আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি কালীঘাটের কাকুকে প্যারোলে ছাড়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে জামিনের আবেদন এখনও বিবেচ্য বিষয় বলে আদালত জানিয়েছে।

Sujay krishna Bhadra: স্ত্রী-র শেষকৃত্যের জন্য জামিন চেয়েও পেলেন না কালীঘাটের কাকুপ্রয়াত বাণী ভদ্র। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রীর।

কলকাতা: সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সুজয়কৃষ্ণর। ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর সময় সুজয় ছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। ফলে স্ত্রী-র শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য জামিন চান সুজয়। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করল না। পরিবর্তে জেল যদি চায়, প্যারোলে ছাড়তে পারে বলে জানান বিচারপতি। তবে জামিনের আবেদন এখনও বিবেচ্য বিষয় বলে আদালত জানিয়েছে। শুক্রবার হবে মামলার শুনানি। মঙ্গলবার বিচারপতি ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথোপকথন এক নজরে:


কিশোর দত্ত (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী): আমার মক্কেলের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। সেই কারণে তাঁর শেষকৃত্যের জন্য পনেরো দিনের জন্য জামিন চাইছি।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ: জামিনের বিষয় পরে বিবেচনা করে দেখা হবে। তবে জেল যদি প্যারোল দেয় সেক্ষেত্রে আমার কোনও আপত্তি নেই।


ফিরোজ এডুলজি (ইডি-র আইনজীবী): সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দিলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হতে পারে।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ: আদালত কোনও প্যারোল দিচ্ছে না। জেল যদি প্যারোল দেয় তাহলে এসকর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তবে শ্মশান যাত্রায় অংশ নিতে আজ জেল কোড অনুযায়ী ছাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, ছোট থেকেই একে অপরকে চিনতেন সুজয়কৃষ্ণ ও তাঁর সদ্য প্রয়াত স্ত্রী বাণী কৃষ্ণ ভদ্র। বাণীদেবীর বয়স ৫৬-৫৭ বছর। সম্প্রতি তাঁর হাঁটুর প্রতিস্থাপন হয়। সুজয়ের গ্রেফতারির পর তিনি বারবার বলেছিলেন, “কোনও দুর্নীতিতে উনি যুক্ত নন। এটা হতেই পারে না। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।” এরপর আজ প্রয়াণ ঘটে তাঁর।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours