February 2023

ব্লুমবার্গ বিলিওনার ইনডেক্সের তালিকা অনুসারে ইলোন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭.১ বিলিয়ন ডলার।


 ফের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা গেল টেজলা এবং টুইটার সিইও ইলোন মাস্কের ঝুলিতে। মাস দুয়েক আগে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাঁকে। ইলোন মাস্ককে টপকে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হয়েছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। ফরাসি প্রসাধনী ব্র্যান্ড লুই ভিতোর সিইও আর্নল্ট উঠেছিলেন ধনীর তালিকার এক নম্বরে। কিন্তু গত কয়েক দিনে টেজলার শেয়ার দর অনেকটাই বেড়েছে। এর জেরে মোট সম্পদের নিরিখে আর্নল্টকে ফের পিছনে ফেলেছেন মাস্ক। টেজলার স্টকের দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ৬ জানুয়ারির থেকে তা বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। এর জেরেই মোট সম্পদে আর্নল্টকে পিছনে ফেলেছেন টুইটারের সর্বময় কর্তা। সোমবার ব্লুমবার্গ বিলিওনার ইনডেক্স যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতেই এক নম্বরে রয়েছে মাস্কের নাম।



ব্লুমবার্গ বিলিওনার ইনডেক্সের তালিকা অনুসারে ইলোন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭.১ বিলিয়ন ডলার। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্টের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৫.৩ বিলিয়ন ডলার। ধনকুবেরদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। তার সম্পত্তি রয়েছে ১১৭ বিলিয়ন ডলারের। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ওয়ারে বাফেট। ধনকুবেরদের তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানী। তবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের ধাক্কায় এই তালিকায় অনেকটা পিছনে পড়েছেন গৌতম আদানি। তিনি রয়েছেন ৩২ তম স্থানে।

টেজলার স্টকের দাম সম্প্রতি বড় অঙ্কে বৃদ্ধির জেরে মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু গত বছর টুইটার অধিগ্রহণের পর বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিলেন তিনি। গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে টেজরা প্রধানের মোট সম্পদ কমে গিয়েছিল রের্কড পরিমাণ। সেই অবস্থা থেকে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবং প্রায় ২ মাস পর বিশ্বের ধনীতম তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছেন। যদি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির টুইটার অধিগ্রহণের পর কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। তিনি টুইটার কেনার পর ৩ হাজার ৭০০-র বেশি জনের চাকরি গিয়েছে। যা ওই টেকনোলজি সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। আগামী দিনেও মাস্কের নেতৃত্বাধীন সংস্থা একাধিক কর্মীর কাজ কাড়তে পারে।



আবাস যোজনার নির্মীয়মান বাড়ির বোর্ড লাগানো নিয়েও বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


আবাস যোজনা প্রকল্পের অবস্থা খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের মশিয়াড়া গ্রামে অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় টিম। এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। দু’সদস্যের প্রতিনিধি দল গ্রামে গেলে আবাস যোজনা নিয়ে বিভিন্ন বেনিয়মে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রকল্পের বোর্ড দেওয়া নিয়েও বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আবাস যোজনার উপভোক্তা নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের মশিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভের পারদ চড়ছিল। এবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ল। এদিন দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গ্রামে গিয়ে উপভোক্তাদের নির্মীয়মান বাড়ি ঘুরে দেখতে শুরু করেন। আর এরপরই আবাস যোজনায় ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ তুলতে থাকেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামের কোনও কোনও পরিবারের জন্য একাধিক বাড়ি বরাদ্দ করা হলেও প্রকৃত গৃহহীনদের জন্য বাড়ি বরাদ্দ করা হয়নি।



আবাস যোজনার নির্মীয়মান বাড়ির বোর্ড লাগানো নিয়েও বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, এতদিন ধরে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করার কাজ চললেও সেই বাড়িগুলিতে প্রকল্প নির্দেশক কোনও বোর্ড টাঙানো হয়নি।

কেন্দ্রীয় দল গ্রামে তদন্তে যাওয়ার খবর পেতেই রাতে তড়িঘড়ি আবাসের নির্মীয়মান বাড়িগুলিতে প্রকল্প নির্দেশক বোর্ড টাঙিয়ে দেয় স্থানীয় মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। আবাস নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয় মশিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। এদিন এলাকার মানুষের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে প্রথমে সংবাদমাধ্যমের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা খাতড়া মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, "আমরা কারোর জন্য সুপারিশ করতে যাইনি। তবে ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশকে বলেছি।"

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করছিলেন এক মহিলা। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও করেন তিনি। রবিবারের সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার ভাঙড় থানায় পৌঁছন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই তাঁরা থানা গিয়ে বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, “আমরা কারোর জন্য সুপারিশ করতে যাইনি। তবে ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশকে বলেছি।”


গত রবিবার ভাঙরের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক গৃহবধূ। মগরাহাটের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগ প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ী তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছেন। এমনকি নির্যাতিতাকে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেও প্রলুব্ধ করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। যদিও, ঘটনার পরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই নেতা এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের ঘনিষ্ঠ।

এই ঘটনার পর এ দিন ভাঙড় থানায় আসেন আরাবুল ও কাইজার জুটি। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন থানার বড় বাবুর সঙ্গে। এই বিষয়টিকেই ভালভাবে মেনে নেয়নি বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই থানায় গিয়েছেন তারা। বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “ভাঙড়ের এক তৃণমূল নেতা ধর্ষণে অভিযুক্ত। এখানে তৃণমূলে এতটাই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে ধর্ষণেও গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সামনে আসছে। আজকে কাইজার আহমেদ ও আরাবুল ইসলাম পৌঁছন থানায়। দোষীকে ছেড়ে দিতে পুলিশের উপর চাপ দিচ্ছে। ওদের দাবি, তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী নাকি ফাঁসাতে এই কাজ করেছে।”

 স্কুল বিল্ডিং মেরামত না করা হলে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না অভিভাবকরা, সাফ জানিয়ে দিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

স্কুল শুরুর আগে ভেঙে পড়ল ভবনের দেওয়াল। আতঙ্কে গাছের নীচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুল শুরু হওয়ার আগে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবনের দেওয়াল, আতঙ্কে শিক্ষক থেকে পড়ুয়া। গরমের সময় গাছের তলায় বসে চলছে পড়াশোনা। বারবার জানিয়েও জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। তাই অবশেষে স্কুলের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় গাছ তলাতেই পঠন পাঠন করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুল বিল্ডিং মেরামত না করা হলে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না অভিভাবকরা, সাফ জানিয়ে দিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দে বলেন, “স্কুল শুরু হওয়ার আগে বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ভাগ্যক্রমে স্কুল চলাকালীন ঘটনাটি ঘটেনি। তাই কারোর মাথায় পড়েনি।” ১৯৪৯ সালে তৈরি স্কুলটি। ৭৩ জন ছাত্রছাত্রীকে গাছ তলাতেই ক্লাস করাতে হচ্ছে। বারবার প্রশাসনে জানানো হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।



অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নমিতা সিং বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি যেহেতু শিক্ষার বিষয় রয়েছে দ্রুত যাতে স্কুলটিকে মেরামত করা যায়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি।” বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে পাল্টা বলেন, “বিরোধীদের কাজ সমালোচনা করা। দিদির সুরক্ষা কবচ হচ্ছে একটি পাইলট প্রজেক্ট। বিরোধীরা উন্নয়নের কথা না বলে সমালোচনা করছে প্রচারের আলোয় আসার জন্য।” সব মিলিয়ে স্কুল ভবনের দুর্দশা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর। স্ত্রী আলিয়া তাঁর বিরুদ্ধে বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই আওয়াজ তুলেছেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সরব ভাই শামাস নবাব সিদ্দিকী।


বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর। স্ত্রী আলিয়া তাঁর বিরুদ্ধে বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই আওয়াজ তুলেছেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সরব ভাই শামাস নবাব সিদ্দিকী। দাদাকে নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় বক্তব্য তাঁর। শামাসের দাবি, কাছের মানুষকে দূরে ঠেলে দেওয়াই নাকি স্বভাব নওয়াজের। একই সঙ্গে বৌদির পক্ষও নিয়েছেন তিনি। শামাস জানান, নওয়াজের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন আলিয়া। তাঁর দাবি, নওয়াজের স্ত্রী এতদিন ধরে সত্যিই অনেক কিছু সহ্য করেছেন। শামাস নিজেও পরিচালক। কিন্তু দাদাকে পরিচালনা করতে গিয়ে তাঁকে যে এমন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা তিনি নিজেও ভাবেননি শামাসের কথায়, “আমি অনেক টিভি শো করেছি। নওয়াজ একদিন আমায় হঠাৎই বল ওর সঙ্গে কাজ করতে। আমি রাজি হইনি প্রথমে। কিন্তু ২০১৯ সালে আমি যখন আমার ছবি ‘বোলে চুড়িয়া’ পরিচালনা করতে যাব তখন প্রযোজক বলে আমার ছবিতে ওকে নিতে। আমি কিন্তু নিতে চাইনি। কিন্তু প্রযোজক বলায় আর না করতে পারিনি।” কিন্তু ওই ছবি আর করা হয়নি শামাস, এ কারণে তিনি অবশ্য তাঁর দাদাকে। নওয়াজ বলেন, “যখন এডিটিয়ের সময় আসে তখন নওয়াজ হঠাৎই প্রযোজকদের বলে ও টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আর কাজ করবে না। আমি অবাক হয়ে যাই, বারবার মনে হতে থাকে, কেন আমার সঙ্গে এরকম হল? কেন আমার নিজের রক্তের সম্পর্কই আমার পাশে নেই। ছবি বন্ধ হয়ে যায়। আমি ওই ছবির জন্য অনেক কিছু করেছিলাম। ওর জন্যই আমার ছবি আর হল না।” এরপরেই নওয়াজের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কমতে শুরু করে বলে দাবি শামাসের। শামাসের দাবি, নওয়াজ নাকি দেখাতে চান তিনিই সর্বেসর্বা। সাহায্য যে তিনি করেননি এমনটা নয়। এক সম্পত্তিতে খুঁত দেখা গিয়েছিল, তা টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন নওয়াজই।




ভাইয়ের কথায়, “আমার মনে হয় না ওর থেকে কোনও ভাল অভিনেতা আছে, ও আমাদের খেয়াল রাখে। কিন্তু কোনও ভাইয়ের কেরিয়ার গড়তে ও সাহায্য করেনি। ও আমাদের জন্য সম্পত্তি কিনে দেয়, কিন্তু ও নিজের যে ইমেজ নিয়ে ঘুরছে ও সেরকম না। ও খুব শক্ত মানুষ। ও মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়, আমি আর আলিয়াই তো এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যদিও স্ত্রী ও ভাইয়ের এই গুরুতর অভিযোগে মুখ খোলেননি নওয়াজ। শুধু জানিয়েছেন, এই নিয়ে মন্তব্য করতে চান না তিনি।

কাপুর পরিবারের উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে যা বললেন তা রীতিমত অবাক করা এক কাহিনি। রাহা জন্মের আগের রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে?

সদ্য বাবা হয়েছেন রণবীর কাপুর। ২০২২ সাল, এক ধাক্কায় অনেক কিছুই পাল্টে যায় রণবীর কাপুরের জীবনে। প্রেমিকা আলিয়া ভাটকে বিয়ে থেকে শুরু করে বাবা হওয়ার খবর শেয়ার করা, অনেক বেশি পরিণত করে তোলে তাঁকে এই বছরটি বলে নিজেই জানান রণবীর কাপুর। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল তাঁর সেই সাক্ষাৎকার। বর্তমানে তিনি তাঁর আগামী ছবির প্রচারে ব্যস্ত। শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা গেল তাঁকে। তার প্রচারে এসেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বারে বারে মুখ খুলতে দেখা যায় রণবীর কাপুরকে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই খবর। রাহার সঙ্গে তাঁর সময় কাটানো, বাবা হওয়ার পর তাঁর অনুভূতি, সবটাই বড্ডবেশি রঙিন, রণবীর গর্বের সঙ্গে সেই কাহিনি সকলের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন।




তবে কাপুর পরিবারের উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে যা বললেন তা রীতিমত অবাক করা এক কাহিনি। রাহা জন্মের আগের রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে, হঠাৎ করেই রণবীরের অ্যাকাউন্টেন্ট এসে তাঁকে বলে, তিনি বাবা হতে চলেছেন তাই তিনি কাপুর পরিবারের উত্তরাধিকার নিয়ে ভাবছেন কি না। তাঁর কি একটা উইল করা উচিত? ফিল্ম কম্প্যানিয়নে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই খবর শেয়ার করেছিলেন রণবীর।



বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। সেখান থেকে ৭০ কিমি দূরে অবস্থিত দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম বারিকুল।

: দুয়ারে ডাক্তার। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে প্রত্যন্ত গ্রামের রোগীদের কাছে পৌঁছল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের একদল চিকিৎসক।বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বারিকুল। সেখানেই একদিনের মেডিক্যাল দল পৌঁছয় এ দিন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিষেবা পেয়ে রীতিমত খুশি জঙ্গলমহল।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। সেখান থেকে ৭০ কিমি দূরে অবস্থিত দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম বারিকুল। এই সমস্ত এলাকার মানুষজন রোগের জ্বালায় অনেক কষ্টে করে ছুটে যান বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। এবার রোগীদের দরজায় এসে পৌঁছে গেলে বাঁকুড়া মেডিক্যালের চিকিৎসকের দল।

মঙ্গলবার সকালে শাল পিয়াল মহুয়ার জঙ্গলের রাস্তা ধরে বারিকুল পৌঁছয় বাঁকুড়া মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।বারিকুল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্থায়ী ক্যাম্প করে মেডিসিন, নিউরো, হার্ট, চক্ষু, শিশু, স্ত্রী রোগ সহ ১৫ টি বিভাগের চিকিতসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করে দেন তাঁরা।



 দিকে, গ্রামে ডাক্তার আসছে গ্রামে খবর পেয়ে বিভিন্ন রোগের অসুবিধা নিয়ে ভীড় জমায় স্থানীয় মানুষজন। টিকিট কেটে বিভিন্ন রোগের পরিষেবা পেলেন চিকিৎসা করাতে আসা স্থানীয় মানুষজন। শুধু চিকিৎসা পরিষেবা নয় এই পরিষেবার পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি ও মেডিসিন পরিষেবাও দেওয়া হয় এদিনের দুয়ারে ডাক্তার শিবির থেকে।

এই বিষয়ে খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোতস্না মান্ডি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগে একদিনের দুয়ারে সরকারে এই সমস্ত এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা পেয়েছেন। এলাকার মানুষের আরও যে সকল দাবি রয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখব।” অপরদিকে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যারা এতদিন চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতেন, আজ সেই চিকিৎসকরাই দল গ্রামে আসাতে খুশি গ্রামের মানুষজন। দুয়ারে ডাক্তার ক্যাম্পে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পেয়ে ভীষণ ভাবে খুশি প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা।”

 এ বার বর্ষসেরা হয়ে নিজেকে আবার প্রমাণ করলেন মেসি। পুরস্কারের মঞ্চে বক্তব্যের শেষাংশে সকলের মন জয় করে নিলেন তিনি।


 সদ্য বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের পর এ বার দ্বিতীয় বারের জন্য সেরার সেরা হলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)।প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ফিফা। এ বছরে বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মেসি, কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) ও করিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema)। সবাইকে পিছনে ফেলে বর্ষসেরার পুরস্কার জিতে নিলেন ৩৫ বছরের এই আর্জেন্টাইন। সেরার সেরা নির্বাচিত হয়ে মঞ্চে দাড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। বক্তব্যের শেষে যোগ্য বাবার ভূমিকা পালন করলেন। ফিফার মঞ্চে দাঁড়িয়েও সন্তানদের নিয়মানুবর্তিতার মধ্যেই রাখলেন তিনি। কী বললেন তিনি?

এমবাপে, বেনজেমাকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য বর্ষসেরা ফুটবলার বিবেচিত হয়েছেন লিওনেল মেসি। প্যারিসে ফিফার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। বক্তৃতার শেষে নিজের তিন সন্তানের উদ্দেশ্যে মেসি বলেন, “আমি আমার সন্তানদের জন্য চুম্বন পাঠালাম। থিয়াগো, মাতেও এবং সিরো— আমি তোমাদের ভালোবাসি। এ বার যাও ঘুমিয়ে পড়ো।” ফুটবল দুনিয়ার সম্রাট মেসি। বরাবরই পায়ের জাদুতে বিশ্বব্যাপী ফুটবল প্রেমীদের মনে চিরকালীন জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এ বার বর্ষসেরা হয়ে নিজেকে আবার প্রমাণ করলেন মেসি। এমনকি নিজের বক্তৃতার শেষাংশ দিয়ে সকলের মন কাড়লেন তিনি।




২০১৯ সালে প্রথম বার বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন মেসি। সেই মুকুটে এ বার যোগ হল দ্বিতীয় পালক। ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণের পর এই তকমা পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। নিজের পিএসজি সতীর্থ এমবাপে ও রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক করিম বেঞ্জেমাকে হারিয়ে সেরা হয়েছেন। তিনি বলেন, “এমবাপে এবং বেঞ্জেমার সঙ্গে এখানে আবার এসে খুবই ভালো লাগছে। গোটা বছরটা দু’জনের জন্য খুবই ভালো কেটেছে।” এই সম্মান পেয়ে খুবই অভিভূত মেসি। সতীর্থ এবং কোচ লিওনেল স্কলোনিকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ৩৫ বছরের এই আর্জেন্টাইন তারকা। ২০২২ সাল সম্পর্কেও যথেষ্ট খুশি তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ” অনেক চেষ্টা ও পরিশ্রমের পর অবশেষে আমি আমার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্ত এই বিশ্বকাপ জয়। এটা অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু খুব কমজনই এটা পূরণ করতে পারে।”

২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যপূরণে প্রযুক্তিতেই আস্থা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। স্টেকহোল্ডারদের কাছে চাইলেন ১০টি সমস্যার তালিকা।



দেশকে ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদী সরকার। আর এই লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে প্রযুক্তি। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি), ‘আনলিসিং দ্য পোটেনশিয়াল: ইজ় অব লিভিং ইউজ়িং টেকনোলজি’ (সম্ভাবনা উন্মোচন: প্রযুক্তির ব্যবহারে জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ) বিষয়ে এক বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওয়েবিনারে অংশগ্রহনকারী সব পক্ষকে তিনি ১০টি সমস্যা খুঁজে বের করার আহ্বান করেছেন। সাধারণ মানুষকে যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে হয় প্রতিদিন। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে এই সমস্যাগুলির সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী মোদী আধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরির রূপরেখাও তুলে ধরেছেন।




ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, তাঁর সরকার ছোট ব্যবসার বাধ্য়তামূলক খরচগুলি কমাতে চায়। এর জন্য এই ধরনের কোন কোন বাধ্য়তামূলক খরচ ছেঁটে ফেলা যেতে পারে, শিল্পজগতের কাছে তার একটি তালিকা চেয়েছেন তিনি। মোদী বলেন, “আমরা ছোট ব্যবসার কমপ্লায়েন্স খরচ কমাতে চাই। আপনারা এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় বাধ্য়তামূলক খরচের তালিকা তৈরি করুন, যেগুলি ছেঁটে ফেলা যেতে পারে। আমরা ৪০,০০০-এর বেশি বাধ্যতামূলক খরচের অবসান ঘটিয়েছি।” তিনি আরও জানান, ভারত বর্তমানে আধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। যেমন কর ব্যবস্থাকে সহজতর করতে এবং করদাতাদের যাবতীয় অসুবিধা দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এই ভাবে ভারতীয়দের জীবনে গুণগত পার্থক্য আনছে প্রযুক্তি।



আর প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এখন সবথেকে বেশি চর্চায় রয়েছে ৫জি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রধানমন্ত্রী জানান, চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষির মতো বিবিধ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে এই দুই প্রযুক্তি। তিবি আরও জানান, তাঁর সরকারের ‘এক দেশ এক রেশন’ উদ্যোগের মূলই হল প্রযুক্তি। ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল যাতে সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছয় সেটাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। জন ধন প্রকল্প, আধার এবং মোবাইল নম্বর – এই তিন বিষয় গরীবদের কাছে বিবিধ প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাওয়া নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একুশ শতাব্দী হল প্রযুক্তি চালিত। তবে, এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র ডিজিটাল এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির মধ্যে আবদ্ধ থাকবে, তা হতে পারে না। এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

 মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন ইডি বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা। বিচারক ধমকের সুরে বলেন, 'আপনারা কি ভিআইপি হয়ে গিয়েছেন? আপনাদের জন্য কি আমাকে বসে থাকতে হবে?'


নারদা মামলায় (Narada Case) মঙ্গলবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে (PMLA Court) হাজিরার নির্দেশ ছিল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। কিন্তু এদিম আদালতে কিছুটা দেরিতে পৌঁছান দুই তৃণমূল নেতা। ততক্ষণে এজলাসে ঢুকে গিয়েছিলেন বিচারক। আর সেই কারণেই মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন ইডি বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা। বিচারক ধমকের সুরে বলেন, ‘আপনারা কি ভিআইপি হয়ে গিয়েছেন? আপনাদের জন্য কি আমাকে বসে থাকতে হবে?’


বিচারকের ধমক খাওয়ার পর এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র জানান, তাঁর যাত্রাপথে এসএসকেএম হাসপাতালের কাছে রাস্তায় যানজট ছিল। তাই তাঁকে অন্য পথ ধরে আসতে হয়েছে। সেই কারণেই দেরি হয়েছে এবং নিজের দেরিতে আসার জন্য তিনি যে লজ্জিত, সেই কথাও জানান মদন মিত্র। যদিও এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম আর কিছু বলতে চাননি।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই সংক্রান্ত মামলার এদিন শুনানি ছিল আদালতে। প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি হাজিরা দিতে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি অবশ্যই সময়েই আদালতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, ‘কেন? আমি তো আগে এসেছি। ফার্স্ট বেঞ্চে বসেছি।’



যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, "আমরা কারোর জন্য সুপারিশ করতে যাইনি। তবে ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশকে বলেছি।"


বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করছিলেন এক মহিলা। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও করেন তিনি। রবিবারের সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার ভাঙড় থানায় পৌঁছন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই তাঁরা থানা গিয়ে বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, “আমরা কারোর জন্য সুপারিশ করতে যাইনি। তবে ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশকে বলেছি।”

গত রবিবার ভাঙরের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক গৃহবধূ। মগরাহাটের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগ প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ী তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছেন। এমনকি নির্যাতিতাকে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেও প্রলুব্ধ করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। যদিও, ঘটনার পরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই নেতা এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের ঘনিষ্ঠ।

এই ঘটনার পর এ দিন ভাঙড় থানায় আসেন আরাবুল ও কাইজার জুটি। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন থানার বড় বাবুর সঙ্গে। এই বিষয়টিকেই ভালভাবে মেনে নেয়নি বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই থানায় গিয়েছেন তারা। বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “ভাঙড়ের এক তৃণমূল নেতা ধর্ষণে অভিযুক্ত। এখানে তৃণমূলে এতটাই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে ধর্ষণেও গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সামনে আসছে। আজকে কাইজার আহমেদ ও আরাবুল ইসলাম পৌঁছন থানায়। দোষীকে ছেড়ে দিতে পুলিশের উপর চাপ দিচ্ছে। ওদের দাবি, তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী নাকি ফাঁসাতে এই কাজ করেছে।”


যদিও, পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাইজার জানিয়েছেন, ওই তৃণমূল নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। দলেরই অপর গোষ্ঠী ফাঁসিয়েছে। এখানে এক তোলাবাজ নেতা আছেন যিনি দলের নাম করে তোলাবাজি করছেন এবং দলের অপরগোষ্ঠীকে কালিমা লিপ্ত করছেন। পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই কাজ করছেন বলে দাবি করেন কাইজার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।

ওজন যদি কমাতেই হয় তাহলে ব্রেকফাস্টে একটু ভারি খাবার খাওয়াই উচিত। ঘরে তৈরি দেশি খাবারের চেয়ে ভালো কিছু হয় না। তাই দিন শুরু করার জন্য সুস্বাদু ও ঘরোয়া দেশি ব্রেকফাস্ট মাস্ট।

দিন শুরুই হয় গরম চা ও কফি দিয়ে। তারপর অফিসে বের হওয়ার তাড়ায় অল্প কিছু খাবার আর ফলের রস খেয়েই ব্রেকফাস্ট সারতে হয়। ইংলিশ ব্রেকফাস্ট নাকি ভারতীয় খাবারের তুলনায় স্বাস্থ্যকর। গবেষকদের মতে, ব্রেকফাস্ট যাঁরা স্কিপ করেন, তাঁদের শরীরে মেদ বাড়ে দ্রুত। তাই ওজন যদি কমাতেই হয় তাহলে ব্রেকফাস্টে একটু ভারি খাবার খাওয়াই উচিত। ঘরে তৈরি দেশি খাবারের চেয়ে ভালো কিছু হয় না। তাই দিন শুরু করার জন্য সুস্বাদু ও ঘরোয়া দেশি ব্রেকফাস্ট মাস্ট। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করা প্রয়োজন। ওয়ার্কআউটের পর ও বাড়ির অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের পর ব্রেকফাস্টই বুস্ট হতে কাজে লাগে। তাই সকালের খাবারে কী কী স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, তার রেসিপিগুলিও জেনে নিন এখানে…


পদ্ধতি

একটি প্যান গরম করে তাতে তেল দিন। এরপর মাখন দিন। গলে গেলে রসুনকুচি, কাঁচালঙ্কা ও আদাকুচি দিন। সোনালি বাদামী রঙের হয়ে এলে কারি পাতা, পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এরপর স্বাদমতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা, পাওভাজি মশলা দিয়ে আবার ভালো করে নেড়ে নিন। তাতে সবুজ ধনে পাতাকুচি ও টমেটোকুচি দিন। এরপর ডিম ফেটিয়ে তাতে দিয়ে দিন। ভালো করে ভেজে নিন। ভালো করে ভাজা হলে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পোহা

উপকরণ: ১ কাপ পোহা, ১ টেবিলস্পুন তেল, ১/৪ চা চামচ হিং, ১ চা চামচ সরিষা, আধ কাপ পেঁয়াজকুচি, ৮ থেকে ১০টি কারি পাতা, ২ থেকে ৩টি আস্ত লাল লঙ্কা, আধ কাপ আলু ছোট ছোট টুকরো করে কাটা, আধ চা চামচ হলুদ, ২ চা চামচ নুন, ১ চা চামচ সবুজ কাঁচালঙ্কা কুচি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ ভাজা চিনাবাদাম ও ১ টেবিল চামচ সবুজ ধনেপাতা কুচি।

কীভাবে পোহা বানাবেন?

একটি বাটিতে চিঁড়ে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। এবার একটি সসপ্যান গরম করে তাতে তেল ঢেলে নিন। তাতে হিং, সরষে, কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি, আস্ত লাল লঙ্কা দিয়ে দিন। পেঁয়াজ অল্প বাদামি হয়ে গেলে তাতে আলু কেটে ভালো করে ভেজে নিন। এরপর হলুদ গুঁড়ো যোগ করে প্যানের উপর ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে আলু রান্না করুন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে নুন ও পোহা দিয়ে ভালো করে রান্না করুন। কয়েক মিনিট রান্না করার পর পোহা সরিয়ে নিন। এরপর অল্প ঠান্ডা হলে তাতে লেবুর রস, ভাজা চিনাবাদাম ও ধনেপাতা যোগ করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

মিক্স ভেজিটেবল ইডলি

উপকরণ: ১ কাপ বেসন, ১ কাপ সুজি, ১ মাঝারি টমেটো কুচি, ২ ছোট গাজর ছোট ছোট করে কাটা, ১ ছোট ক্যাপসিকাম (কাটা), ১ বড় পেঁয়াজ কুচি করে কাটা,আধ কাপ গ্রেট করা পনির, ১ টেবিলস্পুন আদা রসুন পেস্ট, ৩ থেকে ৪টি সবুজ কাঁচা লঙ্কাকুচি,২ টেবিলস্পন দই ও ইনো পাউডার।

পদ্ধতি

একটি পাত্রের মধ্যে বেসন ও সুজি ভালো করে মিক্সড করে নিন। তাতে নুন, ক্যাপসিকাপ, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা, আদা রসুমের পেস্ট, গাজর, ইনো পাওডার ও দই ফেটিয়ে দিয়ে দিন। এরপর ওই মিশ্রণটি আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা কেটে গেলে তাতে পনির যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ইডলির ছাঁচে তেল ব্রাশ করে গ্রিজ করা ব্যাটার দিয়ে দিন। ছাঁসগুলি পূর্ণ হয়ে গেলে ১২ মিনিটের জন্য স্টিম করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। চলে দুপুর ২ পর্যন্ত। তাজপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৫৯৫ জন।

জেলায় সমবায় নির্বাচন ঘিরে পারদ চড়ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলের তাজপুর ও সুতাহাটার বৈষ্ণবচকে বিপুল জয় ঘাসফুলের। জানা গিয়েছে, মহিষাদল-তাজপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই ফুটল ঘাসফুল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই জয়ে সংগঠন আরও শক্তিশালী হল বলে মনে করছে তৃণমূল। জয়ের পর উল্লাসে মাতোয়ারা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।




রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। চলে দুপুর ২ পর্যন্ত। তাজপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৫৯৫ জন। এখানে শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির লড়াই। মোট আসন ১২ টি। যার মধ্যে তৃণমূল ১ টি আসনে আগেই জয়লাভ করে। ফলত, ১১ টি আসনে লড়াই চলছিল। শেষে জয় হয় ঘাসফুল শিবিরের।

অপরদিকে, সুতাহাটা ব্লকের অন্তর্গত বৈষ্ণবচক সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস ১২টি আসন পেয়ে জয় লাভ করে। খাতা খুলতে পারেনি বাম-বিজেপি জোট। মোট প্রার্থী ছিলেন ৩০ জন । বিজেপি-র ১২ জন প্রার্থী, সিপিএম-এর ৬ জন প্রার্থী, তৃণমূল ১২জন প্রার্থী দেয়। এই সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ৭৮২ জন।



মৃতের নাম প্রবীর দত্ত(৬২)। বাড়ি বালুরঘাট পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অগ্নিশিখা ক্লাবপাড়া এলাকায়। মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

এলাকায় বিদ্যুত পরিষেবা দিতেন। সেই কারণে চেনা পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই জেনারেটর ব্যবসায়ীর এমন পরিণতি হবে কে ভেবেছিল। মাঠ থেকে উদ্ধার হল তাঁর রক্তাক্ত দেহ। সোমবার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার কামালপুরে।




মৃতের নাম প্রবীর দত্ত(৬২)। বাড়ি বালুরঘাট পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অগ্নিশিখা ক্লাবপাড়া এলাকায়। মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সেই জায়গা থেকে পরিবারের অভিযোগ তাঁকে খুন করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পতিরাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী৷ এমনকী ঘটনাস্থলে যায় পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে খুনের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধৃতের নাম কাশীনাথ পাহান। তবে কী কারণে ওই জেনারেটর ব্যবসায়ীকে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ওই জেনারেটর ব্যবসায়ীর বাড়ি বালুরঘাটে হলেও তিনি কামালপুর হাটে দোকানে দোকানে ইলেকট্রিক পরিষেবা দিতেন। পতিরাম এলাকাতে মূলত ব্যবসা করতেন তিনি। জেনারেটর ঠিক করতে গতকালও কামালপুরে গেছিলেন। বাড়ি বালুরঘাটে হলেও বেশিরভাগ সময় তিনি কামালপুরেই থাকতেন। এদিকে গতকাল পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথাও হয়৷ রাতে বিশেষ কাজে হিলিতে যেতে হবে বলে ফোন করে বাড়িতে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। এ দিন সকালে পুলিশের তরফ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কথা বলা হয় পরিবারকে।



বিবারের দুপুর, শহর কলকাতায় আগামী ছবির প্রচারে এসেছিলেন রণবীর কাপুর। তাঁকে ঘিরে শহর মেতে উঠেছিল উন্মাদনায়।

রবিবারের দুপুর, শহর কলকাতায় আগামী ছবির প্রচারে এসেছিলেন রণবীর কাপুর। তাঁকে ঘিরে শহর মেতে উঠেছিল উন্মাদনায়। মিষ্টি দইয়ের প্রশংসা করে রণবীর জানান, তিনি নাকি চার বালতি দই খেয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে মুখ খোলেন মেয়ে রাহাকে নিয়েও। জানান মেয়ের বাবা হয়ে এখন হাজারও দায়িত্ব তাঁর। কথায় কথায় এসেছিল স্ত্রী আলিয়া ভাটের প্রসঙ্গও। আর আলিয়ার প্রসঙ্গ আসতেই রণবীর যা বললেন, তা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। রণবীর বলিউডে পরিচিত অল ইন্ডিয়া রেডিও হিসেবে। অর্থাৎ তিনি নাকি সারাক্ষণ গসিপ করেন, এমন কিছু নেই যা তিনি জানেন না। সেটে সবাইকে নিয়ে থাকতে ভালবাসেন। সবার সঙ্গে মজাও করেন। পিছনে লাগা, সব কিছুই চলতে থাকে পুরোদমে। রণবীরের দাবি, আলিয়াকেও ছেড়ে দেন না তিনি। ট্রোল করেন তাঁকেও। তিনি বলেন, “আমি নিজেই ট্রোল। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে মজা করি, আলিয়াকে যে কী ট্রোল করি তা বলে বোঝাতে পারব না।” নেটিজেনদের ট্রোলিং নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “কিছু মন্তব্য সত্যিই খুব খারাপ থাকে। কিন্তু দিনের শেষে বিনোদন দেওয়াই আমাদের কাজ। যদি মনে হয় দর্শক আমাদের ভালবাসা দেবেন, যদি মনে হয় ভাল লাগছে না ইট ছুঁড়বে।”


কিছু দিন ধরেই রটেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিকে নাকি অভিনয় করতে পারেন রণবীর কাপুর। যদিও রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রণবীর জানান, এখনও পর্যন্ত নির্মাতাদের তরফ থেকে তাঁর কাছে দাদার বায়োপিকে অভিনয়ের অফার এসে পৌঁছয়নি। তিনি এও জানান, এখনও পর্যন্ত ওই বায়োপিকের চিত্রনাট্য লেখার কাজ চলছে, কাস্টিং কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। যদিও রবিবার বিকেলে ইডেনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর বায়োপিকে তাঁর যে রণবীরকেই পছন্দ সে কথা সাফ জানিয়ে দেন সৌরভ। অন্যদিকে সৌরভের লর্ডসের সেই আইকনিক শতরান নিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন রণবীরও। সব মিলিয়ে আবেগঘন হয়ে ওঠে ইডেনের বাইশগজ।



আগামী মাসের ৮ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে রণবীর কাপুর ও শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কড়’। ওই ছবিও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হলে বসে দেখবেন বলেই জানিয়েছেন রণবীর কাপুরকে। রণবীরের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ওই ছবি বক্স অফিসে প্রায় ৪০০ কোটির মতো ব্যবঅ্যা করেছিল। ওই ছবিতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিলেন তাঁর রিয়েল লাইফ পার্টনার আলিয়া ভাটকে। আপাতত তাঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব। মেয়ে রাহাকে ঘুম পাড়ানো থেকে শুরু করে ঢেকুর তোলানো– বাবার দায়িত্ব নিয়ে বেজায় ব্যস্ত তিনি।

 প্রেম নিয়ে চর্চা তুঙ্গে থাকলেও কোথাও গিয়ে যেন ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় এবার জুটির ভিডিয়ো।



বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনেত্রী ও গায়িকা সাবা আজাদের সঙ্গে হৃতিকের প্রেম নিয়ে চলছিল নানা কথা। গত বছর করণ জোহরের জন্মদিনের পার্টিতে নিজেদের সম্পর্কের কথা সকলের সামনে স্বীকার করে নিয়েছিলেন হৃত্বিক-সাবা। এই খবর শিরোনাম তৈরি করেছিল রাতারাতি। সাবাকে সকলে আপন করে নিয়েছেন হৃত্বিকের পরিবারেও। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই তাঁদের এক সঙ্গে দেখা যায় বিটাউনের নানা জায়গায়। কখনও সাবার হাতে হাত রেখে বিমানবন্দরে আসেন হৃতিক, কখনও ছুটির দিনে পোস্ট। লুকোচুরি নয়। বরং পাপারাজ্জির সামনেই প্রেমে শিলমোহর দিয়েছিলেন তাঁরা।

২০১৪। সেলেব দম্পতি হৃতিক রোশন এবং সুজান খানের দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা এখনও ভাল বন্ধু। লকডাউনের অনেকটা সময়ই একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু শোনা গিয়েছিল, অর্জুন রামপালের সঙ্গে সুজানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণেই নাকি হৃতিকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। যদিও এ নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে গসিপও থিতিয়ে যায়। তার মাস কয়েক আগেই এক রেস্তরাঁয় সাবা-হৃতিক একসঙ্গে খেতে গিয়েই পাপারাজ্জির ক্যামেরা বন্দি হন। শুরু হয় গুঞ্জন।



রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের এই জোট পঞ্চায়েত ভোটের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের পর এবার এগরা। সমবায় সমিতির ভোটে জয় জয়কার বাম-বিজেপি জোটের। খাতাই খুলতে পারল না ঘাসফুল শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের সর্বদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নস্করপুর সমবায় সমিতির ভোটে বিপুল জয় পেলেন প্রগতিশীল সমবায় জোটের প্রতিনিধিরা। নস্করপুর সমবায় সমিতির মোট ভোটার ৯২৪। ভোট পড়েছে ৮২৭টি। আসন সংখ্যা ছিল ৯টি। ৯টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী বিজেপি, বাম ও জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এদিন নির্বাচন উপলক্ষে সকাল থেকেই আটবাটি হাইস্কুলে ব্যাপক সংখ্যক এগরা থানার পুলিশ মোতায়েন ছিল। ভোটে জেতার পর গেরুয়া আবির মেখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলে উল্লাসে মাতেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পাশাপাশি বামেদের তরফে একে অপরকে লাল তিলক লাগিয়ে ইনকিলাব স্লোগান তোলা হয়। বিরোধীদের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এই ভাবেই তৃণমূল গোহারা হারবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের এই জোট পঞ্চায়েত ভোটের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলকে হারাতে বিভিন্ন এই জোটকে মডেল করে এগোতেও পারে বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এই জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির।



নস্করপুর সমবায় সমিতির বাম সমর্থিত জয়ী প্রার্থী চন্দন চাটিয়াল বলেছেন, “শাসকদলের দুর্নীতি এবং মস্তানি সাধারণ মানুষ আর চাইছে না। যাঁরা আমাদের আশীর্বাদ করেছে তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়।” অপর জয়ী প্রার্থী অনিল পান্ডা বলেছেন, “প্রগতিশীলের পক্ষ থেকে আমরা ৯ জন নির্বাচিত হয়েছি। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা মিলিতভাবে লড়াই করছিলাম। মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”



এই জয় নিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য বলেছেন, “তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দেখিয়ে দিল এই সমবায় সমিতির ভোট। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে সাফ করে দেবে।” কাঁথি জেলা বিজেপি সভাপতি সুদাম পন্ডিত বলেছেন, “তৃণমূল যত মানুষকে ভয় দেখাবে, তত মানুষ জবাব দেবে। তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সমিতির নির্বাচনে সব মানুষ এক হয়েছে।” সর্বোদয় অঞ্চল তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সত্যব্রত দাস বলেছেন, “পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে সমবায় সমিতির ভোটের কোনও মিল নেই। সবাই মিলে ঝুলে জোট করেছিল। আমরা হয়তো বোঝাতে পারিনি সমিতির সদস্যদের।”


নকল ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ, কাঠগড়ায় শাসক ও বিরোধী শিবির

সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫ জন, তার মধ্যে রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ পুরুষ ভোটার এবং ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৭ জন মহিলা ভোটার।



তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত সাহার প্রয়াণে উপনির্বাচন হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভায়। সেই নির্বাচনে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে পরিচিত। ঘাসফুলের থেকে আসন ছিনিয়ে নিতে বিজেপির হয়ে লড়ছেন দিলীপ সাহা। এই উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে সমর্থন করেছে বামেরা। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫ জন, তার মধ্যে রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ পুরুষ ভোটার এবং ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৭ জন মহিলা ভোটার। মোট ২৪৬ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে এই বিধানসভায়।




তৃণমূলের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন: অধীর চৌধুরী
ভোট কেন্দ্রের বাইরে নকল ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ছবি ধরা পড়ল গোবর্ধন ডাঙ্গা অঞ্চলের ঘুগড়িডাঙ্গা ২৩৫ ও ২৩৬ নম্বর বুথের বাইরে। শাসক ও বিরোধী সকলকেই দেখা গেল নকল ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করতে।
কমিশনের কড়া নির্দেশ: সাগরদিঘি উপনির্বাচন চলাকালীন বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত বরদাস্ত করা যাবে না। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় জমায়েতের খবর মিলছে। ৫৪ নম্বর বুথের বাইরে উত্তেজনা। সেই খবর পেয়েই আবারও নির্দেশ দিল কমিশন।
বেলা ১১টা অবধি সাগরদিঘিতে ৩১.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


সাগরদিঘির ২১৩ বুথের বিজেপি বুথ এজেন্ট কে খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ। পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ।
সাগরদিঘি বিধানসভার ১২৩ এবং ১২৪ নম্বর বুথে ভোট দিলেই মিলছে মুড়ি ঘুগনি!
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা ও বাম সমর্থিক কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাসের করমর্দনকে কটাক্ষ করে বিরোধী আঁতাতের তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ” বিরোধীদের অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে। সাগরদিঘির মানুষ এই অশুভ আঁতাতের জবাব দেবেন।”
নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বুথে ২০০ মিটারের মধ্যে জমায়েতের অভিযোগ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ১৩.৩৭ শতাংশ।
কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর শুভেচ্ছা বিনিময় সামসাবাদে। সামসাবাদে একটি বুথের বাইরে সাক্ষাৎ হয় দুই বিরোধী প্রার্থীর।
 সামসাবাদ হাইস্কুলে ২০৮, ২১১ নম্বর বুথে রাজ্য পুলিশকে ২০০ মিটারের বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কেন প্রার্থী রাজ্য পুলিশকে বের করে দিয়েছে জানতে রিপোর্ট তলব কমিশনের। সাধারণত রাজ্য পুলিশ লাইন ঠিক করার দায়িত্বে থাকে। ২০০ মিটারের বাইরে থাকার কোন নিয়ম নেই। গহটনা জানতে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব কমিশনের।
সাগরদিঘি বিধানসভার ডাংরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথে পোলিং অফিসারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বোখারা ১নম্বর পঞ্চায়েতের ৪৮ নম্বর বুথ এলাকায় বহিরাগত প্রবেশে ঘিরে উত্তেজনা।
সাগরদিঘি বিধানসভার হোসেনপুর ২১০ ও ২১১ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস বুথের ভিতরে প্রবেশ করায় এলাকায় উত্তেজনা।
বোখারা অঞ্চলের ৬৩ নম্বর বুথের ভিতরে আলো কমের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর।
সাগরদিঘি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮৭ নম্বর বুথে ইভিএম উল্টো করে রেখে দেওয়ার অভিযোগ।
সাগরদিঘির ৫৩ নম্বর বুথে মক পোল না করেই ভোটগ্রহণ শুরুর অভিযোগ।
ভিভিপ্যাড খারাপের কারণে ভোট গ্ৰহণ শুরু হয়নি সাগরদিঘির অলংকার ২১৩ নম্বর বুথে।
মকপোলের মধ্যে দিয়ে উপনির্বাচন শুরু হল সাগরদিঘিতে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে শুরু ভোটগ্রহণ।
এখনও সুস্থ নন জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার। পিঠের চোট থেকে সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে।

বাইশ গজে ফেরার অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah)। নেপথ্যে বুমরার নাছোড় চোট। এখনও সুস্থ নন জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার। পিঠের চোট থেকে সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে। কম করে আরও পাঁচমাস সময় লাগতে পারে। যে কারণে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলেও (IPL 2023) হয়তো খেলতে পারবেন না বুম বুম। গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাইশ গজ থেকে দূরে তিনি। শোনা যাচ্ছিল, ২০২৩ আইপিএলে সরাসরি মাঠে নামবেন তিনি। কোটিপতি লিগে মাঠে নামলেও বুমরাকে সবকটি ম্যাচ খেলানোর বিপক্ষে ছিল বিসিসিআই (BCCI)। ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আইপিএলটাও হাতছাড়া হতে চলেছে তাঁর। এমনকী জুন মাসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও বুমরার খেলা অনিশ্চয়তায় মোড়া। বিস্তারিত রইল


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে বুমরার মাঠে ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও তাঁকে পাওয়ার আশা শেষ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের আইপিএল শুরু হতে হতে বুমরা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছিলেন অনেকেই। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব চলছে বুমরার। এনসিএ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বেশ কয়েকটি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছেন বুমরা। যে কারণে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তাঁর মাঠে প্রত্যাবর্তনের জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। সে গুড়েও বালি। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিট হতে এখনও ৫ মাসের মতো সময় লাগবে বুমরার। তাই আইপিএল এবং আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল দুটোই মিস করতে পারেন তিনি। এতে মাথায় হাত পড়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ১২ কোটি টাকার পেসার মাঠে না নামতে পারলে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সেটা মোটেও স্বস্তির বিষয় নয়।

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। তাতে পুলিশের চারজন অফিসার সহ মোট ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


বালির লড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড গোপীবল্লভপুরের দহমুড়া এলাকায়। যুবকের দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। তাতে পুলিশের চারজন অফিসার সহ মোট ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়। নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী থানা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে আপারেশন শুরু করে পুলিশ। পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ওই এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান ঝাড়গ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে গোপীবল্লভ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত। তবে দহমুড়ার পরিস্থিতি এখন থমথমে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।





জানা গিয়েছে, রবিবার করমা সিং নামে এক যুবক গোপীবল্লভপুরের দিক থেকে হাতিবাড়ির দিকে বাইকে করে যাচ্ছিল। সে সময় একটি লরি সুবর্ণরেখা নদী থেকে বালি তোলার জন্য উল্টো দিক দিয়ে আসতেছিল। সেই লরিটি দহমুড়া এলাকায় বাইকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাইক আরোহী যুবক করমা সিংয়েক (২৭)। মৃত যুবকের বাড়ি গোপীবল্লভপুরের বাবুডুমরো গ্রামে। এই ঘটনার পরই গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে। বালিবোঝাই লরির ধাক্কায় এ রকম দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটছে।


এই ঘটনার পরে ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাত বলেছেন, “দিনের পর দিন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। প্রশাসনকে এড়িয়ে এই কাজ কী করে হয়। অবিলম্বে এই বালি তোলা বন্ধ করতে হবে। নয়তো এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে। নাহলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হবে। বর্ষাকালে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দেবে।” প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ওই বিজেপি নেতার। এ নিয়ে গোপীবল্লভপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি হেমন্ত ঘোষ বলেছেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা। তা কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে সিপিএম ও বিজেপি। বালি অবৈধ ভাবে তোলা হচ্ছে কি না তা প্রশাসন বলতে পারবে।”




গোপাল দলপতির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হলেন হৈমন্তী। তিনি পেশায় একজন মডেল। অভিনয় জগতে 'স্ট্রাগল' করছিলেন

হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নামে ১ টাকাও পাবেন না। নয়া দিল্লিতে দাঁড়িয়ে TV9 বাংলার প্রতিনিধির কাছে দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসা গোপাল দলপতি। প্রশ্ন করা হয়, তাঁদের দুজনের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকার অভিযোগ উঠছে, এ অভিযোগ সত্য? দৃঢ় কন্ঠে গোপাল দলপতি বলেন, “হাজার হাজার কোটি টাকা তো দূরের কথা। কোনও সম্পত্তি গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে আছে, সেটা দেখিয়ে দিক কেউ। ওই হাজারটা শুধু জিরো হয়ে যাবে না তো। একটা বাদ দিলে আর বাকি তো সব জিরো জিরো…এটা খুব তাড়াতাড়ি প্রমাণ হবে।




প্রসঙ্গত, গোপাল দলপতির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হলেন হৈমন্তী। তিনি পেশায় একজন মডেল। অভিনয় জগতে ‘স্ট্রাগল’ করছিলেন। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। তাঁর কাছেই নাকি রয়েছে সব টাকা। আদালতে যাওয়ার সময়ে এমনটাই দাবি করেছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তিনি দাবি করেছিলেন, “সব টাকা গোপাল দলপতির স্ত্রী কাছে রয়েছে।” হৈমন্তীর বাবার বাড়ি হাওড়ার বাকসাড়া এলাকায়। সেখানে গিয়ে জানা যায়, গোপালের সঙ্গে হৈমন্তীর বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার। অন্তত তাঁর মা এমনটাও দাবি করেছিলেন। অথচ প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, এলাহি আয়োজন করেই বিয়ে হয়েছিল দুজনের। টালিগঞ্জের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন দুজন। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে, সেখানেও আসছেন না তাঁরা। তাহলে গেলেন কোথায়? গোপাল দলপতির খোঁজ মিলল নয়া দিল্লিতে। এদিকে, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর হৈমন্তী কোথায়, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। হৈমন্তীর মা আগেই দাবি করেছিলেন, “ওরা এখন ভিখারি হয়ে গিয়েছে।” কার্যত একই দাবি করলেন গোপালও। দাবি করলেন, তাঁর নামে একটা টাকাও নেই।

কলকাতা বিমানবন্দরে রাত ১টা ৯ মিনিটে উড়েছিল কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককগামী স্পাইসজেটের ওই বিমানটি। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।


যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে ফের বিমানের জরুরি অবতরণ কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককগামী স্পাইস জেটে বিমানে ঘটল বিপত্তি। রবিবার রাত ১টা ৯ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে রওনা দেন বিমানটি। সেই বিমানে ১৭৮ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। কিন্তু বিমান ওড়ার কয়েক মিনিট পরই পাইলট লক্ষ্য করেন বাঁদিকের ইঞ্জিনে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। বিপদের আঁচ করে সঙ্গে সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে। জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের অনুমতি দেন। এটিসি-র তরফেও পরিস্থিতি বুঝে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পরই ফের কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে আসে বিমানটি। সংশ্লিষ্ট উড়ার কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়াররা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যান ওই বিমানে। তাঁরা দেখেন বাঁ-দিকের ইঞ্জিনের একটি ব্লেড ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।


কলকাতা বিমানবন্দরে রাত ১টা ৯ মিনিটে উড়েছিল কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককগামী স্পাইসজেটের ওই বিমানটি। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। তখন উড়ান সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা বিমানের ইঞ্জিনের ব্লেড ভাঙা দেখেন। সেই পরিস্থিতিতে ওই বিমান উড়িয়ে ব্যাঙ্কক যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তখনই বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিমানের আপদকালীন দরজা দিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। এর জেরে বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে হয় ওই বিমানের যাত্রীদের। সোমবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে অপর একটি বিমানে করে ওই যাত্রীদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে।




বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ থাকা সত্ত্বেও তা কেন যাত্রা শুরু করল, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এই ঘটনা ঘিরে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও ওই উড়ান সংস্থা বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই গোলযোগের কারণ নিয়ে এখনও কিছু জানাননি। রবিবার দুপুরেই যোধপুর থেকে আসা একটি বিমান যান্ত্রিক গোলযোগের জেরেই কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছিল।

তাপস মণ্ডলকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সওয়াল জবাবের সময়ে আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন,নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম চক্রী হলেন তাপস মণ্ডল।


নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তের স্বার্থেই তাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাপসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, তাপসের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা ছিল। সেই টাকার আয়ের উৎস জানতে চান তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, তাপস মণ্ডলের একটি এনজিও রয়েছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের টাকা এনজিও-তে যেত বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তাপস এমনিতেই মামলা লড়ছেন, পাশাপাশি এনজিও-র টাকায় অনেকগুলি বৃদ্ধাশ্রম চলে বলেও খবর। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেলে, কীভাবে এই সব কাজে অর্থ বহন হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।



তাপস মণ্ডলকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সওয়াল জবাবের সময়ে আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম চক্রী হলেন তাপস মণ্ডল। ২০১৪ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন তাপস। সিবিআই দাবি করে, তাপস অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের মারফত চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন।

প্রথম থেকেই তাপস মণ্ডল সিবিআই-এর কাছে দাবি করে আসছিলেন, তিনি কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সিবিআই-র কাছে ম্যারাথন জেরার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। একাধিকবার জেরার সম্মুখীন হওয়ার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তাপস মণ্ডলকে। সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি নামে আরও এক মিডলম্যানকে। সিবিআই দাবি করে. তাপস ও নীলাদ্রি জেরায় সহযোগিতা করছে না। নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। গ্রেফতারির পর থেকে তাপস মণ্ডল অবশ্য সদা হাস্যমুখে দাবি করে আসছেন, “প্রভাবশালীদের একজনই আমায় ফাঁসিয়েছে। টাকা আমি নিইনি। কুন্তল নিয়েছিল। ৫০ লক্ষ নয়। ১৯ কোটি টাকা নিয়েছিল। ওর থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলাম। অভিযোগ করেছিলাম। তাই আজ অভিযুক্ত। কেন গ্রেফতার জানা নেই।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের এই জোট পঞ্চায়েত ভোটের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের পর এবার এগরা। সমবায় সমিতির ভোটে জয় জয়কার বাম-বিজেপি জোটের। খাতাই খুলতে পারল না ঘাসফুল শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের সর্বদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নস্করপুর সমবায় সমিতির ভোটে বিপুল জয় পেলেন প্রগতিশীল সমবায় জোটের প্রতিনিধিরা। নস্করপুর সমবায় সমিতির মোট ভোটার ৯২৪। ভোট পড়েছে ৮২৭টি। আসন সংখ্যা ছিল ৯টি। ৯টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী বিজেপি, বাম ও জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এদিন নির্বাচন উপলক্ষে সকাল থেকেই আটবাটি হাইস্কুলে ব্যাপক সংখ্যক এগরা থানার পুলিশ মোতায়েন ছিল। ভোটে জেতার পর গেরুয়া আবির মেখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলে উল্লাসে মাতেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পাশাপাশি বামেদের তরফে একে অপরকে লাল তিলক লাগিয়ে ইনকিলাব স্লোগান তোলা হয়। বিরোধীদের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এই ভাবেই তৃণমূল গোহারা হারবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের এই জোট পঞ্চায়েত ভোটের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলকে হারাতে বিভিন্ন এই জোটকে মডেল করে এগোতেও পারে বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এই জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির।



নস্করপুর সমবায় সমিতির বাম সমর্থিত জয়ী প্রার্থী চন্দন চাটিয়াল বলেছেন, “শাসকদলের দুর্নীতি এবং মস্তানি সাধারণ মানুষ আর চাইছে না। যাঁরা আমাদের আশীর্বাদ করেছে তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়।” অপর জয়ী প্রার্থী অনিল পান্ডা বলেছেন, “প্রগতিশীলের পক্ষ থেকে আমরা ৯ জন নির্বাচিত হয়েছি। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা মিলিতভাবে লড়াই করছিলাম। মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”




এই জয় নিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য বলেছেন, “তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দেখিয়ে দিল এই সমবায় সমিতির ভোট। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে সাফ করে দেবে।” কাঁথি জেলা বিজেপি সভাপতি সুদাম পন্ডিত বলেছেন, “তৃণমূল যত মানুষকে ভয় দেখাবে, তত মানুষ জবাব দেবে। তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সমিতির নির্বাচনে সব মানুষ এক হয়েছে।” সর্বোদয় অঞ্চল তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সত্যব্রত দাস বলেছেন, “পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে সমবায় সমিতির ভোটের কোনও মিল নেই। সবাই মিলে ঝুলে জোট করেছিল। আমরা হয়তো বোঝাতে পারিনি সমিতির সদস্যদের।”

সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫ জন, তার মধ্যে রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ পুরুষ ভোটার এবং ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৭ জন মহিলা ভোটার।

তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত সাহার প্রয়াণে উপনির্বাচন হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভায়। সেই নির্বাচনে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে পরিচিত। ঘাসফুলের থেকে আসন ছিনিয়ে নিতে বিজেপির হয়ে লড়ছেন দিলীপ সাহা। এই উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে সমর্থন করেছে বামেরা। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫ জন, তার মধ্যে রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ পুরুষ ভোটার এবং ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৭ জন মহিলা ভোটার। মোট ২৪৬ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে এই বিধানসভায়।




ভোট কেন্দ্রের বাইরে নকল ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ছবি ধরা পরল গোবর্ধন ডাঙ্গা অঞ্চলের ঘুগড়িডাঙ্গা ২৩৫ ও ২৩৬ নম্বর বুথের ঘটনা। শাসক ও বিরোধী সকলকেই দেখা গেল নকল ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করতে।
কমিশনের কড়া নির্দেশ: সাগরদিঘি উপনির্বাচন চলাকালীন বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত বরদাস্ত করা যাবে না। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় জমায়েতের খবর মিলছে। ৫৪ নম্বর বুথের বাইরে উত্তেজনা। সেই খবর পেয়েই আবারও নির্দেশ দিল কমিশন।
বেলা ১১টা অবধি সাগরদিঘিতে ৩১.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সাগরদিঘির ২১৩ বুথের বিজেপি বুথ এজেন্ট কে খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ। পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ।



সাগরদিঘি বিধানসভার ১২৩ এবং ১২৪ নম্বর বুথে ভোট দিলেই মিলছে মুড়ি ঘুগনি!
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা ও বাম সমর্থিক কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাসের করমর্দনকে কটাক্ষ করে বিরোধী আঁতাতের তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ” বিরোধীদের অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে। সাগরদিঘির মানুষ এই অশুভ আঁতাতের জবাব দেবেন।”
নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বুথে ২০০ মিটারের মধ্যে জমায়েতের অভিযোগ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ১৩.৩৭ শতাংশ।
কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর শুভেচ্ছা বিনিময় সামসাবাদে। সামসাবাদে একটি বুথের বাইরে সাক্ষাৎ হয় দুই বিরোধী প্রার্থীর।
 সামসাবাদ হাইস্কুলে ২০৮, ২১১ নম্বর বুথে রাজ্য পুলিশকে ২০০ মিটারের বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কেন প্রার্থী রাজ্য পুলিশকে বের করে দিয়েছে জানতে রিপোর্ট তলব কমিশনের। সাধারণত রাজ্য পুলিশ লাইন ঠিক করার দায়িত্বে থাকে। ২০০ মিটারের বাইরে থাকার কোন নিয়ম নেই। গহটনা জানতে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব কমিশনের।
সাগরদিঘি বিধানসভার ডাংরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথে পোলিং অফিসারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বোখারা ১নম্বর পঞ্চায়েতের ৪৮ নম্বর বুথ এলাকায় বহিরাগত প্রবেশে ঘিরে উত্তেজনা।
সাগরদিঘি বিধানসভার হোসেনপুর ২১০ ও ২১১ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস বুথের ভিতরে প্রবেশ করায় এলাকায় উত্তেজনা।
বোখারা অঞ্চলের ৬৩ নম্বর বুথের ভিতরে আলো কমের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর।
সাগরদিঘি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮৭ নম্বর বুথে ইভিএম উল্টো করে রেখে দেওয়ার অভিযোগ।
সাগরদিঘির ৫৩ নম্বর বুথে মক পোল না করেই ভোটগ্রহণ শুরুর অভিযোগ।
ভিভিপ্যাড খারাপের কারণে ভোট গ্ৰহণ শুরু হয়নি সাগরদিঘির অলংকার ২১৩ নম্বর বুথে।
মকপোলের মধ্যে দিয়ে উপনির্বাচন শুরু হল সাগরদিঘিতে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে শুরু ভোটগ্রহণ।

ফোনটি যখন লঞ্চ করা হয়েছিল, তখন তার 6GB RAM + 128GB স্টোরেজ মডেলের দাম ছিল 28,999 টাকা। সেই ফোনের উপরে Amazon সরাসরি 21% ডিসকাউন্ট দিচ্ছে।


ফোনটি জানুয়ারি মাসে ভারতে লঞ্চ করেছিল Samsung। এক মাস যেতে না যেতেই Amazon-এ সেই ফোনের দাম বিরাট কমানো হল। পারফরম্যান্স এবং স্পেসিফিকেশনের নিরিখে এই ফোন লাজবাব। কিন্তু, কয়েক দিন আগে পর্যন্তও চড়া দামের কারণে Samsung Galaxy A23 5G ফোনটি কিনতে গিয়ে বারবার পিছ পা হচ্ছিলেন ক্রেতারা। এবার তাঁদের জন্য এবার দুর্দান্ত সুযোগ এসে গিয়েছে। Amazon থেকে এই ফোন আপনি এখন 5,000 টাকারও কম দামে কিনতে পারবেন। 120Hz রিফ্রেশ রেটের এই ফোনে রয়েছে 50MP কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। কীভাবে এত কম দামে এই ফোনটি আপনি পাবেন, সেই সংক্রান্ত সব তথ্য জেনে নিন।


Amazon-এ ব্যাপক ছাড়ে Samsung Galaxy A23 5G

Samsung Galaxy A23 5G ফোনটি যখন লঞ্চ করা হয়েছিল, তখন তার 6GB RAM + 128GB স্টোরেজ মডেলের দাম ছিল 28,999 টাকা। সেই ফোনের উপরে Amazon সরাসরি 21% ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। যার ফলে, এই গ্যালাক্সি মডেলের দাম হয়ে যাচ্ছে 22,999 টাকা। তার উপরে আবার থাকছে এক্সচেঞ্জ এবং ব্যাঙ্ক অফার। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস টেকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক্সচেঞ্জ অফারে এই ফোনের উপরে 18,050 টাকার ছাড় দেওয়া হবে। তার জন্য আপনি পুরনো যে ফোনটা বদলাবেন, তা ওয়ার্কিং কন্ডিশনে থাকতে হবে। আর এই এক্সচেঞ্জ অফারে ডিসকাউন্টের পরেই Galaxy A23 5G ফোনের দাম হয়ে যাবে 4,949 টাকা। এখন বুঝতেই পারছেন, কোন শর্তে আপনি 28,999 টাকা দামের একটা ফোন 5,000 টাকারও কম দামে পেয়ে যাচ্ছেন।




অফারের এখানেই শেষ নয়। তারপরেও আবার থাকছে তিনটি ব্যাঙ্কের অফার-

1) Samsung Galaxy A23 5G ফোনটি IDBI ব্যাঙ্কের কার্ড ব্যবহার করে কিনলে পেয়ে যাবেন 500 টাকা ডিসকাউন্ট।

2) Yes Bank-এর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এই ফোন ক্রয় করলে পেয়ে যাবেন 1500 টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট।

3) HSBC ক্যাশব্যাক ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে এই ফোনটি ক্রয় করলে পেয়ে যাবেন 250 টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।

Samsung Galaxy A23 5G: স্পেসিফিকেশন, ফিচার

Galaxy A23 5G ফোনের মোট তিনটি কালার ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে- সিলভার, অরেঞ্জ এবং লইট ব্লু। এই ফোনে রয়েছে এজ টু এজ 6.6 ইঞ্চির FHD+ ইনফিনিটি-V ডিসপ্লে। ডিভাইসটির রিফ্রেশ রেট 120Hz, যা স্মুধ স্ক্রলিং এবং ফ্লুইড ট্রানজ়িশন অফার করবে। অত্যন্ত শক্তিশালী একটি 5000mAh ব্যাটারি রয়েছে এই ফোনে, যা 25W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করবে। 50MP কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে ফোনটিতে, যার সঙ্গে আলট্রা-ওয়াইড, ডেপথ এবং ম্যাক্রো লেন্সও দেওয়া হয়েছে।

সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘No Shake Cam’ সাপোর্টেড এই Samsung Galaxy A23 5G ফোনটি অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজ়েশন সাপোর্ট করবে। এই OIS ফিচারের সাহায্যে এই ফোন তার ব্যবহারকারীদের আরও উজ্জ্বল ছবি ও ভিডিয়ো তুলতে সাহায্য করবে, যাতে কোনও শেকি মুভমেন্ট এবং ব্লার ভাব থাকবে না। পারফরম্যান্সের দিক থেকে এই গ্যালাক্সি ফোনটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন 695 প্রসেসর দ্বারা চালিত, যা পেয়ার করা থাকছে 16GB পর্যন্ত RAM-এর সঙ্গে। এছাড়াও এই ফোনে রয়েছে RAM Plus ফিচার, যা স্টোরেজ থেকে অতিরিক্ত জায়গা র‌্যাম হিসেবে কাজে লাগাতে দেবে।

চুল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি কোন উপায়ে আমন্ডের তেল ব্যবহার করবেন? রইল সহজ ৩টি কার্যকর উপায়...

চুল পড়ার সমস্যাকে দূর করা সহজ কাজ নয়। তবে, বারবার শ্যাম্পু, তেল বদলে খুব একটা উপকার পাওয়া যায় না। বরং, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন, রিভিউ দেখে প্রভাবিত হয়ে গেলে ক্ষতি আপনারই হয়। প্রথমত, সবার চুল এক রকম নয়। দ্বিতীয় আপনার চুল পড়ার কারণ অন্যদের থেকে আলাদাও হতে পারে। তাছাড়া ঘন ঘন প্রসাধনী পণ্য পরিবর্তন করলে তা লাভের বদলে ক্ষতিই হয়। তার চাইতে এমন পণ্য খুঁজে নেওয়া জরুরি, যেটা শুধুমাত্র আপনার জন্যই তৈরি। আর যেখানে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন, সেখানে আপনি আমন্ডের তেল ব্যবহার করতে পারেন।




আমন্ডের তেলের মধ্যে ভিটামিন ই, বায়োটিনের মতো অপরিহার্য পুষ্টি রয়েছে। এটি স্ক্যাল্পের চুলকানি, খুশকির সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে দেয়। আমন্ডের তেল চুলের গোড়া মজবুত করে। মূলত আমন্ডের তেল স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার জেরে ধীরে ধীরে চুলের সমস্যা কমে যায়। কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি কোন উপায়ে আমন্ডের তেল ব্যবহার করবেন? রইল টিপস…

তেল মালিশ করুন- সপ্তাহে দু’বার আমন্ডের তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ও চুল মালিশ করুন। শ্যাম্পু করার কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা আগে তেল মাখুন। আগের দিন রাতেও তেল মাখতে পারেন। তেল ব্যবহারের আগে এটা অল্প করে গরম করে নিন। আমন্ডের তেলের মধ্যে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। সুতরাং, এই উপায়ে আমন্ডের তেল ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয়, খুশকির সমস্যা কমে যায় এবং চুল অনেক বেশি ঘন ও লম্বা হয়।



কখনও কাজল, কখনও অজয় বারে বারে চর্চায় নিয়ে এসেছেন তাঁদের ছোট ছেলেকে।


অজয় দেবগণ ও তাঁর ছেলের মধ্যে থাকা সম্পর্কের সমীকরণ এক কথায় সকলেই কম বেশি জানেন। কখনও কাজল, কখনও অজয় বারে বারে চর্চায় নিয়ে এসেছেন তাঁদের ছোট ছেলেকে। যুগকে প্রথম থেকেই কাজল একটু অন্যভাবেই বড় করেছে। কাজল নিজেই জানিয়েছিলেন, যুগের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। যুগের চিন্তাভাবনা অনেক সময় তাঁর বাস্তব জ্ঞানকে যেন নাড়িয়ে দেয়। এবার সেই যুগের সঙ্গেই ছবি শেয়ার করলেন অজয় দেবগণ। ছেলের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তবে লড়াইয়ের ফলাফল না ঘোষণা করেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটা এমন একটা লড়াই যাতে বারে বারে প্রতিটা বাবাই হেরে যেতে চাইবেন। তবে যুগ বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। অজয়ের শেয়ার করা ছবিতে সকলেই কমেন্ট বক্সে প্রশংসা করলেন পর্দার হিরোর।


অভিনেতা এখন ব্যস্ত তাঁর আগামী ছবির কাজ নিয়ে। ভোলা ছবির শুটিং শেষ, ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার থেকে শুরু করে টিজ়ার, গান দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। অজয় দেবগণ বারবরই ফ্যামিলি ম্যান। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেকে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন কাজলও। দূর্গা পুজোতে দেখা যায় তাঁকে ভোগ বিরতণ করতে। তখনও ছেলেকে নিয়ে বেজায় আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন কাজল।

তবে একবার যুগ নিজেই চোখ খুলে দিয়েছিলেন কাজলের। বাড়িতে পুজোর সময় কাজল লক্ষ্য করেন পুজোর জায়গায় যুগ বসে নেই। তিনি তখন যুগকে ডেকে পাঠালেন সে পাল্টা জানায়, তার ইচ্ছে নেই তাই সে বসে নেই। জোর করে কেন বসবে সেখানে, তার ভেতর থেকে যখন চাইবে সে তখনই বসবে, সেটাই উচিত। কাজল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এমনভাবেউই অধিকাংশ সময় সে যুগের থেকে অনেক কিছু শিখছে। যুগ খুব সহজভাবে এমন কিছু কথা বলে থাকেন, যা প্রথমিকভাবে তাঁকে ভাবিয়ে তোলে।

সদ্য বিয়ে হয়েছে পাকিস্তানের জোরে বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির। পিএসএলের জন্য মাঠে নেমে বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন তিনি।

পাকিস্তান সুপার লিগে আগুন ঝরাচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Afridi)। তাঁর বলের গতিতে ভেঙে টুকরো হয়ে যাচ্ছে আস্ত ব্যাট। পরের বলেই ছিটকে যাচ্ছে উইকেট। গতির জেরে বিপক্ষের ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে প্রথম জয় এনে দেওয়া বোলার (PSL 2023)। ঘটনাটি পেশোয়ার জালমি এবং লাহোর কলন্দর্সের মধ্যে ম্যাচের। যেখানে ৪০ রানে বাবর আজমের পেশোয়ারকে হারিয়ে দিয়েছে লাহোর কলন্দর্স। ম্যাচে লাহোরের হয়ে ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন আফ্রিদি। অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেটও রয়েছে এর মধ্যে। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে লাহোর ২৪১ রান তুলেছিল। রান তাড়া করতে নেমে পেশোয়ার ২০১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। সেই ম্যাচেই দেখা গেল শাহিন আফ্রিদির বিস্ফোরক বোলিং। বিস্তারিত 


পেশোয়ার জালমির ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার মহম্মদ হ্যারিসের ব্যাট দু টুকরো করে দেন শাহিন। শাহিন প্রথম বলেই ইয়র্কার দেন। হ্যারিস তাঁর পূর্ণ শক্তি দিয়ে কভার ড্রাইভ হাঁকাতে গিয়েছিলেন। ব্যাটে, বল আঘাত করার পর ব্যাটের নীচের দিকে অর্ধেকের বেশি অংশ ছিটকে গিয়ে পড়ে মাঠে। উপরের দিকে অংশটি তখনও হ্যারিসের হাতে ধরা। তিনিও অবাক হয়ে যান। তৎক্ষণাৎ নতুন ব্যাট নিয়ে আসা হয়। শাহিনের দ্বিতীয় বলটিও ছিল ইয়র্কার লেন্থের। যা ব্যাট এবং প্যাডের মাঝখান দিয়ে ছুটে গিয়ে স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। ইনিংসের প্রথম দুটি বলেই শাহিন বুঝিয়ে দিলেন তাঁর মাঠে নামার উদ্দেশ্য।

 কোনও দেশে পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকরা যাতে সঠিক দাম পান সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বের একাধিক দেশে সম্প্রতি পেঁয়াজের সঙ্কট দেখা গিয়েছে। কোথাও পেঁয়াজের আকাল। আবার কোথাও পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দাম। এই পরিস্থিতিতে গত মাসেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক সতর্কতা জারি করেছিল। তবে এর ঠিক বিপরীত ছবি দেখা গিয়েছে ভারতের বাজারে। একদিকে বিশ্বের একাধিক দেশে যখন মিলছে না পেঁয়াজ তখন ভারতে পচছে পেঁয়াজের মজুত। বিশ্বে দাম চড়া হলেও ভারতের বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম। তাই লাভ না পেয়ে পচছে চাষিদের ফলন।

এই পরিস্থিতিতে চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়াকে (নাফেড) এশিয়ার বৃহত্তম পেঁয়াজ বাণিজ্য কেন্দ্র নাসিক থেকে উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ কিনে যেখানে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় না সেসব রাজ্যে বিক্রি করতে বলেছে।



সস্তায় পেঁয়াজ মেলায় ক্রেতাদের মুখে হাসি। তাঁরা বাজারে ১ থেকে ২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পেয়ে যাচ্ছেন। তবে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পাচ্ছেন না লাভ। পেঁয়াজের দাম কম পাওয়ায় এদিকে পেঁয়াজের নিলাম বন্ধ করে দিচ্ছে কৃষকরা। নাসিক সহ বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্য় দামের জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভও করছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের হর্টিকালচারিস্ট রাজেন্দ্র তুকারাম জানিয়েছেন, একটি স্থানীয় ফার্মকে ৫১২ কেজি পেঁয়াজ ৫১২ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১ টাকায়। গত ২৬ ডিসেম্বর ক্যুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ১,৮৫০ টাকা। তা কমে ২৩ ফেব্রুয়ারি দাঁড়িয়েছে ৫৫০ টাকায়। রাজস্থানের কৃষকরাও জানিয়েছেন, উৎপাদন মূল্যের কম দামেই তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এই আবহে কৃষকদের সুরাহা দিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে বিদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এই পরিস্থিতিতে বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি করলে দেশীয় বাজারে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে পারে পেঁয়াজের।

নের ১৪ ঘণ্টা সময় কাটত তাঁর ইনস্টাগ্রামে। এই পেশা ও নেশাই যে তাঁর জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে সেটা হয়তো তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি।


দিনের বেশিরভাগ সময়টা এখন আমাদের ডিজিটালেই কাটে। বাসে, ট্রামে চলা পথেও মানুষ ব্যস্ত মোবাইল হাতে। এই দীর্ঘক্ষণ মোবাইল হাতে বসে থাকলে কী হতে পারে, জানেন? স্পন্ডালাইটিস, ওবেসিটি, চোখের সমস্যা এগুলো তো রয়েছে। আপনি ‘ডিজিটাল ভার্টিগো’র শিকার হতে পারেন। ভাবছেন এমনও রোগ হয়? আলবাত হয়। আর এই রোগে সম্প্রতি আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ বছরের এক যুবতী। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর হতে গিয়ে এখন তাঁর সারাদিন কাটছে হুইল চেয়ারে বসে। কারণ দিনের ১৪ ঘণ্টা তিনি ইনস্টাগ্রামেই সময় কাটাতেন।




২৯ বছরের যুবতী ফেনেলা ফক্স ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর। ফলোয়ারের সংখ্যা দেড় লক্ষেরও বেশি। দিনের ১৪ ঘণ্টা সময় কাটত তাঁর ইনস্টাগ্রামে। এই পেশা ও নেশাই যে তাঁর জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে সেটা হয়তো তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকার বুঁদ তাঁকে ‘ডিজিটাল ভার্টিগো’তে আক্রান্ত করেছে।

২০২১ সালে প্রথম এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে যুবতীর শরীরে। মাথা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা। ঠিক যে লক্ষণগুলোকে আপনি স্পন্ডালাইটিস ভেবে হালকাভাবে নেন। এই ব্যথাগুলোই ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে তাঁর শরীরে। তারপর সেখান থেকে অবস্থার অবনতি শুরু হয়। বমি বমি ভাব, মাথা ঝিমঝিম করার মতো উপসর্গ দেখা দেয় যুবতীর শরীরে।তখন তিনি দ্বারস্থ হন চিকিৎসকদের কাছে। ব্রিটেনে চিকিৎসা শুরু হতে জানা যায়, তিনি ‘ডিজিটাল ভার্টিগো’তে আক্রান্ত।

এমনও সূত্রের দাবি, পার্থর সঙ্গে কলকাতায় একান্তে দেখাও করেছেন বিভাগ অধিকারী। এই বিভাসকে নিয়ে বীরভূমে দলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে বলেও দাবি সূত্রের।


এবার ইডির স্ক্যানারে বিভাস অধিকারী (Bivash Adhikary)। সূত্রের খবর, এক সময় সক্রিয় তৃণমূল করতেন বিভাস। তবে “আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না” বলেই এখন দাবি বিভাসের। এই বিভাসের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন গোপাল দলপতি। এমনও সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুরুভাই’ তিনি। অর্থাৎ গোপালের পর এবার বিভাসকে ঘিরেও রহস্যের পরত বাড়ছে। এমনও সূত্রের দাবি, শিক্ষা ‘দুর্নীতি’র সূচনাপর্বে বিভাসই নাকি পার্থর ‘গুরু’ ছিলেন। বিভাস বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল নেতা ছিলেন। সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের একাংশের মুখেই উঠে এসেছে এমন তথ্য। বীরভূমের রামপুরহাট পার হয়ে নলহাটি। সেই নলহাটি-২ ব্লকের শীতলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি বিভাসের। সূত্রের দাবি, ধর্মীয় নামগানের আড়ালে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেই বিভাসের হাত পাকানো শুরু। রাজ্যে পালাবদলের পর দ্রুত তৃণমূলের অন্দরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষা সংক্রান্ত টুকটাক পরামর্শ দেওয়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতেন বলেও সূত্রের দাবি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর দ্রুত তাঁর ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন। আস্থাভাজনও হয়ে ওঠেন বলেই তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়ে যান।



এমনও সূত্রের দাবি, পার্থর সঙ্গে কলকাতায় একান্তে দেখাও করেছেন বিভাস অধিকারী। এই বিভাসকে নিয়ে বীরভূমে শাসকদলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে বলেও দাবি সূত্রের। মৌখিক ভদ্রতা রাখলেও জেলার নেতা-মন্ত্রীরাও এই বিভাসের পাত্তা পেতেন না বলেই সূত্র মারফত খবর। সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রাথমিট টেটে একেবারে প্রথমপর্বে ২ হাজার ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে এই বিভাসের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আর সেই সূত্র ধরেই খোঁজ চালাচ্ছে ইডি।

যদিও এ নিয়ে বিভাস অধিকারী বলেন, “আমি চাই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসুক। কোনও অবৈধ কিছু নেই। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার যাব। আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না। আগামিদিনে ইডি বা সিবিআই ডাকলে অলওয়েজ ওয়েলকাম। প্রথম থেকে বলে আসছি। ইডি তদন্ত করেছে। আমার যাবতীয় কাগজপত্র যা চেয়েছিল, সবই জমা দিয়েছি। ওরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি।”

এর আগেও মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে বাবার বিরুদ্ধে।

বিয়ে, পরপর সন্তান। তারপরও শারীরিক সম্পর্কে জোর স্ত্রীকে। বাধ্য হয়ে স্ত্রী স্বামীর ঘর ছাড়তেই আবারও বিয়ে। এইভাবেই তিন তিনটি বিয়ে করেছেন বলাগড় থানা (Balagarh PS) এলাকার এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এবার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে চুঁচুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনায় ছি ছি পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একজন বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে নিন্দায় সরব এলাকার লোকজন। শুধু বাবা হিসাবেই নন, স্বামী হিসাবেই ওই ব্য়ক্তি অত্যন্ত খারাপ বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের প্রথম বিয়ে ১৫ বছর বয়সে। তিনি তখন নাবালক। বিয়ের পরপরই দুই কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। অভিযোগ, সন্তানদের জন্মের পরও নিয়মিত স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন স্বামী। তা মানতে না পেরে স্বামীর ঘর ছাড়েন ওই মহিলা। মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। বড় মেয়ে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে ঘর ছাড়েন। মহিলার সঙ্গে বাপের বাড়িতে থাকত ছোট মেয়ে।




অভিযোগ, সেদিন রাতেই প্রথমপক্ষের ছোট মেয়েকে হাত, পা বেঁধে ধর্ষণ করেন বাবা। জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এরপর থেকে মেয়েকে ঘরে বন্দি করতে রাখতেন বলেও অভিযোগ। যদিও এরইমধ্যে কোনওভাবে ওই মেয়ে পালিয়ে দিদার বাড়ি চলে যায়। তবে বাবা আবার মেয়েকে ফিরিয়ে আনে।

এরপর ভয়ঙ্কর আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পেঁয়াজের জমিতে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই থেকে ফের ঘরে বন্দি করে রাখেন মেয়েকে। পরিকল্পনা ছিল মেয়েকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবেন। যদিও তার আগেই মেয়ের চিৎকারে সবটা জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। মেয়েটি সৎমাকে সবটা জানায়। বলাগড় থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এদিকে গ্রামের লোকজন ফুঁসতে থাকেন এই ঘটনার পর। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রামবাসীর হাত থেকে উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

যদিও গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, হৈমন্তী নিরপরাধ। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের শিকার তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।

তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির কথা। সেই কুন্তলের মুখেই এরপর শোনা যায় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা। যে নারীর পরতে পরতে রহস্যের শল্ক। একের পর এক সে শল্ক মোচন হচ্ছে, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। অভিনেত্রী, মডেল হৈমন্তীর বিভিন্ন সম্পত্তি, গোপালের সঙ্গে যৌথ পরিচালনায় সংস্থার সন্ধানের পর এবার সূত্রের দাবি হাজার কোটি টাকার মালিক এই হৈমন্তীও। অর্থাৎ গোপাল-হৈমন্তীর আবির্ভাবে ফের একবার ‘অপা’কাণ্ডের ছায়া। অনেকে আবার বলছেন, নিছক ছায়া নয়, গোপাল-হৈমন্তী হতে পারেন আস্ত বটগাছও। যে বটগাছের শিকড়ের পরতে পরতে জড়িয়ে চাকরি কেলেঙ্কারির বীজ। এখনও পর্যন্ত অনুমান ও তদন্তে উঠে আসা তথ্যেই চোখ কপালে উঠেছে সকলের। কারণ, মনে করা হচ্ছে এই রহস্যময়ী হৈমন্তীর ভান্ডারে থাকতে পারে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।


যদিও গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, হৈমন্তী নিরপরাধ। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের শিকার তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। যদিও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, “এসব তদন্ত ঘোরানোর জন্য কথা বলে লাভ নেই। যা টাকা আছে, তা গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। হৈমন্তী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের বউ। যেটা তদন্তে উঠে এসেছে, আপনাদের বলে দিলাম।”

এরপরই গোপাল, হৈমন্তী আরও বেশি করে উঠে আসেন প্রচারের আলোয়। তবে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যে সাপ বেরোনোর উপক্রম হয়েছে, বলছেন তদন্তকারীরাই। গোপাল, হৈমন্তীর সম্পত্তি নিয়েও নানা সূত্র থেকে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলায় নামে-বেনামে কমপক্ষে ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। একাধিক জেলায় বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। বীরভূমে গোপাল, হৈমন্তীর নামে হোটেল, গেস্ট হাউজ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।



এই বছরের দ্বিতীয় মন কি বাতে বক্তব্য রাখছেন মোদী।

এ বছরের দ্বিতীয় ‘মন কি বাত’-এ (Mann Ki Baat) বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মোদী। সেই নিয়ম মতোই ৯৮ তম ‘মন কি বাত’-এ বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তিনি। আজকের এই মাসিক রেডিয়ো প্রোগ্রামে কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী দেখে নিন এক নজরে-




বেশ কয়েকটি দেশ UPI-র প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। ভারত ও সিঙ্গাপুর UPI-প্যাসি লিঙ্ক চালু করেছে। এখন উভয় দেশের মানুষ সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারে। এই কৌশলগুলি জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়িয়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা হল বর্জ্য থেকে সম্পদ। ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার বোন কমলা মোহরানা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালান। আমরা যদি সংকল্প নিই, তাহলে পরিচ্ছন্ন ভারত গড়ার লক্ষ্যে বিশাল অবদান রাখতে পারব: ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী মোদী
অন্তত আমাদের সকলের উচিত প্লাস্টিকের ব্যাগের বদলে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অঙ্গীকার করা। আপনারা দেখবেন, আপনার সংকল্প আপনাকে কতটা তৃপ্তি দেবে এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে: ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী মোদী
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার শক্তি সর্বত্র দৃশ্যমান। ই-সঞ্জীবনী অ্যাপটি চিকিৎসকদের সঙ্গে টেলিকনসালটেশনে সহায়তা করছে। আমি এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার জন্য ডাক্তার এবং জনগণকে অভিনন্দন জানাই: মোদী


হিমালয় অঞ্চলে বসবাসকারী, মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ই-সঞ্জীবনী অ্যাপটি খুবই সহায়ক। #MannKiBaat ৯৮তম সংস্করণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এটি ভারতের ডিজিটাল শক্তিকে তুলে ধরে।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান যুব পুরস্কার সংগীত ও পারফর্মিং আর্ট শিল্পীদের দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে সেই সমস্ত শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা বাদ্যযন্ত্রগুলিকে নতুন জীবন দিয়েছেন যে বাদ্যযন্ত্রগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ৭০০ টিরও বেশি জেলা থেকে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আজ ‘মন কি বাত’ এ সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে স্মরণ করেন নমো। তিনি বলেছেন, লতা জি এই তিনটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তারপর তিনি দেশভক্তি গীত, লোরি ও রঙ্গোলি তৈরির প্রতিযোগিতার বিজেতাদের নাম উল্লেখ করেন
সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী ‘একতা দিবস’-এ আমরা ‘মন কি বাত’-এ তিনটি প্রতিযোগিতার কথা বলেছিলাম। এই প্রতিযোগিতাগুলি ‘গীত’- দেশাত্মবোধক গান, ‘লরি’ এবং ‘রঙ্গোলি’র সঙ্গে যুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আজকাল ভারতীয় খেলনাগুলি উন্মাদনায় পরিণত হয়েছে। বিদেশেও তাদের চাহিদা বেড়েছে। ‘মন কি বাত’-এ আমরা যখন ভারতীয় গল্প বলার ধারার কথা বলি, তখন তাদের খ্যাতিও দূর-দূরান্তে পৌঁছে যায়: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলা শীর্ষস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি পিএমও-র কমিটির তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার বাংলা। এই দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গারদের ওপারে দিন কাটাচ্ছেন। এই আবহেই রাজ্যের মুকুটে লাগল নয়া পালক। প্রাথমিক শিক্ষায় (Primary Education) ফের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে বাংলা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কমিটির তরফে স্কুলে বুনিয়াদি শিক্ষা এবং গাণিতিক সাক্ষরতার উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সারা ভারতের শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়নের স্কোর কার্ড হিসেবেই বিবেচিত হয় এই রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্ট কার্ডে পশ্চিমবঙ্গ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান জুড়ে রয়েছে। অনেকটাই বেশি রয়েছে রাজ্যের নম্বর। আর এই রিপোর্ট যেন কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসল দুর্নীতিতে জেরবার বাংলার জন্য।


সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ইকনমিক অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের তরফে শিক্ষাসংক্রান্ত এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার দিক থেকে শীর্ষে বাংলা। আর বাংলার থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশ। শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে পিছনে পড়ে রয়েছে ইডি-সিবিআই। সেই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষার মানের দিক থেকে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য এখন মুচকি হাসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “নিয়োগের বিষয়ে দুর্নীতি। তবে পড়াশোনা রাজ্যে ভালই হচ্ছে। সেই জন্যই পশ্চিমবঙ্গ ভাল করেছে। প্রথম চারটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। আর উত্তর প্রদেশে তো পড়াশোনাই হয় না। আমাদের এখানে প্রাথমিক স্তরে ভাল পড়াশোনা হয়।” তিনি দুর্নীতি নিয়ে বিজেপির প্রশ্ন করার প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি শিক্ষার ব্যাপারে কিছু জানে? সরব হলে আবার কী হবে? সুকান্ত মজুমদার ছাড়া ওদের মধ্যে একটা শিক্ষিত লোক দেখান। বিজেপি তো শিক্ষার গৈরিকীকরণ করতে চাইছে, শিক্ষার বিস্তার চাইছে না।”

বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “মাস্টারমশাইকে অঙ্কের প্রশ্ন করা হয়েছে বলে ছাত্রকে মেরেছে। কয়েকদিন পরে সেই মাস্টারমশাইয়ের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। এটা তো সার্বিক পরিস্থিতি। আমাদের এই সরকার পুরস্কারের মাস্টার। কারণ সরকারের ওই প্যাকেজিং অত্যন্ত ভাল।” রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই সমস্ত রিপোর্ট রাজ্য থেকে যায়। এদের রিপোর্ট যে তৈরি করে, একদম স্বচ্ছতা, সততা ও অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই রিপোর্টটা তৈরি করে। এই সরকারটা ফেসিয়ালের সরকার। সারা শরীরে রক্ত নেই, ক্ষতবিক্ষত, শরীর পচে-গলে গিয়েছে। আর তার পরিচর্যা চলছে।” তিনি উদাহরণ টেনে এনে বলেছেন, “হাসপাতালের গেটে বিশালাকর নীল-সাদা তোরণ। আর ভিতরে যখন ঢুকবেন প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবে সঙ্গে চাদর এনেছেন? এটাই পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি। জীবনদায়ী ওষুধ হাসপাতালে নেই, সুন্দর, বড় গেট তৈরি হয়েছে।”

গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর নামও নিতে শোনা গিয়েছে কুন্তলকে। তাই আপাতত ইডি ও সিবিআই-এর আতস কাচের নীচে রয়েছেন গোপাল-হৈমন্তী।

নাম বদলে গোপাল (Gopal Dalapati) হয়েছিলেন আর্মান। ইতিমধ্যে নিজে মুখেই সে কথ স্বীকার করেছেন তিনি। পরে আর্মান গঙ্গোপাধ্যায় নামে গোপাল দলপতি একাধিক ব্যবসাও শুরু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানতে যেমন তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, একই সঙ্গে সিবিআই নজরে রয়েছে গোপালের সংস্থা আর্মান ট্রেডিং। বছর কয়েক আগে নাকি বড়বাজারে শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন গোপাল। সেই সংস্থারই নাম ছিল আর্মান ট্রেডিং। শাড়ি ব্যবসার নামে যে বড় অঙ্কের লেনদেন চলত, তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে গোয়েন্দা আধিকারিকদের। গোপাল দলপতি কলকাতায় ফিরলেই তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।


বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন গোপাল দলপতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ বারবার তাঁর নাম নিয়েছেন। সম্প্রতি গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর নামও নিতে শোনা গিয়েছে কুন্তলকে। তাই আপাতত ইডি ও সিবিআই-এর আতস কাচের নীচে রয়েছেন গোপাল-হৈমন্তী।

সূত্রের খবর, গোপালের শাড়ি ব্যবসা ‘আর্মান ট্রেডিং’-এর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ‘আর্মান ট্রেডিং’ থেকে নাকি টাকা যেত হৈমন্তীর সংস্থা ‘হৈমন্তী অ্যাগ্রো’-তে। কেন অত মোটা টাকার লেনদেন হত, শুধুমাত্র শাড়ীর ব্যবসায় অত টাকার লেনদেন হওয়া আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিচ্ছেদের পরও কি তবে যোগাযোগ ছিল গোপাল-হৈমন্তীর?



গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ ওঠে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রী।

 গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের দিনহাটা। অভিযোগ ওঠে নিশীথ প্রামাণিককে কালো পতাকা দেখিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তা থেকে এক মুহূর্তেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ঘন ঘন বোমাবাজি, ইটবৃষ্টির জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। গতকাল এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির পরই আজ সংবাদিক বৈঠক করছেন বিজেপি সাংসদ। এক নজরে দেখে নিন কী কী বললেন তিনি-


পুলিশ প্রশাসন একেবারেই সঠিক ভাবে কাজ করছে না। পুলিশ নিশীথের গাড়িতে টিয়ার গ্যাস ফেলেছে
অভিষেক বলে গিয়েছিলেন বলেই এই অবস্থা শুরু। আমার বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। উদয়ন গুহ বলেন, কালো পতাকা দেখাতে। বিজেপি কে আটকাতে গতকাল উদয়ন গুহ বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নিদান দিয়েছেন।
গৃহ মন্ত্রকের মন্ত্রীকে আক্রমণ মানেই স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রীকে আক্রমণ।
প্রথমে পুলিশ রাস্তার মাঝে ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের আটকায়। তারপর তৃণমূলের সন্ত্রাসবাদীরা তাঁরা ইটবৃষ্টি করে।


তৃণমূলের ৬০ থেকে ৭০ জন গুন্ডা বা দুষ্কৃতীরা পাথর, বোম, বন্দুক নিয়ে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। কাল মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। পুলিশ চাইলে তাঁদের রাস্তার একধারে আটকাতে পারতেন। আমাদের বাধা তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী দেয়নি, দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন ব্যারিকেড দিয়ে।
আপনারা জানেন গতকাল একটি নির্দিষ্ট কর্মসূচির জন্য আমরা বুড়িহাটে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেখানে কী ঘটনা ঘটেছে তা আপনারা জানেন। একদিকে পুলিশ প্রশাসন। তাদের সঙ্গে তৃণমূলের হার্মাদরা মিশে একসঙ্গে মিলে একটা কার্যক্রমকে তাঁরা রূপ দিতে চেয়েছিলেন।
গতকালের ঘটনার ভয়াবহতা সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই অবগত রয়েছেন। আজ যে চরম অরাজকতার পরিস্থিতি বাংলায় চলছে সেটা সমগ্র বাংলা তথা দেশের মানুষ কাল প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।