July 2025

আগেই যখন খবরটা সামনে এসেছিল তখনই জানা গিয়েছিল গোটা ট্রেনই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এমনকি মজবুতির দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সব কোচ তৈরি করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে।


স্বাধীনতা দিবসের আগেই বাংলা পাচ্ছে প্রথম এসি লোকাল, দিনক্ষণ জানিয়ে দিল রেল! উদ্বোধনে দুই মন্ত্রী
প্রতীকী ছবি

ঘোষণা হয়েছিল অনেক আগেই। অবশেষে জানা গেল দিনক্ষণ। স্বাধীনতা দিবসের আগেই উদ্বোধন হতে চলেছে শিয়ালদহ-রানাঘাট এসি লোকালের। আপাতত শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে খবর, বড়সড় কোনও রদবদল না হলে ১০ অগস্ট উদ্বোধনের দিনক্ষণ ধার্য করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ভারতের প্রথম এসি লোকাল পেতে চলেছে সাধারণ মানুষ। 

আগেই যখন খবরটা সামনে এসেছিল তখনই জানা গিয়েছিল গোটা ট্রেনই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এমনকি মজবুতির দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সব কোচ তৈরি করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে। এমনকী অন্যান্য লোকালের থেকে এই ট্রেনে জায়গাও অনেক বেশি থাকছে। অনেক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন যাত্রীরা। এমনকী দূরপাল্লার ট্রেনের মতো একটি কোচের সঙ্গে আর একটি কোচ জোড়া থাকবে ভেস্টিবুলার গ্যাংওয়ে দিয়ে। ভেস্টিবুল এরিয়া অনায়াসেই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ চলন্ত ট্রেনেই এক কোচ থেকে আর এক কোচে যেতে থাকছে না কোনও সমস্যা। 




ইনস্টাগ্রামে হঠাত্‍ অমিতাভের ভিডিয়ো, কী জানালেন বলিউডের শাহেনশা?
এখানেই শেষ নয়, রয়েছে আরও ফিচার। সব কোচে থাকছে অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর। সব দরজার কন্ট্রোল থাকবে ড্রাইভারের কাছে। তাঁরাই করবেন পরিচালনা। এখইসঙ্গে থাকছে ডবল সিল করা কাচের জানালাও। আপাতত ১২ কোচের এই লোকাল পাওয়া যাবে বলেই খবর। 


প্রধানমন্ত্রীর সুর বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও। তিনিও বলেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত বন্ধ না করলে সিন্ধু জলচুক্তি রদ-ই থাকবে। জল ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না।


কান খুলে শুনে রাখুন...ট্রাম্প-মোদীর মধ্যে কথা হয়নি', সাফ জানালেন বিদেশমন্ত্রী
রাজ্যসভায় কড়া জবাব বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের।


 ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন কোনও কথা হয়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে রাজ্যসভায় জবাব দিতে গিয়েই রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।


এ দিন রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি ওদের বলতে চাই, কান খুলে শুনে রাখুন। ২২ এপ্রিল থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদীজির মধ্যে একটাও ফোনকল হয়নি।”


ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা মানবে না, এ কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেন যে আলোচনা দ্বিপাক্ষিকই হতে হবে এবং পাকিস্তানকে ডিজিএমও মারফতই ফর্মাল অনুরোধ জানাতে হবে সংঘর্ষবিরতির জন্য।

এস জয়শঙ্কর বলেন, “যখন অপারেশন সিঁদুর শুরু হয়েছিল, একাধিক দেশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল যে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর তা বোঝার জন্য এবং কতদিন এই সংঘাত চলবে…আমরা সব দেশকে একই বার্তা দিয়েছিলাম…যে আমরা কোনও ধরনের মধ্যস্থতায় রাজি নই। আমাদের ও পাকিস্তানের মধ্যে যা হবে, তা দ্বিপাক্ষিকই হবে। আমরা পাকিস্তানের হামলার জবাব দিয়েছি এবং জবাব দিতে থাকব। যদি সংঘাত থামাতে চায়, তবে পাকিস্তানকে অনুরোধ করতে হবে। এবং সেই অনুরোধ ডিজিএমও-র মাধ্যমেই আসতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর সুর বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও। তিনিও বলেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত বন্ধ না করলে সিন্ধু জলচুক্তি রদ-ই থাকবে। জল ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন দিক থেকেই সিন্ধু জলচুক্তি অন্য চুক্তির থেকে আলাদা। আমার মনে পড়ছে না বিশ্বে এমন কোনও চুক্তি রয়েছে যেখানে গুরুত্বপূর্ণ নদীকে অন্য দেশে প্রবাহিত হতে দেওয়া হয়েছে কোনও অধিকার ছাড়াই। গতকাল আমি শুনলাম কয়েকজন এই ইতিহাস বিশ্বাস করতে পারছেন না। তারা চান ইতিহাস ভুলে যাক মানুষ। হয়তো ওরা নির্দিষ্ট কিছু জিনিসই মনে করতে চায়।”

কংগ্রেসকে আরও আক্রমণ করে তিনি জওহরলাল নেহরুর বক্তব্যও তুলে ধরেন সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে। এরপর তিনি বলেন যে নেহরু সিন্ধু জলচুক্তি ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে যে ভুল করে গিয়েছিলেন, তা শুধরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।



 সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দেখা যায়, এক দেড় বছরের শিশু ও এক মহিলাকে মেরেছে দিল্লি পুলিশ। সেই বর্ণনা দিতে শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে।


মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ করেছিল দিল্লি পুলিশ, সেই সাজনুরকে সামনে এনে জবাব দিল তৃণমূল

বাঙালি বলে দিল্লির এক শ্রমিকের পরিবারের উপর অত্যাচার! শিশুকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ হওয়ার পরই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয় দিল্লি পুলিশ। এবার সেই অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিল তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে বসানো হল সেই মহিলাকে, যাঁকে অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

বুধবার মালদহে বাসিন্দা ওই মহিলাকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কুণাল ঘোষ জানান, কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করবেন ওই মহিলা।




মহিলার নাম সাজনুর পারভিন। দিল্লির পাণ্ডবনগরে থাকতেন তিনি। পরিবার সহ বেশ কয়েক বছর ধরে দিল্লিতে আছেন তাঁরা। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। সাজনুর বলেন, “প্রথমদিন চারজন এসেছিল। বলা হল, পুলিশের লোক। আধার কার্ড দেখাতে হবে। স্বামীর খোঁজ করা হয়। আপনারা বাংলাদেশি। পালানোর চেষ্টা করবেন না। পরেরদিন আবার ৪ জন আসে। তার মধ্যে দুজন মহিলা ছিলেন। সঙ্গে যেতে বলা হয়।”

সাজনুরের দাবি, একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর ও তাঁর সন্তানের উপর অত্যাচার শুরু করা হয়। মহিলা বলেন, “আমাকে ২টো থাপ্পড় মারল। তারপর বলল জয় শ্রীরাম বল। আমি বললাম আমি মুসলমান। কীভাবে জয় শ্রীরাম বলব? তখন আমার পেটে লাথি মেরেছিল। ছেলেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। ফেলে দিয়েছিল ছেলেকে। কানে এমন মেরেছিল যে কান থেকে রক্ত পড়ছিল। বলা হয়, ২৫ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে। স্বামীকে জানানোর পর শাশুড়ি টাকা নিয়ে পৌঁছয়। এরপর আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”

সন্ধ্য়ায় বাড়ি ফেরার পর পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর চলে আরও অত্যাচার! সাজনুর বলেন, “আমাদের বলল, পশ্চিমবঙ্গ মানেই তো বাংলাদেশি। তোমরা তো বাংলাদেশি। এত ভয় দেখাচ্ছিল, যে কী বলব।” অনেক জায়গায় সই করিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি সাজনুরের।

কী দাবি করেছিল দিল্লি পুলিশ?

সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দেখা যায়, এক দেড় বছরের শিশু ও এক মহিলাকে মেরেছে দিল্লি পুলিশ। সেই বর্ণনা দিতে শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন মমতা। লিখেছিলেন, “পরিত্রাণ পেল না শিশুও। দেশকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”

এই পোস্ট সামনে আসার পর দিল্লি পুলিশ দাবি করে, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্য়মন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “ভিডিয়োর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষাও করা হয়েছে। সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী দল।”

পুলিশের আরও দাবি, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় মালদহের এক নেতার নির্দেশে ওই ভিডিয়ো বানানো হয়েছিল। এই ভিডিয়ো সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেন পুলিশ আধিকারিক। এবার সাজনুরকে সামনে এনে কার্যত তারই জবাব দিল তৃণমূল।

বর্তমানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা, বাংলা বলায় পরিযায়ী শ্রমিক বলে আটকে রাখার মতো ঘটনা সামনে আসতেই বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।


 'নাম ডগবাবু, বাবার নাম কুত্তাবাবু', এমন কোনও ভোটার কি সত্যিই আছে? নথি দেখাল কমিশন
তথ্য দিয়ে জানাল কমিশন


বিহারের SIR-এ কুকুর-ট্রাক্টর। যার একজনের নাম ডগবাবু, বাবার নাম কুত্তাবাবু, আর মা কুত্তিয়াদেবী। তৃণমূল এই দাবি করেছিল। এবার শাসকদলের সেই অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। বিহারের কোনও ভোটার এই ধরনের তথ্য দেননি নাম তোলার জন্য। নথি দেখিয়ে দাবি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।


বর্তমানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা, বাংলা বলায় পরিযায়ী শ্রমিক বলে আটকে রাখার মতো ঘটনা সামনে আসতেই বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এসআইআর নিয়েও কড়া অবস্থান নিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হন। অভিষেক বলেন,”এসআইআরের নাম করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে কুকুরের নামে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করছে।”



কুকুরের নামে আধার কার্ড! অভিষেক এই দাবি তুললেই কার্যত তোলপাড় হয় রাজনীতি। এরপর বুধবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয় এই রকম কোনও নথি বাসিন্দা হিসাবে কেউ দেননি। এটা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই তথ্য জাল না সত্যি এটা তো বলতে পারল না। বিহার সরকার একজনের নামে সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। যার একজনের নাম ডগবাবু, বাবার নাম কুত্তাবাবু, আর মা কুত্তিয়াদেবী। যার জেলা পাটনা। পিনকোড-পোস্ট অফিস সব রয়েছে। এমন সার্টিফিকেটে ডিজিটালই ইস্যু হয়েছে বিহার সরকারের নামে। ২০২৫ এ এই সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে কি হয়নি তা নিয়ে কমিশন একবারও মুখ ফুটে বলছেন না।” বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “ওরা বুঝে গেছে ভোটার লিস্টে সংশোধনের কাজ হলে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা শেষ হয়ে যাবে। তাই ওরা মিথ্যাচার করছে। পাগল হয়ে গিয়েছে।”



আভ্যন্তরীণ তথ্য বলছে, কর্মী সঙ্কটও উদ্বেগের কারণ। অনুমোদিত কর্মীর সংখ্যার থেকে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি কর্মী কম আছে। রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির ত্রুটি কোন মাত্রায় পৌঁছেছে, তা গত এক বছরে একাধিক ঘটনায় প্রমাণিত।

সম্পূর্ণ ভেঙে দিতে হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন, এক বছরেও খুলবে না! চরম দুর্ভোগের মুখে যাত্রীরা
ফাইল ছবি

কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন নিয়ে জটিলতা বাড়ল আরও। কবে স্টেশন খুলবে, তা নিশ্চিতভাবে বলতেই পারছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পিলারে ফাটল দেখা যাওয়ার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশন। গত সোমবার থেকে বন্ধ পরিষেবা। এবার পুরো স্টেশন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে আস্ত স্টেশন। ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার জারি করেছে কলকাতা মেট্রো।


ব্লু লাইনের দক্ষিণ প্রান্তের সর্বশেষ স্টেশন হল কবি সুভাষ। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো যাতায়াত করে এই লাইনে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত। কবি সুভাষ স্টেশনটি হল মূলত নিউ গড়িয়া অঞ্চলের জন্য। সেই স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।

জানা গিয়েছে, নতুন করে স্টেশন তৈরি করতে নূন্যতম ৯ থেকে ১০ মাস সময় লাগবে। সেই সময় এক বছরও পেরিয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ শহরতলীর রেলযাত্রী এবং সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগ আরও চরমে উঠবে। মোট ৯ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে নতুন মেট্রো স্টেশন। শুধু পিলারে ফাটলই নয়, প্লাটফর্মের অবস্থার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২১টি স্তম্ভ বা পিলার আছে কবি সুভাষ স্টেশনে। ২১টি স্তম্ভের মধ্যে ৪টি স্তম্ভে ফাটল ধরা পড়েছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের একাধিক স্তম্ভেই অল্পবিস্তর ফাটল ধরেছে। আভ্যন্তরীণ তথ্য বলছে, কর্মী সঙ্কটও উদ্বেগের কারণ। অনুমোদিত কর্মীর সংখ্যার থেকে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি কর্মী কম আছে। রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির ত্রুটি কোন মাত্রায় পৌঁছেছে, তা গত এক বছরে একাধিক ঘটনায় প্রমাণিত।

পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে বর্ষার জমা জল ডি-ওয়াল দিয়ে ভেতরে ঢুকে এসে ভূ-গর্ভের ভেতরের স্টেশন থই থই করে ফেলে। চাঁদনী চক এবং সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের মাঝ বরাবর অংশে ঝর্নার মতো জল পড়তে দেখা গিয়েছে, মাস খানেক আগে ঝড়ো হাওয়ায় কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনের শেড উড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে মেট্রো পরিষেবায়। আর এবার কবি সুভাষ।




প্লাস্টিকের একটি পরিত্যক্ত গুদামে আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। আশপাশে অনেক বাড়িঘর রয়েছে। তাই, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে আশপাশের এলাকা।

কলকাতায় প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ আগুন, শোরগোল মাঠপুকুরে
আগুন নেভাতে পৌঁছয় দমকলের আটটি ইঞ্জিন


ফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়। বাইপাসে মাঠপুকুর এলাকায় একটি প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। তবে আগুনের ভয়াবহতা বাড়ায় আরও ইঞ্জিন যায়। এই মুহূর্তে দমকলের আটটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

এদিন দুপুরে প্লাস্টিকের একটি পরিত্যক্ত গুদামে আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থ গুদামে থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশে অনেক বাড়িঘর রয়েছে। তাই, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে আশপাশের এলাকা।


তিনি বলেন, "কলেজ রাজনীতির জায়গা নয়। কলেজের গেটের বাইরে রাজনীতি করুন। এটা পড়াশোনা ভবিষ্যত তৈরির জায়গা। কোনও দাদা-দিদি রাজনৈতিক দল তোমাদের ভবিষ্যত বানিয়ে দিতে পারবে না। মন দিয়ে পড়াশোনা করো"


'কোনও দাদা-দিদি, রাজনৈতিক দল তোমাদের ভবিষ্যত বানিয়ে দিতে পারবে না', কেন বললেন দেব?
ঘাটালে দেব


ভর্তি সহ একাধিক অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি শিরোনামে আসে ঘাটাল কলেজ।এবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ঘাটাল কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠক করলেন তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। সমস্ত অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা ও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কলেজের সভাপতি সাংসদ দেব। তিনি বলেন, “কলেজ রাজনীতির জায়গা নয়। কলেজের গেটের বাইরে রাজনীতি করুন। এটা পড়াশোনা ভবিষ্যত তৈরির জায়গা। কোনও দাদা-দিদি রাজনৈতিক দল তোমাদের ভবিষ্যত বানিয়ে দিতে পারবে না। মন দিয়ে পড়াশোনা করো”

ঘাটাল মহকুমাশাসক দফতরের প্রশাসনিক বৈঠকের পর ঘাটাল কলেজে গভর্নিং বডির মিটিংয়ে যোগ দেন সাংসদ দেব। মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার আগে ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় অর্থাৎ ঘাটাল কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। কলেজে মিটিং শেষে দেব জানান, মিটিংয়ের সব কথা বলা যাবে না। তবে কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত, বহিরাগতদের আসা নিয়ে যে যে অভিযোগগুলি আসছিল সেই সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।



২১শের মঞ্চে নেই ঋত্বিকা সেন, ছবির কাজ নিয়েই ব্যস্ত
দেব জানান, “কলেজ রাজনীতির জায়গা নয়। কলেজের গেটের বাইরে রাজনীতি হওয়া উচিত। আমার এই কথা হয়তো অনেকের ভাল নাও লাগতে পারে। কলেজে ছাত্রছাত্রীরা আসে পড়াশোনার জন্য। তাঁদের ভবিষ্যত তৈরি করার জন্য। সেখানে একটা শান্তি ও সুন্দর পরিবেশ দরকার। আমি সেটাই চাইব কলেজের একজন সভাপতি হিসাবে। কলেজে বহিরাগত রাজনীতি আমি একে সমর্থন করি না।”

এ দিন কলেজের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা সংবাদমাধ্যমে বলতে চাননি দেব।অভ্যন্তরিন আলোচনা বলে এড়িয়ে যান তিনি। তবে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছে দেবের আবেদন, “কলেজে সবাই রাজনীতি করে না। এটা রাজনীতির জায়গা নয়। ভাল পড়াশোনা, ডিগ্রি থাকলে সেটা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে যখন চাকরির জন্য খোঁজ করবে।”

ভারতের উপরে ট্রাম্পের ট্যারিফের কোপ, সঙ্গে আবার পেনাল্টিও! কত শতাংশ শুল্ক চাপল?

India-US Relation: সত্যি সত্যিই ট্রাম্পের শুল্কের কোপ নেমে এল ভারতের উপরে। কার্যত রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ককেই শুল্ক বসানোর  কারণ হিসাবে দর্শান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।




ওয়াশিংটন: জল্পনা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সত্যি সত্যিই ট্রাম্পের শুল্কের কোপ নেমে এল ভারতের উপরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। ১ অগস্ট থেকেই এই শুল্ক কার্যকর হবে।

বুধবার, ৩০ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন যে ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভারতকে পেনাল্টিও দিতে হবে। তবে এই পেনাল্টি কত, বা কী কী পণ্যের উপরে পেনাল্টি চাপানো হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।




ট্রাম্প লেখেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, আমরা বিগত বছরগুলিতে ভারতের সঙ্গে অল্প ব্যবসা করতে পেরেছি চড়া শুল্কের কারণে। বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি শুল্ক এবং তাদের সবথেকে কঠোর, নন-মনিটারি বাণিজ্যিক নীতি রয়েছে। পাশাপাশি তারা নিজেদের সামরিক অস্ত্রের অধিকাংশটাই রাশিয়ার থেকে কিনেছে। রাশিয়ার থেকে সবথেকে বড় শক্তি ক্রেতাও চিন ও ভারত।”

কার্যত  রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ককেই শুল্ক বসানোর  কারণ হিসাবে দর্শান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও লেখেন, “যখন সবাই চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ করুক-সব জিনিস ভাল নয়! তাই ভারতকে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, পাশাপাশি পেনাল্টিও দিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে ভারতের অত্যাধিক শুল্কের কারণে তারা এ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারে না। ভারত শুল্ক না কমালে, তারাও সমান হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে এই বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিল




অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপির বড় নেতাদের মার্জিন কমে গিয়েছে। তাই এরা এখন SIR করছে। টাকা দিচ্ছে না, এবার ভোটাধিকার কেড়ে নেবে। কারণ মানুষ ভোট দিলে তো এরা জিতবে না।"


দু'জনের নাম বাংলায় বাদ দিয়ে দেখাক, বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল', হুঙ্কার অভিষেকের
সংসদে হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা SIR নিয়ে ফের একবার সরব তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বললেন, “দুই কোটি ভোটার বাদ দেওয়া তো দূর অস্ত, দু’জনের নাম বাংলায় বাদ দিয়ে দেখাক, বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল।”


এ দিন সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে এসইআর শুরু করেছে, যাকে বলছেন স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন, তা আসলে হল সাইলেন্ট ইনভিসিবল রিগিং, যেটা ইলেকশন কমিশন শুরু করেছে বিজেপির পক্ষে। যারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলে, সেই নাগরিকদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। বাংলায় এসব করে লাভ হয়নি, বিহারেও মানুষ জবাব দেবেন বলে আশা করছি। বাংলার মানুষের সঙ্গে বিমাত্রিসুলভ আচরণ ২০২১ সাল থেকে দেখছি। আগে টাকা আটকে দিয়েছে, এবার ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। তারা জানে মানুষ ভোট দিলে বিজেপির বিপক্ষে ভোট দেবে।”



অনিকেত মাহাতোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়', স্পষ্ট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
অভিষেক আরও বলেন, “কোনও SIR হল না, আগেই বিজেপি নেতারা বলে দিচ্ছে বাংলা থেকে দু কোটি ভোটার বাদ যাবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ এর পর কী করেছেন তা আর বলছেন না। ৯০ মিনিটের ভাষণে ২০০ বার প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়েছে।”

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার জন্য দায়ী কে? আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে দায়ী করেন, বলেন বর্ডার থেকে লোক ঢোকান। জম্মু-কাশ্মীর বর্ডার কার হাতে? জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কার হাতে? বাংলাদেশ বর্ডার থেকে কার ব্যর্থতায় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছে? কে ঢুকিয়েছে?”

তিনি আরও বলেন, “এই নরেন্দ্র মোদী বলতো ২০১৪ এর আগের রিমোট কন্ট্রোল সরকার। মনমোহন সিং কে দশ জনপথ থেকে পরিচালনা করা হয়। আরে তখন তো অন্তত রিমোট কন্ট্রোলটা দিল্লিতে ছিল। এখন ভারতের রিমোট কন্ট্রোলটা ওয়াশিংটনে রাখা আছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী কেউ বলছে না ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলেছে তা মিথ্যে। এত দুর্বল সরকার ভারতবর্ষের মানুষ দেখেনি। মজবুত সরকার নয়, মজবুর সরকার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সরকার মজবুর হয়ে গেছে।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির বড় নেতাদের মার্জিন কমে গিয়েছে। তাই এরা এখন SIR করছে। টাকা দিচ্ছে না, এবার ভোটাধিকার কেড়ে নেবে। কারণ মানুষ ভোট দিলে তো এরা জিতবে না।”



*ডায়মন্ড হারবারে ব্রিটিশ শাসনামলে ঐতিহাসিক লালপোল প্রায় ১৩কোটির ব্যায় তৈরি নতুন সেতুটি মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়..
 
 

ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার অন্তর্গত মগরাহাট খালের উপর ব্রিটিশ আমলের তৈরি ঐতিহাসিক সেতু লালপোল বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। সেই জন্য কোনো কারণবশত বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটে, দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সেতুটি ২০২১ শালে সাধারণ মানুষের চলাচল এর জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তার পরিবর্তে পাশেই একটি জনসাধারনের যাতায়াতের সুবিধার্থে লোহার সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হয়। তার পরে স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে
পূর্ত দফতরের মাধ্যমে পুরোনো লালপোল ভেঙে নতুন করে আবার এই লাল পোলের কাজ শুরু করেন।এটি নির্মাণ করতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা যায়, আজ তারই ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

 এখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা,দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে, মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ,বিধায়ক পান্নালাল হালদার,দলীয় পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ,পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস সহ প্রশাসনের আরও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।এটি ডায়মন্ড হারবার শহরের ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলির মধ্যে এই সেতুটি উল্লেখ্যযোগ্য। এটি নতুন করে নির্মাণের ফলে বহু মানুষের উপকৃত হবে।



স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এবার এগিয়ে এলো রাজ্য সরকার

গঙ্গাসাগরের প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এবার এগিয়ে এলো রাজ্য সরকার উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে 5 মাস ব্যাপী টেলারিং প্রশিক্ষণ এর শুভ উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা DPMU (Skill Development Department) এর আর্থিক সহায়তায় এবং পাত্র অ্যান্ড গিরি টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট সার্ভিসেস এর তত্বাবধানে এই ট্রেনিং। মূলত মহিলাদের পাঁচ মাস বিনামূল্যে টেলারিং প্রশিক্ষণ দেয়ার পর টেলারিং মেশিন দিয়ে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা গঙ্গাসাগরের কৃষ্ণনগর পশ্চিম ঘেরী এলাকায় শিশু বিকাশ ট্রেনিং সেন্টারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগর বিধানসভার বিধায়কের উপস্থিতিতে এলাকার মহিলাদের টেলারিং প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য কুড়িটি  টেলারিং মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ এই দ্বীপের মানুষজনেরা মৎস্যজীবী ও চাষবাসের উপর বেশি নির্ভর করে। এই দ্বীপের মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। শিশু বিকাশ ট্রেনিং সেন্টার এর পক্ষ থেকে এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর গড়ার লক্ষ্যে কুড়িটি টেলারিং মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে বিনামূল্যে দ্বীপ এলাকার মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে । 
এরপর মহিলারা যাতে স্বনির্ভর হতে পারে সেদিকেই লক্ষ্য রেখে মহিলাদের টেলারিং মেশিন প্রদান করা হবে। এর ফলে সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক এলাকার মহিলারা স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বিন হয়ে উঠবে। এ বিষয়ে শিশু বিকাশ ট্রেনিং সেন্টারের কোডিনেটর ঊষা পাত্র তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে চারটি ব্যাচের মাধ্যমে 132 জন মহিলাদের টেলারিং প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরপর ওই মহিলাদের কাঁচামাল প্রদান করা হবে পাশাপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মেশিন ও প্রদান করা হবে। এলাকার মহিলাদের স্বাবলম্বিন করার জন্য শিশু বিকাশ ট্রেনিং সেন্টারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার মানুষজনেরা। এ বিষয়ে এক মহিলা তিনি বলেন, প্রান্তিক এলাকায় আমরা বসবাস করি এর ফলে চাষবাসের ওপরই আমাদের বেশি নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় চাষবাসও ঠিকঠাক হয় না এর ফলে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হয়। আমাদের স্বাবলম্বিন করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। শিশু বিকাশ ট্রেনিং সেন্টারে আমরা প্রশিক্ষণ নেয়ার পর আমরা অনেকটাই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বিন হয়ে উঠবো।


সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন শাহ। মঙ্গলবার অধিবেশন চলাকালীন তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৩ হাজার ঘণ্টা তদন্ত চলেছে। তারপরেই এই জঙ্গিদের হদিশ পেয়েছে সেনা।


অপারেশন মহাদেবে' খতম হওয়া জঙ্গিরাই পহেলগাঁও হামলার চক্রী, সংসদে জানালেন শাহ
অমিত শাহ


 ২৪ ঘণ্টার পর অবশেষে সোমবারের ‘অপারেশন মহাদেব’ নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিশ্চিত করলেন এরাই সেই তিন জঙ্গি। শ্রীনগরে সেনা অভিযানে তিন জঙ্গিকে খতম করার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল জঙ্গিদের ‘পরিচয়’ নিয়ে। অবশেষে সেই পরিচয় প্রকাশ্যে আনলেন শাহ।


এদিন তিনি বলেন, ‘আমি এই সংসদ ও দেশের প্রতিটি নাগরিককে জানাতে চাই যে যারা বৈসরণে আমাদের দেশের নাগরিকদের হত্য়া করেছিলেন। সেই তিন জঙ্গিকেই খতম করা হয়েছে।’ কিন্তু ‘অপারেশন মহাদেবে’ খতম হওয়া তিন জঙ্গি যে সেই পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদীই তা কীভাবে নিশ্চিত করছে কেন্দ্র?




শাহ আরও জানিয়েছেন, ‘খতম হওয়া জঙ্গিদের থেকে চকলেট উদ্ধার করে পুলিশ। এই চকলেটগুলি পাকিস্তানে তৈরি। অনুমান অনেক দিন ধরে আত্মগোপন থাকার জন্যই এই চকলেটগুলি নিয়েছিল তারা। এছাড়াও, পাক ভোটার কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছে।’



রাজ্য এবং রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও এখন ফলাফল না প্রকাশ করায় আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক। সেই মামলায় এই নির্দেশ।




রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল কবে? জানতে চাইল আদালত
কবে জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফল?

 রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল কবে? এবার জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য এবং রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও এখন ফলাফল না প্রকাশ করায় আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক। সেই মামলায় এই নির্দেশ।


দু’মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তারপরও ফল প্রকাশ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন লক্ষাধিক পড়ুয়া-অভিভাবক। এর আগে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “জুন মাসের ৫ তারিখই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশের প্রস্তুতি সেরেছে বোর্ড। কিন্তু আদালতে ওবিসি সংরক্ষণ মামলা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।” যদিও সোমবারই ওবিসি শংসাপত্রের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় বিভিন্ন পরীক্ষা জেইই মেন্স, জেইই অ্যাডভান্সড এবং নিট ইউজি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই বেশির ভাগ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়েছেন। বাধ্য হয়েই তাঁদের অন্য রাজ্যে চলে যেতে হচ্ছে অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হচ্ছে।

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় এদিন সংসদে রাহুল গান্ধী বলেন, "অপারেশন সিঁদুরের সময় সরকারের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল বিরোধীরা।" এরপরই কেন্দ্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "আপনি পাকিস্তানে পাঠালেন। আর আমাদের পাইলটদের বললেন, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষায় আঘাত করো না। আপনি আমাদের পাইলটদের হাত বেঁধে দিলেন।"


 'প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলুন, ট্রাম্প মিথ্যেবাদী', সরব রাহুল
সংসদে রাহুল গান্ধী


অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতিতে কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত রয়েছে? ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর ট্রাম্পের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এই নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্র বারবার জানিয়েছে, পাকিস্তানের অনুরোধ মেনেই দুই দেশের DGMO বৈঠকে বসেন। সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। তৃতীয় কোনও পক্ষের এতে কোনও হাত নেই। তারপরও থামেনি বিরোধীরা। এবার সংসদে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বললেন, “ট্রাম্পকে মিথ্যেবাদী বলুন মোদী।”

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় এদিন সংসদে রাহুল গান্ধী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় সরকারের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল বিরোধীরা।” এরপরই কেন্দ্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আপনি পাকিস্তানে পাঠালেন। আর আমাদের পাইলটদের বললেন, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষায় আঘাত করো না। আপনি আমাদের পাইলটদের হাত বেঁধে দিলেন।” সেনাবাহিনীকে অপারেশনের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এটিও পড়ুন
'আমার ছবি হিট হোক বা ফ্লপ...', 'কিংডম' মুক্তির আগে কী বললেন বিজয়?
এঁটে থাকবে শরীরের সঙ্গে, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-র জন্য 'নতুন বন্ধু' পাঠাল শাহের দফতর
Basirhat: একটা লরিকে রাস্তা দিতে গিয়ে পাশ কেটেছিল, উল্টোদিক থেকে চলে আসে ১২ চাকার লরি! পিষে গেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে সরব হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এই নিয়ে রাহুল বলেন, “অনেক দেশ পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেছে। কিন্তু, পাকিস্তানের নাম নেয়নি কোনও দেশ।”

এরপরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি নিয়ে সরব হন রাহুল। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব? যদি ট্রাম্প মিথ্যে কথা বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী সেটা সংসদে বলুন। সংসদে তিনি বলুন যে ট্রাম্প মিথ্যেবাদী।”

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। গুঁড়িয়ে দেয় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। ভারত অবশ্য স্পষ্ট করে দেয়, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামো কিংবা সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করা হয়নি। তারপরও পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে। যোগ্য জবাব দেয় ভারত। সংঘর্ষের আবহ বাড়ার পর পাকিস্তান বৈঠকে বসার অনুরোধ জানায়। সেইমতো গত ১০ মে দুই দেশের DGMO-র বৈঠকে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। এরপরই ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে তাঁর ভূমিকা রয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রকে তোপ দাগতে শুরু করে বিরোধীরা। যদিও মোদী সরকার একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই কথা বলেছেন। এদিন সংসদে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, সেটাই দেখার।





এদিন ইলামবাজারে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাস করেন মমতা। প্রশাসনিক সভা থেকেই বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ, বাংলার পরিযয়াী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন মমতা।

বাংলার মেধা পুরো পৃথিবী চালায়: মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়



“বাংলার মেধা পুরো পৃথিবী চালায়। বাংলা ছাড়া চলে না।” মমতার দাবি, বাংলায় বুদ্ধি আছে, মেধা আছে, সে কারণেই বাংলা ভাষার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। তা কোনওভাবেই মানা যাবে না। বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার হুঙ্কার দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফের একবার শান দিলেন বাঙালি অস্মিতায়। 

এদিন ইলামবাজারে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাস করেন মমতা। প্রশাসনিক সভা থেকেই বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ, বাংলার পরিযয়াী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন মমতা। সাফ বললেন, “ভাষার উপর অত্যাচার হল মানব না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজির ভাষাতে আক্রমণ মানব না। আমরা জীবন দিতে রাজি আছি! কিন্তু ভাষার উপর অত্যাচার, মনীষীদের উপর অত্যাচার মানব না।”  



 উঠে আসে স্বামীজি থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথাও। বলেন, “বাংলার মাটি, এ মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি, এই মাটিতে জন্ম নিল রবীন্দ্র-নজরুল, একইবৃন্তে দু’টো কুসুম আলোকময় সে ফুল। এই মাটিতে স্বামীজির অবদান ভুলে গিয়েছেন? রামকৃষ্ণের অবদান ভুলে গিয়েছেন?” এরপর সুর আরও চড়িয়ে, বাঙালি অস্মিতার ধার আরও বাড়িয়ে বলেছিলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনে পথ দেখিয়েছিল বাংলা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের আজাদ হিন্দ বাহিনী, শহিদ দ্বীপ, স্বরাজ দ্বীপ, জয় হিন্দ স্লোগান, প্ল্যানিং কমিশন, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি! এত তাড়াতাড়ি কী করে ভুলে গেলেন? কী করে ভুলে গেলেন লাল-বাল-পালের কথা? কী করে ভুলে গেলেন রাজা রামমোহন রায়ের কথা? কী করে ভুলে গেলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা? কী করে ভুলে গেলেন মাতঙ্গিনী হাজরার কথা? কী করে ভুলে গেলেন দেশবন্ধুর কথা? কী করে ভুলে গলেন নব জাগরণের কথা? বঙ্গভঙ্গের সময় কবিগুরু বাংলায় বেরলেন। হিন্দু-মুসলমান সবাইকে রাখি পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান। ভুলে গেলেন?” 


একদিন আগেই আবার অত্যাচারের ভয়ে প্রায় ২০০ জন পরিয়যায়ী শ্রমিক বাস ভাড়া করে ফিরে এসেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। এবার মমতা বার্তা দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদেরও।


বাংলায় কাজের অভাব নেই, পরিযায়ী শ্রমিকদের চলে আসতে বলুন’, বড় বার্তা মমতার
বড় বার্তা মমতার


ইলামবাজার: সোমবারও সুর চড়িয়েলেন, এবার মঙ্গলবারও! ফের বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা নিয়ে তোপের পর তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের ইলামবাজারে প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চে ফের একবার বাঙালি অস্মিতায় শান দিকে দেখা গেল মমতাকে। উচ্চস্বরে বললেন, “ভাষার উপর অত্যাচার হল মানব না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজির ভাষাতে আক্রমণ মানব না। আমরা জীবন দিতে রাজি আছি! কিন্তু ভাষার উপর অত্যাচার, মনীষীদের উপর অত্যাচার মানব না।” 

এরপরই একযোগে বিরোধীদের নিশানা করে মমতা বলেন, “আগে অত্যাচার সহ্য করতে হতো সিপিএমের, এখন অত্যাচার সহ্য করতে হয় বিজেপির।” সম্প্রতি একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে আটক করা হচ্ছে। চলছে অত্যাচার। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুর প্রতিবাদে ১৬ জুলাই পথেও নেমেছিলেন মমতা। সরব হয়েছিলেন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও। 



একদিন আগেই আবার অত্যাচারের ভয়ে প্রায় ২০০ জন পরিয়যায়ী শ্রমিক বাস ভাড়া করে ফিরে এসেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। এবার মমতা বার্তা দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদেরও। স্পষ্ট বললেন, অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লিতে বাঙালিদের উপর খুব অত্যাচার হচ্ছে। অসমের লক্ষ লক্ষ মানুষকে ক্যাম্পে দিয়েছে। বাংলায় কাজের অভাব নেই, পরিযায়ী শ্রমিকদের চলে আসতে বলুন। বাইরে যা কাজ করে বাংলাতেও সেই কাজ করবে। সমস্ত সুবিধা করে দেব। এরপরই বলেন, “দেউচা পাচামিতে এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে চলে আসুন। ডেউচা পাচামিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছ গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে।”  


আজ ২৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলীয় পুলিশ স্টেশনের অধীনে জেলেদের নিয়ে একটি জেলে সচেতনতা অভিযান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।



ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলীয় পুলিশ স্টেশন, ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং স্থানীয় মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সমন্বয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলেদের উপকূলীয় নিরাপত্তায় তাদের ভূমিকার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করা হয়েছিল। ভারতীয় সমুদ্রসীমা জুড়ে মাছ ধরার নৌকা না চালানো এবং প্রতিকূল ও খারাপ আবহাওয়ার সময় মাছ ধরা বন্ধ করার বিষয়ে তাদের 

অবহিত করা হয়েছিল। জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতির গুরুত্ব, টেকসই মাছ ধরা, বেঁচে থাকার কৌশল, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সমুদ্রের বর্জ্য এবং দূষণ এবং মাছ ধরার নৌকায় বহনযোগ্য নথিপত্রের তালিকা সম্পর্কে জেলেদের সচেতন করা হয়েছিল।

 এদিন  কপিল সিব্বল বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে কমিশন মামলায় যোগদানের জন্য আবেদন জমা দেন। যার শুনানি আগামী ১২ ও ১৩ই অগস্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে নয়াদিল্লি তরফে।


SIR মামলায় যুক্ত হতে চায় রাজ্য, দ্বারস্থ হল সুপ্রিম কোর্টে
দেশের শীর্ষ আদালত

সাংসদ আগেই গিয়েছেন। এবার রাজ্য যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বিহারে চলা বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার সেই মামলায় যোগ দিতে চায় বাংলার সরকারও।

সেই ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে সওয়ালকারী হয়েছেন কপিল সিব্বল। ওয়াকিবহাল মনে করছে, বর্তমানে দু’টি বিষয় এই মামলায় রাজ্যকে যুক্ত হওয়ার জন্য বাড়তি ‘আত্মবিশ্বাস’ জোগাচ্ছে। এক বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষা করার বাড়ন্ত সম্ভবনা। দুই, সম্প্রতি একের পর এক মামলায় শীর্ষ আদালতে স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য। সে এসএসসি মামলাই হোক আর ওবিসি মামলা। তাই সেই ব্যাপারটাও এখন ‘শরীরে বাড়তি অক্সিজেনের’ মতোই কাজ করছে।


 'ট্রাম্প'কার্ড মোদীর! আমেরিকার সবচেয়ে খতরনাক অস্ত্র 'বাস্টার বাঙ্কার' বোমা বানিয়ে ফেলছে ভারতও
'আরও ২০ বছর ওখানেই থাকবেন', সংসদে বিরোধীদের নিশানা শাহর
এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বল বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে কমিশন মামলায় যোগদানের জন্য আবেদন জমা দেন। যার শুনানি আগামী ১২ ও ১৩ই অগস্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে নয়াদিল্লি তরফে।

উল্লেখ্য, বাংলায় ভোটার সমীক্ষা এখনও শুরু হয়নি। তবে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি বিহারের কায়দায় বাংলাতেও নিচ্ছে কমিশন, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। বিহারে ভোটার তালিকা সমীক্ষার শুরুতেই ২০০৩ সালে হওয়া শেষ সমীক্ষার তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল তারা। এবার সেই একই ‘কৌশল’ দেখা গেল বাংলাতেও। এ রাজ্যে শেষবার ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা দেখা গিয়েছিল ২০০২ সালে। সম্প্রতি, বাংলায় স্বতন্ত্রতা দাবির পর সেই পুরনো তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তারা। ইতিমধ্যেই ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নথি সেই তালিকায় জুড়েছে কমিশন। সুতরাং, তলে তলে তারা যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি তৈরি করছে, তাতে কোনও সন্দেহই নেই।

এই পরিস্থিতিতে কমিশন যদি হঠাৎ করে বাংলায় SIR ঘোষণা করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার মামলা করবে, সেটাই ভবিতব্য। আপাতত সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা না করে, আগেভাগেই কমিশনের বিরুদ্ধে আসর সাজানোর ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর উদ্যোগ প্রশাসনের, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হল বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ।

পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বনদপ্তর (নামখানা রেঞ্জ) ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাগর থানার যৌথ উদ্যোগে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের বামন খালি এম.পি.পি, উচ্চ বিদ্যালয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হলো। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ম্যানগ্রো এবার ম্যানগ্রোভ রক্ষা করার লক্ষ্যে। এদিন স্কুলের মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ রোপণ করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাগর এসডিপিও সুমন কান্তি ঘোষ এসডিপিও ট্রাফিক কমল মাইতি সাগর থানার ওসি অর্পণ নায়েক, এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরিন্দম মাইতি সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। 

এদিন চারা গাছ লাগানোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে চারা গাছ তুলে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গাছ লাগান দেশ বাঁচান আজ আমরা প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে চারা গাছ তুলে দিলাম মূল উদ্দেশ্য সবুজকে বাঁচাতে হবে বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের একমাত্র আমাদের বাঁচাতে পারে গাছ, তাই গাছ তুলে দিয়ে আমরা ম্যানগ্রো বাঁচানোর বার্তা দিলাম, এই বিষয়ে সাগরের এসডিপিও সুমন কান্তি ঘোষ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আমাদের বনো সুজন সপ্তাহ চলছে যাতে সবুজ বাড়ানো যায় দ্বীপকে বাঁচানো যায় এই একটা সংকল্প নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।



এদিন রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে, বীরভূমে তৃণমূলে অনুব্রতর গুরুত্ব আবার বাড়ায়। একসময় জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন তিনি। শাসকদলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দীর্ঘদিন সামলেছেন। 


এমনকি, ২০২২ সালের অগস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করার পরও জেলা সভাপতি পদ থেকে সরাননি মমতা। তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।


ফের 'বীরভূমের বাঘ' হয়ে উঠবেন অনুব্রত? তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল ফোটো)


২৪ ঘণ্টা আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। মিনিট দশেক কথা হয়েছিল তাঁদের। দলের সুপ্রিমোর সঙ্গে সেই সাক্ষাতের পর এবার বীরভূমে জেলা তৃণমূলে বড় দায়িত্ব পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক করা হল তাঁকে। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক ও পদযাত্রা শেষে বোলপুর রাঙাবিধান গেস্ট হাউসে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, শতাব্দী রায়, অসিত মাল, কাজল শেখ, অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর ওই বৈঠকেই অনুব্রতকে কোর কমিটির আহ্বায়ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।




তবে এদিন রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে, বীরভূমে তৃণমূলে অনুব্রতর গুরুত্ব আবার বাড়ায়। একসময় জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন তিনি। শাসকদলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দীর্ঘদিন সামলেছেন। এমনকি, ২০২২ সালের অগস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করার পরও জেলা সভাপতি পদ থেকে সরাননি মমতা। তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ২ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অবশ্য বীরভূমে অনুব্রতর সেই প্রভাব কমতে দেখা যায়। জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। দলের জেলা কোর কমিটির শুধুমাত্র একজন সদস্য হিসেবে থাকেন তিনি।

আবার কিছুদিন আগে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের একটি অডিয়ো সামনে আসার পর অস্বস্তি বাড়ে অনুব্রতর। দল রুষ্ট হওয়ার পর ক্ষমাও চান। এরপর একুশের জুলাইয়ের সমাবেশের আগের দিন ধর্মতলায় গিয়ে মঞ্চের সামনে যেতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান। সবমিলিয়ে জেলা তৃণমূলে তাঁর প্রভাব আদৌ আর রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

গতকাল নানুর দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চেও দেখা যায়নি কেষ্টকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বীরভূমে পৌঁছন। আর তারপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দৌড়ে যান কেষ্ট। ২ জনের মিনিট দশেক কথা হয়। তারপর এদিন জেলা তৃণমূলের ফের বাড়ল কেষ্ট-প্রভাব। এখন দেখার, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় কতটা দাপট দেখা যায় ‘বীরভূমের বাঘ’-র।


 দুমড়ে-মুচড়ে গেল বাস, শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে মৃত্যু ৮ পুণ্যার্থীর, আহত ২০


শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন পুণ্যার্থীরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারল আস্ত বাস। মৃত্যু ৮ পুণ্যার্থীর। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন। দুমকা জেলার বাসকীনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। পুণ্যার্থীরা সবাই বিহারের গয়া জেলা থেকে ওই মন্দিরে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিহারের সুলতানগঞ্জ থেকে গঙ্গার জল নিয়ে প্রথমে তাঁরা দেওঘরে অর্থাৎ বাবা বৈদ্যনাথধাম মন্দিরে জল ঢালেন। এরপর রীতি মেনে সেখান থেকে তাঁরা রওনা দেন দুমকা জেলার বাসকীনাথ মন্দিরের পথে। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা।



প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চালকের চোখে ঘুম এসে গিয়েছিল ভোরের দিকে, সেই কারণেই এভাবে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি।

সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্য়মন্ত্রী সেই দাবি খারিজ করল পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া।

দেড় বছরের শিশুর গায়ে হাত! মমতার বাঙালি হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল দিল্লি পুলিশ
বাঁদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও ডানদিকে পূর্ব দিল্লির ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া


“ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবিকে এই দুই শব্দে কটাক্ষ করে উড়িয়ে দিল দিল্লি পুলিশ। রাজধানীর বুকে বাঙালি মা ও শিশুকে হেনস্থা করার যে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তা খারিজ করলেন পূর্ব দিল্লির ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া।

বীরভূম থেকে ভাষা আন্দোলনের সূচনার দিনে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে দেখা গিয়েছিল, তার দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই বিজেপির দিকে তোপ দেগেছিলেন মমতা। লিখেছিলেন, “এই দেশে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপির শুরু করা ভাষা সন্ত্রাসের হিংসা থেকে পরিত্রাণ পেল না একটা শিশুও। দেশকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”



কিশোর কুমার 'দুশ্চরিত্র শ্বশুর'! ছেলে অমিত কুমারের বিয়ে ভেঙেছিলেন গায়ক
'ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর কথাই হয়নি', মধ্যস্থতা নিয়ে আবারও মুখ খুললেন জয়শঙ্কর
সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্য়মন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করল পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিয়োর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

তাঁর সংযোজন, “সেই প্রমাণ নথির ভিত্তিতে আমরা ওই ভিডিয়োয় দেখানো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখনই আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসে। আমরা জানতে পারি, ওই পরিবার ভিডিয়োটা তৈরি করেছিল তাদের এক আত্মীয়র কথায়। যাকে আবার নির্দেশ দিয়েছিল মালদহের এক নেতা। এই ভিডিয়ো সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

দিল্লি পুলিশের তুলে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পায়ের নীচে মাটি পেয়েছে বিরোধী শিবির। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে তারা নিজের মতোই স্বেচ্ছায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনও পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়নি।’


গত মার্চ, এপ্রিল আর মিলিয়ে ৩৯ টি জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু, সেই সব জেলায় এখনও কমিটি গঠন হয়নি। সেই ৩৯টি জেলায় কমিটি গঠন করতেই বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বৈঠক করবেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব।

অবশেষে শুরু জেলা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া! ৪ দিনের বড় বৈঠক বিজেপিতে, জায়গা পেতে পারেন কোন কোন নেতারা?
প্রতীকী ছবি


অবশেষে জেলা কমিটি গঠন! কমিটি গঠনে চারদিনের বৈঠক বঙ্গ বিজেপিতে। বঙ্গ বিজেপির ৪৩ সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করছে বঙ্গ বিজেপি। তা নিয়েই আগামী ১ অগস্ট থেকে ৪ অগস্ট পর্যন্ত বৈঠক করবেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। থাকবেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। 


গত মার্চ, এপ্রিল আর মিলিয়ে ৩৯ টি জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু, সেই সব জেলায় এখনও কমিটি গঠন হয়নি। সেই ৩৯টি জেলায় কমিটি গঠন করতেই বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বৈঠক করবেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। দার্জিলিং, ঘাটাল, বনগাঁও আর ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় এখনও সভাপতি নির্বাচন করতে পারেনি বিজেপি। ফলে ওই সব জেলায় সভাপতি-সহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনেও বাড়তি জোর দেবে তাঁরা। এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে। 

ঠিক হয়েছে নতুন-পুরোনো মিশেলেই হবে জেলা কমিটি গঠন। তার প্রাথমিক কাজও শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই জেলায় জেলায় বৈঠকও করছেন পদ্ম শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। জেলা কমিটির সঙ্গে মোর্চা গুলির রাজ্য ও জেলা কমিটি গঠন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। কমিটি গঠনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, রাষ্ট্রীয় ভাবধারার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, লড়াকু, দুর্নীতি বা অন্য কিছুর সঙ্গে সম্পর্কহীন এমন নেতাদের উপরেই মূলত জোর দেওয়া হচ্ছে। 

বাংলায় SIR নিয়ে জল্পনার মাঝে ২০০২-এর ভোটার তালিকা প্রকাশ কমিশনের,আপনি কি আছেন তালিকায়?

 বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই তালিকাকে ভিত্তি করেই এগোতে চায় কমিশন। এরপর আজ ২০০২ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করা হয় কমিশনের তরফে।

বাংলায় SIR নিয়ে জল্পনার মাঝে ২০০২-এর ভোটার তালিকা প্রকাশ কমিশনের,আপনি কি আছেন তালিকায়?
তালিকা প্রকাশ কমিশনের

রাজ্যের ২০০২ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ১০৯ টি বিধানসভা এলাকার নাম প্রকাশ করেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে এই তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় নাম থাকা ভোটারদের আপাতত স্বস্তি এসআইআরে (SIR)। ২০০২ সালে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার ভোটার তালিকা নামে ওই ভোটার তালিকা দেখা যাবে।


বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই তালিকাকে ভিত্তি করেই এগোতে চায় কমিশন। এরপর আজ ২০০২ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করা হয় কমিশনের তরফে। উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট সময়ের গ্যাপে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা করে কমিশন। রাজ্যগুলিতে শেষ বার এই এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে। আর বিহারে হয় ২০০৩ সালে। কোন ভোটার মৃত, কোন ভোটার অন্যত্র চলে গেছে, আর ভুয়ো ভোটারই বা কে সবটাই খতিয়ে দেখে কমিশন। বিহারে এই প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে। সে নিয়ে বিরোধীরা কম বিরোধিতা করেনি। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে।






সুপ্রিম কোর্ট না সংসদ, কার হাতে বিচারপতি ভার্মার ভবিষ্যৎ!
বিচারপতি ভার্মার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবল। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে তিনি আর্জি জানান, যাতে দ্রুত শুনানি করা যায়। তাঁর দাবি, বিষয়টিতে সাংবিধানিক ইস্যু জড়িয়ে আছে, তাই দ্রুত শুনানি প্রয়োজন।


সুপ্রিম কোর্ট না সংসদ, কার হাতে বিচারপতি ভার্মার ভবিষ্যৎ!


রাজনৈতিক নেতা কিংবা মাফিয়া নয়, এক বিচারপতির বাড়িতে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকার নোটের বান্ডিল দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। আবারও আলোচনার শীর্ষে সেই বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা। উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা দেওয়ার পিছনেও বিচারপতি ভার্মার নাম উঠে আসছে। বিরোধীদের স্বাক্ষর করা ইমপিচমেন্টে সম্মতি দিয়েছিলেন ধনখড়। তারপরই পদত্যাগ। তবে সে সব জল্পনা পিছনে রাখলে প্রশ্ন একটাই, কী হবে বিচারপতি ভার্মার ভবিষ্যৎ? কে ঠিক করবে, সুপ্রিম কোর্ট না সংসদ।


উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা



মে মাসে সামনে আসে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট

বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন বিচারপতির একটি অনুসন্ধান কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ মে সেই কমিটি তাদের রিপোর্টে বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে টাকা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

বিচারপতি ভার্মাকে নিয়ে তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না একটি ইন হাউস কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি নিশ্চিত করে যে বিচারপতি ভার্মার বাড়ির স্টোররুম থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। সেই রিপোর্টই পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে।

অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টের পরই সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছিলেন। বিচারপতি ভার্মার ইমপিচমেন্টের সুপারিশও করেন প্রধান বিচারপতি। সূত্রের খবর, বিচারপতি ভার্মার পদত্যাগের কথাও বলেছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কিন্তু, পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন বিচারপতি ভার্মা।

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিচারপতি ভার্মা

বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগে সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিচারপতি ভার্মা। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। শুধু ওই রিপোর্টকেই চ্যালেঞ্জ নয়, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করেন, যা একজন হাইকোর্টের বিচারপতির ক্ষেত্রে বেনজির পদক্ষেপ।

কী বক্তব্য বিচারপতি ভার্মার?

বিচারপতির দাবি, সংবিধানের ১২৪ ও ২১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধানের হাতে বিচারপতিকে সরানোর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। জাজেস এনকোয়ারি অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্তের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলেই সরানো যায় বিচারপতিকে। সুপ্রিম কোর্টে বেনামে এই আবেদন জানিয়েছেন বিচারপতি ভার্মা। নিজের নাম XXX বলে উল্লেখ করেছেন, তবে পদ হিসেবে এলাহবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বলে উল্লেখ করেছেন।

বিচারপতির আরও দাবি, ওই অন্তর্বর্তী তদন্তকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করুক সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর দাবি, এই তদন্ত আসলে ক্ষমতাচ্যুত করার হুঁশিয়ারি ছাড়া আর কিছু নয়।

বিচারপতি ভার্মা সরাসরি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি খান্নাকে আক্রমণ করেন। বিচারপতি ভার্মার দাবি, তাঁর কোনও কথা শোনা হয়নি। এমনকী তাঁর জমা দেওয়া কোনও নথিও দেখা হয়নি বলে অভিযোগ। বিচারপতির বক্তব্য, অনুমানের উপর নির্ভর করেই পুরো তদন্ত করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, কয়েকজন আধিকারিক ব্যক্তিগতভাবে যে ছবি ও ভিডিয়ো তুলেছিলেন, তার উপর ভিত্তি করেই তদন্ত হয়েছে।

কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায়নি যে ঠিক কীভাবে নগদ টাকা সেখানে এল, কত টাকা রাখা হয়েছিল, ওই নোট আসল কি না।

দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়

বিচারপতি ভার্মার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবল। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে তিনি আর্জি জানান, যাতে দ্রুত শুনানি করা যায়। তাঁর দাবি, বিষয়টিতে সাংবিধানিক ইস্যু জড়িয়ে আছে, তাই দ্রুত শুনানি প্রয়োজন।

প্রধান বিচারপতি থাকবেন না বেঞ্চে

বিচারপতি ভার্মার আবেদনের শুনানি হবে ঠিকই, তবে সেই বেঞ্চে থাকবেন না প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। তিনি জানিয়েছেন, বিচারপতি ভার্মার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির অংশ ছিলেন তিনি। তাই এই মামলা তিনি শুনতে পারবেন না। তবে প্রধান বিচারপতি একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

সংসদের হাতে বিচারপতি ভার্মার ভবিষ্যৎ?

সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনই ১৫২ জন সাংসদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিচারপতি ভার্মাকে অপসারণের জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যসভার ৫০ জনের বেশি সাংসদও একই প্রস্তাব জমা দেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের (তখনও উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেননি তিনি) কাছে। আবেদনকারীদের মধ্যে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা রয়েছেন। বিজেপি, কংগ্রেস, টিডিপি, জেডিইউ, সিপিএম এবং অন্য দলের সাংসদরা আবেদনে সই করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অনুরাগ ঠাকুর, রবিশঙ্কর প্রসাদ, রাহুল গান্ধীও রয়েছেন।

এবার ইমপিচমেন্টের কী হবে?

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের দুটি কক্ষ যৌথভাবে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়তে পারে। ওই কমিটি বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা আনুষ্ঠানিকভাবে ওই প্যানেল তৈরির কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ওই কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি, কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ থাকতে পারেন। সূত্রের খবর, ওই বিচারপতিকে ইমপিচ করা নিয়ে সংসদের পরের অধিবেশনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে পারে কমিটি।

ভারতীয় সংবিধান অনুসারে, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি অপসারণের জন্য সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা যেতে পারে। এই প্রস্তাব আনতে লোকসভার ১০০ সাংসদের স্বাক্ষর প্রয়োজন। আর রাজ্যসভার ৫০ সাংসদের সই দরকার। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ করাতে হবে।


রাজ্যে প্রতি বছর যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য বারবার দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবার নতুন পরিকল্পনার কথা শোনা গেল তাঁর মুখে।

এবার এটাই করব...' DVC-কে বেকায়দায় ফেলতে এবার বড় 'প্ল্যানিং'-এর কথা বললেন মমতা


চলতি বছর রাজ্যে বৃষ্টির অভাব নেই। একদিকে বর্ষা, অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি চলছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আর এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ডিভিসি-কে দায়ী করেছেন। ডিভিসি-র জলে বাংলার জেলা ভেসে যাচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেছেন তিনি। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ডিভিসি-র জল আটকাতে এবার অন্য প্ল্যানিং করবেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের সঙ্গে বারবার ডিভিসি-র সংঘাত সামনে এসেছে। চিঠি চালাচালিও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে থাকেন, ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাংলার দিকে জল ছাড়ে ডিভিসি। অন্যদিকে, ডিভিসি-র বক্তব্য, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়। এমনকী দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলেছিলেন মমতা।



সোমবার বোলপুরের সভায় বসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে, তাতে জেলাগুলিকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।” মমতার দাবি, ডিভিসি’র আজ ২০ বছর ধরে ড্রেজিং হয়নি। ফলে জলধারণ ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছে। ঠিকমতো ড্রেজিং হলে ৪ লক্ষ কিউসেক ওয়াটার জল বেশি ধরতে পারত বলে দাবি করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাতে ঝাড়খণ্ড না ডোবে, তাই তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে বাংলায়। এবার যদি ড্রেজিং না করে, তাহলে ওদের বাঁধের সামনে বাঁধ তৈরি করে দেব। যাতে ওদের জলে ওদেরই থাকে। জেলাগুলো না ডোবে। এটাই হবে আমাদের পরবর্তী প্ল্যানিং। গায়ে যতক্ষণ আঘাত না লাগে, ততক্ষণ বুঝতে পারে না কেউ।”


বীরভূমে পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করে একের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছিল। গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাও। সেই জেলায় গিয়ে পাচার নিয়ে বার্তা দিলেন মমতা।

'বীরভূমে এখনও পাচার হচ্ছে...', বড় অভিযোগ তুললেন মমতা


 গরু বা কয়লা পাচারের মামলায় একাধিকবার নাম জড়িয়েছে বীরভূমের। গ্রেফতার হয়েছিলেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই বীরভূমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুললেন, প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাতেই চলে পাচার। এখনও পাচার চলছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা। আর সেই অভিযোগ তিনি আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে।

এদিন প্রশাসনকি বৈঠকের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত, কাজল শেখ, শতাব্দী রায় সহ শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রী। উপস্থিত ছিলেন জেলার সব প্রশাসনিক আধিকারিক। সেখানে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে এখনও যেগুলো পাচার হয়, আমি মনে করি তাতে অন্য রাজনৈতিক দল যুক্ত আছে। প্রশাসনের অনেকেও যুক্ত আছে। এই কাজটা দয়া করে কেউ করবেন না।”



মমতার দাবি, আদতে বিজেপি নেতারা ওই পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দোষ দেওয়া হয় শাসক দলকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।” নাম না করে জেলার সরকারি অফিসারদেও কড়া বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, যারা করে খাচ্ছে, তাদের ভয় পাচ্ছেন? তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ৫০-৫০ অঙ্ক কষছেন। আমি থাকতে কোনও ৫০-৫০ হতে দেব না।”


মনে করা হচ্ছে, পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ছিল এই তিন জঙ্গি। সেনা-সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিকেশ করা হয়েছে জঙ্গিদের। 


উপত্যকায় এবার 'অপারেশন মহাদেব', পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জঙ্গি নিকেশ
ফাইল ছবি

উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বিরাট সাফল্য। শ্রীনগরে “অপারেশন মহাদেবে” নিকেশ তিন জঙ্গি। মনে করা হচ্ছে, পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ছিল এই তিন জঙ্গি। সেনা-সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিকেশ করা হয়েছে জঙ্গিদের। এখনও চলছে এনকাউন্টার।


এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ শ্রীনগরের কাছে লিডবাসে এনকাউন্টার শুরু হয়। সেনার কাছে গোপন সূত্রেই খবর ছিল. কয়েকজন বিদেশি জঙ্গি লুকিয়ে ছিল। সেই সূত্র ধরেই মাউন্ট মহাদেবের পাদদেশে এই উপত্যকায় বিরাট অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পর ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিকেশ হওয়া জঙ্গিরা টিআরএফ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। পহেলগাঁও মাস্টারমাইন্ড সুলেমানকে নিকেশ করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।






জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে সেফ হাউস ও পি-৩ শব্দ সামনে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে এই জঙ্গিরা যুক্ত থাকতে পারে।

সূত্রের খবর, দুই দিন আগেই সেনার নজরে এসেছিল বেশ কিছু সন্দেহজনক যোগাযোগ। শ্রীনগরের কাছে দাচিগাম জঙ্গল থেকে এই কমিউনিকেশন করা হয়েছিল। এরপরই আজ যৌথ অভিযানে নামে সেনা, পুলিশ ও সিআরপিএফ। স্থানীয় বাসিন্দারাও জঙ্গিদের লোকেশন খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছেন।

আজ যেখানে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে লোকসভায় আলোচনা হওয়ার কথা, সেখানেই এই জঙ্গি নিকেশ অভিযান বিরাট সাফল্য। বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তুলেছিল, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিরা কোথায় গিয়েছে? পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ।


তৃণমূলের এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়েও রীতিমতো উচ্ছ্বসিত মমতা। মঞ্চে উঠে শুরুতেই বললেন, “আপনাদের ভালবাসায় আমি আপ্লুত, আমি অভিষিক্ত, আমি সঞ্জিবীত, আমি সুরভিত, আমি সুশোভিত, আমি পল্লবিত, আমি বিকশিত।”


বাংলার ভাষা আন্দোলনে এবার ‘ইংলিশ মিডিয়ামও’, কী বার্তা দিলেন মমতা?
বোলপুরে মমতা




“কী করে ভুলে গেলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা? কী করে ভুলে গেলেন মাতঙ্গিনী হাজরার কথা? কী করে ভুলে গেলেন দেশবন্ধুর কথা? কী করে ভুলে গলেন নব জাগরণের কথা?” রবিভূমে ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ থেকে এ ভাষাতেই বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতনের বুকে দাঁড়িয়ে বারবার মনে করালেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শনের কথা। 

একইসঙ্গে তৃণমূলের এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়েও রীতিমতো উচ্ছ্বসিত মমতা। মঞ্চে উঠে শুরুতেই বললেন, “আপনাদের ভালবাসায় আমি আপ্লুত, আমি অভিষিক্ত, আমি সঞ্জিবীত, আমি সুরভিত, আমি সুশোভিত, আমি পল্লবিত, আমি বিকশিত। আপনাদের এই সৌজন্যের বদলে আমার একটু দেওয়ার আছে। যেন মাটির মানুষ থাকতে পারি। যেন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারি।” 



এখানেই শেষ নয়, স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অগ্রণী ভূমিকার কথাও বারেবারে মনে করালেন। বারাবার মনে করালেন বাঙালি অস্মিতার কথা। এরপরই ইংলিশ মিডিয়ামের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, “যাঁরা ইংলিশ মিডিয়ামেও পড়েন তাঁরা নিজের অস্তিত্বটাকে মনে রাখবেন, নিজের ঠিকানাটা মনে রাখবেন। সব ভুলে যেতে পারেন কিন্তু নিজের অস্মিতাকে ভুলবেন না, নিজের ঠিকানাটা ভুলবেন না। নিজের কুটির ঘরটা ভুলবেন না, নিজের মা-বাবাকে ভুলবেন না, নিজের শিক্ষকদের ভুলবেন না, নিজেদের জন্মভূমিকে ভুলবেন না।”  


তিনি বলেন, 'এই সময়কালে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ উজ্জীবিত হয়েছিল। সবাই চাইছিল পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখি, সংঘর্ষবিরতি। কখনও শুনেছেন ৯০ রান হওয়ার পর কেউ খেলব না বলে সরে যাচ্ছেন?'


বাইরে গ্রেফতার করুন, কোনও অসুবিধা নেই...', লোকসভায় বললেন কল্যাণ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়


লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা। সম্ভবনা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা রাখার। কিন্তু তার পরিবর্তে দেখা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একদিকে মমতা যখন বীরভূমে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়ে সফরে গিয়েছেন। সেই সময় সংসদ থেকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চলা আলোচনায় কল্যাণ ছুঁয়ে গেলেন ‘বাঙালি অস্মিতার’ কথা। তবে গোটাটাই ইঙ্গিতে।

সোমবার বক্তৃতার শুরুতেই কল্যাণ স্মরণ করেন উধমপুরে শহিদ হওয়া বাংলার ঝন্টু আলি শেখের কথা। সাফ বলে দেন, “এই প্রত্যাঘাত ও দেশকে রক্ষার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সেনারই। এই কৃতিত্ব অন্য কারওর নয়।” এরপরেই ধীরে ধীরে সুর চড়াতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে। পহেলগাঁওতে হামলার সময় বিএসএফ, সিআইএসএফ কী করছিল? সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।



তাঁর সংযোজন, ‘আমরা তখন জানি না কী হচ্ছে? ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখি, নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কী? আমেরিকার রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’ এরপরেই সুকান্ত ভট্টাচার্যের বোধন কবিতার চর্চিত অংশ তুলে কল্যাণ বলেন, ‘ওই সময় সরকারের উদ্য়মটাও এরকম থাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সকলের মনে ইচ্ছাকে আপনি স্তব্ধ করে দিলেন। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী মোদী) উত্তর দিতে হবে। আমি বাঙালি, বাংলা ভাষা বলব, বাইরে না হয় গ্রেফতার করুন, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আমার বুকে রয়েছে।’

গত ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা মেনশন করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। সেই ভিত্তিতে সোমে রাজ্যের 'সমস্যা' শোনে শীর্ষ আদালত।


কীভাবে স্থগিতাদেশ দিতে পারে?', হাইকোর্টের ওবিসি-নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
দেশের শীর্ষ আদালত

কীভাবে হাইকোর্ট এমন স্থগিতাদেশ দিতে পারে? এটা সত্যিই খুব অদ্ভূত।’ সোমবার ওবিসি মামলায় কার্যত রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে এমনটাই বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জারিয়া বেঞ্চে চলছিল ওবিসি মামলার শুনানি। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। গত ১৭ই জুন রাজ্যের ওবিসি তালিকার উপরে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যার পাল্টা রাজ্য সরকার আদালতের সেই রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হয় শীর্ষ আদালতে। গত ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা মেনশন করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। সেই ভিত্তিতে সোমে রাজ্যের ‘সমস্যা’ শোনে শীর্ষ আদালত।



এদিন শুনানির শুরুতেই কীভাবে একটি এক্সিকিউটিভ ফাংকশনে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ বসাতে পারে বলে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘সংরক্ষণ প্রদানের জন্য এক্সিকিউটিভ ইনস্ট্রাকশন বা নির্বাহী নির্দেশনা যথেষ্ট এবং এই ক্ষেত্রে আলাদা কোনও আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই।’

এরপরেই রাজ্যের হয়ে সওয়ালকারী কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতির কাছে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ বসানোর আর্জি করেন। তাঁর যুক্তি, ‘হাইকোর্ট একটি অবমাননার মামলা দায়ের করেছে। তার মধ্যেই আবার স্থগিতাদেশও চাপিয়েছে। যার জেরে একাধিক নিয়োগ থেকে পদোন্নতি, সবই আটকে রয়েছে।’

এরপরেই সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনার পর শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশ ত্রুটিপূর্ণ। ৬-৮ সপ্তাহের মধ্য়ে শুনানি শেষ করতে হবে। পাশাপাশি, এদিন হাইকোর্টকে বিশেষ বেঞ্চ গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

*দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে মনা বিবি মন্দিরে কাছে থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ পর্যটকের দেহ*

গত শনিবার হাবরা থানা গুমা এলাকা থেকে পাঁচ বন্ধু বকখালিতে আসে ঘুরতে তারপরই রবিবার সমুদ্রের স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় এক বন্ধু। অন্যদেরকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিল নিত্যানন্দ পাল নামে ওই যুবক। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ পর্যটকের সন্ধান চালানো হলেও দেহ মিল ছিল না অবশেষে বকখালি বনবিবি মন্দির এর কাছ থেকে উদ্ধার হল ওই নিখোঁজ পর্যটকের দেহ। মৃত যুবকের নাম নিত্যানন্দ পাল বয়স আনুমানিক ২৬ বাড়ি হাবরা থানা গুমা এলাকায় । 

গতকাল দুপুরে সমুদ্রে চান করতে গিয়েছিলো পাঁচ জন বন্ধু মিলে। তার মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ প্রচেষ্টা তল্লাশি চালানোর পর অবশ্যই উদ্ধার হল নিত্যানন্দ পালের দেহ বনবিবি মন্দিরের কাছ থেকে। তড়িঘড়ি খবর পেয়ে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রিদিপ সাহা এবং পুলিশ প্রশাসন নিয়ে বকখালি সমুদ্র সৈকতে তল্লাশি চালান। এবং জলপথ ও এফআই বোট নিয়ে তল্লাশি করেন।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

কাকদ্বীপ ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি 


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকে কাকদ্বীপ চৌরাস্তার মোড়ে কাকদ্বীপ ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে করা হলো অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি। মূলত এই দিনের কর্মসূচি মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নিয়মগুলি সম্বন্ধে জানানো হয়। এর পাশাপাশি যাতে একজন রোগী সুস্থভাবে এবং সঠিক সময়ে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে সেই বার্তা দেওয়া হয়। 


এদিনের কর্মসূচির মাধ্যমে আরো বলা হয় অন্যান্য ড্রাইভারদের মতো অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভাররা যাতে সিট বেল্ট ব্যবহার করে, এবং কানে হেডফোন যাতে না ব্যবহার করেন বা গাড়ি চালানো অবস্থায় যাতে কোনভাবে ফোন না ব্যবহার করেন সেই সচেতনতা বার্তাও দেওয়া হয়। এদিনের এই সচেতনতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কাকদ্বীপ ট্রাফিক গার্ড ও.সি. সঞ্জয় পাল, কাকদ্বীপ ট্রাফিক অফিসার, সিভিক ভলেন্টিয়ার, এবং কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। 


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার


রেষারেষির জেরে ডাম্পার লরি নেমে যায় রাস্তার পাশের নয়ন জুলিতে


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের ১১৭ নং জাতীয় সড়কের উপর কাকদ্বীপ থেকে কলকাতা মুখে যাওয়ার পথে রেষারেষির জেরে একটি ডাম্পার লরি নেমে যায় রাস্তার পাশের নয়ন জুলিতে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় কালীনগর নতুন রাস্তা থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল ডাম্পার লরি গুলি। 


নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে যাওয়ার সময় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাকদ্বীপ ৫ নং স্টপেজের এর কাছে জায়গা কম থাকায় একটি ডাম্পার রাস্তার পাশে নিচু জায়গা অর্থাৎ নয়নজুলিতে নেমে যায়। নেমে যাওয়া ডাম্পার লড়ির ড্রাইভার স্বল্প আহত হয়েছে, তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোন খবর নেই। 

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার

বাংলা ভাষা ও বাঙালির প্রতি বিজেপির ভয়ংকর বিদেশের বিরুদ্ধে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙ্গালীদের উপর আক্রমনের প্রতিবাদ মিছিল গঙ্গাসাগরে।

 একের পর এক বাঙালিদের আক্রমণ করা হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এবং বাংলা ভাষা নেই সড়ক হয়েছে আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং জেলায় জেলায় প্রতিবাদ সভার কথা বলেন সেই মতে আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা গঙ্গাসাগরের হরিণবাড়ি বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল এবং সভার আয়োজন করা হয়।
 মিছিলে উপস্থিত রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। সহ কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা, এদিন এই মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোব উগড়ে দিলেন মন্ত্রী এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি সহকারি সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান সাগর ব্লক সভাপতি মহিতোষ দাস জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ কুমার পাত্রসহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে।

ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেন শুভমন গিল। একটি ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে। এখনও এক ম্যাচ বাকি। তার মধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছেন ৭০০ রান। সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান তাঁরই। এক সেঞ্চুরিতে কী রেকর্ড গড়লেন শুভমন গিল?


এশিয়ার প্রথম ক্যাপ্টেন, আর কী ইতিহাস গড়লেন শুভমন গিল?


ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে সেঞ্চুরি। পাশাপাশি একঝাঁক রেকর্ড ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলের। সিরিজের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর এজবাস্টনে দু-ইনিংসেই সেঞ্চুরি। ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেন শুভমন গিল। একটি ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে। এখনও এক ম্যাচ বাকি। তার মধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছেন ৭০০ রান। সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান তাঁরই। এক সেঞ্চুরিতে কী রেকর্ড গড়লেন শুভমন গিল?

এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এক সিরিজে ৭০০ প্লাস রানের রেকর্ড গড়লেন শুভমন গিল। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান করতেই এই রেকর্ড। শেষ অবধি ১০৩ রানে ফেরেন শুভমন গিল। ব্যাটার হিসেবে যেমন রেকর্ড, তেমনই ক্যাপ্টেন হিসেবেও ইতিহাস। ক্যাপ্টেন হিসেবে টেস্টে এক সিরিজে ৭০০ প্লাস রানের রেকর্ড রয়েছে কিংবদন্তি স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (দু-বার), স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স, গ্রেগ চ্যাপেল, সুনীল গাভাসকর, ডেভিড গাওয়ার, গ্রাহাম গুচ এবং গ্রেম স্মিথের।