত সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সফটওয়্যার সংক্রান্ত নানা কাজ করে থাকে। বিগত কয়েক বছরে ধারেভারে অনেকটাই বড় হয়েছে এই সংস্থা। 

সূত্রের খবর, গত বছরের নভেম্বর মাসে রেডকের কর্তারা কলকাতায় আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। লগ্নির ঘোষণা হয় সেই সময়েই। দীপল বলছেন, আপাতত সল্টলেকে ১২ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমে ২০ কোটির বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে আরও ৮০ কোটি টাকার লগ্নি হবে। জমির প্রয়োজনীয়তার কথা ইতিমধ্যেই কাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে জানানোও হয়েছে সংস্থার তরফে।