June 2025

কাকদ্বীপে জমি থেকে জল ছেচার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির

টানা দুর্যোগের জেরে বীজতলায় জমি থেকে পাম্প দিয়ে জল ছেচার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আজ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে কাকদ্বীপের নারায়ণপুর দ্বিতীয় ঘেরিতে। মৃত প্রণব মাইতি বয়স ৫৪। স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বীজতলায় জমি জলে ডুবে যায়। 

এবং বীজতলায় পচন শুরু হওয়ায় আজ সকালে বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পাম্প দিয়ে জল সেচ করতে গিয়েছিলেন প্রণব। সেইসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন প্রণব। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার

কলকাতার কসবার কলেজে আইনের ছাত্রীকে কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় যখন গোটা রাজ্য। তখন কলকাতা পুলিশে তদন্তের উপরই পরিপূর্ণ আস্থা রাখছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রীর মামা।


রাজ্য় পুলিশেই আস্থা, স্পষ্ট জানালেন কসবার নির্যাতিতার আত্মীয়
কসবা কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি


 দক্ষিণ কলকাতার ল কলেজের ইউনিয়ন রুমে পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছেন চারজন। এবার পুলিশি তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন নির্যাতিতার মামা।


কলকাতার কসবার কলেজে আইনের ছাত্রীকে কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় যখন গোটা রাজ্য। তখন কলকাতা পুলিশে তদন্তের উপরই পরিপূর্ণ আস্থা রাখছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রীর মামা। তিনি রবিবার বলেন, “কলকাতা পুলিশে তদন্তে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা সিবিআই চাই না। ‘জাতীয় মহিলা কমিশন’ থেকে ফোন করেছিল। আমরা যা বলার বলে দিয়েছি। আমরা পুলিশ কলকাতা পুলিশের তদন্তর উপরই সন্তুষ্ট। আমরা কোনও ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না। আর নির্যাতিতা এখন কলকাতায় থাকবে।” নিজের বাড়িতে আসবে না বলেও জানিয়েছেন তার মামা।




ট্রেডারদের জন্য দারুণ খবর, এবার বাড়ল তাঁদের কাজের সময়সীমা!
বস্তুত, শনিবার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও সিবিআই নয়, এই ঘটনার তদন্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ করুক বলে দাবি করেছেন। তাঁর এ মন্তব্যই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কিন্তু কেন তিনি এমন কথা বললেন? সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “সিবিআই প্রচণ্ড এফেক্টিভ। কিন্তু, সিবিআইকে আপনি ৫ দিন ১০ দিন পরে কেস দেবেন সমস্ত তথ্য ট্যাম্পার করে দিয়ে! পুরো ভাঙচুর করে! আমরা তো আর বোকা নই। তাই এবারের কেস এই পুলিশকে দিয়েই তদন্ত হোক। এটা আমার মত। তবে বিজেপির মতামত আমার শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে।”

শেফালি জরিওয়ালা সম্প্রতি অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা করিয়ে ছিলেন। যার জন্যে তিনি ভিটামিন সি ও গ্লুটাথায়োন নিতেন। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর দিন দুপুরে তিনি ওই ইনজেকশন নেন এবং রাতে তাঁর রক্তচাপ হঠাৎ কমে গিয়ে শরীর কাঁপতে শুরু করে।


দুপুরেই শেফালি নিয়েছিলেন এই ইনজেকশন, যৌবন ধরে রাখার চেষ্টাই কাড়ল প্রাণ?




অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জরিওয়ালা মৃত্যু যেন বর্তমানে রহস্য। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত শুক্রবার রাতে মুম্বইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগী তাঁকে তড়িঘড়ি আন্দেরির এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়, যেখানে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে কেন এই মৃত্যু? মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, শেফালির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, তবে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। তাই আপাতত অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ রিপোর্ট (ADR) নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের কথায়, প্রাথমিকভাবে একে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হচ্ছে এবং কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রমাণ মেলেনি। তবে, ফরেনসিক দল তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং তদন্তে একাধিক ব্যক্তির বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।



সূত্র অনুযায়ী, শেফালি জরিওয়ালা সম্প্রতি অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা করিয়ে ছিলেন। যার জন্যে তিনি ভিটামিন সি ও গ্লুটাথায়োন নিতেন। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর দিন দুপুরে তিনি ওই ইনজেকশন নেন এবং রাতে তাঁর রক্তচাপ হঠাৎ কমে গিয়ে শরীর কাঁপতে শুরু করে। সে সময় তিনি উপবাসে ছিলেন এবং খালি পেটে ওষুধ খাওয়ার ফলে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। যদিও সঠিক কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা বর্তমান।

কখনও সলমনকে জড়িয়ে ধরে আবদার, কখনও আবার স্নেহের আদর। কখনও পোজ দিয়ে সেলফি। তবে সত্যি কি সলমনের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে আরাধ্যার!
আরাধ্যার সঙ্গে সলমনের গোপনে যোগাযোগ? কোন ছবি ঘিরে ওঠে ঝড়


সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, প্রায় দুই যুগ হয়ে গিয়েছে এই জুটির পথচলা আলাদা হয়ে গিয়েছে। তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বহু আগেই। যদিও মূলত সিদ্ধান্ত ছিল ঐশ্বর্যর। তবে থেকে তাঁদের সম্পর্ক থামলেও কোথাও গিয়ে যেন সেই জুটিকে ভুলতে পারছেন না দর্শক। আজও সকলে অপেক্ষায় থাকেন কবে তাঁরা একসঙ্গে পর্দায় ফিরবেন। তার উত্তর যদিও মেলেনি এখনও। তবে কোথাও গিয়ে কি কোনও যোগসূত্রে বারবার মিলে যাচ্ছে তাঁদের পথ? আর সেই সূত্রের নাম কি আরাধ্যা বচ্চন? একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছিল, কাদের জানেন? যেখানে সলমন খান ও আরাধ্যাকে বেশ কিছু মিষ্টি পোজে পাওয়া যায়। শোনা যায়, স্কুলের ফাঁকে সলমনের সঙ্গে নাকি দেখাও করে ছোট্ট আরাধ্যা।


ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মেয়ের আরাধ্যার সঙ্গে সলমন খানের ছবি নেটপাড়ায় ঝড় তুলেছিল সেই সময়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছিল এই ছবিকে কেন্দ্র করে। কখনও সলমনকে জড়িয়ে ধরে আবদার, কখনও আবার স্নেহের আদর। কখনও পোজ দিয়ে সেলফি। তবে সত্যি কি সলমনের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে আরাধ্যার!



যোগকারিনীর বক্তব্য শিউরে ওঠার মতো


প্রাক্তন প্রেমিকার মেয়েকে এভাবে আগলাচ্ছেন ভাইজান? মোটেও তেমনটা নয়। এই ছবিগুলোকে ভাল করে খুঁটিয়ে দেখলে বোঝাই যাবে যে ছবিতে থাকা মেয়েটি আরাধ্যা বচ্চন নয়। এই ছবি মর্ফ করে বানানো হয়েছে। জরিন খানের মুখে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে আরাধ্যার মুখ। ‘সিকান্দার’ ছবির সেট থেকে যে ছবি ভাইরাল হতে দেখা যায়, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্কই নেই। সবটাই ফ্যানেদের তৈরি করা। যা নিয়ে এত চর্চা, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।

 একবার কাজল জানান, যুগের কথা তাঁর গালে যেন সপাটে চড় ছিল। বাড়িতে পুজো ছিল সেদিন। সকলেই পুজোর জায়গায় বসে রয়েছে। যুগ একটু দূরে বসেছিল। তাকে ডেকে কাজল কাছে বসাতে চাইলে, যুগ মাকে বলে ওঠে, তার ইচ্ছে নেই।
ছেলের মুখে এ কথা শুনে অবাক কাজল, কী এমন বলে বসে যুগ?



কাজল, বলিউডের অন্যতম সেলেব। কেরিয়ারের পাশাপাশি চুটিয়ে সংসার করছেন তিনি। একের পর এক কাজ এখন তাঁর হাতে। যদিও বিয়ের পর তিনি বেশ কিছুটা সময় নিজের জন্য রেখেছিলেন। বেশ কিছুটা সময় তিনি তাঁর সন্তানদেরই দিয়েছিলেন। সেই সময়টা খুব একটা পর্দার সামনে আসতে দেখা যায়নি কাজলকে। দুই সন্তান তাঁর, নাইসা দেবগণ ও যুগ। অজয় দেবগণ কেরিয়ারে ঝড় তুললেও এই দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে সদা ব্যস্ত কাজল। এখন মেয়ে নাইসার কেরিয়ার শুরু পালা। বেশ কিছু প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। তবে দুই সন্তানের মধ্যে কাজল বরাবরই বেশি প্রশংসা করে আসেন ছোট্ট ছেলে যুগের। কাজলের কথায়, যুগ বয়স তুলনায় বেশ বড়। মাঝে মধ্যে এমন কিছু কথা বলে বসে, যা কাজলকে অবাক করে দেয়।


একবার কাজল জানান, যুগের কথা তাঁর গালে যেন সপাটে চড় ছিল। বাড়িতে পুজো ছিল সেদিন। সকলেই পুজোর জায়গায় বসে রয়েছে। যুগ একটু দূরে বসেছিল। তাকে ডেকে কাজল কাছে বসাতে চাইলে, যুগ মাকে বলে ওঠে, তার ইচ্ছে নেই। এগুলো জোর করে হয় না। যার যদি ইচ্ছে করত তবে সে সেখানে গিয়ে বসত। কিন্তু তার সেটা অন্তর থেকে আসছে না, সেই করণেই সে দূরে আছে। জোর করে এভাবে কাছে বসিয়ে বিশ্বাস তৈরি করা যায় না। তা মন থেকে আসে। কাজলের কথায়, যুগ তখন বেশ ছোট, ও যে এভাবে কথাগুলো বলে বসবে, তা ভেবেই পাননি তিনি। যুগের কথা শুনে কাজল বুঝতে পারেন যুগের যুক্তি। সে কী বলতে চাইছে। তখন কাজল নিজের ভুলটাও বুঝতে পারেন। বলেন, আমি যা করছি, সেটা তবে সত্যি ভুল।

সাল ১৯৭২। মুক্তি পেয়েছিল ‘গুলজার’ অভিনীত ছবি ‘কোশিস’। ওই ছবিতে প্রথমে কাজ করার কথা ছিল মৌসুমীর। সেই মতো ছবির শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিন দিন শুটিং হওয়ার পরেই নাকি কার্যত বাদ পড়েন মৌসুমী।
'ছোট্ট বাচ্চাকে বাড়িতে রেখে...', শুটিং সেটে কার ষড়যন্ত্রের শিকার হন মৌসুমী?


একজন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, অন্যজন জয়া বচ্চন। দুই বাঙালি অভিনেত্রীকে নিয়ে গর্বিত বাংলা। কিন্তু জয়ার বিরুদ্ধে মৌসুমীর যে রয়েছে একগুচ্ছ অভিযোগ, তা কি জানতেন? বহু বছর পর এবার জয়াকে নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন মৌসুমী। কলকাঠি নেড়ে তাঁকে নাকি বাদ দেওয়া হয় এক ছবি থেকে, যে ছবিতে পরবর্তীতে অভিনয় করেছিলেন জয়া বচ্চন, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।

সাল ১৯৭২। মুক্তি পেয়েছিল ‘গুলজার’ অভিনীত ছবি ‘কোশিস’। ওই ছবিতে প্রথমে কাজ করার কথা ছিল মৌসুমীর। সেই মতো ছবির শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিন দিন শুটিং হওয়ার পরেই নাকি কার্যত বাদ পড়েন মৌসুমী। তিনি দাবি করেন, যে তিন দিন তিনি শুটিং করেছিলেন ওই তিন দিন তিনি দেখেছিলেন জয়ার সেক্রেটারি সকাল থেকে রাত অবধি অফিসে এসে বসে আছেন। মৌসুমী জানান, হঠাৎই গুলজার এসে তাঁকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে একটু বেশি রাত পর্যন্ত শুট করার জন্য’। কিন্তু মৌসুমী জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তান ছোট, তাই যে কোনও একটি শিফটেই তিনি কাজ করতে পারবেন। ব্যাপারটা নাকি ভালভাবে নেননি গুলজার। সকলের সামনেই তাঁকে বলেন, “বহু নায়িকা লাইন দিয়ে আছে এই জায়গাটা পাওয়ার জন্য।” মৌসুমীর কথায়, “আমিও বলেছিলাম, তাহলে ওদেরকেই নিন।” তাই হয়েছিল, মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছিল জয়া বচ্চনকে। ওই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান সঞ্জীব কুমার। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পান গুলজার।
বাড়িতে লাগান গাছের ‘পঞ্চরত্ন’! ত্বক ও স্বাস্থ্যে পাবেন আশ্চর্য উপকারিতা


.নাকি এর আগেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে?', প্রশ্ন তুলল BJP
কত দুঃসাহস! ভারতের ঘাড়ে মিথ্যা দোষ চাপানোর চেষ্টা পাকিস্তানের, টেনে মুখোশ খুলে দিল কেন্দ্র
একটা দীর্ঘ সময় অভিনয় থেকে নিজেকে প্রায় দূরেই সরিয়ে রেখেছিলেন মৌসুমী। তগিনি জানিয়েছেন, পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের সাথে কোনও আপস করতে চাননি বলেই এ হেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই বহু ছবি থেকে বাদও পড়েছিলেন তিনি। নেওয়া হয়েছিল অন্য নায়িকাকে। ১৯৪৮ সালের ২৬ এপ্রিল কলকাতায় জন্মেছিলেন মৌসুমী। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ছিল তাঁর জন্মদিন। শক্তি সামন্তর ‘অনুরাগ’-এর হাত ধরে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় পদার্পণ করেন মৌসুমী। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না… সকলেরই হিরোইন হয়েছেন তিনি। মৌসুমী অভিনীত সাম্প্রতিক আলোচিত ছবির তালিকায় রয়েছে অপর্ণা সেনের ‘গয়নার বাক্স’ ও সুজিত সরকারের ‘পিকু’। সেখানেও তাঁর অভিনয় সকলের নজর কেড়েছে।

বিপাশা বসুর সঙ্গে ছিল চুম্বনের দৃশ্যের শুট। তিনি নাকি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন। এদিকে বিপাশা মোটেও চাননি মাধবনের সঙ্গে এই দৃশ্য করতে। কারণ মাধবনের স্ত্রী তাঁর ভীষণ কাছের বন্ধু।


নায়কের মুখে পিঁয়াজের বিকট গন্ধ, লিপকিসের পর কী অবস্থা হয় বিপাশার?



আর মাধবন, বরাবরই নিজের অভিনয়গুণে দর্শকদের প্রশংসার কেন্দ্রে থেকেছেন। বলিউডকে একাধিক ভাল প্রজেক্ট উপহার দিয়েছেন তিনি। আর মাধবন মানেই ভাল ছবি, ভাল অভিনয়। সেই অভিনেতার থেকে এ কেমন অভিজ্ঞতার পেয়েছিলেন বিপাশা বসু? শুনলে অবাক হবেন। আর মাধবন, বলিউডের অন্যতম অভিনেতা, যাঁর সঙ্গে বিপাশা বসু জুটি বেঁধেছিলেন ২০১২ সালে। ছবির নাম ‘জোরি ব্রেকার’। এই ছবির শুটেই ঘটেছিল ভয়ানক ঘটনা। হঠাৎ কী হয়েছিল বিপাশার? এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন অন্দরমহলের কাহিনি। মাধবান খেতে ভীষণ পছন্দ করেন।


মাঝে মধ্যেই তাঁকে নানান পদের খাবার খেতে দেখা যায়। সেই কারণেই বেড়েছিল তাঁর শরীরের ওজন। মাধবন এই ছবির শুটের জন্য বাইরে ছিলেন ১২ থেকে ১৩ দিন। সেখানেই পঞ্জাবের একটি টিম ছিল। যাঁরা রোজ শুটিং দেখতে আসতে। সেখানেই তাঁরা নানা রকমের পদ সঙ্গে আনতেন, যা খেতে চলে যেতেন মাধবন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।




বিপাশা বসুর সঙ্গে ছিল চুম্বনের দৃশ্যের শুট। তিনি নাকি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন। এদিকে বিপাশা মোটেও চাননি মাধবনের সঙ্গে এই দৃশ্য করতে। কারণ মাধবনের স্ত্রী তাঁর ভীষণ কাছের বন্ধু। তাই অস্বস্তি কাজ করছিল। যদিও পরিচালক তাঁকে শেষ পর্যন্ত রাজি করিয়ে ফেলেছিলেন। তবে শুট করে বিপাশা নিজের রুমে ছুটে চলে যান। তাঁর গা গুলিয়ে উঠেছিল বলেই জানান নায়িকা। আর বেরতে পারেননি অনেকটা সময়। পড়ে জানা যায়, পিঁয়াজের গন্ধে তাঁর শরীর খারাপ করছিল। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। যদিও মাধবন খুব ভাল বন্ধু বিপাশার। বহুদিন ধরেই তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এখনও যে সম্পর্ক অটুট।

বলিপাড়ার গুঞ্জন বলে ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইনসের সঙ্গে একসময় সম্পর্কে ছিলেন আমির। তাঁরা নাকি একসঙ্গে থাকতেনও। শোনা যায়, এমতাবস্থাতেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন জেসিকা।
বিদেশে আমিরের 'পরকীয়া' সম্পর্ক? গোপনে বড় হচ্ছে ছেলে?



আমির খানের লাভ লাইফ বরাবরই চর্চার বিষয়। কখনও প্রীতি জিন্টার সঙ্গে জড়িয়েছে নাম আবার কখনও বা ফতিমা সানা শেখকে নিয়েও শোনা গিয়েছে গুঞ্জন। তবে জানেন কি আমির খানের বিরুদ্ধে উঠেছিল বিস্ফোরক এক অভিযোগ। সাংবাদিকের সঙ্গে দিনের পর দিন সহবাসের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল তাঁকে ঘিরে। শোনা যায়, সেই সম্পর্কে নাকি এক পুত্র সন্তানের বাবাও হন আমির। ছেলের নাম রাখা হয় জান। তারপর? কী ঘটেছিল? সেই জানই বা কী করে এখন? বলিপাড়ার গুঞ্জন বলে ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইনসের সঙ্গে একসময় সম্পর্কে ছিলেন আমির। তাঁরা নাকি একসঙ্গে থাকতেনও। শোনা যায়, এমতাবস্থাতেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন জেসিকা।


সে সময় সন্তান চাননি আমির। সম্পর্কে থাকতে গেলে নাকি সন্তান নষ্ট করতে হবে– এমনটাই শর্ত দেন আমির খান, জানিয়েছিল জেসিকার ঘনিষ্ঠ মহল। সম্পর্ককে জলাঞ্জলি দিয়ে জেসিকা চেয়েছিলেন সন্তানকে বাঁচাতে। ছেলের জন্ম হয়। নাম রাখেন জান। পরবর্তীতে জেসিকা অভিযোগ করেন, প্রেগন্যান্সির সময়ে তাঁর একবারও খোঁজ নেননি আমির। সন্তান হিসেবে কোনওদিন মান্যতাও দেননি জানকে। গুজব বলে উড়িয়ে দেন ‘লগন’ অভিনেতা।



জান আমির-জেসিকার ‘লাভ চাইল্ড’ই কিনা তা নিয়ে আজও ধোঁয়াশা, তবু তাঁর মুখের গঠন-হাসির যে অনেকটাই মিল রয়েছে আমির খানের সঙ্গে সে কথা স্বীকার করেছেন খোদ আমির ভক্তও।

কসবার গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। দল যখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেবে স্পষ্ট জানায়, সেই সময় সাংসদ কল্যাণ বলে বসেন, "একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে তা হলে নিরাপত্তা কী করে দেবে?


আমি একজন মহিলাকেই ঘৃণা করি', মহুয়া মৈত্রের 'নারীবিদ্বেষী' উদাহরণ তুলে ধরলেন কল্যাণ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র


আবার তৃণমূলের অন্দরে গৃহযুদ্ধ। দুই সাংসদের প্রকাশ্যে লড়াই। একজন তো মুখের অপর আবার নাম করে বলেই দিলেন, তিনি অপরজনকে ঘৃণা করেন। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আক্রমণ শানাতেও ছাড়েননি। কথা হচ্ছে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে। শনিবার নাম না করে কল্যাণকে ‘নারী বিদ্বেষী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন মহুয়া। তারই পাল্টা এবার সরসরি নাম প্রকাশ করে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে তোপ দাগলেন কল্যাণ। স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “আমি নারীবিদ্বেষী নই। তবে একজন নারীকে ঘৃণা করি। তিনি মহুয়া মৈত্র।”


কী নিয়ে এত গণ্ডগোল।


রাস্তার মাঝেই প্রাইভেট পার্টে হাত! ভরদুপুরে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
Kasba College: মাথায় জেঠুর হাত! ভর্তির জন্য 'পার হেড' ২ লক্ষ করে নিতেন ওই TMCP নেতা? বড় অভিযোগ কসবা কলেজে
নায়কের মুখে পিঁয়াজের বিকট গন্ধ, লিপকিসের পর কী অবস্থা হয় বিপাশার?
কসবার গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। দল যখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেবে স্পষ্ট জানায়, সেই সময় সাংসদ কল্যাণ বলে বসেন, “একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে তা হলে নিরাপত্তা কী করে দেবে? কলেজের ভিতরে যদি করে সেখানে পুলিশ কীভাবে থাকবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ থাকবে? নিরাপত্তা তো সহকর্মীরা দেবে। কিন্তু তারাই তো রেপ করছে।” ঠিক তার পরপরই বিধায়ক মদন মিত্র আবার বললেন, “কাউকে সঙ্গে নিয়ে গেলে হয়ত এমনটা হত না।” বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হলে সঙ্গে-সঙ্গে তৃণমূল পোস্ট করে পরিষ্কার জানায়, এর দায় সম্পূর্ণ বক্তাদের। আর সেই পোস্টকেই শেয়ার করেন মহুয়া। নাম না করে তিনি লেখেন, ‘নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না। কিন্তু যারা এমন মন্তব্য করেন, তাদের নিন্দা করতেও তৃণমূল কংগ্রেস পিছপা হয় না।’

কল্যাণ কী বলেছেন?

মহুয়ার নারীবিদ্বেষী মন্তব্য শুনতেই বেজায় চটেছেন কল্যাণ। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, “ও বলেছে তো আমি নারীবিদ্বেষী? তাই তো? ঘটনা হচ্ছে, উনি কি দেড় মাসের হানিমুন শেষে ফিরেছেন ভারতে? আর ফিরেই পিছনে লাগা শুরু করে দিয়েছেন? আমি আমি নারীবিদ্বেষী নই। সবচেয়ে বেশি কথা আমি তাঁদের জন্য বলি। আর মহুয়া মৈত্র এতটাই নারীবিদ্বেষী কৃষ্ণনগর সংসদীয় এলাকার ভাল কোনও মহিলা নেত্রীকে উঠতে দেন না।”

বস্তুত, সামনের বছরই বিধানসভা ভোট। তার আগে কসবার ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়ছে তৃণমূলের। তার মধ্যে দলের অন্দরের এই গণ্ডগোল অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।



 এই শাখাতেই যাতায়াত করেন অনিরুদ্ধবাবু। একটানা ভোগান্তিতে চাপে পড়েছেন তিনিও। বলছেন, “সমস্যা তো খুবই হচ্ছে! সকাল থেকেই ঠিক মতো ট্রেনে অ্য়ানাউন্সমেন্ট হচ্ছে না। আগের দিন তো বারাসত লোকালও বাতিল হয়েছিল।”


 ‘কী আর বলব বলুন! রোজ অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে’, রাত থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ ট্রেন বাতিল হতেই ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের
কী বলছেন যাত্রীরা?


শিয়ালদহ দমদমের মাঝে লাইনে চলছিল কাজ। আর তার জেরেই শনিবার ও রবিবার বাতিল থাকল গুচ্ছ গুচ্ছ লোকাল ট্রেন। চরম ভোগান্তি যাত্রীদের। ১০ ঘণ্টা পাওয়ার ব্লক করা হল আপ-ডাউন লাইনে। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে রবিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলল কাজ। তাতেই শনিবার রাত থেকে স্টেশনে গিয়েও ফিরতে হল বহু যাত্রীদের। নৈহাটি থেকে ব্যারাকপুর, শান্তিপুর থেকে গোবরডাঙা, কৃষ্ণনগর থেকে বারাসত-দত্তপুকুর, সব লাইন বাতিল হয়ে গিয়েছিল প্রচুর লোকাল। যদিও রবিবার বেলা বাড়তেই ধীরে স্বাভিক হতে থাকে পরিষেবা। 

এই শাখাতেই যাতায়াত করেন অনিরুদ্ধবাবু। একটানা ভোগান্তিতে চাপে পড়েছেন তিনিও। বলছেন, “সমস্যা তো খুবই হচ্ছে! সকাল থেকেই ঠিক মতো ট্রেনে অ্য়ানাউন্সমেন্ট হচ্ছে না। আগের দিন তো বারাসত লোকালও বাতিল হয়েছিল। স্টেশনে এসে শুনলাম লাইনে কাজ চলছে। ট্রেন ঠিক মতো না চললে অফিসে ঢুকতে তো সমস্যা হয়। যাতায়াতেও খুব সমস্যা হচ্ছে।”  

এটিও পড়ুন


রাস্তার মাঝেই প্রাইভেট পার্টে হাত! ভরদুপুরে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ


মাথায় জেঠুর হাত! ভর্তির জন্য 'পার হেড' ২ লক্ষ করে নিতেন ওই TMCP নেতা? বড় অভিযোগ কসবা কলেজে


বেঞ্চ জুড়ে তৈরি হয়েছিল খাট, সেখানেই ফেলে গণধর্ষণ? হলদে চাদরেই লুকিয়ে যত রহস্য
আর এক যাত্রী বলছেন, “সকাল থেকে বসে আছি, ট্রেন পাইনি। কাজ সব ঝুলে যাচ্ছে। গন্ত্যবে সময়ে যেতে পারছি না। সকাল ৮টা অবধি তো ট্রেন ঠিক মতো চলেইনি। বাধ্য হয়ে উবার বুক করছি। ওটা ধরেই শিয়ালদহ যাব।” আর এক যাত্রী বলছেন গত রাতে বেরিয়েও একইভাবে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। খানিক ক্ষোভের সঙ্গেই বললেন, “কী আর বলব বলুন! কালও একই ছবি ছিল। রাতে তো সময়ে ফিরতে পারিনি। বনগাঁ, দত্তপুকুর, হাসনাবাদ সব সমস্যায় রয়েছে। কিছু তো করার নেই। অফিসে রোজ লেট হচ্ছে। রোজই একই ছবি দেখা যাচ্ছে।”   

অর্চনা মজুমদারের দাবি পুলিশের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে যে নির্যাতিতার বাড়িতে তালা দেওয়া, নির্যাতিতা কোথায় আছেন তা পুলিশ জানে না। অর্চনা মজুমদারের প্রশ্ন, গণধর্ষণের মতো অভিযোগ ওঠার পর যাঁকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তিনি কোথায় সেটাই পুলিশ জানে না?


নির্যাতিতাকে লুকিয়ে রেখেছে পুলিশ, যাতে...', বিস্ফোরক জাতীয় মহিলা কমিশন
প্রতীকী ছবি

 গত বুধবার কলেজের গার্ড রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সেই অভিযোগের কথা সামনে আসে। আর তারপর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গণধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে শাসক দলের ছাত্রনেতা। কলেজের একজন প্রভাবশালী অস্থায়ী কর্মী বলেও পরিচিত ওই যুবক। কসবার আইন কলেজের সেই ঘটনায় এবার বিস্ফোরক জাতীয় মহিলা কমিশনের। নির্যাতিতা কোথায় জানেই না পুলিশ! এ কথা শুনে হতবাক কমিশন।


রবিবার সকালে ‘সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে’ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। প্রাথমিকভাবে তাঁকে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদেরকে ভিতরে যেতে দেওয়া হলেও ছবি বা ভিডিয়ো তুলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কথা ছিল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে যাবেন কমিশনের সদস্যরা। কিন্তু নির্যাতিতা কোথায় সেই খবরই পেলেন না জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা।


 রাস্তার মাঝেই প্রাইভেট পার্টে হাত! ভরদুপুরে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ


বেঞ্চ জুড়ে তৈরি হয়েছিল খাট, সেখানেই ফেলে গণধর্ষণ? হলদে চাদরেই লুকিয়ে যত রহস্য
অর্চনা মজুমদারের দাবি পুলিশের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে যে নির্যাতিতার বাড়িতে তালা দেওয়া, নির্যাতিতা কোথায় আছেন তা পুলিশ জানে না। অর্চনা মজুমদারের প্রশ্ন, গণধর্ষণের মতো অভিযোগ ওঠার পর যাঁকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তিনি কোথায় সেটাই পুলিশ জানে না? কমিশনের এই সদস্য মনে করছেন পুলিশ আদতে কোথাও লুকিয়ে রেখেছে নির্যাতিতাকে।

পুলিশকে নিশানা করে অর্চনা মজুমদার বলেন, “এটা পরিষ্কার যে পুলিশ ভিকটিমকে কোথাও সরিয়ে দিয়েছে। তাঁকে কোথাও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাঁর বয়ান জানতে না পারে। তাঁর কথা যাতে সাধারণ মানুষের সামনে না আসে। মহিলা কমিশন সাহায্য করতে চাইছে অথচ সদস্যদের শাটল ককের মতো এদিক ওদিক ঘোরানো হচ্ছে। এরকম একটি রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা কোথায়? নারীদের নিরাপত্তাই বা কোথায়?”

কিন্তু, এতদিন পর কেন অভিযোগ? আগে কেন অভিযোগ হয়নি? হিন্দুদের পক্ষে বলার জন্যই কী ফাঁসানো হচ্ছে? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পাল্টা কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।


 জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ, কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে FIR করলেন নির্যাতিতা
কার্তিক মহারাজ


চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ২০১৩ সালের ঘটনা। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মহিলা। জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ এনেছেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলে। 


যদিও অভিযোগ উড়িয়ে মহারাজ বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সত্যেরই জয় হবে। তিনি বলছেন, “আশা করি সত্য সত্যের পথে যাবে। আইন আইনের পথেই যায়।” ইতিমধ্যেই মহিলার পুলিশ প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তিনি বলছেন, আমার উপর তো যে কোনও সময় অ্যাটাক হতে পারে। সে কারণেই পুলিশ প্রোটেকশন দিচ্ছে। 

রাস্তার মাঝেই প্রাইভেট পার্টে হাত! ভরদুপুরে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ


 আমার ক্ষমতা নেই ছেলের হয়ে লড়ার: গণধর্ষণে অভিযুক্তের বাবা
ট্রেডারদের জন্য দারুণ খবর, এবার বাড়ল তাঁদের কাজের সময়সীমা!
কিন্তু, এতদিন পর কেন অভিযোগ? আগে কেন অভিযোগ হয়নি? হিন্দুদের পক্ষে বলার জন্যই কী ফাঁসানো হচ্ছে? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলছেন, “পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক। এতদিন যখন উনি মুখ খোলেননি তখন ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি। এখন মুখ খুলছেন, সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ চলে এল। আদৌও অভিযোগ কতটা সত্য, আগে কেন বিষয়টা সামনে আসেনি সবটা নিয়ে তদন্ত হোক। কিন্তু, এমন যেন না হয় কেউ হিন্দুদের পক্ষে কথা বলার জন্য তাঁকে বিপদে ফেলতে হবে!”  

একদিন আগেই কল্যাণ বলেছিলেন, “নিরাপত্তা সবই রয়েছে। কিন্তু একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে দেয় তাহলে নিরাপত্তা কী করে দেবে বলুন তো আমাকে! কলেজে ভিতরে করলে পুলিশ থাকবে?


ল্যাম্প পোস্টে টাঙিয়ে গুলি করে দেওয়া উচিত’, কসবাকাণ্ডে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন কল্যাণ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়


আইন আছে তাই ফাঁসি হবে। নাহলে ল্যাম্প পোস্টে টাঙিয়ে গুলি করে দেওয়া উচিত। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে নিজের আগের মন্তব্য থেকে ঠিক ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে নাম করে তোপ দাগলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকেও নিশানা করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। অভিযুক্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, কেন এমন একটা খারাপ ছেলে দলে থাকবে? ছাত্র নেতারা কী করছিল? 


শ্রীরামপুরে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে কল্যাণ বলেন, “যে এইভাবে নিজের সহকর্মীকে এভাবে ধর্ষণ করতে পারে তাঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। ফাঁসি ছাড়া কোনও জায়গা নেই।” এরপরই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “দায়িত্বহীন কয়েকজন লোক নেতা হয়ে বসে আছে। যার জন্য মহিলাদের উপর এভাবে নির্যাতন হয় আর উপরের নেতারা কিছু জানতে পারে না। এই দু একটা ছেলে আমাদের বদনাম করে দিচ্ছে। আইন আছে তাই ফাঁসি হবে। আইন না থাকলে এদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে গুলি করে দেওয়া দরকার।”  



কলেজের CCTV ফুটেজ নিজের মোবাইলে অ্যাকসসে করতেন গণধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা! উঠছে ভয়ঙ্কর ভিযোগ
যদিও একদিন আগেই কল্যাণ বলেছিলেন, “নিরাপত্তা সবই রয়েছে। কিন্তু একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে দেয় তাহলে নিরাপত্তা কী করে দেবে বলুন তো আমাকে! কলেজে ভিতরে করলে পুলিশ থাকবে?” তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে জোরদার বিতর্কও হয়। দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় দল কোনওভাবেই এ মন্তব্যকে সমর্থন করে না। 


আজও সকাল থেকে মুখ ভার সুন্দর বনের আকাশে দফায় দফাই চলছে বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে জেরে কত কয়েক দিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় চলছে দফাই দফায় বৃষ্টি

এবং কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে গোটা এলাকা। যে সকল এলাকায় দুর্বল নদী বাঁধ রয়েছে আতঙ্কে রয়েছে সেই সকল পাড়ের বাসিন্দারা আজও সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরে দফাই দফাই চলছে বৃষ্টি কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে এলাকা তবে খাওয়ার দাপট না থাকায় বেনুবনসহ একাধিক


 জায়গায় চালু রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস কচুবেরিয়া ভেসেল ঘাট থেকে প্রত্যেক দিনের মতন আজও চলছে ভেসেল পরিষেবা তবে যদি হওয়ার দাপট দেখা যায় তাহলে বন্ধ করে দেয়া হবে ভেসেল পরিষেবা এখনো পর্যন্ত হাওয়া দাপট না থাকায় যানবাহন থেকে শুরু করে ফ্রি সার্ভিস গুলি চালু রাখা হয়েছে।




প্রাথমিক রিপোর্টে হৃদরোগকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, পুলিশ এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


শ্মশানে শায়িত শেফালি, প্রয়াত স্ত্রীর কপালে শেষ চুম্বন পরাগের



আচমকাই সব শেষ। একসঙ্গে পথচলা, সংসার, স্বপ্ন, পলকে সবটা মিথ্যে করে দিয়ে চলে যাওয়া না ফেরার দেশে। শেফালি জরিওয়ালা আর নেই। প্রায় মধ্যরাতে সেই খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এক পলকে যেন থমকে গিয়েছিল একাধিক জেনারেশন। পর্দায় তাঁর নিত্য উপস্থিতি না থাকলেও তাঁর স্মৃতি সকলের মনে তরতাজা। মাত্র ৪২ বছর বয়সেই সব শেষ। প্রয়াত স্ত্রীকে বুকে আগলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগী।


শনিবার ওশিওয়ারা শ্মশানে শেফালির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শ্মশানে দায়িত্ব নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন পরাগ। পাশে ছিলেন অনেকেই। যদিও এই শোক সহ্য করা যায় না। স্ত্রীকে সাজিয়ে আগলে বসেছিলেন তিনি। শেফালিকে চুম্বন করে বিদায় জানান পরাগ। সিঁথির কাছে সেই শেষ চুম্বন হয়ে থেকে গেল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেফালীর মা-ও, যিনি চোখের জলে ভেঙে পড়েন। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন আরতি সিং, মহিরা শর্মা, পারস ছাবরা, রেশমি দেশাই, শেহনাজ গিল, গায়ক মিকা সিং সহ অনেকেই।


প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে শেষ পোস্ট শেফালির! কী লিখেছিলেন 'কাঁটা লাগা গার্ল'?
পুরুষদের 'বুবস' কেন বাড়ে? 'মেল বুবস' কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
'দেখতে সুন্দর, কিন্তু মনটা...', ঐশ্বর্যকে নিয়ে একী বলে ফেললেন অমিতাভ?
প্রসঙ্গত, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জরিওয়ালা শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। নায়িকা হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে পরাগ তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তাঁর মরদেহ কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে হৃদরোগকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, পুলিশ এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।



২০০২ সালের আইকনিক মিউজিক ভিডিও “কাঁটা লাগা” দিয়ে শেফালি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর তিনি সলমন খান ও অক্ষয় কুমারের সঙ্গে “মুঝসে শাদি করোগি” ছবিতে অভিনয় করেন। বিগ বস ১৩-তে অংশগ্রহণের সময় তাঁর সাবেক প্রেমিক, প্রয়াত অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার সঙ্গে অতীত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনায় আসেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে বিনোদন দুনিয়ায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত বুধবার দক্ষিণ কলকাতার ল কলেজে এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ইউনিয়ন রুমের ভিতরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা।

কলেজে পৌঁছেও খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল অর্চনাদের, মহিলা কমিশনকে বাধা পুলিশের
অর্চনাদের বাধা

কসবা গণধর্ষণ-কাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনকে ঘটনার অকুস্থলে যেতে বাধা পুলিশের। ঘটনার অকুস্থলের কোনও ছবি তোলা যাবে না, পুলিশের তরফে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার ও তাঁর দুই সঙ্গীকে. তবে পুলিশের নির্দেশ মানতে নারাজ অর্চনা। মহিলা কমিশনের এক্তিয়ার কতটা তা বোঝালেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনেক বাদানুবাদের পর পুলিশের তরফে জাতীয় মহিলা কমিশনকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দেওয়া হয় একাধিক শর্ত, খানিক দূর থেকে দেখতে হবে ঘটনাস্থল। সিল করা গার্ড রুমের ভিতর যাওয়া যাবে না। অর্চনাদের জানায় পুলিশ।


গত বুধবার দক্ষিণ কলকাতার ল কলেজে এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ইউনিয়ন রুমের ভিতরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার পরই গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক। পুলিশের পাশাপাশি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় মহিলা কমিশনও।



আপনি কি পাশে আছেন?', কসবায় গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তের বান্ধবী বললেন...
সেই মতোই রবিবার দক্ষিণ কলকাতার ল কলেজে প্রবেশ করেন অর্চনারা। যেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল অর্থাৎ অকুস্থলে প্রবেশ করতে চান তাঁরা। ঘটনাস্থল স্বচক্ষে দেখার পাশাপাশি ছবি-ভিডিয়ো করতে চায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কিন্তু তখনই পুলিশের তরফে আপত্তি জানানো হয়। কারণ, ঘটনার অকুস্থল যেহেতু ঘিরে রাখা হয়েছে, সেইখানে প্রবেশাধিকার নেই। সেই কারণেই তৈরি হয় বাদানুবাদ।

এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্চনা। কেন তাঁদের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা উচিত, সেই বিষয়টি পুলিশকে জানান তাঁরা। আজ অর্চনা মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা গুগল করুন। দেখবেন জাতীয় মহিলা কমিশন কোথায়-কোথায় যেতে পারেন।’ বস্তুত, এ দিন অর্চনা মজুমদার কসবা থানায় গিয়েছিলেন। OC-র সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খুব অল্প সময় ছিলেন সেখানে।

এদিন কসবা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুরুতেই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে পুলিশের খাতায় গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়লেও কেন সে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিল?


কেন সিবিআইয়ের বদলে পুলিশ চাইছেন? ব্যাখ্যা দিলেন অগ্নিমিত্রা
অগ্নিমিত্রা পাল


কলকাতা: সময় যত গড়াচ্ছে ততই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে শুক্রবারের পর শনিবারও পথে নামে বিজেপি। লেক টাউনে টায়ার জ্বেলে চলে বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই দলীয় স্তরে তৈরি হয়েছে তদন্ত কমিটি। রিপোর্ট যাবে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গ কথা বলতে বলতেই আচমকা বলে বসেন, সিবিআই নয়, এই ঘটনার তদন্ত করুক পশ্চিমবঙ্গ পুলিশই। তাঁর এ মন্তব্যই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। যদিও কেন তিনি এ কথা বলেন তাঁর ব্যাখ্যাও দিতে দেখা যায় অগ্নিমিত্রাকে।  


এদিন কসবা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুরুতেই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে পুলিশের খাতায় গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়লেও কেন সে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিল? কেন পুলিশ হাত গুটিয়ে বসেছিল সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এরপরই কেন তিনি সিবিআই না চেয়ে পুলিশ চাইছেন সে প্রসঙ্গে বলেন, “এই কেসের তদন্ত পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ করবে। আপনারা কী মনে করেন আমরা ইডিয়ট! ৫ দিনের মধ্য়ে প্রমাণ লোপাট করে দেবেন, তারপর আপনি সিবিআইকে দেবেন। আর তারপর বলবেন সিবিআই তো কিছু করতে পারেনি। করবে কোথা থেকে? প্রমাণ তো লোপাট হয়ে গিয়েছে। আর দোষটা সিবিআই নেবে! তা হবে না।” 

এটিও পড়ুন

শ্মশানে শাশুড়ির শেষ কাজ করে বাড়ি ফেরার পরই হাড়হিম হয়ে গেল নিতাইয়ের
যদিও এটা যে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত তা বলতে ভোলেননি। সংবাদিকদের বলেন, “এটা অগ্নিমিত্রা পালের ব্যক্তিগত মতামত। বিজেপি কোনও স্টেটমেন্ট দেয়নি। এবং অবশ্যই পুলিশের যেটা কাজ। সেটা পুলিশ করবে।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “আমার সিবিআই প্রচন্ড এফেক্টিভ। কিন্তু, সিবিআইকে আপনি ৫ দিন ১০ দিন পরে কেস দেবেন সমস্ত তথ্য ট্যাম্পার করে দিয়ে! পুরো ভাঙচুর করে! আমরা তো আর বকা নয়। তাই এবারের কেস এই পুলিশকে দিয়েই তদন্ত হোক। এটা আমার মত। তবে বিজেপির মতামত আমার শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে।”  

ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সূত্র ধরেই বলা যেতে পারে, দেশবাসী এবার শুধু আর ইন্দিরা নয়, মনে রাখবে মোদীর কথাও। যেমন রেখেছে রাকেশের কথা। রাখবে শুভাংশুর কথাও।


ইন্দিরাকে রাকেশ বলেছিলেন 'সারে জাঁহা সে আচ্ছা...', মোদীকে ভারত নিয়ে কী বললেন শুভাংশু?
বাঁদিকে শুভাংশু, ডানদিকে মোদী

৪১ বছর আগে মহাকাশে যাওয়া প্রথম ভারতীয় নভশ্চর রাকেশ শর্মার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই সময় প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না। একে অপরের মুখও দেখতে পারেননি তারা। কিন্তু কথা হয়েছিল। ইন্দিরা জেনেছিলেন, মহাকাশ থেকেও ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা…’।


চার দশক পর কোনও ভারতীয় ফের একবার মহাকাশে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে না, এমনটা কি হতে পারে? শনিবার বিকালে নয়াদিল্লি থেকে ফোন গেল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে। ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সূত্র ধরেই বলা যেতে পারে, দেশবাসী এবার শুধু আর ইন্দিরা নয়, মনে রাখবে মোদীর কথাও। যেমন রেখেছে রাকেশের কথা। রাখবে শুভাংশুর কথাও।

এটিও পড়ুন
দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের মিটিং শেষ, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা ঘোরাতে চলেছে ভারত?
ট্রেনে খাবার নিয়ে আর চিন্তা নেই, মাত্র ১৫ টাকাতেই পেট ভরাবে রেল
বর্ধমানেও থ্রেট কালচার! প্রাক্তন অধ্যক্ষ সরব হতেই বর্তমান ইনচার্জ বললেন, 'কিছুই দেখিনি'
কী কথা হল তাঁদের মধ্যে?

প্রধানমন্ত্রী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিয়ো অনুযায়ী, সম্ভবত মোট ১৮ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে মোদীর। এদিন কথোপকথনের প্রথমেই শুভাংশুর শরীর কেমন আছে বলে জিজ্ঞাসা করেন প্রধানমন্ত্রী। শুভাংশু জানান সে ভালই আছে।

৪১ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধী রাকেশ শর্মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, মহাকাশ থেকে ভারতকে কেমন দেখায়। তার পাল্টাই রাকেশ শর্মা দিয়েছিলেন সেই ঐতিহাসিক উত্তরটি। এদিন মোদী জানতে চাইলেন মহাকাশে পৌঁছেই সবার প্রথমে কী ভাবনা এল শুভাংশুর মাথায়। যার পাল্টা নভশ্চর জানালেন, ‘মহাকাশে পৌঁছেই আমি প্রথমে পৃথিবীর তাকাই। এত উপর থেকে কোনও সীমানাই দেখা যাচ্ছিল না। সবাইকেই এক মনে হচ্ছে। আর যখন আমার চোখ ভারতের দিকে যায়। আমি দেখি, এই দেশ সত্যি কত বড়। যা কখনওই ম্যাপে ফুটে ওঠে না।’



উল্লেখ্য, ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিটে আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আকাশের দিকে ছুটে যায় ফ্যালকন ৯ রকেট। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’। দীর্ঘ টালবাহানার পর শুভাংশু শুক্লা-সহ চার অভিযাত্রীকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগনযান’। পৌঁছছে বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ। মহাকাশে এখনও পর্যন্ত তারা কাটিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা।



কল্য়াণ-মদনের মন্তব্য আপাতত সেই প্রশ্নগুলোকে উস্কে দিচ্ছে। কিন্তু উত্তর কে দেবে? উত্তর দেওয়ার লোক না মিললেও নিন্দার মিলেছে। যা করেছে খোদ তাদের দলই।


কসবা-কাণ্ডে কল্যাণ-মন্তব্যে 'নিন্দা' দলের, ঘি ঢাললেন মহুুয়া! তেলে-বেগুনে শ্রীরামপুরের সাংসদ

হেসে হেসে নিশানা করা শ্রীরামপুরের সাংসদের বরাবরের অভ্যাস। তবে শনিবার দলেরই একটি পোস্টে তিনি যখন অমত পোষণ করে কমেন্ট করছিলেন, তখন হয়তো সেই হাসি মুছে গিয়েছিল তাঁর মুখ থেকে।


যত বচসার সূত্রপাত শুক্রবার। কসবায় হওয়া নৃশংসা ঘটনা প্রসঙ্গে ‘বিরুপ’ মন্তব্য করে বসেন তৃণমূলের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা সবই রয়েছে। একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে তা হলে নিরাপত্তা কী করে দেবে? কলেজের ভিতরে যদি করে সেখানে পুলিশ কীভাবে থাকবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ থাকবে? নিরাপত্তা তো সহকর্মীরা দেবে। কিন্তু তারাই তো রেপ করছে।’


'আপনি কি পাশে আছেন?', কসবায় গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তের বান্ধবী বললেন...
শুধু কল্যাণ নয়। মন্তব্যের বাহারে নজর কেড়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও। তাঁর আবার বক্তব্য, ‘উনি যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় যদি সঙ্গে করে আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে যেতেন বা কাউকে জানাতেন এটা ঘটত না। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা তো সুযোগেরই ব্যবহার করেছেন।’



নিরাপত্তা প্রদানের দায় কার? প্রশাসন নাকি কোনও ব্যক্তির নিজেরই? ধর্ষণের কি কোনও কারণ বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে? কল্য়াণ-মদনের মন্তব্য আপাতত সেই প্রশ্নগুলোকে উস্কে দিচ্ছে। কিন্তু উত্তর কে দেবে? উত্তর দেওয়ার লোক না মিললেও নিন্দার মিলেছে। যা করেছে খোদ তাদের দলই।



শনিবার নিজেদের সমাজমাধ্য়মে কল্যাণ-মদনের মন্তব্যের নিন্দা করে তৃণমূল জানিয়েছে, ‘ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনও ভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনও ভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।’

দলের লাইনে সুর চড়িয়েছেন সাংসদ মহুয়াও। ওয়াকিবহাল মহল বলে, তাঁর সঙ্গে আবার কল্যাণের তেলে-বেগুনে সম্পর্ক। তিনি কারওর নাম না করেই ইঙ্গিতে কল্যাণ-মদনকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া লিখেছেন, ‘নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না। কিন্তু যারা এমন মন্তব্য করেন, তাদের নিন্দা করতেও তৃণমূল কংগ্রেস পিছপা হয় না।’



সমাজমাধ্যমে যখন দলীয় লাইন ‘সেট’ করছে তৃণমূল। সেই সময়ই তাঁর নিন্দা করেই দলের করা পোস্টে গিয়ে কমেন্টে অমত পোষণ ও বিরোধিতা করলেন কল্যাণ। লিখলেন, ‘দলের এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করি না। তারা কি ঘুরপথে অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া নেতাদের সমর্থন করছে? যে সকল নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।’

তাঁর সংযোজন, ‘এর থেকেও দুর্ভাগ্যজনক, যে সকল নেতারা ২০১১ সালে পর এসেছে তারাও কিন্তু এই ধরণের অপরাধের জন্য মাঝে মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তবে আমি তাদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাই, যারা এই অপরাধীদের উৎসাহ দেয়। আমার বিবৃতির আসল অর্থ বুঝতে হলে, একটি নির্দিষ্ট স্তরের নৈতিক ও বৌদ্ধিক দীপ্তি প্রয়োজন। যা আপাতত অনুপস্থিত বলেই মনে হচ্ছে।’

বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার পাকরিদয়ালের বাসিন্দা বিভা কুমারী দেশের প্রথম নাগরিক, যিনি মোবাইলের মাধ্যমে ভোট দিলেন।

কষ্ট করে বুথে যেতে হবে না, এবার বাড়ি বসেই দিতে পারবেন ভোট! ইতিহাস গড়ল বিহার
প্রতীকী চিত্র।

কোনও জিনিসের প্রয়োজন হলে এখন আর বারবার দোকানে যেতে হয় না। অনলাইনে অর্ডার করে দিলেই কয়েক মিনিটে তা বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। আধুনিক যুগে যখন সব কিছুই মোবাইলে সম্ভব, তাহলে ভোট দিতে কেন কষ্ট করে বুথে যেতে হবে? এবার ভোটও হল মোবাইলে। বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে ভোট দিলেন ভোটাররা।


ইতিহাস তৈরি করল পড়শি রাজ্য বিহার। শনিবার প্রথম মোবাইল ফোন ভিত্তিক ই-ভোটিং হল বিহারের স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ভোটে সাড়াও মিলেছে বেশ ভাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দীপক প্রসাদ জানান, ৭০.২০ শতাংশ ভোটার ই-ভোটিং সিস্টেমে ভোট দিয়েছেন।






তবে সকলে এই ই-ভোটিং ব্যবস্থার সুবিধা পাবেন না। প্রবীণ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা বা বিশেষভাবে সক্ষম যারা, তারাই অনলাইনে বাড়ি বসে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া পরিযায়ীরাও এই ভোটিংয়ের সুবিধা পাবেন। এই পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

বিহারের মোট ৬টি নগর পঞ্চায়েত ও পুরসভার উপনির্বাচনে অনলাইনে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি ভোট হয়েছে। মোট ভোটের হার ৬২.৪১ শতাংশ। ৩০ জুন ভোটের ফল প্রকাশ হবে।




প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন যে বিধানসভা ভোট পর্যন্ত এই জোট থাকবে। বিজেপির এখনও সেই প্রস্তুতি নেই যে নীতীশ কুমারকে সরিয়ে ফেলতে পারবে। সেই কারণেই তাঁকে ভোটের মুখ করা হচ্ছে।


 '...আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না', ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন PK, মিলবে কথা?
প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী।


তিনি কিং মেকার। তাঁর ভোট কৌশলের সামনে বাঘা বাঘা নেতারাও ফেল। এবার তিনিই রাজনীতির ময়দানে। চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। জন সূরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে দিলেন, এবার আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না নীতীশ কুমার।


একসময়ে জেডিইউ-র হয়ে ভোটকুশলীর কাজ করেছেন। ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসেরও ভোটকুশলী ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, বিহারের ৬২ শতাংশ মানুষই পরিবর্তন চান। জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার এবারের নির্বাচনের পর আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না।

এটিও পড়ুন

কোথাও প্রেমদা, কোথাও রিয়াদি, কোন কলেজে কোন 'দাদা'-র দাপট চলে জানেন?


নির্যাতিতাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে..., সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা পড়ল সবটা, রক্তের নমুনা পেল ফরেন্সিক

নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষত, গলায় স্পষ্ট কামড়ের দাগ, কসবা কাণ্ডে মেডিক্যাল রিপোর্টে শিউরে ওঠার মতো তথ্য
পিকে বলেন, “আগামী ২ মাসে স্থির হয়ে যাবে যে ৬০ শতাংশ মানুষ, যারা পরিবর্তন চান, তারা কাকে ভোট দেবেন। যারা আগে তাদের আশাহত করেছে, তাদের নাকি নতুন বিকল্প বেছে নেবে। যা-ই হোক, নীতীশ কুমার নভেম্বরের পরে আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। বিহার নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে। এ কথা আমি লিখে দিতে পারি।”

পিকের দাবি, নীতীশ কুমারের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা দেখেই তিনি নিশ্চিতভাবে এ কথা বলছেন। তিনি বলেন, “বিহারের সবাই জানে যে নীতীশ কুমারের এমন মানসিক ও শারীরিক অবস্থা যে তিনি কিছু করতে পারেন না। যে ব্যক্তি স্টেজে বসে পাশে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুলে যান, জাতীয় সঙ্গীত ভুলে যান…এক বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি, যিনি নিজের খেয়াল রাখতে পারেন না, তিনি বিহারের খেয়াল রাখবেন? যদি আমি-আপনি এই কথা জানি, প্রধানমন্ত্রী মোদী-অমিত শাহ জানেন না?”

নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন যে বিধানসভা ভোট পর্যন্ত এই জোট থাকবে। বিজেপির এখনও সেই প্রস্তুতি নেই যে নীতীশ কুমারকে সরিয়ে ফেলতে পারবে। সেই কারণেই তাঁকে ভোটের মুখ করা হচ্ছে।

যদি নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী না হন, তাহলে কি আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী হবেন? প্রশান্ত কিশোরের দাবি, তেজস্বীও মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দল জন সূরজ পার্টি থেকেই হবে বলে দাবি। তবে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নন, তাও স্পষ্ট করে দেন।

পিকের ভবিষ্যদ্বাণী, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩টি আসনের মধ্যে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ ২৫টির বেশি আসন জিতবে না

ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার দখল করে রাখা ইউক্রেনের অংশ থেকে চুরি করা গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। রয়টার্সকে জানানো অভিযোগে ইউক্রেন বলেছে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চুক্তির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।


শেষে কি না 'গম চোর' বাংলাদেশ! ফুঁসে উঠল ইউক্রেন, মান-সম্মান টুকুও রইল না ইউনূস জমানায়
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গম চুরির অভিযোগ।

গণতন্ত্র আগেই লাটে উঠেছিল। এবার বিশ্বমঞ্চে মান-সম্মানটুকুও খোয়াল বাংলাদেশ। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি চুরির অভিযোগ। ইউক্রেনের অভিযোগ, গম চুরি করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভুয়ো কোম্পানির নামে ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। তাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা দাবি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইউক্রেন।


ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার দখল করে রাখা ইউক্রেনের অংশ থেকে চুরি করা গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। রয়টার্সকে জানানো অভিযোগে ইউক্রেন বলেছে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চুক্তির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। দেশে গম আমদানির জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি না করে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে গম কিনেছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিযোগ করবে বলেই জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলির উপরে যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, সেই দাবি জানানো হবে।

এটিও পড়ুন
কসবা-কাণ্ডে কল্যাণ-মন্তব্যে 'নিন্দা' দলের, ঘি ঢাললেন মহুুয়া! তেলে-বেগুনে শ্রীরামপুরের সাংসদ
৭২ ঘণ্টার ব্যবধান! খাঁ-খাঁ করা কলেজ ঢেকেছে নিরাপত্তায়, পুলিশের সঙ্গে এলেন নির্যাতিতা
পাতাল থেকে উঠে 'নতুন' ইরান দেখবেন খামেনেই?
ইউক্রেনের এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, রাশিয়ার বন্দর থেকে দেড় লক্ষ টনের বেশি গম বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে ঢাকাকে সতর্ক করা হলেও, তারা কোনও জবাব দেয়নি। গম আমদানি বন্ধও করেনি। এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকার গমের সঙ্গে নিজেদের গম মিশিয়ে রফতানি করছে, যাতে ধরা না পড়ে। ইউক্রেন এই কাজকে অপরাধ বলে গণ্য করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে, বাংলাদেশের দাবি তারা চুরি করা গম নেয়নি।

রাতভর সেখানেই কাটানোর পর, আজ রবিবার সুকান্ত মজুমদার লকআপ থেকে বেরিয়ে বললেন, বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে, কেউ ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেবেন না।


'দেখব পুলিশের কত ক্ষমতা', লালবাজার থেকে বেরিয়ে জামিন প্রত্যাখান আন্দোলনের ঘোষণা সুকান্তর
সুকান্ত মজুমদার।


সারারাত বসেছিলেন লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে শনিবার দুুপুরে গড়িয়াহাট চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে। তাদের আনা হয়েছিল লালবাজারে। রাতভর সেখানেই কাটানোর পর, আজ রবিবার সুকান্ত মজুমদার লকআপ থেকে বেরিয়ে বললেন, এবার বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে, কেউ ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেবেন না।


এ দিন লালবাজার থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তমোঘ্ন ঘোষ সহ ৩২ জন নেতা মিলে জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন শুরু করলাম। এরপরে পশ্চিমবঙ্গের যেখানেই বিজেপির কর্মকর্তারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হবেন, আমরা জামিন প্রত্যাখান করব। আমরা দেখতে চাই, পুলিশের বেশি ক্ষমতা নাকি বিজেপি কার্যকর্তাদের। পশ্চিমবঙ্গে কত জেল রয়েছে, আমরা দেখতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, গোটা রাত আমরা বসেছিলাম। পুলিশ প্রথমে বলে, সই করে জামিন নিন। আমরা অস্বীকার করায় কিছুক্ষণ পরে বলে, সই করতে হবে না, আপনারা এমনিই চলে যান। অর্থাৎ আমাদের আটকে রাখার কোনও তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তাদের আইনি জায়গাই ছিল না। আমরা বলি যে কোর্টে পেশ করুন। পুলিশ সেই সাহস দেখায়নি। বলল, আমরা আপনাদের কোর্টে নিয়ে যেতে পারব না। আপনারা চলে যান। প্রশ্ন হল, তাহলে আমাদের ৪-৫ ঘণ্টা আটক করে বসিয়ে রাখা হল কেন? এর উত্তরও দিতে পারেনি পুলিশ। গোটা রাত আমরা বেঞ্চের উপরে বসে কাটিয়েছি। খাবার বাইরে থেকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। আহত কর্মীদের ওষুধের জন্যও অনেক লড়াই করতে হয়েছে। খাবারের ওষুধ পাননি তাও। ভিতর থেকে নিতে হয়েছে।

গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কসবার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে শুরু করে কসবা, সব জায়গাতে মা-বোনেরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। আরজি করের ঘটনার ১০ মাসের ব্যবধানে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ঘটনা। গণধর্ষণের শিকার হলেন ছাত্রী। এরপরও একজন মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারেন? বলতে পারেন যে এগিয়ে বাংলা? ওঁর লজ্জা করে না? মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, তাঁর দলের পদ নিয়ে, তাঁর দলের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে এভাবে শারীরিক শোষণ করবে, এটা রাজ্যের মানুষকে বলে দিতে হবে? এরা আগেও শারীরিক শোষণ করেছে। সেই সমস্ত মেয়েরা হয়তো লোকলজ্জায় সামনে আসতে পারেনি। কলেজে নির্বাচন হয় না। অভিযুক্ত ছাত্র বলছে পদ পেতে গেলে কম্প্রোমাইজ করতে হবে, তাঁর প্রতি লয়্যাল থাকতে হবে! কলেজের সম্পাদক পদের জন্য যদি এই ধরনের কম্প্রোমাইজ করতে হয়, তাহলে তৃণমূলের মূল দলে পদ পাওয়ার জন্য মহিলাদের কী ধরনের কম্প্রোমাইজ করতে হবে? এই প্রশ্নটাই তো সবার আগে উঠছে।”

মদনের দাবি, দোষীদের আড়াল করতে তিনি কোনও কথা বলেলনি। আমার বক্তব্যের ভুল বয়ান করা হচ্ছে। সেটা যাঁরা করছে তাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। ফেসবুকে মদন লিখছেন, ‘আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি এমন কোনও কাজ করিনি যা বহুলাংশে মানুষের অপছন্দের কারণ হয়েছে।’


 ‘যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি’, দলেরই একাংশকে টার্গেট করে ফেসবুক পোস্ট মদনের
মদন মিত্র


মুখ খুলে বিপাকে। ‘মানছি না, মানা যাবে না’ বলে খারিজ করে দিয়েছে দল। পোস্ট একেবারে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্পষ্ট লেখা, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনওভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে।’ তা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই দলের এই মন্তব্য যে কোনওভাবেই তিনি মানছেন না তা সোশ্যাল দেওয়ালেই লিখে দিয়ছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। এবার একই রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। 


মদনের দাবি, দোষীদের আড়াল করতে তিনি কোনও কথা বলেলনি। আমার বক্তব্যের ভুল বয়ান করা হচ্ছে। সেটা যাঁরা করছে তাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। ফেসবুকে মদন লিখছেন, ‘আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি এমন কোনও কাজ করিনি যা বহুলাংশে মানুষের অপছন্দের কারণ হয়েছে।’ এরপরই তিনি লিখছেন, ‘আমি দলের বক্তব্য পড়েছি। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আমার ভুল না বোঝার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ প্রয়োজনে তাঁর বক্তব্যের ‘সঠিক’ ব্যাখ্য়ার স্বার্থে তিনি যে কোনওরকম তদন্তের মুখোমুখি হতেও যে প্রস্তুত তা তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন। তারপরই তিনি লিখছেন, আমি আশা করব, ‘দল আগামী কোনও পদক্ষেপের আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।’ কিন্তু কেন এত বিতর্ক? ঠিক কী বলেছিলেন মদন?  



তৃণমূলের বাকিদের মতো মদনও কসবাকাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন। তারপরই বলেন, “উনি যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় যদি সঙ্গে করে আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে যেতেন বা কাউকে জানাতেন এটা ঘটত না। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা তো সুযোগেরই ব্যবহার করেছেন।” যা নিয়ে এত বিতর্ক। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ উঠতেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বলেছিলেন, “একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে তা হলে নিরাপত্তা কী করে দেবে? কলেজের ভিতরে যদি করে সেখানে পুলিশ কীভাবে থাকবে?” তা নিয়েও উঠেছে বিতর্কের ঢেউ। কারও নাম না করে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ করেছেন করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। 

 ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে শুভাংশুর দল। গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসাবে অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানী তথা নভশ্চরদের শুধু পৌঁছে দেওয়াই তার কাজ ছিল না।

 শুভাংশকে পাঠিয়ে ভারতের কী লাভ? জানুন


ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা বেজে ১ মিনিট। আমেরিকার আকাশে তখন বিন্দু মাত্র আলো নেই। ঘুটঘুটে অন্ধকার। যে টুকু আলোকছটা তা সবই কৃত্রিম, যান্ত্রিক। দূরে আকাশে দেখা যাচ্ছে ছোট চাঁদটা। হাতের ঘড়ি দেখে সময় মাপছেন কয়েক জন নভশ্চর। কারণ, আর কিছুক্ষণেই অভ্রভেদী হবেন তাঁরা। পৌঁছে যাবে আকাশে। মহাকাশে। তাদের হয় তো মাটি থেকে আমরা আর দেখতে পারব না। কিন্তু জানব এই শূন্যতার ঠিক কোথাও না কোথাও বিন্দুর মতো একটা জায়গা দখল করে রয়েছে তাঁরা। কথা হচ্ছে ‘ঘরের ছেলে’ শুভাংশু ও তাঁর অন্য সতীর্থদের মহাকাশ যাত্রা নিয়ে।


দীর্ঘ টালবাহানার পর শুভাংশু শুক্লা-সহ চার অভিযাত্রীকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগনযান’। আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আকাশের দিকে ছুটে যায় ফ্যালকন ৯ রকেট। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’। নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মে। কিন্তু সময় যে এখনও সর্বপরি। সেই তো দেবে বিধান। সেই সময়ের টানাপোড়েনেই মোট সাত বার যাত্রা পিছিয়ে যাওয়ার পর তা সফল হয় চলতি সপ্তাহের বুধবার। এরপর প্রায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান।বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকাল ৪টা ০২ মিনিট নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ ঘাঁটিতে পৌঁছে যায় শুভাংশুদের রকেট। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সম্পন্ন হয় ডকিং। ভেসে ভেসে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ISS-এ ঢুকে পড়েন শুভাংশু। কোন উদ্দেশ্যে মহাকাশ ঘাঁটিতে পা দিয়েছেন শুভাংশুরা?



সম্ভবত ১৪ দিন পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশুরা। এর মাঝে তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু রয়েছে অনেকগুলোই। তবে তার মধ্যে শীর্ষ স্থানীয় হচ্ছে, ফসল ফলন। একদম ঠিক শুনছেন। মহাকাশে হবে ফসল ফলানো। আর সেই পথটা খুঁজতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাড়ি দিয়েছেন শুভাংশুরা।

জানা গিয়েছে, ছয় ধরনের চারা নিয়ে গিয়েছে তারা। সেই চারা বীজগুলি দিয়েই মহাকাশে দিনের পর দিন চলবে পরীক্ষানিরিক্ষা। কীভাবে মহাশূন্যের বুকে মানুষ গাছের জন্ম দিতে পারে, সেই বিষয়টাই খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও, গাছের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয় সালোকসংশ্লেষের। সেই কথাটা মাথায় রেখেই নিজেদের সঙ্গে পৃথিবী থেকে সায়ানো ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গিয়েছেন শুভাংশুরা। এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সালোকসংশ্লেষে সাহায্য করে থাকে।

সুনীতা উইলিয়ামস যখন কয়েক মাস মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছিলেন, তখন দেখা গিয়েছিল যে তিনি হাঁটতে, চলতে পারছেন না।স্ট্রেচারে চাপিয়ে তাঁকে ও তাঁর সতীর্থকে নিয়ে যাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানী ও অন্যান্য কর্মীরা। আর এটা শুধু সুনীতা বলেই নয়। মহাশূন্যে গিয়ে নানা শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয় নভশ্চরদের। অতল অন্ধকারে পৌঁছে শুভাংশুও যে অসুস্থবোধ করেছিলেন, তা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন।

শুভাংশু বলেন, ‘আমি এখনও জিরো গ্রাভিটির সঙ্গে অভ্যস্ত হচ্ছি। ঠিক যেমন এক শিশু হাঁটতে শেখে। শিখছি কীভাবে চলাফেরা করতে হয়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তবে আমি প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছি। অনেক ঘুমাচ্ছি। তবে শরীরে কিছুটা অস্বস্তিও হচ্ছে।’ আসলে এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় এও দেখা গিয়েছে, মহাশূন্যে থেকে পৃথিবীতে ফিরে হাড়ে ক্যান্সার হওয়ার মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নভশ্চররা। অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানে সেই নিয়েও চলবে গবেষণা। কীভাবে মহাশূন্যে পেশি ও হাড়কে সচল ও সতেজ রাখা যায় তা খতিয়ে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।

ভারতের কী লাভ?

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভাংশুকে মহাকাশে পাঠানো থেকে পৃথিবীতে ফেরানো পর্যন্ত মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ফেলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো, ঘুরপথে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, এই গোটা অভিযানে ভারতের গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১৩ কোটি টাকা ঢেলেছিল। নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতে আরও ১৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৫৪৮ কোটি টাকা।

এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের মধ্যে দিয়ে আদৌ লাভ হবে ভারতের? নাকি শুধু ইতিহাসের পাতায় নামটাই রয়ে যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভিযানে বিনিয়োগ ভারতকে অনেকটা সুবিধা করে দেবে। এক সময় মহাকাশ অভিযান ‘এলিট’ বা অভিজাত দেশ হওয়ার প্রতীক ছিল। যা ভেঙেছে ভারত। পশ্চিমী ‘সাম্রাজ্যবাদী’ ভাবনাকে এই দেশ বুঝিয়েছে অভিজাত নয়, বিজ্ঞান মনস্কতাই কোনও দেশকে টেনে নিয়ে যেতে পারে মহাকাশের দিকে।

রাকেশ শর্মার পর এই প্রথমবার প্রায় ৪১ বছরের ব্যবধানে কোনও ভারতীয় মহাকাশে পাড়ি দিলেন। ২০২২ সাল থেকেই মহাকাশে নভশ্চর পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরো। সেই সূত্র ধরেই সব ঠিক থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই আকাশের দিকে রওনা দেবে গগনযান। মহাকাশে ভারতের প্রথম নিজস্ব মানব অভিযান। যে কাজে সাহায্য করতে পারবে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তাঁর অভিজ্ঞতাই আরও একাধিক পথ খুলে দিতে পারবে ইসরোর জন্য।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, গগনযান কিন্তু কোনও গ্রহের দিকে যাবে না। এটি মহাকাশে ভারতের প্রথম মানব অভিযান। যা যাবে মহাশূন্যের লিও বা লো-আর্থ অরবিট পর্যন্ত। এই লো আর্থ অরবিট বা মহাকাশের নিম্ন কক্ষে সাধারণ ভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ মোতায়েন করা থাকে।

শুভাংশুর মহাকাশের যাওয়া ভারতের জন্য একাধিক গবেষণা ও অভিযানের পথ খুলে দিচ্ছে। তাঁর ফিরে আসার পর গগনযান সফল হলে, চাঁদের পথে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করবে ইসরো। আর এই কথা তারা আগেই ঘোষণা করেছে। ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, ২০৪০ সালে মধ্যে তারা চাঁদে নভশ্চর পাঠাবে। এমনকি, নিজেদের স্পেস স্টেশনও তৈরি করবে।

বর্তমানে মহাশূন্য একটিই স্পেস স্টেশন বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ ঘাঁটি রয়েছে। ২৫ বছর আগে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘নাসা’, রাশিয়ার ‘রসকসমোস’, ইউরোপের ‘ইএসএ’, জাপানের ‘জাক্সা’ ও কানাডার ‘সিএসএ’ মিলে যৌথ উদ্যোগে এই মহাকাশ ঘাঁটিটি তৈরি করে। মহাকাশে সমস্ত গবেষণা চলে এখান থেকেই। সারা বছর নাসার কোনও না কোনও গবেষক এই মহাকাশ কেন্দ্রে থাকেন। ভারতের এখানে কোনও প্রতিনিধি নেই। শুভাংশুই প্রথম যে কিনা সেখানে পা রাখলেন। তাও কয়েক দিনের জন্য।

সুতরাং বলা যেতে পারে, ইসরো নিজেদের যে মহাকাশ ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে, তাতে শুভাংশুর অভিজ্ঞতা বাড়তি সুবিধাই দেবে। সে যেভাবে একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ ঘাঁটিকে নিজের চোখে কাজ করতে দেখছে, সেই অভিজ্ঞতা এখনও কোনও ভারতীয়রই ‘চেখে দেখার’ সুযোগ হয়নি। অতএব, ভারতীয় নিজস্ব মহাকাশ ঘাঁটি তৈরি হলে তাতে শুভাংশুর অভিজ্ঞতা যুক্ত করবে বাড়তি দীপ্তি।

তবে এত গেল বৈজ্ঞানিক বিষয়াদি। মহাকাশ ঘিরে একটি অদ্ভূত ব্যবসাও শুরু হয়েছে এই বিশ্বে। যা আপাতত অতিধনীদের জন্য। সেই ব্যবসাকে বলা হচ্ছে মহাকাশ পর্যটন বা স্পেস ট্যুরিজম।

কী হয় তাতে?

একটা রকেট। যাতে চেপে রয়েছেন একজন চালক ও বাকি তিন-চার জন পর্যটক। তারা কোথায় যাবেন? তারা যাবেন মহাকাশে। শূন্য থেকে এই পৃথিবী কেমন দেখতে বা শূন্য়তা ঠিক কী রকম, সেই অভিজ্ঞতা পেতেই লক্ষ টাকা খরচ করে তারা উঠে পড়েছেন সেই নির্দিষ্ট সংস্থার রকেটে। ইতিমধ্যে আমেরিকার বুকে জনপ্রিয়তা বাড়ছে মহাকাশ পর্যটনের। ঠিক যেমন ভাবে সমুদ্রের অতল গভীরে পর্যটন ব্যবসা খুলেছে ‘টাইটান’। ঠিক তেমন মহাকাশেও পর্যটন ব্যবসা খুলেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স, ব্যবসায়ী তথা জনপ্রিয় সাইট অ্যামাজনের কর্তা জেফ বেজস। একটা ভারী অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মহাকাশ ঘোরাচ্ছে তাঁরা। শূন্যের নিম্ন কক্ষ বা লো আর্থ অরবিট পর্যন্ত পর্যটকদের রকেট চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই সংস্থাগুলি। ইতিমধ্য়েই বেশ কয়েকটি অভিযান সফল হয়েছে। কিন্তু ভারতে কি এই ব্যবসার সম্ভবনা রয়েছে? আসন্ন ভবিষ্যতে হয় তো না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে সম্ভবত। ব্যবসায়ীক মুনাফা নয়। বরং মানুষের হাতের মুঠোয় মহাকাশ টেনে আনা হোক এই পর্যটনের উদ্দেশ্য। যার ভিত্তিপ্রস্তর করছেন শুভাংশু।
আরজি করের আবহে ‘আগমনী তিলোত্তমার গল্প’ নামে একটি শর্ট ফিল্ম বানিয়েছিলেন তাঁরা। দেওয়া হয় সমাজ সংস্কারের বার্তা। এদিন সে প্রসঙ্গেও কথা বলতে দেখা গেল প্রান্তিককে। তবে তাঁর সাফ কথা, মার্কেটিং নয়, তাঁরা কী বলতে চেয়েছেন তা দেখুক মানুষ।

 ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ফায়ার করুন’, শর্ট ফিল্ম বিতর্ক না মিটলেও সরব ‘সামাজিক’ প্রান্তিক-রাজন্যা
ফেসবুক লাইভে প্রান্তিক-রাজন্যা


সৌরভ গুহ ও সুুপ্রিয় গুহর রিপোর্ট  


কলকাতা: আরজি করের আন্দোলনের আবহে তৈরি করেছিলেন প্রতিবাদী শর্ট ফিল্ম। ভাল চোখে দেখেনি দল। সাসপেন্ডও হতে হয়। আপতত দল নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। শর্ট ফিল্মটি ওটিটিতে দেখা গেলেও বিতর্কের পর থেকেই খানিকটা হলেও যেন নিভৃতবাসেই চলে গিয়েছিলেন এই যুগল। এবার কসবা কাণ্ডে যখন ফের উত্তাল শহর কলকাতা তখন ফের প্রতিবাদে সরব তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার। ফেসবুকে করলেন দীর্ঘ প্রায় ৫মিনিটের লাইভ। সাফ কথা, রাজনীতি নয়। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিচার হোক। অভিযুক্তদের এমন শাস্তি হোক যা দেখে শিক্ষা নিক সমাজ। একইসঙ্গে রাজ্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে অপরাজিতা বিল কার্যকর করার পক্ষেও জোরালও সওয়াল করলেন। লাইভের ক্যাপশনে লেখা, ‘ধর্ষককে নিয়ে তর্জা নয় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ফায়ার করুন। অন্য রাজ্যের রেফারেন্স নয়, অপরাজিতা বিলকে কার্যকরী করুন।’ 

এটিও পড়ুন

 '...নাকি এর আগেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে?', প্রশ্ন তুলল BJP
Kasba College Case: 'অভিযোগকারিণীর ট্রমা ভয়ঙ্কর', কথা বলার পর জানালেন লীনা গঙ্গোপাধ্য়ায়
কসবা-কাণ্ডে কল্যাণ-মন্তব্যে 'নিন্দা' দলের, ঘি ঢাললেন মহুুয়া! তেলে-বেগুনে শ্রীরামপুরের সাংসদ
লাইভের শুরুতেই ইঙ্গিতপূর্ণভাবে রাজন্যাকে বলতে শোনা গেল, “সামাজিক রাজন্যা ও সামাজিক প্রান্তিক, মানুষ রাজন্যা ও মানুষ প্রান্তিক হিসাবে আজ আমরা এই লাইভ করছি।” ক্ষোভ উগরে দিলেন ব্যাভিচারীদের বিরুদ্ধে। প্রান্তিক বললেন, “অনেকে হয়তো ভাববে আমরা কী রাজনৈতিক কথা বলব, সেদিকে নজর রাখবে। কিন্তু আমি বা আমরা শুধু এটুকু বলতে চাই যে ঘটনা ঘটেছে তা রাজনীতি, ধর্ম, বর্ণ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়। এমন সাজা হোক যাতে বাকিদের বুঝিয়ে দেওয়া যায় ভবিষ্যতে কেউ যদি এমন ঘটনা ঘটায় তাঁদেরও এমনই হাল হবে।”

 বছর পঁচিশের ওই যুবতী সন্তানদের নিয়ে ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। পরিবারের বাকিরা পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই বছর ৩৮-র এক ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে আসেন এবং দরজা খুলতে বলেন।


ইউনূস জমানায় আর কী কী হবে! কুমিল্লায় বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ, ভাইরাল করে দেওয়া হল পাশবিক অত্যাচারের ভিডিয়োও
প্রতীকী চিত্র।


আবারও লজ্জায় মাথা হেঁট করাল বাংলাদেশ। বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই ধর্ষণের ভিডিয়ো ভাইরালও করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।


ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। মুরাদনগরের একটি গ্রামে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। যুবতী প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও থামেনি। গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করা হয়। এরপর বাইরে তাঁকে সকলের সামনে বিবস্ত্র করা হয় এবং পৌশাচিক অত্যাচার করা হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরালও করে দেওয়া হয়েছে।

এটিও পড়ুন
প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে শেষ পোস্ট শেফালির! কী লিখেছিলেন 'কাঁটা লাগা গার্ল'?
রোজ মার খেতেন প্রথম স্বামীর হাতে, শেফালি ভুগেছেন অবসাদে! কতটা সুখী ছিলেন দ্বিতীয় বিয়েতে?

শ্মশানে শাশুড়ির শেষ কাজ করে বাড়ি ফেরার পরই হাড়হিম হয়ে গেল নিতাইয়ের
জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশের ওই যুবতী সন্তানদের নিয়ে ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। পরিবারের বাকিরা পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই বছর ৩৮-র এক ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে আসেন এবং দরজা খুলতে বলেন। ওই যুবতী দরজা খুলতে অস্বীকার করলে, জোর করে দরজা ভেঙে তিনি বাড়িতে ঢোকেন এবং যুবতীকে ধর্ষণ করেন। শুক্রবার নির্যাতিতা মুরাদনগর থানায় অভিযোগ জানান।

নির্মম অত্যাচারের বর্ণনা করে পড়শিরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলার আর্তনাদ শুনে তারা বাইরে আসেন। দেখেন, বাড়ির দরজা ভাঙা। এরপর নির্যাতিতাকে তাঁরা উদ্ধার করেন। অভিযুক্তকে ধরে মারধর করা হয়। অভিযুক্ত কোনওমতে পালিয়ে যায়। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয় ধর্ষণের ভিডিয়ো।

অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিএনপি নেতা। একাংশের আবার দাবি, তিনি আসলে আওয়ামী লিগ নেতা। মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভিডিয়ো ভাইরাল করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।