জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ বলেন, "গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বচসা থামাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত বলে আমার মনে হয় না। তারা দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।"

গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুন, শোরগোল কোচবিহারে
কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিজনরা

বচসা থামাতে গিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সঞ্জয় বর্মণ (৩৭)। তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ধৃতদের নাম অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণ। ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। সেই সময় বচসা থামাতে যান সঞ্জয়। অভিযোগ, তাঁকেই অভিযুক্তরা আক্রমণ করেন। লোহার রড দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের আঘাত করা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। তারপরও তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।



তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বচসা থামাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত বলে আমার মনে হয় না। তারা দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবারও। শুধুমাত্র বচসা থামাতে যাওয়ায় খুনের ঘটনা বলে মানতে পারছে না তারা। মৃত তৃণমূল কর্মীর কাকা ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মণ অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইপোকে পরিকল্পনা করেই এমন নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হবে। এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours