এদিন কপিল সিব্বল বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে কমিশন মামলায় যোগদানের জন্য আবেদন জমা দেন। যার শুনানি আগামী ১২ ও ১৩ই অগস্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে নয়াদিল্লি তরফে।
SIR মামলায় যুক্ত হতে চায় রাজ্য, দ্বারস্থ হল সুপ্রিম কোর্টে
দেশের শীর্ষ আদালত
সাংসদ আগেই গিয়েছেন। এবার রাজ্য যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বিহারে চলা বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার সেই মামলায় যোগ দিতে চায় বাংলার সরকারও।
সেই ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে সওয়ালকারী হয়েছেন কপিল সিব্বল। ওয়াকিবহাল মনে করছে, বর্তমানে দু’টি বিষয় এই মামলায় রাজ্যকে যুক্ত হওয়ার জন্য বাড়তি ‘আত্মবিশ্বাস’ জোগাচ্ছে। এক বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষা করার বাড়ন্ত সম্ভবনা। দুই, সম্প্রতি একের পর এক মামলায় শীর্ষ আদালতে স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য। সে এসএসসি মামলাই হোক আর ওবিসি মামলা। তাই সেই ব্যাপারটাও এখন ‘শরীরে বাড়তি অক্সিজেনের’ মতোই কাজ করছে।
'ট্রাম্প'কার্ড মোদীর! আমেরিকার সবচেয়ে খতরনাক অস্ত্র 'বাস্টার বাঙ্কার' বোমা বানিয়ে ফেলছে ভারতও
'আরও ২০ বছর ওখানেই থাকবেন', সংসদে বিরোধীদের নিশানা শাহর
এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বল বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে কমিশন মামলায় যোগদানের জন্য আবেদন জমা দেন। যার শুনানি আগামী ১২ ও ১৩ই অগস্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে নয়াদিল্লি তরফে।
উল্লেখ্য, বাংলায় ভোটার সমীক্ষা এখনও শুরু হয়নি। তবে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি বিহারের কায়দায় বাংলাতেও নিচ্ছে কমিশন, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। বিহারে ভোটার তালিকা সমীক্ষার শুরুতেই ২০০৩ সালে হওয়া শেষ সমীক্ষার তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল তারা। এবার সেই একই ‘কৌশল’ দেখা গেল বাংলাতেও। এ রাজ্যে শেষবার ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা দেখা গিয়েছিল ২০০২ সালে। সম্প্রতি, বাংলায় স্বতন্ত্রতা দাবির পর সেই পুরনো তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তারা। ইতিমধ্যেই ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নথি সেই তালিকায় জুড়েছে কমিশন। সুতরাং, তলে তলে তারা যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি তৈরি করছে, তাতে কোনও সন্দেহই নেই।
এই পরিস্থিতিতে কমিশন যদি হঠাৎ করে বাংলায় SIR ঘোষণা করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার মামলা করবে, সেটাই ভবিতব্য। আপাতত সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা না করে, আগেভাগেই কমিশনের বিরুদ্ধে আসর সাজানোর ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours