পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। তাতে পুলিশের চারজন অফিসার সহ মোট ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


বালির লড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড গোপীবল্লভপুরের দহমুড়া এলাকায়। যুবকের দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। তাতে পুলিশের চারজন অফিসার সহ মোট ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়। নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী থানা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে আপারেশন শুরু করে পুলিশ। পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ওই এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান ঝাড়গ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে গোপীবল্লভ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত। তবে দহমুড়ার পরিস্থিতি এখন থমথমে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।





জানা গিয়েছে, রবিবার করমা সিং নামে এক যুবক গোপীবল্লভপুরের দিক থেকে হাতিবাড়ির দিকে বাইকে করে যাচ্ছিল। সে সময় একটি লরি সুবর্ণরেখা নদী থেকে বালি তোলার জন্য উল্টো দিক দিয়ে আসতেছিল। সেই লরিটি দহমুড়া এলাকায় বাইকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাইক আরোহী যুবক করমা সিংয়েক (২৭)। মৃত যুবকের বাড়ি গোপীবল্লভপুরের বাবুডুমরো গ্রামে। এই ঘটনার পরই গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে। বালিবোঝাই লরির ধাক্কায় এ রকম দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটছে।


এই ঘটনার পরে ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাত বলেছেন, “দিনের পর দিন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। প্রশাসনকে এড়িয়ে এই কাজ কী করে হয়। অবিলম্বে এই বালি তোলা বন্ধ করতে হবে। নয়তো এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে। নাহলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হবে। বর্ষাকালে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দেবে।” প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ওই বিজেপি নেতার। এ নিয়ে গোপীবল্লভপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি হেমন্ত ঘোষ বলেছেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা। তা কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে সিপিএম ও বিজেপি। বালি অবৈধ ভাবে তোলা হচ্ছে কি না তা প্রশাসন বলতে পারবে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours