ইতিমধ্য়েই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জঙ্গলঘেরা যে বাগানবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি ইতিমধ্যেই ঘিরে রেখেছে পুলিশ। অন্যদিকে এদিনই ময়নাতদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও অনুগামীদের অনুমান খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

দুর্গাপুরে তৃণমূলের বড় নেতার মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য! খুন নাকি নেপথ্য অন্য কারণ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ
ঘনাচ্ছে রহস্য


দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে বেড়েই চলেছে রহস্য। শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুরের কমলপুরের দাসেরবাঁধ এলাকায় একটি বাগানবাড়ি থেকে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি নিখিল নায়েকের (৬৪) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল, দুর্গাপুুরের পুলিশ আধিকারিকেরা। তৃণমূলের প্রচুর কর্মী-সমর্থকও ছুটে আসেন। তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশের দাবি, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। খুন করা হয়েছে নিখিলকে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে নিজের বাগানবাড়িতে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন নিখিল। এরইমধ্যে আর তাঁকে বাড়িতে যেতে দেখা যায়নি। তারমধ্যেই সন্ধ্যায় বাগানবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাগানবাড়ির ছাদে ওঠার জন্য যে সিঁড়ি রয়েছে তার পাশে একটি ঘর আছে। সিঁড়ির নীচে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নিখিলের দেহ। যেভাবে দেহ পাওয়া গিয়েছে তা দেখেই তাঁর অনুগামীদের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। 



ইতিমধ্য়েই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জঙ্গলঘেরা যে বাগানবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি ইতিমধ্যেই ঘিরে রেখেছে পুলিশ। অন্যদিকে এদিনই ময়নাতদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও অনুগামীদের অনুমান খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু যদি তাই হয় তাহলে সেই কাজ করল কে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ওই বাগানবাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে খবর। এদিকে কমলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে প্রত্যেকদিন বসতেন নিখিল নায়েক। এখন নিখিলবাবুর চেয়ার খালি। শোকের ছায়া দলীয় কর্মীদের মধ্যে। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours