August 2025

গঙ্গাসাগরের সেতু নির্মাণের আগে শুরু হলো মুড়িগঙ্গা নদীতে মাটি পরীক্ষার কাজ

অতীতের একটি প্রবাদ রয়েছে যে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর এক বার। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকারের দৌলাতে সেই প্রবাদ এখন অতীত হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন সব তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বারবার। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গাসাগরে আসার জন্য পুণ্যার্থীদের মুড়িগঙ্গা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করবে রাজ্য সরকার। সেই সেতু নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ থেকে গঙ্গাসাগরে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত একটি সেতু নির্মাণের কাজ করা হবে। প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীরা মুড়িগঙ্গা নদীর পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিতে যান। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মুড়িগঙ্গা নদীতে জমিতে শুরু করেছে পলি এর ফলের নাব্যতা কমছে মুড়িগঙ্গা নদীর। নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে ভেসেল চলাচলের ক্ষেত্রেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

 বেশিরভাগ সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে ভাটা থাকার কারণে ভেসেল চলাচল বন্ধ থাকে এর ফলে সমস্যার মধ্যে পড়ে গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজনেরা। গঙ্গাসাগরের মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ সুসম্পন্ন হলে পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষদের যাতায়াতের সুবিধা হবে বলে জানা গিয়েছে।সেতু গড়ে তোলার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাগরের মুড়িগঙ্গা নদীতে সেতু তৈরির কাজের অগ্রগতির ছবি। ইতিমধ্যেই নতুন করে টেন্ডার করা হয়েছে। আর তারপর নদীর উপরে ক্যাম্প বানিয়ে মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কাকদ্বীপের লট নম্বর - ৮, এর নদীপাড় থেকে কিছুটা দূরে নদীর উপরে খুঁটি পুঁতেই অস্থায়ী ক্যাম্প বানানো হয়েছে। ওই অস্থায়ী ক্যাম্পে থেকেই কর্মীরা মাটি পরীক্ষা করছেন। জানা গিয়েছে, মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরি করার জন্য প্রথমবার যে টেন্ডার করা হয়েছিল, বিশেষ কারণবশত, সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর চলতি মাসেই দ্বিতীয়বারের জন্য টেন্ডার ঝোলানো হয়েছে। তারপরে এই মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে এই কাজ চলবে। দ্বিতীয় বারের টেন্ডার হওয়াতে এরপর নতুন করে মাটি পরীক্ষার কাজ করা শুরু হয়েছে। সুতরাং এই কাজের সূচনা পর্ব দেখেই আশাবাদী হয়েছেন বরং সাগরবাসীও।প্রথম পর্যায়ে টেন্ডার বাতিল হয়ে যাওয়ার পর রাইটস নামে একটি সংস্থা দ্বিতীয় টেন্ডার গ্রহন করেছে। এর ফলে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের। মুড়িগঙ্গা নদীতে সেতু নির্মাণের আগে প্রাথমিক পর্যায়ে মুড়িগঙ্গা নদীতে মাটি পরীক্ষার করার কাজ শুরু করা হয়েছে।


প্রথমে সিবিআই-এর মামলায় গ্রেফতার, পরে জামিন পাওয়ার পর ফের ইডি-র মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক। এরপরই ভাইরাল হল এই ভিডিয়ো।


টাকা ফেরত দিন', শুনে বিধায়ক বলছেন 'কোথায় পাব?', জীবনকৃষ্ণের ভিডিয়ো ভাইরাল
ভাইরাল ভিডিয়োর অংশ

পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করা জীবনকৃষ্ণ এখন জেল হেফাজতে। শনিবার আদালতের নির্দেশে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে বড়ঞার বিধায়ককে। তাঁর আর্থিক লেনদেন, আয়, সম্পত্তি- সবটাই ইডি-র স্ক্যানারে। এরই মধ্যে ভাইরাল জীবনকৃষ্ণের নতুন ভিডিয়ো। টাকার লেনদেন নিয়ে যে কথা হচ্ছে, তা ভিডিয়োতে স্পষ্ট। তবে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি 

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরে সোফায় বসে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ আর ক্যামেরার পিছন দিকে বসে থাকা এক ব্যক্তি (যাঁকে দেখা যাচ্ছে না) টাকা ফেরত চাইছেন বিধায়কের কাছে। চাকরি দেওয়ার নামে যে বিধায়ক টাকা নিতেন, সেই অভিযোগ আগেই সামনে এসেছে। সেই টাকাই চাইছেন ওই ব্যক্তি? তা স্পষ্ট নয়। তবে ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, টাকা দিতে অস্বীকার করছেন ওই ব্যক্তি।



এটাই প্রথম নয়, এর আগেও জীবনকৃষ্ণের কাছে টাকা চাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ইডি-র দাবি, টাকার লেনদেন বা বিপুল সম্পত্তির ব্যাপারে জীবনকৃষ্ণকে প্রশ্ন করা হলেও, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এছাড়া কোটি টাকার লেনদেনের ব্যাপারেও তিনি কোনও তথ্য দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। ইডি-র আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা আলুর ব্যবসায় লাগিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ।

 
আনিশা ওরাওঁ নামে এক চা শ্রমিক বলেন, "বাগানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। আমরা কেন ম্যানেজারকে মারধর করব? আমরা চাই, আমাদের টাকা মিটিয়ে দিক। এবং চা বাগান আবার খোলা হোক।"

পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন...
বন্ধ হয়ে গেল চা বাগান

দুর্গাপুজোর আর একমাসও বাকি নেই। তার আগে হঠাৎ মাথায় হাত পড়ল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানের শ্রমিকদের। বন্ধ হয়ে গেল চা বাগান। কর্মহীন হলেন ১৪০০ শ্রমিক। শনিবার কাজ করতে এসে চা বাগানের গেট বন্ধ দেখে হতবাক হয়ে যান শ্রমিকরা। এই নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন।


কয়েকদিন আগেই চা বাগানের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে পুজো বোনাস দেওয়ার নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছিল বাগানে। কিন্তু নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানে স্বস্তির বদলে নেমে এল অন্ধকার। কারণ শুক্রবার বন্ধ করে দেওয়া হল চা বাগানটি। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১৪০০ জন শ্রমিক এই বাগানে কাজ করতেন।




এ দিন বাগানের ম্যানেজার সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নাগরাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, শ্রমিকরা তাঁকে হেনস্থা করেন। বাগানের টন্ডু ডিভিশন থেকে অফিস পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তা গাড়িতে উঠতে না-দিয়ে গালিগালাজ করে তাঁকে হাঁটিয়ে আনা হয় বলেও দাবি ম্যানেজারের।

তবে ম্যানেজারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চা শ্রমিকরা। আনিশা ওরাওঁ নামে এক চা শ্রমিক বলেন, “বাগানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। আমরা কেন ম্যানেজারকে মারধর করব? আমরা চাই, আমাদের টাকা মিটিয়ে দিক। এবং চা বাগান আবার খোলা হোক।”

সূত্রের খবর, চা বাগানের শ্রমিকদের ১৫ দিনের মজুরি বকেয়া ছিল। তা নিয়ে সমস্যা চলছিল। প্রশ্ন উঠছে, এই কারণেই কি বন্ধ করে দেওয়া হল বাগান? তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন বলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে যাতে বাগান খুলে যায়, তার চেষ্টা করছে তারা।

 একসময় ভালই ছাত্রছাত্রী ছিল এই স্কুলে। তারপর ধীরে ধীরে পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। আশপাশেই রয়েছে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাছাড়া রয়েছে বেসরকারি স্কুলও। ছাত্রছাত্রীরা সেইসব স্কুলে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জাগ্রত শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।

 স্কুলে ২ জন পড়ুয়া, ৩ শিক্ষক, রয়েছে প্যারা টিচারও
স্কুলে মাত্র ২ জন পড়ুয়া

বিভিন্ন সরকারি স্কুলে শিক্ষকের অভাবের কথা সামনে আসে। সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের এই স্কুলে পড়ুয়ার চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। মেদিনীপুর শহরের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের জাগ্রত শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া মাত্র ২ জন। সেখানে ৩ জন স্থায়ী শিক্ষক ও একজন প্যারা টিচার রয়েছেন। ওই দুই পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তারা চলে গেলে স্কুলের কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষকরা।

পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পুরনো মেদিনীপুর শহরের এই স্কুল। ক্লাসরুম রয়েছে। বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল সব রয়েছে। তিনজন শিক্ষক এবং একজন প্যারা টিচার নিয়মিত স্কুলে আসেন। কিন্তু, পড়ানোর জন্য ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, ২ পড়ুয়া পাশাপাশি বসে রয়েছে। একজন শিক্ষক তাদের পড়াচ্ছেন। বাকি দুই শিক্ষক তখন কিছুটা দূরে বসে রয়েছেন। এভাবেই স্কুল চলে। যেদিন ওই দুই পড়ুয়া আসে না, সেদিন স্কুলে বসে থাকতে হয় শিক্ষকদের।




আর এক শিক্ষক পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্কুলে ১৫ বছরের বেশি শিক্ষকতা করছেন। তিনি বলেন, করোনার আগে পর্যন্ত এই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা মোটামুটি ছিল। কিন্তু, করোনার সময় ২ বছর স্কুলে নতুন কোনও ভর্তি হয়নি। তার ফলেই ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমতে থাকে। গত শিক্ষাবর্ষে ৫ জন পড়ুয়া ছিল। তার মধ্যে ২ পড়ুয়ার অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের অন্য স্কুলে নিয়ে চলে যান। আর একজন চতুর্থ শ্রেণিতে পাশ করার পর অন্য স্কুলে চলে গিয়েছে। এখন তাই ২ জন পড়ুয়া নিয়েই চলছে স্কুল।

সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে তা মানতে চাইলেন না মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান। তিনি বলেন, “শিক্ষার বেহাল অবস্থা নয়। করোনার পর থেকে বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রসংখ্যা কমছে। কোথায় গলদ রয়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা ওই এলাকার জনপ্রতিনিদের নিয়ে আলোচনা করে যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় তার চেষ্টা করব।” শিক্ষক ও পৌরসভার চেষ্টায় কি ফের পড়ুয়াদের কোলাহল শোনা যাবে জাগ্রত শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে? আশায় বুক বাঁধছেন শিক্ষকরা।

বাংলায় ফিরতে পারে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার আগে অর্থাৎ রবিবার ও সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে।

মঙ্গলে আবার বদলাবে হাওয়া, আবহাওয়া দফতরের বড় আপডেট

দফায় দফায় বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাংলা। বর্ষায় বৃষ্টি ভাল লাগলেও, পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই বৃষ্টি চিন্তা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। শনিবার আপাতত স্বস্তির বার্তা এলেও আগামী সপ্তাহ থেকে ফের ঘুরে যাবে আবহাওয়া। পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণবঙ্গে আজ, শনিবার মূলত মেঘলা থাকবে আকাশ। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।


আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার থেকে ফের বাড়বে বৃষ্টি। বাংলায় ফিরতে পারে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার আগে অর্থাৎ রবিবার ও সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। জলীয়বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে, তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। মঙ্গলবার মৌসুমী অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের কাছাকাছি আসবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।





কাঞ্চন মল্লিক বলেন, "যেদিন উত্তরপাড়া থেকে বিদায় নেব, সেদিন বিদায় সম্ভাষণে উত্তরপাড়ার মানুষের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলে দিয়ে যাব।" ছাব্বিশে উত্তরপাড়া থেকে প্রার্থী হবেন কি না, এই নিয়ে তিনি জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন।

 উত্তরপাড়ায় কাঞ্চন, হাতের পাঁচ আঙুল দেখিয়ে বললেন...
হাতের পাঁচ আঙুল দেখিয়ে কী বললেন কাঞ্চন মল্লিক?


তিনি উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। তবে তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, শাসকদলের অন্দরেও এই নিয়ে আলোচনা হয়। সেই কাঞ্চন মল্লিককে শনিবার উত্তরপাড়ায় ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান‘ শিবিরে দেখা গেল। এলাকায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলে যাঁরা সমালোচনা করেন, সেইসব সমালোচকদেরও জবাব দিলেন।

‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির কেমন চলছে, তা দেখতে কয়েকদিন আগে উত্তরপাড়ায় এসেছিলেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেদিন স্থানীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে দেখা যায়নি। উত্তরপাড়ার তৃণমূল কর্মী, কাউন্সিলরদের একাংশের অভিযোগ ছিল, কাঞ্চনকে এলাকায় দেখা যায় না। তাঁকে সিনেমায় শুটিংয়ে দেখা যায়। কিন্তু বিধায়ক হিসাবে উত্তরপাড়ার মানুষ তাঁকে পায় না।




প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই একটি সিনেমার শুটিংয়ে দেব, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেতা কাঞ্চন উত্তরপাড়ায় এসেছিলেন। উত্তরপাড়ায় ‘বহিরাগত’ বিধায়ক নিয়ে উত্তরপাড়াবাসী এমনকী শাসকদলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। উত্তরপাড়া নিয়ে তাঁর কেমন অভিজ্ঞতা? এদিন ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ওই শিবিরে উপস্থিত হয়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “যেদিন উত্তরপাড়া থেকে বিদায় নেব, সেদিন বিদায় সম্ভাষণে উত্তরপাড়ার মানুষের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলে দিয়ে যাব।” ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ফের উত্তরপাড়ায় প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়ে অভিনেতা বিধায়ক বলেন, “আমি জানি না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানেই এসেছিলাম। তিনিই ঠিক করবেন।”

‘আমাদের পাডা, আমাদের সমাধান’ শিবিরে কাঞ্চনের আসা নিয়ে সিপিআইএম হুগলি জেলা কমিটির সদস্য আভাস গোস্বামী বলেন, “অবশেষে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরে বিধায়ককে দেখা গেল। এই শিবিরের মাধ্যমে বিধায়ককে খুঁজে না পাওয়ার যে সমস্যা, তার সমাধান হবে কি না জানি না, তবে উত্তরপাড়ার মানুষের যে সমস্যা সেই সমস্যা দূর করতে বিধায়কের কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি। রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। কাঁঠালবাগান এলাকায় একটা আন্ডার পাস বা ওভারব্রিজের দাবি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি তিনি।”

তিয়ানজিনে পা রেখে এক্স হ্যান্ডলে মোদী লেখেন, SCO সম্মেলনে আলোচনার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথাও জানিয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনে থাকবেন মোদী। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।


 বছর পর চিনে মোদী, তিয়ানজিনে পা রেখেই বললেন...
চিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

শুল্ক ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই সাত বছর পর চিনের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার জাপান থেকে তিনি চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছন। রবিবার ও সোমবার তিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলন রয়েছে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই এদিন চিনে পৌঁছন মোদী। সম্মেলনের মাঝে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

২ দিনের জাপান সফর সেরে এদিন তিয়ানজিনে পা রাখেন মোদী। এর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিলে তিনি চিন সফরে গিয়েছিলেন। এই সাত বছরে চিনের সঙ্গে ভারতের প্রকৃত সীমান্ত রেখায় উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। ধীরে ধীরে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে পা বাড়িয়েছে। জাপান সফরে গিয়েও ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিলেন মোদী। সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের দুটি সর্ববৃহৎ দেশ, দুই প্রতিবেশীর স্থিতিশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”



রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প। আবার শুল্ক নিয়ে চিনের সঙ্গেও আমেরিকার চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে SCO সম্মেলনে একসঙ্গে দেখা যাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, মোদী ও জিনপিংকে। প্রসঙ্গত, তিয়ানজিনে SCO সম্মেলনে মধ্য এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রনেতারা অংশ নিচ্ছেন।

 পোস্ট অফিসের এই চেহারা বদলাতে তোড়জোড়টা শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। কাজ হচ্ছিল IT 2.0 এর অধীনে। ফেজ ওয়ানের কাজ শুরু হয়েছিল তেইশ থেকে। সূত্রের খবর, সেই কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তারপরই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ফেজ ২ এর কাজ।

ডাকঘর দিচ্ছে ডাক, ব্যাঙ্ক-ক্যুরিয়র তফাৎ যাক’
প্রতীকী ছবি


প্রতিটি কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। কাউন্টারের ভিতর অসহায়ভাবে বসে রয়েছেন নিরুপায় কর্মচারীরা। মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘামছেন গ্রাহক। ঘামছেন সরকারি কর্মীরাও। লম্বা লাইনের মাঝ থেকে, কখনও আবার একদম পিছন থেকে উড়ে আসছে একটাই লাইন, ‘ও দাদা…. আজ কী আর কাজ হবে না?’ প্রশ্ন উড়ে এলেও ব্য়াজার মুখেই বসে রইলেন সরকারি কর্মীরা। কারও মুখে কোনও কথা নেই। পরিষেবা দেবেন কী করে! ইন্টারনেট লিঙ্কই তো নেই! ছবিটা চেনা চেনা লাগছে? ভাবছেন নিশ্চয় ব্যাঙ্কের কথা বলছি। ধরছিলেন ঠিকই, কিন্তু বলছি আসলে পোস্ট অফিসের কথা। ব্যাঙ্কের মতো মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে পোস্ট অফিসে। ফলে প্রায়শই চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকদের। সম্প্রতি ডাকবিভাগ শহরের নন ফাংশনাল ডাকঘরগুলি বন্ধ করে গ্রামীণ ডাকঘরগুলির পরিষেবা আরও উন্নত করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। শোনা যাচ্ছে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে নতুন কাজ। বাঁকুড়া থেকে জলপাইগুড়ি, তোড়জোড় চলছে সর্বত্রই। এবার কী সত্যিই বদলাবে গ্রাহক হয়রানির ছবিটা? দেশের প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার পোস্ট অফিসে শুরু হয়ে যাবে অধুনিকিকরণের প্রক্রিয়া। একি সঙ্গে উঠে যাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন রেজিস্ট্রি পোস্ট পরিষেবা। এই পরিষেবাকে যুক্ত করা হচ্ছে স্পিড পোস্টের সঙ্গে। 


পোস্ট অফিসের এই চেহারা বদলাতে তোড়জোড়টা শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। কাজ হচ্ছিল IT 2.0 এর অধীনে। ফেজ ওয়ানের কাজ শুরু হয়েছিল তেইশ থেকে। সূত্রের খবর, সেই কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তারপরই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ফেজ ২ এর কাজ। সব লেভেলেই সফটওয়ার বদলে নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু সিলেক্টেড ডিভশনে পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল জানুয়ারি থেকে। সেই কাজও শেষ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সোজা কথায়, চিঠি ডেলিভারি থেকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, সর্বত্রই আরও গতি আনতে চাইছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। কড়া টক্কর নেবে সব চলমান ক্যুরিয়ার, ডেলিভারি পরিষেবাগুলির সঙ্গেও। 




শহরের একাধিক সাব-পোস্ট অফিস বন্ধ হবে

যে সাব-পোস্ট অফিসে কাজের চাপ কম তাদের ওপর কোপ

মাপকাঠিতে সাব-পোস্ট অফিসের পারফরম্যান্সও

মূল পোস্ট অফিসের ২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সাব পোস্ট অফিসে নজর

বন্ধ সাব-পোস্ট অফিসের কর্মীদের অন্য অফিসে স্থানান্তর

গ্রামে যে পোস্ট অফিস ১ জন কর্মী নিয়ে চলছে সেখানে ট্রান্সফার

সাব-পোস্ট অফিসের যন্ত্রপাতিও যাবে গ্রামে গ্রামে 

কম সময়ের মধ্যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী গ্রাহকের কাছে ডেলিভারিতে আলাদা করে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় একাধিক পিন কোড নম্বরে ‘ডেলিভারি’ করার জন্য সেক্টর করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকার পোস্ট অফিসের পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘রোড ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক’ এর আওতায় নতুন শিডিউল চালু হচ্ছে। এতে কম সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা পরিষেবা পাবে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে আধুনিক এটিএম কার্ড করা হয়েছে। কাজটা কীভাবে হবে তা বোঝার জন্য এতদিন ধরে চলা কাজের পদ্ধতিটা বোঝা দরকার। 

কোন পথে বদল?
অঞ্চল ভিত্তিতে মূল হেড অফিসের নিচে থাকে সাব অফিস। সাব অফিসের নিচে থাকে ব্রাঞ্চ অফিস। এই ব্রাঞ্চ অফিসই হচ্ছে আপনার পাড়ায় পাড়ায় মূলত যেগুলিকে দেখে থাকেন। আপনার বাড়িতে চিঠি এই ব্রাঞ্চ অফিস থেকেই মূলত গিয়ে থাকে। শোনা যাচ্ছে আগামীতে চিঠি যাতে আরও দ্রুত যাতে আসে তার জন্য চেষ্টা চলছে। চিঠির জন্য আলাদা ডিপো তৈরির চিন্তাভাবনাও রয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে আর্থিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও যে সমস্ত জটিলতা রয়েছে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। 

একনজরে বদল 

ভারতীয় ডাক হয়ে উঠবে আরও অত্যাধুনিক

মোট ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ 

আইটি ২.০ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজুড়ে ডাক বিভাগে অ্যাডভান্সড পোস্টাল টেকনোলজির ব্যবহার

ডিজিটাল হয়ে উঠবে ভারতীয় ডাক বিভাগ

ডাক বিভাগে ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম সীমাবদ্ধ নয়

ডাক বিভাগের সঙ্গে জুড়ে ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম

গ্রাহকরা মোবাইলের মাধ্যমের করতে পারবেন অধিকাংশ কাজ

মেল ডিপার্টমেন্ট আর ব্যাঙ্কিং ডিপার্টমেন্ট। এই দুই ডিপার্টমেন্টেই কাজে গতি আনতে চাইছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। এর মধ্যে ব্যাঙ্কিং ডিপার্টমেন্টে স্মল সেভিংস ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের নিজস্ব পেমেন্ট ব্যাঙ্ক বা IPPM রয়েছে। সোজা কথা এবার কড়া টক্কর নেবে সাধারণ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গেও। কিন্তু ওই যে শুরুতে বলছিলাম IT 2.0 এর ফেশ টু-র কাজটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, কিছু কিছু সিলেক্টেড ডিভশনে পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল জানুয়ারি থেকে। টেস্টিংয়ের সময় অনেক জায়গাতেই লিঙ্কের সমস্যা হয়েছে। তবে সেই কাজ অনেকটাই গুটিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গ্রাহকরা যদিও বলছেন লিঙ্ক না থাকার সমস্যায় বরাবরই জেরবার তারা। যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয় ততই মঙ্গল। লিঙ্ক না থাকার সমস্যা অনেকটাই মিটবে। 

এই বদলের সঙ্গেই ডাক বিভাগ ঠিক শহরের নন-ফাংশনাল, নন-পারফর্মিং ডাকঘরগুলি বন্ধ করে সেখানের কর্মী ও যন্ত্রপাতি গ্রামীণ ডাকঘরগুলিতে নিয়ে গিয়ে পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন শহরে থাকা এমন কয়েকটি ডাকঘরকে চিহ্নিত করে সেগুলি বন্ধ অথবা অন্যত্র স্থানান্তর করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। মানে, প্রায় সব জায়গাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। তবে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে উঠে আসছে নানা মতামত। কিছু মানুষ বলছেন, কাজে গতি এলে সুবিধা হবে। কিছু মানুষ বলছেন অসুবিধার কথা। 

কী বলছেন পোস্ট অফিসের কর্তারা? 
ডাক বিভাগ কিন্তু মনে করছে এই উদ্যোগে কাজে অনেকটাই গতি আনা সম্ভব হবে। বড় কর্তাদেরও অন্তত তেমনটাই মত। এই যেমন বাঁকুড়া ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট অনিরুদ্ধ বিশ্বাস সিস্টেম আপগ্রেড করলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে। নতুন কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। অন্যান্য জায়গার মতো জলপাইগুড়ি হেড পোস্ট অফিসেও বিভিন্ন পরিষেবার কাজ শুরু হতে চলেছে নতুন মাস থেকেই। এই উপলক্ষে জলপাইগুড়ি হেড পোস্ট অফিস কতটা প্রস্তুত তা সরজমিন খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে জলপাইগুড়ি হেড পোস্ট অফিসে এসেছিলেন পোস্ট মাস্টার জেনারেল রিজু গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মানছেন গ্রামীণ এলাকায় নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত পরিষেবার সমস্যার কথা। তিনি বলছেন, ইতিমধ্যেই অনেক পোস্ট অফিস চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলিকে ক্লোজ করে তাদের নেটওয়ার্ক গ্রামীণ এলাকায় শিফট হবে। গোটা উত্তরবঙ্গেই ধাপে ধাপে এই কাজ হবে। 

অর্থাৎ, আশা-আশঙ্কার দোলাচলের মধ্যেই নতুন সম্ভাবনার কথা বলছে ডাক বিভাগ। ব্রিটিশ শাসন কালে ১৮৭৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতীয় ডাক পরিষেবা। ডাকহরকারর যুগ পেড়িয়ে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা এখন বিশ্বের সব থেকে বড় ডাক ব্যবস্থা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছে ভারতীয় ডাক। এবার আরও একটা পর্ব। সম্প্রতিই কর্নাটকে সাময়িক ভাবে কয়েকটি পোস্ট অফিসে এই আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত পরীক্ষা সফলভাবে হয়েছে। বাংলার গ্রাহকরা যদিও দিন গুনছেন দিন বদলের। এখন দেখার কতটা গতিময় এই জীবনে নতুন ছন্দে কতটা গতি পায় আমার-আপনার পোস্ট অফিস। দিনের শেষে কতটাই ঘরে ফেরে লিঙ্ক। 
শনিবার (৩০ অগস্ট) সকালে রিয়াসি জেলায় ধস নামে লাগাতার বৃষ্টির জেরে। একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাঁচজনই শিশু, এদের বয়স ৪, ৬, ৮, ১০ ও ১২।

রিয়াসিতে ৭ জন, রামবানে ৪ জনের মৃত্যু, মেঘভাঙা বৃষ্টি-হড়পা বানে তছনছ উপত্যকা
জম্মু-কাশ্মীরে হড়পা বান, ধস।


উপত্যকায় একের পর এক বিপর্যয়। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধসের জেরে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হল। একদিকে ধস নেমেছে রিয়াসি জেলায়। অন্যদিকে, রামবানেও বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে বৃষ্টি ও ধসের জেরে।

শনিবার (৩০ অগস্ট) সকালে রিয়াসি জেলায় ধস নামে লাগাতার বৃষ্টির জেরে। একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাঁচজনই শিশু, এদের বয়স ৪, ৬, ৮, ১০ ও ১২। শনিবার সকালে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়।



প্রসঙ্গত, বিগত এক সপ্তাহ ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। ভেঙেছে বৃষ্টির রেকর্ড। ফুঁসছে নদীগুলি। জলের নীচে চলে গিয়েছে একাধিক পথঘাট। জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, উধমপুরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিগত ৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। উধমপুর জেলায় ধস নেমেছে, আটকে পড়েছে ২ হাজারেরও বেশি গাড়ি। ভূমিধসে ৩৪ জনের মৃত্যুর পর আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রাও।




আন্দোলনকারী চাকরিহারা ওই শিক্ষক বলেন, "আজকে আমার বেতন ঢোকার পর দেখি, ১৫ হাজার ৪৬৬ টাকা কম এসেছে। বেতন কেটে নেওয়ার মূল কারণ, আমরা দীর্ঘদিন ধরে যোগ্য চাকরি ফেরানোর লড়াই লড়ছি। তাই বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। আমাদের যোগ্য চাকরি যদি রাজ্য সরকারের ও এসএসসির দুর্নীতির কারণে না যেত, তাহলে এই আন্দোলন করার প্রয়োজন ছিল না।"

এবার বেতন কাটা গেল চাকরিহারা আন্দোলনকারী সুমনের, আন্দোলন থেকে কি পিছু হটবেন?
চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস

২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর তিনিও একজন। চাকরি হারানোর পর আন্দোলনে নেমেছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিভিন্ন আন্দোলনে সামনের সারিতে দেখা যায় তাঁকে। সেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের এবার বেতন কাটা গেল। একমাসের বেতন থেকে ১৫ হাজার ৪৬৬ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, এভাবে তাঁকে আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন। বেতনও পাবেন। তবে আবার পরীক্ষা দিতে হবে চাকরি পেতে। সেই তালিকায় রয়েছেন চুঁচুড়ার কোদালিয়ার চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। শুক্রবার বেতন ঢুকতেই তিনি দেখেন, বেতন থেকে পনেরো হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন।



বেতন কাটলেও তিনি যে আন্দোলন থেকে সরে আসছেন না, সেকথা স্পষ্ট করে দিয়ে সুমন বিশ্বাস বলেন, “রাজ্য সরকার, পুলিশমন্ত্রী তথা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যোগ্যদের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার জন্য আমাকে ১৮ অগস্ট আটক করেছিলেন। ভয় দেখাচ্ছেন। আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার এখন চেষ্টা হচ্ছে যাতে আমরা সপরিবারে না খেতে পেয়ে মরে যাই। তবে আমি বলতে চাই, আমার বেতন সব কেটে নিলেও এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনটেনটেড শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের যোগ্য চাকরি না ফেরানো পর্যন্ত আমি এই আন্দোলন থেকে পিছপা হব না।”

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় কেন তাঁরা বসবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন চাকরিহারা এই শিক্ষক। যোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর জন্য বিধানসভার জরুরি অধিবেশন ডেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও আবেদন জানান তিনি।


ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে হ্যান্ডেলে প্রায় ৫৭ হাজার পোস্ট হয়েছে। তুমুল জল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে। সত্যিই কি ডোনাল্ড ট্রাম্প মারা গিয়েছেন?

প্রয়াত ডোনাল্ড ট্রাম্প, মৃত্যুর খবরে ঝড় উঠতেই মুখ খুলল হোয়াইট হাউস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি বেঁচে আছেন?

আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প ২০২৫ সালেই দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন। তাঁর শুল্ক যুদ্ধে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। এর মাঝেই এল একটা খবর। প্রয়াত ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই খবর কোনও সংবাদসংস্থা বা হোয়াইট হাউসের তরফে আসেনি। এসেছে নেটিজেনদের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে জোর চর্চা। ট্রেন্ডিং একটা টপিক। ‘ট্রাম্প ইজ ডেড’। সত্যিই কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মারা গিয়েছেন?


ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে হ্যান্ডেলে প্রায় ৫৭ হাজার পোস্ট হয়েছে। তুমুল জল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে। সত্যিই কি ডোনাল্ড ট্রাম্প মারা গিয়েছেন? এই নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, নানা পোস্ট হতে শুরু করেছে, তখন মুখ খুলতে বাধ্য হল হোয়াইট হাউস। বিবৃতি দিয়ে জানানো হল প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের আপডেট।





এদিকে, দিন কয়েক আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের মুখেও শোনা গিয়েছিল, ট্রাম্পের অবর্তমানে তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। ৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টকে ‘ফিট’ ও ‘এনার্জেটিক’ বলে উল্লেখ করলেও, ভবিষ্যতে কী হতে পারে, তা কেউ বলতে পারে না- এ কথাও শোনা যায় ভান্সের মুখে।

নেটিজেনদের একাংশের দাবি, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। এরপরই আরও জল্পনা রটে যে ট্রাম্পের হয়তো কিছু হয়েছে। যদিও আজই ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন আপিল আদালতের রায় নিয়ে পোস্ট করেন।

এর আগে জুলাই মাসে ট্রাম্পের পা ফোলা ধরা পড়েছিল ক্য়াামেরায়। তখন জানা যায়, ক্রনিক ভেনিয়াস ইনসাফিয়েন্সিতে আক্রান্ত ট্রাম্প, যা সত্তোরর্দ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাভাবিক।





এসএসসি ইতিমধ্যেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছে যে কতজন যোগ্য, কতজন অযোগ্য। সেই তালিকা হাই কোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে পেশও করা হয়েছে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ‘দাগি’র সংখ্যা ১৮০৩। এরা সকলেই ওএমআর শিটে জালিয়াতি করেছেন বা র‌্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন।   

 ০ হয়ে গেল ৫৩! OMR শিটে জালিয়াতি করে কীভাবে শিক্ষক হলেন এরা, দেখুন
০ থেকে ৫৩ হয়ে গেল কী করে?

 কথায় আছে গল্পের গরু গাছে ওঠে। আর এখানে দুর্নীতির কেরামতিতে শূন্যও হয়ে যায় ৫৩। আর সেই ওএমআরের জালিয়াতিতেই হয়ে ওঠা যায় অঙ্কের শিক্ষক। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে এমনই দুর্নীতি হয়েছে। আজ, শনিবার চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে পারে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ, একজন দাগি অযোগ্যও যেন পুনরায় এসএসসি পরীক্ষায় না বসতে পারেন। ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশের আগেই টিভি৯ বাংলার হাতে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। কীভাবে ওএমআর শিটে জালিয়াতি করা হয়েছিল, তা ধরা পড়ল ক্যামেরায়।

এসএসসি ইতিমধ্যেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছে যে কতজন যোগ্য, কতজন অযোগ্য। সেই তালিকা হাই কোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে পেশও করা হয়েছে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ‘দাগি’র সংখ্যা ১৮০৩। এরা সকলেই ওএমআর শিটে জালিয়াতি করেছেন বা র‌্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন।



আরেকজন ইতিহাসের শিক্ষক। তিনি সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন, পেয়েছিলেন শূন্য। কিন্তু ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে তার প্রাপ্ত নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫৩!

এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। এরা সকলেই দাগি প্রার্থী। আজ এদের নামের তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি। এদের সকলের চাকরি গিয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি তারা চাকরি করতে পারবেন। এসএসসির যে পরীক্ষা হবে আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর, সেই পরীক্ষাতেও তারা বসতে পারবেন না।


 নিষিদ্ধ অনলাইন বেটিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মের প্রচার নিয়ে ইডির চলতি তদন্তের প্রক্রিয়া হিসেবেই তারকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই অঙ্কুশকেও ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে, বলে খবর।

অঙ্কুশকে ইডি তলব! কোন মামলায় নাম জড়াল টলিউড অভিনেতার?

টলিউডের হ্য়ান্ডসাম হাঙ্ক নায়ক ও প্রযোজক অঙ্কুশ হাজরাকে সমন পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর, ইডি)। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অবৈধ অনলাইন বেটিং অ্যাপের প্রচারে যুক্ত থাকার জন্যই নাকি ইডির সময় পেয়েছেন অভিনেতা। টিভি ৯ বাংলার তরফ থেকে অঙ্কুশকে ফোন করা হলে, এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় বেশ কয়েকমাস ধরেই দেশের নানা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা, প্রযোজকদের সমন পাঠাচ্ছে ইডি। তালিকায় রয়েছেন রানা ডগ্গুবতি, কপিল শর্মা, বিজয় দেবেরাকোন্ডার মতো তারকাদের। সেই তালিকাতেই কি নাম উঠল টলিউড অভিনেতার অঙ্কুশের?

জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ অনলাইন বেটিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মের প্রচার নিয়ে ইডির চলতি তদন্তের প্রক্রিয়া হিসেবেই তারকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই অঙ্কুশকেও ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে, বলে খবর।

এই মুহূর্তে পুজো রিলিজ নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রক্তবীজ ২ ছবির প্রচার নিয়ে ব্যস্ত অঙ্কুশ। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। যেখানে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যাবে অঙ্কুশকে। এর পাশাপাশি ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারকের আসনে এতদিন দেখা মিলছিল অভিনেতার।



পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন...
পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন...
জাপানে বুলেট ট্রেনে চড়লেন মোদী, সেনদাইতে পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা
জাপানে বুলেট ট্রেনে চড়লেন মোদী, সেনদাইতে পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা
বেতন কাটা গেল চাকরিহারা আন্দোলনকারী সুমনের, আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন?
বেতন কাটা গেল চাকরিহারা আন্দোলনকারী সুমনের, আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন?
কলকাতায় রেকর্ড দাম বাড়ল সোনার, সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে রুপোও?
কলকাতায় রেকর্ড দাম বাড়ল সোনার, সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে রুপোও?

ঝুরি আলুভাজার সিক্রেট টিপস, এভাবে বানালে ৭ দিন অবধি থাকবে মুচমুচে
ঝুরি আলুভাজার সিক্রেট টিপস, এভাবে বানালে ৭ দিন অবধি থাকবে মুচমুচে
কিনতে হবে না দোকান থেকে, বাড়িতেই বানান মুচমুচে নিমকি
কিনতে হবে না দোকান থেকে, বাড়িতেই বানান মুচমুচে নিমকি
পাতিলেবুতে রস বেশি নাকি কম? রইল সহজে বোঝার উপায়
পাতিলেবুতে রস বেশি নাকি কম? রইল সহজে বোঝার উপায়
ভাজার কয়েকঘণ্টা পরও বেগুনি থাকবে মুচমুচে, জানুন উপায়
ভাজার কয়েকঘণ্টা পরও বেগুনি থাকবে মুচমুচে, জানুন উপায়
বাড়িতে ড্রিম ক্যাচার আছে? ঠিক জায়গায় না রাখলে জীবনে ঘনিয়ে আসবে মহাবিপদ!
বাড়িতে ড্রিম ক্যাচার আছে? ঠিক জায়গায় না রাখলে জীবনে ঘনিয়ে আসবে মহাবিপদ!
গাড়িতে ঠাকুরের মূর্তি রাখা শুভ না অশুভ, বাস্তুশাস্ত্র বলছে...
গাড়িতে ঠাকুরের মূর্তি রাখা শুভ না অশুভ, বাস্তুশাস্ত্র বলছে...
সর্বশেষ সংবাদ

অঙ্কুশকে ইডি তলব! কোন মামলায় নাম জড়াল টলিউড অভিনেতার?
অঙ্কুশকে ইডি তলব! কোন মামলায় নাম জড়াল টলিউড অভিনেতার?
রিয়াসিতে ৭ জন, রামবানে ৪ জনের মৃত্যু, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ উপত্যকা
রিয়াসিতে ৭ জন, রামবানে ৪ জনের মৃত্যু, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ উপত্যকা
পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন...
পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন...
জাপানে বুলেট ট্রেনে চড়লেন মোদী, সেনদাইতে পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা
জাপানে বুলেট ট্রেনে চড়লেন মোদী, সেনদাইতে পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা
বেতন কাটা গেল চাকরিহারা আন্দোলনকারী সুমনের, আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন?
বেতন কাটা গেল চাকরিহারা আন্দোলনকারী সুমনের, আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন?
ভিডিয়ো
View more
এবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতের মুঠোয় আসবে চার চাকার গাড়ি! কীভাবে?
এবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতের মুঠোয় আসবে চার চাকার গাড়ি! কীভাবে?
কীভাবে 'গাজার মুখ' হয়ে উঠলেন সাজা হামাদ?
কীভাবে 'গাজার মুখ' হয়ে উঠলেন সাজা হামাদ?
কতটা নিরাপদে ফিরবে ব্যোমযাত্রী? গগনযান মিশনের পথে আর‌ও একধাপ ইসরোর
কতটা নিরাপদে ফিরবে ব্যোমযাত্রী? গগনযান মিশনের পথে আর‌ও একধাপ ইসরোর
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে গুগল ক্রোম! দাম শুনলে মাথায় পড়বে হাত
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে গুগল ক্রোম! দাম শুনলে মাথায় পড়বে হাত
আমেরিকায় বিক্রি হবে Made in India iPhone
আমেরিকায় বিক্রি হবে Made in India iPhone
ট্রেনে লাগেজ বহনে নতুন নিয়ম, প্লেন যাত্রার মতোই চালু হচ্ছে ব্যবস্থা
ট্রেনে লাগেজ বহনে নতুন নিয়ম, প্লেন যাত্রার মতোই চালু হচ্ছে ব্যবস্থা
ইউক্রেনের আকাশে মহাকাশযুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু রাশিয়ার
ইউক্রেনের আকাশে মহাকাশযুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু রাশিয়ার
আকস্মিক তিব্বত সফরে গিয়ে 'বড় খেলা' ছকে দিলেন জিনপিং!
আকস্মিক তিব্বত সফরে গিয়ে 'বড় খেলা' ছকে দিলেন জিনপিং!
বিনিয়োগ ৬০০ কোটি ডলার, অন্ধ্রতে গড়ে উঠছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্ট
বিনিয়োগ ৬০০ কোটি ডলার, অন্ধ্রতে গড়ে উঠছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্ট
'বাকিটা জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে নিন', পুতিনকে ফোন করে বললেন ট্রাম্প
'বাকিটা জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে নিন', পুতিনকে ফোন করে বললেন ট্রাম্প



ডাল খাওয়ার পরে অনেকেই পেট ফাঁপার সমস্যায় ভোগেন, এ ছাড়া গ্যাস এবং পেটে ভারী ভাব বোধ করেন। এই পরিস্থিতিতে, রান্না করার আগে উপযুক্ত সময় মতো তা জলে ভিজিয়ো রাখা ভাল।

 পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা এড়াতে চান? জানুন কোন ডাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখা উচিত
পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা এড়াতে চান? জানুন কোন ডাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখা উচিত


ভারতীয়দের খাদ্যতালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে ডাল (Pulses)। যা থেকে প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি মেলে। প্রতিটি ডাল ভিন্ন পুষ্টির জন্য পরিচিত। অনেক ধরণের ডাল হয়, যেমন – মুগ, মসুর, অড়হড়, বিউলি, চানা ও অন্যান্য। প্রতিটি ডালের আলাদা আলাদা ও অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। মানুষ ভাত এবং রুটি উভয়ের সঙ্গেই ডাল খায়। দুধ ছাড়াও, শিশুদেরও প্রায়শই ডালের জলও দেওয়া হয়। তবে ডাল খাওয়ার পরে অনেকেই পেট ফাঁপার সমস্যায় ভোগেন, এ ছাড়া গ্যাস এবং পেটে ভারী ভাব বোধ করেন। এই পরিস্থিতিতে, রান্না করার আগে উপযুক্ত সময় মতো তা জলে ভিজিয়ো রাখা ভাল।

পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, রান্না করার আগে ডাল কেন ভিজিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন ডাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে। খোসা ছাড়ানো মুগ ডাল, লাল মসুর ডাল এবং অড়হর ডাল রান্না করার আগে ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। খোসা ছাড়ানো মুগ, খোসা ছাড়ানো অড়হড় এবং চানা ডাল ২ থেকে ৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। রান্না করার আগে গোটা মুগ, গোটা মসুর ডাল, গোটা অড়হড় ডাল ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। রান্না করার আগে রাজমা, সাদা ছোলা এবং কালো ছোলা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি, রাজমা বা চানা ডাল রান্না করার সময়, তেজপাতা, বড় এলাচ এবং শুকনো লঙ্কা যোগ করতে হবে। ওই ভাবে পান্না করলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, পেট ভারী হওয়ার মতো সমস্যা কমে। এবং হজমে সহায়তা করে।



ঘাড়ের কাছে কুচকুচে কালো দাগের জন্য অস্বস্তিতে পড়েন? এই ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান
ঘাড়ে কালচে দাগছোপ যাদের থাকে, তাঁরা আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করেন। স্নানের সময় অনেকের ঘাড়ের পিছনের অংশে নজর যায় না। সাধারণত ঘাম জমে এমন কালো দাগ-ছোপ হয়ে থাকে।
 ঘাড়ের কাছে কুচকুচে কালো দাগের জন্য অস্বস্তিতে পড়েন? এই ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান
ঘাড়ের কাছে কুচকুচে কালো দাগ? এই ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান

ঘাড়ে কালচে দাগছোপ (Dark Patches) যাদের থাকে, তাঁরা আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করেন। স্নানের সময় অনেকের ঘাড়ের পিছনের অংশে নজর যায় না। সাধারণত ঘাম জমে এমন কালো দাগ-ছোপ হয়ে থাকে। তবে ঘাড়ের কাছে কালো দাগ হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন – অতিরিক্ত রোদে বের হওয়া, মৃত কোষ জমে থাকা, হরমনের পরিবর্তন, স্থূলতা, কিংবা শুধু পরিষ্কার না করার অভ্যাস। তবে ঘরোয়া কিছু নিয়মিত যত্নে অনেকটাই এই কালো দাগ হালকা করা সম্ভব।


ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল –
১. লেবু ও মধুর প্যাক – ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর ভিটামিন সি দাগ হালকা করে আর মধু ত্বক নরম রাখে।


'সকলের সামনে পোশাক খুলিয়ে...', টুইঙ্কলকে চরম শাস্তি দেন কে?
Share Market: বিজ্ঞাপন দেখে শেয়ার মার্কেটে টাকা ঢালতে ফোন, তারপরই সব শেষ উত্তরপাড়ার বাসিন্দার
বিশ্ব মানচিত্রে শিল্পের হাব হবে ভারত, ১৮ বছর আগে জাপান সফরে লক্ষ্য স্থির করেছিলেন মোদী
২. দুধ ও কেশর – দুধে কয়েকটি কেশর ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর সেই দুধ তুলোর বল দিয়ে ঘাড়ে কালো হওয়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হবে।

৩. অ্যালোভেরা জেল – খাঁটি অ্যালোভেরা জেল ঘাড়ে মাখুন। সারারাত তা রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোদে পোড়া ভাব ও দাগ হালকা হবে।

৪. বেসন ও দইয়ের প্যাক – ২ চামচ বেসন, ১ চামচ দই আর এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে একটি পেস্ট বানান। তা ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেলুন। এমনটা করলে মৃত কোষ দূর হবে। কালো গাঢ় দাগ হালকা হবে।

৫. আলুর রস – কাঁচা আলু গ্রেট করে রস বের করে ঘাড়ে লাগান। তা শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। আলুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং যৌগ কালো দাগছোপ কমায়।

মাথায় কী কী রাখবেন?
প্রতিদিন ভালভাবে ঘাড় পরিষ্কার করতে হবে।
বাড়ির বাইরে বের হলে ঘাড়েও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
প্রচুর জল খান ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
খুব আঁটসাঁট গলার পোশাক এড়িয়ে চলুন।

বৃহস্পতিবার (২৮ অগস্ট) রাতে রুদ্রপ্রয়াগে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর চামোলিতেও একই বিপর্যয় নামে। উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে যে পাথর ও কাদামাটি ধুয়ে এসেছে, তাতে একাধিক অঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

ভাঙল সেতু, ডুবে গেল হনুমান মন্দির, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে রুদ্রপ্রয়াগেও নামল বিপর্যয়
রুদ্রপ্রয়াগে মেঘভাঙা বৃষ্টি।

উত্তরাখণ্ডে ফের বিপর্যয়। এবার মেঘভাঙা বৃষ্টি নামল রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি জেলায়। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান নামতেই কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। নিখোঁজ অনেকে। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ অগস্ট) রাতে রুদ্রপ্রয়াগে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর চামোলিতেও একই বিপর্যয় নামে। উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে যে পাথর ও কাদামাটি ধুয়ে এসেছে, তাতে একাধিক অঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।



মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রভাব একাধিক জায়গায় পড়েছে রুদ্রপ্রয়াগে কমপক্ষে ৬ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। অলকানন্দা ও মন্দাকিনী নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। কেদারনাথ উপত্যকায় লাওয়ারা গ্রামে একটি সেতু ভেসে গিয়েছে জলস্রোতে। হু হু করে এলাকাগুলিতে জল ঢুকছে। রুদ্রপ্রয়াগের হনুমান মন্দিরও ডুবে গিয়েছে। মোপতা এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তারা সিং ও তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। বিক্রম সিং ও তাঁর স্ত্রী আহত হয়েছেন। তাদের গোয়ালঘরও ভেঙে পড়েছে, যার জেরে ১৫ থেকে ২০টি গবাদি পশু জখম হয়েছে।






স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ক্রমাগত উদ্ধারকারী দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন। জেলাশাসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেক্রেটারির সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে।

হলদিয়ানিতেও লাগাতার বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। রানিবাগ ব্রিজের কাছে পাহাড় থেকে ধস নেমে হলদিয়ানি-ভীমতাল রোড বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে রুদ্রপ্রয়াদ, বাগেশ্বর, চামোলি, হরিদ্বার, পিথোরাগড়ের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।


জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ বলেন, "গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বচসা থামাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত বলে আমার মনে হয় না। তারা দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।"

গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুন, শোরগোল কোচবিহারে
কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিজনরা

বচসা থামাতে গিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সঞ্জয় বর্মণ (৩৭)। তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ধৃতদের নাম অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণ। ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। সেই সময় বচসা থামাতে যান সঞ্জয়। অভিযোগ, তাঁকেই অভিযুক্তরা আক্রমণ করেন। লোহার রড দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের আঘাত করা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। তারপরও তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।



তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বচসা থামাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত বলে আমার মনে হয় না। তারা দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবারও। শুধুমাত্র বচসা থামাতে যাওয়ায় খুনের ঘটনা বলে মানতে পারছে না তারা। মৃত তৃণমূল কর্মীর কাকা ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মণ অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইপোকে পরিকল্পনা করেই এমন নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হবে। এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

দলে দলে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়ে ঢুকল বিজেপি নেতা-কর্মীরা, তারপরেই তুমুল অশান্তি

 এই ঝাঁঝ যে শুধু কলকাতায় বেড়েছে এমনটা নয়। দেশের একাধিক জায়গায় প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নেমেছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। আর এই প্রতিটা ঘটনার তুঙ্গ বিন্দু বিহারে রাহুল গান্ধী ভোট অধিকার যাত্রা। বৃহস্পতিবার রাহুলেরই মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার মায়ের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।



কলকাতা: হাতে বড় বড় দলীয় পতাকা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কার্যালয়ের বাইরে জ্বলছে আগুন। উঠছে স্লোগান। ঝাঁঝ বেড়েছে কলকাতায়। কিন্তু কেন এই উত্তেজনা? কোনও গোষ্ঠী সংঘর্ষ?

জানা গিয়েছে, এই ঝাঁঝ যে শুধু কলকাতায় বেড়েছে এমনটা নয়। দেশের একাধিক জায়গায় প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নেমেছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। আর এই প্রতিটা ঘটনার তুঙ্গ বিন্দু বিহারে রাহুল গান্ধী ভোট অধিকার যাত্রা। বৃহস্পতিবার রাহুলেরই মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার মায়ের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তারপর দেশজুড়ে বেঁধেছে রাজনৈতিক তাণ্ডব। পটনায় কংগ্রেসের কার্যালয়গুলিতে ঢুকে ‘ভাঙচুর’ চালিয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পাল্টা হামলা করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদেরও।



আর সেই বিহারের ঝাঁঝ থেকে বাদ পড়েনি কলকাতাও। এদিন নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। চলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। ছিঁড়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসের একাধিক পোস্টার। কালি লাগানো হয় রাহুল গান্ধীর ছবিতে। টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সাফ কথা, “আমি রাহুল গান্ধীকে বলব, তার যদি একটু লজ্জা থাকে, তা হলে প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মা এবং এই দেশের জনগণের কাছে ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”


আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল তাঁরা যোগ্য প্রার্থী। শুনানির সময় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে সওয়াল করা হয়, এখনও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে


কায়েমি স্বার্থ ছাড়া রাজ্য এ কাজ করতে পারে না', দাগিদের জায়গা দিলে ফল ভোগ করার বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
কোর্টে কল্যাণ


বৃহস্পতিবার এসএসসি (SSC) মামলা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য। এদিন, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল সাত দিনের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কোর্টের প্রশ্ন, “অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে কেন গিয়েছিলেন? কায়েমি স্বার্থ ছাড়া রাজ্য এ কাজ করতে পারে না।” শুধু তাই নয়, শীর্ষ এও বলেছে, “একজনও দাগি যদি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় তাহলে ফল ভোগ করতে হবে রাজ্যকেই।”

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল তাঁরা যোগ্য প্রার্থী। শুনানির সময় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এখনও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। সেই সময়ই বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন ও রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্রের প্রশ্নের মুখে বিড়ম্বনায় পড়েন রাজ্যের হয়ে মামলা লড়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শুনানির সময় কল্যাণ সওয়াল করেন, যোগ্যদের তালিকা সব স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের প্রশ্ন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দাগিদের তালিকা কি প্রকাশ হয়েছে?‘ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রথমে আদালতে দাবি করেন কল্যাণ। পাল্টা বিচারপতি জানতে চান, “কোন-ওয়েবসাইট বা কোন খবরের কাগজে প্রকাশ হয়েছে?” তখনই আইনজীবী জানান, “দাগিদের তালিকা প্রকাশ হয়নি।”



আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট আগেই এই কথা বলেছিল। তবে তৃণমূল সরকার করবে না। আজ সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময়সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ, ওরা জানে যাঁদের থেকে টাকা নিয়েছে তাঁদের নাম বেরিয়ে এলে বিপদ। তাই কোনও কাজই সততার সঙ্গে করবে না।” আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষা যেমন হওয়ার তেমন হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সাত দিনের মধ্যে অযোগ্যদের লিস্ট পাবলিশড করে দিতে হবে। কারণ এরা কেউ পরীক্ষায় বসতে পারবে না।”


 রেল সূত্রে খবর, বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকায় রয়েছে উত্তরবঙ্গগামী একগুচ্ছে ট্রেন। সংশ্লিষ্ট তালিকায় রয়েছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস,কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, কাটিহার এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, বালুরঘাট এক্সপ্রেস।

আগামী কয়েকদিন বাতিল থাকবে এই-এই এক্সপ্রেস
এক্সপ্রেস বাতিল

প্রায় এক সপ্তাহের মতো কাজ চলবে মালদহ ডিভিশনে। সেই কারণে একাধিক এক্সপ্রেস, মেমু ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত রেলের। জানা যাচ্ছে, ২৮ অগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালদহ ডিভিশনে কাজ চলবে। সেই কারণেই সাময়িক এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। তবে, কাজ শেষ হলে আবার যেমন চলার চলবে।

রেল সূত্রে খবর, বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকায় রয়েছে উত্তরবঙ্গগামী একগুচ্ছে ট্রেন। সংশ্লিষ্ট তালিকায় রয়েছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস,কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, কাটিহার এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, বালুরঘাট এক্সপ্রেস। মূলত, ইন্টারলকিং কাজের জন্যই এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে।



১৩১৪১ শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ার তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস।
১৩১৪৫ কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস
১৩১৮৯ শিয়ালদহ-বালুরঘাট এক্সপ্রেস
শিয়ালদহ-সহরসা হাটেবাজার এক্সপ্রেস
হাওড়া-রাধিকাপু কুলিক এক্সপ্রেস
নিউজলপাইগুড়ি-মালদহ টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস
মালদহ টাউন-নিউ জলপাইগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস
বালুরঘাট-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস
তবে শুধু ট্রেন বাতিল নয়, এর পাশাপাশি কিছু-কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হতে পারে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই কাজের কারণে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার যাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।



কর্মী নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সে কারণেই বদলি নীতির পথে হাঁটতে হচ্ছে মেট্রোকে। কিন্তু যেখান থেকে বদলি করছে, সেখানে সামাল দেওয়া হবে কীভাবে? ইউনিয়নের লোকজনরা কিন্তু বলছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ।

রক্তহীন’ কলকাতা মেট্রো? পুজোয় চাপ সামলাতে পারবে তো?
চাপানউতোর চলছে


পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে পরিষেবা। হাওড়া থেকে সোজা এবার মাত্র আধ ঘণ্টাতেই আসা যাচ্ছে সেক্টর ফাইভ। শিয়ালদহ তো মাত্র ১১ মিনিটে। ভিড়ও হচ্ছে দেদার। মেট্রোর হিসাব বলছে গত শুক্রবার উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই প্রায় ৩৫ লাখ টাকা পকেটে ঢুকেছে কলকাতা মেট্রোর। অন্যদিকে বিমানবন্দর পর্যন্তও নতুন পরিষেবা চালু হয়েছে। পাশাপাশি রুবি থেকে জুড়ে গিয়েছে বেলেঘাটা। সামেনে আবার পুজো। মেরেকেটে আর একমাসও বাকি নেই। ফলে পুজোর মার্কেটিংয়ে বাস, অটোর ভিড়, ঠেলাঠেলির ছবিটা এবার যেন কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে মেট্রোর উপহারে। কিন্তু, জানেন এখানেও কিন্তু নতুন চিন্তা দানা বাঁধতে শুরু করেছে, সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন মেট্রোর কর্মীরা। 

টানাপোড়েন শুরু



রাতে ৯ ঘণ্টা সময় দিন, তার মধ্যেই কাজ করে দেব', চিংড়িহাটায় মেট্রোলাইন জুড়তে রাজ্যের কাছে ফের আবেদন কর্তৃপক্ষের
স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বেল্ট খুলে পুলিশ অফিসারকে মার তৃণমূল নেতার
দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ নিয়োগ। পরিষেবা সামাল দিতে কর্মী বদলি চলছেই। সামনেই আবার পুজো। পুজোর মুখে বড়সড় কোনও সঙ্কটে পড়বে না তো কলকাতা মেট্রো? সম্প্রতি নতুন তিনটি মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। পুরনো লাইনেও পরিষেবা বেড়েছে। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে কর্মী সঙ্কট। ইউনিয়নের লোকজনরা কিন্তু বলছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ। কারণ, এক করিডর থেকে অন্য করিডরে বারবার কর্মী বদলি করতে হচ্ছে পরিষেবা সামাল দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে কর্মী নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সে কারণেই বদলি নীতির পথে হাঁটতে হচ্ছে মেট্রোকে। কিন্তু যেখান থেকে বদলি করছে, সেখানে সামাল দেওয়া হবে কীভাবে? ইউনিয়নের লোকজনরা কিন্তু বলছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ। মেট্রোর প্রগতিশীল কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত বলছেন, “আগে বলতাম মেট্রো রেলের কর্মী সম্পদ রক্তাপ্লতায় ভুগছে। আজ আমি বলছি রক্তহীনতায় ভুগছে।” কিন্তু কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি কিন্তু বলছেন গুজব ছড়াবেন না। এরকম নাকি কিছু হচ্ছে না। কোনও সমস্যা নেই। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, সমস্যা থাকলে কী এভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হত?  

যদিও সূত্রের খবর, নোয়াপাড়া- কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো রুটের চারটি স্টেশন পরিচালনার অনেক কর্মীর বদলি হয়েছে। শহরের অন্যান্য মেট্রো স্টেশন থেকে আগেই ২৭ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’দফায় বদলি হয়েছে রুবি-বেলেঘাটা এবং নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোতে। বিভিন্ন স্টেশনের জন্য আরও প্রায় ৪০ জনকে বদলি করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু যেখান থেকে বদলি হচ্ছে সেখানে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কর্মী সংখ্যা রীতিমতো তলানিতে ঠেকেছে। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। এই সমস্যা বাড়তে থাকলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মত মেট্রো মহলেরই বড় অংশের। 

বাড়ছে চাপ 

সূত্রের খবর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড স্টেশনে দু’টি শিফট চলছে ৮ জন কর্মীর ভরসায়। এদিকে পরিষেবা আগের থেকে আরও গতিতে চলছে। বেড়েছে মেট্রোর সংখ্যা। তাতেই কর্মীদের উপর বাড়ছে চাপ। শিয়ালদহ স্টেশনে দৈনিক দেড় লক্ষ যাত্রী বাড়তে পারে বলে মনে করছে কলকাতা মেট্রোর কর্তারা। কিন্তু দুই শিফট মিলিয়ে ওই স্টেশন চলছে মাত্র ১৮ জন কর্মীর ভরসায়। পুজোয় আবার রাতভর মেট্রো চলে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে না তো? বাড়ছে চিন্তা। মেট্রোর প্রগতিশীল কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত বলছেন, আমাদের কর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনওদিন কোথাও কিছু হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। এই মুহূর্তে মোটরম্যান ৫০০-র বেশি থাকার কথা। সেটা আড়াইশোর কাছাকাছি আছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ কম। ট্র্যাফিকের ক্ষেত্রে এখনও ৬০০ প্লাস ভ্যাকেন্সি রয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বলছেন, জনগণের মুখোমুখি আমাদের কর্মীরাই থাকেন। কর্তারা তো থাকেন না। নানা ভাবে গালমন্দ কর্মীদেরই খেতে হয়। কিন্তু তাঁদের কোনও দোষ নেই। সপ্তাহান্তের রেস্টটুকুও পাচ্ছে না। 

সিঁদুরে মেঘ

অর্থাৎ টানাপোড়েন যে পুরোদমে চলছে তা বোঝাই যাচ্ছে। এই তো কয়েকদিন আগেই দফায় দফায় টালিগঞ্জ মেট্রোতে রেক চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কার্যত মেট্রোর জ্যাম লেগে গিয়েছিল বলে শোনা যায়। তা মিটেছে। কিন্তু এখন নতুন রুটগুলি চাপ সামাল দিয়ে এগিয়ে যাবে তো? ঠিক মতো পরিষেবা মিলবে তো আগামীতে? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। পুজো যে মেট্রোর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ তা বলছেন যাত্রীরাই। যদিও এরইমধ্যে কিন্তু মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার এখনও ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন চিংড়িঘাটার কাজ থমকে যাওয়া নিয়ে। তাঁর সাফ কথা, সবটাই রাজ্যের হাতে। এখন দেখার জল শেষ পর্যন্ত কতদূর গড়ায়।  

দেখুন কী প্রকাশ করে…তালিকা কতটা সঠিক তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে’, অযোগ্যদের লিস্ট বেরনো নিয়ে বললেন বিকাশ

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল তাঁরা যোগ্য প্রার্থী। শুনানির সময় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এখনও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে।



কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শনিবারের মধ্যেই দাগিদের তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু, আদৌ সেই তালিকা কতটা সঠিক হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশের সন্দেহ, হয়ত অর্ধেক তালিকা প্রকাশ করতে পারে SSC শুধুমাত্র কোর্টের থেকে বেরিয়ে আসার জন্য।

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল তাঁরা যোগ্য প্রার্থী। শুনানির সময় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এখনও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানে কল্যাণ সওয়াল করছিলেন, যদি একজনও অযোগ্য পরীক্ষায় বসে তাহলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ‘আমাদের উপর ভরসা রাখুন’ কোর্টে বলেন আইনজীবী। তখনই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র জানান, কল্যাণ যেন তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন। এই সওয়াল-জবাব পর্ব চলাকালীনই কল্যাণ বলেন, “আগামিকালের (শনিবার) মধ্যেই চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা হচ্ছে।”


এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিকাশ ভট্টাচার্য টিভি ৯ বাংলাকে বলেন, “ওরা এত দিন আপ্রাণ চেষ্টা করেছে দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য। ওরা ভেবেছিলেন এই রকম সময় কাটিয়ে পার পেয়ে যাবেন। এখন সুপ্রিম কোর্ট ঘাড়ে চেপে আছে, উপায় নেই তাই বলছে কালকের মধ্যে প্রকাশ করবে। এবার দেখুন কী প্রকাশ করে। যা প্রকাশ করবে তা কতটা সঠিক সেই নিয়ে তো আমার মনে শঙ্কা আছে। ওরা হয়ত অর্ধেক লিস্ট বের করে সুপ্রিম কোর্টের চাপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে।” উল্লেখ্য, যোগ্য-অযোগ্যের লিস্ট পৃথকীকরণ নিয়ে কম বিক্ষোভ হয়নি। আন্দোলন-এসএসসি ভবন ঘেরাও, অনশন কী কী না হয়েছে এই বাংলায়। অযোগ্য কারা সেই লিস্ট যদি কমিশনের কাছে ছিল তাহলে এতদিন কেন তা প্রকাশ করা হল না? এ দিন, এই প্রশ্নও তুলেছেন চাকরিহারাদের একাংশ।




 এদিন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তরফ থেকে করা মামলার ভিত্তি শীর্ষ আদালতে চলছিল শুনানি। সেখানে উঠে আসে সপ্তাহ খানেক আগে বাংলাদেশে পুশব্য়াক হওয়া অন্তসত্ত্বা সোনালী বিবির কথাও।

একটি ভাষা বলার জন্য কাউকে বিদেশি বলা যায় না: সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট

কেন যাচাই করা হচ্ছে না নাগরিকত্ব? নথি-পরিচয় না দেখে কেন ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে? বাংলায় কথা বললেই বা কেন বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? শুক্রবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে উঠে এল এই প্রশ্নগুলোই। এদিন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তরফ থেকে করা মামলার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতে চলছিল শুনানি। বিচারপতি সূর্যকান্ত, জয়মাল্য বাগচী এবং বিপুল এম পাঞ্চোলির বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা।

শুক্রবার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে আদালতে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পুশব্যাক ইস্যুতে যুক্তি তৈরিতে তিনি তুলে ধরেন সোনালি বিবির কথা। বাংলার বীরভূমের বধূ সোনালি বর্তমানে ‘দেশহীন’। দিল্লিতে স্বামী-সন্তান নিয়েই থাকতেন। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে সেখানে কাজ করতেন তারা। কিন্তু গত জুন মাসে তাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। ওই সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। আর সেই অবস্থায় তাদের ঠেলে দেওয়া বাংলাদেশে।


তিনি আদালতকে জানান, নোটিসের জবাব দেওয়ার পরিবর্তে কলকাতা হাইকোর্টে সোনালী বিবির মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তাই হাইকোর্ট যেন এখন এই মামলা না শোনে। কেন্দ্রীয় আবেদন মেনে নেয় হাইকোর্ট। মুলতুবি হয় শুনানি।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, সোনালিকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হতেই তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেছিল পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ড। কিন্তু ওই সময়কালেই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য়ের পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত এই একই ধরনের মামলা চলায় সোনালির মামলা শুনতে রাজি হয় না হাইকোর্ট। সেটাকেই ‘ঢাল করে’ কেন্দ্রও।

একদিকে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পুশব্যাক ইস্য়ুতে একের পর এক যুক্তি পেশ করছেন শ্রমিক সংগঠনের সওয়ালকারী। সেই সময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মামলার বিরোধিতা করে বলেন, “যদি কোনও একজন ব্যক্তি বিচার চান তা হলে তার পরিবার আদালতে আসুক। সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে। এই ধরনের সংগঠন কেন আসছে? এদের নেপথ্যে রাজ্য সরকার রয়েছে।”

উল্লেখ্য, দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জাতীয় নিরাপত্তা, ঐক্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই মাথায় রাখতে হবে পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব সীমান্ত নির্বিশেষে একই ভাষা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বহন করে আসছে। কোনও একটি নির্দিষ্ট ভাষা বলার জন্য কাউকে বিদেশি বলে সন্দেহ করা ঠিক নয়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের কাছে এই ভিত্তিতে সাত দিনের ডেডলাইন বেঁধে হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি, কাউকে দেশ থেকে বার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়মাবলী রয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে আদালত। এছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টকে দ্রুত সোনালি বিবির মামলা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।



এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই সিবিআইয়ের একটি টিম কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়রের বাড়িতে চলে যায়। তবে অতীন ঘোষ বাড়িতে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের
অতীন ঘোষ

 

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে এবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বাড়ি ছাড়াও তাঁর নার্সিংহোমেও হানা দিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ চলেছিল তল্লাশি। সূত্রের খবর, এবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অতীনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই।



এদিকে আগে আরজিকরে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সুদীপ্ত। একইরকমভাবে অতীন ঘোষও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। একইসঙ্গে বেলগাছিয়া পূর্বের বিধায়ক। এই আরজি কর মেডিকেল কলেজ তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে। তাই বিধায়ক হিসাবে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন অতীন, এখন তো চেয়ারপার্সনও বটে। এখন অতীনের থেকে সিবিআই কোনও নতুন তথ্য পায় কিনা সেটাই দেখার।  

তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ যদিও তোপ দাগছেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। তোপ দাগছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বলছেন, “এই নাটক দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত! সিবিআই এক বছর ধরে তদন্ত করছে। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যা করেছিল সিবিআইয়ের তাতে কোনও নতুন তথ্য দিতে পারেনি। এখন সামনে নির্বাচন তাই এর ওর বাড়িতে যাচ্ছে। খবরে ভেসে থাকতে চাইছে। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে করতে সিবিআইয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারীর সংস্থার এতে গ্রহণযোগ্যতা কোথায় নেমে যাচ্ছে দেখাই যাচ্ছে। আদালত তো দুদিন আগে বলেছে সিবিআই মানে এখন গ্যালারি শো। দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছে সিবিআই মানে বিজেপির হয়ে কাজ করা একটা সংস্থা।”

শনিবারের মধ্যেই দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা’, সুপ্রিম কোর্টে রেকর্ড করা হল কল্যাণের বক্তব্য

এরপরই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নিজের বক্তব্য রেকর্ড করান।" কল্যাণ অন রেকর্ড বলেন, "যদি কোনও চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত ঘটনাচক্রে অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও যান, তাঁর পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পরীক্ষার পর ধরা পড়লেও খারিজ করা হবে তাঁকে।" তিনি বলেন, " আমাদের উপর ভরসা রাখুন।"

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার বলেছিল, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।‘ শুক্রবার শুনানি চলাকালীন ফের একই প্রসঙ্গ উঠল কোর্টে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও রেকর্ড করতে হল তাঁর বক্তব্য। এদিন, আদালতে নিজের বক্তব্য রেকর্ড করে আইনজীবী বলেছন, এসএসসি পরীক্ষায় বসতে পারবে না কোনও চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত (tainted candidate)। 

কোর্টের সওয়াল-জবাব


আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল তাঁরা যোগ্য প্রার্থী। শুনানির সময় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এখনও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। এই মামলার শুনানি চলছে এখন আদালতে। গতকালের পর আজও চলছিল শুনানি। সেই সময় কোর্টে  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, “যদি কোনও চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত ঘটনাচক্রে অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও যায় তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পরীক্ষার পর ধরা পড়লেও খারিজ করা হবে তাঁকে।” এর পাশাপাশি শুনানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব আইনজীবীকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করেন, “আপনারা যদি জানতে পারেন এমন কোনও চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত অ্যাডমিট কার্ড পেয়েছেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড-কে চিঠি লিখে জানান।

এরপরই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিজের বক্তব্য রেকর্ড করান।” কল্যাণ অন রেকর্ড বলেন, “যদি কোনও চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত ঘটনাচক্রে অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও যান, তাঁর পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পরীক্ষার পর ধরা পড়লেও খারিজ করা হবে তাঁকে।” তিনি বলেন, ” আমাদের উপর ভরসা রাখুন।” পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে কল্যাণ জানান, আগামিকালের (শনিবার) মধ্যেই চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পর অনেকে নবম দশমের পরীক্ষার জন্য আবেদন করলেও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য আবেদন করতে পারছেন না, এই অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। একই সঙ্গে অযোগ্যরা অ্যডমিট কার্ড পেয়ে যাচ্ছেন এই অভিযোগও তোলা হয়।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সকলকেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে।” কোর্টের নির্দেশ, “যাঁরা আবেদন জমা দিতে পারেননি, তাঁরা ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সশরীরে গিয়ে হার্ডকপি জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।” গতকালের পর  এদিনও পরীক্ষা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট



তবে বৈঠক যতটা শান্তিপূর্ণ হওয়ার কথা, ততটা কিন্তু মোটেই হয়নি। তৃণমূলের মুখে থেকেছে 'অসন্তুষ্টি'। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরবালের দফতরে রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠক চলাকালীন বাইরে থেকে বাকবিতণ্ডার শব্দ পাওয়া যায়।

CEO দফতরে সর্বদলীয় বৈঠকের মাঝেই লাগল বাকবিতণ্ডা, 'অসন্তুষ্ট' মুখে বেরিয়ে এলেন অরূপ
মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তৃণমূল

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে সময় মেনেই যেন মিটল সর্বদলীয় বৈঠক। সকাল থেকে ভোটার সমীক্ষা, নির্বাচনী প্রস্তুতির মতো নানা সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা হলেও বৈঠকের অভিমুখ থেকে ভোটার পুনর্বিন্যাসের মধ্যে দিয়ে বুথ বৃদ্ধিতেই। এদিনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিল রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী শিবির। গলায় ‘নো SIR’ পোস্টার ঝুলিয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।



তৃণমূলের তরফে শুক্রের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায় ও সাংসদ পার্থ ভৌমিক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আগে একটা বুথে ১৫০০ জনের বেশি ভোটার ভোট দিতে পারতেন। কিন্তু কমিশনের নয়া নিয়ম অনুয়ায়ী, এবার থেকে প্রতি বুথে ১২০০ জন ভোটার থাকবেন। আর যারা বাড়তি তাদের নিয়ে আলাদা বুথ তৈরি হবে। আমাদের এই নিয়মে কোনও আপত্তি নেই। শুধু একটা বক্তব্য, ভোটারের ভোট কেন্দ্র যেন তার বাড়ির কাছে হয়। কমিশন যেন কোনও উপায়ে ভোট কমানোর চেষ্টা না করে।”


 কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের
তবে বৈঠক যতটা শান্তিপূর্ণ হওয়ার কথা, ততটা কিন্তু মোটেই হয়নি। তৃণমূলের মুখে থেকেছে ‘অসন্তুষ্টি’। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরবালের দফতরে রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠক চলাকালীন বাইরে থেকে বাকবিতণ্ডার শব্দ পাওয়া যায়। বৈঠকের মাঝেই কি তা হলে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল অরূপ বিশ্বাসকেও।

তিনি বলেন, “আমরা যখন কমিশনের কাছে আসি, তখন মানুষের কথা বলতে আসি। কিন্তু কেউ কেউ নিজেদের দলের কথা বলতে আসেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের সাফ দাবি, তারা অন্তত নিরপেক্ষতাটা বজায় রাখুক।” অর্থাৎ, বিবাদ স্পষ্ট। কিন্তু কারণ খানিক আধারে।

এদিনের বৈঠকের সময় কংগ্রেসকে দেখা গিয়েছিল SIR-বিরোধী পোস্টার হাতে প্রবেশ করতে। যা অবশ্য অরূপ দেখেননি বলেই দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, “আমরা প্রথম সারির দল তো প্রথমেই বসি, পিছনে কী হয় জানি না।” এই বৈঠকে SIR নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। বৈঠকের অভিমুখ সেদিকেও ছিল না বলে দাবি অরূপের। তবে বৈঠক শেষে SIR বিরোধিতায় বজায় থেকেছে। তাঁর সাফ কথা, “বাংলায় SIR হবে না।”


 কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই নিয়োগ ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্টটি রাজ্যকে শুক্রবার অর্থাৎ আজ বিকাল ৫টার মধ্য়ে জমা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, এই একই দিনে কমিশনের অন্দরে রয়েছে একটি সর্বদলীয় বৈঠক।

ডেডলাইন বিকাল ৫টা! কমিশনে রাজ্যকে দিতে হবে রিপোর্ট, তারপরই শুরু হবে SIR?
মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর


বাংলায় যেন SIR-এর জন্যই ‘বরণডালা’ সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বছর ঘুরলেই ভোট। আর তার আগে ভোটার সমীক্ষায় জোর দিচ্ছে কমিশন। গত ২৭ অগস্ট রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরবাল রাজ্যের সকল জেলা শাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান। তাতে সাফ বলা হয়, দ্রুত AERO ও ERO নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কারণ, এনার প্রত্য়েকেই ভোট প্রস্তুতি ও ভোটার সমীক্ষার সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িত থাকেন।


বলে রাখা ভাল, এই AERO ও ERO-দের নিয়োগের জন্য কোনও চিরাচরিত প্রক্রিয়া চলে না। এনারা প্রত্যেকেই সেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারী বা নির্দিষ্ট ভাবে বললে, WBCS এক্সিকিউটিভ ও অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মচারী। তাদের মধ্য়ে বাছাইয়ের মাধ্যমেই জেলাশাসকরা AERO ও ERO হিসাবে রাজ্যের কাছে নামের তালিকা পাঠায়। তারপর সেই তালিকা পৌঁছে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে।



কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই নিয়োগ ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্টটি রাজ্যকে শুক্রবার অর্থাৎ আজ বিকাল ৫টার মধ্য়ে জমা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, এই একই দিনে কমিশনের অন্দরে রয়েছে একটি সর্বদলীয় বৈঠক। রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী শিবির, আসবে প্রায় প্রতিটি দলের প্রতিনিধিই। ভোটার সমীক্ষা থেকে ভোট প্রস্তুতি সব নিয়েই হবে আলোচনা।

তিলোত্তমার বাবা বলেন, "নোটিসটা পেয়েছি আজকে। আমরা জাস্ট আর পাত্তা দিচ্ছি না। যে যা করার করুক। আমরা মেয়ের ন্যায়বিচারের লড়াই চালাচ্ছি। এগুলো পাত্তা দেওয়ার বিষয় নাকি। এসব করে আমাদের বিরক্ত করার চেষ্টা করছে। "

 'উনি ওনার বাবার কুসন্তান', কুণালের করা মামলায় 'জাস্ট পাত্তা' দিলেন না তিলোত্তমার বাবা-মা
তিলোত্তমার বাবা-মা

তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কিন্তু সেই মামলার গুরুত্ব দিতে চান না তিলোত্তমার বাবা-মা। এমনকি কুণাল ঘোষের নামও তাঁরা উচ্চারণ করতে নারাজ। তিলোত্তমার বাবার বক্তব্য, “ওনার বাবার কুসন্তান উনি!” তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মামলায় তাঁরা হাজিরা নাও দিতে পারেন। তবে তিলোত্তমার আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁরা ঠিক করবেন তাঁরা আদালতে হাজির হবেন কিনা!


তিলোত্তমার বাবা বলেন, “নোটিসটা পেয়েছি আজকে। আমরা জাস্ট আর পাত্তা দিচ্ছি না। যে যা করার করুক। আমরা মেয়ের ন্যায়বিচারের লড়াই চালাচ্ছি। এগুলো পাত্তা দেওয়ার বিষয় নাকি। এসব করে আমাদের বিরক্ত করার চেষ্টা করছে। ” তিলোত্তমার মা বললেন, “তিনি তৃণমূল দলের মুখপাত্র, তবে তাঁর নাম আমি মুখে আনতে চাই না। আমি শুনেছিলাম, ওনার বাবা আরজি করেরই চিকিৎসক ছিলেন। ওনার বাবার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলব, উনি ওনার বাবার কুসন্তান। আমাদের এই পরিস্থিতিতে আমাদের পিছনে লাগতেন না।”


প্রসঙ্গত, গত ২০ অগস্ট তিলোত্তমার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন কুণাল ঘোষ। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তিলোত্তমার বাবার বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা দায়ের করেন। নবান্ন অভিযানের পরই সংবাদমাধ্যমের সামনে তিলোত্তমার বাবা বলেছিলেন, “সিবিআই টাকা খেয়ে তদন্ত চেপে দিয়েছে। সিবিআইকে টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কুণাল ঘোষ সিজিও কমপ্লেক্স-এ গিয়ে টাকা দিয়ে সমস্ত কিছু ‘সেটেলমেন্ট’ করিয়েছেন।” সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রমাণ চান কুণাল, আর সেই কারণেই মানহানির মামলা।

সিবিআই বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন অতীন। স্পষ্ট বলেন, “আমার বাড়িতে সিবিআই এসেছে বলে আমার কোনও ক্ষেদ নেই। কারণ আমার রাজনৈতিক চরিত্র কী আপনারা সবাই জানেন। ১৫ বছর ধরে কলকাতা পুরনিগমে হেলথ সামলাচ্ছি। 

আমার বিরুদ্ধে কেউ কখনও আঙুল তুলতে পারেনি।”


আমার বিরুদ্ধে কেউ কখনও আঙুল তুলতে পারেনি’, CBI বেরিয়ে যেতেই বললেন অতীন
কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ

কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। খবরটা সামনে আসার পর থেকেই চাপাউতোর তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, প্রায় আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। অতীন যদিও বলছেন আরজি করের দুর্নীতি মামলায় সাক্ষী হিসাবে তাঁর কাছে নোটিস পাঠায় সিবিআই। 


সিবিআই বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন অতীন। স্পষ্ট বলেন, “আমার বাড়িতে সিবিআই এসেছে বলে আমার কোনও ক্ষেদ নেই। কারণ আমার রাজনৈতিক চরিত্র কী আপনারা সবাই জানেন। ১৫ বছর ধরে কলকাতা পুরনিগমে হেলথ সামলাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে কেউ কখনও আঙুল তুলতে পারেনি।” ঠিক এরপরেই ওদের সংযোজন, “ওদের যে কোনও উদ্দেশ্যই থাকুক আমি তাতে কিছু মনে করি না। কারণ আমি জানি আমার এতে কোনও ভূমিকা নেই।” 



বাসিন্দাদের সন্দেহ, কেউ বা কারা ওই বৃদ্ধকে রাতের অন্ধকারে ফেলে রেখে গিয়েছে। জায়গাটা যেহেতু ফাঁকা, তাই সেখানে একটি বেডের উপর শুইয়ে রেখে চলে গিয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পায়ে তখনও বড় স্ক্রু দিয়ে পাতটা আটকানো, অপারেশনের রোগীকে রাস্তায় ফেলে গেল কে!

 রাস্তার মাঝে পড়ে আছে আছেন এক বৃদ্ধ। ডান পা ব্যান্ডেজে মোড়া। বড় বড় স্ক্রু দিয়ে পাত আটকানো। সেই অবস্থায় বৃদ্ধকে ফেলে রাখা হয়েছে! বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার শিখড় বালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুরে। রাস্তার পাশে একটি গ্রিলের দোকানের সামনে এক মাঝবয়স্ক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখেই বোঝা যায় তাঁর ডান পায়ে সদ্য অপারেশন হয়েছে। ওই ব্যক্তি শারীরিকভাবে এতটাই অসুস্থ যে তাঁর পক্ষে একা সেখানে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


বাসিন্দাদের সন্দেহ, কেউ বা কারা ওই বৃদ্ধকে রাতের অন্ধকারে ফেলে রেখে গিয়েছে। জায়গাটা যেহেতু ফাঁকা, তাই সেখানে একটি বেডের উপর শুইয়ে রেখে চলে গিয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।





সোমবার স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। মায়ের কাছে ভাতও চেয়ে খেয়েছিল। মা বিকালে পাশের বাড়িতে বিড়ি বাঁধার কাজে গিয়েছিল। বাবা গিয়েছিল গ্রামের রাস্তা সারাইয়ের কাজে। বাড়িতে একাই ছিল পল্লব। কিন্তু কেউ ভাবতে পারেনি এই কাণ্ড ঘটে যাবে।

 বড় ইউটিউবার হয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিল! চলে গেল ১০ বছরের ছেলেটা, রয়ে গেল ১৯ হাজার ফলোয়ার্স
শোকের ছায়া গোটা পরিবারে

বয়স সবেমাত্র ১০। কুলতললি থানার ২ নম্বর জালাবেড়িয়া গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি রিলস বানানোর বড্ড নেশা ছোট্ট পল্লব নস্করের। ইতিমধ্য়েই রিলস বানিয়ে ইউটিউবে ১৯ হাজার ফলোয়ার্স। পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে পেশায় দিনমজুর বাবা পরমেশ্বরের নস্করের। বাড়িতে রয়েছে বিশেষভাবে সক্ষ দাদা, ও মা শিখা দেবী। বাবা সারাদিন কাজ করতেন, বিকালের পর বাইকে করে ছেলেকে নিয়ে বের হতেন বিভিন্ন জায়গায় রিলস বানানোর জন্য। প্রশিক্ষণ ছাড়াই ছোট্ট পল্লব নাচ করতেও বেশ পারদর্শী। বড় ইউটিউবার হয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিল। কিন্তু অকালেই শেষ হয়ে গেল সবটা। 

সোমবার স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। মায়ের কাছে ভাতও চেয়ে খেয়েছিল। মা বিকালে পাশের বাড়িতে বিড়ি বাঁধার কাজে গিয়েছিল। বাবা গিয়েছিল গ্রামের রাস্তা সারাইয়ের কাজে। বাড়িতে একাই ছিল পল্লব। সেই সময় তাদের বাড়িতে এসেছিল তার কাকার দুই মেয়ে। তারা লুকোচুরি খেলতে খেলতে রান্না ঘরে এসে দেখতে পায় রান্নাঘরের ছাউনির আড়া থেকে ঝুলছে পল্লব। তাঁদের চিৎকারেই ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। ছুটে আসে মা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। 





জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া উজ্জ্বয়ীনি মোড়ে রাস্তার পাশে রয়েছে ১৪ বিঘা জলা জমি। যা ডোবা নামেই রেকর্ড রয়েছে। আর সেই জলা জমির উপরে নজর পড়েছে এলাকার জমি হাঙরদের।

রুখতে গিয়েছিলেন জলাভূমি ভরাট, এলাকার বৃদ্ধদের গুলি করে মারার হুমকি দুষ্কৃতীদের
জলভূমি ভরাট নিয়ে সরব বৃদ্ধ

এলাকার জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে গিয়ে জমি মাফিয়াদের হুমকির মুখে এলাকার পৌর নাগরিকরা। তাঁদের গুলি করে মারার হুমকি স্থানীয় জমি মাফিয়ার। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের ঘটনা। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া উজ্জ্বয়ীনি মোড়ে রাস্তার পাশে রয়েছে ১৪ বিঘা জলা জমি। যা ডোবা নামেই রেকর্ড রয়েছে। আর সেই জলা জমির উপরে নজর পড়েছে এলাকার জমি হাঙরদের।

অভিযোগ, আব্বাস ও আলামিন নামে দুই জমি মাফিয়া ওই জলাজমি ভরাট করতে এলে বাধা দেন এলাকার কিছু বয়স্ক মানুষ। তখনই গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের। বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা প্রথমে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা দিপালী নস্কর, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সর্বশেষে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের কাছেও আবেদন করেন তাঁরা। তারপরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেননি কেউই। ভুজঙ্গভূষণ দাস বলেন, “আমরা চাইছি না এই ভূমি ভরাট হোক। একটা পার্ক তৈরি করুক। মুখ্যমন্ত্রীই তো বলেছিলেন এই জলাভূমি ভরাট করা যাবে না।”




বুধবার রাতের ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কে ও ভয়ে রয়েছে এলাকার পৌর নাগরিকরা। কারণ প্রকাশ্যেই আব্বাস নামে ওই জমি মাফিয়া তাঁদেরকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে এলাকাবাসীর একটাই আবেদন, যাতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে নজর দিন।