এসএসসিতে দুর্নীতি করে চাকরি। আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের তািলকায় নাম উঠল পরেশ কন্যার। তাঁকে ইন্টারভিউতেও কল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাবার ক্ষমতা ব্যবহার করে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা এমনই অভিযোগ রয়েছে।
বাড়িতে স্বামীর জন্য খাবার রেখেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু অবুঝ ছাগল সেই খাবারটাই খেয়ে ফেলে। সেই সামান্য কারণ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে যায়। রাগের মাথায় স্ত্রীকে মারতে উদ্ধত হলে আটকাতে যায় মেয়ে! কিন্তু বাবার রাগের থেকে রেহাই পেলেন না মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে ভাত খেতে গিয়ে ধূপগুড়ির নিরঞ্জন পাল দেখে তার খাবার বাড়ির ছাগল খেয়ে নিয়েছে। রাগের মাথায় স্ত্রীকে ধরে মারতে শুরু করে নিরঞ্জন। বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে দৌড়ে আসেন বছর উনিশের মেয়ে ললিতা। কিন্তু নিরঞ্জনের রাগ তখন বাগে আনা দায়। স্ত্রীয়ের ওপর রাগ গিয়ে পড়ল মেয়ের ওপর।
কাছেই পড়ে থাকা একটি চ্যালাকাঠ দিয়ে মেয়েকে বেধড়ক মারতে শুরু করে নিরঞ্জন। মেয়েকে বাঁচাতে এসে স্বামীর হাতে মার খান স্ত্রীও। কিন্তু নিরঞ্জনের মারের চোটে ললিতা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আর তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনা ঘটার পরই বাড়ি থেকে জঙ্গলে পালিয়ে যায় নিরঞ্জন। পরে পুলিশ লুকিয়ে থাকা নিরঞ্জনকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরঞ্জন পাল পেশায় মৃত্শিল্পী। বরাবরই রগচটা মানুষ। এমনকি মানসিক বিকারগ্রস্থ বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আরও খবর, প্রায়শই স্ত্রীয়ের সঙ্গে নানা কারণে ঝামেলা লেগে থাকত। কিন্তু সেই ঝামেলার পরিমাণ যে এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
মন্নতে বোধহয় ফ্রাইডে নাইটে সেলিব্রেশন হবে। মাদক মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর চার্জশিটে নেই শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের নাম (Aryan Khan)। জানা গিয়েছে, আরিয়ান- সহ মোট ছ'জনকে এই মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যা খান পরিবারের জন্য সুখবর বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই মামলায় ১৪ জনের নাম চার্জশিটে রেখেছে এনসিবি। তারা বলেছে, আরিয়ান-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় তাঁরা মাদক নিচ্ছিলেন বা কাউকে দিচ্ছিলেন।গত বছর শেষ দিকে মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে মাদক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ানকে। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন আরিয়ান। যদিও সেই সময়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেছিলেন, শাহরুখের অনেক প্রতিপত্তি। তাই ওঁর ছেলেকে ফাঁসিয়ে এনসিবি অফিসার টাকা লুঠের ষড়যন্ত্র করেছেন। অনেকে এই ঘটনাকে মারাঠা মুলুকের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গেও জুড়ে দেখাতে চেয়েছিলেন।
এদিন আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনসিবি। সূত্রের খবর ২৯ মে-র শুনানিতে আরিয়ানদের মুক্তি হবে। ঘটনা হল, এই মামলায় শাহরুখের ছেলেসের গ্রেফতারি নিয়ে যখন রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল তখন এনসিবি-র সদর দফতর আর মুম্বইয়ের হাতে বিষয়টি রাখেনি। দিল্লি থেকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গড়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তার মাথায় ছিলেন সঞ্জয় কুমার নামের অফিসার। এত মাস পর চার্জশিট দেওয়া হল, আরিয়ানদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন বা পাচারের কোনও অভিযোগই নেই।
কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুরের প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির দোকান ডি বাপিতে শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড সুজিত রায়কে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে মণীশ শুক্ল খুনের মামলাতেও অভিযুক্ত। সেখানে বন্দি ছিল সুজিত। জেল থেকেই বিরিয়ানির দোকানের মালিক বাপি দাসকে খুন করার ছক কোষে ছিল সে। তাই কাকিনাড়ার বাসিন্দা সোনুকে খুনের সুপারি দেয় সুজিত। গত ১৬ মে সোনু দুই সঙ্গীকে নিয়ে ওই বিরিয়ানির দোকানের সামনে গিয়ে এলোপাথারি গুলি চালায়। তারপরে হায়দারবাদে পালিয়ে যায়।সুজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই সোনুর কথা জানতে পারে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। সোনুকে গ্রেফতার করতে হায়দরাবাদে যায় তদন্তকারীদের একটি দল। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ থেকে ধরা পড়েছে সোনু ও তার তিন সঙ্গী।
মহেশতলা থেকে বাসন্তীর শ্মশানে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক যুবতী। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দাদার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনন্যা নস্কর। বাসন্তীতে খুড়তুতো দাদার বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের চট্টা কালিকাপুর রায়পাড়া থেকে বাসন্তীতে যান অনন্যা, একাই রওনা দেন বাসন্তীতে আদি বাড়ির উদ্দেশ্যে।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য! ঠিক কী কারণে মহিলার মৃত্যু, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক! বৃহস্পতিবার সকালে ভূপতিনগরে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা মাঠ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই দেহ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভুপতিনগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্বামী পরিত্যক্তা ওই মহিলা ভূপতিনগরের বাসুদেববেড়িয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকতেন। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তিনি, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের সদস্যরা খুঁজে পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে ফাঁকা মাঠ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় ভুপতিনগর থানার পুলিশ। মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাঁরা। বাপের বাড়ির সদস্যরা এসে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মহিলাকে ধর্ষণ করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করা হয়েছে। মহিলার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। যদিও পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। মালদার চাঁচল থানার মহানন্দাপুর পঞ্চায়েত দফতরের পিছন দিক থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমাগুলি।জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের নজরেই প্রথম পড়েছে ওই এলাকায় বোমা পড়ে রয়েছে। তারপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেখানেই। জানা গিয়েছে, কয়েকটি বোমা ব্যাগের ভিতর ছিল, কয়েকটি বাইরে।
খবর পেয়ে চাঁচল থানার আই.সি সুকুমার ঘোষের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মালদা থেকে বোমস্কোয়াড রওনা দিয়েছে। দিনে-দুপুরে এমন ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে মহানন্দাপুর এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘কলাবাগানে বোমা উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে কোথা থেকে আসল। তা কেউ জানে না। বোম স্কোয়্যাডকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। তাঁরা খতিয়ে দেখবে।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নাতে বোমা উদ্ধার হয়। সাতটি ড্রামে আনুমানিক ৩০০ টি বোমা থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আবু বক্কর টিটি। নতুন করে ময়নায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ব্লকের গোড়ামাহাল গ্রামে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি জঙ্গল থেকে ১০ টি প্লাস্টিক ড্রামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায় আগে থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড, ময়না থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং তমলুকের এসডিপিও আলি আবু বক্কর টিটি। এলাকা নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রেখে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, আনুমানিক ৫০০ টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। তারই মধ্যে আরও ৩০০ টি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক নতুন করে দানা বেঁধেছে।
সোমবার সকালে ১৭৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক কর্তার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, মোটা অঙ্কের টাকার সোনা ঢুকছে সীমান্ত পেরিয়ে।শুধু তাই নয়, যখন খবর আসে, ততক্ষণে বাংলাদেশ থেকে অনেক লরি রপ্তানি সেরে ফিরেছে এ দেশে। তাহলে কি পাচারকারী হাতছাড়া হল?
বিলম্ব না করেই বিএসএফ জওয়ানরা আইসিপি পেট্রাপোল প্যাসেঞ্জার গেটের কাছে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি শুরুর পর হরিয়ানার একটি লরির চালকের সঙ্গে কথা বলে জওয়ানদের সন্দেহ হয়। গাড়ি থেকে ওই চালককে নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। চালকের আসনের পিছনের অংশে কালো কাপড়ে মোড়া অবস্থায় একটি প্যাকেট বেরিয়ে আসে। আর ওই প্যাকেট খুলতেই মেলে ৭০টি সোনার বিস্কুট ও তিনটি সোনার বার। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছ'কোটি টাকা।চালককে গ্রেফতার করে শুরু হয় জেরা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বনগাঁর জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় লরি চালক রাজ মণ্ডল এ দিন বাংলাদেশের বেনাপোলে সামগ্রী রপ্তানি করে ফেরার সময় সাহাবুদ্দিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি রাজকে বলেন পিন্টু নামে এক ব্যক্তি একটি প্যাকেট দেবেন। সেই প্যাকেট পৌঁছে দিতে হবে বনগাঁ-চাকদহ শেফালি ট্রাক পার্কিংয়ে। বিনিময়ে দশ হাজার টাকার রফা হয়েছে বলে বিএসএফ- এর জেরায় দাবি করেছে ধৃত রাজ।
এরপর ধৃত ওই প্যাকেট নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকে। ধরা পড়ে সীমান্ত রক্ষীদের হাতে। ডিআইজি বিএসএফ সুরজিত্ সিং গুলেরিয়া জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় খবর এসেছিল। আমাদের জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে লরি চালককে গ্রেফতার করেছেন। সোনা উদ্ধারের পর শুল্ক দফতরকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই ভাবে টাকা টোপ দিয়ে ওপার বাংলা থেকে সোনা পাচারের যে কারবার চলছে, তা ভাবাচ্ছে বিএসএফ কর্তাদের।শুধু ১৭৯ ব্যাটেলিয়ন নয়, এদিন জয়ন্তীপুরেও ১৫৮ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তল্লাশি চালানোর সময় একটি বাইক থেকে সোনা উদ্ধার করেছেন। একই সঙ্গে উঠে এসেছে চোরাকারবারীর মূল পাণ্ডাদের নামও।
সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেবার নাম করে যুবতিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই যুবতিকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।আরও অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে রেজিস্ট্রি করে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।
পুলিশকে দেওয়া যুবতির অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা শাসকদলের হেভিওয়েট বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দেয়। সংসাদে দারিদ্রতা থাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওই নেতা যুবতিকে নানা জায়গায় নিয়ে যেতেন। তারপর সারাদিন ধরে জোর করে ধর্ষণ চালাতেন তিনি। এমনকি এই কথা প্রকাশ্যে আসলে বিপদ হবে, হুমকিও দেওয়া হয় ওই তৃণমূল নেতার তরফে। নির্যাতিতার অভিযোগ, বারবার তাঁকে , তাঁর বাবা-মাকে খুনের হুমকি দেওয়া অভিযোগ উঠেছে।জোর করে একাধিক সাদা পেপারে, সই করিয়ে নেয় অভিযুক্ত। এমনকি ওই যুবতিকে স্ত্রী সাজিয়ে ছবিও তুলে রাখা হয়। যাতে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ না করতে পারে। খোলামেলা পোষাক পরিয়ে তারপর ধর্ষণ করা হত। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল নেতার হাত থেকে বাঁচার জন্য, ওই যুবতি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসেন নদিয়ার হাঁসখালিতে। গত ২২ মে দুই অপরিচিত ব্যাক্তি এসে তাঁদের নিজের জায়গায় ফিরে যেতে বলেন। ওই ঘটনার পর হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা যুবতি। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণকাণ্ডে উদ্বেগ বাড়ল প্রশাসনের। বিশেষ করে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠায় কার্যত চাপের মুখে দল। এদিকে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ, গর্ভপাতের ঘটনা লেগেই আছে। সম্প্রতি বনগাঁ এলাকাতেও একটি নাবালিকার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। তফাত্ শুধু এটুকুই যে, সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই ঘনিষ্ঠ হয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে প্রেমিকাকেই। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত এই ধরণের ঘটনা হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে। কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে।পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। গোবরডাঙা, দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।
এসএসসি, গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, প্রাথমিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগকিন্তু আদপে কি চাকরি দিতে পারতেন অতনু? স্থানীয়দের একাংশের দাবি, কয়েকজন অতনুর হাত ধরে চাকরি পেয়েছিলেন। এতে মানুষের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। জমি, জায়গা, সর্বস্ব বিক্রি করেও তাঁরা অতনুর হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন।তবে পরে তাঁরা বুঝতে পারবেন চাকরি আর জুটবে না।
এদিকে ২০০৩ সালে কোলা ১ পঞ্চায়েত সদস্য ও ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুত্ কর্মাধক্ষ হয়েছিলেন তিনি। কোলাতে তার বিশাল বাড়িও রয়েছে। তবে সেসব তালাবন্ধ করা বর্তমানে। বর্তমান গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এক কর্মপ্রার্থী বলেন, অতনু গুছাইত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। আমার কাছ থেকেও বাড়িতে এসে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন। তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলে তিনি টাকা নিয়েছেন। যারা টাকা দিতে পারত না তাদের কাছ থেকে সোনা নিত।
বিপুর প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার মেয়ে আর সম্বন্ধীর চাকরির জন্য ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে গেল। অতনু বলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওর যোগাযোগ আছে। প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল।কিন্তু টাকাও ফেরত্ দিল না, চাকরিও হল না।তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। বিজেপির দাবি, ওই লোকটা টাকা মারার ক্লাবের দালাল।
ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে কল্যাণী থানার পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তির ভাইপো।
রবিবার দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহার (Basant Bihar in South Delhi) এলাকায় একটি বিলাসবহল ফ্ল্যাট থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে নিজেদের ঘরকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার এ পরিণত করে একই পরিবারের তিনজন আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন। ফ্ল্যাট থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, দয়া করে ঘরে ঢুকে কেউ দেশলাই জ্বালবেন না। এতে আগুন লেগে যেতে পারে। খুবই বিষাক্ত গ্যাস. ভিতরে ভর্তি কার্বন মনোক্সাইড। এটা দাহ্য। ঘরে প্রবেশ করে জানালা খুলে নেবেন এবং ফ্যান চালাবেন। এমন হাড়হিম করা ঘটনায় অবাক পুলিশ।
দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মা, এমনটাই বলছেন প্রতিবেশীরা। মৃতার নাম মঞ্জু ও তাঁর দুই মেয়ে অংশিকা-অঙ্কু। পরিচারিকা ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত বছর করোনায় স্বামীর মৃত্যু হয়। সেই অবসাদ থেকেই এহেন সিদ্ধান্ত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের সমস্তা জানালা, দরজা, ভেন্টিলেটর প্লাস্টিক দিয়ে আটকানো ছিল। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের নব খোলা রাখা ছিল এবং কয়লা দিয়ে জ্বলে এমন একটি রান্নার সরঞ্জাম জ্বালিয়ে রাখা ছিল।তার ফলে ঘরে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ভরে জায়গায় কোন মানুষের পক্ষেই বেশিক্ষণ বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না । ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
রবীন্দ্র সরোবর লেকে রোয়িং করতে গিয়ে দুই নাবালকের মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী ওই বোটের সওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এক্সক্লুসিভ নিউস এইন্টিন বাংলার প্রতিনিধিকে।দেবাংস চক্রবর্তী বলেন, "আমরা টুর্নামেন্টর জন্য প্র্যাক্টিস করতে শনিবার রোয়িং করছিলাম। হঠাত্ যখন দেখি আকাশে কালো মেঘে করে এল, কক্স (যিনি বোটের দিক নির্দেশ করেন) বললেন, পাড়ের দিকে চলো। কিন্তু এতটাই ঝোড়ো হাওয়া দিতে শুরু করে যে বোট উল্টে যায়। আমার পা আটকে গিয়েছিলো ওই বোটে। কোনওমতে পা বের করি টেনে।দেবাংস আরও বলেন, "এর পর বোট সোজা করতে বলেন কক্স। বোট আমরা সোজা করি যখন, তখনও পুষণ সাধুখাঁ ও সৌরদীপ চ্যাটার্জী ছিল আমাদের সঙ্গে। কক্স বলেন, সাঁতার কেটে চলে যেতে পারো পাড়ের দিকে। আর যে পারবে না সে বোট ধরে দাঁড়িয়ে থাকো। এর পর আমরা চারজন বেরোই সাঁতার কেটে পাড়ের দিকে। আমি হাফিয়ে যাই, বোটে ফিরে আসি। আমি কক্সকে বলি ওদেরকে ফিরে আসতে বলুন। কক্স বলেন, ওরা সাঁতার জানে চলে যাবে। ওই তিন জনের মধ্যে পুষণ, সৌরদীপ ছিল। ওরা হাফিয়ে যায় সাঁতার কাটতে গিয়ে সম্ভবত।"
দেবাংস বলেন, "আমরা তার আগে থেকে প্র্যাক্টিস করে হাফিয়ে গিয়েছিলাম। চোখের সামনে যা হল ভাবতে পারছি না। আমি ও কক্স বোট ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অন্য একটা বোট প্রাকটিস করছিল। তাঁরা এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। আমি বারবার বলেছিলাম, রেসকিউ যাঁরা করতে আসে ও কক্সকে, ওদেরকে ডেকে নিন। কিন্তু তাঁর মাঝে ওদের দম ফুরিয়ে যায়, একজন ফিরে যায় পাড়ের দিকে। বাকি পুষণ, সৌরদীপ তলিয়ে যায়। ঘটনার পর আমারও ভয় লাগছে। চোখের সামনে বন্ধুরা হারিয়ে গেল, ভাবতে পারছিনা।"
দেবাংস বলছিলেন, "প্র্যাক্টিসে সময় কোনো দিনই ফলো বোট থাকে না। টুর্নামেন্টের দিন থাকত। শনিবার প্র্যাক্টিসের দিনও ছিল না ফলো বোট"।দেবাংস জানান, "চোখের সামনে যা ঘটল, জাস্ট ভাবতে পারছিনা। এরকম হবে স্বপ্নেও ভাবিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই বোটের সওয়ারি ছিল দেবাংস চক্রবর্তী। অভিশপ্ত ঘটনা দুঃস্বপ্নর মতো মনে হচ্ছে তাঁর। এরকম আর যেন না ঘটে কারো সঙ্গে... বলতে বলতেই গলা বুজে এলো।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদার ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের চোয়াটিয়া বিওপীর পাহারারত জওয়ান হরিচন্দ্রন- ৪২ বছর নিজের ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জওয়ানের।
জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের বাড়ি উড়িষ্যাতে। মৃত জওয়ানের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, বুধবার মধ্য রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার শ্রীনগর এলাকায় রাজু ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গী শান্তনু রায়কে লক্ষ্য করে গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটে।এরা দুজন তৃণমূল কর্মী বলেই দাবী হাবড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সিতাংশু দাসের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিল এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখান থেকেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই শম্ভু গুলি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এই শম্ভুই ওইদিন রাতে সবথেকে বেশি গুলি চালিয়েছিল।শুক্রবার গভীর রাতে শুম্ভুকে অশোকনগর থেকে গ্রেফতারের পরে রাতেই হাবড়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই গুলি কাণ্ডে হাবড়া পুলিশ আগেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃত পাঁচজনের নাম সঞ্জয় মন্ডল(৪২)- বাড়ি হাবড়া হিজল পুকুর তিন নম্বর রেল কলোনি এলাকায়, সন্তু সাহা(২৮)- হাবড়া শ্রীনগর গোয়ালবাটি এলাকায়, লক্ষণ সাহা(৩৪)- বাড়ি হাবরা শ্রীপুর এলাকায়, কালা সরকার(৩০)- অশোকনগর মানিকতলা, দেবাশীষ দে(৪২)-গোবরডাঙ্গা থানা এলাকায়।
বর্তমান শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার শুনানির পর জানিয়েছেন, অবিলম্বে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল ঘোষণা করতে হবে।
অর্ণব আইচ: কলকাতায় (Kolkata) বসে 'হানি ট্র্যাপ'। কয়েকজন যুবতীর সাহায্যে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে শহরবাসীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি। এই চক্রের মাথা শুভ দাসকে গ্রেপ্তার করলেন মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার আধিকারিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি ভুয়ো কল সেন্টার খোলে।
একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিনি ওই টাকা দেওয়ার পর ফের তাঁর কাছে আট লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। রীতিমতো তাঁকে হুমকিও দিতে শুরু করে তারা। এরপরই টাকা দেওয়ার বদলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, ওই চক্রে রয়েছেন একাধিক যুবতী। তাদের 'ব্যবহার করে'ই ওই অশ্লীল ভিডিও তুলে তোলাবাজি করা হত। পুলিশ মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করে ওই চক্রের মাথা শুভ দাসকে। তার কাছ থেকে কুড়িটিরও বেশি মোবাইল উদ্ধার হয়। তাকে জেরা করে চক্রের অন্যদের সন্ধান চলছে।
এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে নোয়াপাড়ার দম্পতি অনির্বান মুখোপাধ্যায় ও তৃষা পাল এবং পূর্ব বর্ধমানের শুভঙ্কর চুনারিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা এই দম্পতি হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করে অন্যান্য জেলায় চক্রের পান্ডাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দু'বছর আগে গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দেওয়া হায়দরাবাদে 'দিশা এনকাউন্টার'কে ভুয়ো সংঘর্ষ বলে জানাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের শিরপুরকর কমিশন। দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।
২০১৯ এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের শামশাবাদে ২৬ বছরের এক পশু চিকিত্সককে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে চার জনের বিরুদ্ধে।
২০১৯-এর ২৭ নভেম্বর ২৬ বছরের এক পশু চিকিত্সককে অপহরণ করা হয়। তার পর তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। নিগৃহীতার দেহ হায়দরাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি নির্জন জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁর পোড়া দেহের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভালু, জলু শিবা এবং জলু নবীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরই অভিযুক্তদের নিয়ে অকুস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছিল, সেখানেই পালানোর চেষ্টা করে ওই অভিযুক্তরা। পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরই উপর গুলিও চালানোর দাবি করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি ছিল, পাল্টা গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একটি অংশ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। আবার অন্য একটি অংশ আইন-আদালতকে পাশ কাটিয়ে পুলিশ 'ট্রিগার-হ্যাপি' হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিশন গড়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টেরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন তদন্ত করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয়। কমিশন রিপোর্টে বলেছে, দোষী ১০ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করতে।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন। এ দিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, 'বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ রাজ্য বা তদন্তকারীদের কাছে বাধ্যতামূলক হবে না'।
রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র আদালতে জানান, এসএসসি মামলার আবেদনে কোথাও পার্থের নাম নেই। তা হলে তাঁকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বা তাঁর পদত্যাগ করা উচিত, এটা কী করে বলতে পারে আদালত?
পাশাপাশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বাদ দেওয়ার আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী। একই সঙ্গে পার্থের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যাতে না নেওয়া হয় সেই আবেদনও করা হয়।
তবে শুনানি শেষে রায় দিতে গিয়ে রক্ষাকবচ নিয়ে পার্থের আর্জি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে প্রয়োজনে পার্থকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। তবে সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে সুপারিশ করেছে, রাজ্য সরকার তা মানতে বাধ্য নয় বলে জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে সিবিআই-এর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন পার্থ। সিবিআই সূত্রে দাবি, বুধবার নিজাম প্যালেসের জিজ্ঞাসাবাদে নিয়োগ প্রসঙ্গে পার্থকে প্রশ্ন করা হয়। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কী নিয়ম মানা হয়েছিল, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি কী কী বিষয় দেখতেন, ইত্যাদি বিষয় নিয়েও তাঁর কাছ থেকে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর আগের দিনের বয়ান। যে কারণে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী পার্থকে আগামী সপ্তাহে ফের তলব করেছে সিবিআই।
গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল যে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বর্ধমান রোড ধরে পাচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত একটি গাড়ি যাবে। সেইমতো সতর্ক ছিল পুলিশ । শুরু হয়েছিল ওই রোডে নাকা চেকিং আর তারপরই ১২ চাকার একটি লরি আটক করে পুলিশ। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই যা দেখা গেল তা দেখে রীতিমতো হতবাক সকলে।
আরো পড়ুন : BREAKING: ২ দফা জেরাতেও মেলেনি তথ্য, আজ ফের তলব পরেশ অধিকারীকে
পুলিশ এই গমের বস্তা বোঝাই লরিটিকে আটক করে ভাতারের মুরাতিপুর এলাকায় । গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল যে, একটি লরিতে করে সরকারি রেশন দ্রব্য পাচার করা হচ্ছে। আর তারপর ওই রোডে পুলিশ তল্লাশি চালাতে শুরু করে । যার ফলে ধরা পড়ে গাড়িটি। ওই গাড়ির চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি পাশাপাশি তাদের কাছে কোনো বৈধ নথিপত্র না থাকায় গাড়িসহ তাদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ভাতার থানায়।
এত বিপুল পরিমাণ গম তাঁরা কোথায় পেয়েছে এই প্রশ্নের কোন উত্তর এখনও পর্যন্ত মেলেনি । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই গমবোঝাই বস্তা গুলিকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, এইগুলি সরকারের রেশন বন্টন প্রকল্পের গম । গ্রাহকদের কাছ থেকে কম দামে এই গম কিনে তারপরে কলকাতার খিদিরপুর এলাকায় পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সেগুলি। কার নির্দেশে এই গমগুলি পাচার করা হচ্ছিল বা এই পাচারকার্যের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে ভাতার থানার পুলিশ। তাদেরকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ধৃত চালক এবং খালাসি আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।