এদিন রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে, বীরভূমে তৃণমূলে অনুব্রতর গুরুত্ব আবার বাড়ায়। একসময় জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন তিনি। শাসকদলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দীর্ঘদিন সামলেছেন। 


এমনকি, ২০২২ সালের অগস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করার পরও জেলা সভাপতি পদ থেকে সরাননি মমতা। তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।


ফের 'বীরভূমের বাঘ' হয়ে উঠবেন অনুব্রত? তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল ফোটো)


২৪ ঘণ্টা আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। মিনিট দশেক কথা হয়েছিল তাঁদের। দলের সুপ্রিমোর সঙ্গে সেই সাক্ষাতের পর এবার বীরভূমে জেলা তৃণমূলে বড় দায়িত্ব পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক করা হল তাঁকে। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক ও পদযাত্রা শেষে বোলপুর রাঙাবিধান গেস্ট হাউসে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, শতাব্দী রায়, অসিত মাল, কাজল শেখ, অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর ওই বৈঠকেই অনুব্রতকে কোর কমিটির আহ্বায়ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।




তবে এদিন রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে, বীরভূমে তৃণমূলে অনুব্রতর গুরুত্ব আবার বাড়ায়। একসময় জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন তিনি। শাসকদলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দীর্ঘদিন সামলেছেন। এমনকি, ২০২২ সালের অগস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করার পরও জেলা সভাপতি পদ থেকে সরাননি মমতা। তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ২ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অবশ্য বীরভূমে অনুব্রতর সেই প্রভাব কমতে দেখা যায়। জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। দলের জেলা কোর কমিটির শুধুমাত্র একজন সদস্য হিসেবে থাকেন তিনি।

আবার কিছুদিন আগে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের একটি অডিয়ো সামনে আসার পর অস্বস্তি বাড়ে অনুব্রতর। দল রুষ্ট হওয়ার পর ক্ষমাও চান। এরপর একুশের জুলাইয়ের সমাবেশের আগের দিন ধর্মতলায় গিয়ে মঞ্চের সামনে যেতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান। সবমিলিয়ে জেলা তৃণমূলে তাঁর প্রভাব আদৌ আর রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

গতকাল নানুর দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চেও দেখা যায়নি কেষ্টকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বীরভূমে পৌঁছন। আর তারপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দৌড়ে যান কেষ্ট। ২ জনের মিনিট দশেক কথা হয়। তারপর এদিন জেলা তৃণমূলের ফের বাড়ল কেষ্ট-প্রভাব। এখন দেখার, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় কতটা দাপট দেখা যায় ‘বীরভূমের বাঘ’-র।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours