বিশ্বভারতীর নানা ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে।


বিশ্বভারতীর শৃঙ্খলা না মানার অভিযোগে বরখাস্ত করা হল অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপককে। বিশ্বভারতীর নানা ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। আগে শোকজ করা হয়েছিল তাঁকে। সেকারণেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের

নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ শোকজ করা হয়েছিল অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ছাত্রীরা। রাত ২ টো নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্য। অভিযোগ, সেদিন সেই বিক্ষোভ উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। আর সেই কারণেই এবার তাঁকে শোকজ করে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, সেদিন যেখানে ভাঙচুর চালানো হয়, ঘেরাও করা হয়, সেখানে একজন অধ্যাপক হিসাবে তিনি ছাত্রদের উস্কানি দিয়েছিলেন এবং উপস্থিত ছিলেন। যা বিশ্বভারতীর নিয়ম বহির্ভূত। তাঁর কাছে এই নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।সেক্ষেত্রে তাঁকে ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই সাসপেন্ড ছিলেন এই অধ্যাপক। এই ঘটনায় সুদীপ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “ছাত্রছাত্রীরা প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁদের উস্কানি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।” সূত্রের খবর, অধ্যাপকের জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এরপর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না চলবে না। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করা মামলায় নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাসে বার বার ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতী। মধ্যরাতেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ছাত্র-ছাত্রীদের করা অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours