তাপস মণ্ডলকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সওয়াল জবাবের সময়ে আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন,নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম চক্রী হলেন তাপস মণ্ডল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তের স্বার্থেই তাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাপসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, তাপসের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা ছিল। সেই টাকার আয়ের উৎস জানতে চান তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, তাপস মণ্ডলের একটি এনজিও রয়েছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের টাকা এনজিও-তে যেত বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তাপস এমনিতেই মামলা লড়ছেন, পাশাপাশি এনজিও-র টাকায় অনেকগুলি বৃদ্ধাশ্রম চলে বলেও খবর। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেলে, কীভাবে এই সব কাজে অর্থ বহন হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
তাপস মণ্ডলকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সওয়াল জবাবের সময়ে আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম চক্রী হলেন তাপস মণ্ডল। ২০১৪ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন তাপস। সিবিআই দাবি করে, তাপস অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের মারফত চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রথম থেকেই তাপস মণ্ডল সিবিআই-এর কাছে দাবি করে আসছিলেন, তিনি কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সিবিআই-র কাছে ম্যারাথন জেরার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। একাধিকবার জেরার সম্মুখীন হওয়ার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তাপস মণ্ডলকে। সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি নামে আরও এক মিডলম্যানকে। সিবিআই দাবি করে. তাপস ও নীলাদ্রি জেরায় সহযোগিতা করছে না। নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। গ্রেফতারির পর থেকে তাপস মণ্ডল অবশ্য সদা হাস্যমুখে দাবি করে আসছেন, “প্রভাবশালীদের একজনই আমায় ফাঁসিয়েছে। টাকা আমি নিইনি। কুন্তল নিয়েছিল। ৫০ লক্ষ নয়। ১৯ কোটি টাকা নিয়েছিল। ওর থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলাম। অভিযোগ করেছিলাম। তাই আজ অভিযুক্ত। কেন গ্রেফতার জানা নেই।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours