সোমবার রাতে কার্যত মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা শহরে। চার দশকের রেকর্ড ভেঙে হয়েছে বৃষ্টি। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এখনই বিরাম মিলবে না। রাস্তা, রেল লাইন সবই জলের তলায়। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল সর্বত্রই ঢুকেছে জল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন যে জল বের করতে গেলে, সেই জল আবার ফিরে আসছে।
ভাঙল মেঘ! মানিকতলা, বালিগঞ্জ, কালীঘাট, উল্টোডাঙা- এক রাতে কোথায় কত বৃষ্টি হল, জেনে নিন
বাংলার উপকূলে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। একের পর এক বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে সেখানে। আর সেই স্থানীয় মেঘের কারণেই হচ্ছে বৃষ্টি। সোমবার রাতের পর মঙ্গলার দুপুরেও নতুন করে ছোট ছোট জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু অল্প সময়ে যা বৃষ্টি হচ্ছে, তা পরিমাণে অনেকটাই বেশি। ফলে জমা জল নামার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বেশিরভাগ জায়গায়।
সোমবার রাতে কার্যত মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা শহরে। চার দশকের রেকর্ড ভেঙে হয়েছে বৃষ্টি। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এখনই বিরাম মিলবে না। রাস্তা, রেল লাইন সবই জলের তলায়। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল সর্বত্রই ঢুকেছে জল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন যে জল বের করতে গেলে, সেই জল আবার ফিরে আসছে। ফলে জল নিষ্কাশন করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ:
মানিকতলা- ১৮৮ মিলিমিটার দত্তবাগান- ১৯৪ মিলিমিটার বীরপাড়া- ১৫৩ মিলিমিটার মার্কাস স্কোয়ার- ১৩৭ মিলিমিটার বেলগাছিয়া- ১৮৪ মিলিমিটার ধাপা লক- ২২১ মিলিমিটার তপসিয়া- ২৮৪ মিলিমিটার উল্টোডাঙা- ২২১ মিলিমিটার কামডহরি- ৩৪০ মিলিমিটার পামার বাজার- ২৩৯ মিলিমিটার ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার কুলিয়া ট্যাংরা- ২০২ মিলিমিটার চিংড়িঘাটা- ২৪৪ মিলিমিটার বালিগঞ্জ- ২৭৯ মিলিমিটার মোমিনপুর- ২৫৮ মিলিমিটার চেতলা লক- ২৮০ মিলিমিটার যোধপুর পার্ক- ২৯০ মিলিমিটার কালীঘাট- ২৯৭ মিলিমিটার পাগলাডাঙা- ২০৭.৪ মিলিমিটার ট্রিচিং গ্রাউন্ড- ১৪৩.৩ মিলিমিটার ধানখেতি খাল- ১৭২ মিলিমিটার জোকা ডিপিএস- ১০৮ মিলিমিটার বেহালা ফ্লায়িং ক্লাব- ১৮২.৮ মিলিমিটার সিপিটি ক্যানাল- ২৪৯.৪ মিলিমিটার কুঁদঘাট- ২০৫ মিলিমিটার এসএসই পিস- ১১৩.৬ মিলিমিটার
অর্থাৎ সারা রাতে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কামডহরিতে। এরপর মঙ্গলবার ফের বৃষ্টি হলে, পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে, তা নিয়েই আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours