ডাল খাওয়ার পরে অনেকেই পেট ফাঁপার সমস্যায় ভোগেন, এ ছাড়া গ্যাস এবং পেটে ভারী ভাব বোধ করেন। এই পরিস্থিতিতে, রান্না করার আগে উপযুক্ত সময় মতো তা জলে ভিজিয়ো রাখা ভাল।

 পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা এড়াতে চান? জানুন কোন ডাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখা উচিত
পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা এড়াতে চান? জানুন কোন ডাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখা উচিত


ভারতীয়দের খাদ্যতালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে ডাল (Pulses)। যা থেকে প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি মেলে। প্রতিটি ডাল ভিন্ন পুষ্টির জন্য পরিচিত। অনেক ধরণের ডাল হয়, যেমন – মুগ, মসুর, অড়হড়, বিউলি, চানা ও অন্যান্য। প্রতিটি ডালের আলাদা আলাদা ও অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। মানুষ ভাত এবং রুটি উভয়ের সঙ্গেই ডাল খায়। দুধ ছাড়াও, শিশুদেরও প্রায়শই ডালের জলও দেওয়া হয়। তবে ডাল খাওয়ার পরে অনেকেই পেট ফাঁপার সমস্যায় ভোগেন, এ ছাড়া গ্যাস এবং পেটে ভারী ভাব বোধ করেন। এই পরিস্থিতিতে, রান্না করার আগে উপযুক্ত সময় মতো তা জলে ভিজিয়ো রাখা ভাল।

পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, রান্না করার আগে ডাল কেন ভিজিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন ডাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে। খোসা ছাড়ানো মুগ ডাল, লাল মসুর ডাল এবং অড়হর ডাল রান্না করার আগে ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। খোসা ছাড়ানো মুগ, খোসা ছাড়ানো অড়হড় এবং চানা ডাল ২ থেকে ৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। রান্না করার আগে গোটা মুগ, গোটা মসুর ডাল, গোটা অড়হড় ডাল ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। রান্না করার আগে রাজমা, সাদা ছোলা এবং কালো ছোলা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি, রাজমা বা চানা ডাল রান্না করার সময়, তেজপাতা, বড় এলাচ এবং শুকনো লঙ্কা যোগ করতে হবে। ওই ভাবে পান্না করলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, পেট ভারী হওয়ার মতো সমস্যা কমে। এবং হজমে সহায়তা করে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours