নাম এসেছিল লটারিতে। তবে ভর্তি হতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণিতে। যদিও হার মানতে নারাজ বাবা মা। অবশেষে দ্বারস্থ হলেন বর্ধমান আদালতের। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাবেন, বললেন খান রেখা পূর্বাশা পারভিনের পরিবার। ২০২০ সালে ভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও আর্থিক অনুদান দিতে না পারায় মেয়েকে ভর্তি করতে পারেননি বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে।

এই নিয়ে ছাত্রীর পরিবার দ্বারস্থ হন প্রশাসনের। দায়ের হল এফআইয়র। কেস চলতে চলতে কেটে গেল প্রায় দুটো বছর। তবে এখনও ভর্তি হতে পারল না খান রেখা পূর্বাশা পারভিন।

পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক প্রথমে ভর্তি করার কথা জানালেও পরে তিনি নিজেই ফোন করে বলেন ভর্তি করা যাবে না তাঁদের মেয়েকে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভর্তির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা আসেননি ভর্তির জন্য। সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে ভর্তি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান বাবা-মা। শেষমেষ তাঁরা দ্বারস্থ হলেন আদালতের। হাইকোর্ট এমনকি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন বলে জানান অসহায় বাবা জাহিরউদ্দিন খান রেখা।

অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক বলেন, "এ সব অভিযোগ চক্রান্ত। আর ডোনেশন চাওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এটা হতেই পারে না। ২৪০ টাকা দিলে স্কুলে ভর্তি করা যায়, সেখানে এক লাখ টাকা অসম্ভব। আর অনেকেই স্কুলের উন্নতির জন্য টাকা দেন সেটা আলাদা বিষয়। ওই পরিবার যদি হাইকোর্ট যায় তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন। এই পথে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না বলে সাফ জানান তিনি।" স্কুলে ভর্তি না হতে পেরে আপাতত বাড়িতেই পড়াশোনা করছে খান রেখা পূর্বাশা পারভিন। আর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় বাবা মা। তবে কবে স্কুলের মুখ দেখবে ওই পড়ুয়া তা তো সময়ই বলবে!

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours