September 2025

হৃদয়ের ক্যানভাসে মা: মন্দিরতলা সার্বজনীন দুর্গা পূজার উদ্বোধন

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের মন্দিরতলা সার্বজনীন দূর্গা উৎসব পুজো কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও এক নতুন বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। তাঁদের এবারের থিম— "হৃদয়ের ক্যানভাসে মা", যা মণ্ডপে আগত সকল দর্শককে এক অন্যরকম অনুভূতির জগতে প্রবেশ করার হাতছানি দিচ্ছে। এই মণ্ডপের শৈল্পিক ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ ইতিমধ্যে সাগরদ্বীপের মানুষের নজর কেড়েছে।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রথমে এই উৎসবের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিনের টানা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তিনি সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। অবশেষে, সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পূজামণ্ডপের শুভ উদ্বোধন করা হলো।
এই পবিত্র ও আনন্দময় মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বরিষ্ঠ মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তিনি প্রদীপ জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের সূচনা করেন। তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী মহোদয় পুজো কমিটির এই সুন্দর ভাবনা ও আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সকলকে শারদ উৎসবের শুভেচ্ছা জানান।

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, সহকারী সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান, এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যরা। তাঁদের উপস্থিতি এই উৎসবকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
মন্দিরতলা সার্বজনীন দুর্গা পুজো শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি গঙ্গাসাগরের মানুষের কাছে মিলন ও ভালোবাসার প্রতীক। এবারের থিম "হৃদয়ের ক্যানভাসে মা" যে দর্শকদের মনে এক স্থায়ী ছাপ ফেলবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উৎসবের এই প্রারম্ভিক দিনে মণ্ডপে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে যে এই পুজো কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আগামী কয়েকটা দিন সাগরের মানুষ এই উৎসবের আনন্দ ও উল্লাসে মেতে উঠবেন।

ইরাকে আটকে থাকা নামখানার শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার।


 ইরাকে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও এখনো আটকে বাংলার ১২ জন শ্রমিক। যার মধ্যে দক্ষিণ 24 পরগনার ১০ জন। ভিসা শেষ হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরার কোন ছাড়পত্র মেলেনি কোম্পানির পক্ষ থেকে। অবশেষে শ্রমিকরা নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরানোর কাতর আর্জি জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ভিডিওটি দেখেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার। 

এরপরই তিনি শুক্রবার নামখানায় দেখা করতে আসেন ইরাকে আটকে থাকা শ্রমিক গুলির পরিবারের সাথে। এমনকি পরিবারের সামনেই আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার কথাও বলেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ বাপি হালদার। আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি পরিবার গুলিকে রেশন সামগ্রী দেন‌ সাংসদ। সাংসদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস সহ প্রশাসনিক কর্তারা।

স্টাফ রিপোর্টার সৌম্য সুন্দর দাস 

কাকদ্বীপে দুর্গোৎসবের গাইড ম্যাপ  ও মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের হাতে বস্ত্র বিতরণ করা হোলো | 

 দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে সুন্দরবন পুলিশ জেলার কাকদ্বীপ থানায় এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল।  এদিন পূজার গাইড ম্যাপ প্রকাশ এবং গভীর সমুদ্রে প্রাণ হারানো মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শ্রী কোটেশ্বর রাও-এর উপস্থিতিতে মূলত ১০ জন মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে নতুন বস্ত্র ও পূজার অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এই মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছিলেন। মানবিকতার এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াল পুলিশ প্রশাসন।

উক্ত অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও কাকদ্বীপ এবং কাকদ্বীপ থানার পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এছাড়াও, পুলিশের বিশেষ বাহিনী 'উইনার্স'-এর সদস্যরাও এই মহৎ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির অংশ নয়, এটি সুন্দরবন এলাকার বিপন্ন মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। সুন্দরবন অঞ্চলের নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে পুলিশের এই ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

আজ মহা পঞ্চমী মহা পঞ্চমীতে উদ্বোধন হলো ফ্রেজারগঞ্জ ফিসারমেন এ্যাসোসিয়েশন পুজো উদ্বোধন করলাম দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সরকারি সভাধিপতি সীমান্ত কুমার মালি। 

ফ্রেজারগঞ্জ ফিসারমেন এ্যাসোসিয়েশন এবছর ভাবনা চিন্তা বিবর্তন। 

উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহকারী সভাধিপতি সীমান্ত কুমার মালি উপস্থিত ছিলেন ফিশারম্যান সম্পাদক বিজন মাইতি উপস্থিত ছিলেন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রিদিব সাহা উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান কোস্টগারের অফিসার উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিগণেরা
ফ্রেজারগঞ্জ ফিসারমেন এ্যাসোসিয়েশন সদস্য আমাদের ক্যামেরার সামনে কি বললেন শুনে নেব 


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার 

দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে সাগর ব্লকে দুস্থদের মুখে হাসি ফোটালেন মন্ত্রী এবং বিডিও।


বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, আনন্দের দুর্গাপুজো! আর এই উৎসবের প্রাক্কালে সাগর ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির এক মহতী উদ্যোগে হাসি ফুটল এলাকার বহু দুস্থ মানুষের মুখে। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে দুঃস্থ পরিবারগুলির মধ্যে নতুন বস্ত্র এবং রান্নার সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। এই মানবিক উদ্যোগ কেবল উপহার বিতরণ ছিল না, এটি ছিল উৎসবের আনন্দ সকলের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার এক আন্তরিক প্রয়াস।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তাঁর উপস্থিতিতে এই বিতরণ পর্ব এক ভিন্ন মাত্রা পায়। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রাও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, পঞ্চায়েত সমিতির সকল কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষদের চিহ্নিত করে তাদের হাতে এই সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
উৎসবের ঠিক আগে নতুন শাড়ি, ধুতি, জামা এবং রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ পেয়ে সুবিধাভোগী মানুষজনের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ। এই উপহার তাদের উৎসবের দিনগুলো কাটানোর জন্য এক বিশাল সহায়ক হবে।

বিতরণ শেষে মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এবং বিডিও কানাইয়া কুমার রাও উপস্থিত সকল মানুষকে দুর্গাপূজার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী বলেন, "দুর্গাপূজা মানে শুধু আনন্দ করা নয়, এর মানে হলো সকলের মধ্যে সেই আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া। আমাদের এই ছোট প্রচেষ্টা যদি দুস্থ মানুষদের মুখে সামান্যতম হাসিও ফোটাতে পারে, তবে সেটিই আমাদের সার্থকতা।" বিডিও মহাশয়ও উৎসবের মরসুমে সকলের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। ব্লক প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগ সমাজকে একতার বার্তা দিল। এই ধরনের উদ্যোগ আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

​রুদ্রনগর দেবেন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তি: বিদ্যা ও মানবতার মেলবন্ধন


​গঙ্গাসাগর, ২৫ সেপ্টেম্বর — বিদ্যা, সংস্কৃতি আর সমাজসেবার এক চমৎকার মিশেলে সোমবার মেতে উঠলো গঙ্গাসাগরের রুদ্রনগর দেবেন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলের। ৭৫ বছর পূর্তির এই শুভক্ষণে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেজে উঠেছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। একই মঞ্চে পালিত হলো শিক্ষাগুরু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিন এবং এক মহতী স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।
​অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল এলাকার প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি। এই মহতি কর্মসূচিতে যোগ দেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তিনি বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং বিদ্যাসাগরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রাও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
​মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তাঁর ভাষণে বলেন, "রুদ্রনগর দেবেন্দ্র বিদ্যাপীঠ কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি এলাকার জ্ঞান ও মূল্যবোধের এক পীঠস্থান। ৭৫ বছরের এই সুদীর্ঘ পথ চলা নিঃসন্দেহে এক গৌরবময় ইতিহাস।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিদ্যাসাগরের জন্মদিন স্মরণ এবং একইসাথে পুজোর মরশুমে মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন প্রমাণ করে যে, এই বিদ্যালয় কেবল পুঁথিগত শিক্ষাতেই নয়, মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষাদানেও বদ্ধপরিকর।
​সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রাও এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেবার মনোভাব গড়ে তোলার জন্য এই ধরণের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

​বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিচালন কমিটি জানান, স্বাধীনতার আগের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি এলাকার হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে শিক্ষিত করে সমাজের মূলস্রোতে প্রতিষ্ঠা করেছে। ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সূচনা হলো এই দিন। রক্তদান শিবিরে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় যুবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন, যা পুজোর মরশুমে রক্তের অভাব মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই দিনে রুদ্রনগর দেবেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রাঙ্গণ যেন একাধারে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবসেবার মিলনক্ষেত্রে


বাংলায় বাড়ি গ্রামীন প্রকল্প আবাস বন্ধু নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল।

পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য awaas mitra/Awaas Facilitator Sangathan পক্ষ থেকে আজ একটি deputation দেওয়া হয় রাজ্য panchayet দপ্তরে, 
১- বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাংলার ছেলে Awaas Bandhu/Awaas Facilitator Awaas Mitra দের কাজ থেকে বঞ্চিত করছেন রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর! 

2- দীর্ঘ 2019-20, 2020-২১,2021-22 অর্থ বর্ষে বকেয়া পারিশ্রমিক পারিশ্রমিক অবিলম্বে প্রদান করিবার দাবিতে deputation দেওয়া হয়।

পুজোর আগেই বকখালিতে স্বচ্ছতাই সেবা কর্মসূচি পালন করল কোস্ট গার্ড 

পুজোর আগেই বকখালিতে স্বচ্ছতাই সেবা কর্মসূচি পালন করল ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল রক্ষী বাহিনী। কমান্ড্যান্ট দীনেশ কুমারের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

তাঁরা স্থানীয় লোকজনকে এই কর্মসূচির গুরুত্ব সম্বন্ধে অবহিত করেন। এবং বকখালির সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উপর সম্বন্ধে তাদেরকে অবহিত করেন। উপকূল রক্ষায় তাঁরা সর্বদা সতর্ক বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এই কর্মসূচি নিয়ে একটি মিছিল করা হয়। সেই মিছিল থেকে পর্যটকরাও এই কর্মসূচির বিষয়বস্তু সম্বন্ধে জানতে পারেন।


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
 

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, পুজোয় দুর্যোগের আশঙ্কা: মৎস্যজীবীদের নিয়ে প্রশাসনের বৈঠক


আর ক'দিন পরেই দুর্গাপূজা। উৎসবের আনন্দ যখন তুঙ্গে ওঠার অপেক্ষায়, তখনই বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দুর্গাপূজার কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। এই পরিস্থিতিতে মৎস্যজীবীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রশাসন তৎপর হয়েছে।
আজ গঙ্গাসাগরের ব্লক কার্যালয়ে ব্লক প্রশাসন, সাগর থানা এবং গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, বিডিও কানাইয়া কুমার রাও, এসডিপিও সুমন কান্তি ঘোষ, সাগর থানা ও গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার আইসি ও ওসি সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি এবং সহকারী সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান। এছাড়াও একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মূলত পুজোর মরশুমে ভারী বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার আশঙ্কার কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষাই তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য তাঁদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। এই বৈঠক থেকে মৎস্যজীবীদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সহায়তা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার রাতে কার্যত মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা শহরে। চার দশকের রেকর্ড ভেঙে হয়েছে বৃষ্টি। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এখনই বিরাম মিলবে না। রাস্তা, রেল লাইন সবই জলের তলায়। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল সর্বত্রই ঢুকেছে জল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন যে জল বের করতে গেলে, সেই জল আবার ফিরে আসছে।


ভাঙল মেঘ! মানিকতলা, বালিগঞ্জ, কালীঘাট, উল্টোডাঙা- এক রাতে কোথায় কত বৃষ্টি হল, জেনে নিন


বাংলার উপকূলে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। একের পর এক বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে সেখানে। আর সেই স্থানীয় মেঘের কারণেই হচ্ছে বৃষ্টি। সোমবার রাতের পর মঙ্গলার দুপুরেও নতুন করে ছোট ছোট জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু অল্প সময়ে যা বৃষ্টি হচ্ছে, তা পরিমাণে অনেকটাই বেশি। ফলে জমা জল নামার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বেশিরভাগ জায়গায়।

সোমবার রাতে কার্যত মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা শহরে। চার দশকের রেকর্ড ভেঙে হয়েছে বৃষ্টি। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এখনই বিরাম মিলবে না। রাস্তা, রেল লাইন সবই জলের তলায়। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল সর্বত্রই ঢুকেছে জল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন যে জল বের করতে গেলে, সেই জল আবার ফিরে আসছে। ফলে জল নিষ্কাশন করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।


সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ:

মানিকতলা- ১৮৮ মিলিমিটার দত্তবাগান- ১৯৪ মিলিমিটার বীরপাড়া- ১৫৩ মিলিমিটার মার্কাস স্কোয়ার- ১৩৭ মিলিমিটার বেলগাছিয়া- ১৮৪ মিলিমিটার ধাপা লক- ২২১ মিলিমিটার তপসিয়া- ২৮৪ মিলিমিটার উল্টোডাঙা- ২২১ মিলিমিটার কামডহরি- ৩৪০ মিলিমিটার পামার বাজার- ২৩৯ মিলিমিটার ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার কুলিয়া ট্যাংরা- ২০২ মিলিমিটার চিংড়িঘাটা- ২৪৪ মিলিমিটার বালিগঞ্জ- ২৭৯ মিলিমিটার মোমিনপুর- ২৫৮ মিলিমিটার চেতলা লক- ২৮০ মিলিমিটার যোধপুর পার্ক- ২৯০ মিলিমিটার কালীঘাট- ২৯৭ মিলিমিটার পাগলাডাঙা- ২০৭.৪ মিলিমিটার ট্রিচিং গ্রাউন্ড- ১৪৩.৩ মিলিমিটার ধানখেতি খাল- ১৭২ মিলিমিটার জোকা ডিপিএস- ১০৮ মিলিমিটার বেহালা ফ্লায়িং ক্লাব- ১৮২.৮ মিলিমিটার সিপিটি ক্যানাল- ২৪৯.৪ মিলিমিটার কুঁদঘাট- ২০৫ মিলিমিটার এসএসই পিস- ১১৩.৬ মিলিমিটার

অর্থাৎ সারা রাতে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কামডহরিতে। এরপর মঙ্গলবার ফের বৃষ্টি হলে, পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে, তা নিয়েই আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে কার্যত জলে ডুবে গিয়েছে কলকাতা। কোথাও কোথাও ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে এক রাতে। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরনোই দুষ্কর হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে। এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে আগাম ছুটি ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছুটির কথা জানিয়েছেন।

আজ থেকেই পুজোর ছুটি, ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


 দু’দিন পর থেকে পুজোর ছুটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারই পুজোর ছুটি ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে কার্যত জলে ডুবে গিয়েছে কলকাতা। কোথাও কোথাও ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে এক রাতে। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরনোই দুষ্কর হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে। এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে আগাম ছুটি ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছুটির কথা জানিয়েছেন।


এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বস্তি দিতে এবং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে ২৪ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপর অর্থাৎ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যেহেতু সরকারিভাবে পুজোর ছুটি পড়ছে, তাই কার্যত বুধবার থেকেই দুর্গাপুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে।



মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতা শহরে। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। বেলা বাড়লেও রাস্তা থেকে জল নামানো সম্ভব হয়নি। তাই আশঙ্কা আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না প্রশাসন। পুজো উদ্বোধনের যে পরিকল্পনা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর, তাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিচার ভবনে এদিন বিচারকও বসেননি। একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।



মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মেয়র, মুখ্য সচিব এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে একটানা যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। সোমবার রাতের বৃষ্টিটা একেবারেই অস্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন তিনি। মমতার দাবি, ২-৩দিন ধরেই এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন তিনি।


অনেকবার বলেছি, কলকাতায় ওয়্য়ারগুলো ঠিক করতে...', ৮ মৃত্যুর জন্য CESC-কেই দায়ী করলেন মমতা

জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বাড়ি থেকে কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কলকাতায় বিদ্য়ুৎস্পষ্ট হয়ে যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে, তার জন্য সিইএসসি-কেই দায়ী করেছেন মমতা। তাঁরা দাবি, অনেকবার বলা সত্ত্বেও বিদ্যুতের তারগুলি ঠিক করা হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মেয়র, মুখ্য সচিব এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে একটানা যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। সোমবার রাতের বৃষ্টিটা একেবারেই অস্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন তিনি। মমতার দাবি, ২-৩দিন ধরেই এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন তিনি। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুল ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি অফিসেও কর্মীদের প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘শুধু মঙ্গলবার নয়, বুধবারও অফিস না যাওয়াই ভাল।’



আজ থেকেই পুজোর ছুটি, ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিইএসসি-কে অনেকবার বলেছি, কলকাতায় ওয়্য়ারগুলো ঠিক করতে। শুনেছি ৭–৮ জন মারা গিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই পরিবারগুলোকে সিইএসসি-কে সাহায্য় করতে হবে। তাঁদের একটা করে চাকরি দিতে হবে, আমি স্পষ্ট জানাচ্ছি।” তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বিদ্যুৎ সিইএসসি দেয়, সরকার নয়। তাই, মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেই ব্যবস্থা করা তাদেরই কর্তব্য। দ্রুত যাতে আধুনিকীকরণ করার কাজ শুরু হয়, সেই বার্তাও দিয়েছেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে ফরাক্কায় সঠিকভাবে ড্রেজিং হয় না বলে বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা জলে চারপাশ ভরে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এদিন আগাম ছুটির কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

 সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমরা পাশে আছি, সব সময়, প্রতিটি মুহূর্তে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খুলেছি, আমি দেখছি। কন্ট্রোল রুম সারাক্ষণ খোলা আছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "আকস্মিক দুর্যোগের আক্রমণে বিপর্যস্ত কলকাতা শহরের ও লাগোয়া কিছু এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের সহকর্মীরা ও আধিকারিকরা সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।"

নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম, সমস্যা জানাতে জেনে নিন ফোন নম্বরগুলি
জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা

 রাতভর বৃষ্টি। বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বেরতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে চালু করা হল কন্ট্রোল রুম। নবান্নের তরফে বেশ কয়েকটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ে কোনও সমস্যা হলে কন্ট্রোল রুমে সরাসরি ফোন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়েও কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারেন।

নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কন্ট্রোল রুমে ফোন নম্বরগুলি হল, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ এবং ০৩৩-২২৫৩৫১৮৫। এ ছাড়াও টোল ফ্রি নম্বর ৮৬৯৭৯৮১০৭০-এ ফোন করা যাবে। কোনও ইলেকট্রিক পোস্টে তার ঝুলে থাকলেও এই নম্বরগুলিতে ফোন করে জানালে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।



সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা পাশে আছি, সব সময়, প্রতিটি মুহূর্তে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খুলেছি, আমি দেখছি। কন্ট্রোল রুম সারাক্ষণ খোলা আছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “আকস্মিক দুর্যোগের আক্রমণে বিপর্যস্ত কলকাতা শহরের ও লাগোয়া কিছু এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের সহকর্মীরা ও আধিকারিকরা সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিভিসি-র একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল। নদী, খাল সব টইটম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল। সেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার উপরে এল এই হঠাৎ বিপুল বৃষ্টি। আমি মেয়র, মুখ্যসচিব প্রমুখের মাধ্যমে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছি।”

কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় CESC-র অবহেলাকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ CESC-র অবহেলায় কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। জীবনের কোনও বিকল্প হয় না। তবুও আমরা প্রতি পরিবারের একজনের চাকরি নিশ্চিত করব। ক্ষতিপূরণ দিতে বলছি CESC-কেও। আমি CESC-র সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আন্তরিক সমবেদনার পাশাপাশি এই ক্ষতিপূরণ-ও পরিবারগুলির প্রাপ্য।”

সোমবার রাতের বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর চিত্র দেখল কলকাতা। তবে এখানেই শেষ নয়। আরও বৃষ্টি যে অপেক্ষা করছে, তা একরকম স্পষ্ট করে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

 আরও বৃষ্টি, উত্তাল হবে সমুদ্র, চোখ রাঙাবে গভীর নিম্নচাপ, যা জানাল আলিপুর


মঙ্গলবার সকাল থেকে চোখে পড়েছে তুমুল জল যন্ত্রণার ছবি। মাত্র ৫ ঘণ্টা কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যা বৃষ্টি হয়েছে, তা চার দশকের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে শহরের একাধিক জায়গায়। তবে এই পরিস্থিতি যে আবারও তৈরি হতে পারে, কার্যত সেই ইঙ্গিত মিলল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাসে।


সোমবার রাতের বৃষ্টিতে বলা হচ্ছে ক্লাউডবার্স্ট বা মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। নিম্নচাপের প্রভাবেই এই তুমুল বৃষ্টি। রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কোথাও কোথাও ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। এই মধ্যে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে।




সেটাই ক্রমশ এগিয়ে যাবে উত্তর-পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে। পরে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূল ধরে এগিয়ে যাবে। তাই আপাতত ৫ দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

আগামিকাল বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা বাঁকুড়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা সহ বাকি সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে। .
কলকাতায় আট জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে সিইএসসি জানাচ্ছে, এর মধ্যে পাঁচটি ঘটনা ব্যক্তিগত। একটা সিগন্যাল বক্স থেকে হয়েছে ও দুটো হয়েছে স্ট্রিট লাইট থেকে। ৫০ শতাংশ পরিষেবা চালু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সংস্থা জানাচ্ছে, ১০০ অতিরিক্ত টিম নামানো হয়েছে। সিইএসসি-র ৬০০০ কর্মী রাস্তায় আছে।

দুঃখজনক ঘটনা', ৬০০০ কর্মী রাস্তায় নামানো হয়েছে, ৮ মৃত্যুর পর যা জানাল CESC


নজিরবিহীন বৃষ্টি। শুধুমাত্র কলকাতা শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। পুরো ঘটনায় সিইএসসি-কেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বারবার বলা সত্ত্বেও কলকাতা শহরে বিদ্যুতের তারগুলি বদলানো হয়নি। মঙ্গলবার দিনভর জল যন্ত্রণার পর ৮ মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করল সিইএসসি।


CESC-র তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “এতবড় একটা দুঃখজনক ঘটনা। যা যা করতে হয় করা হবে।” এত বেশি বৃষ্টি যে প্রত্যাশিত ছিল না, সেকথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি।



সিইএসসি-র বক্তব্য, সোমবার রাত থেকে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। সংস্থার কর্তা বলেন, “এমন বৃষ্টিপাত কবে হয়েছে আমার মনে নেই। সারা শহরে জল জমে আছে। নিরাপত্তার কারণে আমাদের বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ করতে হয়েছে। আমরা জানি অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। সব জায়গায় জল বিপদসীমার উপরে গিয়েছে এমনটা নয়, তবে সাউথ কলকাতা ও ঢাকুরিয়া, বেহালা, যাদবপুরে বন্ধ রাখতে হয়েছে বিদ্য়ুৎ পরিষেবা।” আজকের দিনটা সাধারণ দিনের মতো নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

কলকাতায় আট জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে সিইএসসি জানাচ্ছে, এর মধ্যে পাঁচটি ঘটনা ব্যক্তিগত। একটা সিগন্যাল বক্স থেকে হয়েছে ও দুটো হয়েছে স্ট্রিট লাইট থেকে।

৫০ শতাংশ পরিষেবা চালু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সংস্থা জানাচ্ছে, ১০০ অতিরিক্ত টিম নামানো হয়েছে। সিইএসসি-র ৬০০০ কর্মী রাস্তায় আছে।

আর মুখ্যমন্ত্রী যে তার বদলানোর কথা বলেছেন, সেই প্রসঙ্গে অভিজিৎ ঘোষ নামে ওই আধিকারিক বলেন, “অনেক রকমের কারণ আছে। আমাদের দায়িত্ব আছে। আমার বাড়ির তার কীভাবে বদল করব, সেটার তো একটা নিয়ম আছে। আমফানের পরে অনেক কিছু করা হয়েছে। আমফান এমন একটা ঝড়, যার ধাক্কা অনেক বেশি ছিল। এখানে বেশিক্ষণ সাপ্লাই বন্ধ হলে লোকে নিতে পারে না। আমাদের সিস্টেম অনুযায়ী করতে হয়।”
গঙ্গাসাগর গোবিন্দপুর লিটিল স্টার সংঘের দুর্গোৎসব, খবরের কাগজ দিয়ে প্রতিমা, মণ্ডপে গঙ্গাসাগর সেতুর প্রতিচ্ছবি।



দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর গোবিন্দপুর লিটিল স্টার সংঘ এই বছর তাদের দুর্গোৎসবের দশম বছরে পদার্পণ করল। এ উপলক্ষে তারা অভিনব প্রতিমা এবং মণ্ডপ সজ্জার মাধ্যমে দর্শনার্থীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে।
এই বছরের প্রতিমা সম্পূর্ণভাবে পুরোনো খবরের কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মণ্ডপের সামনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আসন্ন গঙ্গাসাগর সেতুর একটি মডেল, যা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই থিমের মাধ্যমে পূজো উদ্যোক্তারা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের প্রতি তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন।

আজ, নামখানা থেকে নৌকাযোগে প্রতিমা গোবিন্দপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গ্রামের মহিলারা ঐতিহ্যবাহী শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা পূজামণ্ডপে স্থাপন করা হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামের সকল বয়সের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উৎসবের আমেজকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
পূজা কমিটির সদস্যরা আশা করছেন, খবরের কাগজের প্রতিমা এবং গঙ্গাসাগর সেতুর থিম দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পূজো মণ্ডপ ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের নজর কেড়েছে এবং আগামী দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে বলে মনে করা হচ্ছে।


 সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই সস্তা হয়ে যাচ্ছে শ্যাম্পু, টুথপেস্ট থেকে শুরু করে টিভি, বাইক, গাড়ি। রুটি, পরটা, পনির, খাখড়া সহ একাধিক পণ্যে আজ থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ উঠে গিয়েছে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকেও জিএসটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 


আজ থেকে কোন জিনিসের দাম কত হবে, তালিকা ধরে মিলিয়ে নিন
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন দাম।

জিএসটি ২.০ (GST 2.0) চালু হচ্ছে আজ থেকে। থাকছে না আর ১২ শতাংশ, ২৮ শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব। এবার শুধু ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব (GST Slab)-ই থাকবে। এরফলে সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই সস্তা হয়ে যাচ্ছে শ্যাম্পু, টুথপেস্ট থেকে শুরু করে টিভি, বাইক, গাড়ি। রুটি, পরটা, পনির, খাখড়া সহ একাধিক পণ্যে আজ থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ উঠে গিয়েছে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকেও জিএসটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এক নজরে দেখে নিন কোন কোন পণ্যে কত জিএসটি বসছে, কতটা সস্তা বা দামি হবে সেই পণ্য-





এক্সাসাইজ বুক, গ্রাফ বুক, ল্যাবরেটরি নোটবুক
ম্যাপ, অ্যাটলাস, গ্লোব
পেনসিল শার্পনার
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিমা, জীবনবিমার প্রিমিয়াম
৫ শতাংশ জিএসটি-
কনডেন্সড মিল্ক
মাখন, ঘি, চিজ
ব্রাজিল নাট, চিনেবাদাম, পেস্তা, ম্যাকাডেমিয়া নাট, খেজুর, ডুমুর, অ্যাভাকাডো, পেয়ারা, আম, কমলালেবু, মুসাম্বি লেবু, আঙুর
মল্ট, স্টার্চ
ঘোড়া
তেন্দু পাতা (বিড়ির পাতা)
রাবার ব্যান্ড
ট্যালকম পাউডার, চুলের তেল, শ্যাম্পু, শেভিং ক্রিম, লোশন, আফটারশেভ লোশন, ডেন্টাল ফ্লস, টুথপেস্ট, টুথ পাউডার, টয়লেট সাবান
মোমবাতি
ফিডিং বোতল, প্লাস্টিক বিড
পশু ফ্যাট, লার্ড ওয়েল, সসেজ,
মার্জারিন, গ্লাইসেরল
বি-ওয়াক্স, ভেজিটেবল ওয়াক্স
সংরক্ষিত মাছ, ক্যাভিয়ার
রিফাইনড চিনি, সুগার কিউব, গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, ক্যারামেল, কোকা বাটার, চকোলেট
কর্ন ফ্লেক্স, সিরিয়াল ফ্লেক্স, পাস্তা, স্প্যাগেটি, ম্যাকারনি, নুডলস, লাসানিয়া, র‌্যাভিয়লি
পেস্ট্রি, কেক, বিস্কুট, ওয়েফার
মাশরুম, ট্রাফল, টমেটো
ফ্রোজেন সবজি
জ্যাম, ফ্রুট জেলি, মার্মালেড, ফলের পিউরি
কাজু,
আম, লেবু, আনারসের স্কোয়াশ, নারকেল জল
চা, কফি, স্যুপ, সস, মেয়োনিজ, কারি পেস্ট
আইসক্রিম
সোয়া বড়ি ও অন্যান্য ডালের বড়ি
নোনতা, ভুজিয়া
ডায়াবেটিক ফুড, ২০ লিটারের প্যাকেজড জল
দুগ্ধজাত পানীয়
মার্বেল, গ্রানাইট ব্লক
পটাশিয়াম আয়োডেট, মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া, মেডিক্যাল গ্রেড হাইড্রোজেন পারেক্সাইড
মেন্থল, পেপারমিন্ট, ডি-মেন্থলাইজ়ড ওয়েল
বিভিন্ন ওষুধ, গজ, ব্যান্ডেজ
এক্স-রে ব্যবহৃত ফোটোগ্রাফিক প্লেট ও ফিল্ম
ল্যাটেক্স রাবার
ট্রাক্টর টায়ার, টায়ারের টিউব
চামড়াজাত পণ্য
কাঠের মূর্তি, পিতলের মূর্তি, পাথরের মূর্তি, কাঠের ফ্রেম
ব্যাম্বু ফ্লোরিং
প্যাকিং বাক্স, ট্রে,
হাতে তৈরি কাগজ, পেপারবোর্ড
কার্পেট
১৮ শতাংশ জিএসটি 
বিড়ি
সিমেন্ট, কয়লা, পিট
ধূপবাতি,
বায়োডিজেল
বিভিন্ন কাগজ
২৫০০ টাকার বেশি দামের জামাকাপড়
এয়ার কন্ডিশনার মেশিন, ফ্যান, ডিশ ওয়াশিং মেশিন
৪০ শতাংশ জিএসটি
পান মশলা
তামাকজাত পণ্য
সিগার, চুরুট, সিগারেট
নন-অ্যালকোহলিক বেভারেজ
ক্যাফিনেটেড বেভারেজ
দামি গাড়ি
৩৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিনের মোটরবাইক
প্রাইভেট জেট
ইয়ট, ভেসেল
পিস্তল, রিভলভার
অনলাইন গেমিং



 বলেছিলেন মজা পেয়েছেন, কেউ আবার বলেছিলেন আর্টিস্টরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিক। আর এবার ওসব ভুলে, ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর নতুন পুজোর গানকে হুলিয়ে প্রশংসায় করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ!
অনির্বাণের পাশে কুণাল, হুলিগানদের 'হুলিয়ে' প্রশংসা
আকাশ মিশ্র

প্রথম গানে সোজাসুজি রাজনীতি, আর দ্বিতীয়তে সোশাল মিডিয়া! কিন্তু দ্বিতীয় গানেও অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর ‘হুলি গান ইজ়ম’ টিম বুঝিয়ে দিল, তাঁদের পুজোর গানে দুগ্গা থাকলেও , তাঁরা বাংলার রাজনীতি থেকে সরছেন না! প্রথম গানে সরাসরি রাজনীতির ময়দানের তিন ঘোষকে টানলেন, তীর্যক মন্তব্য করে রীতিমতো বোমা ফাটিয়ে ছিলেন অনির্বাণ। আর এবারটি গানের কথায় বিঁধলেন সোশাল মিডিয়ায় ‘টরে টক্কা’ চালানো নায়ক, নেতাদের। দ্বিতীয় গানেও বিতর্ক, বাংলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাকে জুড়েছিলেন অনির্বাণ। সেই গান শুনে কেউ বলেছিলেন মজা পেয়েছেন, কেউ আবার বলেছিলেন ‘আর্টিস্টরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড’ নিক। আর এবার ওভাবে ঘুরিয়ে নাক না ধরে, ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর নতুন পুজোর গানকে সরাসরি ‘হুলিয়ে’ প্রশংসা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ!


ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর ‘হুলি গান ইজ়ম’ টিমের প্রথম গানের কথায় রাজনীতির ময়দানের ‘তিন ঘোষ’ (কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ)কে টেনে আনায়, হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক পাড়ায়। অনেকেই মনে করেছিলেন তিন ঘোষকে শব্দের অ্যাটাক করে হয়তো মুশকিলে পড়বেন অনির্বাণ। হয়তো ‘তিন ঘোষ’, অনির্বাণকে পাল্টা দেবেন। কিন্তু ঘটেছিল উল্টোটাই। অনির্বাণের সেই গানকে ‘তীর্যক’ বলেও, কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বলেছিলেন, আমার মজা লেগেছে, ভাল লেগেছে। গানের ধরন, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভাল থেকো অনির্বাণ।”



প্রথম গানের মতো ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর দ্বিতীয় গানও এই মূহূর্তে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই নতুন গানে সোজাসুজি কারও নাম না নিলেও, সোশাল মিডিয়ার ট্রোলবাজ, সোশাল মিডিয়ার বিপ্লবকে জবরদস্ত খোঁচা মারলেন অনির্বাণ। আর এই খোঁচাকেই মন খুলে সাধুবাদ জানালেন কুণাল ঘোষ।

 

 

 

কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্ট-
Kunal (1)

অনির্বাণ ও ‘হুলি গান ইজ়ম’এর নতুন এই গান শুনে আপ্লুত তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ফেসবুকেও অনির্বাণদের ঢালাও প্রশংসা করলেন তিনি। ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর পূজার গান থেকেই লাইন তুলে, ‘হুলিয়ে’ প্রশংসা করলেন কুণাল। তিনি লিখলেন, “গান বাজনা ছাড় চল ফেসবুকটাই করি ওটা দিয়েই সমাজ ভাঙি ওটা দিয়েই গড়ি পার পাবে না কেউ হোক যতই বুকের পাটা ভাই আমরা হব বিপ্লবী আর সবাই চটিচাটা! অনির্বাণদের হুলি গান ইজম -এর নতুন গানের অংশ। যাদের জীবন শুধুই ফেসবুকময়, ফেসবুকেতেই হিরো, ফেসবুকেতেই জিরো, বাতেলা ছাড়া আর কী কী কাজে থাকে কেউ জানে না; চাকরিবাকরি, লেখা, শ্রম, সামাজিক কর্মসূচি, নিদেনপক্ষে পাড়ার ক্লাব, কোথাও দায়িত্বপালনের খবর নেই; তাদের জন্য লাইনগুলো ভারি সুন্দর।”

তবে শুধু পোস্ট করেই ক্ষান্ত দেননি কুণাল। বরং ভিডিয়ো আপলোড করে ঢালাও প্রশংসাও করেছেন। সঙ্গে কুণাল বুঝিয়ে দিলেন, অনির্বাণ ও টিম কাদের জন্য এই গান লিখেছেন।

কী বললেন কুণাল?

আমরা সবাই ফেসবুক করি। আমরা লিখি, অফিসের ফেসবুক, অফিসের পেজ, খবর লিখি তার জন্য ফেসবুক, পুজো সংখ্য়াতে লেখা, তার জন্য ফেসবুক, কোনও অনুষ্ঠানে গেলাম তার তা নিয়ে পোস্ট ফেসবুকে। যেকোনও অ্যাক্টিভিটি শেয়ারের জন্য ফেসবুক। তবে কুণালের মতে, অনেকেই ফেসবুক করেন আমাদের এই অ্যাক্টিভিটিতে চোখে আঙুল দাদা সেজে! কুণালের কথায়, ফেসবুকে কিছু লোকেরা কোনও সৃষ্টিশীলতার মধ্যে থাকেন না। শুধুই ফেসবুক জুড়ে বাতেলা। আমরা কী করছি, তা নিয়ে বাতেলা। শুধুই কমেন্টে ঢুকে নানা মন্তব্য। বিশেষ করে, আমাদের মুখ বেচে করে খাচ্ছেন। কুণাল মনে করেন, অনির্বাণ এই চোখে আঙুল দাদাদেরই বিঁধেছেন।

কুণাল ঘোষের ভিডিয়ো–


তবে প্রশংসা করলেও, কুণাল গানের লাইনে চটি চাটা শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ভিডিয়োতে তিনি বললেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন তৃণমূল নেত্রী, যিনি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠেছেন। আজও হাওয়াই চটি পরেন। যাঁরা তাঁর অনুগামী তাঁদেরকে চটি চাটা বলে অপমান করতে নেই। কেননা, আপনার অফিসে,আপনার ব্যবসায়, আপনার কাজের জায়গায় কী করেন বসের সঙ্গে?”

কল্যাণের মন্তব্যের পরই সুর নরম কাউন্সিলর সূর্য দে-র। তিনি বলেন, "কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। আমিও দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। উনি আমার জন্য এই কথা বলেননি।" অন্যদিকে, হাসান মণ্ডল এই বিষয়ে আর মুখ মুলতে চাইছেন না।

কিছু পেলাম না বলে যদি কেউ দলের বিরোধিতা করে, তবে সে দলের শত্রু। তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’ ডানকুনিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে একথাই বললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবেই কার্যত তিনি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি যারা বিতর্ক তৈরি করছে, সেই নেতাদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ডানকুনি টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি হিসাবে জিয়ারুল আকানের নাম প্রকাশ হওয়ার পর তাঁর সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ডানকুনি পুরসভার কাউন্সিলর সূর্য দে ও কাউন্সিলর হাসান মণ্ডল। তারপরই কল্যাণের এই বার্তা।



রবিবার সন্ধ্যায় চণ্ডীতলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কল্যাণ। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কল্যাণ বলেন, “একটা রাজনীতিবিদের সবথেকে বড় পরিচয় হল যে তাঁর উপর মানুষ ভরসা করবে। কে কী পদ পেল, সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু কিছু পেলাম না বলে যদি কেউ দলের বিরোধিতা করে, সে দলের শত্রু তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তর্ক বিতর্ক ভিতরে হবে, যা হওয়ার যা করার চেষ্টা করা হবে, এর বাইরে কিছু নয়। সবাই সবকিছু পায় না। যে যেটুকু পায়, সেটা যে মেনে নিতে পারে, সে আনন্দে থাকে।”


উল্লেখ্য গত শনিবার সন্ধ্যায় একাধিক জেলার সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। জিয়ারুল আকানকে ডানকুনি টাউনের যুব সভাপতি করা হয়েছে। সেই নাম প্রকাশের পরই সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কাউন্সিলর হাসান মণ্ডল ও কাউন্সিলর সূর্য দে। তাঁরা বলেন, “জিয়ারুল আকান একটা ক্রিমিনাল। নিয়ম করে প্রতিদিন বারে যাওয়াই তার কাজ। রাজনীতি না করেই পদ পেয়েছে আইপ্যাকের রিপোর্টে।” 

 আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ভারত-বিরোধী অবস্থান নিতে চেয়েছিল। নতুন বাংলাদেশ দাবি করেছিল, ভারতের উপরে নির্ভরতা কমাবে তারা। দুই দেশের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তবে ভারতের মুখাপেক্ষি হয়েই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বরং বলা চলে, বাংলাদেশের নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে। 


ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের। এই সম্পর্ক বরাবর মিষ্টি হলেও, সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে সম্প্রতি। বলা চলে, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, তখন থেকেই নতুন বাংলাদেশ যেন ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। কখনও কলকাতা, সেভেন সিস্টার্স দখলের হুমকি দিয়েছে, কখনও আবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছে। তবে সত্যিই কি ইউনূস জমানায় বাংলাদেশ ভারতের উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়েছে? পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে অন্য কথা। দেখা যাচ্ছে, ভারত থেকে আমদানি কমানোর বদলে বরং নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এ কথা ভারত বলছে না, বলছে বাংলাদেশের তথ্যই।




কত আমদানি-রফতানি হল?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বণিক বার্তার তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ১০ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি করা পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৯৩৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ৮৮০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের। শুধু গত জানুয়ারিতেই ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমদানির পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

কী কী পণ্য কেনা-বেচা হয়?
ভারত থেকে বাংলাদেশ সবথেকে বেশি তুলো কেনে। এরপরেই রয়েছে চাল ও সবজি সহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য। এছাড়াও বিভিন্ন খনিজ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিষেবাও আমদানি করে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ ভারতে সবথেকে বেশি রফতানি করে পোশাক।

আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ভারত-বিরোধী অবস্থান নিতে চেয়েছিল। নতুন বাংলাদেশ দাবি করেছিল, ভারতের উপরে নির্ভরতা কমাবে তারা। দুই দেশের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তবে ভারতের মুখাপেক্ষি হয়েই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বরং বলা চলে, বাংলাদেশের নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে। 

কেমন সেই নির্ভরতা, একটু দেখা যাক। বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি কমাবে বললেও, বাস্তবে তা বেড়েছে। ভারত চাল রফতানি শুল্ক কমাতেই গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে ব্যক্তিগত খাতে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হয়। ৪ ও ১৮ ডিসেম্বরে দুই দফায় সরকারিভাবে মোট ১ লাখ টন নন-বাসমতী সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

মহম্মদ ইউনূসের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকারও জি-টু-জির ভিত্তিতে বাংলাদেশে চাল আনা শুরু করে ২৬ ডিসেম্বর। জানুয়ারি মাসে আরও ৫০ হাজার টন চাল সরকারিভাবে আমদানি করার অনুমোদন দেয় ইউনূস সরকার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। আলাদাভাবে বেসরকারিভাবে চাল আমদানিও চলছে। 

কেন ভারতকে ছাড়তে পারে না বাংলাদেশ?
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যতই খারাপ হোক না কেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বাস্তবতা অস্বীকারেরও যে উপায় নেই, তা বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। বণিক বার্তাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেই তিনি ভারত-চিনের সম্পর্কের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন যে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হলেও, বাণিজ্য হয় বিপুল। একইভাবে আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কও তাই। অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু বিষয় রাজনৈতিকীকরণ হয় না। অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি বলেছিলেন, “আন্তঃনির্ভরশীলতার যুগে অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে অস্বীকারের সুযোগ নেই। জনমানসে এক ধরনের ধারণা থাকবেই। কিন্তু যারা নীতি প্রণয়নকারী, যারা দেশ পরিচালনা করবেন; অনেক বিষয়েই তাদের খুব বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেখানে অর্থনৈতিক যুক্তির বিষয় থাকে।”

বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসেন। বাংলাদেশে চাইছে, হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করুক ভারত। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপান-উতোর বেড়েছে। তবে এই কারণে বাংলাদেশের ভারতের উপরে বাণিজ্য নির্ভরতা কমানো সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের যুক্তি, ভারতের বিকল্প বাজার এখনও খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। আর এই বিকল্প খোঁজাও এত সহজ নয়।

বাংলাদেশের তিনদিক থেকে সীমান্ত ঘেরা অবস্থান, খাদ্য ও জ্বালানি আমদানি এবং পোশাক শিল্পের কাঁচামাল নির্ভরতা সহ নানা কারণে বাংলাদেশের ওপর ভারতের ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েইছে। এবং এই প্রভাব শেখ হাসিনার আমলেই বেড়েছে। বিগত এক বছরে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন কূটনৈতিক স্তরেও প্রভাব ফেললেও, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়েনি।

কতটা প্রভাব পড়ল আমদানি-রফতানিতে?
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) ভারত বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ১৪৯ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১০৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবর্ষে রফতানি বৃদ্ধি হয়েছে ৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানই বলছে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি বজায় রয়েছে, এমনকী, তা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ করার পর আগে যেখানে দিনে ৩০০-৪০০ ট্রাক ঢুকত, এখন তা ১৫০-এ নেমে দাঁড়িয়েছে। তবে দুই দেশের বাণিজ্য মহলেরই আশা, বাংলাদেশ নির্বাচিত সরকার গঠিত হলে, পরিস্থিতি বদলাবে।

এক্ষেত্রে এটাও নজরে রাখার বিষয় যে বাংলাদেশে যখনই খাদ্যশস্য বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট দেখা দেয়, তখন ভারতই আমদানির ভরসা হয়ে ওঠে। চাল ও পেঁয়াজ তার উৎকৃষ্ঠ উদাহরণ। বাংলাদেশে সরকার পতনের পর যখন অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তখন বাণিজ্যও প্রভাবিত হয়েছিল। বাংলাদেশে হু হু করে চাল, আলু. পেঁয়াজের মতো জিনিসের দাম বাড়ছিল। শেষে পশ্চিমবঙ্গের হিলি ও বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ফের আমদানি শুরু করতে দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আবার রেডিমেড পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে ৫০০-রও বেশি সুতোকল রয়েছে। কিন্তু এই সুতোকলে ব্যবহারের জন্য সুতো আসে ভারত থেকেই। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার সুতো আমদানি বন্ধ করে দেয়। তারপরও কিন্তু আমদানি কমেনি। স্থল বন্দরের বদলে সমুদ্র বন্দর থেকে সুতো আমদানি শুরু হয়। আগে প্রতি মাসে গড়ে ৫ কোটি কেজি সুতা আসত। বিধিনিষেধ আরোপের পর মে ও জুনে এসেছে গড়ে ৪ কোটি কেজি।

সংঘর্ষ নয়, হামলা। তাও করল কারা? পাকিস্তানি বায়ুসেনা। আর ভুগল কারা? আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, সাধারণ মানুষ। পাক বায়ুসেনার পরপর বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে খাইবার পখতুনখোয়ার মাত্রে দারা গ্রাম।


আস্ত গ্রাম নিমেষে 'মৃত্যুপুরী', নিজের দেশেই বোমা হামলা চালাল পাকিস্তান
নিজের দেশেই হামলা পাকিস্তানের

অদূরেই ‘কাল্পনিক’ ডুরান্ড লাইন। তা পেরিয়ে গেলে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান। পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখোয়া একেবারেই কাবুলিওয়ালাদের দেশ লাগোয়া। মরু জমি, শান্ত, মাঝে মধ্য়ে উত্তপ্ত হয় সন্ত্রাসী হানায়। কখনও আবার উত্তপ্ত হয় তালিবান-পাকিস্তানের সেনা সংঘর্ষে। তবে সোমবারের শুরুটা সেখানে একটু অন্যরকম ভাবে হল।


সংঘর্ষ নয়, হামলা। তাও করল কারা? পাকিস্তানি বায়ুসেনা। আর ভুগল কারা? আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, সাধারণ মানুষ। পাক বায়ুসেনার পরপর বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে খাইবার পখতুনখোয়ার মাত্রে দারা গ্রাম। সম্ভাব্য মৃত্যুর সংখ্যা ৩০। তবে কেউ কেউ বলছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।




স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাত দু’টো নাগাদ পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখোয়া এলাকার ওই গ্রামে পরপর আটটি এলএস-৬ বোমা ফেলেছে পাকিস্তানি বায়ুসেনা। যার জেরে নিমেষে জ্বলে-পুড়ে প্রাণ গিয়েছে শিশু, মহিলা-সহ ৩০ জনের। সমাজমাধ্যমেও বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা), যেখানে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা গ্রাম। উদ্ধার হচ্ছে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া দেহ।

হঠাৎ কেন হামলা?
বরাবরই খাইবার পখতুনখোয়া হয়ে এসেছে তালিবানদের জায়গা। অদূরেই আফগানিস্তান। তাই তাদের পাকিস্তানের ভিতরে আস্তানা গড়তে খাইবার পখতুনখোয়াই হয়েছে সেরা ঠিকানা। যার জেরে তটস্থ হয়েছে পাকিস্তান। সম্প্রতি, এই এলাকায় একাধিকবার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানী সেনা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল পাকিস্তানের এই সন্ত্রাস দমন অভিযানের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একাধিক সাধারণ নাগরিকের। অবশ্য, সোমবারের এই হামলা প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি পাক প্রশাসন।



দেহ উদ্ধারের পর হেস্টিংস থানা এলাকায় ওই যুবকের বাড়ির ঠিকানা পায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করেন। বাড়িতে রয়েছে শ্রেষ্ঠর বৃদ্ধ বাবা-মা। তাঁদের একমাত্র ছেলে শ্রেষ্ঠ। তিনি অবিবাহিত। বাবা-মা তখনও জানতেনই না, ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশের মারফত খবর পান তাঁরা।

সাতসকালে বন্দর এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কার দেহ, খুন নাকি এর পিছনে রয়েছে, অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করে। বেলা গড়াতেই জানা গেল ওই যুবকের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক আদতে হেস্টিংস এলাকার বাসিন্দা। নাম শ্রেষ্ঠ দুর্কা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কপালের ডান দিকে সিঙ্গল শটার ঠেকিয়ে গুলি চালানো হয়েছে।গুলি মাথা ফুঁড়ে বেরোয়নি।

দেহ উদ্ধারের পর হেস্টিংস থানা এলাকায় ওই যুবকের বাড়ির ঠিকানা পায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করেন। বাড়িতে রয়েছে শ্রেষ্ঠর বৃদ্ধ বাবা-মা। তাঁদের একমাত্র ছেলে শ্রেষ্ঠ। তিনি অবিবাহিত। বাবা-মা তখনও জানতেনই না, ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশের মারফত খবর পান তাঁরা।





জানা গিয়েছে, শ্রেষ্ঠ শেয়ার ট্রেড করতেন। ভবানীপুরের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। তবে বাড়ি থেকেই অফিস করতেন তিনি। শেয়ারে বিপুল টাকার ক্ষতি করে ফেলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি রেলের মাঠে টাকা খাটাতেন, তাতে পুরো নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল পরিবার।


 সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উৎসবের মরশুম শেষ হলেই বিহারে ভোট হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর ছট পুজো। এরপরই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। আগামী ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বিহারের নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। 

ছট পুজোর পরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন, কত দফায় হবে?
ফাইল চিত্র।


ছট পুজোর পরই হতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election 2025)। সূত্রের খবর, বিহারের নির্বাচন তিন দফায় হতে চলেছে। আগামী সপ্তাহেই বিহার পরিদর্শনে যাবেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তারপরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে।


সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উৎসবের মরশুম শেষ হলেই বিহারে ভোট হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর ছট পুজো। এরপরই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। আগামী ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বিহারের নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা।



বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ নভেম্বর। তার আগেই নির্বাচন করতে হবে। বিহারে ভোটের প্রস্তুতি কতদূর এগিয়েছে, তা দেখতে রাজ্য সফরে যাবেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআরের পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও খতিয়ে দেখবেন তিনি।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এসআইআরের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। খসড়া ভোটার তালিকায় ৬৫ লাখ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে। শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালত বলেছিল যে এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও গাফিলতি বা অনিয়ম ধরা পড়লে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলেও গোটা প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়া হবে।

এর আগে ২০১৫ সালে ৫ দফায় বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। ৩ দফায় নির্বাচন হয়েছিল ২০২০ সালে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটদের দোষারোপ ‘দুঃখজনক’ বলল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের কাছ থেকে


 শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পাইলটদের দোষ দেওয়া দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতা বলেই উল্লেখ করে। বলেন, "যদি আগামিকাল কেউ বলে যে পাইলট এ বা বি-র দোষে দুর্ঘটনা হয়েছে, তাহলে তার পরিবার ভুগবে..."।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটদের দোষারোপ 'দুঃখজনক' বলল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের কাছ থেকে
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা।

 এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা দোষ ছিল পাইলটের- এই ধরনের মন্তব্যকে দুঃখজনক বলল সুপ্রিম কোর্ট। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্তের দাবি করে জনস্বার্থ মামলা করেছিল। সেই মামলাতেই আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-র কাছে রিপোর্ট চাইল।

এ দিন শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পাইলটদের দোষ দেওয়া দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতা বলেই উল্লেখ করে। বলেন, “যদি আগামিকাল কেউ বলে যে পাইলট এ বা বি-র দোষে দুর্ঘটনা হয়েছে, তাহলে তার পরিবার ভুগবে… যদি পরে চূড়ান্ত রিপোর্টে পাওয়া যায় যে কারোর দোষ নেই? দুঃখজনকভাবে যখন এই ধরনের বিপর্যয় হয়, তখন প্রতিপক্ষ বিমান কোম্পানি সুবিধা পায়।”



সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও ডিজিসিএ-কে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো, যারা গত জুলাই মাসে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, তাদের থেকেও জবাব চাওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল ও ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দরের মধ্যে শেষ কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছিল। ককপিটের অডিয়োয় শোনা গিয়েছিল, এক পাইলট বলছেন, তুমি ফুয়েল কাট কেন করলে? আরেক পাইলট তখন বলেন, আমি করিনি। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছিল পাইলটের দোষে কি মৃত্যু হয়েছিল?

গত ১২ জুন দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমান টেক অফের কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। বিমানের ১২ জন ক্রু ও ২২৯ জন যাত্রীই মারা যান। যে মেডিক্যাল কলেজের উপরে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেখানের ১৯ জন ছাত্র-ছাত্রীরও মৃত্যু হয়। একমাত্র বেঁচে যান বিশ্বাস কুমার।

জানা যাচ্ছে,গরিমা তাঁর পরিবারের সঙ্গেই ওই আবাসনে থাকতেন। গতকাল রাতেও পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খেয়েছিলেন। তারপরই ভোরবেলা জানলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত করা গিয়েছে। তরুণীর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে আধ খাওয়া মদের বোতল ও কিছু সামগ্রী।

ঘরে পড়ে আছে আধ খাওয়া মদের বোতল, ভোররাতে ২৫ তলা থেকে সটান ঝাঁপ, ট্যাংরায় মৃত্যু তরুণীর
উপর থেকে ঝাঁপ
সুজয় পাল

কয়েদিন আগে ট্যাংরায় তিনজনের খুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা। দুই ভাই তাঁদের নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের খুনের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তাঁরা আত্মহত্যা করতে চান। যদিও এক সন্তান বরাত জোড়ে বেঁচে গেলেও অপরজনের মৃত্যু হয়। এবার আবারও ট্যাংরায় মৃত্যুর অভিযোগ। বহুতলের নীচ থেকে উদ্ধার তরুণীর দেহ।



স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানাল সাউথ রোডের আবাসনের ২৫ তলায় থাকতেন তরুণী গরিমা লোধ (২৯)। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বিকট একটা শব্দ হয়। সেই শব্দ পেতেই ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। দেখেন আবাসনের পঁচিশ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ওই যুবতী। রক্তে ভেসে যায় গোটা এলাকা।




জানা যাচ্ছে,গরিমা তাঁর পরিবারের সঙ্গেই ওই আবাসনে থাকতেন। গতকাল রাতেও পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খেয়েছিলেন। তারপরই ভোরবেলা জানলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত করা গিয়েছে। তরুণীর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে আধ খাওয়া মদের বোতল ও কিছু সামগ্রী। যা দেখার পর ওই যুবতী ঝাঁপ দিয়েছেন বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনাস্থলে এসেছে ট্যাংরা থানার পুলিশ। তাঁরা দেহ উদ্ধার করে মামলারুজু করেছে

শাহের হাত ধরেই পুজো উদ্বোধনী, দেবীপক্ষে বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


বলে রাখা ভাল, রাজনৈতিক মহলে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো বলেই খ্যাত। কারণ, এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তাও তিনিই। প্রতি বছর পুজোয় থিমের দিক থেকে চমক দিয়েছেন সজল। কখনও বানিয়েছেন রামমন্দির। কখনও আবার বানিয়েছেন লালকেল্লা।


কলকাতা: শাহের হাত ধরে উদ্বোধন হবে সজলের পুজোর। দেবীপক্ষের মাঝেই রাজ্য়ে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যাবেন দু’জায়গার পুজো উদ্বোধনে। সূত্রের খবর, চতুর্থী অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের শুক্রবার রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেদিন দুপুরের মধ্য়ে কলকাতায় ঢুকে পড়বেন তিনি। তারপর এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী যাবেন দুই জায়গায়। একদিকে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। অন্যদিকে, ইজেড সিসির দুর্গাপুজোয়।

বলে রাখা ভাল, রাজনৈতিক মহলে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো বলেই খ্যাত। কারণ, এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তাও তিনিই। প্রতি বছর পুজোয় থিমের দিক থেকে চমক দিয়েছেন সজল। কখনও বানিয়েছেন রামমন্দির। কখনও আবার বানিয়েছেন লালকেল্লা। তবে এবারের পুজোর থিম আরও এক ধাপ এগিয়ে। ৯০ তম বর্ষে পা দিয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের থিম অপারেশন সিঁদুর। যা এবার উদ্বোধন হতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে।


বিজেপি সূত্রে খবর, সজলের পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি ওই দিন ইজেডসিসি-র দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে চলেছেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের দ্বারা সেখানে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সরাসরি ‘বিজেপি-র’ দুর্গাপুজো না হলেও, সেই পুজো আয়োজনের সমস্ত রকম দায়িত্বে থেকেছেন বিজেপি নেতারাই।

এমনকি, খুঁটি পুজোর দিনেও গোটা দিন পুজো আয়োজনের কাজে ইজেডসিসি-তেই কাটিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বলে রাখা ভাল, এই পুজোর শুরুটা এক সময় তৃণমূল, পরে বিজেপি। তারপর আবার তৃণমূলে ফেরত যাওয়া মুকুল রায়ের হাত ধরেই। একাংশ বলেন, তিনি বিজেপিতে থাকাকালীন তাঁর পরামর্শেই এই পুজো শুরু করে বঙ্গ বিজেপি। তখন দলের রাজ্য সভাপতি ছিল দিলীপ ঘোষ। কিন্তু দু’বছর টানা পুজোর তা হঠাৎ করেই থেমে যায়। চলতি বছর আবার সেখানে ‘ঘুরপথে’ পুজোর আয়োজন করেছে বিজেপি। অবশ্য, এই দু’টিই যে একেবার চূড়ান্ত, এমন নয়। সূচিতে পরিবর্তন ঘটলে আরও একটি পুজো উদ্বোধনে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে শাহের।



সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, বায়োলজির যে দুটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল, তা যদি কেউ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে নম্বর দেওয়া হবে। এই প্রথম নতুন পদ্ধতিতে হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেমিস্টার সিস্টেমে। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, সেমিস্টার সিস্টেমে পরীক্ষার চাপ কম।


কবে নাগাদ উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট, জানিয়ে রাখল সংসদ
চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, শিক্ষা সংসদের সভাপতি


 ৩১ অক্টোবরের আশপাশেই প্রকাশিত হবে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তবে কয়েকদিন আগে পিছু হতে পারে তারিখটা। তবে আগে বেরনোর সম্ভবনা কম। ৩১ অক্টোবর কিংবা তার কয়েকদিন পরেই প্রকাশিত হবে রেজাল্ট। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, খুব দ্রুত রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। ৩৮ থেকে ৩৯ লক্ষ ওএমআর রয়েছে। ইতিমধ্যে ওএমআর দেখার কাজ চলছে। কেন্দ্রীয়ভাবে কলকাতায় দেখা হচ্ছে।


সংসদের তরফে এও জানানো হয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর নিজেরা বৈঠকে বসবেন সংসদের আধিকারিকরা। আরও কীভাবে নিজেদের কাজকর্মকে উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সভাপতি বলেন, “কোথাও কোথাও আমাদের ছোট ছোট বিষয় পরিমার্জন করতে হবে। কোথায় কী কী রয়েছে, তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”



সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, বায়োলজির যে দুটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল, তা যদি কেউ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে নম্বর দেওয়া হবে। এই প্রথম নতুন পদ্ধতিতে হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেমিস্টার সিস্টেমে। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, সেমিস্টার সিস্টেমে পরীক্ষার চাপ কম। তাই অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেকটা কমেছে। এবছর ‘অনলাইন এটেনডেন্স সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পরীক্ষার্থী ৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৪৩। তাদের মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৪০৭ জন। মেয়ে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন। ৯৮.৪২ শতাংশ পরীক্ষায় বসেছে। সব মিলিয়ে অনুপস্থিত ছিল ১০ হাজার ৪৩৭ জন পরীক্ষার্থী।

সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ দিনের পরীক্ষায় মাত্র ২ জন মোবাইল নিয়ে ধরা পড়েছে পরীক্ষার হলে। ফিজিক্স পরীক্ষার দিন জগৎবল্লভপুর হাই স্কুলের ছাত্রী মোবাইল নিয়ে ধরা পরে তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পলিটিক্যাল সায়েন্সের পরীক্ষায় নদিয়ার এক ছাত্র মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়ায়, তার পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এছাড়া সন্তোষপুর হাইস্কুলের এক ছাত্রী দুর্ব্যবহার করার জন্য পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

বিগত দুই বছরের তুলনায় এটা অনেক কম । ২০২৪ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটাও অনেকটাই কম। সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, OMR শিট নিয়ে খুব ভাল ভাবে পরীক্ষা দিয়েছে পরীক্ষার্থীরা । কোনও সমস্যা হয়নি।

সুন্দরবনের বিষয়ের উপর জোর দিয়েই প্রকাশিত হল 'প্রান্তিক বাংলা সাহিত্য পত্রিকা।

 রবিবার দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের কিশোর সংঘ অনাথ আশ্রমে সাংবাদিক ও লেখক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় এই পত্রিকার। এর সভাপতি হলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী বিদ্যুৎ দিন্দা। মূলত সুন্দরবন এলাকার উদীয়মান লেখক লেখিকাদের লেখা এই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। রয়েছে বিশিষ্ট কবিদের কবিতা, ছড়া, গল্প, মানুষের জীবন জীবিকা, পরিবেশ ইত্যাদি। এই পত্রিকার বিশেষত্ব প্রান্তিক মানুষের জীবন যাপনকে তুলে ধরা। ইতিহাস,সাহিত্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে প্রকাশিত হল প্রান্তিক বাংলা। রবিবার দিন এই পত্রিকার প্রকাশ করেন নামখানা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিভাস সরকার, দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য অখিলেশ বারুই,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রানী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সহ-অধিকর্তা ডঃ সুকান্ত রায়।

 এছাড়াও এদিন অনুস্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু বেরা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রানী সম্পদ দপ্তরের চিকিৎসক ড.সঞ্জীব দত্ত, শিবানী মন্ডল মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক পুলক রঞ্জন দাস, অঙ্কন শিক্ষক শান্তনু দাস প্রমুখ। পত্রিকার প্রকাশ উপলক্ষে  প্রান্তিক বাংলার সম্পাদক, সাংবাদিক ও লেখক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন বিষয় এবং উদীয়মান বিভিন্ন লেখক, কবিদের লেখা এই পত্রিকাতে উঠে এসেছে। এছাড়াও নামী, দামি লেখকদেরও লেখা ছাপা হয়েছে। রয়েছে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ এবং সুন্দরবন বিষয়ক লেখা। আগামী দিনে প্রান্তিক বাংলায় লেখনির মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকা থেকে অনেকেই বড় জায়গায় পৌঁছতে পারবেন বলে আশা রাখি। পত্রিকার মূল্যও কম রাখা হয়েছে যাতে সবাই কিনে পড়তে পারে।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের "শ্রীধাম গঙ্গাসাগর সার্বজনীন দুর্গা উৎসব পুজো সমিতি"র ৪৯তম বর্ষের দুর্গাপূজা মণ্ডপের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন 


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায়, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, সহ-সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান, এসডিপিও সুমন কান্তি ঘোষ, সাগর উপকূল থানা ওসিসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এই বছর একটি নতুন মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা জানান, এবারের দুর্গাপূজায় তারা ২৫ টি দুর্গার আরাধনায় ব্রতি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের কারণে এই উৎসব এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।

এই পুজো সমিতির উদ্যোগে বেশ কিছু দুস্থ মহিলাদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা তৈরি করবে। পুজোর এই বিশেষ আয়োজন সাগর এলাকার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাবে। প্রশাসনিক সংস্থা ও নির্দেশিকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং এই উৎসব পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পূজো উদ্যোক্তারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের "শ্রীধাম গঙ্গাসাগর সার্বজনীন দুর্গা উৎসব পুজো সমিতি"র ৪৯তম বর্ষের দুর্গাপূজা মণ্ডপের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন 


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায়, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, সহ-সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান, এসডিপিও সুমন কান্তি ঘোষ, সাগর উপকূল থানা ওসিসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এই বছর একটি নতুন মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা জানান, এবারের দুর্গাপূজায় তারা ২৫ টি দুর্গার আরাধনায় ব্রতি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের কারণে এই উৎসব এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।

এই পুজো সমিতির উদ্যোগে বেশ কিছু দুস্থ মহিলাদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা তৈরি করবে। পুজোর এই বিশেষ আয়োজন সাগর এলাকার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাবে। প্রশাসনিক সংস্থা ও নির্দেশিকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং এই উৎসব পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পূজো উদ্যোক্তারা।

 কাছে সেই সব নিয়েই মুখ খুলেছেন ওই আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, 'মাস্টারমশাই আমাকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফোন করেন। ৮ তারিখ দেখা করতে আসেন। আমি তো বলেছিলাম কোর্টে আসতে। কিন্তু উনি ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়েছিলেন।'


রাত কাটিয়েছে নিহত ছাত্রীর সঙ্গে, রামপুরহাটের অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার হতেই ফাঁস বড় তথ্য
আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহ

রামপুরহাটে ছাত্রী খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগের তির ছিল ওই শিক্ষকের দিকে। ২৮ অগস্ট শেষবারের জন্য বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে যাওয়া। তারপর থেকেই নিখোঁজ ওই নাবালিকা ছাত্রী। যা ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনা। এই ঘটনায় স্কুলের ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক মনোজ কুমার পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে পরিবার। অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রাও। এরপরই চলে স্কুল ঘেরাও, উন্মত্ত জনতার থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। বেশ কয়েকদিন আটক করেও রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওই সময় বিন্দুমাত্র প্রমাণ পায় না পুলিশ। ফলত দিন পাঁচেকের মাথায় ছেড়ে দিতে হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে।

পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্ত হতেই তিনি দ্বারস্থ হন রামপুরহাটের এক আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহের কাছে। ছাত্রী নিখোঁজ ঘিরে কী কথা হয়েছিল তাদের মধ্য়ে? আইনি পরামর্শ নাকি খুনের ঢাল, কোন উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক? টিভি৯ বাংলার কাছে সেই সব নিয়েই মুখ খুলেছেন ওই আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, ‘মাস্টারমশাই আমাকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফোন করেন। ৮ তারিখ দেখা করতে আসেন। আমি তো বলেছিলাম কোর্টে আসতে। কিন্তু উনি ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়েছিলেন।’


মুখেই বড় বুলি! হাসিনার থেকেও ইউনূস জমানাতেই ভারতের উপরে বেশি নির্ভরশীল বাংলাদেশ
তাঁর সংযোজন, ‘আমি ওনাকে নানা ভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, প্রথমদিকে সরাসরি ভাবে ওনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কিন্তু উনি খুব চিন্তিত ছিলেন। এরপর আরেক দিন তিনি আমার বাড়িতে আসেন। সেদিন বলেন, ২৮ তারিখ অর্থাৎ নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তাঁর মন ভোলাতে বাইকে চাপিয়ে ঘুরতেও নিয়ে যান। বীরচন্দ্রপুর পুজো দেন, তারাপীঠ থেকে জামাকাপড় কিনে দেন। আর এই সব করেই অনেকটা দেরি হয়ে গেলে, তাঁকে নিজের বাড়িতেই নিয়ে চলে যান। বলেন বাড়ি ফেরার কোনও প্রয়োজন নেই।’

আইনজীবী মারফৎ জানা গিয়েছে, সেই রাতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতেই ছিল ওই ছাত্রী। এমনকি, পরদিন তাঁর পরিবারের লোকজন যখন শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে সেই সময়ও ছাত্রীকে নিজের কাছেই আটকে রেখেছিলেন তিনি। সেদিন দিনভর ওই ছাত্রীর সঙ্গে কাটিয়ে, ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে তাঁকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত। তবে আইনজীবীকে এত কিছু জানালেও ‘খুনের’ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি অভিযুক্ত।

ওই আইনজীবী বলেন, ‘খুনের কথা বলেননি। কিন্তু একটি প্রশ্ন তিনি বারংবার আমাকে করেছেন, তা হল যদি ছাত্রীর পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয় তখন কী হবে? দেহ উদ্ধার হলে কি ডিএনএ পরীক্ষা করা যাবে?’ প্রসঙ্গত, আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার দিন দশেকের মাথায় উদ্ধার হয় ওই নিখোঁজ ছাত্রীর টুকরো টুকরো করে কাটা দেহ। তারপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।


বাঁকুড়া শহর লাগোয়া নবজীবনপুর ফুটবল ময়দানে দিন দুয়েক আগে অনুষ্ঠিত হয় সেই নরেন্দ্র কাপের চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা। সেই খেলায় বাঁকুড়া বিধানসভা জয়লাভ করায় আনন্দে মাঠের মধ্যেই 'ডিগবাজি' খেলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক। নিজের ওয়ালে করায় নিমেষে ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো।

দৌড়ে গিয়ে হঠাৎ ডিগবাজি, খেলার মাঠে বিধায়কের কাণ্ড দেখুন
বিধায়কের ডিগবাজি

 রাজনৈতিক নেতাদের কথায় ডিগবাজির কথা অনেকেরই জানা। তাই বলে মাঠে ডিগবাজি! পরপর তিনবার ডিগবাজি খেলেন খোদ বিধায়ক। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার সেই ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল। নিজেই ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন সেই ভিডিয়ো।


বিভিন্ন জেলা জুড়ে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল নরেন্দ্র কাপের। বাঁকুড়া জেলার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া নবজীবনপুর ফুটবল ময়দানে দিন দুয়েক আগে অনুষ্ঠিত হয় সেই নরেন্দ্র কাপের চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা। সেই খেলায় বাঁকুড়া বিধানসভা জয়লাভ করায় আনন্দে মাঠের মধ্যেই ‘ডিগবাজি’ খেলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক। নিজের ওয়ালে করায় নিমেষে ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো।




এই বিষয়ে বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, “ছোট থেকে তিনি খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত, তাই এসব আমার কাছে নতুন কিছু নয়।” তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কথাকে আমল দিতে নারাজ তিনি।

বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভার আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার কি তার পুনরাবৃত্তি হবে? সেদিকেই তাকিয়ে দল।

ইতিমধ্য়েই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জঙ্গলঘেরা যে বাগানবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি ইতিমধ্যেই ঘিরে রেখেছে পুলিশ। অন্যদিকে এদিনই ময়নাতদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও অনুগামীদের অনুমান খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

দুর্গাপুরে তৃণমূলের বড় নেতার মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য! খুন নাকি নেপথ্য অন্য কারণ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ
ঘনাচ্ছে রহস্য


দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে বেড়েই চলেছে রহস্য। শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুরের কমলপুরের দাসেরবাঁধ এলাকায় একটি বাগানবাড়ি থেকে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি নিখিল নায়েকের (৬৪) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল, দুর্গাপুুরের পুলিশ আধিকারিকেরা। তৃণমূলের প্রচুর কর্মী-সমর্থকও ছুটে আসেন। তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশের দাবি, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। খুন করা হয়েছে নিখিলকে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে নিজের বাগানবাড়িতে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন নিখিল। এরইমধ্যে আর তাঁকে বাড়িতে যেতে দেখা যায়নি। তারমধ্যেই সন্ধ্যায় বাগানবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাগানবাড়ির ছাদে ওঠার জন্য যে সিঁড়ি রয়েছে তার পাশে একটি ঘর আছে। সিঁড়ির নীচে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নিখিলের দেহ। যেভাবে দেহ পাওয়া গিয়েছে তা দেখেই তাঁর অনুগামীদের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। 



ইতিমধ্য়েই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জঙ্গলঘেরা যে বাগানবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি ইতিমধ্যেই ঘিরে রেখেছে পুলিশ। অন্যদিকে এদিনই ময়নাতদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও অনুগামীদের অনুমান খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু যদি তাই হয় তাহলে সেই কাজ করল কে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ওই বাগানবাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে খবর। এদিকে কমলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে প্রত্যেকদিন বসতেন নিখিল নায়েক। এখন নিখিলবাবুর চেয়ার খালি। শোকের ছায়া দলীয় কর্মীদের মধ্যে। 



আজ বিকেল ৫টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, আবার বড় কোনও ঘোষণা?


আজ বিকেল ৫টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, আবার বড় কোনও ঘোষণা?
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আজ, রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি। কেন্দ্রীয় সূত্রে এমনটাই খবর। তবে কী বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে কী ঘোষণা করতে পারেন তিনি, তা নিয়ে।





কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই ঘোষণার দিন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ আগামিকাল, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে চলেছে জিএসটির নতুন কর স্ল্যাব। অন্যদিকে, এইচ-১বি ভিসা নিয়ে নয়া মার্কিন নীতি নিয়েও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় ভারতীয়দের ভবিতব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে।

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নোটবন্দির ঘোষণা করেন। বাতিল করে দেওয়া হয় ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট।

২০১৯ সালের ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের কথা জানান, যা পুলওয়ামা হামলার জবাব ছিল।

২০২০ সালের ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েই ৩ সপ্তাহের প্রথম লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন। ১৪ এপ্রিল তিনি সেই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। মে মাসে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণাও করেছিলেন জাতির উদ্দেশে ভাষণে।

২০২৫ সালের ১২ মে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কথা বলেন। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা কীভাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল, সে কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।